তৃতীয় অধ্যায় আখলাক
অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব
আখলাক সম্পর্কে
আব্বা-আম্মার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে
শিক্ষকের মর্যাদা ও তার সাথে করণীয় সম্পর্কে
বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করার কথা
প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে
রোগীর সেবা করা সম্পর্কে
সত্য বলার উপকারিতা ও মিথ্যা বলার ক্ষতি সম্পর্কে
ওয়াদা পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে
লোভের ক্ষতি সম্পর্কে
অপচয়ের ক্ষতি সম্পর্কে
অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই
সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে বলে আখলাক। এর ফলে জীবন সুন্দর ও সুখের হয়। মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রের অধিকারীদের কেউ ভালোবাসে না। আমরা ছোট-বড় সবার সাথে উত্তম আচরণ করব। বয়স্কদের সাথে দেখা হলে সালাম দেব, আদবের সাথে কথা বলব। তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখব। রোগীর সেবা-যতœ করব। সবসময় সত্য কথা বলব। সত্য কথা বলা একটি মহৎগুণ। কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করব। আর এসকল কাজের মাধ্যমেই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া যায়।
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও।
১. সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে কী বলে?
ক. মুনাজাত খ. আখলাক
গ. ইবাদত ঘ. সালাত
২. সচ্চরিত্র কোনটি?
ক. পরনিন্দা করা খ. লোভ করা
গ. মিথ্যা বলা ঘ. সত্য কথা বলা
৩. সত্যিকার মুমিনের চরিত্র কেমন?
ক. সুন্দর খ. অসুন্দর
গ. মিথ্যুক ঘ. অসৎ
৪. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমরা কী করব?
ক. শরীর ভালো রাখব
খ. ভালো জামাকাপড় পরব
গ. আব্বা-আম্মাকে সালাম দেব
ঘ. চিন্তা করব
৫. অসৎ চরিত্র কোনটি?
ক. রোগীর সেবা করা খ. শিক্ষককে সম্মান না করা
গ. ইবাদত করা ঘ. শিক্ষককে সম্মান করা
৬. শিক্ষক আমাদের কোন পথে চলতে নিষেধ করেন?
ক. ন্যায় পথে খ. সৎ পথে
গ. আল্লাহর পথে ঘ. অসৎ পথে
৭. আমরা বড়দের কী করব?
ক. সম্মান খ. আদর
গ. স্নেহ ঘ. উপকার
৮. মহানবি (স.) সকলের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন?
ক. মন্দ ব্যবহার খ. খারাপ ব্যবহার
গ. ভালো ব্যবহার ঘ. অসৎ ব্যবহার
৯. আমাদের আশপাশে যারা বসবাস করে তারা আমাদের কে?
ক. আত্মীয় খ. প্রতিবেশী
গ. সহপাঠী ঘ. বন্ধুবান্ধব
১০. প্রতিবেশী অসুস্থ হলে আমরা কী করব?
ক. খাদ্য দেব খ. সাহায্য করব
গ. কথা বলব ঘ. সেবা করব
১১. ফুয়াদ তার আম্মার চিকিৎসার জন্য কাকে ডেকে আনল?
ক. ডাক্তারকে খ. নানা ভাইকে
গ. শিক্ষককে ঘ. নানুকে
১২. যে সত্য কথা বলে তাকে কী বলা হয়?
ক. সততা খ. সৎ
গ. সত্যবাদী ঘ. সত্যবাদিত
১৩. মিথ্যা মানুষকে কী করে?
ক. উপকার করে খ. ধ্বংস করে
গ. খাবার দেয় ঘ. সাহায্য করে
১৪. যে ওয়াদা পালন করে, সকলে তাকে কী করে?
ক. অসম্মান করে খ. ঘৃণা করে
গ. অবিশ্বাস করে ঘ. বিশ্বাস করে
১৫. “যত পায় আরও চায়”- এর নাম কী?
ক. লোভ খ. অপচয়
গ. শান্তি ঘ. ভালোবাসা
১৬. পরনিন্দা করা অর্থ কী?
ক. পরোপকার খ. সাহায্য করা
গ. পরচর্চা করা ঘ. সহযোগিতা করা
খ. শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে চরিত্র বলা বলা হয়।
২. মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের ।
৩. যারা বয়সে আমরা তাদের সালাম দেব।
৪. লোভ আমাদের অনেক করে।
৫. আমরা কোনো কিছু করব না।
উত্তর : ১. অসৎ ২. জান্নাত ৩. বড় ৪. ক্ষতি ৫. অপচয়।
গ. বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর :
ক. চরিত্র ভালো হলে চলতে শেখান
খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ফেলব না
গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে জীবন সুন্দর হয়
ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা তার ধর্ম নেই
ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না ব্যবহার কর
উত্তর :
ক. চরিত্র ভালো হলে জীবন সুন্দর হয়।
খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ব্যবহার কর।
গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে চলতে শেখান।
ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলব না।
ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না তার ধর্ম নেই।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১. আমাদের মহানবি (স.)-এর চরিত্র কেমন ছিল?
উত্তর : আমাদের মহানবি (স.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”
২. আব্বা-আম্মার সাথে কিরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আব্বা-আম্মার সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করব। আমরা তাঁদের সম্মান করব। তাঁদের সাথে রাগারাগি করব না। কর্কশ ভাষায় কথা বলব না। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না। সব সময় হাসিমুখে কথা বলব।
৩. শিক্ষকের সাথে দেখা হলে কী করব?
উত্তর : শিক্ষকের সাথে দেখা হলে প্রথমে তাঁকে সালাম দেব এবং তাঁর কুশল জিজ্ঞাসা করব।
৪. দাদা-দাদি, নানা-নানি আমাদের কী করেন?
উত্তর : দাদা-দাদি ও নানা-নানি আমাদের অনেক আদর-যতœ করেন। খোঁজ-খবর নেন। আমাদেরকে গল্প শোনান। আমাদের জন্য দোয়া করেন।
৫. মহানবি (স.) বড়দের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন?
উত্তর : মহানবি (স.) বড়দের সম্মান করতেন। তাঁদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁদের কথা শুনতেন ও মানতেন।
৬. মহানবি (স.) ছোটদের কী করতেন?
উত্তর : মহানবি (স.) ছোটদের স্নেহ করতেন। কাছে ডাকতেন, আদর করতেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন।
৭. আমরা কাজের লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করব?
উত্তর : আমরা কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। তাদের কাজে সহযোগিতা করব। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলব না। তাদের সাথে কখনো খারাপ আচরণ করব না।
৮. প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে আমরা কী করব?
উত্তর : প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাবার দেব। মহানবি (স.) বলেছেন, “যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে মুমিন নয়।”
৯. আমরা রোগীর কী করব?
উত্তর : আমরা রোগীর সেবা করব। চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর রোগের সুস্থতার জন্য দোয়া করব। মহানবি (স.) বলেন, “তোমরা রোগীর সেবা কর।”
১০. সত্যবাদী কাকে বলে?
উত্তর : যে সত্য কথা বলে তাকে সত্যবাদী বলে।
১১. সব পাপের মূল কোনটি?
উত্তর : মিথ্যা সকল পাপের মূল।
১২. ওয়াদা পালন করার অর্থ কী?
উত্তর : ওয়াদা পালন করা অর্থ কথা দিয়ে কথা রাখা। কথামতো কাজ করা। চুক্তিরক্ষা করা। কারো সাথে কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করার নাম ওয়াদা পালন করা।
১৩. যে লোভ করে তাকে কী বলে?
উত্তর : যে লোভ করে তাকে লোভী বলে।
১৪. অপচয় অর্থ কী?
উত্তর : অপচয় অর্থ ক্ষতি, অপব্যয়, নষ্ট। বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে অপচয় বলে।
১৫. কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম কী?
উত্তর : কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম গিবত বা পরনিন্দা।
বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর :
১. সচ্চরিত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : সুন্দর ও ভালো চরিত্রই হলো সচ্চরিত্র। সত্য কথা বলা, রোগীর সেবা করা, আব্বা-আম্মাকে সম্মান করা, প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করা ইত্যাদি সচ্চরিত্র মানুষের গুণ। একজন সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে, বড়দের সম্মান করে, পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করে, শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করে, ছোটদের স্নেহ করে, সালাত আদায় করে। গিবত, লোভ ও অপচয় করে না।
২. আব্বা-আম্মার সাথে ভালো ব্যবহারের তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : আব্বা-আম্মা হলেন এ পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে আপনজন। নিচে আব্বা-আম্মার সাথে ভালো ব্যবহারের তালিকা দেওয়া হলোÑ
১) আব্বা-আম্মাকে আমরা সম্মান, শ্রদ্ধা করব।
২) সব সময় হাসিমুখে কথা বলব।
৩) তাঁদের সালাম দেব।
৪) তাঁদের সাথে সুন্দর সুন্দর কথা বলব।
৫) তাঁরা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবেন তখন তাঁদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করব।
৬) তাদের কাজে ও চলাফেরায় সাহায্য করব।
৭) রাগারাগি ও ঝগড়া-বিবাদ করব না।
৮) কর্কশ ভাষায় কথা বলব না।
৯) তাঁদের মনে কষ্ট দেব না।
৩. আব্বা-আম্মার জন্য কুরআন মজিদে বর্ণিত দোয়াটি আরবিতে লেখ।
উত্তর : আব্বা-আম্মার জন্য কুরআনে বর্ণিত দোয়াটি হচ্ছেÑ
উচ্চারণ : রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানী সাগীরা।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক, আমার আব্বা-আম্মা আমাকে ছোটবেলায় যেমনি সেবাযতেœ লালন-পালন করেছেন, আপনি তাঁদের প্রতি তেমনি দয়া করুন।
৪. বড়দের সাথে আমাদের কেমন ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর : বড়দের সাথে উত্তম ব্যবহার করা উচিত। আব্বা-আম্মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা-চাচি সবাই আমাদের বয়সে বড়। আমরা তাঁদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করব। যেসব ছেলেমেয়ে আমাদের ওপরের শ্রেণিতে পড়ে আমরা তাঁদের সালাম দেব ও সম্মান করব। আমাদের বাড়ির যেসব কাজের লোক বয়সে বড় আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করব। যারা বয়সে বড় তাঁদের সাথে দেখা হলে সালাম দেব। আদবের সাথে কথা বলব। তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব।
৫. শিক্ষক আমাদের কী কী শেখান?
উত্তর : শিক্ষক আমাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি আমাদের কুরআন, সালাত ও আদব-কায়দা শিখান। তিনি সৎ ও ন্যায়ের পথে চলতে শেখান। তিনি আমাদেরকে অন্যায় ও অসৎ পথে চলতে নিষেধ করেন। কীভাবে পড়তে ও লিখতে হয় তা শিক্ষক আমাদের শেখান। জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয় আমরা শিক্ষকের কাছে শিখি। কুরআনপাক ও হাদিসের বাণী শিখি। তিনি আমাদের দেশ-বিদেশের কথা শেখান।
৬. প্রতিবেশী কারা? আমরা প্রতিবেশীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আমাদের আশপাশে যারা বসবাস করে তারা আমাদের প্রতিবেশী। বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমারের সহযাত্রীরা আমাদের প্রতিবেশী। বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী ছাত্রছাত্রীরা একে অপরের প্রতিবেশীর মতো।
আমরা প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখব। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। কুশল বিনিময় করব। কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দেব। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেছেন, “যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে মুমিন নয়।” প্রতিবেশীরা অসুস্থ হলে তাঁদের সেবা করব। বিপদ-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব। কখনো ঝগড়া-বিবাদ করব না। হিংসা-বিদ্বেষ করব না। সুখে-দুঃখে তাঁদের পাশে দাঁড়াব। এমন কোনো কাজ করব না যাতে তাঁদের অসুবিধা বা কষ্ট হয়।
৭. ফুয়াদের আম্মার জ্বর হলে ফুয়াদ কী করেছিল?
উত্তর : ফুয়াদ খুব ভালো ছেলে। একবার তার আম্মার ভীষণ জ্বর হলো। বাসায় আর কেউ নেই। সে তার আম্মার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডেকে নিয়ে এলো। ডাক্তার সাহেব ফুয়াদের আম্মাকে পরীক্ষা করে তাঁর মাথায় পানি দিতে এবং সময়মতো ওষুধ খাওয়াতে বলল। ফুয়াদ সময়মতো তার আম্মাকে ওষুধ খাওয়াল। মাথায় পানি দিল। আল্লাহর কাছে আম্মার আরোগ্য লাভের দোয়া করল। আল্লাহর রহমতে তার আম্মা সুস্থ হয়ে উঠল। ফুয়াদ আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করল।
৮. সত্যবাদীর প্রতি মানুষের ধারণা কেমন?
উত্তর : সত্যবাদীর প্রতি মানুষ সব সময় ভালো ধারণা রাখে। সকলে তাকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। সে সকলের কাছে প্রিয় হয়। পৃথিবীর সব মানুষই সত্যবাদীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। সবাই তার কথাকে মান্য করে। তার বিপদ-আপদে সবাই এগিয়ে আসে ও সাহায্য করে। সত্যবাদীর জন্য সকলেই দোয়া করে। তার দীর্ঘায়ু কামনা করে।
৯. ওয়াদা পালন করার উপকারিতা কী?
উত্তর : ওয়াদা পালন করার অর্থ কথা দিয়ে কথা রাখা। কথামতো কাজ করা। চুক্তি রক্ষা করা। কারো সাথে কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করার নাম ওয়াদা পালন করা।
ওয়াদা পালন করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন :
১) যে ওয়াদা পালন করে তাকে সবাই বিশ্বাস করে।
২) সবাই তাকে ভালোবাসে।
৩) মহান আল্লাহও তার উপর খুশি হন।
৪) সে সকলের কাছে প্রিয় পাত্র হয়।
৫) সকলে তাকে সম্মান করে।
৬) বিপদে পড়লে সাহায্য করে।
৭) আখিরাতে সে সুখ, শান্তি পায়।
৮) পরকালে সে জান্নাত লাভ করবে।
১০. লোভ মানুষের কী কী ক্ষতি করে?
উত্তর : যত পায় আরো চায়। বেশি বেশি চায়। এর নামই লোভ। লোভ করা মহাপাপ কথায় বলে- “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।” মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমরা লোভ থেকে সাবধান থাক। লোভ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ধ্বংস করে দিয়েছে।” লোভ মানুষের অনেক ক্ষতি করে। যেমনÑ
১) লোভ অশান্তি সৃষ্টি করে।
২) দুঃখ-কষ্ট বাড়ায়।
৩) নানা অন্যায়ে মানুষ লিপ্ত হয়।
৪) মানুষকে পাপের পথে টেনে নেয়।
৫) লোভী মানুষকে কেউ ভালোবাসে না, লোভীকে সম্মান করে না, ঘৃণা করে।
৬) লোভীর সাথে কেউ বন্ধুত্ব করে না।
৭) তার বিপদে কেউ সাহায্য করে না।
৮) লোভের পাপ মানুষকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
১১. অপচয় থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা কী করব?
উত্তর : প্রয়োজন ছাড়া কোনো কিছু নষ্ট করার নামই অপচয়। অপচয় করা পাপ অপচয় থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা নিচে উলেখিত কাজগুলো করব।
১) আমরা কোনো জিনিস অযথা নষ্ট করব না।
২) প্রয়োজনের বেশি খাবার নিয়ে অপচয় বা নষ্ট করব না।
৩) স্কুল-কলেজ ও ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখব না।
৪) অকারণে ফ্যান ছেড়ে রাখব না।
৫) বিড়ি-সিগারেট খাব না, কেননা এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি ও টাকা-পয়সা অপচয় হয়।
৬) বিনা কারণে কোনো কিছুতে আগুন দেব না।
৭) পানির কল খুলে রাখব না।
৮) গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখব না।
৯) বাজি ও পটকা ফোটাব না।
অপচয় থেকে বিরত থাকার দ্বারা জাতীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা হবে। মহান আল্লাহ খুশি হবেন।
১২. আল্লাহ পরনিন্দা না করার জন্য কী বলেছেন?
উত্তর : কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের ব্যাপারে আলোচনা করাই পরনিন্দা। মহান আল্লাহ পরনিন্দা করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা একে অপরের দোষ খুঁজে বেড়াবে না।” আল্লাহ তায়ালা পরনিন্দা করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। কোনো ভাই তার মৃত ভাইয়ের গোশত কখনো খেতে পারে না। এটা জঘন্যতম অপরাধ, মহাপাপ। যে ব্যক্তি পরনিন্দা বা গিবত করে সে জান্নাতে যেতে পারবে না।
অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ :
১. সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে আখলাক বলে।
২. শিক্ষক আমাদেরকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলেন।
৩. যে ওয়াদা পালন করে না, তার ধর্ম নেই।
৪. সত্যবাদীকে আরবিতে কাযিব বলা হয়।
৫. যে পরনিন্দা করে তাকে পরনিন্দুক বলে।
উত্তর : ১. ‘শু’ ২. ‘শু’ ৩. ‘শু’ ৪. ‘অ’ ৫. ‘শু’
উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. আব্বা-আম্মা আমাদের আপনজন।
২. শিক্ষক আমাদের মানুষরূপে গড়ে তোলেন।
৩. সত্যবাদীকে আরবিতে বলে।
৪. যে লোভ করে তাকে বলে।
৫. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে বলে।
৬. যে পরনিন্দা করে তাকে বলে।
৭. যে পালন করে না, তার ধর্ম নেই।
উত্তর : ১. সবচেয়ে ২. প্রকৃত ৩. সাদিক ৪. লোভী ৫. অপচয় ৬. পরনিন্দুক ৭. ওয়াদা।
বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশ মিলিয়ে পূর্ণবাক্য তৈরি কর :
১. আব্বা-আম্মা আমাদের
২. মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে করাকে অপচয় বলে।
দোষের কথা বলার নাম গিবত।
৩. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট
৪. কারো অনুপস্থিতিতে তার
৫. যে লোভ করে সবচেয়ে আপনজন।
অসৎ চরিত্র বলে।
তাকে লোভী বলে।
উত্তর :
১. আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন।
২. মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে অসৎ চরিত্র বলে।
৩. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে অপচয় বলে।
৪. কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম গিবত।
৫. যে লোভ করে তাকে লোভী বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর :
সাধারণ
আখলাক
১. মন্দ-স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে কী বলে? চ
ক অসৎ চরিত্র খ অসৎ ব্যক্তি
গ মিথ্যাবাদী ঘ পরনিন্দুক
২. কোনটি সৎ চরিত্রের উদাহরণ? চ
ক শিক্ষককে সম্মান করা
খ ছোটদের কষ্ট দেয়া
গ পরনিন্দা করা
ঘ ধনী লোকদের সম্মান করা
৩. ‘সত্যিকার মুমিন তারাই, যাদের চরিত্র সুন্দর।’-উক্তিটি কে করেছেন? ছ
ক আল্লাহতায়ালা খ মহানবি (স.)
গ আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.)
ঘ ইমাম গাজ্জালী (রহ.)
৪. ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’-এটি কার বাণী? চ
ক আল্লাহর খ মহানবি (স.)-এর
গ শিক্ষকের ঘ জ্ঞানীদের
৫. আমাদের মহানবি (স.) কেমন চরিত্রের অধিকারী ছিলেন? জ
ক কোমল চরিত্রের খ কঠোর চরিত্রের
গ উত্তম চরিত্রের ঘ মধুর চরিত্রের
আব্বা-আম্মাকে সম্মান করা [ পৃষ্ঠা নংÑ৪১ ]
৬. আমাদের সবচেয়ে আপনজন কারা? চ
ক আব্বা-আম্মা খ দাদা-দাদি
গ নানা-নানি ঘ চাচা-চাচি
৭. মহান আল্লাহ কাদের সাথে সুন্দর সুন্দর কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন? জ
ক শিক্ষকদের সাথে
খ বড়দের সাথে
গ আব্বা-আম্মার সাথে
ঘ ছোটদের সাথে
৮. মহানবি (স.) কার পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত বলেছেন? ছ
ক বাবার খ মায়ের
গ ওস্তাদের ঘ ভাইয়ের
৯. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমরা কী করব? জ
ক তাড়াতাড়ি বের হব
খ জোড়ে জোড়ে চিৎকার করব
গ আব্বা-আম্মাকে ছালাম দিব
ঘ কাউকে ছিু বলব না
১০. আমরা সব সময় কাদের ভালো খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করব? জ
ক চাচা-চাচির খ প্রতিবেশীর
গ আব্বা-আম্মার ঘ বন্ধু-বান্ধবের
১১. ‘আব্বা-আম্মার সাথে উত্তম ব্যবহার কর।’ উক্তিটি কে করেছেন? চ
ক আল্লাহতায়ালা খ মহানবি (স.)
গ হযরত আলী (রা.) ঘ হযরত উমর (রা.)
শিক্ষকের সম্মান করা
১২. কে আমাদের প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলে? জ
ক বন্ধু-বান্ধব খ দাদা-দাদি
গ শিক্ষক ঘ প্রতিবেশী
১৩. কে আমাদের কুরআন, সালাত ও আদব-কায়দা শেখান? চ
ক শিক্ষক খ চাচা-চাচি
গ প্রতিবেশী ঘ ভাই-বোন
বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করা
১৪. আমাদের বাড়ির যেসব কাজের লোক বয়সে বড়, আমরা তাদের কী করব? জ
ক আদেশ করব খ স্নেহ করব
গ সম্মান করব ঘ অশ্রদ্ধা করব
১৫. বয়সে ছোটদের আমরা কী করব? চ
ক আদর করব খ ভয় দেখাব
গ গান শোনাব ঘ সবসময় পড়তে বলব
১৬. যানবাহনে বৃদ্ধ লোকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে আমরা কী করব? ছ
ক সালাম দেব খ বসতে দেব
গ পরামর্শ দেব ঘ কুশল জানাব
১৭. “যে ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান দেখায় না, সে আমার উম্মত না”- এ উক্তিটি কার? চ
ক মহানবি (স.)-এর
খ হযরত আবু বক্কর (রা)-এর
গ হযরত উসমান (রা)-এর
ঘ হযরত আলী (রা)-এর
১৮. মহানবি (স.) বড়দের কী করতেন? চ
ক সম্মান করতেন খ স্নেহ করতেন
গ নিন্দা করতেন ঘ ঘৃণা করতেন
১৯. মহানবি (স.) ছোটদের কী করতেন? ছ
ক শাসন করতেন খ আদর করতেন
গ উপদেশ দিতেন ঘ ভয় দেখাতেন
২০. আমরা কাদের স্নেহ করব? ছ
ক বৃদ্ধদের খ ছোটদের
গ গরিবদের ঘ আত্মীয়দের
প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার
২১. বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমারের সহযাত্রীরা আমাদের কী? জ
ক আত্মীয়-স্বজন খ বন্ধু-বান্ধব
গ প্রতিবেশী ঘ মেহমান
২২. প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে কী করব? ছ
ক সান্ত¡না দেব খ খাবার দেব
গ উপদেশ দেব ঘ অনশন করব
২৩. “যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে মুমিন নয়”- উক্তিটি কার? ছ
ক আল্লাহ তায়ালার খ মহানবি (স.)-এর
গ ফেরেশতার ঘ হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর
২৪. কোনটি করলে আলাহ অসন্তুষ্ট হবেন? চ
ক প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া করলে
খ সত্য কথা বললে
গ আত্মীয়-স্বজনকে ভালোবাসলে
ঘ পড়াশোনা করলে
২৫. প্রতিবেশী অন্য ধর্মের লোক হলে তাদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করব? ছ
ক খারাপ ব্যবহার খ সুন্দর ব্যবহার
গ দুর্ব্যবহার ঘ হিংসাত্মক ব্যবহার
২৬. “আল্লাহর কাছে কেমন প্রতিবেশী সবচেয়ে উত্তম? ছ
ক যে প্রতিবেশীর খবর রাখে না
খ যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম
গ যে প্রতিবেশী বাবা-মাকে সম্মান করে
ঘ যে প্রতিবেশীর অনেক সম্পদ আছে
২৭. প্রতিবেশীর মৃত্যু হলে আমরা কী করব? চ
ক জানাজায় শরিক হব খ বাসায় বসে থাকব
গ আনন্দ করব ঘ কালো পতাকা টানব
২৮. অসুখ-বিসুখ ও রোগশোক আল্লাহর পক্ষ থেকে কার জন্য একটি পরীক্ষা? চ
ক মুমিনের জন্য খ কাফেরের জন্য
গ ধনীর জন্য ঘ গরিবের জন্য
রোগীর সেবা করা [ পৃষ্ঠা নংÑ৪৫ ]
২৯.জ্বর হলে কোথায় পানি দেওয়া প্রয়োজন? ছ
ক শরীরে খ মাথায়
গ হাতে ঘ পায়ে
৩০. “তোমরা রোগীর সেবা কর”- এ বাণীটি কার? ছ
ক আল্লাহর খ রাসুল (স.)-এর
গ ফেরেশতার ঘ মুমিনের
৩১. অসুখ-বিসুখ ও রোগ-শোক মুমিনের জন্য কী? জ
ক পরিতাপের বিষয় খ ক্ষতির বিষয়
গ পরীক্ষা স্বরূপ ঘ দুঃখের বিষয়
সত্য কথা বলা [ পৃষ্ঠা নংÑ৪৬ ]
৩২. “সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, আর মিথ্যা ধ্বংস করে”- উক্তিটি কার? ঝ
ক হযরত আদম (আ.) খ হযরত ইবরাহীম (আ.)
গ হযরত জিবরাইল (আ.) ঘ হযরত মুহাম্মদ (স.)
৩৩. আরবিতে ‘কাযিব’ বলা হয় কাকে? ছ
ক সত্যবাদীকে খ মিথ্যাবাদীকে
গ চোরকে ঘ ডাকাতকে
৩৪. “তোমরা সব সময় সত্য বলবে। কেননা সত্য পুণ্যের পথে নিয়ে যায়। আর পুণ্য জান্নাতে নিয়ে যায়”- উক্তিটি কে করেছেন? ছ
ক আল্লাহ তায়ালা
খ মহানবি (স.)
গ ইমাম গাজ্জালি (র.)
ঘ বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র.)
৩৫. আরবিতে ‘সাদিক’ বলা হয় কাকে? ছ
ক মিথ্যাবাদীকে খ সত্যবাদীকে
গ আমানতদারকে ঘ বিশ্বাসীকে
৩৬. সত্য বলা কী? জ
ক নেকির কাজ খ সৎ গুণ
গ মহৎ গুণ ঘ শ্রেষ্ঠ গুণ
৩৭. সকল পাপের মূল কী? জ
ক লোভ খ গিবত
গ মিথ্যা ঘ হিংসা
৩৮. পৃথিবীতে সকলের কাছে প্রিয় কে? ছ
ক ধনী ব্যক্তি খ সত্যবাদী ব্যক্তি
গ ইয়াতিম ব্যক্তি ঘ হিংসাকারী ব্যক্তি
৩৯. আল্লাহ কাকে ভালোবাসেন? জ
ক কৃপণ ইবাদতকারীকে খ জাহিল ধনীকে
গ সত্যবাদীকে ঘ খোটাদানকারীকে
ওয়াদা পালন করা [ পৃষ্ঠা নংÑ৪৭ ]
৪০. “হে মুমিনগণ! তোমরা ওয়াদা পূরণ কর”- উক্তিটি কে করেছেন? চ
ক আল্লাহ তায়ালা খ মহানবি (স.)
গ হযরত আলী (রা) ঘ হযরত উসমান (রা)
৪১. ওয়াদা পালন করার অর্থ কী? ছ
ক কর্জ নিয়ে তা পরিশোধ করা
খ কথা দিয়ে কথা রাখা
গ ভালো কথা বলা
ঘ সত্য সাক্ষ্য দেওয়া
৪২. ওয়াদা পালন না করলে ছ
ক কর্ম থাকে না খ ধর্ম থাকে না
গ শক্তি থাকে না ঘ বিশ্বাস থাকে না
৪৩. যে ওয়াদা পালন করে না, তার ছ
ক শাস্তি নেই খ ইমান নেই
গ সম্পদ নেই ঘ জীবনের দাম নেই
৪৪. ‘কার ধর্ম নেই’- জ
ক যে দান করে না
খ যে ওয়াদা পালন করে না
গ যে হালাল খাবার খায় না
ঘ যে অন্যের সাহায্য করে না
লোভ না করা
৪৫. “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” এটি হলোÑ ঝ
ক হাদিসের কথা খ কুরআনের কথা
গ জ্ঞানীদের কথা ঘ বাংলা প্রবচন
৪৬. কার মধুর কণ্ঠে কিতাব শোনার জন্য সমুদ্রের মাছ তীরে উঠে আসত? জ
ক হযরত মুসা (আ.)-এর
খ হযরত ঈসা (আ.)-এর
গ হযরত দাউদ (আ.)-এর
ঘ হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর
৪৭. লোভের কারণে মানুষ কিসে লিপ্ত হয়? চ
ক অন্যায় কাজে
খ উন্নয়নমূলক কাজে
গ ভালো কাজে
ঘ সব ধরনের কাজে
৪৮. কোন নবির অনুসারীদের শনিবার মাছ ধরা নিষেধ ছিল? ঝ
ক হযরত মুসা (আ.)-এর
খ হযরত ঈসা (আ.)-এর
গ হযরত আইয়ুব (আ.)-এর
ঘ হযরত দাউদ (আ.)-এর
অপচয় না করা
৪৯. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে কী বলে? চ
ক অপচয় খ গিবত
গ মহানুভবতা ঘ উদারতা
৫০. “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই”- এটি কার বাণী? চ
ক আল্লাহ তায়ালার
খ রাসুলুল্লাহ (স.)-এর
গ হযরত আবু বকর (রা)-এর
ঘ হযরত উমর (রা)-এর
৫১. অপচয় করাÑ ঝ
ক ভালো কাজ খ স্বাভাবিক
গ ছোট পাপ ঘ বড় পাপ
৫২. ব্যক্তিগত ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা পাবে কীভাবে? জ
ক ইচ্ছামতো সম্পদ ব্যবহার করলে
খ অপব্যায়ী হলে
গ অপচয় না করলে
ঘ ঘরে ঘরে পাহারা বসালে
পরনিন্দা না করা
৫৩. কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলা কী? জ
ক আলোচনা খ সমাধান
গ গিবত ঘ সংশোধন
৫৪. “তোমরা একে অপরের দোষ খুঁজে বেড়াবে না”- উক্তিটি কে করেছেন? চ
ক আল্লাহ তায়ালা
খ রাসুল (স.)
গ হযরত আবু বকর (রা)
ঘ হযরত আলী (রা)
৫৫. গিবত বা পরনিন্দা করাকে আল্লাহ তায়ালা কিসের সাথে তুলনা করেছেন? ছ
ক মৃত গরুর গোশত খাওয়ার সাথে
খ মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে
গ মৃত বন্ধুর গোশত খাওয়ার সাথে
ঘ মৃত মায়ের গোশত খাওয়ার সাথে
৫৬. পরনিন্দা করা ইসলামে জ
ক সগীরা গুনাহ খ কবীরা গুনাহ
গ হারাম ঘ মাকরুহ
৫৭. পরনিন্দার কারণে কী সৃষ্টি হয়? চ
ক শত্রæতা খ আত্মীয়তা
গ ঘনিষ্ঠতা ঘ হৃদয়তা
৫৮. ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ উক্তিটি কার? ছ
ক আল্লাহতায়ালার
খ মহানবি (স.)-এর
গ হযরত আলী (রা.)-এর
ঘ হযরত ওসমান (রা.)-এর
৫৯. পরনিন্দার আরবি কী? চ
ক গিবত খ হিরস
গ এসরাফ ঘ সিদক
যোগ্যতাভিত্তিক
শিখনফল : আদর্শ চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারব।
৬০. সামাদ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে চায়। কার আদর্শ অনুসরণ করলে সে সবচেয়ে ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে পারবে? জ
ক বন্ধুর খ প্রতিবেশীর
গ মহানবি (স.)-এর ঘ বাবার
শিখনফল : অসৎ চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারব।
৬১. শান্তা তার বাবা-মাকে অনেক শ্রদ্ধা করত। কিন্তু তাঁরা বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে শান্তা তাঁদের খোঁজ-খবর রাখে না। শান্তাকে বলা যায়Ñ জ
ক সচ্চরিত্র খ মুমিন
গ অসৎ চরিত্র ঘ পরনিন্দুক
শিখনফল : সত্যবাদিতা সম্পর্কে জানতে পারব।
৬২. বশির কখনও মিথ্যা কথা বলে না। কথা দিয়ে কথা রাখে। তাকে সবাই জ
ক ঘৃণা করবে খ অসম্মান করবে
গ ভালোবাসবে ঘ অবিশ্বাস করবে
শিখনফল : লোভের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৩. দাদা ঈদের সেলামি হিসেবে বাদলকে পঞ্চাশ টাকা ও বৃষ্টিকে পঞ্চাশ টাকা দিলেন। বাদল বৃষ্টির টাকা চুরি করে নেওয়ার কথা ভাবল। তার এই ভাবনার কারণ হলো- চ
ক লোভ খ অহংকার
গ গিবত ঘ অপচয়
শিখনফল : আব্বা-আম্মার সাথে করণীয় সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৪. আব্বা-আম্মার কাজে ও চলাফেরায় আমরা সাহায্য করব। সন্তান হিসেবে এটি আমাদের জ
ক দোষ খ গুণ
গ কর্তব্য ঘ ইচ্ছা
শিখনফল : অপচয় সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৫. বিনা প্রয়োজনে কোন কিছু নষ্ট করাকে অপচয় বলে। বিড়ি-সিগারেট কিসের অপচয় বলে তুমি মনে কর? চ
ক অর্থের অপচয়
খ সময়ের অপচয়
গ জ্ঞান-বুদ্ধির অপচয়
ঘ জাতীয় সম্পদের অপচয়
শিখনফল: আখলাক সম্পর্কে জানতে পারব।
৬৬. তোমার বন্ধুর চরিত্র সুন্দর। তাকে কী বলা যাবে? চ
ক সত্যিকার মুমিন
খ খাঁটি মুসলমান
গ সঠিক লোক
ঘ চরিত্রবান লোক
শিখনফল: শিক্ষকের সম্মান করা সম্পর্কে জানব।
৬৭. তুমি ক্লাস থেকে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে বাহিরে যাবে। এখন তোমার করণীয় হচ্ছেÑ ছ
ক চুপি চুপি বের হয়ে যাওয়া
খ শিক্ষকের অনুমতি নেয়া
গ মিথ্যা অজুহাত দাড় করাবে
ঘ ক্লাস দলনেতার কাছে বলে যাওয়া
৬৮. ((عـيـادة الـمـريـض এর সঠিক অনুবাদ সঠিক অনুবাদ কোনটি? চ
ক তোমরা রোগীর সেবা কর
খ তোমরা গরিবের সেবা কর
গ তোমরা আত্মীয়ের সেবা কর
ঘ তোমরা পথিকের সেবা কর
শিখনফল: প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে জানব।
৬৯. প্রতিবেশীদের শান্তি রক্ষা যায় কীভাবে? ছ
ক শান্তি চুক্তি করে
খ অসুস্থ হলে সেবা করে
গ সামাজিক অধিকার ভঙ্গ করে
ঘ যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে
শিখনফল: অপচয় রোধ করা সম্পর্কে জানতে পারব।
৭০. তুমি গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবে না, কারণ- চ
ক জাতীয় সম্পদ নষ্ট হবে বলে
খ সরকারি লোক জেনে ফেলবে বলে
গ দুর্ঘটনা ঘটবে বলে
ঘ তোমার অনেক টাকা বিল দিতে হবে বলে
শিখনফল: সালাম দেওয়ার নিয়ম জানবে।
৭১. তুমি বিকেলে খেলাধুলা করে বাড়ি ফিরে দেখলে তোমার আম্মা নুডুলস রান্না করছে। এমতাবস্থায় তুমি কী করবে? জ
ক চুপচাপ বসে থাকবে
খ আম্মাকে ক্ষুধার কথাবলবে
গ প্রথমে সালাম দিবে
ঘ আম্মার সাথে রাগারাগি করবে
শিখনফল: বড়দের প্রতি সম্মানবোধ জাগাবে।
৭২. তুমি স্কুলে যাওয়ার পথে খেয়াপাড়ারের সময় দেখলে তোমার প্রতিবেশী এক মুরব্বি দাঁড়িয়ে আছেন। এখন তুমি কী করবে- ছ
ক তুমি মাঝিকে বসার ব্যবস্থা করতে বলবে
খ তুমি ওঠে তাকে বসতে দিবে
গ তুমি লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকবে
ঘ অন্য কাউকে উঠিয়ে তাকে বসতে দিবে
শিখনফল: লোভ সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে।
৭৩. তোমার বন্ধু তার এক প্রতিবেশীর গাছের ফল চুরির কথা বলল। তার কাজটিকে ধরা হবে- চ
ক লোভ হিসেবে খ হিংসা হিসেবে
গ অপচয় হিসেবে ঘ অসামাজিক হিসেবে
শিখনফল: অপচয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে।
৭৪. তুমি খেতে বসে খাবার নষ্ট করবে না। কারণ- ছ
ক বাবা-মা রাগ করবেন
খ অপচয়ের গুনাহ হবে
গ অন্যেরা দেখলে খারাপ বলবে
ঘ খাবার ঘাটতি দেখা দিবে
শিখনফল: জুমুআর সালাতের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
৭৫. জুমুআর আযান হলে তুমি সব কাজ ছেড়ে দিবে কেন? ছ
ক অনেক দূরে মসজিদে যেতে হবে বলে
খ আল্লাহপাকের হুকুম বলে
গ ইমাম সাহেবের নির্দেশ বলে
ঘ মসজিদে জায়গা পাবে না বলে
শিখনফল: কুরবানির সম্পর্কে জানতে পারব।
৭৬. তুমি কুরবানির গোস্ত তিনভাগ করবে কেন? ঝ
ক গরিবের অধিকার বলে
খ কুরবানি আদায় হবে না বলে
গ আত্মীয় স্বজন রাগ করবে বলে
ঘ ঈদের খুশিতে সবাইকে শরিক রাখবে বলে
শিখনফল : উত্তর চরিত্র সম্পর্কে জানতে পারব।
৭৭. তুমি তোমার সহপাঠীরও গীবত করবে না। কারণ- ঝ
ক তোমার সহপাঠী শুনে ফেলবে বলে
খ শিক্ষক তোমাকে মারবে বলে
গ সহপাঠীরা তোমাকে খারাপ জানবে বলে
ঘ পরনিন্দা করা হারাম বলে
৭৮. তুমি তোমার বন্ধুর সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করবে না। কারণ- জ
ক বন্ধু সবাইকে বলে দিবে
খ বন্ধু তোমাকে লজ্জা দিবে
গ ওয়াদা ভঙ্গ করা মারাত্মক অন্যায় বলে
ঘ বন্ধুর বাবা-মা জেনে ফেলবে বলে
৭৯. আখলাক বলতে বুঝায়- চ
ক ভালো চরিত্রকে
খ নামাজ, রোযা আদায় করাকে
গ ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখাকে
ঘ প্রচুর টাকা পয়সা দান করাকে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. আখলাক কাকে বলে?
উত্তর : সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে আখলাক বলে।
২. অসৎ চরিত্র অর্থ কী?
উত্তর : মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে অসৎ চরিত্র বলে।
৩. আমাদের সবচেয়ে আপনজন কারা?
উত্তর : আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন।
৪. মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আব্বা-আম্মার সাথে কেমন ব্যবহার করার জন্য আদেশ দিয়েছেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আব্বা-আম্মার সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্য আদেশ দিয়েছেন।
৫. কে আমাদের প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলেন?
উত্তর : শিক্ষক আমাদের প্রকৃত মানুষরুপে গড়ে তোলেন।
৬. জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয় আমরা কার কাছে শিখি?
উত্তর : জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয় আমরা শিক্ষকের কাছ থেকে শিখি।
৭. কার অনুমতি নিয়ে আমরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বাইরে যাব?
উত্তর : শ্রেণিকক্ষ থেকে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে যাব।
৮. বড়দের সাথে দেখা হলে আমরা কী করব?
উত্তর : বড়দের সাথে দেখা হলে আমরা তাঁদের সালাম দেব, আদবের সাথে কথা বলব, ভালো ব্যবহার করব ও তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব।
৯. আমাদের চেয়ে বয়সে ছোট যারা তাদের সাথে আমরা কেমন আচরণ করব?
উত্তর : আমাদের চেয়ে বয়সে ছোট যারা তাদেরকে আমরা আদর করব, স্নেহ করব, কাঁদলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেব, কোলে নেব, ভালো কথা শোনাব। তাদেরকে কষ্ট দেব না।
১০. আমাদের প্রতিবেশী কারা?
উত্তর : আমাদের আশপাশে যারা বসবাস করে তারা আমাদের প্রতিবেশী।
১১. অসুখ-বিসুখ ও রোগ-শোক আল্লাহর পক্ষ থেকে কার জন্য পরীক্ষা?
উত্তর : অসুখ-বিসুখ ও রোগ শোক আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য একটি পরীক্ষা।
১২. সত্যবাদীকে আরবিতে কী বলা হয়?
উত্তর : সত্যবাদীকে আরবিতে সাদিক বলা হয়।
১৩. “সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, আর মিথ্যা ধ্বংস করে”- এ বাণীটি কার?
উত্তর : “সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, আর মিথ্যা ধ্বংস করে।”Ñএ বাক্যটি মহানবি (স.) এর।
১৪. যে ওয়াদা পালন করে সে সকলের কাছে কেমন হয়?
উত্তর : যে ওয়াদা পালন করে সে সকলের কাছে প্রিয় হয়, সম্মানিত হয়।
১৫. যত পায় আরও চায়, বেশি বেশি চায়- এর নাম কী?
উত্তর : যত পায় আরও চায়, বেশি বেশি চায়- এর নামই লোভ।
১৬. অপচয়কারীরা কার ভাই?
উত্তর : অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।
১৭. পরনিন্দা করা অর্থ কী?
উত্তর : পরনিন্দা করা অর্থ হচ্ছে গিবত করা, পরচর্চা করা, দুর্নাম রটানো।
১৮. মহানবি (স.) পরনিন্দাকারী সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স.) পরনিন্দাকারী সম্পর্কে বলেছেন, “পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. আমাদের সবচেয়ে আপনজন কারা? তাঁরা আমাদের প্রতি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তর : এই পৃথিবীতে আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। তাঁরা আমাদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
১) স্নেহ, মমতা, দরদ দিয়ে তাঁরা আমাদের লালন- পালন করেন।
২) নিজেরা না খেয়ে আমাদের খাওয়ান।
৩) আমাদের সুখের জন্য তাঁরা অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেন।
৪) অসুখ-বিসুখ হলে সেবা যতœ করেন।
৫) আমাদের কষ্টে তারা কষ্ট পান, আমাদের সুখে সুখী হন।
৬) আমরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আমাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
৭) তাঁরা সব সময় আমাদের কল্যাণ কামনা করেন।
২. প্রতিবেশীর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে কী হবে? এ সম্পর্কে মহানবি (স.) কী বলেছেন?
উত্তর : প্রতিবেশীর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে মহান আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন। পরিবেশ নষ্ট হবে। সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হবে। সুখ-শান্তি বিনষ্ট হবে। পরকালে সে জান্নাত পাবে না। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেছেন, “যার অত্যাচার ও অন্যায় আচরণ থেকে তার প্রতিবেশী রক্ষা পায় না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
৩. সত্য পুণ্যের পথে পরিচালিত করে-এ উক্তির আলোকে একটি কাহিনী বর্ণনা কর।
উত্তর : একদিন মহানবি (স.)-এর কাছে একজন লোক এসে বলল, ‘হে আল্লাহর নবি (স.), আমি চুরি করি। মিথ্যা কথা বলি। আরও অনেক অন্যায় করি। এখন আমি এগুলো ছেড়ে দিতে চাই। বলুন, আমি প্রথমে কোনটি ছেড়ে দেব।’
মহানবি (স.) বললেন, “তুমি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দাও।” লোকটি মিথ্যা কথা বলা ছেড়ে দিল। আর এই মিথ্যা বলা ছেড়ে দেওয়ার কারণে সে অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে বেঁচে গেল। সত্য বলা তাকে আরো অন্যান্য অনেক ভালো কাজের দিকে ধাবিত করল। মহানবি (স.) বলেন “তোমরা সব সময় সত্য বলবে। কেননা সত্য পুণ্যের পথে নিয়ে যায়। আর পুণ্য জান্নাতে নিয়ে যায়।”
৪. শিক্ষকের সাথে কেমন ব্যবহার করবে?
উত্তর : শিক্ষকের সাথে যে রকম ব্যবহার করব তা নিচে তুলে ধরা হলোÑ
১) শিক্ষকের সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করব।
২) তাঁর সাথে দেখা হলে তাঁকে সালাম দেব।
৩) তাঁকে ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করব।
৪) তিনি যা পড়াবেন মনোযোগ দিয়ে শুনব।
৫) তাঁর সাথে সব সময় নম্রভাবে কথা বলব।
৬) তিনি শ্রেণিকক্ষে থাকা অবস্থায় যদি বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁর অনুমতি নিয়ে যাব।
৭) তিনি অসুস্থ হলে তাঁকে দেখতে যাব, তাঁর সেবা- যতœ করব।
৮) তাঁর আদেশ-উপদেশ মেনে চলব।
৯) তাঁর সাথে বেয়াদবি করব না, তাঁর কথা শুনব।
১০) তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করব।
যোগ্যতাভিত্তিক
৫. সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে তুমি কী করবে পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্যে আমি যা করব তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :
১) মা-বাবার নির্দেশ মেনে চলব।
২) মা-বাবাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করব।
৩) ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ করব না।
৪) বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করব।
৫) সবসময় সত্য কথা বলব।
৬. তোমার কোনো প্রতিবেশীর মৃত্যু হলে কী করবে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমার কোনো প্রতিবেশীর মৃত্যু হলে আমি যা করব তা নিচে পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো :
১) প্রতিবেশীর মৃত্যু হলে তার বাসায় গিয়ে সবাইকে সান্ত¡না দেব।
২) মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভ‚তি জানাব।
৩) মৃত ব্যক্তির জানাজায় শরিক হব।
৪) মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করব।
৫) প্রতিবেশী অন্য ধর্মের লোকজন হলে, তাদের সাথেও সুন্দর ব্যবহার করব।
Not good
Why is it not good