তৃতীয় শ্রেণির বাংলা

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে এর অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আসার মত কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দেখে নেবো। প্রিয় শিক্ষার্থীরা চলো তাহলে শুরু করা যাক। ৩য় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর রচনাটির মূলভাব জেনে নিই স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও কাজের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে রচনাটিতে। দিনটি উদ্যাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষটি সাজিয়ে তোলে। ছবি আঁকার শিক্ষক দুজন ছাত্রছাত্রীকে মূল দায়িত্বে রাখেন। তাদের নেতৃত্বে ছেলেমেয়েরা দুটি দলে ভাগ হয়ে যায়। কাগজের ফুল, পাতা, শিকল ইত্যাদির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের চারপাশের দেয়াল সাজানো হয়। আর দেয়ালের মাঝখানে তৈরি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের একটি দৃশ্য। সবার প্রচেষ্টায় শ্রেণিকক্ষটি খুব সুন্দরভাবে সেজে ওঠে।  বানানগুলো লক্ষ করি বৃহস্পতিবার, শ্রেণিকক্ষ, পরামর্শ, আর্টবোর্ড, প্রতীক্ষা, যতœ, স্বাধীনতা, দৃশ্য, কারুকাজ, শিকল, পুরস্কার। স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। স্বাধীনতা পিরিয়ড অপেক্ষা আর্টবোর্ড রাংতা কারুকাজ সাঁটা রাইফেল যুদ্ধ মগডাল পুরস্কার উত্তর : স্বাধীনতা  বাধাহীনতা, মুক্তি। পিরিয়ড  বেঁধে দেওয়া সময়। অপেক্ষা  প্রতীক্ষা। সবুর। আর্টবোর্ড  ছবি আঁকার শক্ত কাগজ। রাংতা  ধাতুর খুব পাতলা পাত। কারুকাজ  সুন্দর কাজ। শিল্প। সাঁটা  লাগানো। যুক্ত করা। রাইফেল  বন্দুক। এক ধরনের হাতিয়ার। যুদ্ধ  লড়াই। মগডাল  গাছের সবচেয়ে উঁচু ডাল। পুরস্কার  বখশিশ। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। যুদ্ধ কারুকাজ স্বাধীনতা আর্টবোর্ডে অপেক্ষা পুরস্কার উত্তর : ক) গরমের ছুটির অপেক্ষা করছি। খ) ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। গ) ছবি এঁকে শাকিল পুরস্কার পেয়েছে। ঘ) আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছি। ঙ) শাড়িতে মা সুতার কারুকাজ করেছেন। চ) রাকিব আর্টবোর্ডে প্রজাপতি এঁকেছে। ৩. বাম পাশের দুটি শব্দ জোড়া দিয়ে একটি শব্দ তৈরি করি। উত্তর : ছাত্র ছাত্রী ছাত্রছাত্রী আপা মণি আপামণি দল নেতা দলনেতা আর্ট বোর্ড আর্টবোর্ড ফুল পাতা ফুলপাতা ৪. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট, স্পর্শ আর্টবোর্ড (ট-রেফ) শার্ট, চার্ট পুরস্কার তিরস্কার, ভাস্কর পরামর্শ (শ-রেফ) বর্শা, দর্শক ৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) সবাই বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় থাকে কেন? ১. কোনো ক্লাস থাকে না ২. তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায় ৩. শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয় ৪. বিদ্যালয় বন্ধ থাকে খ) আমাদের স্বাধীনতা দিবস কবে? ১. ২১শে ফেব্রæয়ারি ২. ২৫শে মার্চ ৩. ২৬শে মার্চ ৪. ১৬ই ডিসেম্বর গ) ছাত্রছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধের ছবিটি তৈরি করল কেন? ১. স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল ২. নিজেরা মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চেয়েছিল ৩. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে ৪. সবাই মিলে আনন্দ করবে উত্তর : ক) ৩. শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয় বলে; খ) ৩. ২৬শে মার্চ; গ) ৩. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বলে। ৬. বাম দিকের বাক্য খেয়াল করি। বাক্য দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে ডান দিকের শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝি ও বলি। উত্তর : ক) তোমাদের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখা উচিত। আদেশ উপদেশ খ) রুনু ও আনিস, এদিকে এসো। আদেশ অনুরোধ গ) আমাকে একটু তুলে ধরো না ভাই। অনুরোধ আদেশ ঘ) কোথায় লাগাব পতাকাটা? প্রশ্ন অনুরোধ ঙ) খুব সুন্দর কাজ হয়েছে তোমাদের। উপদেশ প্রশংসা ৭. বাক্যগুলো পড়ি। বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ জেনে নিই। এটা কাগজ। এটা রঙিন কাগজ। ওটা শিকল। ওটা লম্বা শিকল। আর্টবোর্ড আনো। সাদা আর্টবোর্ড আনো। গাছের নিচে ঝোপ। গাছের নিচে সবুজ ঝোপ। এসব বাক্যে রঙিন, লম্বা, সাদা, সবুজ হচ্ছে বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ। এবার ঘরের ভিতরের বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। সবুজ চমৎকার হলুদ নীল সাদা উত্তর : রুনু সাদা কাগজে একটা চমৎকার দৃশ্য আঁকল। সে তাতে সবুজ গাছ, হলুদ গাঁদা ফুল, নীল আকাশ আঁকল। ৮. শ্রেণিকক্ষ সাজানোর বিষয়টি নিজের ভাষায় বলি। উত্তর : বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রেণিকক্ষ সাজানোর জন্য শ্রেণিশিক্ষক আমাকে আর রানীকে দলনেতা নির্বাচন করলেন। আমরা দুটি দলে ভাগ হয়ে কে কী কাজ করব সে সম্পর্কে আলোচনা করে নিলাম। শিক্ষকের কাছ থেকে রঙিন কাগজ, আর্টবোর্ড, রাংতা, কাঁচি, আঠা, রং পেনসিলসহ সাজানোর নানা উপকরণ সংগ্রহ করলাম। রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল, পাখি, পাতা, জাতীয় পতাকা ইত্যাদি নানা রকম নকশা তৈরি করলাম আমরা। সেগুলোকে রং করলাম এরপর রাংতার ফিতে দিয়ে সেগুলোতে কারুকাজ করে আঠা দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে দিলাম। আর্টবোর্ড ও রঙিন কাগজ ব্যবহার করে দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের একটি চিত্র ফুটিয়ে তুললাম আমরা। এভাবে সবাই মিলে শ্রেণিকক্ষটিকে সুন্দর করে সাজালাম। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. কোন দিন শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয়? ক সোমবার খ মঙ্গলবার গ বুধবার ঘ বৃহস্পতিবার ২. রূপা আপা পরামর্শের জন্য রুনু ও আনিসকে কতক্ষণ সময় দিলেন? ক দুই মিনিট খ পাঁচ মিনিট গ আট মিনিট ঘ দশ মিনিট ৩. রূপা আপা ছাত্রছাত্রীদের কী শেখান? ক নাচ খ আবৃত্তি গ ছবি আঁকা ঘ গান ৪. ছাত্রছাত্রীরা কিসের উপর মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যটি লাগাল? ক বø্যাকবোর্ডের উপর খ কাগজের উপর গ আর্টবোর্ডের উপর ঘ টেবিলের উপর ৫. ছাত্রছাত্রীদের কবে পুরস্কার দেওয়া হবে? ক বৃহস্পতিবার খ শুক্রবার গ শনিবার ঘ রবিবার  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। অপেক্ষা, পরামর্শ, দৃশ্য। উত্তর : শব্দ বাক্য অপেক্ষা  গরমকালে সবাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে। পরামর্শ  ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া অনুচিত। দৃশ্য  সিনেমাটির শেষ দৃশ্য চলছে।  নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। দৃ, স্প, জ্ঞ, ন্য, স্ব। উত্তর : দৃ = দ + ঋ – কার ( ৃ )  দৃপ্ত  ছাত্ররা দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে গেল। স্প = স + প  পরস্পর  আমরা পরস্পরকে ভালোবাসব। জ্ঞ = জ + ঞ  অজ্ঞান  লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেল। ন্য = ন+য-ফলা ( ্য )  অন্য  বাবা ছাড়া ঘরে অন্য কেউ নেই। স্ব = স + ব – ফলা ( ^ )  স্বাদ  সামুদ্রিক মাছ নোনতা স্বাদের।  শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) হাসি আনন্দে ভরে থাকে পুরো । খ) সবাই আমরা বৃহস্পতিবারের  থাকি। গ) রূপা আপামণির হাতে একটি । ঘ)  ফিতা দিয়ে কারুকাজ করল। ঙ) প্রথমে সাদা আর্টবোর্ড  দিয়ে দেয়ালে লাগাল। চ) পুরো দৃশ্যটায় যেন  লেগে গেছে। ছ) চারদিকটা তখন  করে উঠল। উত্তর : ক) সময়টা; খ) অপেক্ষায়; গ) ডালা; ঘ) রাংতার; ঙ) আঠা; চ) যুদ্ধ; ছ) ঝলমল।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। অন্য রকম কাজ হয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে। শ্রেণিকক্ষ সাজাতে হবে রবিবার। কারুকাজ করতে লাগে হাততালি দিল।

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সকলকে স্বাগতম । এখানে আপনারা অনুশীলনের প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর পেয়ে যাবেন। তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই তরুণদের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। তারাই দেশের মূল প্রাণশক্তি। তারুণ্যের শক্তিতে তারা সব অন্ধকারের বাধা ডিঙিয়ে আলোকিত দিন আনবে। তাদের স্পর্শে সবকিছু সজীব হয়ে উঠবে। চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। ঊর্ধ্ব গগন মাদল নিম্নে উতলা ধরণী অরুণ প্রাতে উষা প্রভাত টুটাব তিমির বিন্ধ্যাচল নবীন সজীব শ্মশান উত্তর : ঊর্ধ্ব  উপরের দিক। গগন  আকাশ। মাদল  ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র। নিম্নে  নিচে। উতলা  ব্যাকুল। অস্থির। ধরণী  পৃথিবী। অরুণ  সকালের সূর্য। প্রাতে  সকালে। উষা  ভোরবেলা। প্রভাত  সকাল। টুটাব  ভাঙব। দূর করব। তিমির  অন্ধকার। বিন্ধ্যাচল  বিন্ধ্যা পর্বত। নবীন  নতুন। সজীব  সতেজ। জীবন্ত। শ্মশান  মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। নবীনদের ধরণী প্রভাতে উতলা বিন্ধ্যাচল মাদল সজীব উত্তর : ক) তিনি প্রভাতে বই পড়েন। খ) সাঁওতালরা নাচের সময় মাদল বাজায়। গ) আমরা নবীনদের বরণ করি। ঘ) তরুণটি সব সময় সজীব । ঙ) ধরণী খুবই সুন্দর। চ) মা সন্তানের জন্য উতলা হয়েছেন। ছ) বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। ঊর্ধ্ব (ব-রেফ) নিম্নে বিন্ধ্যাচল (য-ফলা) অন্ধ, বন্ধ মহাশ্মশান ( ¥-ফলা) রশ্মি ৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) মাদল বাজে কোথায়? ১. ঊর্ধ্ব গগনে ২. ধরণীতলে ৩. উষার দুয়ারে ৪. মহাশ্মশানে খ) অরুণ প্রাতের দলে কারা আছে? ১. শিশুরা ২. কিশোরেরা ৩. তরুণেরা ৪. প্রবীণেরা উত্তর : ক) ১. ঊর্ধ্ব গগনে; খ) ৩. তরুণেরা। ৫. কথাগুলো বুঝে নিই এবং লিখি। ক) আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল। তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা সব সময় অন্ধকার দূর করতে চায়। তারা এজন্য সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে। খ) নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান মহাশ্মশানে প্রাণের আনন্দ নেই। কিন্তু তরুণেরা নতুনের গান গেয়ে মহাশ্মশানকেও সজীব করে তুলবে। ৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) সারি বেঁধে কারা চলেছে? উত্তর : তরুণেরা সারি বেঁধে চলেছে। খ) কারা তিমির দূর করবে? উত্তর : তরুণেরা তিমির দূর করবে। গ) বিন্ধ্যাচল কী? উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। ৭. আগের চরণটি বলি ও লিখি। ক)  নিম্নে উতলা ধরণীতল খ)  আমরা আনিব রাঙা প্রভাত গ)  সজীব করিব মহাশ্মশান উত্তর : ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণীতল খ) উষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত গ) নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান ৮. একই অর্থের শব্দ জেনে নিই। গগন – আকাশ, আসমান, নভ। ধরণী – পৃথিবী, অবনী, জগৎ। ৯. তালে তালে পা ফেলে আমরা কবিতাটি আবৃত্তি করি। উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর। ১০. কবিতাটি লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে খাতায় লেখ। ১১. সবাই মিলে কবিতাটি সুর করে গাই। উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। গগন, তরুণ, সজীব। উত্তর : শব্দ বাক্য গগন  রাতের বেলা গগনে চাঁদ দেখা যায়। তরুণ  তরুণেরা দেশের সম্পদ। সজীব  বর্ষাকালে গাছপালা সজীব হয়ে ওঠে।  শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে । খ) আমরা আনিব  প্রভাত। গ) আমরা টুটাব  রাত। ঘ)  করিব মহাশ্মশান। উত্তর : ক) মাদল; খ) রাঙা; গ) তিমির; ঘ) সজীব।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। আমরা দানিব বাধার বিন্ধ্যাচল। অরুণ প্রাতের রাঙা প্রভাত। আমরা আনিব নতুন প্রাণ। তরুণ দল। উত্তর : আমরা দানিব  নতুন প্রাণ। অরুণ প্রাতের  তরুণ দল। আমরা আনিব  রাঙা প্রভাত।  নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ঊর্ধ্ব, নবীন, সজীব, নতুন। উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ ঊর্ধ্ব  নিম্ন নবীন  প্রবীণ সজীব  নির্জীব নতুন  পুরাতন  নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ। ঊধ্ব, ধরনী, ঊশা, বিন্দ্যাচল, মহাশ্নশান। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান ঊধ্ব  ঊর্ধ্ব ধরনী  ধরণী ঊসা  উষা বিন্দ্যাচল  বিন্ধ্যাচল মহাশ্নশান  মহাশ্মশান  নিচের কোনটি কোন পদ লেখ। গগন, টুটাব, রাঙা, গান, সজীব। উত্তর : শব্দ পদ গগন  বিশেষ্য টুটাব  ক্রিয়া রাঙা  বিশেষণ গান  বিশেষ্য সজীব  বিশেষণ  নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) তরুণেরা কোথায় আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে? উত্তর : তরুণেরা উষার দুয়ারে আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে। খ) কাদের বাহুতে নবীন বল? উত্তর : তরুণদের বাহুতে নবীন বল। প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। উষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত আমরা টুটাব তিমির রাত, বাধার বিন্ধ্যাচল। নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান আমরা দানিব নতুন প্রাণ বাহুতে নবীন বল। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) কবিতাংশে বলা হয়েছে  (ক) তারুণ্যের শক্তির কথা (খ) পাহাড় পেরিয়ে যাওয়ার কথা (গ) দিন ও রাতের সৌন্দর্যের কথা (ঘ) বসন্তের সজীবতার কথা ২) ‘মহাশ্মশান’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত? (ক) ‘শ’ ও ‘ন’ (খ) ‘শ’ ও ‘ণ’ (গ) ‘শ’ ও ‘ম’ (ঘ) ‘শ’ ও ‘থ’ ৩) উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তরুণেরা কী আনবে? (ক) নবীন বল (খ) রাঙা প্রভাত (গ) নতুন প্রাণ (ঘ) তিমির রাত ৪) কারা তিমির দূর করবে? (ক) তরুণেরা (খ) বৃদ্ধরা (গ) শিশুরা (ঘ) কিশোরেরা ৫) তরুণদের বাহুতে কী? (ক) উতলা ধরণী (খ) আঘাতের চিহ্ন (গ) নতুন প্রাণ (ঘ) নবীন বল উত্তর : ১) (ক) তারুণ্যের শক্তির কথা; ২) (গ) ‘শ’ ও ‘ম’; ৩) (খ) রাঙা প্রভাত; ৪) (ক) তরুণেরা; ৫) (ঘ) নবীন বল। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। উষা, প্রভাত, নবীন, শ্মশান, তিমির। উত্তর : শব্দ অর্থ উষা  ভোরবেলা। প্রভাত  সকাল। নবীন  নতুন। শ্মশান  মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান। তিমির  অন্ধকার। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) বিন্ধ্যাচল কী? উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। খ) তরুণরা কীভাবে মহাশ্মশান সজীব করবে? উত্তর : তরুণেরা নব নবীনের গান গেয়ে মহাশ্মশান সজীব করবে। গ) তরুণেরা কী কী টুটাবে? উত্তর : তরুণেরা তিমির রাত ও বাধার বিন্ধ্যাচল টুটাবে। ৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ। উত্তর : তরুণেরা উষার দুয়ারে আঘাত করে নতুন দিন আনবে। সকল অন্ধকার ও বাধা দূর করে তারা সামনে এগিয়ে যাবে। তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা নতুনের গানে গানে মহাশ্মশানেও সজীবতা এনে দেবে। পাঠ্য বই

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর। এখানে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর বাদেও অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সিলেবাস অনুযায়ী আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলো। ৩য় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর রচনাটির মূলভাব জেনে নিই রচনাটিতে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন এবং এ আন্দোলনে শহিদদের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতা তার প্রতিবাদ জানায়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি পুলিশ ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালায়। রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে শহিদ হন। ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলায় কথা বলার অধিকার। আমরা তাঁদের চিরকাল মনে রাখব। ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। থমথমে মিছিল টগবগে বেপরোয়া হাসপাতাল ব্যবসায় অসুস্থ মাতৃভাষা আত্মত্যাগ অমর উত্তর : থমথমে  বিপদের ভয়ে নীরব অবস্থা। মিছিল  শোভাযাত্রা। টগবগে  গরম হয়ে ওঠা, রাগে উত্তেজিত হয়ে ওঠা। বেপরোয়া  ভয়হীন। কোনো বাধা-নিষেধ মানে না এমন। হাসপাতাল  চিকিৎসালয়। ব্যবসায়  কারবার। বাণিজ্য। অসুস্থ  সুস্থ নয়। রুগ্ণ। পীড়িত। মাতৃভাষা  মায়ের মুখ থেকে শিশু যে ভাষা শেখে। আত্মত্যাগ  নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা। অমর  যার মৃত্যু নেই। চিরদিনের জন্য স্মরণীয়। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। মিছিলে টগবগে হাসপাতালে মাতৃভাষা অমর বেপরোয়া উত্তর : ক) তরুণদের মধ্যে সব সময় টগবগে ভাব। খ) একুশে ফেব্রæয়ারির মিছিলে খালি পায়ে যেতে হয়। গ) অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঘ) বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । ঙ) সবকিছুতে তার বেপরোয়া ভাব। চ) দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দেন তাঁরা অমর । ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। ফাল্গুন -ল+গ- বল্গা অসুস্থ  -স+থ-মুখস্থ, দুস্থ সম্মান -ম+ম- আম্মা রাষ্ট্রভাষা -ষ+ট+(র-ফলা) উষ্ট্র, লোষ্ট্র ৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন Ñ ১. রফিক ২. সালাম ৩. বরকত ৪. জব্বার খ) রফিকের বাবা কী করতেন? ১. ব্যবসায় ২. কৃষিকাজ ৩. চাকরি ৪. শিক্ষকতা গ) আবদুস সালামের বাড়ি কোন জেলায়? ১. মানিকগঞ্জ ২. ঢাকা ৩. ময়মনসিংহ ৪. ফেনী উত্তর : ক) ৩. বরকত; খ) ১. ব্যবসায়; গ) ৪. ফেনী। ৫. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) কিছু কিছু গাছে নতুন  গজিয়েছে। মাতৃভাষাকে খ) পুলিশ  করতে নিষেধ করেছে। পাতা গ) টগবগে তরুণরা । বেপরোয়া ঘ) এই ভাষাশহিদেরা  ভালোবাসতেন। মিছিল উত্তর : ক) কিছু কিছু গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। খ) পুলিশ মিছিল করতে নিষেধ করেছে। গ) টগবগে তরুণরা বেপরোয়া। ঘ) এই ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন। ৬. নাম বোঝায় এমন শব্দ লিখি। উত্তর : মাসের নাম ফেব্রæয়ারি, ফাল্গুন ফুলের নাম পলাশ, গাঁদা জায়গার নাম ঢাকা, ফেনী ৭. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। গরিব ধনী সম্ভব অসম্ভব জীবন মরণ নতুন পুরনো উত্তর : ক) ধনী হলেও তিনি ভালো মানুষ। খ) ভাষার দাবিতে ছাত্ররা জীবন দিয়েছিলেন। গ) লেখাপড়া না করে ভালো ফলাফল করা অসম্ভব । ঘ) বসন্তকালে গাছে নতুন পাতা গজায়। ৮. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) ছাত্ররা কী দাবি জানিয়েছিল? উত্তর : ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিল। খ) পাকিস্তানিরা কী চেয়েছিল? উত্তর : পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। তারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। গ) ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি কে কে শহিদ হয়েছিলেন? উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরও নাম না জানা অনেকে শহিদ হয়েছিলেন। ঘ) ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা কী নামে ডাকি? উত্তর : ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের আমরা ভাষাশহিদ নামে ডাকি। ঙ) রফিকউদ্দিন আহমদ কেন ঢাকায় এসেছিলেন? উত্তর : রফিকউদ্দিন আহমদ তাঁর বাবাকে ব্যবসায়ে সাহায্য করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। চ) আবদুল জব্বারের বাড়ি কোথায়? উত্তর : আবদুল জব্বারের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। ছ) ভাষাশহিদেরা কিসের জন্য জীবন দিয়েছিলেন? উত্তর : ভাষাশহিদেরা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে জীবন দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছি। জ) ফেব্রæয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুলের নাম কী কী? উত্তর : ফেব্রæয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুল হলোÑ পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, ডালিয়া, গাঁদা ইত্যাদি। ঝ) ভাষাশহিদেরা কেন অমর? উত্তর : ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য তাঁরা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। এই মহান আত্মত্যাগের কারণেই ভাষাশহিদেরা অমর। ৯. নিচের শব্দগুলো দিয়ে মুখে মুখে বাক্য বলি ও লিখি। উত্তর : পাতা  বসন্তকালে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ভাষা  আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। ডাক্তার  খুকি ডাক্তার হতে চায়। গুলি  পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। ত্যাগ  শহিদদের ত্যাগের তুলনা হয় না। ১০. ছবি দেখি। ছবি নিয়ে ভাবি। বাক্য বলি ও লিখি। উত্তর : ছবিটি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের মুখের ভাষার অধিকার হারাতে চায়নি। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১শে ফেব্রæয়ারি মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলেরই একটি চিত্র প্রকাশিত হয়েছে উপরে। ভাষা শহিদদের কথা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর সঠিক উত্তরটি লেখ । ১. ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারির দিন বাংলা কোন মাস ছিল? ক অগ্রহায়ণ খ ফাল্গুন গ পৌষ ঘ মাঘ ২. কারা মিছিল করতে নিষেধ করেছিল? ক মিলিটারি খপুলিশ গ ছাত্ররা ঘ ব্যবসায়ীরা ৩. পুলিশ গুলি চালিয়েছিল কোথায়? ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গ ধানমÐি এলাকায় ঘ গুলিস্তান এলাকায় ৪. আবুল বরকত কখন মারা যান? ক একুশে ফেব্রæয়ারি সকালে খ একুশে ফেব্রæয়ারি বিকালে গ একুশে ফেব্রæয়ারি দুপুরে ঘ একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে ৫. রফিকউদ্দিনের বাড়ি কোথায় ছিল? ক ময়মনসিংহে খ ঢাকায় গ নোয়াখালীতে ঘ মানিকগঞ্জে ৬. পুলিশের গুলি রফিকউদ্দিনের কোথায় লেগেছিল? ক বুকে খ পিঠে গ মাথায় ঘ কাঁধে ৭. পুলিশের গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান কে? ক আবুল বরকত খ রফিকউদ্দিন গ আবদুল জব্বার ঘ আবদুস সালাম ৮. আবদুস সালাম কোথায় চাকরি করতেন? ক ময়মনসিংহে খ নোয়াখালীতে গ ঢাকায় ঘ বিদেশে ৯. কাকে দেড় মাস চিকিৎসা করেও বাঁচানো গেল না? ক আবদুল জব্বারকে খ আবদুস সালামকে গ রফিকউদ্দিনকে ঘ আবুল বরকতকে ১০. ভাষা আন্দোলন কত সালে হয়েছিল? ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে গ ১৯৬৬ সালে ঘ ১৯৭১ সালে  নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। ভাষাশহিদ, ডাক্তার, শ্রদ্ধা। উত্তর: শব্দ অর্থ ভাষাশহিদ  ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন। ডাক্তার  যিনি চিকিৎসা করেন। শ্রদ্ধা  সম্মান।  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। তারিখ, এলাকা, দাবি, মিছিল, অমর। উত্তর : শব্দ বাক্য

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সেইসাথে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সিলেবাস অনুযায়ী একটি মডেল টেস্টের প্রশ্ন দেখব। তৃতীয় শ্রেণি বাংলা হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ছড়াটির মূলভাব জেনে নিই ছোট্ট শিশুটি হাটে যেতে চায়। মাঝিকে সে অনুরোধ করে তাকে নৌকায় করে হাটে নিয়ে যেতে। মাঝি নদী পারাপারের জন্য শিশুটির কাছে টাকা চায়। কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেই। মাঝি বলে, শিশুর মুখের সোনার টুকরোর মতন মিষ্টি হাসিটি পেলেই সে খুশিমনে তাকে নদী পার করে দেবে। শিশুটি এ কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়। হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। নিঘাটা কড়ি নেই কড়া নেই উত্তর : নিঘাটা – যেখানে ঘাট নেই। যেখানে নৌকা ভেড়ানোর জায়গা নেই। কড়ি নেই কড়া নেই – টাকা-পয়সা নেই। ২. ছড়াটি মুখে মুখে বলি। উত্তর : নিজে নিজে চেষ্টা কর। ৩. আমার জানা আর একটি ছড়া বলি। উত্তর : মুচকি হাসি গিয়াস উদ্দিন রূপম জন্মদিনে আনবো কিনে খেলনা-ঘুড়ি আলতা নূপুর। আনবো কিনে পয়সা বিনে রোদ ঝলোমল স্বচ্ছ দুপুর। মুক্ত পাখি নীল জোনাকি জুঁই-চামেলি হাসনাহেনা। আর তবে কী আনবো ঠিকই মুচকি হাসি একটু দে না। ৪. ছবি দেখি। ছবিতে কে কী করছে তা মুখে মুখে বলি ও লিখি। উত্তর : উপরের ছবিতে গ্রামের একটি হাট দেখা যাচ্ছে। হাটটি নদীর পাড়ে অবস্থিত। একটি নৌকা এসে ক‚লে ভিড়েছে। নৌকা থেকে মালপত্র বিক্রির জন্য হাটে তোলা হচ্ছে। মানুষজন কেনাবেচায় ব্যস্ত। ছোট শিশুরাও আপনজনের সাথে হাটে এসেছে। একজন বাউল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে একতারা হাতে গান করছেন। হাটে যাব অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। মাঝি, হাসি, সোনা। উত্তর : শব্দ বাক্য মাঝি  মাঝি নৌকা চালায়। হাসি  শিশুটির মুখে সারাক্ষণ হাসি লেগেই থাকে। সোনা  সোনা অত্যন্ত মূল্যবান ধাতু।  শূন্যস্থান পূরণ কর। ক)  নায়ের মাঝি আমায় নিয়ে যাও। খ) কড়ি নেই  নেই আর কিবা নেবে? গ) হাসিটুকু নিও আর  নিও। ঘ)  মুখে সোনা হাসি। উত্তর : ক) নিঘাটা; খ) কড়া; গ) খুশিটুকু; ঘ) সোনা।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। ঘাটে নেই কড়া নেই হাসিটুকু নিও আর তার কিছু দিও কড়ি নেই নাও খুশিটুকু নিও উত্তর : ঘাটে নেই  নাও। হাসিটুকু নিও আর  খুশিটুকু নিও। কড়ি নেই  কড়া নেই।  নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। নাও, খুশি, সোনা। উত্তর : শব্দ সমার্থক শব্দ নাও  নৌকা খুশি  আনন্দ সোনা  স্বর্ণ  নিচের কোনটি কোন পদ লেখ। হাট, হাসি, খুশি, যাব, নেবে। উত্তর : শব্দ পদ হাট  বিশেষ্য হাসি  বিশেষ্য খুশি  বিশেষণ যাব  ক্রিয়া নেবে  ক্রিয়া প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। হাটে যাব হাটে যাব ঘাটে নেই নাও নিঘাটা নায়ের মাঝি আমায় নিয়ে যাও। নিয়ে যাব নিয়ে যাব কত কড়ি দেবে, কড়ি নেই কড়া নেই আর কিবা নেবে? সোনা মুখে সোনা হাসি তার কিছু দিও। হাসিটুকু নিও আর খুশিটুকু নিও। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে খোকার (ক) নৌকায় চড়ার ইচ্ছা (খ) গ্রামে যাওয়ার ইচ্ছা (গ) হাটে যাওয়ার ইচ্ছা (ঘ) নৌকা বাওয়ার ইচ্ছা ২) কার মুখে সোনা হাসি? (ক) খোকার (খ) মাঝির (গ) নদীর (ঘ) হাটের ৩) খোকার কী নেই? (ক) খুশি (খ) টাকা-পয়সা (গ) হাসি (ঘ) হাটে যাওয়ার ইচ্ছা ৪) খোকা হাটে নিয়ে যাওয়ার কথা কাকে বলেছে? (ক) নদীকে (খ) নাওকে (গ) মাঝিকে (ঘ) বাবাকে ৫) ঘাটে কী নেই? (ক) সিঁড়ি (খ) নাও (গ) পানি (ঘ) মাঝি উত্তর : ১) (গ) হাটে যাওয়ার ইচ্ছা; ২) (ক) খোকার; ৩) (খ) টাকা-পয়সা; ৪) (গ) মাঝিকে; ৫) (খ) নাও। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। নাও, ঘাট, মাঝি, নিঘাটা, কড়া কড়ি। উত্তর : শব্দ অর্থ নাও  নৌকা। ঘাট  নৌকা ভেড়ানোর জায়গা। মাঝি  যে নৌকা বায়। নিঘাটা  যেখানে ঘাট নেই। কড়া কড়ি  টাকা-পয়সা। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) খোকা কোথায় যেতে চায়? উত্তর : খোকা হাটে যেতে চায়। খ) খোকাকে হাটে নিয়ে যেতে মাঝি শেষ পর্যন্ত কী চায়? উত্তর : খোকাকে হাটে নিয়ে যেতে মাঝি শেষ পর্যন্ত খোকার সোনা মুখের সোনা হাসি চায়। গ) খোকা মাঝিকে কী দিতে রাজি হয়? উত্তর : খোকা মাঝিকে তার মুখের হাসিটুকু আর মনের খুশিটুকু দিতে রাজি হয়। ৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ। উত্তর : খোকা হাটে যেতে চায়। মাঝিকে সে অনুরোধ করে তাকে হাটে নিয়ে যেতে। মাঝি খোকার কাছে নদী পারাপারের ভাড়া চায়। কিন্তু খোকার কাছে কোনো টাকা-পয়সা নেই। শেষ পর্যন্ত মাঝি খোকার মুখের সোনা হাসির বিনিময়ে তাকে নৌকায় নিতে রাজি হয়। পাঠ্য বই বহিভর্‚ত- যোগ্যতাভিত্তিক এ অংশে পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- ৫. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ৬. শূন্যস্থান পূরণ ও ৭. প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহিভর্‚ত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে। ৮. নিচের যুক্ত বর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ঙ্গ, ফ্র, ঙ্ক, চ্ছ, কৃ। উত্তর : ঙ্গ = ঙ + গ – অঙ্গ – ছেলেটির অঙ্গ ঘামে ভেজা। ফ্র = ফ + র-ফলা ( ্র ) – ফ্রক – খুকী ফ্রক পরেছে। ঙ্ক = ঙ + ক – অঙ্ক – বাদল অঙ্ক কষছে। চ্ছ = চ + ছ – কচ্ছপ – কচ্ছপ খুব ধীরে চলে। কৃ = ক + ঋ-কার ( ৃ ) – কৃষক – কৃষক মাঠে কাজ করেন। ৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ। (কবিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) ১০. ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ। যাইব, দিয়াছিল, লইয়া, ভিড়াইবার, জানিয়া। উত্তর : ক্রিয়াপদ চলিত রূপ যাইব  যাব দিয়াছিল  দিয়েছিল লইয়া  নিয়ে ভিড়াইবার  ভেড়াবার জানিয়া  জেনে ১১. নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। হাসি, খুশি, নেই, জানা, দেবে। উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ হাসি  কান্না খুশি  অখুশি নেই  আছে জানা  অজানা দেবে  নেবে ১২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সোনা মুখে সোনা হাসি তার কিছু দিও। নিঘাটা নায়ের মাঝি আমায় নিয়ে যাও। কড়ি নেই কড়া নেই আর কিবা নেবে? নিয়ে যাব নিয়ে যাব কত কড়ি দেবে,

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা হাটে যাব অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা তৃতীয় শ্রেণি বাংলা রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর দেখব। আজকের পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। ৩য় শ্রেণি বাংলা রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর গল্পটির মূলভাব জেনে নিই রূপকথার এই গল্পটিতে পিতা ও কন্যার মধ্যে ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। এক রাজা তাঁর তিন কন্যার কাছে জানতে চাইলেন কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে। বড় কন্যা বলল, চিনির মতো। আর মেঝো কন্যা বলল, মিষ্টির মতো ভালোবাসে। ছোট কন্যা বলল, সে রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে। রাজা ভাবলেন ছোট কন্যা বুঝি তাঁকে ভালোবাসে না। তাই তাকে দেওয়া হলো বনবাসের শাস্তি। একসময় নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সে রাজাকে নুনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিল। রাজা বুঝতে পারলেন যে, তাঁর প্রতি ছোট কন্যার ভালোবাসা ছিল সত্যিকারের ভালোবাসা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনলেন। রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। জবাব হাসির রেখা অস্থির হুকুম বনবাসে অরণ্য জনপ্রাণী খেয়াল উজির নাজির পাইক বরকন্দাজ জিরিয়ে বেজায় বিস্বাদ উত্তর : জবাব  উত্তর। হাসির রেখা  হাসির চি‎হ্ন। অস্থির  চঞ্চল। হুকুম  আদেশ। বনবাসে  বনে বাস করার জন্য পাঠানো। এক ধরনের শাস্তি। অরণ্য  গাছপালায় ভরা বন জঙ্গল। জনপ্রাণী  মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী। খেয়াল  ইচ্ছে। উজির  মন্ত্রী। নাজির  রাজার কর্মচারী। পাইক  লাঠিয়াল, পেয়াদা। বরকন্দাজ  যে সেপাইয়ের সঙ্গে বন্দুক থাকে। জিরিয়ে  বিশ্রাম করে। বেজায়  খুব বেশি। বিস্বাদ  কোনো স্বাদ নেই। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। হুকুম অস্থির বেজায় জনপ্রাণী বরকন্দাজরা বিস্বাদ বনবাসে উত্তর : ক) বিপদে অস্থির হওয়া ভালো নয়। খ) বাবা কাজটা করতে হুকুম দিলেন। গ) এ বছর বেজায় শীত পড়েছে। ঘ) চাঁদে কোনো জনপ্রাণী নেই। ঙ) এ খাবার খেতে একেবারে বিস্বাদ। চ) রাজা মেয়েকে বনবাসে পাঠালেন। ছ) বরকন্দাজরা জমিদার বাড়ি পাহারা দিত। ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। কন্যা -ন+(য-ফলা) বন্যা, বন্য বরকন্দাজ -ন+দ- ছন্দ, খন্দ প্রাণী -প+(র-ফলা) প্রথম, প্রাণ ক্ষুধার্ত -ক+ষ- ক্ষমা, ক্ষণ রান্না -ন+ন- কান্না, পান্না ৪. শূন্যস্থান পূরণ করি। ক) বকুল বলল, আমি তোমাকে  মতো ভালোবাসি। খ) রাজা একটু  হাসলেন। গ) পারুলকে পাঠানো হলো । ঘ) পারুল ফিরে আসায় রাজ্যে সবার মুখে  ফুটল। উত্তর : ক) মিষ্টির; খ) মুচকি; গ) বনবাসে; ঘ) হাসি। ৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) রাজাকে কে কীরকম ভালোবাসেÑ সে প্রশ্নের উত্তরে প্রথম কন্যা কী বলল? ১. আমি তোমাকে নুনের মতো ভালোবাসি ২. আমি তোমাকে মিষ্টির মতো ভালোবাসি ৩. আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি ৪. আমি তোমাকে গুড়ের মতো ভালোবাসি খ) রাজার ছোট মেয়েকে বনের মধ্যে কারা বাড়ি বানিয়ে দিল? ১. রাজার লোকেরা ২. বনের পরিরা ৩. বনের পশুরা ৪. বনের পাখিরা গ) আমাকে চিনতে পেরেছেন? রাজাকে এ প্রশ্ন কে করল? ১. শিমুল ২. বকুল ৩. পারুল ৪. রানি ঘ) রাজা খুব খুশি হলেন কেন? ১. সাজানো খাবার দেখে ২. ছোট মেয়েকে দেখে ৩. শিকার করতে এসে ৪. নানা ফলমূল খেয়ে উত্তর : ক) ৩. আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি; খ) ২. বনের পরিরা; গ) ৩. পারুল; ঘ) ১. সাজানো খাবার দেখে। ৬. মুখে মুখে উত্তর বলি। ক) শিমুল বকুল পারুল -এদের পরিচয় কী? উত্তর : শিমুল বকুল পারুল তিন বোন। তারা রাজার তিন কন্যা। খ) মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা কী ছিল? উত্তর : মেয়েদের কাছে রাজা একটি সহজ প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটা ছিলÑ কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে। গ) শিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজার কেমন লাগল? উত্তর : শিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজা খুশি হলেন। বড় কন্যা শিমুলের উত্তর শুনে তিনি মুচকি হাসলেন। মেঝো কন্যা বকুলের উত্তরেও তাঁর মুখে দেখা দিল হাসির রেখা। ঘ) তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি। এ কথা কে বলেছিল? উত্তর : তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি Ñএ কথা বলেছিল রাজার ছোট কন্যা পারুল। ঙ) রাজা ছোট কন্যাকে কী করলেন? উত্তর : ছোট কন্যা পারুলকে রাজা বনবাসের শাস্তি দিলেন। পারুলকে গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন তিনি। চ) বনে রাজার মেয়েকে কারা ফলমূল এনে দিল? উত্তর : বনের হরিণ, খরগোশ ও ময়ূর রাজার মেয়ে পারুলের দুঃখে দুঃখী হলো। তারা রাজার মেয়েকে নানা ফলমূল এনে দিল। ছ) খাবার মুখে দিয়ে রাজা বিরক্ত হলেন কেন? উত্তর : রাজাকে যে খাবারগুলো দেওয়া হয়েছিল তার কোনোটাতেই নুন ছিল না। ফলে খাবারগুলো রাজার মুখে অত্যন্ত বিস্বাদ লেগেছিল। যে কারণে খাবার মুখে দিয়ে রাজা বিরক্ত হলেন। জ) তিনি কীভাবে নিজের ভুল বুঝতে পারলেন? উত্তর : রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে বলায় ছোট কন্যা পারুলকে বনবাসের শাস্তি দেন রাজা। কিন্তু পরবর্তীতে সে রাজাকে কৌশলে নুনের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দেয়। তখন রাজা বুঝতে পারেন যে তাঁর প্রতি পারুলের ভালোবাসা খাঁটি ছিল। এভাবেই রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারলেন। ঝ) রাজার রাজ্যে আবার সুখ এলো কেন? উত্তর : পারুল রাজ্যে ফিরে আসায় সবার মুখে হাসি ফুটল। রাজার রাজ্যে আবার সুখ ফিরে এলো। ৭. উত্তরগুলো লিখি। ক) কার উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো হয়ে গেল? উত্তর : ছোট কন্যা পারুলের উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো হয়ে গেল। খ) বনবাস বলতে কী বোঝায়? উত্তর : লোকালয় ছেড়ে বনে বসবাস করতে পাঠানোকে বলে বনবাস। বনবাস এক ধরনের শাস্তি। গ) পারুলের সঙ্গে দেখা করতে কারা এলো? উত্তর : পারুলের সাথে দেখা করতে এলো বনের নানা পশুপাখি। তাদের মধ্যে ছিল হরিণ, খরগোশ ও ময়ূর। ঘ) পারুল রাজ্যে ফিরে আসায় কারা খুশি হলো? উত্তর : পারুল রাজ্যে ফিরে আসায় রাজ্যের সবাই খুশি হলো। ঙ) কী না দেওয়ায় খাবার বিস্বাদ হয়েছিল? উত্তর : নুন না দেওয়ায় খাবার বিস্বাদ হয়েছিল। চ) পারুল রান্নার সময় কোনো কিছুতে নুন দিল না কেন? উত্তর : রাজাকে নুনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতেই পারুল রান্নার সময় কোনো কিছুতে নুন দিল না। ছ) রাজা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন কেন? উত্তর : পারুলের বুদ্ধিমত্তায় রাজা নুনের গুরুত্ব বুঝতে পারলেন। সেই সঙ্গে বুঝলেন যে পারুলকে বনবাসে পাঠিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন। আদরের মেয়েকে ফিরে পেয়ে ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে রাজা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। ৮. কথাগুলোর উত্তর জেনে নিই। ক) উজির শব্দের বদলে আমরা এখন কোন শব্দ ব্যবহার করি? মন্ত্রী খ) পাইক শব্দের বদলে আমরা এখন কী বলি? সৈন্য গ) হুকুম শব্দের মতো একই রকম আর কী কী শব্দ আছে? আদেশ, নির্দেশ ৯. গল্পটি মুখে মুখে বলি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে গল্পটি পড়ে নাও। এবার বই না দেখে নিজের মতো করে গল্পটি বল। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর সঠিক উত্তরটি লেখ । ১. রাজার কয়টি মেয়ে ছিল? ক ১টি খ ২টি গ ৩টি ঘ ৪টি ২.

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা রাজা ও তার তিন কন্যা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। এখানে তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের অনুশীলনীর সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল। ৩য় শ্রেণি বাংলা আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই কবিতাটিতে বাংলাদেশের নানা পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পূর্ব দিকে অবস্থিত বলে এদেশে অনেক আগে সূর্য ওঠে। যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী। ধানের দেশ, গানের দেশ, কবির দেশ ইত্যাদি নানা নামে বাংলাদেশকে ডাকা হয়। মায়ের শেখানো মিষ্টি ভাষা বাংলাকে আমরা অনেক ভালোবাসি। আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। পূর্বদেশ প্রিয় আপন কবি বীর স্বাধীন জন উত্তর : পূর্বদেশ – পূর্ব দিকে আছে এমন দেশ। প্রিয় – পছন্দ করা হয় এমন। আপন – নিজ। কবি – যিনি কবিতা লেখেন। বীর – বলবান ও সাহসী। স্বাধীন – মুক্ত। জন – সাধারণ মানুষ। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। আপন কবি পূর্বদেশে বীরের স্বাধীন উত্তর : ক) নজরুল আমাদের জাতীয় কবি । খ) পূর্বদেশে সূর্য ওঠে। গ) আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ। ঘ) আমরা সবাই আপন কাজ করি। ঙ) বাংলাদেশ অনেক বীরের জন্মভ‚মি। ৩. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) সূর্য ওঠার পূর্বদেশ কোনটি? উত্তর : সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ। খ) কোন দেশ নদীর দেশ? উত্তর : বাংলাদেশ নদীর দেশ। গ) কে মাতৃভাষা শেখালেন? উত্তর : মা মাতৃভাষা শেখালেন। ঘ) মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে কেন? উত্তর : মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। মায়ের কাছে শেখা ভাষাতেই আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি। মায়ের ভাষায় কথা বলতে ও শুনতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাই মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে। ৪. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। সূর্য -য+ (য-রেফ) -কার্য, ধৈর্য পূর্ব – ব+(ব-রেফ) গর্ব, সর্ব স্বাধীন -স+ব (ব-ফলা) স্বর, স্বদেশ মিষ্টি-ষ+ট- কষ্ট, চেষ্টা জেনে রাখি। ব্যঞ্জনবর্ণে র যুক্ত হলে তা রেফ চি‎হ্ন ( র্ ) হয়ে যায়। রেফ পরবর্তী বর্ণের মাথায় বসে। ৫. ডান দিক থেকে কবিতায় ব্যবহৃত ঠিক কথাটি নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) আমার প্রিয় ……….। স্বাধীন দেশ/ আপন দেশ খ) কবির দেশ ……….। বীরের দেশ/ নদীর দেশ গ) সূর্য ওঠার …………। বাংলাদেশ/ পূর্বদেশ ঘ) মনের ভাষা ……….। বাংলা ভাষা/ জনের ভাষা ঙ) মা শেখালেন ………। মাতৃভাষা/ ভালোবাসা উত্তর : ক) আমার প্রিয় আপন দেশ । খ) কবির দেশ বীরের দেশ । গ) সূর্য ওঠার পূর্বদেশ । ঘ) মনের ভাষা জনের ভাষা । ঙ) মা শেখালেন মাতৃভাষা । ৬. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) বাংলাদেশ কত নদীর দেশ? ১. এগারো শত ২. বারো শত ৩. তেরো শত ৪. চৌদ্দ শত খ) জনের ভাষা বলতে কবি কোনটিকে বুঝিয়েছেন? ১. মিষ্টি বাংলা ভাষা ২. মায়ের মুখের ভাষা ৩. সাধারণ মানুষের ভাষা ৪. মানুষের মনের ভাষা গ) বাংলা কাদের মাতৃভাষা? ১. সকল দেশবাসীর ২. সকলের মায়ের ৩. সকল কবির ৪. সকল বাঙালির উত্তর : ক) ৩. তেরো শত; খ) ৩. সাধারণ মানুষের ভাষা; গ) ৪. সকল বাঙালির। ৭. কবিতাটি সবাই মিলে একসঙ্গে জোরে জোরে পড়ি। উত্তর : বন্ধুরা একসাথে চেষ্টা কর। ৮. কবিতাটি না দেখে লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে প্রথমে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে নাও। এরপর না দেখে খাতায় লেখ। ৯. বাংলাদেশ সম্পর্কে দুটি বাক্য লিখি। উত্তর : বাংলাদেশ সম্পর্কে দুটি বাক্য Ñ ১) বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভ‚মি। ২) বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। আমার প্রিয় আপন দেশ বাংলাদেশ। আমাদের এই বাংলাদেশ। কবির দেশ বীরের দেশ আমার দেশ স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। ধানের দেশ গানের দেশ তেরো শত নদীর দেশ বাংলাদেশ। আমার ভাষা বাংলা ভাষা মা শেখালেন মাতৃভাষা মিষ্টি বেশ। মনের ভাষা জনের ভাষা এই ভাষাতে ভালোবাসা মায়ের দেশ। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) বাংলা ভাষা আমরা প্রথম কার কাছে শিখি? (ক) বাবার কাছে (খ) আত্মীয়-স্বজনের কাছে (গ) মায়ের কাছে (ঘ) প্রতিবেশীর কাছে ২) বাংলাদেশ কত নদীর দেশ? (ক) তেরো (খ) তেরো শত (গ) তেরো হাজার (ঘ) তেরো লক্ষ ৩) আমরা কেমন জাতি? (ক) স্বাধীন জাতি (খ) পরাধীন জাতি (গ) ভীতু জাতি (ঘ) দুর্বল জাতি ৪) কোনটিকে জনের ভাষা বলা হয়েছে? (ক) বাংলাকে (খ) উর্দুকে (গ) ইংরেজিকে (ঘ) হিন্দিকে ৫) কবিতাংশ পড়ে বলা যায়  (ক) আমাদের দেশ অসুন্দর (খ) দেশকে নিয়ে আমরা ভাবব না (গ) দেশকে আমরা ভালোবাসব (ঘ) দেশকে আমরা ভালোবাসব না উত্তর : ১) (গ) মায়ের কাছে; ২) (খ) তেরো শত; ৩) (ক) স্বাধীন জাতি; ৪) (ক) বাংলাকে; ৫) (গ) দেশকে আমরা ভালোবাসব। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। আপন, বীর, কবি, জন, মাতৃভাষা। উত্তর : শব্দ অর্থ আপন  নিজ। বীর  বলবান ও সাহসী। কবি  যিনি কবিতা লেখেন। জন  সাধারণ মানুষ। মাতৃভাষা  মায়ের মুখ থেকে শিশু যে ভাষা শেখে। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) কোন দেশ বীরের দেশ? উত্তর : বাংলাদেশ বীরের দেশ। খ) কোনটিকে মনের ভাষা বলা হয়েছে? উত্তর : আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে মনের ভাষা বলা হয়েছে। গ) মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে কেন? উত্তর : মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। মায়ের কাছে শেখা ভাষাতেই আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি। মায়ের ভাষায় কথা বলতে ও শুনতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাই মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে। ৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ। উত্তর : বাংলাদেশের সাহসী মানুষেরা লড়াই করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে। ধানের দেশ, গানের দেশ, নদীর দেশ- এরকম অনেক নামে এদেশকে ডাকা হয়। মায়ের মুখ থেকে আমরা শিখেছি মাতৃভাষা বাংলা। মিষ্টি এ ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের সব ভালোলাগা প্রকাশ করি। পাঠ্য বই বহিভর্‚ত- যোগ্যতাভিত্তিক নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। নদী, মাঠ, পাহাড়, বন, সমুদ্র, প্রান্তর সবকিছু মিলিয়ে এদেশের সৌন্দর্য অপরূপ। যেদিকে চোখ যায় কেবলই সবুজের সমারোহ। বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে পাহাড়ের হাতছানি। পাহাড়ের বুক চিরে উঠে যাওয়া আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ি নদী বা ঝরনা, পাহাড়ের গা জুড়ে থাকা চা-বাগান ইত্যাদি সৌন্দর্যে আমরা পুলকিত হই। আবার দেশের দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। তার কোল ঘেঁষে মোহনীয় সুন্দরবন। পৃথিবীখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আস্তানা এখানেই। এদেশে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী। নদ-নদীগুলোর রূপ অতুলনীয়। নদীর রুপালি জলের স্রোত আর তাতে ভেসে চলা পালতোলা নৌকা দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। ছয়টি ঋতুর পালাবদল এদেশের সৌন্দর্যের মূল উৎস। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি সাজে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। সত্যিই রূপের দিক থেকে বাংলাদেশ সকল দেশের রানি। ৫. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে (ক) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা আমাদের এই দেশ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

৩য়-শ্রেণির-বাংলা-ছবি-ও-কথা-মডেল-টেস্ট

৩য় শ্রেণির বাংলা ছবি ও কথা মডেল টেস্ট

  ৩য় শ্রেণির বাংলা ছবি ও কথা মডেল টেস্ট পাঠ্য বই ভিত্তিক – ছবি ও কথা মডেল টেস্ট নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। ঐশী আর ওমর যেমন অবাক, তেমনি খুশি। খালু বললেন, পাখিরা কীট-পতঙ্গ খায়। অনেক পাখি আবার মধুও ভালোবাসে। ওরা দেখল একটা আমগাছের ডালে বড় একটা মৌচাক। ওরা খালুর কাছে শুনল মৌমাছি, পিঁপড়ে ও পাখিরা গাছের অনেক উপকার করে। পাখি, পিঁপড়ে ও মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘোরে। মধু খাওয়ার সময় এক ফুলের রেণু অন্য ফুলের রেণুর সঙ্গে মিলে যায়। তাই গাছে ফল ধরে। আম গাছ দেখিয়ে খালু বললেন, এখন গাছে মুকুল হয়েছে। কিছুদিন পর এগুলো আমের গুটিতে পরিণত হবে। সীমা আপা বলল, গাছ আমাদের উপকার করে। একটু ভেবে বলো তো কীভাবে? ওমর খুশিতে হাততালি দিল। বলল আমি জানি, আমরা তো গাছ থেকে কত রকমের খাবার পাই। খড়ি আর কাঠও পাই। খালু বললেন, ঠিক তাই। তবে গাছ আমাদের সবচেয়ে উপকার করে অক্সিজেন দিয়ে। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।  ১) মুকুল ধরেছে কোন গাছে? (ক)আমগাছে (খ)লাউগাছে (গ)বেগুনগাছে(ঘ)শিমগাছে ২) আমের মুকুল কোনটিতে রূপান্তরিত হয়? (ক) ফুলে (খ)বীজে (গ)গুটিতে (ঘ)মৌচাকে ৩) সীমা আপা জিজ্ঞাসা করল  (ক) কীট-পতঙ্গের উপকারিতা সম্বন্ধে (খ) গাছের উপকারিতা সম্বন্ধে (গ)মানুষের উপকারিতা সম্বন্ধে (ঘ)পাখিদের উপকারিতা সম্বন্ধে ৪) কীট-পতঙ্গরা ফুলের মধু খায় বলে গাছের কী উপকার হয়? (ক) গাছে অক্সিজেন সৃষ্টি হয় (খ) গাছ বৃদ্ধি পায় (গ)গাছে আরও ফুল ধরে (ঘ)গাছে ফল ধরে ৫) ‘অক্সিজেন’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত? (ক) ক + র(খ)ক + র-ফলা (গ) ক + শ(ঘ)ক + স উত্তর : ১) (ক) আমগাছে; ২) (গ) গুটিতে; ৩) (খ) গাছের উপকারিতা সম্বন্ধে; ৪) (ঘ) গাছে ফল ধরে;            ৫) (ঘ) ক + স। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ।  খড়ি, অবাক, মুকুল, মৌচাক, রেণু। উত্তর : শব্দ অর্থ খড়িজ্বালানি কাঠ। অবাকবাক্যহীন, নির্বাক। মুকুলকুঁড়ি। মৌচাকযেখানে মৌমাছিরা মধু জমা করে। রেণুপরাগ। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।  ক) আমগাছের ডালে কী দেখা গেল? উত্তর : আমগাছের ডালে বড় একটা মৌচাক দেখা গেল। খ) কীট-পতঙ্গ ও পাখিরা কীভাবে গাছের উপকার করে? উত্তর : গাছের ফুল থেকে মধু খাওয়ার জন্য কীট-পতঙ্গ ও পাখিরা ফুলে ফুলে ঘোরে। তখন তাদের ঠোঁটে, ডানায়, পায়ে লেগে থাকা ফুলের রেণু নতুন ফুলের রেণুর সঙ্গে মেলে। এতে গাছে ফল ধরে। এভাবে কীট-পতঙ্গ ও পাখিরা গাছের উপকার করে। গ) অক্সিজেন কী? উত্তর : অক্সিজেন হলো এমন একটি রাসায়নিক পদার্থ যেটি ছাড়া আমরা বাঁচি না। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। ৪. অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখ। উত্তর : পাখি ও কীট-পতঙ্গরা গাছ থেকে যেমন উপকার পায় তেমনি গাছের উপকারও করে থাকে। ওরা গাছের ফুল থেকে ফল হওয়ায় সাহায্য করে। গাছ আমাদের খাদ্য, কাঠ, খড়ি, ইত্যাদির জোগান দেয়। আমাদের বাঁচার জন্য অক্সিজেনের বিকল্প নেই। এটিও আমরা গাছ থেকে পাই। পাঠ্য বই বহির্ভূত – ছবি ও কথা মডেল টেস্ট নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। কামাল স্যার একদিন ক্লাসে গাছপালা নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বললেন, গাছ আমাদের নানাভাবে উপকার করে। বাদল বলল, কীভাবে স্যার? স্যার বললেন, গাছপালা থেকে আমরা খাবার পাই, কাঠ পাই, অক্সিজেন পাই। সুমি প্রশ্ন করল, অক্সিজেন কী স্যার? স্যার জবাব দিলেন, অক্সিজেন হলো এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। খুশি বলল, কিন্তু স্যার মানুষ তো দেখি প্রায়ই গাছপালা কেটে ফেলে। স্যার হেসে বললেন, হ্যাঁ, মানুষ অনেক সময় কাঠ, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদির চাহিদা মেটাতে গাছ কাটে। তবে একটি গাছ কাটলে অন্তত দুটি গাছ লাগানো উচিত। গাছ আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। গাছপালা কমে গেলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ৫. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) কামাল স্যার কোন ব্যাপারে কথা বলছিলেন? (ক) গাছপালার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে (খ) গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে (গ) খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে (ঘ) অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ২) একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে কয়টি গাছ লাগানো উচিত? (ক) ১টি (খ) ২টি (গ) ৩টি(ঘ) ৪টি ৩) আমরা কী থেকে অক্সিজেন পাই? (ক) খাদ্য থেকে (খ) কাঠ থেকে (গ) বস্ত্র থেকে (ঘ) গাছ থেকে ৪) ‘উপকার’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি? (ক) অপকার(গ) উপহার (গ) প্রকার(ঘ)আকার ৫) কোনটি করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে? (ক) বেশি করে গাছ লাগালে (খ) গাছের যতœ  নিলে (গ)বেশি বেশি গাছ কাটলে (ঘ)মানুষকে গাছ লাগাতে বললে উত্তর : ১) (ক) গাছপালার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে;    ২) (খ) ২টি;  ৩) (ঘ) গাছ থেকে;   ৪) (ক) অপকার;    ৫) (গ) বেশি বেশি গাছ কাটলে। ৬. নিচে কতগুলো শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানের উপযুক্ত শব্দটি উত্তরপত্রে লেখ।  শব্দ শব্দার্থ অপরিহার্য অবশ্যই যা প্রয়োজন জবাব উত্তর ধ্বংস ক্ষয়, বিনাশ বস্ত্র পরার কাপড় উপাদান উপকরণ, মাল মশলা চাহিদা প্রয়োজন ক) বাবা গরিব বৃদ্ধটিকে শীতের — দিলেন। খ) আমার কথার — দাও। গ) বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাওয়া –। ঘ) দুধ, চিনি, ক্রিম, বরফ ইত্যাদি হলো আইসক্রিম তৈরির –। ঙ) মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানিদের জাহাজ — হয়ে গেল। উত্তর : ক) বস্ত্র; খ) জবাব; গ) অপরিহার্য; ঘ) উপাদান;  ঙ) ধ্বংস। ৭. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) গাছ আমাদের কী কী উপকার করে? তিনটি বাক্যে লেখ। উত্তর : গাছ আমাদের নানাভাবে উপকার করে। যেমন ১) গাছ থেকে আমরা খাবার পাই। ২) গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। ৩) গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। খ) বাদল ও সুমি স্যারের কাছে কী কী জানতে চাইল? উত্তর : বাদল স্যারের কাছে গাছের উপকারিতার কথা জানতে চাইল। আর সুমি জানতে চাইল অক্সিজেন সম্পর্কে। গ) আমরা বেশি বেশি গাছ লাগাব কেন? উত্তর : গাছ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র, কাঠ, অক্সিজেন ইত্যাদি পাই। গাছ আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। গাছ না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই আমরা বেশি বেশি গাছ লাগাব। ৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।  ন্দ, চ্ছ, ঙ্গ, ক্স, প্র। উত্তর : ন্দ = ন + দ – আনন্দ -শিশুরা খেলাধুলা করে খুব আনন্দ পায়। চ্ছ = চ + ছ – ইচ্ছা -মামা বাড়ি যেতে ইচ্ছা করছে। ঙ্গ = ঙ + গ – সঙ্গে -আমার সঙ্গে বাবাও এসেছেন। ক্স = ক + স – বাক্স -মা বইগুলো বাক্সে রাখলেন। প্র = প + র-ফলা (  ্র ) – প্রিয় -জবা ফুল আমার খুব প্রিয়। ৯. সঠিক স্থানে বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি আবার লেখ।  ঐশী আর ওমর যেমন অবাক তেমনি খুশি খালু বললেন পাখিরা কীট পতঙ্গ খায় উত্তর : ঐশী আর ওমর যেমন অবাক, তেমনি খুশি। খালু বললেন, পাখিরা কীট-পতঙ্গ খায়। ১০. ক্রিয়াপদের চলিত রূপ লেখ।  দুলিতেছে, বলিলেন, দেখাইবেন, খাইবে, শুনিল। উত্তর : ক্রিয়াপদচলিত

৩য় শ্রেণির বাংলা ছবি ও কথা মডেল টেস্ট Read More »

Scroll to Top