চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

 অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
 কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে
 আরবি হরফ বা অক্ষর সম্বন্ধে
 হরকত, তানবীন, জযম, তাশদীদ ও মাদ্দের হরফগুলো সম্পর্কে
 তাজবীদ, মাখরাজ, উদগাম ও ইযহার সম্পর্কে
 অর্থসহ সূরা আন নাসর, সূরা আল লাহাব ও সূরা ইখলাস
 অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই
কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম। এটি সর্বশেষ আসমানি কিতাব। মহানবি (স.)-এর ওপর নাজিল হয় এ কিতাব। আমরা দুনিয়াতে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করব, কী কাজ করলে আখিরাতে শান্তি পাব, কীভাবে মহান আল্লাহর ইবাদত করব, কোন কাজ অন্যায়, কোন কাজে শাস্তি হবে- এসব কিছু কুরআন মজিদে আছে। আমরা কুরআন মজিদ শুদ্ধ করে শিখব এবং তা অপরকে শেখাব। কুরআন মজিদের নির্দেশমতো চলব।

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও।
১. কুরআন মজিদ কার কালাম?
ক. মহানবি (স.)-এর কালাম
 খ. আল্লাহ তায়ালার কালাম
গ. ফেরেশতার কালাম
ঘ. মানুষের কালাম
২. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল?
ক. ইনজিল খ. তাওরাত
গ. যাবূর  ঘ. কুরআন মজিদ
৩. মাদ্দ-এর হরফ কয়টি?
 ক. তিনটি খ. চারটি
গ. পাঁচটি ঘ. ছয়টি
৪. হরফে হালকি কয়টি?
ক. পাঁচটি  খ. ছয়টি
গ. সাতটি ঘ. আটটি
৫. ইদগাম-এর হরফ কয়টি?
ক. তিনটি খ. চারটি
গ. পাঁচটি  ঘ. ছয়টি
৬. আরবি হরফের মাখরাজ কয়টি?
ক. ১১টি খ. ১৩টি
 গ. ১৭টি ঘ. ১৯টি
 শূন্যস্থান পূরণ কর।
১. কুরআন মজিদ  কালাম।
২. হরফ উচ্চারণের স্থানকে  বলে।
৩. কুরআন মজিদের  আরবি।
উত্তর : ১. আল্লাহর ২. মাখরাজ ৩. ভাষা।
 বাম দিকের শব্দের সাথে ডান দিকের চিহ্নের মিল কর :
১. যবর
২. যের
৩. পেশ
৪. জযম 
৫. তাশদীদ
৬. তানবীন
উত্তর :
১. যবর
২. যের
৩. পেশ
৪. জযম 
৫. তাশদীদ
৬. তানবীন
 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১. আরবি হরফ কয়টি?
উত্তর : আরবি হরফ বা অক্ষর মোট ২৯টি।
২. হরকত কয়টি?
উত্তর : হরকত তিনটি।
৩. মাদ্দের হরফ কয়টি?
উত্তর : মাদ্দের হরফ তিনটি।
৪. হরফে হালকি কয়টি?
উত্তর : হরফে হালকি ৬টি।
৫. সাকিন কাকে বলে?
উত্তর : জযম (  ) যুক্ত হরফকে সাকিন বলে।
 বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর :
১. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.)-এর বাণীটি লেখ।
উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়।”
২. হরকত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যবর ( ), যের, ( ), পেশ ( ) কে হরকত বলে। যেমন-
১) হরফের ওপর যবর থাকলে উচ্চারণে ‘া-কার’ হবে। যেমন-
( ) = তা যবর তা
২) হরফের নিচে যের থাকলে উচ্চারণে ‘-িকার’ হবে। যেমন-
( ) = তা যের তি
৩) হরফের নিচে পেশ থাকলে উচ্চারণে ‘ ু-কার’ হবে। যেমন-
( ) = তা পেশ তু
৩. তানবীন কাকে বলে? একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর : দুই যবর ( ), দুই যের ( ) , দুই পেশ ( ) কে তানবীন বলে। তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়।
নিচে একটি করে উদাহরণ দেওয়া হলো-
( ) = আলিফ দুই যবর আন
( ) = আলিফ দুই যের ইন
( ) = আলিফ দুই পেশ উন
৪. জযম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : আরবিতে এমন অনেক হরফ আছে যাতে যবর, যের, পেশ নেই। এ যবর, যের, পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন (  ) ব্যবহার করা হয়। এ চিহ্নকে জযম বলা হয়। জযমের আরেক নাম সাকিন। সাকিনযুক্ত হরফটি তার আগের হরফের সাথে মিলিতভাবে উচ্চারিত হয়।
উদাহরণ :
( ) = আলিফ লাম যবর আল।
( ) = ফা ইয়া যের ফি।
( ) = ক্বাফ লাম পেশ ক‚ল।
৫. মাদ্দ কাকে বলে? মাদ্দ-এর হরফ কয়টি? উদাহরণ দাও।
উত্তর : কুরআন মজিদের কোনো কোনো হরফ টেনে পড়তে হয়। এই টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে। মাদ্দের হরফ তিনটি। যথা : – –
১) যবর-এর পরে আলিফ থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা-( ) মা-যা, ( ) কা-লা,
২) যের-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ইয়া থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা-
( ) = কি-লা
( ) = ফী-হা
৩) পেশ-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ওয়াও থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা :
( ) = কু-লু ( ) = সু-মু
৬. তাজবীদ কাকে বলে?
উত্তর : কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে।
৭. মাখরাজ কাকে বলে? মাখরাজ কয়টি?
উত্তর : আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন, কণ্ঠনালি, জিহŸা, তালু, দাঁত ও ঠোঁট। হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলা হয়। আরবি হরফের মাখরাজ ১৭টি।
৮. ইদগাম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে। যথা- ( ) = ফাহুম মুসলিমুন। এখানে মীম ( ) হরফের পরবর্তী মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে।
( ) = মির রাব্বি, এখানে নূন ( ) হরফটি পরবর্তী ( ) ‘রা’ এর সাথে ইদগাম হয়েছে।
( ) = মিন মিসলিহী। এখানে ( ) নূন হরফটি পরবর্তী ( ) মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে।
৯. তিন, চার, পাঁচ ও ছয় বর্ণের একটি করে শব্দ লেখ।
উত্তর : তিন বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামদুন)
চার বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামিদুন)
পাঁচ বর্ণের শব্দÑ ( ) (তাকরিরুন)
ছয় বর্ণের শব্দÑ ( ) (ইয়াকুলুনা)
১০. সূরা আন নাসর মুখস্থ বল।
উত্তর : সূরা আন নাসর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বাংলা উচ্চারণ : ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়ালফাতহু। ওয়ারাআইতান নাসা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহু কানা তাওওয়াবা।
১১. সূরা ইখলাস মুখস্থ বল।
উত্তর : সূরা ইখলাস
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বাংলা উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ; ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ :
১) সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ।
২) আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে।
৩) জযম-এর আকৃতি সাধারণত (  ) হয়।
৪) তাশদীদের চিহ্ন ( ) এরূপ।
৫) মাদ্দ-এর হরফ তিনটি।
৬) শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে।
৭) ইযহার শব্দের অর্থ গোপন করা।
উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘শু’ ৫) ‘শু’ ৬) ‘শু’ ৭) ‘অ’।
 উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর:
১. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ।
২. যের যবর পেশকে  বলে।
৩. জযম-এর আকৃতি সাধারণত  হয়।
৪. একই হরফ পাশাপাশি  উচ্চারণ করাকে  বলে।
৫. ইযহার শব্দের  প্রকাশ করা।
উত্তর : ১. ফরজ ২. হরকত ৩.
৪. দুবার, তাশদীদ ৫. অর্থ

 বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিলিয়ে পূর্ণবাক্য তৈরি কর :

১. মাদ্দ-এর হরফ
২. আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে
৩. সালাতে কুরআন মজিদ
৪. টেনে পড়াকে
৫. কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ১. ইদগাম বলে।
২. তিলাওয়াত ফরজ।

৩. মাদ্দ বলে।
৪. উচ্চারিত হয়।
৫. তিনটি।
উত্তর :
১. মাদ্দ-এর হরফ তিনটি।
২. আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়।
৩. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ।
৪ টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে।
৫. কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 সাধারণ
কুরআন মজিদ শিক্ষা
১. সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোনটি? ঝ
ক তাওরাত খ যাবুর
গ ইঞ্জিল ঘ কুরআন
২. মহানবি (স.)-এর উপর নাজিল হয় কোন কিতাব? চ
ক কুরআন খ ইঞ্জিল
গ যাবূর ঘ তাওরাত
৩. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা কী? চ
ক ফরজ খ ওয়াজিব
গ নফল ঘ সুন্নত
৪. “তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়”- এ বাণীটি কার? ছ
ক মহান আল্লাহর
খ মহানবি (স.)-এর
গ হযরত আবু বকর (রা)-এর
ঘ হযরত আলী (রা)-এর
৫. কুরআন মজিদ কার উপর নাজিল হয়? চ
ক মুহাম্মদ (স.)-এর উপর
খ ঈসা (আ.)-এর উপর
গ ইবরাহীম (আ.)-এর উপর
ঘ মুসা (আ.)-এর উপর
আরবি বর্ণমালা
৬. কুরআন মজিদের ভাষা কী? চ
ক আরবি খ উর্দু
গ ফারসি ঘ হিন্দি
৭. আরবিতে মোট হরফ বা অক্ষর আছে কতটি? ছ
ক ৩০টি খ ২৯টি
গ ১৭টি ঘ ২১টি
৮. ( ﻉ) এর সঠিক উচ্চারণ কোনটি? জ
ক গাইন খ খা
গ আইন ঘ হামযা
৯. ( ﻩ ) এই হরফটির নাম কী? চ
ক হা খ হামযা
গ পেশ ঘ ওয়াও
১০. কোনটি ‘যোয়া’? চ
ক ﻅ খ ﻄ
গ ﻉ ঘ ﻩ
হরকত [ পৃষ্ঠা নংÑ৫৮ ]
১১. যের, যবর ও পেশকে কী বলে? জ
ক তানবীন খ তাশদীদ
গ হরকত ঘ তাজবিদ
১২. যের হরফের কোথায় থাকে? ছ
ক উপরে খ নিচে
গ পাশে ঘ ভিতরে
১৩. হরকত কাকে বলে? চ
ক এক যবর, এক যের, এক পেশকে
খ দুই যবর, দুই যের, দুই পেশকে
গ কুরআন মজিদ টেনে পড়াকে
ঘ হরফের উচ্চারণ স্থানকে
১৪. হরফের উপর যবর থাকলে উচ্চারণ কেমন হয়? চ
ক ‘া’ কার খ ‘’ি কার
গ ‘ ু’ কার ঘ ‘ ূ’ কার
১৫. হরফের উপর পেশ থাকলে উচ্চারণ কেমন হয়? চ
ক ‘ ু’ কার খ ‘’ি কার
গ ‘া’ কার ঘ ‘ ূ’ কার
১৬. ( ) শব্দটির উচ্চারণ- ছ
ক খালাফা খ খালাকা
গ যালাকা ঘ আখলাকা
তানবীন [ পৃষ্ঠা নংÑ৫৯ ]
১৭. দুই যবর, দুই যের ও দুই পেশকে কী বলে? জ
ক হরকত খ তাশদীদ
গ তানবীন ঘ তাজবিদ
১৮. তানবীন অর্থ কী? জ
ক টেনে পড়া খ থেমে পড়া
গ নূনে পরিণত করা ঘ মিমে পরিণত করা
১৯. তানবীনের উচ্চারণ কী রূপ হয়? ছ
ক মীমযুক্ত খ নুনযুক্ত
গ ওয়াওযুক্ত ঘ লামযুক্ত
২০. তানবীনের চিহ্ন কোনটি? চ
ক খ
গ ঘ
জযম
২১. জযমযুক্ত হরফ কোনটি? জ
ক খ ٱ
গ ঘ
২২. জযম যুক্ত হরফকে কী বলা হয়? জ
ক তাশদীদ খ মাদ্দ
গ সাকিন ঘ হরকত
২৩. জযম-এর আকৃতি সাধারণত কী রূপ হয়? ছ
ক খ
গ ঘ
তাশদীদ
২৪. তাশদীদ-এর চিহ্ন কোনটি? ছ
ক খ
গ ঘ
২৫. একই হরফ পাশাপাশি দুবার উচ্চারণ করাকে কী বলে? ছ
ক তানবীন খ তাশদীদ
গ জযম ঘ হরকত
মাদ্দ
২৬. মাদ্দের হরফ কীভাবে পড়তে হয়? ঝ
ক থেমে থেমে খ জোরে জোরে
গ আস্তে আস্তে ঘ টেনে টেনে
২৭. যবর-এর পরে ﺍ (আলিফ) থাকলে কীভাবে পড়তে হয়? চ
ক একটু টেনে পড়তে হয় খ একটু থেমে পড়তে হয়
গ একটু জোরে পড়তে হয় ঘ একটু আস্তে পড়তে হয়
২৮. ছোট মাদ্দ ও বড় মাদ্দ বোঝানোর জন্য কয়টি চিহ্ন ব্যবহার হয়? ছ
ক ১টি খ ২টি
গ ৩টি ঘ ৪টি
২৯. যের-এর পরে জযমযুক্ত (ي) ইয়া থাকলে কীভাবে পড়তে হয়? ছ
ক একটু টেনে খ একটু থেমে
গ একটু বাদ দিয়ে ঘ একটু দম নিয়ে
তাজবীদ [ পৃষ্ঠা নংÑ৬৫ ]
৩০. সঠিক উচ্চারণে তিলাওয়াত না করলে কী শুদ্ধ হয় না? চ
ক সালাত খ মাখরাজ
গ আয়াত ঘ অর্থ
৩১. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে প্রত্যেক হরফের জন্য কয়টি সওয়াব পাওয়া যায়? জ
ক ১৫টি খ ২০টি
গ ১০টি ঘ ১২টি
৩২. “কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে প্রত্যেক হরফের জন্য ১০টি সাওয়াব পাওয়া যায়”- এ উক্তিটি কার? ছ
ক আল্লাহ তায়ালার খ মহানবি (স.)-এর
গ হযরত উমর (রা)-এর ঘ হযরত উসমান (রা)-এর
মাখরাজ
৩৩. আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে কী বলে? জ
ক তাজবীদ খ তাশদীদ
গ মাখরাজ ঘ হরকত
৩৪. আরবি হরফ উচ্চারণের জন্য মানুষের কয়টি অঙ্গ ব্যবহার করতে হয়? ছ
ক ৪টি খ ৫টি
গ ৬টি ঘ ৭টি
৩৫. আরবি হরফ কোথা থেকে উচ্চারিত হয়? চ
ক মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে খ পেটের বিভিন্ন স্থান থেকে
গ নাকের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘ মাথার বিভিন্ন স্থান থেকে
৩৬. কণ্ঠনালি, জিহŸা, তালু, দাঁত ও ঠোট এগুলো থেকে কী উচ্চারিত হয়? চ
ক মাখরাজ খ মাদ্দ
গ তাজবীদ ঘ তাশদীদ
ইদগাম
৩৭. কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে কী বলে? চ
ক ইদগাম খ ইযহার
গ ইক্বলাব ঘ ইখফা
৩৮. ইদগাম অর্থ কী? ছ
ক পৃথক করা খ যুক্ত করা
গ একত্রিত করা ঘ স্পষ্ট করা
ইযহার
৩৯. ইযহার করতে হয় কীভাবে? চ
ক গুন্নাহ ছাড়া খ মাদ্দ ছাড়া
গ হরকত ছাড়া ঘ কলব ছাড়া
৪০. ইযহার শব্দের অর্থ কী? চ
ক প্রকাশ করা খ বন্ধ করা
গ মিল করা ঘ আলাদা করা
সূরা আন নাসর
৪১. সূরা আন নাসর কোথায় অবতীর্ণ হয়? ছ
ক মক্কায় খ মদিনায়
গ কুফায় ঘ সিরিয়ায়
৪২. সূরা আন নাসর-এর আয়াত সংখ্যা কতটি? ছ
ক ২টি খ ৩টি
গ ৪টি ঘ ৫টি
৪৩. আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এলে কী হবে? চ
ক মানুষ দলে দলে আল্লাহ দীনে প্রবেশ করবে
খ মানুষ দলে দলে সালাত কায়েম করবে
গ মানুষ দলে দলে ভিড় জমাবে
ঘ মানুষ দলে দলে হজ করবে
সূরা লাহাব
৪৪. সূরা আল লাহাব কোথায় অবতীর্ণ হয়? চ
ক মক্কায় খ মদিনায়
গ মিশরে ঘ সিরিয়ায়
৪৫. সূরা আল লাহাবে আয়াত সংখ্যা কতটি? ছ
ক ৬টি খ ৫টি
গ ৪টি ঘ ৭টি
৪৬. সূরা লাহাবে কার দুই হাত ধ্বংস হওয়ার কথা বলা হয়েছে? চ
ক আবু লাহাবের খ আবু জাহেলের
গ আবু লাহাবের স্ত্রীর ঘ আবু লাহাবের সন্তানের
সূরা ইখলাস
৪৭. সূরা ইখলাস কোথায় অবতীর্ণ হয়? ঝ
ক তায়েফে খ জেদ্দায়
গ ইরাকে ঘ মক্কায়
৪৮. সূরা ইখলাসে আয়াত সংখ্যা কতো? চ
ক ৪টি খ ৬টি
গ ৩টি ঘ ৭টি
৪৯. সর্বশেষ আসমানি কিতাব তিলাওয়াত করলে প্রত্যেক হরফের বিনিময় কয়টি নেকী পাওয়া যাবে? ছ
ক ৫টি খ ১০টি
গ ১৫টি ঘ ২০টি
 যোগ্যতাভিত্তিক
৫০. নিচের কোন সূরায় আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেওয়া আছে? ছ
ক সূরা আল-লাহাবে খ সূরা ইখলাসে
গ সূরা আল-ফালাকে ঘ সূরা আন-নাসে
৫১. আ. রহিম কুরআন তিলাওয়াতের জন্য একটি পৃষ্ঠা খুলল এবং সে পৃষ্ঠাটির কোন দিক থেকে তিলাওয়াত শুরু করবে? ছ
ক বাম থেকে ডান দিকে খ ডান থেকে বাম দিকে
গ নিচ থেকে উপরের দিকে
ঘ মাঝখান থেকে উপরের দিকে
৫২. যে কোনো ভাষা শিখতে ও বলতে হলে ঐ ভাষার ব্যাকারণ শিখতে হয়। তেমনিভাবে আরবি ভাষা পড়তে ও বলতে হলে নিচের কোনটি জানতে হবে? জ
ক তাশদীদ খ মাখরাজ
গ তাজবীদ ঘ ইদগাম
৫৩. নিচের কোন সূরায় তওবা কবুল করার কথা বলা হয়েছে? ঝ
ক সূরা আল-ফালাকে খ সূরা আন-নাসে
গ সূরা আল-লাহাবে ঘ সূরা আন নাসরে
৫৪. আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এলে তুমি কী দেখবে? চ
ক মানুষকে দলে দলে দ্বীনে প্রবেশ করতে
খ মানুষকে দলে দলে বাজারে প্রবেশ করতে
গ মানুষকে দলে দলে ভাগতে
ঘ মানুষকে দলে দলে মিছিল করতে
৫৫. তুমি আরবি ভাষা শিখবে কেন? জ
ক আরব দেশে যাবে বলে
খ আরবিতে দোয়া করতে হয় বলে
গ কুরআন মজিদের ভাষা আরবি বলে
ঘ তুমি ইসলাম ধর্মের শিক্ষক বলে
শিখনফল: সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ শিক্ষা করা সম্পর্কে জানব।
৫৬. তোমাকে তাজবীদের নিয়ম শিক্ষা করতে হবে কেন? জ
ক কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য
খ আরবি ভালোভাবে আয়ত্ব করার জন্য
গ কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের নিয়ম জানার জন্য
ঘ কুরআনের অর্থ ভালোভাবে বুঝার জন্য
শিখনফল: শিক্ষার্থীরা কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরত্ব জানবে।
৫৭. তোমাকে সালাতে সঠিক উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে কেন? চ
ক সালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য খ ভালো ইমাম হওয়ার জন্য
গ মুসল্লিদের প্রসংশার জন্য ঘ সুন্দর সুর শুনানোর জন্য
৫৮. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা তোমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? ছ
ক সর্বশেষ কিতাব বলে
খ সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত বলে
গ শেষ নবির উপর নাজিল হয়েছে বলে
ঘ আর কোন আসমানি কিতাব নেই বলে
শিখনফল: কুরআন পাকের মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে জানব।
৫৯. আমাদেরকে কুরআন মজিদের নির্দেশ মতো চলতে হবে কেন? চ
ক দুনিয়াতে শান্তি পাওয়ার জন্য
খ অনেক ধন-সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য
গ জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করার জন্য
ঘ নেতৃত্ব লাভের জন্য
শিখনফল: সূরা লাহাবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারব।
৬০. নিচের কোন সূরায় আবু লাহাবের স্ত্রীর সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে? ঝ
ক সূরা আল ফাতিহায় খ সূর-আন-নাসরে
গ সূরা আল-ফালাকে ঘ সূরা আল-লাহাবে
শিখনফল: তাশদীদের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারব।
৬১. তোমার জন্য তাশদীদের ব্যবহার শিক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ কেন? চ
ক একই হরফ পাশাপাশি দুবার উচ্চারণ করতে
খ কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করতে
গ কোনো হরফে উল্টা পেশ থাকলে তা একটু টেনে পড়তে
ঘ বর্ণ বা হরফের মাখরাজ অনুযায়ী স্পষ্ট করে পড়তে
শিখনফল: আরবি ভাষা সম্পর্কে জানতে পারব।
৬২. কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে কেন? চ
ক আরবদের ভাষা আরবি বলে
খ আরবি শ্রেষ্ঠ ভাষা বলে
গ আরবি বুঝতে সহজ বলে
ঘ আরবি সবার জন্য জরুরি বলে

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. সর্বশেষ আসমানি কিতাবের নাম কী?
উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাবের নাম কুরআন মজিদ।
২. আমরা কীভাবে জীবন-যাপন করব তা কোথায় দেওয়া আছে?
উত্তর : আমরা কীভাবে জীবন-যাপন করব তা পবিত্র কুরআন মজিদে দেওয়া আছে।
৩. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা কী?
উত্তর : সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ।
৪. আরবি পড়তে হয় কোন দিক থেকে?
উত্তর : আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে।
৫. হরকত কাকে বলে?
উত্তর : যের যবর পেশকে হরকত বলে।
৬. তানবীন কাকে বলে?
উত্তর : দুই যবর ( ), দুই যের ( ), দুই পেশ ( ) কে তানবীন বলে।
৭. তানবীনের উচ্চারণ কেমন হয়?
উত্তর : তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়।
৮. জযম কাকে বলে?
উত্তর : আরবি শব্দে এমন কতকগুলো হরফ আছে যাতে যবর যের পেশ নেই। কিন্তু আগের হরফে যবর যের পেশ আছে। এ যবর যের পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ চিহ্নকে জযম বলে।
৯. জযমের আরেক নাম কী?
উত্তর : জযমের আরেক নাম সাকিন।
১০. তাশদীদ কাকে বলে?
উত্তর : একই হরফ পাশাপাশি দুবার উচ্চারণ করাকে তাশদীদ বলে।
১১. মাদ্দ কাকে বলে?
উত্তর : কুরআন মজিদের কোনো কোনো হরফ টেনে পড়তে হয়। এই টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে।
১২. তাজবীদ কাকে বলে?
উত্তর : কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে।
১৩. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে প্রত্যেক হরফের জন্য কয়টি সাওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে প্রত্যেক হরফের জন্য ১০টি সাওয়াব পাওয়া যায়।
১৪. মাখরাজ কাকে বলে? মাখরাজ কয়টি?
উত্তর : আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। আরবি হরফের মাখরাজ ১৭টি।
১৫. ইদগাম কাকে বলে?
উত্তর : কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে।
১৬. ইযহার অর্থ কী?
উত্তর : ইযহার শব্দের অর্থ প্রকাশ করা।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 

 সাধারণ
১. তাশদীদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : একই হরফ পাশাপাশি দুবার উচ্চারণ করাকে তাশদীদ বলে। আরবি ভাষার কোনো হরফকে পাশাপাশি দুবার উচ্চারণ করতে হলে ওই হরফের ওপর হরকতসহ একটি বিশেষ চিহ্ন বসে। চিহ্নটি হলো এরূপ ( )।
তাশদীদ দেখতে অনেকটা শীন হরফের মাথার মতো।
তাশদীদের উদাহরণ :
( ) = আলিফ নূন যবর আন, নূন যবর না = আন্না
= রা বা যবর রাব, বা যবর বা = রাব্বা
২. ইযহার কাকে বলে? ইযহারের বর্ণ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ইযহার শব্দের অর্থ প্রকাশ করা। নূন সাকিন এবং তানবীন এর পর যদি হরফে হালকির যেকোনো একটি হরফ থাকে তখন নূন সাকিন বা তানবীনকে গুন্নাহ ও ইখফা ছাড়া নিজ মাখরাজ অনুসারে স্পষ্ট করে পড়াকে ইযহার বলে। ইযহারের বর্ণ ছয়টি (এগুলোকে হরফে হালকিও বলে)।
যথা : ।
৩. তাজবীদ কী? এর গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : কুরআন মজিদ মহান আল্লাহপাকের কালাম। কুরআন মজিদের ভাষা হলো আরবি। কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম হয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। কুরআন মজিদ সহি শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করতে হলে অবশ্যই তাজবীদ শিখতে হবে। তাজবীদ হলো ব্যাকরণের মতো। ব্যাকরণ ভুল হলে যেমন বাক্য অশুদ্ধ হয়, তেমনি তাজবীদ ভুল হলেও কুরআন মজিদের অর্থের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ সঠিক উচ্চারণে তিলাওয়াত না করলে অর্থ ঠিক থাকে না। আর অর্থ ঠিক না থাকলে সালাতও শুদ্ধ হয় না।
সুতরাং, ব্যাকরণ ছাড়া যেমন ভাষা বা বাক্য শুদ্ধ হয় না, অর্থ ঠিক থাকে না তেমনি তাজবীদ ছাড়া কুরআন মজিদ এর সঠিক উচ্চারণ ও অর্থ ঠিক থাকে না।
৪. উচ্চারণসহ ‘সূরা ইখলাসের’ অর্থ লেখ।
উত্তর : বাংলা উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
অর্থ :
১। বল, তিনি আল্লাহ, একক।
২। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন।
৩। তাঁর কোনো সন্তান নাই এবং তিনি কারোর সন্তান নন।
৪। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নাই।
৫. সূরা আল লাহাবের আয়াত সংখ্যা কত? সূরা আল লাহাবের অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা আল লাহাবের আয়াত সংখ্যা-৫।
অর্থ :
১। ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও,
২। এর ধন-সম্পদ ও এর উপার্জন তার কোনো কাজে আসেনি,
৩। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান অগ্নিতে,
৪। এবং তার স্ত্রীও- যে ইন্ধন বহন করে,
৫। তার গলদেশে পাকানো রজ্জু।
 যোগ্যতাভিত্তিক
৬. কুরআন মজিদ থেকে তুমি যা শিখেছ তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : কুরআন মজিদ থেকে আমি যা শিখেছি তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :
১) আল্লাহর ইবাদত করার উপায় সম্পর্কে শিখেছি।
২) আমরা দুনিয়াতে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করব তা শিখেছি।
৩) আখিরাতের শান্তি লাভের উপায় সম্পর্কে শিখেছি।
৪) হালাল ও হারাম সম্পর্কে শিখেছি।
৫) ভালো কাজ ও মন্দ কাজ সম্পর্কে শিখেছি।
৭. তাজবীদের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : তাজবীদের গুরুত্ব নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :
১) কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য অবশ্যই তাজবীদ শিখতে হবে।
২) তাজবীদ জানা থাকলে সালাত শুদ্ধ হয়।
৩) তাজবীদ সহকারে কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহ খুশি হন।
৪) তাজবীদ সহকারে তিলাওয়াত করলে আয়াতের অর্থ ঠিক থাকে।
৫) তাজবীদ জানা না থাকলে ভুল তিলাওয়াতের কারণে আয়াতের অর্থের বিকৃতি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

 

Leave a Reply