চতুর্থ শ্রেণি

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ

পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জন্ম পরিচয়  ইসলাম প্রচারের মহানবি (স.)-এর অক্লান্ত চেষ্টা সম্পর্কে  মহানবি (স.)-এর জীবনের ঘটনা ও বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলি সম্পর্কে  হযরত মূসা (আ.)-এর জন্ম পরিচয় ও নবুয়ত লাভ সম্পর্কে  ফিরআউনের ধ্বংস হওয়ার কাহিনী  হযরত হুদ (আ.), হযরত সালিহ (আ.), হযরত ইসহাক (আ.) ও হযরত লূত (আ.)-এর স¤প্রদায় সম্পর্কে  হযরত শুয়াইব (আ.), হযরত ইলিয়াস (আ.), হযরত যুলকিফল (আ.) এবং হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর জীবনাদর্শ সম্পর্কে  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আল্লাহ তায়ালা মানুষের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে এই পৃথিবীতে অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। কুরআন মজিদে ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে। এদের মধ্যে হযরত আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবি। আর হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি। কোন পথে চললে মহান আল্লাহ খুশি হবেন, কী কাজ করলে দুনিয়াতে সুখে- শান্তিতে থাকব, এসবের সন্ধান আমরা পেয়েছি নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে। নবি-রাসুলগণ ছিলেন মানুষের জন্য আদর্শ শিক্ষক। তাঁরা আমাদের মহান আল্লাহর ইবাদত করার নিয়ম কানুন শিখিয়েছেন। সঠিক পথে জীবন যাপন করার পদ্ধতি শিখিয়েছেন। আমরা নবি-রাসুলগণের জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করব। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. আমাদের সৃষ্টি করেছেন কে? ক. মানুষ খ. রাসুল  গ. আল্লাহ ঘ. জিন ২. মহানবি (স.)-এর আম্মার নাম কী? ক. মরিয়ম  খ. আমিনা গ. আছিয়া ঘ. ফাতিমা ৩. হারবুল ফিজর শব্দের অর্থ কী?  ক. অন্যায় সমর খ. ন্যায় সমর গ. শান্তি ঘ. শৃঙ্খলা ৪. হিলফুল ফুজুল কতো বছর স্থায়ী ছিল? ক. ২০ বছর খ. ৩০ বছর গ. ৪০ বছর  ঘ. ৫০ বছর ৫. সূরা আলাকের কয়টি আয়াত সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছিল? ক. ৩টি খ. ৪টি  গ. ৫টি ঘ. ৬টি ৬. মহানবি (স.) কতো বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন?  ক. ৪০ বছর খ. ৪৫ বছর গ. ৫০ বছর ঘ. ৫৩ বছর ৭. হযরত মূসা (আ.)-এর পিতার নাম কী? ক. ইউসুফ  খ. ইমরান গ. ইদরীস ঘ. ইউনুস ৮. হযরত মূসা (আ.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?  ক. বনি ইসরাইল খ. কিবতী গ. বনি বকর ঘ. বনি হাসেম ৯. ফিরআউনের স্ত্রীর নাম কী? ক. আম্বিয়া খ. হাজেরা  গ. আছিয়া ঘ. আমিনা ১০. মিশর ছেড়ে হযরত মূসা (আ.) কোথায় গিয়েছিলেন? ক. ইরাকে খ. ইরানে গ. সিরিয়া  ঘ. মাদায়ানে ১১. হযরত হূদ (আ.)-কে কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল?  ক. আদ খ. সামুদ খ. কুরাইশ ঘ. কিবতী ১২. হযরত সালিহ (আ.)Ñকে কোন জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিল?  ক. সামুদ খ. সেলজুক গ. সাউদ ঘ. আদ ১৩. হযরত ইছহাক (আ.)-এর পিতার নাম কী? ক. হযরত নূহ (আ.) খ. হযরত ইদরীস (আ.)  গ. হযরত ইররাহীম (আ.) ঘ. হযরত সুলায়মান (আ.) ১৪. হযরত ইলিয়াস (আ.) কোন নবির স্থলাভিষিক্ত হন? ক. হযরত হারুন (আ.) খ. হযরত মূসা (আ.)  গ. হযরত হিযকীল (আ.) ঘ. হযরত লূত (আ.) ১৫. হযরত যুলকিফল কার পুত্র ছিলেন? ক. হযরত ইউনুস (আ.)  খ. হযরত আইয়্যুব (আ.) গ. হযরত ইসমাঈল (আ.) ঘ. হযরত লূত (আ.) ১৬. হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর পুত্রের নাম কী? ক. হারুন খ. ইউসুফ  গ. ইয়াহিয়া ঘ. ইমরান খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১) কুরআন মজিদে  জন নবি-রাসুলের নাম উল্লেখ আছে। ২) মহানবি (স.)-এর  নাম আবু তালিব। ৩) মহানবি (স.)-এর  ওপর অটল বিশ্বাস ছিল। ৪) হিলফুল ফুজুল শব্দের অর্থ  সংঘ। ৫) প্রথম তিন বছর  জন নর-নারী ইসলাম গ্রহণ করেন। উত্তর : ১) ২৫ ২) চাচার ৩) আল্লাহর ৪) শান্তি ৫) ৪৫ গ. বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : বাম পাশ ডান পাশ ক) মহানবি (স.)-এর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.)-এর খ) মহানবি (স.) হিলফুল ফুজুল গঠন করেন গ) মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভ করেন ১৫ বছর বয়সে ৬৩ বছর বয়সে ৬ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সে উত্তর : ক) মহানবি (স.)-এর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন মহানবি (স.)-এর ৬ বছর বয়সে। খ) মহানবি (স.) হিলফুল ফুজুল গঠন করেন ১৫ বছর বয়সে। গ) মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভ করেন ৪০ বছর বয়সে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. মহানবি (স.) কতো খ্রিস্টাব্দে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কানগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ২. মুহাম্মদ শব্দের অর্থ কী? উত্তর : মুহাম্মদ শব্দের অর্থ প্রশংসিত। ৩. পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবি (আ.)-এর নাম লেখ। উত্তর : পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবি হলেন হযরত আদম (আ.)। ৪. হিলফুল ফুজুল কী? উত্তর : হিলফুল ফুজুল হলো একটি শান্তিসংঘ। এ সংঘের মাধ্যমে মহানবি (স.) দুঃখী ও অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করার চেষ্টা করতেন। ৫. মহানবি (স.) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন? উত্তর : মহানবি (স.) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দেবে না। তাদের মর্যাদা দেবে। নিজেরা যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। কাজ-কর্মে তাদের সাহায্য করবে। ৬. প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে কী বলা হতো? উত্তর : প্রাচীনকালে মিশরের বাদশাহকে ফিরআউন বলা হতো। ৭. মূসা (আ.) কার ঘরে এবং অর্থ ব্যয়ে লালিত পালিত হয়েছিলেন? উত্তর : মূসা (আ.) ফিরআউন ওলীদের ঘরে এবং তারই অর্থব্যয়ে লালিত পালিত হয়েছিলেন। ৮. তিনজন নবি (আ.)-এর নাম লেখ। উত্তর : তিনজন নবি (আ.)-এর নাম হলোÑ (১) হযরত ইসহাক (আ.), (২) হযরত আদম (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.)। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১। মহানবি (স.)-এর আম্মা ইন্তিকালের পর তাঁকে কে লালনপালন করেন? উত্তর : মহানবি (স.)-এর জন্মের আগেই তাঁর বাবা ইন্তিকাল করেন। আর ছয় বছর বয়সে তাঁর আম্মা ইন্তিকাল করেন। বাবা-মা হারা ইয়াতিম শিশুকে তখন থেকে লালন-পালন করেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। দাদার ইন্তিকালের পর তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁর লালনপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২। মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের ৫টি সুন্দর আদর্শ লেখ। সামাজিক জীবনে উক্ত আদর্শগুলোর গুরুত্ব কী? উত্তর : মুহাম্মদ (স.)-এর চরিত্রের পাঁচটি সুন্দর আদর্শ হলোÑ ১. সব সময় সত্য কথা বলতেন। ২. মানুষের উপকার করতেন। ৩. বড়দের সম্মান করতেন। ৪. ছোটদের আদর করতেন। ৫. কাউকে গালি দিতেন না। সামাজিক জীবনে মহানবি (স.)-এর চরিত্রের আদর্শগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এ আদর্শগুলোর অনুসরণ ছাড়া প্রকৃত অর্থে একজন মানুষ চরিত্রবান হতে পারে না। আর অসৎ চরিত্রের মানুষ কখনো সুন্দর সমাজ গঠনে কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারে না। উক্ত আদর্শগুলো অনুসরণ করে চললে সমাজজীবন শান্তিময় ও সুন্দর হয়ে উঠবে। সমাজে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য বাড়বে। সমাজ থেকে হিংসা বিদ্বেষ দূর হবে। সমাজের উন্নতি হবে। তাই বলা যায়, আমাদের সামাজিক জীবনকে সুখময় করে তুলতে মহানবি (স.)-এর আদর্শগুলোর ভ‚মিকা অপরিসীম গুরুত্ব রাখে। ৩। শিশু মুহাম্মদ (স.) কীভাবে অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন বর্ণনা কর। উত্তর : মহানবি (স.)

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় নবি ও রাসুলগণের পরিচয় ও জীবনাদর্শ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে  আরবি হরফ বা অক্ষর সম্বন্ধে  হরকত, তানবীন, জযম, তাশদীদ ও মাদ্দের হরফগুলো সম্পর্কে  তাজবীদ, মাখরাজ, উদগাম ও ইযহার সম্পর্কে  অর্থসহ সূরা আন নাসর, সূরা আল লাহাব ও সূরা ইখলাস  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম। এটি সর্বশেষ আসমানি কিতাব। মহানবি (স.)-এর ওপর নাজিল হয় এ কিতাব। আমরা দুনিয়াতে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করব, কী কাজ করলে আখিরাতে শান্তি পাব, কীভাবে মহান আল্লাহর ইবাদত করব, কোন কাজ অন্যায়, কোন কাজে শাস্তি হবে- এসব কিছু কুরআন মজিদে আছে। আমরা কুরআন মজিদ শুদ্ধ করে শিখব এবং তা অপরকে শেখাব। কুরআন মজিদের নির্দেশমতো চলব। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. কুরআন মজিদ কার কালাম? ক. মহানবি (স.)-এর কালাম  খ. আল্লাহ তায়ালার কালাম গ. ফেরেশতার কালাম ঘ. মানুষের কালাম ২. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল? ক. ইনজিল খ. তাওরাত গ. যাবূর  ঘ. কুরআন মজিদ ৩. মাদ্দ-এর হরফ কয়টি?  ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি ঘ. ছয়টি ৪. হরফে হালকি কয়টি? ক. পাঁচটি  খ. ছয়টি গ. সাতটি ঘ. আটটি ৫. ইদগাম-এর হরফ কয়টি? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি  ঘ. ছয়টি ৬. আরবি হরফের মাখরাজ কয়টি? ক. ১১টি খ. ১৩টি  গ. ১৭টি ঘ. ১৯টি  শূন্যস্থান পূরণ কর। ১. কুরআন মজিদ  কালাম। ২. হরফ উচ্চারণের স্থানকে  বলে। ৩. কুরআন মজিদের  আরবি। উত্তর : ১. আল্লাহর ২. মাখরাজ ৩. ভাষা।  বাম দিকের শব্দের সাথে ডান দিকের চিহ্নের মিল কর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম  ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন উত্তর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম  ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আরবি হরফ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ বা অক্ষর মোট ২৯টি। ২. হরকত কয়টি? উত্তর : হরকত তিনটি। ৩. মাদ্দের হরফ কয়টি? উত্তর : মাদ্দের হরফ তিনটি। ৪. হরফে হালকি কয়টি? উত্তর : হরফে হালকি ৬টি। ৫. সাকিন কাকে বলে? উত্তর : জযম (  ) যুক্ত হরফকে সাকিন বলে।  বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.)-এর বাণীটি লেখ। উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়।” ২. হরকত কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : যবর ( ), যের, ( ), পেশ ( ) কে হরকত বলে। যেমন- ১) হরফের ওপর যবর থাকলে উচ্চারণে ‘া-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যবর তা ২) হরফের নিচে যের থাকলে উচ্চারণে ‘-িকার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যের তি ৩) হরফের নিচে পেশ থাকলে উচ্চারণে ‘ ু-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা পেশ তু ৩. তানবীন কাকে বলে? একটি করে উদাহরণ দাও। উত্তর : দুই যবর ( ), দুই যের ( ) , দুই পেশ ( ) কে তানবীন বলে। তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়। নিচে একটি করে উদাহরণ দেওয়া হলো- ( ) = আলিফ দুই যবর আন ( ) = আলিফ দুই যের ইন ( ) = আলিফ দুই পেশ উন ৪. জযম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : আরবিতে এমন অনেক হরফ আছে যাতে যবর, যের, পেশ নেই। এ যবর, যের, পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন (  ) ব্যবহার করা হয়। এ চিহ্নকে জযম বলা হয়। জযমের আরেক নাম সাকিন। সাকিনযুক্ত হরফটি তার আগের হরফের সাথে মিলিতভাবে উচ্চারিত হয়। উদাহরণ : ( ) = আলিফ লাম যবর আল। ( ) = ফা ইয়া যের ফি। ( ) = ক্বাফ লাম পেশ ক‚ল। ৫. মাদ্দ কাকে বলে? মাদ্দ-এর হরফ কয়টি? উদাহরণ দাও। উত্তর : কুরআন মজিদের কোনো কোনো হরফ টেনে পড়তে হয়। এই টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে। মাদ্দের হরফ তিনটি। যথা : – – ১) যবর-এর পরে আলিফ থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা-( ) মা-যা, ( ) কা-লা, ২) যের-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ইয়া থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা- ( ) = কি-লা ( ) = ফী-হা ৩) পেশ-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ওয়াও থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা : ( ) = কু-লু ( ) = সু-মু ৬. তাজবীদ কাকে বলে? উত্তর : কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭. মাখরাজ কাকে বলে? মাখরাজ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন, কণ্ঠনালি, জিহŸা, তালু, দাঁত ও ঠোঁট। হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলা হয়। আরবি হরফের মাখরাজ ১৭টি। ৮. ইদগাম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে। যথা- ( ) = ফাহুম মুসলিমুন। এখানে মীম ( ) হরফের পরবর্তী মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মির রাব্বি, এখানে নূন ( ) হরফটি পরবর্তী ( ) ‘রা’ এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মিন মিসলিহী। এখানে ( ) নূন হরফটি পরবর্তী ( ) মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ৯. তিন, চার, পাঁচ ও ছয় বর্ণের একটি করে শব্দ লেখ। উত্তর : তিন বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামদুন) চার বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামিদুন) পাঁচ বর্ণের শব্দÑ ( ) (তাকরিরুন) ছয় বর্ণের শব্দÑ ( ) (ইয়াকুলুনা) ১০. সূরা আন নাসর মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা আন নাসর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়ালফাতহু। ওয়ারাআইতান নাসা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহু কানা তাওওয়াবা। ১১. সূরা ইখলাস মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা ইখলাস বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ; ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ : ১) সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ। ২) আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে। ৩) জযম-এর আকৃতি সাধারণত (  ) হয়। ৪) তাশদীদের চিহ্ন ( ) এরূপ। ৫) মাদ্দ-এর হরফ তিনটি। ৬) শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭) ইযহার শব্দের অর্থ গোপন করা। উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘শু’ ৫) ‘শু’ ৬) ‘শু’ ৭) ‘অ’।  উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর: ১. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা । ২. যের যবর পেশকে  বলে। ৩. জযম-এর আকৃতি সাধারণত  হয়। ৪. একই হরফ পাশাপাশি  উচ্চারণ করাকে  বলে।

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

তৃতীয় অধ্যায় আখলাক  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  আখলাক সম্পর্কে  আব্বা-আম্মার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে  শিক্ষকের মর্যাদা ও তার সাথে করণীয় সম্পর্কে  বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করার কথা  প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে  রোগীর সেবা করা সম্পর্কে  সত্য বলার উপকারিতা ও মিথ্যা বলার ক্ষতি সম্পর্কে  ওয়াদা পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে  লোভের ক্ষতি সম্পর্কে  অপচয়ের ক্ষতি সম্পর্কে  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে বলে আখলাক। এর ফলে জীবন সুন্দর ও সুখের হয়। মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রের অধিকারীদের কেউ ভালোবাসে না। আমরা ছোট-বড় সবার সাথে উত্তম আচরণ করব। বয়স্কদের সাথে দেখা হলে সালাম দেব, আদবের সাথে কথা বলব। তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখব। রোগীর সেবা-যতœ করব। সবসময় সত্য কথা বলব। সত্য কথা বলা একটি মহৎগুণ। কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করব। আর এসকল কাজের মাধ্যমেই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া যায়। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে কী বলে? ক. মুনাজাত  খ. আখলাক গ. ইবাদত ঘ. সালাত ২. সচ্চরিত্র কোনটি? ক. পরনিন্দা করা খ. লোভ করা গ. মিথ্যা বলা  ঘ. সত্য কথা বলা ৩. সত্যিকার মুমিনের চরিত্র কেমন?  ক. সুন্দর খ. অসুন্দর গ. মিথ্যুক ঘ. অসৎ ৪. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমরা কী করব? ক. শরীর ভালো রাখব খ. ভালো জামাকাপড় পরব  গ. আব্বা-আম্মাকে সালাম দেব ঘ. চিন্তা করব ৫. অসৎ চরিত্র কোনটি? ক. রোগীর সেবা করা  খ. শিক্ষককে সম্মান না করা গ. ইবাদত করা ঘ. শিক্ষককে সম্মান করা ৬. শিক্ষক আমাদের কোন পথে চলতে নিষেধ করেন? ক. ন্যায় পথে খ. সৎ পথে গ. আল্লাহর পথে  ঘ. অসৎ পথে ৭. আমরা বড়দের কী করব?  ক. সম্মান খ. আদর গ. স্নেহ ঘ. উপকার ৮. মহানবি (স.) সকলের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন? ক. মন্দ ব্যবহার খ. খারাপ ব্যবহার  গ. ভালো ব্যবহার ঘ. অসৎ ব্যবহার ৯. আমাদের আশপাশে যারা বসবাস করে তারা আমাদের কে? ক. আত্মীয়  খ. প্রতিবেশী গ. সহপাঠী ঘ. বন্ধুবান্ধব ১০. প্রতিবেশী অসুস্থ হলে আমরা কী করব? ক. খাদ্য দেব খ. সাহায্য করব গ. কথা বলব  ঘ. সেবা করব ১১. ফুয়াদ তার আম্মার চিকিৎসার জন্য কাকে ডেকে আনল?  ক. ডাক্তারকে খ. নানা ভাইকে গ. শিক্ষককে ঘ. নানুকে ১২. যে সত্য কথা বলে তাকে কী বলা হয়? ক. সততা খ. সৎ  গ. সত্যবাদী ঘ. সত্যবাদিত ১৩. মিথ্যা মানুষকে কী করে? ক. উপকার করে  খ. ধ্বংস করে গ. খাবার দেয় ঘ. সাহায্য করে ১৪. যে ওয়াদা পালন করে, সকলে তাকে কী করে? ক. অসম্মান করে খ. ঘৃণা করে গ. অবিশ্বাস করে  ঘ. বিশ্বাস করে ১৫. “যত পায় আরও চায়”- এর নাম কী?  ক. লোভ খ. অপচয় গ. শান্তি ঘ. ভালোবাসা ১৬. পরনিন্দা করা অর্থ কী? ক. পরোপকার খ. সাহায্য করা  গ. পরচর্চা করা ঘ. সহযোগিতা করা খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে  চরিত্র বলা বলা হয়। ২. মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের । ৩. যারা বয়সে  আমরা তাদের সালাম দেব। ৪. লোভ আমাদের অনেক  করে। ৫. আমরা কোনো কিছু  করব না। উত্তর : ১. অসৎ ২. জান্নাত ৩. বড় ৪. ক্ষতি ৫. অপচয়। গ. বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : ক. চরিত্র ভালো হলে চলতে শেখান খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ফেলব না গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে জীবন সুন্দর হয় ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা তার ধর্ম নেই ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না ব্যবহার কর উত্তর : ক. চরিত্র ভালো হলে জীবন সুন্দর হয়। খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ব্যবহার কর। গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে চলতে শেখান। ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলব না। ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না তার ধর্ম নেই। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আমাদের মহানবি (স.)-এর চরিত্র কেমন ছিল? উত্তর : আমাদের মহানবি (স.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” ২. আব্বা-আম্মার সাথে কিরূপ ব্যবহার করব? উত্তর : আব্বা-আম্মার সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করব। আমরা তাঁদের সম্মান করব। তাঁদের সাথে রাগারাগি করব না। কর্কশ ভাষায় কথা বলব না। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না। সব সময় হাসিমুখে কথা বলব। ৩. শিক্ষকের সাথে দেখা হলে কী করব? উত্তর : শিক্ষকের সাথে দেখা হলে প্রথমে তাঁকে সালাম দেব এবং তাঁর কুশল জিজ্ঞাসা করব। ৪. দাদা-দাদি, নানা-নানি আমাদের কী করেন? উত্তর : দাদা-দাদি ও নানা-নানি আমাদের অনেক আদর-যতœ করেন। খোঁজ-খবর নেন। আমাদেরকে গল্প শোনান। আমাদের জন্য দোয়া করেন। ৫. মহানবি (স.) বড়দের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন? উত্তর : মহানবি (স.) বড়দের সম্মান করতেন। তাঁদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁদের কথা শুনতেন ও মানতেন। ৬. মহানবি (স.) ছোটদের কী করতেন? উত্তর : মহানবি (স.) ছোটদের স্নেহ করতেন। কাছে ডাকতেন, আদর করতেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। ৭. আমরা কাজের লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করব? উত্তর : আমরা কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। তাদের কাজে সহযোগিতা করব। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলব না। তাদের সাথে কখনো খারাপ আচরণ করব না। ৮. প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে আমরা কী করব? উত্তর : প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাবার দেব। মহানবি (স.) বলেছেন, “যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে মুমিন নয়।” ৯. আমরা রোগীর কী করব? উত্তর : আমরা রোগীর সেবা করব। চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর রোগের সুস্থতার জন্য দোয়া করব। মহানবি (স.) বলেন, “তোমরা রোগীর সেবা কর।” ১০. সত্যবাদী কাকে বলে? উত্তর : যে সত্য কথা বলে তাকে সত্যবাদী বলে। ১১. সব পাপের মূল কোনটি? উত্তর : মিথ্যা সকল পাপের মূল। ১২. ওয়াদা পালন করার অর্থ কী? উত্তর : ওয়াদা পালন করা অর্থ কথা দিয়ে কথা রাখা। কথামতো কাজ করা। চুক্তিরক্ষা করা। কারো সাথে কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করার নাম ওয়াদা পালন করা। ১৩. যে লোভ করে তাকে কী বলে? উত্তর : যে লোভ করে তাকে লোভী বলে। ১৪. অপচয় অর্থ কী? উত্তর : অপচয় অর্থ ক্ষতি, অপব্যয়, নষ্ট। বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে অপচয় বলে। ১৫. কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম কী? উত্তর : কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম গিবত বা পরনিন্দা। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. সচ্চরিত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : সুন্দর ও ভালো চরিত্রই হলো সচ্চরিত্র। সত্য কথা বলা,

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  ইবাদত ও তাহারাত সম্পর্কে  ওযু, ওযুর ফরজ, সুন্নত ও ওযু নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে  গোসল, গোসলের নিয়ম ও গোসলের ফরজ সম্পর্কে  আযান, ইকামতের শব্দ সম্পর্কে  তাশাহুদ দরুদ, দোয়া মাসুরা, সালাম ও মুনাজাত সম্পর্কে  সালাত, সালাতের আহকাম, আরকান, সালাতের ওয়াক্ত ও সালাত আদায়ের নিয়ম  বিভিন্ন ধরনের সালাত আদায়ের নিয়ম  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স.)-এর কথামতো কাজ করাকে ইবাদত বলে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর বিভিন্ন ইবাদত ফরজ করেছেন। যেমন : সালাত, সাওম, যাকাত, হজ ইত্যাদি। ইবাদতের পূর্বশর্ত হলো তাহারাত, অর্থাৎ পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা অর্জন করতে হয় ওযু, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে। মহান আল্লাহ ইবাদতের মধ্যে সালাতকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছেন। দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছাড়াও সপ্তাহে জুমুআর সালাত, ঈদুল ফিতরের এবং ঈদুল আযহার সালাত আদায় করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. ওযুর ফরজ কয়টি? ক. ৩টি  খ. ৪টি গ. ৫টি ঘ. ৬টি ২. সালাতের আরকান কয়টি?  ক. ৭টি খ. ৬টি গ. ৫টি ঘ. ৪টি ৩. সালাতের আহকাম কয়টি? ক. ৪টি খ. ৫টি গ. ৬টি  ঘ. ৭টি ৪. সালাত কয় ওয়াক্ত? ক. ৬ ওয়াক্ত খ. ৭ ওয়াক্ত  গ. ৫ ওয়াক্ত ঘ. ৩ ওয়াক্ত ৫. সালাতে দরুদ কখন পড়তে হয়? ক. দাঁড়ানো অবস্থায় খ. সিজদাহ্ অবস্থায় গ. রুকুতে  ঘ. শেষ বৈঠকে খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. পবিত্রতা  অঙ্গ। ২. তাহারাত অর্থ । ৩. সালাতের আগে  করতে হয়। ৪. ওযু ছাড়া  হয় না। ৫. জুমুআর  রাকআত সালাত ফরজ। উত্তর: ১. ইমানের ২. পবিত্রতা ৩. ওযু ৪. সালাত ৫. দুই গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও : ১) আল্লাহ ছাড়া কারো চারটি ২) পবিত্রতা ইমানের সালাত ৩) ওযুর ফরজ আনন্দ ৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো অঙ্গ ৫) ঈদ অর্থ ইবাদত কর না উত্তর : ১) আল্লাহ ছাড়া কারো চারটি ২) পবিত্রতা ইমানের সালাত ৩) ওযুর ফরজ আনন্দ ৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ইবাদত হলো ৫) ঈদ অর্থ ইবাদত কর না সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখ। উত্তর : পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হলো- ১. ফজর, ২. যোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব, ৫. এশা। ২. তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) কী বলেন? উত্তর : তাহারাত অর্থ পবিত্রতা। তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন, “পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।” ৩. আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাউম অর্থ কী? উত্তর : আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাউম অর্থ হলো- ঘুম থেকে সালাত উত্তম। ৪. মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ হয়? উত্তর : সূর্য ডোবার পর মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। পশ্চিম আকাশে আলোর লাল আভা মুছে যাওয়ার সাথে সাথে তা শেষ হয়। ৫. ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলো কী কী? উত্তর : ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলো হলোÑ (১) সকালে গোসল করা, (২) খুশবু মাখা, (৩) পরিষ্কার কাপড় পরা, (৪) মিষ্টিজাতীয় কিছু খাওয়া, (৫) ঈদের সালাত মাঠে আদায় করা। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. ইবাদত শব্দের অর্থ কী? ইবাদত কাকে বলে? উত্তর : ইবাদত-এর শাব্দিক অর্থ গোলামি করা, মালিকের কথামতো চলা। ব্যাপক অর্থে সালাত আদায় করা, কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা, রোগীর সেবা করা, কথা বলার সময় সত্য কথা বলা সব কিছুই ইবাদত। এছাড়া আরো অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে। যেমন- দান-খয়রাত করা, মা-বাবার সেবা করা, হজ করা, যাকাত দেওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স.)-এর কথামতো কাজ করাকেই ইবাদত বলে। ২. ওযুর ফরজ কয়টি ও কী কী? উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। যথাÑ ১) মুখমণ্ডল ধোয়া, ২) কনুইসহ উভয় হাত ধোয়া, ৩) চার ভাগের এক ভাগ মাথা মাসাহ করা, ৪) গিরাসহ উভয় পা ধোয়া। ৩. গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী? উত্তর : গোসলের ফরজ তিনটি। যথাÑ ১) গড়গড়াসহ কুলি করা, ২) পানি দিয়ে ভালোভাবে নাক সাফ করা, ৩) পানি দিয়ে সারা শরীর ধোয়া। খেয়াল রাখতে হবে সারা শরীরের কোনো অংশ যেন শুকনা না থাকে। নিয়মিত গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। গোসল করা আল্লাহর হুকুম। এটাও একটা ইবাদত। ৪. আযানের গুরুত্ব বর্ণনা কর। উত্তর : ইসলামে আযানের গুরুত্ব অপরিসীম। আযানের মাধ্যমে মুসলমানকে সালাতের জন্য ডাকা হয়। ইসলাম সময়মতো সালাত আদায় করা ও জামাআতের সাথে আদায় করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। আর আযানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে জামাআতে সালাত আদায় করার জন্য আহŸান করা হয়। ৫. সালাতের আহকাম কয়টি ও কী কী লেখ। উত্তর : সালাত শুরুর আগে সাতটি ফরজ কাজ করতে হয়। এগুলোকে সালাতের আহকাম বলে। সালাতের আহকাম সাতটি। যথাÑ ১) শরীর পাক হওয়া, ২) কাপড় পাক হওয়া, ৩) সালাতের জায়গা পাক হওয়া, ৪) সতর ঢাকা, ৫) কিবলামুখী হওয়া, ৬) নিয়ত করা, ৭) সময়মতো সালাত আদায় করা। আহকাম ঠিকমতো পালন না করলে সালাত আদায় হয় না। ৬. সালাতের আরকান কয়টি ও কী কী? উত্তর : সালাতের ভেতরে সাতটি ফরজ কাজ আছে। এগুলোকে সালাতের আরকান বলে। সালাতের ৭টি আরকান হলোÑ ১) তাকবির-ই-তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করা। ২) কিয়াম অর্থাৎ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। তবে কোনো কারণে দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে, এমনকি শুয়েও সালাত আদায় করা যায়। ৩) কিরাত অর্থাৎ কুরআন মজিদের কিছু অংশ তিলাওয়াত করা। ৪) রুকু করা। ৫) সিজদাহ করা। ৬) শেষ বৈঠকে বসা। ৭) সালাম এর মাধ্যমে সালাত শেষ করা। ৭. সালাতের সামাজিক গুণাবলি বর্ণনা কর। উত্তর : সালাতের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গুণাবলি অর্জন করা যায়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের জন্য আমাদেরকে মহল্লার, পাড়ার মসজিদে যেতে হয়। এতে একে অপরের সাথে দেখা হয়। কুশলাদি জানা যায়। কেউ অসুস্থ হলে তাঁর খোঁজ-খবর নেওয়া যায়। তাঁর সেবাযতœ এবং সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া যায়। সুখে-দুঃখে একে অন্যের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ হয়। এছাড়াও ধনী-দরিদ্রের মাঝে একটা সুন্দর সাম্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধনি-দরিদ্রের মাঝে দূরত্ব কমে যায়। এক সাথে সালাত আদায় করার দ্বারা সমাজে বসবাসের আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একে অন্যের থেকে ভালো বিষয় জানতে বুঝতে পারে। খারাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে সমাজে শান্তি বিরাজ করে। ৮. ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম লেখ। উত্তর : ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম নিচে লেখা হলোÑ প্রথমে কাতার করে ইমামের পেছনে দাঁড়াব। নিয়ত করব। আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাহরিমা বাঁধব। সানা পাঠ করব। এরপর কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ইমামের সাথে তিন তাকবির দেব। প্রথম দুইবার হাত না বেঁধে ছেড়ে রাখব। তৃতীয় তাকবির দিয়ে সালাতে হাত বাঁধার মতো দুই হাত বাঁধব। এরপর ইমাম সাহেব অন্যান্য সালাতের মতো সূরা ফাতিহা ও যেকোনো সূরা পাঠ করবেন এবং যথারীতি রুকু সিজদাহ করে প্রথম রাকাআত শেষ করবেন। অতপর দ্বিতীয় রাকআত ইমাম

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ

প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  মহান আল্লাহর পরিচয়  মহান আল্লাহর বিভিন্ন গুণবাচক নামের অর্থ ও তাৎপর্য  সালাম বিনিময়ের সুন্দর নিয়ম  কালিমা শাহাদাতের অর্থ ও তাৎপর্য  ইমান মুজমালের অর্থ ও গুরুত্ব  ইমান মুফাস্সালের সাতটি বিষয়  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্মের নাম ইসলাম। ইসলামের মূল বিষয়গুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে। আর আকাইদ হলো আকিদা শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বিশ্বাস। একজন মুসলিমের ইমান ও আকাইদ বিশুদ্ধ হওয়া খুবই জরুরি। ইমান ও আকাইদের প্রথম কথাই হচ্ছে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস। তিনি এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নন। মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবি-রাসুলগণ মানুষকে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ডেকেছেন। নবি-রাসুলগণের কথা যাঁরা শুনেছেন ও মেনেছেন তাঁরাই পরকালে সফলকাম হবেন। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১। ইমান অর্থ কী? ক. সত্য কথা বলা  খ. বিশ্বাস গ. গচ্ছিত রাখা ঘ. শৃঙ্খলা ২। আমাদের স্রষ্টা কে? ক. মাতা খ. পিতা  গ. আল্লাহ ঘ. পিতামাতা উভয়ই ৩। আমাদের জীবন-মৃত্যুর মালিক কে?  ক. আল্লাহ খ. আযরাইল (আ.) গ. রাষ্ট্রপ্রধান ঘ. প্রধান বিচারপতি ৪। কাদীর অর্থ কী? ক. অধিপতি খ. শান্তিদাতা  গ. সর্বশক্তিমান ঘ. সর্বত্র বিরাজমান ৫। সালাম শব্দের অর্থ কী? ক. দয়া  খ. শান্তি গ. সৃষ্টি ঘ. ক্ষমা ৬। শাহাদত অর্থ কী? ক. দীক্ষা দেওয়া  খ. সাক্ষ্য দেওয়া গ. পরীক্ষা দেওয়া ঘ. দান করা ৭। ইমান মুজমাল অর্থ কী?  ক. সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস খ. আন্তরিক বিশ্বাস গ. বিস্তারিত বিশ্বাস ঘ. মৌখিক বিশ্বাস ৮। ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ আছে? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি  ঘ. সাতটি ৯। ওহি নিয়ে আসতেন কোন ফেরেশতা? ক. আযরাইল (আ.) খ. মিকাইল (আ.) গ. ইসরাফিল (আ.)  ঘ. জিবরাইল (আ.) ১০। আসমানি কিতাব কয়খানা? ক. ৪ খানা খ. ১০০ খানা  গ. ১০৪ খানা ঘ. ১১০ খানা খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. যার ইমান আছে তাকে বলে  । ২. দিন শেষে পশ্চিম আকাশে  অস্ত যায়। ৩. পরস্পরে দেখা হলে আমরা  দেই। ৪. মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর  ও রাসুল। ৫. তকদির মানে  । উত্তর : ১. মুমিন বা মুসলিম ২. সূর্য ৩. সালাম ৪. বান্দা ৫. ভাগ্য। গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও : ১) মালিক বাক্য ২) কাদীর শান্তিদাতা ৩) সালাম অধিপতি ৪) কালিমা সর্বশক্তিমান উত্তর : ১) মালিক বাক্য ২) কাদীর শান্তিদাতা ৩) সালাম অধিপতি ৪) কালিমা সর্বশক্তিমান ঘ. রেখা টেনে অর্থ সঠিক উত্তর মেলাও : ১) আযরাইল (আ.) ওহি আনতেন ২) জিবরাইল (আ.) মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে ৩) ইসরাফিল (আ.) জীবের জান কবজ করেন ৪) মিকাইল (আ.) শিঙ্গা ফুঁ দেবেন উত্তর : ১) আযরাইল (আ.) ওহি আনতেন ২) জিবরাইল (আ.) মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে ৩) ইসরাফিল (আ.) জীবের জান কবজ করেন ৪) মিকাইল (আ.) শিঙ্গা ফুঁ দেবেন  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আল্লাহ তায়ালার পাঁচটি গুণের নাম লেখ। উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালার গুণ অশেষ। নিচে তাঁর পাঁচটি গুণের নাম দেওয়া হলোÑ ক) আল্লাহু মালিকুন; অর্থ আল্লাহ মালিক। খ) আল্লাহু কাদীরুন; অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। গ) আল্লাহু সালামুন; অর্থ আল্লাহ শান্তিদাতা। ঘ) আল্লাহু খালিকুন; অর্থ আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা। ঙ) আল্লাহু গাফুরুন; অর্থ আল্লাহ ক্ষমাকারী। ২. ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ আছে? উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের উল্লেখ আছে। বিষয়গুলো হলো- (১) আল্লাহ, (২) ফেরেশতা, (৩) কিতাব, (৪) রাসুলগণ, (৫) শেষ দিবস, (৬) তকদির, (৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থান। ৩. চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতার নাম লেখ। উত্তর : চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতা হলেন- (১) হযরত জিবরাইল (আ.), (২) হযরত মিকাইল (আ.), (৩) হযরত ইসরাফিল (আ.), (৪) হযরত আযরাইল (আ.)। ৪. চারখানা বড় কিতাবের নাম লেখ। উত্তর : চারখানা বড় কিতাব হলো- (ক) তাওরাত, (খ) ইঞ্জিল, (গ) যাবুর, (ঘ) কুরআন মজিদ। ৫. দশ জন নবি-রাসুলের নাম লেখ। উত্তর : দশজন নবি-রাসুল হলেন- (১) হযরত আদম (আ.), (২) হযরত নূহ (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.), (৪) হযরত ইসমাঈল (আ.), (৫) হযরত ইয়াকুব (আ.), (৬) হযরত ইউনুছ (আ.), (৭) হযরত যাকারিয়া (আ.), (৮) হযরত দাউদ (আ.), (৯) হযরত মুসা (আ.), (১০) হযরত মুহাম্মদ (স.)। ৬. আসমানি কিতাব কতোখানা? উত্তর : আসমানি কিতাব ১০৪ খানা। ৭. ছোট কিতাবকে কী বলে? উত্তর : ছোট কিতাবকে সহীফা বলে। ৮. সর্বশেষ নবি কে? উত্তর : সর্বশেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)। ৯. সর্বশেষ আসমানি কিতাব কী? উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হচ্ছে কুরআন মজিদ।  বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয় দাও। উত্তর : মহান আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি অনাদি, অনন্ত। তিনি ইহকাল ও পরকালের মালিক। সমস্ত প্রাণীকুলের রিজিকদাতা। এই বিশাল পৃথিবীতে যত কিছু আছে, সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ। শুধু এসব সৃষ্টিই করেননি, অত্যন্ত সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করছেন আল্লাহ। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। তিনিই একমাত্র শান্তিদাতা। সবকিছুরই মালিক একমাত্র তিনি। তিনি সব কিছু জানেন, শোনেন, দেখেন। ২. আল্লাহ তায়ালার কয়েকটি গুণের নাম লেখ। উত্তর : মহান আল্লাহ অনেক গুণের অধিকারী। নিচে তাঁর কয়েকটি গুণের নাম উল্লেখ করা হলো- ১. আল্লাহু খালিকুন (আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা) : মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এ সুন্দর পৃথিবী এবং তার বাইরে যা কিছু আছে সবই তাঁর। ২. আল্লাহু মালিকুন (আল্লাহ মালিক) : পৃথিবী ও তার বাইরে যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাঁর কোনো শরিক নেই। কুরআন মজিদে আছে, “আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক আল্লাহ।” ৩. আল্লাহু কাদিরুন (আল্লাহ সর্বশক্তিমান) : আল্লাহ অসীম শক্তির অধিকারী। পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর। পৃথিবীর ও মহাকাশের সবকিছুই তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে। সমস্ত কিছুই তাঁর শক্তির অধীন। ৪. আল্লাহু সালামুন (আল্লাহ শান্তিদাতা) : আল্লাহ তায়ালা একমাত্র শান্তিদাতা। আল্লাহ যাকে শান্তি দেন সেই শান্তি পায়। তিনি শান্তি দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না। ৩. ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখ। উত্তর : ‘আল্লাহু কাদীরুন’ অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এই বিশাল পৃথিবী ও এর বাইরে যা কিছু আছে সব কিছু মহান আল্লাহর সৃষ্টি। পৃথিবীর ভেতরে-বাইরে, ছোট-বড়, দৃশ্য-অদৃশ্য যা কিছু আছে এ সবই আল্লাহর হুকুমে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর হুকুমের বাইরে কেউ কোনো কিছু করতে পারে না। মহান আল্লাহ নিজেই তাঁর কুদরতের মাধ্যমে এসব কিছুর ধারক ও বাহক হিসেবে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছেন। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। ৪. আল্লাহ ‘শান্তিদাতা’ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ। উত্তর : ‘আল্লাহু সালামুন’

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাওবি অধ্যায় ৫ মূল্যবোধ ও আচরণ

৪র্থ শ্রেণির অধ্যায় ৫ মূল্যবোধ ও আচরণ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর 👉 অল্প কথায় উত্তর দাও : ১. একটি নৈতিক গুণের নাম লেখ। উত্তর : একটি নৈতিক গুণের নাম হলো সততা। ২. নম্র স্বভাবের মানুষ কেমন আচরণ করেন, তার একটি উদাহরণ দাও। উত্তর: নম্র স্বভাবের মানুষ ভালো আচরণ করেন। যেমন- আশরাফ সাহেব সবার সাথে নিচু স্বরে কথা বলেন। ৩. তোমার একটি খারাপ স্বভাবের কথা লেখ যা তুমি পরিত্যাগ করতে চাও। উত্তর: আমার একটি খারাপ স্বভাব হলো সময়মতো কাজ শেষ না করা, যা আমি পরিত্যাগ করতে চাই। ৪. রাস্তায় কিছু টাকা কুড়িয়ে পেলে তুমি কী করবে? উত্তর: রাস্তায় কিছু টাকা পেলে আমি সেগুলো প্রকৃত মালিককে দেওয়ার চেষ্টা করব, তাকে না পেলে টাকাগুলো নিকটবর্তী থানায় জমা দেব। 👉 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ১. মূল্যবোধ ও আচরণের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর: মূল্যবোধ হলো বিশ্বাস এবং আচরণ হলো তার প্রকাশ বা কাজ। ২. নৈতিক গুণগুলোর মধ্যে কোনটির মাধ্যমে তুমি সুপরিচিত হতে চাও? উত্তর: নৈতিক গুণগুলোর মধ্যে সততার মাধ্যমে আমি সুপরিচিত হতে চাই।   অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 👉 বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ ক) সততা খ) নিয়মনিষ্ঠা গ) ন্যায়বোধ ঘ) শিষ্টাচার ঙ) উচ্চ শব্দে রেডিও, টিভি চালানো জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে সৎ পথে চলতে সাহায্য করে মন্দ কাজ মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার শেখায় উত্তর : ক) সততা সৎ পথে চলতে সাহায্য করে। খ) নিয়মনিষ্ঠা জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে। গ) ন্যায়বোধ মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। ঘ) শিষ্টাচার মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার শেখায়। ঙ) উচ্চ শব্দে রেডিও, টিভি চালানো মন্দ কাজ। 👉 শুদ্ধ/ অশুদ্ধ নির্ণয় ক) সহপাঠী পেনসিল আনতে ভুলে গেলে পেন্সিল দিয়ে সাহায্য করা উচিত। খ) জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নৈতিক গুণের দরকার নেই। গ) ন্যায়বোধের কারণে আমরা ভালো কাজে উৎসাহিত হই না। ঘ) নৈতিক ও সামাজিক গুণ পরিবার ছাড়া বিদ্যালয় ও সমাজে অনুসরণ করার দরকার নেই। ঙ) নৈতিক গুণ মানুষকে ভালো ও আদর্শ মানুষ হতে সাহায্য করে। উত্তর : ক) ‘শুদ্ধ’ খ) ‘অশুদ্ধ’ গ) ‘অশুদ্ধ’ ঘ) ‘অশুদ্ধ’ ঙ) ‘শুদ্ধ’। 👉 শূন্যস্থান পূরণ ক. ভালো আচরণ করাই হলো  গুণ। খ.  হলো আমাদের ভিতরের নৈতিক গুণাবলি। গ. আমরা পরিবার,  ও  থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা পাই। ঘ. প্রতিদিন আমাদেরকে বিভিন্ন কাজের বিষয়ে  নিতে হয়। ঙ. বন্ধুদের প্রতি আমরা  হব। উত্তর : ক. নৈতিক খ. মূল্যবোধ গ. সমাজ, বিদ্যালয় ঘ. সিদ্ধান্ত ঙ. সদয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর   ভালো হওয়া ও ভালো কাজ করা  সাধারণ ১. কোনটি নৈতিক গুণ? ঝ ক বিপদে সাহায্য করা খ মিলেমিশে চলা গ অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া ঘ সত্য কথা বলা ২. সমাজের সদস্যদের কোন আচরণকে সামাজিক গুণাবলি বলা হয়? চ কভালো খ অসৎ গ মন্দ ঘ সব আচরণকেই ৩. নিয়মনিষ্ঠা কোন ধরনের গুণ? ছ কসামাজিক খনৈতিক গ অসামাজিক ঘ স¤প্রীতিমূলক ৪. আমাদের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে ও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে কোন গুণ? ঝ ক শ্রদ্ধা খ নিষ্ঠা গ শিষ্টাচার ঘ ন্যায়বোধ  যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফল : নৈতিক গুণ সম্পর্কে জানতে পারব। ৫. সুমন সময়মতো পড়ালেখা, খেলাধুলা ও অন্যান্য কাজ করে। এগুলো তার কোন গুণের মধ্যে পড়ে? জ ক সততা খ নিষ্ঠা গ শৃঙ্খলাবোধ ঘ কর্তব্যবোধ ৬. দারোয়ান, আয়া ও অন্য সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করা কোন ধরনের নৈতিক গুণ? ছ ক ন্যায়বোধ খশিষ্টাচার গ শৃঙ্খলাবোধ ঘ দায়িত্ববোধ শিখনফল : নৈতিক গুণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করব। ৭. তোমার জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে কোনটি? ছ ক সততা খ নিয়মনিষ্ঠা গ ন্যায়বোধ ঘশৃঙ্খলাবোধ ৮. কারও সাথে তুমি হঠাৎ ভুল আচরণ করলে। এখন তোমার কী করা উচিত? ঝ কখুশি হওয়া উচিত খ শাস্তি চাওয়া উচিত গ ব্যাপারটি ভুলে যাওয়া উচিত ঘ দুঃখ প্রকাশ করা উচিত একটি ঘটনা পড়ি  সাধারণ ৯. কেউ ঘুমালে বা পড়তে বসলে জোরে শব্দ করা একটিÑ ছ ক ভালো কাজ খ মন্দ কাজ গ সামাজিক গুণ ঘ নৈতিক গুণ ১০. আমরা কখন ঘুম থেকে উঠব? চ ক সকালে খ বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে গ অনেক বেলা করে ঘ শেষ রাতে ১১. শিক্ষক প্রশ্ন করলে আমাদের কী করা উচিত? ছ ক চুপ করে থাকা খ সঠিক উত্তর দিতে চেষ্টা করা গ অন্য দিকে তাকিয়ে থাকা ঘ ভুল উত্তর দেওয়া ১২. শ্রেণিকক্ষ থেকে আমরা কীভাবে বের হয়? জ ক হৈ চৈ করে খ ধাক্কাধাক্কি করে গ শৃঙ্খলার সাথে ঘ এলোমেলোভাবে ১৩. খাওয়ার পর থালা বাটি আমরা কোথায় রাখব? ঝ ক যেখানে সেখানে খ খাটের নিচে গ টেবিলের নিচে ঘ নির্দিষ্ট জায়গায়  যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফল : বন্ধুর প্রতি সদয় হব। ১৪. অনুর কলমের কালি শেষ হয়ে গেলে মিতু তাকে কলম দিয়ে সাহায্য করে। মিতুর কাজটি কোনটি দ্বারা প্রকাশ পায়? চ ক সদয় আচরণ খ শৃঙ্খলাবোধ গ সততা ঘ নম্রতা শিখনফল : ভালো কাজ শিখতে পারব। ১৫. সুনীল বিদ্যালয়ে গিয়ে ভালো কাজ করতে আগ্রহী। এজন্য তাকে যে কাজটি করতে হবে- চ ক শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখা খ বন্ধুদের সাথে হাসাহাসি করা গ না বলে সহপাঠীদের কলম নেওয়া ঘ এলোমেলোভাবে বেঞ্চে বই রাখা\ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. নৈতিক গুণ কী? উত্তর : সবার প্রতি ভালো আচরণ করা ও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলাই হলো নৈতিক গুণ। ২. মূল্যবোধ কী? উত্তর: মূল্যবোধ হলো আমাদের ভেতরের নৈতিক গুণাবলি। ৩. আমাদের আচরণ কী দ্বারা পরিচালিত হয়? উত্তর: আমাদের আচরণ নৈতিক গুণাবলি বা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হয়। ৪. আমরা কোথায় মূল্যবোধের শিক্ষা পাই? উত্তর: আমরা পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজ থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা পাই। ৫. ন্যায়নিষ্ঠার ফলাফল কী? উত্তর : ন্যায়নিষ্ঠার কারণে আমরা সকল বন্ধুর প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করি। ৬. প্রতিবেশীদের সাহায্য করা কীরূপ কাজ? উত্তর : প্রতিবেশীদের সাহায্য করা ভালো বা উচিত কাজ। ৭. কোন গুণ আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে? উত্তর: নৈতিক গুণ আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। ৮. মন্দ কাজ করলে সমাজের কী ক্ষতি হয়? উত্তর : মন্দ কাজ করলে সমাজে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। সমাজের শান্তি বিনষ্ট হয়। কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর ন্ধ সাধারণ ১. নৈতিক গুণ ও সামাজিক গুণ কেন প্রয়োজন? দুটি করে নৈতিক ও সামাজিক গুণের নাম লেখ। নৈতিক গুণের ২টি ইতিবাচক দিক লেখ। উত্তর : জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নৈতিক গুণ ও সামাজিক গুণ প্রয়োজন। দুটি নৈতিক ও সামাজিক গুণ হলো যথাক্রমেÑ শিষ্টাচার ও ন্যায়বোধ এবং কারো বিপদে সাহায্য করা ও বড়দের শ্রদ্ধা করা। নৈতিক গুণ দুটির ২টি ইতিবাচক দিক হলো : র. ন্যায়বোধ আমাদের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। রর. শিষ্টাচার মানুষকে ভালো ব্যবহার শিক্ষা দেয়। ২. মূল্যবোধ কোন ধরনের গুণ? ৪টি মূল্যবোধের ফলাফল লেখ। উত্তর: মূল্যবোধ হলো আমাদের ভেতরের নৈতিক গুণাবলি। ৪টি মূল্যবোধের ফলাফল নিচের ছকে দেওয়া হলো

চতুর্থ শ্রেণির বাওবি অধ্যায় ৫ মূল্যবোধ ও আচরণ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাওবি অধ্যায় ৪ নাগরিক অধিকার

৪র্থ শ্রেণির অধ্যায় ৪ নাগরিক অধিকার অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর 👉 অল্প কথায় উত্তর দাও : ১. ‘নাগরিক’ বলতে কী বোঝায়? উত্তর: রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা যারা রাষ্ট্র প্রদত্ত বিভিন্ন অধিকার ভোগ করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করে তাদেরকে নাগরিক বলা হয়। ২. ‘ভাষার অধিকার’ বলতে কী বোঝায়? উত্তর : নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা এবং সংস্কৃতিচর্চার অধিকারকে ভাষার অধিকার বলা হয়। ৩. একটি রাজনৈতিক অধিকারের নাম লেখ। উত্তর : একটি রাজনৈতিক অধিকার হলো নির্বাচনে ভোট প্রদান। ৪. ‘অর্থনৈতিক অধিকার’ কী? উত্তর : যে অধিকার ভোগের মাধ্যমে নাগরিক স্বাধীনভাবে আয় রোজগার করতে পারে তাকে অর্থনৈতিক অধিকার বলে। 👉 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ১. মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের একটি উদাহরণ দাও। উত্তর : মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি উদাহরণ হলো নারী নির্যাতন বন্ধে প্রেসক্লাবে তাহমিনার বক্তৃতা প্রদান। ২. ন্যায্য পারিশ্রমিক না পেলে মানুষ কী করতে পারেন? উত্তর : ন্যায্য পারিশ্রমিক না পেলে মানুষ আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 👉 বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ ক. সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য খ. ধর্ম পালনের অধিকার গ. ভোট দেওয়ার অধিকার ঘ. ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার ঙ. অন্যের অধিকার নষ্ট হয় সামাজিক অধিকার। অর্থনৈতিক অধিকার। রাজনৈতিক অধিকার। এমন কাজ আমরা করব না। অর্থনৈতিক অধিকার প্রয়োজন। উত্তর : ক. সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্থনৈতিক অধিকার প্রয়োজন। খ. ধর্ম পালনের অধিকার সামাজিক অধিকার। গ. ভোট দেওয়ার অধিকার রাজনৈতিক অধিকার। ঘ. ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার অর্থনৈতিক অধিকার। ঙ. অন্যের অধিকার নষ্ট হয় এমন কাজ আমরা করব না। 👉 শুদ্ধ/ অশুদ্ধ নির্ণয় ক) নাগরিক অধিকার পূরণে আমরা অন্যকে সাহায্য করব। খ) সামাজিক অধিকার নাগরিককে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ দেয়। গ) নাগরিক হিসেবে আমাদের কোনো অর্থনৈতিক অধিকার নেই। ঘ) রাষ্ট্রে নাগরিকের স্বাধীনভাবে কোনো কিছু করার অধিকার নেই। ঙ) আইন অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিক সমান। উত্তর : ক) ‘শুদ্ধ’ খ) ‘শুদ্ধ’ গ) ‘অশুদ্ধ’ ঘ) ‘অশুদ্ধ’ ঙ) ‘শুদ্ধ’। 👉 শূন্যস্থান পূরণ ক. রাষ্ট্রের কাছে আমাদের সামাজিক,  ও অর্থনৈতিক অধিকার আছে। খ. নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার একটি  সামাজিক অধিকার। গ. রাষ্ট্র পরিচালনায়  করার অধিকারকে রাজনৈতিক অধিকার বলে। ঘ. রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিক  পূরণ করা। ঙ. রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের সম্পত্তি  ও  অধিকার আছে। উত্তর : ক. রাজনৈতিক খ. মৌলিক গ. অংশগ্রহণ ঘ. অধিকার ঙ. অর্জন, ভোগের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর সামাজিক অধিকার  সাধারণ ১ সাধারণ অর্থে নাগরিক বলতে কাদের বোঝায়? ক নারী খ রাষ্ট্রের সদস্য ছ গ শিশু ঘ পুরুষ সদস্য ২ নিচের কোনটি সামাজিক অধিকার? চ ক বেঁচে থাকা খ আয় করা গ অবকাশ ছুটি পাওয়া ঘ নির্বাচিত হওয়া ৩. রাষ্ট্রের কাছ থেকে নাগরিকের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাকে কী বলে? ছ ক নাগরিক চাহিদা খ নাগরিক অধিকার গ নাগরিক কর্তব্য ঘ নাগরিক সম্মাননা ৪. বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সাধারণত কয় ধরনের অধিকার ভোগ করি? ছ ক ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫ ৫. ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার মানুষের কোন ধরনের অধিকার? ঝ ক অর্থনৈতিক অধিকার খ রাজনৈতিক অধিকার গ সাংস্কৃতিক অধিকার ঘ সামাজিক অধিকার  যোগ্যতাত্তিক শিখনফল : নাগরিক অধিকারের গুরুত্ব বুঝতে পারব। ৬. নাগরিক অধিকার গুরুত্বপূর্ণ কেন? ছ কবেশি আয় রোজগারের জন্য খ উন্নত ও মানসম্মত জীবনের জন্য গ সুনামের জন্য ঘ রোগমুক্ত থাকার জন্য শিখনফল : ভাষা ব্যবহারের স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে পারব। ৭. বরুণ চাকমা তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। এটা তার কোন ধরনের অধিকার? ছ কঅতিরিক্ত অধিকার খসামাজিক অধিকার গ রাজনৈতিক অধিকার ঘ অর্থনৈতিক অধিকার শিখনফল : সামাজিক অধিকার সম্পর্কে জানতে পারব। ৮. মামলার রায়ের ক্ষেত্রে বিচারকগণ ধনী-গরিব ভেদাভেদ করেন না। কেননা চ ক আইন সবার জন্য সমান খ এতে রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণœ হয় গ আইন সবার জন্য সমান নয় ঘ বিচারকগণ অনভিজ্ঞ শিখনফল : শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারব। ৯. প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন? জ কচাকরির জন্য খসম্মানের জন্য গ রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য ঘ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক অধিকার  সাধারণ ১০. নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা কোন ধরনের অধিকার? জ ক সামাজিক খ অর্থনৈতিক গ রাজনৈতিক ঘ সাংস্কৃতিক ১১. রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ নাগরিকের কোন ধরনের অধিকার? ছ ক সামাজিক খ রাজনৈতিক গ অর্থনৈতিক ঘ সাংস্কৃতিক ১২. নাগরিককে তার কাজ করতে গিয়ে কোন বিষয়টি খেয়াল রাখতে হয়? চ কঅন্যের যেন ক্ষতি না হয় খ অন্যের যেন লাভ হয় গ নিজের কাজের যেন সফলতা আসে ঘঅন্যের যেন ক্ষতি হয় ১৩. বাংলাদেশের নাগরিকেরা কত বছর বয়সে ভোট দিতে পারবে? ছ ক ১৬ বছর খ ১৮ বছর গ ২০ বছর ঘ ২২ বছর ১৪. বাংলাদেশের নাগরিক কত বছর বয়সে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারে? চ ক ২৫ খ ২৮ গ ৩০ ঘ ৩৫  যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফল : রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে জানতে পারব। ১৫. করিম মাঝি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। এটা তার কোন ধরনের অধিকার? ছ কসামাজিক খ রাজনৈতিক গ অর্থনৈতিক ঘ সাংস্কৃতিক শিখনফল : রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগে সচেতন হব। ১৬. সাইমার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে যে বিশেষ রাজনৈতিক অধিকারটি জড়িত- জ কনির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা খ মত প্রকাশ করা গ নির্বাচনে ভোট দেওয়া ঘ বিদেশে নিরাপত্তা লাভ করা শিখনফল : আইনের সমতার বিষয়টি বুঝতে পারব। ১৭. আসিফ ক্ষমতাবান হলেও বিচারক দরিদ্র সুজনের পক্ষে রায় ঘোষণা করে। এর কারণ- ছ কবিচারক দয়ালু খ আইনের চোখে সবাই সমান গ আসিফ বিচারককে উপহার দেয়নি ঘ বিচারক অনভিজ্ঞ শিখনফল : বিদেশে নিরাপত্তা লাভের উপায় জানব। ১৮. রোকন পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হলো। এক্ষেত্রে তাদের করণীয়- ছ কনিজেরাই সমস্যার সমাধান করা খ দেশের সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া গ সৌদি সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া ঘ পুলিশের সাহায্য নেওয়া অর্থনৈতিক অধিকার  সাধারণ ১৯. নিচের কোনটি অর্থনৈতিক অধিকার? ঝ ক নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা খ নিরাপত্তা লাভ গ জমি ক্রয় ঘ অবকাশ ছুটি লাভ ২০. আয় রোজগার করা কোন ধরনের অধিকার? জ ক সামাজিক খ রাজনৈতিক গ অর্থনৈতিক ঘপারিবারিক ২১. অর্থনৈতিক অধিকার অনুসারে নারী ও পুরুষের কাজের ক্ষেত্রেÑ ঝ ক পুরুষ বেশি পারিশ্রমিক পাবে খ নারী বেশি পারিশ্রমিক পাবে গ নারী-পুরুষ কেউই পারিশ্রমিক পাবে না ঘ নারী-পুরুষ উভয়ই সমান পারিশ্রমিক পাবে  যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফল : অর্থনৈতিক অধিকারের গুরুত্ব বুঝতে পারব। ২২. অর্থনৈতিক অধিকার কেন প্রয়োজন? ছ ক বেশি রোজগারের জন্য খ সুষ্ঠুভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য গ ক্ষমতা অর্জনের জন্য ঘ সম্মানের অর্জনের জন্য শিখনফল : মজুরি বৈষম্য বুঝতে পারব। ২৩. রহমত ও আয়েশা দুজনে পোশাক কারখানায় কাজ করে। রহমতকে প্রতিদিন ৪০০ টাকা দেওয়া হলেও আয়েশাকে দেওয়া হয় ৩৫০ টাকা। এক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে চ কঅর্থনৈতিক অধিকার খ রাজনৈতিক অধিকার গ চাকরির অধিকার ঘ সামাজিক অধিকার শিখনফল : অর্থনৈতিক অধিকারের প্রয়োগ বুঝতে পারব। ২৪. বিদেশ থেকে ছেলের পাঠানো টাকা দিয়ে

চতুর্থ শ্রেণির বাওবি অধ্যায় ৪ নাগরিক অধিকার Read More »

Scroll to Top