You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আবহাওয়া ও জলবায়ু

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা হলো —-।
২) মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণা একত্রে মিলিত হয়ে —- হয়।
৩) বাংলাদেশে —- কালে কুয়াশা পড়ে।
৪) ভালো ফসল ফলাতে —- প্রয়োজন।
উত্তর : ১) জলবায়ু, ২) বৃষ্টি, ৩) শীত, ৪) বৃষ্টি।

২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও।
১) কোনটি আবহাওয়ার উপাদান নয়?
ক. তাপমাত্রা খ. আর্দ্রতা
√গ. অক্ষাংশ ঘ. বায়ুপ্রবাহ
২) আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কী?
ক. বৃষ্টি খ. কুয়াশা
√গ. বায়ুপ্রবাহ ঘ. মেঘ
৩) মেঘ তৈরি হয় কোনটি থেকে?
ক. বাতাস খ. রোদ
গ. শিশির √ঘ. জলীয় বাষ্প
৪) কোনটির উপর কোনো স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে?
ক. বিষুব রেখা খ. সূর্য থেকে স্থানটির দূরত্ব
গ. চাঁদ √ঘ. সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
১) আবহাওয়ার উপাদানগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: আবহাওয়ার উপাদানগুলো হলো আকাশের অবস্থা, বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টি, রোদ ইত্যাদি।
২) আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আর্দ্রতা হচ্ছে বাতাসে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে তার পরিমাণ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে আমরা খুব সহজেই ঘেমে যাই কিন্তু কম থাকলে শুষ্ক অনুভব করি। আমরা আবহাওয়ার অবস্থা বোঝানোর জন্য ‘আর্দ্র’ বা শুষ্ক বলে থাকি।
৩) শিশির কী?
উত্তর : কুয়াশা গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্টি করে। এটিই শিশির।

৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১) বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র।
বাংলাদেশে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত এই ছয়টি ঋতু রয়েছে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এটি বছরের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। এ সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল। এটি ফসল ঘরে তোলার ঋতু। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। এই সময় বাংলাদেশে ঠাণ্ডা অনুভব হয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাস বসন্তকাল। এই সময় শীত ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং আবহাওয়া উষ্ণ হতে থাকে। এটিই বাংলাদেশের জলবায়ুর কাঠামো।

২) মেঘ কীভাবে তৈরি হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা এবং ঘনীভ‚ত হয়ে মেঘ তৈরি হয়।
রৌদ্রের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এ জলীয় বাষ্প বায়ুর চেয়ে হালকা বলে আকাশের উপরের দিকে উঠে যায়। উপরের দিকে বাতাস ঠাণ্ডা। এই ঠাণ্ডা বায়ুর সংস্পর্শে জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয় তখন তা সূ² ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই ক্ষুদ্র পানি-কণাকে মেঘ বলে।

৩) অতি বৃষ্টি হলে কী সমস্যা হয়?
উত্তর : অতি বৃষ্টি হলে বন্যা হয়।
বৃষ্টি হয়ে সাধারণ বৃষ্টির পানি নদীতে গড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে তা সমুদ্রে চলে যায়। কিন্তু বৃষ্টি বেশি হলে নদীর পানি দ্রæত বৃদ্ধি পায় এবং সমতল ভ‚মি তলিয়ে যায়। এ সময় রাস্তা-ঘাট, মাঠের ফসল, বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় জানমালের প্রচুর ক্ষতি হয়।

৪) আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে ভিন্নতা নেই। তবুও তাদের মধ্যে নিম্নরূপ পার্থক্য রয়েছেÑ
আবহাওয়া জলবায়ু
১) আবহাওয়া হলো কোনো জায়গার স্বল্পকালীন অবস্থা। ১) জলবায়ু হলো কোনো জায়গার অনেক বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
২) একই সময়ে দুটি কাছাকাছি বা নিকটবর্তী এলাকার আবহাওয়া ভিন্ন হতে পারে। যেমনÑ বৃষ্টি হচ্ছে এমন জায়গার নিকটবর্তী এলাকায় রোদ হতে পারে। ২) বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি দেশের জলবায়ু অভিন্ন না হয়ে একই রকম হয়। এই জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র।
৩) আবহাওয়ার পরিবর্তন স্বল্প সময়ের মধ্যে হতে পারে। কোনো এলাকায় সকালে বৃষ্টি কিন্তু দুপুরে আবার রোদ হতে পারে। ৩) কোনো বিশাল এলাকায় জলবায়ুর পরিবর্তন হতে অনেক সময় লাগে। যেমনÑ বিশ বা ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের জলবায়ু একই রকম অর্থাৎ উষ্ণ ও আর্দ্র।

৫. বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর।
তাপমাত্রা
আর্দ্রতা
বায়ুপ্রবাহ
বৃষ্টিপাত মৃদু বা প্রবল
গরম বা ঠাণ্ডা
ভারী বা হালকা
আর্দ্র বা শুষ্ক
উত্তর : তাপমাত্রা —- গরম বা ঠাণ্ডা।
আর্দ্রতা —- আর্দ্র বা শুষ্ক।
বায়ুপ্রবাহ —- মৃদু বা প্রবল।
বৃষ্টিপাত —- ভারী বা হালকা।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) বাতাস কতটা ঠাণ্ডা বা গরম সেই অবস্থাই হচ্ছে —-।
২) বাতাসে —- বেশি থাকলে আমরা সহজেই ঘেমে যাই।
৩) বায়ুপ্রবাহ অনেক শক্তিশালী —- সৃষ্টি করতে পারে।
৪) ধূলিকণা থেকে তৈরি হয় —- অবস্থা।
৫) পানির অন্যতম প্রধান উৎস হলো —-।
৬) —- কারণে বন্যা হয়।
৭) অক্ষাংশ হলো —- থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব।
৮) বিষুবরেখার নিকট সূর্য —- কিরণ দেয়।
৯) আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস —-।
১০) ফসল ঘরে তোলার ঋতু হলো —-।
১১) —- মান যত বেশি হবে জলবায়ু তত শীতল হবে।
উত্তর : ১) তাপমাত্রা, ২) জলীয় বাষ্প, ৩) সাইক্লোন বা ঝড়, ৪) আবছায়া, ৫) বৃষ্টি, ৬) ভারী বৃষ্টিপাতের, ৭) বিষুবরেখা, ৮) খাড়াভাবে, ৯) বর্ষাকাল, ১০) হেমন্তকাল, ১১) অক্ষাংশের।

⇒ বাম পাশের শব্দের সাথে ডান পাশের শব্দের মিল কর।
শীতকাল
বায়ুর জলীয় বাষ্প
তাপমাত্রার পার্থক্য
শিলা
অতি বৃষ্টি
সাদা মেঘ বন্যা
বায়ুপ্রবাহ
শরৎকাল
কুয়াশা
জমাটবদ্ধ বৃষ্টি
আর্দ্রতা
উত্তর : শীতকাল —- কুয়াশা।
বায়ুর জলীয় বাষ্প —- আর্দ্রতা।
তাপমাত্রার পার্থক্য —- বায়ুপ্রবাহ।
শিলা —- জমাটবদ্ধ বৃষ্টি।
অতি বৃষ্টি —- বন্যা।
সাদা মেঘ —- শরৎকাল।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. আবহাওয়া কী?
উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা, যা প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়।
২. বাংলাদেশে কোন ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ঋতুতে বজ্রবৃষ্টি হয়।
৩. বাংলাদেশে কোন সময়ে কুয়াশা দেখা যায়?
উত্তর : বাংলাদেশে শীতকালে কুয়াশা দেখা যায়।
৪. তাপমাত্রা কী?
উত্তর : কোনো জিনিস কতটা ঠাণ্ডা বা গরম, সেটাই হচ্ছে তার তাপমাত্রা।
৫. বায়ুপ্রবাহ কী?
উত্তর : বায়ুপ্রবাহ হলো বায়ুর সচল অবস্থা। এটি হালকা বা প্রবল হতে পারে।
৬. বায়ুপ্রবাহের কারণ কী?
উত্তর : বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণেই বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়।
৭. বৃষ্টি কী?
উত্তর : মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণগুলো মিলিত হয়ে বড় পানির কণা তৈরি করে। বড় পানি-কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না। ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে নিচে নেমে আসে। এটিই বৃষ্টি।
৮. শিলা কী?
উত্তর : শিলা হলো অসম আকৃতির বরফের টুকরা যা জমাটবদ্ধ বৃষ্টি থেকে তৈরি হয়।
৯. বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ কী?
উত্তর : বন্যা সৃষ্টির মূল কারণ হলো ভারী বৃষ্টিপাত।
১০. বন্যা কাকে বলে?
উত্তর : ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যখন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতল ভ‚মি, রাস্তাঘাট, মাঠের ফসল এবং বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়, তখন তাকে বন্যা বলে।
১১. জলবায়ু কী?
উত্তর : জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থান।
১২. ঢাকা শহরের গড় তাপমাত্রা কত?
উত্তর : ঢাকার শহরের গড় তাপমাত্রা ২৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৩. বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন?
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র।
১৪. কোনো স্থানের জলবায়ু কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের জলবায়ু ওই স্থানের অক্ষাংশ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থানটির উচ্চতা ও সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্বের উপর নির্ভর করে।
১৫. অক্ষাংশ কী?
উত্তর : অক্ষাংশ হলো বিষুবরেখা থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব।
১৬. বাংলাদেশের ঋতুগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
১৭. বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু হলো গ্রীষ্ম।
১৮. বাংলাদেশ ছাড়া উত্তর গোলার্ধের অন্যান্য দেশে কয়টি ঋতু?
উত্তর : বাংলাদেশ ছাড়া উত্তর গোলার্ধের অন্যান্য দেশে চারটি ঋতু বিদ্যমান।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 সাধারণ
১. বায়ুর তাপমাত্রা পরিবর্তন কিসের ভিত্তিতে হয়? দিনে বেশ গরম এবং রাতে কম গরম পড়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বায়ুর তাপমাত্রা পরিবর্তন আকাশে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে হয়।
দুপুরে বেশ গরম এবং রাতে কম গরম পড়ার কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন।
দিনের শুরুতে সূর্য উঠলে বায়ু ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। সূর্যের তাপের কারণে বায়ু, ভ‚পৃষ্ঠের মাটি, পানি উত্তপ্ত হয়। ফলে দিনের বেলায় বেশ গরম লাগে। অন্যদিকে রাতে সূর্যের আলো থাকে না এবং পৃথিবী থেকে তাপ বায়ুমণ্ডলে ভেদ করে মহাশূন্যে চলে যায়। এজন্য রাতে অপেক্ষাকৃত কম গরম থাকে।
২. শিশির বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কুয়াশা যখন গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্টি করে তখন তাকে শিশির বলে।
রৌদ্রের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয় তখন তা সূ² ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। এই ক্ষুদ্র পানি-কণা আকাশে মেঘ হিসেবে ভেসে বেড়ায়। কুয়াশা হলো এক ধরনের মেঘ, যা আমরা ভ‚পৃষ্ঠে দেখে থাকি। এই কুয়াশা গাছের পাতা বা ঘাসের উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণার সৃষ্ট করে। এটিই শিশির।
৩. কোনো স্থানের জলবায়ু কিসের উপর নির্ভর করে? বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জলবায়ুর পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের জলবায়ু ঐ স্থানের অক্ষাংশ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে স্থানটির উচ্চতা ও সমুদ্র থেকে স্থানটির দূরত্বের উপর নির্ভর করে।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার অক্ষাংশের মানের পার্থক্য থাকার কারণে এই দুই দেশের জলবায়ুর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
অক্ষাংশ হলো বিষুবরেখা থেকে কোনো স্থানের দূরত্ব। বিষুবরেখার নিকট সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে বিষুবরেখার কাছাকাছি ভ‚পৃষ্ঠের কোনো স্থান সবচেয়ে বেশি গরম হয়। ভ‚পৃষ্ঠ অর্ধবৃত্তাকার। তাই বিষুব রেখা থেকে দূরবর্তী স্থান সূর্য কিরণ দ্বারা অপেক্ষাকৃত কম গরম হয়। ফলে এ সকল স্থান অপেক্ষাকৃত শীতল। অক্ষাংশের মান যত বেশি হবে জলবায়ু তত শীতল হবে। রাশিয়ার অক্ষাংশের মান বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। তাই বাংলাদেশের চেয়ে রাশিয়া বেশি শীতল। আর এই কারণেই বাংলাদেশের ঢাকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাশিয়ার মস্কোর বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 যোগ্যতাভিত্তিক
৪. তুমি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলো। এই বৃষ্টি তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে মেঘ এবং পরবর্তীতে মেঘ ঠাণ্ডা হয়ে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।
রৌদ্রের তাপে সাগর বা নদীর পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। যখন বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠাণ্ডা হয় তখন তা সূ² ধূলিকণার উপর জমা হয়ে ক্ষুদ্র পানি-কণা তৈরি করে। এই পানি-কণা আকাশে মেঘ হিসেবে ভেসে বেড়ায়। মেঘের ক্ষুদ্র পানি-কণাগুলো মিলিত হয়ে বড় পানির কণা তৈরি করে। বড় পানি-কণাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না। ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে নিচে নেমে আসে। এটিই হলো বৃষ্টি।


🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান সকল অধ্যায়

🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির সকল বিষয়

Leave a Reply