ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা কতকাল ধরে

কতকাল ধরে
আনিসুজ্জামান
 লেখক পরিচিতি
নাম আনিসুজ্জামান।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : কলকাতা।
পেশা/কর্মজীবন অধ্যাপনা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক।
সাহিত্য সাধনা প্রবন্ধ গবেষণা : মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র, মুনীর চৌধুরী, স্বরূপের সন্ধানে, পুরনো বাংলা গদ্য প্রভৃতি। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের প্রধান সম্পাদক।
পুরস্কার ও সম্মাননা দাউদ পুরস্কার, পদ্মভ‚ষণ (ভারত), বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও পদকে ভ‚ষিত হন।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আনিসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন কোথায়? (জ্ঞান)
 কলকাতায় খ দিলি­তে গ ময়মনসিংহে ঘ বরিশালে
২. আনিসুজ্জামান কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৮৩৭ খ ১৮৪৭ গ ১৯৪৭  ১৯৩৭
৩. আনিসুজ্জামান কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন? (জ্ঞান)
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
খ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের
গ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
ঘ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
৪. আনিসুজ্জামান কোন কোন সাহিত্য পুরস্কারের গৌরব অর্জন করেন?
 বাংলা একাডেমি ও একুশে পদক
খ একুশে ও ইউনেস্কো
গ বাংলা একাডেমি ও একুশে পদক
ঘ দাউদ পুরস্কার ও ইউনেস্কো
৫. নিচের কোনটি লেখক আনিসুজ্জামানের সম্পাদনা গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ক মুনীর চৌধুরী খ স্বরূপের সন্ধানে
গ পুরনো বাংলা গদ্য  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
৬. আনিসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পদে কর্মরত? (জ্ঞান)
ক প্রভাষক খ অধ্যাপক
 এমিরিটাস অধ্যাপক ঘ সহকারী অধ্যাপক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. আনিসুজ্জামান ছিলেন (অনুধাবন)
র. মননশীল প্রাবন্ধিক রর. গবেষক ররর. বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮. আনিসুজ্জামান বিভিন্ন পুরস্কার ও পদকে ভ‚ষিত হওয়ার কারণ (অনুধাবন)
র. সাহিত্য-সাধনা রর. গবেষণা
ররর. মানব কল্যাণে অবদান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯. আনিসুজ্জামানের লেখা গ্রন্থ (অনুধাবন)
র. মুনীর চৌধুরী রর. স্বরূপের সন্ধানে ররর. পুরনো বাংলা গদ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. অনেক পুরোনো কথা ঢাকা পড়েছে কীভাবে? (জ্ঞান)
ক রাতের আঁধারে খ মেঘের আড়ালে
গ যুগের খেলায়  আলো-আঁধারের খেলায়
১১. রাজারা এলেন কত বছর আগে? (জ্ঞান)
ক নয়শো-দশশো বছর আগে খ এগারোশ-বারোশ বছর আগে
 তেইশ-চব্বিশ শ বছর আগে ঘ একুশ-বাইশ শ বছর আগে
১২. কোন ইতিহাসের সবটা আজও ভালো করে জানা নেই আমাদের? (জ্ঞান)
ক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের  বাংলাদেশের ইতিহাসের
গ রাজাদের ইতিহাসের ঘ নারীদের ইতিহাসের
১৩. হাজার বছর আগে সব পুরুষেই কী পরত? (জ্ঞান)
ক লুঙ্গি খ শেরওয়ানি গ পায়জামা  ধুতি
১৪. হাজার বছর আগে মখমলের কাপড় পরত কারা? (জ্ঞান)
 শুধু মেয়েরা খ ধনী গরিব সবাই
গ শুধু ধনীরা ঘ শুধু গরিবরা
১৫. হাজার বছর আগে জুতো ব্যবহার করত কারা? (জ্ঞান)
ক গরিব লোকজন খ সাধারণ লোকজন
গ মেয়েরা  যোদ্ধা বা পাহারাদাররা
১৬. হাজার বছর আগে বাবরি চুল রাখত কারা? (জ্ঞান)
ক মেয়েরা  ছেলেরা গ বৃদ্ধরা ঘ রাজারা
১৭. প্রাচীন বাঙালি মেয়েরা চোখে কী দিত? (জ্ঞান)
 কাজল খ টিপ গ সুরমা ঘ আলতা
১৮. প্রাচীন বাঙালি সমাজে সোনার অলংকার পরত কারা? (জ্ঞান)
ক শুধু যুবতিরা  বড়লোকেরা
গ মেয়েরা ঘ পুরুষরা
১৯. প্রাচীনকালে সাধারণ লোকে রান্নাবান্না করত কীসের পাত্রে? (জ্ঞান)
ক কাঠের পাত্রে খ লোহার পাত্রে
 মাটির পাত্রে ঘ সোনার পাত্রে
২০. প্রাচীনকালে যাতায়াতের প্রধান উপায় ছিল কী? (জ্ঞান)
ক লঞ্চ খ রেলগাড়ি গ বাস  নৌকা
২১. মানুষের দাম কখন বেশি ছিল? (জ্ঞান)
ক প্রাচীনকালে খ মধ্যযুগে
 যখন রাজরাজড়া ছিল না ঘ যখন রাজরাজড়া ছিল
২২. যখন রাজরাজড়া ছিল না তখন লোকজন কীভাবে কাজ করত? (অনুধাবন)
ক জমিদারের পরামর্শে
 নিজেরাই যুক্তি পরামর্শ করে
গ যার যার নিজের মতো করে
ঘ নিজেরাই রাজ্য তৈরি করে
২৩. কখন নিয়মকানুন দেখা দিল? (জ্ঞান)
 রাজা এলে খ ৩০-৪০ বছর আগে
গ মন্ত্রীদের নির্দেশে ঘ সামন্তদের স্বার্থে
২৪. হাজার বছর পূর্বে শাড়ির সঙ্গে ওড়না ব্যবহার করত কারা? (জ্ঞান)
 সচ্ছল নারীরা খ রাজ-পরিবারের নারীরা
গ কর্মজীবী নারীরা ঘ সব নারীরা
২৫. হাজার বছর পূর্বে কারা ধুতির সঙ্গে চাদর পরত? (জ্ঞান)
ক রাজা-মন্ত্রীরা খ পুরোহিতরা
গ আইন ব্যবসায়ীরা  সচ্ছল পুরুষরা
২৬. বাঙালির কাছে সবচাইতে বেশি কদর ছিল কোন খাবারটির?
 সরু সাদা চালের গরম ভাত
খ মৌরলা মাছের তরকারি
গ শুঁটকি মাছ
ঘ হরিণের মাংস
২৭. প্রাচীনকালে শুঁটকির চল কোন অঞ্চলে বেশি ছিল? (জ্ঞান)
ক উত্তরাঞ্চলে  দক্ষিণাঞ্চলে
গ পূর্বাঞ্চলে ঘ পশ্চিমাঞ্চলে
২৮. প্রাচীনকালে বিয়ে বাড়িতে বা উৎসবে কী দেয়া হতো? (জ্ঞান)
ক ছাগমাংস খ গরুর মাংস
 হরিণের মাংস ঘ শূকরের মাংস
২৯. প্রাচীনকালে কোন মাংসটি সবাই খেত? (জ্ঞান)
 ছাগমাংস খ গরুর মাংস
গ পাখির মাংস ঘ হরিণের মাংস
৩০. প্রাচীনকালে পাখির মাংস খাওয়া হতো কখন? (জ্ঞান)
ক বড়লোকদের বাড়িতে  বিয়ে বাড়িতে বা উৎসবে
গ সাধারণের বাড়িতে ঘ শিকারিদের বাড়িতে
৩১. সেকালে সমাজের নিচুস্তরের মানুষ কী খেত? (জ্ঞান)
ক পাখির মাংস খ শুঁটকি গ ডাল  শামুক
৩২. বাঙালির নিত্য প্রিয় খাবার ছিল কোনটি? [সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়]
 ক্ষীর, দই, পায়েস, ছানা
খ ডাল ও ইলিশ মাছ
গ খেজুর-নারিকেল, জাম-জামরুল
ঘ কলা-বেল, লিচু-আনারস
৩৩. বাঙালির প্রিয় ফল ছিল কোনটি? (জ্ঞান)
ক আম-জাম, পেয়ারা-লিচু
 আম-কাঁঠাল, তাল-নারকেল
গ খেজুর-নারিকেল, জাম-জামরুল
ঘ কলা-বেল, লিচু-আনারস
৩৪. সেকালে কোন খাবারটির চল ছিল বেশি? (জ্ঞান)
ক ডাল শুঁটকি খ মুরগির মাংস
 খাজা-মোয়া-নাড়– ঘ বাহারি ফল
৩৫. ‘ইতিহাস বলতে শুধু রাজরাজড়াদের কথাই বোঝায় না’ এই বাক্যে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক ইতিহাস বলতে রানিদের কথা বোঝায়
খ ইতিহাস বলতে পাখিদের কথা বোঝায়
 ইতিহাস বলতে সব মানুষের কথা বোঝায়
ঘ ইতিহাস বলতে পুরোনো কথা বোঝায়
৩৬. প্রাচীন বাঙালিদের বেশ ঝোঁক ছিল কোন দিকে? (জ্ঞান)
ক খাবারের দিকে খ রাজার দিকে
গ দেশের দিকে  সাজসজ্জার দিকে
৩৭. সামন্ত-মহাসামন্তের দল কীভাবে এলেন? (অনুধাবন)
ক মন্ত্রীর সঙ্গে খ যোদ্ধার সঙ্গে
 রাজার সঙ্গে ঘ প্রজার সঙ্গে
৩৮. বর্তমান মেয়েদের সঙ্গে তৎকালীন মেয়েদের সাদৃশ্য কোন বিষয়ে? (প্রয়োগ)
ক শাড়ি পরায়  আঁচল দিয়ে ঘোমটা দেয়ায়
গ ওড়না পরায় ঘ চাদর পরায়
৩৯. ‘উপমার’ প্রয়োগ হয়েছে কোন চরণটিতে? (অনুধাবন)
 চাঁদের কিরণের মতো বালা খ হাতির দাঁতের পালকি
গ কাজলের টিপ ঘ রিঠা ফুলের দুল
৪০. প্রাচীন সংস্কৃত কবি সংসার জীবনের কোন ছবি তুলে ধরেননি? (অনুধাবন)
ক পরনে ছেঁড়া কাপড় খ ক্ষুধায় চোখ বসে গেছে
গ ক্ষুধায় পেট বসে গেছে  খাদ্যের সম্ভার
৪১. প্রাচীনকালে কোন খেলার বেশ প্রচলন ছিল? (জ্ঞান)
 কুস্তি খ ক্রিকেট গ ফুটবল ঘ ব্যাডমিন্টন
৪২. ‘পরিচয় পাওয়া যায় এদের জীবনের’- এই বাক্যে ফুটে উঠেছে-
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক দেশের কথা খ রাজাদের কথা
 প্রজাদের কথা ঘ লেখকদের কথা
৪৩. ‘কারো গর্দান যেত’Ñ এই বাক্যটিতে প্রকাশ পেয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কারো গর্দান কাটা হতো
খ কারো মাথা কাটা হতো
 কারো অনেক ক্ষতি হতো
ঘ কারো অনেক লাভ হতো
৪৪. ‘সেই পুরনো কাল এখন আর নেই’ আনিসুজ্জামান এর প্রমাণ দিয়েছেন কাদের উল্লেখ এনে? (জ্ঞান)
ক দুজন প্রাচীন সংস্কৃত গায়কের
 দুজন প্রাচীন সংস্কৃত কবির
গ দুজন প্রাচীন ঋষির
ঘ দুজন প্রাচীন ব্রাহ্মণের
৪৫. একই সময়ে দুজন কবির বর্ণনায় দুরকম তথ্য প্রমাণ করে (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাজের কাঠামোর ভিন্নতা
খ সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা
 সমাজের মানুষের ভিন্ন অবস্থা
ঘ সমাজের করুণ অবস্থা
৪৬. প্রাচীন বাঙালি সমাজের মেয়েরা বেশিরভাগ সাজসজ্জায় কীরূপ ব্যবহার উপাদান ব্যবহার করত? (অনুধাবন)
 প্রাকৃতিক উপাদান খ কৃত্রিম উপাদান
গ দামি প্রসাধনী ঘ বিদেশি প্রসাধনী
৪৭. ‘প্রাচীনকালে বড় লোকরা দেখত ঘোড়া ও হাতির খেলা আর গরিবরা দেখত ভেড়ার লড়াই’-এর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে (অনুধাবন)
 ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান খ রাজা-প্রজার বৈষম্য
গ ধনী-দরিদ্রের অবস্থান ঘ দরিদ্র মানুষের চিত্র
৪৮. ‘কেউ প্রভু, কেউ ভৃত্য’ এ নিয়ম কখন থেকে আসে?
 রাজা আসার পর
খ রাজা চলে যাওয়ার পর
গ মন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর
ঘ সামন্ত প্রথায়
৪৯. অলঙ্কার পরার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতির যে দিকটি ফুটে ওঠে-
ক পরিচ্ছন্নতা  সৌন্দর্যবোধ
গ আভিজাত্য ঘ সচেতনতা
৫০. সাধারণ লোক জুতো পরত না, কারণ তা তাদের
 ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল না
খ অপছন্দ ছিল
গ বোঝা মনে হতো
ঘ ব্যবহারে রাষ্ট্রের নিষেধ ছিল
৫১. প্রাচীন সংস্কৃত কবির বর্ণনায় মেয়েরা হাতে কী পরত?
 সাদা পদ্মবৃন্তের বালা খ খাড়
গ স্বর্ণের দুল ঘ রক্তজবার মতো চুড়ি
৫২. ইতিহাস অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে আমরা কী জানতে পারি? (অনুধাবন)
ক অতীত মানুষের জীবনধারা
খ বর্তমান মানুষের জীবনধারা
গ সম্ভাবনাময় আগামী বিশ্ব
ঘ অতীতের যুদ্ধাগ্রহ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. পুরনো সাহিত্যে বর্ণিত ভালো খাবারের যে নমুনার তালিকায় রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. গাওয়া ঘি রর. নালিতা শাক ররর. মৌরলা মাছ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৪. যে তথ্যটি সেকালের বাঙালিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (অনুধাবন)
র. বড় লোকেরা ঘোড়া আর হাতির খেলা দেখত
রর. সেকালের পুরুষরা ছিল শিকারপ্রিয়
ররর. মেয়েরা খেলত কড়ি, ছেলেরা দাবা আর পাশা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৫. ‘কতকাল ধরে’ রচনায় রাজাদের যে চিত্রটি পাওয়া যায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিলাসী রর. স্বেচ্ছাচারী ররর. ধর্মভীরু
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. প্রাচীনকালে যেসব বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ছিল (অনুধাবন)
র. বীণা, বাঁশি
রর. তবলা, হারমোনিয়াম
ররর. ছোট ডমরু, ঢাক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. প্রাচীনকালের মেয়েরা যা ভালোবাসত (অনুধাবন)
র. বাগান করতে রর. সাঁতার দিতে ররর. শিকার করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৮ ও ৫৯নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমি ছোটবেলা দেখতাম আমাদের গ্রামে ‘হাডুডু’ খেলার বেশ প্রচলন ছিল। আমার বড় ভাই মাসুম ‘হাডুডু’ খেলা অনেক ভালোবাসত। আর আমার দাদার প্রিয় শখ ছিল মাছ ধরা। বুড়ো বয়সে দাদা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেন।
৫৮. অনুচ্ছেদের দাদা চরিত্রের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ রচনার সাদৃশ্য রয়েছেÑ (প্রয়োগ)
ক নারীদের
খ প্রাচীনকালের পুরুষদের
 প্রাচীনকালের সামন্তদের
ঘ প্রাচীনকালের রাজাদের
৫৯. কতকাল ধরে প্রবন্ধের সাথে উক্ত সাদৃশ্যগত বিষয়টি হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
 শিকারিপ্রিয়তা খ দক্ষতা
গ সৌন্দর্যপ্রিয়তা ঘ বিজ্ঞতা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬০ ও ৬১নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাজ্জাদ সাহেব একটি পৌরসভার চেয়ারম্যান। সেই পৌরসভার বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র। সেখানের বেশিরভাগ বাড়িই মাটি দিয়ে তৈরি কাঁচাবাড়ি। শুধু চেয়ারম্যানের বাড়ি ইটের তৈরি। সেখানের অনেক লোক রান্নাবান্না করে মাটির পাতিলে। অনেক লোকের পরনে ছেঁড়াকাপড়।
৬০. অনুচ্ছেদে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে- (প্রয়োগ)
ক রাজাদের কথা  প্রাচীনকালে মানুষের ভেদাভেদ
গ সৌন্দর্য প্রিয়তা ঘ অভাব অনটনের কথা
৬১. উক্ত বিষয়টি ‘কতকাল ধরে’ রচনায় যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. খেলাধুলার পছন্দের পার্থক্য
রর. খাবারের রুচিবোধের পার্থক্য
ররর. পোশাক ব্যবহারের পার্থক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিমা পহেলা বৈশাখে ঘুরতে বের হয়ে খুব মজা পেল। সে দেখল মেলায় মাটির তৈরি কত সুন্দর সুন্দর তৈজসপত্র অথচ তাদের বাসায় রান্না হয় ননস্টিক অথবা অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে। রিমা মেলা থেকে খাজা, নাড়ু, মোয়া, বাতাসা, কদমা কেনে। সে দেখল প্রায় সব মেয়েই শাড়ি পরেছে তবে ছেলেরা পরেছে প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া।
৬২. অনুচ্ছেদে ‘কতকাল ধরে’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
 বাঙালির ঐতিহ্য খ বাঙালির খেলাধুলা
গ বাঙালির উন্নতি ঘ বাঙালির আদি মানসিকতা
৬৩. উক্ত দিকে প্রতিফলিত হয়েছে (অনুধাবন)
র. আবহমান বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য
রর. পোশাক-পরিচ্ছেদের ঐতিহ্য
ররর. খাবারদাবারের বৈচিত্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. ‘সামন্ত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 রাজা-বাদশার অধীনে ছোট রাজা
খ মন্ত্রীর অধীনে প্রজা
গ রাজার অধীনে প্রজা
ঘ জমিদারের অধীনে কৃষক
৬৫. ‘পদ্মবৃন্তের বালা’ এখানে ‘পদ্মবৃন্ত’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক পদ্মফুলের পাতা খ পদ্মফুলের ডাল
গ পদ্মফুল  পদ্মফুলের বোঁটা
৬৬. ‘ডুলি’ বলতে কী বোঝায় (অনুধাবন)
 পালকির মতো ছোট বাহন
খ প্রসাধনী
গ অলংকার
ঘ কাপড়ের নাম
৬৭. ‘শীর্ণ’ মনে কী?
 ক্ষীণ খ কালো গ গহনা ঘ পাতলা
৬৮. ‘তাগা’ শব্দের অর্থ
ক আনন্দহীন  তাবিজ
গ পালকি ঘ সুতো
৬৯. ‘তিলপল্লব’ মানে কী?
ক পাতা খ তিল
 তিলের নতুন পাতা ঘ পাতার অলংকার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. ‘শীর্ণ’ শব্দটি ‘কতকাল ধরে’ রচনায় যে অর্থে প্রযুক্ত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. কৃশ রর. ক্ষীণ ররর. তামাটে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. ‘নিরানন্দ’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. আনন্দহীন রর. বিষণœ ররর. অসুখী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭২. ‘তাগা’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. বাহুতে পরার অলংকার
রর. মাদুলি
ররর. তাবিজ বা তার সুতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. আনিসুজ্জামানের ‘কতকাল ধরে’ রচনার মূল উদ্দেশ্য কী? (অনুধাবন)
ক দেশ ও বিদেশের কাহিনি তুলে ধরা
খ পুরনো ইতিহাস বর্ণনা করা
গ পাঠকের মনে দেশপ্রেম জাগানো
 দেশ ও জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা
৭৪. সোনার অলংকার পড়ার সুযোগ পেত
ক মেয়েরা খ মেয়ে ও বয়স্করা
গ ধনীরা ঘ সনাতনরা
৭৫. প্রাচীনকালে বাংলাদেশের যাতায়াতের প্রধান পথ ছিল কোনটি?
 জলপথ খ স্থলপথ
গ আকাশপথ ঘ রেলপথ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. ‘কতকাল ধরে’ রচনা পাঠের তাৎপর্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশ ও জাতির ইতিহাস জানা রর. দেশ ও জাতির ঐতিহ্য জানা
ররর. জমিদারি প্রথা সম্পর্কে ধারণা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. সেকালের লেখক-কবিদের লেখায় থাকত (অনুধাবন)
র. আনন্দ ও সমৃদ্ধির কথা
রর. হাসি ও কান্নার কথা
ররর. বেদনা ও দারিদ্র্যের ছবি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও ররর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শ্রীপুর গ্রামের আশপাশে কোনো নদীনালা, খালবিল নেই। বর্ষাকালেও শ্রীপুর গ্রামের মানুষ বন্যার পানি দেখতে পায় না। তাদের যাতায়াতের কোনো সমস্যা হয় না। তারা অনেকেই হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারে। কিছু মানুষ পিকআপে যাতায়াত করে। সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে বাইসাইকেলে। অবস্থাপন্নরা নিজস্ব গাড়িতে যাতায়াত করে। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ বসবাস করে পাকা বাড়িতে।] ক.নিরানন্দ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘তখন মানুষের দাম ছিল বেশি’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের পথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের পথের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন প্রাচীনকালের মানুষের যাতায়াতের বাহনের পরিপূরক’ ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর। ৪

ক নিরানন্দ শব্দের অর্থ হয়েছে আনন্দহীন বা বিষণœ।
খ “তখন মানুষের দাম ছিল বেশি” উক্তিটি দিয়ে প্রাচীনকালে বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক মর্যাদা ও কদরের কথা বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। এক সময় এদেশে রাজরাজড়া ছিল না। সাধারণ মানুষ নিজেরা পরামর্শ করে দেশ চালাত। তখন সবাই সমাজে নিজের সমানভাবে মূল্যায়ন করত। নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বড়-ছোট, উঁচু-নিচুর পার্থক্য সমাজে ব্যাপক না থাকায় কে ক্ষমতাশালী আর কে ক্ষমতাহীন এমনটা ছিল না। তাই বলা যায়, সেকালে মানুষের দাম ছিল বেশি।
গ উদ্দীপকের পথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের পথের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখি বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রাচীনকাল থেকেই নদনদী, খালবিল দ্বারা বেষ্টিত। তাই ঘর থেকে বের হলেই আমাদের জলপথের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের যাতায়াতের প্রধান পথই ছিল জলপথ। কারণ আমাদের দেশের চারপাশ পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল। কিন্তু উদ্দীপকে আমরা তার বিপরীত চিত্র দেখি, শ্রীপুর গ্রামের আশপাশে কোথাও কোনো নদী নেই। এমনকি খালবিলও নেই। তাদের যাতায়াতের কোনো সমস্যা হয় না। তারা সবসময় স্থলপথেই যাতায়াত করতে পারে। বর্ষাকালেও শ্রীপুর গ্রামের মানুষকে জলপথে পারাপার হতে হয় না। তাদের যাতায়াতের প্রধান পথ স্থলপথ।
উদ্দীপকের আলোচনায় দেখা যায়, উদ্দীপকের স্থলপথের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের জলপথের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ উদ্দীপকের উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন প্রাচীনকালের মানুষের যাতায়াতের বাহনে পরিপূরক মন্তব্যটি সঠিক নয়।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখি নৌকা হচ্ছে জলপথে যাতায়াতের একমাত্র উপায়। তবে স্থলপথেও তারা যাতায়াত করত। স্থলপথে যাতায়াতের জন্য বড়লোকরা ব্যবহার করত ঘোড়ার গাড়ি। অনেকে হাতির পিঠে চড়েও যাতায়াত করত। আর সাধারণ দরিদ্র মানুষ গরুর গাড়ি ব্যবহার করত। তবে দরিদ্র লোকেরা গরুর গাড়ি সবসময় ব্যবহার করতে পারত না। কোনো বিশেষ উপলক্ষে ব্যবহার করত।
উদ্দীপকে দেখি শ্রীপুর গ্রামে কোনো জলপথ নেই, স্থলপথই তাদের যাতায়াতের পথ। এই গ্রামের অনেক ধনী লোক ভালো ভালো গাড়িতে চড়ে এবং নিজস্ব গাড়িতে চড়ে। আর দরিদ্র সাধারণ লোকেরা বাইসাইকেলে যাতায়াত করে।
উপরের রচনায় উল্লিখিত মানুষের যাতায়াতের বাহন ও উদ্দীপকে মানুষের ব্যবহৃত যাতায়াতের বাহনে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তাই মন্তব্যটি সঠিক নয়।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
একসময় ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সম্মিলিতভাবে ভারতীয় উপমহাদেশ নামে পরিচিত ছিল। এই ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমন ঘটে। ইংরেজরা এদেশ শাসন করে। তারা শাসক হলেও বিভিন্ন প্রদেশ সামন্ত রাজা দ্বারা শাসন করাত। তখন থেকে শুরু হয় প্রজা নিপীড়ন। সে সময় কেউ সর্বস্ব হারিয়েছে কেউবা ইংরেজদের খুশি করার বদৌলতে ধনী হয়েছে। তখন দেশজুুড়ে ছিল ইংরেজদের নাম, প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না।
ক. ‘কতকাল ধরে’ রচনায় কয় জন প্রাচীন সংস্কৃত কবির রচনার ছবি ফুটে উঠেছে? ১
খ. হাজার বছর আগে পুরুষ এবং মেয়েরা কীরূপ পোশাক পরত? ২
গ. উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের রাজার শাসনের সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না।’ মন্তব্যটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘কতকাল ধরে’ রচনার দুজন প্রাচীর সংস্কৃত কবির রচনার ছবি ফুটে উঠেছে।
খ হাজার বছর আগে বাঙালি সমাজে পুরুষ ও মেয়েদের পোশাকে বৈচিত্র্য ছিল।
তখন পুরুষ এবং মেয়েরা ধুতি ও শাড়ি পরত। অপেক্ষাকৃত সচ্ছল বাড়ির পুরুষেরা ধুতির সাথে চাদর পরত। আর সচ্ছল বাড়ির মেয়েরা শাড়ির সাথে ওড়না ব্যবহার করত। মেয়েরা আঁচল বা ওড়না টেনে ঘোমটা দিত।
গ উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে রাজার শাসনের সাদৃশ্য আছে। ইংরেজ শাসক ও রাজা উভয়েই অত্যাচারী ও প্রজা নিপীড়ক।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখি প্রাচীনকালে এদেশে রাজা ছিল না। প্রায় তেইশ-চব্বিশ বছর পূর্বে এদেশে রাজাদের আগমন ঘটে। তখন থেকে এদেশ শাসন করতেন রাজা-বাদশারা। রাজার সঙ্গে মন্ত্রী এলেন। রাজাদের অধীনে দেশ শাসন করত সামন্ত-মহাসামন্তরা। আরো অনেক লোক বহাল করা হয় অনেক কাজে। তখন শুরু নতুন নিয়মকানুন। সেই থেকেই প্রজাদের ওপর শুরু হয় নানা ধরনের অত্যাচার। এতে কারো গেছে গর্দান আবার কেউ রাজাদের খুশি রাখার বদৌলতে হয়েছে ধনী।
উদ্দীপকেও দেখতে পাই, ভারতীয় উপমহাদেশের ইংরেজদের আগমন ঘটে। তখন থেকে ইংরেজরা এদেশ শাসন করে। তারা শাসক হলেও বিভিন্ন প্রদেশ সামন্ত-মহাসামন্ত রাজা দ্বারা শাসন করাত। তখন তাদের অত্যাচারে অনেক প্রজারা নিঃস্ব হয়েছে। আবার অনেকে ইংরেজদের খুশি রাখার বদৌলতে ধনী হয়েছে।
এখানেই উদ্দীপকের ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের রাজার শাসনের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ “প্রজা সাধারণের কোনো খবর ছিল না” প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটির মাধ্যমে মূলত প্রজাদের দুরবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যা ‘কতকাল ধরে’ রচনায় বর্ণিত আছে।
‘কতকাল ধরে’ রচনায় দেখা যায়, এককালে এদেশে রাজা ছিল না। লোকজনের পরামর্শেই দেশ চলত। তখন মানুষ মানুষকে মূল্যায়ন করত। কিন্তু যখন এদেশে রাজারা আসেন। তখন রাজার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী-সামন্ত-মহাসামন্ত ও নানা রকমের লোক বিভিন্ন কাজে বহাল করা হয়। দেশে নতুন আইনকানুন শুরু হয়। এতে অনেক প্রজার গর্দান গেছে। প্রজারা নিঃস্ব হয়েছে। তখন বড় বড় অক্ষরে রাজাদের নাম লেখা হয়েছে। কিন্তু প্রজাদের কোনো মূল্য ছিল না।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমন ঘটে। তখন থেকে ইংরেজরা এই দেশ শাসন করে। তাদের অধীনে সামন্ত রাজাও ছিল। তখন থেকেই প্রজাদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। শাসকদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। দেশজুড়ে ইংরেজরা তাদের সংস্কৃতি প্রচার করতে থাকে। এতে স্থানীয় মানুষ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এখানকার সমস্ত ব্যবসায়-বাণিজ্য নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ফলে প্রজাদের কোনো খবর ছিল না।
এভাবে দেখা যায়, প্রাচীনকালের রাজারা আর ইংরেজরা প্রায় একইভাবে প্রজাদের উপর নিপীড়ন করত। প্রজাদের আলাদা কোনো অস্তিত্ব তখন ছিল না।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ চর দখল

বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন চর জেগে উঠেছিল। কিছু মানুষ সেখানে বসতি স্থাপন করল। তারা নিজেরা স্বাধীনভাবে জমি চাষাবাদ করতে লাগল। নিজেদের সমস্যা হলে তারা সবাই মিলে বসে ঠিক করে নিত। একসময় বসতি বেড়ে গেল। ঐ চরের উপর চোখ পড়ল অনেকের। একজন ধনী মানুষ চেলা-চামুণ্ডা নিয়ে চর দখলে নেমে পড়ল। শুরু হলো সংঘাত ও নির্যাতন।
ক. প্রাচীনকালে যাতায়াতের প্রধান পথ ছিল কোনটি? ১
খ. ‘ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ তখনও ছিল এখনো আছে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের নতুন চরের ইতিহাসের সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের কোনো সাদৃশ্য আছে কী? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের ধনী ব্যক্তির সাথে থাকা চেলা-চামুণ্ডা ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিত্ব করছে”মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক প্রাচীনকালে যাতায়াতের প্রধান পথ ছিল জলপথ।
খ ‘ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ তখনো ছিল এখনো আছে’ এ কথা দিয়ে মূলত বাঙালি রমণীদের চিরকালীন রীতি ও সংস্কৃতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
‘লজ্জা বাঙালি রমণীর অঙ্গভ‚ষণ’ এ কথা চিরন্তন বাঙালি মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য। আনিসুজ্জামান রচিত প্রবন্ধ ‘কতকাল ধরে’-তে প্রাচীনকালে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে ঘোমটা দেওয়ার রেওয়াজ ছিল বলা হয়েছে। যে মেয়েরা শাড়ি পরত তারা শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথায় ঘোমটা পরত। যারা ওড়না পরত তারা ওড়না দিয়ে ঘোমটা দিত। প্রাচীনকালের এ রেওয়াজ আজও মেয়েদের মাঝে রয়েছে। আজও মেয়েরা শাড়ি পরে শাড়ির আঁচল মাথায় দিয়ে ঘোমটা দেয়। এমনকি যারা সেলোয়ার কামিজ পরে তারাও ওড়না দিয়ে ঘোমটা দেয়। ঘোমটা মূলত বাঙালি সংস্কৃতির অংশ।
গ উদ্দীপকের নতুন চরের সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের বেশ কিছু সাদৃশ্য আছে। তবে সামান্য বৈসাদৃশ্যও লক্ষ করা যায়।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখা যায়, আমাদের দেশের ইতিহাস যেমন প্রাচীন, তেমনই সমৃদ্ধ। আমাদের এই ইতিহাস নতুন সৃষ্ট নয়। পুরাতন হওয়ায় কালের আঁধারে ঢাকা পড়েছে তার অনেক কিছুই। তবে সে সময়ে এদেশের মানুষ নিজেরা মিলে নিজেদের দেশ চালাতেন। সমস্যা সমাধান করতেন নিজেরাই। তারপর রাজা এলেন। সৃষ্টি হলো নিয়মকানুন। রাজার দল নতুন করে সমাজে শ্রেণিভেদ সৃষ্টি করল।
উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই নতুন করে সবাই মিলেমিশে হঠাৎ এক ধনী ব্যক্তি চেলাচামুন্ডা নিয়ে চর দখল করলে দেখা দিল বিপত্তি। এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের ঘটনা প্রবাহের একটি যোগসূত্র রচিত হয়। যা সাদৃশ্যমূলক। তবে বৈসাদৃশ্য হলো, নতুন চরটি নব্য সৃষ্ট আর আমাদের দেশ বহু প্রাচীন।
ঘ উদ্দীপকের নতুন চরের ধনী লোকটির চেলা-চামুণ্ডা কতকাল ধরে প্রবন্ধের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিত্ব করছেউক্তিটি সঠিক ও সমর্থনযোগ্য।
‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তখন এদেশে রাজা ছিল না। সুতরাং কেউ কারো প্রজাও ছিল না। সবাই ছিল সমান। নিজেরা সবাই মিলে দেশ চালাতো। উদ্দীপকেও আমরা দেখি নতুন চরে সবাই সমান থাকত। নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করত।
রাজার সাথে আসা মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্ত যেমন দেশে শ্রেণি সৃষ্টি করল। নতুন চরে ধনী ব্যক্তির সাথে আসা তার চেলা-চামুণ্ডারাও সংঘাত সৃষ্টি করল। সামন্ত, মহাসামন্ত ও চেলা চামুণ্ডা দুই ক্ষেত্রেই একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়। দু’ক্ষেত্রে তারা বিভেদও সংঘাত সৃষ্টি করে শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করেছে।
অতএব, এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় উদ্দীপকের নতুন চরের চেলা-চামুণ্ডা প্রাচীনকালের রাজাদের মন্ত্রী-সামন্ত, মহাসামন্তের প্রতিনিধিস্বরূপ। মূলত সময়ের ব্যবধানে এরা সবাই এক।

প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
বাংলাদেশের পুরনো শহরগুলোর বেশিরভাগই কোনো না কোনো নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। যেমন : ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদী, ময়মনসিংহ ব্র‏হ্মপুত্র নদ, চট্টগ্রাম কর্ণফুলি নদী, চাঁদপুর মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। নদীপথে মালপত্র আনা-নেওয়া তথা যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এমনটি হয়েছিল।
ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর; ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. ‘তাগা’ কী? ১
খ. ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল প্রাচীন বাঙালির।’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের কোন বিশেষ দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ.‘প্রাচীনকালে বাংলায় জলপথই ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ।’ মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক তাগা হচ্ছে বাহুতে পরার অলংকার, মাদুলি, তাবিজ বা তার সুতো।
খ ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল প্রাচীন বাঙালির’ বলতে প্রাচীনকালে বাঙালির পোশাক ব্যবহার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি যতœবান থাকা অর্থাৎ রুচিবোধের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
প্রাচীনকালে বাঙালি ছেলেরা কেউ বাবরি চুল রাখতে আবার কেউ মাথার উপরে চুড়ো করে চুল বাঁধত। অনেকে মেয়েদের মতো কোঁকড়া চুল কপালের ওপর বেঁধে রাখত। মেয়েরা নিচু করে খোঁপা বাঁধত, নয়তো উঁচু করে বাঁধত ঘোড়াচ‚ড়। তারা কপালে টিপ দিত, পায়ে আলতা পরত, চোখে কাজল দিত আর খোঁপায় ফুল পরত। তারা নানা রকম প্রসাধনীও ব্যবহার করত।
গ উদ্দীপকটি ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের প্রাচীনকালে জলপথের উপযোগিতা ও সহজ দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
চাকা আবিষ্কারের আগে মানুষ পায়ে হেঁটে বহু দূরের পথ পাড়ি দিত। নদী পার হতে তারা পানিতে ভেসে থাকে এমন সব জিনিসকে অবলম্বন করত; শুকনো কাঠের গুঁড়ি, কলাগাছ ইত্যাদি ব্যবহার করত। মানুষের বুদ্ধির উন্নতি হওয়ার পর তারা নৌকা বানাতে শেখে, পাল উড়াতে শেখে, নোঙর বানাতে শেখে। ফলে জলপথে যাতায়াতকে তারা প্রধান মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে।
উদ্দীপকে প্রাচীনকালে নদীর তীরে শহর বন্দর গড়ে ওঠার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসব শহর-বন্দর গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে নদীপথে মালপত্র আনা-নেওয়ার সুবিধার ইতিহাস। উদ্দীপকের এই বিষয়টির সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের সেকালে নদীপথ ব্যবহারের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ ‘প্রাচীনকালে জলপথই ছিল যাতায়াতের প্রধান পথ।’ মন্তব্যটি সঠিক।
মানুষ নিজের প্রয়োজনে কিংবা আনন্দ-বিনোদনের জন্য এক স্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করে। তখন তাকে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম আবিষ্কার করতে হয়। পায়ে হাঁটার দূরত্ব হলেও মানুষ ভাবে কোন পথে যাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ হবে। মানুষের এ বিবেচনা বহু পুরোনো। প্রাচীনকালেও মানুষ সহজ যাতায়াত ব্যবস্থাকেই গ্রহণ করত।
উদ্দীপকে আমরা দেখি যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনপথের গুরুত্ব প্রকাশিত হয়েছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও নৌপথে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বড় শহরগুলো নদীর ধারেই গড়ে উঠে ছিল। ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধেও আমরা দেখি প্রাচীনকালের মানুষ নৌপথেই বেশি যাতায়াত করত। যদিও সে সময় পায়ে হেঁটে, গরুর নাড়িতে চড়ে মানুষ যাতায়াত করত। ধনিরা ঘোড়া বা হাতির পিঠে চড়ত। তবুও সার্বিক সুবিধার জন্য নৌপথই ছিল প্রধান।
সামগ্রিক আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, আধুনিক যুগ হোক আর প্রাচীন কালেই হোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে জলপথই ছিল বাংলার প্রধান পথ।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ যাতায়াত ব্যবস্থা

আমরা এখন দূর-দূরান্তে যাতায়াত করতে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমার বিমান ব্যবহার করি। মালামাল আনা-নেওয়া যেমন দ্রæত হয় তেমনি নিরাপদও বটে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও কাজেকর্মে যাতায়াত করতে কার, বাস ব্যবহার করি। নিকটে যাতায়াত করার জন্য ভ্যান, রিকশা ব্যবহার করি। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি সভ্যতাকে এগিয়ে দিয়েছে।
ক. বাঙালির বহুকালের প্রিয় খাবার কী? ১
খ. ‘কতকাল ধরে কত মানুষ শুধু তার স্বপ্নই দেখে আসছে’- কোন স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের যাতায়াত ব্যবস্থার সঙ্গে ‘কতকাল ধরে’ রচনার যাতায়াত ব্যবস্থার অমিল নির্ণয় কর। ৩
ঘ. বর্তমান যাতায়াত ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার কারণ ‘কতকাল ধরে’ রচনা ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাঙালির বহুকালের প্রিয় খাবার ভাত।
খ উদ্ধৃত উক্তিটিতে অভাব-অনটনে জর্জরিত একটি সমৃদ্ধ সমাজের কথা বলা হয়েছে।
প্রাচীনকালে মানুষ অর্থকষ্টে-অনাহারে জ্বালাময় বেদনায় দিন যাপন করত। তাই মানুষের সবসময়ের চাওয়া ছিল সমৃদ্ধি অর্জন করার। তাই তাদের স্বপ্ন ছিল সরু চালের সাদা গরম ভাতে গাওয়া ঘি। এ স্বপ্ন সাধারণ মানুষ পূর্বেও দেখেছে এখনো দেখছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের বর্তমান যাতায়াত ব্যবস্থার সাথে ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের প্রাচীন যাতায়াত ব্যবস্থার অমিল লিখ।
ঘ প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে যাতয়াত ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ার কারণ আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ খেলাধুলার সেকাল-একাল

মোবারক শাহ একজন রাজা ছিলেন। তখন পুরো বাংলার পুরুষদের অত্যন্ত প্রিয় খেলা ছিল কুস্তি, তবে নারীদের ছিল সাঁতার। বড়লোকেরা দেখত ঘোড়া ও হাতির খেলা। গরিবরা মজা পেত ভেড়ার লড়াই দেখে। তবে বর্তমানকালে পুরুষদের মজার খেলা ক্রিকেট, ফুটবল; নারীরাও ঐ সমস্ত খেলা করে আজকাল আনন্দ পায়। তবে বর্তমানে মানুষ ষাঁড়ের লড়াই ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখেও মজা পায়।
ক. ‘কতকাল ধরে’ রচনার রচয়িতা কে? ১
খ. কীভাবে ইতিহাসে রাজাদের নাম লেখা হলো? ২
গ. মোবারক শাহ কোন আমলের রাজা ছিলেন? ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মোবারক শাহের আমলের মানুষের বিনোদন বর্তমানের বিনোদন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর। ৪

ক ‘কতকাল ধরে’ রচনার রচয়িতা আনিসুজ্জামান।
খ তেইশ-চব্বিশ’শ বছর আগে রাজারাজড়া এসে এদেশ শাসন এবং শোষণ করতে থাকায় ইতিহাসে তাদের নাম লেখা হলো।
এককালে এদেশে মানুষ নিজেরাই যুক্তি পরামর্শ করে মিলেমিশে দেশ চালাত। কিন্তু রাজা আর তাদের দল এসে এদেশে নতুন নিয়মকানুন, লোক-লস্কর বহাল করে। তখন থেকেই ইতিহাসে রাজাদের নাম লেখা হয়ে যায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘কতকাল ধরে’ প্রবন্ধের আলোকে মোবারক শাহের আমল আলোচনা কর।
ঘ প্রবন্ধের আলোকে প্রাচীন আমলের বিনোদনের সাথে বর্তমান সময়ের বিনোদনের পার্থক্য আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ বাঙালির খাদ্যাভ্যাস

লতা তার বাবার সাথে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে এসেছে। তার বাবা হোটেলে খাবার তালিকায় দেখেন মৌরলা মাছের ঝোল, টাকি মাছের ভর্তা, আলু ভর্তা, কই মাছ ভুনা, মুরগি, খাসি ও গরুর গোশত রয়েছে। শুঁটকি ভর্তা ও ডাল রয়েছে তালিকায়। বাবা বললেন, “বুঝলি লতা, ‘বাঙালি সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভোজনবিলাসী’ বর্তমানে খাদ্য তালিকা বদলালেও খাদ্যাভ্যাস বদলায়নি।
ক. ‘তিলপল্লব’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. প্রাচীন বাংলার মানুষের স¤প্রীতির দিকটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. লতার বাবার দেখা খাদ্য তালিকার সাথে ‘কতকাল ধরে’ রচনায় উল্লিখিত প্রাচীন বাংলার খাদ্য তালিকার বৈসাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি ভোজনবিলাসী’ ‘কতকাল ধরে’ রচনার আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক তিলপল্লব শব্দের অর্থ তিলের নতুন পাতা।
খ প্রাচীন বাংলার জীবব্যবস্থা ছিল একটি মিলিত জীবনব্যবস্থা।
বাংলার ইতিহাসে প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। সময়ের পরিবর্তনে অনেক কথাই ঢাকা পড়েছে। তবে ইতিহাস সব শ্রেণির মানুষ নিয়েই গঠিত হয়। একসময় যখন রাজারাজড়ারা ছিল না, তখন সাধারণ মানুষের দাম ছিল বেশি। লোকজন নিজেরাই যুক্তি-পরামর্শ করে কাজ করত, চাষ করত, ঘর বাঁধত, দেশ চালাত। আর এর মধ্য দিয়ে তাদের স¤প্রীতির দিকটিও ফুটে উঠত।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বাঙালি খাবারের সাথে প্রাচীন বাংলার খাদ্য তালিকার আলোচনা কর।
ঘ প্রাচীন ও বর্তমান সময়ের আলোকে ভোজনবিলাসী বাঙালির সম্পর্কে আলোচনা কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ প্রাচীনকালে কোন ভাতের কদর ছিল সবচাইতে বেশি?
উত্তর : প্রাচীনকালে সরু সাদা চালের গরম ভাতের কদর ছিল সবচেয়ে বেশি।
প্রশ্ন \ ২ \ সেকালের বাঙালিরা কোন কোন তরি তরকারি প্রচুর খেত?
উত্তর : সেকালে বাঙালিরা লাউ, বেগুন ইত্যাদি তরিতরকারি প্রচুর খেত।
প্রশ্ন \ ৩ \ সেকালে শুঁটকির চল ছিল বিশেষ করে কোন অঞ্চলে?
উত্তর : সেকালে শুঁটকির চল ছিল বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রাচীন বাঙালির কীসের প্রতি ঝোঁক ছিল?
উত্তর : প্রাচীন বাঙালির সাজসজ্জার প্রতি ঝোঁক ছিল।
প্রশ্ন \ ৫ \ সেকালের সোনার অলংকার কারা পরত?
উত্তর : সেকালে সোনার অলংকার বড়লোকেরা পরত।
প্রশ্ন \ ৬ \ প্রাচীনকালে কঁচি কলাপাতার মাকড়ি কারা পরত?
উত্তর : প্রাচীনকালে কচি কলাপাতার মাকড়ি সাধারণ পরিবারের মেয়েরা পরত।
প্রশ্ন \ ৭ \ প্রাচীনকালে সমাজের কোন স্তরের মানুষ শামুক খেত?
উত্তর : প্রাচীনকালে সমাজের নিম্নস্তরের মানুষ শামুক খেত।
প্রশ্ন \ ৮ \ সেকালে বড়লোকেরা কীসের খেলা দেখত?
উত্তর : সেকালের বড়লোকেরা ঘোড়া আর হাতির খেলা দেখত।
প্রশ্ন \ ৯ \ প্রাচীনকালে বিয়ে বাড়িতে কিসের মাংস খেত?
উত্তর : প্রাচীনকালে বিয়ে বাড়িতে হরিণের মাংস খেত।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘ডুলি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘ডুলি’ শব্দের অর্থ পালকির মতো ছোট বাহন।
প্রশ্ন \ ১১ \ কত বছর আগে এদেশে রাজার শাসন শুরু হয়?
উত্তর : তেইশ চব্বিশ শ বছর আগে এদেশে রাজার শাসন শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ প্রাচীনকালে সাধারণ মানুষ কোন পাত্রে রান্না করত?
উত্তর : প্রাচীন কালে সাধারণ মানুষ মাটির পাত্রে রান্না করত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘সুবর্ণকুণ্ডল’ কী?
উত্তর : সুবর্ণকুণ্ডল হলো সোনা দিয়ে তৈরি মোটা চুড়ির মতো গোলাকার অলঙ্কার।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল বাঙালিদের’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘সাজসজ্জার দিকে বেশ ঝোঁক ছিল বাঙালিদের’-এর দ্বারা হাজার বছর পূর্বের বাঙালিদের সাজসজ্জার কথা বোঝানো হয়েছে।
সেকালে ছেলেরা বাবরি চুল রাখত। আবার চুল মাথার উপরে চুড়ো করে বাঁধত। এখনকার মেয়েরা যেভাবে ফিতে দিয়ে চুল বাঁধে, আগেকার দিনে ছেলেরাও সেভাবে বাঁধত। মেয়েরা খোঁপা বাঁধত অথবা ‘ঘোড়াচ‚ড়’ বাঁধত। কপালে টিপ, পায়ে আলতা, চোখে কাজল আর খোঁপায় ফুল পরত মেয়েরা।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘যাতায়াতের প্রধান উপায় ছিল নৌকা’Ñ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : প্রাচীনকালে সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করতে হতো নৌকায়।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের চারপাশে অনেক নদীনালা, খালবিল। ঘর থেকে বের হলেই মানুষকে পানির সম্মুখীন হতে হতো। তাই যাতায়াতের জন্য নৌকা ব্যবহার করা হতো সবচেয়ে বেশি। নৌকায়ই ছিল যাতায়াতের প্রধান উপায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘তাই কেউ প্রভু কেউ ভৃত্য’Ñ উক্তিটিতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘তাই কেউ প্রভু কেউ ভৃত্য’Ñ উক্তিটিতে লেখক মানুষের মধ্যে সামাজিক মর্যাদা পার্থক্যের বিষয়টি বুঝিয়েছেন।
একসময় আমাদের এই দেশে রাজা-বাদশা ছিল না। তখন দেশের জনগণ নিজেরা পরামর্শ করে দেশ চালাত। তারপর এই দেশে আসে রাজা। রাজার সঙ্গে আসে সামন্ত, মহাসামন্ত ও মন্ত্রী। তখন থেকেই কেউ রাজার খুশির বদৌলতে ধনী হয়েছে। আর কারো গর্দান কাটা গেছে। তাই কেউ ধনী আর কেউ গরিব।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘কেউ বড়লোক হয়ে যেত কারো খুশির বদৌলতে’ কী বোঝানো হয়েছে।
উত্তর : রাজারাজড়াদের সময় খেয়ালি মনোভাবসম্পন্ন মানুষের কথা বোঝানো হয়েছে উক্ত বাক্যে।
এককালে এদেশে রাজপ্রথা ছিল না। তখন মানুষ নিজেদের মধ্যে যুক্তি পরামর্শ করে জীবন অতিবাহিত করত, কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিত। কিন্তু তেইশ-চব্বিশ’শ বছর আগে রাজা এলো এদেশে। তার সঙ্গে সঙ্গে নানা নিয়মকানুন সৃষ্টি হলো এবং লোকলস্কর, কত ব্যবস্থার সৃষ্টি হলো। তবে তখন এক কথায় মানুষের গর্দান যেত আবার কারও খুশির বদৌলতে কেউ বড় লোক হয়ে যেত। রাজার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করত মানুষের ভালো থাকা, মন্দ থাকা।
প্রশ্ন \ ৫ \ রাজাপ্রথার সময় প্রজারা পেছনে পড়ে, থাকত কেন?
উত্তর : রাজারাজড়াদের সময় রাজাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর সব পরিচালিত হতো।
সাধারণ প্রজার কোনো মূল্য ছিল না তখন সাধারণ মানুষের অবস্থান ছিল সবার উপরে কিন্তু তেইশ-চব্বিশ’শ বছর পূর্বে যখন রাজ্যব্যবস্থা শুরু হলো, তখন রাজাদের খেয়াল খুশিমতো রাজ্যে পরিচালিত হতো। এককথায় কারো গর্দান যেত আবার কারও খুশির বদৌলতে কেউ সম্পদশালী হয়ে যেত। সেই থেকে রাজাদের জয়গান ধ্বনিত হতে থাকলো চারপাশে আর সাধারণ মানুষ পেছনে পড়ে গেল।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘পুরানো কাল আর নেই’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : পূর্বের মতো সম্মিলিত সমাজব্যবস্থা শেষ হয়ে রাজার আগমন ঘটেছে বর্তমানে লেখক এটিকেই বুঝিয়েছেন উক্ত বাক্যে।
যুগে যুগে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। পুরানো দিনের মতো দিন আর এখন নেই। পুরানো দিনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করত। এখন রাজা এসে গেছে সমাজে। তাই কেউ প্রভু, কেউ ভৃত্য হয়েছে। আবার কেউ প্রভুর প্রভু, কেউ দাসের দাস। পূর্বের মতো কবিদের সাহিত্যকর্মের মাঝেও বর্তমানে এসেছে নানা পরিবর্তন।

 

Leave a Reply