অষ্টম শ্রেণীর সহপাঠ রবিনসন ক্রুশো

রবিনসন ক্রুশো
ড্যানিয়েল ডিফো

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. ক্রুশোকে নিয়ে বাবার কী ইচ্ছে ছিল?
 ওকালতি করুক খ ব্যবসা করুক
গ পর্যটক হউক ঘ নাবিক হউক
২. রবিনসন ক্রুশোর জাহাজটি কীসের কবলে পড়ল?
ক ডাকাতের খ বর্বর লোকদের  ঝড়ের ঘ হিংস্র জন্তুর
৩. রবিনসন ঐ দ্বীপের ‘মুকুটহীন রাজা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
র. দ্বীপের নির্বাচিত অধিপতি রর. দ্বীপের মালিক
ররর. দ্বীপের একচ্ছত্র অধিপতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  ররর ঘ রর ও ররর

নিচের অংশটুকু পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
এবারে রবিনসনের ভাবনা-এগুলো মাড়াই করবে কীভাবে? তাছাড়া চাই জাঁতাকল আর রুটি সেঁকবার জন্য তাওয়া। যাই হোক, বুদ্ধিমান রবিন শক্ত কাঠ দিয়ে জাঁতা তৈরি করল, আর নরম মাটি থালার মতো পিটিয়ে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করল তাওয়া।
৪. ‘এগুলো মাড়াই করবে কীভাবে? এগুলো কী?
ক গম ও যব খ ধান ও গম  ধান ও যব ঘ যব ও ভুট্টা
৫. জাঁতাকল দিয়ে কী করা হয়?
 মাড়াইয়ের কাজ খ ধান ভাঙার কাজ
গ ডাল ভাঙার কাজ ঘ চাষাবাদের কাজ

৬. নিঝুম দ্বীপে রবিনসনের কত বছর কেটেছিল?
ক ২৪ খ ২৬ গ ২৭ ˜ ২৮
৭. রবিনসন কত বছর পর দেশে ফেরে?
˜ ২৮ খ ৩১ গ ৩৫ ঘ ৩৭
৮. মনিবের নিকট থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রবিনসন চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে ওঠে?
ক চতুরতা খ স্বার্থপরতা গ সাহসিকতা ˜ বুদ্ধিমত্তা
৯. ফ্রাইডের প্রতি রবিনসনের মুগ্ধ হওয়ার কারণÑ
র. ভক্তি রর. ভালোবাসা ররর. বিশ্বস্ততা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১০. রবিনসনের বাবা পুত্রকে লেখাপড়া শিখিয়ে কী করতে চেয়েছিলেন?
ক ব্যবসায়ী খ বিচারক গ নাবিক ˜ উকিল
১১. রবিনসন গিনি উপকূলে গিয়ে পাঁচ পাউন্ডের জিনিস কত পাউন্ডে বিক্রয় করল?
ক উনিশ ˜ বিশ গ একুশ ঘ বাইশ
১২. রবিনসন কোন শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন?
ক প্যারিস ˜ লন্ডন গ ফ্রান্স ঘ করাচি
১৩. রবিনসন ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল কোথায়?
ক গাছের গায়ে ˜ পাহাড়ের গায়ে
গ মাটির দাগ কেটে ঘ ছাগলের চামড়ায়
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৪ ও ১৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রে প্রচÐ ঢেউ দেখেও স্পিড বোটে ওঠে রাকিব ও রাব্বি, ঢেউয়ের তোড়ে স্পিড বোট ডুবে গেলে রাকিব সাঁতরে তীরে আসতে সক্ষম হলেও রাব্বিকে আর খুুঁজে পাওয়া যায় না।
১৪. উদ্দীপকের ঘটনাটি কোন রচনার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত?
˜ রবিনসন ক্রুশো খ সাড়ে তিন হাত জমি
গ মার্চেন্ট অব ভেনিস ঘ সোহরাব রোস্তম
১৫. উক্ত বিষয়টি হলোÑ
ক সত্য গোপনের পরিণতি হয় ভয়াবহ
খ অতি লোভ জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ
গ পরের অনিষ্ট চিন্তা নিজের ক্ষতির কারণ
˜ অতি উৎসাহ প্রায়ই দুর্ভাগ্য ডেকে আনে
১৬. রবিনসনকে যিনি ক্রয় করেছিলেন তার কীসের নেশা ছিল?
ক গাড়ি চালানো  মাছ ধরার
গ পাখি শিকারের ঘ ভ্রমণ করার
১৭. ব্রাজিলে গিয়ে রবিনসন কী করে নিজের অবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল?
ক ব্যবসা করে  জমিতে চাষাবাদ করে
গ মূল মালিককে ঠকিয়ে ঘ সমুদ্রে মাছ ধরে
১৮. রবিনসন কত বছর পর দেশের মাটিতে পা রেখেছিল?
ক ৩০ খ ৩২ গ ৩৪  ৩৫
১৯. পর্তুগিজ জাহাজটি রবিনসনকে কোন বন্দরে নামিয়ে দিল?
 ব্রাজিল খ ইয়ার্ক গ লন্ডন ঘ গিলি
২০. রবিনসন মনিবের কাছে প্রিয় হয়ে উঠল কেন?
 মাছ ধরতে পারবে বলে খ গান গাইতে পারত বলে
গ ভ্রমণের নেশা ছিল বলে ঘ জ্ঞানী ছিল বলে
২১. ‘রবিনসন রাজা আর ওরা সব যেন প্রজা’Ñ এখানে ‘ওরা’ কারা?
ক হাঁস-মুরগি  কুকুর-বিড়াল
গ ময়না-শালিক ঘ গরু-ছাগল
২২. গিনি উপক‚লে রবিনসন গেল
র. পুঁতির মালার ব্যবসা করতে রর. প্লাস্টিকের খেলনার ব্যবসা করতে
ররর. ফুলের মালার ব্যবসা করতে
নিচের কেনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর
২৩. রবিনসন ফ্রাইডের প্রতি খুবই মুগ্ধ ছিল
র. ভক্তির কারণে রর. ভালোবাসার কারণে
ররর. বিশ্বাসের কারণে
নিচের কেনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২৪. সর্বশেষ দ্বীপে আসা জাহাজের মানুষদের দেখে রবিনসনের মনে হলো, তারাÑ
র. শ্বেতাঙ্গ রর. ইংরেজ ররর. স্বজাতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২৫. রবিনসন ক্রুশো পৃথিবীর সাথে সম্পর্কহীন এক দ্বীপের ‘মুকুটহীন রাজা’, কারণ, তিনি ছিলেন ঐ দ্বীপের Ñ
র. নির্বাচিত অধিপতি রর. মালিক ররর. একচ্ছত্র অধিপতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পটির লেখক কে? (জ্ঞান)
ক মার্ক টোয়েন  ড্যানিয়েল ডিফো
গ উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ঘ জন কিটস
২৭. ‘রবিনসন ক্রুশো’ কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক লন্ডন খ ভেনিস  ইয়র্ক ঘ ফ্রাঙ্কফুট
২৮. ‘রবিনসন ক্রুশো’ কেমন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 সম্ভ্রান্ত খ দরিদ্র গ উচ্ছৃঙ্খল ঘ নিচু
২৯. রবিনসনের বাবা ছেলেকে কোন পেশায় নিযুক্ত করতে চেয়েছিলেন? (জ্ঞান)
 ওকালতি খ শিক্ষকতা গ চিকিৎসা ঘ প্রকৌশল
৩০. ছেলেবেলা থেকে রবিনের কীসের প্রতি ঝোঁক ছিল? (জ্ঞান)
 ভ্রমণ করা খ পড়াশোনা করা গ কৃষিকাজ করা ঘ ব্যবসা করা
৩১. বড় হয়ে রবিন কোন জায়গার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছিল? (জ্ঞান)
 লন্ডনের খ ভেনিসের গ প্যারিসের ঘ ওয়াশিংটনের
৩২. লন্ডনে আসার কয়েকদিন পর রবিনসন ক্রুশোর কার সাথে পরিচয় হয়েছিল? (জ্ঞান)
 জাহাজ মালিকের খ চিংড়ি ব্যবসায়ীর
গ স্বর্ণকারের ঘ উড়োজাহাজ মালিকের
৩৩. প্রথমবার রবিনসন ৫ পাউন্ডের জিনিস কত পাউন্ড বিক্রি করেছিল? (জ্ঞান)
ক ১০ পাউন্ড খ ১৫ পাউন্ড  ২০ পাউন্ড ঘ ২৫ পাউন্ড
৩৪. রবিনসন এবং তার জাহাজ আটক করেছিল কারা? (জ্ঞান)
 মুর জলদস্যু খ উইঘুর জলদস্যু
গ হানসু জলদস্যু ঘ মাউরি জলদস্যু
৩৫. জলদস্যুরা রবিনসনকে বিক্রি করে দিয়েছিল কী হিসেবে? (জ্ঞান)
 ক্রীতদাস হিসেবে খ নাবিক হিসেবে
গ শ্রমিক হিসেবে ঘ বিজ্ঞানী হিসেবে
৩৬. রবিনসনের মনিবের নেশা ছিল কোনটি? (জ্ঞান)
 মাছ ধরার খ নৌকা চালানোর
গ গান শোনার ঘ বাগান করার
৩৭. জনাব ‘ব’ নামক ব্যক্তিটিকে বিক্রি করে দেয়ার পর সে একজন ভালো মনিবের হাতে পড়ে। ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের কোন ব্যক্তির জীবনীর সাথে ‘ব’ ব্যক্তির সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
 রবিনসন ক্রুশো খ মুর জলদস্যু
গ জাহাজ মালিক ঘ ক্যাপ্টেন
৩৮. রবিনসনকে সমুদ্র বিপদে কারা বাঁচিয়েছিল? (জ্ঞান)
 পর্তুগিজরা খ ওলন্দাজরা
গ ফরাসিরা ঘ স্পেনীয়রা
৩৯. সমুদ্রে ভাসমান থাকায় কত দিন পরে রবিনসন পর্তুগিজ জাহাজের দেখা পেয়েছিল? (জ্ঞান)
ক একদিন  দুদিন গ তিনদিন ঘ চারদিন
৪০. ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি উদাসীন সিমন পারভেজ বিশ্বকে অবলোকন করার জন্য বাড়ি থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন। রবিনসন ক্রুশোর কোন বৈশিষ্ট্যটির সাথে তার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
 ভ্রমণপ্রিয়তা খ উদাসীনতা
গ কৌত‚হলপ্রিয়তা ঘ ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি
৪১. রবিনসন দ্বীপের মধ্যে রাত কাটানোর জন্য কী তৈরি করেছিল? (জ্ঞান)
ক ঘর  মাচা গ তাঁবু ঘ বিছানা
৪২. রবিনসন ছোট থলেটি খুলে কী দেখতে পেয়েছিল? (জ্ঞান)
ক মুদ্রা খ রুপা  তুষ ঘ লোহা
৪৩. রবিনসন ছাগলের চামড়া দিয়ে কী তৈরি করেছিল? (জ্ঞান)
 পোশাক খ জুতা গ পতাকা ঘ বিছানা
৪৪. বন থেকে কাঠ নিয়ে রবিনসন প্রথমে কী তৈরি করেছিল? (জ্ঞান)
 চেয়ার খ টেবিল গ শেলফ ঘ খাট
৪৫. রবিনসন কী দিয়ে জ্বালানি কাঠ কাটা কুড়াল তৈরি করেছিল? (জ্ঞান)
 লোহা খ সোনা গ তামা ঘ রুপা
৪৬. একদিন বালির উপর রবিনসন কী দেখতে পেয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ঝিনুক খ মাছ  পায়ের ছাপ ঘ মৃত মানুষ
৪৭. ‘কিছুদিনের মধ্যে দেখা দিল এক নতুন অশান্তি।’ এ অশান্তির কারণ কী ছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পশুপাখির উৎপাত খ চোর-ডাকাত বৃদ্ধি
 মানুষের আনাগোনা ঘ খাদ্যের অভাব
৪৮. আগুনের কুÐলীর চারদিকে কত জন লোক নাচছিল? (জ্ঞান)
 ত্রিশের মতো খ প্রায় ২০ জন
গ পঁচিশের মতো ঘ একশ’র মতো
৪৯. লোকটি রবিনসনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
 প্রাণ বাঁচানোর জন্য খ আশ্রয় দেয়ার জন্য
গ খাবার দেওয়ার জন্য ঘ জাহাজে তুলে নেয়ার জন্য
৫০. একা রবিনসনের একজন দোসর হয়েছিল কে? (জ্ঞান)
 ফ্রাইডে খ মানডে গ সানডে ঘ টুয়েসডে
৫১. দূরে আবারো একটি নতুন জাহাজ দেখা যাচ্ছে। রবিনসনকে এ খবরটা কে দিয়েছিল? (জ্ঞান)
ক মাঝি খ বাঘ গ কুকুর  ফ্রাইডে
৫২. নোঙর করা জাহাজের লোকগুলোকে সতর্কতার সাথে দেখে রবিনসন কী বুঝতে পেরেছিল? (জ্ঞান)
 ওরা স্বজাতির লোক খ ভিন্ন জাতির লোক
গ ওরা ডাকাত ঘ ওরা আশ্রয়হীন
৫৩. রবিনসন বন্দিদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
 আত্মরক্ষার জন্য খ শিকার করার জন্য
গ আক্রমণ করার জন্য ঘ রেখে দেয়ার জন্য
৫৪. স্বজাতির লোকেরা রবিনসনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
 প্রাণ বাঁচানোর জন্য খ আশ্রয় দেয়ার জন্য
গ সম্পদ দেয়ার জন্য ঘ শিক্ষা দেয়ার জন্য
৫৫. সমুদ্র উপক‚লে প্রচÐ ঝড়ে বিপথগামী একটি জাহাজের মানুষকে রক্ষা করতে উপক‚লীয় একজন ব্যক্তি সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। রবিনসন ক্রুশোর জীবনের কোন ঘটনার সাথে এ ঘটনার মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক দ্বীপে আশ্রয় নেয়া  স্বজাতির লোকের প্রাণ বাঁচানো
গ ফ্রাইডেকে সাথী করে নেয়া ঘ ফ্রাইডেকে নিজ দেশে যেতে দেয়া
৫৬. রবিনসন জাতিতে কী ছিল? (জ্ঞান)
 ইংরেজ খ স্প্যানিস গ পর্তুগিজ ঘ ফ্রেঞ্চ
৫৭. রবিনসন জাহাজডুবি হওয়া মানুষদেরকে দ্বীপে এসে বসবাস করার ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
ক রবিনসনের কাজে সহায়তার জন্য
 রবিনসনের বশ্যতা স্বীকার করার জন্য
গ অধিক ফসল উৎপাদন করার জন্য
ঘ জাহাজ পরিচালনার জন্য
৫৮. জাহাজে কারা ষড়যন্ত্র করে ক্যাপ্টেন আর মেটদের বন্দি করে? (জ্ঞান)
ক জলদস্যুরা  খালাসিরা গ পর্তুগিজরা ঘ দ্বীপবাসীরা
৫৯. কত বছর পর রবিনসন নিজ দেশে পা রেখেছিল? (জ্ঞান)
 ৩৫ বছর খ ৩৭ বছর গ ৪৮ বছর ঘ ৫০ বছর
৬০. একদিন বেলাভ‚মিতে হাঁটার সময় কী দেখে রবিনসনের চক্ষু স্থির হয়ে যায়?
ক বিশালাকার হাঙ্গর দেখে
 প্রকাÐ এক পায়ের ছাপ দেখে
গ মানুষের হাড়গোড় দেখে
ঘ পরিত্যক্ত কাঁথা-বালিশ দেখে
৬১. রবিনসন দ্বীপে পৌঁছে রাত কোথায় কাটিয়েছিল? [পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর]
ক চরের বালুর উপর  গাছের উপর
গ মাছের উপর ঘ পাহাড়ের উপর
৬২. দুজন বন্দির একজন কে ছিল? [পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক ফ্রাইডের ভাই  ফ্রাইডের বাবা
গ ফ্রাইডের বন্ধু ঘ ফ্রাইডের সহকর্মী
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. ‘রবিনসন ক্রুশো’ পছন্দ করতেন (অনুধাবন)
র. পড়াশোনা রর. সমুদ্রযাত্রা ররর. ভ্রমণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. জনাব মিল্টন পড়াশোনার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করেন। রবিনসনের সাথে তার বৈসাদৃশ্যগত দিক হলো (প্রয়োগ)
র. পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক রর. সমুদ্রযাত্রা পছন্দ করা
ররর. প্রকৃতিকে ভালোবাসা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. ‘অমন বিশ্বাসী ভৃত্য বোধ হয় কেউ কোনোদিন পায়নিÑ যেমনটি ছিল ফ্রাইডে’ রবিনসনের এ উক্তির মধ্যে ফুটে উঠেছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভালোবাসা রর. কৃতজ্ঞতা ররর. সহানুভ‚তি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ার পর রবিনের যা হলো Ñ (অনুধাবন)
র. নৌকায় করে ক‚লে পৌঁছল
রর. ভেসে উঠল
ররর. সাঁতার কেটে ক‚লে পৌঁছল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৭ ও ৬৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পড়াশোনার পাশাপাশি বিল্টু সুযোগ পেলেই নৌভ্রমণে বের হয়। একবার প্রচÐ ঝড়ে একটি লঞ্চ ডুবে যেতে দেখে বিল্টু সর্বাত্মকভাবে যাত্রীদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। যাত্রীদের দিশেহারা না হয়ে মনোবল দৃঢ় করার পরামর্শ দেয় বিল্টু।
৬৭. বিল্টুর সাথে রবিনসন ক্রুশোর সাদৃশ্যগত দিক হলো (প্রয়োগ)
র. ভ্রমণপ্রিয়তা
রর. বিপদাপন্নদের সহযোগিতা
ররর. পড়াশোনার প্রতি একাগ্রতা
নিচের কেনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. উদ্দীপকটি কোন দিক দিয়ে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ (প্রয়োগ)
 রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা খ ভ্রমণপ্রিয়তা
গ সহযোগিতা ঘ একাগ্রতা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৬৯ ও ৭০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সিয়ামকে বিপদে সাহায্যকারী জনাব ফাহাদ অল্প দিনের মধ্যে তার আচরণে সন্তুষ্ট হন। তিনি মনে করেন এমন বিশ্বাসী লোক পৃথিবীতে আর একটিও নেই।
৬৯. সিয়ামের সাথে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের কোন চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক রবিনসন  ফ্রাইডে গ ফ্রাইডের বাবা ঘ ক্যাপ্টেন
৭০. উক্ত চরিত্রটির বৈশিষ্ট্যগত দিক হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দৃঢ় মনোভাবপূর্ণ রর. বিশ্বাসী
ররর. শ্রদ্ধাশীল
নিচের কেনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রবিনসন ওদের সব কথা শুনে নিজের দ্বীপে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে সম্মত হলো, কিন্তু শর্ত হবে যে, তারা এখানে সবাই রবিনসনের বশ্যতা স্বীকার করে নেবে এবং কখনো কেউ রবিনসনের বিরোধিতা করবে না। এই শর্তের কারণটাও রবিনসন ওদের বুঝিয়ে বলল, তা হলো, মানুষের সাধারণত স্বভাব হচ্ছে এমন, বিপদের সময় যে উপকার করে, বিপদ কেটে গেলে উপকারীর অপকার করতে ঐ মানুষের মনে বাধে না। এক্ষেত্রে বনের পশু বরং উত্তম প্রাণী।
ক. রবিনসন কাদের সব কথা শুনে নিজের দ্বীপে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে সম্মত হলো?
খ. অনুচ্ছেদে রবিনসনের বুদ্ধিমত্তার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখ।
গ. উদ্ধৃতিতে রবিনসনের উক্তিতে কৃতঘœ শ্রেণির মানুষের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছেÑ আলোচনা কর।
ঘ.‘এক্ষেত্রে বনের পশু বরং উত্তম প্রাণী’Ñ উদ্দীপকের কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রবিনসন স্প্যানিশ ও পর্তুগিজদের সব কথা শুনে নিজের দ্বীপে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে সম্মত হলো।
খ. মানুষের স্বভাব বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রবিনসনের দূরদর্শিতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
অনুচ্ছেদটিতে রবিনসনের দূরদর্শিতা ও মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। কারণ সে জানে মানুষের বিপদ কেটে গেলে মানুষ তখন উপকারীর কথা মনে রাখে না। সে আরও একটি বিষয় ভালো করে জানে, এই জনহীন দ্বীপে তার কথা সবাই না শুনলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং সবাই মারা পড়বে। তাই সে শর্ত জুড়ে দেয় যে, সবাই তার বশ্যতা স্বীকার করে নেবে। সকলের উপকার করে পরে যেন নিজের বিপদ না ঘটে সেই ভাবনা দূর করতেই এ বুদ্ধিদীপ্ত শর্ত রবিনসন আরোপ করে।
গ. উদ্ধৃতিটিতে রবিনসনের উক্তিতে কৃতঘœ শ্রেণির মানুষের বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায়।
কৃতঘœ মানুষ তারাই যারা মানুষের উপকার স্বীকার করে না, অপকার করে। কৃতঘœ শ্রেণির মানুষ বিপদের সময় মানুষের উপকার প্রার্থনা করে। বিপদ কেটে যাওয়ার পর উপকারীর উপকারের কথা সে ভুলে যায়। পরে উপকারীর অপকার করতেও তার মনে বাধে না। রবিনসনের উক্তিতে কৃতঘœ শ্রেণির মানুষের এই বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠেছে। তাই স্প্যানিশ ও পর্তুগিজদের কাছ থেকে এমন আচরণের আশঙ্কা করে সে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়।
তাই বলা যায়, উদ্দীপক এবং আলোচ্য গল্পে অপরাধী কৃতঘœ মানুষকে পশুর সমপর্যায় মনে করা হয়েছে।
ঘ. উদ্ধৃত অংশটুকুতে রবিনসন ক্রুশোর কথার মাধ্যমে কৃতঘœ মানুষের চেয়ে বনের পশুকে উত্তম প্রাণী বলা হয়েছে।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হলেও বনের পশুরা মানুষের চেয়ে বেশি বিশ্বস্ত থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্যি অধিকাংশ মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য হলো কৃতঘœতা। বিপদে সাহায্য পেলেও বিপদ কেটে যেতেই সেই সাহায্যের কথা ভুলে যায় মানুষ। বিপদের দিনের সাহায্যকারীর অনিষ্ট সাধনেও কোনো কোনো চরিত্রহীন মানুষের মন বাধা পায় না। এ ধরনের মানুষকে বলা হয় কৃতঘœ।
বনের পশুপাখিরা সব সময় তার মনিবের আপদে বিপদে সঙ্গী হয়ে থাকে এবং একবার বিশ্বস্ত হয়ে গেলে কোনোভাবেই মনিবের কোনো ক্ষতি করে না। সামর্থ্য অনুযায়ী মনিবের উপকার করে যায়। মনিবের দুঃখে এরা দুঃখী হয়। মনিবের সাথে সবসময় এরা বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে।
তাই এদিক থেকে বনের পশুপাখিদের ‘রবিনসন ক্রুশো’ কৃতঘœ মানুষের তুলনায় উত্তম বলেছেন।

প্রশ্ন -২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
Ñ সাগর পাড়ি দেব আমি নবীন সওদাগর
সাত সাগরে ভাসবে আমার সপ্ত মধুকর।
আমার ঘাটের সওদা নিয়ে যাবো দূরের ঘাটে,
চলবে আমার বেচা-কেনা বিশ্বজোড়া হাটে।
ক. কত বছর পর রবিনসন ক্রুশো নিজের দেশে ফিরে এলো? ১
খ. অজানা দ্বীপে রবিনসন তারিখের হিসাব ঠিক রেখেছিল কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকের ‘সওদাগর’ এর সাথে রবিনসন ক্রুশোর যে স্বভাবগত মিল পরিলক্ষিত হয়, তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের সূচনা নির্দেশ করলেও পরিণতির আভাস দেয় না”Ñউক্তিটির যথার্থতা বিচার কর। ৪
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পঁয়ত্রিশ বছর পর রবিনসন ক্রুশো নিজের দেশে ফিরে এলো।
খ. পাহাড়ের গায়ে পরপর তারিখ লিখে ক্যালেন্ডার তৈরির মাধ্যমে অজানা দ্বীপে রবিনসন তারিখের হিসাব ঠিক রেখেছিল।
লোকালয়ের সঙ্গে সম্পর্কহীন এক দ্বীপে বাস করলেও রবিনসন দিন-মাস বছরের হিসাব ঠিক রেখেছিল। যেদিন তার নৌকা ডুবে গিয়েছিল সেদিনকার তারিখ তার মনে ছিল। তাই সে একটি পাহাড়ের গায়ে পরপর তারিখ লিখে ক্যালেন্ডার তৈরি করে রেখেছিল। আর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তা একটি একটি করে কেটে দিত। এভাবেই সে অজানা দ্বীপে তারিখের হিসাব রেখেছিল।
গ. উদ্দীপকের সওদাগরের সাথে রবিনসন ক্রুশোর সাগরের প্রতি আকর্ষণের বিষয়টিতে মিল পরিলক্ষিত হয়।
ছোটবেলা থেকেই রবিনসনের সমুদ্রের প্রতি গভীর টান ছিল। তাই তো সে পিতার আদেশ অমান্য করে ছুটে গিয়েছে সমুদ্র ভ্রমণে।

ধীরে ধীরে সে সমুদ্রযোগে পৃথিবীর নানা স্থানে ভ্রমণ করে। সাগরের মাঝে সে ব্যবসাও শুরু করে। যা তার জীবনধারণে সাহায্য করত। সাগরের মাঝেই তার জীবনের অর্ধেকটা সময় পার হয়েছিল।
উদ্দীপকেও সওদাগরের মাঝে সমুদ্রপ্রীতি বিদ্যমান। সে সাগরের মাঝে বাণিজ্য করে। মালামাল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে। এক্ষেত্রে কোনো বাধাই তার বাধা মনে হয় না। পৃথিবীর সর্বত্র সওদা করতে চায় সে। তাই বলা যায়, সমুদ্রের প্রতি আকর্ষণের বিষয়টিতে উদ্দীপকের সওদাগর ও গল্পের রবিনসনের মধ্যে মিল রয়েছে।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের সূচনা নির্দেশ করলেও পরিণতির আভাস দেয় না”Ñ উক্তিটি যথার্থ।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে সমুদ্রের প্রতি প্রবল আকর্ষণ রবিনসনের। তাই তো সে পিতার কথার অবাধ্য হয়ে পাড়ি জমায় সমুদ্রে। সমুদ্র ভ্রমণের সময় সে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। ঘটনাক্রমে সে এক দ্বীপে নির্বাসিত হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর সে এই দ্বীপে অবস্থান করে। দ্বীপের মাঝে নানা প্রতিক‚ল অবস্থাও মোকাবিলা করে সে। নির্জন দ্বীপের মাঝে বিচিত্র বিষয়ের সম্মুখীন হয় সে। শেষে বহু প্রতীক্ষার পর বাড়ি ফিরে আসে।
উদ্দীপকে শুধু সমুদ্র প্রীতির বিষয়টি লক্ষ করা যায়। এখানে সওদাগরের সমুদ্রের প্রতি গভীর টান। তাই সে সমুদ্রের পথে বাণিজ্য করতে চায়। সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে চায়। বিশ্বজুড়েই যেন তার হাট-বাজার।
উদ্দীপকে সমুদ্রের প্রতি আকর্ষণের দিকটি ফুটে উঠেছে; যা গল্পের সূচনাকে ইঙ্গিত করে কিন্তু রবিনসনের মতো তার ফিরে আসার দিকটি অনুপস্থিত, যা পরিণতির আভাস দেয় না।

প্রশ্ন -৩  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
২৮শে এপ্রিল ১৯৯১ সাল। এ দিনে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চল প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় আবীর গিয়ে পৌঁছল এক অজানা-অচেনা নির্জন জায়গায়। আবীর সবাইকে হারিয়ে ভেঙে না পড়ে সেখানকার অনাবাদি জমিগুলোতে চাষ করতে শুরু করল। এভাবে সে হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে যাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল তারাই আবার তাকে পথের ভিখারি বানিয়ে দিল।
ক. রবিনসনকে নিয়ে তার বাবার কী ইচ্ছে ছিল? ১
খ. রবিনসন কীভাবে ক্রীতদাস হলো? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. আবীরের অজানা-অচেনা নির্জন জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সাথে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের কোন ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে আবীরের পরবর্তী সময়ের ঘটনার সাথে মানুষের স্বভাব সম্পর্কে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসনের উক্তিটির সত্যতা মেলে।” মন্তব্যটি বিচার কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রবিনসনকে নিয়ে তার বাবার ইচ্ছে ছিল সে আইন পাস করে ওকালতি করবে।
খ. ব্যবসা করে গিনি থেকে ফেরার পথে কয়েকজন জলদস্যু রবিনসনের জাহাজ আক্রমণ করে এবং তাকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়।
ছোট বেলা থেকে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছায় রবিনসন লন্ডনে আসার পর এক জাহাজ মালিকের পরামর্শে গিনি উপক‚লে ব্যবসা শুরু করে এবং লাভবান হয়। তবে পরবর্তীতে ব্যবসা করে গিনি থেকে ফেরার পথে কয়েকজন মুর জলদস্যুর কবলে পড়লে তাকেসহ জাহাজের সবাইকে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি করে দেয়। ফলে রবিনসন ক্রীতদাসে পরিণত হয়।
গ. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসনের পৃথিবীর সাথে সম্পর্কহীন দ্বীপে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে আবীরের অজানা-অচেনা নির্জন জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সাদৃশ্য আছে।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে গিনির যাওয়ার পথে রবিনসনের জাহাজ ঝড়ের মুখে পড়ে, এতে সকলের প্রাণনাশ ঘটে। আর কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া রবিনসনের ঠাঁই হয় পৃথিবীর সাথে সম্পর্কহীন এক দ্বীপে। সেখানে সে একা একা জীবনযাপন করে এবং বেঁচে থাকার তাগিদে সেই জনহীন দ্বীপে চাষাবাদ করে ২৮ বছর জীবন অতিবাহিত করে।
উদ্দীপকেও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় আবীরের ঠাঁই হয় এক অজানা অচেনা নির্জন জায়গায়। আবীর সবাইকে হারিয়ে ভেঙে না পড়ে সেখানকার অনাবাদি জমিগুলোতে চাষ দিয়ে ফসল ফলায় এবং প্রচুর সম্পদের মালিক হয়। আবীর ও রবিনসনের নির্জন জায়গায় পৌঁছানোর প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সবাইকে ছেড়ে নির্জন জায়গায় অবস্থান করা এবং জীবন বাঁচানোর তাগিদে চাষাবাদ করে ফসল ফলানোর দিকটির সাথে তাদের উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে আবীরের পরবর্তী সময়ের ঘটনার সাথে মানুষের স্বভাব সম্পর্কে রবিনসনের উক্তিটির পুরোপুরি সত্যতা মেলে।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসন বলে যে, মানুষের সাধারণ স্বভাব হচ্ছে বিপদের সময় যে তার উপকার করে, বিপদ কেটে গেলে উপকারীর অপকার করতে ঐ মানুষের মনে একটুও বাধে না। এক্ষেত্রে বনের পশুই বরং উত্তম প্রাণী।
উদ্দীপকে আবীর একাই নির্জন জায়গাটিকে বসবাস উপযোগী করে তোলে এবং পরবর্তী সময়ে বিপদগ্রস্তদের আশ্রয় দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরে তারাই আবার আবীরকে পথের ভিখারি বানায়।
সুতরাং রবিনসনের উক্তিতে মানুষের স্বভাব সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আবীরের জীবনেই তার পুরোপুরি সত্যতা মেলে।
প্রশ্ন-৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আলাওল বাবার সাথে রাজকীয় কাজে যাবার সময় জলদস্যু হার্মাদ কর্তৃক আক্রান্ত হয়। আলাওলের বাবা নিহত হয় এবং আলাওল ধৃত হয়ে ক্রীতদাস হিসেবে রোসাঙ্গ সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু আলাওলের কাব্য প্রতিভার পরিচয় পেয়ে অমাত্য মাগন ঠাকুর তাকে রাজকবির মর্যাদা দেয়।
ক. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রচয়িতা কে? ১
খ. রবিনসন কেন বাড়িতে না বলে বেরিয়ে পড়ল? ২
গ. আলাওল চরিত্রের সাথে রবিনসনের মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘সাদৃশ্য থাকলেও রবিনসন পুরোপুরি আলাওল নয়’Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রচয়িতা ড্যানিয়েল ডিফো।
খ. রবিনসন বাবার ইচ্ছার চেয়ে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাড়িতে না বলে বেরিয়ে পড়ল।
ইয়র্ক শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে রবিনসন। তার বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে আইন পাস করে ওকালতি করুক। কিন্তু ভ্রমণপিপাসু রবিনসনের প্রবল ঝোঁক ছিল দেশ-বিদেশে ঘুরে বোড়ানোর প্রতি, বিশেষ করে সমুদ্র ভ্রমণে। সে জানত তার বাবা-মায়ের কাছে তার ইচ্ছা কখনই প্রাধান্য পাবে না। তাই নিজের ইচ্ছা প্রতিষ্ঠিত করতে লন্ডন যাওয়ার উদ্দেশে সে বাড়িতে না বলে বেরিয়ে পড়ল।
গ. জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি হওয়ার ঘটনাটিতে আলাওলের চরিত্রের সাথে রবিনসনের মিল আছে।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসন গিনি উপক‚ল থেকে ব্যবসা করে ফেরার পথে মুর জলদস্যু কর্তৃত আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি হয়। সে মাছ ধরার কৌশল জানার জন্য মনিবের খুবই প্রিয় ব্যক্তি ও বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকেও আলাওল বাবার সাথে রাজকীয় কাজে যাওয়ার পথে জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হয়। কিন্তু আলাওলের ভালো কাব্য প্রতিভা থাকায় সে তার মনিবের প্রিয় হয়ে ওঠে এবং মাগন ঠাকুরের রাজসভায় রাজকবির মর্যাদা পায়। জলদস্যু কর্র্তক আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাসরূপে বিক্রি হয়ে যাওয়া এবং স্ব-স্ব মেধা ও কর্মের দ্বারা নিজ নিজ মনিবের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টির সঙ্গে উভয়ের মধ্যে মিল রয়েছে।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও রবিনসন পুরোপুরি আলাওল নয়।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে ভ্রমণপিপাসু রবিনসন ইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করলেও দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশে লন্ডনে আসে এবং গিনি উপক‚লে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু একদিন জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাসরূপে এক মনিবের কাছে বিক্রি হয়। তার মনিবের ছিল মাছ ধরার নেশা তাই মাছ ধরার কৌশল জানা থাকায় সে মনিবের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকের আলাওল রাজকীয় কাজে বাবার সাথে যাবার সময় জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে বাবাকে হারিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হয়। পরবর্তীতে সে কাব্য প্রতিভাগুণে মাগন ঠাকুরের রাজসভায় রাজকবির মর্যাদা লাভ করে। সুতরাং রবিনসন ও আলাওলের মধ্যে কিছু বিষয় সাদৃশ্য থাকলেও তারা পুরোপুরি এক নয়।
রবিনসন ভ্রমণপিপাসু হওয়ায় স্বেচ্ছায় ইয়র্ক থেকে লন্ডনে আসে এবং সেখান থেকে ব্যবসা করতে গিনি উপক‚লে যায়। আর ঘটনাচক্রে জলদস্যুর খপ্পরে পড়ে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হয়। কিন্তু আলাওল বাবার সাথে রাজকীয় কাজে যাবার সময় জলদস্যুর খপ্পরে পড়ে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হয়। রবিনসন মাছ ধরার প্রতিভা দিয়ে মনিবের মন জয় করে আর আলাওল কাব্য প্রতিভার কারণে মাগন ঠাকুরের রাজকবির মর্যাদা পায়। অতএব, মালিকরেদ প্রিয়পাত্র হওয়ার বিষয়ে সাদৃশ্য থাকলেও রবিনসন পুরোপুরি আলাওল নয়।
প্রশ্ন-৫  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রতনের মা-বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানানোর কিন্তু রতনের ইচ্ছে সে সাংবাদিক হবে। অবশেষে রতন মা-বাবার ইচ্ছেকে সম্মতি জানায় এবং লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়। অবসর সময় পেলে সে সাংবাদিকতাও করে।
ক. কত বছর পর রবিনসন মনিবের কাছ থেকে পালানোর সুযোগ পেয়েছিল? ১
খ. রবিনসন তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়েছিল কেন? ২
গ. রতন ও রবিনসন ক্রুশোর মাঝে বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.রতন ও রবিনসন ক্রুশোর উভয়ের সংকল্পই তাদের জীবনের লক্ষ্যপূরণের নিয়ামক। উদ্দীপক ও ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. দুই বছর পর রবিনসন মনিবের কাছ থেকে পালানোর সুযোগ পেয়েছিল।
খ. দাসত্বের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের জন্য রবিনসন তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়েছিল।
সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান রবিনসন দুর্ভাগ্যবশত জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাসে পরিণত হয়। কিন্তু ক্রীতদাসের জীবন তার কখনই ভালো লাগত না। সে ভ্রমণবিলাসী ছিল এবং দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করত। তাই বন্দি জীবন তার কাম্য ছিল না। এজন্য বুদ্ধি করে কৌশলে সে একদিন তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়ে যায়।
গ. পিতামাতার প্রতি আনুগত্যের দিক দিয়ে ‘রবিনসন ক্রুশো’ ও রতনের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসনের বাবা তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করেছেন এবং বাবার ইচ্ছা ছিল রবিনসন আইন পাস করে ওকালতি করুক। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রবিনের ঝোঁক ছিল দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানো। তাই সে বাবার অবাধ্য হয়ে দেশ-বিদেশ ভ্রমণে বের হয়।
অপরপক্ষে উদ্দীপকের রতনের মা-বাবার ইচ্ছে ছিল রতনকে ডাক্তার বানানোর কিন্তু রতনের ইচ্ছে ছিল সাংবাদিক হওয়ার। তবে রতন বাবা-মা’র ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে লেখাপড়া শিখে শেষ পর্যন্ত ডাক্তার হয়। তাই বলা যায়, রতনের পিতা-মাতার ইচ্ছার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের দিক দিয়ে রতন ও ‘রবিনসন ক্রুশো’র মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. রতন ও রবিনসন ক্রুশো উভয়ের সংকল্পই তাদের লক্ষ্য পূরণের নিয়ামক।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসনের ইচ্ছা দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াবে। তাই সে বাবা-মায়ের বাধাকে অতিক্রম করে দৃঢ়সংকল্পে তার লক্ষ্য পূরণ করে। রবিনসন লক্ষ্য পূরণে সংকল্পবদ্ধ ছিল বিধায় বাবা-মা’র বাধা, জাহাজডুবি, জলদস্যুর আক্রমণ কোনো কিছুই তাকে দমাতে পারেনি, সে নিজের গতিতে লক্ষ্যপানে এগিয়ে গেছে।
তেমনি উদ্দীপকের রতনের ইচ্ছা সাংবাদিক হওয়ার। তাই বাবা-মায়ের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়াকে মেনে নিলেও সে তার লক্ষ্য পূরণে সংকল্পবদ্ধ ছিল। তাই ডাক্তারি পেশার মতো কঠিন কাজের পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতে পারছে। কেউ যদি তার লক্ষ্য পূরণে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় তাহলে তার জয় সুনিশ্চিত। তাই মানুষ সংকল্পবদ্ধ হলেই লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে জীবনকে সার্থক করে তুলতে পারে। যা রবিনসন ও রতনের মধ্যে দেখতে পাই।
সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, রতন ও রবিনসন ক্রুশোর উভয়ের সংকল্পই তাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণের নিয়ামক।
প্রশ্ন-৬  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সহযাত্রীদের দ্বারা পরিত্যক্ত নবকুমার অজানা অচেনা দুর্গম বনে ঘুরে বেড়াতে লাগল। কাপালিকের পালিত কন্যা কপালকুÐলা তাকে সাহায্য করল। কিন্তু কাপালিক নবকুমারকে হত্যা করার জন্য লতাপাতা দিয়ে বেঁধে রাখল। শেষে কপালকুÐলার সাহায্যে নবকুমার দেশে ফিরে এলো।
ক. ইয়র্ক থেকে লন্ডনে আসার পথে জাহাজটি কোথায় ডুবে গেল? ১
খ. লন্ডনে রবিনসন কেন আত্মীয়স্বজনের নিকট থেকে পাউন্ড ধার নিল? ২
গ. নির্জন বনে পরিত্যক্ত নবকুমারের সঙ্গে রবিনসনের জীবনের কোন ঘটনার মিল রয়েছে?Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘উদ্দীপকের নবকুমারের সাথে রবিনসনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অমিল বিদ্যমান’মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ইয়র্ক থেকে লন্ডনে আসার পথে জাহাজটি ইয়ারমাউথ নামক স্থানে ডুবে গেল।
খ. গিনি উপক‚লে ব্যবসা করার জন্য লন্ডনে রবিনসন আত্মীয়স্বজনের নিকট থেকে পাউন্ড ধার নিল।
দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রবিনসন বাবা-মাকে না জানিয়ে ইয়র্ক থেকে লন্ডনে আসে। লন্ডনে এক জাহাজ মালিকের পরামর্শে রবিনসন গিনি উপক‚লে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু ব্যবসা করার মতো নিজস্ব পুুঁজি না থাকায় বাধ্য হয়ে সে লন্ডনের আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে পাউন্ড ধার নেয়।
গ. পৃথিবীর সাথে সম্পর্কহীন দ্বীপে রবিনসনের একাকী পড়ে থাকার ঘটনার সাথে নির্জন বনে পরিত্যক্ত নবকুমারের মিল আছে।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসন দেশে-বিদেশে ঘোরার ঘটনাচক্রে অর্ধমৃত অবস্থায় নির্জন দ্বীপে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে জনমানবের কোনো চিহ্ন নেই। শুধু জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত ও জন্তু-জানোয়ারের আবাসভূমি। সব সঙ্গীকে হারিয়ে বনে ভীতসন্ত্রস্ত একাকী রবিনসনের বসবাস।
উদ্দীপকের নবকুমারও ঘটনাচক্রে জাহাজের সঙ্গীকে হারিয়ে জনমানবহীন নির্জন বনে উপস্থিত হয়। তারও প্রতিমুহ‚র্তে বিপদের আশঙ্কা থাকলেও দুর্গম বনে একা থাকতে হয়। সুতরাং একাকী নির্জন বনে উপস্থিত হওয়া এবং সেখানে অবস্থান করার ঘটনার সাথে নবকুমার ও রবিনসনের মিল রয়েছে।
ঘ. নিজস্ব প্রচেষ্টা ও ক্ষমতায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টিতে উদ্দীপকের নবকুমারের সাথে গল্পের রবিনসনের অমিল রয়েছে।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসন ঘটনাচক্রে এক নির্জন দ্বীপে উপস্থিত হয়। নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সে সেখানে চাষাবাদ করে বসবাস করতে থাকে এবং ধীরে ধীরে একটা ছোট্ট বসতি গড়ে তোলে। দীর্ঘ আটাশ বছর সেখানে কাটিয়ে রবিনসন নিজ প্রচেষ্টা ও ক্ষমতাবলে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে।
অপরদিকে উদ্দীপকের নবকুমার সঙ্গীদের হারিয়ে একাকী নির্জন বনে বসবাস করার সময় কাপালিকের কুনজরে পড়ে এবং কাপালিকের কন্যা কপালকুÐলার সাহায্যে সে কোনোভাবে মুক্ত হয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে। রবিনসন ছিল নির্জন দ্বীপের মুকুটহীন রাজা আর নবকুমার নির্জন বনের বন্দি। রবিনসন রাজার মতো নিজ ক্ষমতায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছে আর নবকুমার বন্দির মতো অন্যের সাহায্য নিয়ে চুপি চুপি লুকিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে।
সুতরাং বলা যায়, রবিনসন ও নবকুমার উভয়ই স্বদেশে প্রতাবর্তন করলেও প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে নিজস্ব ক্ষমতার দিক দিয়ে রবিনসন ও নবকুমারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অমিল রয়েছে।
প্রশ্ন-৭  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কতিপয় লোক ঘুরে ঘুরে সমুদ্র দেখার জন্য জাহাজে যাত্রা করে। এ জাহাজের সাথে লালন নামের একটি ছেলেও যাত্রী হয়। যার সেই ছোটবেলা থেকেই সমুদ্রযাত্রা করার খুব শখ। তবে তাদের সমুদ্রযাত্রা প্রথম বেশ কয়েকটা দিন ভালো গেলেও হঠাৎ একদিন ভীষণ সামুদ্রিক ঝড় ওঠে। সেই ঝড়ে তাদের জাহাজের তলা ভীষণভাবে ফেঁসে যায়। যার ফলে তারা জাহাজে রক্ষিত ছোট নৌকা করে ডাঙার দিকে রওনা হয়। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য, এক বিশাল সামুদ্রিক ঢেউ এসে তাদের নৌকাটা ডুবিয়ে দেয় এবং সবই তলিয়ে যায়। শুধুমাত্র সেই ছেলেটির ভাগ্য ভালো বলে সে সাঁতার কেটে প্রায় মৃত অবস্থায় তীরে পৌঁছায়।
ক. পর্তুগিজ জাহাজিরা রবিনসনকে কোথায় নামিয়ে দেয়? ১
খ. ‘ঈশ্বরই জানেন কতদিন থাকতে হবে এই দ্বীপে।’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের কোন দিকটির সাথে উদ্দীপকটি সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘রবিনসন ক্রুশো’Ñগল্পের আংশিক প্রতিচ্ছবি”  মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. পর্তুগিজ জাহাজিরা রবিনসনকে ব্রাজিল বন্দরে নামিয়ে দেয়।
খ. আলোচ্য উক্তিটিতে নির্জন জনমানবহীন দ্বীপ থেকে রবিনসনের অন্য কোথাও যাওয়ার অনিশ্চিত ব্যাপারটিকে বোঝানো হয়েছে।
গিনির উদ্দেশ্যে যাত্রা পথে সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে তাদের জাহাজ এক অজানা চরে আটকে গেলে তারা সবাই নৌকায় করে ডাঙায় ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু সমুদ্রের ঢেউয়ে নৌকা উল্টে গেলে সবাই ডুবে মারা যায় এবং রবিনসন অর্ধমৃত অবস্থায় জনমানবহীন এক নির্জন দ্বীপে উপস্থিত হয়। দ্বীপটির সঙ্গে পৃথিবীর কোনো সম্পর্ক না থাকায় সেখান থেকে রবিনসনের ফেরার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে যায়। তাই সে আলোচ্য উক্তিটি করে।
গ. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসনদের জাহাজ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়া এবং সকলে ডুবে মারা গেলেও রবিনসনের সাঁতরে তীরে পৌঁছানোর দিকটি উদ্দীপকের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে সমুদ্রপথে গিনি যাওয়ার সময় রবিনসনদের জাহাজ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়লে জাহাজটি এক অজানা চরে আটকে যায়। তাই যাত্রীরা সবাই নৌকায় করে ডাঙায় পৌঁছতে চেষ্টা করে। কিন্তু সমুদ্রের ঢেউয়ে নৌকা উল্টে গেলে যাত্রীরা সবাই ডুবে মারা যায়। কেবল ভাগ্যক্রমে রবিনসন ক‚লে পৌঁছতে পেরেছিল।
উদ্দীপকেও লালনদের জাহাজ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়লে যাত্রীদের সবার মৃত্যু হয়। কেবল ভাগ্যক্রমে লালন তার প্রাণ নিয়ে ডাঙায় পৌঁছতে পারে। সুতরাং সামুদ্রিক ঝড়ে সহযাত্রীদের মৃত্যু হলেও রবিনসনের একাকী বেঁচে যাওয়া বিষয়টির সাথে উদ্দীপকটি সংগতিপূর্ণ।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের আংশিক প্রতিচ্ছবি”Ñমন্তব্যটি যথার্থ।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসন ছেলেবেলা থেকেই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর নেশায় মগ্ন। সমুদ্রযাত্রার প্রতি তার প্রবল ঝোঁক রয়েছে। তাই ব্রাজিলের স্থানীয় লোকেরা তাকে পুরনো ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ দিলে সে তোড়জোড় করে গিনির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে এবং পথে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে। ঝড়ে সকল সঙ্গীদের মৃত্যু হলেও সে সাঁতরে ক‚লে পৌঁছে নিজের জীবনরক্ষা করতে পেরেছিল।
উদ্দীপকেও আমরা একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। কেননা, এখানে লালন শখ করে সমুদ্রযাত্রার বেরিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে। তাদের জাহাজটিও সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে এবং সে সাঁতরে ক‚লে পৌঁছলেও অন্য সবার মৃত্যু হয়। উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টি ছাড়াও ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে আরও কিছু বিষয় উল্লিখিত হয়েছে।
রবিনসনের সমুদ্রে জাহাজডুবির পূর্বের কিছু ঘটনা রয়েছে এবং সমুদ্রে জাহাজডুবির পরে তীরে উঠে সেখানে বসবাস, নির্জন দ্বীপে বসবাস করতে গিয়ে বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হওয়া এবং পরবর্তীতে দেশে ফেরার বিষয়গুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন-৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পূর্বের দিনে গুহাবাসী মানুষের খাদ্যসংস্থানের অনুক‚ল অবস্থা ছিল না। তারা খাদ্যসংস্থানের পদ্ধতি জানত না। তাই তারা কাঁচামাংস এবং ফলমূল খেয়ে বাঁচত। ফলের বীজ গুহার আশপাশে ফেলে রাখত তা থেকে চারা উৎপন্ন হতো এবং আশার কথা হলো, এ বিষয়টি দেখে মানুষ চাষাবাদ করা শিখল।
ক. রবিনসনের ছোট থলের মধ্যে কী ছিল? ১
খ. বৃষ্টির পর রবিনসন আশ্চর্য হলো কেন? ২
গ. ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“প্রতিক‚ল অবস্থায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রেরণাই পাওয়া যায় উদ্দীপক এবং ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে” মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রবিনসনের ছোট থলের মধ্যে তুষ ছিল।
খ. বৃষ্টি হওয়ার কয়েকদিন পর রবিনসন যেখানে তুষ ফেলেছিল সেখানে অজানা গাছের অঙ্কুর দেখে সে আশ্চর্য হলো।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসন ঘটনাচক্রে পৃথিবীর সাথে সম্পর্কহীন এক দ্বীপে বসবাস করতে বাধ্য হয়। সে ভেঙে না পড়ে থাকার ব্যবস্থা করতে থাকে। এমনই এক সময় অন্যান্য মালামালের সাথে রবিনসন একটি তুষ ভর্তি থলে পায়। তুষগুলো সে ঘরের বাইরে মাটিতে ফেলে দেয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে তার কিছুদিন পর সে দেখতে পায় ফেলানো তুষের জায়গা থেকে অজানা গাছের অঙ্কুর জন্মেছে, যা তাকে আশ্চর্য করে তোলে।
গ. রবিনসনের ফসল উৎপাদনের সাথে উদ্দীপকের গুহাবাসী মানুষের ফসল উৎপাদনের মিল রয়েছে।
রবিনসন ঘটনাচক্রে নির্জন দ্বীপে এসে পড়লে সে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে থাকে। একদিন হঠাৎ করে পাওয়া থলের তুষ ঘরের বাইরে ফেলে দিলে বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ হতে দেখা যায়। রবিনসন তখন যতœসহকারে ধান ও যবের চাষাবাদ করতে শিখে।
উদ্দীপকে গুহাবাসী মানুষ জানত না কীভাবে চাষাবাদ করতে হয়। ফলে বীজকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে গুহার পাশে ফেলে রাখলে সেখান হতে চারা উৎপন্ন হওয়া দেখে তারাও চাষাবাদ করা শিখল। সুতরাং রবিনসনের ফসল উৎপাদনে নতুন কিছু আবিষ্কারের বিষয়টি উদ্দীপকের সাথে মিল আছে।
ঘ. “প্রতিক‚ল অবস্থায় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রেরণা পাওয়া যায় উদ্দীপক ও আলোচ্য গল্পে” মন্তব্যটি যথার্থ।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসন গিনি উপক‚লে ব্যবসা করার সময় জলদস্যু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি হয় এবং পরে সামুদ্রিক ঝড়ের প্রকোপে পড়ে একাকী নির্জন দ্বীপে এসে পড়ে। আর তখন থেকেই তার বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু। কিন্তু সে ভেঙে না পড়ে নিজের মনোবল ঠিক রেখে সেই নির্জন দ্বীপটিকে আস্তে আস্তে বসবাসের যোগ্য করে তোলে।
উদ্দীপকের গুহাবাসী মানুষের খাদ্যসংস্থানের সঠিক পদ্ধতি জানা ছিল না। তারা কাঁচামাংস এবং ফলমূল খেয়ে বাঁচত। তারা ফলের বীজ গুহার আশপাশে ফেলে রাখত এবং তা থেকে চারা উৎপন্ন হতো। এই পদ্ধতি দেখে তারা চাষ করতে শিখল।
‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসনের মধ্যে এবং উদ্দীপকের গুহাবাসী মানুষের মধ্যে অসীম ধৈর্য এবং অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম লক্ষণীয়। সুতরাং বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-৯ ল্ফ আফ্রিকার মরক্কো দেশের ইবনে বতুতা একজন পৃথিবী বিখ্যাত পর্যটক ছিলেন। তিনি ৩০ বছর ধরে আরব, আফ্রিকা, এশিয়া, মাইনর, ভারত, চীন, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশে পরিভ্রমণ করেন। মুহাম্মদ বিন তুঘলকের আমলে তিনি ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ত্রয়োদশ শতকের পূর্বভাগে এতগুলো দেশ ভ্রমণ করা সত্যিই কষ্টকর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক. কী দেখে রবিনসনের চোখ স্থির হয়ে গিয়েছিল? ১
খ. রবিনসনকে কেন মুকুটহীন রাজা বলা হয়েছে? ২
গ. ইবনে বতুতার সাথে রবিনসন ক্রুশোর মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি রবিনসন ক্রুশো গল্পের মূল ভাবকে ধারণা করে কি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
প্রশ্ন-১০ ল্ফ ডিসকভারি চ্যানেলে দেখানো হলো, পর্বতারোহী জন বন্ধু সমেত পর্বতের চ‚ড়ায় উঠেছে। বন্ধুরা ইতিপূর্বে পৃথিবীর বিভিন্ন পর্বতে আরোহণ করেছেন। এদের মধ্যে জন অপেক্ষাকৃত নতুন পর্বতারোহী। বাবা-মা’র ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে পর্বতারোহণের জন্য এসেছে। হঠাৎ তুষার ঝড়ে জন তার দুই বন্ধু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাদদেশের বনভ‚মিতে পতিত হয়। জ্ঞান ফেরার পর জন দেখতে পায়, সে জনমানবহীন এক বনে পড়ে আছে।
ক. নিঝুম দ্বীপে রবিনসনের কত বছর কেটে গেল? ১
খ. রবিনসন মুর ছেলেটিকে ধাক্কা মেরে সমুদ্রে ফেল দিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জনের কোন দিকটি ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের অনুরূপ Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকে ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের খÐিত চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।” Ñমন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

  জ্ঞানমূলক  
প্রশ্ন \ ১ \ রবিনসন ক্রুশো কোথাকার ছেলে?
উত্তর : ‘রবিনসন ক্রুশো’ ইয়র্ক শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে।
প্রশ্ন \ ২ \ রবিনসন ক্রুশোর জাহাজটি কীসের কবলে পড়েছিল?
উত্তর : রবিনসন ক্রুশোর জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়েছিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসনের ভৃত্যের নাম কী ছিল?
উত্তর : ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পের রবিনসনের ভৃত্যের নাম ছিল ফ্রাইডে।
প্রশ্ন \ ৪ \ রবিনসনকে নিয়ে তার বাবার কী ইচ্ছা ছিল?
উত্তর : রবিনসনের বাবার ইচ্ছা ছিল রবিনসন ওকালতি করবে।
প্রশ্ন \ ৫ \ রবিনসন ক্রুশোর কীসের ঝোঁক ছিল?
উত্তর : রবিনসন ক্রুশোর দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর ঝোঁক ছিল।
প্রশ্ন \ ৬ \ রবিনসন ক্রুশো ৫ পাউন্ডের জিনিস কত পাউন্ডে বিক্রি করল?
উত্তর : রবিনসন ক্রুশো ৫ পাউন্ডের জিনিস ২০ পাউন্ডে বিক্রি করল।
প্রশ্ন \ ৭ \ রবিনসন গিনি থেকে ফেরার পথে কাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল?
উত্তর : রবিনসন গিনি থেকে ফেরার পথে মুর জলদস্যু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৮ \ রবিনসনের মনিব ভদ্রলোকের কীসের নেশা ছিল?
উত্তর : রবিনসনের মনিব ভদ্রলোকের মাছ ধরার নেশা ছিল।
প্রশ্ন \ ৯ \ কী কারণে রবিনসন মনিবের প্রিয় হয়ে উঠল?
উত্তর : মাছ ধরার কৌশল জানার কারণে রবিনসন মনিবের প্রিয় হয়ে উঠল।
প্রশ্ন \ ১০ \ মুর ছেলেটিকে রবিনসন আবার নৌকায় তুলে নিল কেন?
উত্তর : মুর ছেলেটি রবিনসনকে ভয় না পেয়ে সাহায্য করতে রাজি হওয়ায় রবিনসন ছেলেটিকে আবার নৌকায় তুলে নিল।
প্রশ্ন \ ১১ \ সামুদ্রিক ঝড়ে রবিনসনের জাহাজ কোথায় আটকে গেল?
উত্তর : সামুদ্রিক ঝড়ে রবিনসনের জাহাজ অজানা চড়ায় আটকে গেল।
প্রশ্ন \ ১২ \ জাহাজডুবির পরে রবিনসন গাছের উপরে রাত কাটাল কেন?
উত্তর : জাহাজডুবির পরে রবিনসন বন্য জীবজন্তুর ভয়ে গাছের উপরে রাত কাটাল।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে কাকে মুকুটহীন রাজা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘রবিনসন ক্রুশো’ গল্পে রবিনসনকে মুকুটহীন রাজা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ রবিনসনদের জাহাজটি কত দিনের মাথায় ঝড়ে উড়ে গেল?
উত্তর : রবিনসনদের জাহাজটি চৌদ্দ দিনের মাথায় ঝড়ে উড়ে গেল।
প্রশ্ন \ ১৫ \ রবিনসন ক্রুশো জনমানবহীন দ্বীপে কাঠ কেটে প্রথমে কী তৈরি করল?
উত্তর : রবিনসন ক্রুশো জনমানবহীন দ্বীপে কাঠ কেটে প্রথমে চেয়ার তৈরি করল।
প্রশ্ন \ ১৬ \ পাউন্ড কী?
উত্তর : পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্রিটিশরা বা ইংরেজরা যে মুদ্রা ব্যবহার করে তার নাম পাউন্ড। অর্থাৎ পাউন্ড হলো ব্রিটিশ মুদ্রার নাম।
  অনুধাবনমূলক  
প্রশ্ন \ ১ \ নরমাংস ভোজন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মানুষের মাংস খাওয়াকে নরমাংস ভোজন বলা হয়।
পৃথিবীতে আদিম এমন কিছু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা খাবারের তালিকায় মানুষের মাংস লোভনীয় খাবার হিসেবে রাখে। এসব জাতি অপেক্ষাকৃত স্বল্প উন্নত রাজ্যের মানুষদের অথবা যুদ্ধবন্দিদের তাদের খাবারের তালিকায় রাখে। আবার কখনো কখনো এসব জাতি তাদের বিভিন্ন উৎসবে জীবিত মানুষকে পুড়িয়ে খায়।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘অমন বিশ্বাসী ভৃত্য বোধ হয় কেউ কোনো দিন দেখতে পায়নি, যেমন ছিল ফ্রাইডে’ Ñব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মনিব রবিনসনের জন্য ফ্রাইডের ছিল প্রচÐ ভক্তি ও ভালোবাসা যা রবিসনকে মুগ্ধ করে।
ফ্রাইডেকে মেরে ফেলার জন্য তার স্বজাতিরা দ্বীপে নিয়ে এলে রবিনসন তাকে উদ্ধার করে। পরে রবিনসনের পা নিজের মাথায় রেখে ফ্রাইডে প্রথামতো বশ্যতা মেনে নেয়। ভৃত্য হিসেবে ফ্রাইডে ছিল বিশ্বস্ত ও অনুরাগী। মনিবের প্রতি তার অপরিসীম ভক্তি আর ভালোবাসার জন্য পরবর্তী জীবনে রবিনসন ফ্রাইডেকে বার বার স্মরণ করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘এবার ওর আনন্দ দেখে কে!’Ñ কে, কেন আনন্দিত হয়েছেল? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : উক্তিটিতে রবিনসনের আনন্দের কথা বলা হয়েছে।
রবিনসন অল্প টাকায় কিছু জিনিসপত্র কিনে গিনি উপক‚লে বিক্রি করতে গিয়েছিল। সে অল্পতে বেশি লাভ করেছিল বলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল। বাণিজ্যে লাভের সাথে সাথে সে জাহাজ চালানও শিখেছিল বলে তার খুবই আনন্দ হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৪ \ রবিনসন কীভাবে মুকুটহীন রাজা?
উত্তর : রবিনসন জনমানবহীন দ্বীপে স্বাধীনভাবে ঠিক রাজার মতো ছিল বলে সে নিজেকে মুকুটহীন রাজা ভাবত।
অজানা দ্বীপটিতে রবিনসন নিজের মতো করে ঘোরাফেরা করত। প্রতিটি জিনিস রবিনসন তার পছন্দের জায়গায় নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়েছিল। যতদূর দৃষ্টি যায় সবটুকুই তার। রবিনসন যখন খেতে বসত তখন ওর চারপাশে কুকুর বিড়ালের বসা দেখে তার মনে হতো সে রাজা আর পশুগুলো তার প্রজা। ওই করুণা প্রত্যাশীদের দেখে তার নিজেকে মুকুটহীন রাজা মনে হতো।

Leave a Reply