চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাহাড়পুর অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

পাহাড়পুর

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
বিহার সুপ্রাচীন ভিক্ষু স্ত‚প বিশাল প্রাণকেন্দ্র দুর্লভ মানত আবিষ্কার স্নানঘাট ধর্মচর্চা
উত্তর :
শব্দ অর্থ
বিহার – বৌদ্ধমঠ।
সুপ্রাচীন – পুরাতন (পুরনো), বহুকাল আগের।
ভিক্ষু – বৌদ্ধদের মধ্যে যাঁরা সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী (যাঁরা সংসার করেন না); তাঁদের পরনে থাকে কাষাই (গেরুয়া) রঙের লম্বা কাপড়, মাথা থাকে মোড়ানো এবং চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই থাকে আলাদা বৈশিষ্ট্য।
স্তূপ – ঢিবি, ঢিবির মতো বৌদ্ধদের সমাধি।
বিশাল – অনেক বড়, প্রকাণ্ড, বিস্তীর্ণ।
প্রাণকেন্দ্র – প্রধান জায়গা।
দুর্লভ – যা সহজে লাভ করা যায় না বা পাওয়া যায় না।
মানত – কারো মনের ইচ্ছা পূরণ হলে সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ করে কিছু দেবার প্রতিজ্ঞা।
আবিষ্কার – উদ্ভাবন, নতুন কিছু তৈরি।
স্নানঘাট – গোসল করার জায়গা।
ধর্মচর্চা – ধর্ম বিষয়ে জ্ঞানলাভ ও অনুশীলন করা।

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
প্রাণকেন্দ্র স্ত‚প দুর্লভ বিশাল বিহার সুপ্রাচীন
ক) পাহাড়পুর ছাড়াও আমাদের দেশে আরও ………. রয়েছে।
খ) আমাদের দেশে ………. মঠ রয়েছে।
গ) টেবিলের উপর ধুলোবালি পড়ে ময়লার ………. হয়ে আছে।
ঘ) আকাশ অনেক ……….।
ঙ) ঢাকা বাংলাদেশের ……….।
চ) জাদুঘরে অনেক ………. জিনিস দেখতে পাওয়া যায়।
উত্তর : ক) বিহার; খ) সুপ্রাচীন; গ) স্তূপ; ঘ) বিশাল; ঙ) প্রাণকেন্দ্র; চ) দুর্লভ।

৩. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক. বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ভিক্ষুগণ থাকতেন –
১. বৌদ্ধবিহারে √ ২. পাহাড়পুরে
৩. বদলগাছিতে ৪. জামালপুরে
খ. আলেকজান্ডার কানিংহাম এই পুরাকীর্তি আবিষ্কার করেন –
১. ১৭৭৯ সালে ২. ১৮৭৯ সালে √
৩. ১৯৭৯ সালে ৪. ১৬৭৯ সালে
গ. বিহার এলাকাটি বিস্তৃত –
১. ৫০ একর জুড়ে ২. ৪০ একর জুড়ে √
৩. ৬০ একর জুড়ে ৪. ৩০ একর জুড়ে

৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) পাহাড়পুর নামটা কীভাবে হলো?
উত্তর : পাহাড়পুর বিহারটি একসময় খালি পড়ে থাকে। অনেকে মনে করেন এ সময় যুগ যুগ ধরে উড়ে আসা ধুলাবালি ও মাটি এটির চারদিকে জমতে থাকে। একসময় মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে এটি পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। সেই থেকে এর নাম হয় পাহাড়পুর।
খ) এখানে কত বছর আগে কারা থাকতো?
উত্তর : পাহাড়পুরে প্রায় ১৪০০ বছর আগে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ থাকতেন।
গ) বিহারটির মাঝখানে কী কী আছে?
উত্তর : পাহাড়পুরে বৌদ্ধবিহারের মাঝখানে মূল দরজার পরেই একটি বড় হলঘর ও দুটি ছোট হলঘর রয়েছে। এছাড়া চারদিকে দেয়ালের ভিতরে সুন্দর সারবাঁধা ১৭৭টি ছোট ছোট ঘর রয়েছে।
ঘ) বৌদ্ধ বিহারটির মাটি ও দেয়াল কোন রঙের এবং কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর : বৌদ্ধ বিহারটির মাটি ও দেয়াল লালচে রঙের এবং পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি।

৫. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে বাক্য পড়ি ও লিখি।
পাহাড়পুর একটি সুপ্রাচীন ১৭৭টি ছোট ঘর।
ভিক্ষুগণ সেখানে সোমপুর মহাবিহার।
মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে বৌদ্ধবিহার।
পাহাড়পুরের আরেক নাম সন্ধ্যাবতীর ঘাট।
ভিতরে সুন্দর সার বাঁধা পাহাড় হয়ে যায়।
বিহারের দক্ষিণ কোণে রয়েছে ধর্মচর্চা করতেন।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
পাহাড়পুর একটি সুপ্রাচীন – বৌদ্ধবিহার।
ভিক্ষুগণ সেখানে – ধর্মচর্চা করতেন।
মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে – পাহাড় হয়ে যায়।
পাহাড়পুরের আরেক নাম – সোমপুর মহাবিহার।
ভিতরে সুন্দর সার বাঁধা – ১৭৭টি ছোট ঘর।
বিহারের দক্ষিণ কোণে রয়েছে – সন্ধ্যাবতীর ঘাট।

৬. বাক্য রচনা করি।
ভিক্ষু, ধর্মচচা, আবিষ্কার, প্রাণকেন্দ্র, স্নানঘাট।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
ভিক্ষু – ভিক্ষুগণ বিহারে থাকতেন।
ধর্মচর্চা – বিহারগুলোতে ধর্মচর্চা করা হতো।
আবিষ্কার – বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করেন।
প্রাণকেন্দ্র – ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র।
স্নানঘাট – সাহেলা স্নানঘাটে স্নান করতে গিয়েছে।

৭. কথাগুলো বুঝে নিই।
উড়ে-আসা – বাতাসের সঙ্গে যা কিছু উড়ে আসতে পারে তাকে বলে উড়ে-আসা, যেমন উড়ে-আসা গাছের পাতা, উড়ে-আসা পাখি ইত্যাদি।
পাড়ি দেওয়া – এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছানো বা পার হওয়াকে বলা হয় পাড়ি দেওয়া। যেমন- সাত সমুদ্র পাড়ি দেওয়া সবার কাজ নয়।
দুর্লভ জিনিসপত্র – যেসকল জিনিস সহজে লভ্য বা পাওয়া যায় না তাকেই দুর্লভ জিনিসপত্র বলে।

৮. কর্ম-অনুশীলন।
ক. পাহাড়পুর পাঠে যেসব স্থান ও ব্যক্তির নাম আছে সেসব নামের একটি তালিকা তৈরি করি। আমার তালিকাটি পাশের বন্ধুর সাথে মিলিয়ে নিই।
উত্তর : নিচের ছকে পাঠে উল্লিখিত স্থান ও ব্যক্তির নামের তালিকা তুলে ধরা হলো :
স্থানের নাম ব্যক্তির নাম
কুমিল্লা, পাহাড়পুর, ময়নামতি, শালবন বিহার, হিমালয় পর্বত, সোমপুর বিহার, রাজশাহী, নওগাঁ, বদলগাছি, সন্ধ্যাবতীর ঘাট। আলেকজান্ডার কানিংহাম, রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল।
খ. ময়নামতির ‘শালবন বিহার’ দিয়ে ৫টি বাক্য লিখি।
উত্তর : ময়নামতির ‘শালবন বিহার’ দিয়ে নিচে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো –
(১) শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
(২) শালবন বিহারে একসময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন।
(৩) শালবন বিহারে বিদ্যাচর্চার ব্যবস্থা ছিল।
(৪) শালবন বিহারে পোড়ামাটির ফলকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
(৫) শালবন বিহারে অনেক প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে।

পাহাড়পুর অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ।
১) সোমপুর বিহার প্রায় কত বছর আগের তৈরি? জ
ক ১০০০ বছর খ ১২০০ বছর
গ ১৪০০ বছর ঘ ১৬০০ বছর
২) হিমালয় হলো একটি বিশাল- ছ
ক বিহার খ পর্বত
গ নদী ঘ দালান
৩) সোমপুর বিহার যে গ্রামে অবস্থিত তার নাম কী? জ
ক সোমপুর খ বদলগাছি
গ পাহাড়পুর ঘ ময়নামতি
৪) সোমপুর বিহারের দালানটি কত একর জায়গার উপর? ছ
ক ১৬ একর খ ২৭ একর
গ ৩৪ একর ঘ ৪০ একর
৫) সোমপুর বিহার নির্মাণ করান- ঝ
ক আলেকজান্ডার কানিংহাম
খ বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ
গ রাজা প্রথম ধর্মপাল ঘ রাজা দ্বিতীয় ধর্মপাল
৬) সোমপুর বিহারে কত সংখ্যক মানুষের থাকার ব্যবস্থা ছিল? ঝ
ক ৩০০ জন খ ৫০০ জন
গ ৬০০ জন ঘ ৮০০ জন
৭) সোমপুর বিহার কিসের প্রাণকেন্দ্র ছিল? চ
ক উচ্চশিক্ষার খ ব্যবসায়-বাণিজ্যের
গ প্রাথমিক শিক্ষার ঘ রাজনীতি চর্চার
৮) ‘সন্ধ্যাবতীর ঘাট’ কোথায় অবস্থিত? জ
ক সোমপুর বিহারের উত্তর-পূর্ব কোণে
খ সোমপুর বিহারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে
গ সোমপুর বিহারের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে
ঘ সোমপুর বিহারের উত্তর-পশ্চিম কোণে
🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর।
পাহাড়পুর একটি পোড়ামাটির ফলকের চিত্র
মন্দিরের গায়ে আছে সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহার
সোমপুর বিহার পূর্ব-পশ্চিমে মূল দরজা
বিহারের উত্তর দিকের ঠিক মাঝখানে ৯১৯ ফুট বিস্তৃত
উত্তর :
পাহাড়পুর একটি – সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহার
সোমপুর বিহার পূর্ব-পশ্চিমে – ৯১৯ ফুট বিস্তৃত
মন্দিরের গায়ে আছে – পোড়ামাটির ফলকের চিত্র
বিহারের উত্তর দিকের
ঠিক মাঝখানে – মূল দরজা
🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর।
সুপ্রাচীন, শিষ্য, প্রার্থনা, দুর্লভ, মূর্তি।
উত্তর :
শব্দ বাক্য
সুপ্রাচীন – মহাস্থানগড় সুপ্রাচীন কালের একটি স্থাপনা।
শিষ্য – কবির স্যারের শিষ্যরা তাঁকে সালাম দিল।
প্রার্থনা – আমরা সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি।
দুর্লভ – হীরা একটি দুর্লভ রতœ।
মূর্তি – মাটি দিয়ে নানা রকম মূর্তি তৈরি হয়।
🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ।
বোদ্ধ, স্তুপ, শিস্য, দূর্লভ, প্রাথনা।
উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান
বোদ্ধ – বৌদ্ধ
স্তুপ – স্তূপ
শিস্য – শিষ্য
দূর্লভ – দুর্লভ
প্রাথনা – প্রার্থনা
🟥 এককথায় প্রকাশ কর।
ক) প্রধান জায়গা; খ) যা সহজে লাভ করা যায় না; গ) বিশেষভাবে খ্যাত; ঘ) প্রাচীনকালের কীর্তি।
উত্তর : ক) প্রাণকেন্দ্র; খ) দুলর্ভ; গ) বিখ্যাত; ঘ) পুরাকীর্তি।
🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) বৌদ্ধবিহার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সুপ্রাচীনকালে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ যে বিশেষ স্থানে থেকে ধর্মচর্চা করতেন এবং শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন সে স্থানটিকে বলা হতো বৌদ্ধবিহার।
খ) সোমপুর বিহারের পুরো এলাকাটি কতটুকু জায়গা নিয়ে বিস্তৃত?
উত্তর : সোমপুর বিহারের পুরো এলাকাটি প্রায় ৪০ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত।
গ) সোমপুর বিহারের বাইরের দেয়ালে কী দেখা যায়?
উত্তর : সোমপুর বিহারের বাইরের দেয়ালে পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি নানা রকম ফুল-ফল, পাখি, পুতুল, মূর্তি ইত্যাদি দেখা যায়।
ঘ) সোমপুর বিহারের ভিতরে কয়টি ছোট ঘর আছে?
উত্তর : সোমপুর বিহারের ভিতরে সুন্দর সার বাঁধা ১৭৭টি ছোট ঘর আছে।
ঙ) ভিক্ষু কাদের বলা হয়?
উত্তর : বৌদ্ধদের মধ্যে যাঁরা সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী তাঁরা ভিক্ষু নামে পরিচিত। ভিক্ষুদের চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ সবকিছুতেই থাকে আলাদা বৈশিষ্ট্য।
চ) পাহাড়পুর বিহারের পাশে দেখার মতো আর একটা কী আছে? সেখানে কী কী দেখা যায়?
উত্তর : পাহাড়পুর বিহারের পাশে দেখার মতো একটা জাদুঘর আছে। সেখানে বিহারের মাটি খনন করে পাওয়া পুরাতন ও দুর্লভ দেখা যায়।

পাহাড়পুর মডেল টেস্ট

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
প্রায় ১৪শ বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ভিক্ষুগণ কোনো বিশেষ একটা জায়গায় থাকতেন। সেখানে তাঁরা নিজেদের ধর্মচর্চা করতেন আর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। এরকম জায়গার নাম বিহার। বাংলাদেশের ভিতরে আরও বিহার আছে, যেমন কুমিল্লার ময়নামতির শালবন বিহার। কিন্তু পাহাড়পুরের মতো বড় বিহার আর নেই। প্রাচীন এ বিহার একসময় খালি পড়ে থাকে। অনেকে মনে করেন যুগ যুগ ধরে উড়ে-আসা ধুলাবালি ও মাটি এটির চারদিকে জমতে থাকে। একসময় মাটির স্তূপে এটি ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। সেই থেকে নাম হয়ে যায় পাহাড়পুর। দীর্ঘকাল পরে ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল পুরাকীর্তি আবিষ্কার করেন। এটির আরেক নাম সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার। এই বিহারটি নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
১) পাহাড়পুরে কোন ধর্মের চর্চা হতো?
(ক) ইসলাম (খ) হিন্দু
(গ) বৌদ্ধ (ঘ খ্রিষ্ট
২) আলেকজান্ডার কানিংহাম হচ্ছেন সোমপুর বিহারের-
(ক) প্রস্তুতকারক (খ) আবিষ্কারক
(গ) ধ্বংসকারী (ঘ) ধর্ম চর্চাকারী
৩) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিহারটি কোথায় অবস্থিত?
(ক) কুমিল্লায় (খ) ঢাকায়
(গ) বগুড়ায় (ঘ) পাহাড়পুরে
৪) পাহাড়পুরের বিহারটি কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
(ক) ১৪০০ সালে (খ) ১৪৫০ সালে
(গ) ১৭৭৯ সালে (ঘ) ১৮৭৯ সালে
৫) ১৮৭৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত পাহাড়পুর ছিল 
(ক) মাটির নিচে (খ) পানির নিচে
(গ) হিন্দুদের ধর্মচর্চা কেন্দ্র (ঘ) রাজার বাড়ি
উত্তর : ১) (গ) বৌদ্ধ; ২) (খ) আবিষ্কারক;
৩) (ঘ) পাহাড়পুরে; ৪) (ঘ) ১৮৭৯ সালে;
৫) (ক) মাটির নিচে।
২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।
স্তূপ, বিশাল, শিষ্য, কীর্তি, পর্বত।
উত্তর : শব্দ অর্থ
স্তূপ – ঢিবি।
বিশাল – প্রকাণ্ড।
শিষ্য – ছাত্র।
কীর্তি – কৃতিত্বের পরিচায়ক ভালো কাজ বা প্রতিষ্ঠান।
পর্বত – পাহাড়।
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক) ‘শালবন বিহার’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ‘শালবন বিহার’ কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
খ) সোমপুর বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ কী করতেন?
উত্তর : সোমপুর বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ নিজেদের ধর্মচর্চা করতেন এবং শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন।
গ) ‘সোমপুর বিহার’ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : সোমপুর বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ‘পাহাড়পুর’ গ্রামে অবস্থিত।
৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ।
উত্তর : পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার হলো বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রতœতাত্তি¡ক স্থাপনা। প্রায় ১৪শ বছর আগে এ স্থানটি বৌদ্ধধর্মের চর্চার জন্য সুপরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনে এই বিশাল কীর্তি মাটির নিচে হারিয়ে যায়। ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম সোমপুর বিহার আবিষ্কার করেন।

এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, (৬) শূন্যস্থান পূরণ ও (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে।
পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে।
৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ল্ল, ষ্ক, দ্ব, ন্দ, স্থ।
উত্তর :
ল্ল = ল + ল – হল্লা
– বাচ্চারা মাঠে হল্লা করছে।
ষ্ক = ষ + ক – শুষ্ক।
– শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে।
দ্ব = দ + ব – দ্বিধা
– ছেলেটি দ্বিধা ছাড়াই সাহায্য করল
ন্দ = ন + দ – ছন্দ
– সঠিক ছন্দে কবিতাটি পড়ো।
স্থ = স + থ – সুস্থ
– সুস্থ দেহ সবল মন।
৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।
বাইরের দেয়ালের গায়ে পোড়ামাটি দিয়ে নানান রকম ফুল ফল পাখি পুতুল মূর্তি ইত্যাদি বানানো আছে
উত্তর : বাইরের দেয়ালের গায়ে পোড়ামাটি দিয়ে নানান রকম ফুল-ফল, পাখি, পুতুল, মূর্তি ইত্যাদি বানানো আছে।
১০. নিচের ক্রিয়াপদগুলোর চলিত রূপ লেখ।
উড়িয়া, থাকিতেন, বুঝিবার, করিতে, সাজাইয়া।
উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ
উড়িয়া – উড়ে
থাকিতেন – থাকতেন
বুঝিবার – বুঝবার
করিতে – করতে
সাজাইয়া – সাজিয়ে
১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ।
বাইরে, ঢাকা, দুর্লভ, শিষ্য, পুরাতন ।
উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ
বাইরে – ভেতরে
ঢাকা – খোলা
দুর্লভ – সুলভ
শিষ্য – গুরু
পুরাতন – নতুন
১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(গদ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

——————x—————–

🔶🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণি বাংলা সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

Leave a Reply