চতুর্থ শ্রেণি

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ আমাদের জীবনে প্রযুক্তি

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ আমাদের জীবনে প্রযুক্তি

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ আমাদের জীবনে প্রযুক্তি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) —- আমাদের জীবনকে আরও উন্নত এবং আরামদায়ক করেছে। ২) ক্রিকেট ব্যাট একটি প্রযুক্তি যা —- ব্যবহৃত হয়। ৩) —- প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ডাক্তার সহজে রোগ নির্ণয় করতে পারছেন। উত্তর : ১) প্রযুক্তি, ২) খেলাধুলায়, ৩) চিকিৎসা। ২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) নিচের কোনটি কৃষি প্রযুক্তি? √ক. সেচ পাম্প খ. বেহালা গ. ক্রিকেট ব্যাট ঘ. নাগরদেলা ২) নিচের কোনটি সাধারণ চিকিৎসা প্রযুক্তি? ক. এক্স-রে যন্ত্র খ. ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম গ. আল্ট্রাসনোগ্রাফি √ঘ. থার্মোমিটার ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) খেলাধুলায় ব্যবহৃত হয় এমন ৫টি প্রযুক্তির নাম লেখ। উত্তর : খেলাধুলায় ব্যবহৃত হয় এমন ৫টি প্রযুক্তির নাম হলো ক) ফুটবল, খ) টেনিস র‌্যাকেট, গ) ক্রিকেট বল, ঘ) পোশাক ও ঙ) জুতা। ২) বিনোদনের জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়? উত্তর : বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এগুলোর মধ্যে কম্পিউটার প্রযুক্তি অন্যতম। কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের খেলা, সিনেমা বা নাটক দেখা এবং গান শোনা যায়। সংগীতের জন্য ব্যবহৃত হয় তবলা, হারমোনিয়াম, গিটার, বেহালা, পিয়ানো, সিডি ও ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি। বিনোদন কেন্দ্রে রয়েছে নাগরদোলা, রোলার কোস্টার ইত্যাদি। ৩) চিকিৎসা প্রযুক্তির সুবিধা কী কী? উত্তর : চিকিৎসা প্রযুক্তির সুবিধাগুলো হলো – ক) সহজে রোগ নির্ণয় করা যায়। খ) শরীরের ভেতরের অঙ্গসমূহ পরীক্ষা করা যায়। গ) রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা যায়। ঘ) অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদান করা যায়। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন কীভাবে আমাদের সহায়তা করে? উত্তর : বিভিন্ন রকম কৃষিকাজে, ফসল উৎপাদনে এবং বনজ সম্পদ সংগ্রহ ও নতুন জাত সৃষ্টিতে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের কৃষিকাজে যেসব সহায়তা করে তা হলো- ক) বিভিন্ন রকম উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে মানুষ অধিক ফসল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করতে পারে। এসব উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি হলো- ট্রাক্টর, নিড়ানীযন্ত্র, সেচপাম্প, রোপণযন্ত্র, ফসল কাটার যন্ত্র ইত্যাদি। খ) রোগ ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধী এবং দ্রæত বর্ধনশীল ফসল উৎপাদনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ ফলনশীল ধান, গম এবং আলু উদ্ভাবন করা হয়েছে। গ) বনজ সম্পদ সংগ্রহ এবং নতুন উদ্ভিদের জাত সৃষ্টিতেও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। যান্ত্রিক করাতের সাহায্যে সহজেই গাছ কেটে কাঠ সংগ্রহ করা যায়। বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদ সৃষ্টিতেও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ২) বাসস্থানে প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের জীবনকে সুন্দর করছে? উত্তর : বাসস্থানে নানা ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে সুন্দর করেছে। বাসস্থানে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি, ইস্ত্রি, বৈদ্যুতিক পাখা, টেলিভিশন, রেডিও মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি। রান্নাঘরেও নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। যেমন- গ্যাসের চুলা, রেফ্রিজারেটর, রাইস কুকার. মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি। বৈদ্যুতিক বাতি রাতের অন্ধকার দূর করে আলো দেয়। বৈদ্যুতিক পাখা গরমে আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে, মোবাইল ফোনের সাহায্যে আমরা যেকোনো মুহূর্তে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা, বিনোদনসহ নানা রকম সুবিধা পেতে পারি। রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা, রাইস কুকার ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করে সহজে অল্প সময়ে রান্না করা সম্ভব হয়। রেফ্রিজারেটরে কাঁচা খাদ্য অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। তাই বলা যায়, বাসস্থানে নানা রকম প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে সুন্দর করেছে। ৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর। কৃষি প্রযুক্তি চিকিৎসা প্রযুক্তি খেলাধুলা প্রযুক্তি রান্নাঘরের প্রযুক্তি বিনোদন প্রযুক্তি ফুটবল ট্রাক্টর ভিডিও গেম স্টেথোস্কোপ গ্যাসের চুলা উত্তর : কৃষি প্রযুক্তি —- ট্রাক্টর। চিকিৎসা প্রযুক্তি —- স্টেথোস্কোপ। খেলাধুলা প্রযুক্তি —- ফুটবল। রান্নাঘরের প্রযুক্তি —- গ্যাসের চুলা। বিনোদন প্রযুক্তি —- ভিডিও গেম। ৬. নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। রোগ প্রতিরোধী উন্নত প্রযুক্তি উচ্চ ফলনশীল শস্য উত্তর : শব্দগুলো ব্যবহার করে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেওয়া হলো। ১. উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চফলনশীল শস্য উদ্ভাবন করা যায়। ২. রোগ প্রতিরোধী শস্য উৎপাদনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। ৩. নিড়ানী যন্ত্র, রোপণযন্ত্র, সেচপাম্প ইত্যাদি কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) —- আমাদের জীবনকে উন্নত, সহজ ও আরামদায়ক করে। ২) বর্তমানে অনেক খেলাধুলায় —- ব্যবহার করা হয়। ৩) —- একটি সাধারণ চিকিৎসা যন্ত্র। ৪) —- প্রযুক্তির সাহায্যে একই গাছে বিভিন্ন রঙের ফুল উৎপন্ন করা হয়। ৫) ঘর সাজাতে বা পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধন করতে ব্যবহার করা হয়—-। ৬) কম্পিউটার —- হচ্ছে একটি চিকিৎসা প্রযুক্তি। ৭) শরীরের ভেতরের অঙ্গসমূহ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয় —-। ৮) উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ —- শস্য উৎপাদন করা হয়েছে। ৯) রান্নাঘরের একটি প্রযুক্তি হলো —-। ১০) যন্ত্র বা কৌশল ব্যবহার করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় কাজ সমাধান করাই হচ্ছে —-। উত্তর : ১) প্রযুক্তি, ২) ভিডিও ক্যামেরা, ৩) থার্মোমিটার, ৪) উদ্ভিদ প্রজনন, ৫) ফুল, ৬) টমোগ্রাফি, ৭) এক্স-রে মেশিন, ৮) ফলনশীল, ৯) গ্যাসের চুলা, ১০) প্রযুক্তি। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশের মিল কর। প্রযুক্তি করাত রান্নাঘরের প্রযুক্তি কম্পিউটার টমোগ্রাফি বিনোদন প্রযুক্তি আরামদায়ক চিকিৎসা প্রযুক্তি গ্যাসের চুলা কৃষি প্রযুক্তি কম্পিউটার উত্তর : প্রযুক্তি —- আরামদায়ক। রান্নাঘরের প্রযুক্তি —- গ্যাসের চুলা। বিনোদন প্রযুক্তি —- কম্পিউটার। চিকিৎসা প্রযুক্তি —- কম্পিউটার টমোগ্রাফি। কৃষি প্রযুক্তি —- করাত। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. প্রযুক্তি কী? উত্তর : যন্ত্র বা কৌশল ব্যবহার করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করাই হচ্ছে প্রযুক্তি। ২. প্রযুক্তির উপকারিতা কী? উত্তর : প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত, সহজ এবং আরামদায়ক করে। ৩. বাড়িতে ব্যবহৃত পাঁচটি প্রযুক্তির নাম লেখ। উত্তর : বাড়িতে ব্যবহৃত পাঁচটি প্রযুক্তি হলো ১) বৈদ্যুতিক বাতি ২) ইস্ত্রি ৩) টেলিভিশন ৪) রেডিও এবং ৫) মোবাইল ফোন। ৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন কোন ধরনের প্রযুক্তি? উত্তর : মাইক্রোওয়েভ ওভেন রান্না করার প্রযুক্তি। ৫. বিনোদনের জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার কী? উত্তর : বিনোদনের জন্য কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের খেলা, সিনেমা বা নাটক দেখা এবং গান শোনা যায়। ৬. সংগীতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাঁচটি প্রযুক্তির নাম লেখ। উত্তর : সংগীতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাঁচটি প্রযুক্তি হলো ১) তবলা, ২) হারমোনিয়াম, ৩) গিটার, ৪) বেহালা ও ৫) পিয়ানো। ৭. পাঁচটি উন্নত কৃষি প্রযুক্তির নাম লেখ। উত্তর : পাঁচটি উন্নত কৃষি প্রযুক্তির হলো ১) ট্রাক্টর ২) রোপণ যন্ত্র ৩) সেচপাম্প ৪) ফসল কাটার যন্ত্র এবং ৫) দুধদোহন যন্ত্র। ৮. কোন কাজে ফুল ব্যবহার করা হয়? উত্তর : ঘর সাজাতে বা পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধন করতে ফুল ব্যবহার করা হয়। ৯. একই গাছে বিভিন্ন রঙের ফুল উৎপাদন করতে কোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়? উত্তর : একই গাছে বিভিন্ন রঙের ফুল উৎপাদন করতে উদ্ভিদ প্রজনন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ১০. আমাদের শরীরের ভেতরের অঙ্গসমূহ পরীক্ষা করার জন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়? উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ আমাদের জীবনে প্রযুক্তি Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মহাবিশ্ব

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মহাবিশ্ব

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মহাবিশ্ব অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) সৌরজগতের যে বস্তু পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে তা হলো —-। ২) সূর্য একটি —- যার নিজস্ব আলো, তাপ এবং অন্যান্য শক্তি রয়েছে। ৩) আমাদের পৃথিবী —- একটি গ্রহ। ৪) গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, মহাশূন্য, সকল পদার্থ এবং শক্তি এ সব কিছু নিয়েই গঠিত হয়েছে —-। উত্তর : ১) উপগ্রহ, ২) নক্ষত্র, ৩) সৌরজগতের, ৪) মহাবিশ্ব। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) নিচের কোনটি নক্ষত্র? ক. পৃথিবী খ. বুধ √গ. সূর্য ঘ. চাঁদ ২) সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে নিচের কোন গ্রহটি রয়েছে? ক. মঙ্গল √ খ. শুক্র গ. বৃহস্পতি ঘ. শনি ৩) সৌরজগতে কয়টি গ্রহ রয়েছে? ক. সাত √ খ. আট গ. নয় ঘ. দশ ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) সূর্য থেকে অন্যান্য নক্ষত্র ছোট দেখায় কেন? উত্তর : অন্যান্য নক্ষত্র সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বলে ছোট দেখায়। ২) গ্যালাক্সি কী? উত্তর : গ্যালাক্সি হচ্ছে নক্ষত্রের একটি বিশাল সমাবেশ। ৩) নক্ষত্রমণ্ডল কী? উত্তর : মহাবিশ্বে অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে যেগুলো জোট বেঁধে অবস্থান করে। রাতের আকাশে নক্ষত্রের এই জোট কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর ন্যায় বিশেষ আকৃতির সৃষ্টি করে। বিশেষ আকৃতিসম্পন্ন এই নক্ষত্র জোটকে বলে নক্ষত্রমণ্ডল। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) চাঁদের কয়টি দশা আছে বর্ণনা কর। উত্তর : চাঁদের আটটি দশা বা পর্যায় রয়েছে। চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে বলে আমরা বিভিন্ন সময় চাঁদের বিভিন্ন আলোকিত অবস্থা দেখতে পাই, যা চাঁদের দশা বা পর্যায় নামে পরিচিত। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করার ফলে কখনো কখনো আমরা চাঁদের আলোকিত অংশের সবটাই দেখতে পাই। এ অবস্থাকে বলে পূর্ণিমা। এরপর চাঁদের আলোকিত অংশ হ্রাস পেতে থাকে। পূর্ণিমার চৌদ্দ দিন পর পৃথিবী থেকে চাঁদের আলোকিত অংশ দেখা যায় না। একে বলে অমাবস্যা। অমাবস্যার পর পুনরায় চাঁদের আলোকিত অংশের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চৌদ্দ দিন পর পুনরায় পূর্ণিমা দেখা যায়। অর্থাৎ প্রতি ২৮ দিন চাঁদ তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। নিচে চাঁদের আটটি দশার পর্যায়ক্রমিক চিত্র দেওয়া হলো- ২) গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর : গ্রহ ও নক্ষত্র উভয়ই সৌরজগতের সদস্য হলেও এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন গ্রহ নক্ষত্র ১) মহাবিশ্বের যে বিশালাকার বস্তুগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে তাদেরকে বলে গ্রহ। ১) নক্ষত্র হচ্ছে জ্বলন্ত গ্যাসের একটি বিশাল কুণ্ডলী যার নিজস্ব আলো, তাপ এবং অন্যান্য শক্তি রয়েছে। ২) সৌরজগতে আটটি গ্রহ রয়েছে। ২) সূর্য সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র। ৩) গ্রহের চারদিকে উপগ্রহ ঘুরতে থাকে। যেমন- চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। ৩) সূর্য নামক নক্ষত্রের চারদিকে গ্রহগুলো ঘুরতে থাকে। ৪) মহাবিশ্বে অসংখ্য গ্রহ রয়েছে, যা এখনো অনাবিষ্কৃত। ৪) মহাবিশ্বে অসংখ্য নক্ষত্র জোট বেঁধে অবস্থান করে, যা নক্ষত্রমণ্ডল নামে পরিচিত। ৫) গ্রহের নিজের আলো নেই। এরা নক্ষত্রের আলোতে আলোকিত। ৫) নক্ষত্রের নিজস্ব আলো রয়েছে। ৩) সৌরজগৎ কী নিয়ে গঠিত? উত্তর : সূর্য এবং তার চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, ধূলিকণা ও গ্যাস নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। সৌরজগৎ মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত এবং সূর্য সৌরজগতের একমাত্র নক্ষত্র। মহাবিশ্বের যে বিশালাকার বস্তুগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে তাই গ্রহ। গ্রহের নিজস্ব কোনো আলো নেই। আমাদের পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ। চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। সৌরজগতের আটটি গ্রহ রয়েছে। সূর্যের নিকট থেকে ক্রমানুসারে দূরের গ্রহগুলো হচ্ছে বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। ৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর। পৃথিবী গ্যালাক্সি সূর্য উপগ্রহ মিল্কিওয়ে নক্ষত্র চাঁদ গ্রহ উত্তর : পৃথিবী —- গ্রহ; সূর্য —- নক্ষত্র; মিল্কিওয়ে —- গ্যালাক্সি; চাঁদ —- উপগ্রহ। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর । ১) চাঁদ —- দ্বারা গঠিত একটি বিশাল গোলাকার বস্তু। ২) চাঁদের —- অংশের —- পরিবর্তনই হচ্ছে চাঁদের দশা। ৩) —- হলো পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। ৪) সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ হলো —- এবং সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ হলো —-। ৫) —- সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ। ৬) সূর্য —- একমাত্র নক্ষত্র। ৭) —- একটি নক্ষত্রমণ্ডল। ৮) সৌরজগৎ —- অন্তর্ভুক্ত। ৯) সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত তার নাম —-। ১০) মিল্কিওয়ে দেখতে —-। উত্তর : ১) শিলা, ২) উজ্জ্বল, আকৃতি, ৩) চাঁদ, ৪) বুধ, নেপচুন, ৫) শুক্র, ৬) সৌরজগতের, ৭) কালপুরুষ, ৮) গ্যালাক্সির, ৯) মিল্কিওয়ে, ১০) সর্পিলাকার। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশের মিল কর। শুকতারা বুধ সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহ নেপচুন সূর্যের দূরবর্তী গ্রহ শুক্র গ্রহ নক্ষত্রমণ্ডল গ্যালাক্সি সৌরজগৎ কালপুরুষ উত্তর : শুকতারা —- শুক্র গ্রহ। সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহ —- বুধ। সূর্যের দূরবর্তী গ্রহ —- নেপচুন। নক্ষত্রমণ্ডল —- কালপুরুষ। সৌরজগৎ —- গ্যালাক্সি। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. চাঁদ কী? উত্তর : মহাকাশের যে বস্তু পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে তাই চাঁদ। ২. চাঁদের গঠন কীরূপ? উত্তর : চাঁদ শিলা দ্বারা গঠিত একটি বিশাল গোলাকার বস্তু। এর গায়ে পাহাড়, পর্বত, উপত্যকা ইত্যাদি দেখা যায়। ৩. চাঁদের নিজস্ব আলো না থাকলেও একে আলোকিত দেখায় কেন? উত্তর : চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। কিন্তু সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে বলেই একে পৃথিবী থেকে আলোকিত দেখায়। ৪. চাঁদের দশা কী? উত্তর : চাঁদের উজ্জ্বল অংশের আকৃতি পরিবর্তনই হলো চাঁদের দশা। ৫. চাঁদকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকৃতিতে দেখা যায় কেন? উত্তর : চাঁদের উজ্জ্বল অংশের আকৃতি পরিবর্তন অর্থাৎ চাঁদের দশার ভিন্নতার কারণেই একে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকৃতিতে দেখা যায়। ৬. কত দিনে চাঁদ তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে? উত্তর : প্রতি ২৮ দিনে চাঁদ তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। ৭. গ্রহ কী? উত্তর : মহাবিশ্বের যে বিশালকার বস্তুগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে সেগুলোই গ্রহ। ৮. শুকতারা ও সন্ধ্যাতারা কী? উত্তর : সূর্যোদয়ের আগে পূর্ব আকাশে থাকা শুকতারা ও সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে থাকা সন্ধ্যাতারা হলো শুক্র গ্রহ। ৯. নক্ষত্র কী? উত্তর : নক্ষত্র হচ্ছে জ্বলন্ত গ্যাসের একটি কুণ্ডলী, যার নিজস্ব আলো, তাপ এবং অন্যান্য শক্তি রয়েছে। ১০. দুটি নক্ষত্রমণ্ডলের নাম লেখ। উত্তর : কালপুরুষ ও গ্রেট বিয়ার হলো দুটি নক্ষত্রমণ্ডল। ১১. মিল্কিওয়ে কী? উত্তর : সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত তার নাম মিল্কিওয়ে। ১২. মহাবিশ্ব কী নিয়ে গঠিত? উত্তর : গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, মহাশূন্য, সকল পদার্থ এবং শক্তি নিয়েই গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব। ১৩. মহাবিশ্বের আকার কী? উত্তর : মহাবিশ্বের আকার কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না। সেখানে কোটি কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, মহাবিশ্ব সময়ের সাথে চারদিকে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৪. মহাশূন্য কিসের অন্তর্ভুক্ত? উত্তর : মহাশূন্য মহাবিশ্বের অন্তর্ভুক্ত। এটা সৌরজগতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৫. প্যাগাসাস কী? উত্তর : প্যাগাসাস একটি নক্ষত্র জোট বা নক্ষত্রমণ্ডল। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর  সাধারণ ১. মহাবিশ্ব কী? ব্যাখ্যা কর। উত্তর : গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, মহাশূন্য, সকল পদার্থ এবং শক্তি এই সবকিছু

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মহাবিশ্ব Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর । ১) প্রকৃতির যা কিছু মানুষের কাজে লাগে তাই —। ২) সোনা, রুপা ইত্যাদি — সম্পদ। ৩) তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি — জ্বালানি। ৪) পুরোনো বস্তুকে — করে নতুন বস্তুতে পরিণত করা হয়। ৫) বায়ুপ্রবাহ ও পানির স্রোত — উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। উত্তর : ১) প্রাকৃতিক সম্পদ, ২) খনিজ, ৩) জীবাশ্ম, ৪) রিসাইকেল, ৫) বিদ্যুৎ। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) নিচের কোন প্রাকৃতিক সম্পদটি নবায়নযোগ্য? ক. তেল √ খ. সূর্যের আলো গ. প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ. কয়লা ২) নিচের কোনটি সূর্যের আলোকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে? ক. জেনারেটর খ. উইন্ডমিল √গ. সৌর প্যানেল ঘ. গ্যাসের চুলা ৩) শক্তির সর্বাধিক ব্যবহৃত উৎস কোনটি? ক. বায়ু প্রবাহ √খ. পানির স্রোত গ. সূর্যের আলো ঘ. প্রাকৃতিক গ্যাস ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের নাম বল। উত্তর : চার ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ হলো- ক) পানি সম্পদ খ) বনজ সম্পদ গ) ভ‚মি সম্পদ ঘ) খনিজ সম্পদ ২) বাংলাদেশে কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে? উত্তর : বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যেমন- সূর্যের আলো, বায়ু, পানি, মাটি, উদ্ভিদ এবং প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা এবং বেশ কিছু খনিজ ও শিলা রয়েছে। যেমন- সিলিকন, জিরকন, চুনাপাথর, কঠিন শিলা ইত্যাদি। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে কীভাবে শক্তি পাই? উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক সম্পদকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করে শক্তি পাই। শক্তি হচ্ছে কোনো কিছু করার সামর্থ্য। শক্তি কোনো বস্তুকে নাড়াতে পারে, শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে। শক্তি পাওয়ার জন্য শক্তির উৎস হিসেবে সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, পানির স্রোত, তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। সূর্যের আলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমরা সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য সৌর প্যানেল ব্যবহার করি। সৌর প্যানেল সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করে। বায়ুপ্রবাহ একটি সম্ভাবনাময় শক্তির উৎস। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করি। বায়ুপ্রবাহ জেনারেটরের সাথে যুক্ত উইন্ডমিলের টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। পানির স্রোত সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস। পানির স্রোত জেনারেটরের সাথে যুক্ত টারবাইন ঘোরায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এগুলো পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়, যা খাবার রান্না করতে, যানবাহন চালাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এবং শীতপ্রধান দেশে ঘর উষ্ণ রাখতে ব্যবহার করা হয়। আর এভাবে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে শক্তি পাই। ২) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুইটি উপায় বর্ণনা কর। উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত ব্যবহারই হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ। প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। তাই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আমরা বিভিন্ন উপায়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দুটি উপায় বর্ণনা করা হলো- ক) সম্পদের ব্যবহার কমানো : প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হচ্ছে তা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। শক্তির ব্যবহার কমিয়ে বা বর্জ্য উৎপাদন কমিয়ে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- রান্না শেষে চুলা নিভিয়ে ফেলা, কাজ শেষে বাতির সুইচ অফ রাখা ইত্যাদি। খ) সম্পদের পুনঃব্যবহার : কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। কোনো জিনিসকে রিসাইকেল করা বা ফেলে দেওয়ার পূর্বে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত। কোনো জিনিস ভেঙে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত। যেমন- কাগজ ব্যবহারের পর কাগজকে ফেলে না দিয়ে কাগজ দ্বারা ঠোঙা তৈরি করে কাগজ নামক সম্পদের পুনঃব্যবহার সম্ভব। ৩) নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন কেন? উত্তর : অনবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা প্রধানত অনবায়নযোগ্য সম্পদ যেমন- তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। এ সকল সম্পদ একবার ব্যবহারেই নিঃশেষ হয়ে যায়, হাজার হাজার বছরেও ফিরে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য সম্পদ হিসেবে আমরা সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত ব্যবহার করতে পারি। সৌর প্যানেল ব্যবহার করে আমরা সূর্য থেকে বিদ্যুৎশক্তি পাই। বায়ুপ্রবাহ উইন্ডমিলের পাখা ঘোরানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। পানির স্রোত জেনারেটর সাথে যুক্ত টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এসব নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। ৫. বামপাশের শব্দের সাথে ডানপাশের শব্দের মিল কর। সোনা নদী সূর্যের আলো প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য সম্পদ খনিজ সম্পদ পানি সম্পদ নবায়নযোগ্য সম্পদ উত্তর : সোনা — খনিজ সম্পদ। নদী — পানি সম্পদ। সূর্যের আলো — নবায়নযোগ্য সম্পদ। প্রাকৃতিক গ্যাস — অনবায়নযোগ্য সম্পদ। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) পানি একটি — সম্পদ। ২) আমরা খাদ্যের জন্য — ফসল উৎপাদন করি। ৩) চুনাপাথর এবং মার্বেল হলো এক ধরনের —। ৪) সূর্য থেকে আমরা — পাই। ৫) বায়ুপ্রবাহ থেকে — উৎপাদন করা যায়। ৬) প্রাকৃতিক সম্পকে — ভাগ করা যায়। ৭) কোনো কিছু করার সামর্থ্যকে — বলে। ৮) সর্বাধিক ব্যবহৃত শক্তির উৎস হলো —। ৯) তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হলো — জ্বালানি। ১০) আমরা বাড়ির ছাদে বা ক্যালকুলেটরে — দেখে থাকি। উত্তর : ১) প্রাকৃতিক, ২) মাটিতে, ৩) শিলা, ৪) আলো বা তাপ, ৫) বিদ্যুৎ, ৬) দুই ভাগে, ৭) শক্তি, ৮) পানির স্রোত, ৯) জীবাশ্ম, ১০) সৌর প্যানেল। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। প্রাকৃতিক গ্যাস শিলা সূর্যের আলো জীবাশ্ম জ্বালানি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিদ্যুৎ মার্বেল রিসাইকেল সৌর প্যানেল নবায়নযোগ্য সম্পদ উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস — জীবাশ্ম জ্বালানি। সূর্যের আলো — নবায়নযোগ্য সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ — রিসাইকেল। মার্বেল — শিলা। সৌর প্যানেল — বিদ্যুৎ চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. প্রাকৃতিক সম্পদ কী? উত্তর : প্রকৃতির যা কিছু আমাদের কাজে লাগে তাই প্রাকৃতিক সম্পদ। ২. তিনটি খনিজ সম্পদের নাম লেখ। উত্তর : তিনটি খনিজ সম্পদ হলো- ১) তেল ২) কয়লা এবং ৩) প্রাকৃতিক গ্যাস। ৩. নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, প্রকৃতি থেকে পুনরায় পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায় তাকে নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। ৪. তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ। উত্তর : তিনটি নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো- ১) সূর্যের আলো ২) বায়ু এবং ৩) পানি। ৫. অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? উত্তর : যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ একবার ব্যবহার করলে নিঃশেষ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার বছরেও তা ফিরে পাওয়া যায় না তাকে অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। ৬. দুইটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লেখ। উত্তর : দুটি অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদের নাম

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ প্রাকৃতিক সম্পদ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ পদার্থ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ পদার্থ

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ পদার্থ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) পদার্থ যে জায়গা দখল করে তাকে ওই পদার্থের —- বলে। ২) কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে কত জোরে টানছে তার পরিমাণই হলো —-। ৩) বস্তুর ওজন পরিমাপের একক হচ্ছে —-। উত্তর : ১) আয়তন, ২) ওজন, ৩) গ্রাম বা কিলোগ্রাম। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কোনটি? ক. রং খ. গন্ধ √গ. আয়তন ঘ. গঠন ২) বস্তুর ওজন পরিমাপের জন্য নিচের কোন পরিমাপক যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়? √ ক. দাঁড়িপাল্লা খ. রুলার গ. থার্মোমিটার ঘ. পরিমাপক পাত্র ৩) রান্নার তেল পরিমাপের একক কোনটি? ক. বর্গ সেন্টিমিটার √খ. লিটার গ. ঘন সেন্টিমিটার ঘ. মিটার ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) বায়ুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : বায়ুর তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো – ক. বায়ুর ওজন আছে খ. এর আয়তন আছে গ. চাপ প্রয়োগে বায়ু বাধা প্রদান করে। ২) বস্তুর ওজন বলতে কী বোঝ? উত্তর : কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে বলে টানছে তাই হলো বস্তুটির ওজন। ওজন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য। ৩) বস্তুর আয়তন বলতে কী বোঝ? উত্তর : কোনো পদার্থ যে পরিমাণ জায়গা দখল করে তাকে তার আয়তন বলে। আয়তন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) পদার্থ কী তা ব্যাখ্যা কর। উত্তর : আমাদের চারপাশের সকল বস্তু যা দিয়ে গঠিত তাদেরকে পদার্থ বলে। পদার্থের বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- ওজন, আয়তন, আকার, আকৃতি, চাপ প্রয়োগে বাধা প্রদান করার ক্ষমতা ইত্যাদি। যাদের মধ্যে এই এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, সেগুলোই পদার্থ। যেমন- বায়ুর ওজন আছে, বেলুনে ঢোকালে বোঝা যায় বায়ুর আয়তন আছে এবং তা জায়গা দখল করে, বেলুনে চাপ প্রয়োগ করলে বায়ু বাধা প্রদান করে। কাজেই বায়ু একটি পদার্থ। তবে পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো- পদার্থ জায়গা দখল করে এবং এর ওজন আছে। ২) পরীক্ষার সাহায্যে আমরা কীভাবে প্রমাণ করতে পারি যে বায়ু একটি পদার্থ? উত্তর : পরীক্ষার সাহয্যে বায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন- ওজন, আয়তন, চাপ প্রয়োগে বাধা প্রদান করার ক্ষমতা ইত্যাদি প্রমাণের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, বায়ু একটি পদার্থ। দুটো বায়ুভর্তি বেলুনের সাহায্যে বায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো পরীক্ষা করা সম্ভব। একটি গামলাকে পানি দিয়ে পুরোপুরি ভর্তি করি। বায়ুভর্তি একটি বেলুনকে গামলার পানিতে ডোবালে পানি উপচে পড়ে। অর্থাৎ বেলুনে থাকা বায়ু পানিতে জায়গা দখল করে। তাই বলা যায়, বায়ুর আয়তন আছে। আবার বায়ু ভর্তি বেলুন দুটিকে একটি দাঁড়িপাল্লায় দুই পাশে ঝুলিয়ে দাঁড়িপাল্লাটিকে আনুভ‚মিকভাবে সমান করা হলো। তারপর আলপিন দিয়ে একটি বেলুনকে ফুটো করে দিলে বেলুন থেকে বায়ু বেরিয়ে যায় এবং দাঁড়িপাল্লাটি ফোলানো বেলুনের দিকে হেলে পড়ে। অর্থাৎ ফোলানো বেলুনে বায়ু থাকায় তা বায়ুশূন্য বেলুনের চেয়ে ভারী। কাজেই বলা যায়, বায়ুর ওজন আছে। আবার একটি ফোলানো বেলুনে চাপ প্রয়োগ করলে ভেতরের বায়ু বেলুনটিকে চুপসে যেতে বাধা দেয়। অর্থাৎ বায়ু চাপ প্রয়োগে বাধা প্রধান করে। এভাবে বেলুনের সাহায্যে বায়ুর তিনটি বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে বলা যায়, বায়ু একটি পদার্থ। ৫. একটি গøাসে কিছু টিস্যু রাখি। এরপর গøাসটিকে উল্টা করে আস্তে আস্তে একটি পানির পাত্রে ডুবানোর চেষ্টা করি। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ১. টিস্যুসহ একটি গøাসকে পানির পাত্রে উল্টা করে রাখলে ভিতরে থাকা টিস্যুগুলোর কী হবে এবং কেন হবে? ২. এই পরীক্ষা থেকে বায়ুর কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়? উত্তর : ১. টিস্যুসহ একটি গøাসকে পানির পাত্রে উল্টা করে রাখলে ভিতরে থাকা টিস্যুগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ উপুড় করা গøাসের ভিতরে বায়ু থাকায় পানি গøাসে প্রবেশ করতে পারে না। যখন পদার্থ কোনো জায়গা দখল করে তখন ঐ জায়গাটি একই সাথে অন্য কোনো পদার্থ দখল করতে পারে না। তাই উপর্যুক্ত পরীক্ষায় পানি গøাসের ভিতরে থাকা টিস্যুকে স্পর্শ করতে পারে না এবং টিস্যুগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। ২. এই পরীক্ষা থেকে বোঝা যায়, বায়ু জায়গা দখল করে, অর্থাৎ এর আয়তন আছে। এটি বায়ু তথা পদার্থের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) —- জায়গা দখল করে। ২) —- পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য। ৩) কঠিন পদার্থের আয়তন —- এককে পরিমাপ করা হয়। ৪) তরল পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক হলো —- বা —- । ৫) আমরা যখন কোনো বস্তু হাত দিয়ে উপরে তুলে ধরি তখন তার —- অনুভব করা যায়। ৬) আমরা —- বা —- ব্যবহার করে বস্তুর ওজন পরিমাপ করি। ৭) পৃথিবী সকল বস্তুকে তার —- দিকে টানছে। ৮) বায়ু একটি —- । ৯) আমরা যখন বায়ুপূর্ণ ফুটবলকে আঘাত করি, তখন বলের দিক থেকেও একটি —- চাপ অনুভব করি। ১০) —- প্রয়োগের ফলে বায়ু —- প্রদান করে। উত্তর : ১) পদার্থ ২) আয়তন ৩) ঘন সেন্টিমিটার ৪) মিলিমিটার বা লিটার ৫) ওজন ৬) দাঁড়িপাল্লা বা নিক্তি ৭) কেন্দ্রের ৮) পদার্থ ৯) বিপরীতমুখী ১০) চাপ, বাধা ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। পদার্থ আয়তন জায়গা দখল ওজন কঠিন পদার্থের আয়তন ওজন বস্তুর ওজন ঘন সেন্টিমিটার পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকের টান গ্রাম উত্তর : পদার্থ —- ওজন। জায়গা দখল —- আয়তন। কঠিন পদার্থের আয়তন —- ঘন সেন্টিমিটার। বস্তুর ওজন —- গ্রাম। পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকের টান —- ওজন। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. পদার্থ কাকে বলে? উত্তর : যার ওজন আছে এবং যা জায়গা দখল করে অর্থাৎ আয়তন আছে, তাই পদার্থ। ২. কঠিন পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক কী? উত্তর : কঠিন পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক ঘন সেন্টিমিটার বা ঘন মিটার। ৩. তরল পদার্থের আয়তন কোন একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়? উত্তর : তরল পদার্থের আয়তন মিলিলিটার বা লিটার একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ৪. আমরা কখন কোনো বস্তুর ওজন অনুভব করি? উত্তর : আমরা যখন কোনো বস্তুকে হাত দিয়ে উপরে তুলে ধরি তখন তার ওজন অনুভব করি। ৫. পৃথিবী পদার্থকে কোন দিকে টানতে থাকে? উত্তর : পৃথিবী পদার্থকে তার কেন্দ্রের দিকে টানতে থাকে। ৬. বস্তুর ওজন পরিমাপের একক কী? উত্তর : বস্তুর ওজন পরিমাপের একক হলো গ্রাম বা কিলোগ্রাম (কেজি)। ৭. আমরা কী দ্বারা বস্তুর ওজন পরিমাপ করতে পারি? উত্তর : আমরা দাঁড়িপাল্লা বা নিক্তি দ্বারা বস্তুর ওজন পরিমাপ করতে পারি। ৮. বায়ুপূর্ণ ফুটবলে আঘাত করলে কী ঘটে? উত্তর : বায়ুপূর্ণ ফুটবলে আঘাত করলে আমরা ফুটবলের দিক থেকেও একটি বিপরীতমুখী চাপ অনুভব করি। ৯. বায়ুপূর্ণ ফুটবলে চাপ দিলে তা চুপসে যায় না কেন? উত্তর : বায়ুপূর্ণ ফুটবলে চাপ দিলে ফুটবলের ভেতরে থাকা বায়ু বিপরীতমুখী চাপ প্রয়োগ করে বলে বলটি চুপসে যায় না। ১০. আমরা কীভাবে বায়ুর অস্তিত্ব অনুভব করি? উত্তর : বায়ু যখন প্রবাহিত হয় তখন আমরা তার অস্তিত্ব অনুভব করি। ১১. পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী? উত্তর : পদার্থের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পদার্থ জায়গা দখল করে

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ পদার্থ Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ স্বাস্থ্যবিধি

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ স্বাস্থ্যবিধি

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) —- দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ ছড়ায়। ২) কলেরা, আমাশয় এবং টাইফয়েড —- রোগ। ৩) —- আমাদেরকে সুস্থ থাকতে এবং জীবন সুন্দর করতে সাহায্য করে। ৪) ফুটিয়ে, ফিল্টার করে এবং —- ব্যবহার করে আমরা পানি বিশুদ্ধ করতে পারি। উত্তর : ১) মানুষ বা প্রাণীর মলমূত্র, ২) পানিবাহিত, ৩) স্বাস্থ্যবিধি, ৪) পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। ২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) আমাদের কখন অবশ্যই হাত ধুতে হবে? ক. খাওয়ার সময় √খ. খাওয়ার পূর্বে গ. টয়লেট ব্যবহারের পূর্বে ঘ. টয়লেট ব্যবহারের সময় ২) কোনটি পরিমিত ব্যায়ামের ফল? ক. মাংসপেশি শক্তিশালী করে খ. পুষ্টি সরবরাহ করে গ. রোগাক্রান্ত করে √ ঘ. ক্লান্তি দূর করে ৩) ডায়রিয়া হলে আমাদের কী গ্রহণ করা উচিত? ক. দুধ খ. শাকসবজি গ. মাছ √ ঘ. খাবার স্যালাইন ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) পানিবাহিত রোগের দুইটি কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : পানিবাহিত রোগের দুইটি কারণ হলো- ক. দূষিত পানি পান করা। খ. দূষিত পানি দ্বারা খাবার রান্না করা। ২) পানিবাহিত তিনটি রোগের নাম লিখ। উত্তর : পানিবাহিত তিনটি রোগ হলো – ক. ডায়রিয়া খ. কলেরা গ. আমাশয় ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) কীভাবে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়? উত্তর : পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পানিতে জীবাণুর বিস্তার রোধ করা। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এরূপ কিছু উপায় হলো – ক. নিরাপদ পানি ব্যবহার : পান করা, খাবার তৈরি করা এবং গোসল করার কাজে নিরাপদ ও পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। খ. হাত ধোয়া: খাবার খাওয়ার আগে বা খাবার তৈরির আগে, খেলাধুলার পর, টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান এবং নিরাপদ পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। গ. টয়লেট পরিষ্কার রাখা: স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহারের পর তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ২) শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে? উত্তর : শরীর সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা। এর জন্য প্রতিদিন কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে নিচের উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে- ক. সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অবশ্যই সুষম খাদ্য খেতে হবে পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে। খ. নিয়মিত শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের হৃৎপিণ্ড, মাংসপেশি ও হাড় শক্তিশালী করে। যা আমাদেরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। গ. পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘ. বিশ্রাম: ক্লান্তি দূর করা এবং নতুন উদ্যমে কাজ করার জন্য প্রতিদিনই কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়া উচিত। বিশ্রাম আমাদের ক্লান্তি দূর করে শরীর সুস্থ রাখে। ঙ. শরীরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: শরীর সুস্থ রাখতে হলে শরীরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। আর শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমাদের যতœবান হতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য সবগুলো উপায়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ৩) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়সমূহ বর্ণনা কর। উত্তর : পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য আমাদের যতœবান হতে হবে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিদিন পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে। খাওয়ার আগে এবং পরে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। খাওয়ার পর নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। নিয়মিত জামাকাপড় পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক, চুল, নখ, চোখ এবং কানের যতœ নিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সবগুলো অভ্যাসকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ৫. বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। খাবার স্যালাইন টয়লেট পরিষ্কার রাখা ক্লান্তি দূর করা ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ডায়রিয়া প্রতিকারে ভ‚মিকা পালন করে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে গান শোনা, বই পড়া উত্তর : খাবার স্যালাইন – ডায়রিয়া প্রতিকারে ভ‚মিকা পালন করে। টয়লেট পরিষ্কার রাখা – পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে। ক্লান্তি দূর করা – গান শোনা, বই পড়া। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা – শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) সুস্থ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো —- করা। ২) সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন —- খেতে হবে। ৩) শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত —- প্রয়োজন। ৪) মলমূত্রে রয়েছে —-। ৫) ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় —- রোগ। উত্তর: ১) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ২) সুষম খাদ্য ৩) ঘুম ৪) জীবাণু ৫) পানিবাহিত। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। সুস্থ জীবন যাপন ঘুম সুস্বাস্থ্য স্যালাইন শরীরের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া স্বাস্থ্যবিধি নিরাপদ পানি সুষম খাদ্য উত্তর : সুস্থ জীবন যাপন —- স্বাস্থ্যবিধি। সুস্বাস্থ্য —- সুষম খাদ্য। শরীরের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি —- ঘুম। ডায়রিয়া —- স্যালাইন। নিরাপদ পানি —- পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. সুস্থ থাকার তিনটি উপায় লেখ। উত্তর : সুস্থ থাকার তিনটি উপায় হলো – ১) সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। ২) পর্যাপ্ত ঘুমানো। ৩) নিয়মিত শরীরচর্চা করা। ২. নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা আমাদের কী উপকার করে? উত্তর : নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খেলাধুলা আমাদের হৃৎপিণ্ড, মাংসপেশি এবং হাড় শক্তিশালী করে। একই সাথে এগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে এবং রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। ৩. আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম কী কারণে প্রয়োজন? উত্তর : শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ৪. আমাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত কেন? উত্তর : ক্লান্তি দূর করতে এবং নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় আমাদের বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ৫. আমরা কীভাবে ক্লান্তি দূর করতে পারি? উত্তর : কোনো শখের কাজ যেমন – পছন্দের গান শোনা, বই পড়া, বাগান করা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা ক্লান্তি দূর করতে পারি। ৬. পানিবাহিত রোগ কাকে বলে? উত্তর : জীবাণু দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় তাদেরকে পানিবাহিত রোগ বলে। ৭. আমরা কীভাবে পানি নিরাপদ করতে পারি? উত্তর : ফুটিয়ে, ফিল্টার করে এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করে আমরা পানি নিরাপদ করতে পারি। ৮. পানি দূষণের দুটি কারণ লেখ। উত্তর : পানি দূষণের দুটি কারণ হলো – ১) কলকারখানার বর্জ্য-আবর্জনা পানিতে ফেলা। ২) গৃহস্থালির বর্জ্য-আবর্জনা পানিতে ফেলা। ৯. পানিবাহিত রোগের লক্ষণ কী? উত্তর : পানিবাহিত রোগের লক্ষণ হলো পাতলা পায়খানা, বমি, জ্বর ও পেটব্যথা। ১০. পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের দুটি উপায় কী? উত্তর : পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের দুটি উপায় হলো- ১) পান করা, খাবার তৈরি এবং গোসল করার জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা। ২) খাওয়ার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর হাত সাবান ও নিরাপদ পানি দিয়ে ধোয়া। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর ন্ধ সাধারণ ১. পানিবাহিত রোগ কীভাবে ছড়ায়? উত্তর : জীবাণু দ্বারা

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ স্বাস্থ্যবিধি Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ খাদ্য

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ খাদ্য

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ খাদ্য অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) আমরা পরিবেশের —- এবং প্রাণী থেকে খাদ্য পেয়ে থাকি। ২) মাছ, মাংস এবং ডিম থেকে পাওয়া আমিষকে —- বলে। ৩) সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন —- খেতে হবে। ৪) —- এর অভাব হলে রাতকানা হয়। উত্তর : ১) বিভিন্ন উদ্ভিদ, ২) প্রাণিজ আমিষ, ৩) সুষম খাদ্য, ৪) ভিটামিন ‘এ’। ২. সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) কোনটি প্রাণী থেকে আসা খাদ্য? ক. পাউরুটি √খ. পনির গ. বিস্কুট ঘ. বাদাম ২) কোন পুষ্টি উপাদান দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধি সাধন করে? ক. শর্করা খ. ভিটামিন গ. চর্বি √ঘ. আমিষ ৩) কোন খাদ্য দলের প্রধান উপাদান শর্করা ? ক. দুধ √খ. খাদ্যশস্য ও আলু গ. শাকসবজি ঘ. মাংস ও ডাল ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) ভিটামিন “সি” এর উৎস কী? উত্তর : ভিটামিন “সি” এর উৎস হলো বিভিন্ন ফল যেমন- পেয়ারা, আমলকি, কমলা, লেবু এবং শাকসবজি যেমন- টমেটো, বাঁধাকপি, ব্রোকলি ইত্যাদি। ২) ভিটামিন “এ” এর কাজ কী? উত্তর : ভিটামিন “এ” এর কাজ হলো স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখা। এছাড়াও ভিটামিন “এ” সুস্থ ত্বক ও দাঁত গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ৩) ভিটামিনের অভাবে হতে পারে এমন তিনটি রোগের নাম লেখ। উত্তর : ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। তিনটি উল্লেখযোগ্য রোগ হলো – ক. রাতকানা ( ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে হয়)। খ. স্কার্ভি ( ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে হয়)। গ. রিকেটস ( ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে হয়)। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) সুষম খাদ্য কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা কর। উত্তর : শরীরের সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্য প্রয়োজন। সকল প্রকার খাদ্য ছয়টি দলের অন্তর্ভুক্ত। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন সকল দল থেকে দেহের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের পরিমাণমতো খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। প্রতিটি খাদ্য দল থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে আমরা সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকি। আর সুষম খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণমতো থাকে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ স্বাভাবিক থাকে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। ২) পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পাওয়ার সহজ উপায় বর্ণনা কর। উত্তর : প্রতিদিন সুষম খাদ্য গ্রহণ করে আমরা পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান সহজে পেতে পারি। সুষম খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান- শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পেতে হলে সুষম খাদ্য দিয়ে একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। পুষ্টি উপাদান শর্করা পাওয়ার জন্য খাদ্য তালিকায় খাদ্যশস্য ও আলু রাখতে হবে। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পেতে শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। আমিষের জন্য মাছ, মাংস ও ডাল এবং ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য রাখতে হবে। তাছাড়া স্নেহ নামক পুষ্টি উপদান পাওয়ার জন্য খাদ্য তালিকায় তেল ও চর্বিজাতীয় খাদ্য রাখতে হবে। এভাবে একটি আদর্শ খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রেখে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান সহজে পেতে পারি। ৫. ডান পাশের শব্দের সাথে বাম পাশের শব্দের মিল করি। খাদ্যশস্য আম শাকসবজি দই ফল সয়াবিন তেল দুগ্ধজাত খাদ্য ফুলকপি তেল ও চর্বি চাল উত্তর : আম —- ফল। দই —- দুগ্ধজাত খাদ্য। সয়াবিন তেল —- তেল ও চর্বি। ফুলকপি —- শাকসবজি। চাল —- খাদ্যশস্য। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর । ১. মাছ, মাংস, ডিম —- খাদ্যদ্রব্য। ২. পুষ্টি উপাদান —- ধরনের। ৩. ভিটামিন —- প্রকার। ৪. —- আমাদের দেহ কর্মক্ষম রাখতে পারে। ৫. ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে —- রোগ হয়। ৬. মটরশুঁটি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি —- আমিষ। ৭. বেরিবেরি রোগ হয় ভিটামিন —- এর অভাবে। ৮. সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন —- গ্রহণ করে হবে। ৯. খাদ্য দল —- প্রকার। ১০. মাখন হতে —- নামক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। উত্তর : ১. প্রাণিজ, ২. পাঁচ, ৩. ছয়, ৪. ভিটামিন, ৫. রাতকানা, ৬. উদ্ভিজ্জ, ৭. ‘বি’ কমপ্লেক্স, ৮. সুষম খাদ্য, ৯. ছয়, ১০. চর্বি। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশের মিল কর । ভিটামিন ‘এ’ রিকেটস ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স দুর্বল পেশি ভিটামিন ‘সি’ রাতকানা ভিটামিন ‘ডি’ বেরিবেরি ভিটামিন ‘ই’ স্কার্ভি উত্তর : ভিটামিন ‘এ’ —- রাতকানা। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স —- বেরিবেরি। ভিটামিন ‘সি’ —- স্কার্ভি। ভিটামিন ‘ডি’ —- রিকেটস। ভিটামিন ‘ই’ —- দুর্বল পেশি। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. দুটি উদ্ভিজ্জ খাদ্যদ্রব্যের নাম লেখ। উত্তর : দুটি উদ্ভিজ্জ খাদ্যদ্রব্য হলো- ফল ও ডাল। ২. তিনটি প্রাণিজ খাদ্যদ্রব্যের নাম লেখ। উত্তর : তিনটি প্রাণিজ খাদ্যদ্রব্য হলো- মাছ, মাংস, ও ডিম। ৩. ভিটামিনের কাজ কী? উত্তর : ভিটামিন আমাদের দেহ কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দেহের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ ও হাড়সহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ সম্পাদনে সহায়তা করে। ৪. ভিটামিন ‘এ’ এর উৎস কী? উত্তর : ভিটামিন ‘এ’ এর উৎস হলো- গাজর, পালংশাক, মিষ্টি কুমড়া. ছোট মাছ, দুধ, ডিমের কুসুম ইত্যদি। ৫. ভিটামিন ‘সি’ এর কাজ কী? উত্তর : ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দেহের বৃদ্ধি সাধন করে এবং দেহকে কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। ৬. ভিটামিন ‘কে’ এর কাজ কী? উত্তর : ভিটামিন ‘কে’ কেটে যাওয়া স্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ৭. আমিষের কাজ কী? উত্তর : আমিষ দেহের গঠন, ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধিসাধন করে। ৮. সুষম খাদ্য কী? উত্তর : যে খাদ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষ, শর্করা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও স্নেহ এই কয়টি পুষ্টি উপাদানের সবগুলোই পরিমাণমতো থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলে। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর  সাধারণ ১. খাদ্যের ভিটামিন আমাদের কী কাজে লাগে? উত্তর : আমাদের দেহ কর্মক্ষম রাখতে ভিটামিন নামক খাদ্য উপাদান অতীব প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী হতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ভিটামিন ‘কে’ এই ছয় প্রকার ভিটামিন পাওয়া যায়। নিম্নে এদের কাজ দেওয়া হলো- ১) ভিটামিন ‘এ’ স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে। ২) ভিটামিন ‘বি’ দেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। ৩) ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৪) ভিটামিন ‘ডি’ হাড়ের বৃদ্ধি ও গঠনে সহায়তা করে। ৫) ভিটামিন ‘ই’ রক্ত কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। ৬) ভিটামিন ‘কে’ কেটে যাওয়া স্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ২. আমিষ জাতীয় খাদ্য কী? আমিষ জাতীয় খাদ্য কত প্রকার ও কী কী বর্ণনা কর। উত্তর : যে ধরনের খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণ করে তাকে আমিষ জাতীয় খাদ্য বলে। আমিষ জাতীয় খাদ্য দুই প্রকার। যথাÑ ১) উদ্ভিজ্জ আমিষ এবং ২) প্রাণিজ আমিষ। ১) যেসব আমিষ উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায় তাদের উদ্ভিজ্জ আমিষ

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ খাদ্য Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ মাটি

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ মাটি

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ মাটি অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) —- হচ্ছে পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ। ২) মাটিতে ক্ষতিকর পদার্থ ফেললে মাটি —- হয়। ৩) কম্পোস্ট একটি —- সার। উত্তর : ১) মাটি, ২) দূষিত, ৩) জৈব। ২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও। ১) মাটি দূষণের কারণ কী? √ক) যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা খ) আবর্জনা কুড়ানো গ) কম্পোস্ট ব্যবহার করা ঘ) রিসাইকেল করা ২) কীভাবে মাটির উর্বরতা বজায় রাখা যায়? ক) জমিতে একই ফসল চাষ √খ) ফসল আবর্তন গ) জমিতে পানি দেওয়া ঘ) কীটনাশক ছিটানো ৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : ১) আমাদের জীবনে মাটির পাঁচটি ব্যবহার লেখ। উত্তর : আমরা বিভিন্ন কাজে মাটি ব্যবহার করি। এরূপ পাঁচটি ব্যবহার হলো- ক. বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য আমরা মাটি ব্যবহার করে থাকি। খ. মাটিতে ফসল ও সবজি উৎপাদন করি। গ. বসবাসের জন্য আমরা মাটির উপরে ঘরবাড়ি ও দালানকোঠা নির্মাণ করি। ঘ. রান্নার হাঁড়ি-পাতিল, ফুলদানি, পাত্র ইত্যাদি তৈরিতে মাটি ব্যবহার করি। ঙ. ইট বা কনক্রিটের মতো নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে মাটি ব্যবহৃত হয়। ২) উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য কী কী প্রয়োজন? উত্তর : উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য বায়ু, পানি, সূর্যের আলো, পুষ্টি উপাদান ইত্যাদি প্রয়োজন। ৩) মাটির উর্বরতা বজায় রাখার উপায় কী কী? উত্তর : মাটির উর্বরতা বজায় রাখার উপায় হলো মাটিতে সার প্রয়োগ ও ফসল আবর্তন করা। ৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন : ১) কীভাবে আমরা মাটি দূষণ রোধ করতে পারি বর্ণনা কর। উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে কিছু কিছু ভালো অভ্যাস গঠনের মাধ্যমে আমরা মাটি দূষণ রোধ করতে পারি। আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মাটি দূষিত হয়। তবে আমরা নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে মাটি দূষণ রোধ করতে পারি- ক. নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা। খ. জিনিসপত্রের ব্যবহার কমানো, পুনঃব্যবহার এবং রিসাইকেল করা। গ. জমিতে জৈব সার যেমন- কম্পোস্ট ব্যবহার করা। ২) জীবের জন্য মাটি গুরুত্বপূর্ণ কেন ব্যাখ্যা কর। উত্তর : জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো মাটি। পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণই হলো মাটি। এই মাটি হচ্ছে জীব তথা উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল। উদ্ভিদ মাটিতে জন্মায় এবং মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। প্রাণী এই উদ্ভিদ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য মাটিতে ফসল ও সবজি উৎপাদন করে। বসবাসের জন্য মানুষ মাটির উপরে ঘরবাড়ি ও দালানকোঠা নির্মাণ করে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মৃৎশিল্প তৈরিতে মাটি ব্যবহৃত হয়। ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থান হিসাবেও মাটি ব্যবহৃত হয়। আর এসব কারণেই জীবের জন্য মাটি গুরুত্বপূর্ণ। ৩) মাটি কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়? উত্তর : মাটির ক্ষয় রোধ করে মাটি সংরক্ষণ করা যায়। মাটি সংরক্ষণ বলতে বোঝায় মাটির ক্ষয় রোধ করা বা মাটির উর্বরতা বজায় রাখা। বায়ুপ্রবাহ বা অতি বৃষ্টিতে মাটির উপরের স্তর সরে গিয়ে মাটি ক্ষয় হয়। এর ফলে জমি উর্বরতা হারায় এবং মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। উদ্ভিদ শিকড়ের সাহায্যে মাটি আটকে রেখে মাটির ক্ষয় রোধ করে। তাই বৃক্ষরোপণ করে এবং জমিতে ঘাস লাগিয়ে মাটির ক্ষয় রোধের মাধ্যমে মাটি সংরক্ষণ করা যায়। ৫. বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। মাটি দূষণের কারণ ফসল আবর্তন মাটি দূষণ রোধ প্রকৃতির ধ্বংস সাধন মাটির উর্বরতা যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা মাটি দূষণের ফলাফল নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলা উত্তর : মাটি দূষণের কারণ —- যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা। মাটি দূষণ রোধ —- নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলা। মাটির উর্বরতা —- ফসল আবর্তন। মাটি দূষণের ফলাফল —- প্রকৃতির ধ্বংস সাধন। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর। ১) উদ্ভিদ —- জন্মায়। ২) উদ্ভিদ —- থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি পায়। ৩) বিভিন্ন ধরনের —- তৈরিতে মাটি ব্যবহৃত হয়। ৪) মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফলে প্রচুর পরিমাণে —- উৎপন্ন হয়। ৫) উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং সতেজতার জন্য —- উপাদান প্রয়োজন। ৬) সার —- প্রকার। ৭) ইউরিয়া ও টিএসপি —- সার। ৮) —- আবর্তন করে মাটির উর্বরতা বজায় রাখা যায়। ৯) —- জাতীয় উদ্ভিদ চাষের ফলে মাটি তার হারানো পুষ্টি উপাদান ফিরে পায়। ১০) জমিতে —- লাগিয়ে মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়। উত্তর : ১) মাটিতে, ২) মাটি, ৩) মৃৎশিল্প, ৪) বর্জ্য, ৫) পুষ্টি, ৬) দুই, ৭) অজৈব, ৮) ফসল, ৯) শিম, ১০) ঘাস। ⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর। প্রাণীর আবাসস্থল ভাগাড় ময়লা ফেলার স্থান মৃৎশিল্প মাটির পাত্র জৈব সার গোবর ফসল আবর্তন মাটির উর্বরতা বজায় মাটি উত্তর : প্রাণীর আবাসস্থল —- মাটি। ময়লা ফেলার স্থান —- ভাগাড়। মাটির পাত্র —- মৃৎশিল্প। গোবর —- জৈব সার। মাটির উর্বরতা বজায় —- ফসল আবর্তন। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ১. মাটি কী? উত্তর : পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণই হলো মাটি। ২. উদ্ভিদ প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি পায় কোথা থেকে? উত্তর : উদ্ভিদ মাটি হতে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি পায়। ৩. মৃৎশিল্প কী? উত্তর : মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্মকে মৃৎশিল্প বলে। ৪. ভাগাড় কী? উত্তর : ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানকে ভাগাড় বলে। ৫. মাটির উর্বরতা কাকে বলে? উত্তর : মাটিতে ফসল উৎপাদনের ক্ষমতাকে মাটির উর্বরতা বলে। ৬. সার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক মাটিতে যে দ্রব্য প্রয়োগ করে তাকে সার বলে। উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো সারে পাওয়া যায়। ৭. সার কত প্রকার ও কী কী? উত্তর : সার দুই প্রকার- ১) জৈব সার ও ২) অজৈব সার। ৮. দুটি জৈব সারের নাম লেখ। উত্তর : দুটি জৈব সার হলো- ১) গোবর সার ও ২) কম্পোস্ট সার ৯. দুটি অজৈব সারের নাম লেখ। উত্তর : দুটি অজৈব সার হলো- ১) ইউরিয়া ও ২) টিএসপি। ১০. ফসল আবর্তন বলতে কী বোঝায়? উত্তর : একই জমিতে একই ফসল বছরের পর বছর চাষ না করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ফসল চাষ করাকে ফসল আবর্তন করে। ১১. মাটি সংরক্ষণ বলতে কী বোঝায়? উত্তর : মাটি সংরক্ষণ বলতে মাটির ক্ষয় রোধ করা বা মাটির উর্বরতা বজায় রাখাকে বোঝায়। ১২. মাটির ক্ষয় রোধে আমরা কী করতে পারি? উত্তর : মাটির ক্ষয় রোধে আমরা বৃক্ষরোপণ করতে পারি এবং জমিতে ঘাস লাগাতে পারি। চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর ন্ধ সাধারণ ১. মাটির বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা কর। উত্তর : মাটির ব্যবহার বহুবিধ। আমরা বিভিন্ন কাজে মাটি ব্যবহার করি। যথা- ১) বিভিন্ন ধরনের ফসল, শাকসবজি, গাছ ইত্যাদি জন্মানোর জন্য আমরা মাটি ব্যবহার করি। ২) উদ্ভিদ মাটি থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। ৩) বসবাসের জন্য আমরা মাটির উপরে ঘরবাড়ি ও দালানকোঠা নির্মাণ করি। তাছাড়া ইট বা কংক্রিটের মতো নির্মাণসামগ্রী তৈরিতে মাটি ব্যবহৃত হয়। ৪) রান্নার হাঁড়ি-পাতিল, ফুলদানি, পাত্র ইত্যাদি তৈরিতে মাটি ব্যবহৃত

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ মাটি Read More »

Scroll to Top