অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
অল্পকথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ নারী নির্যাতনের দুটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : নারীরা সমাজে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। নিচে নারী নির্যাতনের দুটি কারণ তুলে ধরা হলো :
১. নারী নির্যাতনের মূল কারণ হচ্ছে পুরুষের তুলনায় নারীদের বা শিক্ষার হার কম এবং সামাজিক মর্যাদার নিম্নমান।
২. বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ নারী নির্যাতনের দুটি কুফল উল্লেখ কর।
উত্তর : নারী নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। নারী নির্যাতনের কুফল ব্যাপক। নিম্নে নারী নির্যাতনের প্রধান দুইটি কুফল আলোচনা করা হলো :
১. নারী নির্যাতনের ফলে নির্যাতিত নারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
২. নির্যাতিত নারী সময়মতো কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে বেগম রোকেয়া অসামান্য অবদান রাখেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া ১৯০৫ সালে ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে।
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেমেয়েকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতির উন্নয়নের স্বার্থে তা জরুরি। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশ আশানুরূপ। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ৮১ ঃ ৮৪।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত?
উত্তর : প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুপাত অত্যন্ত আশাপ্রদ। কিন্তু এরপরে বেশ বড় সংখ্যায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত না করেই ঝরে পড়ে। যারা পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয় তাদের সবার ফলাফল আবার ভালো নয়। প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্তকারী ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত অবশ্য সমান সমান ৫০ ঃ ৫০।
প্রশ্ন \ ৩ \ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য কী?
উত্তর : ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। দৈনন্দিন জীবনের সকল স্তরে নারীর সমতার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বব্যাপী ‘উৎসাহমূলক পরিবর্তন’ এর দাবী জানানো হয়। নারী-পুরুষ পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমতার অনগ্রসরতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসাই নারী দিবসের কাম্য। সুতরাং সমাজে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
১. আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় কেন?
ক. নারীশিক্ষার জন্য
খ. নারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য
গ. নারীদের চাকরি দেওয়ার জন্য
ঘ. নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাসের জন্য চ
২. একই পরিবারে ছেলে এবং মেয়ে সন্তানদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন কেন?
ক. উভয়কেই খুশি রাখার জন্য
খ. উভয়েই একই পরিবারের সদস্য বলে
গ. পরিবারে উভয়েরই সমান অবদান থাকে বলে
ঘ. উভয়েরই সমান অধিকার রয়েছে বলে চ
৩. আগের দিনে মেয়েশিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার কারণ হিসেবে নিচের কোনটি অধিক উপযোগী?
ক. রাজনৈতিক বাধা খ. সামাজিক বাধা চ
গ. অর্থনৈতিক বাধা ঘ. ধর্মীয় বাধা
৪. আমাদের দেশে কারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত?
ক. শিশুরা খ. বৃদ্ধরা
গ. ছেলেরা ঘ. মেয়েরা চ
৫. জামির ও লোপা একই অফিসে একই পদে চাকরি করে। তাদের সুযোগ সুবিধা একই রকম। এর কারণ হলোÑ
ক. নারী অগ্রাধিকার খ. নারী-পুরুষের সমতা চ
গ. নারী-পুরুষের বৈষম্য ঘ. পুরুষ অগ্রাধিকার
৬. বেগম রোকেয়ার মতে, নারী জাতির দুঃখদুর্দশা দূর করতে কোনটি অপরিহার্য?
ক. পর্দা খ. বিয়ে গ. রান্নাবান্না ঘ. শিক্ষা চ
৭. ছোটবেলা থেকে কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে এভাবে না দেখে কী হিসেবে দেখতে হবে?
ক. বন্ধু খ. সহকর্মী
গ. ভাইবোন ঘ. মানুষ চ
৮. নারী নির্যাতনের উদাহরণ কোনটি?
ক. সংসার করা খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া
গ. সংসারের কাজ করানো চঘ. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা
৯. বর্তমানে নানা উপায়ে যৌতুক আদান-প্রদান করা হয়। যেমন
ক. বিয়েতে পণ গ্রহণ খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া
গ. স্ত্রীর নিকট টাকা চাওয়া ঘ. স্ত্রীর অলঙ্কার বিক্রি করা চ
১০. নারী-পুরুষের সমতা বলতে কী বোঝায়?
ক. সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা
খ. সমান সুযোগ-সুবিধা চ
গ. সুযোগ-সুবিধার বণ্টন
ঘ. সুযোগ-সুবিধার আনুপাতিক হার
১১. নারী জাগরণের হাতিয়ারস্বরূপ কোনটি?
ক. সম্পদ খ. প্রতিভা
গ. শিক্ষা চ ঘ. প্রশিক্ষণ
১২. ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকের কত ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন?
ক. সাত খ. আট চ গ. নয় ঘ. দশ
১৩. নারী-পুরুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমাতে ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কী পালিত হচ্ছে?
ক. সামাজিক দিবস খ. অর্থনৈতিক দিবস
গ. আন্তর্জাতিক নারী দিবসচ ঘ. অধিকার দিবস
১৪. কোন সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
ক. ইউনিসেফ খ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চ
গ. বিশ্বশ্রম সংঘ ঘ. ইউনিস্কো
১৫. ১৯০৮ সালে কোন শহরে হাজার হাজার নারী শ্রমিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে?
ক. লন্ডন খ. নিউইয়র্ক চ
গ. বার্লিন ঘ. মস্কো
১৬. বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ অনুযায়ী ছাড়া নারী জাতির দুঃখদুদর্শা দূর হবে না?
ক. বিয়ে ছাড়া খ. পর্দা ছাড়া
গ. রান্না ছাড়া ঘ. শিক্ষা ছাড়া চ
১৭. আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণÑ
ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা চ
গ. বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহ ঘ. পণপ্রথা ও পর্দা প্রথা
১৮. বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে?
ক. ১৮৫৭ সাল খ. ১৯০৮ সাল
গ. ১৯৭৭ সাল চ ঘ. ১৯৩৭ সাল
১৯. নারী পুরুষের কীসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস?
ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিকচ খ. সামাজিক ও রাজনৈতি
গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঘ. শিক্ষা ও শ্রম
২০. শতবর্ষ আগে এদেশে নারী-পুরুষের অধিকারে বিস্তর ব্যবধান ছিল। সে সময় নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে কে বলে গেছেন?
ক. কারা জেটকিন খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. সুফিয়া কামাল চঘ. বেগম রোকেয়া
২১. বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে?
ক. ছেলেরা খ. যুবকেরা
গ. বয়স্করা চঘ. মেয়েরা
সাধারণ
২২. “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”Ñউক্তিটি করেছেন?
ক. বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন
খ. কবি নজরুল ইসলাম চ
গ. সুফিয়া কামাল
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৩. কোন দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়?
ক. ৮ই জানুয়ারি খ. ৮ই ফেব্রæয়ারি
গ. ৮ই মার্চ চ ঘ. ৮ই এপ্রিল
২৪. বেগম রোকেয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ১৯২২ খ. ১৯৩২ চ
গ. ১৯৪২ ঘ. ১৯৫২
২৫. জার্মান নারী সমাজতাত্তি¡কের নাম কী?
ক. ক্লারা জেটকিন চ খ. কারা জেকসন
গ. হিলারী ক্লিনটন ঘ. কারা জাইকা
২৬. একটা সময়ে বিদ্যালয়ে কাদের সংখ্যা কম ছিল?
ক. শিক্ষার্থীদের খ. শিক্ষকদের
গ. মেয়েদের চ ঘ. ছেলেদের
২৭. নারী-পুরুষের অধিকার সম্পর্কে কোন কবি বলেছেন?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম চ খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. আল-মাহমুদ ঘ. শামসুর রহমান
২৮. প্রথম কোন নেত্রী ৮ই মার্চকে নারী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব দেন?
ক. ক্লারা জেটকিন চ খ. সুফিয়া কামাল
গ. বেগম রোকেয়া ঘ. লারা দত্ত
২৯. বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক. রংপুরে চ খ. বরিশালে গ. ফরিদপুরে ঘ. পশ্চিম বাংলায়
৩০. কোথায় বেগম রোকেয়া একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন?
ক. ভাগলপুরেচ খ. রংপুরে গ. পাবনায় ঘ. রাজশাহীতে
৩১. বেগম রোকেয়া কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৮০ চ খ. ১৮৮১
গ. ১৮৮২ ঘ. ১৮৮৩
৩২. পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতনের একটি বিশেষ কারণ কোনটি?
ক. কুশিক্ষা খ. কুসংস্কার গ. যৌতুক চ ঘ. হীনম্মন্যতা
৩৩. নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণ না হলে কী হবে?
ক. দেশের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয় চ
খ. দেশের উন্নতি হয়
গ. সবাই পিছিয়ে পড়বে
ঘ. সবাই শিক্ষিত হতে পারবে
৩৪. ভাগলপুর থেকে বেগম রোকেয়া স্কুলটি কোথায় স্থানান্তর করেন?
ক. রংপুরে খ. পায়রাবন্দে
গ. কলকাতায় চ ঘ. ঢাকায়
৩৫. কাকে বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগদূত ও মহীয়সী বলা হয়?
ক. বেগম রোকেয়া চ খ. সুফিয়া কামাল
গ. সেলিনা হোসেন ঘ. জাহানারা ইমাম
৩৬. নারী শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবিতে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়Ñ
ক. ভারতের কলকাতা শহরে
খ. ইংল্যান্ডের ডাবলিন শহরে
গ. সুইজারল্যান্ডের হেগ শহরে
চঘ. যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে
৩৭. কোন সংগঠন ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
চক. জাতিসংঘ খ. সার্ক গ. ওআইসি ঘ. ন্যাম
৩৮. দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন কত সালে অনুষ্ঠিত হয়?
ক. ১৮৫৭ চখ. ১৯১০ গ. ১৯০৮ ঘ. ১৯০৩
৩৯. আন্তর্জাতিক নারী দিবস কত তারিখ?
চক. ৮ই মার্চ খ. ৮ই এপিল গ. ১০ই জানুয়ারি ঘ. ১৭ই মে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নয়।” উক্তিটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : উক্তিটিতে নারী-পুরুষের সমতা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন-২ : তোমার শ্রেণিশিক্ষক এমন একজন নারীর কথা বললেন যিনি ১৯৮০ সালে রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কার নাম বললেন?
উত্তর : তিনি বেগম রোকেয়ার নাম বললেন।
প্রশ্ন-৩ : ইফা চৌধুরী গ্রামে নারীদের জন্য একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার এ কাজের সাথে কোন মহীয়সী নারীর মিল রয়েছে?
উত্তর : তার এ কাজের সাথে বেগম রোকেয়ার মিল রয়েছে।
প্রশ্ন-৪ : রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয় বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তার মনোভাবের সাথে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?
উত্তর : তার মনোভাবের সাথে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।
প্রশ্ন-৫ : ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মহীয়সী নারী যিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে বেগম রোকেয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-৬ : আজ ৯ই ডিসেম্বর। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে মীরা জানল আজ সারাদেশে একটি দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি কী?
উত্তর : দিবসটি রোকেয়া দিবস।
প্রশ্ন-৭ : প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা উভয়ই শতকরা ৪২ জন। এতে কোনটি অর্জিত হয়েছে?
উত্তর : এতে নারী-পুরুষে সমতা অর্জিত হয়েছে।
প্রশ্ন-৮ : ১৯৩২ সালে ৯ই ডিসেম্বর এক মহিয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন। কে এই মহিয়সী নারী।
উত্তর : এই মহিয়সী নারী হচ্ছেন বেগম রোকেয়া।
প্রশ্ন-৯ : তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে। এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে বেগম রোকেয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১০ : তার ভাই এবং স্বামীর সহযোগিতার কারণে তিনি সমাজে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে কার বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে বেগম রোকেয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১১ : তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ করতেন মেয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য। এখানে কোন ব্যক্তির কর্মের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে বেগম রোকেয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১২ : তিনি তার অবদানের জন্য নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। এখানে কার নাম অধিক গ্রহণযোগ্য?
উত্তর : এখানে বেগম রোকেয়ার নাম অধিক গ্রহণযোগ্য।
প্রশ্ন-১৩ : নারীরা তাদের ভোটাধিকারের দাবিতে নিউইয়র্ক শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সমাবেশটি হয়েছিল কবে?
উত্তর : সমাবেশটি হয়েছিল ১৯০৮ সালে।
প্রশ্ন-১৪ : তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?
উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নিব।
প্রশ্ন-১৫ : স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?
উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।
প্রশ্ন-১৬ : ‘ক’ নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান। ‘ক’ এর সাথে কার সাদৃশ্য রয়েছে?
উত্তর : ‘ক’ এর সাথে ক্লারা জেটকিনের সাদৃশ্য রয়েছে।
প্রশ্ন-১৭ : ৮ই মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৮ : নিউইয়র্কের পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকরা পুরুষের সমান মজুরি ও শ্রমের দাবিতে প্রথম আন্দোলন করে। এটি কোন সালে ঘটেছিল?
উত্তর : ১৮৫৭ সালে এ আন্দোলন ঘটেছিল।
প্রশ্ন-১৯ : নিউইয়র্কের নারীরা গার্মেন্টসে শিশুশ্রম বন্ধে আন্দোলনের ডাক দিলে ২০,০০০ নারী শ্রমিক অংশ নেয়। এটি নারীদের জন্য কীসের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে?
উত্তর : এটি নারীদের ঐক্যবদ্ধতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
সাধারণ
প্রশ্ন-২০ : বেগম রোকেয়া কোন সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-২১ : নারী দিবস কখন পালিত হয়?
উত্তর : ৮ই মার্চ নারী দিবস পালিত হয়।
প্রশ্ন-২২ : বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-২৩ : কাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়?
উত্তর : বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়।
প্রশ্ন-২৪ : বাংলাদেশে ৯ই ডিসেম্বর সরকারিভাবে কোন দিবস পালন করা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে ৯ই ডিসেম্বর সরকারিভাবে বেগম রোকেয়া দিবস পালন করা হয়।
প্রশ্ন-২৫ : নারী নির্যাতনের একটি মূল কারণ লিখ।
উত্তর : নারী নির্যাতনের একটি মূল কারণ হচ্ছে যৌতুক।
প্রশ্ন-২৬ : বেগম রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগদূত বলা হয় কেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখার কারণে তাঁকে নারী জাগরণের অগদূত বলা হয়।
প্রশ্ন-২৭ : নারী-পুরুষে সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?
উত্তর : নারী-পুরুষে সমতা বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
প্রশ্ন-২৮ : ক্লারা জেটকিন কে?
উত্তর : ক্লারা জেটকিন একজন জার্মান সমাজতাত্তি¡ক। তিনি ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন-২৯ : নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।
উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৩০ : যৌতুক কী?
উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।
প্রশ্ন-৩১ : ন্যায্য মজুরির দাবিতে নারী শ্রমিকরা কখন প্রথম রাজপথে নেমে আসে?
উত্তর : ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে প্রথম রাজপথে নেমে আসে।
প্রশ্ন-৩২ : ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব প্রথম কে দেন?
উত্তর : জার্মান নারী সমাজতাত্তি¡ক ‘ক্লারা জেটকিন’ প্রথম ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।
প্রশ্ন-৩৩ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ৮ই মার্চ কবে ঘোষিত হয়?
উত্তর : জাতিসংঘ ১৯৭৭ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ৮ই মার্চ ঘোষণা করে।
প্রশ্ন-৩৪ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় কেন?
উত্তর : নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ সমাজে নারী-পুরুষের সমতাবিধানেও আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
প্রশ্ন-৩৫ : নারী নির্যাতন বন্ধ করতে কীসের উন্নয়ন প্রয়োজন?
উত্তর : নারী নির্যাতন বন্ধ করতে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৩৬ : ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?
উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।
প্রশ্ন-৩৭ : মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয় সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন-৩৮ : বেগম রোকেয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন-৩৯ : কীসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?
উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।
প্রশ্ন-৪০ : কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?
উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।
প্রশ্ন-৪১ : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?
উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : বেগম রোকেয়া কে ছিলেন? নারীদের লেখাপড়া ও নারীদের উন্নয়নের জন্য বেগম রোকেয়া কর্তৃক সম্পাদিত চারটি কাজের নাম লেখ। [প্রা. শি. স. প. ’১৫]
উত্তর : বেগম রোকেয়া ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত। তিনি নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন। নারীদের লেখাপড়া ও নারীদের উন্নয়নে তার সম্পাদিত চারটি কাজ হলো :
১. তিনি নারীদের শিক্ষার বিষয়ে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন।
২. ১৯০৫ সালে তিনি ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
৩. তিনি মেয়েদের স্কুলে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন।
৪. তিনি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কলম ধরেন।
প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের একজন মহীয়সী নারী ১৮৮০ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মহীয়সী নারীটির নাম কী? নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তার চারটি অবদান লেখ। [মণিপুর স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
উত্তর : মহীয়সী নারীটির নাম বেগম রোকেয়া। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার চারটি অবদান হলো :
১. ১৯০৫ সালে বেগম রোকেয়া তার স্বামীর নামানুষারে ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
২. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজকে সচেতন করতে অসামান্য অবদান রাখেন।
৩. তিনি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজে অসামান্য অবদান রাখেন।
৪. বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো দেখতে পায়।
প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের সমতা বিষয়টি সম্পর্কে তোমার নিজের মতামত প্রদান কর।
উত্তর : আমাদের দেশে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। সকল কাজে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ না থাকলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। নারী-পুরুষ একই রকম সুযোগ-সুবিধা না পেলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এই কারণে বর্তমানে দেশে সকল কাজে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন-৪ : নারী নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয় কী কী?
উত্তর : নারী নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয় হলো :
১. সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
২. ছেলে ও মেয়ে এভাবে না দেখে সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।
৩. কোনো কথা ছেলের বা মেয়ের বলে মনে করা যাবে না।
৪. কোনো মেয়ে যাতে নির্যাতিত না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
৫. পরিবার এবং পরিবারের বাইরে সকল মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
প্রশ্ন-৫ : নিউইয়র্কের পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের প্রথম আন্দোলনের ঠিক ৫১ বছর পর একই দিনে আরো একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশটি কত সালে সংঘটিত হয়? এতে কারা অংশ নেন? এই আন্দোলন সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : প্রতিবাদ সমাবেশটি ১৯০৮ সালের ৮ই মার্চ সংঘটিত হয়। এতে নিউইয়র্কের গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা অংশ নেন।
উক্ত আন্দোলন সম্পর্কে তিনটি বাক্য হলো :
র. কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম ও শিশুশ্রম বন্ধের দাবিতে তারা এ আন্দোলন করেন।
রর. ১৪ দিন ধরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ চলে এবং এতে প্রায় ২০, ০০০ নারী শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
ররর. কর্মক্ষেত্রে এই আন্দোলন নারীদের ঐক্যবদ্ধতার একটি বড় উদাহরণ।
প্রশ্ন-৬ : নারী-পুরুষের সমতা রক্ষায় তুমি কী করতে পার?
উত্তর : ছোটবেলা থেকেই কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে এভাবে না দেখে সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখব। সমাজের উন্নতির জন্য বাড়িতে মা-বাবাকে সাহায্য করব। কোনো কাজ ছেলের বা কোনো কাজ মেয়ের বলে মনে করব না। পরিবারের মা-বোন ইত্যাদি মেয়ে সদস্যদের প্রতি এবং পরিবারের বাইরের মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। সহপাঠী ছেলে বা মেয়ে যেই হোক একসাথে পড়ালেখা করব, খেলা করব।
প্রশ্ন-৭ : ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানার নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন। সে সময় তাদের অনেককে পুলিশ নির্যাতন ও গ্রেফতার করে। এই দিনটিকে সামনে রেখে ১৯০৮ সালে নিউইয়র্ক শহরে হাজার হাজার নারী শ্রমিক শিশুশ্রম বন্ধ ও নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতাত্তি¡ক সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক ‘ক্লারা জেটকিন’ ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন-৮ : যৌতুক প্রথা প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে?
উত্তর : যৌতুক প্রথা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে যৌতুক প্রথা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কেননা নারীসমাজ শিক্ষিত হলে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হলে তাদের সচেতনতা বাড়বে, যা যৌতুক প্রতিরোধে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে। যৌতুক প্রথা প্রতিরোধে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অপরিহার্য। নারী ও পুরুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা যৌতুক প্রথাকে নিরুৎসাহিত করবে। শিক্ষা মানুষকে সচেতন করে এবং উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে নারী-পুরুষ সকলেই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে। তাই শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটলে যৌতুক আদান-প্রদান কমে যাবে।
প্রশ্ন-৯ : সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কেমন অবদান রাখছে?
উত্তর : আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশা, শ্রেণি ও বয়সের মানুষ বাস করে। এরা সবাই মেয়েশিশু বা ছেলেশিশু হিসেবে পরিবারে বাস করছে এবং পরিবারকে সহযোগিতা করছে। সংসারসহ কর্মক্ষেত্রের প্রায় সব জায়গায় মহিলা ও পুরুষের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। আবার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরুষ শিক্ষকের পাশাপাশি মহিলারাও অবদান রাখছে। এভাবে সমাজে নারী-পুরুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখছে।
প্রশ্ন-১০ : নারী দিবস সম্পর্কে কী জান? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : নারী দিবস সম্পর্কে আমি যা জানি তা হলো :
১. ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
২. ১৯৫৭ সালের ৮ই মার্চ নিউইয়র্কে নারী পোশাক শ্রমিকেরা সর্বপ্রথম ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন করে।
৩. ১৯১০ সালে জার্মান সমাজতাত্তি¡ক ক্লারা জেটকিন নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।
৪. ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ ৮ই মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ ঘোষণা করে।
৫. নারী দিবসে নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
সাধারণ
প্রশ্ন-১১ : নারী নির্যাতনের কমপক্ষে পাঁচটি নেতিবাচক প্রভাব লিখ।
উত্তর : নারী নির্যাতনের পাঁচটি নেতিবাচক প্রভাব হলো :
১. নারী নির্যাতন হলে নির্যাতিত নারীর শারীরিক, মানসিক ক্ষতি হয়।
২. যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয় সেসব পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
৩. নির্যাতিত নারী সময়মতো কাজে যেতে পারে না, ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
৪. নারী নির্যাতন মানুষ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
৫. নারীরা নানা হয়রানির শিকার হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
প্রশ্ন-১২ : নারী নির্যাতনের পাঁচটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : নারী নির্যাতনের পাঁচটি কারণ হলো :
১. নারীদের নিম্ন সামাজিক মর্যাদা।
২. যৌতুক প্রথা।
৩. শিক্ষার অভাব।
৪. দারিদ্র্য।
৫. বিভিন্ন কুসংস্কার।
প্রশ্ন-১৩ : নারী শিক্ষায় বেগম রোকেয়ার পাঁচটি অবদান লেখ।
উত্তর : নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে বেগম রোকেয়া অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয় বরং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া ১৯০৫ সালে ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আজীবন নারী শিক্ষার অগ্রগতি জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে।
প্রশ্ন-১৪ : বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে নারীদের পাঁচটি অবদান লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে নারীদের পাঁচটি অবদান হলো :
১. শিক্ষার মাধ্যমে নারীরা সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখছে।
২. পোশাক শিল্পে নারীরা কাজ করে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখছে।
৩. বিদেশে চাকরি করে নারীরা সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখছে।
৪. নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নারীরা সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখছে।
৫. জনপ্রতিনিধিত্ব করে নারীরা সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখছে।
প্রশ্ন-১৫ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন কীভাবে শুরু হয়?
উত্তর : ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, কারাখানার নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি ও আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন। সে সময় তাদের অনেককে পুলিশ নির্যাতন ও গ্রেফতার করে। ঐ দিনটিকে সামনে রেখে ১৯০৮ সালে নিউইয়র্ক শহরের হাজার হাজার নারী শ্রমিক, শিশুশ্রম বন্ধ ও নারীর ভোটাধিকারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরবর্তীতে জাতিসংঘের উদ্যোগে ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়।