পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

 অল্পকথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর।
উত্তর : সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো :
১. সবাই মিলেমিশে থেকে সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে রাখা।
২. সমাজে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ (যেমন : রাস্তাঘাট, পুল-সেতু, যানবাহন, গাছপালা, খেত, পুকুর, পার্ক, ক্লাব ইত্যাদি) সংরক্ষণ করে রাখা।
৩. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন ও আচার-আচরণ মেনে চলা।
৪. সমাজের শান্তি নষ্ট হয়- এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
প্রশ্ন \ ২ \ রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর।
উত্তর : নাগরিক হিসেব রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তার মধ্যে চারটি উল্লেখযোগ্য কর্তব্য হলো :
১. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা : নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা আমাদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। আমরা রাষ্ট্রের শাসন মেনে চলব।
২. আইন মেনে চলা : দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সরকার আইন প্রণয়ন করে। এসব আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
৩. নিয়মিত কর প্রদান : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজ করে। তাই নিয়মিত কর দেওয়া নাগরিকদের কর্তব্য।
৪. ভোটদান : ভোট দেওয়া নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমাদের দেশে ১৮ বছর বয়স হলে নাগরিকরা ভোট দিতে পারে। ভোটের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রের শাসনকাজে অংশগ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জামের নাম লিখ।
উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জাম হলো :
১. জীবাণুনাশক ঔষুধ।
২. কাঁচি।
৩. তুলা।
৪. টেপ।
 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ অপরিচিত মানুষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে?
উত্তর : আমাদের অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। অপরিচিত কেউ কোনো কিছু খেতে দিলে খাওয়া উচিত নয়। যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি কোথাও যাওয়া বা খাওয়ার জন্য জোর করে তাহলে আশেপাশের লোকদের জানানো উচিত। বাড়িতে অপরিচিত লোকদের ডাকে পরিচয় না জেনে ঘরের দরজা না খোলা। তাহলে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে?
উত্তর : বাড়িতে নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন : দা, ছুরি, কাঁচি দিয়ে যাতে হাত, পা না কাটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে কেউ যাতে ভুল ওষুধ ও কীটনাশক না খেতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। গ্যাসের চুলা থেকে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মাটির চুলা থেকে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে, চুলার আগুন নিভিয়ে রাখতে হবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ রাস্তায় কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে?
উত্তর : রাস্তায় দিন দিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে যা করা উচিত তা হলো : একটু কষ্ট হলেও হেঁটে ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার উপর আড়াআড়ি সাদা দাগকে জেব্রাক্রসিং বলে। এ জেব্রাক্রসিং দিয়ে দু’পাশে ভালো করে দেখে নিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার মাঝখান দিয়ে না হেঁটে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটা উচিত। ট্রাফিক নিয়ম মেনে রাস্তায় চলাচল করা উচিত।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
১. স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় তোমার একজন বন্ধু সামান্য আঘাত পেয়েছে। তুমি তখন কী করবে?
ক. তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবচ খ. তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব
গ. শিক্ষককে বিষয়টি জানা ঘ. তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব
২. অপরিচিত ব্যক্তি তোমাকে কিছু খেতে দিলে তুমি কী করবে?
ক. ছোট ভাইকে নিয়ে খাব খ. কৌশলে এড়িয়ে যাব চ
গ. খাবারটি অন্য শিশুকে দেব ঘ. বন্ধুদেরকে নিয়ে খাব
৩. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ব্যবহারে আমাদের যতœশীল হওয়া প্রয়োজন কেন?
ক. এটি আমাদের দায়িত্বচ খ. শিক্ষককে খুশি করার জন্য
গ. পিতামাতাকে খুশি করার জন্য ঘ. শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য
৪. তোমার বয়স ১০ বছর। আর কত বছর পর তুমি ভোট দিতে পারবে?
ক. ৬ খ. ৭ গ. ৮ চ ঘ. ৯
৫. স্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে তোমার বোন গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তুমি কী করবে?
ক. ঝাঁড়ফুক দেয়া লোকের কাছে নিয়ে যাব
খ. আমি নিজেই তার চিকিৎসার চেষ্টা করব
গ. তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব
ঘ. প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেব চ
৬. তোমার এক সহপাঠী স্কুলে টিফিন আনতে ভুলে গেছে। তুমি কী করবে?
ক. তাকে প্রতিদিন টিফিন আনতে বলব
খ. নিজ টিফিন তার সাথে ভাগ করে খাব চ
গ. নিজ টিফিন খেয়ে নেব
ঘ. বিষয়টি এড়িয়ে যাব
৭. রাস্তা পারাপারের জন্য আইন মেনে চলার প্রধান কারণÑ
ক. যানজট এড়ানো খ. দুর্ঘটনা এড়ানো চ
গ. জরিমানা এড়ানো ঘ. দ্রæত রাস্তা পার হওয়া
৮. তুমি ও তোমার ছোটভাই বাড়িতে বসে আছ, সে সময়ে তোমার ছোটভাই এর ডায়রিয়া শুরু হলো। তুমি সর্বপ্রথম কী করবে?
ক. হাসপাতালে নিয়ে যাব খ. ওরস্যালাইন খেতে দেব চ
গ. প্রতিবেশীদের খবর দেব ঘ. পিতামাতাকে খবর দেব
৯. তোমার প্রতিবেশী একজন মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে অসুস্থ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এখন তুমি কী করবে?
ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. সাহায্যের উদ্যোগ নেব চ
গ. শিক্ষকের সাহায্য চাইব ঘ. নিজ বাড়িতে নিয়ে আসব
১০. তোমার একজন বন্ধু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় তোমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। তুমি কী করবে?
ক. তাকে বকা দেব খ. তাকে ঈর্ষা করব
গ. তাকে বিদ্রƒপ করব ঘ. তাকে অভিনন্দিত করব চ
১১. একজন নাগরিক কীভাবে শাসন কাজে অংশগ্রহণ করেন?
ক. ভোটদানের মাধ্যমে চ
খ. শিক্ষা লাভের মাধ্যমে
গ. কর প্রদানের মাধ্যমে
ঘ. দরিদ্রদেরকে সাহায্য করার মাধ্যমে
১২. প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার প্রধান কারণ হলো
ক. আমরা একই এলাকায় বাস করি বলে
খ. আমাদের ব্যবহার ভলো হওয়া উচিত বলে
গ. তাদের সাথে আমাদের প্রতিদিন দেখা হয় বলে
ঘ. আমরা অসুবিধায় পড়লে তারা এগিয়ে আসেন বলে চ
১৩. তোমার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে একটা সাঁকো ভেঙে গেছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. অন্য বিদ্যালয়ে যাব
খ. বড়দের সহায়তায় মেরামত করব চ
গ. বিকল্প পথে বিদ্যালয়ে যাব
ঘ. মেরামতের জন্য নিজেই অর্থ সংগ্রহ করব
১৪. দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ধরনের লোককে ভোট দেওয়া উচিত?
ক. সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি চ খ. ধনী ও নামকরা ব্যক্তি
গ. নিজ দলের লোক ঘ. প্রভাবশালী ব্যক্তি
১৫. রাস্তায় চলার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি চকোলেট দিয়ে তোমার সাথে খাতির জমাতে চাইল। তুমি কী করবে?
ক. আমি চকোলেটটি নেব
খ. আমি চকোলেটটি নেব না চ
গ. আমি চকোলেটটি ফেলে দেব
ঘ. আমি চকোলেটি নেব এবং পরে খাব
১৬. তুমি দেশসেবার জন্য তোমাকে প্রস্তুত করতে চাও। সেক্ষেত্রে তোমাকে কীভাবে প্রস্তুত করবে?
ক. অর্থ উপার্জন করব
খ. অন্যকে সাহায্য করব
গ. পিতা-মাতাকে কাজে সাহায্য করব
ঘ. বিদ্যালয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া করব চ
১৭. রাসেলের মা প্রতিদিন রাসেলের স্কুল ছুটির পর নিয়ে আসে। হঠাৎ একদিন রাসেলের মায়ের আসতে দেরি হলে রাসেলের করণীয় কী?
ক. একটি বাসায় যাওয়া খ. খেলতে যাওয়া
গ. অন্য কারো সাথে যাওয়া ঘ. মায়ের জন্য অপেক্ষা চ
১৮. বাবুল সাহেব প্রত্যেক নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেন। এর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের কোন কাজে অংশগ্রহণ করেন?
ক. বিচার কাজে খ. সামাজিক কাজে
গ. শাসন কাজে চ ঘ. নিরাপত্তার কাজে
১৯. রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় আমাদের কী করা উচিত?
ক. রাস্তার মাঝ পথ দিয়ে হাঁটা খ. সংকেত অনুসরণ না করা
গ. জেব্রাক্রসিং ব্যবহার না করা ঘ. ফুটপাথ ব্যবহার করা চ
২০. সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমরা কোনটিকে গুরুত্ব দেব?
ক. পরিবারের স্বার্থকে খ. সরকারের স্বার্থকে
গ. সমাজের স্বার্থকে ঘ. দেশের স্বার্থকে চ
২১. আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আছেÑ
ক. পরিবার ও রাষ্ট্রের প্রতি খ. সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি চ
গ. পরিবার ও সমাজের প্রতি ঘ. পরিবার ও নাগরিকের প্রতি
২২. সমাজজীবন আরও সুন্দর হলে সমাজের সদস্যরা ভালভাবে জীবনযাপন করতে পারবে নিচের কোনটি অনুসরণ করলে?
ক. সমাজে শান্তি হয় এমন কাজ করলে
খ. অসুবিধাগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য না করলে
গ. সমাজের উন্নয়নে কাজ করলে চ
ঘ. ছোটদের ভাল না বাসলে
২৩. রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দায়িত্ব নয় কোনটি?
ক. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা
খ. আইন মেনে চলা
গ. নিয়মিত কর প্রদান করা
ঘ. রাষ্ট্রের কাজে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সহায়তা না করা চ
২৪. আমরা সবাই রাষ্ট্রের কী হিসেবে বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা এবং অধিকার ভোগ করি?
ক. নেতা খ. বিচারক গ. নাগরিকচ ঘ. সদস্য
২৫. আমরা কখন ভোট দেওয়ার অধিকার লাভ করব?
ক. শিক্ষা জীবন শেষ হলে খ. চাকরি পেলে
গ. বয়স ১৮ বছর হলে চ ঘ. যে কোনো সময়
২৬. আমরা কীসের উন্নয়নের জন্য কাজ করব?
ক. সমাজের চ খ. নিজের
গ. পরিবারের ঘ. আত্মীয়ের
২৭. আমরা সমাজের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলব কেন?
ক. স্বাধীনতা রক্ষায় খ. ধর্ম পালনের জন্য
গ. জীবনকে সুন্দর করতে চ ঘ. টাকা উপার্জনের জন্য
২৮. অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রতি আমরা কেমন আচরণ করব?
ক. সুন্দর ব্যবহার করব খ. সহমর্মিতা ও সহযোগিতা করব চ
গ. মিলেমিশে থাকব ঘ. ভালো খাবার দেব
২৯. তোমার বিদ্যালয়টি একটি মহসড়কের পাশে অবস্থিত। বিদ্যালয় ছুটির পর তুমি এবং তোমার বন্ধুরা কীভাবে রাস্তা পার হবে?
ক. একাকী দৌড়ে
খ. সবাই একযোগে হেঁটে
গ. সবাই একযোগে দৌঁড়ে
ঘ. সবাই ডানে ও বামে তাকিয়ে সাবধানে চ
৩০. তুমি তোমার বাবার সাথে স্কুলে যাওয়ার সময় দেখলে যে অনেক লোক রাস্তায় চলার নিয়ম মানছে না। তারা ওভারব্রীজ দিয়ে রাস্তা পার না হয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে?
ক. অন্যদের মত দৌড়ে রাস্তা পার হবে
খ. তোমার বাবা দৌড়ে এবং তুমি ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হবে
গ. দুজনেই ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হবে চ
ঘ. বাড়ি ফিরে আসবে
৩১. আমরা সকলে কোন সংগঠনের সদস্য?
ক. সমাজের চ খ. দেশের গ. বাজারের ঘ. স্কুলের
৩২. শারমিন রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে ফেলে। এক্ষেত্রে প্রথমে তার করণীয় কী?
ক. ডাক্তার ডেকে আনা খ. প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া চ
গ. কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা ঘ. হাসপাতালে যাওয়া
৩৩. শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করব?
ক. বিদ্যালয়ে বেতন পরিশোধ করে
খ. খেলার সময় লেখাপড়া করে
গ. মা-বাবার কথা মেনে চলে
ঘ. মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করে চ
৩৪. আমরা কীভাবে সমাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে পারি?
ক. খাদ্য দিয়ে খ. উপদেশ দিয়ে
গ. অংশগ্রহণ করে চ ঘ. টাকা-পয়সা দিয়ে
৩৫. শাওন টেবিল ফ্যানের প্লাগ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার বড় ভাই তাকে বাঁচাতে যা করেÑ
ক. মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয় চ খ. হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়
গ. কাথা দিয়ে ঝাপটে ধরে ঘ. মাথায় পানি ঢালতে থাকে
৩৬. আব্দুল্লাহ প্রতিদিন স্কুলে হেঁটে যায়। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্দুল্লাহর করণীয় কী?
ক. রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটা খ. ফুটপাত দিয়ে হাঁটা চ
গ. আনমনে রাস্তা পার হওয়া ঘ. ওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে হাঁটা
৩৭. অধিকারের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছেÑ
ক. কর্তব্যের চ খ. অবহেলার
গ. ফাঁকিবাজির ঘ. মৌলিক অধিকারের
৩৮. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য আবশ্যক কেন?
ক. রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নতির জন্য চ
খ. আন্দোলন-সংগ্রাম প্রতিরোধ করার জন্য
গ. হরতাল-প্রতিরোধের জন্য
ঘ. মানবিক গুণাবলি বিকাশের জন্য
৩৯. রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনÑ]
ক. অর্থের চ খ. সম্পদের
গ. জনবলের ঘ. সামরিক বাহিনীর
৪০. সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোনটি?
ক. ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকা
খ. উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করা চ
গ. নির্বাচনের আইন অমান্য করা
ঘ. নির্বাচনের আচরণ বিধি না মানা
৪১. আইন অমান্য করলে ভোগ করতে হয়Ñ
ক. শান্তি খ. শাস্তি চ গ. সুখ ঘ. দুঃখ
৪২. দেশের উন্নতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনÑ
ক. শিক্ষিত নাগরিক চ খ. অশিক্ষিত নাগরিক
গ. নির্বাচন ঘ. সবগুলো
৪৩. ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হবে কেন?
ক. দুর্ঘটনা এড়াতে চ খ. ভাড়া বাঁচাতে
গ. সময় বাঁচাতে ঘ. ব্যায়াম করতে
৪৪. রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা উচিত কেন?
ক. শৃঙ্খলার জন্য চ খ. পুরস্কারের আশায়
গ. শাস্তির ভয়ে ঘ. ধর্মের কারণে
৪৫. সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে কেন?
ক. ক্ষমতা ধরে রাখতে খ. রাজনৈতিক কারণে
গ. রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চ ঘ. নির্বাচন করার জন্য
৪৬. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নাগরিকের যে অধিকার রয়েছে তা হলোÑ
ক. জীবন রক্ষার খ. ভোটের চ
গ. শিক্ষা লাভের ঘ. ধর্ম পালনের
৪৭. নিয়মিত কর দেওয়া নাগরিকের কর্তব্য কেন?
ক. করের অভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় চ
খ. নাগরিক হিসেবে পরিচিত হতে
গ. প্রাপ্ত অর্থ সরবরাহ সহায়তা করে
ঘ. নাগরিক চুক্তিবদ্ধ বলে
৪৮. সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি কী পাবার অধিকার রাখে?
ক. অর্থ খ. চাঁদা গ. অনুদান ঘ. ভোট চ
৪৯. বিদ্যালয়ে আমাদের প্রধান দায়িত্ব কী?
ক. মিলেমিশে থাকা
খ. বিদ্যালয় পাঙ্গণে ঘুরে বেড়ানো
গ. মন দিয়ে লেখাপড়া করা চ
ঘ. গাছ লাগানো
৫০. স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে তুমি কী করবে?
ক. ফুটপাথ দিয়ে রাস্তা পার হবে
খ. লেভেলক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবে
গ. জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবে চ
ঘ. রাস্তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা পার হবে
৫১. প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স কেন বাড়িতে রাখতে হবে?
ক. বাড়িতে সাময়িক চিকিৎসা পেতে চ
খ. বাড়িতে পরিপূর্ণ চিকিৎসা পেতে
গ. অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করতে
ঘ. হাসপাতালে নেয়ার উপযোগী করতে
৫২. দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি আহত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হলে করণীয় কী?
ক. প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া চ খ. হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া
গ. মাথায় পানি দেওয়া ঘ. আহত ব্যক্তির ঠিকানা জানা
৫৩. সমাজের প্রতি দায়িত্বের অবহেলা নিচের কোনটি থেকে বোঝা যায়?
ক. নিয়ম অমান্য করা চ খ. সম্পদ নষ্ট করা
গ. অসহযোগিতা করা ঘ. অন্যের ক্ষতি করা
 সাধারণ
৫৪. কোনটি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বের অবহেলা?
ক. নিয়ম মানা খ. সম্পদ সংরক্ষণ
গ. সহযোগিতা করা ঘ. অন্যের ক্ষতি করা চ
৫৫. রাস্তায় চলার সময় আমাদের কী করা উচিত নয়?
ক. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার খ. ওভারব্রীজ ব্যবহার
গ. ফুটপাত ব্যবহার ঘ. রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটা চ
৫৬. নিচের কোন কাজটি করা তোমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
ক. আচার খাওয়া
খ. অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু খাওয়া চ
গ. শ্রেণিকক্ষে বসে টিফিন খাওয়া
ঘ. খাবারের দোকানে বসে কিছু খাওয়া
৫৭. আমাদের দেশে সর্বনিম্ন কত বছর বয়সের নাগরিক ভোট দিতে পারে?
ক. ১৮ চ খ. ২০ গ. ২২ ঘ. ২৪
৫৮. রাজনৈতিক অধিকার কোনটি?
ক. শিক্ষার অধিকার খ. সম্পদের অধিকার
গ. ভোটের অধিকার চ ঘ. উপরের সবগুলো
৫৯. নাগরিকদের ওপর কী আরোপ করে রাষ্ট্র অর্থ সংগ্রহ করে?
ক. শক্তি খ. আইন গ. শান্তি ঘ. কর চ
৬০. সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস কী?
ক. বৈদেশিক ঋণ খ. কর চ
গ. ব্যাংক লোন ঘ. জনগণের চাঁদা
৬১. দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কী আছে?
ক. পুলিশ বাহিনী খ. সেনাবাহিনী
গ. নিয়মকানুন ঘ. আইনকানুন চ
৬২. কোনটি সমাজের সম্পদ?
ক. পাহাড় খ. সমুদ্র গ. বায়ু ঘ. পার্ক চ
৬৩. কোনটি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বের অবহেলা?
ক. নিয়ম মানা খ. সম্পদ সংরক্ষণ গ. নিয়ম ভাঙাচ ঘ. সম্পদ সংগ্রহ
৬৪. নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য নয় কোনটি?
ক. ভোট দান
খ. নিয়মিত কর প্রদান
গ. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা
ঘ. গোপনে অন্য রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা চ
৬৫. কোনটিকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব?
ক. পরিবারকে খ. সমাজকেচ গ. রাষ্ট্রকে ঘ. সরকারকে
৬৬. রাস্তায় কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে?
ক. ট্রাফিক আইন মেনে চললে
খ. রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দিলে চ
গ. জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করলে
ঘ. ওভারব্রিজ ব্যবহার করলে
৬৭. সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাবা মার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী?
ক. আইন মেনে চলা
খ. সন্তানদের শিক্ষালাভের সুযোগ প্রদান করা চ
গ. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা
ঘ. নিয়মিত কর প্রদান
৬৮. নিজ ধর্মের অনুষ্ঠান উৎসব পালন করা কোন ধরনের অধিকার?
ক. রাষ্ট্রীয় অধিকার খ. পারিবারিক অধিকার
গ. সামাজিক অধিকার চ ঘ. মৌলিক অধিকার
৬৯. নিচের কোনটি সামাজিক সম্পদ নয়?
ক. রাস্তাঘাট খ. যানবাহন
গ. গাছপালা ঘ. ঘরবাড়ি চ
৭০. দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকার কী করে?
ক. কর ধার্য করে খ. আইনকানুন প্রণয়ন করে চ
গ. কর্মচারী নিয়োগ দেয় ঘ. নির্বাচন পরিচালনা করে
৭১. সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখার দায়িত্ব কাদের?
ক. দেশের নেতাদের খ. সাধারণ মানুষের
গ. আমাদের সবার চ ঘ. রাষ্ট্রের

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : স্কুলে যাওয়ার পথে সিফাতকে অপরিচিত একজন লোক চকলেট খেতে দেয়। এক্ষেত্রে তার করণীয় কী?
উত্তর : খাওয়া থেকে বিরত থাকা সিফাতের করণীয়।
প্রশ্ন-২ : মিজানদের বিদ্যালয়ের চারপাশ খুবই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। বিদ্যালয়ের এ পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব কার?
উত্তর : বিদ্যালয়ের এ পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
প্রশ্ন-৩ : শিশির ছোটদের আদর করে এবং বড়দের শ্রদ্ধা করে। এর মাধ্যমে সে কোন দায়িত্ব পালন করছে?
উত্তর : সে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে।
প্রশ্ন-৪ : তুমি চাকু দিয়ে একটি আপেল কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছ। এক্ষেত্রে তোমার ঘরে কী থাকা দরকার?
উত্তর : আমার ঘরে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স থাকা দরকার।
প্রশ্ন-৫ : স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় তোমার একজন বন্ধু সামান্য আঘাত পেয়েছে। তুমি তখন কী করবে?
উত্তর : আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেব।
প্রশ্ন-৬ : মনির ভুলে ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক তারে হাত দিল। এক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে?
উত্তর : এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রশ্ন-৭ : মিসেস আমিনা ওষুধ ও কীটনাশকের নাম গায়ে স্পষ্ট করে লিখে রাখেন। এর ফলে কী হবে?
উত্তর : এর ফলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন-৮ : রুবিনা রান্নার পর গ্যাসের চুলা বন্ধ না করে জ্বালিয়ে রাখেন। এর ফলে কী হতে পারে?
উত্তর : এর ফলে আগুন লেগে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রশ্ন-৯ : মিরা স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি দুর্ঘটনা দেখতে পায়। এরূপ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ কী?
উত্তর : এরূপ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অসাবধানে পথা চলা।
প্রশ্ন-১০ : সুমি রাস্তা পার হওয়ার সময় ওভারব্রিজ ব্যবহার করে। সুমিতের ওভারব্রিজ ব্যবহারের কারণ কী?
উত্তর : সুমিতের ওভারব্রিজ ব্যবহারের কারণ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
প্রশ্ন-১১ : নোমান রাস্তায় চলার সময় ফুটপাত ব্যবহার করে না। এর ফলে কী ঘটতে পারে?
উত্তর : এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রশ্ন-১২ :তানিয়া রাস্তার দুপাশ দেখে জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হয়। তানিয়ার এরূপ আচরণের কারণ কী?
উত্তর : তানিয়ার এরূপ আচরণের কারণ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
প্রশ্ন-১৩ : আহাদ সাহেব নিয়মিত কর প্রদান করেন। এর মাধ্যমে তিনি কোনটির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন?
উত্তর : আহাদ সাহেব রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন।
প্রশ্ন-১৪ : প্রিতুল নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায়। প্রিতুল তার কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করছে?
উত্তর : প্রিতুল রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন করছে।
প্রশ্ন-১৫ : আসিফ রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকে। আসিফের কাজে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : আসিফের কাজে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন-১৬ : তুমি ও তোমার ছোট ভাই বাড়িতে বসে আছ। সে সময়ে তোমার ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া শুরু হলো। তমি সর্বপ্রথম কী করবে?
উত্তর : সর্বপ্রথম আমি ওরস্যালাইন খেতে দিব।
প্রশ্ন-১৭ : রাস্তায় চলার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি একখানা চকলেট দিয়ে তোমার সাথে খাতির জমাতে চাইল। তুমি কী করবে?
উত্তর : এক্ষেত্রে আমি চকলেটটি নেব না।
প্রশ্ন-১৮ : নিয়মিত কর দেয়া উচিত কেন?
উত্তর : কর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে রাষ্ট্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয় বলে নিয়মিত কর দেয়া উচিত।
প্রশ্ন-১৯ : দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তায় কীভাবে চলা উচিত?
উত্তর : দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাস্তা চলার নিয়মাগুলো মেনে চলা উচিত।
প্রশ্ন-২০ : সমাজের প্রতি তোমার দুটি দায়িত্ব লেখ।
উত্তর : সমাজের প্রতি আমার দুটি দায়িত্ব হলো :
১. সমাজের উন্নয়নে কাজ করা
২. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন, আচার-আচরণ মেনে চলা।
প্রশ্ন-২১ : বাংলাদেশের একজন নাগরিক কত বছর বয়সে ভোটার হতে পারেন?
উত্তর : বাংলাদেশের একজন নাগরিক ১৮ বছর বয়সে ভোটার হতে পারেন।
প্রশ্ন-২২ : রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিয়মিত কর দেওয়া উচিত কেন?
উত্তর : রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য নাগরিকদের নিয়মিত কর দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন-২৩ : রাস্তা পারাপারের একটি নিয়ম উল্লেখ কর।
উত্তর : রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
 সাধারণ
প্রশ্ন-২৪ : আইন অমান্য করলে শাস্তি ভোগ করতে হয় কেন?
উত্তর : আইন মান্য করা রাষ্ট্রীয় বিধান। অতএব আইন অমান্য করলে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হয়।
প্রশ্ন-২৫ : দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোন ধরনের ব্যক্তিদের ভোট দেওয়া উচিত?
উত্তর : দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের ভোট দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন-২৬ : নাগরিকের প্রধান কর্তব্য কী?
উত্তর : নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা।
প্রশ্ন-২৭ : গৃহে নিরাপত্তার অভাব হলে কী হয়?
উত্তর : গৃহে নিরাপত্তার অভাব হলে পরিবারের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নষ্ট হয়।
প্রশ্ন-২৮ : কত বছরের কমে ভোটার হওয়া যায় না?
উত্তর : ১৮ বছরের কমে ভোটার হওয়া যায় না।
প্রশ্ন-২৯ : সমাজে বাস করতে হলে কী করতে হয়?
উত্তর : সমাজে বাস করতে হলে সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন, আচার-আচরণ মেনে চলতে এবং অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হয়।
প্রশ্ন-৩০ : ব্যস্ত রাস্তাগুলো আমরা কী দিয়ে পার হব?
উত্তর : ব্যস্ত রাস্তাগুলো আমরা ফুটপাথ, জেব্রাক্রসিং ও ওভারব্রীজ দিয়ে পার হবে।
প্রশ্ন-৩১ : একজন শিক্ষার্থীর প্রধান দায়িত্ব কী?
উত্তর : একজন শিক্ষার্থীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করা।
প্রশ্ন-৩২ : অনেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় কেন?
উত্তর : খালি পায়ে বা ভেজা হাতে বা অসতর্কভাবে বৈদ্যুতিক তার ধরার ফলে অনেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
প্রশ্ন-৩৩ : কার স্বার্থকে আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে গুরুত্ব দেব?
উত্তর : দেশের স্বার্থকে আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে গুরুত্ব দেব।
প্রশ্ন-৩৪ : কীসের ভিত্তিতে সমাজ ও দেশের সঠিক উন্নয়ন সম্ভব?
উত্তর : জীবনের সকল ক্ষেত্রে অর্থাৎ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বনের ভিত্তিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ ও দেশের সঠিক উন্নয়ন সম্ভব।
প্রশ্ন-৩৫ : ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক তার ধরা ঠিক নয় কেন?
উত্তর : বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক তার ধরা ঠিক নয়।
প্রশ্ন-৩৬ : সমাজের সদস্য ও রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা কী ভোগ করি?
উত্তর : সমাজের সদস্য ও রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার ভোগ করি।
প্রশ্ন-৩৭ : কাকে ভোট দেওয়া উচিত?
উত্তর : দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়া উচিত।
প্রশ্ন-৩৮ : রাস্তায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ কী?
উত্তর : রাস্তায় দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ হলো অসাবধানে পথ চলা।
প্রশ্ন-৩৯ : দেশের উন্নয়নের জন্য কী ধরনের নাগরিক প্রয়োজন?
উত্তর : দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত নাগরিক প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৪০ : নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য কী?
উত্তর : নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
প্রশ্ন-৪১ : বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স রাখা উচিত কেন?
উত্তর : বাড়িতে দুর্ঘটনায় পতিত হলে প্রথমেই ঘরে ধসে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স রাখা উচিত।
প্রশ্ন-৪২ : গ্যাসের চুলা কেন বন্ধ রাখবে?
উত্তর : গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখলে আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখব।
প্রশ্ন-৪৩ : প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে?
উত্তর : আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আহত ব্যক্তিকে শুশ্রƒষা করা এবং সাময়িকভাবে তাকে আরাম প্রদানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে যে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।
প্রশ্ন-৪৪ : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নাগরিকদের কর্তব্য কী?
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নাগরিকদের কর্তব্য হলো নিয়মিত কর প্রদান।

 কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১: জরিনা বেগম ছোটদের ভালোবাসেন এবং বড়দের শ্রদ্ধা করেন। জরিনা বেগম কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করেন? এ ধরনের দায়িত্ব পালনের ফলে কী হয়? এরকম আরও তিনটি দায়িত্ব উল্লেখ কর।
উত্তর : জরিনা বেগম সমাজিক দায়িত্ব পালন করেন। এ ধরনের দায়িত্ব পালনের ফলে সমাজ সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়।
সমাজের প্রতি আমাদের তিনটি দায়িত্ব হলো :
১. সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতা করা।
২. সমাজের বিভিন্ন ধরনের সম্পদ যেমন পার্ক, খেলার মাঠ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা।
৩. সবার উপকার করার চেষ্টা করা।
প্রশ্ন-২ : রিমি প্রতিদিন হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করে। রাস্তা পার হওয়ার সময় সে কী ব্যবহার করবে? এক্ষেত্রে তার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর : রাস্তা পার হওয়ার সময় রিমি ওভারব্রিজ ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে তার চারটি করণীয় হলো :
১. দু’পাশে ভালো করে দেখে নিয়ে যেখানে জেব্রাক্রসিং আছে সেখান দিয়ে রাস্তা পার হবে।
২. রাস্তার মাঝখান দিয়ে না হেঁটে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটবে।
৩. রাস্তার পথ চলার সময় নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকবে।
৪. রাস্তায় চলার নিয়মগুলো মেনে চলার অভ্যাস করবে।
প্রশ্ন-৩ : সমাজের প্রতি তোমার পাঁচটি দায়িত্ব লেখ।
উত্তর : আমরা সমাজের সদস্য, সমাজকে সুন্দর ও শুশৃঙ্খল রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সমাজের প্রতি আমার পাঁচটি দায়িত্ব হলো :
১. সমাজে সকলের সাথে মিলেমিশে চলব।
২. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন, রীতিনীতি মেনে চলব।
৩. বড়দের শ্রদ্ধা করব এবং ছোটদের ভালোবাসব।
৪. সমাজের অসুবধিাগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখাব ও সহযোগিতা করব।
৫. সমাজের শান্তি নষ্ট হয় এমন ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকব।
 সাধারণ
প্রশ্ন-৪ : রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটার পাঁচটি কারণ লেখ।
উত্তর : রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটার পাঁচটি কারণ হলো :
১. রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটা।
২. ট্রাফিক নিয়ম না মেনে রাস্তায় চলাচল করা।
৩. ওভারব্রীজের নিচ দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া।
৪. অসাবধানে পথ চলা।
৫. রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড় দেওয়া।
প্রশ্ন-৫ : একজন সুনাগরিকের ৫টি গুণাবলি লেখ।
উত্তর : একজন সুনাগরিকের ৫টি গুণাবলি নিম্নরূপ :
১. রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা।
২. রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন কানুন মেনে চলা।
৩. সরকারকে নিয়মিত ও নির্দিষ্ট হারে কর প্রদান করা।
৪. ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করা।
৫. সকল প্রকার রাষ্ট্র বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা।
প্রশ্ন-৬ : বিদ্যালয়ে ও খেলার মাঠে কী কী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে?
উত্তর : বিদ্যালয়ে ও খেলার মাঠে যে সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা নিচে আলোচনা করা হলো :
১. চেয়ার, টেবিল ও ডেস্কে উঠে লাফালাফি করতে গিয়ে হাত-পায়ে ব্যথা পাওয়া অথবা কখনো কখনো হাত-পা ভেঙেও যেতে পারে।
২. দেয়াল বা গাছে ওঠার সময় অসতর্কতাবশত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. দোলনায় চড়তে গিয়ে ও ফুটবল খেলতে গিয়ে হাত-পা, মাথায় ও শরীরের যেকোনো জায়গায় ব্যথা পেতে পারে।
৪. বিদ্যালয়ের পুকুরে ডুবে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
৫. খেলার মাঠে অসতর্কভাবে খেলাধুলা করলে শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন-৭ : কী কী কারণে বাড়ির নিরাপত্তা বিঘিœত হয়?
উত্তর : অনেক সময় বাড়িতে নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার মতো নানা রকম ঘটনা ঘটে। ছুরি, কাঁচি দিয়ে খেলতে গিয়ে বা অসতর্ক ব্যবহারের জন্য হাত-পা কেটে যায়। খালি পায়ে বা ভেজা হাতে বা অসতর্কভাবে বৈদ্যুতিক তার ধরার ফলে অনেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। কখনো কখনো অনেকে ভুলে বা অজ্ঞতার কারণে ভুল ওষুধ বা কীটনাশক খায়। এর ফলে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। অনেকে ভুলে গ্যাসের চুলার চাবি খোলা রাখে। ফলে গ্যাস বের হয়ে জমে থাকে। জমে থাকা গ্যাসের আগুন জ্বালালে আমাদের শরীরে বা বাড়িতে আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

This Post Has One Comment

  1. মউ

    Baddest

Leave a Reply