তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ

You are currently viewing তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ

তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ পোস্টে এই অধ্যায়ের সকল পরিচ্ছেদের অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর দেওয়া হলো।

৩য় শ্রেণির বা ও বি অধ্যায় ৭ পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ

>> অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
নানাভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, মলমূত্র ত্যাগ করা, শিল্প-কারখানার ময়লা নদীতে ফেলা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, যানবাহন ও কল-কারখানার উচ্চ আওয়াজ প্রভৃতি পরিবেশ দূষণের উল্লেখযোগ্য কারণ। এ সমস্ত দূষণের কারণে মানুষ ও প্রাণীজগতে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা। পরিবেশ সংরক্ষণ ও এর দূষণ রোধে আমাদের সচেতন হতে হবে। পরিবেশ আমাদের, এটি সংরক্ষণের দায়িত্বও আমাদের।

তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

অধ্যায় ৭ পরিচ্ছেদ ১ পরিবেশ দূষণের কারণ

১. পাশের কোন ছবিতে কী দূষণ হচ্ছে বল।
উত্তর : পাশের ছবিগুলোতে যথাক্রমে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ, মাটিদূষণ, মানুষসৃষ্ট দূষণ প্রভৃতি হচ্ছে।

২. বিভিন্ন ধরনের দূষণ নিয়ে দলে আলোচনা কর।
উত্তর : সহপাঠীরা সবাই মিলে চেষ্টা কর।

ছবিতে কোনটি কোন ধরনের দূষণ তা দেখ এবং নিচের বাক্যগুলো লিখে সম্পূর্ণ কর।
উত্তর : ছবির দূষণ দেখে নিচের বাক্যগুলো পূরণ করা হলো :
বায়ুতে যে দূষণ বায়ুদূষণ।
পানিতে যে দূষণ পানিদূষণ।
মাটিতে যে দূষণ মাটিদূষণ।
রাস্তায় শব্দের ফলে যে দূষণ শব্দদূষণ।
রাস্তায় আবর্জনার ফলে যে দূষণ বর্জ্যদূষণ।
মানুষের দ্বারা সৃষ্ট যে দূষণ মানুষসৃষ্ট দূষণ।

এখন সঠিক ঘরে ৬ ধরনের দূষণ সম্পর্কে লেখ ও উদাহরণ দাও।
প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ সামাজিক পরিবেশের দূষণ

উত্তর : সঠিক ঘরে ৬ ধরনের দূষণ সম্পর্কে লেখা হলো ও উদাহরণ দেওয়া হলো-
প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ সামাজিক পরিবেশের দূষণ
বায়ুদূষণ
উদাহরণ : গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুর দূষণ ঘটায়। শব্দদূষণ
উদাহরণ : উচ্চ শব্দে মাইকিং করার ফলে শব্দদূষণ ঘটে।
পানিদূষণ
উদাহরণ : কল-কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিক পানিতে মিশে পানিদূষণ ঘটায়। বর্জ্যদূষণ
উদাহরণ : যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেললে বর্জ্যদূষণ ঘটে।
মাটিদূষণ
উদাহরণ : জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে মাটিদূষণ হয়। মানুষসৃষ্ট দূষণ
উদাহরণ : যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেলে মানুষ পরিবেশ দূষিত করে।

> অল্প কথায় উত্তর দাও।
রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে কীভাবে আমরা সবাইকে বিরত রাখতে পারি?
উত্তর : আমরা রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলব না। সব সময় নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলব। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তুলব। রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে এভাবেই আমরা সবাইকে বিরত রাখতে পারি।

অধ্যায় ৭ পরিচ্ছেদ ২ পরিবেশ দূষণের ফলাফল

১. পরিবেশ দূষণের ফলে পশু-পাখির কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলে পশুপাখির নানা রকম ক্ষতি হয়। পানিদূষণের ফলে মাছ মারা যায়। গাছপালা ধ্বংসের ফলে অনেক পশুপাখি বাসস্থান ও খাদ্যের সংস্থান হারায়।
২. পরিবেশ দূষণের ফলে উদ্ভিদের কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলে অনেক উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধির হার কমে যায়। অনেক গাছপালা ধ্বংস হয়ে যায়।
৩. পরিবেশ দূষণের ফলে কী ধরনের রোগ হতে পারে?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলে জন্ডিস, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।
৪. মানুষের কোন কোন অভ্যাসের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে?
উত্তর : যেখানে সেখানে কফ-থুথু ফেলা, ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলা, অকারণে হর্ন বাজানো মানুষের এ ধরনের অভ্যাসের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণের ফলাফল লেখ।
পানি মাটি বায়ু শব্দ

উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলাফল নিচে লেখা হলো-
পানি মাটি বায়ু শব্দ
মাছ মরে যায় মাটির উর্বরতা নষ্ট হয় বাতাস দূষিত হয় মাথাব্যাথা হয়
রোগজীবাণু ছড়ায় ফসল কম হয় ফুসফুসের রোগ হয় শুনতে সমস্যা হয়

দুটি মাকড়শার জাল আঁক। পরিবেশের ভালো ও ক্ষতিকর প্রভাবগুলো লেখ।
উত্তর : দুটি মাকড়শার জাল এঁকে পরিবেশের ভালো ও ক্ষতিকর প্রভাবগুলো দেখানো হলো-
পরিবেশের ভালো প্রভাব পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব

> অল্প কথায় উত্তর দাও।
আমরা পরিবেশের নানান আবর্জনা কীভাবে পরিষ্কার করতে পারি?
উত্তর : পরিবেশের নানান আবর্জনা দূর করার জন্য আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি। সবাই সবার বাড়ি ও বিদ্যালয়ের আঙিনা ও সামনের রাস্তা পরিষ্কার করতে পারি। এভাবে সবাই নিজ নিজ এলাকার আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারি।

অধ্যায় ৭ পরিচ্ছেদ ৩ দূষণরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণ

শিক্ষকের সাথে আলোচনা কর, নিচের পরিবেশগুলোর দূষণ রোধ করতে হলে আমরা কী কী করতে পারি :
> বিদ্যালয়ে
> নিজ এলাকায়
> বাড়িতে
উত্তর : নিচের পরিবেশগুলোর দূষণ রোধ করতে আমরা যা যা করতে পারি, তা হলো-
> বিদ্যালয়ে- বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার রাখব। যেখানে সেখানে থুথু, কফ ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগ করব না।
> নিজ এলাকায়- সবাই মিলে নিজ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও খেলার মাঠ পরিষ্কার রাখব।
> বাড়িতে- বাড়িতে বা আঙিনায় যেখানে-সেখানে থুথু, কফ ফেলব না। ময়লা-আবর্জনা সব সময় নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার চেষ্টা করব।

ছোট দলে ভাগ হয়ে বিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কিছু নিয়ম লেখ। তোমার লেখাটি নানান ছবি এঁকে সাজাও।
উত্তর : বিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কিছু নিয়ম লেখা হলো-
১. যেখানে-সেখানে থুথু, কফ ও মলমূত্র ত্যাগ করা যাবে না।
২. সবাইকে শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৩. বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও খেলার মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৪. ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে।
৫. বিদ্যালয়ের দেয়ালে লেখা ও অহেতুক পোস্টার লাগাব না।

তোমার বিদ্যালয় ও তার আশেপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার করার জন্য একটি দিন বেছে নাও। কী কী করা দরকার তার একটি পরিকল্পনা কর। পরিষ্কার করার জন্য আলাদা পোশাক পরে নাও এবং একটি বোর্ডে লিখে দিতে পার যে শিক্ষার্থীরা কাজ করছে, এতে অন্যরা সচেতন হবে। ছবি তুলে রাখ যেন পরে তা রেকর্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উত্তর : শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তায় সহপাঠীরা মিলে নিজে কর।

>> বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলোর মিল কর।
সুস্থ পরিবেশ
কৃষি জমির কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে
বাড়ি বা বিদ্যালয়ের আশেপাশে আবর্জনা বা অপরিষ্কার ডোবা থাকলে
পুকুর, নদী, খাল বা অন্যান্য জায়গায় ময়লা নদী, পুকুর বা জলাশয়ে পড়ে।
আবর্জনা ফেলব না।

মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন সুন্দর করে।

মশা মাছি হয়।
উত্তর :
১. সুস্থ পরিবেশ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন সুন্দর করে।
২. কৃষি জমির কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নদী, পুকুর বা জলাশয়ে পড়ে।
৩. বাড়ি বা বিদ্যালয়ের আশেপাশে আবর্জনা বা অপরিষ্কার ডোবা থাকলে মশা মাছি হয়।
৪. পুকুর, নদী, খাল বা অন্যান্য জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলব না।

তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭  অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

>> বাম অংশের সাথে ডান অংশের মিলকরণ
ক) মানুষ নানাভাবে
খ) যানবাহন ও কল-কারখানা থেকে
গ) মশা-মাছি নানা
ঘ) মাটি দূষণের ফলে কালো ধোঁয়া বের হয়।
জমিতে ফসল কম হয়।

পরিবেশ দূষণ করে।
রোগ জীবাণু ছড়ায়।
মানুষ মারা যায়।
উত্তর :
ক) মানুষ নানাভাবে পরিবেশ দূষণ করে।
খ) যানবাহন ও কল-কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়।

গ) মশা-মাছি নানা রোগজীবাণু ছড়ায়।
ঘ) মাটি দূষণের ফলে জমিতে ফসল কম হয়।
>> শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়
ক) মাটি, বায়ু, পানি ও শব্দদূষণকে পরিবেশ দূষণ বলে।
খ) জোরে শব্দ হলে শুনতে ভালো লাগে।
গ) আমরা যেখানে-সেখানে থুথু কাশি ফেলব।
ঘ) যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধ ছড়ায়।
ঙ) মানুষের সচেতনতার অভাবে পরিবেশ দূষণ হয়।
উত্তর : ক) শুদ্ধ খ) অশুদ্ধ গ) অশুদ্ধ ঘ) শুদ্ধ ঙ) শুদ্ধ।
>> শূন্যস্থান পূরণ
ক) যানবাহন ও কল-কারখানা থেকে জোরে  হয়।
খ) যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা  ছড়ায়।
গ) দূষিত বায়ুর কারণে আমাদের  হয়।
ঘ)  জমির উর্বরতা নষ্ট করে।
ঙ)  দূষণের ফলে গাছপালা মারা যায়।
উত্তর : ক) শব্দ খ) দুর্গন্ধ গ) রোগ ঘ) কীটনাশক ঙ) মাটি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. মাটিদূষণের ফলে কৃষি জমির কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও কীটনাশক ব্যবহার করলে মাটিদূষণ হয়। এর ফলে কৃষি জমির উর্বরতা কমে যায়। ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
২. পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের কী কী রোগ হয়?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হয়। যেমন- পরিবেশের অন্যতম উপাদান পানি দূষিত হলে ডায়রিয়া, জন্ডিস হয়। বায়ু দূষিত হলে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। জোরে শব্দ হলে আমাদের শুনতে সমস্যা হয়। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে যে ফসল উৎপাদন করা হয় সে ফসল খেয়ে আমরা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হই।
৩. বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায় কখন?
উত্তর : যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেললে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
৪. মশা-মাছির বংশবিস্তার ঘটে কোথায়?
উত্তর : বাড়ি আশেপাশে অপরিষ্কার জলাশয় থাকলে সেখানে মশা-মাছির বংশবিস্তার ঘটে।
৫. পরিবেশ সংরক্ষণে ময়লা আবর্জনা আমরা কোথায় ফেলব?
উত্তর : পরিবেশ সংরক্ষণে ময়লা আবর্জনা আমরা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

ন্ধ সাধারণ
১. মাটি, পানি ও বায়ু দূষিত হওয়ার ৫টি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : মাটি, পানি ও বায়ু প্রাকৃতিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উপাদান। এসব উপাদান দূষিত হওয়ার ৫টি কারণ-
১) জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করে;
২) কৃষি জমির কীটনাশক বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে নদী, পুকুর বা জলাশয়ে পড়ে;
৩) নদীতে শিল্প-কারখানার ময়লা ফেলে;
৪) গাড়ি, ইটের ভাটা থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়ে।
৫) মানুষের ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা মাটিতে ফেলে।
ন্ধ যোগ্যতাভিত্তিক
২. নানাভাবে তোমার বিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দূষণ রোধে তোমার করণীয় ৫টি কাজ সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : বিদ্যালয়ের দূষণ রোধে আমার করণীয় ৫টি কাজ হলো :
১) যেখানে সেখানে কফ, থুথু ও মলমূত্র ত্যাগ করব না।
২) যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলব না।
৩) আবর্জনা সব সময় নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলব।
৪) বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, আঙিনা, খেলার মাঠ ইত্যাদি পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাজ করব।
৫) সবাইকে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন করে তুলব।
৩. রাফিন দাদুর সাথে গাড়িতে চড়ে বেড়াতে বের হয়েছে। ড্রাইভার কিছুক্ষণ পরপরই অকারণে হর্ণ বাজাচ্ছিল। দাদু ড্রাইভারকে বলল, ‘অকারণে হর্ন বাজিয়ো না। এতে দূষণ ঘটে।’ দাদু কোন ধরনের দূষণের কথা বলেছেন? এ দূষণের ফলে সৃষ্ট ৪টি সমস্যা লেখ।
উত্তর : দাদু শব্দদূষণের কথা বলেছেন। শব্দদূষণের কারণে আমাদের অনেক রকমের সমস্যা হয়।
শব্দ দূষণের ফলে সৃষ্ট ৪টি সমস্যা নিচে দেওয়া হলো :
১. রাস্তাঘাটে বা যে কোনো স্থানে জোরে জোরে শব্দ হতে থাকলে আমরা বিরক্ত ও ক্লান্ত হই।
২. শব্দদূষণের ফলে আমাদের শোনার সমস্যা হয়।
৩. মাথাব্যথা দেখা দেয়।
৪. আমাদের প্রতিদিনের নানা কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

যাচাই করি (নমুনা প্রশ্ন) অধ্যায় ৭ : পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ

 অল্প কথায় উত্তর দাও :
১. বায়ুদূষণের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর : ধুলাবালি ও মোটরগাড়ির বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণের দুটি কারণ।
২. পানিদূষণের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর : কল-কারখানার বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য ও জমিতে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার পানিদূষণের দুটি কারণ।
৩. অতিরিক্ত শব্দের ফলে কী হয়?
উত্তর : অতিরিক্ত শব্দের ফলে শব্দদূষণ হয়।
৪. কোথায় ময়লা আবর্জনা ফেলা উচিত?
উত্তর : নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলা উচিত।
>> প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. আমাদের কেন পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত?
উত্তর : আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিবেশ। পরিবেশ দূষিত হলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা অনেক রকম রোগে আক্রান্ত হই। তাই ভালোভাবে বাঁচার জন্য আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত।
২. আমাদের পরিবেশ কীভাবে দূষিত হয়?
উত্তর : আমাদের চারপাশে নানা ধরনের দূষণ ঘটে। যেমন- কল-কারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ, মাইক ও গাড়ির হর্নের আওয়াজে শব্দদূষণ, রাস্তায় আবর্জনা ফেলায় বর্জ্যদূষণ, মানুষের তামাক সেবনের ধোঁয়ায় মানুষসৃষ্ট দূষণ, জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগে মাটিদূষণ, কলকারখানার বিষাক্ত তরলের কারণে পানিদূষণ প্রভৃতি। এসব দূষণের সবগুলোই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষের দ্বারা সংঘটিত হয়। তাই এসব দূষণরোধে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।

Share to help others:

Leave a Reply