মমতাদি
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখক পরিচিতি :
প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৯০৮।
জন্মস্থান : বিহারের সাঁওতাল পরগনা। পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর অঞ্চলের মালবদিয়ায় এবং মায়ের বাড়ি একই অঞ্চলের গাঁওদিয়ায়।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাতার নাম : নীরদাসুন্দরী দেবী।
শিক্ষা মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর গণিতে অনার্স নিয়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন।
সাহিত্যিক পরিচয় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ গল্প রচনার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার সূচনা। মাত্র একুশ বছর বয়সে বিখ্যাত উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’ রচনা। তিনি পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস রচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা, জননী, চিহ্ন, শহরতলী, অহিংস, চতুষ্কোণ।
গল্পগ্রন্থ : অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক, সরীসৃপ।
মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল? জ
ক. ১০ টাকা খ. ১২ টাকা
গ. ১৫ টাকা ঘ. ১৮ টাকা
২. চড় খাওয়ার বিষয়টি দিদি কেন গোপন রেখেছিলেন? ছ
ক. লজ্জা পেয়ে খ. আত্মসম্মানের জন্য
গ. বিপদের আশঙ্কায় ঘ. চাকরি যাওয়ার ভয়ে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
মা মারা গেলে নিরাশ্রয় কেষ্টা বৈমাত্রেয় বোন কাদম্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার এই অনাকাক্সিক্ষত আগমন কাদম্বিনী ভালোভাবে নেয়নি বরং মনে মনে সে ভীষণ অখুশি। তাকে দিয়ে প্রতিনিয়ত সংসারের নানা কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কারণে অকারণে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করে। নিরুপায় কেষ্টা সবকিছু নীরবে সহ্য করে।
৩. যে বিচারে কেষ্টা ও মমতাদি একসূত্রে গাঁথা তা হলোÑ চ
র. দারিদ্র্য রর. অসহায়ত্ব
ররর. নিরাশ্রয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. র ও রর খ. রর ও ররর
গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৪. একসূত্রে গাঁথা সত্তে¡ও মমতাদি ব্যতিμম হওয়ার কারণ। তিনিÑ ঝ
ক. পরিশ্রমী খ. স্বল্পভাষী
গ. সময়নিষ্ঠ ঘ. সাদরে গৃহীত
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
রাসেল ড্রাইভার হিসেবে যেমন দক্ষ তেমনি সৎ। প্রকৌশলী এমারত সাহেব তাকে ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেন। ইফতি, সনাম ও শিলাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসাই তার প্রধান কাজ। ঘরের সবাই ওকে ভীষণ ভালোবাসে। ইফতিরা ওকে ভাইয়া বলে ডাকে, একসাথে খায়, গল্প করে, বেড়াতে যায়। রাসেলের প্রতি সন্তানদের এই আচরণে এমারত সাহেব ভীষণ খুশি।
ক. মমতাদির বয়স কত ছিল? ১
খ. মমতাদির চোখ সজল হয়ে উঠেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকে রাসেলের মাঝে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের আচরণের ফুটে ওঠা দিকটি সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে কতটুকু প্রভাব ফেলে? যুক্তিসহ বিশে−ষণ করো। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
ক্ষ মমতাদির বয়স ছিল ২৩ বছর।
১ এর খ নং প্র. উ.
ক্ষ আশাতিরিক্ত মাইনে নির্ধারণ করায় মাইনের কথা জেনে মমতার দুচোখ কৃতজ্ঞতায় সজল হয়ে উঠল।
মমতা অভাবের তাড়নায় পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। তাই সে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। সে এই কাজ করতে গিয়ে সর্বোচ্চ বারো টাকার মতো বেতন আশা করেছিল। কিন্তু গৃহকর্ত্রী পনেরো টাকা বেতন নির্ধারণ করেন। এ কারণে কৃতজ্ঞাতায় মমতার দুচোখ সজল হয়ে উঠল।
১ এর গ নং প্র. উ.
ক্ষ উদ্দীকের রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি হচ্ছে দক্ষতা ও সততা।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি দরিদ্র হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ। গৃহকর্ত্রীর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করে সুনিপুণভাবে সব কাজ সম্পন্ন করেছে। কখনও ফাঁকি দেওয়ার কথা ভাবেনি। সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং নিজ কাজে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। নিখুঁতভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করত সে।
উদ্দীপকের রাসেল একজন দরিদ্র ড্রাইভার হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং দক্ষ। সে তার কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা দিয়ে মালিক এমারত সাহেব ও তার পরিবারের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। এমারত সাহেবের সন্তানেরা তাকে পরিবারের একজন হিসেবে মনে করেছে। ফলে সকলের সাথে তার গড়ে উঠেছে গভীর সম্পর্ক। সুতরাং গল্পের মমতাদি চরিত্রের দক্ষতা এবং সততার গুণটিই উদ্দীপকে রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
ক্ষ রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অসাধারণ সৃষ্টি। মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারীর হয়েও সে অভাবের তাড়নায় অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। তার সততা, চরিত্র মাধুর্য ও কর্মদক্ষতায় সে সহজেই গৃহকর্ত্রীসহ সকলের মন জয় করে নেয়। গৃহকর্ত্রীও ছিলেন অত্যন্ত উদার মনের মানুষ। মমতাদিকে কখনও গৃহকর্মী ভেবে তুচ্ছ জ্ঞান করেননি। বরং যথাযথ মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করেছেন।
উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেল যেমন সৎ তেমনি দক্ষ। এমরাত সাহেবের সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়াই তার কাজ। সে তার সব কাজ নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে করেছে। শিশুরা তাকে ভাইয়া বলে ডকে। একসাথে খেলে, ঘোরে, গল্প করে। সন্তানদের আচরণে এমারত সাহেবও খুশি। মোটকথা একজন ড্রাইভারের সাথে তার পরিবার অত্যন্ত মানবিক আচরণ করেছে। তার নিজের পরিবারের সদস্যের মতো ব্যবহার করেছে।
‘মমতাদি’ গল্পে স্কুল-পড়–য়া ছেলেটির পরিবার যেমন মমতাদির সাথে মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করেছে উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেলের সাথেও এমারত সাহেবের পরিবার ও সন্তানেরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছে। দুটি পরিবারের এই আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। উঁচু-নীচু প্রভেদ ভুলে প্রতিটি মানুষের সাথে এমনি করে মানবিক আচরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আভিজাত্য ও প্রতিপত্তির মিথ্যা অহংকারেই সমাজে সব অনাচার ও অশান্তি সৃষ্টি হয়। মমতাদি ও ড্রাইভার রাসেলের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে মনুষ্যত্বেরই জয় ঘোষিত হয়েছে। তাই সবাইকে এ ধরনের আচরণেই অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
দারিদ্র্যের কারণে নিলুফা বেশি পড়াশোনা করতে পারেনি। এসএসসি পাস করে সে একটি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। কাজের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা দেখে প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই তার প্রশংসা করে। তবে মাঝেমধ্যে কারও কটু কথা শুনলে তার মনে খুব দুঃখ লাগে। সে মর্মাহত হয়।
ক. মমতাদির বয়স কত? ১
খ. মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিল কেন বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।”Ñ যুক্তিসহকারে উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. মমতাদির বয়স তেইশ বছর।
খ. সংসারে দারিদ্র্যের কারণে মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিলো।
ক্ষ মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। কিন্তু সংসারে প্রচণ্ড অভাবের কারণে তাকে পর্দা ঠেলে বাইরে আসতে হয়েছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। ঘরে খাবার নেই। তীব্র অভাবে বাধ্য হয়ে মমতাদি বাইরে এসেছে এবং কাজ খুঁজতে বেরিয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই তিনি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছেন।
গ. কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার দিক থেকে উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘মমতাদি’ গল্পে লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতাদি নামক এক গৃহকর্মীর আত্মমর্যাদাবোধ ও দায়িত্বশীলতা সুনিপুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। মমতাদি একজন আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন ও পরিশ্রমী নারী। তিনি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়ে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজের প্রতি অর্পিত দায়িত্বকে তিনি আপন করে নিয়েছেন। সুনিপুণ দক্ষতায় কাজ সম্পন্ন করার কারণে বাড়ির সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
উদ্দীপকের নিলুফা ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির মতোই একজন দায়িত্বপরায়ণ নারী। তিনি কর্মজীবনে তার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। নিজের কর্মদক্ষতায় সকলের প্রশংসার পাত্র হয়েছেন। কাজের প্রতি আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মানসিকতা উদ্দীপকের নিলুফা এবং গল্পের মমতাদি কারোরই মধ্যে কমতি ছিল না। ফলে এদিক থেকে মমতাদি এবং উদ্দীপকের নিলুফা একই সুতোয় গাঁথা।
ঘ. ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মীদের সাথে মানবিক আচরণের বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করলেও উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত থাকায় উদ্দীপকটি ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না।
‘মমতাদি’ গল্পে মমতাদির আত্মমর্যাদাবোধ সবসময়ই সমুন্নত ছিল। তিনি অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করলেও তাঁর মর্যাদার কোনো ঘাটতি হয়নি। বরং সকলের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তিনি সকলের মন জয় করেছেন। লেখকের পরিবারের সকলের সাথে মমতাদির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট ‘মমতাদি’ গল্পের প্রেক্ষাপট থেকে আলাদা। দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিতার দিক থেকে উদ্দীপকের নিলুফা এবং ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির কিছুটা মিল থাকলেও তাঁরা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কাজ করেছেন। তাছাড়া গল্পে মমতাদির কর্মদক্ষতায় সকলে মুগ্ধ হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করলেও উদ্দীপকে কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটে। সেখানে নিলুফা কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা দেখালেও তাকে কারও কারও কাছ থেকে কটু কথা শুনতে হয়। কর্মস্থলে মমতাদির মর্যাদাহানি না ঘটলেও নিলুফার ক্ষেত্রে ঘটেছে।
মমতাদি একজন প্রখর আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নারী। তিনি নিজের আত্মসম্মানে আঘাত লাগলে আর কখনোই লেখকের বাড়িতে কাজে আসতেন না। কিন্তু উদ্দীপকের নিলুফাকে কটু কথা শোনার পরও সেখানে কাজ করতে হয়। ফলে এক্ষেত্রে মমতাদি এবং নিলুফা ভিন্ন ভাবধারায় পরিচালিত। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।
বিয়ের ছয় মাস পর নাজমার স্বামী মারা যায়। সন্তানহীনা নাজমা সংসারে অভাব আছে বলেই মর্যাদাসম্পন্ন নারী হয়েও কবির সাহেবের বাড়িতে কাজ নেয়। কবির সাহেবের মাতৃহারা শিশুসন্তান রনি ও রানাকে নাজমা সন্তানের স্নেহে লালন-পালন করে। উচ্চ শিক্ষিত রনি ও রানা এখন নাজমাকে মায়ের মতো সম্মান করে। কবির সাহেবের সংসারে স্বর্গসুখ এনে দিয়েছে নাজমা।
ক. গৃহকর্মে মমতাদির মাইনে কত টাকা ঠিক হয়েছিল? ১
খ. “বেশী আস্কারা দিও না। জ্বালিয়ে মারবে”- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে নাজমা ‘মমতাদি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কবির সাহেবের পরিবারে স্বর্গসুখ এনে দিতে নাজমার যে ভ‚মিকা ছিল, তা ‘মমতাদি’ গল্পের সমগ্র মূলভাবকে ধারণ করে – যৌক্তিক মতামত দাও। ৪
৩ নং প্র. উ.
ক. গৃহকর্মে মমতাদির মাইনে পনেরো টাকা ঠিক করা হয়েছিল।
খ. স্কুলপড়–য়া ছেলেটির চঞ্চলতা বোঝানোর জন্য গৃহকর্ত্রী প্রশ্নোক্ত মন্তব্য করেছেন।
‘মমতাদি’ গল্পে স্কুল-পড়–য়া ছেলেটি শিশুসুলভ আচরণ করে। সে মমতাদির কাছে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা লাভ করে। মমতাদিও ছেলেটির কাছে বড় বোনের মর্যাদা পায়। ছেলেটিকে কাছে নিয়ে আদর করতে গেলে গৃহকর্ত্রী ছেলেটির শিশুসুলভ চঞ্চলতার কথা মমতাদিকে জানিয়েছেন।
গ. নিয়োগকারীর পরিবারের সদস্যদের আপন করে নেওয়া, মানবিক আচরণপ্রাপ্তি এবং আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন হওয়ার দিক থেকে ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির সাথে উদ্দীপকের নাজমার সাদৃশ্য আছে।
মমতাদি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘মমতাদি’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। সংসারের অনটনের কারণে ভদ্র ঘরের নারী হলেও অন্যের বাড়িতে কাজ নিতে বাধ্য হয় সে। তবে তার আত্মমর্যাদাবোধ সবসময়ই ছিল সমুন্নত। নিয়োগকর্ত্রীর পরিবারের সাথে সে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নেয়। তাঁর স্কুলপড়–য়া ছেলেটিকে ছোট ভাইয়ের মতো ভালোবাসে। পরিবারটিও মমতাদির সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করে।
উদ্দীপকের নাজমা অভাবের সাথে যুদ্ধ করার প্রত্যয়ে অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মে আত্মনিয়োগ করে। ওই বাড়ির সন্তানহীনা শিশুদের সে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করে। তারা বড় হয়ে নাজমার সে ভালোবাসার মর্যাদা রাখে। গৃহকর্মীর কাজ করলেও নাজমার আত্মসম্মানবোধ অটুট ছিল। উদ্দীপকের নাজমা চরিত্রের এ দিকগুলো গল্পের মমতাদির সাথে মিলে যায়।
ঘ. উদ্দীপকের কবির সাহেবের পরিবারে স্বর্গসুখ এনে দিতে নাজমা যে মাতৃময়ী ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয় তা ‘মমতাদি’ গল্পের আংশিক ভাব ধারণ করে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মে নিয়োজিত মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্কের নানা দিক উঠে এসেছে। এ গল্পে বর্ণিত মমতাদি সংসারে অভাব বিরাজ করায় মানুষের বাড়িতে কাজ নিতে বাধ্য হয় । নিয়োগর্ত্রীর বাড়ির সমস্ত কাজ সে সুচারুরূপে সম্পন্ন করে। বাড়ির সবাইকে ভালোবাসে। নিয়োগকর্ত্রীর পরিবারও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয় এবং তাঁকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করে।
উদ্দীপকের নাজমা বিয়ের ছয় মাসের মাথায় স্বামীকে হারায়। দারিদ্র্যের পীড়নে তাই কবির সাহেবের বাসায় কাজ নেয় সে। গৃহকর্মী হলেও ওই বাড়ির মাতৃহারা শিশুদের প্রতি তার আচরণ ছিল মাতৃসুলভ। পরিবারেরই একজন হয়ে সে বাড়িটিতে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরিয়ে তোলে। ‘মমতাদি’ গল্পে বর্ণিত গৃহকর্মীর আচরণ একই ধরনের হলেও গল্পের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ভিন্ন বিষয়।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির প্রতি তার নিয়োগকর্ত্রীর পরিবারের সবাই অত্যন্ত সহানুভ‚তিশীল ছিল। নিয়োগকর্ত্রী মমতাদিকে ভালোবেসে মাইনে বাড়িয়ে ঠিক করল। নিজের ছেলেকে দেখাশোনার দায়িত্ব হাসিমুখে মমতাদির ওপর দিল। মমতাদি তাঁর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। গৃহকর্মে নিয়োজিত মানুষের প্রতি এমন মানবিক আচরণের দিকটিই ‘মমতাদি’ গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে। আলোচ্য প্রশ্নে যে দিকটির অবতারণা করা হয়েছে তা কেবল উদ্দীপকে বর্ণিত গৃহকর্মী নাজমার কর্মনৈপুণ্য ও ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, যা ‘মমতাদি’ গল্পের আংশিক ভাবের প্রকাশক। নাজমার প্রতি তার নিয়োগকারী কবির সাহেবের পরিবারের আচরণের বিষয়টি উদ্দীপকে থাকলেও প্রশ্নটি উক্ত বিষয়সংশ্লিষ্ট নয়। তাই কবির সাহেবের পরিবারে স্বর্গসুখ এনে দিতে নাজমার ভ‚মিকার বিষয়টি মমতাদি গল্পের সমগ্র মূলভাবকে ধারণ করে না।
দরিদ্র কিশোরী শিল্পী গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয় নরসিংদী শহরের এক ব্যবসায়ীর বাসায়। গৃহকর্ত্রী ওইটুকুন মেয়ের ওপর বাসার সমস্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেন। রুটি বানানো, কাপড় ধোয়া, থালা-বাসন মাজা, ঘর ঝাড়-মোছা আরো কত কী! মেয়েটি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে গৃহকর্ত্রী তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন চালান।
ক. ‘মমতাদি’ গল্পের রচয়িতা কে? ১
খ. রাঁধুনী বলায় চমকে মমতাদির মুখ লাল হলো কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কিশোরী শিল্পী ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির সাথে গৃহকর্ত্রীর আচরণের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো। ৩
ঘ. শিল্পীর প্রতি তার গৃহকর্ত্রীর আচরণ কেমন হওয়া উচিত? ‘মমতাদি’ গল্পের আলোকে তোমার মতামত দাও। ৪
৪ নং প্র. উ.
ক. ‘মমতাদি’ গল্পের রচয়িতা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
খ. মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও মমতাদি বাধ্য হয়ে রাঁধুনীর কাজ করতে এসে এই প্রথম রাঁধুনী নামে সম্বোধিত হওয়ায় চমকে তাঁর মুখ লাল হলো।
মমতাদি অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে রাঁধুনীর কাজ করতে এসেছেন। স্বামীর বেকারত্ব এবং সংসারের অভাব তাঁকে উপার্জনের জন্য পর্দা ঠেলে বাইরে আসতে বাধ্য করেছে। তিনি কখনো রাঁধুনীর কাজ করেননি। তিনি কখনোই রাঁধুনী নামে সম্বোধিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই জীবনে প্রথম তাঁকে কেউ রাঁধুনী বলে সম্বোধন করায় চমকে তার মুখ লাল হলো।
গ. ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেলেও উদ্দীপকে কিশোরী শিল্পী গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছে অমানবিক আচরণ।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের মেয়ে। সংসারে অভাব অনটন বিরাজ করায় তাঁকে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়। কর্মস্থলে সকলেই তাঁকে পরিবারেরই একজন মনে করে তাঁর সাথে আন্তরিক ও মানবিক ব্যবহার করে। কেউ তাঁকে অবহেলা বা ছোট করে দেখেনি। কখনও তাঁর প্রতি কারো সামান্য কটূক্তি কিংবা বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে উদ্দীপকে বর্ণিত গৃহকর্মী শিল্পীর প্রতি মানবিক আচরণ করা হয়নি। বরং তার প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করা হয়েছে। তার ওপর চাপানো হয়েছে কাজের বোঝা। চালানো হয়েছে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন। ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি ভালোবাসা ও সম্মান পেলেও উদ্দীপকের শিল্পী পেয়েছে নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ। সেদিক থেকে উদ্দীপকের কিশোরী শিল্পীর গৃহকর্ত্রীর সাথে ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির গৃহকর্ত্রীর বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. শিল্পীর প্রতি তার গৃহকর্ত্রীর আচরণ হওয়া উচিত মমতাদির গৃহকর্ত্রীর মতোই মানবিক ও আন্তরিকতাপূর্ণ।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি সংসারের অভাব-অনটনের কারণে অন্যের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। মমতাদির গৃহকর্ত্রী তাঁর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মাইনে ধার্য করেন। তাঁকে পরিবারের সবাই আপন করে নেয়। স্কুলপড়–য়া ছেলেটিকেও ছোট ভাইয়ের মতো আদর করার অধিকার দেওয়া হয়।
উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর গৃহকর্ত্রী শিল্পীর ওপর যে অমানুষিক কাজ করেছে তা খুবই গর্হিত কাজ। গৃহকর্মী শিল্পী নিতান্ত পেটের দায়ে অন্যের বাড়িতে কাজ নেয়। গৃহকর্ত্রী একটি ছোট মেয়ের ওপর বাসার সকল কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়। কাজের বোঝা বইবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। যা আজকের এই সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। এ ধরনের কাজ সামাজিক ও নৈতিকতার দিক থেকে যেমন ঘৃণ্য তেমনি আইনের দৃষ্টিতেও বড় ধরনের অপরাধ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর গৃহকর্ত্রীর আচরণ হওয়া উচিত মমতাদির গৃহকর্ত্রীর মতোই সৌহার্দ্যপূর্ণ। স্কুল পড়–য়া ছেলেটির পরিবারের সকলের ভালোবাসা ও আন্তরিক আচরণে মমতাদি তাদের পরিবারেরই একজন হয়ে উঠেছিল। শিল্পীর গৃহকর্ত্রী যদি শিল্পীকে নিজের মেয়ের মতো মনে করত তবে এমন নির্দয় আচরণ করা তার পক্ষে সম্ভব হতো না। মানুষকে হতে হবে মানুষেরই জন্য। কারো অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার প্রতি অন্যায় আচরণের পরিবর্তে তার পাশে দাঁড়ানোই মনুষ্যত্বের ধর্ম।
সুবল কয়েক মাস ধরে একটি বাড়িতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। বাড়ির লোকজন কারণে-অকারণে প্রায়ই তাকে বকাবকি করে। বাড়ির কর্তা দু-একবার তার গায়ে হাতও তুলেছে। সুবল মনের দুঃখে গোপনে চোখের জল ফেলে।
ক. মমতাদি বাড়িতে আসার কতদিন পর তার সাথে লেখকের ভাব হলো? ১
খ. মমতাদি প্রথা ভঙ্গ করে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সুবলের গৃহকর্মের পরিবেশের সাথে ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদির প্রাপ্ত পরিবেশের অমিল ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকে ‘মমতাদি’ গল্পের মূলসুরই প্রকাশিত হয়েছেÑ তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
৫ নং প্র. উ.
ক. মমতাদি বাড়িতে আসার সপ্তাহখানেক পর তার সাথে লেখকের ভাব হলো।
খ. মমতাদি অভাবের তাড়নায় প্রথা ভঙ্গ করে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছেন।
মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। তার স্বামী চার মাস যাবৎ বেকার। এ অবস্থায় সংসার চালানোর জন্য মমতাদিকে প্রথাভঙ্গ করতে হয়। সামাজিক প্রথামতো নারীদের অন্তঃপুরে থাকার কথা। কিন্তু অভাব মমতাদির জীবনে এর ব্যত্যয় ঘটায়। তিনি বাধ্য হন বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ খুঁজতে।
গ. উদ্দীপকের সুবলের গৃহকর্মের পরিবেশে অমানবিকতার দিকটি প্রকাশ পেলেও ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মে নিয়োজিত মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করার দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে। ‘মমতাদি’ গল্পে একটি সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ গৃহপরিবেশের কথা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে মমতাদি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করলেও তার আত্মমর্যাদা সমুন্নত রয়েছে। তাকে বাড়ির সকলেই আপন করে নিয়েছে।
উদ্দীপকে সুবলের গৃহপরিবেশে ‘মমতাদি’ গল্পের গৃহপরিবেশের বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে। সুবল গৃহকর্মী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেও গৃহকর্তার অমানবিক আচরণ লাভ করে। তাকে নীরবে চোখের জল ফেলতে হয়। মমতাদি কর্মস্থলে যথার্থ মর্যাদা ও সহানুভ‚তি লাভ করলেও উদ্দীপকের সুবল তার বিপরীত আচরণ প্রত্যক্ষ করে।
ঘ. দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদ্দীপক এবং ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মীদের সাথে মানবিক আচরণের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘মমতাদি’ গল্পে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহকর্মে নিয়োজিতদের প্রতি আচরণের দিকটিকে প্রধান করে তুলেছেন। আমাদের গৃহকর্মে যারা নিয়োজিত রয়েছে তাদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে স্থাপনের প্রতি লেখক ইঙ্গিত করেছেন। মমতাদির প্রতি তাঁর নিয়োগকারী সুন্দর আচরণ করেছেন। ফলে মমতাদিও নিঃশঙ্কচিত্তে সবাইকে আপন ভাবতে পেরেছেন।
উদ্দীপকে গৃহকর্মীর সাথে আচরণের দিকটিকে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের গৃহকর্মে নিয়োজিতদেরও যে আত্মমর্যাদা আছে সেই দিকটিকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে সুবলের চরিত্রের মাঝে। সুবল যেমন গৃহকর্তার কাছে মানবিক আচরণ প্রত্যাশী তেমনি ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদিও মানবিক আচরণ প্রত্যাশী। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করলে গৃহকর্মীরা গৃহের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল এবং আন্তরিক হয়।
যারা গৃহকর্মে কাজ করে তারাও মানুষ। ফলে তারা গৃহকর্তার কাছে নিজের আত্মসম্মান অটুট থাকবে বলে আশা করে। ‘মমতাদি’ গল্প এবং উদ্দীপক উভয়ই গৃহকর্মীর সাথে মানবিক আচরণ করার আবেদনকে মূর্ত করে তুলেছে। গল্পে গৃহকর্মীর সাথে ভালো আচরণের যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে উদ্দীপকে তার প্রয়োজনীয়তাই ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকে ‘মমতাদি’ গল্পের মূলসুরই প্রকাশিত হয়েছে।
জয়গুণ কাশিয়াডাঙা গ্রামের তালুকদার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির সকল কাজই তাকে করতে হয়। সারাদিন একটু দম ফেলার ফুরসতও তার হয় না। এত কাজ করেও জয়গুণ তালুকদার বাড়ির কারো মন পায় না। বাড়ির গৃহকর্ত্রী সাহানা বেগম প্রায়ই তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। একটু পান থেকে চুন খসলেই জয়গুণের বিপদ। অমনি সাহানা বেগম তাকে পাঁচকথা শুনিয়ে দেন।
ক. মমতাদির জন্য মাইনে ঠিক হলো কত টাকা? ১
খ. মমতাদি ভাঁড়ার ঘরে ছোট ছেলেটিকে রসগোল্লা ও সন্দেশ খেতে বাধা দিলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জয়গুণের সাথে ‘মমতাদি’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের কোন দিক থেকে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটি ‘মমতাদি’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে না”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪
৬ নং প্র. উ.
ক. মমতাদির জন্য মাইনে ঠিক হলো পনেরো টাকা?
খ. অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অসুখ হবে ভেবে মমতাদি ভাঁড়ার ঘরে ছোট ছেলেটিকে রসগোল্লা ও সন্দেশ খেতে বাধা দিলেন।
‘মমতাদি’ গল্পে বাড়িতে অনেক সন্দেশ ও রসগোল্লা নিয়ে বাড়িতে কুটুম আসে। ভাঁড়ার ঘরে গিয়ে বাড়ির ছোট ছেলেটি সেই রসগোল্লা ও সন্দেশ অনবরত মুখে পুরে চলে। মমতাদি এটি দরজার পাশ থেকে দেখে বাধা দেন। কেননা মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ছেলেটির পেট খারাপ করতে পারে। এজন্য মমতাদি বাদ সাধেন।
গ. কর্মদক্ষতার দিক থেকে উদ্দীপকের জয়গুণের সাথে ‘মমতাদি’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মমতার সাদৃশ্য ফুটে ওঠে।
‘মমতাদি’ গল্পে মমতা নামের এক দরিদ্র নারীর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। তিনি অভাবের তাড়নায় অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। সেখানে বিনা আড়ম্বরে নিখুঁতভাবে বাড়ির সব কাজ করেন। কোনো কাজ তিনি ফেলে রাখেন না। তাঁর কর্মদক্ষতা দেখে বাড়ির সকলেই মুগ্ধ হয়।
উদ্দীপকের জয়গুণ ‘মমতাদি’ গল্পের মমতার মতোই কর্মদক্ষ। সে তালুকদার বাড়িতে গৃহকর্মনিপুণার মতো সারাদিন সকল কাজই করে। মমতা যেমন নীরবে নতমুখে বাড়ির কাজ করে তেমনি উদ্দীপকের জয়গুণও সকল কাজ করে তার কর্মদক্ষতার পরিচয় দেয়। আর এই কর্মদক্ষতার ক্ষেত্রেই জয়গুণ ও মমতার সাদৃশ্য ফুটে ওঠে।
ঘ. ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মীদের সাথে সদ্ব্যবহারের দিকটি প্রধান হয়ে উঠলেও উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত।
‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মে নিয়োজিত মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করার দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে। কাজের লোক হলেও মমতাদিকে সবাই নিজের বাড়ির একজন বলেই মনে করে। ফলে গৃহকর্মীর সাথে পরিবারের সদস্যদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
উদ্দীপকে গৃহকর্মীদের সাথে মানবিক আচরণ করার দিকটি ফুটে ওঠেনি। সেখানে পরিবারের কেউই গৃহকর্মী জয়গুণের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। বিশেষ করে গৃহকর্ত্রী প্রায়ই জয়গুণের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে তালুকদার বাড়ির লোকদের নীচু মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে।
‘মমতাদি’ গল্পের মূল বক্তব্য হলো মানবিক আচরণ। মমতাদির সংসারে অভাব ছিল বলেই মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও তাকে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়। কর্মস্থলে তাঁর এই আত্মমর্যাদাবোধ তার সবসময়ই সমুন্নত ছিল। ফলে এই দিক থেকে গল্পের সাথে উদ্দীপকের অমিল রয়েছে। আমাদের গৃহকর্মে যারা কাজ করেন তাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরি। তাদের আত্মসম্মানবোধকে শ্রদ্ধা করলে তারাও গৃহস্থের পরিবারকে নিজ পরিবার হিসেবে গণ্য করে। আর এটিই গল্পের মূল বক্তব্য, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
রানু এক ধনী পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। বাড়ির লোকজন রানুকে বাইরের একজন লোক হিসেবেই দেখে। একদিন বাড়ি থেকে কিছু টাকা চুরি হয়। কেউ কিছু না বললেও রানু বুঝতে পারে যে কেউ কেউ ওকে সন্দেহ করছে। রানুর সাথে তারা আগের মতো স্বাভাবিক আচরণ করছে না। তাই গৃহকর্ত্রীকে সে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায়। গৃহকর্ত্রী রানুকে ছাড়তে না চাইলেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এমনকি গৃহকর্ত্রী তাকে ঈদের বোনাসসহ সেই মাসের বেতন বুঝিয়ে দিতে গেলে রানু তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে আসে।
ক. ‘বাছা’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘দু ফোঁটা দুর্বোধ্য রহস্য’ বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. গৃহকর্মীর প্রতি আচরণের দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘মমতাদি’ গল্পের মাঝে অমিল তুলে ধরো। ৩
ঘ. ‘রানু ও মমতাদি দুজনেই আত্মসম্মানবোধে সমুজ্জ্বল’ Ñ উদ্দীপক ও গল্পের আলোকে মতামত দাও। ৪
৭ নং প্র. উ.
ক. বাছা শব্দের অর্থ হলো বৎস বা অল্পবয়সী সন্তান।
খ. দু-ফোঁটা দুর্বোধ্য রহস্য বলতে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন গৃহকর্ত্রীর কাছে ভালো ব্যবহার পাওয়ার কৃতজ্ঞতায় ফেলা মমতাদির চোখের জলকে।
গৃহকর্ত্রী যখন মমতাদিকে খোকাকে আদর করার পূর্ণ অধিকার দিয়ে গেলেন তখন মমতাদির মনে গভীর ভাবাবেগের উদয় হলো। ভালো লাগা, মর্যাদা আর আত্মগৌরবে তার চোখের জল টপটপ করে ঝরে পড়ল। খোকাকে আদর করার কারণে সে অপমানিত হলে হয়তো তার চোখ শুকনোই থাকত। এজন্যই তার চোখের জলকে ‘দু’ফোটা দুর্বোধ্য রহস্য’ বলা হয়েছে।
গ. মমতাদি গল্পের মমতাদি গৃহকর্মে নিয়োজিত থাকাকালীন যথাযোগ্য সম্মান ও সহায়তা পেলেও উদ্দীপকের রানু পায় অবহেলা ও অমর্যাদা।
‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি গৃহকর্মী হলেও স্কুলপড়–য়া ছেলে ও তার পরিবার তাঁকে পরিবারের সদস্যের মর্যদা দিয়েছে। মমতাদি তাদের কাছ থেকে পেয়েছে মানবিক আচরণ, ভালোবাসা ও সম্মান। যার ফলে আত্মমর্যাদাবোধ টিকিয়ে রেখে মমতাদি জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম হন।
ক্ষ উদ্দীপকের গৃহকর্মী রানু উপযুক্ত মর্যাদা ও সম্মান পায়নি। টাকা চুরি হওয়ার ঘটনায় গৃহকর্ত্রীসহ সকলেই তাকে সন্দেহের চোখে দেখেছে। তার সাথে অমানবিক ও অস্বাভাবিক আচরণ করায় সে সীমাহীন অপমানবোধ করেছে। এক্ষেত্রে ‘মমতাদি’ গল্পে গৃহকর্মীর প্রতি সদ্ব্যবহার পরিলক্ষিত হলেও উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত।
ঘ. উদ্দীপকের রানু ও মমতাদি গল্পের মমতাদি উভয়েই দারিদ্র্যের কাছে মাথানত না করে নিজেদের সততা ও আত্মসম্মানবোধের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে।
‘মমতাদি’ গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে গৃহকর্মে নিয়োজিতদের প্রতি মানবিক আচরণের দিকটি। এর পাশাপাশি এখানে মূর্ত হয়ে উঠেছে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও কীভাবে মমতাদি ধৈর্যের সাথে নিজের আত্মসম্মানকে টিকিয়ে রেখেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর কর্মস্থলের মানুষদের সহানুভ‚তি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
অনুরূপভাবে উদ্দীপকের রানুর চরিত্রটিও আত্মসম্মানবোধে দেদীপ্যমান। উদ্দীপকের রানু দারিদ্র্যজয়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ। চুরির মিথ্যা অপবাদের খোটা তাকে বেদনাহত করেছে। তার আত্মসম্মানের কাছে কোনো কিছুই বড় নয়। তাই সে বেতন বোনাস নিতেও অস্বীকৃতি জানায়।
উদ্দীপকের রানু এবং মমতাদির চরিত্র বিশ্লেষণ করলে মনে হয় দারিদ্র্য যেন তাদের মহান করে তুলেছে। সমাজের অপরাপর দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য তারা উদাহরণ হয়ে উঠেছে। মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের মেয়ে হলেও মমতাদির জীবনে দারিদ্র্য কতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল তা তার জীবনময়ের গলির শ্রীহীন ঘরটি দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু মমতাদি কারো করুণা বা দায় বহন না করে নিজেদের মতো করে দারিদ্র্যকে জয় করার চেষ্টা করেছে। উদ্দীপকের রানুও আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেয়নি টাকা বা চাকরি রক্ষার লোভে। শত দারিদ্র্যের মাঝে কীভাবে আত্মসম্মানবোধে রাজটীকা পরে থাকা যায় রানু ও মমতাদি আমাদের কাছে সেই দৃশ্যকল্পই তুলে ধরেছে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে কোন গল্প রচনা করেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ নামক গল্প রচনা করেন।
২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কতটি উপন্যাস রচনা করেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চাশটিরও অধিক উপন্যাস রচনা করেন।
৩. মমতাদি কোথায় থাকেন?
উত্তর : মমতাদি জীবনময়ের গলিতে থাকেন।
৪. মমতাদির স্বামীর কয় মাস ধরে চাকরি নেই?
উত্তর : মমতাদির স্বামীর চাকরি নেই চারমাস।
৫. মমতাদির কত টাকা মাইনে ঠিক হলো?
উত্তর : মমতাদির পনেরো টাকা মাইনে ঠিক হলো।
৬. মমতাদির কী দেখে সকলে খুশি হলো?
উত্তর : মমতাদির কাজের শৃঙ্খলা ও ক্ষিপ্রতা দেখে সকলে খুশি হলো।
৭. ‘মমতাদি’ গল্পে বাড়িতে কী নিয়ে কুটুম এসেছিল?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে বাড়িতে রসগোল্লা ও সন্দেশ নিয়ে কুটুম এসেছিল।
৮. ‘মমতাদি’ গল্পে কার গালে তিনটি আঙুলের দাগ দেখা যায়?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে মমতাদির গালে তিনটি আঙুলের দাগ দেখা যায়।
৯. ‘মমতাদি’ গল্পে ছোট ছেলেটি কার চুলে বেণী পাকাবার চেষ্টা করে?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে ছোট ছেলেটি মমতাদির চুলে বেণী পাকাবার চেষ্টা করে।
১০. কবে থেকে মমতাদির বরের চাকরি হয়েছে?
উত্তর : ইংরেজি মাসের পয়লা থেকে মমতাদির বরের চাকরি হয়েছে।
১১. মিথ্যে বললে কী হয়?
উত্তর : মিথ্যে বললে পাপ হয়।
১২. মমতাদি জীবনময়ের গলির কয় নম্বর বাড়িতে থাকেন?
উত্তর : মমতাদি জীবনময়ের গলির সাতাশ নম্বর বাড়িতে থাকেন।
১৩. সাতাশ নম্বর বাড়িটি কয় তলা?
উত্তর : সাতাশ নম্বর বাড়িটি দোতলা।
১৪. জীবনময়ের গলির মোড়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কে কমলালেবু কিনেছিলেন?
উত্তর : জীবনময়ের গলির মোড়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মমতাদি কমলালেবু কিনেছিলেন।
১৫. মমতাদির বাড়িতে চটের বেড়া দিয়ে কী তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর : মমতাদির বাড়িতে চটের বেড়া দিয়ে অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে।
১৬. মমতাদি ছোট ছেলেটিকে কোন ঘরে নিয়ে গিয়ে টুলে বসাল?
উত্তর : মমতাদি ছোট ছেলেটিকে শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে টুলে বসাল।
১৭. মমতাদির শোবার ঘরে কয়টি জানালা আছে?
উত্তর : মমতাদির শোবার ঘরে দুটি জানালা আছে।
১৮. মমতাদির সংসারের প্রায় সমস্ত জিনিস কোন ঘরে ঠাঁই পেয়েছে?
উত্তর : মমতাদির সংসারের প্রায় সমস্ত জিনিস শোবার ঘরে ঠাঁই পেয়েছে।
১৯. মমতাদির কয় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে?
উত্তর : মমতাদির পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
২০. মমতাদির ঘরে টেবিলের ঊর্ধ্বে দেয়ালের গর্তের তাকে কী রয়েছে?
উত্তর : মমতাদির ঘরে টেবিলের ঊর্ধ্বে দেয়ালের গর্তের তাকে কতকগুলো বই রয়েছে।
২১. মমতাদির বাড়িতে কে সারারাত পেটের ব্যথায় ঘুমায়নি?
উত্তর : মমতাদির বাড়িতে মমতাদির ছেলে সারারাত পেটের ব্যথায় ঘুমায়নি।
২২. মমতাদির বাড়িতে ছোট ছেলেটি কয়টি কমলালেবু খেল?
উত্তর : মমতাদির বাড়িতে ছোট ছেলেটি দুটি কমলালেবু খেল।
২৩. ‘মমতাদি’ গল্পে কার ঘরে মুড়ি ছাড়া খাওয়ার জিনিস কিছু নেই?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে মমতাদির ঘরে মুড়ি ছাড়া খাওয়ার জিনিস কিছু নেই।
২৪. মমতাদি ছোট ছেলেটিকে কোথায় মাদুর পেতে বসতে দিল?
উত্তর : মমতাদি ছোট ছেলেটিকে বাইরে রোয়াকে মাদুর পেতে বসতে দিল।
২৫. ‘মমতাদি’ গল্পটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সরীসৃপ’ নামক গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
২৬. ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুলপড়–য়া ছেলেটি মমতাদির কাছে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা লাভ করে।
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুলপড়–য়া ছেলেটি মমতাদির কাছে ছোট ভাইয়ের মর্যাদা লাভ করে।
২৭. মমতাদি কাকে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে যথাসামর্থ্য আপ্যায়ন করেন?
উত্তর : মমতাদি স্কুলপড়–য়া ছেলেটিকে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে যথাসামর্থ্য আপ্যায়ন করেন।
২৮. সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে স্কুল পড়–য়া ছেলে ও তার পরিবার কার পাশে দাঁড়ায়?
উত্তর : সম্মান ও সহমর্মিতা নিয়ে স্কুলপড়–য়া ছেলে ও তার পরিবার মমতাদির পাশে দাঁড়ায়।
]
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. কাজ চাইতে গিয়ে মমতাদির যেটুকু সংকোচ থাকা দরকার ছিল তাও একেবারে নেইÑ কেন?
উত্তর : সংকোচ কাটানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টায় অতিরিক্ত জয় করে ফেলার কারণে মমতাদি কাজ চাইতে গিয়ে একেবারে সংকোচ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। তা সত্তে¡ও তাকে অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে রান্নার কাজ খুঁজতে হয়। এজন্য তাঁকে সকল লজ্জা-সংকোচ উপেক্ষা করে কাজ চাইতে হয়। আর এই সংকোচ কাটানোর জন্য অতিরিক্ত চেষ্টার ফলেই তিনি সংকোচের মাত্রা একেবারেই অতিক্রম করে গেছেন। ফলে কাজ চাইতে গিয়ে তাঁর যেটুকু সংকোচ থাকা দরকার ছিল তাও নেই।
২. মমতাদির ওপর বাড়ির সকলে খুশি হলেন কেন?
উত্তর : মমতাদির কাজের শৃঙ্খলা ও ক্ষিপ্রতা দেখে বাড়ির সকলে তার ওপর খুশি হলেন।
মমতাদি মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও অভাবের তাড়নায় রান্নার কাজ করতে এসেছেন। তিনি কাজ করতে এসে নীরবে নতমুখে সকল কাজ সম্পন্ন করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপদেশ না পেলেও নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সুন্দরভাবে কাজ সম্পাদন করেন। আর তাঁর কাজও হয় অত্যন্ত পরিপাটি ও নিখুঁত। এজন্য বাড়ির সকলে মমতাদির ওপর খুশি হলেন।
৩. মমতাদির ওপর ছোট ছেলেটি ক্ষুব্ধ হলো কেন?
উত্তর : মমতাদির সাথে ভাব করতে গিয়ে উপেক্ষিত হওয়ায় ছোট ছেলেটি মমতাদির ওপর ক্ষুব্ধ হলো।
মমতাদি রান্নার কাজ করতে এসে কাজগুলোকেই আপন করে নিয়েছিলেন। তিনি নীরবে নতমুখে সকল কাজ সম্পন্ন করেন। নতুন জায়গায় এলে প্রথম দিকে বাড়ির কারো সাথে তিনি মিশতে পারলেন না। গৃহকর্মী হলেও তাঁর আলাদা ব্যক্তিত্ব ছিল। তাই ছোট ছেলেটি ভাব জমাতে গিয়ে সফল হয় না। বেশ কয়েকবার রান্নাঘরে গিয়ে দাঁড়ালেও মমতাদি ছেলেটিকে উপেক্ষা করেন। তাই ছেলেটি মমতাদির ওপর ক্ষুব্ধ হলো।
৪. মমতাদি ছোট ছেলেটিকে বামুনদি বলতে নিষেধ করেন কেন?
উত্তর : মমতাদি মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হওয়ায় ছোট ছেলেটি তাকে বামুনদি বললে তিনি তাকে বামুনদি বলতে নিষেধ করেন।
একসময় রান্না বা গৃহকর্মে নিয়োজিত ব্রাহ্মণ নারীদের কথ্যরীতিতে বামুনদি বলা হতো। গল্পের ছোট ছেলেটিও তাই মমতাদিকে বামুনদি বলে। কিন্তু মমতাদি কখনোই গৃহকর্মী ছিলেন না। তিনি অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে এ কাজে এসেছেন। তাই তাঁকে বামুনদি বললে তাঁর আত্মমর্যাদায় বাধে। এ কারণেই মমতাদি ছোট ছেলেটিকে বামুনদি বলতে নিষেধ করেন।
৫. মমতাদি তাঁর চড় খাওয়ার বিষয়টি গোপন করেছিলেন কেন?
উত্তর : মমতাদি আত্মসম্মানবোধের কারণে তার চড় খাওয়ার বিষয়টি গোপন করেছিলেন।
মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। আত্মমর্যাদাবোধও তাঁর প্রখর। তিনি কোনোভাবে চাননি যে তাঁর ঘরের খবর অন্য কেউ জানতে পারুক। নিজের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রেখে মমতাদি কাজ করতে চেয়েছেন। এজন্য গালে চড়ের দাগ স্পষ্ট হওয়া সত্তে¡ও মমতাদি ছোট ছেলেটির কাছে চড় খাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিলেন।
৬. মমতাদির বরের চাকরির জন্য ছোট ছেলেটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল কেন?
উত্তর : বরের চাকরি নেই বলে মমতাদি ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়েও গৃহকর্মীর কাজ করছে ভেবে ছোট ছেলেটি তাঁর বরের চাকরির জন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
মমতাদি একান্ত বাধ্য হয়েই গৃহকর্মীর কাজ করেন। কেননা তাঁর স্বামী চার মাস ধরে বেকার। মমতাদির এই দুর্গতির কথা ছোট ছেলেটিও জানত। ছেলেটির সাথে মমতাদির একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এজন্য ছেলেটি মনেপ্রাণে চায় মমতাদির বরের বেকারত্ব যেন দ্রæতই ঘুচে যায়।
৭. ‘পরদিন থেকে সে আর আসত না’Ñ কেন?
উত্তর : মমতাদির আত্মসম্মানে আঘাত লাগলে মমতাদি পরদিন থেকে আর আসত না।
মমতাদির আত্মসম্মানবোধ ছিল প্রবল। তিনি অভাবের তাড়নায় কাজ করতে এসেছেন সত্য কিন্তু তিনি অপমানিত হলে কাজ ছেড়ে দেয়ার ক্ষমতাও তার ছিল। ফলে গৃহকর্ত্রী কোনো কারণে তাকে সন্দেহের চোখে দেখলে বা অসম্মান করলে পরদিন থেকে মমতাদি আর আসত না।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি
১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ঝ
ক ১৯০৫ খ ১৯০৬
গ ১৯০৭ ঘ ১৯০৮
২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান কোথায়? জ
ক তাম্বুলখানা খ চব্বিশ পরগনা
গ সাঁওতাল পরগনা ঘ হুগলি
৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী? জ
ক মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় খ হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়
গ প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতার নাম কী? চ
ক হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়
খ হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
গ নীলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের নাম কী? জ
ক স্বর্ণকুমারী দেবী খ কুসুমকুমারী দেবী
গ নীরদাসুন্দরী দেবী ঘ অন্নদাসুন্দরী দেবী
৬. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কোথায় ছিল? জ
ক জামালপুর খ কুমিল্লা
গ মুন্সীগঞ্জ ঘ মেদিনীপুর
৭. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে ম্যাট্রিক পাস করেন? ছ
ক ১৯২৪ সালে খ ১৯২৬ সালে
গ ১৯২৮ সালে ঘ ১৯৩০ সালে
৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিতে অনার্স নিয়ে কোথায় ভর্তি হন? জ
ক আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে
খ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে
ঘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে
৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে কোন গল্প রচনা করেন? ছ
ক মমতাদি খ অতসীমামী
গ প্রাগৈতিহাসিক ঘ চিহ্ন
১০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অতসীমামী’ নামক গল্পটি সর্বপ্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? চ
ক বিচিত্রা খ বিজলী
গ শিখা ঘ বিশ্বভারতী
১১. কোন গল্পের মাধ্যমে লেখক হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়তি নির্ধারিত হয়? ছ
ক প্রাগৈতিহাসিক খ অতসীমামী
গ মমতাদি ঘ বড়দিদি
১২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনার্স পাস করা হয়নি কেন? জ
ক দারিদ্র্যের কারণে খ পরীক্ষায় ফেল করায়
গ লেখালেখিতে মগ্ন থাকায় ঘ পরিবারের চাপে
১৩. কে লেখালেখিকেই জীবিকার একমাত্র উপায় হিসেবে গ্রহণ করেন? ছ
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
গ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঘ রণেশ দাশগুপ্ত
১৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কতটি উপন্যাস রচনা করেন? ঝ
ক বিশটি খ ত্রিশটি
গ চল্লিশটি ঘ পঞ্চাশটির অধিক
১৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? জ
ক ১৯৫৪ সালে খ ১৯৫৫ সালে
গ ১৯৫৬ সালে ঘ ১৯৫৭ সালে
১৬. ‘মমতাদি’ গল্পে বর্ণিত গৃহকর্মীটির নাম কী? চ
ক মমতা খ মমতাজ
গ মনি ঘ মল্লিকা
১৭. ‘মমতাদি’ গল্পে কাজের খোঁজে আসা মেয়েটি কখন এসেছিল? চ
ক সকালে খ দুপুরে
গ বিকালে ঘ সন্ধ্যায়
১৮. মমতাদি কাজ খুঁজতে আসার সময় কোন ঋতু বিরাজ করছিল? জ
ক গ্রীষ্মকাল খ বর্ষাকাল
গ শীতকাল ঘ বসন্তকাল
১৯. ‘মমতাদি’ গল্পে সংকোচ একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে কে? ছ
ক স্কুলপড়–য়া ছেলেটি খ মমতাদি
গ বাড়ির কর্ত্রী ঘ মমতার স্বামী
২০. মমতাদির বয়স কত বলে অনুমিত হয়? ছ
ক বিশ খ তেইশ
গ ত্রিশ ঘ তেত্রিশ
২১. মমতাদি কপালের ক্ষত চিহ্নটি স্কুলপড়–য়া ছেলেটির কাছে কী মনে হয়? জ
ক ভয়ংকর এক গর্ত খ চামড়া ওঠা ঘা
গ আন্দাজে পরা টিপ ঘ সাদা রঙের প্রলেপ
২২. মমতাদি রান্না ছাড়াও আর কী করতে চায়? ছ
ক শিশুদের দেখাশোনা খ ছোট ছোট কাজ
গ কাপড়-চোপড় ধোয়া ঘ গবাদিপশু পালন
২৩. মমতাদি কোথায় থাকে? চ
ক জীবনময়ের গলিতে খ ভুবনময়ের গলিতে
গ মুখুয্যেবাড়িতে ঘ লেখকের বাড়িতে
২৪. বাসায় মমতাদির কয়টি ছেলেমেয়ে আছে? চ
ক একটি খ দুইটি
গ তিনটি ঘ চারটি
২৫. মমতাদির স্বামীর কয় মাস যাবৎ চাকরি নেই? ঝ
ক এক মাস খ দুই মাস
গ তিন মাস ঘ চার মাস
২৬. মমতাদি মর্যদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও ঝিয়ের কাজ করতে এসেছে কেন? জ
ক স্বামীর অত্যাচারে খ টাকার লোভে
গ অভাবের তাড়নায়
ঘ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির প্রতি ভালোবাসায়
২৭. পনেরো টাকা বেতন ঠিক করায় মমতাদির দুচোখ সজল হয়ে উঠল কেন? ছ
ক কম বেতন নির্ধারণ করায়
খ আশাতিরিক্ত বেতন নির্ধারণ করায়
গ এই বেতনে সংসার চালানো কঠিন ভেবে
ঘ এই বেতনে তার স্বামী কাজ করতে দেবে না ভেবে
২৮. মমতাদি কত টাকা বেতন আশা করেছিল? জ
ক আট টাকার মতো খ দশ টাকার মতো
গ বারো টাকার মতো ঘ চৌদ্দ টাকার মতো
২৯. সকলে মমতাদির কোন গুণ দেখে খুশি হলো? চ
ক কাজের শৃঙ্খলা ও ক্ষিপ্রতা খ বাকপটুতা
গ শিশুদের প্রতি মমতা
ঘ গৃহকর্ত্রীর প্রতি আনুগত্য
৩০. মমতাদি কাজ করতে গিয়ে কাজের উপদেশ না পেলে কী করতেন? ছ
ক বসে থাকতেন
খ নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে করতেন
গ বাড়ির গিন্নির কাছে যেতেন
ঘ কর্তাকে জিজ্ঞেস করতেন
৩১. স্কুলপড়–য়া ছেলেটি রাগ করে স্কুলে চলে গেল কেন? জ
ক মা বকুনি দেওয়ায় খ মমতাদি হুকুম না শোনায়
গ মমতাদি উপেক্ষা করায় ঘ পানি চেয়ে না পাওয়ায়
৩২. কাজে লাগার কত দিন পর মমতাদির সাথে স্কুলপড়–য়া ছেলেটির ভাব হয়? চ
ক সপ্তাহখানেক পর খ পনেরো দিন পর
গ মাসখানেক পর ঘ দুই মাস পর
৩৩. ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুলপড়–য়া ছেলেটির বাড়িতে কুটুম এসেছিল কী নিয়ে? চ
ক রসগোল্লা ও সন্দেশ খ নানা রকম ফলমূল
গ ঘি ও দই
ঘ সকলের জন্য জামা-কাপড়
৩৪. স্কুলপড়–য়া ছেলেটি মমতাদিকে বামুনদি বললে তিনি বামুনদি বলতে নিষেধ করলেন কেন? চ
ক মা রাগ করবে ভেবে
খ বামুনদি একটি গালি মনে করে
গ গৃহকর্মীর কাজ করে বলে ঘ পাপ হয় বলে
৩৫. স্কুলপড়–য়া ছেলেটি মমতাদির গালে কয়টি দাগ দেখেছিল? জ
ক একটি খ দুইটি
গ তিনটি ঘ চারটি
৩৬. মমতাদির গালে ফুটে ওঠা দাগ কিসের ছিল? চ
ক চড়ের খ মশার কামড়ের
গ বসন্তের ঘ কেটে যাওয়ার
৩৭. “কারো কাছে যা পাই না তুমি তা দেবে কেন?” এখানে মমতাদি কী দেওয়ার কথা বলেছেন? জ
ক টাকা-পয়সা খ রসগোল্লা
গ ভালোবাসা ঘ লাঞ্ছনা
৩৮. মমতাদির খোঁপা খুলে চুল ছড়িয়ে পড়লে স্কুলপড়–য়া ছেলেটি কী করে? ছ
ক চুল নিয়ে খেলা করে
খ বেণী পাকাবার চেষ্টা করে
গ চুল পিঠের ওপর ছড়িয়ে দেয়
ঘ খোঁপা বেঁধে দেয়
৩৯. মমতাদির গালে তিনটি আঙুলের দাগ বসে গিয়েছিল কার চড়ে? ছ
ক গৃহকর্ত্রীর খ তার স্বামীর
গ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির ঘ গৃহকর্তার
৪০. মমতাদির খোলা চুলগুলো নিয়ে বেণী পাকাবার চেষ্টা করলে মমতাদি কী করল? ছ
ক ধমক দিল খ মুখ ফিরিয়ে হাসল
গ গৃহকর্ত্রীকে নালিশ করল ঘ ছেলেটিকে কোলে তুলে নিল
৪১. মমতাদির বরের চাকরির জন্য ছোট ছেলেটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠেছিল কেন? ছ
ক মমতাদিকে তাড়াতাড়ি বিদায় করতে চায় বলে
খ বরের চাকরি নেই বলে মমতাদি ঝিয়ের কাজ করছে
এই সহমর্মিতায়
গ মমতাদি তাকে ভালোবাসে না বলে
ঘ মমতাদির বর নেশা করে বলে
৪২. মমতাদির গালে চড় মারার জন্য আঠারো আনা অধিকার কার রয়েছে বলে গল্পকথক মনে করে? ছ
ক গৃহকর্ত্রীর খ স্বামীর
গ গল্পকথকের ঘ গৃহকর্তার
৪৩. মমতাদির বরের চাকরি হওয়ার খবর ছেলেটি কাকে শুনিয়ে দিল? চ
ক মাকে খ বাবাকে
গ বন্ধুকে ঘ প্রতিবেশীদের
৪৪. মমতাদি কবে থেকে তার বরের চাকরি হয়েছে বলে জানাল? ঝ
ক দুই মাস আগে থেকে খ তিন মাস আগে থেকে
গ বাংলা মাসের পয়লা থেকে
ঘ ইংরেজি মাসের পয়লা থেকে
৪৫. ‘মমতাদি’ গল্পের ছেলেটি মিথ্যে বললে কী হয় বলে মমতাদিকে জানাল? ছ
ক পুণ্য হয় খ পাপ হয়
গ উপকার হয় ঘ অপকার হয়
৪৬. মমতাদি জীবনময়ের গলির মোড়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কী কিনেছে? ছ
ক বেল খ কমলালেবু
গ তরিতরকারি ঘ প্রসাধনী
৪৭. জীবনময়ের গলিতে কয় নম্বরের বাড়িতে মমতাদি থাকতেন? ছ
ক ছাব্বিশ খ সাতাশ
গ আটাশ ঘ ঊনত্রিশ
৪৮. মমতাদির বাসকৃত বাড়িটি কয়তলা? ছ
ক একতলা খ দুইতলা
গ তিনতলা ঘ চারতলা
৪৯. মমতাদির ঘরের সামনের রোয়াকটি কয় হাত চওড়া? চ
ক দুই হাত খ তিন হাত
গ চার হাত ঘ পাঁচ হাত
৫০. মমতাদির বাড়িতে অস্থায়ী রান্নাঘরটির বেড়া কী দিয়ে তৈরি? জ
ক পাটকাঠি খ খড়
গ চট ঘ ইট
৫১. ছোট ছেলেটি মমতাদির বাড়িতে কোন ঘরে বসল? ছ
ক বসার ঘরে খ শোবার ঘরে
গ রান্না ঘরে ঘ খাবার ঘরে
৫২. মমতাদির শোবার ঘরে কয়টি জানালা রয়েছে? চ
ক দুটি খ তিনটি
গ চারটি ঘ পাঁচটি
৫৩. মমতাদির সংসারের সমস্ত জিনিস কোন ঘরে ঠাঁই পেয়েছে? জ
ক বসার ঘরে খ রান্নাঘরে
গ শোবার ঘরে ঘ খাবারঘরে
৫৪. মমতাদির শোবার ঘরে চৌকির নিচে কী চোখে পড়ে? জ
ক ভাঙা থালা খ মাটির কলস
গ বেতের বাস্কেট ঘ টিনের বাক্স
৫৫. মমতাদির ঘরে আগাগোড়া দড়ির ব্যান্ডেজ করা রয়েছে কিসে? জ
ক চেয়ারে খ চৌকিতে
গ টেবিলে ঘ বেতের বাস্কেটে
৫৬. মমতাদির ছেলের বয়স কত বলে মনে হয়? ঝ
ক দুই বছরের মতো খ তিন বছরের মতো
গ চার বছরের মতো ঘ পাঁচ বছরের মতো
৫৭. ‘মমতাদি’ গল্পে কে পেটের ব্যথায় সারারাত ঘুমায়নি? জ
ক মমতাদি খ মমতাদির স্বামী
গ মমতাদির ছেলে ঘ গল্পকথক
৫৮. মমতাদির বাড়িতে গিয়ে গল্পকথক কী খেল? ঝ
ক আম খ কলা
গ লিচু ঘ কমলালেবু
৫৯. গল্পকথক মমতাদির বাড়িতে কয়টি কমলালেবু খেল? চ
ক দুইটি খ তিনটি
গ চারটি ঘ পাঁচটি
৬০. ছোট ছেলেটি মমতাদির বাড়িতে রোয়াকে কী পেতে বসল? জ
ক চেয়ার খ ছোট টুল
গ মাদুর ঘ পিঁড়ি
৬১. ‘বাছা’ শব্দের অর্থ কী? ছ
ক বেঁচে থাকা খ অল্পবয়সী সন্তান
গ বয়সী লোক ঘ জীবনযাপন
৬২. ‘মমতাদি’ গল্পে ব্যবহৃত ‘অপ্রতিভ’ শব্দের অর্থ কী? জ
ক রাগান্বিত খ প্রতিভাধর
গ অপ্রস্তুত ঘ মূর্খ
৬৩. “পরদিন থেকে সে আর আসত না” কেন? চ
ক অসম্মান করলে
খ পনেরো টাকার কম বেতন ধরলে
গ স্বামীর চাকরি হলে
ঘ ছেলেটি স্কুলে না গেলে
৬৪. ‘মমতাদি’ গল্পে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে? ছ
ক শিশুদের আচার-আচরণ
খ গৃহকর্মীদের প্রতি মানবিক আচরণ
গ দরিদ্র মানুষের দৈনিক জীবন
ঘ বাড়িতে আগত নতুন মানুষের প্রতি শিশুর দৃষ্টিভঙ্গি
৬৫. মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও মমতাদির অন্যের বাড়িতে কাজ নেওয়ার কারণ কী? ছ
ক স্বামীর লাঞ্ছনা খ সংসারের অভাব
গ টাকার লোভ ঘ সমাজের নিয়ম
৬৬. কাকে মমতাদি নিজের বাসায় নিয়ে গিয়ে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করেন? জ
ক গৃহকর্ত্রীকে খ গৃহকর্তাকে
গ স্কুলপড়–য়া ছেলেটিকে ঘ লেবুওয়ালাকে
৬৭. রাহেলা বানু মির্জাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করলেও সে বাড়ির সবাই তাকে খুব ভালোবাসে। রাহেলা বানু ‘মমতাদি’ গল্পে কার প্রতিনিধি? জ
ক স্কুলপড়–য়া ছেলেটির খ অবনির
গ মমতাদির ঘ গৃহকর্ত্রীর
৬৮. সাবিনাদের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করলেও সাবিনা মর্জিনাকে নিজের বোনের মতো দেখে। সাবিনার সাথে ‘মমতাদি’ গল্পে কার মিল রয়েছে? ঝ
ক মমতাদির খ গৃহকর্ত্রীর
গ অবনির ঘ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
৬৯. মমতাদি ঝিয়ের কাজ করার জন্য এসেছেনÑ
র. সংসারে অভাবের কারণে
রর. স্বামী বেকার হওয়ার কারণে
ররর. বেশি টাকা উপার্জনের আশায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. মমতাদি অনাবশ্যক জোর দিয়ে বলল, হ্যাঁ আমি রাঁধুনী। কারণÑ
র. কাজটি মমতাদির খুব দরকার
রর. নিজেকে রান্নায় খুব দক্ষ প্রমাণের জন্য
ররর. অভাবের তাড়নায় সংকোচ হারিয়ে ফেলায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. পনেরো টাকা মাইনে ঠিক করায় মমতাদির দুচোখ সজল হয়ে উঠলÑ
র. হতাশায় রর. কৃতজ্ঞতায়
ররর. আশাতিরিক্ত মাইনে হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. স্কুলপড়–য়া ছেলেটি ক্ষুব্ধ হয়ে তার মায়ের কাছে গেলÑ
র. মমতাদির রূঢ় ব্যবহারে রর. মমতাদির মার খেয়ে
ররর. মমতাদির কাছে পাত্তা না পেয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. মমতাদি প্রথম দিন কাজ করতে এসেই সকলের মন জয় করে ফেললÑ
র. সুশৃঙ্খলভাবে নতমুখে কাজ করে
রর. উপদেশ না পেলেও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে
ররর. সকলের সাথে হাসি-খুশি ব্যবহার করে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৪. মমতাদি নতুন জায়গায় কাজে এসে সকলকে উপেক্ষা করলÑ
র. মনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে
রর. বাড়ির কাজগুলোকে আপন করে নিতে
ররর. কাজের ব্যস্ততায় কাউকে সময় না দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুল বালকটি রাগ করে স্কুলে চলে গেলÑ
র. চেষ্টা করেও মমতাদির সাক্ষাৎ না পেয়ে
রর. মায়ের ভবিষ্যদ্বাণী মতো মমতাদি ভালো না বাসায়
ররর. মায়ের বকুনি খাওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. মমতাদি ছোট ছেলেটিকে আর মিষ্টান্ন খেতে দিল নাÑ
র. ক্ষোভের প্রকাশ ঘটাতে
রর. মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে ফেলায় ররর. অসুখ হবে ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৭. ছোট ছেলেটির মা চলে আসায় মমতাদি মুহূর্তে ছেলেটির গা থেকে হাত সরিয়ে নিলÑ
র. মা রাগ করবে ভেবে
রর. নিজের প্রতি নিম্ন ধারণার বশবর্তী হয়ে
ররর. মা ছেলেটিকে মারতে পারে ভেবে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. মমতাদির দুচোখ দিয়ে টপ টপ করে অশ্রæ ঝরে পড়লÑ
র. গৃহকর্ত্রীর প্রতি সম্মানে
রর. গৃহকর্ত্রী তাকে অপমান করায়
ররর. আত্মমর্যাদাবোধ সমুন্নত থাকার আনন্দে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. মমতাদি তার গালে আঙুলের দাগের বিষয়টি এড়িয়ে যানÑ
র. নিজের আত্মসম্মানবোধের কারণে
রর. চাকরি হারানোর ভয়ে
ররর. নিজের স্বামীর মর্যাদা রক্ষায়
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. মমতাদির বরের চাকরির জন্য ছোট ছেলেটি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলÑ
র. সে মমতাদিকে পছন্দ করত বলে
রর. ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়েও গৃহকর্মীর কাজ করায়
ররর. মমতাদিকে বাড়ি থেকে তাড়াতে চেয়েছিল বলে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. স্বামীর চাকরি হওয়ার পরও মমতাদি গৃহকর্মীর কাজ ছাড়তে চায় নাÑ
র. বেশি টাকা উপার্জনের জন্য
রর. বাড়ির সকলের প্রতি মায়া সৃষ্টির কারণে
ররর. ছোট ছেলেটির সাথে ভাব হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. জীবনময়ের গলিটা তার নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়Ñ
র. নোংরা পরিবেশের কারণে
রর. গলিটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভুতুড়ে হওয়ায়
ররর. মমতাদির বাড়িটির কারণে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৩. মমতাদির শোবার ঘরটি ছোট ছেলেটির কাছে বিশৃঙ্খল মনে হওয়ার কারণÑ
র. ঘরটিতে সংসারের সমস্ত জিনিস রাখা হয়েছিল
রর. ঘরটিতে সব জিনিসই ছিল শ্রীহীন
ররর. ঘরটিতে সব জিনিস গুছিয়ে রাখা ছিল না
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. ছোট ছেলেটিকে মমতাদির নিজের বাড়িতে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল নাÑ
র. নিজের অহংকারের কারণে
রর. নিজে গরিব বলে সংকোচ হওয়ায়
ররর. ছেলেটিকে নিজের দরিদ্র রূপ না দেখানোর বাসনায়
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. মমতাদির ঘরে আলো ও বাতাসের দীনতা ছিলÑ
র. ঘরের জানালা না থাকায়
রর. বাড়িটির অবস্থান ঘিঞ্জি পরিবেশে হওয়ায়
ররর. ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা না থাকায়
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৬. ‘মমতাদি’ গল্পে পরদিন থেকে মমতাদি আর আসত নাÑ
র. কোনো কারণে অসম্মানিত হলে
রর. পনেরো টাকার কম বেতন নির্ধারণ করলে
ররর. নিজের আত্মমর্যাদায় কোনো আঘাত পেলে
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. ‘মমতাদি’ গল্পে মমতাদির প্রতি আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. গৃহকর্মীদের প্রতি মানবিক আচরণের দিকটি
রর. বাড়ির কাজের লোকদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দিক
ররর. উঁচু জাতের লোকদের প্রতি ভালো ব্যবহারের দিক
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৮ ও ৮৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রিকশাচালক স্বামী পঙ্গু হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে জমিলা ছেলেসন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। সন্তানদের মুখের খাবার এবং স্বামীর ওষুধের ব্যবস্থা করতে সে হিমশিম খায়। জমিলার এ অবস্থা জানতে পেরে পাশের বাড়ির রহমত সাহেবের স্ত্রী তাকে রান্নার কাজ দেয়।
৮৮. উদ্দীপকের রহমত সাহেবের স্ত্রীর সাথে ‘মমতাদি’ গল্পের কার মিল রয়েছে? জ
ক মমতাদির খ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির
গ গৃহকর্ত্রীর ঘ মমতাদির স্বামীর
৮৯. উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রটির মাঝে প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. মমতাদির অসহায়ত্ব
রর. মমতাদির দরিদ্রতা
ররর. মমতাদির কৃতজ্ঞতাবোধ
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯০ ও ৯১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রাহেলা বানু চৌধুরীবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। সারাদিন অক্লান্তপরিশ্রম করেও তাকে বাড়ির গিন্নির বকাঝকা শুনতে হয়। বকাঝকা শুনেও রাহেলা বানু দিনের পর দিন নীরবে নতমুখে ঐ বাড়িতে কাজ করে যায়।
৯০. উদ্দীপকের গৃহকর্ত্রীর মাঝে ‘মমতাদি’ গল্পের কোন চরিত্রের বিপরীত রূপ ফুটে উঠেছে? জ
ক মমতাদির খ মমতাদির স্বামীর
গ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির মায়ের
ঘ স্কুলপড়–য়া ছেলেটির
৯১. উদ্দীপকে রাহেলা বানু চরিত্রটি ধারণ করেÑ
র. মমতাদির আত্মমর্যাদাবোধকে
রর. মমতাদির কাজের প্রতি ভালোবাসাকে
ররর. মমতাদির নীরবতাকে
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯২ ও ৯৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রোকন খুব ডানপিটে। সারাদিন সে মাকে নানান প্রশ্নে ব্যতিব্যস্ত করে রাখে। মা-ও ছেলের এই চঞ্চলতাকে ভালোভাবেই নেন। সারাদিনে ছেলের নানা প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেন। ছেলের হইহুল্লোড় ও জ্বালাতনে তিনি বরং খুশিই হন।
৯২. উদ্দীপকে রোকন ‘মমতাদি’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিফলন? ছ
ক মমতাদি খ স্কুলপড়–য়া ছেলে
গ মমতাদির ছেলে ঘ গৃহকর্ত্রী
৯৩. উদ্দীপকে রোকনের মায়ের মাঝে মমতাদির যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে তা হলোÑ
র. মমতাদির আত্মমর্যাদাবোধ
রর. মমতাদির ভালোবাসা
ররর. মমতাদির সহিষ্ণুতা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৪ ও ৯৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মায়মুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি টিউশনি করে। টিউশনি করাতে গিয়ে ক্লাস থ্রি পড়–য়া ছেলেটার সাথে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন মায়মুনা ছেলেটির জন্য বাজার থেকে চকলেট কিনে নিয়ে যায়। ছেলেটি উৎসাহের সাথে চকলেটটি নিলেও তার মা পাশের রুমে নিয়ে ছেলেটিকে ধমক দেয়। মায়মুনা তা শুনে পরদিন থেকে আর টিউশনিতে যায় না।
৯৪. উদ্দীপকের মায়মুনার মাঝে মমতাদির কোন গুণটির প্রকাশ ঘটেছে? চ
ক আত্মসম্মান খ সহিষ্ণুতা
গ স্বজাত্যবোধ ঘ কর্মদক্ষতা
৯৫. উদ্দীপকটির সাথে ‘মমতাদি’ গল্পটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণÑ
র. উদ্দেশ্যগত বিচারে
রর. পরিণতির বিচারে
ররর. ছোটদের প্রতি ভালোবাসার বিচারে
নিচের কোনটি সঠিক? চ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর