নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান
নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান তোমাদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এখানে তোমরা দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে সেইসাথে এর প্রশ্ন গুলো তোমরা পেয়ে যাবে। নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ আজকের পোস্টটি নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং তাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞানে অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য। তোমরা যারা নবম শ্রেণীতে পড়ো তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে তোমরা সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়বে তাহলে তোমরা আজকের দ্বিতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এর খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানতে পারবে। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি জানো অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর ২য় সপ্তাহে তোমাদের জন্য কয়টি অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে? যে সকল শিক্ষার্থী এখনো জানতে পারোনি তাদের বলব দ্বিতীয় সপ্তাহে নবম শ্রেণীর জন্য তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট ৩টি হল ইংরেজি বিজ্ঞান বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় আমরা তোমাদের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহের উত্তরটি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছি। তোমরা যদি কেউ সেটি না দেখে থাকো তবে নিচের লিংক থেকে সেটি দেখে নিতে পারো। আমরা এখন বিজ্ঞান দ্বিতীয় সপ্তাহ নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর প্রশ্ন গুলো দেখে নেব। ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্ন অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ১, প্রথম অধ্যায় উন্নততর জীবনধারা অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক সূষম খাদ্য তালিকা প্রস্তুতকরণ। অ্যাসাইনমেন্ট শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ খাদ্য উপাদান ও আদর্শ খাদ্য পিরামিড ব্যাখ্যা করতে পারবে ভিটামিনের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে খাদ্য লবণের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ নিচের ধাপগুলো বিবেচনা করে খাদ্য উপাদান অনুযায়ী ২৫টি খাদ্যের নাম ছক আকারে উপস্থাপন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক সুষম খাদ্যের বিভাজন একটি পাই চার্ট অংকন করে উপস্থাপন তোমার খাদ্য তালিকা থেকে প্রান্ত ভিটামিনগুলোর নাম ও অভাবজনিত রোগগুলোর নাম এবং প্রতিকারের উপায় বর্ণনা তোমার খাদ্য তালিকা থেকে কীকী খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় তাদের নাম ও কাজ বর্ণনা ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ’ক’ প্রশ্নের উত্তর ’খ’ প্রশ্নের উত্তর একজন পৃণবয়ঙ্ক মানুষের দৈনিক সুষম খাদ্যের বিভাজনের পাই চার্টনিন্নে উপস্থাপন করা হলোঃ একজন পূণবয়সের শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের দৈনিক ২০০০-২৫০০ কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন । ভিটামিন, খনিজ লবণ, রাফেজ বা আশের জন্য এর সাথে প্রয়োজনীয় শাক-সবজি এবং ফল খাওয়া প্রয়োজন । ’গ’ প্রশ্নের উত্তর খাদ্য তালিকা থেকে প্রাপ্ত ভিটামিনগুলোর নাম ও অভাবজনিত রোগের নাম এবং প্রতিকারের উপায় নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ ভিটামিনঃ যে জৈব খাদ্য উপাদান সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থাকে এবং দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ শক্তিবৃদ্ধি করে তাকে ভিটামিন বলে। আমার খাদ্য তালিকা থেকে প্রাপ্ত ভিটামিনগুলোর নামঃ ১। ভিটামিন-এ ২। ভিটামিন-বি ৩। ভিটামিন-সি 8 ভিটামিন-ডি ৫। ভিটামিন-ই ৬। ভিটামিন-কে ১। ভিটামিন-এ অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন “এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। দেহের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। অনেক সময় ঘা, সি” কাশি, গলাব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দেয়। ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার সেরা চিকিৎসা হ’ল ভিটামিন “এ’ যুক্ত ডায়েট নেওয়া । সবুজ পাতা,হলুদ শাকসবজি, নলা ও ঢেলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “এ’ পাওয়া যায়। ২। ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন বি-এর অভাবে ঠোঁটের দুপাশে ফাটল দেখা দেয়, মুখে ও জিভে ঘা এবং ত্বক খসখসে হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এর অভাবে তীব্র আলোতে চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। ডাল এবং ডালজাতীয় খাবারে এই ভিটামনটি প্রচুর পরিমাণে থাকে । সাধারণত সামুদ্রিক মাছ, মাংস এবং বাদামে ভিটামিন বি- ৩ পাওয়া যায়। নিয়মিত ডিম, বাদাম, দু্ধজাত খাবার, ব্রোকোলি, পূর্ণ শস্য এবং শিম খেলে শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দূর হয়। ৩। ভিটামিন-সি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন সি- এর তীব্র অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এর অভাবে অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না। ত্বকে ঘা হয় এবং ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। দাঁতের মাড়ি ফুলে দাঁতের এনামেল উঠে যায়। আমলকী, লেবু কমলালেবু টমেটো, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন সি- এর উৎস। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে এর অভাব পূরণ করা যায়। ৪। ভিটামিন-ডি এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন ডি- এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হতে পারে। দৈনিক চাহিদা থেকে বেশি পরিমান ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হয়। এর ফলে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হওয়ায় রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে বৃক্ধ (কিডনি), হৃৎপিও, ধমনি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে । ডিমের কুসুম, দুধ এবং মাখন ভিটামিন ডি- এর প্রধান উৎস। বাঁধাকপি, যকৃৎ এবং তেলসমৃদ্ধ মাছে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে এর অভাব পূরণ করা যায়। ৫। ভিটামিন-ই এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ ভিটামিন ই- এর অভাবে জরায়ুর মধ্যে ভ্রুণের মৃত্যুও হতে পারে। দৈনিক সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে এই ভিটামিনের বিশেষ অভাব হয় না। শস্যদানার তেল তুলা বীজের তেল, সূযগুখী বীজের তেল, লেটুস পাতা ইত্যাদিতে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়। মানুষের শরীরে ভিটামিন-ই হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট, যেটি ধমনিতে চর্বি ৬। ভিটামিন-কে এর অভাবজনিত রোগ ও প্রতিকারঃ যকৃত থেকে পিত্তরস নিঃসৃত হয়। পিত্তরস নিঃসরণে অসুবিধা হলে ভিটামিন-কে এর শোষণ কমে যায় । ভিটামিন- কে এর অভাবে ত্বকের নিচে ও দেহাভ্যন্তরে যে রক্ত ক্ষরণ হয় তা বন্ধ করার ব্যবস্থা না নিলে রোগী মারা যেতে পারে । ভিটামিন- কে সম্পূরক খাওয়ার ওষুধ অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ | ভিটামিন- কে সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ,যেমন- সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি। . ’ঘ’ প্রশ্নের উত্তর আমার খাদ্য তালিকায় প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের নাম ও কাজ নিম্নে উল্লেখ্য করা হলোঃ আমার খাদ্য তালিকায় প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের নামঃ ১। লৌহ ২। ক্যালসিয়াম ৩। ফসফরাস ১। লৌহঃ লৌহ রক্তের একটি প্রধান উপাদান। প্রতি ১০০ 11] রক্তে লৌহের পরিমাণ প্রায় ৫০179। যকৃৎ, প্লীহা, অস্থিমজ্জা এবং লোহিত রক্তকণিকায় এটি সঞ্চিত থাকে । লৌহের উদ্ভিজ্জ উৎস হচ্ছে ফুলকপির ইত্যাদি। গ্রাণিজ উৎস হচ্ছে মাছ, মাংস, ডিম, যকৃৎ ইত্যাদি। লৌহের প্রধান কাজ হিমোপ্পোবিন গঠনে সহায়তা করা। হিমোগ্নাবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা রোগ হয়। রক্তশূন্যতা রোগের লক্ষণ হচ্ছে চোখ ফ্যাকাসে হওয়া, হাত-পা ফোলা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি। ২। ক্যালসিয়ামঃ এটি প্রাণীদের হাড় এবং দাঁতের একটি প্রধান উপাদান । খনিজ পদার্থের মধ্যে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেষে বেশি । অস্থি এবং দাঁতে ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের সাথে। যুক্ত হয়ে এর ৯০% শরীরে সঞ্চিত থাকে । হাড় এবং দাঁতের গঠন শক্ত রাখার জন্য ক্যালসিয়াম একটি অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ । এছাড়া ক্যালসিয়াম রক্ত সঞ্চালনে, হৃৎপিণ্ডের পেশির স্বাভাবিক সংকোচনে এবং স্নায়ু ও পেশির সঞ্চালনে ৩। ফসফরাসঃ দেহে পরিমাণের দিক থেকে খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরই ফসফরাসের স্থান। ফসফরাসও ক্যালসিয়ামের মতো হাড়ের একটি প্রধান উপাদান । ফসফরাস হাড়, যকৃৎ এবং রক্তরসে সঞ্চিত থাকে । নিউক্লিক এসিড, নিউক্লিয় প্রোটিন তৈরি এবং শর্করা বিপাকের দ্বারা শক্তি উৎপাদনে ফসফরাস প্রধান ভুমিকা রাখে । ক্যালসিয়ামের মতো হাড় এবং দাঁত গঠন করা ফসফরাসের প্রধান কাজ। ফসফরাসের অভাবে রিকেটস,
নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান Read More »