মোবাইল ফোন
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
তরঙ্গ উদ্ভাবন গবেষক অদৃশ্য অ্যান্টেনা রূপান্তরিত এসএমএস সমন্বয়
উত্তর :
শব্দ অর্থ
তরঙ্গ – কোনো কিছুর ঢেউ।
উদ্ভাবন – আবিষ্কার করা, আগে ছিল না এমন কিছু তৈরি করা।
গবেষক – যিনি গবেষণা করেন।
অদৃশ্য – যা চোখে দেখা যায় না, আগোচর।
অ্যান্টেনা – কোনো বেতার যন্ত্রের সাথে লাগানো তার বা অংশ, যা দিয়ে যন্ত্রটি তরঙ্গ ধরতে পারে।
রূপান্তরিত – একরকম থেকে আর-একরকম করে ফেলা।
এসএমএস – (ংযড়ৎঃ সবংংধমব ংবৎারপব) খুদেবার্তা।
সমন্বয় – সামঞ্জস্য, মিলন।
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
গবেষক অ্যান্টেনা উদ্ভাবন তরঙ্গ সমন্বয় এসএমএস রূপান্তরিত।
ক. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু ………. করেছে।
খ. নদীর ………. চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না।
গ. ………… সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন।
ঘ. রেডিও এবং মোবাইল ফোনের ………. থাকে।
ঙ. পানি ফুটলে বাষ্পে ………… হয়।
চ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে ………… পাঠাতে ভুলবেন না যেন।
ছ. তোমাদের সবাইকে মোবাইল ফোনে কাজের ……….. করতে হবে।
উত্তর :
ক. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে।
খ. নদীর তরঙ্গ চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না।
গ. গবেষক সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন।
ঘ. রেডিও এবং মোবাইল ফোনের অ্যান্টেনা থাকে।
ঙ. পানি ফুটলে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।
চ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে এসএমএস পাঠাতে ভুলবেন না যেন।
ছ. তোমাদের সবাইকে মোবাইল ফোনে কাজের সমন্বয় করতে হবে।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) মোবাইল ফোন আজকের দিনে কী কী কাজে লাগে?
উত্তর : মোবাইল ফোন আজকের দিনে নানা কাজে লাগে। যেমন-
(১) কথা বলতে; (২) এসএমএস পাঠাতে; (৩) ছবি তুলতে; (৪) ভিডিওচিত্র ধারণ করতে; (৫) গান শুনতে; (৬) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে; (৭) বই পড়তে; (৮) সিনেমা দেখতে ইত্যাদি।
খ) মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের জন্য কারা কারা কাজ করেছেন?
উত্তর : মোবাইল ফোন উদ্ভাবনে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল, জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল এবং মার্টিন কুপার।
গ) মোবাইল সেট থেকে কীভাবে অন্য জনের সাথে কথা হয়?
উত্তর : মোবাইল সেট থেকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে অন্যজনের সাথে কথা হয়।
একটি মোবাইল সেট থেকে কোনো নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে খবর টাওয়ারের মাধ্যমে আরেক প্রান্তের কাক্সিক্ষত নম্বরটিতে পৌঁছে যায়। আমরা কিছু বলার সাথে সাথে তা বিদ্যুতের গতিতে তরঙ্গে পরিণত হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে পৌঁছে। এভাবেই মোবাইল ফোনে আমরা পরস্পরের সাথে কথা বলতে পারি।
ঘ) মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় কী বসাতে হয়?
উত্তর : মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসাতে হয়। এ টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগের অদৃশ্য জাল বা নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
ঙ) এসএমএস কী এবং কখন কাজে লাগে?
উত্তর : খুব কম শব্দে লিখে পাঠানো খবরকে বলা হয় এসএমএস। নেটওয়ার্কের জন্য কথা ভালো শোনা না গেলে বা কথা বলতে না চাইলে এসএমএস পাঠানো যায়।
৪. মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে লিখি।
উত্তর : মোবাইল ফোন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেক দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে যেকোনো সময় যোগাযোগ ও কথা বলার কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ছবি তোলা, বই পড়া প্রভৃতি কাজেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এসব কাজ করার পাশাপাশি দূর-দূরান্তে টাকাও পাঠাতে পারি।
৫. ডান দিকের সঙ্গে বাম দিকের শব্দ সাজাই।
পরিবর্তন সংযোগ
বিচিত্র পর্যায়
গ্রাহাম টাওয়ার
ইন্টারনেট মধ্যে
সীমিত ধরনের
বেতার বেল
শক্তিশালী তরঙ্গ
মুহূর্তের উন্নয়ন
উত্তর : পরিবর্তন – উন্নয়ন
বিচিত্র – ধরনের
গ্রাহাম – বেল
ইন্টারনেট – সংযোগ
সীমিত – পর্যায়
বেতার – তরঙ্গ
শক্তিশালী – টাওয়ার
মুহূর্তের – মধ্যে
৬. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. সময় অল্প তাই বেশি ……… যাওয়া উচিত নয়।
খ. মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো খুব ………।
গ. যত ………. লেখাপড়া করবে জীবনে তত ভালো ফল করবে।
ঘ. সবাই তোমার প্রশংসা করবে যদি তুমি ……… কাজ কর।
ঙ. কাজ ……… করে তারপর খেলতে যাব।
উত্তর :
ক. সময় অল্প তাই বেশি দূরে যাওয়া উচিত নয়।
খ. মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো খুব শক্তিশালী।
গ. যত বেশি লেখাপড়া করবে জীবনে তত ভালো ফল করবে।
ঘ. সবাই তোমার প্রশংসা করবে যদি তুমি ভালো কাজ কর।
ঙ. কাজ শেষ করে তারপর খেলতে যাব।
৭. সংখ্যাবাচক শব্দ লিখি।
এই লেখায় ‘প্রথম’, ‘দ্বিতীয়’ এরকম শব্দ রয়েছে। এগুলো হলো সংখ্যাবাচক বা ক্রমবাচক বিশেষণ। এভাবে আরও কয়েকটি শব্দ শিখি।
সংখ্যাবাচক বিশেষ্য ক্রমবাচক বিশেষণ
এক – প্রথম
দুই – দ্বিতীয়
তিন – তৃতীয়
চার – চতুর্থ
পাঁচ – পঞ্চম
ছয় – ষষ্ঠ
সাত – সপ্তম
আট – অষ্টম
নয় – নবম
দশ – দশম
৮. আমার পরিবার মোবাইল ফোনের সাহায্যে কী কী সুবিধা পেয়েছে তা লিখি।
উত্তর : আমার পরিবার মোবাইল ফোনের সাহায্যে বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছে। সেগুলো হলো-
১. দূরের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা।
২. ছবি তোলা।
৩. গান শোনা।
৪. সহজে টাকা পাঠানো।
৫. বই পড়া।
৯. কর্ম-অনুশীলন।
ক. শ্রেণিকক্ষে দলীয়ভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিনয় করি।
উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সহপাঠীরা সবাই মিলে চেষ্টা কর।
খ. দশটি ক্রমবাচক শব্দ ব্যবহার করে দশটি বাক্য লিখি।
উত্তর:
প্রথম – শিমুল মোরগ লড়াই খেলাতে প্রথম হয়েছে।
দ্বিতীয় – বাদল দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করল।
তৃতীয় – তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বনভোজনে যাবে।
চতুর্থ – রুম্পা দৌড়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।
পঞ্চম – আমি ক্লাসে পঞ্চম সারিতে বসি।
ষষ্ঠ – সুমন ভাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন।
সপ্তম – শরীফ পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।
অষ্টম – আবেদ অষ্টম তলায় অবস্থান করছে।
নবম – আমরা নবম বাসটিতে উঠলাম।
দশম – লালন দশম সারিতে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইল ফোন অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) কখন থেকে মোবাইল ফোনের উদ্ভাবন কাজ শুরু হয়? ছ
ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে
খ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে
গ ১৯৬৪ সালের দিকে
ঘ ১৯৭১ সালের দিকে
২) ১৯৭১ সালে ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ব্যবহার
করতে পারত- ঝ
ক যারা অনেক ধনী ছিল খ যাদের গাড়ি ছিল
গ অল্প কিছু মানুষ ঘ সকল মানুষ
৩) প্রথম হাতে ধরার মতো ছোট মোবাইল সেট তৈরি
করেন কে? চ
ক মার্টিন কুপার খ গ্রাহাম বেল
গ রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল ঘ জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল
৪) মোবাইলে মুখের কথা তরঙ্গে পরিণত হয়- ছ
ক বলার আগেই খ সাথে সাথেই
গ কিছুক্ষণ পর ঘ অনেকক্ষণ পর
৫) টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল সেটে
কী থাকে? ছ
ক সেল খ অ্যানটেনা
গ ক্যামেরা ঘ অপারেটর
🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
আবিষ্কার, পরিবর্তন, অদৃশ্য।
উত্তর : শব্দ অর্থ
আবিষ্কার – উদ্ভাবন।
পরিবর্তন – বদল।
অদৃশ্য – দেখা যায় না এমন।
🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
উন্নয়ন, অদৃশ্য, এসএমএস, স্বাস্থ্য, সহকারী।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
উন্নয়ন – দেশের উন্নয়নে সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে।
অদৃশ্য – অদৃশ্য বেতারতরঙ্গের সাহায্যে আমরা মোবাইলে কথা বলতে পারি।
এসএমএস – বাবার এসএমএস পেয়ে দ্রæত বাড়ি ফিরলাম।
সহকারী – স্যার তাঁর সহকারীকে সাথে নিয়ে কাজ করছেন।
🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
দ্ভ, ষ্ক, ন্ট, ম্প, জ্ঞ, ম্ব।
উত্তর :
দ্ভ = দ + ভ – উদ্ভিদ
ষ্ক = ষ + ক – শুষ্ক
জ্ঞ = জ + ঞ – অজ্ঞান
ম্প = ম + প – কম্পন
ণ্ট = ণ + ট – ঘণ্টা
ম্ব = ম + ব – সম্বল
🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
আবিশ্কার, ঊদ্ভাবন, সীমীত, সাস্থ্য, রূপান্তরিতো।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
আবিশ্কার – আবিষ্কার
ঊদ্ভাবন – উদ্ভাবন
সীমীত – সীমিত
সাস্থ্য – স্বাস্থ্য
রূপান্তরিতো – রূপান্তরিত
🟥 এককথায় প্রকাশ কর।
ক) আগে ছিল না এমন কিছু তৈরি করা; খ) উদ্ভাবন করেন যিনি; গ) গবেষণা করেন যিনি; ঘ) বিশেষভাবে খ্যাত; ঙ) বিদ্যুতের মতো গতি।
উত্তর : ক) উদ্ভাবন; খ) উদ্ভাবক; গ) গবেষক;
ঘ) বিখ্যাত; ঙ) বিদ্যুৎগতি।
🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন কে?
উত্তর : আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন।
খ) ১৯৬৪ সালের দিকে কী ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হতো?
উত্তর : ১৯৬৪ সালের দিকে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হতো তার ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি। এগুলো শুধু গাড়িতে ব্যবহারের উপযোগী ছিল।
গ) কে কখন প্রথম হাতে ধরা ছোট মোবাইল সেট তৈরি করেন?
উত্তর : ১৯৭২ সালে গবেষক মার্টিন কুপার প্রথম হাতে ধরা ছোট মোবাইল সেট তৈরি করেন।
ঘ) আমরা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলি তখন কথাগুলো কিসে পরিণত হয়?
উত্তর : আমরা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলি তখন কথাগুলো বিদ্যুৎগতিতে তরঙ্গে পরিণত হয়।
মোবাইল ফোন মডেল টেস্ট
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
আসলে মোবাইল ফোন কেউ-একজন আবিষ্কার করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটার উদ্ভাবনকাজ শুরু হয়। তারপর কালে-কালে একটু একটু করে আজকের মোবাইল ফোন বেরিয়েছে এবং প্রায় প্রতি বছরই এর পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটছে। আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। ১৭৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসটনে তাঁর গবেষণাগারে বসে প্রথম ফোন করেছিলেন তিনি। তাঁর দুই সহকারী গবেষক ছিলেন রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল এবং জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরবর্তীকালে মোবাইল ফোনের কৌশল উদ্ভাবন করেন। প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয় সেন্ট লুই শহরে ১৯৪৭ সালে। ধাপে ধাপে এর উন্নতি ঘটে। আগে, ১৯৬৪ সালের দিকে শুধু গাড়িতে মোবাইল ফোন থাকত। তার ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) ১৯৬৪ সালের দিকে শুধুমাত্র কারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারত?
(ক) যারা মোবাইল ফোন চিনত
(খ) যারা মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানত
(গ) যাদের কাছে গাড়ি ছিল
(ঘ) যাদের অনেক শক্তি ছিল
২) গ্রাহাম বেল কোন দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী?
(ক) বাংলাদেশের (খ) আমেরিকার
(গ) ভারতের (ঘ) বিলেতের
৩) আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল কত সালে প্রথম গবেষণাগারে বসে ফোন করেছিলেন?
(ক) ১৯৪৭ সালে (খ) ১৯৬৪ সালে
(গ) ১৭৭৫ সালে (ঘ) ১৭৮০ সালে
৪) মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় কখন থেকে?
(ক) ১৯৪৭ সালের দিক থেকে
(খ) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে
(গ) ১৯৬৪ সালের দিক থেকে
(ঘ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে
৫) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে-
(ক) মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়মকানুন
(খ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা
(গ) মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধাসমূহ
(ঘ) মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস
উত্তর : ১) (গ) যাদের কাছে গাড়ি ছিল; ২) (খ) আমেরিকার; ৩) (গ) ১৭৭৫ সালে; ৪) (ক) ১৯৪৭ সালের দিক থেকে; ৫) (ঘ) মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
উদ্ভাবন, উন্নয়ন, সীমিত, সহকারী, গবেষক।
উত্তর : শব্দ অর্থ
উদ্ভাবন – আবিষ্কার করা।
উন্নয়ন – উন্নতি।
সীমিত – নির্দিষ্ট সীমায় আবদ্ধ।
সহকারী – সহকর্মী
গবেষক – যিনি গবেষণা করেন।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ১৯৬৪ সালের দিকের মোবাইল ফোনগুলো কত ওজনের ছিল?
উত্তর : ১৯৬৪ সালের দিকের মোবাইল ফোনগুলো ছিল প্রায় এক কেজি ওজনের।
খ) মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রথম কোথায় ও কখন শুরু হয়?
উত্তর : প্রথম ১৯৪৭ সালে সেন্ট লুই শহরে সীমিত আকারে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়।
গ) রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল ও জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল সম্পর্কে কী জানো?
উত্তর : রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল ও জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল ছিলেন বিখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেলের সহকারী গবেষক। তাঁরাই প্রথম মোবাইল ফোনের কৌশল উদ্ভাবন করেন।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : আজকের দিনে আমরা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তা আবিষ্কারের পেছনে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই এর উদ্ভাবনকাজের শুরু। তারপর ধাপে ধাপে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, (৬) শূন্যস্থান পূরণ ও (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ন্ত, শ্ব, ন্ন, ক্ত, ঙ্গ।
উত্তর :
ন্ত = ন + ত – শান্ত
– রাতুল খুব শান্ত ছেলে।
শ্ব = শ + ব-ফলা – বিশ্বাস
– মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করো না।
ন্ন = ন + ন – কান্না
– কান্নাকাটি করে লাভ নেই।
ক্ত = ক + ত – শক্তিশালী
– হাতি শক্তিশালী প্রাণী।
ঙ্গ = ঙ + গ – সঙ্গে
– আমি তার সঙ্গে যাব না।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
আমাদের কারও কারও মোবাইল ফোন আছে কিন্তু যাদের নেই তাদের অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে ঠিকই জানে কেউ একটু বেশি কেউ একটু কম
উত্তর : আমাদের কারও কারও মোবাইল ফোন আছে। কিন্তু যাদের নেই তাদের অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে জানে- কেউ একটু বেশি, কেউ একটু কম।
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
পৌঁছাইয়া, চিনিতে, বাহির হইয়াছে, ঘটিত, চলিয়া।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
পৌঁছাইয়া – পৌঁছে
চিনিতে – চিনতে
বাহির হইয়াছে – বেরিয়েছে
ঘটিত – ঘটত
চলিয়া – চলে
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
চেনা, ছোট, নির্দিষ্ট, সুবিধা, ক্ষতি।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
চেনা – অচেনা
ছোট – বড়
নির্দিষ্ট – অনির্দিষ্ট
সুবিধা – অসুবিধা
ক্ষতি – লাভ
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)