You are currently viewing এসএসসি গণিত ৩য় অধ্যায় সকল সূত্রাবলী

এসএসসি গণিত ৩য় অধ্যায় সকল সূত্রাবলী

এসএসসি গণিত ৩য় অধ্যায় সকল সূত্রাবলী নিচে দেওয়া হলো

অনুশীলনী ৩.১

সূত্র 1| (a + b)2 = a2 + 2ab + b2

সূত্র 2| (a – b)2 = a2 – 2ab + b2

সূত্র 3| a2 – b2 = (a + b) (a – b)

সূত্র 4| (x + a) (x + b) = x2 + (a + b)x + ab

সূত্র 5| (a + b + c)2 = a2 + b2 + c2 + 2ab + 2bc + 2ac

অনুসিদ্ধান্ত 1| a2 + b2 = (a + b)2 – 2ab

অনুসিদ্ধান্ত 2| a2 + b2 = (a – b)2 + 2ab

অনুসিদ্ধান্ত 3| (a + b)2 = (a – b)2 + 4ab

অনুসিদ্ধান্ত 4| (a -b)2 = (a + b)2 – 4ab

অনুসিদ্ধান্ত 5| a2 + b2 =

অনুসিদ্ধান্ত 6| ab = 22

অনুসিদ্ধান্ত 7| a2 + b2 + c2 = (a + b + c)2 – 2(ab + bc + ac)

অনুসিদ্ধান্ত 8| 2(ab + bc + ac) = (a + b + c)2 – (a2 + b2 + c2)

অনুশীলনী ৩.২

ঘন সংবলিত সূত্রাবলি

সূত্র 6| (a + b)3 = a3 + 3a2b + 3ab2 + b3

                                                  = a3 + b3 + 3ab (a + b)

সূত্র 7| (a – b)3 = a3 – 3a2b + 3ab2 – b3

                                                  = a3 – b3 – 3ab(a – b)

সূত্র 8| a3 + b3 = (a + b) (a2 – ab + b2)

সূত্র 9| a3 – b3 = (a – b) (a2 + ab + b2)

অনুসিদ্ধান্ত 9| a3  + b3 = (a + b)3 – 3ab (a + b)

অনুসিদ্ধান্ত 10| a3  – b3 = (a – b)3 + 3ab (a – b)

অনুশীলনী ৩.৩

উৎপাদক নির্ণয়ের কতিপয় কৌশল :
(ক) কোনো বহুপদীর প্রত্যেক পদে সাধারণ উৎপাদক থাকলে তা প্রথম বের করে নিতে হয়। যেমন:
(র) ৩ধ২ন + ৬ধন২ + ১২ধ২ন২ = ৩ধন(ধ + ২ন + ৪ধন) (রর) ২ধন(ী  ু) + ২নপ(ী  ু) + ৩পধ(ী  ু) = (ী  ু)(২ধন + ২নপ + ৩পধ)
(খ) একটি রাশিকে পূর্ণবর্গ আকারে প্রকাশ করে।
যেমন : ৪ী২ + ১২ী + ৯ = (২ী)২ + ২  ২ী  ৩ + (৩)২ = (২ী + ৩)২ = (২ী + ৩) (২ী + ৩)
(গ) একটি রাশিকে দুইটি বর্গের অন্তররূপে প্রকাশ করে এবং ধ২  ন২ = (ধ + ন) (ধ  ন) সূত্র প্রয়োগ করে।
(ঘ) ী২ + (ধ + ন)ী + ধন = (ী + ধ)(ী + ন) সূত্রটি ব্যবহার করে।
এ পদ্ধতিতে ী২ + ঢ়ী + য় আকারের বহুপদীয় উৎপাদক নির্ণয় করা সম্ভব হয় যদি দুইটি পূর্ণসংখ্যা ধ ও ন নির্ণয় করা যায় যেন, ধ + ন = ঢ় এবং ধন = য় হয়। এজন্য য়-এর দুইটি স্বচিহ্ন উৎপাদক নিতে হয় যাদের বীজগাণিতিক সমষ্টি ঢ় হয়। য়  ০ হলে, ধ ও ন একই চিহ্নযুক্ত এবং য় < ০ হলে, ধ ও ন বিপরীত চিহ্নযুক্ত হবে।
(ঙ) ধী২ + নী + প আকারের বহুপদীর মধ্যপদ বিভক্তিকরণ পদ্ধতিতে : ধী২ + নী + প = (ৎী + ঢ়)(ংী + য়) হবে।
অতএব, ধী২ + নী + প আকারের বহুপদীর উৎপাদক নির্ণয় করতে হলে ধপ, অর্থাৎ, ী২ এর সহগ এবং ী বর্জিত পদের গুণফলকে এমন দুইটি উৎপাদকে প্রকাশ করতে হবে, যাদের বীজগাণিতিক সমষ্টি ী এর সহগ ন এর সমান হয়।
(চ) একটি রাশিকে পূর্ণ ঘন আকারে প্রকাশ করে।
(ছ) ধ৩ + ন৩ = (ধ + ন)(ধ২  ধন + ন২)এবং ধ৩  ন৩ = (ধ  ন) (ধ২ + ধন + ন২) সূত্র দুইটি ব্যবহার করে।
(জ) ভগ্নাংশসহগযুক্ত রাশির উৎপাদক : ভগ্নাংশযুক্ত রাশির উৎপাদকগুলোকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা যায়।
যেমন, ধ৩ + ১২৭ = ধ৩ + ১৩৩ = ধ + ১৩ধ২  ধ৩ + ১৯
আবার, ধ৩ + ১২৭ = ১২৭ (২৭ধ৩ +১) = ১২৭ {(৩ধ)৩ + (১)৩} = ১২৭ (৩ধ + ১)(৯ধ২  ৩ধ + ১)
এখানে, দ্বিতীয় সমাধানে চলক-সংবলিত উৎপাদকগুলো পূর্ণসংখ্যা সহগবিশিষ্ট। এই ফলকে প্রথম সমাধানের মতো প্রকাশ করা যায় :
১২৭ (৩ধ + ১)(৯ধ২  ৩ধ + ১) = ১৩ (৩ধ + ১)  ১৯ (৯ধ২  ৩ধ + ১) = ধ + ১৩ধ২  ধ৩ + ১৯

অনুশীলনী ৩.৪

ভাগশেষ উপপাদ্য (জবসধরহফবৎ ঞযবড়ৎবস) :
আমরা জানি, ভাজ্য = ভাজক  ভাগফল + ভাগশেষ
যদি আমরা ভাজ্যকে (ী), ভাগফলকে য(ী),ভাগশেষকে ৎ ও ভাজককে (ী  ধ) দ্বারা সূচিত করি, তাহলে উপরের সূত্র থেকে পাই,
(ী) = (ী  ধ)য(ী) + ৎ এই সূত্রটি ধ এর সকল মানের জন্য সত্য।
অতএব, (ী) কে (ী  ধ) দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ হয় ƒ(ধ) এই সূত্র ভাগশেষ উপপাদ্য (জবসধরহফবৎ ঃযবড়ৎবস) নামে পরিচিত। অর্থাৎ, ধনাত্মক মাত্রার কোনো বহুপদী ƒ(ী) কে (ী  ধ) আকারের বহুপদী দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ কত হবে তা ভাগ না করে বের করার সূত্রই হলো ভাগশেষ উপপাদ্য। ভাজক বহুপদী (ী  ধ) এর মাত্রা ১।
প্রতিজ্ঞা : যদি (ী) এর মাত্রা ধনাত্মক হয় এবং ধ  ০ হয়, তবে (ী) কে (ধী + ন) দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ হয়  নধ
অনুসিদ্ধান্ত : (ী  ধ), (ী) এর উৎপাদক হবে, যদি এবং কেবল যদি (ধ) = ০ হয়।
কোনো বহুপদী (ী), (ী  ধ) দ্বারা বিভাজ্য হবে যদি এবং কেবল যদি (ধ) = ০ হয়। এই সূত্র উৎপাদক উপপাদ্য (ঋধপঃড়ৎ ঃযবড়ৎবস) নামে পরিচিত।
অনুসিদ্ধান্ত : ধী + ন, ধ  ০ হলে, রাশিটি কোনো বহুপদী (ী) এর উৎপাদক হবে, যদি এবং কেবল যদি  নধ = ০ হয়।

অনুশীলনী ৩.৫

বাস্তব সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করা হয়। সূত্রগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
(১) দেয় বা প্রাপ্য বিষয়ক :
দেয় বা প্রাপ্য, অ = য়হ টাকা
যেখানে, য় = জনপ্রতি দেয় বা প্রাপ্য টাকার পরিমাণ
হ = লোকের সংখ্যা
(২) সময় ও কাজ বিষয়ক :
কয়েকজন লোক একটি কাজ সম্পন্ন করলে, কাজের পরিমাণ, ড = য়হী
যেখানে, য় = প্রত্যেকে একক সময়ে কাজের যে অংশ সম্পন্ন করে
হ = কাজ সম্পাদনকারীর সংখ্যা
ী = কাজের মোট সময়
ড = হ জনে ী সময়ে কাজের যে অংশ সম্পন্ন করে
(৩) সময় ও দূরত্ব বিষয়ক :
নির্দিষ্ট সময়ে দূরত্ব, ফ = াঃ
যেখানে, া = প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ
ঃ = মোট সময়
(৪) নল ও চৌবাচ্চা বিষয়ক :
নির্দিষ্ট সময়ে চৌবাচ্চায় পানির পরিমাণ, ছ(ঃ) = ছ০  য়ঃ
যেখানে, ছ০ = নলের মুখ খুলে দেওয়ার সময় চৌবাচ্চায় জমা পানির পরিমাণ।
য় = প্রতি একক সময়ে নল দিয়ে যে পানি প্রবেশ করে অথবা বের হয়।
ঃ = অতিক্রান্ত সময়।
ছ(ঃ) = ঃ সময়ে চৌবাচ্চায় পানির পরিমাণ (পানি প্রবেশ হওয়ার শর্তে ‘+’ চিহ্ন এবং পানি বের হওয়ার শর্তে ‘Ñ’ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।)
(৫) শতকরা অংশ বিষয়ক :
ঢ় = নৎ
যেখানে, ন = মোট রাশি; ৎ = শতকরা ভগ্নাংশ = ং১০০ = ং%; ঢ় = শতকরা অংশ = ন এর ং%
(৬) লাভ-ক্ষতি বিষয়ক :
ঝ = ঈ(ও  ৎ)
লাভের ক্ষেত্র, ঝ = ঈ(ও + ৎ)
ক্ষতির ক্ষেত্রে, ঝ = ঈ(ও  ৎ)
যেখানে, ঝ (টাকা) = বিক্রয়মূল্য; ঈ (টাকা) = ক্রয়মূল্য; ও = লাভ বা মুনাফা; ৎ = লাভ বা ক্ষতির হার
(৭) বিনিয়োগ-মুনাফা বিষয়ক :
সরল মুনাফার ক্ষেত্রে, ও = চহৎ টাকা
অ = চ + ও = চ+চহৎ = চ(১+হৎ) টাকা
চক্রবৃদ্ধি মুনাফার ক্ষেত্রে, অ = চ(১ + ৎ)হ
যেখানে, ও = হ সময় পরে মুনাফা; হ = নির্দিষ্ট সময়; চ = মূলধন; ৎ = একক সময়ে একক মূলধনের মুনাফাদ; অ = হ সময় পরে মুনাফাসহ মূলধন।

Leave a Reply