নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ২য় আবেদনপত্র

আবেদনপত্র
১. মনে করো তোমার নাম শাকিল। হঠাৎ করে তোমার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তোমার লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্য চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানি আবেদনপত্র লেখো। [সি. বো. ১৩, রা. বো ১৪, চ. বো. ১৪]
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর।
বিষয় : বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই, আমি আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন ছাত্র। গত তিন বছর যাবৎ আমি এ স্কুলে পড়ালেখা করছি। পরীক্ষায় সব সময়ই আমি প্রথম হয়ে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। নবম শ্রেণিতেও আমার রোল নম্বর ০১। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও আমাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতে তিনি হিমশিম খান। তবুও তিনি এ যাবৎ বিদ্যালয়ের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে আমাদের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। স¤প্রতি তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপμম হয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অতএব মহোদয়, আমার আবেদন মানবিকভাবে বিবেচনা করে আমাকে ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যদানে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
শাকিল চৌধুরী
রোল নংÑ ০১, নবম শ্রেণি, মানবিক বিভাগ।
২. শিক্ষাসফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে তোমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদনপত্র লেখো। [ঢা. বো. ১৫, দি. বো. ১৫, সি. বো. ১২]
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়
বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।
বিষয় : শিক্ষাসফরে প্রেরণের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিবছর এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে গিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর এখনো এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। আমরা শিক্ষাসফরে যেতে চাই। ছাত্রজীবনে শিক্ষাসফরের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যেকোনো ভ্রমণেই দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোভাবে জানার সুযোগ হয়। শিক্ষাসফরের ফলে ব্যবহারিক শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ হয়।
আমরা এবার শিক্ষাসফরে ময়মনসিংহে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি। ময়মনসিংহ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শহর। এর মুক্তাগাছা থানা শিক্ষা-সংস্কৃতিতে খুব অগ্রগামী ছিল। সেখানে প্রাচীন জমিদারবাড়ি আছে। ময়মনসিংহ শহরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছিলেন। সে স্মৃতিচিহ্নও দেখা যাবে। তাছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আনন্দমোহন কলেজ, জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ইত্যাদিও আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। এসব স্থান ও স্থাপনা দর্শন করে আমরা বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হব।
একদিনের এই সফরের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করব। আমাদের সঙ্গে দুজন সিনিয়র শিক্ষক যেতে রাজি হয়েছেন। আপনার সম্মতি পেলে শিক্ষাসফরে যাওয়ার দিন ধার্য করে আমরা আমাদের অভিভাবকদের অনুমতি গ্রহণ করব।
অতএব, মহোদয়ের কাছে বিনীত আবেদন, আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার সদয় অনুমতি দিয়ে এবং ময়মনসিংহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা লাভের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।

বিনীতÑ
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে
দ্বীন ইসলাম
তারিখ : ১১. ০৮. ২০১৬
৩. মনে করো, তোমার বাবা একটি সরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। স¤প্রতি তোমার বাবার বদলি হয়েছে। তাই তোমাকেও তাঁর সাথে চলে যেতে হবে। এজন্য তোমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করো। [ঢা. বো. ১৪]
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
রাঙামাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
রাঙামাটি।
বিষয় : বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন ছাত্র। আমার বাবা একজন সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। স¤প্রতি তাঁকে কক্সবাজার জেলা শহরে বদলি করা হয়েছে। তাই পরিবারের সবার সঙ্গে আমাকেও কক্সবাজার যেতে হচ্ছে। সেখানে নতুন করে ভর্তির জন্য এই বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র প্রয়োজন।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র দিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক,
তাহসিন আহমেদ
রোল নং Ñ ১২, ৯ম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ
রাঙামাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙামাটি।
তারিখ : ১৪. ০৬. ২০১৬
৪. ধরো, তুমি এ.কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকার নবম শ্রেণির ছাত্র। তোমাদের স্কুলে একটি ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা আবেদনপত্র লেখো।
১৮/০৭/২০১৬
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
এ.কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকা।
বিষয় : ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। বেশ কিছুদিন থেকে আমরা স্কুলে বিজ্ঞানচর্চার জন্য একটি বিজ্ঞান ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই চরম উৎকর্ষের যুগে বিজ্ঞানচর্চা ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। বিজ্ঞান ক্লাব গঠন করা হলে বিজ্ঞান বিষয়ে আলোচনা, তথ্য আদান-প্রদান, পত্রপত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করে আমরা নতুন নতুন বিজ্ঞান প্রজেক্ট তৈরিতেও সফলতা অর্জন করব। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠবে।
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাদের বিদ্যালয়ে একটি ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে বাধিত করবেন।

নিবেদকÑ
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে
আবদুস সালাম
এ. কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকা।

৫. মনে করো, তোমার নাম সেলিম চৌধুরী। তোমার বিদ্যালয়ের নাম জয়পুর সরোজিনী উচ্চ বিদ্যালয়। অসুস্থতার জন্য তুমি তিন দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারনি। অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
২৪/০৪/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জয়পুর সরোজিনী উচ্চ বিদ্যালয়
ছাগলনাইয়া, ফেনী।
বিষয় : অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি গত ২১/০৪/২০১৫ থেকে ২৩/০৪/২০১৫ এ তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে উক্ত তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সেলিম চৌধুরী
শ্রেণিÑ ৯ম, শাখা- মানবিক
রোলÑ ৭
৬. মনে করো, তুমি রোকাইয়া শশী। আগামী ২৫শে জুন তোমার বড় বোনের বিয়ে। এ উপলক্ষে চার দিনের অগ্রিম ছুটি চেয়ে তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
২১/০৬/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ছয়সূতী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
বিষয় : অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আগামী ২৫শে জুন আমার বড় বোনের শুভবিবাহ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাকে বাড়িতে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই আমার ২২শে জুন থেকে ২৫শে জুন পর্যন্ত মোট ৪ দিনের ছুটি অত্যন্ত প্রয়োজন।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে উক্ত ৪ দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
আপনার অনুগত ছাত্রী
রোকাইয়া শশী
৯ম শ্রেণি, শাখাÑ বিজ্ঞান
রোলÑ০১
৭. মনে করো, তোমার নাম সিরাজ আহমেদ। তোমার বিদ্যালয়ের নাম গাজীরখামার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো। [য. বো. ১৫, ঢা. বো. ১৩, ব. বো. ১১, দি. বো. ১০]
০২/ ০৩/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
গাজীরখামার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
গাজীরখামার, শেরপুর।
বিষয় : বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার একজন নিয়মিত ছাত্র। প্রথম শ্রেণি হতেই আমি আপনার বিদ্যালয়ে পড়ছি এবং বরাবরই প্রথম হয়ে আসছি। আমার ছোট বোনও এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। আমার মা দীর্ঘদিন থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসেই বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাবার সামান্য আয়ে আমাদের যাবতীয় খরচ চালানো খুবই কষ্টকর। এ অবস্থায় তাঁর পক্ষে আমাদের দুই ভাইবোনের লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমার ভবিষ্যতের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করে আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
সিরাজ আহমেদ
৯ম শ্রেণি, শাখাÑবিজ্ঞান
রোলÑ০১
৮. মনে করো, তুমি মুহম্মদনগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছ। এ অবস্থায় তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো। তোমার নাম মো. হাসান।
১৭/০৫/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
মুহম্মদনগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
মুহম্মদনগর, সিলেট।
বিষয় : তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটির জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আজ বিদ্যালয়ে আসার পর থেকে আমার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভ‚ত হচ্ছে। এ কারণে আমি ক্লাসগুলোতে মনোযোগ দিতে পারছি না।
অতএব, দয়া করে আমাকে তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত
মো. হাসান
৯ম শ্রেণি, শাখাÑ বিজ্ঞান
রোলÑ১০
৯. মনে করো, তোমার নাম আবেদ মেহেদী। জরুরি প্রয়োজনে গত মাসে তোমার বাবা খুলনা গিয়েছিলেন। যে কারণে তুমি যথাসময়ে বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে পার নি। এ অবস্থায় বিলম্বে বেতন ও ফি প্রদানের ক্ষেত্রে জরিমানা মওকুফের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো। [সি. বো. ১৪]
০৯/০৮/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
মাছিমপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
বাগহাটা, নরসিংদী।
বিষয় : জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমার বাবা জরুরি প্রয়োজনে গত মাসে খুলনা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরতে তাঁর প্রায় এক সপ্তাহ সময় লেগে গিয়েছিল। যে কারণে আমি যথাসময়ে বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে পারিনি।
অতএব, বিনীত আবেদন, অনাকাক্সিক্ষত সমস্যাটির বিষয় বিবেচনা করে জরিমানা মওকুফ করে আমাকে বকেয়া বেতন ও ফি পরিশোধের সুযোগ দিতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত
আবেদ মেহেদী
৯ম শ্রেণি, শাখাÑ ব্যবসায় শিক্ষা
রোলÑ০৬
১০. মনে করো, তোমার নাম আবীর রায়হান। তুমি নবম শ্রেণিতে পড়। বিদ্যালয়ে একটি নলক‚প স্থাপনের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখো।
তারিখ : ১৪/০৬/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
আলমনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
আলমনগর, নাটোর।
বিষয় : নলক‚প স্থাপনের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে লেখাপড়া করতে আসে। তাই পানীয়জলের বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানীয়জলের কোনো ব্যবস্থা নেই। একমাত্র নলক‚পটিও অনেক দিন থেকে নষ্ট। দোকান থেকে বোতলজাত পানীয়জল কেনার মতো সামর্থ্য সবার নেই। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে কলের অনিরাপদ জল পান করছে। এর ফলে তারা ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা রকম অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে ক্লাসে অনুপস্থিতির হার বাড়ছে। পড়াশোনাসহ শিক্ষা সহায়ক কর্মকাণ্ডে ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়ছে। তাই বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
অতএব, বিনীত নিবেদন, বিদ্যালয়ে শিগগিরই অন্তত একটি নলক‚প স্থাপনের ব্যবস্থা করে আমাদের বাধিত করবেন।
নিবেদক
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে
আবীর রায়হান
নবম শ্রেণি
রোল নম্বর ৭
১১. মনে করো, তোমার নাম ইকবাল হাসান। ফুটবল খেলা দেখার জন্য ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখো।
তারিখ : ১২ই মার্চ, ২০১৬
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
ব্রাইট কিডস্ একাডেমি
লালবাগ, ঢাকা।
বিষয় : ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য সাময়িক ছুটির আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আগামীকাল সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা দিবস ফুটবল কাপের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খেলাটিতে আমাদের স্কুল সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে। মাঠে আমাদের উপস্থিতি আমাদের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াবে। তাই তাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে আমরা সবাই খেলাটি দেখতে অত্যন্ত আগ্রহী।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা, আগামীকাল দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পিরিয়ড পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রেখে আমাদের খেলাটি দেখার সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে
ইকবাল হাসান
শ্রেণি : ৯ম; শাখা- বিজ্ঞান
রোল নং ০২।
১২. প্রশংসাপত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র লেখো।
[সি. বো. ১৫, ঢা. বো. ১৪]
তারিখ : ২৫/০৮/২০১৫
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল
বেইলি রোড, ঢাকা।
বিষয় : প্রশংসাপত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,
আমি এই বিদ্যালয়ে গত ছয় বছর নিয়মিত ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করেছি। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হই।
বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আমি বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে আমার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। অল্পকিছু দিনের ভেতরেই একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তাই আমার একটি প্রশংসাপত্র প্রয়োজন।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে আমার চারিত্রিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রশংসাপত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত
লিজা জাফরিন নাহার
দশম শ্রেণি

১৩. ধরো, তোমার নাম ইকরাম। তোমার এলাকায় পাঠাগার স্থাপনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদনপত্র লেখো।
বরাবর
উপজেলা চেয়ারম্যান
নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ
নওগাঁ।
বিষয় : পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের নিয়ামতপুর উপজেলাটি একটি জনবহুল এলাকা। হাই স্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ এখানকার জনসংখ্যা প্রায় হাজারের ওপরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এখানে কোনো পাঠাগার নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই জরুরি। এ ছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্রপত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরা তাদের অলস সময়কে জ্ঞানচর্চার মতো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করতে পারবে।
অতএব, পলাশবাড়ি উপজেলার সব বয়সের জনসাধারণের উপকারের কথা বিবেচনা করে অতিসত্বর এখানে একটি পাঠাগার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
পলাশবাড়ি উপজেলার জনসাধারণের পক্ষে
ইশতিয়াক আহমেদ
তারিখ : ২রা জুন ২০১৬।

১৪. তোমার এলাকায় ভয়াবহ টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো। [চ. বো. ০৮, সি. বো. ১১]

মাননীয়
জেলা প্রশাসক
মানিকগঞ্জ।

বিষয় : ভয়াবহ টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত সাটুরিয়ার জনসাধারণের জন্য ত্রাণসামগ্রীর আবেদন।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন গত ১৫ জুলাই এক ভয়াবহ টর্নেডোতে সাটুরিয়া উপজেলার ৬টি গ্রামসহ বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। টর্নেডোর তাণ্ডবে অন্তত ২০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। মারা গেছে বহু গবাদি পশু। সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। স্বজনহারাদের কান্না আজও থামেনি। অনাহারে অর্ধাহারে বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামগুলোতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও বাসস্থানের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসার অভাবে তাদের অনেকের জীবন সংকটাপন্ন। এমতাবস্থায় উপদ্রæত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী প্রদানের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অতএব, বিনীত আরজ সাটুরিয়া উপজেলার টর্নেডো-উপদ্রæত এলাকার মানুষের অসহায় অবস্থা বিবেচনা করে দ্রæত ত্রাণসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে বাধিত করবেন।

নিবেদক
সাটুরিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে
হাসান ফারুক
বরাইদ, সাটুরিয়া।

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

য় সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র

১. বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো। [চ. বো. ১৪, ১০; কু. বো. ০৯; সি. বো. ১২]

তারিখ : ১৫-০৩-২০১৬
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ
পান্থপথ, ঢাকা।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ‘আলোকিত বাংলাদেশ’-এ নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে বৃক্ষরোপণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালনের অনুরোধ করছি।

বিনীত
নাইমুল ইসলাম
ধামরাই, ঢাকা।
বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করুন

যেকোনো দেশের জন্যই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। একটি দেশের আয়তনের এক-চতুর্থাংশ বনভ‚মি থাকা বাঞ্ছনীয়। এই বনভ‚মিই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। দেশের সামগ্রিক জলবায়ুর ওপর রয়েছে বনভ‚মির যথেষ্ট প্রভাব। বৃক্ষ আমাদের জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে। এটি একদিকে জ্বালানি কাঠের চাহিদা মেটায় অন্যদিকে জলবায়ুর সমতা রক্ষা করে। গাছপালা থেকে আহরিত কাঠের ব্যবহার হয়। আসবাবপত্র, যানবাহন, বাড়িঘর নির্মাণ এমনকি বস্ত্র ও কাগজ তৈরিতে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বাড়ির আনাচ-কানাচে রাস্তার দুই ধারে পুকুর পাড়ে, নদীতীরে সর্বত্র বৃক্ষরোপণ করা। আমাদের দেশে যেটুকু বনভ‚মি রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অত্যন্ত অপ্রতুল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনভ‚মির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে দেশজুড়ে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছি আমরা। পরিবেশ দূষণের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে শহরাঞ্চলের পরিবেশ। দেশের জলবায়ুতেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ব্যাপক ভিত্তিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমেই কেবল এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। পরিবেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও বিশেষ অবদান রাখবে। বৃক্ষরোপণ আন্দোলনকে সফল করা তাই সময়ের অপরিহার্য দাবি।
নাইমুল ইসলাম
ধামরাই, ঢাকা।
২. সড়ক দুর্ঘটনা রোধের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো। [কু. বো. ১৫]

১০ই নভেম্বর, ২০১৬
সম্পাদক,
দৈনিক ইনকিলাব
ইনকিলাব ভবন
২/১, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়’ শিরোনামের একটি চিঠি পাঠাচ্ছি। অনুগ্রহ করে তা প্রকাশের সুযোগ করে দিলে বাধিত হব।

বিনীত
বেনজীর আহমদ
গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায়

‘একটা দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’Ñ এ সেøাগানটি নির্মম বাস্তবতানির্ভর ও সর্বজনবিদিত। সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যা। মুহূর্তের মধ্যে তা ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের অমূল্য জীবন, ভেঙে দিচ্ছে অসংখ্য সাজানো সংসার। পঙ্গু ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। সম্পদের ক্ষতিও কম হচ্ছে না। তাই আজ সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। তা সত্তে¡ও দিন দিন প্রতিযোগিতা করে এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাচ্ছে। এতে কত মূল্যবান প্রাণ অকালে ঝরে পড়ছে, কত পরিবার পথে বসেছে, সেই অশ্রæসজল করুণ মুখের হিসাব কেউ রাখে না। পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ অথবা অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্রের সামনে পিতার রক্তাক্ত নিথর দেহ- এই অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। অথচ এসব দুর্ঘটনার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা দায়ী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। প্রতিটি বাসস্টেশনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ বা তদারককারী মোতায়েন করে চালক ও হেলপারদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে। বাসচালক ও বাসমালিকদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও নিরাপদ যানবাহন চলাচলের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে :
(১) বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটে অদক্ষ, অযোগ্য ও লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণে। তাই লাইসেন্স প্রদানের আগে চালকের দক্ষতা ও যোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। (২) ত্রæটিপূর্ণ যানবাহন প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই রাস্তায় বের করার আগে যান্ত্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে কী না তাও দেখতে হবে। (৩) ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এ আইনের প্রতি যাতে সবাই শ্রদ্ধাশীল থাকে সেজন্য একে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে হবে। (৪) ওভারটেকিংয়ের কারণে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে। তাই বিধিবহির্ভূত ওভারটেকিংয়ের অসম প্রতিযোগিতা থেকে চালককে বিরত থাকতে হবে। (৫) অতিরিক্ত মাল ও যাত্রীবোঝাই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী বহন কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে। (৬) মহাসড়কের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তা অধিকতর প্রশস্ত করা প্রয়োজন। (৭) রাস্তায় ডিভাইডার প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি। (৮) গাড়িচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আশা করি, উপর্যুক্ত কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে।

নিবেদক
বেনজীর আহমদ
গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ।

[ঠিকানাসহ খাম হবে]

৩. তোমার এলাকার বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে/ত্রাণ বিতরণের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের লক্ষ্যে সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো। [ঢা. বো. ১৪, ব. বো. ১৪, সি. বো. ১৪, কু. বো. ১৪]

১৫ নভেম্বর, ২০১৬
মাননীয়
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
কাওরান বাজার, ঢাকা

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় ‘বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চাই’ শিরোনামে একটি চিঠি ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার ও সর্বসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে আমার এই বক্তব্য প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

বিনীত
মিজানুর রহমান
আরিচা, মানিকগঞ্জ।

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) অঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা এবারও সর্বনাশা বন্যার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এই এলাকার সমস্ত অবকাঠামো। প্রবল বর্ষণ আর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সম্পূর্ণ উপজেলা আজ বন্যাকবলিত। নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকদের গরু-বাছুর, পুকুরের মাছ। জমির ফসলও সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চারদিকে পানি অথচ বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়, ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ। থানা প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খাদ্য-বস্ত্রের যতটুকু জোগান দিতে পারছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অবিলম্বে খাদ্য, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা না করলে দুর্গতদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

তাই, এ ব্যাপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বিভিন্ন সাহায্যদাতা সংস্থা ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
৪. তোমার এলাকায় একটি রাস্তা সংস্কার সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রের প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।

তারিখ : ১২ই ফেব্রæয়ারি, ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক ইত্তেফাক
৪০ কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১২১৫।

জনাব
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় অনুগ্রহপূর্বক নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি ছাপিয়ে এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতাভাজন হবেন।

ধন্যাবাদান্তে,
মো. রোকনুজ্জামান
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।

দৌলতপুর-ভেড়ামারা সড়কের আশু সংস্কার চাই
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এবং ভেড়ামারা উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী প্রধান সড়ক হলো দৌলতপুর-ভেড়ামারা সড়ক। প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত অযতেœর শিকার। সড়ক বিভাগের অবহেলার দরুণ এই পাকা সড়কটি এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে মেরামত করা হয়নি। এই সড়কের বেশ কিছু অংশে এখনও কার্পোটিং করা হয়নি। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাসহ কুষ্টিয়ার দুটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষের জন্য এই একটাই প্রধান সড়ক। এই সড়ক ব্যবহার করেই তাদের রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অতএব, রাস্তাটির গুরুত্বকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এ বছর বন্যার কারণে সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি যদি দ্রæত মেরামত করা না হয়, তাহলে একদিকে যেমন সরকারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, অপরদিকে এই এলাকার জনসাধারণের কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই যথাশীঘ্র সম্ভব রাস্তাটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এলাকাবাসীর পক্ষে,
মো. রোকনুজ্জামান

[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]

৫. তোমার এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক দূষণের প্রতিকার চেয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র রচনা করো।

তারিখ : ৯ই এপ্রিল, ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা।

জনাব,
আপনার সম্পাদিত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মো. সেলিম রেজা
ভবানীপুর, মেহেরপুর।
আর্সেনিক সমস্যার সমাধান চাই
বর্তমান সময়ে সারাদেশে আর্সেনিক সমস্যার ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে। আর্সেনিকের এই ভয়াবহতার শিকার মেহেরপুর জেলাও। এ জেলার ভবানীপুর ও এর আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম আর্সেনিক বিষের মারাত্মক শিকার। দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাধিক আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের ফলে এ এলাকার বহুলোক আর্সেনিকজনিত নানা সমস্যার সম্মুখীন। অনেকের গায়ে-পিঠে, হাত-পায়ের তালুতে বিশেষ ধরনের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। নির্দিষ্ট মাত্রার আর্সেনিক পানিতে মিশ্রিত থাকা আবশ্যক কিন্তু মাত্রাধিক আর্সেনিকযুক্ত পানি পান যে জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ তা এই গ্রামের অশিক্ষিত সাধারণ জনগণের অনেকেই জানে না। ফলে তারা প্রতিনিয়তই বিষমিশ্রিত পানি পান করছে। তাদেরকে আর্সেনিক সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত করা অতি জরুরি। এছাড়া এলাকার যেসব নলক‚পের পানিতে মাত্রাধিক আর্সেনিক আছে সেগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সেগুলোর পানি পান থেকে গ্রামবাসীকে বিরত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারি দায়িত্ব বলে এলাকাবাসী মনে করে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সুবন্দোবস্ত করা এবং বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টিও অতি জরুরি। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক
ভবানীপুর এলাকাবাসীর পক্ষে
মো. সেলিম রেজা
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৬. তোমার এলাকার বিশুদ্ধ পানির অভাব সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে সংবাদপত্রের সম্পাদকের নিকট একটি পত্র রচনা করো।

তারিখ : ২০শে মে ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক মানবজমিন
৪ কারওয়ান বাজার, ঢাকা।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক মানবজমিন’ পত্রিকায় অনুগ্রহপূর্বক আমার নিম্নলিখিত পত্রটি চিঠিপত্র বিভাগে প্রকাশের মাধ্যমে এলাকার অধিবাসীদের দুঃখ-কষ্টের করুণ চিত্র তুলে ধরলে কৃতার্থ হব।
বিনীত নিবেদক
কামাল হোসেন
দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।
বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা চাই
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার অন্তর্গত চরদিয়াড়ি গ্রামের দারিদ্র্য-পীড়িত অধিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরে নিদারুণ পানিকষ্ট ভোগ করে আসছে। বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার মতো কোনো নলক‚প এই গ্রামে নেই। গ্রামে রয়েছে অতি পুরাতন তিনটি পাতক‚প, দুটি পুরাতন পুকুর ও ছোট একটি খাল। পানির এ সীমিত উৎস থেকে গ্রামবাসী কোনোরকমে দৈনন্দিন কাজ ও পানীয় জলের অভাব মিটিয়ে থাকে। পুকুরগুলো অতি পুরাতন এবং সংস্কারের অভাবে শ্যাওলা জাতীয় জলজ উদ্ভিদে পরিপূর্ণ। খালটিতে একমাত্র বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য সময় মোটেই পানি থাকে না। শুকনো মৌসুমে তাই নিদারুণ পানিকষ্ট দেখা যায়। যে কয়টি পাতক‚প আছে তা গ্রামবাসীর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে না। মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুরের জীবাণুযুক্ত পানি পান করে। ফলে প্রায়ই গ্রামবাসীকে কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হতে হয়, অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করে।
অতএব আমাদের এ মারাত্মক সমস্যাটি গভীর সহানুভ‚তির সঙ্গে বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে গ্রামে কয়েকটি নলক‚প স্থাপন করার জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিনীত নিবেদক
গ্রামবাসীর পক্ষে
কামাল হোসেন
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৭. তোমার এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।

তারিখ : ১৪ই এপ্রিল ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
সকালের খবর
পুরানা পল্টন, ঢাকা।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
অবনী রাহনুম
খিলগাঁও, ঢাকা।
লোডশেডিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন
আমরা রাজধানী ঢাকার অন্তর্গত খিলগাঁও এলাকার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম লোডশেডিং-এর শিকার। আমরা জানি, সারাদেশে এখন বিদ্যুৎ ঘাটতি চলছে এবং এও জানি দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত লোডশেডিং চলছে। তবে আমাদের এই খিলগাঁও এলাকার মতো এরকম লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এরকম অব্যবস্থা বাংলাদেশের আর কোনো স্থানে আছে বলে আমাদের জানা নেই। বিদ্যুৎকর্মীরা এই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে যেন জিম্মি করে রেখেছে। এখানে নিয়মিতভাবে প্রতিদিনই তিন চারবার করে লোডশেডিং হচ্ছে। একে তো গরমের দিন, তার ওপর বিদ্যুতের এই অনিয়মের ফলে পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। দুপুরে যখন প্রচণ্ড গরম থাকে তখন দু-আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আবার রাতে কয়েকবার করে বিদ্যুৎ চলে যায়। টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, নাট্যানুষ্ঠান বা বিনোদনমূলক কোনো অনুষ্ঠান আমরা একদিনও ঠিকমতো দেখতে পারি না। তাছাড়া রাতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার খুবই বিঘœ ঘটছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের এই অশেষ ভোগান্তি দূর করার জন্য অতিসত্বর এ এলাকার লোডশেডিং বন্ধ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করুন।
বিনীত
এলাকাবাসীর পক্ষে
অবনী রাহনুম
খিলগাঁও, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
৮. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ৩রা ফেব্রæয়ারি ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক নয়াদিগন্ত
ইডেন কমপ্লেক্স, মতিঝিল, ঢাকা।
জনাব,
আপনার স¤পাদিত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ প্রসঙ্গে
কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশের শতকরা ৬০ জন মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে একদিকে জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে পড়ছে। এদেশের শিক্ষিত মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ বেকার। এরূপ পরিস্থিতিতে জনজীবনে যখন চলছে টানাপোড়েন, ঠিক তখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়ে চলেছে। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মাছ, মাংস, চিনি, শিশুখাদ্য ইত্যাদির দাম রাতারাতি প্রায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রয়োজনানুসারে তারা জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় গণবিদ্রোহের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে বাজার নিয়ন্ত্রকারী কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, নেই এ বিষয়ে সরকারের কোনো বিশেষ নজর। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে নগরজীবন। এ অবস্থার আশু প্রতিকার প্রয়োজন। এ জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো হলোÑ ১. বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় করা, সেই সাথে সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করা; ২. এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; ৩. আন্তর্জাতিক বাজারে যে সকল দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেছে সেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ ভর্তুকি প্রদান করা; ৪. আমদানি কর প্রত্যাহার করা। আশা করা যায়Ñ এ ব্যাপারগুলোতে নজর দিলে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।

[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]

৯. শহরে যানজট নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ১৭ই মে ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিম্নলিখিত জনগুরুত্বসম্পন্ন পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
অসহনীয় যানজটে স্থবির নগরজীবন
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। দেশের সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। নানা প্রয়োজনে দেশের সকল প্রান্তের মানুষ ঢাকা আসে। অফিস-আদালতের কাজ, ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনের কেন্দ্রস্থল ঢাকা। অথচ দেশের ব্যস্ততম এ শহরটি যানজটের কবলে পড়ে নাকাল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র ট্রাফিক জ্যাম লক্ষ করা যায়। দুঃসহ যানজটের কবলে পড়ে মানুষকে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনের মধ্যে আটকে থাকতে হয় তখন ঢাকা সম্পর্কে মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্ম হয়। ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান যেতে যেখানে বড়জোর পনেরো মিনিট সময় দরকার, সেখানে যানজটের কারণে কখনো কখনো আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো সড়কেই একই চিত্র। এভাবেই মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। যেখানে দিনে পাঁচটি কাজ করা সম্ভব যানজটের কারণে হয়তো দুটি কাজ করা যায়। এ অবস্থায় দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ দুরবস্থা নিরসনকল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিম্নলিখিত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১. অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করা;
২. রাস্তাসমূহ প্রয়োজনের অনুপাতে প্রশস্ত করা;
৩. যানবাহন চালকদের ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে বাধ্য করা;
৪. পাতাল রেলের ব্যবস্থা করা। এজন্য প্রয়োজনে উন্নত দেশের সাহায্য গ্রহণ করা;
৫. নগরীর চারদিক দিয়ে বিকল্প রেল স্থাপন করা;
৬. ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করা।

উপরোল্লিখিত ব্যবস্থসমূহ গ্রহণ করলে যানজটের তীব্রতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১০. ‘ইভ টিজিং’-এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখো।
তারিখ : ১০ই জানুয়ারি ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক ইনকিলাব
রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা।

জনাব,
সম্মান জানবেন। আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য “ইভ টিজিং প্রতিরাধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন” শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্বসাধারণ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে আমার চিঠিটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
মারুফা শারমিন
কুমিল্লা।
‘ইভ টিজিং’ প্রতিরোধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন
বর্তমানে ‘ইভ টিজিং’ বহুল আলোচিত ও ভীতি জাগানিয়া একটি শব্দ। এটি একটি মানসিক ও সামাজিক সমস্যা। সা¤প্রতিক সময়ে আমাদের সমাজে উত্যক্তকারীদের জ্বালাতনে নারীর জীবন অতিষ্ঠ। বিশেষত উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে ছেলে/যুবকদের বিকৃত মানসিকতা এবং নৈতিক চরিত্রের অবনতি, মূল্যবোধের অভাব, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এর প্রধান কারণ। বর্তমানে ইভটিজিং এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, এর কারণে শুধু নারীরাই প্রাণ দিচ্ছে না, প্রতিবাদকারীরাও এখন নিরাপদ নয়। ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত অনেক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।। বর্তমানে দেশে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৯০% নারী ঘরে এবং ঘরের বাইরে ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। ফলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছে। তাই আর দেরি না করে ইভ টিজিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য কঠোর আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সৃষ্ট দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। পুলিশকে গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তবে, শুধু কঠোর আইন করেই ইভ টিজিং প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন। ইভ টিজিং নামক সামাজিক ব্যাধিকে সামগ্রিকভাবে নারী নির্যাতন অথবা যুব সমাজের ভয়াবহ অধঃপতনÑ যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, এই ব্যাধি হতে সমাজকে মুক্ত করতে না পারলে মানবিক অগ্রগতির পথ বাধাগ্রস্ত হতে থাকবে। তাই পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। যে মেয়েটি ইভ টিজিং-এর শিকারÑপরিবার থেকে তার প্রতি সহানুভ‚তি, সাহস ও আশ্বাস দেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ রাখতে হবে মেয়েটি যেন তার মনোবল হারিয়ে না ফেলে। নারীকে মানুষ হিসেবে সম্মান করার বিষয়টির শিক্ষা পুত্র-সন্তানদের পরিবার থেকেই দিতে হবে। আসুন, সবাই সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
মারুফা শারমিন
কুমিল্লা
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
১১. তোমার এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব নিবারণের জন্যে/ ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিকারের আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখো।
তারিখ : ২০শে জুন ২০১৬
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত পত্রটি ছাপিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করলে কৃতার্থ হব।
বিনীত
সালেহা বানু
লালবাগ, ঢাকা।
ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন
রাজধানী ঢাকার লালবাগ একটি জনবহুল এলাকা। এলাকার জরাজীর্ণ রাস্তাগুলোর মোড়ের নোংরা অবৈধ ডাস্টবিন ও বদ্ধ ড্রেনগুলোতে প্রতিনিয়ত জন্ম নেয় অসংখ্য মশা। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসী মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে বার বার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকষর্ণ করেও কোনো ফল হয়নি। স¤প্রতি স্থানীয় বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এলাকায় ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুজ্বর একটি ভাইরাসজনিত মশাবাহিত রোগ। স্বল্প পরিমাণ পরিষ্কার পানিতে এ রোগের বাহক এডিস মশা ডিম পাড়ে। বিভিন্ন বাড়িতে থাকা ফুলের টব, যত্রতত্র ফেলা নারকেলের মালা, ভাঙা কলস, পরিত্যক্ত কৌটা প্রভৃতিতে কারণেই এই এলাকায় এডিস মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এগুলোতে থাকা স্থির পানিই এডিসের প্রজননের উত্তম জায়গা। এডিস মশার কামড়ে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসতাপালে ভর্তি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তদের দুজন মৃত্যুবরণও করেছে। তাই ডেঙ্গু আতঙ্কে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, ডেঙ্গুজ্বর প্রতিকারের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং এডিস মশা বিনাশমূলক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক
সালেহা চৌধুরী
লালবাগ, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]

য় ব্যবসাসংক্রান্ত পত্র
১. বিদ্যালয়ের ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয়ের জন্য মূল্যতালিকা চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পত্র লেখো।

তারিখ : ২০.০৮.২০১৬
ম্যানেজার,
স্পোর্টস বাজার
শপ নং-২০, স্টেডিয়াম মার্কেট
গুলিস্তান, ঢাকা-১০০০

জনাব,
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ক্রীড়াসামগ্রী ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক নিচের তালিকাভুক্ত সামগ্রীর মূল্য তালিকা পাঠিয়ে বাধিত করবেন।

বিনীত
বাংলাদেশ আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে
কবির হাসান
খিলগাঁও, ঢাকা
ক্রীড়াসামগ্রীর তালিকা
১. ফুটবল – ৩টি
২. ভলিবল – ২টি
৩. ভলিবল নেট – ১টি
৪. ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট – ১০টি
৫. ব্যাডমিন্টন কর্ক – ২ ডজন
৬. ব্যাডমিন্টন নেট – ১টি
৭. ক্রিকেট ব্যাট – ৪টি
৮. ক্রিকেট বল – ১০টি
৯. ক্রিকেট স্ট্যাম্প – ২টি

২. ভিপিপি যোগে বই পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে পুস্তক ব্যবসায়ীর নিকট পত্র লেখো।

১৮ই মার্চ ২০১৬
বরাবর,
ম্যানেজার
পাঠশালা প্রকাশন
২৬, আলী রেজা মার্কেট
বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০

জনাব,
শ্রদ্ধা জানবেন। আপনাদের প্রকাশিত কিছু বই আমার জরুরি প্রয়োজন। তাই নিম্নলিখিত বইগুলো যত দ্রæত সম্ভব ভিপিপি যোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। বইপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই মূল্য পরিশোধ করা হবে।

অতএব, বইগুলো নিম্নলিখিত ঠিকানায় দ্রæত পাঠিয়ে দেওয়ার বিনীত অনুরোধ রইল।
আপনার বিশ্বস্ত
কমলিকা চৌধুরী
নবম শ্রেণি (মানবিক), রোল নং-০৫
হামসাদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
বইয়ের তালিকা
১. পাঠশালা মাধ্যমিক সৃজনশীল বাংলা – ২০১৬
২. পাঠশালা মাধ্যমিক ইংরেজি – ২০১৬
৩. পাঠশালা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা সহায়িকা-২০১৬
৪. পাঠশালা জেএসসি বহুনির্বাচনি টেস্ট পেপারস-২০১৬

[ঠিকানাসহ খাম হবে]
য় মানপত্র/অভিনন্দন পত্র
১. তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের/শিক্ষকের অবসর গ্রহণ/বিদায় উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
[চ. বো. ১২, কু. বো. ১৩, য. বো. ১৪, ব. বো. ১৪]
আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক
শিক্ষক আকবর খান স্যার-এর অবসর গ্রহণ/ বিদায়ে
শ্রদ্ধাঞ্জলি
হে মান্যবর,
ব্যথাতুর হৃদয়ে সালাম ও অশ্রæসজল প্রীতি গ্রহণ করুন। এ মূহুর্তে কোনোভাবেই কোনো সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছি না মনকে বোঝানোর, বিশ্বাস করতে পারছি না আপনাকে বিদায় জানাচ্ছি। শিক্ষকতার মহান ব্রত নিয়ে আপনি এসেছিলেন এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে। সুদীর্ঘ সময় এর কর্ণধার হিসেবে সগৌরবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ বেজে উঠেছে বিদায়ের বেদনার সুর। আমাদের অবুঝ মনের করুণ কান্না আজ সকল বাঁধ ভেঙে বল্গাহীন হয়ে উঠেছে। চোখের জলে সব ঝাপসা মনে হচ্ছে। আমাদের ব্যথাহত অন্তরে কেবলই জেগে উঠছে বিষাদের বাণীÑ
এ অনন্ত চরাচরে
সবচেয়ে পুরাতন কথা
সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন
“যেতে নাহি দিব’ হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।”
হে শিক্ষাগুরু!
আপনার বিদায় সংবাদ আমাদের হৃদয়ে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। আপনার স্নেহমাখা হাসিমুখ আমরা আর দেখতে পাব না। আপনার মিষ্টি কথা আমরা আর শুনতে পাব নাÑ এ কথা ভেবে আমাদের মন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠছে। আপনাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য স্মৃতি এ মুহূর্তে আমাদের অন্তরে ভেসে উঠছে। আমাদের যন্ত্রণাক্লিষ্ট মনে কেবলই রয়ে রয়ে বাজছে বিদায়ের করুণ সানাই। আপনার পানে চেয়ে মনে হচ্ছেÑ
“ঐ ব্যথাতুরা আঁখি কাঁদো কাঁদো মুখ,
দেখি আর শুধু হু হু করে বুক।”
হে মহান কর্মবীর,
আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, আমরা আপনার মতো একজন কর্মঠ, উদারচিত্ত, সুদক্ষ ও প্রজ্ঞাবান শিক্ষকের পদপ্রান্তে বসে শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছি। আপনার কাছ থেকে আমরা কোনোদিন কোনো কিছুর অভাব বোধ করিনি। সবসময় পাখির ছানার মতো আগলে রেখেছেন আমাদেরকে। আমাদের স্মৃতির রাজ্যে আপনি অমর, অক্ষয় ও চিরঞ্জীব! প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি আপনার দেওয়া আলো থেকে আমরা আলো ছড়াব দিক-দিগন্ত।
হে আদর্শ শিক্ষাদাতা
শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে যেভাবে আপনি সারা জীবন দেশ ও দশের সেবা করেছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত। আমরা আজীবন মনে করব আপনি আমাদেরই লোক। আমরা এ কথা অকুণ্ঠচিত্তে স্মরণ করব যে, আপনি কথাবার্তায়, কাজে-কর্মে, মেধা ও মননে ছিলেন একজন আধুনিক লোক। আমাদের এই ঘুণেধরা শিক্ষাব্যবস্থায় আপনার মতো আদর্শ শিক্ষকের বড় প্রয়োজন। আমাদের কষ্ট এই যে, আমরা একজন গুণী লোককে হারালাম।
হে আলোর দিশারি!
আপনার বিদায় বেলায় আমাদের মানসপটে অসংখ্য স্মৃতি জ্বলজ্বল করছে। মনে পড়ে, কত সময় আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করেছি, আপনাকে দুঃখ দিয়েছি। আশা করি আপনি আপনার মহান ঔদার্য দ্বারা সেগুলো ক্ষমা করবেন। আর আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন যাতে ভবিষ্যতে আমরা আপনার নির্দেশিত পথে চলতে পারি।
পরিশেষে, পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করছি আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।

আপনার গুণমুগ্ধ,
আলফাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
তারিখ : ১৫ জুন, ২০১৬

২. তোমাদের বিদ্যালয়ের নতুন প্রধান শিক্ষকের যোগদান উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো। [ঢা. বো. ১৩, ০৯]
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবাগত প্রধান শিক্ষক জনাব মাহমুদুল হক সাহেবের যোগদান উপলক্ষেÑ
\ শ্রদ্ধাঞ্জলি \
হে বরেণ্য শিক্ষক,
নিসর্গের আঙিনাজুড়ে আজ নতুন সাজ। প্রবহমান বাতাস তাই সুরভিত, চারদিক কল-কাকলিতে মুখর। খুশির ঝরনাধারায় স্নাত এদিন এক শুভ সূচনার বার্তা বয়ে এনেছে। এই বিদ্যালয়ের কর্ণধার হিসেবে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আমাদের আনন্দিত হৃদয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য গ্রহণ করুন।
হে নবাগত শিক্ষাগুরু!
আপনার মতো একজন শিক্ষিত ও জ্ঞানী ব্যক্তির সান্নিধ্য আমরা পেতে যাচ্ছি এ আনন্দে আমরা উদ্বেলিত। আপনার মহান শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হব, আপনার মহিমায় মহিমান্বিত হব, আপনার আলোকোজ্জ্বল জ্ঞানের প্রদীপে আলোকিত হব। আমরা পথ চলব আপনার শেখানো আদর্শকে বুকে ধরে। আপনার প্রেরণা আমাদের জোগাবে নতুন উৎসাহ।
হে জ্ঞানতাপস
আপনার অসাধারণ পাণ্ডিত্য সর্বজনবিদিত। আপনার মতো একজন মহান শিক্ষাগুরুর পদপ্রান্তে বসে শিক্ষালাভের সুযোগ পেতে চলেছিÑ এ আমাদের পরম সৌভাগ্য। আপনার আগমনে এ বিদ্যাপীঠের বিশাল শূন্যতা পূরণ হলো। আজ আমরা ধন্য ও গর্বিত। আপনি আমাদের হৃদয়ের জঞ্জাল দূর করে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে দেবেন। আমরা আজ আপনাকে আশ্রয় ও ছায়ারূপে পেয়েছি। আপনার মূল্যবান শিক্ষা ও আদর্শ আমাদের নতুন পৃথিবীর সন্ধান দেবে। আপনার আগমনে আমাদের একমাত্র উপঢৌকন শ্রদ্ধা ছাড়া কিছুই দিতে পারলাম না। এটুকুই আপনি সাদরে গ্রহণ করবেন।
হে কর্মচঞ্চল বীর!
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের আমরা হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী তাকিয়ে আছি আপনারই মুখপানে। আপনার যোগ্য নেতৃত্ব দেবে আমাদেরকে আলোর পথের ঠিকানা। আপনাকে প্রতিশ্রæতি দিচ্ছি, আপনার মুখ উজ্জ্বল করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব এবং বিদ্যালয়ের জন্য সুনাম বয়ে আনব।
হে পরম সুহৃদ,
আপনি আমাদের শিক্ষাগুরু, আমরা আপনার শিষ্য। তারুণ্যের প্রগলভতা, বয়সের চাপল্য কখনও আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। আপনার উদার হৃদয়ের সীমাহীন স্নেহ আমাদের চাঞ্চল্যকে সংযত করে যথার্থ পথের সন্ধান দিয়ে সাফল্যের পথে পরিচালিত করুক। তারুণ্যের মাঝে নিহিত শক্তির উন্মেষ ঘটুক আপনার স্নেহস্পর্শে। এ প্রতিষ্ঠানে আপনার অবস্থান সুন্দর হোক, সার্থক হোক- এ আমাদের হৃদয়ের একান্ত কামনা।
পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বিনয়াবনত
মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

৩. বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দন-পত্র রচনা করো।
দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের …. আগমন উপলক্ষে
অভিনন্দন
হে দেশের সূর্যসন্তান,
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের কিংবদন্তির মহানায়ক তোমরা। তোমাদের কীর্তি কখনো ভোলার নয়। এদেশবাসী সোনার হরফে লিখে রাখবে তোমাদের নাম। আজ তোমাদের আগমনে এই এলাকার সর্বত্র জেগেছে নব প্রাণের স্পন্দন। আজ আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়তনে গভীর আনন্দে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
হে বীর সেনানীরা!
তোমরা ইতিহাসস্রষ্টা। তোমাদের সুদক্ষ রণকৌশল, চেতনাশক্তি, সাহসী ভ‚মিকা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জাতিকে দিয়েছে মুক্তির স্বাদ। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে তোমাদের এমন বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকায় আমরা গর্বিত।
হে মহান দেশপ্রেমিকেরা!
দেশাত্মবোধের মহান প্রেরণাকে বুকে ধারণ করে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে মুক্তির সংগ্রামে। দেশ এবং জাতির প্রতি তোমাদের এই আমরা আত্মত্যাগ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। এ দেশের প্রতিটি মানুষের মনে তোমাদের ত্যাগের স্মৃতি রইবে অ¤øান।
হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা!
বাংলার মুক্তিসংগ্রামে সমগ্র প্রতিক‚লতাকে অতিক্রম করে মৃত্যুকে পদদলিত করে যুদ্ধ করেছ তোমরা। পাক-হানাদারদের সুদক্ষ বাহিনীর মুখোমুখি হতেও পিছপা হওনি তোমরা। মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও এগিয়ে গিয়েছিলে সেদিন। ফিরে এসেছ মৃত্যুঞ্জয়ীর বেশে। তোমাদের এই অবদান চির-ভাস্বর হয়ে থাকবে জাতির মানসভ‚মে। তোমরা আমাদের চেতনা, তোমরা আমাদের সঞ্জীবনী সত্তা।
হে সুমহান নেতৃবৃন্দ!
তোমাদের আগমন আমাদের এতটাই বিমোহিত করেছে, যা বোঝানোর কিংবা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তোমাদের কী দিয়ে বরণ করে নেব সেটাও যে ভুলে গেছি আজ। আজ এমন দিনে, এমন একটি ক্ষণে তোমাদের প্রতি রইল আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার্ঘ্য। তোমাদের আগমন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
পরিশেষে, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিনীত নিবেদন করছি তিনি যেন তোমাদের সুদীর্ঘ জীবন দান করেন। তোমাদের অনাগত দিনগুলো যেন সুখের হয় সে প্রত্যাশাই করব আজীবন। খোদা হাফেজ।

বিনয়াবনতÑ
তোমাদের গুণমুগ্ধ
তারাগুনিয়ার সর্বস্তরের জনতা
তারিখ : ৩০শে মে, ২০১৬।
৪. তোমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
অথবা, তোমার বিদ্যালয়ে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির আগমন উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী
জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ-এর শুভাগমন উপলক্ষে
\ শ্রদ্ধাঞ্জলি \
হে বরেণ্য!
আপনার পদধূলি পেয়ে আমাদের এলাকা আজ উজ্জীবিত। আপনাকে একনজর দেখার জন্য প্রত্যন্ত জনপদ থেকে ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। আপনার মূল্যবান বাণী শোনার জন্য চাতকের মতো উন্মুখ শত-সহস্র জনতা। আপনি আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
হে শিক্ষানুরাগী!
আমাদের এ দরিদ্র দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। এসব নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার যে কঠিন দায়িত্ব আপনি কাঁধে তুলে নিয়েছেন, সেজন্য আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি আপনার যোগ্য নেতৃত্বই এ জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করবে। আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস, জ্ঞানের যে মশাল আপনি জ্বালিয়েছেন, তার আলোতে সমগ্র বাংলাদেশ আলোকিত হবে।
হে দেশপ্রেমিক,
আপনি শিক্ষাক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। আপনার নিরলস প্রচেষ্টা ও কঠোর সাধনায় শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আপনার কাজের সুরভি আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-দেশান্তরে। দেশবাসী আজ আপনার কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
হে আলোর দিশারি,
আপনি আমাদের পরম আপনজন বলে আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। নানা সমস্যার যাঁতাকলে পিষ্ট আমাদের এ বিদ্যালয়টি। শিক্ষাব্যবস্থার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া ও আপনার প্রশংসনীয় উদ্যোগের কথা শুনে আজ আমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছি। তাই এই বিদ্যালয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানকল্পে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
 সারা বিশ্ব বিজ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এ বিদ্যালয়ে কোনো বিজ্ঞানাগার নেই। তাই এতে আপনার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
 খেলাধুলা ও পড়াশোনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, খেলাধুলার জন্য এ বিদ্যালয়ে নিজস্ব কোনো মাঠ না থাকায় আমরা খেলাধুলা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছি না। তা একটি মাঠ নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
 আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
 শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সুকুমার বৃত্তি লালনের জন্য বিদ্যাশিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম প্রয়োজন। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যচর্চার জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব রয়েছে। তাই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্যে অর্থ বরাদ্দের ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সমস্ত বিষয় আপনার সদয় বিবেচনা লাভ করবে এবং অবিলম্বে সমস্যাসমূহের সমাধান করে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পরিশেষে পরম করুণাময় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বিনয়াবনত
পাটুয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
০২/০৫/২০১৬।
৫. তোমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন প্রখ্যাত লেখক বা কবির শুভাগমন উপলক্ষে একটি অভিনন্দনপত্র রচনা করো।
কবি আল মাহমুদের শুভাগমন উপলক্ষে অভিনন্দনপত্র
হে কবি!
সভ্যতার সকল প্রকার প্রাণহীন কৃত্রিমতা হতে বহু দূরে অবস্থিত এই পল্লির আহŸানে তুমি সাড়া দিয়েছ। আশা করি, তোমার কাব্য প্রেরণার মূলে এটি হয়তো খানিকটা রস সিঞ্চন করবে। কারণ, তুমি শহরের কবি নও, তুমি প্রকৃতপক্ষে পল্লির অসংখ্য মানুষের কবি, তোমাকে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো অভিবাদন জানাই।
হে মহাজ্ঞানী!
কাব্য ও কবিতার ভেতর দিয়ে তোমার সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটিয়েছিল, তা আজ আরও নিবিড় ও মধুর হলো। এরপরে তোমাকে হয়তো নিজেদের মধ্যে এমন করে পাব না, কিন্তু তোমার কবিতা আমাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ, আরও মাধুর্যমণ্ডিত করবে। তোমার কবিতার জাদুস্পর্শ্বে যে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, যে আম্রমুকুলকে ঘিরে মৌমাছি গুঞ্জন করে উঠবে, চৈত্র-সন্ধ্যাকে মুখরিত করে যে কোকিল ডেকে উঠবে, সে ফুল, সে আম্রমুকুল, সে কোকিলকে তো আমরা প্রত্যক্ষ করব আমাদেরই চারিপাশে। তখন নতুন করে ধরণীর সাথে আমাদের যে পরিচয় ঘটবে সেই নতুন পরিচয়ের অপরিসীম আনন্দের কথা কল্পনা করে আজ তোমাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাচ্ছি। বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে পল্লির শ্রীহীন অবস্থা নিদারুণ হয়ে উঠেছে। এই নিষ্ফলতার মধ্যে তুমি স্মরণ করিয়ে দিয়েছ, পল্লিগুলো জীর্ণ পাতার মতো প্রাণহীন আবর্জনা নয়, জাতীয় জীবনের দিক হতে এদের একটি বিশেষ মূল্য আছে। নৈরাশ্যের ঘন অন্ধকারে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিলাম, তোমার অমৃতময় করস্পর্শে আমরা নিজেদের ফিরে পেয়েছি। আমাদের সম্মুখে তুমি অনন্ত সম্ভাবনার দ্বার উদ্ঘাটন করে দিয়েছ। আমাদের অন্তরের গভীরতম কৃতজ্ঞতা তুমি গ্রহণ কর।
হে সংগ্রামী কবি!
তোমার সারাটা জীবন সংগ্রামের এক উজ্জ্বল খতিয়ান। অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে তোমার দৃপ্ত পদচারণ এখনও আমাদের আন্দোলিত করে। আধুনিক প্রগতিশীল সমাজ এবং অসা¤প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে তুমি যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছো তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। তোমার মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী এখনো জাতিকে দিচ্ছে পথের দিশা। এ জাতি কোনো দিন তোমাকে ভুলবে না।
হে দরদি বন্ধু!
আজ আমাদের আয়োজনে অনেক ত্রæটি রয়ে গেল, কিন্তু আমরা জানি আমাদের এই অনিচ্ছাকৃত ত্রæটিগুলো তুমি উপেক্ষা করবে। তুমি বাইরের আয়োজনকে বাদ দিয়ে আমাদের অন্তরের ভাষাতীত প্রীতি গ্রহণ করবে। এখানে আসার কষ্ট ও অসুবিধা হাসিমুখে সহ্য করে তুমি নিজের উদারতারই পরিচয় দিয়েছ।

সৃষ্টিকর্তার নিকট কায়মনে প্রার্থনা করি, দীর্ঘ জীবন লাভ করে সুস্থ দেহে তোমার কবি-প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ লাভ হোক; জাতি ও দেশ তোমার অপূর্ব অবদানে শক্তিশালী হয়ে উঠুক। তোমার চলার পথ আরো মসৃণ হোক।

ইতি
গুণমুগ্ধ
ফুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
থানাÑ উল্লাপাড়া
জেলাÑ সিরাজগঞ্জ।
৬. এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করো। [ঢা. বো. ১২]
ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের
বিদায় উপলক্ষে মানপত্র
বিদায়ী বন্ধুরা,
যে পথ একদিন তোমাদের নিয়ে এসেছিল এই অঙ্গনে সে পথই আবার তোমাদের দিয়েছে ডাক। একদিকে চলার নেশা আর একদিকে পিছুটান! বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর এখন ধ্বনিত হচ্ছে এই বিস্তৃত প্রাঙ্গণে উপস্থিত প্রতিটি প্রাণে।
সম্মুখ পথের পথিকেরা,
এখানে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর প্রীতিময় অনেকগুলো দিন। নিরলস শ্রম, কঠোর অধ্যবসায় ও আন্তরিক আগ্রহে নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনায় তোমরা ছিলে সচেষ্ট। তোমাদের প্রাণোচ্ছল সাহচর্য আর শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রীতিস্নিগ্ধ শিক্ষায় বিদ্যালয়ের দিনগুলো হয়েছে ঐতিহ্যময়। ভাই-বোনের মধুর স্নেহডোরে বেঁধেছিলে আমাদের। আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে যাচ্ছো তখন বলি, Ñ এই বিদ্যালয়ের স্মৃতিময় দিনগুলো তোমরা যেন ভুলে না যাও। যেন না ভোল প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক অবদানের কথা। এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা।
সূর্যশিখা ভাইবোনেরা,
লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, সংকীর্ণতা, পশ্চাৎপদতার আঁধার এখনও দেশ থেকে ঘোচেনি। নতুন শতাব্দীর অগ্রপথিক তোমরা। বিশ্বায়নের নবদিগন্তে এদেশে নব নব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জনে তোমরা আমাদের প্রেরণা হবে এই প্রত্যাশা নিয়ে কামনা করব : মহৎ আদর্শে নতুন দেশ ও নতুন বিশ্ব গড়ার সাধনায় তোমরা সফল হও।
তোমরা দেশের হও, দশের হও, বিশ্বের হও। তোমাদের চিন্তা ও কর্ম হোক-দেশব্রতী কর্মীর, সৃষ্টিশীল কারিগরের, মানবমুক্তির সৈনিকের।
তোমরা সার্থক হও। তোমাদের সাধনা হোক দেশ ও জাতির ঐতিহ্য, গর্ব ও ইতিহাস।

তোমাদের সাথি
ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ
ফিলিপনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
২৫শে জানুয়ারি, ২০১৬।
 নিমন্ত্রণপত্র
১. তোমার স্কুলে ‘নজরুল জন্মজয়ন্তী’ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা করো।

সুধী,

আগামী ১১ই ভাদ্র, ১৪২২ / ২৯শে আগস্ট, ২০১৬, শনিবার বিকাল চারটায় বিদ্রোহী ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার চμবর্তী। অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি।
বিনীতÑ
তারিখ : ২৫.০৮.২০১৬ ফরিদ আহমদ সলিল
আহŸায়ক
নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদ
হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা।
অনুষ্ঠানসূচি
০৪. ০৫ : অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ
০৪. ১৫ : বিশেষ আলোচনা
০৫. ০০ : প্রধান অতিথির ভাষণ
০৫. ৩০ : সভাপতির ভাষণ
০৬. ০০ : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

২. ধরো, তোমাদের পাড়ায় “মৈত্রী সংঘ” নামে একটি ক্লাব আছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণপত্র রচনা করো।
প্রিয় সুধী,

শুভ ‘নববর্ষ’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আগামী ১লা বৈশাখ, ১৪২৩ /১৪ই এপ্রিল, ২০১৬, মঙ্গলবার সকাল ০৭টায় ‘মৈত্রী সংঘের’ পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি সবান্ধব আমন্ত্রিত।

বিনীতÑ
তারিখ : ১০.০৪.২০১৫ অরিন্দম খালেক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
আঞ্চলিক মৈত্রী সংঘ, সিলেট।

অনুষ্ঠানসূচি
০৬.৩০ : মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি
০৭.৩০ : সংঘ-প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু; এলাকা পরিভ্রমণ
০৯.০০ : সংঘের মিলনায়তনে প্রীতিভোজ
১০.০০ : মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
১২.০০ : সমাপ্তি।

Leave a Reply