You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা ঘুরে আসি সোনারগাঁও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

ঘুরে আসি সোনারগাঁও

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
ঐতিহাসিক গম্বুজ বঙ্গদেশ স্থাপত্য নিদর্শন শাসনকর্তা অঞ্চল সমৃদ্ধ প্রসিদ্ধ মসলিন বিলিতি অভ‚তপূর্ব অস্তগামী স্মৃতি লোকশিল্প বিস্মিত বাহার ম্যাপ কদর খ্যাত।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
ঐতিহাসিক – ইতিহাসসংক্রান্ত।
গম্বুজ – চূড়া।
বঙ্গদেশ – বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগের অবিভক্ত বাংলা অঞ্চল।
স্থাপত্য – ভবনকেন্দ্রিক শিল্পকর্ম।
নিদর্শন – দৃষ্টান্ত।
শাসনকর্তা – প্রধান শাসক।
অঞ্চল – এলাকা।
সমৃদ্ধ – উন্নত।
প্রসিদ্ধ – বিখ্যাত।
মসলিন – বিখ্যাত বস্ত্র, একসময় বাংলাদেশে তৈরি হতো।
বিলিতি – বিলাত বা ইংল্যান্ডের কোনো কিছু।
অভূতপূর্ব – পূর্বে যা দেখা যায়নি বা ঘটেনি।
অস্তগামী – পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে।
স্মৃতি – স্মরণ।
লোকশিল্প – সর্বসাধারণের জন্য শিল্প, গ্রামীণ জীবনের শিল্প।
বিস্মিত – অবাক হওয়া।
বাহার – শোভা, সৌন্দর্য।
ম্যাপ – মানচিত্র
কদর – মান্য, সম্মান, খাতির।
খ্যাত – সুপরিচিত, বিখ্যাত।

২. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) সোনারগাঁও কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁও অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার।
খ) গোয়ালদি মসজিদ কী জন্যে বিখ্যাত?
উত্তর : মোগল স্থাপত্যশৈলীর চমৎকার নিদর্শন হিসেবে গোয়ালদি মসজিদ বিখ্যাত।
গ) পানাম নগর কী জন্য প্রসিদ্ধ?
উত্তর : সোনারগাঁওয়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগর ছিল পানাম। এ নগরের প্রাচীন দালানগুলোর স্থাপত্যশৈলী অভ‚তপূর্ব। পানাম ছিল এক বিরাট বাণিজ্যিক শহর। আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে পানাম নগর প্রসিদ্ধ।
ঘ) লোকশিল্প কাকে বলে?
উত্তর : গ্রামীণ মানুষের তৈরি শৌখিন জিনিসপত্রকে লোকশিল্প বলা হয়। কাঠের তৈরি জিনিস, মুখোশ, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল ইত্যাদি আমাদের দেশের লোকশিল্পের উদাহরণ।
ঙ) লোকশিল্প জাদুঘর কেন দরকার?
উত্তর : লোকশিল্প একটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার জন্যই লোকশিল্প জাদুঘর দরকার।
চ) জাদুঘর বলতে কী বুঝি?
উত্তর : যে স্থানে একটি দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে তাকেই জাদুঘর বলা হয়।
ছ) সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর : সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী জয়নুল আবেদীন।

৩. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক. ঘুরে আসি সোনারগাঁও গল্পে শিক্ষা সফরে সবাই কোথায় যাচ্ছিল-
১. যাত্রাবাড়ি ২. সোনারগাঁও √
৩. পাহাড়পুর ৪. চট্টগ্রাম
খ. লোকশিল্প জাদুঘরের প্রবেশ পথটি কেমন?
১. দারুণ কারুকাজ করা √ ২. সাধারণ
৩. অনেক পুরানো ৪. নতুন
গ. মসলিন কাপড়ের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান-
১. নারায়ণগঞ্জ ২. সোনারগাঁও √
৩. গুলিস্তান ৪. নওগাঁ
ঘ. ঢাকার আগে সোনারগাঁও ছিল-
১. পূর্ব বাংলার রাজধানী
২. দক্ষিণ বাংলার রাজধানী
৩. দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী √
৪. উত্তর বাংলার রাজধানী
ঙ. দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন-
১. ঈশা খাঁ √ ২. তিতুমীর
৩. আলীবর্দি খাঁ ৪. নবাব আহসানউল্লাহ
চ. ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব-
১. ২৭ কিমি √ ২. ২২ কিমি
৩. ২৫ কিমি ৪. ২৮

৪. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে পড়ি ও লিখি।
সমৃদ্ধ এলাকা গোয়ালদি
প্রাচীন মসজিদ লোকশিল্পের প্রতিষ্ঠাতা
মসলিন কাপড় সোনারগাঁও এর শাসনকর্তা
জয়নুল আবেদীন জগৎ জোড়া খ্যাত
ঈশা খাঁ ছিলেন পানাম নগর
উত্তর :
সমৃদ্ধ এলাকা – পানাম নগর
প্রাচীন মসজিদ – গোয়ালদি
মসলিন কাপড় – জগৎ জোড়া খ্যাত
জয়নুল আবেদীন – লোকশিল্পের প্রতিষ্ঠাতা
ঈশা খাঁ ছিলেন – সোনারগাঁও এর শাসনকর্তা

৫. আমার নিজের গ্রাম বা শহরের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করি।
উত্তর : ‘আমার শহর’
আমার শহরের নাম চাঁদপুর। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা আর মেঘনা নদী। আমার শহরটি খুব ছিমছাম ও পরিচ্ছন্ন। কোলাহল বা যানবাহনের ভিড় খুব একটা দেখা যায় না। সড়কপথ, রেলপথ বা নদীপথ এই তিনটি উপায়েই চাঁদপুর শহরে আসা যায়। শহরটি নদীবন্দর ও ইলিশ মাছের জন্য প্রসিদ্ধ।

৬. একই অর্থ বোঝায় এরকম কয়েকটি শব্দ শিখি।
ফুল – পুষ্প, কুসুম, মঞ্জরী, প্রসূন, পুষ্পক।
পানি – জল, বারি, সলিল, নীর, অম্বু।
পৃথিবী – জগৎ, ধরণী, ধরিত্রি, ভুবন, বসুন্ধরা।
নদী – তটিনী, গাং, প্রবাহিণী, কল্লোলিনী।
পতাকা – কেতন, ঝাণ্ডা, নিশান, বৈজয়ন্তী, ধ্বজা।

৭. বিপরীত শব্দ লিখি।
সকাল বিকাল
যাওয়া ……………..
আনন্দ ……………..
মিষ্টি ……………..
রোদ ……………..
প্রথম ……………..
উত্তর :
মূলশব্দ বিপরীত শব্দ
সকাল বিকাল
যাওয়া আসা
আনন্দ বেদনা
মিষ্টি তেতো
রোদ বৃষ্টি
প্রথম শেষ

৮. কর্ম-অনুশীলন।
ক. মনে কর, একজন বিদেশির সাথে তোমার পরিচয় হয়েছে। যিনি আগে কখনো বাংলাদেশে আসেননি। তিনি বাংলাদেশের আচার, অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য কোথায় যাবেন, তা তোমার কাছে জানতে চাইলেন। সেক্ষেত্রে তুমি তাকে কোথায় যাওয়ার পরামর্শ দেবে এবং কেন?
উত্তর : আমি উক্ত বিদেশিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা জাদুঘরগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দেব। জাদুঘরগুলোতেই বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে। তাই এগুলোর ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
খ. নিচের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ৮টি বাক্য লিখি।
সোনারগাঁও
জাদুঘর
স্মৃতিসৌধ
শহিদ মিনার
উত্তর :
সোনারগাঁও
সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার এক সমৃদ্ধ নগরীর নাম। এক সময় এটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী। এর অবস্থান ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এ নগরীর শাসক ছিলেন ঈশা খাঁ। সোনারগাঁওয়ের তৈরি মসলিনের ছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বহু প্রাচীন দালান ও সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে এখানে। সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘর আমাদের সেই গৌরবের অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সোনারগাঁও আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।

জাদুঘর
জাদুঘর যেন এক রহস্যপুরী। জাদুঘর বলতে আমরা বুঝি একটি বিশেষ সংগ্রহশালাকে। এখানে একটি দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের যাবতীয় নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে। আমাদের জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। সেখানে শত শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, প্রতœতাত্তি¡ক নানা নিদর্শন রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। এসব জাদুঘরে গিয়ে আমরা ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। তাই আমাদের উচিত জাদুঘর পরিদর্শন করা।

স্মৃতিসৌধ
বাঙালি জাতির জীবনে মুক্তিযুদ্ধ এক বিরাট ঘটনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার সাভারে অবস্থিত। এই স্মৃতিসৌধ আমাদের গর্ব। আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের সাক্ষী। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের সেই শহিদদের স্মৃতিকেই মনে করিয়ে দেয়। স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে আমরা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

শহিদ মিনার
বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নির্মিত হয়েছে শহিদ মিনার। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানুষের ওপর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ছাত্র-জনতা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। একুশে ফেব্রæয়ারি সরকারের নিষেধ অমান্য করে ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’- সেøাগান দিয়ে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন অনেকে। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার। একুশে ফেব্রæয়ারি শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে আমরা ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।

ঘুরে আসি সোনারগাঁও অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) সবাই কোন মাসে শিক্ষাসফরে যায়? চ
ক জানুয়ারি খ ফেব্রæয়ারি
গ নভেম্বর ঘ ডিসেম্বর
২) হাসান স্যারের নির্দেশ শুনে সবাই কীভাবে বাসে উঠল? জ
ক হৈচৈ করতে করতে খ বিশৃঙ্খলভাবে
গ সুশৃঙ্খলভাবে ঘ মন খারাপ করে
৩) সোনারগাঁও ঢাকার কোন দিকে অবস্থিত? চ
ক দক্ষিণ-পূর্ব খ উত্তর-পূর্ব
গ দক্ষিণ-পশ্চিম ঘ উত্তর-পশ্চিম
৪) যাত্রাবাড়ি ছাড়িয়ে গেলে কোনটি এলো? ছ
ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
খ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
গ ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক
ঘ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক
৫) সোনারগাঁওয়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকার নাম কী? ঝ
ক মগরা খ সুবর্ণগ্রাম
গ গোয়ালদি ঘ পানাম নগর
৬) গোয়ালদি মসজিদে কয়টি গম্বুজ আছে? চ
ক একটি খ দুটি
গ তিনটি ঘ চারটি
৭) পানাম নগরের রাস্তার পাশের দালানগুলোতে কারা
বাস করতেন? ছ
ক দরিদ্র ব্যবসায়ীরা খ ধনী ব্যবসায়ীরা
গ বিলিতি ব্যবসায়ীরা ঘ মোগল ব্যবসায়ীরা
৮) লোকশিল্প জাদুঘর যে বাড়িতে তার পুরনো নাম কী? জ
ক সর্দারবাড়ি খ ছোট সর্দারবাড়ি
গ বড় সর্দারবাড়ি ঘ আদি সর্দারবাড়ি
🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
রাজধানী, জাদুঘর, গন্তব্য, প্রসিদ্ধ, নিদর্শন, সমৃদ্ধ।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
রাজধানী – ভুটানের রাজধানীর নাম থিম্পু।
জাদুঘর – জাদুঘরে গেলে অনেক অজানাকে জানা যায়।
গন্তব্য – আমরা বিকেলে গন্তব্যে পৌঁছলাম।
প্রসিদ্ধ – বগুড়ার দই অত্যন্ত প্রসিদ্ধ।
নিদর্শন – তাজমহল মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন।
সমৃদ্ধ – প্যারিস একটি সমৃদ্ধ নগরী।
🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ষ্ট, ঙ্গ, শ্ব, ক্ষ, স্ম।
উত্তর :
ষ্ট = ষ + ট – কষ্ট
– মা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেন।
ঙ্গ = ঙ + গ – সঙ্গী
– টুটুল আমার খেলার সঙ্গী।
শ্ব = শ + ব – আশ্বাস
– স্যার ছুটির আশ্বাস দিলেন।
ক্ষ = ক + ষ – কক্ষ
– কক্ষটি দেখতে সুন্দর।
স্ম = স + ম – স্মরণ
– ঘটনাটি স্মরণ করতে পারছি না।
🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর।
ক) সোনারগাঁওয়ের সবচেয়ে — এলাকা পানাম নগর।
খ) প্রথমেই সবাই ঢুকে পড়ল — জাদুঘরে।
গ) কিন্তু এদেশে ইংরেজরা আসার পর — কাপড়ের কদর কমে যায়।
ঘ) — সোনারগাঁও যাবে তারা।
উত্তর : ক) সমৃদ্ধ; খ) লোকশিল্প; গ) দেশি; ঘ) ঐতিহাসিক।
🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
সোনা, নিদর্শন, খ্যাতি, বিশ্ব, প্রসিদ্ধ।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
সোনা – স্বর্ণ, সুবর্ণ।
নিদর্শন – উদাহরণ, দৃষ্টান্ত।
খ্যাতি – যশ, নাম।
বিশ্ব – পৃথিবী, ধরণী।
প্রসিদ্ধ – বিখ্যাত, নামকরা।
🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
কুয়াসা, ইতিহাসিক, সুশৃক্সক্ষল, গুম্বজ, সম্রিদ্ধ, খ্যতি।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
কুয়াসা – কুয়াশা
ইতিহাসিক – ঐতিহাসিক
সুশৃক্সক্ষল – সুশৃঙ্খল
গুম্বজ – গম্বুজ
সম্রিদ্ধ – সমৃদ্ধ
খ্যতি – খ্যাতি
🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
শিক্ষাসফর, নগর, সমৃদ্ধ, বুঝিয়ে।
উত্তর : শব্দ পদ
শিক্ষাসফর – বিশেষ্য
নগর – বিশেষ্য
সমৃদ্ধ – বিশেষণ
বুঝিয়ে – ক্রিয়া
🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব কত?
উত্তর : ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার।
খ) পানাম নগরের দালানগুলো দেখতে কেমন?
উত্তর : পানাম নগরের প্রাচীন দালানগুলোর সবই দোতলা। এগুলোর চমৎকার স্থাপত্যশৈলী কারুকাজ মানুষকে মুগ্ধ করে।
গ) সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘরে সবাই কী কী দেখে বিস্মিত হলো?
উত্তর : সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘরে সবাই কাঠের তৈরি জিনিস, মুখোশ, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল, বাঁশ-লোহা-কাঁসার তৈরি নানা জিনিস, অলংকার, বাহারি জামদানি শাড়ি, নকশিকাঁথা ইত্যাদি দেখে বিস্মিত হলো।
ঘ) বাংলাদেশের কয়েকটি লোকশিল্পের উদাহরণ দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষ কাঠের তৈরি জিনিস, মুখোশ, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল, বাঁশ-লোহা-কাঁসার তৈরি বিভিন্ন জিনিস, অলংকার, জামদানি শাড়ি, নকশি কাঁথা ইত্যাদি বৈচিত্র্যময় জিনিসপত্র তৈরি করে।

ঘুরে আসি সোনারগাঁও মডেল টেস্ট

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। এটা নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ঢাকার দক্ষিণ-পূর্বে এ প্রাচীন নগরী সোনারগাঁওয়ের অবস্থান। প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণগ্রাম। পরে এর নাম হয় সোনারগাঁও। ঢাকার আগে সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী। ঈশা খাঁ ছিলেন এই অঞ্চলের শাসক। সোনারগাঁও তখন ছিল মসলিন কাপড় তৈরির প্রসিদ্ধ স্থান। সোনারগাঁওয়ের তৈরি মসলিনের বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও কদর ছিল। পরে সুতি-কাপড়ের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে এটি। কিন্তু এদেশে ইংরেজরা আসার পর দেশি কাপড়ের কদর যায় কমে। তখন বিলেতি কাপড় আসা শুরু করে এদেশে। বন্ধ হয়ে যায় এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য। এ শহরের পুরনো দালান বাংলার স্থাপত্যশৈলী অভ‚তপূর্ব। আমাদের সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে যেন সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) ‘সুবর্ণগ্রাম’ কোন স্থানটির পূর্বনাম?
(ক) ঢাকা (খ) সোনারগাঁও
(গ) পানাম নগর (ঘ) বিক্রমপুর
২) সোনারগাঁওয়ে তৈরি কোন জিনিসটি সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল?
(ক) মসলিন (খ) সুতি কাপড়
(গ) বিলিতি কাপড় (ঘ) সুতা
৩) সোনারগাঁওয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংসের মূল কারণ কোনটি?
(ক) বিদেশিদের আগমন
(খ) সুতি কাপড়ের মান কমা
(গ) ইংল্যান্ড থেকে কাপড়ের আমদানি
(ঘ) মাটির শিল্পের বিকাশ
৪) সোনারগাঁওয়ের অবস্থান কোন জেলায়?
(ক) সোনারগাঁও (খ) পানাম
(গ) ঢাকা (ঘ) নারায়ণগঞ্জ
৫) অনুচ্ছেদের আলোকে বলা যায়, একসময় সোনারগাঁও –
(ক) একটি সমৃদ্ধ নগর ছিল
(খ) একটি দরিদ্র এলাকা ছিল
(গ) বিলিতি কাপড় তৈরির জন্য নামকরা ছিল
(ঘ) সুবর্ণ শহর হিসেবে পরিচিত ছিল
উত্তর : ১) (খ) সোনারগাঁও; ২) (ক) মসলিন;
৩) (গ) ইংল্যান্ড থেকে কাপড়ের আমদানি;
৪) (ঘ) নারায়ণগঞ্জ; ৫) (ক) একটি সমৃদ্ধ নগর ছিল।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
প্রাচীন, শাসক, সগর্বে, সমৃদ্ধ, প্রসিদ্ধ।
উত্তর : শব্দ অর্থ
প্রাচীন – অনেক পুরাতন।
শাসক – যিনি শাসন করেন।
সগর্বে – গর্বের সাথে।
সমৃদ্ধ – উন্নত।
প্রসিদ্ধ – বিখ্যাত।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ঈশা খাঁ কে ছিলেন?
উত্তর : ঈশা খাঁ ছিলেন সোনারগাঁও নগরের শাসনকর্তা।
খ) সোনারগাঁওয়ের কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় কেন?
উত্তর : সোনারগাঁও একসময় ছিল কাপড়ের ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। কিন্তু এদেশে ইংরেজরা এলে বিলিতি কাপড়ের প্রবেশ ঘটে। ফলে দেশি কাপড়ের কদর কমে যায়। এ কারণেই একসময় সোনারগাঁওয়ের কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
গ) সোনারগাঁও সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : সোনারগাঁও সম্পর্কে তিনটি বাক্য:
(১) সোনারগাঁওয়ের আগের নাম ছিল সুবর্ণগ্রাম।
(২) সোনারগাঁওয়ের মসলিনের ছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি।
(৩) সোনারগাঁওয়ের কারুকার্যময় দালানগুলো আমাদের সংস্কৃতির গৌরবময় নিদর্শন।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : সোনারগাঁও হলো প্রাচীন বাংলার এক সমৃদ্ধ নগর। এককালে এটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী। সোনারগাঁও একসময় কাপড় তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ স্থান ছিল। কিন্তু এদেশে বিলিতি কাপড়ের আগমনে সেই ব্যবসায় ধস নামে। নগরটির স্থাপনাগুলোর শৈল্পিক কারুকার্য আজও আমাদের মুগ্ধ করে।

এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, (৬) শূন্যস্থান পূরণ ও (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
স্ক, স্প, দ্দ, ন্ধ, ক্ত।
উত্তর :
স্ক = স + ক – স্কুটার
– বাবা স্কুটারে চড়ে অফিসে যান।
স্প = স + প – অস্পষ্ট
– চশমা ছাড়া সব অস্পষ্ট দেখি।
দ্দ = দ + দ – উদ্দেশ্য
– বাবুর উদ্দেশ্য মাঠে যাওয়া।
ন্ধ = ন + ধ – গন্ধ
– নতুন বইয়ের গন্ধে মন মাতে।
ক্ত = ক + ত – রক্ত
– ছেলেটির হাত কেটে রক্ত পড়ছে।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
হাসান স্যার এবার ঢাকার একটি ম্যাপ ঝুলিয়ে দেখলেন বললেন-এই দেখ সোনারগাঁও ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার
উত্তর : হাসান স্যার এবার ঢাকার একটি ম্যাপ ঝুলিয়ে দেখলেন, বললেন-এই দেখ, সোনারগাঁও। ঢাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার।
১০. এককথায় প্রকাশ কর।
ক) ইতিহাস সংক্রান্ত; খ) পূর্বে যা দেখা যায়নি; গ) শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে যে সফর করা হয়; ঘ) যাত্রার শেষে মানুষ যেখানে পৌঁছায়; ঙ) প্রতিষ্ঠা করেন যিনি।
উত্তর : ক) ঐতিহাসিক; খ) অভ‚তপূর্ব; গ) শিক্ষাসফর; ঘ) গন্তব্য; ঙ) প্রতিষ্ঠাতা।
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
অস্তগামী, শান্ত, ধনী, প্রবেশ, উঁচু।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
অস্তগামী – উদীয়মান
শান্ত – অশান্ত
ধনী – গরিব
প্রবেশ – বাহির
উঁচু – নিচু
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

——————x—————–

🔶🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণি বাংলা সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

Leave a Reply