সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-বার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

অধ্যায়-বার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ 
২০১২ সালে ‘ক’ উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একত্রে হয়ে উপজেলার চেয়ারম্যানকে পরিষদের সভাপতি করে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু নীতিমালা ঘোষণা করে তা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। প্রতিটি ইউনিয়নের বিরোধ মীমাংসা, উন্নয়ন এবং এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ শুরু করে। এতে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার মানুষ নিরাপদ জীবন-যাপন করতে সক্ষম হয়। দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ‘ক’ উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়। ‘ক’ উপজেলার সাফল্যে অন্যান্য উপজেলাও এ ধরনের নীতিমালা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
ক. কত সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে?
খ. ‘জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে’জাতিসংঘের এ মৌলিক নীতিটির ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের কোন নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অনুরূপ’মতামত দাও।

ক ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
খ জাতিসংঘ কয়েকটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি মূলনীতি হলো ‘জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে’। বর্তমানে জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। এরা সকলেই জাতিসংঘের কাছ থেকে সমান সুযোগ লাভের অধিকারী। এটা জাতিসংঘের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।
গ উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মিমাংসা নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের বিরোধ মিমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত ব্যাপকভাবে কাজ করে। জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র যেকোনো আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালত সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সমস্ত বিরোধ মিমাংসা করে সঠিক সমাধান দেয়। এটি নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত। এর মূল সংস্থা জাতিসংঘ। এই সংস্থাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ উপজেলার চেয়ারম্যান উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের শান্তি রক্ষার নীতিমালা ঘোষণার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের কাজ শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়নের বিরোধ মিমাংসায় ভ‚মিকা পালন করে। অতএব, নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতের বিরোধ মিমাংসা নীতির সাথে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ আমি মনে করি ‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার অনুরূপ। কারণ বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের বিকল্প নেই। ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের ‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো জাতিসংঘও বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।
প্রশ্ন- ২ 

সিয়েরালিয়ন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের একজন সৈনিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।
ক. জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম কী?
খ. ‘আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা-জাতিসংঘের একটি কাজ’ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চিত্রে কর্মরত বাহিনী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় কী ভ‚মিকা পালন করছেব্যাখ্যা কর।
ঘ.চিত্রে প্রদর্শিত বাহিনীর ভ‚মিকার কারণেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছেতুমি কী এ বক্তব্যের সাথে একমত? মতামত দাও।

ক জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম বান কি মুন।
খ জাতিসংঘ নানাভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করে থাকে। আবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেও জাতিসংঘ সাহায্য করে। মূলত নিজস্ব প্রচেষ্টার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘ বিশ্বের দিকগুলো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এজন্য বর্তমান বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব অনেক। তাই বলা যায় আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা জাতিসংঘের একটি অন্যতম কাজ।
গ উদ্দীপকের চিত্রে প্রদর্শিত বাহিনী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আসছে। যেমন : সামাজিক, অর্থনৈতিক, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, বেকারত্ব, কৃষি, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ইত্যাদি বাংলাদেশের সশস্রবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে তাদের এসব মিশন প্রেরণ করেছে। এ মিশনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের সদস্যরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। উদ্দীপকেও এই চিত্রটিই প্রদর্শিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সদস্যরা অবদান রাখছে। পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের সশ্রস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বশান্তি রক্ষায় যে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করছে।
ঘ বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ভ‚মিকার কারণেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এ বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অবস্থান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কমান্ডার হিসেবে ও উর্দ্ধতন পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ভ‚মিকার আরো একটি স্বীকৃতি। যা বিশ্বে দেশের মানমর্যাদা অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি মহিলা সদস্যরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে বিদেশের মাটিতে যথেষ্ট সুনাম কুঁড়িয়েছে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী মিশণের হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সদস্যরা নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে চলেছে। সর্বোপরি বলা যায়, বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর দায়িত্বরোধ, অক্লান্ত পরিশ্রম ও আদর্শিক কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ১ 
তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ ‘ক’। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির সরকার দেশকে সুন্দর ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে। কিন্তু এমন অনেক বিষয় আছে যা দেশটির সরকারের পক্ষে এককভাবে করা সম্ভব হয় না। এজন্য দেশটির সরকারকে অন্য কোনো দেশ কিংবা সংস্থার সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হয়। এ প্রয়োজনীয়তা থেকেই বিশ্বজুড়ে একটি ধারণার উদ্ভব হয়েছে।
ক. কখন থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়? ১
খ. অছি পরিষদ বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধারণাটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত ধারণাটির গুরুত্ব মূল্যায়ন কর। ৪

ক ২০১৬ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়।
খ জাতিসংঘের অন্যতম একটি শাখা হচ্ছে অছি পরিষদ। এ পরিষদের কাজ হচ্ছে অছিভুক্ত এলাকাসমূহের তত্ত¡াবধান করা। উপনিবেশিক আমলে এই পরিষদের কাজ ছিল বেশি। বর্তমানে এই পরিষদের কাজ নেই বললেই চলে।
গ উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমান বিশ্বের দেশগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হলেও অনেক দেশই সম্পূর্ণ আত্মনির্ভরশীল নয়। দেশগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এগুলো দূর করতে অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় দেশও সংস্থার সহযোগিতা। যেমন : আমাদের বাংলাদেশে জ্বালানি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের সরকারের পক্ষে এককভাবে এগুলো পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়। ফলে এগুলো দূরীকরণে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশ বা সংস্থার সহযোগিতা নিতে হয়। যার প্রতিচ্ছবি উদ্দীপকে ‘ক’ রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ধারণাটি তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ উক্ত ধারণাটির অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান যুগ পরস্পর নির্ভরশীলতার যুগ। আর পারস্পরিক নির্ভরশীলতার এ যুগে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র। একটি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি, পরিবেশ, আবহাওয়া, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় একটি দেশ সরাসরি বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে অন্য দেশকে সাহায্য করে। আবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমেও সহযোগিতা করে। মূলত নিজস্ব প্রচেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যায় সমাধানের চেষ্টা করে। আবার এমন অনেক সমস্যা আছে যেগুলোর সাথে একাধিক দেশের স্বার্থ জড়িত। ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

প্রশ্ন- ২ 
মেহেদীদের গ্রামে দ্ব›দ্বকলহ প্রায়ই লেগে থাকে। এই দ্ব›দ্বকলহ নিয়ন্ত্রণে তাদের গ্রামের ছেলেরা একত্রিত হয়ে একটি ‘শান্তিসংঘ’ গঠন করে। কিন্তু এ সংঘটি ঠিকমতো কাজ করতে পারছিল না। অবশেষে আশপাশের সবগুলো গ্রাম মিলে ‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ গঠন করে। এতে পুরা গ্রামে শান্তির সুবাতাস বইতে থাকে।
ক. বিশ্বের সকল দেশ কোন ধরনের ক্ষমতার অধিকারী? ১
খ. আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত সংস্থার কাজ আলোচনা কর। ৪

ক বিশ্বের সকল দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
খ বিশ্বের কোনো দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা কোনো কোনো সরকারের পক্ষে এককভাবে করা সম্ভব নয়। এজন্য অন্য দেশে বা সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। আর এ কারণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
গ উদ্দীপকের ‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এসব যুদ্ধ ছিল মানব সভ্যতায় অগ্রযাত্রার বিরাট বাঁধা। তাই শান্তি স্থাপনের জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ গঠিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতার কারণে সংস্থাটি স্থায়িত্ব লাভ করেনি। ফলে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে গ্রাস করে। এ যুদ্ধের ধ্বংসলীলা বিশ্ববাসীকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। ফলশ্রæতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে। যা উদ্দীপকে ‘গ্রাম শান্তি পরিষদ’ সংস্থাটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ উক্ত সংস্থা অর্থাৎ জাতিসংঘ মানবতার কল্যাণ ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুমুখী কাজ করে থাকে। নিম্নে জাতিসংঘের কয়েকটি কাজ উল্লেখ করা হলো :
১. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপ করা।
৩. শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা।
৪. আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা।
৫. সদস্য রাষ্ট্রসমূহের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বেকার সমস্যার সমাধান, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ইত্যাদি কল্যাণমূলক কাজ করা।
৬. আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধী নিষ্পত্তি করা।
প্রশ্ন- ৩ 

১৯১৪  প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯২০  সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ
১৯৩৯  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
১৯৪৫  আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা
ক. কত বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়? ১
খ. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কী ধরনের কাজ করে থাকে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাপ্রবাহ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিচয় বহন করে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উক্ত সংস্থার মৌলিক নীতিসমূহ আলোচনা কর। ৪

ক ২৫ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়।
খ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যা যেমন : দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, বেকারত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে থাকে।
গ উদ্দীপকের ঘটনাপ্রবাহ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরিচয় বহন করে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রথমটি হয় ১৯১৪ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এসব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এ যুদ্ধ ছিল মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রার বিরাট বাঁধা। সেজন্য যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চলছে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা। তাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয়েছিল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতার কারণে এ সংস্থাটি স্থায়িত্ব লাভ করেনি। ফলে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বকে গ্রাস করে। এ যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ধ্বংসলীলা দেখে বিশ্ববাসী সংকিত ও হতবাক হয়ে যায়। তাদের মনে দানা বাঁধে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা। আর এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা করে ১৯৪৫ সালে ২৪ এ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে; যা উদ্দীপকের ছকে তুলে ধরা হয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকের ঘটনা প্রবাহ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পরিচয় তুলে ধরে।
ঘ উক্ত সংস্থার অর্থাৎ জাতিসংঘের সাতটি মৌলিক নীতি আছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো এগুলো মেনে চলার শর্তে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এ মূলনীতিগুলো হলো :
১. জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সর্বভৌমত্বের অধিকারী হবে।
২. সকল সদস্য রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সাথে জাতিসংঘের সনদের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
৩. সকল সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করতে হবে।
৪. কোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করতে বা বল প্রয়োগের হুমকি দিতে পারবে না।
৫. সদস্য নয় এমন কোনো রাষ্ট্র জাতিসংঘের মূলনীতির বিরোধিতা করলে সে বিষয়ে জাতিসংঘ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৬. কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করবে না। তবে কোনো রাষ্ট্র যদি আগ্রাসী তৎপরতা চালায় তাহলে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
প্রশ্ন- ৪ 
সুদান ও দারফুরের মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিবাদ মীমাংসায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে আসে এবং গণভোটের আয়োজন করে। বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ক. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১
খ. আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয় কেন? ২
গ. সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির কোন শাখা কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত সংস্থার ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
খ বিশ্বের এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের উপর যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পরও বিশ্বের স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদ পরিলক্ষিত হয়। এতে বিশ্বশান্তি না হয়। তাই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিপদ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সীমান সহ দেশের অন্য যেকোনো বিরোধ মীমাংসা করা।
গ সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটির অর্থাৎ জাতিসংঘের অন্যতম একটি শাখা নিরাপত্তা পরিষদ কাজ করছে। কেননা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মূল দায়িত্ব এই নিরাপত্তা পরিষদের উপর ন্যস্ত। জাতিসংঘের এই শাখাটি বিশ্বশান্তির প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী ঘটনাবলির অনুসন্ধান করে এবং আলাপ আলোচনা ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করে। সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রেও সংস্থাটি দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বন্ধের জন্য যেকোনো দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করতে পারে। সুতরাং বলা যায়, সুদান ও দারফুরের মধ্যে বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভ‚মিকা পালন করেছে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি অর্থাৎ জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বস্তুত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালের ২৪ এ অক্টোবর জাতিসংঘ যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রধান ভ‚মিকা পালন করেছে। সংস্থাটির সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে এটি প্রতিষ্ঠার পর বিশ্বে আজ পর্যন্ত কোনো বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। অথচ এটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে গ্রাস করেছিল। বিশ্বশান্তির অন্যতম একটি দিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার মাধ্যমে সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে। বিশ্বকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য সংস্থাটি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন, উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ, প্রতিকার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল কর্মকাণ্ড বিশ্বশান্তি রক্ষায় সহায়ক ভ‚মিকা পালন করছে। সুতরাং বলা যায়, বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন- ৫ 
সীমান্ত নিয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভ‚খণ্ডে আগ্রাসী তৎপরতা চালায়। ‘খ’ রাষ্ট্র বিরোধ মীমাংসায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাহায্য চাইলে সংস্থাটি বিরোধ মীমাংসায় এগিয়ে আসে।
ক. জাতিসংঘ কোন শাখাটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি করে? ১
খ. সাধারণ পরিষদ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার উক্ত সংস্থার ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪

ক জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি করে।
খ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের প্রধান একটি শাখা। এই পরিষদে বিভিন্ন সদস্য শাখায় নির্বাচন, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। প্রতিবছরে একবার অধিবেশন হয় এবং একজন সভাপতি নির্বাচিত হন।
গ উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সংস্থাটির অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তির প্রতি হুমকি ও আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করা। জাতিসংঘের অন্যতম একটি শাখা নিরাপত্তা পরিষদ এ দায়িত্ব পালন করে। বস্তুত বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোনো কারণে সংঘাত দেখা দিলে অথবা একই দেশের অভ্যন্তরে কোনো সংঘাত সৃষ্টি হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে সে দ্ব›দ্ব সংঘাত দূর করার উদ্যোগ নেয়; যেমনটি উদ্দীপকের উল্লিখিত রাষ্ট্রদ্বয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের কথা বলা হয়েছে।
ঘ বিশ্বশান্তির অন্যতম একটি দিক হলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। বস্তুত ব্যক্তি হিসেবে মানুষ যে সকল অধিকার লাভের দাবিদার সে সকল অধিকার সংরক্ষণ করার নাম মানবাধিকার। মানবাধিকার কথাটির অর্থ হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানুষের অধিকার। আর এ লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে বিশ্বের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ দেশে দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং সেই লক্ষ্যে বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে চলছে। এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যার প্রমাণ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বে কোনো বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। অথচ এটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে মাত্র পঁচিশ বছরের ব্যবধানে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে গ্যাস করেছিল। সংস্থাটি মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করছে। সুতরাং বলা যায় যে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন- ৬ 
‘ক’ একটি সহযোগিতা সংস্থা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া পরিবেশ দূূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, নিরক্ষরতা ও উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান প্রভৃতি ভ‚মিকা পালন করছে।
ক. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? ১
খ. নিরাপত্তা পরিষদ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ‘ক’ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ইঙ্গিত করছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত সংস্থার অবদান মূল্যায়ন কর। ৪

ক বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
খ নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। এটি বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। এর পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র হলো যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন। বাংলাদেশ দুইবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
গ ‘ক’ আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘকে ইঙ্গিত করছে। সংস্থাটি ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোনো কারণে যুদ্ধ সংঘাত দেখা দিলে অথবা একই দেশের অভ্যন্তরে কোনো সংঘাত সৃষ্টি হলে নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে সে দ্ব›দ্ব সংঘাত দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি সমস্যা পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। নিরক্ষরতা মানবজাতির জন্য অভিশাপ। বিশ্বকে নিরক্ষর মুক্ত করার জন্য জাতিসংঘ ইউনেস্কো ও ইউনিসেফ এর মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উদ্বাস্তু সমাধানে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে; যার প্রতিচ্ছবি উদ্দীপকে ‘ক’ সংস্থার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের কথা বলা হয়েছে।
ঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অবদান অপরিসীম। বস্তুত জাতিসংঘের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জাতিসংঘ সফলতা অর্জন করেছে। আবার কোথাও ব্যর্থতারও পরিচয় দিয়েছে। তা সত্তে¡ও এর অবদান উল্লেখযোগ্য। জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অবদান হলো প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বে আজ পর্যন্ত কোনো বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। সংস্থাটি বিশ্বের অনেক দেশেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে। দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে সংস্থাটির তত্ত¡াবধানে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা অর্জন; এর একটি অন্যতম উদাহরণ। এছাড়া বিভিন্ন দেশে এবং অঞ্চলে বিরাজমান আর্থসামাজিক সমস্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘণ ইত্যাদিও বিশ্বশান্তি নষ্ট করে। তাই জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি রক্ষায় বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ, সংঘাত নিরসনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। সুতরাং বলা যায় যে, বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা অপরিসীম।
প্রশ্ন- ৭ 

জাতিসংঘের সদর দপ্তর
ক. জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে? ১
খ. জাতিসংঘের দুইটি কাজ উল্লেখ কর। ২
গ. চিত্রে প্রদর্শিত সংস্থার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.উক্ত সংস্থার প্রধান তিনটি শাখার বিবরণ দাও। ৪

ক জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
খ ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতিসংঘ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। তন্মধ্যে অন্যতম দুটি কাজ হলো
র. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
রর. আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ক‚টনৈতিক অবরোধ আরোপ করা।
গ চিত্রে প্রদর্শিত সংস্থা হলো জাতিসংঘ। ১৯৪৫ সালের ২৪ এ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠি হয়। মোট ছয়টি শাখা নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়। শুরুতে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫১। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। জাতিসংঘের মহাসচিব হচ্ছেন এর প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সংস্থাটির নিজস্ব পতাকা আছে। পতাকাটি হালকা নীল রঙের। মাঝখানে সাদার ভিতরে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্র রয়েছে। এর দুইপাশ দুইটি জলপাই পাতার ঝাড় দিয়ে বেষ্টিত। জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা হলো ছয়টি। এগুলো হলো : আরবি, চাইনিজ, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান ও স্পেনিশ। জাতিসংঘের যেকোনো সভায় এই ছয়টি ভাষার যেকোনো একটি ভাষা ব্যবহার করা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাকি ভাষাগুলোতে অনুবাদ হয়ে যায়।
ঘ জাতিসংঘ ছয়টি প্রধান শাখার সমন্বয়ে গঠিত হয়। শাখাগুলো হলো সাধারণ পরিষদ, সচিবালয়, নিরাপত্তা পরিষদ, অছি পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক আদালত। এসব শাখার মধ্য থেকে তিনটি শাখা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
সাধারণ পরিষদ : জাতিসংঘের এই পরিষদ বিভিন্ন সদস্য শাখায় নির্বাচন, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। প্রতিবছরে একবার অধিবেশন এবং একজন সভাপতি নির্বাচিত হয়।
নিরাপত্তা পরিষদ : বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে এই পরিষদ। এর পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র হলো যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গণচীন। বাংলাদেশ দুইবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
আন্তর্জাতিক আদালত : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সীমানাসহ দেশের অন্য যেকোনো বিরোধ মীমাংসা করা এর কাজ। ২০১২ সালে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র সীমা নিয়ে মায়ানমারের সাথে একটি বিরোধে বাংলাদেশ নিজের পক্ষে রায় পায়। এভাবে জাতিসংঘ তার ছয়টি প্রধান শাখার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
প্রশ্ন- ৮ 

‘ক’ উন্নয়নশীল একটি দেশ। জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে কেবল পুরুষ সদস্যই নয়, বরং মহিলা সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেছে।
ক. জাতিসংঘের কোন পরিষদ বিশ্বশান্তিরক্ষার প্রধান দায়িত্বে নিয়োজিত? ১
খ. জাতিসংঘ সচিবালয় বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রটি কোন দেশের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত দেশটির অবদান মূল্যায়ন কর। ৪

ক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বশান্তি রক্ষার প্রধান দায়িত্বে নিয়োজিত।
খ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হচ্ছে জাতিসংঘ সচিবালয়। এটি জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অন্যতম একটি দেশ। ১৯৭৪ সালে দেশটি জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ লাভের পর থেকে দেশটির সশস্ত্রবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করে। এক্ষেত্রে কেবল পুরুষ সদস্যই নয়, বরং মহিলা সদস্যরাও শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। তারা তাদের দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রমাণ করে বিদেশের মাটিতে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে; যার প্রতিচ্ছবি উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ দেশটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সদস্য প্রেরণ করে। ২০১৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে বিশ্বের চল্লিশটি দেশে পঞ্চাশটি মিশনে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত দেশটি অর্থাৎ বাংলাদেশ সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আসছে। এদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বশান্তিরক্ষী বাহিনীতে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। এ সুনাম অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচিত করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণ ও সুনাম অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশকে অবশ্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ২০১৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণ করে ১২৪ জন সদস্য বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও শান্তি রক্ষায় যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তা সত্তে¡ও বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ কৃতিত্ব প্রদর্শন করছে। মূলত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কমান্ডার হিসেবে ও উর্ধ্বতন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ভ‚মিকার আরেকটি স্বীকৃতি, যা বিশ্বে দেশের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করেছে। সুতরাং বলা যায় যে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভ‚মিকা অপরিসীম।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৯ 
আসাদ ও অভির এলাকাসহ পাশের আরও তিন চারটি এলাকার সাথে অন্যান্য এলাকার ২ বার সংঘর্ষ বাধে। এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আসাদ, অভি ও বিভিন্ন এলাকার প্রধানদের সহযোগিতায় একটি সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে ওইসব এলাকার “ধ্বংসীলা বন্ধ হয়।
ক. কত সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে? ১
খ. জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনস গঠিত হয় কেন? ২
গ. আসাদ ও অভির গঠিত সংঘ প্রতিষ্ঠার সাথে বিশ্বের কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠার মিল পরিলক্ষিত হয়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় উক্ত সংগঠনের জন্ম হয়” বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ১৯৪৫ সালের ২৪ এ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
খ পৃথিবীতে মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রথমটি ১৯১৪ সালে এবং দ্বিতীয়টি শুরু হয় ১৯৩৯ সালে। এ যুদ্ধ ছিল মানব সভ্যতার অগ্রগতির বিরাট বাধা। সেজন্য যুদ্ধের পাশাপাশি শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। তাই প্রথমে বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯২০ সালে গঠিত হয়েছিল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনস।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর।
ঘ জাতিসংঘ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন- ১০ 
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিবাদ মীমাংসায় একটি বিশ্বসংস্থা এগিয়ে আসে এবং গণভোটের আয়োজন করে। বিভিন্ন শাসক সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ক. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্র কয়টি? ১
খ. জাতিসংঘের পতাকার গঠন বর্ণনা কর। ২
গ. উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ মীমাংসায় উদ্দীপকে উল্লিখিত বিশ্ব সংস্থাটির কোন শাখা কাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্র হলো ১৯৩টি।
খ জাতিসংঘের একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে। এর রং হালকা নীল। মাঝখানে সাদার ভিতরে রয়েছে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্র। এর দুপাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
ঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অবদান বিশ্লেষণ কর।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও অনুধাবনমূলকপ্রশ্নের উত্তরঃ

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন করে কেন?
উত্তর : বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজেদের কল্যাণে বা স্বার্থে বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন করে।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করছে কীসের মাধ্যমে?
উত্তর : বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ পারস্পরিক নির্ভরশীলতায় কোনটির কোনো বিকল্প নেই?
উত্তর : পারস্পরিক নির্ভরশীলতায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
প্রশ্ন \ ৪ \ কীসের মাধ্যমে একটি দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করে?
উত্তর : দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে একটি দেশ অন্য দেশকে সাহায্য করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের কত ভাগ লোক নিরক্ষর?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক লোক নিরক্ষর।
প্রশ্ন \ ৬ \ কত সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়?
উত্তর : ২০১৬ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে?
উত্তর : প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালে।
প্রশ্ন \ ৮ \ কত সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়?
উত্তর : ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ কত সালে লীগ অব নেশনস গঠিত হয়?
উত্তর : ১৯২০ সালে লীগ অব নেশনস গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ উইনস্টন চার্চিল কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর : উইনস্টন চার্চিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট কোন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
উত্তর : ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১২ \ জাতিসংঘের কয়টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে?
উত্তর : জাতিসংঘের ৬টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫।
প্রশ্ন \ ১৬ \ জলপাই পাতা কীসের প্রতীক?
উত্তর : জলপাই পাতা শান্তির প্রতীক।
প্রশ্ন \ ১৭ \ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা।
প্রশ্ন \ ১৮ \ জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অবদান কী?
উত্তর : জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অবদান হলো এটি প্রতিষ্ঠার পর বিশ্বে আজ পর্যন্ত কোনো বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি।
প্রশ্ন \ ১৯ \ বিশ্বশান্তিরক্ষার প্রধান দায়িত্ব কোন পরিষদের?
উত্তর : বিশ্বশান্তিরক্ষার প্রধান দায়িত্ব নিরাপত্তা পরিষদের।
প্রশ্ন \ ২০ \ বিশ্ব শান্তির একটি অন্যতম দিক কোনটি?
উত্তর : বিশ্বশান্তির একটি অন্যতম দিক হলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
প্রশ্ন \ ২১ \ বিশ্ব শান্তির পথে একটি বড় বাধা কোনটি?
উত্তর : বিশ্বশান্তির পথে একটি বড় বাধা হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্য।
প্রশ্ন \ ২২ \ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
উত্তর : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।
প্রশ্ন \ ২৩ \ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি আর কারা অংশগ্রহণ করেছে?
উত্তর : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি মহিলা সদস্যরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশই পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মাধ্যমে নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে থাকে। দেশগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হলেও সম্পূর্ণ আত্মনির্ভরশীল নয়। এছাড়াও এসব দেশগুলোর সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজন হয় অন্য দেশ ও সংস্থার সহযোগিতা। এভাবে বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রই অন্য রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না। তাই বলা যায় বিশ্বের দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সুন্দরভাবে টিকে আছে।
প্রশ্ন \ ২ \ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্তমান যুগ পরস্পর নির্ভরশীলতার যুগ। পারস্পরিক নির্ভরশীলতার এই যুগে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। একটি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো রাষ্ট্রীয় সমস্যাই সঠিকভাবে সমাধান করা সম্ভব হয় না। তাই বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ৩ \ জাতিসংঘ গঠনের পটভ‚মি উল্লেখ কর।
উত্তর : ১৯১৪ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৩৯ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীকে গ্রাস করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা দেখে বিশ্ববাসী শংকিত ও হতবাক হয়ে যায়। তাদের মনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা জন্ম নেয়। এ আকাক্সক্ষা থেকে ১৯৪১ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট-এর নেতৃত্বে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ জাতিসংঘের পতাকার গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জাতিসংঘের একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে। এর রং হালকা নীল। মাঝখানে সাদার ভিতরে রয়েছে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্র। এর দুপাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড়।
প্রশ্ন \ ৫ \ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান দুটি উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর : কতগুলো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন \ ৬ \ জাতিসংঘের প্রধান তিনটি মূলনীতি উল্লেখ কর।
উত্তর : জাতিসংঘের কতগুলো মূলনীতি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রধান- মূলনীতি নিচে দেওয়া হলো :
১. জাতিসংঘের সকল সদস্যরাষ্ট্র সমান মর্যাদার অধিকারী হবে।
২. সকল সদস্য রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সাথে জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
৩. সকল সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করতে হবে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘ভোটো ক্ষমতা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ‘ভেটো’ ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ হলো ‘আমি ইহা মানি না’। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে যেকোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র বাতিল বা স্থগিত করে দিতে পারে। এ ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গণচীন।
প্রশ্ন \ ৮ \ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা। এর সদস্য সংখ্যা ৫৪। বছরে কমপক্ষে দু’বার নিউইয়র্ক বা জেনেভায় এর অধিবেশন বসে। প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে যেকোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিষদের কাজ হলো সদস্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, শিক্ষার প্রসার, মানবাধিকার কার্যকর করা প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ৯ \ অছি পরিষদ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অছি পরিষদ গঠিত। অছি পরিষদ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের অনুন্নত অঞ্চলসমূহের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করে। অছিভুক্ত অঞ্চলের উন্নতি এবং এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা ও তাদের দেশ শাসনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই হচ্ছে অছি পরিষদের দায়িত্ব।
প্রশ্ন \ ১০ \ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের চারটি কার্যক্রম উল্লেখ কর।
উত্তর : বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নানাবিধ কার্যাবলির মধ্যে চারটি কার্যক্রম নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. জাতিসংঘ বিশ্বের যেকোনো স্থানের আন্তর্জাতিক শান্তি বিরোধী কার্যক্রমের অবসান ঘটায়।
২. বিভিন্ন দেশে বিরাজমান আর্থসামাজিক সমস্যার সমাধান করে।
৩. মানবাধিকার লাঙ্ঘণ বিরোধী কার্যাবলি সম্পাদন করে।
৪. বিভিন্ন ধরনের আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যাবলি পরিচালনা করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বিশ্বশান্তি রক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ কী ভ‚মিকা পালন করে?
উত্তর : বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি অন্যতম সদস্য দেশ। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্টায় সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করছে। বর্তমানে সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। তাছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের অনেক সদস্য তাদের নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। ফলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো হয়ে আছে।

 

 

 

 

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনিব
র্
াচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ-১ : আন্তর্জাতিক সহযোগিতা : ধারণা ও গুরুত্ব
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. একটি দেশকে সুন্দর ও সঠিকভাবে পরিচালনার দায়িত্ব কার? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রপতির  সরকারের গ মন্ত্রির ঘ জনগণের
২. পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মাধ্যমে নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা কীসের মূল কথা? (অনুধাবন)
 বৈদেশিক নীতির খ সরকারের
গ রাষ্ট্রের ঘ জনগণের
৩. আমরা পৃথিবীতে বসবাস করি। এখানে কতটি মহাদেশ রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ৫টি খ ৬টি  ৭টি ঘ ৮টি
৪. বিশ্বের দেশগুলো সুন্দরভাবে টিকে আছে কীসের মাধ্যমে? (জ্ঞান)
ক যুদ্ধের খ অর্থের
গ প্রশাসনের  পারস্পরিক সহযোগিতার
৫. কোনটি বিশ্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে? (জ্ঞান)
 আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা
খ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা
গ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা
ঘ কৃষিভিত্তিক সহযোগিতা সংস্থা
৬. বর্তমান যুগ কীসের যুগ? (অনুধাবন)
ক সংঘাতের খ সম্পর্কের  নির্ভরশীলতার ঘ বর্বরতার
৭. রিমি বাংলাদেশে বসবাস করে। এখানকার জনসংখ্যার কত ভাগ নিরক্ষর?(প্রয়োগ)
ক ২০ ভাগ খ ২৫ ভাগ গ ৩০ ভাগ  ৫০ ভাগ
৮. একটি দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি কোনটি? (জ্ঞান)
ক জনগণ খ অর্থ  শিক্ষা ঘ সরকার
৯. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয় কবে? (অনুধাবন)
ক ২০১০ খ ২০১৫  ২০১৬ ঘ ২০২০
১০. ইউনিসেফ, ইউনেস্কোসহ বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাত্রে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য দিচ্ছে। এর লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 নিরক্ষরতা দূরীকরণ
খ দারিদ্র্যতা দূরীকরণ
গ পরিনির্ভরশীলতার মনোভাব হ্রাস
ঘ দেশের উন্নয়নের পদক্ষেপ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১. এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সাথে যেসব ক্ষেত্রে সম্পর্ক গড়ে তোলে (অনুধাবন)
র. রাজনৈতিক রর. অর্থনৈতিক
ররর. সামরিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২. বাংলাদেশে যেসব ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে (অনুধাবন)
র. পরিবেশ রর. স্বাস্থ্য
ররর. শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩. বাংলাদেশের নিরক্ষরতা দূরীকরণে সাহায্য কারছে
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঁহবংপড় রর. ঁহরপবভ
ররর. যিড়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩ ও ১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিফাজ যে দেশে বসবাস করে সেখানকার প্রায় অর্ধেক লোক নিরক্ষর। কারণে দেশটি দরিদ্র্য দেশে পরিণত হয়েছে।
১৪. রিফাজের দেশের সাথে কোন দেশের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
 বাংলাদেশ খ ভারত গ মিয়ানমার ঘ পাকিস্তান
১৫. উক্ত দেশের দারিদ্র্যতার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি রর. শিক্ষার অভাব
ররর. অদক্ষ শ্রমশক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-২ : জাতিসংঘ ও এর গঠন
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬. পৃথিবীতে মোট কয়টি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১টি  ২টি গ ৩টি ঘ ৪টি
১৭. কত সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
 ১৯১৪ খ ১৯১৮ গ ১৯৩৯ ঘ ১৯৪৫
১৮. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯১৪ খ ১৯১৮  ১৯৩৯ ঘ ১৯৪৫
১৯. কখন লীগ অব মেশনস গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯১৮  ১৯২০ গ ১৯৩৯ ঘ ১৯৪৫
২০. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় কোন দেশের? (অনুধাবন)
ক চীন  জাপান গ ইন্দোনেশিয়া ঘ মালয়েশিয়া
২১. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪০  ১৯৪১ গ ১৯৪৪ ঘ ১৯৪৫
২২. ১৯৪৫ সালের কত তারিখে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ২৩ এ অক্টোবর  ২৪ এ অক্টোবর
গ ২৫ এ অক্টোবর ঘ ২৬ এ অক্টোবর
২৩. উপরের খালি ঘরে কোনটি বসবে? (প্রয়োগ)

ক কমনওয়েলথ খ সার্ক গ ওআইসি  জাতিসংঘ
২৪. জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন মোট কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৪ খ ৫  ৬ ঘ ৭
২৫. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বছরে কয়বার বসে? (জ্ঞান)
 এক খ দুই গ তিন ঘ চার
২৬. জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র কোন পরিষদের সদস্য? (অনুধাবন)
ক নিরাপত্তা পরিষদের খ সামাজিক পরিষদের
গ অছি পরিষদের  সাধারণ পরিষদের
২৭. বর্তমান ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করেছে। ফিলিস্তিনকে সদস্য হতে হলে কোন পরিষদের সদস্যপদ অবশ্যই লাভ করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ সামাজিক পরিষদ
 সাধারণ পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
২৮. কোনটি জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
 জাতিসংঘ সচিবালয় ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
২৯. জাতিসংঘের কোন শাখার সদস্যপদের মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য রয়েছে? (অনুধাবন)
 নিরাপত্তা পরিষদ খ অর্থনৈতিক পরিষদ
গ সাধারণ পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৩০.

‘?’ চি‎িহ্ন ত স্থানে কোনটি বসবে?
ক ভারত খ কানাডা  চীন ঘ জার্মানি
৩১. জাতিসংঘের কোন সদস্য দেশটির ভোটে ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার রয়েছে? (জ্ঞান)
 ফ্রান্স খ জাপান গ ব্রাজিল ঘ জার্মানি
৩২. বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব কোন পরিষদের রয়েছে? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ  নিরাপত্তা পরিষদ
গ আন্তর্জাতিক আদালত ঘ অছি পরিষদ
৩৩. রিফাত এক গবেষণার রিপোর্ট থেকে জানতে পারল বর্তমান বিশ্বে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ সমস্যার সমাধানে কাজ করছে কোন পরিষদ? (প্রয়োগ)
ক সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
 অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৩৪. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কত? (জ্ঞান)
ক ৪০  ৫১ গ ৬০ ঘ ৭০
৩৫. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১৯১ খ ১৯২  ১৯৩ ঘ ১৯৪
৩৬. জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদবির নাম কী?
ক মহাপরিচালক খ সচিব  মহাসচিব ঘ পরিচালক
৩৭. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ট্রিগভেলি কোন দেশের নাগরিক?
ক আফ্রিকার  নরওয়ের গ আমেরিকার ঘ ইতালির
৩৮. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিবের নাম কী? (জ্ঞান)
 ট্রিগভেলি খ বান কি মুন গ উ-থান্ট ঘ কফি আনান
৩৯. বান কি মুন কোন দেশের নাগরিক? (জ্ঞান)
ক মায়ানমার  দক্ষিণ কোরিয়া
গ নরওয়ে ঘ ব্রিটেন
৪০. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক লন্ডন খ ওয়াশিংটন ডিসি
 নিউইর্য়ক ঘ জেনেভা
৪১. সাব্বির বাংলাদেশে বসবাস করে। তার দেশটি কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে? (প্রয়োগ)
ক ১৯৭২  ১৯৭৪ গ ১৯৭৫ ঘ ১৯৮১
৪২. জাতিসংঘের পতাকার রং কী? (জ্ঞান)
ক সাদা  হালকা নীল গ লাল ঘ বেগুনি
৪৩. জলপাই পাতা কিসের প্রতীক? (জ্ঞান)
 শান্তির খ যুদ্ধের গ নিরাপত্তার ঘ বিজয়ের
৪৪. জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১টি খ ২টি গ ৪টি  ৬টি
৪৫. জাতিসংঘে কোন ভাষার ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়? (জ্ঞান)
 ইংরেজি খ ফরাসী গ রাশিয়ান ঘ স্পেনিশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৬. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয় (অনুধাবন)
র. জাতিপুঞ্জ রর. জাতিসংঘ
ররর. কমনওয়েলথ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ভ‚মিকা পালন করে (অনুধাবন)
র. বান কি মুন রর. উইনস্টন চার্চিল
ররর. রুজভেল্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. সাধারণ পরিষদের কার্যাবলি হলো (অনুধাবন)
র. চাঁদা নির্ধারণ রর. অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন
ররর. স্থায়ী সদস্য নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. নিরাপত্তা পরিষদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য হলো (অনুধাবন)
র. স্থায়ী সদস্য ৫টি রর. অস্থায়ী সদস্য ১০টি
ররর. স্থায়ী সদস্যরা ভোটে ক্ষমতার অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫০. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যাবলি (অনুধাবন)
র. শিক্ষার প্রসার রর. বেকার সমস্যা সমাধান
ররর. মানবাধিকার কার্যকর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫১. অছি পরিষদের কার্যাবলি হলো (অনুধাবন)
র. অছিভুক্ত অঞ্চলের উন্নতি
রর. এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা
ররর. এলাকার অধিবাসীদের দেশ শাসনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫২. শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের কাজ হলো (অনুধাবন)
র. ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষতা দূর করা
রর. জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ
ররর. নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৩. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অন্যতম কাজ হলো
[
র. মহাসচিব নিয়োগ ও নতুন সদস্য গ্রহণ
রর. বাজেট পাস ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ
ররর. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৪. জাতিসংঘের একটি শাখার সদস্য সংখ্যা ২৫। বছরে কমপক্ষে দুবার এর অধিবেশন বসে। এ সংস্থা কাজ করে (প্রয়োগ)
র. মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে
রর. শিক্ষার প্রসারে
ররর. আন্তর্জাতিক সংঘাত নিরসনে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. কামাল জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানল, এর একটি শাখার সদস্য সংখ্যা ৫৪। বছরে কমপক্ষে দুবার এর অধিবেশন বসে। এ সংস্থা কাজ করে (প্রয়োগ)
র. শিক্ষার প্রসারে
রর. বেকার সমস্যার সমাধানে
ররর. আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৫ ও ৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। কিন্তু জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালে। জাতিসংঘের এ সদস্যপদ লাভে দেরি হয় চীনের অসম্মতির কারণে। অবশ্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য লাভের পূর্বেই এর একটি বিশেষ সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করেছিল।
৫৬. বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভে দেরি হওয়ার কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক সাধারণ পরিষদের ভোটে
 নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে
গ অছি পরিষদের ভোটে
ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ভোটে
৫৭. জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভে দেরি হয় যে সংস্থাটির কারণে সেটি ভ‚মিকা পালন করে
র. বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়
রর. সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায়
ররর. আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৩, ৪ ও ৫ : জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য ও মৌলিক নীতি, জাতিসংঘের কাজ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. জাতিসংঘের মৌলিক নীতি কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৫  ৭ গ ৯ ঘ ১১
৫৯. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল? (জ্ঞান)
ক বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব রক্ষা  বিশ্বশান্তি রক্ষা
গ বিশ্বকে ভাগ করা ঘ মুনাফা অর্জন
৬০. কত বছরের ব্যবধানে দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১৫ খ ২০  ২৫ ঘ ৩০
৬১. জাতিসংঘের একটি অন্যতম সংস্থা হলো (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ খ অছি পরিষদ
গ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত  নিরাপত্তা পরিষদ
৬২. নিরক্ষরতা মানবজাতির জন্য কী স্বরূপ? (জ্ঞান)
 অভিশাপ খ সফলতা গ উন্নতি ঘ মানদণ্ড
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. জাতিসংঘের উদ্দেশ্য হলো (অনুধাবন)
র. শান্তি, শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা
রর. সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা
ররর. সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৪. বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিরাপত্তা পরিষদ যে সকল পন্থা গ্রহণ করে তা হলো
(অনুধাবন)
র. আলাপ-আলোচনা
রর. সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোট গ্রহণ
ররর. সামরিক শক্তি প্রয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়ন করে (অনুধাবন)
র. শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রর. সহিংসতার জন্য
ররর. যুদ্ধ বন্ধের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. বর্তমানে বিশ্বশান্তি নষ্ট হওয়ার কারণ হলো (অনুধাবন)
র. আর্থসামাজিক সমস্যা রর. মানবাধিকার লঙ্ঘণ
ররর. রাজনৈতিক সংকট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৭. বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ যেসব কাজ করে তা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সংঘাত নিরসন রর. আর্থসামাজিক উন্নয়ন
ররর. মানবাধিকার লংঘন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিপন সাহেব তার এলাকায় যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। এ সংগঠনটি এলাকার উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপকভাবে কাজ করে।
৬৮. রিপন সাহেবের গঠিত সংগঠনটির সাথে কোন সংগঠনের মিল রয়েছে?
(প্রয়োগ)
ক বিশ্বব্যাংক খ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা
গ ওআইসি  জাতিসংঘ
৬৯. উক্ত সংস্থার কার্যাবলি হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আন্তর্জাতিক বিরোধ মিমাংসা
রর. স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা
ররর. বিশ্বশান্তি রক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৬ : বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর একটি অন্যতম সদস্য দেশ কোনটি? (অনুধাবন)
 বাংলাদেশ খ ভারত গ পাকিস্তান ঘ শ্রীলঙ্কা
৭১. কত সাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করছে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ খ ১৯৭২  ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৭২. বাংলাদেশ সর্বপ্রথম শান্তি রক্ষী বাহিনীতে সদস্য প্রেরণ করে কখন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৪ সালে  ১৯৮৮ সালে গ ১৯৯৯ সালে ঘ ২০০১ সালে
৭৩. জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ বর্তমানে কতটি দেশে কাজ করছে? (জ্ঞান)
 ৪০ খ ৫০ গ ৬০ ঘ ৭০
৭৪. বাংলাদেশ বর্তমানে কতটি মিশনে কাজ করছে? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ৩০ গ ৪০  ৫০
৭৫. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মোট কতজন সদস্য পাঠিয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১,৪৭,০৫০  ১,৫৭,০৫০ গ ২,৫৭,০৫০ ঘ ৩,৫৭,০৫০
৭৬. দেলোয়ার যে দেশে বাস করে সেটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার দেশটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক পাকিস্তান  বাংলাদেশ গ ভারত ঘ চীন
৭৭. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের কতজন সদস্য নিহত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১১৪  ১২৪ গ ২১৪ ঘ ২২৪
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৮. বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ যেসব দেশে কাজ করছে তা হলো (অনুধাবন)
র. কঙ্গো রর. ইরাক
ররর. সিরিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭৯. বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচিত করছে (অনুধাবন)
র. সশস্ত্রবাহিনী রর. পুলিশবাহিনী
ররর. রক্ষীবাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মি. মিজান ইরাকে থাকেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সেখানকার শান্তিরক্ষায় কাজ করে চলেছেন।
৮০. মি. মিজান কোন বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন? (প্রয়োগ)
ক পুলিশ বাহিনী খ আনসার বাহিনী
গ বিমান বাহিনী  জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
৮১. উক্ত বাহিনীতে বাংলাদেশের অবস্থান (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো রর. প্রশংসনীয়
ররর. ব্যাপকভাবে স্বীকৃত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

Leave a Reply