চতুর্দশ অধ্যায়
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ
ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
দুর্যোগ ও বিপর্যয় ব্যাখ্যা করতে পারবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বর্ণনা করতে পারবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্র ব্যাখ্যা করতে পারবে।
বাংলাদেশের উপক‚লীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপায় ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ভ‚মিকম্প ও সুনামির পূর্বাভাস প্রদানে প্রযুক্তির ব্যবহার ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে পারবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে সচেতন হতে শিখবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
দুর্যোগ ও বিপর্যয় : দুর্যোগ হচ্ছে এরূপ ঘটনা, যা সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচণ্ডভাবে বিঘœ ঘটায় এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বিপর্যয় হচ্ছে কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ঘটনা।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ : বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, বন্যা, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতি বছরই আমাদের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতিসাধন করে থাকে।
বন্যা : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বন্যা অন্যতম। বর্ষাকালে আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার কারণে নদীগুলো পর্যাপ্ত পানি বহন করতে পারে না। ফলে নদীর দু’ধার ছাপিয়ে বন্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশে ১৯৭৪, ১৯৭৮,১৯৮৪, ১৯৮৮,১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে ভয়াবহ বন্যা সংঘটিত হয়।
খরা : দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ার প্রেক্ষিতে যে অবস্থা সৃষ্টি হয় তাকে খরা বলে। অনেকদিন বৃষ্টিহীন অবস্থা থাকলে অথবা অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় ফলে খরা দেখা দেয়।
ঘূর্ণিঝড় : ঘূর্ণিঝড় একটি সাময়িক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বেশি ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, স›দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, উড়িরচর, চরজব্বার, চর আলেকজান্ডার প্রভৃতি স্থানে।
নদীভাঙন : নদীভাঙন একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বর্ষাকালেই নদীভাঙন বেশি হয়। বিশেষত প্রায় প্রতি বছর বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে প্রায় ৪০টি ছোট-বড় নদীতে নদীভাঙন দেখা যায়।
ভ‚মিকম্প : বাংলাদেশের উত্তরে আসামের খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া পাহাড়, হিমালয়ের পাদদেশ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভ‚মিকম্প প্রবণতা যথেষ্ট লক্ষ করা যায়। এছাড়াও রয়েছে ভ‚গাঠনিক গতিময়তা। সামগ্রিক দিক থেকে দেখা যায় বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভ‚কম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে; যথা- অঞ্চল-১ (মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেল মাত্রা ৭); অঞ্চল-২ (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেল মাত্রা ৬); অঞ্চল-৩ (কম ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেল মাত্রা ৫)।
সুনামি : সাধারণত ভ‚মিকম্পের সাথে সুনামি সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে সুনামি সংঘটনের তেমন উল্লেখযোগ্য প্রচলন নেই। তবে ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলুয়ে দ্বীপে সংঘটিত ভ‚মিকম্পের কারণে যে সুনামির আগমন ঘটে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়ে এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন হয়।
দুর্যোগ ব্যস্থাপনা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এরূপ একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান যার আওতায় পড়ে-যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং দুর্যোগে সাড়াদান ও পুনরুদ্ধার ইত্যাদি কার্যক্রম।
উপক‚লীয় দুর্যোগ ব্যবস্থা : বাংলাদেশের উপক‚ল অঞ্চলসমূহ প্রায় প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, অন্য দেশের ভ‚মিকম্পের প্রভাব প্রভৃতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয় তা বেশিরভাগই উপক‚লীয় অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বাংলাদেশে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত মিলিমিটার?
ক ২১০০ খ ২২০০ ২৩০০ ঘ ২৪০০
২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য হলো-
র. ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা
রর. ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা
ররর. পুনরুদ্ধার কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স¤প্রতি শ্যামনগর উপজেলায় ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রফিক ও তার বন্ধুরা দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করে ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
৩. রফিক ও তার বন্ধুরা যে কাজ করেছে তাকে কী বলা যায়?
ক প্রতিরোধ খ প্রতিকার
সাড়াদান ঘ পুনরুদ্ধার
৪. উল্লিখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি হ্রাস করার উপায়-
র. আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ
রর. দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণদান
ররর. গণসচেতনতা বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ নদীভাঙন
শিশিরদের পরিবার যমুনা নদীর পারে বসবাস করত। এ বছর বর্ষায় নদীভাঙনের ফলে তারা ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। শিশিরদের পরিবারের মতো আরও অনেক পরিবার রয়েছে যারা এ ধরনের দুর্যোগের শিকার হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারে না।
ক. ভ‚মিকম্প কী ধরনের দুর্যোগ?
খ. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
গ. শিশিরদের পরিবার যে ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিশিরদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে কী ধরনের ব্যবস্থা দরকার? তোমার মতামত দাও।
ক ভ‚মিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
খ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এরূপ একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান যার আওতায় পড়ে-যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং দুর্যোগে সাড়াদান ও পুনরুদ্ধার ইত্যাদি কার্যক্রম। সার্বিক দুর্যোগ প্রস্তুতি ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগ পূর্ব। দুযোর্গকালীন এবং পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে বোঝায়?
গ নদীভাঙন বাংলাদেশে একটি নিয়মিত সমস্যা। প্রতিবছর শিশিরদের মতো অসংখ্য পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে সহায়সম্বলহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদীনালা জালের মতো বিস্তার করে আছে। বর্ষাকালে এসব নদীর প্রবাহ তীব্র হলে নদী ভাঙনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রতিবছর বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে এদেশের ছোট-বড় নদীতে নদীভাঙন অধিক মাত্রায় ঘটে থাকে। আবার অনেক সময় নদীতীরে খরাজনিত ব্যাপক ফাটলের সৃষ্টি হলে তার প্রভাবেও নদীতে ভাঙন ধরে এবং ভ‚মির অংশবিশেষ নদীগর্ভে বিলীন হয়। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় শিশিরদের মতো অনেক পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি ছাড়া হয়।
ঘ শিশিরদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার। কারণ শিশিরদের মতো অসংখ্য মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে শহর-নগরে ভাসমান মানুষে পরিণত হয় এবং সর্বোপরি সমাজ ও সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই শিশিরদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। যথা :
১. নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের খাসজমিতে সরকারিভাবে জমি বরাদ্দ ও বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া।
২. তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ কর্মের ব্যবস্থা করা।
৩. তাদের জন্য বিশুদ্ধ এবং নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা।
৪. চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা।
৫. গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি পালন করে তারা যেন সংসার নির্বাহ করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া।
৬. ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করে সাধ্যমতো সবধরনের সহযোগিতা করা।
এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারবে বলে আশা করা যায়।
প্রশ্ন- ২ ভ‚মিকম্প
রূপম তার গ্রামের বাড়ি নরোত্তমপুরে পড়ার টেবিলে পড়াশোনায় ব্যস্ত। হঠাৎ সে টেবিলে একটি ঝাঁকুনি অনুভব করল। সে দেখতে পেল তার ঘরের ঝুলন্ত বস্তুগুলো এদিক ওদিক দুলছে। সে আরও লক্ষ করল বাইরে ভীতসন্ত্রস্ত লোকজন ছোটাছুটি করছে এবং পার্শ্ববর্তী একটি উঁচুভবন হেলে পড়ছে।
ক. বিপর্যয় কী?
খ. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রশমন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. রূপম যে পরিস্থিতি দেখতে পেল তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উল্লিখিত ঘটনাটি ঢাকা শহরে ঘটলে কী ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বিশ্লেষণ কর।
ক বিপর্যয় হলো কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ঘটনা যা জীবন, সম্পদ ইত্যাদির উপর প্রতিক‚লভাবে আঘাত করে।
খ দুর্যোগের দীঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলা হয়। মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ, শস্য বহুমুখীকরণ, ভ‚মি ব্যবহারে বিপর্যয় হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোক স্থানান্তর, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম দুর্যোগ প্রশমনের আওতাভুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল হলেও সরকার সীমিত সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদীখনন, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বনায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
গ উদ্দীপকে রূপম যে পরিস্থিতি দেখতে পেল তা ছিল ভ‚মিকম্প। এটি মারাত্মক ধ্বংসকারী একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অতীতকাল থেকে বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে প্রধানত ভ‚মিকম্প হয় গঠনগত কারণে। বাংলাদেশের পূর্বাংশে রয়েছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়। উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত স্বল্প ভাঁজবিশিষ্ট ভঙ্গিল প্রকৃতির পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধরা হয়। এ পাহাড়গুলো বেলেপাথর, সেলপাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত। গঠনগত কারণে এ চত্বর ভ‚মিকম্পপ্রবণ। আবার এদেশে রয়েছে পুরাতন পলল গঠিত প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ-বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়। বাকি অংশ নবগঠিত প্লাবন সমভ‚মি। সুতরাং ভ‚তাত্তি¡ক গঠনগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশেষত উত্তর ও পূর্ব দিক যথেষ্ট ভ‚মিকম্পপ্রবণ। উপরিউক্ত কোনো কারণের উপস্থিতিতেই রূপম উদ্দীপকে সংঘটিত পরিস্থিতি তথা ভ‚মিকম্প দেখতে পেল।
ঘ উল্লিখিত ঘটনাটি ভ‚মিকম্প। ঢাকা শহরে উল্লিখিত ঘটনাটি ঘটলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ঢাকা শহরে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভ‚মিকম্প হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। ঢাকা শহরের অধিকাংশ ভবনই ‘বিল্ডিং কোড’ মেনে নির্মিত হয়নি। ভ‚মিকম্প সহন ক্ষমতা বিবেচনা করে তৈরি হয়নি। যার ফলে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হলে অনেক ভবন ধসে পড়বে। জনসংখ্যা অধিক হওয়ার কারণে প্রাণহানিও ঘটবে প্রচুর। রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বুড়িগঙ্গা, বালু, ধলেশ্বরী ইত্যাদি নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও নিম্নভ‚মি বা জলাশয় সৃষ্টি হতে পারে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঢাকা মহানগরী একটি ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হতে পারে। মুহ‚র্তেই শহরটি জঞ্জাল ও ধ্বংসস্তূপের শহরে পরিণত হবে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে তুলনাহীন।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নদী ভাঙনের সাথে সম্পর্কিত নয় কোনটি? [স. বো.’১৬]
ক জলবায়ু পরিবর্তন খ বৃক্ষ নিধন
গ.নদীর গতিপথ পরিবর্তন ঘ পরিবেশের রুক্ষতা
২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের চিত্রটি লক্ষ কর :
পূর্বপ্রস্তুতি পুনরুদ্ধার অ প্রতিরোধ প্রশমন
[স. বো.’১৬]
‘অ’ চিহ্নিত স্থানে কোনটি হবে?
ক আচরণ খ সহযোগিতা
গ উন্নয়ন ঘ প্রচারণা
৩. কোন সালে আন্দামান সাগরে ভ‚মিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামির সৃষ্টি হয়?
[স. বো.’১৬]
ক ১৯৪১ খ ১৯৪২ গ ১৯৪৩ ঘ ১৯৪৪
৫. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী কতগুলো? [স. বো. ’১৫]
ক ৭৫ খ ৭৫
গ ৫৮ ৫৭
৬. কিসের কারণে এ দেশের আবহাওয়া আর্দ্র থাকে? [স. বো. ’১৫]
ক নদী খ পাহাড়
বনভ‚মি ঘ সাগর
৭. দুর্যোগ কী ধরণের ঘটনা? [বিএএফ শাহীন কলেজ]
বিপর্যয়পূর্ব ঘটনা খ বিপর্যয়কালীন ঘটনা
গ বিপর্যয়সময়ের ঘটনা ঘ বিপর্যয় পরবর্তী ঘটনা
৮. বিপর্যয় কী ধরনের ঘটনা? [আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনা]
ক দুর্যোগ পরবর্তী ঘটনা খ একটি ধীরগতির ঘটনা
গ দুর্যোগকালীন ঘটনা একটি আকস্মিক ও চরম ঘটনা
৯. ২০০০ সালের বন্যায় কত জমির ফসল নষ্ট হয়?
[রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা হাই স্কুল]
ক ০.৬৫ লক্ষ হেক্টর ১.৮৪ লক্ষ হেক্টর
গ ২.০০ লক্ষ হেক্টর ঘ ২.৫৪ লক্ষ হেক্টর
১০. বাংলাদেশের দুর্যোগের অন্যতম কারণ কী? [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সামাজিক পরিবর্তন ভৌগোলিক অবস্থান
গ পরিবেশের স্বাভাবিক প্রতিবন্ধকতা ঘ পরিবেশের অস্বাভাবিক প্রতিক‚লতা
১১. গত তিন দশকে বাংলাদেশের কোন অংশে বেশি ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়েছে? [যাত্রাবাড়ি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক উত্তরাংশে খ পশ্চিমাংশে
গ দক্ষিণাংশে পূর্বাংশে
১২. নদীভাঙন কখন বেশি হয়? [অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
বর্ষাকালে খ শীতকালে
গ গ্রীষ্মকালে ঘ হেমন্তকালে
১৩. নদী ভাঙনের কারণ বিশ্লেষণ করলে কোনটি পাওয়া যায়?
[মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ঘূর্ণিঝড় খ বৃষ্টিপাত
খরা ঘ তীব্র শীত
১৪. প্রতিবছর বাংলাদেশ নদীভাঙনে কত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক ১৮০ ২০০
গ ২৫০ ঘ ৩০০
১৫. বাংলাদেশে ভ‚মিকম্পের কারণ বিশ্লেষণ করলে কোনটি পাওয়া যায়?
[কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
গঠনগত খ অবস্থানগত
গ বলয়গত ঘ বৈশিষ্ট্যগত
১৬. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য কয়টি? [শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৭. দুর্গতদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্যোগের কোন ধরণের কাজ? [মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক প্রতিরোধ সাড়াদান
গ প্রতিকার ঘ পুনরুদ্ধার
১৮. ‘স্পারসো’ কীভাবে আবহাওয়া অদিপ্তরকে সাহায্য করছে? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ভ‚-উপগ্রহের মাধ্যমে
খ অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে
গ অবকাঠামো গঠনে
ঘ দুর্যোগ প্রশমনের প্রস্তুতি গ্রহণে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭৫ ও ১৭৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স¤প্রতি ভোলার চর তজমুদ্দিনে ভয়াবহ মহাসেন সাইক্লোনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ক্ষয়ক্ষতি রোধে এগিয়ে আসে। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
১৯. অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার ও বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কোন স্তরের অন্তর্ভুক্ত?
ক প্রতিরোধ খ প্রশমন
সাড়াদান ঘ পূর্বপ্রস্তুতি
২০. উক্ত এলাকায় বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো
র. জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা
রর. ত্রাণ পৌঁছানো ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা
ররর. পুনরুদ্ধার কাজ ভালোভাবে করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
দুর্যোগ ও বিপর্যয়, বন্যা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৮৩
¡ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ- বাংলাদেশ।
¡ সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচণ্ডভাবে বিঘœ ঘটায়- দুর্যোগ।
¡ কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট ঘটনা হলো- বিপর্যয়।
¡ দুর্যোগ জনবসতিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় ফলে- ঐ জনবসতি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে না।
¡ জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে দুর্যোগ।
¡ বাংলাদেশে ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর কারণে- ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪ সালে বন্যা, এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
¡ বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদীর উৎস- চীন, নেপাল, ভারত ও ভুটান।
¡ বন্যার জন্য দায়ী ৯০ শতাংশ পানিই বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদী দিয়ে আসে।
¡ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও এর মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য প্রয়োজন- আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১. যা সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘœ ঘটায় এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
দুর্যোগ খ বিপর্যয়
গ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঘ প্রশমন
২২. বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, বন্যা, খরা, ভ‚মিকম্প ইত্যাদি বছরব্যাপী পত্রিকার লিড নিউজে থাকে। এ ঘটনাগুলো একত্রে কী নামে পরিচিত? (প্রয়োগ)
ক দুর্বিপাক খ জলবায়ু গ বিপর্যয় দুর্যোগ
২৩. বিপর্যয় কী? (অনুধাবন)
ক জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন
আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ঘটনা
গ অর্থনৈতিক অবস্থার চরম অবনতি
ঘ স্বাভাবিক কাজকর্মে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি
২৪. নিচের কোনটি দুর্যোগ নয় কিন্তু বিপর্যয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বন্যা খ ঘূর্ণিঝড়
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া ঘ জলোচ্ছ¡াস
২৫. বন্যা কী? (অনুধাবন)
ক বরফ গলা পানিপ্রবাহ
খ বর্ষার আকাশে মেঘের আনাগোনা
নদীর ধারণক্ষমতা বহিভর্‚ত পানিপ্রবাহ
ঘ প্রচুর মৌসুমি বৃষ্টিপাত
২৬. বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৫০০ খ ৬০০ ৭০০ ঘ ৮০০
২৭. বাংলাদেশে মোট কতটি নদীর উৎসস্থল ভারতে? (জ্ঞান)
ক ৪৮ খ ৫০ গ ৫২ ৫৪
২৮. বাংলাদেশে বন্যা সংঘটনে প্রধান প্রাকৃতিক কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক হিমালয়ের পানিপ্রবাহ উজানে প্রচুর বৃষ্টি
গ নদী ভরাট ঘ জোয়ার-ভাটা
২৯. বন্যা সংঘটনের মানবসৃষ্ট কারণ নয় কোনটি? (অনুধাবন)
ক বৃক্ষ কর্তন খ বাঁধ নির্মাণ
গ অপরিকল্পিত নগরায়ণ ভৌগোলিক অবস্থান
৩০. নিচের কোনটি বন্যার মানবসৃষ্ট কারণ? (অনুধাবন)
ক নদীর তলদেশ পলি দ্বারা আবৃত হওয়া
গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ
গ বঙ্গোপসাগরের তীব্র জোয়ারভাটা
ঘ উজান থেকে নেমে আসা পানিপ্রবাহ
৩১. বাংলাদেশে কত ধরনের বন্যা দেখা দেয়? (জ্ঞান)
ক দুই তিন গ চার ঘ পাঁচ
৩২. ঋতুভিত্তিক বিস্তৃতি ব্যাপক ক্ষতির হার বেশি পানির হ্রাস- বৃদ্ধির গতি ধীর; এটি বন্যার কোন শ্রেণিবিভাগের অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক স্বল্প স্থায়ী খ আকস্মিক
গ জোয়ার-ভাটাজনিত মৌসুমি
৩৩. বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় কী ধরনের বন্যা দেখা যায়? (জ্ঞান)
আকস্মিক খ মৌসুমি
গ ঋতুভিত্তিক ঘ জোয়ার-ভাটাজনিত
৩৪. অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় কোন ধরনের বন্যা ভয়াবহ রূপ নেয়? (জ্ঞান)
ক আকস্মিক খ ঋতুভিত্তিক
জোয়ার ভাটাজনিত ঘ স্বল্প স্থায়ী
৩৫. জোয়ার ভাটাজনিত বন্যা কোথায় দেখা যায়? (অনুধাবন)
ক অববাহিকা এলাকায় উপক‚লীয় এলাকায়
গ উজানে ঘ পার্বত্য এলাকায়
৩৬. এলাকা প্লাবিত হয়ে জীবন ও সম্পদের ক্ষতিসাধন, একে কী বলা হবে? (অনুধাবন)
ক জলোচ্ছ¡াস খ নদীভাঙন গ ঘূর্ণিঝড় বন্যা
৩৭. বাংলাদেশে কত সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়? (জ্ঞান)
১৯৯৮ খ ২০০৪ গ ২০০৭ ঘ ২০০৮
৩৮. বন্যার প্রধান কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক নদীতে জোয়ার সৃষ্টি খ নদীর তলদেশ ভরাট
বর্ষায় ভারী বৃষ্টিপাত ঘ অবাধে গাছপালা কর্তন
৩৯. বাংলাদেশের নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনটি? (অনুধাবন)
ক খরা বন্যা
গ জলোচ্ছ¡াস ঘ ভ‚মিকম্প
৪০. বাংলাদেশের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সাথে উপকারও হয়। এর প্রমাণ বহন করে কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে
খ জানমালের ক্ষতি হয়
জমিতে পলি জমা হয়
ঘ রাস্তাঘাটের ক্ষতিসাধিত হয়
৪১. বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য তুমি কোনটি যথাযথ পদক্ষেপ মনে কর? (অনুধাবন)
ক নদীর তীরে জঙ্গল পরিষ্কার করা
খ নদীর গতিপথ অপরিবর্তিত রাখা
নদীশাসন সুনিশ্চিত করা
ঘ পুকুর খনন না করা
৪২. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত কোনটি? (অনুধাবন)
ক দেশের সর্বত্র বনায়ন সৃষ্টি করা
ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর পানির পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
গ নদীর দুই তীরে বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি উপচেপড়া বন্ধ করা
ঘ পুকুর, নালা, বিল প্রভৃতি খনন করা এবং সেচের পানি সংরক্ষণ করা
৪৩. বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যয়বহুল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনার অন্তর্গত কোনটি? উচ্চতর দক্ষতা)
ভারত থেকে আসা পানিকে বাঁধের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা
খ নদী শাসনব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা
গ নদীর দুই তীরে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা
ঘ বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা
৪৪. শহর বেষ্টনীমূলক বাঁধ নির্মাণ কোন ধরণের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অন্তর্গত? (অনুধাবন)
সহজ প্রকৌশলগত
খ শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল প্রকৌশলগত
গ সাধারণগত
ঘ জটিলগত
৪৫. কোনটি সহজ প্রকৌশলগত বন্যানিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে পড়ে? (অনুধাবন)
ক জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে পানিপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা
খ নদীর তীরকে স্থায়ী ও সুদৃঢ় কাঠামোর সাহায্যে সংরক্ষণ করা
রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা
ঘ নদীর দুই তীরে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা
৪৬. বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকা এলাকার দৈর্ঘ্য কত? (জ্ঞান)
ক ১০,৪৩,৭৮৯ কিলোমিটার
১৫,৫৪,০০০ কিলোমিটার
গ ১৭,৮৯,১২৩ কিলোমিটার
ঘ ১৯,৫৪,০০০ কিলোমিটার
৪৭. প্রধান তিনটি নদীর কত শতাংশ বাংলাদেশে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬ ৭ ঘ ৮
৪৮. প্রধান তিনটি নদীর কত শতাংশ পানি বাইরে থেকে আসে? (জ্ঞান)
ক ৬০ খ ৭০ ৮০ ঘ ৯০
৪৯. প্রধান তিনটি নদী দিয়ে আসা কত শতাংশ পানি বন্যার জন্য দায়ী? (জ্ঞান)
ক ৬০ খ ৭০ গ ৮০ ৯০
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. দুর্যোগের ফলে (প্রয়োগ)
র. বাস্তুতন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে
রর. স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়
ররর. জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিতই বাংলাদেশে ধনসম্পদ ও জানমালের ক্ষতিসাধন করে। যেমন Ñ (অনুধাবন)
র. ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস
রর. বন্যা ও খরা
ররর. ভ‚মিকম্প ও সুনামি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫২. বাংলাদেশের বন্যার প্রাকৃতিক কারণগুলো হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. হিমালয়ের বরফগলা পানিপ্রবাহ
রর. বঙ্গোপসাগরের তীব্র জোয়ার-ভাটা
ররর. নদী অববাহিকায় ব্যাপক বৃক্ষকর্তন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৩. বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টি করে (অনুধাবন)
র. উজান অববাহিকা থেকে আসা পানি
রর. ভারীবর্ষণ
ররর. নদনদীর পানি ধারণক্ষমতা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. বাংলাদেশে বন্যার ধরনÑ (অনুধাবন)
র. দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবাহিত পাহাড়ি নদীতে আকস্মিক বন্যা
রর. বর্ষা ঋতুতে সংঘটিত মৌসুমি বন্যা
ররর. উপক‚লীয় এলাকায় জোয়ার-ভাটাজনিত স্বল্পস্থায়ী বন্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫৫. জোয়ার-ভাটাজনিত বন্যার বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. স্বল্পস্থায়ী
রর. সাধারণ উচ্চতা ৩ থেকে ৬ মিটার
ররর. অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় ভয়াবহ রূপ নেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
গ র ও রর র, রর ও ররর
৫৬. বাংলাদেশে প্রলয়ঙ্করী বন্যা সংঘটিত হয় (অনুধাবন)
র. ১৯৭৪ ও ১৯৮৪ সালে
রর. ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে
ররর. ১৯৭০ ও ২০০১ সালে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৭. বন্যানিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা
রর. উজানের পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা
ররর. সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় উন্নয়ন সাধন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা নদীর অববাহিকা অঞ্চলের মোট আয়তন সাড়ে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার, যার শতকরা ৭ ভাগ বাংলাদেশে অবস্থিত। অববাহিকা অঞ্চল থেকে পানিপ্রবাহ বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে এলে বাংলাদেশে বন্যা হয়।
৫৮. অনুচ্ছেদের ৩টি নদীর উৎস (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চীন ও নেপালে
রর. ভারত ও ভুটানে
ররর. আফগানিস্তান ও ইরানে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. অববাহিকার এ পানিপ্রবাহ দ্বারা বাংলাদেশে কী ধরনের বন্যা হয়? (প্রয়োগ)
মৌসুমি খ আকস্মিক গ স্থায়ী ঘ পার্বত্য
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশের উজানে এবং এর অভ্যন্তরে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি হয়। এতে দেশের প্রধান নদনদী ও এর অববাহিকা এলাকায় পানির চাপ বেড়ে যায়। দেশ বন্যায় প্লাবিত হয়।
৬০. অনুচ্ছেদে সৃষ্ট বন্যা কোনটি? (প্রয়োগ)
মৌসুমি খ আকস্মিক গ স্বল্পস্থায়ী ঘ পাহাড়ি
৬১. উক্ত বন্যার প্রভাবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানুষের প্রাণহানি ঘটে
রর. বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়
ররর. মাঝে মাঝে সুনামি দেখা দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচে অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বন্যা নিয়ন্ত্রণে শ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা খুবই ফলপ্রসূ। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও এ কৌশল গ্রহণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি।
৬২. অনুচ্ছেদে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কৌশলের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণত কোনটির প্রয়োগ রয়েছে? (প্রয়োগ)
ড্রেজারের ব্যবহার খ নদীর তীরে জঙ্গল সৃষ্টি
গ বেড়িবাঁধ নির্মাণ ঘ নদী শাসন
৬৩. অনুচ্ছেদে প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনার মধ্যে পড়ে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমুদ্র উপক‚লবর্তী এলাকায় পানির অনুপ্রবেশ
রর. ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর পানি পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি
ররর. ভারত থেকে আসা পানি নিয়ন্ত্রণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
খরা, ঘূর্ণিঝড় ও নদী ভাঙন বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৮৫
¡ দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে বলে-খরা।
¡ বৃষ্টিহীন ও খরাযুক্ত পরিবেশ স্বাভাবিক কার্যক্রের বিঘœ সৃষ্টি করে- মানুষ ও জীবজগতের।
¡ খরার সময় বেড়ে যায়- অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব।
¡ উত্তর পুর্বাঞ্চলে খরার প্রভাবে- কৃষিজ ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
¡ বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমে বায়ুর কারণে- ঘূর্ণিঝড় হয়।
¡ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলে এবং চারপাশে যথাক্রমে-নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ বিরাজ করে।
¡ বাংলাদেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া – নদীভাঙন।
¡ দেশের প্রায় ১০০টি উপজেলায় – নদীভাঙন সংঘটিত হয়।
¡ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবাহ তীব্র বলে- ক্ষয়সাধন বেশি হয়।
¡ প্রতিবছর প্রায় ৮,৭০০ হেক্টর জমি নিঃশেষ হয়ে যায়- নদীভাঙনে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. খরা কী? (অনুধাবন)
ক বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার অভাব
খ ভ‚গর্ভস্থ পানি ওঠানো বন্ধ হয়ে যাওয়া
গ ধূলিময় মাটি ওড়া
দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিহীন আবহাওয়া বিরাজ করা
৬৫. শুষ্ক ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কী হয়? (জ্ঞান)
ক বন্যা খরা গ নদীভাঙন ঘ ভ‚মিকম্প
৬৬. খরার কারণে বাংলাদেশে মারাত্মকভাবে কী ব্যাহত হয়? (অনুধাবন)
ক মিঠাপানির প্রাপ্তি খ খনিজ সম্পদ আহরণ
ফসল উৎপাদন ঘ আবহাওয়ার সমভাবাপন্নতা
৬৭. বাংলাদেশের খরাপ্রবণ অঞ্চল কোনটি? (অনুধাবন)
ক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল খ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
উত্তর-পূর্বাঞ্চল ঘ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
৬৮. খরা মোকাবিলায় ফলপ্রসূ উপায় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করা
খ নদনদীতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা
ভ‚গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো
ঘ মাটি লতাগুল্ম দিয়ে আচ্ছাদিত করা
৬৯. কী কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক বায়ুপ্রবাহ খ আর্দ্রতা গ কেন্দ্রস্থলের নিম্নচাপ
৭০. কোনো স্থানের কেন্দ্রস্থলে নিম্নচাপ এবং চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজ করলে কী অবস্থা সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ঘূর্ণিঝড় খ জলোচ্ছ¡াস
গ খরা ঘ হারিকেন
৭১. বাংলাদেশে আশ্বিন-কার্তিক মাসে কী ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়? (জ্ঞান)
ঘূর্ণিঝড় খ বন্যা গ খরা ঘ নদীভাঙন
৭২. বাংলাদেশে কোন সময় ঘূর্ণিঝড় হয়? (জ্ঞান)
চৈত্র-বৈশাখ খ আশ্বিন-কার্তিক
গ পৌষ-মাঘ ঘ আষাঢ়-শ্রাবণ
৭৩. কেন্দ্রস্থলে নিম্নচাপ এবং চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজের কারণে প্রচণ্ড বেগে বাতাস প্রবাহিত হলে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ঝড় ঘূর্ণিঝড় গ সুনামি ঘ সাইক্লোন
৭৪. বর্ষাকালে ঘূর্ণিঝড় সংঘটনের যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রচণ্ড উত্তাপ খ প্রচুর বৃষ্টিপাত
মৌসুমি বায়ু ঘ হিমালয়ের বরফ গলা
৭৫. ঘূর্ণিঝড় কী ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ? (জ্ঞান)
ক স্থায়ী সাময়িক গ নিয়মিত ঘ সাধারণ
৭৬. আমাদের দেশে নদীভাঙনের কারণের সাথে নিচের কোনটি অসঙ্গতি প্রকাশ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নদীগর্ভে ফাটলের উপস্থিতি খ নদীগর্ভে শিলার উপাদান
নদীর পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি ঘ রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি
৭৭. বাংলাদেশের প্রায় কতটি নদী উপনদীতে বন্যা ও ভাঙনের ঘটনা ঘটে? (জ্ঞান)
ক ১১০ ৪১০ গ ৪৩১ ঘ ৪৪৫
৭৮. বাংলাদেশের প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা কত? (অনুধাবন)
ক ১.০ মিলিয়ন ১.৫ মিলিয়ন
গ ২.০ মিলিয়ন ঘ ২.৫ মিলিয়ন
৭৯. নদীভাঙনে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নেয় কত লোক? (অনুধাবন)
ক এক লক্ষ খ দুই লক্ষ তিন লক্ষ ঘ চার লক্ষ
৮০. প্রতি বছর বাংলাদেশে কত হেক্টর জমি নদীভাঙনে নিঃশেষ হয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক ৫,০০০ খ ৬,৫০০ ৮,৭০০ ঘ ৯,৮০০
৮১. নদী ভাঙন বাংলাদেশে কোন ধরনের প্রক্রিয়া? (জ্ঞান)
ক স্বাভাবিক খ অস্বাভাবিক চলমান ঘ ঋতুভিত্তিক
৮২. দেশের কতটি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক ৯০ ১০০ গ ১১০ ঘ ১২৫
৮৩. প্রতি বছর কোন সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নদীভাঙনে জমির মালিকগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়? (জ্ঞান)
ক জানুয়ারি থেকে এপ্রিল খ মার্চ থেকে জুন
জুন থেকে সেপ্টেম্বর ঘ আগষ্ট থেকে অক্টোবর
৮৪. কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে মানুষ ভ‚মিহীন হয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক বন্যা নদীভাঙন গ খরা ঘ ঘূর্ণিঝড়
৮৫. কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে মানুষ শহর-নগরে ভাসমান হিসেবে বাস করতে বাধ্য হয়? (জ্ঞান)
ক বন্যা খ খরা গ ঘূর্ণিঝড় নদীভাঙন
৮৬. শহর অঞ্চলে ভাসমান জীবনযাপন করতে বাধ্য হতে হয় কাদের? (অনুধাবন)
নদীভাঙন এলাকার মানুষদের
খ খরাকবলিত এলাকার মানুষদের
গ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের
ঘ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. খরা সৃষ্টির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুমণ্ডলে রুক্ষ ও শুষ্কভাব
রর. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস
ররর. পর্যাপ্ত বৃক্ষনিধন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৮. অনাবৃষ্টি বা খরার প্রভাবে (প্রয়োগ)
র. দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়
রর. পানির অভাব হয়
ররর. অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব বাড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৯. বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয় (অনুধাবন)
র. আশ্বিন-কার্তিক মাসে
রর. চৈত্র-বৈশাখ মাসে
ররর. পৌষ-মাঘ মাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে পরিচিত জনগোষ্ঠীর বসবাস এলাকাÑ (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ
রর. স›দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া
ররর. উরিরচর, চরজব্বার, চর আলেকজান্ডার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯১. আমাদের দেশে নদীভাঙনের কারণে (প্রয়োগ)
র. বিপুল জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি হারায়
রর. আবাদি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়
ররর. আবহাওয়ায় চরমভাব বিরাজ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত উপাদানসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. চাষযোগ্য জমি ও পারিবারিক সম্পদ
রর. বসতবাড়ি ও গাছপালা
ররর. গবাদি পশু ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আরজু মিয়া চাষ করতে পারছে না। মাটি ফেটে চৌচির। জমিতে পানি দিবে কী, তার নিজের খাওয়ার পানিই নেই।
৯৩. উক্ত দুর্যোগের প্রভাব কী? (প্রয়োগ)
ক অসময়ে বৃষ্টিপাত পানির তীব্র অভাব
গ কালবৈশাখীর ঝড় ঘ ঋতু পরিবর্তন
৯৪. আরজু মিয়া যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার তার কারণ হিসেবে বিবেচিত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অনেকদিন বৃষ্টিহীন অবস্থা বিরাজ করা
রর. মাটির রুক্ষরূপ গ্রহণ করা
ররর. মারাত্মক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮১ ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঘূর্ণিঝড় কী, কীভাবে সৃষ্টি হয় এসব প্রশ্ন অমিতের মনে অনেকদিন ধরে। একদিন তার চাচা বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন।
৯৫. অনিক চাচার কাছে ঝড় সম্পর্কে কী জানবে? (প্রয়োগ)
ক সাগর থেকে আসা প্রচণ্ড ঝড়
ঘূর্ণন আকারের প্রচণ্ড ঝড়
গ হিমালয় পর্বত থেকে আসা ধূলিঝড়
ঘ ঋতু বদলের সময়কার প্রচণ্ড ঝড়
৯৬. উক্ত দুর্যোগটি সৃষ্টি হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. একটি স্থানের কেন্দ্রস্থলে নিম্নচাপ তৈরি হলে
রর. এর চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজ করলে
ররর. জলীয়বাষ্প অতিমাত্রায় শীতল হলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যমুনা নদীর তীরে বাড়ি ছিল সায়মার। আজ সে নিঃস্ব হয়ে ঢাকার এক বস্তিতে থাকে। বাসাবাড়িতে কাজ করে।
৯৭. উক্ত দুর্যোগ রোধের উপায় কী? (প্রয়োগ)
নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ করা
খ নদীর প্রবাহপথে বাধা সৃষ্টি করা
গ নদীর পানি দূষণ বন্ধ করা
ঘ নৌ চলাচলে সাবধান থাকা
৯৮. সায়মা যে দুর্যোগের শিকার তার কারণ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জলবায়ুর পরিবর্তন
রর. নদীর গতিপথ পরিবর্তন
ররর. বৃক্ষনিধন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর র, রর ও ররর
ভ‚মিকম্প ও সুনামি বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৮৯
¡ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে রয়েছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় যা- গঠনগত কারণে ভ‚মিকম্পপ্রবণ।
¡ বাংলাদেশের উত্তরে আসামের খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া পাহাড়, হিমালয়ের পাদদেশ, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও বঙ্গোপসাগরের তলদেশে- ভ‚মিকম্প প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
¡ ১৫৪৮ সাল থেকেই বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে -ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত শুরু হয়।
¡ ভ‚মিকম্পের সময় হাতের কাছে রাখতে হবে- লোহাকাটা করাত পানির বোতল ইত্যাদি।
¡ ভ‚মিকম্পের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে- সুনামি সংঘটনের।
¡ কক্সবাজার ও সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে- ১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল।
¡ ৭.৫ রিখটার স্কেল মাত্রার ভ‚মিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামি হয়-মায়ানমারের আরাকান উপক‚লে।
¡ আন্দামান সাগরে ভ‚মিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সংঘটিত হয়- ১৯৪১ সালে।
¡ ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলুয়ে দ্বীপে সংঘটিত ভ‚মিকম্পের ফলে বাংলাদেশে সুনামি আগমন ঘটে- ২০০৪ সালে ২৬ ডিসেম্বর।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৯. বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, এমন দুর্যোগ কোনটি? (অনুধাবন)
ক বন্যা খ খরা গ ঘূর্ণিঝড় ভ‚মিকম্প
১০০. বাংলাদেশের পূর্বাংশে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত পাহাড়গুলোকে কাদের সমগোত্রীয় বলে ধরা হয়? (জ্ঞান)
ক তিব্বত ও ইরানের পার্বত্য এলাকার
খ হিমালয় পর্বতের
গ সাগরের তলদেশের পাহাড়ের
আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের
১০১. গঠনগতভাবে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল কোনটি? (অনুধাবন)
ক প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
গ সা¤প্রতিকালের প্লাবন সমভ‚মিসমূহ
ঘ দক্ষিণাংশের বদ্বীপ অঞ্চল
১০২. বাংলাদেশের ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল কোনটি? (অনুধাবন)
উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত পাহাড়ি অঞ্চল খ উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র ভ‚মি অঞ্চল
গ মধ্যাঞ্চলের সমভ‚মি অঞ্চল ঘ দক্ষিণাঞ্চলের বনভ‚মি অঞ্চল
১০৩. আমাদের দেশের পূর্বে মিয়ানমারের আরাকান ও ইয়োমার অস্তিত্ব এবং উত্তর-পূর্বে নাগা-দিসাং-জাফলং অঞ্চলের সংশ্লিষ্টতা নিচের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটনকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলছে? (প্রয়োগ)
ক খরা খ অগ্ন্যুৎপাত গ দাবানল ভ‚মিকম্প
১০৪. কত সাল থেকে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৫০২ খ ১৫২০ গ ১৫৩৮ ১৫৪৮
১০৫. ভ‚মিকম্পের উপকেন্দ্র বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক যে স্থান থেকে ভ‚মিকম্পের শক্তির মাত্রা মাপা হয়
খ যে স্থান থেকে ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয়
কেন্দ্র থেকে লম্বালম্বিভাবে ভ‚পৃষ্ঠের উপরিস্থ বিন্দু
ঘ যে স্থানে ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হয়
১০৬. ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র উপকেন্দ্রের সঙ্গে কত ধরনের পরিমাপ সম্পর্কযুক্ত? (জ্ঞান)
ক এক খ দুই তিন ঘ চার
১০৭. ভ‚মিকম্পের অগভীর কেন্দ্র কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত? (জ্ঞান)
ক ০-২০ খ ০-৪০ গ ০-৬০ ০-৭০
১০৮. ভ‚মিকম্পের মধ্য পর্যায়ের কেন্দ্র কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত? (জ্ঞান)
ক ৫০-১৫০ ৭০-৩০০
গ ৯০-৩৫০ ঘ ১১০-৪০০
১০৯. ভ‚মিকম্পের গভীর কেন্দ্র কত কিলোমিটার বিস্তৃত? (জ্ঞান)
ক ১,১০০ খ ১,২০০ ১,৩০০ ঘ ১,৪০০
১১০. কত সালে সমগ্র বাংলাদেশকে ভ‚কম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
১৯৯৩ খ ১৯৯৫ গ ১৯৯৭ ঘ ২০০০
১১১. রিখটার স্কেল কী? (অনুধাবন)
ক ভ‚কম্পন যন্ত্র খ ভ‚কম্পন স্কেল
গ শক্তি স্কেল ভ‚কম্পন মাত্রা পরিমাপক স্কেল
১১২. ভ‚মিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করা হয় কোন স্কেলে? (জ্ঞান)
ক মিটার রিখটার
গ মিলিমিটার ঘ সেন্টিমিটার
১১৩. বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ভ‚মিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে কীরূপ ঝুঁকি বহন করছে? (প্রয়োগ)
মারাত্মক খ মাঝারি
গ কম ঘ পরিমাপহীন
১১৪. বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প সংঘটিত অঞ্চল হিসেবে মধ্য অঞ্চলকে কোন অঞ্চল হিসেবে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক অঞ্চল-১ অঞ্চল-২
গ অঞ্চল-৩ ঘ অঞ্চল-৪
১১৫. ভ‚মিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কীরূপ ঝূঁকিপূর্ণ? (অনুধাবন)
ক মারাত্মক খ মাঝারি
কম ঘ স্বাভাবিক
১১৬. ভ‚মিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে রিখটার স্কেল মাত্রা ৫ কী নির্দেশ করে? (অনুধাবন)
ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ খ মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ
কম ঝুঁকিপূর্ণ ঘ ঝুঁকিপূর্ণ
১১৭. ভ‚তাত্তি¡কভাবে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল কোনটি? (অনুধাবন)
ক দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ খ পশ্চিম-উত্তরাংশ
উত্তর-পূর্বাংশ ঘ মধ্যাঞ্চল
১১৮. ট্রেনে বা গাড়ির ভিতরে থাকাকালীন ভ‚মিকম্প হলে কী করা উচিত? (প্রয়োগ)
কোনো জিনিস ধরে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত
খ তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাওয়া উচিত
গ ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা উচিত
ঘ নিচু হয়ে বসে থাকা উচিত
১১৯. তুমি কেনাকাটা করতে শপিংমলে আছ। হঠাৎ শুনলে ভ‚মিকম্প সংঘটনের খবর। এমন সময় কী করবে? (জ্ঞান)
ক কোনো জিনিস ধরে দাঁড়িয়ে থাকব
খ দ্রæত দোকানে ঢুকে পড়ব
প্রথমে নিচু হয়ে বসে পরে স্থান ত্যাগ করব
ঘ কোনো জিনিস ধরে দাঁড়িয়ে থাকব
১২০. বাড়ির বাইরে থাকাকালীন ভ‚মিকম্প হলে কী করবে? (প্রয়োগ)
ক বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করব
খোলা মাঠে বা স্থানে দাঁড়াব
গ দ্রæত স্থান ত্যাগ করব
ঘ নিচু হয়ে বসে পড়ব
১২১. সারাদেশে ভবন নির্মাণে কী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করা উচিত? (জ্ঞান)
ক সয়েল টেস্ট বিল্ডিং কোড
গ সুপরিসর করিডোর ঘ উন্মুক্ত স্থান
১২২. সুনামি কী? (অনুধাবন)
ক প্রণালি খ ঘূর্ণিঝড়
সমুদ্র ঢেউ ঘ পর্বত
১২৩. কত সালে কক্সবাজার এবং সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে? (জ্ঞান)
ক ১৭৫০ ১৭৬২
গ ১৭৭০ ঘ ১৭৮৫
১২৪. মিয়ানমারে আরাকান উপক‚লে রিখটার স্কেলে কত মাত্রার ভ‚মিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামির আগমন হয়? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৪.৫
গ ৬ ৭.৫
১২৫. কত সালে আন্দামান সাগরে ভ‚মিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৭ ১৯৪১
গ ১৯৫০ ঘ ১৯৫৭
১২৬. ১৯৪১ সালে বঙ্গোপসাগরের সুনামিতে কত লোক প্রাণ হারায়? (জ্ঞান)
ক ৪,০০০ ৫,০০০ গ ৬,০০০ ঘ ৭,০০০
১২৭. ২০০৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার কোন দ্বীপে সুনামি সংঘটিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক সুমাত্রা খ জাভা
সিনুয়েলুয়ে ঘ বোর্নিও
১২৮. কোন দুর্যোগটি শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
ক কালবৈশাখী খ ভ‚মিকম্প
গ বন্যা সুনামি
১২৯. ভ‚মিকম্পের সঙ্গে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে? (জ্ঞান)
ক বন্যা খ ঘূর্ণিঝড়
গ কালবৈশাখী সুনামি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩০. বাংলাদেশ ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. উত্তরে হিমালয় চত্বর এবং মালভ‚মির অবস্থানের কারণে
রর. পূর্বে মিয়ানমারের আরাকান ইয়োমার অস্তিত্বের জন্য
ররর. উত্তর-পূর্বে নাগা-দিসাং-জাফলং অঞ্চলের সংশ্লিষ্টতা থাকার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর র, রর ও ররর
১৩১. বাংলাদেশে ভ‚কম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চল-২ নির্দেশ করে (প্রয়োগ)
র. মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ
রর. রিখটার স্কেল মাত্রা ৬
ররর. ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২. বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প প্রবণতা লক্ষ করা যায় (অনুধাবন)
র. বঙ্গোপসাগরের তলদেশে
রর. চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে
ররর. সিলেটের টিলা এলাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৩. ভ‚মিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঢাকা শহর ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে Ñ (অনুধাবন)
র. পানির স্তর দ্রæত নিচে নেমে যাওয়ায়
রর. নগরায়ণের চাপ বেড়ে যাওয়ায়
ররর. যানবাহনের আধিক্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৪. বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে ভ‚মিকম্প হলেÑ (প্রয়োগ)
র. দ্রæত বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করব
রর. গ্যাসের চুলা বন্ধ করব
ররর. তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৫. সুনামি সৃষ্টির কারণ (প্রয়োগ)
র. ভ‚মিকম্প
রর. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
ররর. নিম্নচাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২২ ও ১২৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকা শহর পানির স্তর দ্রæত নিচে নেমে যাওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাতে বসেছে। ঢাকা শহর ক্রমেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
১৩৬. ঢাকা শহরের জন্য উক্ত দুর্যোগটি কী? (প্রয়োগ)
ক বন্যা খ খরা
গ ঘূর্ণিঝড় ভ‚মিকম্প
১৩৭. ঢাকা শহরে উক্ত দুর্যোগ সংঘটনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পানির স্তর নেমে যাওয়া
রর. নগরায়ণ বেড়ে যাওয়া
ররর. অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৪ ও ১২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এমরান তার পড়ার টেবিলে ঝাঁকুনি অনুভব করল। সে বাইরে মানুষের চিৎকার শুনতে পেল।
১৩৮. বাংলাদেশ কেন উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত? (প্রয়োগ)
ক ভৌগোলিক কারণে খ জলবায়ুর কারণে
গঠনগত কারণে ঘ উপকেন্দ্রের অবস্থানের কারণে
১৩৯. উক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে করণীয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা
রর. গ্যাসের চুলা বন্ধ করা
ররর. খোলা মাঠে দাঁড়ানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৬ ও ১২৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনিন্দ্য টেলিভিশনে দেখে একটি দেশের গভীর সমুদ্রে ভ‚মিকম্প ঘটায় দেশটির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
১৪০. উক্ত ঘটনার ফলে কোন দুর্যোগটি ঘটতে পারে? (প্রয়োগ)
সুনামি খ খরা
গ ঘূর্ণিঝড় ঘ জলোচ্ছ¡াস
১৪১. উক্ত ঘটনার ফলে সৃষ্ট দুর্যোগটি বেশি ঘটার সম্ভাবনা আছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাহাড়ি এলাকায়
রর. সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায়
ররর. ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৯২
¡ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে- একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান।
¡ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো- ৩টি।
¡ দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতিকে বলে- প্রশমন।
¡ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি অংশ হলো – সাড়াদান।
¡ দুর্যোগ প্রতিরোধ, প্রশমন এবং পুর্ব প্রস্তুতি- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান।
¡ সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে- দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে বুঝায়।
¡ দুর্যোগ প্রতিরোধে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত প্রশমনের ব্যবস্থা রয়েছে।
¡ মহাকাশ গবেষণার সরকারি একটি সংস্থা হচ্ছে- স্পারসো।
¡ আগাম সতর্কীকরণের জন্য নিয়োজিত রয়েছে- আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কী? (অনুধাবন)
ক একটি মানবিক বিজ্ঞান খ একটি মনস্ততাত্তি¡ক বিজ্ঞান
একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান ঘ একটি তাত্তি¡ক বিজ্ঞান
১৪৩. দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? (অনুধাবন)
ক গণসচেতনতা বৃদ্ধি খ উদ্ধারকর্মী নিয়োগ
গ উন্নত যন্ত্রাদি ব্যবহার সুষ্ঠু প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ
১৪৪. নিচের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রে (?) চিিহ্নত স্থানে কী হবে? (প্রয়োগ)
ক পর্যবেক্ষণ প্রশমন
গ নিরীক্ষণ ঘ অনুসন্ধান
১৪৫. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান কোনটি? (অনুধাবন)
প্রতিরোধ, প্রশমন, পূর্বপ্রস্তুতি
খ সাড়াদান, উন্নয়ন, পুনরুদ্ধার
গ প্রতিরোধ, প্রশমন, পুনরুদ্ধার
ঘ প্রতিরোধ, পুনরুদ্ধার, উন্নয়ন
১৪৬. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজ কী? (অনুধাবন)
দুর্যোগ প্রতিরোধ করা
খ ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা
গ দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য করা
ঘ মানুষের উন্নত খাওয়ার ব্যবস্থা করা
১৪৭. কোন সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বেশি কাজ সম্পন্ন করতে হয়? (জ্ঞান)
ক দুর্যোগ প্রশমন সময় দুযোগ পূর্ব সময়
গ দুর্যোগ পুনরুদ্ধার সময় ঘ দুর্যোগের সময়
১৪৮. কীভাবে অবকাঠামোগত উপায়ে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব? (অনুধাবন)
বেড়িবাঁধ তৈরি করে খ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করে
গ নদী খনন করে ঘ গণসচেতনতা বৃদ্ধি করে
১৪৯. কোনটি কাঠামোগত প্রশমনের অন্তর্ভুক্ত? (অনুধাবন)
ক পূর্ব প্রস্তুতি খ প্রশিক্ষণ
নদী খনন ঘ গণসচেতনতা বৃদ্ধি
১৫০. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কোন উপাদানটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল? (জ্ঞান)
ক উন্নয়ন খ উদ্ধার
গ অবকাঠামোগত প্রশমন কাঠামোগত প্রশমন
১৫১. দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস ও দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক পুনরুদ্ধার খ উন্নয়ন
গ সাড়াদান প্রশমন
১৫২. দুর্যোগ প্রশমনের মধ্যে কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত? (অনুধাবন)
ক দুর্যোগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন
মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ
গ দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল চিিহ্নতকরণ
ঘ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করা
১৫৩. কোনটি দুর্যোগ প্রশমনের আওতাভুক্ত? (অনুধাবন)
ক গণসচেতনতা বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নয়ন
গ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ঘ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ
১৫৪. সরকার কর্তৃক বেড়িবাঁধ নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কোন ধরনের অংশ? (অনুধাবন)
ক উন্নয়ন খ প্রতিরোধ
প্রশমন ঘ পুনরুদ্ধার
১৫৫. কোনটি দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমনে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি? (অনুধাবন)
আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ খ উপযুক্ত প্রশিক্ষণ
গ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ঘ আবহাওয়ার পূর্বাভাস
১৫৬. দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক দুর্যোগের প্রতিরোধ খ দুর্যোগের প্রশমন
দুর্যোগের প্রস্তুতি ঘ দুর্যোগের পুনরুদ্ধার
১৫৭. জেলেদের মধ্যে রেডিও সরবরাহ কোন ধরনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা? (অনুধাবন)
ক কাঠামোগত অকাঠামোগত
গ সাড়াদান ঘ উন্নয়ন
১৫৮. কখন উপযুক্ত সাড়াদানের প্রয়োজন হয়? (জ্ঞান)
ক দুর্যোগের সময় খ দুর্যোগের পূর্বে
দুর্যোগের পরপরই ঘ পুনরুদ্ধারের পর
১৫৯. দুর্যোগের পরপরই কোনটি দরকার? (অনুধাবন)
ক পুনরুদ্ধার খ উন্নয়ন
সাড়াদান ঘ ত্রাণদান
১৬০. দুর্যোগের পর পর নিরাপদ স্থানে যাওয়া কোন ধরনের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত? (অনুধাবন)
ক প্রশমন খ প্রতিরোধ
সাড়াদান ঘ উন্নয়ন
১৬১. দুর্যোগের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা কাটিয়ে ওঠাকে কী বলে? (জ্ঞান)
পুনরুদ্ধার খ প্রশমন
গ উন্নয়ন ঘ প্রতিরোধ
১৬২. বন্যাকবলিত এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নির্মাণে সেনাবাহিনীর উদ্যোগ কোন ধরনের কাজ? (প্রয়োগ)
দুর্যোগ পুনরুদ্ধার খ দুর্যোগ উন্নয়ন
গ দুর্যোগ সাড়াদান ঘ দুর্যোগ প্রতিরোধ
১৬৩. দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পূর্বে কোন বিষয়টির প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া যায় তার ওপর
খ কতগুলো আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় তার ওপর
গ কত সংখ্যক মানুষ ওই এলাকায় বসবাস করে তার ওপর
এলাকার ভৌগোলিক ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের ওপর
১৬৪. ‘স্পারসো’ কী? (অনুধাবন)
ক সংবাদ সংস্থা খ বেসরকারি সংস্থা
গ বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
১৬৫. ভ‚উপগ্রহের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্ককরণে সহায়তা করে কোন সংস্থা? (অনুধাবন)
ক আবহাওয়া অধিদপ্তর খ রেড ক্রিসেন্ট
স্পারসো ঘ রেড ক্রস
১৬৬. বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র কোন সংস্থার আওতাধীন? (জ্ঞান)
পানি উন্নয়ন বোর্ডের
খ সমাজসেবা অধিদফতরের
গ আবহাওয়া অধিদফতরের
ঘ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের
১৬৭. বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে সতর্ক সংকেত দেওয়া হয় কেন? (অনুধাবন)
ক মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য
নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিতকরণ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে
গ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে
ঘ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. দুর্যোগ সংঘটনের পরে ত্রাণকার্য পরিচালনা
রর. দুর্যোগ পূর্ববর্তী কর্মপরিকল্পনা তৈরি
ররর. দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং এ সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর উদ্দেশ্যে গৃহীত কার্যক্রম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৯. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় পড়ে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি
রর. সাড়াদান
ররর. পুনরুদ্ধার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৭০. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান হলো (অনুধাবন)
র. দুর্যোগ প্রতিরোধ
রর. দুর্যোগ প্রশমন
ররর. দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর
গ রর র, রর ও ররর
১৭১. দুর্যোগ প্রশমনের মধ্যে আছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্যোগের স্থায়িত্ব হ্রাস
রর. দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি
ররর. সম্পূর্ণ প্রতিরোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭২. কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন হলো (অনুধাবন)
র. বেড়িবাঁধ নির্মাণ
রর. বিপদ সংকেত প্রচার
ররর. আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৩. দুর্যোগ প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত বিষয় হলো (অনুধাবন)
র. বেতার যন্ত্র প্রস্তুত রাখা
রর. ড্রিল বা ভ‚মিকা অভিনয়
ররর. মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৪. দুর্যোগকালীন করা উচিত (অনুধাবন)
র. প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ সংগ্রহ
রর. নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া
ররর. গবাদিপশুকে সরিয়ে নেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ডায়াগ্রাম থেকে ১৬১ ও ১৬২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৭৫. ডায়াগ্রামের কোনটি দুর্যোগপূর্ব ব্যবস্থা? (প্রয়োগ)
ক সাড়াদান খ পুনরুদ্ধার
প্রশমন ঘ উন্নয়ন
১৭৬. ডায়াগ্রামের অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রম Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গণসচেতনতা সৃষ্টি রর. পাকা ভবন নির্মাণ
রর. প্রশিক্ষণ নেওয়া
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ========
দৃশ্যকল্প-১ : চৈত্র মাস, মিলি বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় দেখল, রাস্তার দু’ধারের ফসলি জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এবং খেতের ফসলগুলো শুকিয়ে তামাটে রং ধারন করেছে।
দৃশ্যকল্প-২ : শ্রাবণ মাস, সারাদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। ফাহিমদের এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। [স. বো. ’১৬]
ক. নদীভাঙ্গন কাকে বলে? ১
খ. সুনামি কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগটি প্রতি বছরই বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ক নদীখাতে পানিপ্রবাহের কারণে পার্শ্বক্ষয়কে নদীভাঙন বলে।
খ সুনামি হলো বড় ধরনের সামুদ্রিক ঢেউ। ভ‚মিকম্পের সঙ্গে সুনামি সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্রের তলদেশের ভ‚মিকম্পের ফলেই সুনামির সৃষ্টি হয়ে থাকে। সমুদ্রের তলদেশে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হলে তার প্রভাবে সমুদ্রের উপরিভাগে বিশাল সামুদ্রিক ভয়ানক উঁচু হয়ে ঢেউ একের পর এক উপক‚লবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে থাকে। ফলে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এভাবে মূলত সমুদ্র তলদেশের ভ‚মিকম্পের কারণেই সুনামি হয়ে থাকে।
গ দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত ঘটনা হচ্ছে খরা। দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতির যে অবস্থা হয় তাকে খরা বলে। কোনো স্থানে খরা সংঘটিত হলে তার প্রভাবে প্রকৃতি, উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতির মতো হয়ে থাকে। যেমন উদ্দীপকে ফসলি জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এবং ক্ষেতের ফসলগুলো শুকিয়ে তামাটে রং ধারন করেছে। খরার প্রতিক্রিয়ায় আমাদের দেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খরার প্রভাবে কৃষিজ ফসলের উৎপাদন কমে যায়। খাদ্যদ্রব্যের অভাব হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। উপদ্রæত অঞ্চলে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রবল উত্তাপে বিভিন্ন ধরনের অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পরিবেশ রুক্ষ হয়ে ওঠে। অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব বেড়ে যায়। বৃষ্টিহীন ও খরাযুক্ত পরিবেশ মানুষ ও জীবজগতের স্বাভাবিক কাজকর্মের বিঘœ সৃষ্টি করে। বনজ সম্পদ বৃদ্ধি তথা অধিক বৃক্ষরোপণ করে এবং ভ‚গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ঘ দৃশ্যকল্প-২ এ সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগটি বন্যা। প্রতিবছরই কন্যা বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। যেমন উদ্দীপকে যাহিমদের এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। মূলত আমাদের দেশে বন্যার প্রভাব মারাত্মক। বন্যায় গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়। ধ্বংস হয় সম্পদ। বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের যে রেকর্ড রয়েছে তা তুলনাহীন বলা যায়। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর কারণেই বন্যা এদেশের একটি চির পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এছাড়া প্রায় প্রতি বছরই বন্যা আমাদের দেশের জনজীবনসহ অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব রাখছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুল-সেতু, শস্য, চাষাবাদ ও অন্যান্য বিষয় সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি এর দ্বারা সাধিত হচ্ছে। এ দুর্যোগ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও অবকাঠামোর ওপর মারাত্মক আঘাত হানছে।
প্রশ্ন- ২ পানিতে লবণাক্ততা ও বাঁধ নির্মাণ
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় সিড়রের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে কালাম মিয়া তার কৃষিজমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছে না। কারণ প্রতিদিনই তার জমিতে লোনা পানি প্রবেশ করে। [স. বো. ’১৫]
ক. বাংলাদেশে বনভ‚মির পরিমাণ কত শতাংশ? ১
খ. বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ মাসের ঘূর্ণিঝড়টি কীভাবে সংঘটিত হয়? ২
গ. কালাম মিয়া কেন তার জমিতে ধান উৎপন্ন করতে পারছে না? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমেই কি কালাম মিয়ার সমস্যার সমাধান সম্ভব? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ক বাংলাদেশে বনভ‚মির পরিমাণ প্রায় ১৩ শতাংশ।
খ বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ মাসের ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর প্রভাবে সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ মাসের বায়ুর কেন্দ্র ও ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। এর কেন্দ্রস্থলে নিম্নচাপ এবং চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজ করে। ফলে এর কেন্দ্রস্থলে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।
গ কালাম মিয়া তার কৃষি জমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছেন না। কারণ প্রতিদিনই তার জমিতে লোনা প্রবেশ করছে। এর কারণ হলো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড়। কালামের বাড়ি বাংলাদেশের উপক‚লবর্তী এলাকা সাতক্ষীরায়, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়শই সংঘটিত হয়। যার ফলে ব্যাপক জীবনহানির পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। উদ্দীপকে কালামের জমিতে ধান উৎপাদন না করার কারণ জমিতে লোনা পানির প্রবেশ। ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে ব্যাপকভাবে সামুদ্রিক লোনা পানি জমিতে প্রবেশ করার জমির উর্বরতা শক্তি বিনষ্ট করে ফেলে। ফলে ধানের উৎপাদন কমে যায়।
ঘ সাতক্ষীরায় ঝ‚র্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে কালাম মিয়া তার কৃষি জমিতে ধান উৎপাদন করতে পারছে না। কারণ প্রতিদিনই তার জমিতে লোনা পানি প্রবেশ করছে। বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমেই কালাম মিয়ার উক্ত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। নিম্নে এর স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলো :
বাঁধ হলো অতিরিক্ত পানি প্রবাহ রোধ করার একটি অন্যতম ফলপ্রসূ উপায়। বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রতিদিনের জোয়ারের পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বন্যার পানি প্রবাহের গতিরোধ করা যায়। যদি কালাম মিয়ার এলাকায় পর্যাপ্ত মজবুত বাঁধ থাকতো তবে ঘূর্ণিঝড়ের সময় তার সাহায্যে পানির গতিবেগ কমানো সম্ভব হতো এবং জমিতে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকানো সম্ভবপর হতো। পর্যাপ্ত পরিমাণ পাঁকা বাঁধ না থাকার ফলেই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী লোনা ও বন্যার পানি জমিতে প্রবেশ করে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমেই কালাম মিয়ার সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রশ্ন- ৩ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস, বন্যা, খরা, ভ‚মিকম্প ইত্যাদি বছরব্যাপী পত্রিকার লিড নিউজে থাকে। আন্তর্জাতিক বিশ্বেও এ খবরগুলো বেশ প্রাধান্য পায়। [আজিমপুর গভঃ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. প্রাকৃতিক দুর্যোগ কী? ১
খ. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর কেন? ২
গ. উল্লিখিত দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি কর। ৩
ঘ. উক্ত দুর্যোগ মোকাবিলায় তোমার কৌশল বিশ্লেষণ কর। ৪
ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলতে প্রকৃতির স্বাভাবিক চক্রের বাধা বা বিপর্যয়কে বোঝায়, যা আমাদের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
খ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর কারণ :
১. প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়। ফলে বহু মানুষ গৃহহারা হয়।
২. বন্যা ও জলোচ্ছ¡াসে হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু ভেসে যায়।
৩. আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়। ফলে খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
৪. বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
উপরিউক্ত কারণে এসব দুর্যোগ মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
গ উল্লিখিত দুর্যোগ তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে নিচে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হলো :
১. দুর্যোগ পূর্বকালীন : যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরুর আগে সম্ভাব্য সতর্ক ব্যবস্থা অবলম্বন করলে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। উপক‚লবাসীদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্যতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্কতা ও প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. দুর্যোগকালীন : নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। নিজেদের মধ্যে একতা ও সহমর্মিতাবোধ বাড়াতে হবে। তাহলে দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হবে।
৩. দুর্যোগ পরবর্তীকালীন : দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ক্ষতির হার নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। গৃহনির্মাণ, খাদ্য ও বস্ত্র সাহায্য, ওষুধপত্র বিতরণ ও স্বল্পকালীন ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্যোগের পর স্থানীয় শিক্ষক, চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপত্র কমিটি গঠন করে ব্যক্তিদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এছাড়া দেশব্যাপী বনায়ন কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করতে হবে। স্থায়ী পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। উপরিউক্ত ব্যবস্থাসমূহ নিলে আমরা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে অনেকটা সফল হব।
ঘ উক্ত দুর্যোগ তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নানা ধরনের কৌশল গ্রহণ করা যায়। যেমন :
১. আগাম প্রস্তুতি একটি কৌশল হিসেবে গণ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য, পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদি ব্যবস্থা করে রাখা যায়।
২. দুর্যোগের সময় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ে। এদের পুনর্বাসনের জন্য ত্রাণ তহবিলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রাখা যায়।
৩. বন্যার সময় নৌকার ব্যবস্থা করা, খরা মোকাবিলার জন্য পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকা, সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়া, সুনামির সময় শান্ত থাকা ইত্যাদি বিষয়ে আমি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্বাভাস প্রক্রিয়া জোরদারে কাজ করা যায়। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হবে।
৫. দুর্যোগের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা যায়। এ কার্যক্রমে সহপাঠী ও এলাকাবাসীর সাহায্য আমি নিতে পারি।
এসব কৌশল গৃহীত হলে যে কেউ তার ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের মাধ্যমে নিজের জীবন ও সম্পদ নিয়ে পরবর্তীতে দাঁড়িয়ে যেতে পারবে বলে আশা করা যায়।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৪ বন্যা
বর্ষা মৌসুমে নদীবাহিত পানি স্বাভাবিকভাবে দুর্যোগটি ঘটায় ও কোনো কোনো বছর দুর্যোগটি ভয়াবহ ও সর্বনাশা রূপ ধারণ করে। এতে আমাদের নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
ক. বন্যা কী? ১
খ. বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির দুটি কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উক্ত দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি তালিকা তৈরি কর। ৩
ঘ. আমাদের দেশে উক্ত দুর্যোগের প্রভাব আলোচনা কর। ৪
ক পানি নিষ্কাশন পথে ক্ষমতা বহিভর্‚ত মাত্রার পানি প্রবাহকে বন্যা বলে।
খ বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির দুটি কারণ হলো :
১. নদনদীর পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমে আসা। নদীভাঙন, বর্জ্য অব্যবস্থাপনাসহ নানা কারণে নদনদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে।
২. উজান অববাহিকা থেকে পানি আসা। ভারী বর্ষণ বা উজানের অববাহিকা থেকে আসা পানি খুব সহজেই নদী ভরে দুক‚ল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে।
গ উক্ত দুর্যোগটি হলো বন্যা। বন্যা এদেশের মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত একটি তালিকা উল্লেখ করা হলো :
১. ঘরবাড়ি, গৃহস্থালি সামগ্রী পানিতে ভেসে যায়।
২. অনেক জমির ফসল নষ্ট হয়।
৩. গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পানির তোড়ে ভেসে যায়।
৪. বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫. পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
৬. বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র অভাব হয়।
৭. পানিবাহিত রোগ যেমন : ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ে।
বংলাদেশের বন্যা স্বাভাবিক হলেও এসব ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত।
ঘ আমাদের দেশে বন্যার প্রভাব মারাত্মক। বন্যায় এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়। ধ্বংস হয় সম্পদ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ বাংলাদেশ তথা এ ঢালু সমভ‚মির দেশে বিভিন্ন শতাব্দীতে বন্যা হয়েছে। ১৯৫৪ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ১৯৭৪, ১৯৭৮, ১৯৮৪, ১৯৯৮, ২০০৪ সালের বন্যা ছিল ভয়াবহ। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের যে রেকর্ড রয়েছে তা তুলনাহীন বলা যায়। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর কারণেই বন্যা এদেশের একটি চির পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এছাড়া প্রায় প্রতি বছরই বন্যা আমাদের দেশের জনজীবনসহ অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব রাখছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুল-সেতু, শস্য, চাষাবাদ ও অন্যান্য বিষয় সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি এর দ্বারা সাধিত হচ্ছে। এ দুর্যোগ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও অবকাঠামোর ওপর মারাত্মক আঘাত হানছে। বন্যায় কিছু অনুক‚ল প্রভাবও আছে। বন্যা শেষে জমি পলিসমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এতে মাটির উর্বরাশক্তি বাড়ে। ফসল উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়। ময়লা আবর্জনা বন্যার পানিতে ধুয়ে মুছে পরিবেশ সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন- ৫ বন্যার কারণ ও প্রভাব
সিরাজ খান রাজাপুর গ্রামে একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। গত বছর ভয়াবহ বন্যার পর এ সংস্থা বন্যার প্রাকৃতিক কারণ, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে যা সর্বমহলে প্রশংসা লাভ করে।
ক. বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির প্রাকৃতিক একটি কারণ উল্লেখ কর। ১
খ. দুর্যোগ ও বিপর্যয় বলতে কী বোঝ? ২
গ. সিরাজ খানের সংস্থা আমাদের দেশে কেন বন্যা হয় তার কী কী কারণ চিিহ্নত করবে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত দুর্যোগের নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ব্যবস্থাপনা আলোচনা কর। ৪
ক বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির প্রাকৃতিক একটি কারণ হলো হিমালয়ের বরফগলা পানিপ্রবাহ।
খ দুর্যোগ হচ্ছে এরূপ ঘটনা, যা সমাজের স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচণ্ডভাবে বিঘœ ঘটায় এবং জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের পক্ষে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে এই ক্ষতি মোকাবিলা করা দুঃসাধ্য হয়। বিপর্যয় বলতে বোঝায় কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট ঘটনাকে। এই ঘটনা জীবন, সম্পদ ইত্যাদির ওপর প্রতিক‚লভাবে আঘাত করে পরবর্তীতে দুর্যোগের সৃষ্টি করতে পারে।
গ উদ্দীপকের সিরাজ খানের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে বন্যার প্রাকৃতিক কারণ চিিহ্নত করে। সুতরাং সংস্থাটির চিিহ্নত কারণগুলো হবে
১. উজানে প্রচুর বৃষ্টি;
২. ভৌগোলিক অবস্থান;
৩. মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব;
৪. মূল নদীর গভীরতা কম;
৫. শাখা নদীগুলো পলি দ্বারা আবৃত;
৬. হিমালয়ের বরফগলা পানিপ্রবাহ;
৭. বঙ্গোপসাগরের তীব্র জোয়ার-ভাটা ও
৮. ভ‚মিকম্প।
উক্ত প্রাকৃতিক কারণগুলোর সাথে কিছু মানবসৃষ্ট কারণে এদেশে প্রতিবছরই নিয়মিত বন্যা হয়।
ঘ উক্ত দুর্যোগটি হচ্ছে বন্যা। বন্যানিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাধারণ ব্যবস্থাপনা হলো :
১. সহজে স্থানান্তরযোগ্য বসতি তৈরি করা।
২. নদীর দু’তীরে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করা।
৩. নদী-শাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।
৪. বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন।
৫. পুকুর, নালা, বিল প্রভৃতি খনন করা এবং সেচের পানি সংরক্ষণ করা।
৬. প্রতি বছর বন্যা মোকাবিলার জন্য সরকারিভাবে স্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্রকৌশলগত ব্যবস্থা অনেক সময় নানা কারণে সম্ভব হয় না বিধায় সাধারণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
প্রশ্ন- ৬ ফারাক্কা বাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
ফারাক্কা বাঁধের কারণে নোমানদের গ্রামে প্রায় প্রতিবছর একটি দুর্যোগ দেখা দেয় যার ফলশ্রæতিতে তাদের গ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রামবাসী চেয়ারম্যানকে কিছু পদক্ষেপ নিতে বলে যা সহজ প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা।
ক. বাংলাদেশে মোট কতটি নদী বিস্তার করে আছে? ১
খ. বাংলাদেশে দুর্যোগের অন্যতম কারণ কী? ২
গ. নোমানদের গ্রামে দুর্যোগ দেখা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আলোচ্য দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে গ্রামবাসীর প্রস্তাবিত ব্যবস্থাপনা বর্ণনা কর। ৪
ক বাংলাদেশে মোট ৭০০টি নদী বিস্তার করে আছে।
খ বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, বন্যা, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছরই আমাদের জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি সাধন করে থাকে। আমাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব এসব দুর্যোগের কারণ।
গ ফরাক্কা বাঁধের কারণে নোমানদের গ্রামে প্রায় প্রতিবছর যে দুর্যোগটি আঘাত হানে তা হলো বন্যা। বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদীর উৎস চীন, নেপাল, ভারত ও ভুটানে। এ ৩টি নদীর মোট অববাহিকা এলাকার পরিমাণ ১৫,৫৪,০০০ কিলোমিটার। যার মাত্র ৭ শতাংশ এলাকা এ দেশে অবস্থিত। কিন্তু এসব নদী প্রবাহের ৮০ শতাংশেরও বেশি পানি বাইরে থেকে আসে এবং বন্যার জন্য দায়ী ৯০ শতাংশ পানিই এ ৩টি নদী দিয়ে আসে। উৎসস্থলের নদীগুলোর মুখে ফারাক্কার মতো বাঁধ নির্মাণ করে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নদীগুলোতে পানিপ্রবাহ যখন বেড়ে যায় তখন নিয়ন্ত্রণকারী দেশ বাঁধের ¯øুইস গেট খুলে দিলে তা একসাথে অববাহিকা এলাকার শেষাংশে এসে বন্যার সৃষ্টি করে। এ কারণে নোমানদের গ্রামে প্রায় প্রতিবছরই বন্যা দেখা দেয়।
ঘ আলোচ্য দুর্যোগ অর্থাৎ বন্যা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে তিন ধরনের ব্যবস্থাপনা মুখ্য। উদ্দীপকে গ্রামবাসীরা এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানকে সহজ প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা গ্রহণের কথা বলে। নিচে সহজ প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা তুলে ধরা হলো :
১. নদীর দুই তীরে বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি উপচেপড়া বন্ধ করা।
২. সর্বত্র বনায়ন সৃষ্টি করা।
৩. রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা।
৪. সর্বোচ্চ বন্যা লেভেলের উপরে ‘আশ্রয়কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা।
৫. বেষ্টনীমূল বাঁধ দেওয়া।
উপরিউক্ত সহজ প্রকৌশলগত ব্যবস্থাপনা তত ব্যয়বহুল না হওয়ায় আমাদের দেশের জন্য খুবই উপযুক্ত।
প্রশ্ন- ৭ খরা
আবদুল্লাহদের গ্রামে আগে প্রচুর ইরি ধানের চাষ হতো। তবে এক বিশেষ দুর্যোগের কারণে এখন ইরি ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
ক. খরা কী? ১
খ. খরা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কী? ২
গ. আবদুল্লাহদের গ্রামে ইরি ধানের চাষ কমে যাওয়ার কারণ কী? ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুর্যোগের প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক দীর্ঘসময় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে অবস্থা তাকে খরা বলে।
খ বনজ সম্পদ বৃদ্ধি অর্থাৎ অধিক বৃক্ষরোপণ করে এবং ভ‚গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গ খরার কারণে আবদুল্লাহদের গ্রামে ইরি ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। খরা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অপরিকল্পিত উন্নয়ন, বৃক্ষনিধন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠেছে। ফলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে যা খরা সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। খরার অন্য কারণ হলো গভীর নলক‚লের সাহায্যে যথেচ্ছ ভ‚র্গভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়া। এছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন, উজান থেকে পানি প্রত্যাহার, পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার অভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় ইত্যাদি কারণও খরা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আর এরূপে খরার ফলেই আবদুল্লাহদের গ্রামে ইরি ধানের চাষ কমে যায়।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দুর্যোগটি হচ্ছে খরা। খরার প্রভাবে
১. আমাদের দেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৃষিজ ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
২. খাদ্যদ্রব্যের অভাব হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।
৩. উপদ্রæত অঞ্চলে পানির অভাব দেখা দেয়।
৪. প্রবল উত্তাপে বিভিন্ন ধরনের অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
৫. পরিবেশ রুক্ষ হয়ে ওঠে।
৬. অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব বেড়ে যায়।
আমাদের দেশে বর্তমানে খরা অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
প্রশ্ন- ৮ ঘূর্ণিঝড়
কাজলদের বাড়ি ভোলার চর আলেকজান্ডারে। প্রতিবছরই তাদের এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আবার কখনও ঘূর্ণিঝড়ের সাথে জলোচ্ছ¡াসও আঘাত হানে। ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে তাদের এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হলেও প্রাণহানি কম হয়েছে। বাবা তাকে জানালেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসে তাদের এলাকায় সিডরের তুলনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক প্রাণহানি হয় এবং তার দাদা-দাদি এবং মা প্রাণ হারান।
ক. ঘূর্ণিঝড় কী? ১
খ. ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কী বিপর্যয় ঘটতে পারে? ২
গ. প্রতিবছরই কাজলদের এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ১৯৯১ সালের তুলনায় এবার সিডরে কাজলদের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৪
ক ঘূর্ণিঝড় হলো কেন্দ্রমুখী লঘুচাপ যার চারদিকে ঊর্ধ্বমুখী বাতাস উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে থাকে।
খ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যেসব বিপর্যয় ঘটতে পারে তা হলো :
১. জলোচ্ছ¡াসের সৃষ্টি;
২. বন্যা;
৩. প্রবল বাতাস;
৪. মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু;
৫. ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিপুল অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
গ কাজলদের বাড়ি ভোলা জেলার চর আলেকজান্ডার যা বঙ্গোপসাগর উপক‚লবর্তী একটি এলাকা। আমরা জানি প্রতিবছরই বিভিন্ন সময়ে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। এ নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। সাগরে সৃষ্ট এসব ঘূর্ণিঝড় উপক‚লবর্তী জেলাগুলোতে আঘাত হানে। যেহেতু চর আলেকজান্ডার উপক‚লবর্তী জেলার অন্তর্গত তাই প্রতি বছরই এখানে ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়।
ঘ ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল ভোলা, হাতিয়া, নোয়াখালি, চট্টগ্রামের উপক‚লবর্তী এলাকায়। ফলে এসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল। অন্যদিকে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে বেশি তীব্রতা বিশিষ্ট হলেও এর আঘাতস্থল ছিল পটুয়াখালি, বাগেরহাট, বরগুনা জেলার উপক‚লবর্তী এলাকা। ভোলাতে এ ঘূর্ণিঝড় তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এ কারণেই ১৯৯১ সালের তুলনায় সিডরে কাজলদের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম ছিল ।
প্রশ্ন- ৯ নদীভাঙন ও এর কারণ
মিলনদের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলায়। প্রতিবছর বর্ষাকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেখানকার মানুষ গৃহহীন হয়ে গুচ্ছ গ্রামে আশ্রয় নেয়। কারণ তাদের বসতবাড়ি ও জমি এবং সেখানকার রাস্তাঘাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয়, ধর্মীয় উপাসনালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ক. কত সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভ‚কম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে? ১
খ. ঢাকা শহর কেন ভ‚মিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ধরন কী হতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে জাজিরা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ গৃহহীন কেন। তার দুটি কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভ‚কম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।
খ বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অতীতকাল থেকে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়ে আসছে। এদেশে প্রধানত ভ‚মিকম্প হয় গঠনগত কারণে। এছাড়া পানির স্তর দ্রæত নিচে নেমে যাওয়ার কারণেও দেশটির কিছু স্থান প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারাতে বসেছে। এদিক দিয়ে ঢাকা শহর উল্লেখযোগ্য। আবার অন্যদিকে ঢাকার ওপর নগরায়ণের চাপ থাকায় ঢাকা শহর ক্রমেই ভ‚মিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
গ উদ্দীপকে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি হলো নদীভাঙন প্রক্রিয়া। নদীভাঙনে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীভাঙন এ দেশের জন্য নিয়মিত সমস্যা বলা যায়। নদীভাঙনের ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করে। এদেশে প্রতিবছর পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, তিস্তাসহ প্রায় ৪১০টি নদী-উপনদীতে বন্যা এবং সন্নিহিত নদীতে ভাঙনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১.৫ মিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৮,৭০০ হেক্টর জমি নদীভাঙনে নিঃশেষ যায়। দেশের প্রায় ১০০টি উপজেলায় নদীভাঙন হয়ে সংঘটিত হয়। নদীভাঙনে জমির মালিকগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সাথে তারা সামাজিক মর্যাদাও হারায়। ফলে তারা দুর্ভিক্ষের সাথি হয়ে শহর-নগরে ভাসমান মানুষে পরিণত হয় এবং সর্বোপরি সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
ঘ জাজিরা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ নদীভাঙনের জন্য গৃহহীন। তার দুটি কারণ বিশ্লেষণ করা হলো :
১. বৃক্ষনিধন, ২. নদীর প্রবাহ পথ ও তীব্র গতিবেগ।
১. বৃক্ষনিধন : গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বনাঞ্চলে অবৈধ প্রবেশ ও জ্বালানির উদ্দেশ্যে ব্যাপক গাছপালা নিধন ইত্যাদি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নদীপাড়ের বৃক্ষনিধনের ফলে নদীভাঙনের প্রবণতা বেশি হয়।
২. নদীর প্রবাহ পথ ও তীব্র গতিবেগ : বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর উৎপত্তি পার্বত্য এলাকায়। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর তীব্র প্রবাহ ও নদী খরস্রোতা হওয়ার কারণে নদীর ক্ষয় সাধিত হয়। এ অঞ্চলে নদীর পার্শ্ব অপেক্ষা নি¤œ ক্ষয় বেশি হয়।
প্রশ্ন- ১০ নদীভাঙন
যমুনা পাড়ের বাসিন্দা জসিম নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি, ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। জসিমের মতো আরও অনেক পরিবার দুর্যোগের শিকার হয়ে ভাসমান মানুষে পরিণত হয়েছে।
ক. নদীভাঙন কী ধরনের দুর্যোগ? ১
খ. বাংলাদেশের বন্যার সঙ্গে নদীভাঙনের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নদীভাঙনে জসিম কী ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে? ৩
ঘ. জসিমসহ অসংখ্য পরিবারের ভাসমান মানুষে পরিণত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক নদীভাঙন এক ধরনের বন্যার প্রভাবজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
খ বাংলাদেশে বন্যার সঙ্গে নদীভাঙনের সম্পর্ক আছে। উত্তরের হিমালয়ে পুঞ্জীভ‚ত বরফগলা পানি নিচে নামতে শুরু করলে বা অতি বৃষ্টি হলে আমাদের দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। আর বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়। নদীর তীরে পর্যাপ্ত উঁচু বাঁধ না থাকায় পানি উপচে পড়ে ভাঙনের সৃষ্টি করে।
গ নদীভাঙনের ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করে। এক্ষেত্রে জসিম তার চাষযোগ্য জমি হারাবে। পারিবারিক অন্যান্য সম্পদ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। বসতবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাবে। যেমন : উদ্দীপকে দেখা যায় জসিম ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে। এছাড়া জসিমের ফসল, গবাদিপশু ধ্বংস হতে পারে। তারা গাছপালাও নদীর পানিতে বিনষ্ট হবে। সুতরাং নদীভাঙনে জসিম সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। উদ্দীপকে দেখা যায় জসিম এখন সব হারিয়ে ভাসমান মানুষ। নদীভাঙনে জসিমসহ অসংখ্য পরিবার ভাসমান মানুষে পরিণত হয়।
ঘ নদীভাঙন বাংলাদেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া বিশেষ। এদেশের প্রধান নদী ও শাখানদী দ্বারা কম বেশি নদীভাঙন প্রক্রিয়া চলে। দেশের প্রায় ১০০টি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে নদীভাঙনে জসিমসহ অসংখ্য পরিবার, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তারা কখনই আর সে জমি পুনরুদ্ধার করতে পারে না। এ কারণে ভ‚মিহীন মানুষের স্থানান্তর ঘটে। এদের নির্দিষ্ট কোনো কাজের সুযোগ থাকে না। সেই সঙ্গে তারা সামাজিক মর্যাদাও হারায়। ফলশ্রæতিতে তারা দুর্ভিক্ষের সাথী হয়ে শহর-নগরের ভাসমান মানুষে পরিণত হয় এবং সর্বোপরি সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন- ১১ ভ‚মিকম্প
খলিল রাঙামাটিতে শিক্ষা সফরে যায়। সেখানে বিকেলের দিকে হোটেল লবিতে সে অনুভব করল সবকিছু কাঁপছে, পরক্ষণেই বন্ধ হয়ে গেল।
ক. ভ‚মিকম্প কী? ১
খ. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে ভ‚মিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ২
গ. খলিলের অনুভবকৃত প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সংঘটনের সময় আমাদের করণীয় কী? ৩
ঘ. উল্লিখিত দুর্যোগ এড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চিিহ্নত কর। ৪
ক ভ‚অভ্যন্তরে হঠাৎ সৃষ্ট কোনো কম্পন যখন ভ‚ত্বককে আকস্মিক আন্দোলিত করে, সাধারণত তাকেই ভ‚মিকম্প বলে।
খ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভ‚মিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। বাংলাদেশের পূর্বাংশে রয়েছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়। উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত স্বল্প ভাঁজবিশিষ্ট এ ভঙ্গিল প্রকৃতির পাহাড়গুলো বেলে পাথর, শেল পাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত। গঠনগত কারণে এ চত্বর ভ‚মিকম্পপ্রবণ। এছাড়া উত্তর-পশ্চিমাংশে রয়েছে বরেন্দ্রভ‚মি। এগুলোর গঠনগত কারণেও এ এলাকা ভ‚মিকম্পপ্রবণ। আবার মধুপুর এবং ভাওয়াল গড় ও লালমাই পাহাড়ও গঠনগত কারণে ভ‚মিকম্পপ্রবণ।
গ খলিল হোটেলে যে কাঁপুনি অনুভব করল তা হলো ভ‚মিকম্প। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে এটি অন্যতম। ভ‚মিকম্প একটি আকস্মিক ঘটনা। তাই এটির সাড়া পাওয়ার সাথে সাথে প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্নলিখিত কাজ করা যেতে পারে-
১. বাড়িতে থাকাকালীন বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। গ্যাসের চুলা বন্ধ করতে হবে। তাড়াতাড়ি বাড়ি হতে বের হয়ে যেতে হবে।
২. লিফটের ভিতরে থাকাকালীন দ্রæত নিচে নামার চেষ্টা করতে হবে। লিফটের ভিতরে আটকে পড়লে লিফট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে হবে।
৩. ট্রেনে বা গাড়ির ভিতর থাকাকালীন যদি ভ‚মিকম্প হয় তবে কোনো জিনিস ধরে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত।
৪. মার্কেট, সিনেমা হল, আন্ডারগ্রাউন্ড, শপিংমলে থাকলে প্রথমে নিচু হয়ে বসে বা শুয়ে থাকা শ্রেয় এবং পরবর্তীতে দ্রæত স্থান ত্যাগ করতে হবে।
৫. বাড়ির বাইরে থাকাকালীন বড় দালানকোঠার নিচে না দাঁড়িয়ে খোলা মাঠে বা স্থানে দাঁড়াতে হবে।
ভ‚মিকম্প সংঘটনের সময় এসব ব্যবস্থা নেওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক হ্রাস পাবে।
ঘ উল্লিখিত দুর্যোগ তথা ভ‚মিকম্প এড়ানোর লক্ষ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ চিিহ্নত করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে এতে ভ‚মিকম্প এড়ানো যাবে না, ভ‚মিকম্প সংঘটিত হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হবে। পদক্ষেপগুলো হলো
১. ভ‚মিকম্প সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন।
২. সারাদেশে ভবন নির্মাণে জাতীয় ‘বিল্ডিং কোড’ এবং কোডের কাঠামোগত অনুসরণ বাধ্যতামূলক হবে।
৩. রাজউকের বর্তমান ভবন নির্মাণ অনুমোদনের নীতিমালার সংশোধন প্রয়োজন।
৪. সারাদেশে রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে।
৫. ভ‚মিকম্প পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো কর্তৃক তালিকা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের দফতরে সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসমূহে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
৭. দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীতে ‘ডগ স্কোয়াড’ রাখা।
৮. ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন ও মহড়া অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
৯. বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক সিলেটে নির্মীয়মাণ কেন্দ্রের সাথে আবহাওয়া অধিদফতরের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর এবং সিলেট কেন্দ্রের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা।
ভ‚মিকম্প একেবারেই এড়ানো এখনও মানুষের আয়ত্তের বাইরে। এর পূর্বাভাসও দেওয়া যায় না। তাই এর ভয়াবহ ক্ষতি এড়াতে উক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ অতীব প্রয়োজন।
প্রশ্ন- ১২ খরা ও ঘূর্ণিঝড়
দৃশ্যকল্প-১ : দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন, প্রকৃতি তার স্বাভাবিক কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে উঠেছে। যার ফলশ্রæতিতে ফসল উৎপাদন কমে গেছে।
দৃশ্যকল্প-২ : উপক‚লীয় গ্রাম চকোর। এক চৈত্রের শেষে গ্রামটি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। চারদিকে হাহাকার।
ক. বর্ষাকালে বাংলাদেশে কোন বায়ুর কারণে ঘূর্ণিঝড় হয়? ১
খ. ভ‚মিকম্পে লিফটে থাকাকালীন কী করণীয় ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত ঘটনার প্রভাব কী হতে পারে? ৩
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর নির্দেশিত ঘটনাটির বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধর। ৪
ক বর্ষাকালে বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ঘূর্ণিঝড় হয়।
খ ভ‚মিকম্পে লিফটের ভিতর থাকাকালীন দ্রæত নিচে নামতে হবে। লিফটের ভিতর আটকে পড়লে লিফট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে হবে।
গ দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত ঘটনা কোনো স্থানে খরা সংঘটিত হলে তার প্রভাবে হয়ে থাকে। এ সময় মাটি তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে রুক্ষরূপ ধারণ করে। এ সময় ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া ছাড়াও খাদ্যদ্রব্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। উপদ্রæত অঞ্চলে পানির অভাব দেখা দিতে পারে, অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে। প্রবল উত্তাপে বিভিন্ন ধরনের অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
ঘ দৃশ্যকল্প-২ এ নির্দেশিত ঘটনাটি ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় অন্যতম। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত। এর কেন্দ্রস্থলে নিম্নচাপ ও চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজ করে। বাংলাদেশের আশ্বিন-কার্তিক এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ ঘূর্ণিঝড়ের সংঘটন ঘটে। বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ঘূর্ণিঝড় হয় এবং একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং মারাত্মক ধ্বংসকারী বাংলাদেশে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন- ১৩
মিঠুদের বাড়ি সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায়। প্রায় প্রতিবছরই বন্যাকবলিত হয়। এ দুর্যোগ তাদের করে তুলেছে অনেকটা সহনশীল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সেখানে সাড়া ফেলতে পারেনি। দুর্যোগের আগে, পরে ও সময়কালীন ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট ত্রæটি পরিলক্ষিত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ডুবে যায়, সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়, গবাদিপশু, মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হয়।
ক. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান কী কী? ১
খ. পুনরুদ্ধার বলতে কোন কার্যক্রমকে বোঝানো হয়? ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে মিঠুদের এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তিনটি ত্রæটি চিিহ্নত কর। ৩
ঘ. সেখানকার দুর্যোগ পূর্ব কার্যক্রম কী হতে পারে? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রশমন এবং দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান।
খ দুর্যোগের ফলে সম্পদ, পরিবেশ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো ইত্যাদিতে যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগপূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।
গ উদ্দীপকের মিঠুদের বাড়িতে যেহেতু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সাড়া ফেলতে পারেনি, সুতরাং সেখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার নি¤œলিখিত ত্রæটি চিহ্নিত করা যেতে পারে :
১. বন্যাকবলিত এলাকায় যেসব লোকজন উঁচু জায়গা দেখে বাড়ি নির্মাণ করেনি, তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অন্যতম কাজ হচ্ছে দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন। অথচ এক্ষেত্রে লোকজন কী নীতিমালার আলোকে বাড়ি ঘর নির্মাণ করছে তার অনুপস্থিতি লক্ষণীয়।
২. বন্যার পানিতে যাতে না ডুবে এমন স্থানে টিউবওয়েল স্থাপন করেনি। ফলে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
৩. বন্যায় আক্রান্ত হলে কোথায় আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে অথবা গবাদিপশু বা মূল্যবান মালপত্র স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে তা পূর্বে বন্যাকবলিত লোকজন নির্ধারণ করে রাখেনি। এক্ষেত্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লোকজনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়নি।
ঘ সেখানে তথা মিঠুদের এলাকায় বন্যা দুর্যোগ সংঘটিত হলেও তাদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাড়া ফেলেনি। সুতরাং সেখানে দুর্যোগপূর্ব অবস্থায় প্রতিরোধ, প্রশমন ও পূর্বপ্রস্তুতি এ বিষয়গুলো নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সেখানকার দুর্যোগপূর্ব কার্যক্রম হতে পারেÑ
প্রতিরোধ : সেখানে বন্যা সম্পূর্ণভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব না হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ব্যাপারে প্রতিরোধ কার্যক্রম সুফল বয়ে আনতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধের কাঠামোগত ও অকাঠামোগত প্রশমনের ব্যবস্থা আছে। সেখানে এ ধরনের কার্যক্রমের প্রসার ঘটাতে হবে।
প্রশমন : দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়িত্ব হ্রাস এবং দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলা হয়। সেখানে মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ, শস্য বহুমুখীকরণ, ভ‚মি ব্যবহারে বিপর্যয় হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোক স্থানান্তর, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
পূর্ব প্রস্তুতি : দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি বলতে দুর্যোগপূর্ব সময়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাসমূহকে বোঝায়। আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে চিিহ্নতকরণ, দুর্যোগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, ড্রিল বা ভ‚মিকা অভিনয় এবং রাস্তাঘাট, যানবাহন, বেতারযন্ত্র ইত্যাদি দুর্যোগের পূর্বে প্রস্তুত রাখা দুর্যোগ প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত।
এসব কার্যক্রম পরিচালিত হলে মিঠুরা সার্থকভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারবে।
প্রশ্ন- ১৪ দুর্যোগব্যবস্থা
নিচের ডায়াগ্রামটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখ। ১
খ. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য কী কী? ২
গ. দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পাকা ভবন নির্মাণ, জনসাধারণের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধি ডায়াগ্রামের কোন উপাদনের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ডায়াগ্রামের প্রথম চারটি উপাদানের পরিচিতি বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ¡াস, খরা ও নদীভাঙন।
খ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো তিনটি :
১. দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা।
২. প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে অল্প সময়ে সকল প্রকার ত্রাণ পৌছানো ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
৩. দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা।
গ দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পাকা ভবন নির্মাণ এবং জনসাধারণের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের তথা ডায়াগ্রামের দুটি ভিন্ন উপাদানের অন্তর্গত।
দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় পাকা ভবন নির্মাণ : এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের প্রশমনের অন্তর্ভুক্ত। দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি দীর্ঘস্থায়ীভাবে হ্রাস করতে কাঠামোগত সংস্কারের দিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন খুবই ব্যয়বহুল। তবুও বারবার ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এর বিকল্প নেই। দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় বলে এটি প্রশমনের অন্তর্ভুক্ত।
জনসাধারণের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধি : এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের প্রতিরোধের অন্তর্ভুক্ত। গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে এবং ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে কর্মশালা সেমিনার ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে দুর্যোগ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালানো সম্ভব। অতি স্বল্প ব্যয়ে এ কার্যক্রম চালানো যায়। গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা যায় বলে এটি দুর্যোগ প্রতিরোধের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ ডায়াগ্রামের তথা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রথম চারটি উপাদানের পরিচিতি বিশ্লেষণ করা হলো :
১. দুর্যোগ প্রতিরোধ : এটি দুর্যোগ পূর্ব কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে দুর্যোগকে কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সরকার ও জনগণের পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
২. দুর্যোগ প্রশমন : প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সম্পূণ
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
উত্তর : বাংলাদেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২,৩০০ মিলিমিটার।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের মোট কতটি নদীর উৎসস্থল ভারতে?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট ৫৪টি নদীর উৎসস্থল ভারতে।
প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাণ কত?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর অববাহিকা এলাকার পরিমাণ ১৫,৫৪,০০০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলাদেশে বহমান প্রধান তিনটি নদীর কত শতাংশের বেশি পানি বাইরে থেকে আসে?
উত্তর : বাংলাদেশে বহমান প্রধান তিনটি নদীর ৮০ শতাংশেরও বেশি পানি বাইরে থেকে আসে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের কত লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের শিকার হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের ১.৫ মিলিয়ন লোক প্রত্যক্ষভাবে নদীভাঙনের শিকার হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ প্রতিবছর বাংলাদেশ নদীভাঙনের ফলে কত টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়?
উত্তর : প্রতিবছর বাংলাদেশ নদীভাঙনের ফলে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ দেশের কতটি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়?
উত্তর : দেশের ১০০টি উপজেলায় নদীভাঙন সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ কোন সময় নদীভাঙন বেশি হয়?
উত্তর : বর্ষাকালে নদীভাঙন বেশি হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে কতগুলো নদীতে নদীভাঙন দেখা যায়?
উত্তর : বন্যা মৌসুম ও সন্নিহিত সময়ে ৪০টি নদীতে নদীভাঙন দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ কোনটি কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত?
উত্তর : ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাংলাদেশে কোন সময়ে ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়?
উত্তর : বাংলাদেশে আশ্বিন-কার্তিক এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ কোন অঞ্চলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়ে থাকে?
উত্তর : পার্বত্য অঞ্চলে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সারাদেশে ভবন নির্মাণে কী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক?
উত্তর : সারাদেশে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন \ ১৪ \ অঞ্চল-৩ কী?
উত্তর : অঞ্চল-৩ হচ্ছে ভ‚মিকম্পে কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা হচ্ছে ৫।
প্রশ্ন \ ১৫ \ তিনটি ভ‚কম্পন সংঘটিত অঞ্চলের নাম কী?
উত্তর : তিনটি ভ‚কম্পন সংঘটিত অঞ্চলের নাম হচ্ছে, অঞ্চল-১ (মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭), অঞ্চল-২ (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা-৬), অঞ্চল-৩ (কম ঝুঁকিপূর্ণ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫)।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বাংলাদেশের পূর্বাংশে কোন যুগের পাহাড় রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের পূর্বাংশে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় রয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বাংলাদেশের পাহাড়গুলো কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : বাংলাদেশের পাহাড়গুলো বেলেপাথর, শেলপাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কত সাল থেকে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত শুরু হয়?
উত্তর : ১৫৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড সংগৃহীত শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ অগভীর কেন্দ্র কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর : অগভীর কেন্দ্র ০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্ন \ ২০ \ কত সালে কক্সবাজার এবং সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে?
উত্তর : ১৭৬২ সালের ২রা এপ্রিল কক্সবাজার এবং সন্নিহিত অঞ্চলে সুনামির প্রভাব ঘটে।
প্রশ্ন \ ২১ \ মিয়ানমারে আরাকান উপক‚লে কত মাত্রার ভ‚মিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামির আগমন হয়?
উত্তর : মিয়ানমারে আরাকান উপক‚লে ৭.৫ মাত্রার ভ‚মিকম্প সংঘটনের ফলে সুনামির আগমন হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ কত সালে আন্দামান সাগরে ভ‚মিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয়?
উত্তর : ১৯৪১ সালে আন্দামান সাগরে ভ‚মিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি হয়।
প্রশ্ন \ ২৩ \ ১৯৪১ সালে বঙ্গোপসাগরের সুনামিতে কত জন প্রাণ হারায়?
উত্তর : ১৯৪১ সালে বঙ্গোপসাগরের সুনামিতে ৫,০০০ জন প্রাণ হারায়।
প্রশ্ন \ ২৪ \ ভ‚মিকম্পের সাথে কোনটি সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর : ভ‚মিকম্পের সাথে সুনামি সংঘটনের সম্পর্ক রয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ ‘স্পারসো’ কী?
উত্তর : ‘স্পারসো’ হলো মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি সরকারি সংস্থা।
প্রশ্ন \ ২৬ \ ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র উপকেন্দ্রের সাথে কয় ধরনের পরিমাপ সম্পর্কযুক্ত?
উত্তর : ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র উপকেন্দ্রের সাথে তিন ধরনের পরিমাপ সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্ন \ ২৭ \ দুর্যোগ প্রস্তুতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দুর্যোগ প্রস্তুতি বলতে দুর্যোগপূর্ব সময়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাসমূহকে বোঝায়।
প্রশ্ন \ ২৮ \ মহাকাশ গবেষণার জন্য সরকারি একটি সংস্থার নাম কী?
উত্তর : মহাকাশ গবেষণার জন্য সরকারি একটি সংস্থার নাম হচ্ছে স্পারসো।
প্রশ্ন \ ২৯ \ কোনগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান?
উত্তর : দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রশমন এবং দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান।
প্রশ্ন \ ৩০ \ দুর্যোগ প্রশমন কী?
উত্তর : দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩১ \ কোন ধরনের দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল?
উত্তর : কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল।
প্রশ্ন \ ৩২ \ দুর্যোগের পরপরই কিসের প্রয়োজন হয়?
উত্তর : দুর্যোগের পরপরই উপযুক্ত সাড়াদানের প্রয়োজন হয়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশে কী কী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তার একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তর : বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের নিত্যসঙ্গী। নিচে বাংলাদেশে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তার একটি তালিকা তৈরি করা হলো :
১. ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস
২. বন্যা
৩. নদীভাঙন
৪. খরা ৫. শৈত্যপ্রবাহ
৬. টর্নেডো
৭. কালবৈশাখী
৮. ভ‚মিকম্প
প্রশ্ন \ ২ \ বন্যা সৃষ্টির কৃত্রিম কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কিছু মনুষ্য সৃষ্ট কারণে বন্যা সংঘটিত হয়। যেমন : নদী অববাহিকায় ব্যাপক বৃক্ষ কর্তন। গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ, অন্যান্য নদীতে বাঁধের প্রভাব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ। এগুলোকে বন্যা সৃষ্টির কৃত্রিম কারণ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদী বন্যার জন্য দায়ী কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর উৎস চীন, নেপাল, ভারত ও ভ‚টান। এ ৩টি নদীর মোট অববাহিকা এলাকার পরিমাণ ১৫,৫৪,০০০ বর্গকিলোমিটার। এসব নদী প্রবাহের ৮০ শতাংশের বেশি পানি বাইরে থেকে আসে এবং বন্যার জন্য দায়ী ৯০ শতাংশ পানিই এ ৩টি নদী নিয়ে আসে। তাই প্রধান তিনটি নদীই বন্যার জন্য দায়ী।
প্রশ্ন \ ৪ \ কীভাবে খরা মোকাবিলা করা সম্ভব?
উত্তর : খরা বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার পুরোপুরি প্রতিরোধ করা খুব সহজ নয়। তবে সচেতন হলে ও সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকখানি কমানো যেতে পারে। এজন্য ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর পরীক্ষা করে মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ করে খরা মোকাবিলা করা যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে খরার ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় বর্ণনা কর?
উত্তর : প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং মারাত্মক ধ্বংসকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় উল্লেখযোগ্য। স্থান অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন নামকরণ হয়। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রমুখী ও ঊর্ধ্বমুখী বায়ুরূপে পরিচিত। এর কেন্দ্রস্থলে নি¤œচাপ এবং চারপাশে উচ্চচাপ বিরাজ করে। বাংলাদেশ আশ্বিন-কার্তিক এবং চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ ঘূর্ণিঝড়ের সংঘটন ঘটে। বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ঘূর্ণিঝড় হয় এবং একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ঘূর্ণিঝড় একটি সাময়িক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশের পূর্বাংশে বেশি ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, স›দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, উড়িরচর, চর জব্বার, চর আলেকজান্ডার প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ৬ \ ঘূর্ণিঝড় কী কারণে সংঘটিত হয়?
উত্তর : উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় হলো পৃথিবীর যাবতীয় দুর্যোগের মধ্যে তীব্রতার দিক থেকে অন্যতম। কোনো স্থানের বাতাসের তাপ বৃদ্ধি
পেলে সেখানকার বাতাস উপরে উঠে যায়। ফলে ওই অঞ্চলের বাতাসের চাপ কমে যায়। একে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়া বলে। এ সময় আশপাশের অঞ্চল থেকে বাতাস প্রবল বেগে ওই অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। একে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাংলাদেশে অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড় হয় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে।
প্রশ্ন \ ৭ \ নদীভাঙনের প্রাকৃতিক কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : যে সমস্ত প্রাকৃতিক কারণে নদীভাঙন হয় তা হলো : জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর প্রবাহপথ ও তীব্র গতিবেগ, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীগর্ভে শিলার উপাদান, রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি, শিলার কঠিনতা, নদীগর্ভে ফাটলের উপস্থিতি, বৃক্ষনিধন ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৮ \ কী ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে ভ‚মিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভ‚মিকম্প প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা এখনও মানুষের জানা নেই। তবে ভ‚মিকম্পের সময় আত্মরক্ষা এবং ভ‚মিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণকাজ সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দিতে হবে। ভ‚মিকম্পে করণীয় সম্পর্কে ধারণা, সচেতনতা ও প্রস্তুতি থাকলে প্রাণহানি অনেকাংশে কমানো সম্ভব, ক্ষয়ক্ষতিও কম হবে।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাড়িতে থাকাকালীন সময় ভ‚মিকম্পে করণীয় কী?
উত্তর : বাড়িতে থাকাকালীন সময় ভ‚মিকম্পে করণীয় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। গ্যাসের চুলা বন্ধ করতে হবে। তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন \ ১০ \ ভ‚মিকম্পের সময় মার্কেট বা শপিংমলে থাকলে কী করতে হবে?
উত্তর : ভ‚মিকম্প একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভ‚মিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। মার্কেট বা শপিংমলে থাকাকালে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হলে এক আকস্মিক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে, আগুনও লাগতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ভীত না হয়ে প্রথমে নিচু হয়ে বসা বা শুয়ে থাকা শ্রেয় এবং পরে যত দ্রæত সম্ভব স্থান ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়।