চতুর্থ শ্রেণির বাংলা খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বাংলা খলিফা হযরত উমর (রা) অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

খলিফা হযরত উমর (রা)

অনুশীলনীরপ্রশ্নওউত্তর
১। শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি।
কুস্তিগির কোষমুক্ত যোদ্ধা সুবক্তা বিস্মিত
সালাত ব্যাকুল ফারুক স্বীয় সংমিশ্রণ
পুষ্প দিরহাম বায়তুলমাল জবাবদিহি পত্র
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ অর্থ বাক্য
কুস্তিগির কুস্তি বিদ্যায় পারদর্শী প্রথম জীবনে উমর (রা) ছিলেন নামকরা কুস্তিগির।
কোষমুক্ত খাপ থেকে বের করে আনা উমর (রা) কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে দৌড়াচ্ছিলেন।
যোদ্ধা যুদ্ধ করেন যিনি সংগ্রামী জনতা কারো কাছে মাথা নতো করে না।
সুবক্তা ভালোবক্তা, যিনি গুছিয়ে বলতে পারেন উমর (রা) ছিলেন একজন সুবক্তা।
বিস্মিত হতবাক ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে উমর (রা) বিস্মিত হন।
সালাত নামাজ সালাত কায়েম করা ফরয।
ব্যাকুল অস্থির আযানের ধ্বনিতে মুমিনগণ ব্যাকুল হন।
ফারুক সত্য-মিথ্যায় পার্থক্যকারী উমর (রা) ফারুক উপাধিতে ভূষিত হন।
স্বীয় নিজ স্বীয় মর্যাদা রক্ষা করা উচিত।
সংমিশ্রণ একত্রীকরণ, মেশানো উমর (রা) এর চরিত্রে কঠোরতা ও কোমলতার সংমিশ্রণ ছিলো।
পুষ্প ফুল জীবন পুষ্প শয্যা নয়।
দিরহাম তৎকালীন আরবি মূদ্রা উমর (রা) কোষাগার থেকে দুই দিরহাম গ্রহণ করতেন।
বায়তুল মাল সরকারি কোষাগার বায়তুল মালের অর্থ গরিবদের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত।
জবাবদিহি কৈফিয়ত দেওয়া খলিফা ওমর সাধারণ জনগণের কাছেও জবাবদিহি করতেন।
পত্র চিঠি প্রাচীনকালে পত্র যোগাযোগের প্রচলন ছিলো বেশি

২। ডান দিক থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে খালি জায়গায় লিখি।
ক. হযরত উমর (রা) ছিলেন —।
খ. একদিন তিনি এক – সঙ্গী নিয়ে – যাচ্ছিলেন।
গ. হযরত উমর (রা) পবিত্র – নগরীতে – বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
ঘ. তাঁর মাতার নাম – ও পিতার নাম -।
ঙ. তিনি মানুষের দুঃখকষ্টে ছিলেন – মতো কোমল। মক্কা, কুরাইশ
হানতামাহ্, খাত্তাব
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা।
ক্রীতদাস, জেরুযালেম
ফুলের
উত্তর :
ক. হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা।
খ. একদিন তিনি এক ক্রীতদাস সঙ্গী নিয়ে জেরুযালেম যাচ্ছিলেন।
গ. হযরত উমর (রা) পবিত্র মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
ঘ. তাঁর মাতার নাম হানতামাহ্ ও পিতার নাম খাত্তাব ।
ঙ. তিনি মানুষের দুঃখকষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল।

৩। ডান দিক থেকে শব্দ বেছে নিয়ে বাঁ দিকের শব্দের সঙ্গে মিল করি।
শিক্ষা নির্জনে
শত্র“ বাণিজ্য
সুনাম মিত্র
ব্যবসা বদনাম
প্রকাশ্যে মহৎ কাজ
উত্তর :
শিক্ষা মহৎ কাজ ব্যবসা বাণিজ্য
শত্র“ মিত্র প্রকাশ্যে নির্জনে
সুনাম বদনাম

৪। বাক্য গঠন করি
খলিফা, চরিত্র, তরবারি, নিখুঁত, শান্তি, কোমল, কঠোর, দরদি, আদর্শ, কোষাগার।
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ বাক্য
খলিফা হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা।
চরিত্র উত্তম চরিত্রের লোককে সবাই ভালোবাসে।
তরবারি কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে উমর (রা) বের হয়েছিলেন।
নিখুঁত বিচার ব্যবস্থা নিরপেক্ষ ও নিখুঁত হওয়া উচিত।
শান্তি ইসলাম শান্তির ধর্ম।
কোমল অসহায়দের প্রতি হযরত উমরের মন ছিল বড়ই কোমল।
কঠোর অন্যায়কে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
দরদি দেশের শাসকদের দরদি হওয়া উচিত।
আদর্শ খলিফা উমর (রা) ছিলেন একজন আদর্শ শাসক।
কোষাগার রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা অপচয় করা উচিত নয়।

৫. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
প্রশ্ন-ক. হযরত উমর (রা) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) পবিত্র মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন
প্রশ্ন-খ. তাঁর মাতাপিতার নাম কি?
উত্তর : হযরত উমর (রা) এর পিতার নাম খাত্তাব ও মাতার নাম হানতামাহ্।
প্রশ্ন-গ. তিনি কীভাবে মুসলমান হলেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) ইসলামের প্রতি বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত হয়ে যান। এতে তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি মুসলমান হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নবি করিম (স) এর দরবারে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-ঘ. হযরত মুহাম্মদ (স), উমর (রা) কে কী উপাধি দিয়েছিলেন?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স) খলিফা উমরকে ‘ফারুক’ উপাধি দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন-ঙ. হযরত উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর : খলিফা উমর (রা) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল নিরপেক্ষ ও নিখুঁত। আইনের ছোখে উঁচু-নীচু, ধনী-গরিব, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ ছিল না।
প্রশ্ন-চ. প্রজাদের প্রতি হযরত উমর (রা) এর ভালোবাসার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : প্রজাদের প্রতি হযরত উমর (রা) ভালবাসা ছিল অকৃত্রিম। প্রজাদের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন। একদিন ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে তাদের তাঁবুতে নিয়ে যান।
প্রশ্ন-ছ. হযরত উমর (রা) এর উপদেশগুলো কী কী?
উত্তর : খলিফা হযরত উমর (রা) দেওয়া উপদেশগুলো হলো :
‘আগে আগে সালাম দেওয়া।
কোনো কাজ করার আগে অভিজ্ঞ লোকদের পরামর্শ নেওয়া।
যে কোনো কাজ মনোযোগ দিয়ে করা।
সবার প্রতি সুবিচার করা।’

৬. হযরত উমর (রা) সম্পর্কে ৫টি বাক্য লিখি ও পড়ি।
…………………………………………………………….
…………………………………………………………….
…………………………………………………………….
…………………………………………………………….
…………………………………………………………….
উত্তর : হযরত উমর (রা) সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো :
১. হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা।
২. মহানবি (স) হযরত উমরকে ‘ফারুক’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
৩. দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা) ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে সমাদৃত।
৪. প্রথম জীবনে হযরত উমর (রা) ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী।
৫. হযরত উমর (রা) ছিলেন ন্যায় বিচারক।

খলিফা হযরত উমর (রা)  মডেল টেস্ট

প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর লেখো।
হযরত উমর (রা.) প্রথমে ছিলেন ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। মহানবি (স) কে হত্যা করার জন্য তিনি কোষমুক্ত তরবারি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পথিমধ্যে জানতে পারেন যে, তাঁর বোন ফাতিমা ও ভগ্নিপতি সাঈদ মুসলমান হয়ে গেছেন। এতে তিনি ক্রোধে অস্থির হয়ে বোনের বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি ইসলামের প্রতি বোন ও ভগ্নিপতির দৃঢ়তা দেকে বিস্মিত হয়ে যান। তাঁর মানসিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি মুসলমান হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন এবং নবি করিম (স) এর দরবারে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলমান হয়ে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন, ‘আর গোপনে নয়, এবার প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করব।’ মহানবি (স) খুশি হয়ে তাঁকে উপাধি দেন ‘ফারুক’ অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার প্রভেদকারী।
হযরত উমর (রা.) একদিকে ছিলেন কোমল, অন্যদিকে ছিলেন কঠোর। তিনি মানুষের দুঃখ কষ্টে ছিলেন ফুলের মতো কোমল। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি গভীর রাতে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন। ক্ষুধার্ত শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি নিজের কাঁধে আটার বস্তা বহন করে নিয়ে তাদের তাঁবুতে যেতেন। তিনি সহধর্মিণী উম্মে কুলসুমকে নিয়ে এক বেদুইনের ঘরে যান, তার অসুস্থ স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য।
খলিফা উমর (রা.) এর বিচার ব্যবস্থা ছিল নিরপেক্ষ ও নিখুঁত। আইনের চোখে উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, আপন-পর কোনো ভেদাভেদ ছিল না। গুরুত্বর অপরাধে নিজের ছেলে আবু শাহ্মাকে তিনি কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি সাহাবিদের সাথে পরামর্শ করে সম্পাদন করতেন।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো :
র. হযরত উমর রা. ছিলেন ইসলামের -।
ক. প্রথম খলিফা √খ. দ্বিতীয় খলিফা
গ. তৃতীয় খলিফা ঘ. চতুর্থ খলিফা
রর. হযরত উমর (রা.) প্রথমে কিসের বিরোধী ছিলেন?
ক. বোনের খ. ভগ্নিপতির
গ. মক্কার √ঘ. ইসলামের
ররর. কখন স্বাধীনভাবে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করা যেত?
ক. হযরত উসমান (রা.) এর সময়ে
√খ. হযরত উমর (রা.) এর সময়ে
গ. হযরত আবু বকর (রা.) সময়ে
ঘ. হযরত আলী (রা.) এর সময়ে
রা. ‘ফারুক’ কার উপাধি ছিলেন?
ক. হযরত উসমান (রা.) এর
√খ. হযরত উমর (রা) এর
গ. হযরত আবু বকর (রা.)
ঘ. হযরত আলী (রা.) এর
া. সত্য মিথ্যার প্রভেদকারীর প্রকৃত অর্থ-।
√ক. ফারুক খ. মারুক গ. কুস্তিগীর ঘ. সাহসী
২. প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো :
দৃঢ়তা, ব্যাকুল, বিস্মিত, সুনাম, উপস্থিত
উত্তর :
দৃঢ়তা – শান্তভাব
ব্যাকুল – অস্থির
বিস্মিত – অবাক
সুনাম – খ্যাতি
উপস্থিত – হাজির।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো।
ক. কোষমুক্ত-এর অর্থ কী?
উত্তর : কোষবিহীন।
খ. হযরত মুহাম্মদ (স) কে হত্যার জন্য কে কোষমুক্ত তরবারী নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) হযরত মুহাম্মদ (স) কে হত্যার জন্য কোষমুক্ত তরবারী নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন।
গ. হযরত উমর (রা) পথিমধ্যে কী জানতে পেরেছিলেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) পথিমধ্যে জানতে পারলেন যে, তাঁর বোন ফাতিমা এবং ভগ্নিপতি সাঈদ মুসলমান হয়েছেন।
ঘ. হযরত উমর (রা) এর ক্রোধ থামলে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন?
উত্তর : হযরত উমর (রা) এর ক্রোধ থামলে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য অস্থির হয়ে উঠেন এবং হযরত মুহাম্মদ (স) এর নিকট হাজির হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ঙ. খলিফা হযরত উমর (রা) রাতের অন্ধকারে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন কেন?
উত্তর : খলিফা হযরত উমর (রা) মানুষের দুঃখ-কষ্ঠের কথা অবহিত হওয়ার জন্য তিনি মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন।
৪. প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির সারাংশ লেখো :
সারাংশ : হযরত উমর (রা) তিনি প্রথমে ইসলামের বিরোধী ছিলেন। পরে মন পরিবর্তনের ফলে হযরত মুহাম্মদ (স) এর নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ঘোষণা করেন যে, অদ্য হতে প্রকাশ্যে কাবা ঘরের সামনে সালাত আদায় করা হবে। একদিকে তিনি ছিলেন খুবই কোমল এবং অন্যদিকে ছিলেন খুবই কঠোর। প্রজাদের দুঃখ কষ্টের কথা অবহিত হওয়ার জন্য রাতের অন্ধকারে মহল­ায় মহল­ায় ঘুরে বেড়াতেন। ক্ষুধার্ত মানুষের তাবুতে খাবার পৌছে দিতেন। বিচারের বেলায় উঁচু-নিচু, ধনি-গরিব ভেদাভেদ করতেন না। নিজের সন্তানকেও অপরাধের শাস্তি দিতে কুণ্ঠিতবোধ করেননি। রাজ্যের শাসন কার্য্যে সাহাবিদের পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করতেন।
.পাঠ-২ : পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ.
প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা। আজকের এ আধুনিক বাংলা ভাষার বিবর্তন একদিনে হয়নি। এর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। ইন্দো-ইউরোপীয় হলো প্রাচীন ভাষা বংশের একটি। পরবর্তীকালে বিবর্তনের মাধ্যমে এখান থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম। তবে বাংলা ভাষা প্রচলনের সঠিক ইতিহাস কারও জানা নেই। সুনীতি কুমার চট্রোপাধ্যায় ও ড. মুহম্মদ শহীদুল­াহ মিলে মত প্রকাশ করেন বঙ্গ-কামরুপীই বাংলার পূর্ববর্তী রূপ।
৫. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো :
র. উপরের অনুচ্ছেদটি মূলত যে বিষয় নিয়ে লেখা তাহলো-
ক. কবিতা √খ. ভাষা
গ. ধ্বনি ঘ. ব্যাকরণ
রর. যারা ভাষা নিয়ে গবেষণা করে তাদের বলে-
ক. বিজ্ঞানী √খ. ভাষাতাত্তি¡ক
গ. কবি ঘ. সাহিত্যিক
ররর. ‘বঙ্গ-কামরূপী’ শব্দটির ‘ঙ্গ’ যুক্ত বর্ণটিতে আছে-
ক. ম + গ খ. গ + ঙ
√গ. ঙ + গ ঘ. গ + স
রা. বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণের ভাষা। কারণ-
ক. এ ভাষা খুব সুমধুর
খ. এ ভাষার ইতিহাস প্রাচীন
গ. এ ভাষায় গান গাওয়া যায়
√ঘ. এটি বাঙালিদের মাতৃভাষা
া. বাংলা ভাষায় শব্দ সম্ভারকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
ক. ৩ খ. ৪ √গ. ৫ ঘ. ৬
৬. নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দটি উত্তর পত্রে লেখো :
শব্দ শব্দার্থ
বিবর্তন পরিবর্তন/বদলানো
প্রাচীন অনেক পুরোনো
প্রচলন চালু হওয়া
পূর্ববর্তী সেকালের
পরবর্তী পরে অবস্থিত
ক. গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন উৎসবের – আছে ।
খ. – কালে এদেশে কড়ির প্রচলন ছিল।
গ. নবাব আমলের – সময় ব্রিটিশ আমল।
ঘ. নানা – হয়ে বাংলা লিপির জন্ম।
ঙ. – বছরের গ্লানিকে মুছে দিতে আসে নববর্ষ।
উত্তর : ক. প্রচলন; খ. প্রাচীন; গ. পরবর্তী; ঘ. বিবর্তন; ঙ. পূর্ববর্তী।
৭. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো :
ক. বাংলা ভাষার জন্ম হয় কীভাবে? লেখো।
উত্তর : বাংলা ভাষার জন্ম কখন হয় তার সঠিক ইতিহাস কারও জানা নেই। তবে ভাষাতাত্তি¡কগণের গবেষণায় প্রাচীন ভাষা বংশ ইন্দো-ইউরোপীয় থেকে ক্রমান্বয়ে বঙ্গ-কামরূপী আসে। বঙ্গ- কামরূপী থেকেই আধুনিক বাংলা ভাষার জন্ম।
খ. বাঙালিদের প্রাণের ভাষা কোনটি এবং কেন?
উত্তর : বাংলা এবং বাঙালি একে অপরের পরিপূরক। বাঙালিদের প্রাণের ভাষা হলো বাংলা ভাষা।
প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষা সবার প্রিয়। মাতৃভাষাতেই প্রত্যেকে নিজের মনের ভাব সুন্দর করে ও হৃদয় খুলে প্রকাশ করতে পারে। তাই বাংলা ভাষাকে বাঙালির প্রাণের ভাষা বলা হয়।
গ. বাংলা ভাষার দাবিতে কারা প্রাণ দিয়েছেন? তাদের নাম লেখো।
উত্তর : বাংলা ভাষার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ এ ফেব্র“য়ারি অনেকেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং মিছিলে যোগ দিয়েছিল। সেদিন অনেকেই শহিদ হয়েছেন, তবে তাঁদের মধ্যে রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত ও শফিক উলে­খযোগ্য।
.পাঠ-৩ : ব্যাকরণ ও নির্মিতি অংশ.
৮. যুক্তবর্ণ বিভাজন ও বাক্যে প্রয়োগ করো :
স্ক, ক্ষ, ল­, ঙ্খ, স্থ।
উত্তর :
প্রদত্ত যুক্তবর্ণ বিভাজন গঠিত শব্দ
স্ক স্+ ক স্কুল
ক্ষ ক্ + ষ শিক্ষা
ল­ ল্ + ল উল­াস
ঙ্খ ঙ্ + খ শৃঙ্খলা
স্থ স্ + থ স্বাস্থ্য
বাক্যে প্রয়োগ :
ক. ফারজানা প্রতিদিন স্কুলে করে।
খ. শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।
গ. বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জয়লাভ করেছে বলে আমরা উল­াস করছি।
ঘ. ছাত্র জীবনে শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে থাকতে হয়।
ঙ. মোহনা সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী।
৯. বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখো :
প্রথমেই সবাই ঢুকে পড়ল লোকশিল্প জাদুঘরে জাদুঘরটা সাধারণ জাদুঘর নয় লোকশিল্পের জাদুঘর আমাদের গ্রামীণ মানুষের তৈরি জিনিসপত্রকে বলে লোকশিল্প হাসান স্যারই কথাটা বুঝিয়ে দিলেন যে বাড়িতে জাদুঘরটা করা হয়েছে
বিরামচিহ্ন : প্রথমেই সবাই ঢুকে পড়ল লোকশিল্প জাদুঘরে। জাদুঘরটা সাধারণ জাদুঘর নয়, লোকশিল্পের জাদুঘর। আমাদের গ্রামীণ মানুষের তৈরি জিনিসপত্রকে বলে লোকশিল্প। হাসান স্যারই কথাটা বুঝিয়ে দিলেন। যে বাড়িতে জাদুঘরটা করা হয়েছে
১০. এক কথায় প্রকাশ করো :
শিক্ষার উদ্দেশ্যে যে সফর – শিক্ষাসফর।
খাবার ইচ্ছা – ক্ষুধা।
জ্ঞান আছে যার – জ্ঞানী।
আদরের সঙ্গে – সাদরে।
আদব জানে না যে – বেআদব।
অথবা, ক্রিয়া পদের চলতি রূপ লেখো :
সাধু রূপ চলিত রূপ
স্যার আগেই আসিয়া গেছেন। স্যার আগেই এসে গেছেন।
তিনি আমাদের জানাইলেন। তিনি আমাদের জানালেন।
তারা খুব শীঘ্রই আসিবেন। তারা খুব শীঘ্রই আসবেন।
আমি সোনারগাঁও যাইব। আমি সোনারগাঁও যাব।
সকলেই এক সাথে চলে আসিব। সকলেই এক সাথে চলে আসব।
১১. বিপরীত শব্দ লেখো :
সকাল, গ্রাম, প্রাচীন, মনোযোগ, গেলেই।
উত্তর :
প্রদত্ত শব্দ বিপরিত শব্দ
সকাল বিকাল
গ্রাম শহর
প্রাচীন নতুন
মনোযোগ অমনোযোগ
গেলেই আসলেই
১২. নিচের কবিতার চরণগুলো লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখো।
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
বল, মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
আমি ডাকি,- তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে।
খ. কবিতার অংশটুকু কোন কবিতার অংশ তা লেখো।
গ. কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ. ছোট বোনটি কার থেকে দিদির কথা জানতে চায়?
উত্তর :
ক. কবিতার লাইনগুলো পর পর সাজিয়ে লেখা হলো :
খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,
আমি ডাকি,- তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল, মা, দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে।
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে আমিও যদি লুকোই গিয়ে-
খ. কবিতাংশটুকু ‘কাজলা দিদি’ কবিতার অংশ।
গ. কবিতাটির কবির নাম যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
ঘ. ছোট বোনটি তার মায়ের কাছ থেকে দিদির কথা জানতে চায়। দিদির ছোট বোনটি দিদির মতো ফাঁকি দিতে চায়।
১৩. বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করো।
মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মতিঝিল, ঢাকা।
১. নাম :
২. মাতার নাম :
৩. পিতা/অভিভাবক :
৪. যে শ্রেণিতে
ভর্তি হতে ইচ্ছুক :
৫. পূর্বের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের নাম :
৬. অত্র বিদ্যালয়ে
ভর্তির কারণ :
৭. জন্ম তারিখ :
৮. বর্তমান ঠিকানা :
শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর
উত্তর : ফরম পূরণ অংশ দেখে নিজে করো।
১৪. মনে করো, তোমরা তিন ভাই-বোন। তাদের সবার লেখাপড়ার খরচ বহন করা তোমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তুমি বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকার নিকট আবেদন পত্র লেখো।
অথবা, শহরের পথ চলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম বর্ণনা করে তোমার ছোট ভাইকে একটি পত্র লেখো।
উত্তর : দরখাস্ত/চিঠির অংশ দেখো।
১৫. নিচের যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে রচনা লেখো :
ক. আমাদের বিদ্যালয়; খ. মোবাইল ফোন; গ. প্রিয় কবি (কাজী নজরুল ইসলাম; ঘ. আমার দেখা সোনারগাঁও।
উত্তর : ক, খ, গ ও ঘ নং উত্তর রচনা অংশ দেখো।

——————x—————–

🔶🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণি বাংলা সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

🔶🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির সকল বিষয়

 

Share to help others:

Leave a Reply