চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর
চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. জেনে নিই।
পালকির বেহারারা পালকি কাঁধে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান। চলার পথে পা মেলাতে তারা তালে তালে গান গাইছেন। এই গানের কথায় গ্রামবাংলার চলমান জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে।

২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
গগন, আদুল, পাটা, ভনভনিয়ে, কষে, হাটুরে, ধুঁকছে, অঙ্গ, স্তব্ধ, ধায়, শুষছে।
উত্তর:
শব্দ অর্থ
গগন – আকাশ।
আদুল – খালি গায়ে বা জামাকাপড় ছাড়া।
পাটা – তক্তা।
ভনভনিয়ে – ভনভন শব্দ করে।
কষে – জোরে।
হাটুরে – জিনিসপত্র বেচাকেনার জন্যে যে হাটে যায়।
ধুঁকছে – হাঁপাচ্ছে।
অঙ্গ – দেহ, শরীরের অংশ।
স্তব্ধ – নীরব।
ধায় – ছোটে।
শুষছে – তরল পদার্থ টেনে নেওয়া।

৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
পাটার ময়রা আদুল হাটুরেরা গগনে দুধের চাঁছি পালকি
ক. সকালে পূর্ব ………… সূর্য ওঠে।
খ. শিশুরা বাড়ির উঠানে ………. গায়ে খেলা করছে।
গ. …………. উপর বসে দোকানদার জিনিস বিক্রি করছেন।
ঘ. …………. মনের আনন্দে মিষ্টি বানাচ্ছেন।
ঙ. হাটের শেষে ………… বাড়ি ফিরছেন।
চ. খোকা ………… খেতে ভালোবাসে।
ছ. ………….. চড়ে বউ নাইওরে যান।
উত্তর :
ক. সকালে পূর্ব গগনে সূর্য ওঠে।
খ. শিশুরা বাড়ির উঠানে আদুল গায়ে খেলা করছে।
গ. পাটার উপর বসে দোকানদার জিনিস বিক্রি করছেন।
ঘ. ময়রা মনের আনন্দে মিষ্টি বানাচ্ছেন।
ঙ. হাটের শেষে হাটুরেরা বাড়ি ফিরছেন।
চ. খোকা দুধের চাঁছি খেতে ভালোবাসে।
ছ. পালকি চড়ে বউ নাইওরে যান।

৪. যুক্তবর্ণগুলো দেখি। যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি।
স্তব্ধ – স্ত স + ত ব্যস্ত, সস্তা

ব্ধ ব + ধ লব্ধ, ক্ষুব্ধ
+
রৌদ্র – দ্র দ + ্র (র-ফলা) নিদ্রা, ভদ্র

ক্লান্ত – ক্ল ক + ল ক্লাস, ক্লেশ

ন্ত ন + ত শান্ত, পান্তা

৫. নিচের শব্দগুলো দেখি। এ ধরনের আরও কয়েকটি শব্দ লিখি।
ক. শনশন
খ. হনহন
গ. পিলপিল
ঘ. …….
ঙ. …….
চ. …….
উত্তর :
ক. শনশন
খ. হনহন
গ. পিলপিল
ঘ. ভনভন
ঙ. ঝমঝম
চ. খকখক

৬. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) দুপুরের রোদে পালকির বেহারাদের কী অবস্থা হয়েছে?
উত্তর : দুপুরের তপ্ত রোদের মধ্য দিয়ে পালকির বেহারারা খালি গায়ে যাচ্ছে। তীব্র রোদ আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে তাদের অবস্থা বেশ খারাপ। মনে হচ্ছে তারা যেন ঢলে পড়ে যাবে। আরও যে কত দূর যেতে হবে! মনে মনে সে কথাই ভাবছে বেহারারা।
খ) পাটায় বসে ময়রা কী করছেন?
উত্তর : পাটায় বসে ময়রা চোখ বুঁজে ঝিমুচ্ছেন।
গ) হাটুরে কোথায় যাচ্ছেন?
উত্তর : হাটুরে হাট শেষে বাড়ি যাচ্ছেন।
ঘ) কুকুরগুলো ধুঁকছে কেন?
উত্তর : দুপুরের প্রচণ্ড রৌদ্রতাপে কুকুরগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা ধুঁকছে।
ঙ) বেহারারা পালকিতে কী নিয়ে যাচ্ছেন?
উত্তর : বেহারারা পালকিতে করে নতুন বউ নিয়ে যাচ্ছেন।

৭. বই দেখে ছন্দের তালে তালে কবিতাটি বারবার পড়ি।
উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর।

৮. কবিতাটি না দেখে আবৃত্তি করি।
উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর।

৯. কর্ম-অনুশীলন।
“পালকির গান” কবিতার অনুকরণে আমি একটি ছড়া বা কবিতা লেখার চেষ্টা করি।
উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজে চেষ্টা কর।

পালকির গান অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) কোথায় আগুন জ্বলে? জ
ক আদুল গায়ে খ বাঁধের দিকে
গ গগন তলে ঘ ভ‚মির পরে
২) বেহারাদের গায়ে- চ
ক বেশ নেই খ রুক্ষ বেশ
গ নতুন বেশ ঘ পরিষ্কার বেশ
৩) হাটুরে কখন বাড়ি ফেরে? জ
ক সন্ধ্যায় খ সকালে
গ দুপুরে ঘ রাতে
৪) কে লাফিয়ে চলে? জ
ক পালকির বেহারা খ কুকুগুলো
গ গঙ্গাফড়িং ঘ হাটুরে

⇒ নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
আগুন, বেহারা, পালকি, শুঁকছে, ক্লান্ত।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
আগুন – চুলায় আগুন জ্বলছে।
বেহারা – বেহারারা হনহন করে হাঁটছে।
পালকি – নতুন বউ পালকি চড়ে যায়।
শুঁকছে – কুকুরটি মাটিতে কী যেন শুঁকছে।
ক্লান্ত – বাবা ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরলেন।

⇒ ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে।
স্তব্ধ গায়ে সূর্য ঢলে।
আর দেরি কত শুঁকছে ধুলো।
কুকুরগুলো আদুল গায়ে।
বাঁধের দিকে আরও কত দূর।
উত্তর :
যাচ্ছে কারা – হনহনিয়ে।
স্তব্ধ গায়ে – আদুল গায়ে।
আর দেরি কত – আরও কত দূর।
কুকুরগুলো – শুঁকছে ধুলো।
বাঁধের দিকে – সূর্য ঢলে।

⇒ নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
শুশছে, শুকছে, সুর্য, গগণ, স্তদ্ধ।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
শুশছে – শুষছে
শুকছে – শুঁকছে
সুর্য – সূর্য
গগণ – গগন
স্তদ্ধ – স্তব্ধ

⇒ নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
চক্ষু, রুক্ষ, শুষছে, টলে, স্তব্ধ, ময়রা।
উত্তর : মূল শব্দ পদ
চক্ষু – বিশেষ্য
রুক্ষ – বিশেষণ
শুষছে – ক্রিয়া
টলে – ক্রিয়া
স্তব্ধ – বিশেষণ
ময়রা – বিশেষ্য

⇒ বুঝিয়ে লেখ
আর দেরি কত?
আরও কত দূর?
উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি ‘পালকির গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
পালকি কাঁধে নিয়ে বেহারা চলতে চলতে ক্লান্ত-এ দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে এখানে।
বেহারারা পালকি কাঁধে মাইলের পর মাইল হেঁটে যায়। সারাদিন পালকি বহন করে তারা ক্লান্ত হয়ে যায়। তারা মনে মনে ভাবে, কখন গন্তব্যে পৌঁছবে।

পালকির গান মডেল টেস্ট

নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
ময়রা মুদি
চক্ষু মুদি,
পাটায় বসে
ঢুলছে কষে।
দুধের চাঁছি
শুষছে মাছি, –
উড়ছে কতক
ভনভনিয়ে।
আসছে কারা
হনহনিয়ে?
হাটের শেষে
রুক্ষ বেশে
ঠিক দুপুরে
ধায় হাটুরে!

১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) মাছি কী শুষছে?
(ক) ছানার চাঁছি (খ) দুধের চাঁছি
(গ) গুড়ের চাঁছি (ঘ) দইয়ের চাঁছি

২) ময়রা মুদির কী হয়েছে?
(ক) বেজায় ঘুম পেয়েছে
(খ) জামা নোংরা হয়ে গেছে
(গ) শরীর ঘামে ভিজে গেছে (ঘ) অঙ্গ টলছে

৩) হাটুরে হাটে গিয়েছিল কেন?
(ক) পালকি বহন করতে (খ) পাটায় বসে ঢুলতে
(গ) জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে (ঘ) নতুন জামা কিনতে

৪) হাটুরে কখন বাড়ি ফিরে যায়?
(ক) হাট শুরু হওয়ার সাথে সাথে
(খ) হাট শেষ হওয়ার পর
(গ) হাট চলার মাঝেই
(ঘ) হাট শেষ হওয়ার আগেই

৫) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে 
(ক) পালকির বেহারাদের জীবনযাত্রা
(খ) গ্রামের হাটের বর্ণনা
(গ) গ্রামের প্রকৃতির পরিচয়
(ঘ) গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা

উত্তর : ১) (খ) দুধের চাঁছি; ২) (ক) বেজায় ঘুম পেয়েছে; ৩) (গ) জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে; ৪) (খ) হাট শেষ হওয়ার পর; ৫) (ঘ) গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা।

২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
ঢুলছে, চক্ষু মুদি, রুক্ষ, হনহনিয়ে, ময়রা।
উত্তর : ঢুলছে – ঝিমুচ্ছে।
চক্ষু মুদি – চোখ বন্ধ করে।
রুক্ষ – অপরিচ্ছন্ন।
হনহনিয়ে – দ্রæত বেগে।
ময়রা – মিষ্টিজাতীয় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী।

৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) চক্ষু মুদে আছে কে?
উত্তর : ময়রা মুদি চক্ষু মুদে আছে।
খ) হাটুরের বেশ রুক্ষ কেন?
উত্তর : হাটুরে সারাদিন হাটে বেচাকেনা করেছে। এ কারণেই হাটের শেষে তার বেশ রুক্ষ হয়ে গেছে।
গ) মাছিগুলো কী করছে?
উত্তর : কতগুলো মাছি দুধের চাঁছি শুষছে। কতগুলো আবার ভনভন শব্দ করে উড়ছে।

৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : গ্রীষ্মের দুপুরে গ্রামবাংলার মানুষ ও কীটপতঙ্গের জীবনচিত্র প্রকাশিত হয়েছে কবিতাংশে। ময়রা মুদি অলস বসে ঘুমে ঢুলছে। তার অসাবধানতার সুযোগে দুধের চাঁছি শুষে চলেছে মাছি। হাটুরেরা সারাদিন কেনাবেচার পর ক্লান্ত। রুক্ষ বেশে তারা বাড়ি ফিরছে।

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬, ও ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
পালকি কী, তা দেখতেই বা কেমন সেটি আমাদের নতুন প্রজন্মের অধিকাংশেরই জানা নেই। একটা সময় পালকি ছিল গ্রামবাংলার সব শ্রেণির মানুষের প্রিয় বাহন। আভিজাত্যের প্রতীকও ছিল এটি। জমিদার পালকি চড়ে তাঁর জমিদারি তত্ত¡াবধান করতেন। নায়েব মশাই নিজে পালকি চড়ে যেতেন খাজনা আদায়ে। অভিজাত বংশের বউরা পালকি চড়ে নাইয়রে যেত। কিছুদিন আগেও বিয়ের সময় কনেকে শ্বশুরবাড়ি নিতে আবশ্যকীয় বাহন ছিল পালকি। এখন পালকির স্থান দখল করে নিয়েছে ফুলে ফুলে সজ্জিত প্রাইভেট কার। কাজ হারিয়ে বেহারারা এখন টিকে থাকতে লড়াই করছে। অনেকেই এই দেশ ছেড়েছে। কেউ কেউ ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়েছে।

৫. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) এখনকার সময়ে বিয়েতে কনের বাহন হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
(ক) পালকি (খ) মোটরগাড়ি
(গ) মোটরসাইকেল (ঘ) হেলিকপ্টার
২) যারা পালকি বহন করে নিয়ে যায় তাদেরকে কী বলা হয়?
(ক) বেহারা (খ) নায়েব
(গ) জমিদার (ঘ) হাটুরে
৩) নতুন প্রজন্মের শিশুরা পালকি চেনে না কেন?
(ক) নাম পরিবর্তিত হয়েছে বলে
(খ) ব্যবহার নেই বলে
(গ) গ্রামে যায় না বলে
(ঘ) জানার আগ্রহ নেই বলে
৪) ‘লড়াই’ শব্দটির সমার্থক কোনটি?
(ক) সাহায্য (খ) পরাজয়
(গ) চেষ্টা (ঘ) সংগ্রাম
৫) অনুচ্ছেদ থেকে বলা যায় 
(ক) শুধু গরিবরাই পালকিতে চড়ত
(খ) বেহারারা এখন সুখে আছে
(গ) পালকি গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য
(ঘ) জমিদাররা পালকিতে চড়ে নাইয়রে যেত
উত্তর : ১) (খ) মোটরগাড়ি; ২) (ক) বেহারা;
৩) (খ) ব্যবহার নেই বলে; ৪) (ঘ) সংগ্রাম; ৫) (গ) পালকি গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য।

৬. নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ অর্থ
প্রতীক চিহ্ন
বাহন যা দিয়ে বহন করা হয়
আবশ্যকীয় অপরিহার্য
আভিজাত্য বংশমর্যাদা
তত্ত¡াবধান দেখাশোনা করা
খাজনা কর
ক) বেঁচে থাকার জন্য পানি পান করা  একটি কাজ।
খ) ছোট মামা আমার পড়াশোনা  করেন।
গ) স্কুলে যাওয়ার পথে রিকশা হলো আমার ।
ঘ) স্মৃতিসৌধ আমাদের স্বাধীনতার ।
ঙ) জমিদাররা কৃষকদের কাছ থেকে  নিত।
উত্তর : ক) আবশ্যকীয়; খ) তত্ত¡াবধান; গ) বাহন;
ঘ) প্রতীক; ঙ) খাজনা।

৭. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) অভিজাত শ্রেণির মানুষদের মধ্যে পালকির কী কী ধরনের ব্যবহার ছিল?
উত্তর : অভিজাত শ্রেণির মানুষদের প্রিয় বাহন ছিল পালকি। তাঁরা যে ধরনের কাজে পালকি ব্যবহার করতেন তা হলো-
(১) পালকিতে চড়ে জমিদারগণ তাঁদের জমিদারি তত্ত¡াবধান করতেন।
(২) জমিদারের নায়েবরা পালকিতে চড়ে খাজনা আদায়ে যেতেন।
(৩) বিয়ের সময় কনেকে শ্বশুরবাড়ি নেওয়ার জন্য পালকি ব্যবহৃত হতো।
(৪) বিবাহিত মহিলারা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নাইয়র যাওয়ার সময় পালকি চড়ে যেতেন।
খ) পালকির বেহারাদের এখন কী অবস্থা?
উত্তর : কাজ হারিয়ে পালকির বেহারাদের এখন খুব খারাপ অবস্থা। অনেকেই এই পেশা ছেড়েছে। কেউ ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়ে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করছে। অর্থাৎ অনেক লড়াই করে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে।
গ) পালকির বেহারাদের দুর্দশার কারণ কী?
উত্তর : আগের দিনে সব শ্রেণির মানুষ পালকিতে চড়তে অভ্যস্ত ছিল। ধীরে ধীরে পালকির ব্যবহার কমে গেলেও বিয়েতে কনেকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে পালকির ব্যবহারের চল কিছুদিন আগেও ছিল। কিন্তু আধুনিক সময়ে নানা যানবাহনের ভিড়ে পালকির প্রতি মানুষের আকর্ষণ হারিয়ে গেছে। কাজ হারিয়ে পালকির বেহারারা দুর্দশায় পড়েছে।

৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
জ্ব, ক্ষ, ঙ্গ, চ্ছ, গ্র।
উত্তর :
জ্ব = জ + ব-ফলা ( ¦ ) – জ্বালানো
– প্রদীপ জ্বালানো হলো।
ক্ষ = ক + ষ – ক্ষমা
– তুমি আমাকে ক্ষমা করো।
ঙ্গ = ঙ + গ – সঙ্গ
– তোমার সঙ্গে আমি যাব।
চ্ছ = চ + ছ – লাচ্ছা
– আমি লাচ্ছা সেমাই খাব।
গ্র = গ + র-ফলা ( ্র ) – গ্রাম
– আমাদের গ্রামের নাম ফিলিপনগর।

৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
(কবিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
হাঁপাইতেছে, লাফাইয়া, বসিল, উঠিয়াছে, কষিয়া।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
হাঁপাইতেছে – হাঁপাচ্ছে
লাফাইয়া – লাফিয়ে
বসিল – বসল
উঠিয়াছে – উঠেছে
কষিয়া – কষে

১১. নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
গাঁ, সূর্য, গগন, আগুন, রুক্ষ।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
গাঁ – গ্রাম, পল্লি।
সূর্য – দিবাকর, তপন।
গগন – আকাশ, নভ।
আগুন – অগ্নি, পাবক।
রুক্ষ – নোংরা, অপরিচ্ছন্ন।
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
শুষছে মাছি,-
ভনভনিয়ে।
দুধের চাঁছি
হনহনিয়ে?
আসছে কারা
উড়ছে কতক
ক) কবিতার চরণগুলো সাজিয়ে লেখ।
খ) কবিতাংশটি কোন কবিতার অংশ?
গ) কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ) মাছি কেমন শব্দ করে উড়ছে? মাছি কী শুষছে?
উত্তর :
ক) কবিতার চরণগুলো নিচে সাজিয়ে লেখা হলো-
দুধের চাঁছি
শুষছে মাছি,-
উড়ছে কতক
ভনভনিয়ে।
আসছে কারা
হনহনিয়ে?
খ) কবিতাংশটি ‘পালকির গান’ কবিতার অংশ।
গ) কবিতাটির কবির নাম সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
ঘ) মাছি ভনভন শব্দ করে উড়ছে। মাছি দুধের চাঁছি শুষছে।

 

Share to help others:

This Post Has 2 Comments

  1. Sajjad

    not good

  2. Nurul Alam

    সাইট থেকে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। ধন্যবাদ অসংখ্য।

Leave a Reply