পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

৫ম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

⇒অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দাও :
১. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয়-
ক. ﮦ – ﺀ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﺡ – ﻉ ঘ. ﻒ
২. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয়-
ক. ﺡ – ﻉ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﻱ – ﺶ – ﺝ ঘ. ﮦ – ﺀ
৩. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়-
ক. ﻝ খ. ﻚ গ. ﻦ ঘ. ﺾ
৪. জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের নিচের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়-
ক. ﺖ ﺪ ﻃ খ. ﺯ ﺲ ﺺ গ. ﮦ – ﺀ ঘ. ﻒ
৫. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়-
ক. ﮦ – ﺀ খ. ﻖ গ. ﺥ – ﻍ ঘ. ﻚ
৬. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়-
ক. ﻱ – ﺶ – ﺝ খ. ﺮ
গ. ﺖ ﺪ ﻃ ঘ. ﺯ ﺲ ﺺ
৭. জিহ্বার অগ্রভাগ ওপরের দুই দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়-
ক. ﺙ ﺫ ﻇ খ. ﻦ গ. ﺯ ﺲ ﺺ ঘ. ﺖ ﺪ ﻃ

==== উত্তরমালা ====
১. গ ২. খ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. ক ৭. ঘ

খ শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. কুরআন মজিদ আল্লাহর —- ।
২. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় —-।
৩. ح—- ع কণ্ঠনালির —- থেকে উচ্চারিত হয়।
৪. বিরাম চিহ্নকে —- বলে।
৫. কুরআন মজিদের ভাষা —- ।

উত্তর : ১. কালাম; ২. ﻖ ; ৩. মাঝখান; ৪. ওয়াক্ফ; ৫. আরবি।

গ বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর :

বাম পাশ ডান পাশ
কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য

কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ

দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয়

জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়

কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয়

আসমানি কিতাব

৪টি

 

ﻩ – ﺀ

ﻡ ﺐ ﻭ

উত্তর :
কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য ৪টি।
কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব।
দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয় ﻡ ﺐ ﻭ
জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻖ
কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﻩ – ﺀ

⇒ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য কয়টি?
উত্তর : কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য হলো চারটি।
প্রশ্ন- ২ \ মাখরাজ কয়টি?
উত্তর : মাখরাজ ১৭টি।
প্রশ্ন- ৩ \ কণ্ঠনালির হরফ কয়টি?
উত্তর : কণ্ঠনালির হরফ ছয়টি।
প্রশ্ন- ৪ \ ﻈ ﺬ ﺚ কোথা থেকে উচ্চারিত হয়?
উত্তর : জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের ওপরের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে ﻈ ﺬ ﺚ এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হয়।
প্রশ্ন- ৫ \ দুই ঠোঁট থেকে কোন কোন হরফ উচ্চারিত হয়?
উত্তর : দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয়।
ﻮ (ওয়াও); ﺐ (বা) এবং ﻢ (মিম)।

⇒ বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ কার বাণী? কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কয়টি ও কী কী?
উত্তর : কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো চারটি। যথা :
১. সহিহ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা
২. এর অর্থ বুঝা।
৩. আল্লাহপাক যা আদেশ করেছেন তা পালন করা।
৪. আল্লাহপাক যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা।

প্রশ্ন- ২ \ কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে কী কী বিষয়ে জানতে পারবে তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে যেসব বিষয় আমরা জানতে পারব তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো :
ক. আল্লাহপাকের বিধি-বিধান
১. আল্লাহপাকের পরিচয় ও নবি-রাসুলগণের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব।
২. ফেরেশতাগণের পরিচয় ও পরকালের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব।
৩. কে আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা ও পালনকর্তা তা জানতে পারব।
৪. কে একমাত্র সর্বশক্তিমান, সবকিছুর মালিক, পরম দয়ালু ও একমাত্র শান্তিদাতা তা জানতে পারব।
খ. মানবজীবনের পদ্ধতি
১. আমাদের কাজকর্ম ও চরিত্র কীরূপ হওয়া উচিত তা জানতে পারব।
২. দুনিয়ায় আমাদের কীরূপে জীবনযাপন ও লেনদেন করতে হবে তা জানতে পারব।
৩. দুনিয়ায় আমরা কার হুকুম মানব, আর কার হুকুম মানব না সে সম্পর্কে জানতে পারব।
৪. কীসে আমাদের সম্মান, সফলতা, ব্যর্থতা এবং লাঞ্ছনা তা জানতে পারব।

প্রশ্ন- ৩ \ তাজবিদ কাকে বলে? সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করার কী কী লাভ আছে উল্লেখ কর।
উত্তর : শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে।
সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের লাভ : সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে আল্লাহপাকের কালামের অর্থ ঠিক থাকে। সালাত সহিহশুদ্ধ হয়। সঠিক ও শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করতে না পারলে আল্লাহর কালামের অর্থ ঠিক থাকে না। সালাত শুদ্ধ হয় না, পাপ হয়। সুতরাং সঠিক উচ্চারণে আমাদের কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা শিখতে হবে।

প্রশ্ন- ৪ \ মাখরাজ কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ।
উত্তর : আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। কোনো একটি হরফকে সাকিন করে ডানে একটি হরকতবিশিষ্ট আলিফ বসিয়ে উচ্চারণ করলে সাকিন হরফটির আওয়াজ যে স্থানে গিয়ে থেমে যায় তাহলো ঐ হরফের মাখরাজ বা উচ্চারণের স্থান। যেমন : আলিফ বা যবর ‘আব’। এখানে ‘ب’ বর্ণের উচ্চারণের সময় আওয়াজ দুই ঠোঁটে এসে থেমে গেছে। কাজেই ‘ب’ বর্ণের মাখরাজ দুই ঠোঁট।

প্রশ্ন- ৫ \ কোন কোন স্থান থেকে আরবি বর্ণগুলো উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : উচ্চারণস্থান মোট ১৭টি। আরবি বর্ণগুলো যেসব স্থান থেকে উচ্চারিত হয়, তার একটি তালিকা উপস্থাপন করা হলো :
ক. নাসাগহŸর, মুখগহŸর, জিহ্বার, তালু, আলাজিহ্বার, কণ্ঠনালির শুরু, মধ্যভাগ ও শেষ অংশ।
খ. ডান দিকের উপরের মাড়ির দাঁত, বাম দিকের উপরের মাড়ির দাঁত।
গ. উপরের ঠোঁট, সামনে উপরের দুটি দাঁত, সামনের নিচের দুটি দাঁত।

প্রশ্ন- ৬ \ কণ্ঠনালি থেকে কোন কোন বর্ণ উচ্চারিত হয় তা লিখ।
উত্তর : কণ্ঠনালি থেকে নিম্নোক্ত বর্ণগুলো উচ্চারিত হয়। যেমন :
১. কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﺀ ,ﻩ (হা, হামযাহ)
২. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয় ﻉ ,ﺡ (হা, আইন)
৩. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয় ﻍ ,ﺥ (খা, গাইন)

প্রশ্ন- ৭ \ জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তা হলো :
১. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ‘ﻖ’ (ক্বাফ)
২. জিহ্বার গোড়ার কিছুটা সামনের অংশ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻚ’ (কাফ)
৩. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺝ’ (জিম), ‘ﺲ’ (শিন), ‘ﻯ’ (ইয়া),
৪. জিহ্বার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺾ’ (দোয়াদ)
৫. জিহ্বার অগ্রভাগের কিনারা, সামনের ওপরের দাঁতের সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻞ’ (লাম)
৬. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻦ (নুন)
৭. জিহ্বার অগ্রভাগের পিঠ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﺮ (রা)
৮. জিহ্বার অগ্রভাগ উপরের দুই দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে ‘ﺖ’ (তা), ‘ﺪ’ (দাল), ‘ﻄ’ (তোয়া) উচ্চারিত হয়।
৯. জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের নিচের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺰ, (যা), ‘ﺶ’ (সিন), ‘ﺺ’ (ছোয়াদ)
১০. জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের ওপরের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ‘ﺚ’ (ছা), ‘ﺬ’ (যাল), ‘ﻆ’ (যোয়া)

প্রশ্ন- ৮ \ ওয়াক্ফ কাকে বলে? এর উদ্দেশ্য কী? সর্বপ্রথম কে এই চিহ্নগুলো ব্যবহার করেন?
উত্তর : তাজবিদের পরিভাষায় দুই নিঃশ্বাসের মধ্যবর্তী বিরতির সময়কে ওয়াক্ফ বলে। ওয়াক্ফ করার সময় শব্দের হরকতযুক্ত (স্বরচিহ্ন) শেষ হরফে জযম দিতে হয়। একে সাকিনও বলা হয়।
ওয়াক্ফের উদ্দেশ্য হলো একজন আরবি না জানা লোকও যেন তিলাওয়াতের সময় অর্থ ঠিক রাখার জন্য কতটুকু থামতে হবে, আর কোথায় থামতে হবে না, তা যেন সহজে বুঝতে পারেন। সর্বপ্রথম এ চিহ্নগুলো ব্যবহার করেন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে তাইফুর।

প্রশ্ন- ৯ \ ওয়াক্ফে তাম, লাজিম ও মুতলাকের চিহ্নগুলো অঙ্কন কর।
উত্তর : ওয়াকফে তাম, লাজিম ও মুতলাকের চি‎হ্নগুলো নিচে অংকন করা হলো :
০ = একে ওয়াকফে তাম বলে। আয়াতের শেষে এ চিহ্ন থাকে।
‘ﻢ’ = একে ‘ওয়াক্ফে লাজিম’ বলে। এরূপ চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্ফ করা অত্যাবশ্যক।
‘ﻄ’ = একে ‘ওয়াক্ফে মুতলাক’ বলে। এরূপ চিহ্নিত স্থানে বিরতি উত্তম।

প্রশ্ন- ১০ \ সূরা ফীলের অর্থ লিখ।
উত্তর : পবিত্র কুরআনের সূরা ফীল পাঁচ আয়াতবিশিষ্ট একটি ‘মক্কি সূরা’। নিচে এর অর্থ উল্লেখ করা হলো :
১. তুমি কি দেখনি তোমার প্রতিপালক হাতিওয়ালাদের প্রতি কী করেছিলেন?
২. তিনি কি তাদের কৌশল ব্যর্থ করে দেননি?
৩. তাদের বিরুদ্ধে তিনি ঝাঁকেঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন।
৪. যারা তাদের ওপর কঙ্কর নিক্ষেপ করে।
৫. এরপর তিনি তাদের চর্বিত ঘাসের মতো করে দেন।

প্রশ্ন- ১১ \ সূরা আল কাউসার আরবিতে লিখ।
উত্তর : সূরা আল কাউসার তিন আয়াতবিশিষ্ট মক্কি সূরা। নিচে এ সূরাটি আরবিতে লিখা হলো :

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন \ ১ \ জামিল প্রতিদিন সকালে শুদ্ধ ও সুন্দর করে কুরআন তিলাওয়াত করে। তার এ তিলাওয়াতকে কী বলে?
উত্তর : তার এ তিলাওয়াতকে তাজবিদ সহকারে তিলাওয়াত বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ কিয়ামত পর্যন্ত কুরআন মজিদ অবিকৃত থাকবে। এ মহান গ্রন্থকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবেন কে?
উত্তর : এ মহান গ্রন্থকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
প্রশ্ন \ ৩ \ মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদ আমাদের ওপর নাজেল করেছেন কেন?
উত্তর : সঠিকপথ দেখানোর জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ওপর কুরআন মজিদ নাজেল করেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ মহানবি (স)-এর সাহাবিগণ যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কুরআন তিলাওয়াত করতেন, তুমিও সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কুরআন তিলাওয়াত কর। এক্ষেত্রে তোমার উদ্দেশ্য কয়টি?
উত্তর : এক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্য চারটি।
প্রশ্ন \ ৫ \ শিক্ষক সাকিবকে বললেন, কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হরফগুলো বল। তখন সে কোন হরফগুলো বলবে?
উত্তর : তখন সে গইন-খ (غ, خ) হরফগুলো বলবে।
প্রশ্ন \ ৬ \ তামিম তাজবিদ সহকারে কুরআন তিলাওয়াত করে। তার মা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় কোন হরফটি? এখন সে কোন হরফটির কথা বলবে?
উত্তর : সে ক্বফ (ق) হরফটির কথা বলবে।
প্রশ্ন \ ৭ \ শিক্ষক শ্রেণিতে বললেন, মীম ও নুন এ দুটি হরফ যখন তাশদিদযুক্ত হয়, তখন তার উচ্চারণ নাকের বাঁশির মধ্য দিয়ে গুণগুণ করে উচ্চারিত হয়। এ উচ্চারণকে কী বলে?
উত্তর : এ উচ্চারণকে গুন্নাহ বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ সাদিয়া তার ছোট বোন সুমাইয়াকে প্রশ্ন করল, কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের সময় আমরা কিছু বিরাম চিহ্নের নিয়ম মেনে চলি। এ চিহ্নগুলোকে কী বলে?
উত্তর : এ চিহ্নগুলোকে ওয়াক্ফ বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ তুমি আসমানি চারটি কিতাবের নাম জেনেছ। সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোনটি?
উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব কুরআন মজিদ।
প্রশ্ন \ ১০ \ কুরআন মজিদের আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। কেন?
উত্তর : শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য কুরআন মজিদের আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১১ \ কুরআন মজিদে ব্যবহৃত ০ (গোল) চিহ্ন দ্বারা কী নির্দেশ করে?
উত্তর : কুরআন মজিদে ব্যবহৃত ০ (গোল) চিহ্ন দ্বারা পূর্ণ বিরতি নির্দেশ করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ কোনো কোনো আয়াতে কিছু চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্ফ করা আবশ্যক। ওয়াক্ফ না করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কী ঘটার সম্ভাবনা থাকে?
উত্তর : ওয়াক্ফ না করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ বিকৃতির সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কমপক্ষে এক আলিফ পরিমাণ লম্বা করতে হয় কোথায়?
উত্তর : কমপক্ষে এক আলিফ পরিমাণ লম্বা করতে হয় গুন্নাহর স্থলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ গুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম কোন ক্ষেত্রে?
উত্তর : গুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সূরা ফীল একটি মাক্কি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : সূরা ফীল এর আয়াত সংখ্যা ৫।
⇒ সাধারণ :
প্রশ্ন- ১৬ \ “ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার”-এর অর্থ কী?
উত্তর : নিশ্চয়ই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ।
প্রশ্ন- ১৭ \ ওয়াক্ফে তাম কাকে বলে? চি‎‎হ্নটি আঁক?
উত্তর : আয়াতের শেষে যে গোল চি‎হ্ন থাকে তাকে ওয়াক্ফে তাম বলে। চি‎‎হ্নটি হলো ‘০’।
প্রশ্ন- ১৮ \ কুরআন মজিদের ভাষা কী?
উত্তর : কুরআন মজিদের ভাষা আরবি।
প্রশ্ন- ১৯ \ মাখরাজ কাকে বলে?
উত্তর : আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে।
প্রশ্ন- ২০ \ গুন্নাহর হরফ কতটি ও কী কী?
উত্তর : গুন্নাহর হরফ দুইটি। م (মিম), ن (নুন)
প্রশ্ন- ২১ \ কে সর্বপ্রথম ওয়াকফ ব্যবহার করেন?
উত্তর : আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে তাইফুর।
প্রশ্ন- ২২ \ গুন্নাহ করা কী?
উত্তর : গুন্নাহ করা ওয়াজিব।
প্রশ্ন- ২৩ \ তাজবিদ কাকে বলে?
উত্তর : শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে।
প্রশ্ন- ২৪ \ গুন্নাহ কাকে বলে?
উত্তর : নাক ব্যবহার করে আরবি হরফ উচ্চারণ করাকে গুন্নাহ বলে।
প্রশ্ন- ২৫ \ ‘ওয়াকফে লাজিম’ কাকে বলে?
উত্তর : কুরআনের আয়াতে যে ওয়াক্ফের জন্য আবশ্যিক বিরতি দিতে হয়, তাকে ওয়াক্ফে লাজিম বলা হয়।
প্রশ্ন- ২৬ \ সূরা কাউসারের আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : সূরা কাউসারের আয়াত সংখ্যা তিন।
প্রশ্ন- ২৭ \ কণ্ঠনালির হরফ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : কণ্ঠনালির হরফ ৬টি। যেমন : ﻩ-ﺀ, ﺡ-ﻉ, ﺥ-ﻍ।
প্রশ্ন- ২৮ \ জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে কোন হরফ উচ্চারিত হয়?
উত্তর : জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে – ﺝ – ﺵ – ﻯ উচ্চারিত হয়।
প্রশ্ন- ২৯ \ সূরা মাউনের আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : সূরা মাউনের আয়াত সংখ্যা ৭টি।
প্রশ্ন- ৩০ \ ওয়াক্ফের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হরফ কতটি?
উত্তর : ওয়াক্ফের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয় আটটি হরফ।
প্রশ্ন- ৩১ \ আরবি হরফের কতটি মাখরাজ?
উত্তর : আরবি ২৯টি হরফের ১৭টি মাখরাজ।
প্রশ্ন- ৩২ \ কুরআন মজিদ কোথায় সংরক্ষিত ছিল?
উত্তর : কুরআন মজিদ সংরক্ষিত ছিল লাওহে মাহফুজে।
প্রশ্ন- ৩৩ \ কুরআন মজিদ কীসের উৎস?
উত্তর : সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস।
প্রশ্ন- ৩৪ \ তাজবিদ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : তাজবিদ শব্দের অর্থ হলো সুন্দর করে পড়া বা বিন্যাস করা।
প্রশ্ন- ৩৫ \ মাখরাজ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : মাখরাজ শব্দের অর্থ বের হওয়ার জায়গা।
প্রশ্ন- ৩৭ \ সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোনটি?
উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হলো কুরআন মজিদ।
প্রশ্ন- ৩৮ \ কুরআন পরিবর্তন হবে না কেন?
উত্তর : কুরআন মজিদের হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ।
প্রশ্ন- ৩৯ \ সাহাবিগণ পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে পেরেছিলেন কেন?
উত্তর : সাহাবিগণ কুরআন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছিলেন বলে।
প্রশ্ন- ৪০ \ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত না করলে কী হয়?
উত্তর : শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত না করলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়।

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ \ কুরআন মজিদে মাখরাজ কতটি? প্রথম পাঁচটি মাখরাজ লিখ।
উত্তর : কুরআন মজিদে সর্বমোট ১৭টি মাখরাজ রয়েছে। নিচে পাঁচটি মাখরাজের বর্ণনা দেওয়া হলো :
১. কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ۶ ۵ (হামযাহ, হা)।
২. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয় ع ح (আইন, হা)।
৩. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয় غ خ (গাইন, খা)।
৪. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ق (ক্বাফ)।
৫. জিহ্বার গোড়ার কিছুটা সামনের অংশ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ك (কাফ)।

প্রশ্ন- ২ \ প্রতিদিন কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের ৫টি উপকারিতা লিখ।
উত্তর : প্রতিদিন কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের পাঁচটি উপকারিতা হলো :
১. তিলাওয়াতের কারণে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে।
২. আল্লাহপাকের আদেশমতো জীবনে চলা যাবে।
৩. আল্লাহপাকের নিষেধ করা কাজ থেকে বাঁচা যাবে।
৪. ভালো ও কল্যাণ লাভের উপায়গুলো জানা যাবে।
৫. আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে।

প্রশ্ন- ৩ \ মাখরাজ শব্দের অর্থ কী? যে কোনো দুইটি মাখরাজ লিখ।
উত্তর : মাখরাজ শব্দের অর্থ বের হওয়ার জায়গা। আরবি ২৯ বর্ণের মাখরাজ মোট ১৭টি তন্মধ্যে দুইটি হলো :
১. কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ۶ ۵।
২. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয় ع ح।

প্রশ্ন- ৪ \ তুমি পবিত্র কুরআন মজিদ থেকে শিক্ষা লাভ করেছ এমন যেকোনো পাঁচটি বিষয় লিখ।
উত্তর : আমি পবিত্র কুরআন মজিদ থেকে শিক্ষা লাভ করেছি এমন পাঁচটি বিষয় হলো :
১. আল্লাহ তায়ালার পরিচয়;
২. নবি-রাসুলগণের পরিচয়;
৩. ফেরেশতাগণের পরিচয়;
৪. পরকালের পরিচয়;
৫. আমাদের কাজকর্ম কীরূপ হওয়া উচিত।

প্রশ্ন- ৫ \ সূরা কুরাইশের অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা কুরাইশের বাংলা অর্থ-
১. যেহেতু কুরাইশদের আসক্তি আছে।
২. আসক্তি আছে তাদের শীত ও গ্রীষ্মে সফরের।
৩. তারা ইবাদত করুক এই গৃহের প্রতিপালকের যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং ভীতি থেকে তাদের নিরাপদ রেখেছেন।

প্রশ্ন- ৬ \ তাজবিদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কুরআন মজিদের ভাষা আরবি। সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালার কালামের অর্থ ঠিক থাকে। সালাত শুদ্ধ হয়। সঠিক ও শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করতে না পারলে আল্লাহর কালামের অর্থ ঠিক থাকে না। সালাত শুদ্ধ হয় না, পাপ হয়। শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। সুতরাং তাজবিদ শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন- ৭ \ কুরআন মজিদের পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর : কুরআন মজিদ মহান আল্লাহ তায়ালার কালাম বা বাণী। আল্লাহ তায়ালা এই বাণী বা কালাম মহানবি (স)-এর ওপর নাজেল করেন। কুরআন মজিদ সর্বশেষ আসমানি কিতাব। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে মানুষের ভালো হওয়ার এবং কল্যাণ লাভের সব কথা, সব নিয়মনীতি ঘোষণা করেছেন।

⇒ সাধারণ
প্রশ্ন- ৮ \ সূরা কাউসারের অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা কাউসারের অর্থ নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. আমি অবশ্যই তোমাকে কাওসার দান করেছি।
২. সুতরাং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।
৩. নিশ্চয়ই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ।

প্রশ্ন- ৯ \ সূরা কাফিরুনের বাংলা অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা কাফিরুনের বাংলা অর্থ হলো :
১. বল, হে কাফিরগণ!
২. আমি তার ইবাদত করি না, যার ইবাদত তোমরা কর।
৩. এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি।
৪. তোমাদের দীন তোমাদের, আর আমার দীন আমার জন্য।

প্রশ্ন- ১০ \ সূরা মাউনের বাংলা অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা মাউনের বাংলা অর্থ নিম্নরূপ :
১. আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে দীনকে প্রত্যাখ্যান করে?
২. সে তো সেই, যে এতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।
৩. এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না।
৪. সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের। যারা তাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।
৫. গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় ছোটখাটো সাহায্যদানে বিরত থাকে।


🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

🔶🔶 পঞ্চম শ্রেণির সকল বিষয় সমাধান

 

 

Leave a Reply