You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

বাওয়ালিদের গল্প

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে লিখি।
জন্মভ‚মি সমতলভ‚মি কৃষিকাজ চাষাবাদ সংগ্রহ করা পরিশ্রম হিংস্র মাংসাশী সতর্ক লবণাক্ত
উত্তর :
শব্দ অর্থ বাক্য
জন্মভূমি – যে-ভূমি বা দেশে কেউ জন্মায় সে দেশ তার জন্মভূমি। – বাংলাদেশ আমার জন্মভ‚মি।
সমতলভূমি – মাটি যেখানে এবড়োথেবড়ো নয়, সমান। – সমতলভ‚মিতে চলাফেরা করা সহজ।
কৃষিকাজ – চাষাবাদ। – গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে।
সংগ্রহ করা – জোগাড় করা, সঞ্চয় করা। – মধু সংগ্রহ করা কঠিন কাজ।
পরিশ্রম – খাটাখাটুনির কাজ, কষ্ট। – পরিশ্রম করলে বিশ্রাম নিতে হয়।
হিংস্র – কারো ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো রাগ যার রয়েছে। – সিংহ হিংস্র প্রাণী।
মাংসাশী – মাংস যে আহার করে, মাংসই যার প্রধান খাদ্য। – বাঘ মাংসাশী প্রাণী।
সতর্ক – সাবধান। – রাস্তা পারাপারে সতর্ক থাকতে হয়।
লবণাক্ত – লবণ মেশানো। নোনতা স্বাদের। – লবণাক্ত পানি পান করা যায় না।

২. প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রথমে বলি ও পরে লিখি।
ক) সুন্দরবন বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : সুন্দরবনের অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে।
খ) সুন্দরবনের গাছপালা কোথা থেকে পানি পায়?
উত্তর : সুন্দরবনের কোল ঘেঁষেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সুন্দরবনের গাছপালা তা থেকেই পানি পায়।
গ) ‘বাওয়ালি’ কারা?
উত্তর : সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটে এবং সেই কাঠ জোগাড় করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে তাদেরকে বাওয়ালি বলা হয়।
ঘ) বাওয়ালিদের কাজ এত বিপজ্জনক কেন?
উত্তর : বাওয়ালিরা সুন্দরবনের ভেতরে গিয়ে কাঠ কাটে। এই বনে রয়েছে বাঘ, ভালুক, সাপ, কুমিরসহ নানা রকম ভয়ংকর প্রাণী। তাই বাওয়ালিদের কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক।
ঙ) কিভাবে মানুষ এই বন থেকে অর্থ আয় করে, দুটো উপায় বলি।
উত্তর : মানুষ সুন্দরবন থেকে নানাভাবে অর্থ আয় করে। এর মধ্যে দুটি উপায় হলো-
১. কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রির মাধ্যমে।
২. মাছ ধরে তা বিক্রির মাধ্যমে।
চ) সুন্দরবনে কাজ করার সময় কোনটি বাওয়ালিদের কাছে বেশি মূল্যবান, খাবার না খাবার পানি? কেন?
উত্তর : সুন্দরবনে কাজ করার সময় বাওয়ালিদের কাছে বেশি মূল্যবান খাবার পানি। কারণ সুন্দরবনের নদী ও খালের পানি লবণাক্ত বলে সে পানি খাওয়া যায় না। খাবার ছাড়া মানুষ বেশ কিছুদিন বাঁচতে পারে। তাছাড়া জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ অনেক কিছুকেই খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু পানি ছাড়া মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তাছাড়া পানির বিকল্পও নেই। তাই বাওয়ালিদের সাথে খাবার পানি থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ছ) টোঙ কী? বাওয়ালিরা কেন গাছের উপর টোঙ তৈরি করে?
উত্তর : টোঙ হচ্ছে বনে থাকার জন্য ছোট আকারের ঘর। সুন্দরবনে হিংস্র পশুপাখির আক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে বাওয়ালিরা এ ধরনের ঘর তৈরি করে।
জ) বাওয়ালিরা কেন কাঠ কাটে?
উত্তর : কাঠ সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রির মাধ্যমে বাওয়ালিরা জীবিকা নির্বাহ করে। এ কারণেই তারা কাঠ কাটে।
ঝ) মৌয়াল ও বাওয়ালিদের কাজ বর্ণনা করি।
উত্তর : মৌয়ালরা সুন্দরবনে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে। আর বাওয়ালিরা সুন্দরবনে কাঠ কাটে। সংগ্রহ করা মধু ও কাঠ বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে।

৩. খাতায় লিখে ছকটি পূরণ করি।
(একটি ছক বা টেবিল তৈরি করে শিক্ষার্থীরা পূরণ করবে।)
পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা
বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে
বাওয়ালি
মৌয়াল
উত্তর :
পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা
বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে
বাওয়ালি কাঠ কাটা সুন্দরবন হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণের ভয়, খাবার পানির অভাব জঙ্গলে অবস্থানকালে টোঙ তৈরি, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানি সাথে রাখা।
মৌয়াল মধু সংগ্রহ সুন্দরবন হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণের ভয়, খাবার পানির অভাব জঙ্গল অবস্থানকালে টোঙ তৈরি, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানি সাথে রাখা।

৪. নিজের জানা যে কোনো কাজ নিয়ে ছকটি পূরণ করি।
(একটি ছক বা টেবিল তৈরি করে শিক্ষার্থীরা পূরণ করবে।)
পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা
বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে

উত্তর :
পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা
বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে
মাঝি নৌকা বাওয়া নদী, খাল, সমুদ্র নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী না তোলা, আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখা, সাঁতার জানা।

৫. উপরের ছকের তথ্য ব্যবহার করে কাজটি সম্বন্ধে একটি অনুচ্ছেদ লিখি।
নদী, খাল-বিল বা সমুদ্রে যারা নৌকা বায় তাদেরকে মাঝি বলা হয়। মাঝিরা নৌকা বেয়ে মানুষ বা পণ্য পরিবহন করে। কখনো কখনো মাছ ধরার নৌকাও বায়। মাঝিদের জীবন খুব কষ্টের। তাছাড়া তাদের কাজটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই নৌকা ডুবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের বিপদ এড়াতে মাঝিদের নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বা পণ্য তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিয়মিত আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখতে হবে।

৬. ছবির নিচে পেশার নাম লিখি এবং পেশাটি সম্পর্কে একটি করে বাক্য তৈরি করি।

ড্রাইভার ড্রাইভার গাড়ি চালান।
…………… …………………………..

ডাক্তার ডাক্তার আমাদের চিকিৎসা করেন।
…………… …………………………..

দোকানদার দোকানদার নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন
…………… …………………………..

কামার কামার লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন
…………… …………………………..

শিক্ষক শিক্ষক আমাদের লেখাপড়া শেখান
…………… …………………………..

বাওয়ালিদের গল্প অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) সুন্দরবনের অবস্থান কোথায়? চ
ক বঙ্গোপসাগরের ওপরে
খ বঙ্গোপসাগরের নিচে
গ বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে
ঘ বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানায়
২) সুন্দরবনের ভেতরে মাটিতে কুঁড়েঘর বানিয়ে থাকা
যায় না কেন? জ
ক ঝড়ে ঘর উড়িয়ে নেবে বলে
খ মাটি খুবই নরম বলে
গ হিংস্র প্রাণীর ভয় আছে বলে
ঘ মাটিতে ঘর বানাতে অনেক টাকা লাগে বলে
৩) বাওয়ালিরা খুব হিসেব করে পানি খায়, কেননা- ছ
ক বাওয়ালিরা খুব কৃপণ
খ বনের ভেতরে সুপেয় পানি পাওয়া যায় না
গ গোসলের জন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়
ঘ বেশি পানি খাওয়া ভালো নয়
৪) আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ ভ‚মি কেমন? চ
ক সমতলভ‚মি খ উঁচু-নিচু
গ পাহাড়ি ঘ ঢালু
৫) সুন্দরবনের সব গাছ কিসের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে? ছ
ক নদীর পানির
খ বঙ্গোপসাগরের নোনা পানির
গ বৃষ্টির পানির
ঘ ভূগর্ভস্থ পানির
৬) যারা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের কী বলে? ছ
ক বাওয়ালি খ মৌয়াল
গ কৃষক ঘ মাঝি
৭) সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলো পেশা কী? জ
ক চাকরি খ ব্যবসায়
গ কৃষিকাজ ঘ নৌকাচালনা
৮) কোনটি মাংসাশী প্রাণী? ঝ
ক গরু খ ছাগল
গ ভেড়া ঘ বাঘ
🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
জন্মভূমি, মধু, হিংস্র।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
জন্মভূমি – বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি।
মধু – মধু খুবই উপকারী খাবার।
হিংস্র – হায়েনা একটি হিংস্র প্রাণী।
🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
দ্ভ, ণ্য, কৃ, স্র, ম্ভ।
উত্তর : দ্ভ = দ + ভ – উদ্ভাবন।
ণ্য = ণ + য-ফলা ( ্য ) – পণ্য।
কৃ = ক + ঋ-কার ( ৃ ) – কৃষক।
স্র = স + র-ফলা ( ্র ) – স্রোত।
ম্ভ = ম + ভ – দম্ভ।
🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
বঙোপসাগর, মাংশাশী, বুনোশূয়োর, হাঙ্গর।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
বঙোপসাগর – বঙ্গোপসাগর
মাংশাশী – মাংসাশী
বুনোশূয়োর – বুনোশুয়োর
হাঙ্গর – হাঙর
🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ।
বাওয়ালি, হিংস্র, চালায়, লবণাক্ত, হাঙর।
উত্তর :
মূল শব্দ পদ মূল শব্দ পদ
বাওয়ালি – বিশেষ্য লবণাক্ত – বিশেষণ
হিংস্র – বিশেষণ হাঙর – বিশেষ্য
চালায় – ক্রিয়া
🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ।
পানি, অরণ্য, নদী, গাছ।
উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ
পানি – জল, নীর।
অরণ্য – বন, জঙ্গল।
নদী – স্রোতস্বিনী, গাঙ।
গাছ – তরু, উদ্ভিদ।
🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) সুন্দরবনে গাছপালার পরিমাণ কেমন?
উত্তর : সুন্দরবন হাজার রকমের অসংখ্য গাছপালায় ঘেরা। এ বনের কোনো কোনো জায়গায় গাছপালা এত ঘন যে সূর্যের আলো নিচে মাটিতে পৌঁছায় না।
খ) বাওয়ালিদের জীবন খুব কঠিন- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাওয়ালিদের বনে গিয়ে কাঠ কাটা, কাঠ গ্রামে বয়ে আনা ইত্যাদি পরিশ্রমের কাজ করতে হয়। তা ছাড়া সুন্দরবনের ভেতরে নানা হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এ কারণেই কথাটি বলা হয়েছে।
গ) সুন্দরবনে বাস করে এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম লেখ।
উত্তর : সুন্দরবনে বাস করে এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম নিচে দেয়া হলো :
(১) বাঘ, (২) বনবিড়াল, (৩) বুনোশুয়োর, (৪) সাপ, (৫) কুমির।

বাওয়ালিদের গল্প মডেল টেস্ট

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটে ও বিক্রি করে, তাদেরকে বলে বাওয়ালি। তারা রোজ গ্রাম থেকে বনে এসে কাঠ কাটে, দিনের শেষে আবার কাঠ নিয়ে গ্রামে ফিরে যায়। বাওয়ালিদের কাজ খুব কষ্টের। শুধু তাই না, এই বনে আছে অনেক ভয়ঙ্কর প্রাণী, যেমন বাঘ। সুন্দরবনে বাঘই মানুষের সবচেয়ে বড় বিপদ। তাছাড়াও এই বনে বনবিড়াল, বনোশুয়োর, ভালুক, সাপ আছে। আর পানিতে আছে কুমির, হাঙর। বাওয়ালিরা আর মৌয়ালরা সুন্দরবন থেকে অনেক দূরের গ্রামে থাকে। রোজ রোজ বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাহলে কোথাও তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। রাতের বেলায় হিংস্র জন্তুরা তাদেরকে আক্রমণ করবে। তাই তারা মাটি থেকে অন্তত ছয় ফুট ওপরে গাছের ডালপালার ভিতরে ঘর তৈরি করে। এই ঘরকে বলে টোঙ। বাওয়ালিদের অন্য বিপদও আছে। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে লবণাক্ত পানির নদী আর ছোট খাল বয়ে চলেছে। মানুষ লবণাক্ত পানি খেতে পারে না। সেই জন্য বাওয়ালিরা তাদের সাথে পানির ছোট ছোট পাত্র রাখে। তারা এই পানি খুবই সাবধানে ব্যবহার করে। একটুও অপচয় করে না।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) বাওয়ালিদের জীবন কেমন?
(ক) খুব আরামের (খ) খুব আনন্দের
(গ) খুব পরিশ্রমের (ঘ) খুব অসম্মানের
২) বাওয়ালিদের সবচেয়ে বেশি বিপদের কারণ-
(ক) সুন্দরবনের মানুষ
(খ) সুন্দরবনের হিংস্র জীবজন্তু
(গ) সুন্দরবনের বড় বড় গাছপালা
(ঘ) সুন্দরবনের নদী
৩) সুন্দরবনের ভেতরে যেতে হলে তোমাকে অবশ্যই সাথে নিতে হবে-
(ক) কাগজ-কলম (খ) ক্যামেরা
(গ) সুপেয় জল (ঘ) মাছ ধরার জাল
৪) বাওয়ালিরা মাটি থেকে অন্তত কয় ফুট উপরে টোঙ বানায়?
(ক) দুই ফুট (খ) চার ফুট
(গ) ছয় ফুট (ঘ) আট ফুট
৫) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে-
(ক) সুন্দরবনের গাছপালার বর্ণনা
(খ) সুন্দরবনের মৌয়ালদের জীবনচিত্র
(গ) সুন্দরবনের প্রাণীবৈচিত্র্য
(ঘ) সুন্দরবনের বাওয়ালিদের জীবনচিত্র
উত্তর : ১) (গ) খুব পরিশ্রমের; ২) (খ) সুন্দরবনের হিংস্র জীবজন্তু; ৩) (গ) সুপেয় জল; ৪) (গ) ছয় ফুট; ৫) (ঘ) সুন্দরবনের বাওয়ালিদের জীবনচিত্র।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
অপচয়, লবণাক্ত, পরিশ্রম, রোজ, অন্তত।
উত্তর :
শব্দ অর্থ
অপচয় – বাজে খরচ
লবণাক্ত – নোনতা স্বাদের।
পরিশ্রম – কষ্ট।
রোজ – প্রতিদিন।
অন্তত – কমসে কম, অন্যূন।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) সুন্দরবনের বাওয়ালিদের কী ধরনের পরিশ্রমের কাজ করতে হয়?
উত্তর : সুন্দরবনের বাওয়ালিদের কাঠ কাটা, দিন শেষে কাঠ নিয়ে গ্রামে যাওয়া, বনের ভেতর টোঙ তৈরি ইত্যাদি পরিশ্রমের কাজ করতে হয়।
খ) বাওয়ালিরা সুন্দরবনে কীভাবে থাকে?
উত্তর : সুন্দরবনে বাওয়ালিরা বড় কোনো গাছের ডালপালার ভেতর ‘টোঙ’ নামের ঘর বানিয়ে থাকে। মাটি থেকে অন্তত ছয় ফুট উপরে টোঙ তৈরি করা হয়।
গ) বাওয়ালিরা সুন্দরবনে নিজেদের সাথে পানির ছোট ছোট পাত্র রাখে কেন?
উত্তর : সুন্দরবনের খাল ও নদীগুলোর পানি খুব লবণাক্ত বলে সে পানি খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বাওয়ালিরা সুন্দরবনে নিজের সাথে করে পানির ছোট ছোট পাত্র রাখে।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটে ও সেই কাঠ জোগাড় করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে তাদের নাম বাওয়ালি। জীবন ধারণের জন্য তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সুন্দরবনের মতো গহিন জঙ্গলে রয়েছে অনেক রকম বিপদের ঝুঁকি। বাওয়ালিদের এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।

এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (১) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (২) শূন্যস্থান পূরণ (৩) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
……………………………………………………………..
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর।
ঙ্ক, ক্ত, গ্র, ঙ্গ, ন্দ।
উত্তর :
ঙ্ক = ঙ + ক – অঙ্ক
– বাবুল অঙ্কে কাঁচা।
ক্ত = ক + ত – শক্ত
– লাঠিটি খুব শক্ত।
গ্র = গ + ্র (র-ফলা) – আগ্রহ
– খেলাধুলায় আমার খুব আগ্রহ।
ঙ্গ = ঙ + গ – বাঙ্গি
– বাঙ্গি খুব মজার ফল।
ন্দ = ন + দ – ছন্দ
– কবিতাটি ছন্দে পড়ো।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
সে অন্য প্রাণী খেয়ে বাঁচে যেমন গরু ছাগল ভেড়া
উত্তর : সে অন্য প্রাণী খেয়ে বাঁচে। যেমন : গরু, ছাগল, ভেড়া।
১০. এককথায় প্রকাশ কর।
ক) সুন্দরবনে যারা মধু সংগ্রহ করে; খ) মাংসই যার প্রধান খাদ্য; গ) কারও ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো রাগ রয়েছে যার; ঘ) পান করা যায় এমন; ঙ) লবণ মেশানো যাতে।
উত্তর : ক) মৌয়াল; খ) মাংসাশী; গ) হিংস্র;
ঘ) পেয়; ঙ) লবণাক্ত।
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
সমতল, ঘন, পরিশ্রম, সম্ভব, সাবধান।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
সমতল – উঁচু-নিচু
ঘন – পাতলা
পরিশ্রম – আরাম
সম্ভব – অসম্ভব
সাবধান – অসাবধান
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

🔶🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণি বাংলা সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

Leave a Reply