৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ স্বাস্থ্যবিধি
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) —- দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়।
২) কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড —- রোগ।
৩) —- আমাদেরকে সুস্থ থাকতে এবং জীবন সুন্দর করতে সাহায্য করে।
৪) ফুটিয়ে, ফিল্টার করে এবং —- ব্যবহার করে আমরা পানি বিশুদ্ধ করতে পারি।
উত্তর : ১) মানুষ বা প্রাণীর মলমূত্র, ২) পানিবাহিত,
৩) স্বাস্থ্যবিধি, ৪) পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও।
১) আমাদের কখন অবশ্যই হাত ধুতে হবে?
ক. খাওয়ার সময় √খ. খাওয়ার পূর্বে
গ. টয়লেট ব্যবহারের পূর্বে ঘ. টয়লেট ব্যবহারের সময়
২) কোনটি পরিমিত ব্যায়ামের ফল?
ক. মাংসপেশি শক্তিশালী করে খ. পুষ্টি সরবরাহ করে
গ. রোগাক্রান্ত করে √ ঘ. ক্লান্তি দূর করে
৩) ডায়রিয়া হলে আমাদের কী গ্রহণ করা উচিত?
ক. দুধ খ. শাকসবজি
গ. মাছ √ ঘ. খাবার স্যালাইন
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
১) পানিবাহিত রোগের দুইটি কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : পানিবাহিত রোগের দুইটি কারণ হলো-
ক. দূষিত পানি পান করা।
খ. দূষিত পানি দ্বারা খাবার রান্না করা।
২) পানিবাহিত তিনটি রোগের নাম লিখ।
উত্তর : পানিবাহিত তিনটি রোগ হলো –
ক. ডায়রিয়া খ. কলেরা গ. আমাশয়
৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১) কীভাবে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পানিতে জীবাণুর বিস্তার রোধ করা।
তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এরূপ কিছু উপায় হলো –
ক. নিরাপদ পানি ব্যবহার : পান করা, খাবার তৈরি করা এবং গোসল করার কাজে নিরাপদ ও পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে।
খ. হাত ধোয়া: খাবার খাওয়ার আগে বা খাবার তৈরির আগে, খেলাধুলার পর, টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান এবং নিরাপদ পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
গ. টয়লেট পরিষ্কার রাখা: স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহারের পর তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২) শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে?
উত্তর : শরীর সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। এর জন্য প্রতিদিন কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে নিচের উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে-
ক. সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অবশ্যই সুষম খাদ্য খেতে হবে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
খ. নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের হৃৎপিণ্ড, মাংসপেশি ও হাড় শক্তিশালী করে। যা আমাদেরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
গ. পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঘ. বিশ্রাম: ক্লান্তি দূর করা এবং নতুন উদ্যমে কাজ করার জন্য প্রতিদিনই কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া উচিত। বিশ্রাম আমাদের ক্লান্তি দূর করে শরীর সুস্থ রাখে।
ঙ. শরীরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: শরীর সুস্থ রাখতে হলে শরীরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। আর শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমাদের যতœবান হতে হবে।
সুস্থ থাকার জন্য সবগুলো উপায়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
৩) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়সমূহ বর্ণনা কর।
উত্তর : পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য আমাদের যতœবান হতে হবে।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিদিন পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। খাওয়ার আগে এবং পরে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। খাওয়ার পর নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত জামাকাপড় পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক, চুল, নখ, চোখ এবং কানের যতœ নিতে হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সবগুলো অভ্যাসকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
৫. বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর।
খাবার স্যালাইন
টয়লেট পরিষ্কার রাখা
ক্লান্তি দূর করা
ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
ডায়রিয়া প্রতিকারে ভ‚মিকা পালন করে
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে
গান শোনা, বই পড়া
উত্তর :
খাবার স্যালাইন – ডায়রিয়া প্রতিকারে ভ‚মিকা পালন করে।
টয়লেট পরিষ্কার রাখা – পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে।
ক্লান্তি দূর করা – গান শোনা, বই পড়া।
ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা – শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) সুস্থ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো —- করা।
২) সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন —- খেতে হবে।
৩) শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত —- প্রয়োজন।
৪) মলমূত্রে রয়েছে —-।
৫) ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় —- রোগ।
উত্তর: ১) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ২) সুষম খাদ্য ৩) ঘুম ৪) জীবাণু ৫) পানিবাহিত।
⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর।
সুস্থ জীবন যাপন ঘুম
সুস্বাস্থ্য স্যালাইন
শরীরের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি পানিবাহিত রোগ
ডায়রিয়া স্বাস্থ্যবিধি
নিরাপদ পানি সুষম খাদ্য
উত্তর : সুস্থ জীবন যাপন —- স্বাস্থ্যবিধি।
সুস্বাস্থ্য —- সুষম খাদ্য।
শরীরের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি —- ঘুম।
ডায়রিয়া —- স্যালাইন।
নিরাপদ পানি —- পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ।
চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. সুস্থ থাকার তিনটি উপায় লেখ।
উত্তর : সুস্থ থাকার তিনটি উপায় হলো –
১) সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
২) পর্যাপ্ত ঘুমানো।
৩) নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা আমাদের কী উপকার করে?
উত্তর : নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা আমাদের হৃৎপিণ্ড, মাংসপেশি এবং হাড় শক্তিশালী করে। একই সাথে এগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে এবং রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
৩. আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম কী কারণে প্রয়োজন?
উত্তর : শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
৪. আমাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত কেন?
উত্তর : ক্লান্তি দূর করতে এবং নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় আমাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
৫. আমরা কীভাবে ক্লান্তি দূর করতে পারি?
উত্তর : কোনো শখের কাজ যেমন – পছন্দের গান শোনা, বই পড়া, বাগান করা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা ক্লান্তি দূর করতে পারি।
৬. পানিবাহিত রোগ কাকে বলে?
উত্তর : জীবাণু দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় তাদেরকে পানিবাহিত রোগ বলে।
৭. আমরা কীভাবে পানি নিরাপদ করতে পারি?
উত্তর : ফুটিয়ে, ফিল্টার করে এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে আমরা পানি নিরাপদ করতে পারি।
৮. পানি দূষণের দুটি কারণ লেখ।
উত্তর : পানি দূষণের দুটি কারণ হলো –
১) কলকারখানার বর্জ্য-আবর্জনা পানিতে ফেলা।
২) গৃহস্থালির বর্জ্য-আবর্জনা পানিতে ফেলা।
৯. পানিবাহিত রোগের লক্ষণ কী?
উত্তর : পানিবাহিত রোগের লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা, বমি, জ্বর ও পেটব্যথা।
১০. পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের দুটি উপায় কী?
উত্তর : পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের দুটি উপায় হলো-
১) পান করা, খাবার তৈরি এবং গোসল করার জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।
২) খাওয়ার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর হাত সাবান ও নিরাপদ পানি দিয়ে ধোয়া।
চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
ন্ধ সাধারণ
১. পানিবাহিত রোগ কীভাবে ছড়ায়?
উত্তর : জীবাণু দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়।
দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে যেমন- পান করা, খাবার রান্না করা, গোসল করা, ধোয়া-মোছা বা দাঁত ব্রাশ করার সময় আমরা পানি ব্যবহার করি। এসব কাজে মানুষ বা প্রাণীর মলমূত্র দ্বারা দূষিত পানি ব্যবহার করলে আমরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হই। এসব রোগ খুব সহজেই মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
ন্ধ যোগ্যতাভিত্তিক
২. তোমার ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া হলে তুমি কী ব্যবস্থা নেবে?
উত্তর : আমার ছোট ভাইয়ের ডায়রিয়া হলে অবশ্যই তাকে খাবার স্যালাইন খাওয়াবো।
ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানার সাথে শরীর থেকে যথেষ্ট পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ছোট ভাইকে ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খাওয়াবো। বাজারে খাবার স্যালাইন স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। তবে প্রয়োজনের সময় স্যালাইন না থাকলে আধা লিটার নিরাপদ পানিতে এক চিমটি লবণ এবং এক মুঠো চিনি বা গুড় মিশিয়ে নিজেই খাবার স্যালাইন তৈরি করব। স্যালাইনের সাথে স্বাভাবিক খাবারও খাওয়াবো। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেব।
এই অধ্যাইটা ২০২২ এর ভালো না