পিতৃপুরুষের গল্প
হারুন হাবীব
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য
নাম হারুন হাবীব।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ১ জানুয়ারি। জন্মস্থান : দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর।
শিক্ষাজীবন ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ও দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ।
কর্মজীবন/পেশা লেখক, সাংবাদিক এবং কলামিস্ট হিসেবে সমধিক পরিচিত। বাংলাদেশ প্রেস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি ইত্যাদিতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। পরবর্তী সময় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কলকাতায় ‘হিন্দু’ ও ‘ফন্টলাইন’ পত্রিকায় ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমান সময়ে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতৃতে ।
সাহিত্য সাধনা গ্রন্থ : সোনালী ইগল ও উদ্বাস্তু সময়, ছোটগল্প সমগ্র ১৯৭১, বিদ্রোহী ও আপন পদাবলী, লাল শার্ট ও পিতৃপুরুষ। মুক্তিযুদ্ধ: নির্বাচিত প্রবন্ধ, স্বর্ণপক্ষ ইগল, প্রিয়যোদ্ধা, পাঁচ পুরুষ, গল্পসপ্তক, অন্ধ লাঠিয়াল, অন্তশীল, নির্বাসিতা নীহার বানু, জনযুদ্ধের উপাখ্যান, প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পালাবদলের ইতিহাস, ইষড়ড়ফ ধহফ ইৎঁঃধষরঃু ইত্যাদি। নাটক : অগ্রাহ্য দন্ডোৎসব, পোস্টার একাত্তর।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩, কথা সাহিত্য কেন্দ্র পুরস্কার।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়তি বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঢাকায় বেড়াতে এসেছে। একুশে ফেব্রæয়ারিতে বাবা-মা ওকে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। বাবা-মায়ের সাথে সেও ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। বাবার কাছে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের কথা শুনে গর্বে মনটা ভরে ওঠে প্রিয়তির।
ক. ১৯৭১ সালে কাজল মামা কোথায় পড়ত?
খ. ‘যুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে অনেক তফাৎ’-উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. অন্তু ও প্রিয়তির মনোভাব কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করে না”-উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
ক ১৯৭১ সালে কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
খ ‘যুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে অনেক তফাৎ’ -কথাটি সর্বাঙ্গে সত্য।
যুদ্ধ হয় রাজায় রাজায় এক দেশে আরেক দেশে যুদ্ধে শক্তি দেখায় গুটিকয়েক মানুষ; কষ্ট হয় সাধারণ মানুষের। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ হয় স্বাধীনতার জন্য, একটি জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য, সব অন্যায় অত্যাচার আর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। একাত্তরের যুদ্ধ সাধারণ যুদ্ধ ছিল না, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধ।
গ মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে অন্তু ও প্রিয়তির গভীর কৌত‚হল ও ভালো লাগা মনোভাবের দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পটিতে মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামার মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার আগ্রহ জাগে অন্তুর। একুশে ফেব্রæয়ারির দুদিন আগে কাজল মামা ঢাকায় চলে আসে। অন্তু মামার কাছে জানতে পারে ঢাকা শহরের নামকরনের ইতিহাস, সাতমসজিদ রাস্তার নামের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে। জানতে পারে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ ও ছাত্রদের প্রতিবাদী ভ‚মিকার কথা। মামার সাথে ঘুরতে ঘুরতে কিশোর অন্তু স্মৃতিসৌধ শহিদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হল সম্পর্কে জানতে পারে।
উদ্দীপকের প্রিয়তিও বাবা-মায়ের সাথে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসে। একুশে ফেব্রæয়ারিতে বাবা-মায়ের সাথে যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। বাবা-মায়ের সাথে সেও ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের কথা শুনে গর্বে তার মনটা ভরে যায়।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পেও অন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কৌত‚হলী হয়ে অনেক কিছু তার মামার কাছ থেকে জেনেছে। এক্ষেত্রে অন্তু ও উদ্দীপকের প্রিয়তির সাথে তার সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণ করে না। কারণ পিতৃপুরুষের গল্প রচনায় ভাষা আন্দোলন ছাড়াও নানা বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় অন্তু তার মায়ের কাছে মুক্তিযোদ্ধা মামার গল্প শুনে শুনে কৌত‚হলী হয়ে ওঠে। কাজল মামা ঢাকায় আসার পর রিকশায় মামার সাথে ঘুরে বেড়ায় অন্তু। মামার কাছ থেকে সে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনে। মামার সাথে ঘুরে স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল পরিদর্শন করে। সে জানতে পারে ঢাকা শহরের নামের ইতিহাস, সাতমসজিদ রাস্তার নামের ইতিহাস ইত্যাদি।
উদ্দীপকে প্রিয়তিও গ্রাম থেকে মা-বাবার সাথে ঢাকায় আসে। মা-বাবার সাথেই সে শহিদ মিনার যায়। বাবা-মায়ের কাছে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানতে পারে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, গল্পে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ ও মহসীন হল ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানিদের বর্বরতা, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল ভাষা আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। তাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ লেখকের সম্পূর্ণ ভাবকে ধারণা করে না।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
“আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মৃত্যু পিছনে আগে,
ভয়াল বিশাল নখর মেলিয়া দিবস রজনী জাগে।
কখনো সে ধরে রেজাকার বেশ, কখনো সে খান-সেনা,
কখনো সে ধরে ধর্ম-লেবাস পশ্চিম হতে কেনা।
কখনো সে পশি ঢাকা-বেতারের সংরক্ষিত ঘরে,
ক্ষেপা কুকুরের মরণ কামড় হানিছে ক্ষিপ্ত স্বরে।”
ক. ঢাকা শহরের আগের নাম কী? ১
খ. অন্তু মামার কাছে চিঠি লিখল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রটি পিতৃপুরুষের গল্প-এর কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ -ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মৃত্যু পিছনে আগে”- কথাটির তাৎপর্য ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ঢাকা শহরের আগের নাম জাহাঙ্গীরনগর।
খ মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার জন্য অন্তু মামাকে ঢাকায় আসার জন্য চিঠি লিখল।
অন্তুর মামা গ্রামে থাকে। তাকে ঢাকা আসবার জন্য অন্তু চিঠি লিখেছিল, কারণ মামা কাজল ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তাই মুক্তিযুদ্ধের গল্প মামার মুখে শোনার জন্য সে মামাকে চিঠি লিখেছিল।
গ উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় কাজল মামা চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ঢাকা শহর ছেড়ে হঠাৎ তিনি গ্রামে হাজির। তারপর রাত দিন এ গ্রাম সে গ্রাম ঘুরে ছেলেদের জোগাড় করে মিছিল মিটিং করেন। রাইফেল জোগাড় করে ট্রেনিং নেন। বাবার নিষেধ সত্তে¡ও তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
উদ্দীপকে একজন মুক্তিযোদ্ধার উল্লেখ রয়েছে। যিনি জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করেন। তার আগে পিছে মৃত্যুর বিভীষিকা। আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে তিনি রাত জাগেন। রাজাকার, খান-সেনা ধর্মের লেবাস পরেন তিনি যুদ্ধের কৌশল হিসেবে। শত্রæর মোকাবিলায় ক্ষেপা কুকুরের মতো মরণকামড় হানেন তিনি। ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় কাজল মামার যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ না থাকলেও তিনি যে অস্ত্র হাতে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে অকুতোভয় সৈনিকের মতো যুদ্ধ করেছেন তা স্পষ্ট। তাই এ কথা নিদ্বিধায় বলতে পারি উদ্দীপকের মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় কাজল মামা চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মৃত্যু পিছনে আগে’ কবিতায় এই পঙ্ক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় কাজল মামা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন দেশে যুদ্ধ লেগে যায়। তিনি গ্রামে গিয়ে লোকজনকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হলটিতে তিনি থাকতেন সেটি হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল। এই হলের কয়েক শত ছাত্রকে মাঠে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল পাক সেনারা।
উদ্দীপকে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রাণপণ যুদ্ধ করেন। সামনে পিছে সকল দিক থেকে মৃত্যু তাকে ধাওয়া করে। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে রাজাকার, খান-সেনা কিংবা ধর্মের লেবাস ধারণ করেন কাজল। আবার শত্রæর মোকাবিলায় বজ্রকঠোর হয়ে ক্ষেপা কুকুরের মতো মরণকামড় হানে।
‘পিতৃপুরুষের গল্পে’ আমরা দেখি পাকিস্তানি শাসককের অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে কয়েকশ তরুণ ছাত্রকে লাইনে দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করা হয়। মানুষের জান মাল তখন এতটাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিল। উদ্দীপকেও একই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু পিছনে আগে কথাটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রæয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি”
[একুশের গান : আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী]
ক. ভাষা আন্দোলন হয়েছিল কত সালে? ১
খ. স্মৃতিসৌধ কেন গড়ে উঠেছে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পের কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘একুশে ফেব্রæয়ারি আমাদের গৌরবের অর্জন’-উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ভাষা আন্দোলন হয়েছিল ১৯৫২ সালে।
খ রক্ত ভেজা স্মৃতিকে ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য ধরে রাখতে গিয়েই শহিদ মিনারের মতো স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
আমাদের স্বাধীনতা কিংবা রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রচুর ত্যাগ এবং তিতিক্ষা এবং রক্তের ইতিহাসে রয়েছে। এর সাথে লক্ষ প্রাণদানের করুণ কাহিনি রয়েছে। সেসবকে স্মরণীয় করে রাখতেই স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
গ উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় উল্লিখিত রক্তস্রোতে ভাষা আন্দোলনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় কাজল মামা অন্তুকে বলে মায়ের ভাষা বাংলাকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেক বাঙালি প্রাণ দিয়েছিল একদিন। তখন কাজল মামা বলেন, পাকিস্তানের শাসকেরা আমাদের বাঙালিদের ওপর তাদের উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাঙালি তা মেনে নেয়নি। ১৯৫২ সালে উর্দুভাষা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বাঙালি যখন প্রতিবাদ করে তখন পাকিস্তানি পুলিশ গুলি করে অনেককে হত্যা করে। অনেক রক্তের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
উদ্দীপকের বক্তব্যটি আমাদের হৃদয়ে গভীর অনুভ‚তির সৃষ্টি করে। বাঙালির রক্তে ভেজা ভাষা আন্দোলন সফল হওয়ার কারণেই সেদিন মাতৃভাষা বাংলার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারিকে তাই ভোলা সম্ভব নয়। যারা সেদিন রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তারা আমাদের ভাই ও স্বজন। সেই বেদনাবিধুর স্মৃতি আমাদের পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়। ‘পিতৃপুরুষের গল্পে’ এই শহিদদের পিতৃপুরুষ বলা হয়েছে। গল্পে ভাষা শহিদদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা বলা হয়েছে। তাই উদ্দীপকে উল্লিখিত একুশে ফেব্রæয়ারি বা ভাষা আন্দোলনের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ একুশে ফেব্রæয়ারি আমাদের গৌরবের অর্জন-উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ উভয় ক্ষেত্রেই সত্য হয়ে উঠেছে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ও রক্তাক্ত ইতিহাসের দিকটি কাজল মামা ও অন্তুর আলোপচারিতায় প্রকাশিত হয়েছে। উদ্দীপকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করে বাঙালি একদিকে যেমন ভাষায় দাবি প্রতিষ্ঠিত করেছে, অন্যদিকে বাঙালি প্রথম গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপকে রুখে দিয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতাংশ অনুযায়ী একুশে ফেব্রæয়ারি বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। তাই একুশে ফেব্রæয়ারিকে ভোলা সম্ভব না। তাই যে ভাইটি দেশের জন্য, ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে, সেই ভাইকে, সেই ভাষাকে ভোলা সম্ভব নয়। যে জিনিসটি মানুষ অনেক কষ্ট বা ত্যাগের বিনিময়ে পায় মানুষ সম্মান দিয়ে আগলে রাখে হারিয়ে যেতে দেয় না। তাই তাঁদের স্মৃতিকে ভবিষ্যতের বংশধরদের জন্য ধরে রাখতে গিয়েই এই দেশে স্মৃতির মিনারের মতো স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
উদ্দীপক ও ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনা পর্যালোচনা করলে পাই মহান একুশে ফেব্রæয়ারি আমাদের গৌরবের অর্জন। যে ভাষার জন্য আমাদের ভাইয়ের, জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে সে ভাষা জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। পৃথিবীর কোনো জাতি তার ভাষার জন্য এভাবে জীবন দেয়নি। তাই নিঃসন্দেহে একুশ আমাদের গৌরবের অর্জন।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
“তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা,
শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো
দানবের মতো চিৎকার করতে করতে।
তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা,
ছাত্রাবাস, বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল
আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।”
[তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা : শামসুর রাহমান]
ক. মুক্তিযুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়েছিল? ১
খ. সাতমসজিদ রোড নামকরণটা কীভাবে হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটির সাথে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনা কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘মেশিন গান খই ফোটালো যত্রতত্র’- পঙ্ক্তিটির মধ্যদিয়ে কোন বিশেষ ভাব প্রকাশিত হয়েছে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়েছিল।
খ মসজিদের সাতটি গম্বুজ থাকার কারণে রাস্তাটির নাম হয়েছে সাতমসজিদ রোড।
ঢাকা শহরের আগের নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর। মোঘল বাদশা জাহাঙ্গীরের নামে। তখন শহরের আনাচে-কানাচে অনেক মসজিদ তৈরি হতে থাকে। এই রাস্তাটা পিলখানার থেকে মোহাম্মদপুর এসে একটা সাতগম্বুজ মসজিদে ঠেকেছে। সেই পুরনো মসজিদের নামেই রাস্তাটার নাম হয়েছে সাতমসজিদ রোড।
গ উদ্দীপকটির সাথে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটা ধারণা পাই। কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন যুদ্ধকালীন সময়ে। যুদ্ধ বেধে গেলে তিনি গ্রামে চলে যান। আশপাশের লোকদের সংগঠিত করেন। অস্ত্র হাতে ট্রেনিং নেন এবং শত্রæর মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেশকে স্বাধীন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের নিকট অন্তুকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মনে পড়ে এখানে কয়েকশ ছাত্রকে দাঁড় পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করেছিল।
উদ্দীপকেও মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ ও রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধের চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশের স্বাধীনতা তখন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কবির মতে, এই কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার জন্যই দানবের মতো চিৎকার করতে করতে শহরে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো। মুহূর্তে উজাড় হয়ে গেল ছাত্রাবাস ও বস্তি। রাইফেল আর মেশিনগানের গুলিবর্ষণে চারপাশ প্রকম্পিত হলো। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায় এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। এক্ষেত্রে উদ্দীপকের সাথে গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘মেশিন গান খই ফোটালো যত্রতত্র’ উক্তিতে মুক্তিযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় পিতৃপুরুষ বলতে তাঁদের বলা হয়েছে যারা মুক্তিসংগ্রামে ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে এবং বীরোচিত ভ‚মিকা রেখেছে। কাজল মামা ও তাঁদের একজন যিনি অস্ত্র হাতে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনে পাকহানাদার বাহিনী সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানি বর্বরতায় প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলেও কয়েকশ ছাত্রকে লাইনে দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উদ্দীপকের কবিতাংশেও স্বাধীনতার জন্য বাঙালির এক সাগর রক্ত দেয়ার দিকটিকে নির্দেশ করা হয়েছে। এই জনপদে সেদিন দানবের মতো চিৎকার করতে করতে ছুটেছিল জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক। ছাত্রাবাস বস্তি সব উজাড় হয়েছিল। মেশিনগানসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র সেদিন গর্জে উঠেছিল। বীর বাঙালি সেদিন জীবন দিয়েই আবার জীবন নিয়েছে। এ সবই হয়েছে শুধু মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার জন্য।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আমরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক জানতে পারি। তেমনি উদ্দীপকে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
ক. ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার লেখক কে? ১
খ. ‘অন্তুর মুখ দেখে কাজল মামা বুঝলেন সে মন খারাপ করেছে’। কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার কোন দিকটিকে উন্মোচিত করেছে – ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করেছে – আলোচনা কর। ৪
ক ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার লেখক হারুন হাবীব।
খ মানুষ মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারে এ ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে না পারায় অন্তুর মন খারাপ করেছে। কাজল মামার কাছে অন্তু জানতে পারে স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ভাষা আন্দোলনে বহু মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের কাহিনি শুনতে শুনতে অন্তুর মন খারাপ হয়ে যায়।
গ উদ্দীপকটিতে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ উল্লিখিত পাকসেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
পূর্বপুরুষের গল্পে কাজল মামা বলেন, পাকিস্তান সামরিক শাসকেরা আমাদের দেশটাকে গোলাম করে রাখতে চেয়েছিল। তাদের সব অন্যায় অত্যাচার আর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি হওয়ার জন্য সেদিন বাঙালি মুক্তিসংগ্রাম করেছিল। গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। কাজল মামার মতো অনেকেই রাইফেল জোগাড় করে ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
উদ্দীপকে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার দিকটি প্রকাশিত। মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত্রæর মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযোদ্ধার যদি সেদিন বীরের ভ‚মিকা পালন করত কিংবা জীবন বাজি না রাখত তবে দেশ স্বাধীন হতো না। আমরা পরাধীন হয়েই থাকতাম। কখনো কখনো যুদ্ধই সমাধান হয়ে ওঠে। ৭১-এ সে পরিস্থিতিই সৃষ্টি হয়েছিল। ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামাও অন্তুর কথপোকথনের মধ্যদিয়ে সে দিকটিই ফুটে উঠেছে। স্বাধীনতা তাই রক্ত দিয়ে কেনা অমূল্য ধন।
ঘ উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার ভাবকে পুরোপুরি ধারণ করেছে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় আমাদের যেসব পূর্বপুরুষ রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত করে, জীবন দিয়ে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছে তাঁদের কথা বলা হয়েছে। যাঁরা দেশমাতৃকার জন্য অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার পরীক্ষা দিয়েছে, যুদ্ধ করেছে, নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে, কিংবা ঘরবাড়ি হারিয়েছে। শত শত তরুণদের লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাঙালি সেদিন কাজল মামার মতো গর্জে উঠেছিল। রাইফেল হাতে নিয়ে শত্রæর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
উদ্দীপকটি একটি প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি। বাঙালি তার মুক্তি অর্জনের জন্য এভাবেই ফুঁসে উঠেছিল। মুক্তিযোদ্ধা-জনতা পাকিস্তানি হানাদের মোকাবিলায় সেদিন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালি তার বীরত্বের মধ্যদিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছিল তাদের।
বাঙালির সংগ্রামী চেতনা ও প্রতিবাদ প্রতিরোধ উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে পূর্বপুরুষের গল্পের পূর্বপুরুষেরা সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করেই স্মরণীয় বরণীয় হয়েছেন। দেশের জন্য অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তাই উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় ভাবকে পুরোপুরি ধারণ করেছে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
মাতৃভাষা বাংলার দাবিকে অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি তারিখে পূর্ববাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ প্রতিবাদমুখর হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন চত্বর থেকে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহিদ হন। সর্বস্তরের জনগণ এতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ক. কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলে থাকতেন? ১
খ. একুশে ফেব্রæয়ারির শহিদদের আমাদের জাতির প্রথম শহিদ বলা হয় কেন- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিক ছাড়াও ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় আরো নানা দিক রয়েছে”-মন্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
ক কাজল মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে থাকতেন।
খ একুশে ফেব্রæয়ারি বাঙালি জাতি প্রথম জীবন দিয়েছিল ভাষা আন্দোলনে। তাই তাদের প্রথম শহিদ বলা হয়। ভাষা আন্দোলনকারী বুকের রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছিল বলেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেয়েছিল। শুধু তাই নয় একুশে ফেব্রæয়ারি থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীনতা মূল সংগ্রাম শুরু হয়।
গ উদ্দীপকে ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় উল্লিখিত ভাষা আন্দোলনের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় লেখক বলেছেন, পাকিস্তানি শাসকেরা আমাদের বাঙালিদের ওপর তাদের উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা তা মেনে নেয়নি। তাই ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারিতে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদকারী অনেককে পাকিস্তানি পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। চাপ চাপ রক্তে এই জায়গার মাটি ভিজে গেছে। ওই রক্তের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
উদ্দীপকের বক্তব্য অনুযায়ী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার দাবিকে অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তারা মিছিল করে। পুলিশ, মিছিলে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। অত্যন্ত নিষ্ঠুরতার সাথে গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে শহিদ হন। এসব শহিদের রক্তের বিনিময়ে সেদিন ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই দেখা যায় ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় ও একই বিষয় লক্ষ করা যায়। তাই বলা যায় ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় উল্লিখিত ভাষা আন্দোলনের দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাষা আন্দোলনের দিকটি ছাড়াও ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় আরো নানা দিক রয়েছে।”- এ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় মুক্তিযোদ্ধা কাজল মামা ও অন্তুর কথপোকথনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, ঢাকা শহরের পূর্ব নাম, সাতমসজিদ রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হল এবং বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
উদ্দীপকে উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বাঙালি প্রতিবাদ জানালে পাকিস্তানি পুলিশ দমননীতি চালায়। একুশে ফেব্রæয়ারি তারা সারাদেশে ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্রজনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন থেকে মিছিল বের করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই শহিদ হন।
তাই উদ্দীপক ও ‘পিতৃপুরুষের গল্পের’ বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, উদ্দীপকে শুধু ভাষা আন্দোলনের দিকটি ফুটে উঠেছে এবং গল্পে ভাষা আন্দোলন ছাড়াও বহু বিষয় আলোচিত হয়েছে।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
ফাহিমের দাদি তাদের বাড়ির দক্ষিণে বড় রাস্তার দিকে সবসময় তাকিয়ে থাকে। বড় রাস্তার একটা ব্রিজ আছে। মানুষ ডাকে মুক্তির পুল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা ঐ ব্রিজটি উড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় শহিদ হন ফাহিমের বড় চাচা। দাদির কাছে সেই গল্প প্রায়ই শুনতে পায় ফাহিম। সে যতবার বড় চাচার গল্প শোনে ততবার দাদির ঘরের দেওয়ালে টাঙানো বড় চাচার ছবিটার সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন গর্বে তার চোখে পানি চলে আসে। কষ্টও হয়; বড় চাচা বেঁচে থাকলে তার কাছে গল্প শোনা যেত। ম্ুিক্তযুদ্ধের গল্প।
ক. স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম কী? ১
খ. ‘রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি’- কথাটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে পিতৃপুরুষের গল্পের সাদৃশ্য – ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ফাহিম আর পিতৃপুরুষের গল্পের অন্তু আলাদা দুটি নাম ও শিশু হলেও চিন্তা চেতনা ও আগ্রহে তারা এক। – কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম মুক্তিযুদ্ধ।
খ উক্ত কথাটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে অনেক ভাষা শহিদদের রক্তের বিনিময়েই বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পাকিস্তানি শাসকেরা আমাদের বাঙালিদের ওপর তাদের উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা তা মেনে না নিয়ে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল, তখনই পাকিস্তানি পুলিশ গুলি করে তাদের অনেককে হত্যা করে। চাপ চাপ রক্তে শহিদ মিনারের ঐ স্থানটি ভিজে যায়। তাই আমাদের ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের রক্তের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ তুলে ধর।
ঘ ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ ে
মতিনদের গ্রামে শহিদ মিনার নেই। মতিন ও তার বন্ধুরা ভাবল, ২১ ফেব্রæয়ারিতে তারা একটা শহিদ মিনার বানাবে। সেই শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে তারা শ্রদ্ধা জানাবে শহিদদের প্রতি। তারা ভাবনার পড়ে গেল। কীভাবে বানাবে শহিদ মিনার। তাদের বাংলা বইতে একটা ছবি আছে শহিদ মিনারের। সেটা ভালোভাবে দেখে নিল তারা। তারপর কলাগাছ কেঁটে মাটিতে পুঁতে একটা শহিদ মিনার বানালো তারা। ২১ তারিখ সকালবেলা গ্রামের সবাই অবাক হলো। অনেকেই ফুল দিল শহিদ মিনারে।
ক. ‘ইষড়ড়ফ ধহফ ইৎঁঃধষরঃু’ গ্রন্থের লেক কে? ১
খ. ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার অনুযায়ী বাঙালিদের মধ্যে কোন অনুভ‚তির সমৃদ্ধি ঘটবে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘পিতৃপুরুষের গল্প’- এর কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘শহিদ মিনার আমাদের চেতনার ধারক’- কথাটি উদ্দীপক ও পিতৃপুরুষের গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘ইষড়ড়ফ ধহফ ইৎঁঃধষরঃু’ গ্রন্থের লেখক হারুন হাবীব।
খ ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার মাধ্যমে বাঙালির মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার অনুভ‚তি জাগ্রত হবে।
মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাঙালি জাতি ১৯৫২ সালের একুশের ফেব্রæয়ারি রাজপথে মিছিলে নামে, সেই মিছিলের ওপর পুলিশ গুলি চালালে বাঙালির তাজা রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধানবোধের দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘পিতৃপুরুষের গল্পে’ রচনার ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ অন্তুর মামার নাম কী?
উত্তর : অন্তুর মামার নাম কাজল।
প্রশ্ন \ ২ \ কাজল মামা মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত?
উত্তর : কাজল মামা মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত।
প্রশ্ন \ ৩ \ অন্তু প্রত্যেক দিন রাত কয়টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে?
উত্তর : অন্তু প্রত্যেক দিন রাত ৯টা-সাড়ে ৯টায় নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন \ ৪ \ কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে কত তারিখ আসে?
উত্তর : কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে ১৯ তারিখ আসে।
প্রশ্ন \ ৫ \ কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে কত দিন থাকবেন?
উত্তর : কাজল মামা অন্তুদের বাড়িতে ৫ দিন থাকবেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ অন্তু ও কাজল মামা কোথা থেকে রিকশায় উঠল?
উত্তর : অন্তু ও কাজল মামা মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোড থেকে রিকশায় উঠল।
প্রশ্ন \ ৭ \ ঢাকা শহরের পূর্বনাম কী ছিল?
উত্তর : ঢাকা শহরের পূর্বনাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর।
প্রশ্ন \ ৮ \ কাজল মামা ছাত্রাবস্থায় কোন হলে থাকতেন?
উত্তর : কাজল মামা ছাত্রাবস্থায় হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে থাকতেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ কারা বাংলাদেশটাকে গোলাম করে রাখতে চেয়েছিল?
উত্তর : পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বাংলাদেশটাকে গোলাম করে রাখতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১০ \ আমাদের পিতৃপুরুষ কারা?
উত্তর : ভাষা শহিদরা আমাদের পিতৃপুরুষ।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাঙালি জাতির প্রথম শহিদ কারা?
উত্তর : ভাষা আন্দোলনের শহিদরা বাঙালি জাতির প্রথম শহিদ।
প্রশ্ন \ ১২ \ অন্তু ও কাজল মামা কত মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল?
উত্তর : অন্তু ও কাজল মামা এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল।
প্রশ্ন \ ১৩ \ স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম কী?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ করা হয় তার নাম মুক্তিযুদ্ধ।
প্রশ্ন \ ১৪ \ চাপ চাপ রক্তে কোথাকার মাটি ভিজে গেছে?
উত্তর : চাপ চাপ রক্তে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের মাটি ভিজে গেছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে কোন লেখক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন?
উত্তর : কথা সাহিত্যিক হারুন হাবীব মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ হারুন হাবীব জন্মগ্রহণ করেন কত সালে?
উত্তর : হারুন হাবীব জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের জামালপুরে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ “সাতমসজিদ রোড” রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছে কেন?
উত্তর : পিলখানা মোড় থেকে রাস্তাটি মোহাম্মদপুর রোড হয়ে সাতগম্বুজ মসজিদে এসে শেষ হওয়ার কারণে রাস্তাটি সাতমসজিদ রোড বলে নামকরণ করা হয়েছে।
মোগল বাদশা জাহাঙ্গীরে দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ঢাকা শহরের আনাচে-কানাচে নানা মসজিদ তৈরি হতে থাকে। এ সময় ১৬৮০ সালে মোগল সুবাদার শায়েস্তা খাঁ এর আমলে তার পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি চারটি মিনার ও সাতটি গম্বুজের কারণে সাডগম্বুজ নামকরণ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর হয়ে রাস্তাটি সাতগম্বুজ মসজিদকে স্পর্শ করায় রাস্তাটির নামকরণ হয় সাতমসজিদ রোড। যদিও সাতমসজিদ নামে আশেপাশে কোনো মসজিদ নেই।
প্রশ্ন \ ২ \ শহিদ মিনারের মতো স্মৃতিসৌধ কেন গড়ে উঠেছে?
উত্তর : শহিদদের রক্তস্নাত স্মৃতিকে ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য রক্ষা করার প্রয়োজনেই শহিদ মিনারের ন্যায় স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
এই পৃথিবীতে অসংখ্য অগণিত জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এসব জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন পরাধীন। তাদের স্বাধীনতার পেছনে প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্ত ঝরার গল্প আছে। পাশাপাশি আছে হাজারো, লক্ষ প্রাণদানের করুণ কাহিনি। মূলত সেই সকল রক্তে ভেজা ইতিহাসের সাক্ষী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রাখতেই শহিদ মিনারের মতো স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ যুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : যুদ্ধ হয় রাজায় রাজায়, এক দেশ আরেক দেশ আর মুক্তিযুদ্ধ হয় স্বাধীনতার জন্য, একটি জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য।
যুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধের মতো পার্থক্য খুব সামান্য। একটি আধিপত্য বিস্তারের লড়াই অন্যটি শৃঙ্খল মুক্তির লড়াই। ১৯৭১ সালে আমরা যে যুদ্ধ করেছিলাম সেটি আর দশটি সাধারণ যুদ্ধের মতো যুদ্ধ নয়। মুক্তির জন্য যুদ্ধ, অধিকার আদায়ের যুদ্ধ।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘চাপ চাপ রক্তে এই জায়গার মাটি ভিজে গেছে’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শহিদ মিনারের প্রাঙ্গণের মাটি ভাষা শহিদদের চাপ চাপ রক্তে ভিজে গেছে।
শহিদ মিনার হলো‘‘ আমাদের ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের স্মৃতির মিনার। পাকিস্তানের শাসকেরা আমাদের বাঙালিদের ওপর তাদের উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালিরা তা মেনে নেয় নি। তাই ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারিতে ঠিক এই জায়গাটায় যখন তাঁরা উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল তখনই পাকিস্তানি পুলিশ গুলি করে অনেককে হত্যা করেছে। চাপ চাপ রক্তে এই জায়গার মাটি ভিজে গেছে। ওই রক্তের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৩৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. লেখক হারুন হাবীবের জন্ম কোথায়? (জ্ঞান)
জামালপুর খ কুমিল্লা গ ফরিদপুর ঘ সিরাজগঞ্জ
২. লেখক হারুন হাবীব কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৯৪৬ গ ১৯৪৭ ১৯৪৮
৩. হারুন হাবীব মূলত কী ছিলেন? (অনুধাবন)
ক কবি কথা সাহিত্যিক গ প্রবন্ধকার ঘ গল্পকার
৪. ‘ইষড়ড়ফ ধহফ ইৎঁঃধষরঃু’-গ্রন্থের লেখক কে? (জ্ঞান)
ক মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হারুন হাবীব ঘ হুমায়ুন আজাদ
৫. একাত্তরে রণাঙ্গনের সংবাদদাতা হিসেবে কে কর্মরত ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হাশেম খান হারুন হাবীব
গ হবীবুল্লাহ্ বাহার ঘ মামুনুর রশীদ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. হারুন হাবীব ছিলেন- (অনুধাবন)
র. একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা রর. একজন ভাষা সৈনিক
ররর. ’৭১ এর রণাঙ্গেনর সংবাদদাতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. হারুন হাবীব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে লিখেছেন- (অনুধাবন)
র. প্রচুর গল্প রর. প্রচুর কবিতা
ররর. প্রচুর প্রবন্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮. হারুন হাবীবের লেখা- (অনুধাবন)
র. প্রিয়যোদ্ধা রর. ছোটগল্প সমগ্র ১৯৭১
ররর. মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৩০-৩৩
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. অন্তুর মামার নাম কী? (জ্ঞান)
কাজল খ বকুল গ রাহুল ঘ সোহেল
১০. অন্তুর কাজল মামা বেশি একটা কোন শহরে আসে না? (জ্ঞান)
ঢাকা খ চট্টগ্রাম গ যশোর ঘ কুমিল্লা
১১. অন্তুর মামার কোথায় থাকতে ভালো লাগে? (জ্ঞান)
ক শহরে গ্রামে গ বিদেশে ঘ মহকুমার
১২. কাজল মামা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন? (জ্ঞান)
ক কলকাতা ঢাকা গ রাজশাহী ঘ রংপুর
১৩. কাজল মামা কত সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত? (জ্ঞান)
ক ১৯৫২ খ ১৯৬৬ গ ১৯৬৯ ১৯৭১
১৪. কাজল মামা পড়াশোনা করা অবস্থায় ঢাকা ছেড়ে দেন কেন? (অনুধাবন)
যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় খ পড়াশোনা ভালো না করায়
গ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘ অর্থের অভাব থাকায়
১৫. অন্তুর বড় মামা গ্রামে ঘুরে ঘুরে কী করতেন? (জ্ঞান)
মিছিল মিটিং খ সংগঠন করতেন
গ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেন ঘ টিকা দিতেন
১৬. কাজল মামাকে কে বকতেন? (জ্ঞান)
অন্তুর নানা খ অন্তুর মা গ অন্তুর নানি ঘ অন্তুর বাবা
১৭. অন্তুর নানা কাজল মামাকে বকতেন কেন? (অনুধাবন)
বিপদে পড়তে পারে বলে খ পড়াশোনা বাদ দিয়েছে বলে
গ পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় বলে ঘ কোনো কাজ করে না বলে
১৮. কাজল মামার যুদ্ধের গল্প শোনার জন্য কে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত? (জ্ঞান)
ক মিনি অন্তু গ লখা ঘ অন্তুর মা
১৯. অন্তু কাউকে না জানিয়ে কাজল মামার কাছে কতদিন আগে চিঠি লিখেছে? (জ্ঞান)
ক সাত-আট খ নয়-দশ দশ-বারো ঘ তেরো-চৌদ্দ
২০. অন্তু বরাবর রাত কয়টায় ঘুমিয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক আটটা-সাড়ে আটটা ন’টা-সাড়ে ন’টায়
গ দশটা-সাড়ে দশটায় ঘ এগারো-সাড়ে এগারোটা
২১. অন্তু সেদিন রাত দশটার পরেও জেগে থাকল কেন? (অনুধাবন)
কাজল মামা আসার অপেক্ষায় খ বাবা বাড়িতে আসার অপেক্ষায়
গ নানা ঢাকায় আসার অপেক্ষায় ঘ ঘুম আসার অপেক্ষায়
২২. অন্তুর বিশ্বাস কাজল মামা আর কারো কথা শুনুক আর না শুনুক কার কথা রাখবেই? (জ্ঞান)
ক মায়ের কথা নিজের কথা গ বাবার কথা ঘ নানার কথা
২৩. ভোরবেলায় অন্তুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে কে? (জ্ঞান)
ক মা কাজল মামা গ বাবা ঘ নানা
২৪. কাজল মামা ঢাকায় আসে কখন? (জ্ঞান)
ক সন্ধ্যায় খ মধ্য রাতে শেষ রাতে ঘ সকালে
২৫. কাজল মামা কয়দিন ঢাকায় থাকার কথা বলেন? (জ্ঞান)
ক চার পাঁচ গ ছয় ঘ সাত
২৬. কাজল মামা অন্তুকে কয়দিন সময় দিতে চান? (জ্ঞান)
ক তিন চার গ পাঁচ ঘ ছয়
২৭. অন্তু ও কাজল মামা কোন রোড থেকে একটি রিকশায় চেপে বসল? (জ্ঞান)
ক গ্রিন রোড মোহাম্মদপুরে নূরজাহান রোড
গ নিউমার্কেট এলিফ্যান্ট রোড ঘ পল্টন তোপখানা রোড
২৮. অন্তু ও কাজল মামা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক প্লেন মসজিদ রোড সাতমসজিদ রোড
গ গ্রিন রোড ঘ বিশ্বরোড
২৯. ঢাকা শহরের আগের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক জান্নাতবাদ জাহাঙ্গীরনগর গ নাছিরাবাদ ঘ মুজিবনগর
৩০. ‘পিতৃপুরুষের গল্পে’ কোন মসজিদের কথা উল্লেখ আছে?
সাতগম্বুজ মসজিদ খ প্লেন মসজিদ
গ ষাটগম্বুজ মসজিদ ঘ বায়তুল মোকাররম মসজিদ
৩১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন এলাকায়? (জ্ঞান)
নীলক্ষেত এলাকায় খ পল্টন এলাকায়
গ কাঁঠাল বাগান এলাকায় ঘ বিজয় সরণি এলাকায়
৩২. কাজল মামা কোন হলে থাকত? (জ্ঞান)
ক জগন্নাথ হলে খ জহুরুল হক হল
গ শহীদুল্লাহ্ হলে হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে
৩৩. কত সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে গ ১৯৭০ সালে ১৯৭১ সালে
৩৪. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কোন হলের কয়েক শত ছাত্রকে মাঠে দাঁড় করিয়ে একসাথে গুলি করে মেরেছিল? (জ্ঞান)
ক জগন্নাথ হলের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলের
গ জহুরুল হক হলের ঘ শহীদুল্লাহ্ হলের
৩৫. কারা প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীর গুলির শিকার হন? (জ্ঞান)
ক বুদ্ধিজীবীরা ছাত্ররা গ মুক্তিযোদ্ধারা ঘ নারীরা
৩৬. পৃথিবীতে যাঁরা স্বাধীন হয়েছেন তাঁদের স্বাধীনতার পেছনে কী আছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বহু রক্ত প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা
গ প্রচুর ধন-সম্পদ ঘ অসংখ্য জীবন
৩৭. ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ রচনার সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সেই ছেলেটি খ মরু-ভাস্কর লখার একুশে ঘ কাবুলিওয়ালা
৩৮. ‘পিতৃপুরুষের’ গল্পের বিষয়বস্তু কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অসহযোগ আন্দোলন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
গ অধিকার আন্দোলন ঘ স্বাধীনতার আন্দোলন
৩৯. অন্তু কীসের কাহিনি শুনতে আগ্রহী? (জ্ঞান)
নিজ জাতির অতীত সংগ্রামের খ নিজ পরিবারের পূর্বপুরুষদের
গ নিজ পাঠ্যবইয়ের গল্পের ঘ নিজ আত্মীয়স্বজনদের
৪০. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীনতার মূল সংগ্রাম শুরু হয় কখন? (জ্ঞান)
’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে খ ’৬০-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে
গ ’৭০-এর নির্বাচন থেকে ঘ ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে
৪১. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালিদের স্বাধীনতার মূল সংগ্রাম শুরু হয়ে কত বছর চলে? (অনুধাবন)
ক ১৭ বছর খ ১৮ বছর ১৯ বছর ঘ ২০ বছর
৪২. অন্তু ও কাজল মামা শহিদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে একুশে শহিদদের প্রতি কয় মিনিট শ্রদ্ধা জানায়? (জ্ঞান)
১ মিনিট খ ২ মিনিট গ ৩ মিনিট ঘ ৫ মিনিট
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. সাহস নিয়ে কাজল মামা বলতেন- (অনুধাবন)
র. বাঘা বাঙালিরা এবার যুদ্ধ করে রর. স্বাধীনতা এবার আসবেই
ররর. স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে পিছপা হব না
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. কাজল মামাকে ঢাকায় আনার জন্য অন্তুর মা অন্তুকে শিখিয়ে দিয়েছে- (অনুধাবন)
র. চিঠি লেখার জন্য রর. একুশে ফেব্রæয়ারিতে আসার জন্য
ররর. যুদ্ধের গল্প শোনার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৫. মামা বললেন- (অনুধাবন)
র. শেষ রাতে ট্রেনে এলাম রর. এসে দেখি ঘুমাচ্ছিল
ররর. অন্তু তুই পড়াশোনা করিস
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. অন্তু বলে- (অনুধাবন)
র. আজ কিন্তু উনিশ তারিখ রর. দুদিন বাদেই একুশে ফেব্রæয়ারি
ররর. দুদিন পরেই বিজয় দিবস
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. রিকশা চলছিল- (অনুধাবন)
র. লালমাটিয়া হয়ে রর. ফার্মগেট হয়ে
ররর. ধানমন্ডি হয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. যুদ্ধ হয়- (অনুধাবন)
র. রাজায় রাজায় রর. মানুষের লোভ লালসায়
ররর. এক দেশের সাথে আরেক দেশের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৯. ‘মুক্তিযুদ্ধ হয়- (অনুধাবন)
র. জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য
রর. সব অন্যায় অত্যাচার আর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য
ররর. স্বাধীনতার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫০. পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা ছাত্রদের ওপরে গুলি চালানোর কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ছাত্ররা তরুণ হওয়ায়
রর. পাকিস্তানিদের সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়
ররর. জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫১. আমরা শহিদ মিনারে ফুল দিই- (অনুধাবন)
র. ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
রর. ভাষা শহিদদের মর্যাদা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ধরে রাখার জন্য
ররর. ভাষা শহিদদের রক্তের ইতিহাস ধরে রাখার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫২. পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মূল সংগ্রাম শুরু হলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অসংখ্য মানুষ মারা যায়
রর. অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যায়
ররর. তারপর আসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৩ ও ৫৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“সে দিনও নেমেছিল ঢল-
শ্রাবণের নয়, ফালগুনের
জলের নয়, তাজা রক্তের;
যাতে ভাসিয়েছিল পাক সরকারের
সব অহংকার।”
৫৩. অনুচ্ছেদের কবিতাংশটির বিষয়বস্তু তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন রচনার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মরু-ভাস্কর খ শব্দ থেকে কবিতা
গ ছবির রং পিতৃপুরুষের গল্প
৫৪. অনুচ্ছেদে রচনার যে বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভাষা আন্দোলন রর. শহিদদের আত্মত্যাগ
ররর. গণআন্দোলনের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টিকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৩৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. ‘তিতিক্ষা’ শব্দটির অর্থ কী?
ক ত্যাগ সহনশীলতা গ অভিমান ঘ ঘৃণা
৫৬. সামরিক বাহিনী দ্বারা যখন রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনা করা হয়, তখন তাকে কোন শাসন ব্যবস্থা বলে? (অনুধাবন)
ক গণতান্ত্রিক শাসন খ প্রজাতান্ত্রিক শাসন
সামরিক শাসন ঘ রাজতান্ত্রিক শাসন
৫৭. ‘পিতামহ’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পিতার ভাই পিতার পিতা
গ পিতার শ্বশুর ঘ পিতার পিসেমশাই
৫৮. ‘প্রপিতামহ’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক পিতার পিতা পিতামহের পিতা
গ পিতামহের শ্বশুর ঘ পিতামহের ভাই
৫৯. ‘পূর্বপুরুষ’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? (জ্ঞান)
পূর্ব + পুরুষ খ পূব + পুরুষ গ পূর্ব + পূরুষ ঘ পুর্ব + পুরুষ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. ‘হানাদার বাহিনী’ বলতে বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. অন্যায়ভাবে আক্রমণকারীদের রর. পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের
ররর. ভাষা আন্দোলনকারীদের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. ‘পিতৃপুরুষের গল্প ’ রচনার শিক্ষণীয় বিষয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করা
রর. ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করা
ররর. রাজনীতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৩৪
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. ‘পিতৃপুরুষের গল্প’ গল্পের অন্তু কোথায় থাকে?
ক নোয়াখালী খ কলকাতা ঢাকা ঘ নিউইয়র্ক
৬৩. অন্তুর মনে কার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার আগ্রহ জাগে? (জ্ঞান)
কাজল মামার খ ……… গ বাবার ঘ মায়ের
৬৪. কাজল মামা ঢাকায় আসার জন্য অন্তু কেন অধীর আগ্রহে থাকে? (অনুধাবন)
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার জন্য
খ ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনার জন্য
গ পরির দেশের গল্প শোনার জন্য
ঘ গণঅভ্যুত্থানের গল্প শোনার জন্য
৬৫. একুশে ফেব্রæয়ারির কদিন আগে কাজল মামা ঢাকায় আসেন? (জ্ঞান)
ক একদিন দুদিন গ তিনদিন ঘ চারদিন
৬৬. অন্তু কাজল মামার কাছে ঢাকার কোন মসজিদের রাস্তার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে? (জ্ঞান)
ক প্লেন মসজিদ খ বায়তুল মোকারম মসজিদ
সাতমসজিদ ঘ তারা মসজিদ
৬৭. অন্তু কাজল মামার কাছে কী ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে? (অনুধাবন)
বাঙালি জাতির পিতৃপুরুষ সম্পর্কে
খ বাঙালি জাতির অতীত ঐশ্বর্য সম্পর্কে
গ বাঙালি জাতির পূর্ব-পুরুষের ঐতিহ্য সম্পর্কে
ঘ বাঙালি জাতির নারীদের ঐতিহ্য সম্পর্কে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. কাজল মামার কাছে অন্তু অতীত সম্পর্কে তথ্যনির্ভর ইতিহাস জানতে পারে তা হলো- (অনুধাবন)
র. ঢাকা শহরের নামের ইতিহাস
রর. সাতমসজিদ রাস্তার নামের ইতিহাস
ররর. ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নামের ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. অন্তু কাজল মামার কাছে অতীত সম্পর্কে জানতে পারে- (অনুধাবন)
র. পঁচিশে মার্চের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণ
রর. ছাত্রদের প্রতিবাদী ভ‚মিকার কথা
ররর. যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পার্থক্যের কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭০. ঢাকা শহরে রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে কিশোর অন্তু যে সম্পর্কে ধারণা লাভ করে তা হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. স্মৃতিসৌধ রর. মাতৃভাষা আন্দোলন
ররর. ছাত্র আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর