রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
সেলিনা হোসেন
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য
লেখক পরিচিতি
নাম সেলিনা হোসেন।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪৭। জন্মস্থান : রাজশাহী। পৈতৃক নিবাস : ল²ীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রাম।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : পিএন গার্লস হাইস্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক : রাজশাহী মহিলা কলেজ। উচ্চতর শিক্ষা : বিএ সম্মান, এমএ (বাংলা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন।
সাহিত্য সাধনা জলোচ্ছ¡াস, হাঙর নদী গ্রেনেড, মগ্ন চৈতন্যে শিস, পোকামাকড়ের ঘরবসতি, যাপিত জীবন, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি, কাঁটাতারে প্রজাপতি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প ইত্যাদি।
বিশেষ কৃতিত্ব তার লেখা গল্প, উপন্যাস বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার লিখিত উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৭), সুরমা চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্মৃতি পুরস্কার (ভারত) এবং সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভ‚ষিত করে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শরীফা ও নীলা দুজনেই মানব সেবায় নিয়োজিত। শরীফা খুঁজে খুঁজে অসহায় মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাঁধা এলেও এ বিষয়ে তিনি আপোস করেন নি। অন্যদিকে নীলা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষকে, রোগ, দুঃখ ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করেন।
ক. বেগম রোকেয়া কার অনুপ্রেরণায় সাহিত্য রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন?
খ. বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীর অবস্থা কেমন ছিল? বুঝিয়ে লেখ।
গ. শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানব সেবার ক্ষেত্রে নীলা ও বেগম রোকেয়ার ভ‚মিকার তুলনামূলক আলোচনা কর।
ক ভাই ইব্রাহীম সাবেরের অনুপ্রেরণায় বেগম রোকেয়া সাহিত্য রচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
খ বেগম রোকেয়া সময়ে নারীর অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়।
বেগম রোকেয়া যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন তখন বাঙালি মুসলিম সমাজে শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন ছিল না। শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি, সামাজিক প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে মুসলমানরা ছিল পিছিয়ে। মেয়েদের অবস্থান ছিল আরো শোচনীয়। পর্দাপ্রথা কঠোরভাবে মানা হতো বলে মেয়েদের শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ ছিল না।
গ শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা প্রসারের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে আমরা পাই বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীদের শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ ছিল না। পর্দা প্রথা দেখে শিক্ষা লাভের জন্য বাইরে বের হওয়া ছিল অসম্ভব। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয়, বাঙালি মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলোর দিকে এগুতে থাকে। দুঃস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য তিনি ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্দীপকের শরীফা বাড়িতে বাড়িতে খুঁজে অসহায় মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাঁধা এলেও তিনি থেমে যাননি বা আপোস করেননি কোনো কিছুর সাথে। মানব সেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে নারীর আত্মিক উন্নতির জন্য শরীফা নিরলস কাজ করে গেছেন। ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে লেখক বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কাজেই শরীফার কাজে বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা প্রসারের দিকটি ফুটে উঠেছে।
ঘ মানব সেবার ক্ষেত্রে নীলা ও বেগম রোকেয়া উভয়ের ভ‚মিকা অপরিসীম।
‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে আমরা পাই, বেগম রোকেয়া শুধু নারী শিক্ষার জন্যই কাজ করেন নি। তিনি মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মুসলমানরা তখন শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি, সামাজিক প্রতিষ্ঠার দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল। রোকেয়া তার খেনির মধ্য দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। নারীদের মধ্যে জাগরণের সূত্রপাত করেন। দুঃস্থ নারীদের সেবায় তিনি ‘আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্দীপকের নীলা এক মহিয়সী নারী যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষকে রোগ, দুখ ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য কাজ করেন তিনি।
বেগম রোকেয়া শুধু নারী জাগরণের অগ্রদূতই নন, তিনি ছিলেন মানবদরদি এক মহীয়সী নারী। সামাজিক শত বাঁধা অতিক্রম করে তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে ব্রতী হয়েছিলেন। সফলও হয়েছেন। তাঁর লেখনী ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত নারী সংগঠন নারী জাগরণের ক্ষেত্রে অনন্য ভ‚মিকা পালন করেছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের নীলা নিজের সুখ-সমৃদ্ধির কথা না ভেবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কয়েকটি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাই বলা যায় সমাজের কল্যাণের জন্য নীলা ও বেগম রোকেয়া উভয়েই স্বীয় ক্ষেত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শরীফা চৌধুরী হার না মানা মনোভাব ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু শৈশবে তিনি পড়াশোনার তেমন সুযোগ পান নি। জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝতে পেরেছেন, সমাজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। তাই তিনি খুঁজে খুঁজে অসহায় মেয়েদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। শত বাধা এলেও মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে আপস করেন নি তিনি।
ক. বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. বেগম রোকেয়াকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়েছে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অনুচ্ছেদের শরীফা চৌধুরী এবং বেগম রোকেয়ার শৈশবে কী অমিল লক্ষ করা যায়? আলোচনা কর। ৩
ঘ. শরীফা চৌধুরী বেগম রোকেয়ার অসমাপ্ত কাজকেই পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেনÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বেগম রোকেয়া রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
খ নারী শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য রোকেয়াকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়।
বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলিম সমাজের নারীদের অবস্থান ছিল পেছনের সারিতে। সে সময় নারীদের ন্যূনতম শিক্ষার অধিকার ছিল না। এমন এক পরিস্থিতিতে বেগম রোকেয়া স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিক‚ল পরিবেশে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি মেয়েদের শিক্ষার আলোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সমিতি গঠন করেন। নিজের লেখনীশক্তি দ্বারা নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেন। এসব অবদানের জন্যই তাকে নারীমুক্তির অগ্রদূত বলা হয়।
গ রোকেয়া শৈশবে শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও উদ্দীপকের শরীফা চৌধুরী তেমন সুযোগ পাননি।
বেগম রোকেয়া এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি উচ্চশিক্ষিত সংস্কৃতিমনা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়ার প্রতি রোকেয়ার প্রবল আগ্রহ দেখে তার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের তাকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। আত্মীয়স্বজন উর্দু, ফারসি পড়ায় মেয়েদের বাধা না দিলেও বাংলা পড়ার ব্যাপারে ঘোরবিরোধী ছিল। বেগম রোকেয়া পড়ালেখার বিষয়ে প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও পড়ালেখার সুযোগ করে নিয়েছিলেন।
উদ্দীপকের শরীফা বেগমের ক্ষেত্রে আমরা দেখি তিনি বেগম রোকেয়ার মতো হার না মানা মনোভাব আর কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছেন, সমাজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। প্রবল ইচ্ছা শক্তির জোরে তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। ফলে তিনি বুঝেছেন যে, মেয়েদেরকে অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেও শৈশবে পড়ালেখার তেমন সুযোগ পাননি। প্রতিক‚ল পরিবেশে জš§গ্রহণ করেও বেগম রোকেয়া লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু উদ্দীপকের শরীফা বেগম তা পাননি। মূলত শৈশবে শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি বেগম রোকেয়ার সঙ্গে শরীফা চৌধুরীর অমিল তৈরি করেছে।
ঘ বেগম রোকেয়ার নারীশিক্ষার জন্য আমরণ সংগ্রামের অসমাপ্ত কাজকেই পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন উদ্দীপকের শরীফা চৌধুরী।
বেগম রোকেয়া রংপুরের অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তৎকালীন সমাজে শিক্ষালাভ করা তার জন্য সহজ ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে রোকেয়া তার বড়ভাই ও বোনের সহযোগিতায় বাংলা, ফারসি, উর্দু ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। এরপর স্বামীর সহযোগিতায় ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি অভিভাবকদের কাছে আবেদন-নিবেদন করে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করান। তিনি সমাজের দুস্থ মহিলাদের সব ধরনের সহায়তার জন্য ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামে মহিলা সংগঠন দাঁড় করান। উদ্দীপকেও আমরা দেখি শরীফা চৌধুরীও শৈশবে পড়ালেখার তেমন সুযোগ পাননি। কিন্তু তিনি জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন মেয়েদের পিছিয়ে থাকার কথা।
বেগম রোকেয়া প্রতিক‚ল পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষালাভ করে নারীদেরকে শিক্ষিত করার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। শরীফা চৌধুরীও নারীশিক্ষার জন্য অসহায় নারীদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন, শত বাধা উপেক্ষা করে। আর এভাবে তিনি বেগম রোকেয়ার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, শরীফা চৌধুরী বেগম রোকেয়ার অসমাপ্ত কাজকেই পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
মাদার তেরেসা আজীবন মানুষের সেবা করেছেন। তাঁর সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। আমাদের বাংলাদেশ থেকে শুরু করে সমস্ত পৃথিবী জুড়েই তাঁর সেবা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে রোগ, দুঃখ, দারিদ্র্য, অসহায়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেখানেই মাদার তেরেসা তার সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাদার তেরেসা ছিলেন সকল সমাজের, সকল দেশের।
ক. বেগম রোকেয়া কোথায় জš§গ্রহণ করেন? ১
খ. বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীর অবস্থা কেমন ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মাদার তেরেসার কাজের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার কাজের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘বেগম রোকেয়াও সেবা করেছেন, অন্যরকম সেবা।’-প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বেগম রোকেয়া রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জš§গ্রহণ করেন।
খ বেগম রোকেয়ার সমসাময়িক নারীদের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়।
বেগম রোকেয়া যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেন সে সময়ে বাঙালি মুসলমান সমাজে শিক্ষার তেমন প্রচলন ছিল না। ফলে মেয়েদের অবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। কঠোর পর্দাপ্রথার কারণে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। নানা রকম বাধার কারণে নারীরা প্রায় বন্দি জীবনযাপনে বাধ্য ছিল। ফলে সামান্য কিছু ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল।
গ মাদার তেরেসা বিশ্বব্যাপী মানবসেবায় নিয়োজিত থাকলেও বেগম রোকেয়া কেবল বাঙালি সমাজের গণ্ডিতেই কাজ করেছেন আর এখানেই তাদের দুজনের কাজের বৈসাদৃশ্য।
মাদার তেরেসা এবং বেগম রোকেয়া উভয়ে সমাজের সেবার জন্য কাজ করলেও উভয়ের কাজের ধরন ছিল ভিন্ন। বেগম রোকেয়া বাঙালি নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য কাজ করেছেন এবং মাদার তেরেসা করেছেন বিশ্বমানবতার জন্য।
উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদার তেরেসা আজীবন মানুষের সেবা করেছেন। তাঁর সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। আমাদের বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীজুড়ে তাঁর সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে রোগ, দুঃখ, দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেখানেই মাদার তেরেসা তার সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাদার তেরেসা ছিলেন সব সমাজের, সব দেশের। অপরদিকে বেগম রোকেয়ার সেবার পরিধি ছিল নিজ দেশে সীমাবদ্ধ। আর মাদার তেরেসার সেবা ছিল বিশ্বব্যাপী। তাই বলা যায়, তাদের দুজনের কাজ ছিল সেবা করা কিন্তু সেটা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের।
ঘ ‘বেগম রোকেয়াও সেবা করেছেন। অন্যরকম সেবা।’ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
নারীদের শিক্ষিত করার মাধ্যমে রোকেয়া সমাজের উপকার করেছেন; মাদার তেরেসার সেবাকাজের মতোই তিনি সমাজের সেবা করেছেন একটু ভিন্নভাবে।
বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির অগ্রপথিক। সমকালীন বাঙালি মুসলমান সমাজে নারীরা যখন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, তখন বেগম রোকেয়া এগিয়ে আসেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করান। সমাজের নানাবিধ বাধা উপেক্ষা করে পর্দাপ্রথার কঠোরতা রক্ষা করে মেয়েদের শিক্ষার সুশীতল ছায়াতলে আনেন। উদ্দীপকের আলোকে আমরা বলতে পারি, মাদার তেরেসা তার সারাটা জীবন মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। তার সেবার পরিধি কোনো দেশ-কাল-সমাজের সীমায় আবদ্ধ থাকেনি যেখানে রোগ, শোক, দুঃখ-দারিদ্র্য, অসহায়ত্ব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেখানেই মাদার তেরেসা তার সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ‘মাদার তেরেসা’ যেমন মানব জাতির বিভিন্ন সমস্যায় সেবা করেছেন, তেমনি বেগম রোকেয়াও তার মেধা ও মনন দ্বারা নারীজাতিকে স্বীয় অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করে তোলার প্রয়াস চালিয়েছেন।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
কামরুন্নাহার রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার পরিবারে সামান্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত। কিন্তু কামরুন্নাহার পড়ালেখা করে অনেক বড় হতে চায়। কামরুন্নাহারের মা মেয়েকে পড়ালেখা করানোর ব্যাপারে আগ্রহী। কামরুন্নাহারের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া বড়ভাই আসাদ কামরুন্নাহারের পড়ালেখার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে বাবাকে অনেক অনুরোধ করে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। কামরুন্নাহার কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। তারপর উচ্চশিক্ষা শেষ করে কামরুন্নাহার এক সময় বিদেশে পাড়ি জমায়।
ক. রোকেয়ার দুই ভাই কোথায় উচ্চশিক্ষা লাভ করেন? ১
খ. বেগম রোকেয়ার জন্মের সময় বাঙালি মুসলমান সমাজ ব্যবস্থা কেমন ছিল? ২
গ. শিক্ষালাভের প্রচেষ্টায় কামরুন্নাহারের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল কোথায়? নির্ণয় কর। ৩
ঘ.‘তাদের শিক্ষালাভের প্রচেষ্টা অভিন্ন হলেও তার প্রয়োগের ক্ষেত্র ভিন্ন’Ñ বেগম রোকেয়া ও কামরুন্নাহারের ক্ষেত্রে এই উক্তিটি কতখানি যথার্থÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বেগম রোকেয়ার বড় দুই ভাই কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
খ বেগম রোকেয়ার জন্মের সময় বাঙালি মুসলমান সমাজ পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর পর্যায়ে ছিল।
উনিশ শতকের শেষ দিকে রোকেয়ার জন্ম। এ সময় বাঙালি মুসলমান সমাজ শিক্ষাদীক্ষায় হিন্দুদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। বেগম রোকেয়ার জšে§র সময়ে বাঙালি নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় ব্যাপক পিছিয়ে ছিল। কুসংস্কারাচ্ছন্ন গোড়া সমাজ ব্যবস্থার কারণে মেয়েদের অবস্থা শোচনীয় ছিল। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা প্রকার কুসংস্কার লালনের কারণে মুসলমানরা তৎকালীন সময়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। এ সময় পর্দাপ্রথার কঠোর অবস্থানের কারণে মুসলমান নারী শিক্ষালাভে বঞ্চিত ছিল।
গ শিক্ষালাভের প্রচেষ্টায় অদম্য মনোবল, কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার ক্ষেত্রে কামরুন্নাহারের সাথে বেগম রোকেয়ার মিল রয়েছে।
বেগম রোকেয়ার সময়ে মেয়েদের পর্দা ঠেলে থেকে বাহিরে এসে শিক্ষা লাভের সুযোগ ছিল না। বেগম রোকেয়া অনড় মনোবল নিয়ে ভাই-বোনের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য চর্চা ও শিক্ষা লাভ করেন।
উদ্দীপকের কামরুন্নাহারের ক্ষেত্রেও একই প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। কামরুন্নাহারের পরিবার রক্ষণশীল মুসলিম পরিবার হওয়ায় মেয়েদের সামান্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেই বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কামরুন্নাহারের মধ্যে শিক্ষালাভের ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তাই তো মায়ের আগ্রহে কামরুন্নাহার পড়ালেখা চালিয়ে যান। কামরুন্নাহারের বড়ভাই আসাদ কামরুন্নাহারকে তার নিজের কাছে নিয়ে যান।
কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে কামরুন্নাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অর্থাৎ শিক্ষালাভের জন্য কামরুন্নাহারের যে প্রবল আগ্রহ, দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম লক্ষ করা যায়, বেগম রোকেয়ার চারিত্রিক গুণাবলির সাথে তার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ঘ ‘তাদের শিক্ষালাভের প্রচেষ্টা অভিন্ন হলেও তার প্রয়োগের রকম ভিন্ন’-বেগম রোকেয়া ও কামরুন্নাহারের ক্ষেত্রে উক্তিটি যথার্থ।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন পারিবারিক অনুশাসনে বাংলা, ইংরেজি শিক্ষালাভ করতে বাধাগ্রস্ত হন। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা আর ভাইবোনের সহযোগিতায় তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। স্বামীর সহযোগিতায় শিক্ষা ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেন। তৎকালীন সমাজের নারীদের পশ্চাৎপদ অবস্থা তাকে ব্যথিত করেছে। তাই তো একক প্রচেষ্টায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। সমাজের দুস্থ নারীদের সহায়তার জন্য মহিলা সমিতি গঠন করেছিলেন।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি, প্রতিক‚ল পরিবেশে কামরুন্নাহার শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। নিজের অদম্য স্পৃহা আর কঠোর মনোবল নিয়ে ভাইয়ের ও মায়ের সহায়তায় কামরুন্নাহারের পক্ষে উচ্চ শিক্ষা লাভ করা সম্ভব হয়। কামরুন্নাহার উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ সমাপ্ত করে স্থায়ীভাবে বিদেশে পাড়ি জমায়। এখানেই বেগম রোকেয়ার সঙ্গে তার অমিল।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, ‘শিক্ষালাভের প্রচেষ্টা অভিন্ন হলেও তার প্রয়োগের ক্ষেত্র ভিন্ন বেগম রোকেয়া ও কামরুন্নাহারের ক্ষেত্রে উক্তিটির যথার্থতা পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই জয়িতার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুতে জয়িতা হতবিহŸল হয়ে পড়েন। অল্পদিনের মধ্যেই নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন জয়িতা। স্বামীর স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্বামীর নামে একটি গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক পরিশ্রম করে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিজেই তাদের শিক্ষা দান করেন। জয়িতার এ নিষ্ঠা ও পরিশ্রম এলাকাবাসীকে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করে। তারা জয়িতার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। দলে দলে মেয়ে ভর্তি হয় স্কুলে। চারদিকে জয়িতার নাম ছড়িয়ে যায়। ‘অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায়’Ñ জয়িতা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ক. বেগম রোকেয়ার স্বামী পেশায় কী ছিলেন? ১
খ. বেগম রোকেয়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষা লাভ করেন কীভাবে? ২
গ. বেগম রোকেয়া ও উদ্দীপকের জয়িতার ঘটনাবলির মধ্যে বৈসাদৃশ্য কোথায়? ৩
ঘ. ‘অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায়’Ñউক্তিটি রোকেয়ার জীবনে কতখানি সত্যÑ পর্যালোচনা কর। ৪
ক বেগম রোকেয়ার স্বামী পেশায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
খ বেগম রোকেয়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষা লাভ করেন তার বড়বোন করিমুন্নেসার সাহায্যে।
বেগম রোকেয়া রক্ষণশীল মুসলমান সমাজে বেড়ে ওঠেন। পরিবারের সদস্যদের আগ্রহে উর্দু, ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। বাংলা ভাষায় শিক্ষালাভ করার ব্যাপারে তার পরিবার ঘোরবিরোধী ছিল। কিন্তু তার বড়বোন করিমুন্নেসার অনুপ্রেরণায় বেগম রোকেয়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। শৈশবে করিমুন্নেসার স্নেহধন্য হয়ে বর্ণপরিচয় দিয়ে বাংলা ভাষা শেখার হাতেখড়ি ঘটে তার।
গ শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়াকে যে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে উদ্দীপকের জয়িতাকে তা হতে হয়নি।এ বিষয়টি উভয়ের জীবনের ঘটনাবলির মধ্যে বৈসাদৃশ্য সূচিত করছে।
বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার জন্য নিজে শিক্ষিত হয়ে সমকালীন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত নারী জাতিকে শিক্ষিত করতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। একক উদ্যোগে নিজ পরিশ্রমে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তাকে নানা প্রতিক‚লতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রথম অবস্থায় মাত্র পাঁচজন ছাত্রী দিয়ে স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। তারপর তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের অনুরোধ করে ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। ছাত্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে তাকে নানা প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করতে হয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে জয়িতার স্বামী মারা গেলে স্বামীর স্মৃতিকে ধরে রাখতে স্বামীর নামে একটি গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। জয়িতা প্রথম অবস্থায় ভীষণ প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষাক্রম চালু করেছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তার এ মহতী কাজ, কঠোর পরিশ্রম যখন সবার নজরে এসেছে, তখন মানুষ তার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। বেগম রোকেয়ার সময়ে তাকে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে ছাত্রী সংগ্রহের ব্যাপারে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকের জয়িতার এমন কঠিন কোনো সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়নি। এখানেই রোকেয়ার সঙ্গে জয়িতার ঘটনাবলির বৈসাদৃশ্য।
ঘ “অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায়”Ñ উক্তিটি রোকেয়ার জীবনের ক্ষেত্রে ধ্র“ব সত্য।
‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে বেগম রোকেয়ার নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চিত্রায়িত হয়েছে। আপন মেধা, মনন ও পরিশ্রম দিয়ে রোকেয়া বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি বাঙালি মুসলিম নারীকে শিক্ষিত করে তুলতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আর তা করতে গিয়ে তাকে নানা প্রতিক‚লতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। চরম প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও তিনি দৃঢ় মনোবল দ্বারা সকল সন্ধ্যা মোকাবিলা করেছেন।
উদ্দীপকের জয়িতাও স্বামী মারা যাওয়ার পর মনোবল না হারিয়ে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার কাজে মনোনিবেশ করেন। স্বামীর নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। দৃঢ় মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করেন। বেগম রোকেয়ার মতোই তিনি নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। জয়িতার সে পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল একপর্যায়ে জয়িতাকে সফল করবে। ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, দৃঢ় মনোবল আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জয়িতা ও বেগম রোকেয়ার যে সাফল্য তা আমাদের উদ্দীপ্ত করে।
উল্লিখিত আলোচনায় বলতে পারি, ‘অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনে সফল হওয়া যায়।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
মুক্তিযোদ্ধা আরজ আলী তার শৈশবে অভাবের সংসারে লেখাপড়া করতে পারেননি। তাই যারা অভাবের কারণে পড়ালেখা করতে পারে না, তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। তিনি তার আশপাশের গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে অভিভাবকদের পড়ালেখার গুরুত্ব বোঝান। গ্রামের এক জায়গায় ছাত্রছাত্রী জমায়েত করে পড়ালেখা কেন প্রয়োজন এ কথা প্রচার করেন। তিনি তাদের বলেন, ‘দৃঢ় মনোবল আর অদম্য সাহস নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। তোমাদের কর্তব্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভালো কিছু করে যাওয়া।’
ক. বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত স্কুলের নাম কী? ১
খ. বেগম রোকেয়া মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আরজ আলীর সঙ্গে বেগম রোকেয়ার সাদৃশ্য কোথায়? ৩
ঘ.‘উদ্দীপকের আরজ আলী সম্পূর্ণরূপে বেগম রোকেয়ার প্রতিরূপ নন’Ñ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত স্কুলের নাম ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।’
খ পশ্চাৎপদ নারীসমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে তাদের অধিকার, কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতেই বেগম রোকেয়া মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
বেগম রোকেয়া যে মুসলিম সমাজে বেড়ে ওঠেন সে সমাজ মূলত শিক্ষাদীক্ষায়, চাকরি, সামাজিক মর্যাদা লাভে পিছিয়ে ছিল। নারীদের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। পর্দাপ্রথার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে নারীরা শিক্ষার আলো থেকে নিরন্তর বঞ্চিত হয়। ফলে নারীরা তাদের অধিকার, কর্তব্য সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়। পশ্চাৎপদ নারীরা সমাজের সামাজিক অবস্থা দেখে বেগম রোকেয়ার মন কেঁদে ওঠে। ফলে বেগম রোকেয়া নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
গ শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝানোর ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার সাথে আরজ আলীর সাদৃশ্য বিদ্যমান।
বেগম রোকেয়া প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে শিক্ষালাভ করেছেন। ফলে শিক্ষার গুরুত্ব তিনি নিজে উপলব্ধি করে অন্যকেও তার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। আরজ আলীও শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরে অভিভাবকদের কাছে গিয়েছেন শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে। এখানেই বেগম রোকেয়ার সাথে আরজ আলীর সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, আরজ আলী অভাবের কারণে শিক্ষালাভ করতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার গুরুত্ব তিনি বুঝতে পেরেছেন। তাই তার মতো যারা শিক্ষালাভে বঞ্চিত হয়েছে তাদের শিক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। বেগম রোকেয়ার মতোই তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। আরজ আলী ছাত্রছাত্রীদের মাঝেও শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। নারীদের শিক্ষা অর্জনের জন্য মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বাবা-মাকে নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এখানেই উদ্দীপকের আরজ আলীর সাথে বেগম রোকেয়ার সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ ‘উদ্দীপকের আরজ আলী সম্পূর্ণরূপে বেগম রোকেয়ার প্রতিরূপ নন’- এ মন্তব্যটি যথার্থ।
বেগম রোকেয়া জীবনের শুরু থেকে প্রতিক‚লতার মধ্যে লেখাপড়া করে নারীশিক্ষার উন্নয়নের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানুষকে পড়ালেখার গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। আরজ আলী অবহেলিত বঞ্চিতদের পড়ালেখার ভার নিয়েছেন। মানুষকে পড়ালেখার গুরুত্বের কথা বুঝিয়েছেন।
উদ্দীপকের আরজ আলী অভাবের কারণে পড়ালেখা করতে পারেননি। তাই যারা অভাবের কারণে পড়ালেখা করতে পারে না তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। তিনি তার আশপাশের সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য পড়ালেখার ব্যবস্থা করেছেন। তবে সামগ্রিক অর্থে তিনি শিক্ষার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেননি। রোকেয়া জীবনের শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তিনি নিজে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন প্রতিক‚ল পরিবেশে এবং নারী শিক্ষার জন্য সারাজীবন ব্যয় করেছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, আরজ আলী অনেকাংশে বেগম রোকেয়ার প্রতিরূপ হলেও সামগ্রিকভাবে বেগম রোকেয়ার প্রতিরূপ নন।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
জামাল গরিব ঘরের সন্তান। বাবা মারা যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব তাকেই নিতে হয়েছে। ছোট দুই ভাইবোনের পড়ালেখার খরচ জোগাতে হয়েছে। এদিকে জামালের নিজের অদম্য ইচ্ছা পড়ালেখা করার। তাই দিনের বেলা রিকশা চালিয়ে জামাল রাতে পড়তে বসে, এরই ফাঁকে স্কুলে যায়। নানা প্রতিক‚লতার মাঝে কঠোর পরিশ্রম আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে জামাল পড়ালেখা চালিয়ে যায় এবং এসএসসি পরীক্ষায় অ+ অর্জন করে। পত্রিকা থেকে প্রতিবেদন নিতে এলে জামাল তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা বলেÑ ‘যারা সুযোগের অভাবে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালানোই আমার প্রধান দায়িত্ব কর্তব্য।’
ক. বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত মহিলা সংগঠনের নাম কী? ১
খ. লেখিকা রোকেয়াকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জামালের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ.যারা সুযোগের অভাবে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালানোর ক্ষেত্রে জামাল ও রোকেয়ার লক্ষ্য কি এক? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত মহিলা সংগঠনের নাম ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম।’
খ বেগম রোকেয়া ভবিষ্যতের পৃথিবীকে সুন্দর করার জন্য নারী মুক্তির প্রধানতম উপায় হিসেবে নারী শিক্ষাকে চিহ্নিত করেছেন বলেই তাকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলেছেন।
রোকেয়া শৈশব থেকেই শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তখন বাঙালি মুসলিম নারীদের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। বাঙালি মুসলিম সমাজকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি মেয়েদেরকে শিক্ষিত হতে বলেন। তার মতে শিক্ষাই নারী মুক্তির পথে মেয়েদের এগিয়ে নিতে পারে। নারীরা উন্নত হলে সমাজ ও দেশ উন্নত হবে। এ কারণে লেখিকা বেগম রোকেয়াকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলেছেন।
গ উদ্দীপকের জামালের সাথে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে বেগম রোকেয়ার সাদৃশ্য রয়েছে।
বেগম রোকেয়া ভাইবোনের সহযোগিতায় পড়ালেখা করার সুযোগ পেলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে তাকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। উদ্দীপকের জামালের ক্ষেত্রেও আমরা দারিদ্র্যপীড়িত সংসারে কঠোর পরিশ্রম করে তাকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে দেখি।
উদ্দীপকের জামালের ক্ষেত্রেও দেখি দৃঢ় মনোবল আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জামাল প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে পড়ালেখা চালিয়ে যান। পিতার অনুপস্থিতিতে সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করতে জামালকে রিকশা চালাতে হয়। এমতাবস্থায় সংসার চালানো, রিকশা চালানোর ফাঁকে স্কুলে যাওয়া ও রাতের বেলা পড়ালেখা করে এসএসসি পরীক্ষায় অ+ অর্জন করা মূলত জামালের দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমেরই নিদর্শন। তাই বলা যায়, জামাল ও বেগম রোকেয়ার সাদৃশ্য এই যে, দুজনই কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন এবং সফল হয়েছেন।
ঘ যারা সুযোগের অভাবে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালানোর ক্ষেত্রে জামাল ও রোকেয়ার লক্ষ্য ভিন্ন।
বেগম রোকেয়া নারীকে তার অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করতে, নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে অবহিত করতে এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত করতে লেখনী ধারণ করেছিলেন। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে নারীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। এ শিক্ষা শুধু নারীকে শিক্ষিত করে তুলবে না, নারীর অধিকার সম্পর্কে, কর্তব্য সম্পর্কে তাকে সচেতন করবে। তিনি নারীর অবস্থান সম্পর্কে তাদেরকে সজাগ করার চেষ্টা করেছেন, নারীকে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন।
উদ্দীপকে আমরা দেখি জামাল নিজে অনেক প্রতিক‚লতার মধ্য দিয়ে লেখাপড়া শিখেছেন। তাই বঞ্চিতদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালানোই তার প্রধান লক্ষ্য। আর শিক্ষার আলো জ্বালানোই বেগম রোকেয়ার একমাত্র লক্ষ্য নয়। শিক্ষার আলো জ্বালানোর পাশাপাশি নারীকে তার মুক্তির পথ দেখাতে বেগম রোকেয়া সাহিত্য রচনা করেছেন। জামালের লক্ষ্য যেখানে শিক্ষার আলো জ্বালানো বেগম রোকেয়া সেখানে বৃহত্তর অর্থে শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েছেন।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, উদ্দীপকে জামালের লক্ষ্যের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার লক্ষ্যের গতিপথের মিল নেই।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
কলকাতার এক অতি নোংরা বস্তিতে মাদার তেরেসা প্রথম স্কুল খুললেন। বেঞ্চ-টেবিল কিছু নেই, মাটিতে দাগ কেটে শিশুদের শেখাতে লাগলেন বর্ণমালা। অসুস্থদের সেবার জন্য খুললেন চিকিৎসাকেন্দ্র। ধীরে ধীরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অনেক মানুষ। মাদার তেরেসার কাজের পরিধি ক্রমাগত বেড়ে চলল। তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন আরো অনেক সন্ন্যাসিনী। তাদের নিয়ে গড়লেন মানবসেবার সংঘ-‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’।
ক. বেগম রোকেয়া রচিত ‘পিপাসা’ কোন পত্রিকায় ছাপা হয়। ১
খ. বেগম রোকেয়া কীভাবে তাঁর স্কুলে ছাত্রী সংগ্রহ করতেন? ২
গ. অনুচ্ছেদের মাদার তেরেসার সঙ্গে বেগম রোকেয়ার কাজের পার্থক্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “সেবার মহান ব্রতই মাদার তেরেসা ও বেগম রোকেয়াকে চিরজীবী করে রাখবে।”-মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক বেগম রোকেয়া রচিত ‘পিপাসা’ ‘নবপ্রভা’ পত্রিকায় ছাপা হয়।
খ বেগম রোকেয়া ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁর স্কুলের জন্য ছাত্রী সংগ্রহ করতেন।
রোকেয়া বাঙালি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য শুধু স্কুলই প্রতিষ্ঠা করেন নি। ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। তাঁর নিরলস পরিশ্রমে নারী শিক্ষার অগ্রগতি সূচিত হয়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উপায়, উপকরণ ও কাজের দিক দিয়ে রোকেয়া ও মাদার তেরেসার পার্থক্য আলোচনা কর।
ঘ মাদার তেরেসা ও বেগম রোকেয়ার সেবার দিকটি তুলে ধর।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ
ব্রিটিশ-ভারতে বঙ্গীয় মুসলমান নারীসমাজ ছিল অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের নিগড়ে আবদ্ধ। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা ও সামাজিক ভেদ-বুদ্ধিও ছিল তাদের জন্য নিয়তির মতো সত্য। অবরুদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক অসহায় জীবে তারা পরিণত হয়েছিল। শিক্ষাগ্রহণ ও জীবিকা অর্জনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা লাভ করা সম্ভব এ বিষয়টি তাদের কাছে ছিল একেবারেই অজ্ঞাত।
ক. বেগম রোকেয়ার স্বামীর নাম কী? ১
খ. রোকেয়াকে মহীয়সী নারী বলার কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধের মিল-অমিল দেখাও। ৩
ঘ. ‘নারীর এই অসহায় পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী সমাজের নীতিনির্ধারক।’Ñ উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক বেগম রোকেয়ার স্বামীর নাম সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
খ বেগম রোকেয়া সামাজিক বাঁধার দেয়াল অতিক্রম করে মানবতার কল্যাণে অসাধ্য সাধন করার জন্য তাকে মহীয়সী নারী বলা হয়।
বেগম রোকেয়ার সময়ে পর্দা প্রথা পরিহার করে নারীর শিক্ষা অর্জনের সুযোগ ছিল না। বেগম রোকেয়া তাই ভাই-বোনের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় সাহিত্য চর্চা করেন ও সুশিক্ষিত হয়। নারী শিক্ষায় উন্নয়নে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। দুঃস্থ নারীদের সহায়তার জন্য নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। সমাজ সচেতনতামূলক বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা ও নারী জাগরণের পথিকৃত হিসেবে অনন্য ও যুগান্তকারী ভ‚মিকা পালন করেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ সমাজ বাস্তবতার দিক দিয়ে উদ্দীপক ও প্রবন্ধের মূল বিষয় তুলে ধর।
ঘ প্রশ্নোত্ত উক্তিটির সপক্ষে তোমার যুক্তি তুলে ধর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ গ্রন্থের রচয়িতা সেলিনা হোসেন।
প্রশ্ন \ ২ \ বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ বেগম রোকেয়া তাঁর রচিত ‘মতিচ‚র’ ২য় খণ্ড কাকে উৎসর্গ করেছেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া তাঁর রচিত ‘মতিচ‚র’ ২য় খণ্ড বোন করিমুন্নেসাকে উৎসর্গ করেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ কত খ্রিষ্টাব্দে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়।
উত্তর : ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কার সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া পড়াশোনার চর্চা চালিয়ে যেতে পেরেছেন?
উত্তর : স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া পড়াশোনার চর্চা চালিয়ে যেতে পেরেছেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ রোকেয়ার স্বামী কত সালে মারা যান?
উত্তর : রোকেয়ার স্বামী ১৯০৯ সালে মারা যান।
প্রশ্ন \ ৭ \ বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত স্কুলের নাম কী?
উত্তর : বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত স্কুলের নাম হচ্ছে- সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল।
প্রশ্ন \ ৮ \ সেলিনা হোসেন বাংলা একাডেমির কোন পদে চাকরি করতেন?
উত্তর : সেলিনা হোসেন বাংলা একাডেমির পরিচালক পদে চাকরি করতেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ সেলিনা হোসেন কোথায় জš§গ্রহণ করেন?
উত্তর : সেলিনা হোসেন রাজশাহীতে জš§গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ বেগম রোকেয়া রচিত ‘অবরোধবাসিনী’ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : বেগম রোকেয়া রচিত ‘অবরোধবাসিনী’ ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ ‘নবপ্রভা’ পত্রিকায় ছাপা বেগম রোকেয়ার প্রথম রচনার নাম কী?
উত্তর : ‘নবপ্রভা’ পত্রিকায় ছাপা বেগম রোকেয়ার প্রথম রচনার নাম ‘পিপাসা’।
প্রশ্ন \ ১২ \ ‘সুলতানাজ ড্রিম’ কোন স্থান থেকে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ‘সুলতানাজ ড্রিম’ মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কলকাতায় স্থানান্তরিত রোকেয়ার স্কুলে প্রাথমিক ছাত্রীসংখ্যা কত ছিল?
উত্তর : কলকাতায় স্থানান্তরিত রোকেয়ার স্কুলে প্রাথমিক ছাত্রীসংখ্যা ছিল আট জন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ রোকেয়ার সমসাময়িক যুগে নারীশিক্ষার অবস্থা বর্ণনা কর।
উত্তর : রোকেয়ার সমসাময়িক যুগে নারীশিক্ষার অবস্থা শোচনীয় ছিল।
রোকেয়ার যুগে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বাধা ছিল। এর মধ্যে যেসব বাধা প্রধান তা হলো : ধর্মীয় গোঁড়ামি, শিক্ষার অভাব, স্কুল-কলেজের অভাব, আর্থিক-অসচ্ছলতা, পর্দাপ্রথা, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, নারীকে ছোট করে দেখা, বাংলা শেখার বিরোধিতা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘রোকেয়া এ উপমহাদেশের একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ’ কেন?
উত্তর : নারীদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য সুদূরপ্রসারী চিন্তা রোকেয়ার মধ্যে ছিল বলে তাঁকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলা হয়েছে।
সাধারণভাবে দূরদৃষ্টি অর্থ হচ্ছে দূরকে দেখার দৃষ্টি। অর্থাৎ যে তার জ্ঞানের দ্বারা দূর বা ভবিষ্যৎকে দেখতে পারে তাকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলা হয়। উনিশ শতকের শেষে ও বিশ শতকের শুরুতে নারীদের যে শোচনীয় অবস্থা ছিল তা যে অদূর ভবিষ্যতে নারীদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তা রোকেয়া বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি নারীদের উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং এজন্যই তাঁকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ সংগঠনটির লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর : ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত একটি মহিলা সংগঠন, যার লক্ষ্য ছিল সমাজের দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নারীরা ছিল চরমভাবে অবহেলিত। বেগম রোকেয়া ১৯১৫ সালে একটি মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’। এ প্রতিষ্ঠান থেকে সমাজের দুস্থ নারীদের কাজ শিখিয়ে, সামান্য পড়ালেখা শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করা হতো।
প্রশ্ন \ ৪ \ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন কেন?
উত্তর : বিশ শতকের অশিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষা ও মুক্তির জন্য রোকেয়া ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন।
বেগম রোকেয়ার সমসাময়িক সময়ে নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয়। তিনি নিজেও পড়াশোনায় অনেক আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও স্কুলে যাওয়ার জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন। প্রথমে ভাইয়ের সাহায্যে ও পরবর্তীতে স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সহযোগিতায় রোকেয়া পড়াশোনার চর্চা চালিয়ে যান। স্বামী মারা গেলে অশিক্ষিত নারী সমাজকে শিক্ষিত করে তোলার উদ্দেশ্যে তিনি এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আমাদের কাছে একজন অসাধারণ নারী’-কেন?
উত্তর : প্রতিক‚ল পরিবেশে বেগম রোকেয়ার সাহিত্য সাধনা ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়টি বিবেচনা করে লেখক এই মন্তব্য করেছেন।
বেগম রোকেয়ার জন্মের সময় বাঙালি সমাজে শিক্ষার প্রচলন ছিল না। তাই রোকেয়ার ভাইয়েরা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পেলেও আগ্রহ থাকা সত্তে¡ও রোকেয়া ও তার বোনেরা শিক্ষার সুযোগ পাননি। অবশেষে রোকেয়ার পড়াশোনায় প্রবল আগ্রহ দেখে তাঁকে তাঁর ভাই লেখাপড়া শিখতে সাহায্য করেন। পরিবার ও পরিবেশের অনেক বাধা পেরিয়ে কেবলমাত্র আপন ইচ্ছাশক্তির বলে রোকেয়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই তিনি আমাদের কাছে একজন অসাধারণ নারী।
প্রশ্ন \ ৬ \ রোকেয়ার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেছিলেন কীভাবে?
উত্তর : রোকেয়ার স্বামী সর্বতোভাবে তাকে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিলেন।
বেগম রোকেয়ার স্বামী তাঁকে লেখাপড়া ও সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী করেছিলেন। রোকেয়া বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন স্বামীর আগ্রহে। এভাবে তার স্বামী তাঁকে শিক্ষিত এবং সাহিত্যিক হতে সহযোগিতা করেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ বেগম রোকেয়াকে নারীবাদী লেখক বলা হয় কেন?
উত্তর : বেগম রোকেয়া অবহেলিত, বঞ্চিত নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য লেখালেখি করেছেন বলে তাকে নারীবাদী লেখক বলা হয়।
নারীদের শিক্ষাদীক্ষা ও সকল অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁর একমাত্র হাতিয়ার ছিল কলম। নানা প্রতিক‚লতার ভিতর দিয়ে তিনি নারীদের শিক্ষিত ও সচেতন করতে সংগ্রাম করেছেন। প্রকৃত পক্ষে নারীদের মুক্তির জন্যই লেখালেখি করছেন। এজন্যই তাকে নারীবাদী লেখক বলা হয়।
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ উপন্যাসটির রচয়িতার নাম কী? (জ্ঞান)
ক শামসুর রাহমান খ আহসান হাবীব
গ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
সেলিনা হোসেন
২. সেলিনা হোসেন কোথায় জš§গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকা খ বিহার রাজশাহী ঘ বরিশাল
৩. সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে কী নির্মিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক নাটক চলচ্চিত্র গ টেলিফিল্ম ঘ প্রামাণ্যচিত্র
৪. সেলিনা হোসেনের পৈতৃক নিবাস কোথায়? (জ্ঞান)
ক দিনাজপুর খ নোয়াখালী ল²ীপুর ঘ বিহার
৫. সেলিনা হোসেনের প্রধান পরিচয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক কবি ও গল্পকার খ গল্পকার ও নাট্যকার
ঔপন্যাসিক ও গল্পকার ঘ কবি ও নাট্যকার
৬. সেলিনা হোসেন জš§গ্রহণ করেন কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৬ ১৯৪৭ গ ১৯৪৮ ঘ ১৯৪৯
৭. ‘জলোচ্ছ¡াস’ গ্রন্থটির লেখক কে? (জ্ঞান)
সেলিনা হোসেন খ রণেশ দাশগুপ্ত
গ হাশেম খান ঘ আবুবকর সিদ্দিক
৮. নিচের কোনটি সেলিনা হোসেনের রচনা? (জ্ঞান)
হাঙর নদী গ্রেনেড খ অলৌকিক ইস্টিমার
গ জলরাক্ষস ঘ সংস্কৃতি-কথা
৯. ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ রচনার লেখক কে? (জ্ঞান)
ক বেগম রোকেয়া খ মামুনুর রশীদ
সেলিনা হোসেন ঘ হাশেম খান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে সেলিনা হোসেনের- (অনুধাবন)
র. গল্প রর. উপন্যাস
ররর. প্রবন্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১. লেখক সেলিনা হোসেন সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেন (অনুধাবন)
র. পদ্মভ‚ষণ উপাধি রর. ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার
ররর. বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৫০ খ ১৮৬০ গ ১৮৭০ ১৮৮০
১৩. সাহিত্যিক হিসেবে রোকেয়ার আত্মপ্রকাশ ঘটে কোন সালে?
১৯০২ খ ১৯১২ গ ১৯২২ ঘ ১৯৩২
১৪. রোকেয়ার পিতার নাম কী? (জ্ঞান)
জহীর মোহাম্মদ আবু আলী সাবের
খ সাবের আলী মোহাম্মদ জহীর
গ মোহাম্মদ জহীর উদ্দীন সাবের
ঘ আবু জহীর মোহাম্মদ সাবের আলী
১৫. কত জায়গাজুড়ে রোকেয়াদের বাড়িটি ছিল? (জ্ঞান)
সাড়ে তিন বিঘা খ সাড়ে তিন একর
গ সাড়ে তিন কাঠা ঘ সাড়ে চার বিঘা
১৬. রোকেয়ার বড় ভাইয়ের নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ইব্রাহীম সাবের খ খলিল সাবের
গ আবুল আসাদ খলিল ঘ ইব্রাহীম খলিল
১৭. রোকেয়ার দুই ভাই উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন কোথায়? (জ্ঞান)
ক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ হিন্দু কলেজে
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ঘ সেন্ট যোসেফ কলেজে
১৮. রোকেয়া কার অনুপ্রেরণায় বাংলা সাহিত্য রচনা ও চর্চায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন? (জ্ঞান)
ক ইব্রাহীম সাবেরের খ খলিল সাবেরের
করিমুন্নেসার ঘ হোসাফের
১৯. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কেমন পরিবারের মেয়ে? (অনুধাবন)
উচ্চবিত্ত খ মধ্যবিত্ত গ নিম্নবিত্ত ঘ নিম্ন মধ্যবিত্ত
২০. রোকেয়ার ভাইবোনের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক তিন খ চার পাঁচ ঘ ছয়
২১. রোকেয়ার সমসাময়িক সময়ে মেয়েদের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল? (অনুধাবন)
ক অগ্রসরমান খ খুব ভালো
পশ্চাৎপদ ঘ স্বাভাবিক
২২. রোকেয়া বাংলা, ইংরেজি ছাড়া আর কোন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন? (জ্ঞান)
ক সংস্কৃত খ ফারসি উর্দু ঘ হিন্দি
২৩. মুসলমান সমাজে পর্দা প্রথাকে কঠোরভাবে মানা হতো বলে কোনটি লাভের সুযোগ ছিল না? (জ্ঞান)
শিক্ষা খ অর্থ গ সম্মান ঘ বিনোদন
২৪. রোকেয়া ও তার বোনকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন কে? (জ্ঞান)
ক খলিল সাবের
ইব্রাহীম সাবের
গ জহীর মোহাম্মদ আবু আলী সাবের
ঘ সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন
২৫. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন কোথাকার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন? (জ্ঞান)
বিহারের ভাগলপুরের
খ হুগলির দেবানন্দপুরের
গ পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার
ঘ ভারতের হায়দ্রাবাদের
২৬. রোকেয়ার প্রথম রচনা ‘পিপাসা’ কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
নবপ্রভা খ ধূমকেতু গ কল্লোল ঘ সবুজপত্র
২৭. রোকেয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির নাম কী? (জ্ঞান)
সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল
খ ইব্রাহীম মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল
গ করিমুন্নেসা গার্লস স্কুল
ঘ হোসাফরা গার্লস স্কুল
২৮. ভাগলপুরে প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলটি বেগম রোকেয়া কোথায় স্থানান্তরিত করেন? (জ্ঞান)
ক হুগলিতে কলকাতায় গ আসামে ঘ পাটনাতে
২৯. বাঙালি মুসলিম সমাজে নারীশিক্ষার অগ্রগতি সূচিত হয় কার প্রচেষ্টায়?
(জ্ঞান)
বেগম রোকেয়ার খ নীলিমা ইব্রাহীমের
গ সুফিয়া কামালের ঘ করিমুন্নেসা
৩০. রোকেয়া ‘মতিচূর’ দ্বিতীয় খণ্ড কাকে উৎসর্গ করেন? (জ্ঞান)
ক ইব্রাহীম সাবেরকে খ সাখাওয়াত হোসেনকে
করিমুন্নেসাকে ঘ খলিল সাবেরকে
৩১. রোকেয়ার স্বামীর পূর্ণ নাম কী? (জ্ঞান)
সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন
খ মোহাম্মদ জহীর উদ্দীন সাবের
গ সাখাওয়াত হোসেন
ঘ জহীর মোহাম্মদ আবু আলী সাবের
৩২. রোকেয়ার স্বামী পেশায় কী ছিলেন? (জ্ঞান)
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট খ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
গ ডেপুটি গভর্নর ঘ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
৩৩. সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলটি কোথায় প্রথম প্রতিষ্ঠালাভ করে? (জ্ঞান)
ক রংপুরে ভাগলপুরে গ কলকাতায় ঘ পায়রাবন্দে
৩৪. রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল কার স্মরণে নির্মাণ করেন? (জ্ঞান)
ক পিতার স্বামীর গ ভাইয়ের ঘ নিজের
৩৫. রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ কী ধরনের প্রতিষ্ঠান? (অনুধাবন)
মহিলা সংগঠন খ ছাত্র সংগঠন
গ নারীমুক্তি সংগঠন ঘ পুরুষ বিদ্বেষী সংগঠন
৩৬. রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ নামক প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা
খ নারীদের রাজপথে নামার অধিকার আদায় করা
গ স্বামীর অত্যাচারের প্রতিবাদ করা
ঘ নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা
৩৭. বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক ঢাকা খ ল²ীপুর হাজির পাড়ায়
রংপুর পায়রাবন্দ ঘ কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্সে
৩৮. বেগম রোকেয়া প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক চারটি পাঁচটি গ ছয়টি ঘ সাতটি
৩৯. বেগম রোকেয়া কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ঢাকায় কলকাতায় গ পায়রাবন্দে ঘ ভাগলপুরে
৪০. বেগম রোকেয়ার স্বামী কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯০৮ ১৯০৯ গ ১৯১০ ঘ ১৯১১
৪১. বেগম রোকেয়া ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ কত সালে প্রতিষ্ঠা করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯১২ খ ১৯১৩ গ ১৯১৪ ১৯১৫
৪২. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের গ্রামের বাড়ি কোথায়? (জ্ঞান)
পায়রাবন্দ খ কাশিপুর গ সাতক্ষীরা ঘ পাবনা
৪৩. ‘পদ্মরাগ’ কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯২০ খ ১৯২১ গ ১৯২২ ১৯২৪
৪৪. সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক মুম্বাই খ ভাগলপুর কলকাতা ঘ মাদ্রাজ
৪৫. বেগম রোকেয়া ‘মতিচ‚র’ গ্রন্থের উৎসর্গপত্রে বোনকে কী বলে সম্বোধন করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক বুবু আপাজান গ প্রিয়বোন ঘ বড় বুবু
৪৬. ‘মতিচ‚র’ গ্রন্থটি কত খণ্ডে বিভক্ত? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪৭. রোকেয়ার কোন গ্রন্থটি সর্বশেষ প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক মতিচ‚র খ পদ্মরাগ
গ সুলতানাজ ড্রিম অবরোধবাসিনী
৪৮. রোকেয়াকে অসাধারণ নারী বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
আপন সাধনায় সাহিত্য চর্চা করেছেন বলে
খ বাবা ভ‚সম্পত্তির মালিক বলে
গ ভাইয়েরা উচ্চ শিক্ষিত বলে
ঘ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে
৪৯. ‘অবরোধবাসিনী’ বইটি কত খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৩০ ১৯৩১ গ ১৯৩৪ ঘ ১৯৩৫
৫০. ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ কত খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯০৭ খ ১৯০৯ গ ১৯১০ ১৯১১
৫১. মুসলমান নারীরা শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে ছিল কেন? (অনুধাবন)
ক শিক্ষার জন্য অর্থ না থাকায়
খ নারীদের মনে শিক্ষা ভীতি থাকায়
পর্দার কারণে শিক্ষার প্রচলন না থাকায়
ঘ নারীদের জন্য পড়ার বই না থাকায়
৫২. ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ নামটি বেগম রোকেয়া কীভাবে অর্জন করেন? (অনুধাবন)
ক পিতার কাছ থেকে
স্বামীর উপাধি থেকে
গ জনগণের রাখা থেকে
ঘ সাহিত্য রচনার মাধ্যমে
৫৩. ‘মতিচ‚র’ কোন ধরনের গ্রন্থ? (অনুধাবন)
ক কাব্য খ নাটক গ উপন্যাস প্রবন্ধ
৫৪. ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ কোন ধরনের রচনা? (অনুধাবন)
ক গল্প খ আত্মজীবনী প্রবন্ধ ঘ খণ্ড উপন্যাস
৫৫. রোকেয়ার জšে§র সময় বাঙালি মুসলমানদের সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক অর্থহীনতা খ অলসতা রক্ষণশীলতা ঘ বুদ্ধিহীনতা
৫৬. ইব্রাহীম সাবের কেন তার বোনদের শিক্ষিত করে তোলেন? (অনুধাবন)
ক শিক্ষার প্রতি বোনদের অবহেলা দেখে
শিক্ষার প্রতি বোনদের প্রবল আগ্রহ দেখে
গ সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের জন্য
ঘ সমাজের চাপে পড়ে
৫৭. বেগম রোকেয়ার আত্মীয়রা বাংলা পড়ার ঘোরবিরোধী ছিলেন কেন? (অনুধাবন)
ক প্রগতিশীল মনোভাবের কারণে
রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে
গ ইংরেজি শিক্ষার প্রভাবে
ঘ স্বাভাবিক কারণে
৫৮. বেগম রোকেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাজের মানুষদেরকে শিক্ষিত করে তোলা
খ সমাজকে রক্ষণশীলতা থেকে মুক্ত করা
গ নারীদেরকে বুদ্ধিমতি করে তোলা
নারীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া
৫৯. রোকেয়া ঘরে ঘরে গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন কেন? (অনুধাবন)
ক দোয়া করার জন্য
খ টাকা দেওয়ার জন্য
মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য
ঘ মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য
৬০. জাকিয়া তার স্বামীর নামে ‘জাকির গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে উলিখিত স্কুলটির সঙ্গে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধের কোন স্কুলের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল
খ আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম
গ করিমুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কুল
ঘ হোসাফরা মেমোরিয়াল স্কুল
৬১. ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’ এ চরণে কোন ভাবটি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক সব কিছু নিজে ভোগ করা
খ মিতব্যয়ী হওয়া
অন্যের মঙ্গল করা
ঘ বিদেশ ভ্রমণ করা
৬২. বোনদের আগ্রহ দেখে ভাই আকতার বোনদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। এখানে উলিখিত ‘আকতার’ চরিত্রের সঙ্গে “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন” প্রবন্ধের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক করিমুন্নেসা খ হোসাফরা
ইব্রাহীম সাবের ঘ রোকেয়া
৬৩. বেগম রোকেয়া তার রচনায় কোন সময়ের নারীদের সামগ্রিক বাস্তব অবস্থা তুলে ধরেছেন? (জ্ঞান)
বিশ শতকের শুরু খ বিশ শতকের শেষ
গ একুশ শতকের শুরু ঘ একুশ শতকের শেষ
৬৪. ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে কোনটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নারীদের অবনতির কথা নারীদের অগ্রগতির কথা
গ পুরুষদের অগ্রগতির কথা ঘ ধনীদের অগ্রগতির কথা
৬৫. রোকেয়ার বাবা কোন শ্রেণির মানুষ ছিলেন? (জ্ঞান)
জমিদার শ্রেণির খ মধ্যবিত্ত শ্রেণির
গ কৃষক শ্রেণির ঘ সরকারি কর্মচারী শ্রেণির
৬৬. অবরোধবাসিনী দ্বারা কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক স্বেচ্ছায় বন্দি নারীদের গৃহবন্দি নারীদের
গ অবরোধকারী নারীদের ঘ অবরোধকারী পুরুষদের
৬৭. বেগম রোকেয়া কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৩০ খ ১৯৩১ ১৯৩২ ঘ ১৯৩৩
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. বেগম রোকেয়া প্রবন্ধের মৌলিক বিষয় হলো- (অনুধাবন)
র. নারী মুক্তি, নারী সচেতনতা রর. নারী শিক্ষা
ররর. নারী জাগরণ, নারী অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৯. রোকেয়ার আমলে মুসলমানগণ শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হলো- (অনুধাবন)
র. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল বলে
রর. মুসলমান সমাজে শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন ছিল না বলে
ররর. নারীরা তেমন মেধাবী ছিল না
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাঙালি মুসলমানেরা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে ছিল, কারণ তারা- (অনুধাবন)
র. শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল রর. পর্দা প্রথায় বিশ্বাসী ছিল
ররর. আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করত না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. রোকেয়ার সময়ে মেয়েদের অবস্থা খুবই শোচনীয় থাকার কারণ- (অনুধাবন)
র. মুসলমান সমাজে নারী শিক্ষার অভাব
রর. পর্দা প্রথার কঠোরতা
ররর. নারীদের মেধাহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষায় অবদান রাখেন- (অনুধাবন)
র. স্কুল প্রতিষ্ঠা করে রর. সাহিত্য রচনা করে
ররর. বৃত্তি প্রদান করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. রোকেয়া উপমহাদেশের একজন “দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ” কারণ-
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. নারীর ক্রমাবনতি বুঝতে পেরেছিলেন
রর. নিজ সাধনায় সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন বলে
ররর. নারীরা ঘরে বন্দি থাকত বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’এর উদ্দেশ্য ছিল- (অনুধাবন)
র. দুস্থ নারীদের লেখা পড়ার ব্যবস্থা করা
রর. দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা
ররর. অবহেলিত মেয়েদের আশ্রয় প্রদান করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৫ ও ৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আসমা বেগম বিএ পাস করে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা খুবই নগণ্য। তাই তিনি মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের অভিভাবকের কাছে নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়েদের স্কুলে আনার চেষ্টা করেন।
৭৫. আসমা বেগমের কাজের সাথে নিচের কোন ব্যক্তির কাজের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ইব্রাহীম সাবেরের খ করিমুন্নেসার
গ সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের
৭৬. উক্ত ব্যক্তির সাথে আসমা বেগমের সাদৃশ্যগত দিক হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নারীদের শিক্ষিত করার প্রতি আগ্রহ
রর. নারীদের শিক্ষিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা
ররর. চাকরির প্রতি আগ্রহ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ ছিল রাজিয়ার। তার আগ্রহ দেখে বড় ভাই রফিক তাকে স্কুলে ভর্তি করান। শুরু হলো রাজিয়ার স্কুল জীবন।
৭৭. অনুচ্ছেদের বড় ভাই রফিকের সঙ্গে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধের কোন চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক রোকেয়া খ খলিল সাবের গ হোসাফরায় ইব্রাহীম সাবের
৭৮. অনুচ্ছেদে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ রচনায় যে বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নারীর শিক্ষার প্রতি আগ্রহের সম্মানে
রর. নারী শিক্ষা সৃষ্টিতে
ররর. নারীর মানসিকতা পরিবর্তনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জমিলার স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেয়। সামান্য মূলধন দিয়ে একটা মুদি দোকান প্রতিষ্ঠা করে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করায়। কঠোর পরিশ্রম করে সংসার চালানোর পাশাপাশি গ্রামের মেয়েদের নিয়ে ‘আশার আলো’ নামে একটি সমিতি স্থাপন করে সমিতির সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য।
৭৯. জমিলার চরিত্রে ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধের কার প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
বেগম রোকেয়ার খ সাখাওয়াত হোসেনের
গ করিমুন্নেসার ঘ ইব্রাহীম সাবেরের
৮০. উক্তিটির চরিত্র বিমূর্ত হয়ে উঠেছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রোকেয়ার কঠোর পরিশ্রম
রর. রোকেয়ার মহিলা সংগঠন স্থাপন
ররর. রোকেয়ার নারী সচেতনতা সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পারভীন যখন স্বামীর ঘরে আসে তখন পেট ভরে দুবেলা খেতে পারত না। সে টুপি, কাপড়ের ব্যাগ ও পাখা সেলাই করে স্বনির্ভর হয়েছে। গাঁয়ের অনেকে পারভীনের কাছ থেকে হাতের কাজ শিখে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। এখন গ্রামের মেয়েরা স্বাবলম্বী।
৮১. অনুচ্ছেদের ভাবটি নিচের কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
খ বলাই
গ লাইব্রেরি
ঘ লাল ঘোড়া
৮২. অনুচ্ছেদে উক্ত রচনার যে ভাব ফুটে উঠেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুস্থ নারীদের হাতের কাজ শেখানো
রর. দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা
ররর. দুস্থ নারীদের মধ্যে সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৩. নিচের কোনটি ‘অনুপ্রেরণা’ শব্দের অর্থ? (জ্ঞান)
ক উদ্দীপনা খ উদ্বেগ উৎসাহ ঘ সাহস
৮৪. ‘নিরলস’ শব্দের অর্থ নিচের কোনটি? (জ্ঞান)
ক অলস আলস্যহীন গ পরিশ্রমি ঘ মেধাহীন
৮৫. ‘আগ্রহ’ শব্দের প্রতিশব্দ কোনটি? (জ্ঞান)
ক উদ্দীপনা খ তীব্র গ প্রচণ্ড ইচ্ছা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৬. ‘অগ্রদূত’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. পথপ্রদর্শক রর. অগ্রনায়ক
ররর. বার্তাবাহক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. কোনো বিষয়ে কারো মধ্যে ইচ্ছা জাগানো হলো (অনুধাবন)
র. উৎসাহ দেয়া রর. অনুপ্রেরণা জাগানো
ররর. প্রবল ভাব সৃষ্টি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. ‘ভ‚সম্পত্তি’ শব্দের অর্থ (অনুধাবন)
র. অস্থাবর জিনিস রর. জমিজমা
ররর. ধনসম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৯. বেগম রোকেয়া কোন শতকের লেখক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক আঠারো শতক খ উনিশ শতক
বিশ শতক ঘ একুশ শতক
৯০. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচনাটির মূলভাব কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পর্দাপ্রথা নারীশিক্ষা গ মেধার বিকাশ ঘ শিক্ষার আলো
৯১. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কোন পরিবারের সদস্য ছিলেন? (জ্ঞান)
ক অশিক্ষিত খ দরিদ্র
শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ঘ অশিক্ষিত ও দরিদ্র
৯২. ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধ পাঠের উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নারীর গৃহপরিচারিকার কাজে উৎসাহ দেওয়া
খ নারীদের অশিক্ষিত করা
নারীর কর্মজগতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা
ঘ পুরুষের কর্মজগতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৩. ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’ প্রবন্ধে ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নারী শিক্ষার অগ্রগতি রর. বেগম রোকেয়ার প্রতি শ্রদ্ধা
ররর. অতীতের মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯৪. নারীবাদী লেখকরা রোকেয়াকে উপমহাদেশের প্রথম নারীবাদী হিসেবে উলেখ করেছেন যে কারণেÑ (অনুধাবন)
র. নারী বলে
রর. নারীশিক্ষার অগ্রদূত বলে
ররর. নারীদের মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার লেখালেখি জগৎকে করে তোলেন- (অনুধাবন)
র. যৌক্তিক রর. শাণিত
ররর. প্রতিক‚ল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর