লখার একুশে
আবুবকর সিদ্দিক
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য
লেখক পরিচিতি
নাম আবুবকর সিদ্দিক।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : বাগেরহাট।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতা : মতিউর রহমান পাটোয়ারী। মাতা : মতিবিবি।
শিক্ষাজীবন আবুবকর সিদ্দিক ১৯৫২ সালে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৬ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন।
পেশা/কর্মজীবন আবুবকর সিদ্দিক কর্মজীবনে দীর্ঘদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। এছাড়াও তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটি (১৯৯৬Ñ১৯৯৭) এবং নটর ডেম কলেজে (১৯৯৭Ñ২০০০) অধ্যাপনা করেন।
সাহিত্য সাধনা উপন্যাস : জলরাক্ষস, খরাদাহ, বারুদ পোড়া প্রহর, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম প্রভৃতি।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ লেখিকাসংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, কলকাতার ‘অতন্দ্র সাহিত্যপ্রসার সমিতি’ পুরস্কার লাভ করেন প্রভৃতি।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
আজ মহান একুশে ফেব্র“য়ারি। তোমরা নিশ্চয়ই আজ শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়েছ। আজ তোমাদের সাথে শামিল হওয়ার জন্য দূর দেশে বসে মন কাঁদছে আমারও।
ইতি
তোমার বন্ধু
হাসান
ক. কী দেখলে বুক কাঁপে লখার? ১
খ. লখার দিন কাটে কীভাবে? ২
গ. হাসানের আবেগের মধ্যে লখার আবেগের প্রতিফলন কীভাবে ঘটেছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে।” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
ক ছায়া দেখলে বুক কাঁপে লখার।
খ লখার দিন কাটে নানারকম খেলে, বন্ধুদের সাথে মারামারি করে আর দুষ্টুমি করে।
লখার মা সকাল হলেই ভিক্ষা করতে বেরিয়ে যায়। লখার দিন কাটে গুলি খেলে, ছেঁড়া কাগজ কুড়িয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করে আর খাবারের দোকানের এঁটোপাতা চেটে। এরপর খিদে পেটে নিয়ে যখন ফুটপাতের কঠিন শানে মায়ের পাশে ঘুমাতে যায় তখন সে খিদের কষ্ট ভুলে যায়। এভাবে অনাহারে-অর্ধাহারে লখার দিন কাটে।
গ হাসানের শহিদের স্মরণে শহিদ বেদিতে ফুল দেবার আবেগের মধ্য দিয়ে লখার আবেগের প্রতিফলন ঘটেছে।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখা একটি বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই ছেলে। ফুল কেনার সামর্থ্য না থাকলেও সে অতি কষ্ট করে ফুল সংগ্রহ করে। শীতের কষ্ট, সাপের ভয়, কাঁটার আঘাত সব সহ্য করে সে ফুল সংগ্রহ করে। তারপর সে ফুল নিয়ে প্রভাতফেরিতে সবার সাথে অংশগ্রহণ করে। সবার সাথে গেয়ে ওঠে আঁ আঁ আঁ আঁ (আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো) এতে সে আত্মতৃপ্তি পায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারার আনন্দে।
উদ্দীপকের হাসান দূর দেশে থাকায় সে লখার মতো সরাসরি শহিদ মিনারে ফুল দিতে পারে না। সে কারণে অতীত স্মৃতির কথা মনে করে তার মন কেঁদে ওঠে। তাই সে বন্ধুর কাছে পত্র লিখেছে। আর এভাবেই একুশে ফেব্র“য়ারি উদ্যাপনের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে লখা ও হাসানের আবেগের মধ্যে। হাসানের শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগের মধ্য দিয়ে লখার শহিদ দিবস উদ্যাপনের আবেগই প্রকাশ পায়।
ঘ ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগই শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’এ উক্তিটি যথার্থ।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখার মাঝে আমরা অমর শহিদদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো একুশের আবেগ দেখতে পাই। সে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে, একুশে ফেব্র“য়ারির আগের রাতে ফুল সংগ্রহের জন্য অসহ্য কষ্ট সহ্য করে এবং শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দেয়। লখা ‘আঁ আঁ আঁ আঁ’ করে সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণ করে। অর্থাৎ লখা নিজে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদ দিবস উদ্যাপন করছে। অন্যদিকে দূর দেশ থেকে হাসান তার বন্ধুকে ভাষা শহিদের প্রতি আবেগ প্রকাশ করেছে।
বন্ধুদের সাথে মারামারি করে হাসান দূর দেশে থাকার কারণে বন্ধুদের সাথে শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে একুশে ফেব্র“য়ারি পালন করতে পারবে না। কিন্তু একুশে ফেব্র“য়ারি দিনটি উদ্যাপনের জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায় যে, ‘লখা ও হাসানের মতো মানুষের আবেগ শহিদদের যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে’।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
জমির মিয়া একজন প্রতিবন্ধী, সে বৃদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে তিনি তার দুটি পা ও একটি হাত হারিয়ে এ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। কিন্তু তিনি আজও পুরোদস্তুর একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখন তিনি যুদ্ধ করেন কলম দিয়ে, দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উন্মোচন করেন। আর বিজয় দিবস এলে তিনি আজও প্রাণের আবেগে সহযোদ্ধাদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ক. ‘মেঙে’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. লখাকে কেন ভারি মজার দুষ্টু ছেলে বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের জমির মিয়ার সাথে লখার সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘লখা ও জমির মিয়া লাখো বাঙালির প্রতিচ্ছবি’Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘মেঙে’ শব্দের অর্থ চেয়ে।
খ লখার দুষ্টুমির ধরন দেখে লেখক তাকে ভারি মজার দুষ্ট ছেলে বলেছেন।
লখা পিতৃহীন টোকাই। সারাদিন বন্ধুদের সাথে কাগজ কুড়িয়ে আর মারামারি করে সময় কাটায়। মাঝে-মধ্যে রেললাইনের ইটের টুকরা দিয়ে ইস্পাত লাইনে টুকটুক আঘাত করে তার ওপর কান পাতে, গুন গুন আওয়াজ শোনে অনেকক্ষণ ধরে। এমনভাবে শোনে যেন গানের সুরলহরি বয়ে যাচ্ছে তার কানের ভেতর দিয়ে। লখার এমন খেয়ালিপনা দেখে তাকে লেখক বলেছেন, ‘ভারি মজার দুষ্টু ছেলে।’
গ শহিদদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের দিক থেকে উদ্দীপকের জমির মিয়ার সাথে লখার সাদৃশ্য রয়েছে।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখা চরিত্রে ফুটে উঠেছে এক দেশপ্রেমিক বাঙালির প্রতিচ্ছবি। লখা একজন বাক প্রতিবন্ধী টোকাই হলেও শহিদদের অবদান সম্পর্কে অবগত। যার ওপর ভিত্তি করে তার মনে ভাষা শহিদদের প্রতি জন্ম নিয়েছে অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ। ভোর না হতেই যোগ দিয়েছে প্রভাতফেরির মিছিলে। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শান্ত করেছে অতৃপ্ত মনকে।
ভাষা শহিদদের আমরা মনে প্রাণে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করি। দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের কৃতকর্মের জন্য কৃতজ্ঞ। যা আমরা উদ্দীপকের জমির মিয়া ও লখার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দেখতে পাই। জমির মিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। তিনি শাহাদাত বরণ না করলেও হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কিন্তু তিনি আজও তার সহযোদ্ধাদের মৃত্যুযন্ত্রণা অনুভব করে ব্যথিত হন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এক্ষেত্রে আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে লখা ও জমির মিয়ার ভাবাবেগের সাদৃশ্য লক্ষ করি।
ঘ ‘লখা ও জমির মিয়া লাখো বাঙালির প্রতিচ্ছবি।’ Ñউক্তিটি যথার্থ।
‘লখার একুশে’ একটি দেশপ্রেমের চেতনা সৃষ্টিমূলক গল্প। লখা বাক্ প্রতিবন্ধী কিশোর বালক কিন্তু শহিদদের প্রতি তার হৃদয়ে ছিল এক অনন্য শ্রদ্ধাবোধ। তাই শীতের কুয়াশা আর সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাছে উঠে ফুল সংগ্রহ করার জন্য। শ্রদ্ধা জানানোর তীব্র বাসনা থেকে মনের জোরে অতি কষ্টে সে পেড়ে আনে রক্ত রাঙা লাল ফুল। শ্রদ্ধা নিবেদনে লখা ও জমির মিয়ার দেশপ্রেম লাখো বাঙালির মানসিক অনুভ‚তির প্রতিনিধিত্ব করে।
উদ্দীপকের জমির মিয়াও একজন দেশপ্রেমি বাঙালি । যিনি যুদ্ধে নিজের হাত-পা হারালেও আজও বিজয় দিবসে সহযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদ দিবস এলে শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ বিষয়টি ‘লখার একুশে’ গল্পের লখা ও উদ্দীপকের জমির মিয়ার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ‘লখা ও জমির মিয়া লাখো বাঙালির প্রতিচ্ছবি’।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
আনছার আলী একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। দুনিয়ায় সে খাওয়া, ঘুরে বেড়ানো আর ঘুমানো ছাড়া কিছু বোঝে না। কিন্তু শহিদ দিবস এলে সকাল থেকে তার মাঝে অদ্ভুত এক চেতনা জেগে ওঠে। যেন অন্য কোনো মানুষ তার ওপর ভর করে তার জড়তাকে দেয় গতি। ধুলা আর কাদা দিয়ে উঁচু ঢিবি তৈরি করে। তারপর সেখানে কিছু বুনো ফুল দিয়ে চারপাশটা ঢেকে দেয়। আর এসব করতে গিয়ে অজান্তে তার চোখ দিয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়ে।
ক. লখা কী করে মনটাকে শক্ত করে নিল? ১
খ. লখার আঁ আঁ আঁ আঁ শব্দ দিয়ে কোনটি প্রকাশ পায়? ২
গ. আনছার আলী চরিত্রের সাথে লখা চরিত্রের সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ.‘শহিদদের প্রাপ্য হলো বাঙালির অন্তরের সৃষ্ট ভালোবাসা’Ñ ‘লখার একুশে’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক লখা হাতের মুঠো পাকিয়ে মনটাকে শক্ত করে নিল।
খ লখার আঁ আঁ আঁ আঁ শব্দ দিয়ে বাংলা প্রকাশ পায় অ আ ক খ।
লখা একটি ছিন্নমূল বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই ছেলে। কিন্তু তার মনে ছিল শহিদদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ। যে কারণে সে সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দুর্গম পথ অতিক্রম করে ফুল সংগ্রহ করে। সেই ফুল নিয়ে প্রভাতফেরিতে যোগ দিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যায়। সবাই যখন গাইছিল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি, তখন বাক্প্রতিবন্ধী কিশোরের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে আঁ আঁ আঁ আঁ শব্দ। এটা আমাদের কাছে অর্থহীন শব্দ মনে হলেও তা ছিল মূলত শহিদদের প্রতি ভালোবাসা মোড়ানো এক কিশোরের অভিব্যক্তি।
গ আনছার আলী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়েও ভাষা শহিদদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টিতে লখা চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
আবুবকর সিদ্দিক রচিত ‘লখার একুশে’ গল্পে লখা একজন বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই। কিন্তু শহিদদের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। ফুল কেনার সামর্থ্য নেই, তাই সে রাতের আঁধারে ঘুম থেকে জেগে গভীর বনে প্রবেশ করে পথের সমস্ত ভয় যেন তার দুরন্তপনা দেখে পালিয়ে যায়। ছ্যাঁচড়া ডাল তার দেহে বিদ্ধ হয়। পায়ে বাবলার কাঁটা ফোটে। তবুও সে এগিয়ে যায় অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে। গাছে ওঠার পর ফুলগুলো ছিল তার নাগালের বাইরে। তাও সে থেমে থাকেনি। মনের জোরে পেড়ে এনেছে ফুল আর বুক ফুলিয়ে বলে উঠেছে ‘জিতে গেছি আমি’।
উদ্দীপকের আনছার আলি একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। অন্য সবকিছু তার কাছে অধরা হলেও শহিদ দিবস এলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সে শহিদ মিনার তৈরি করে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। তাই বলা যায় যে, আনছার আলী চরিত্রের সাথে লখা চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “শহিদদের প্রাপ্য হলো বাঙালির অন্তরের সৃষ্ট ভালোবাসা”- উক্তিটি ‘লখার একুশে’ গল্পের আলোকে যথার্থ।
‘লখার একুশে’ গল্পে তার মনে ছিল ভাষা শহিদদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাই শহিদ দিবস এলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠলে রাতের আঁধারে সকল ভয় উপেক্ষা করে সে ছুটে যায় ফুল সংগ্রহ করতে। কাঁটার আঘাত সহ্য করে যখন সে ফুলগুলো অতি কষ্টে তালুবন্দি করে, গর্বে ফুলে ওঠে লখার বুক।
উদ্দীপকের আনছার আলী চরিত্রের মধ্যে শহিদদের প্রতি সৃষ্ট ভালোবাসাও আবেগের সৃষ্টি। কিছু না বুঝলেও শহিদ দিবস এলেই সে ধুলা-কাদা দিয়ে তৈরি করে শহিদ মিনার। বুনো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আর তাদের আত্মার শান্তির জন্য তার চোখে নেমে আসে অশ্র“ধারা।
শ্রদ্ধাবোধ আসে অন্তর থেকে। প্রাণের বিনিময়ে যারা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেছে তাদের প্রতি এই ভালোবাসা অর্পণ করে প্রতিটি বাঙালি যেমনটি করেছেন লখা ও আনছার আলী।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, শহিদদের প্রাপ্য হলো মানুষের অন্তরের অন্তস্তল থেকে বেরিয়ে আসা নিগূঢ় ভালোবাসা।
প্রশ্ন-৪ ল্ফল্ফ
কামালের দরিদ্র বাবা রহিম মিঞা একজন সাধারণ শ্রমিক। সে সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজের সন্ধান করে। কাজ পেলে সেদিন তাদের কিছু খাবার জোটে, না পেলে খাওয়া হয় না। রাতে যখন বাবাকে দেখে তখন কামালের খিদে চলে যায়। সে বাবাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। বাবার গলা জড়িয়ে ধরে প্রতিরাতেই সে গুটিসুটি হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ সে ঘুমায় না। ভোর রাতে বাবাকে রেখে সে ফুল আনতে বেরিয়ে পড়ে। কারণ ২১শে ফেব্রæয়ারি সবাই শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাবে
ক. লখা কী দিয়ে রেললাইনের ইস্পাতে ঠুক ঠুক করল? ১
খ. লখা ভোর রাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ল কেন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘লখার একুশে’ গল্পের সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘লখার একুশে’ গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে কী? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
ক লখা ইটের টুকরো দিয়ে রেললাইনের ইস্পাতে ঠুক ঠুক করল।
খ শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য ফুল আনতে যাবে বলে লখা ভোর রাতে মায়ের পাশ থেকে ওঠে।
লখার মা সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে লখাকে পাশে নিয়ে ফুটপাতের কঠিন শানে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু একদিন ভোর রাতে লখা মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ে। কারণ সে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ফুল আনতে যাবে। লখা ভোররাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ে।
গ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহিদ মিনারে ফুল দেয়ার মনোভাবটির ক্ষেত্রে ‘লখার একুশে’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের মিল পাওয়া যায়।
‘লখার একুশে’ গল্পে আমরা দেখতে পাই পিতৃহীন লখা একদিন ভোর রাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ে ফুল আনতে যায়। কারণ, সকালে সবার সাথে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাবে। তাই সকল বাধা অতিক্রম করে রাতের অন্ধকারে কুয়াশা ভেদ করে বাগানে যায় ফুল আনতে।
উদ্দীপকের কামাল প্রতিদিন বাবার গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু একদিন সে ভোর রাতে উঠে পড়ে। সে ফুল আনতে যাবে শহিদ মিনারে দেবে বলে। পরের দিন একুশে ফেব্রæয়ারি। সকালে সবাই শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাবে। সবার মতো কামালও শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাবে। অর্থাৎ ফুল সংগ্রহ করা এবং উদ্দীপকের সাথে ‘লখার একুশে’ গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকটি লখার একুশে গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
‘লখার একুশে’ গল্পের লখা একজন পিতৃহারা প্রতিবন্ধী। তার মা ভিক্ষা করেন। রাতে লখা মায়ের সাথে কঠিন শানে ঘুমিয়ে থাকে। মায়ের পাশে ঘুমালে লখা খিদে ভুলে যায়। মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকলেও ভোর রাতে একদিন ফুল আনতে যাবে বলে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ে। ফুল আনতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করে। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে কথা বলতে না পারলেও তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আঁ আঁ আঁ আঁ ধ্বনি।
উদ্দীপকের কামাল তার বাবার গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকে এবং কামালের বাবা দিনভর কাজের খোঁজে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। কাজ পেলেই সেদিন তাদের কিছু খাবার জোটে। আর না পেলে জোটে না। তবে রাতের বেলা বাবাকে কাছে পেলেই কামালের খিদে দূর হয়ে যায়।
কামালের বাবার পাশ থেকে একদিন ভোররাতে উঠে পড়ে ফুল আনতে যাবে বলে। ফুল সংগ্রহ করা, শহিদ মিনারে ফুল দেয়া, বাবাকে কাছে পেলে কষ্ট ভুলে যাওয়া এই দিকগুলো ছাড়াও গল্পে বর্ণিত হয়েছে লখা ও তার মায়ের জীবন যুদ্ধের কঠিন সংগ্রামের কাহিনি। লখার সাথে কামালের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে মিল থাকলেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত কামাল বাক্প্রতিবন্ধী লখার সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
বাড়ির উঠানে মাটি আর কঞ্চি দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়েছে মিতু। শহিদ মিনারে বসানো সূর্যটাতে লাল রং করতে গিয়ে ওর মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। ছোট ভাই রনি ওকে অনেক সাহায্য করেছে। আজ একুশে ফেব্রæয়ারি। খুব ভোরে ওরা ঘুম থেকে উঠেছে। মিতু ক্র্যাচে ভর করে ভাইকে সাথে নিয়ে শহিদ মিনারের পাশে এসে দাঁড়ায়। গুন গুন করে গান করে ওরা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’। মিতুর চোখ দুটো চিকচিক করে ওঠে। উঠানে দাঁড়িয়েও মিতু শহিদ দিবস উদ্যাপনের আনন্দ অনুভব করে।
ক. লখার মা কী কাজ করেন?
খ. লখা কেন ফুল আনতে গিয়ে এত কষ্ট করেছিল ব্যাখ্যা কর।
গ. মিতুর আবেগের মধ্যে লখার আবেগের প্রতিচ্ছবি ঘটছে কীভাবে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘মানুষের ইচ্ছাশক্তির কাছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তুচ্ছ।’ লখা ও মিতুর কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
ক লখার মা ভিক্ষা করেন।
খ একুশে ফেব্র“য়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ লখা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফুল আনতে গিয়ে এত কষ্ট করেছিল।
বাক্প্রতিবন্ধী লখা অতি সাধারণ এক কিশোর চরিত্র। বাঙালির জাতীয় জীবনে একুশের চেতনা এতই তাৎপর্যপূর্ণ যে, তা লখার মতো কিশোরের মনেও তা প্রভাব ফেলে। তাই শহিদদের প্রতি তার মনে সৃষ্টি হয়েছিল গভীর ভালোবাসা। যে কারণে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর তীব্র ইচ্ছা তার মনে জাগরিত হয়। এর ফলে সে শীতের কাঁপুনি, কাঁটার আঘাত, সাপের ভয়কে তুচ্ছ করে গভীর বনে যায় ফুল সংগ্রহ করার জন্য। এ দিয়ে মূলত তার দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে।
গ উদ্দীপকের মিতুর আবেগের মধ্যে গল্পের লখার আবেগের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।
‘লখার একুশে’ গল্পের বাক প্রতিবন্ধী কিশোর লখার মুখে ভাষা নেই। কিন্তু প্রাণের ভাষা বাংলার জন্য তার বুকভরা আবেগ রয়েছে। তাই তো ভাষা আন্দোলন ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লখা কুয়াশা মাখা ভোরে গাছের সবচেয়ে উঁচু ডাল থেকে ফুল পেড়ে হাতভরা সেই ফুল নিয়ে শহিদ মিনারে ছুটে যায়। শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে তার মনের মধ্যে একুশের গান বাজতে থাকে।
উদ্দীপকের মিতুও একুশের চেতনাকে আবেগ দিয়ে ধারণ করেছে। শহিদ মিনারে তার হেঁটে যাওয়ার সামর্থ্য নেই কারণ সে পঙ্গু। তাই বলে সে থেমে থাকেনি। নিজের উঠানে শহিদ মিনার তৈরি করে, সে ক্র্যাচে ভর করে ভাইকে সাথে নিয়ে শহিদ মিনারের পাশে এসে দাঁড়ায়, গুন গুন করে গান করে ওরা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’। মিতুর চোখ দুটো চকচক করে উঠে আনন্দে। ‘লখার একুশে’ গল্পের লখাও তেমনি শহিদ মিনারে লাল টকটকে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আনন্দিত হয়েছিল। অর্থাৎ লখার মনে জাগ্রত ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের দিকটিই মিতুর আবেগের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে।
ঘ মানুষের ইচ্ছাশক্তির কাছে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয় উদ্দীপকের মিতু এবং ‘লখার একুশে’ গল্পের লখা তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে।
‘লখার একুশে’ গল্পে লখা বাক্প্রতিবন্ধী টোকাই ছেলে। নিজের মুখে ভাষা নেই। কিন্তু যারা তার মায়ের ভাষার জন্য আন্দোলন করে শহিদ হয়েছে তাদের প্রতি তার অন্তরে গভীর ভালোবাসা। যার পরিপ্রেক্ষিতে সে শীতের কাঁপুনি, কাঁটার আঘাত সহ্য করে তুলে এনেছে লাল টুকটুকে ফুল। শীত তার দম কেড়ে নিতে চাইলেও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর যে তীব্র ইচ্ছা তার মনের মধ্যে জেগেছিল তাই তাকে এ অসাধ্য সাধনে সাহায্য করে। পৃথিবীর সকল মানুষেরা ইচ্ছাশক্তির কাছে প্রতিবন্ধকতাকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করে যা আমরা দেখতে পাই লখা এবং উদ্দীপকের মিতুর মাঝে।
উদ্দীপকের মিতুও শারীরিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর তীব্র ইচ্ছা থেকে সে তৈরি করে শহিদ মিনার। ক্র্যাচে ভর করে শহিদ মিনারে ফুল দেয়।
উল্লিখিত আলোচনায় বলা যায়, তীব্র ইচ্ছাশক্তির কাছে মানুষের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে তুচ্ছ ব্যাপার তা লখা ও মিতুর চরিত্রের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
রিতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তার বাবা তাকে সঙ্গে করে শহিদ মিনারে ফুল দিতে নিয়ে গেছে। বাবার দেখাদেখি রিতাও বেদিতে ফুল রাখে। কিন্তু তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর লক্ষ করা যায় না। বাবা সঙ্গে করে না আনলে সে শহিদ মিনারে ফুল দিতেও আসত না। কারণ ফুল দেওয়ার তাৎপর্য তার জানা নেই।
ক. ‘লখার একুশে’ গল্পটির রচয়িতা কে? ১
খ. লখা আঁ আঁ আঁ আঁ করে প্রভাতফেরির গান গায় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের রিতার সাথে লখার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. ‘শহিদ মিনারে লখার ফুল প্রদান রিতার ফুল প্রদানের তুলনায় তাৎপর্যমণ্ডিত।’ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘লখার একুশ’ গল্পটির লোক আবুবকর সিদ্দিক।
খ বাঙালির গর্বের উচ্চারণ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি’ এখানে লখার মুখে উচ্চারিত হয়েছে।
একুশে ফেব্রæয়ারির অবিনাশী প্রভাবে প্রভাবিত অতি সাধারণ এক কিশোর লখা। সে কথা বলতে পারে না কিন্তু তাতে কী এসে যায়। লখা উঁচু ডালে উঠে ফুল সংগ্রহ করে গর্বের সাথে শহিদ মিনারে নিয়ে যায় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। আর জন্মগতবাবা হলেও তার মুখে আঁ আঁ আঁ আঁ ধ্বনির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে বাঙালির গর্বের উচ্চারণ।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী রিতা ও বাকপ্রতিবন্ধী লখার শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে ভিন্নতা আলোচনা কর।
ঘ দরিদ্র অসহায় লখার শহিদ মিনারে ফুল প্রদান ও মঙ্গল রিতার ফুল প্রদানের চেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সেদিক আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
বাংলার ইতিহাসে একুশ এক গর্বের নাম, এক রক্তের ইতিহাসের নাম। এ ইতিহাস রচিত হয়েছে মায়ের মুখের ভাষার জন্য,
দামাল ছেলেদের বুকের রক্তের জন্য। আমরা মাকে ‘মা’ বলে ডাকি, গলা ছেড়ে মায়ের ভাষায় গান গাই, স্বপ্ন দেখি, সব একুশের অবদান। একুশ চলে গেছে অনেক দশক আগে, কিন্তু একুশের শিহরণ রয়ে গেছে শব্দের খাঁজে খাঁজে, হৃদয়ের তানে তানে। সময়ের টানে নতুন প্রজন্ম আসছে, নতুন চিন্তা আসছে, প্রকাশ পাচ্ছে নতুন চেতনা। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা একুশের সন্তান। আমাদের উচিত, নব প্রজন্মের প্রতিটি সন্তানকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা।
ক. কোন সকালে পথে পথে মিছিলের ঢল নেমেছে? ১
খ. লখাকে মিছিলের মধ্যে আলাদা করে চেনার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘লখার একুশে’ গল্পের ভাবগত সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. দেখাও যে, “উদ্দীপকে যে আদর্শের কথা উচ্চারিত হয়েছে, ‘লখার একুশে’ গল্পের লখা সে আদর্শের পূর্ণ অনুসারী।” ৪
ক হালকা কুয়াশা আর শীতের সুন্দর সকালে পথে পথে মিছিলের ঢল নেমেছে।
খ মিছিলে ক্ষুদে টোকাই লখাকে আলাদা করে চেনা যায়। লখাকে চিনতে কষ্ট হয় না কারণ সবার গায়ে চাদর, কোট, সোয়েটার। কিন্তু লখার গা খোলা উদাম, গাঢ় কালো। হাত উপচে পড়ছে রক্তলাল ফুলের গুচ্ছ।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ নতুন প্রজন্মকে একুশের চেতনায় গড়ে তোলার বিষয় আলোচনা কর।
ঘ ‘লখার একুশে’ গল্পের মূল বক্তব্য বিশ্লেষণ কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞান ও মূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন \ ১ \ আবুবকর সিদ্দিক দীর্ঘদিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন?
উত্তর : আবুবকর সিদ্দিক দীর্ঘদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘একাত্তরের হৃদয়ভস্ম’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘একাত্তরের হৃদয়ভস্ম’ গ্রন্থটির রচয়িতা আবুবকর সিদ্দিক।
প্রশ্ন \ ৩ \ আবুবকর সিদ্দিক কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : আবুবকর সিদ্দিক বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ কার পাশে গেলে লখা খিদের কষ্ট ভুলে যায়?
উত্তর : রাতে মায়ের পাশে গেলে লখা খিদের কষ্ট ভুলে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ লখা কীসের মতো চড় চড় করে গাছে উঠে গেল?
উত্তর : লখা কাঠবিড়ালির বাচ্চার মতো চড় চড় করে গাছে উঠে গেল।
প্রশ্ন \ ৬ \ লাল টুকটুকে ফুলগুলো গাছের কোথায় ছিল?
উত্তর : লাল টুকটুকে ফুলগুলো মগডালের কাছাকাছি ছিল।
প্রশ্ন \ ৭ \ শত শত মানুষ হাতে ফুল ও মুখে প্রভাতফেরির গান ও ধীর পায়ে কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
উত্তর : শত শত মানুষ হাতে ফুল, মুখে প্রভাতফেরির গান ও ধীরে পায়ে শহিদ মিনারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে কাকে চেনা যাচ্ছে?
উত্তর : শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে টোকাই লখাকে চেনা যাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ লখা জন্মগতভাবে কেমন ছিল?
উত্তর : লখা জন্মগতভাবে বোবা ছিল অর্থাৎ কথা বলতে পারত না।
প্রশ্ন \ ১০ \ লখার মনে মনে উচ্চারণ করা অ, আ, ক, খ বাইরে কেমন শব্দ হতো?
উত্তর : লখার মনে মনে উচ্চারণ করা অ, আ, ক, খ, বাইরে আঁ আঁ আঁ আঁ শব্দ হতো।
প্রশ্ন \ ১১ \ লখার রাতের বিছানা কী?
উত্তর : লখার রাতের বিছানা ফুটপাতের কঠিন শান।
প্রশ্ন \ ১২ \ লখার কোন পায়ে কাঁটা ঢুকে গেল?
উত্তর : লখার বাঁ পায়ে কাঁটা ঢুকে গেল।
প্রশ্ন \ ১৩ \ লখা কী বলে কেঁদে ওঠে?
উত্তর : লখা আঁ আঁ বলে কেঁদে ওঠে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ লখার খালি গা ভিজে যায় কীসে?
উত্তর : লখার খালি গা শিশিরে ভিজে যায়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ “এখন ওই উপরের এক থোকা ফুল তার পেড়ে আনা চাই।”Ñ এই ফুল কার দরকার এবং কেন?
উত্তর : ওই উপরের এক থোকা ফুল শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য লখার দরকার।
একুশের ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণের জন্য লখা অনেক কষ্ট আর বাধা সহ্য করে ফুল তোলার জন্য গাছটার নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। গাছের মগডালে থাকা লাল টুকটুকে ফুলগুলো দেখে লখার নয়ন ভরে যায়। তাই এখন যেভাবেই হোক সেই ফুলগুলো থেকে এক থোকা ফুল লখা পেড়ে আনবেই।
প্রশ্ন \ ২ \ “সেদিন সকাল ছিল বড় আশ্চর্য সুন্দর’Ñ কোন দিনের সকালের কথা বলা হয়েছে? বর্ণনা কর।
উত্তর : “সেদিন সকাল ছিল বড় আশ্চর্য সুন্দর”Ñ এখানে একুশে ফেব্রæয়ারির স্নিগ্ধ সকালের কথা বলা হয়েছে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারিতে ভাষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকেই শহিদ হন। সেই শহিদ ভাইদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একুশে ফেব্রæয়ারির সকাল বেলায় শত শত মানুষ হাতে ফুল নিয়ে প্রভাতফেরির গান গাইতে ধীর পায়ে শহিদ মিনারের দিকে এগিয়ে যায়। ‘লখার একুশে’ গল্পে এ দিনের সকালটিকেই আশ্চর্য সুন্দর বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ লখা ভোররাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ল কেন?
উত্তর : লখা ভোর রাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ল ফুল সংগ্রহ করার জন্য।
লখা জন্মগতবোবা হলেও মাতৃভাষায় কথা বলতে তার ইচ্ছা করে। একুশে ফেব্রæয়ারির প্রভাতফেরিতে অংশ নিতে এবং শহিদ মিনারে ফুল দিতে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তাই লখা ভোর রাতে মায়ের পাশ থেকে উঠে পড়ল ফুল সংগ্রহ করার জন্য। ফুল দিয়ে প্রতি জানাতে চায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রভাতফেরি বলতে কী বোঝ? আলোচনা কর।
উত্তর : প্রভাতফেরি হলো একুশে ফেব্রæয়ারির সকালবেলায় অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠান।
সাধারণত ভোরবেলায় দলবেঁধে পাড়ায় পাড়ায় গান গেয়ে সবাইকে জাগিয়ে তোলার অনুষ্ঠানকে প্রভাতফেরি বলা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশে এটি একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। ১৯৫২ সালের ভাষার জন্য সংগ্রামের মিছিলে শহিদ হওয়া রফিক, সালাম, বরকত জব্বারসহ আরও অনেকের স্মরণে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রæয়ারিতে প্রভাতফেরি করা হয়। যেখানে সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘এসো, এসো, ল²ীসোনারা সব নেমে এসো তো’Ñ লখা কেন এ উক্তি করেছিল?
উত্তর : রক্তে রাঙা লাল ফুলগুলোকে চোখের সামনে দেখে আবেগে লখা আলোচ্য উক্তিটি করে।
শহিদদের প্রতি লখার ভালোবাসা ছিল তীব্র। যে কারণে শীত, সাপ আর শিয়ালের ভয় উপেক্ষা করে ছুটে আসে বনের ভিতর। ছ্যাঁচড়া ডাল তার পোশাক টেনে ধরে। তবুও লখা পরোয়া করে না। অবশেষে এক পা এক পা করে গাছের মগডাল পর্যন্ত উঠে পড়ে। তারপর চোখের সামনে রক্তে রাঙা ফুলগুলো দেখে তার মনের মধ্যে শহিদদের প্রতি ভালোবাসা জানানোর তীব্র অনুভ‚তি জাগ্রত হয়। যে কারণে সে ফুলগুলোকে লক্ষ করে বলে, ‘এসো এসো, ল²ীসোনারা সব নেমে এসো তো।’
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক নোয়াখালী খ যশোর ক রংপুর বাগেরহাট
২. আবুবকর সিদ্দিক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন?
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ে
৩. ‘লখার একুশে’ গল্পটি কার লেখা? (জ্ঞান)
আবুবকর সিদ্দিক খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ জসীমউদ্দীন ঘ কাজী নজরুল ইসলাম
৪. নিচের কোনটি আবুবকর সিদ্দিক রচিত গ্রন্থ? (জ্ঞান)
একাত্তরের হৃদয়ভস্ম খ চারমূর্তি
গ কৈশোর ঘ জলোচ্ছ¡াস
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. আবুবকর সিদ্দিক একজন (অনুধাবন)
র. অধ্যাপক রর. বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক
ররর. বিশিষ্ট সাহিত্যিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬. আবু বকর সিদ্দিক সাহিত্যে অবদানের জন্য লাভ করেন (অনুধাবন)
র. আদমজী পুরস্কার রর. বুকার পুরস্কার
ররর. বাংলা একাডেমি পুরস্কার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. লখা রাতে কোথায় ঘুমায়? (জ্ঞান)
ক গাছতলায় খ ভাঙা ঘর ফুটপাতে ঘ মায়ের কোলে
৮. ঠান্ডা শানে শুয়ে লখার কী হয়? (জ্ঞান)
ক সর্দি কাশি গ হাঁপানি ঘ বমি
৯. ঠান্ডা শানে ঘুমিয়ে লখার গায়ে কী ওঠে? (জ্ঞান)
জ্বর খ বসন্ত গ ফোঁড়া ঘ ফুসকুড়ি
১০. লখা কাকে দেখেনি? (জ্ঞান)
ক মাকে বাবাকে গ ভাইকে ঘ বোনকে
১১. লখা বন্ধুদের সাথে কী করে? (জ্ঞান)
ক লাফালাফি খ দৌড়াদৌড়ি
গ হাতাহাতি মারামারি
১২. কার পাশে থাকলে লখা খিদের কষ্ট ভুলে যায়? (জ্ঞান)
মায়ের খ বাবার গ দিদির ঘ বন্ধুর
১৩. লখা কীসের মধ্যে হারিয়ে গেল? (জ্ঞান)
ক বৃষ্টি কুয়াশা গ স্বপ্ন ঘ কল্পনা
১৪. কী খেলা খেলে লখার দিন কাটে? (জ্ঞান)
গুলি খ ডাঙ্গুলি গ কানামাছি ঘ লুকোচুরি
১৫. ‘লখার একুশে’ গল্পে রেললাইনকে কীসের সাথে তুলনা করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক নদী খ রাস্তা সাপ ঘ মিছিল
১৬. লখা কী দিয়ে রেললাইনের ইস্পাতে আঘাত করল? (জ্ঞান)
ক লাঠি খ কাঠি গ জুতা ইট
১৭. ইট দিয়ে আঘাত করার পর লখা রেললাইনে কী করল? (জ্ঞান)
ক হাত রাখল কান পাতল
গ বসে পড়ল ঘ ঘুমিয়ে পড়ল
১৮. রেললাইনের ওপারে কী? (জ্ঞান)
ক ছোট খাল খ স্রোতহীন নদী
গ উঁচু পাহাড় নিচু খাদ
১৯. ‘লখার একুশে’ গল্পে কোন পোকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক গুবরে পোকা ঝিঁঝিঁ পোকা
গ প্রজাপতি ঘ ফড়িং
২০. লখার বাঁ পায়ে কী কাঁটা ঢুকেছিল? (জ্ঞান)
ক খেজুর খ ময়না বাবলা ঘ গোলাপ
২১. শিয়ালের ভয়ে লখা কীভাবে দৌড় দিল? (জ্ঞান)
ক মাথায় হাত দিয়ে চোখ-কান বুজে
গ চাদর ফেলে দিয়ে ঘ হাফপ্যান্ট ছিঁড়ে
২২. লখা কীসের বাচ্চার মতো গাছে উঠল? [অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক চিতাবাঘ খ বনবিড়াল কাঠবিড়ালি ঘ খেঁকশিয়াল
২৩. লখার যে গাছটি থেকে ফুল এনেছিল তার ডালপালা ভর্তি কী ছিল? (জ্ঞান)
ক পাতা কাঁটা গ ফুল ঘ ফল
২৪. মিছিলের ঢল কোথায় এগিয়ে চলছে? (জ্ঞান)
ক স্মৃতিসৌধে শহিদ মিনারে
গ বধ্যভ‚মিতে ঘ জাতীয় উদ্যানে
২৫. লখার হাত উপচে কী পড়ছে? (জ্ঞান)
ক পানি ফুল গ রক্ত ঘ অশ্রæ
২৬. জন্ম থেকে লখা কেমন? (অনুধাবন)
ক খোঁড়া খ নুলা গ কানা বোবা
২৭. লখার মায়ের পেশা কী?
ক চুরি করা ভিক্ষা করা
গ রিকশা চালনা ঘ দোকানের বেয়ারা
২৮. প্যান্ট আধখসা অবস্থায় কে দৌড়াতে লাগল? (জ্ঞান)
লখা খ লোকজন গ ডাকাত ঘ চোর
২৯. শান দিনের বেলায় রোদে পুড়ে কেমন হয়? (অনুধাবন)
ক ঠান্ডা গরম গ কঠিন ঘ হালকা
৩০. একুশে ফেব্রæয়ারির প্রভাব কেমন? (অনুধাবন)
ক স্মৃতিবিনাশী অবিনাশী
গ দুঃখনাশী ঘ জীবননাশী
৩১. কোন গানটি ২১শে ফেব্রæয়ারির প্রভাতফেরিতে গাওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার আকাশে
খ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা
গ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি
৩২. ‘লখার একুশে’ গল্পটি পাঠের উদ্দেশ্য কী
ভাষা আন্দোলনের চেতনায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা
খ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করা
গ শহীদ মিনারের গুরুত্ব তুলে ধরা
ঘ দক্ষ ও যোগ্য নাগরিকের দেশপ্রেম বর্ণনা করা
৩৩. লখা ফুলগুলোকে কোন উঁচুতে রাখতে চায়? (জ্ঞান)
ক আকাশের তারার ওপরে খ গাছের মগডালে
গ স্মৃতিসৌধের চ‚ড়ায় শহিদ মিনারের বেদিতে
৩৪. গাছের পাতা বেয়ে কী গড়িয়ে পড়ছে? (জ্ঞান)
ক পানি খ রস গ রক্ত শিশির
৩৫. লখার হাত-পা ছিঁড়ে গেছে কেন? (অনুধাবন)
ক ধাক্কা খেয়ে খ হোঁচট খেয়ে
কাঁটার আঁচড় লেগে ঘ ছোরা লেগে
৩৬. লখা কেঁদে ফেলল কেন? (অনুধাবন)
অসহ্য যন্ত্রণায় খ খুশিতে
গ আনন্দে ঘ ঠান্ডায়
৩৭. ‘বাপকে লখা দেখেনি’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক তার বাবা দূরে থাকে খ লখার বাপ ঘুমিয়ে আছে
লখার বাবা নেই ঘ লখা বাবার কাছে থাকে না
৩৮. লখার বিছানা দিনে গরম ও রাতে বরফের মতো ঠান্ডা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রৌদ্র ও বাতাসের কারণে
গ জানালা খোলা থাকে তাই ঘ টিনের চালার তৈরি ঘর তাই
৩৯. লখা চড় চড় করে কোথায় উঠে গেল? (জ্ঞান)
ক উপরে খ রাস্তায় গাছে ঘ বাড়িতে
৪০. লখা ভয় পাচ্ছিল কার তাকানো দেখে?
ক দূরে একটা লোকের খ ভ‚তের
খেঁকশিয়ালের ঘ বন্ধুদের
৪১. লখার একুশে ফেব্রæয়ারির গানটি আঁ আঁ আঁ করে গাওয়ার কারণ ক
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক এর চেয়ে বেশি লখা গাইতে পারে না
লখা জন্ম বোবা
গ ব্যঙ্গ করে
ঘ ইচ্ছা করে
৪২. লখা হাতে মুঠো পাকালো কেন? (অনুধাবন)
মন শক্ত করার জন্য খ মন বড় করার জন্য
গ ফুল পাড়ার জন্য ঘ ভয় কমানোর জন্য
৪৩. লখা কাকে ল²ীসোনা ডাকে? [গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া]
ক কাঠবিড়ালিকে খ তার মাকে
গ খেকশিয়ালটিকে টুকটুকে লাল ফুলকে
৪৪. রাতের অন্ধকারে জাহিদ ভয়ে রাস্তায় দৌঁড়াচ্ছে। তার মনে হচ্ছে একটা সাপ তাকে লক্ষ করছে। এখানে সাপের সাথে ‘লখার একুশে’ গল্পের কোন জন্তুটির সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক শেয়াল খ কুকুর খেঁকশিয়াল ঘ বাঘ
৪৫. লখা আসলে একজন কী? [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বিদ্বান খ সাহসী গ জ্ঞানী প্রতিবন্ধী
৪৬. লখার বাইরের আঁ আঁ ধ্বনি তার অন্তরের কোন দিকটির পরিচয়বাহী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মাতৃভক্তি খ সংগীতপ্রীতি
মাতৃভাষাপ্রীতি ঘ বন্ধুবাৎসল্য
৪৭. রাতে মায়ের পাশে লখা খিদের কষ্ট ভুলে যায়। এই বাক্যে কোনটি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ক্ষুধার কষ্ট খ মায়ের কথা
মায়ের প্রতি ভালোবাসা ঘ কষ্ট ভুলে যাওয়া
৪৮. বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৮৫০ গ ১৯৫১ ১৯৫২
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. গর্বে লখার বুক ভরে উঠল, কারণÑ (অনুধাবন)
র. মায়ের মুখে প্রশংসা শুনে রর. গাছ থেকে ফুল পাড়তে পেরে
ররর. শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারবে বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. লখা কষ্ট করে ফুল সংগ্রহ করে শহিদ মিনারে গিয়েছিলÑ (অনুধাবন)
র. মনের শখ মেটাতে রর. শ্রদ্ধা নিবেদন করতে
ররর. শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. ‘লখার মা ত্যানাখানি পরে ভিক্ষা করে’ অর্থাৎ তার কাপড়Ñ
র. পুরানো রর. ছেঁড়া
ররর. নোংরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫২. শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল তুলতে গিয়ে লখাকে যেসব কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল তা হলোÑ (অনুধাবন)
র. কাঁটার বিষের যন্ত্রণা রর. ফিনফিনে ঠান্ডা
ররর. পিটুনি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. ‘লখার একুশে’ গল্পটিতে একুশের অবিনাশী প্রভাব পড়েছেÑ (অনুধাবন)
র. লখার ওপর
রর. লখার মায়ের ওপর
ররর. প্রভাতফেরির মিছিলে অংশ নেওয়া শত শত জনতার ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৫৪ ও ৫৫নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রভাতফেরির মিছিল যাবে
ছড়া ও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা
[পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
৫৪. ‘লখার একুশে’ গল্পের কোন চিত্রকল্পটির উপরের অনুচ্ছেদের প্রাসঙ্গিক?
শোক মিছিলে অংশগ্রহণ খ মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা
গ একুশে চেতনা ধারণ ঘ রক্তাক্ত দেহে মাল্যদান
৫৫. উপরের উদ্দীপকটির ভাব ফুটে উঠেছেÑ (অনুধাবন)
র. প্রভাতফেরির শোক মিছিলে রর. সম্মিলিত গানের সুরে
ররর. রক্তভেজা ফুলের গুচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৫৬ ও ৫৭নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আজ একুশে ফেব্রæয়ারি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় মামুনের। যদিও তার শরীর খুবই খারাপ তথাপি সে ফুল সংগ্রহ করতে বের হয়। হাঁটতে তার অনেক কষ্ট হলেও মনের জোরে চলে। তার মাথায় কেবল একটিই চিন্তা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করতে হবে।
৫৬. অনুচ্ছেদের মামুনের সাথে তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক অধ্যাপক কামাল লখা
গ বলাই ঘ পারুল
৫৭. উক্ত মিলের কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রর. একুশের চেতনা
ররর. ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৮ ও ৫৯নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নয়ন বাবার সাথে ফুল দিতে শহিদ মিনারে যেতে চায়। কিন্তু বাবা বললেন, ‘সেখানে প্রচণ্ড ভিড়, তোমার গিয়ে কাজ নেই।’ নয়ন এ কথা শুনে কান্না জুড়ে দিল। অগত্যা বাবা তাকে নিয়ে যেতে রাজি হলেন।
৫৮. অনুচ্ছেদে নয়নের সাথে লখার একুশে গল্পের কোন চরিত্রটির মিল আছে? (প্রয়োগ)
ক লালু লখা গ বলাই ঘ অধ্যাপক কামাল
৫৯. শহিদদের প্রতি উক্ত চরিত্র ও নয়নের শ্রদ্ধাবোধ আমাদের মধ্যে জাগ্রত করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভাষার প্রতি ভালোবাসা রর. চেতনা
ররর. লজ্জা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬০ ও ৬১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছোট ছেলে রানার খুব শখ সে প্রভাতফেরিতে যাবে। কিন্তু তার মা তাকে এত ভিড়ের মধ্যে যেতে দিতে চান না। তাই সে চুপি চুপি মাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল প্রভাতফেরিতে। তার হাতে একটি লাল গোলাপ। সেই গোলাপটি রানা সবচেয়ে উপরের সিঁড়িতে রাখল।
৬০. অনুচ্ছেদের বিষয়টি নিচের কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক রাঁচি ভ্রমণ লখার একুশে
গ লাল ঘোড়া ঘ লাইব্রেরি
৬১. অনুচ্ছেদের উক্ত রচনায় যে বিষয় ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা রর. শহিদদের প্রতি মর্যাদা
ররর. ফুলের প্রতি ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. একুশের ফেব্রæয়ারিতে ধীর পায়ে মিছিলের বেশে শত শত মানুষের শহিদ মিনারের দিকে এগিয়ে যাওয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক গণমিছিল প্রভাতফেরি
গ আন্দোলন ঘ ধর্মঘট
৬৩. ‘শান’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ইট খ বালু পাথর ঘ সিমেন্ট
৬৪. কত সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার করার দাবিতে সর্বপ্রথম আন্দোলন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৭ ১৯৪৮ গ ১৮৪৯ ঘ ১৭৫০
৬৫. প্রভাতফেরির গান গাওয়া হয় কোন দিন?
২১শে ফেব্রæয়ারি খ ১৭ই মার্চ
গ ২৬শে মার্চ ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
৬৬. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটির সুরকার কে? (জ্ঞান)
ক আব্দুল গাফফার চৌধুরী আলতাফ মাহমুদ
গ কামরুল হাসান ঘ আনিস চৌধুরী
৬৭. ‘বিষ’ শব্দটি ‘লখার একুশে’ গল্পটিতে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ব্যথা খ সরল গ অমৃত ঘ শান
৬৮. শহিদদের স্মরণে নির্মিত শহিদ মিনার ঢাকার কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে
গ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে
ঘ টিএসসির পাশে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. ‘হাওয়াই মিঠাই’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. হাওয়ায় উড়ে যাওয়ার মতো খাদ্য
রর. তুলোর মতো হালকা খাদ্য
ররর. মিষ্টি খাদ্য বিশেষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. শহিদদের স্মৃতি রক্ষায় করণীয় পদক্ষেপ ছিল (অনুধাবন)
র. ছবি সংগ্রহ
রর. শহিদ স্মৃতি মিনার তৈরি
ররর. ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. ‘গাঢ়’ শব্দের প্রতিশব্দ হলো (অনুধাবন)
র. হালকা রর. ঘন
ররর. তীব্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. বাংলাদেশে প্রভাতফেরি করা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সবাইকে জাগিয়ে তুলতে
রর. মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানাতে
ররর. শহিদদের স্মরণ করার বিশেষ অনুষ্ঠান হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. ‘লখার একুশে’ কোন শ্রেণির গল্প? (জ্ঞান)
ক বাস্তবধর্মী খ কল্পনাধর্মী রূপকধর্মী ঘ রূপকথার গল্প
৭৪. “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি” এই উচ্চারণটি আমাদের জন্য কেমন? (অনুধাবন)
ক দুঃখের খ শোকের গর্বের ঘ আশার
৭৫. ‘লখার একুশে’ গল্পে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক স্মৃতিসৌধের প্রতি শ্রদ্ধা শহিদ মিনারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
গ দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ঘ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা
৭৬. ‘লখার একুশে’ গল্প পাঠের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে কী জাগ্রত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নীতিবোধ চেতনাবোধ
গ বেদনাবোধ ঘ অপমানবোধ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৭. লখার কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বন্ধুবাৎসল্য রর. মাতৃভাষাপ্রীতি
ররর. অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. ‘লখার একুশে’ গল্পের মূল বক্তব্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অতি সাধারণ এক কিশোরের জীবন বৃত্তান্ত
রর. মানুষের মনে একুশে ফেব্রæয়ারির অবিনাশী প্রভাব
ররর. প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে প্রতিবন্ধকতার হার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. ‘লখার একুশে’ গল্পে ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. একুশে ফেব্র“য়ারি রর. জীবন কাহিনি
ররর. ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. লখার আঁ আঁ আঁ ধ্বনির মধ্যদিয়ে বেরিয়ে আসে বাঙালির গর্বের উচ্চারণÑ (অনুধাবন)
র. আমি কি ভুলিতে পারি
রর. আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
ররর. আমার সোনার বাংলা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর