বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পোশাকের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পোশাকের উদাহরণ : ১. ত্রিপুরা মেয়েদের ‘রিনাই’ ও ‘রিসা’। ২. খাসি ছেলেদের ‘ফুংগ মারুং’। ৩. ম্রো মেয়েদের ‘ওয়াংলাই’। ৪. গারো নারীদের ‘দকবান্দা’ বা ‘দকসারি’। ৫. ওঁরাও পুরুষদের ধুতি। প্রশ্ন \ ২ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী উৎসবের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উৎসবের উদাহরণ : ১. খাসিদের ‘ফসলহানি’। ২. ম্রোদের জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু ইত্যাদিকে ঘিরে উৎসব। ৩. গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘ওয়াংগালা’। ৪. ওঁরাওদের প্রধান উৎসবের নাম ‘ফাগুয়া’। ৫. ত্রিপুরাদের নববর্ষের উৎসব। প্রশ্ন \ ৩ \ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাদ্যের উদাহরণ দাও। উত্তর : পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাদ্যের উদাহরণ : ১. খাসিদের পান-সুপারি এবং চা। ২. ম্রোদের নাপ্পী। ৩. ওঁরাওদের খাবার ভুট্টা। ৪. গারোদের বাঁশের কোড়ল দিয়ে তৈরি করা খাবার। ৫. ত্রিপুরাদের শূকরের মাংস।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করতে পারি? উত্তর : আমাদের আশপাশে বসবাসকৃত ক্ষুদ্র ও বৃহত্তর বহু জাতিসত্তার মানুষের সাথে আমরা সবাই একসাথে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করব। পরস্পর পরস্পরকে বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করব এবং সবাই সবার উৎসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। একে অন্যের ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানাব। কোনো জাতির মানুষকে ছোট করে না দেখে সকলকে ভালোবাসতে পারলে সকল জাতির চোখে সকলকে ভালোবাসতে পারলে সকল জাতির মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকে। এভাবে শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারকে স্বীকার করে নিয়ে এবং কার্যত তাদের প্রাধান্য দিয়ে আমরা তাদের প্রতি গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করতে পারি। প্রশ্ন \ ২ \ তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ধর্ম সম্পর্কে লেখ। উত্তর : গারো : গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ গারো খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। ত্রিপুরা : ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মের অনুসারী। তবে বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং শিব ও কালী পূজা করেন। নিজস্ব কিছু দেব-দেবীর উপাসনাও তারা করেন। যেমন- গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য তারা ‘কের’ পূজা করেন। খাসি : খাসিরা বিভিন্ন দেবতার পূজা করেন। তাদের প্রধান দেবতার নাম উবøাই নাংথউ যাকে তারা পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা মনে করেন। প্রশ্ন \ ৩ \ কোনো একজন মানুষ যে ভিন্ন গোষ্ঠীর তা তুমি কীভাবে বুঝবে? উত্তর : ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষকে যেভাবে চেনা যাবে তা হলো : ১. ভাষার মাধ্যমে; ২. সমাজ ব্যবস্থা ও ধর্মের মাধ্যমে; ৩. এলাকা বা অঞ্চলের মাধ্যমে; ৪. পোশাক ও উৎসবের মাধ্যমে; ৫. খাদ্য ধরনের মাধ্যমে ইত্যাদি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বান্দরবান শহরের কাছে চিম্বুক পাহাড়ে গেলে তুমি কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ দেখতে পাবে? ক. ওঁরাও খ. রাজবংশী গ. মালপাহাড়ি ঘ. ম্রো চ ২. অতীতে সিলেট অঞ্চলে জয়ন্তা ও জৈন্তিয়া নামে একটি রাজ্য ছিল। উক্ত রাজ্যে আগে কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বাস করত বলে ধারণা করা হয়? ক. খাসি চ খ. ম্রো গ. গারো ঘ. রাখাইন ৩. কে মুরং বিয়ে করে তাদের সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী স্ত্রীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। কে মুরং কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্তর্গত? ক. চাকমা খ. ম্রো গ. ফরম ঘ. গারো চ ৪. নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সেজে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। এতে কোন উৎসবের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ক. ফাগুয়া খ. সাংগ্রেন গ. বিশু চ ঘ. ওয়াংগালা ৫. রিঝুর পরীক্ষার জন্য সে ‘বিশু’ উৎসবে তেমন বেশি সময় কাটাতে পারেনি। রিঝু কোন উপাজাতির অন্তর্ভুক্ত? ক. গারো খ. ভালোবাসা গ. শ্রদ্ধা ঘ. ত্রিপুরা চ ৬. বিজু এমন একটি রাজ্যের নাম জানে যেখানে অতীতে খাসিরা বাস করত। রাজ্যটি হচ্ছে ক. জয়ন্তা খ. অজন্তা গ. অবেং ঘ. মারুং চ ৭. তোমরা একের অন্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে কী জানাবে? ক. সম্মান খ. ভালোবাসা গ. শ্রদ্ধা চ ঘ. হিংসা ৮. গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। কোন সমাজের প্রভাবে তাদের আচরণ ও অনুশীলন পরিবর্তিত হচ্ছে? ক. খাসি খ. বাঙালিচ গ. চাকমা ঘ. মালপাহাড়ি ৯. ধ্রæবদের বাড়ি সিলেট জেলায় অবস্থিত। তাদের এলাকায় কোন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে? ক. গারো খ. খাসিচ গ. ম্রো ঘ. ত্রিপুরা ১০. রূপালী খাসি জাতিসত্তার সদস্য। চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। খাসি সমাজের নিয়ম অনুসারে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন করা হলে ক. রূপালী বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে চ খ. বড় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে গ. দ্বিতীয় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে ঘ. তৃতীয় বোন বেশিরভাগের উত্তরাধিকারী হবে ১১. তিশমার পরিবারের ছেলেরা ফুংগ মারুং নামক পোশাক পরিধান করে। তিশমার পরিবারের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য? ক. মারমা পরিবার খ. গারো পরিবার গ. খাসি পরিবার চ ঘ. চাকমা পরিবার ১২. ম্রো সমাজে শিশুদের ৩ বছর হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের কানেই ছিদ্র করে দেয়া হয়। এর কারণ কী? ক. এটি একটি রীতি চ খ. এটি ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত গ. এটি গুরুজনদের আদেশ ঘ. এটি উৎসবের অংশ ১৩. বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা গ্রামের সকল লোকের মঙ্গলের জন্য ‘কের’ পূজা করেন? ক. মারমা খ. সাঁওতাল গ. ওঁরাও ঘ. ত্রিপুরা চ ১৪. মনখেমে ভাষাভাষীরা সিলেটে বসবাস করে। তাদের প্রধান দেবতার নামÑ ক. মন থেমে খ. উবøাই নাংথউ চ গ. তোরাই ঘ. ফুংগ মারুং ১৫. ত্রিপুরা উপজাতি মেয়েদের বংশ পরিচয় নির্ধারিত হয় কীভাবে? ক. এলাকা রীতি অনুযায়ী খ. স্বামীর গোষ্ঠী অনুযায়ী গ. পিতার গোষ্ঠী অনুযায়ী ঘ. মাতার গোষ্ঠী অনুযায়ী চ ১৬. খাসিরা অতিথিদের পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়ন করে কেন? ক. পান-সুপারিকে পবিত্র মনে করে চ খ. দাম কম বলে গ. সহজে পাওয়া যায় বলে ঘ. প্রধান খাদ্য বলে ১৭. গারো সমাজের মতোই পরিবারের ছোট মেয়ে প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী হলো সেজুতি। তার জনগোষ্ঠী কিসের চাষ করে? ক. জুম খ. পান চ গ. ধান ঘ. মৌমাছি ১৮. ওঁরাওদের ভাষা দুইটি। একটি সাদ্রি। অপরটি ক. মনখেমে খ. কুড়–খ চ গ. মৈতৈ ঘ. অবেৎ ১৯. আবির ময়মনসিংহে গিয়ে দেখতে পেল সেখানে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। সে কোন জনগোষ্ঠীর দেখা পেল? ক. গারোচ খ. ম্রো গ. ওঁরাও ঘ. ত্রিপুরা ২০. নববর্ষের প্রথম দিনে মানিয়া বিশু উৎসব পালন করে। সে কোন জনগোষ্ঠীর লোক? ক. চাকমা খ. ওঁরাও গ. ত্রিপুরাচ ঘ. খাসি ২১. মাতৃতান্ত্রিক সমাজ বলতে তুমি কী বুঝবে? ক. পিতা পরিবারের প্রধান খ. মা পরিবারের প্রধানচ গ. বড় ভাই পরিবারের প্রধান ঘ. বড় বোন পরিবারের প্রধান ২২. বিনয় ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেন। বিনয় কোন ধর্মের অনুসারী? ক. সাংসারক খ. সনাতন চ গ. খ্রিষ্ট ঘ. বৌদ্ধ ২৩. বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাটে কোন উপজাতি সম্পদ্রায়ের বসবাস? ক. গারো চ খ. খাসি গ. ম্রো ঘ. ত্রিপুরা ২৪. পাংখুয়া উবøাই নাংথউ-এর পূজা করে। তার ভাষার নাম কী? ক. মনপুরা খ. মনেপড়ে গ. মনখেমে চ ঘ. মনযেয়ে  সাধারণ ২৫. কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েরা ‘কাজিম পিন’ নামক বøাউজ ও লুঙ্গি পরে? ক. খাসি চ খ. ম্রো গ. গারো ঘ. ত্রিপুরা ২৬. ওঁরাওদের প্রধান খাবার কোনটি? ক.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব

অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বিদ্যালয়ে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, এমন দুইটি কাজ হলো : শ্রেণিকক্ষ সাজানোর ব্যাপারে : শ্রেণির বিভিন্ন কাজ যেমন : চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো ইত্যাদি সম্পর্কে সব সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে করব। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন ইত্যাদির ব্যাপারেও আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উত্তর : বাড়িতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় এমন দুইটি কাজ হলো : ১. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে : কোনো জায়গা বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে একে অপরের মতামত নিতে পারি। ২. ঘরের বা বাড়ির কোনো জিনিস কেনার ব্যাপারে : বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র লাগে। তবে কোনটি বেশি প্রয়োজন তা সকলের মতামত নিয়ে যেটি সিদ্ধান্ত হবে সেটি কিনতে হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ উল্লেখ কর। উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ হলো : ১. সবার মতামত নেওয়া। ২. প্রত্যেকের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া ও শ্রদ্ধা করা। ৩. অধিকাংশের মতামতকে বিবেচনা করা। ৪. চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল? উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিয়েছে, সেই সাথে দিয়েছে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ। ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়ে দেয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। এ প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জনপ্রতিনিধিরাই স্বাধীন সরকার গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু সরকারও সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত হয়েছিল। প্রশ্ন \ ২ \ কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়? উত্তর : আমরা বিভিন্ন ধরনের কর্মের সাথে জড়িত। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র চর্চার জন্য সর্বস্তরের সহকর্মীদের সাথে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা উচিত। এর ফলে সকলেই সকলের গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের সেবা আরও ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জনগণও উপকৃত হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন? উত্তর : মানুষ সামাজিক জীব। তাই মানুষ একে অপরের সাথে মিলেমিলে বসবাস করে। পাড়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। তখন সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করতে হয়। যেমন: এলাকায় একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা জায়গায় রাস্তা চায়। এমন অবস্থায় গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. পরিবার গণতন্ত্র চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান। আমরা পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারিÑ ক. পরিবারের কথা না শুনে খ. নিজের মতামত চাপিয়ে দিয়ে গ. সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চ ঘ. পরিবারের সাথে ঝগড়া না করে ২. দেশের উন্নয়নে কী ধরনের নাগরিক প্রয়োজন? ক. শিক্ষিত চ খ. নিরক্ষর গ. ব্যবসায়ী ঘ. রাজনৈতিক নেতা ৩. নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার রাখার কাজে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। কারণÑ ক. সকলেই একই ক্লাসে পড়ে বলে খ. সকলে সমান বেতন ও ফি পরিশোধ করে বলে গ. শ্রেণিশিক্ষক সকলকেই সমান চোখে দেখেন বলে ঘ. সকলেই এর সুফল ভোগ করবে বলে চ ৪. তোমাদের শ্রেণিতে দলনেতা নির্বাচন করতে চাও। এক্ষেত্রে কার মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিবে? ক. ধনী খ. মেয়েদের গ. শিক্ষকের ঘ. সকলের চ ৫. প্রকৃত গণতন্ত্র দেশের জন্য খুবই কল্যাণকর। আমরা দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিÑ ক. মানুষের কুৎসা রটিয়ে খ. মত প্রকাশের সুযোগ দিয়ে চ গ. রাজনীতিতে অংশ নিয়ে ঘ. সরকারের সমালোচনা করে ৬. জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কেমন পার্থী নির্বাচিত করা উচিত? ক. ধনী খ. গরিব গ. সৎ চ ঘ. ব্যবসায়ী ৭. কালমেঘা এলাকার জনগণ শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আগ্রহী। এ উদ্দেশ্যে তাদের কেমন মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে? ক. গণতান্ত্রিক চ খ. একনায়কতান্ত্রিক গ. রাজতান্ত্রিক ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক ৮. আমরা স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগত কাজে কোন ধরনের কাজ করলে সঠিক লাভবান হব? ক. একক কাজ খ. দলগত কাজ চ গ. যৌথ কাজ ঘ. সবগুলো ৯. রাকিব ও রিয়া এবার ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাবে তা নিয়ে বাবা-মার সাথে আলোচনা করেছে। তাদের ঐ আচরণের সাথে মিল রয়েছেÑ ক. স্কুলে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা খ. বাড়িতে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা চ গ. সমাজে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা ঘ. রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা ১০. কোনো কাজ করতে গেলে তুমি নিচের কোনটিকে অধিক কার্যকর মনে কর? ক. শিক্ষকের সিদ্ধান্ত খ. নিজের সিদ্ধান্ত গ. প্রিয় বন্ধুর সিদ্ধান্ত ঘ. দলগত সিদ্ধান্ত চ ১১. পঞ্চম শ্রেণিতে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিটি তুমি সমর্থন করবে? ক. শিক্ষকের মতে নির্বাচন খ. একজনের মতে নির্বাচন গ. গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনচ ঘ. ইচ্ছেমত নির্বাচন ১২. তোমার শ্রেণিতে নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত বেশি উপযোগী বলে মনে কর? ক. অধিকাংশের মতামত চ খ. শিক্ষকের নিজস্ব পছন্দ গ. মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া ঘ. দুষ্ট শিক্ষার্থী হওয়া চ ১৩. আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কোনটি? ক. সংবিধানচ খ. গণতন্ত্র গ. সমাজতন্ত্র ঘ. রাজতন্ত্র ১৪. আমরা গণতান্ত্রিক আচরণ করব কেন? ক. নিজের স্বার্থের জন্য খ. কোনো উদ্দেশ্যে নয় গ. স্বৈরাচারী শাসনের জন্য ঘ. গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য চ ১৫. আমরা বাড়িতে যেকোনো কাজে কী রকম মনোভাব দেখাব? ক. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ খ. একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব গ. তাচ্ছিল্যের মনোভাব ঘ. কোনোটিই নয় ১৬. আমরা বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত কীসের ভিত্তিতে গ্রহণ করব? ক. নিজস্ব মতের ভিত্তিতে খ. বন্ধুদের মতের ভিত্তিতে গ. আত্মীয়স্বজনের মতের ভিত্তিতে ঘ. অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে চ ১৭. শ্রেণিনেতাকে আমরা বিভিন্ন কাজে সহায়তা করব কেন? ক. আমাদের সহপাঠী খ. আমাদের নির্বাচিত নেতা চ গ. লেখাপড়ায় ভালো ঘ. শিক্ষক পছন্দ করেন ১৮. তোমাদের শ্রেণিতে লায়লা দলনেতা নির্বাচিত হয়েছে, এ ক্ষেত্রেÑ ক. অধিকাংশ শিক্ষার্থী লায়লাকে দলনেতা বানাতে চেয়েছে চ খ. অন্য কেউ দলনেতা হতে চায়নি গ. শিক্ষক লায়লাকে বেশি পছন্দ করেন ঘ. লায়লা জোর করে দলনেতা হয়েছে ১৯. সবার মতকে সম্মান করা এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কীসের মূলকথা? ক. রাজতন্ত্রের খ. নিয়মতন্ত্রের গ. সমাজতন্ত্রের ঘ. গণতন্ত্রের চ ২০. স¤প্রতি তোমার ক্লাসে শ্রেণিনেতা নির্বাচন হয়েছে। শ্রেণিনেতা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট যে পেয়েছে তাকে কী করা হলো? ক. প্রধান শ্রেণিনেতা চ খ. দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা গ. অবহেলা করা ঘ. এড়িয়ে চলা ২১. ঝিনুর, মা, বাবা ও ভাইয়া সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আগামী শীতকালীন ছুটিতে তারা কক্সবাজার বেড়াতে যাবে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনটিকে সমর্থন করছে? ক. তাদের বাড়িতে গণতন্ত্রের চর্চা হয় চ খ. গণতন্ত্র সমর্থন করে না গ. সবাই নিজের মত

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর। উত্তর : সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো : ১. সবাই মিলেমিশে থেকে সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে রাখা। ২. সমাজে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ (যেমন : রাস্তাঘাট, পুল-সেতু, যানবাহন, গাছপালা, খেত, পুকুর, পার্ক, ক্লাব ইত্যাদি) সংরক্ষণ করে রাখা। ৩. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন ও আচার-আচরণ মেনে চলা। ৪. সমাজের শান্তি নষ্ট হয়- এ ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকা। প্রশ্ন \ ২ \ রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ কর। উত্তর : নাগরিক হিসেব রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তার মধ্যে চারটি উল্লেখযোগ্য কর্তব্য হলো : ১. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা : নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা আমাদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। আমরা রাষ্ট্রের শাসন মেনে চলব। ২. আইন মেনে চলা : দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে সরকার আইন প্রণয়ন করে। এসব আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য। ৩. নিয়মিত কর প্রদান : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজ করে। তাই নিয়মিত কর দেওয়া নাগরিকদের কর্তব্য। ৪. ভোটদান : ভোট দেওয়া নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমাদের দেশে ১৮ বছর বয়স হলে নাগরিকরা ভোট দিতে পারে। ভোটের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রের শাসনকাজে অংশগ্রহণ করে। প্রশ্ন \ ৩ \ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জামের নাম লিখ। উত্তর : প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের চারটি সরঞ্জাম হলো : ১. জীবাণুনাশক ঔষুধ। ২. কাঁচি। ৩. তুলা। ৪. টেপ।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অপরিচিত মানুষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : আমাদের অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। অপরিচিত কেউ কোনো কিছু খেতে দিলে খাওয়া উচিত নয়। যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি কোথাও যাওয়া বা খাওয়ার জন্য জোর করে তাহলে আশেপাশের লোকদের জানানো উচিত। বাড়িতে অপরিচিত লোকদের ডাকে পরিচয় না জেনে ঘরের দরজা না খোলা। তাহলে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : বাড়িতে নিরাপদে থাকার জন্য আমাদের নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন : দা, ছুরি, কাঁচি দিয়ে যাতে হাত, পা না কাটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন থেকে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে কেউ যাতে ভুল ওষুধ ও কীটনাশক না খেতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। গ্যাসের চুলা থেকে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মাটির চুলা থেকে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে, চুলার আগুন নিভিয়ে রাখতে হবে। প্রশ্ন \ ৩ \ রাস্তায় কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে সম্পর্কে তোমার বন্ধুকে কী বলবে? উত্তর : রাস্তায় দিন দিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে যা করা উচিত তা হলো : একটু কষ্ট হলেও হেঁটে ওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার উপর আড়াআড়ি সাদা দাগকে জেব্রাক্রসিং বলে। এ জেব্রাক্রসিং দিয়ে দু’পাশে ভালো করে দেখে নিয়ে রাস্তা পার হওয়া উচিত। রাস্তার মাঝখান দিয়ে না হেঁটে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটা উচিত। ট্রাফিক নিয়ম মেনে রাস্তায় চলাচল করা উচিত।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার সময় তোমার একজন বন্ধু সামান্য আঘাত পেয়েছে। তুমি তখন কী করবে? ক. তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবচ খ. তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব গ. শিক্ষককে বিষয়টি জানা ঘ. তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব ২. অপরিচিত ব্যক্তি তোমাকে কিছু খেতে দিলে তুমি কী করবে? ক. ছোট ভাইকে নিয়ে খাব খ. কৌশলে এড়িয়ে যাব চ গ. খাবারটি অন্য শিশুকে দেব ঘ. বন্ধুদেরকে নিয়ে খাব ৩. বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ব্যবহারে আমাদের যতœশীল হওয়া প্রয়োজন কেন? ক. এটি আমাদের দায়িত্বচ খ. শিক্ষককে খুশি করার জন্য গ. পিতামাতাকে খুশি করার জন্য ঘ. শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য ৪. তোমার বয়স ১০ বছর। আর কত বছর পর তুমি ভোট দিতে পারবে? ক. ৬ খ. ৭ গ. ৮ চ ঘ. ৯ ৫. স্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে তোমার বোন গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তুমি কী করবে? ক. ঝাঁড়ফুক দেয়া লোকের কাছে নিয়ে যাব খ. আমি নিজেই তার চিকিৎসার চেষ্টা করব গ. তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব ঘ. প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তারের কাছে নেব চ ৬. তোমার এক সহপাঠী স্কুলে টিফিন আনতে ভুলে গেছে। তুমি কী করবে? ক. তাকে প্রতিদিন টিফিন আনতে বলব খ. নিজ টিফিন তার সাথে ভাগ করে খাব চ গ. নিজ টিফিন খেয়ে নেব ঘ. বিষয়টি এড়িয়ে যাব ৭. রাস্তা পারাপারের জন্য আইন মেনে চলার প্রধান কারণÑ ক. যানজট এড়ানো খ. দুর্ঘটনা এড়ানো চ গ. জরিমানা এড়ানো ঘ. দ্রæত রাস্তা পার হওয়া ৮. তুমি ও তোমার ছোটভাই বাড়িতে বসে আছ, সে সময়ে তোমার ছোটভাই এর ডায়রিয়া শুরু হলো। তুমি সর্বপ্রথম কী করবে? ক. হাসপাতালে নিয়ে যাব খ. ওরস্যালাইন খেতে দেব চ গ. প্রতিবেশীদের খবর দেব ঘ. পিতামাতাকে খবর দেব ৯. তোমার প্রতিবেশী একজন মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে অসুস্থ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এখন তুমি কী করবে? ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. সাহায্যের উদ্যোগ নেব চ গ. শিক্ষকের সাহায্য চাইব ঘ. নিজ বাড়িতে নিয়ে আসব ১০. তোমার একজন বন্ধু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় তোমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। তুমি কী করবে? ক. তাকে বকা দেব খ. তাকে ঈর্ষা করব গ. তাকে বিদ্রƒপ করব ঘ. তাকে অভিনন্দিত করব চ ১১. একজন নাগরিক কীভাবে শাসন কাজে অংশগ্রহণ করেন? ক. ভোটদানের মাধ্যমে চ খ. শিক্ষা লাভের মাধ্যমে গ. কর প্রদানের মাধ্যমে ঘ. দরিদ্রদেরকে সাহায্য করার মাধ্যমে ১২. প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার প্রধান কারণ হলো ক. আমরা একই এলাকায় বাস করি বলে খ. আমাদের ব্যবহার ভলো হওয়া উচিত বলে গ. তাদের সাথে আমাদের প্রতিদিন দেখা হয় বলে ঘ. আমরা অসুবিধায় পড়লে তারা এগিয়ে আসেন বলে চ ১৩. তোমার বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে একটা সাঁকো ভেঙে গেছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. অন্য বিদ্যালয়ে যাব খ. বড়দের সহায়তায় মেরামত করব চ গ. বিকল্প পথে বিদ্যালয়ে যাব ঘ. মেরামতের জন্য নিজেই অর্থ সংগ্রহ করব ১৪. দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ধরনের লোককে ভোট দেওয়া উচিত? ক. সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি চ খ. ধনী ও নামকরা ব্যক্তি গ. নিজ দলের লোক ঘ. প্রভাবশালী ব্যক্তি ১৫. রাস্তায় চলার সময় একজন অপরিচিত ব্যক্তি চকোলেট দিয়ে তোমার সাথে খাতির জমাতে চাইল। তুমি কী করবে? ক. আমি চকোলেটটি নেব খ. আমি চকোলেটটি নেব না চ গ. আমি চকোলেটটি ফেলে দেব ঘ. আমি চকোলেটি নেব এবং পরে খাব ১৬. তুমি দেশসেবার জন্য তোমাকে প্রস্তুত করতে চাও। সেক্ষেত্রে তোমাকে কীভাবে

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা

অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ নারী নির্যাতনের দুটি কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : নারীরা সমাজে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে। নিচে নারী নির্যাতনের দুটি কারণ তুলে ধরা হলো : ১. নারী নির্যাতনের মূল কারণ হচ্ছে পুরুষের তুলনায় নারীদের বা শিক্ষার হার কম এবং সামাজিক মর্যাদার নিম্নমান। ২. বিভিন্ন কুসংস্কারের কারণে নারীরা নির্যাতিত হয়ে থাকে। প্রশ্ন \ ২ \ নারী নির্যাতনের দুটি কুফল উল্লেখ কর। উত্তর : নারী নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। নারী নির্যাতনের কুফল ব্যাপক। নিম্নে নারী নির্যাতনের প্রধান দুইটি কুফল আলোচনা করা হলো : ১. নারী নির্যাতনের ফলে নির্যাতিত নারীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ২. নির্যাতিত নারী সময়মতো কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ বেগম রোকেয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ। উত্তর : নারী-পুরুষ সমতা ও নারী শিক্ষার বিষয়ে সমাজকে সচেতন করতে বেগম রোকেয়া অসামান্য অবদান রাখেন। নারী শিক্ষার প্রসারে বেগম রোকেয়া ১৯০৫ সালে ভাগলপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মেয়েরা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত? উত্তর : বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেমেয়েকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। জাতির উন্নয়নের স্বার্থে তা জরুরি। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এ বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশ আশানুরূপ। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত ৮১ ঃ ৮৪। প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্ত করে এমন ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত কত? উত্তর : প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুপাত অত্যন্ত আশাপ্রদ। কিন্তু এরপরে বেশ বড় সংখ্যায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত না করেই ঝরে পড়ে। যারা পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয় তাদের সবার ফলাফল আবার ভালো নয়। প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে সমাপ্তকারী ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত অবশ্য সমান সমান ৫০ ঃ ৫০। প্রশ্ন \ ৩ \ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য কী? উত্তর : ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। দৈনন্দিন জীবনের সকল স্তরে নারীর সমতার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বব্যাপী ‘উৎসাহমূলক পরিবর্তন’ এর দাবী জানানো হয়। নারী-পুরুষ পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমতার অনগ্রসরতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসাই নারী দিবসের কাম্য। সুতরাং সমাজে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় কেন? ক. নারীশিক্ষার জন্য খ. নারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য গ. নারীদের চাকরি দেওয়ার জন্য ঘ. নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাসের জন্য চ ২. একই পরিবারে ছেলে এবং মেয়ে সন্তানদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন কেন? ক. উভয়কেই খুশি রাখার জন্য খ. উভয়েই একই পরিবারের সদস্য বলে গ. পরিবারে উভয়েরই সমান অবদান থাকে বলে ঘ. উভয়েরই সমান অধিকার রয়েছে বলে চ ৩. আগের দিনে মেয়েশিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করার কারণ হিসেবে নিচের কোনটি অধিক উপযোগী? ক. রাজনৈতিক বাধা খ. সামাজিক বাধা চ গ. অর্থনৈতিক বাধা ঘ. ধর্মীয় বাধা ৪. আমাদের দেশে কারা শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত? ক. শিশুরা খ. বৃদ্ধরা গ. ছেলেরা ঘ. মেয়েরা চ ৫. জামির ও লোপা একই অফিসে একই পদে চাকরি করে। তাদের সুযোগ সুবিধা একই রকম। এর কারণ হলোÑ ক. নারী অগ্রাধিকার খ. নারী-পুরুষের সমতা চ গ. নারী-পুরুষের বৈষম্য ঘ. পুরুষ অগ্রাধিকার ৬. বেগম রোকেয়ার মতে, নারী জাতির দুঃখদুর্দশা দূর করতে কোনটি অপরিহার্য? ক. পর্দা খ. বিয়ে গ. রান্নাবান্না ঘ. শিক্ষা চ ৭. ছোটবেলা থেকে কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে এভাবে না দেখে কী হিসেবে দেখতে হবে? ক. বন্ধু খ. সহকর্মী গ. ভাইবোন ঘ. মানুষ চ ৮. নারী নির্যাতনের উদাহরণ কোনটি? ক. সংসার করা খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া গ. সংসারের কাজ করানো চঘ. স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা ৯. বর্তমানে নানা উপায়ে যৌতুক আদান-প্রদান করা হয়। যেমন ক. বিয়েতে পণ গ্রহণ খ. স্ত্রীকে চাকরিতে দেওয়া গ. স্ত্রীর নিকট টাকা চাওয়া ঘ. স্ত্রীর অলঙ্কার বিক্রি করা চ ১০. নারী-পুরুষের সমতা বলতে কী বোঝায়? ক. সুযোগ-সুবিধার ভিন্নতা খ. সমান সুযোগ-সুবিধা চ গ. সুযোগ-সুবিধার বণ্টন ঘ. সুযোগ-সুবিধার আনুপাতিক হার ১১. নারী জাগরণের হাতিয়ারস্বরূপ কোনটি? ক. সম্পদ খ. প্রতিভা গ. শিক্ষা চ ঘ. প্রশিক্ষণ ১২. ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকের কত ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন? ক. সাত খ. আট চ গ. নয় ঘ. দশ ১৩. নারী-পুরুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান কমাতে ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কী পালিত হচ্ছে? ক. সামাজিক দিবস খ. অর্থনৈতিক দিবস গ. আন্তর্জাতিক নারী দিবসচ ঘ. অধিকার দিবস ১৪. কোন সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে? ক. ইউনিসেফ খ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চ গ. বিশ্বশ্রম সংঘ ঘ. ইউনিস্কো ১৫. ১৯০৮ সালে কোন শহরে হাজার হাজার নারী শ্রমিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে? ক. লন্ডন খ. নিউইয়র্ক চ গ. বার্লিন ঘ. মস্কো ১৬. বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ অনুযায়ী ছাড়া নারী জাতির দুঃখদুদর্শা দূর হবে না? ক. বিয়ে ছাড়া খ. পর্দা ছাড়া গ. রান্না ছাড়া ঘ. শিক্ষা ছাড়া চ ১৭. আমাদের সমাজে নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণÑ ক. বেকারত্ব ও কুসংস্কার খ. দারিদ্র্য ও অশিক্ষা চ গ. বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহ ঘ. পণপ্রথা ও পর্দা প্রথা ১৮. বিশ্বব্যাপী ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে থেকে পালিত হয়ে আসছে? ক. ১৮৫৭ সাল খ. ১৯০৮ সাল গ. ১৯৭৭ সাল চ ঘ. ১৯৩৭ সাল ১৯. নারী পুরুষের কীসের ব্যবধান কমাতে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস? ক. সামাজিক ও অর্থনৈতিকচ খ. সামাজিক ও রাজনৈতি গ. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঘ. শিক্ষা ও শ্রম ২০. শতবর্ষ আগে এদেশে নারী-পুরুষের অধিকারে বিস্তর ব্যবধান ছিল। সে সময় নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে কে বলে গেছেন? ক. কারা জেটকিন খ. কাজী নজরুল ইসলাম গ. সুফিয়া কামাল চঘ. বেগম রোকেয়া ২১. বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা ধীরে ধীরে শিক্ষার আলো পেতে থাকে? ক. ছেলেরা খ. যুবকেরা গ. বয়স্করা চঘ. মেয়েরা  সাধারণ ২২. “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”Ñউক্তিটি করেছেন? ক. বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন খ. কবি নজরুল ইসলাম চ গ. সুফিয়া কামাল ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৩. কোন দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়? ক. ৮ই জানুয়ারি খ. ৮ই ফেব্রæয়ারি গ. ৮ই মার্চ চ ঘ. ৮ই এপ্রিল ২৪. বেগম রোকেয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন? ক. ১৯২২ খ. ১৯৩২ চ গ. ১৯৪২ ঘ. ১৯৫২ ২৫. জার্মান নারী সমাজতাত্তি¡কের নাম কী? ক. ক্লারা জেটকিন চ খ. কারা জেকসন গ. হিলারী ক্লিনটন ঘ. কারা জাইকা ২৬. একটা সময়ে বিদ্যালয়ে কাদের সংখ্যা কম ছিল? ক. শিক্ষার্থীদের খ. শিক্ষকদের গ. মেয়েদের চ ঘ.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ মানবাধিকার

অধ্যায় ৭ মানবাধিকার  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : অটিজম একটি বিকাশমান সমস্যা। নিচে অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো : ১. কোনো একটি বিশেষ খেলনা বা জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সবসময় সাথে রাখে। ২. তারা কোনো খেলনা নিয়ে না খেলে বরং ওগুলো শক্ত করে ধরে বসে থাকবে, গন্ধ নেবে বা ঘন্টার পর ঘন্টা তার দিকে তাকিয়ে থাকবে। ৩. শিশুটি আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে অতি সংবেদনশীল হবে। প্রশ্ন \ ২ \ শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও। উত্তর : শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরা বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো : ১. অনেক শিশু তাদের পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২. অনেক শিশু খেত-খামারে, ইটের ভাটায়, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করে। যদিও বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে শিশুশ্রম বেআইনি। ৩. শিশুদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়, এটি মানবাধিকারবিরোধী কাজ। প্রশ্ন \ ৩ \ নারী অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও। উত্তর : নারী হচ্ছে সমাজের অর্ধাংশ। আমাদের সমাজে নারীরা বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো : ১. শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায় না। ২. কাজের ক্ষেত্রে যথাযথ পারিশ্রমিক, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা পায় না। ৩. নারীদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ কোন প্রতিষ্ঠান মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে? কখন? উত্তর : জাতিসংঘ সর্বপ্রথম মানবাধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের “সার্বজনীন ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করে। ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ সকলের সমান অধিকার। বিশ্বের সকল দেশের সকল মানুষের এই অধিকারগুলো আছে। এই অধিকারগুলোই মানবাধিকারের অন্তভর্‚ক্ত। প্রশ্ন \ ২ \ শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা কোন অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়? উত্তর : শিশুরা যে যে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তা হলো- ১. শিশু শ্রমিকরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। ২. অনেক ক্ষেত্রে সঠিক মজুরি পায় না। ৩. খাওয়া-দাওয়া, থাকার জায়গা, সুচিকিৎসা, পোশাক থেকে বঞ্চিত হয়। ৪. শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। ৫. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে না। প্রশ্ন \ ৩ \ মানব পাচার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : যদি কোনো ব্যক্তি প্রলোভনের মাধ্যমে কোন শিশু ও নারীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধচক্রের নিকট বিক্রি করে দেয় তখন তাকে মানব পাচার বলে। একটি সংঘবদ্ধচক্র আর্থিক মুনাফার লোভে এ হীন কাজ করে থাকে। পাচারকৃত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। আর শিশুদের উটের জকি অথবা হত্যা করে কিডনি বিক্রয় করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচারের যে অবস্থা লক্ষ করা যায়, সেখানে মানব পাচারের অন্যতম প্রধান দেশ বাংলাদেশ।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. অনেক শিশু বিভিন্ন ধরনের কষ্টকর কাজ করতে বাধ্য হয়। এতে তাদের কোন ধরনের অধিকার ক্ষুণœ হয়? ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. অর্থনৈতিক অধিকার গ. সাংস্কৃতিক অধিকার ঘ. মানবাধিকার চ ২. তোমার পরিচিত সীমা একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। সে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. প্রতিবেশীকে জানাব খ. পুলিশকে জানাব চ গ. বন্ধু-বান্ধবকে জানাব ঘ. শিক্ষককে জানাব ৩. মানবাধিকার বাস্তবায়ন প্রয়োজন কেন? ক. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন খ. নারী পুরুষের সমতা আনয়ন গ. সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা চ ঘ. সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা ৪. করিমের বয়স দশ বছর। সে বিদ্যালয়ে না গিয়ে একটি খামারে কাজ করছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. কিছুই করব না খ. বিদ্যালয়কে জানাব চ গ. আমার বাবা-মাকে জানাব ঘ. তার পরিবারকে কিছু টাকা দিব ৫. জাতিসংঘ “মানবাধিকার ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করেছে কেন? ক. শিশু অধিকার রক্ষা করার জন্য খ. সবার চিকিৎসার অধিকার রক্ষা করার জন্য গ. সবার বাসস্থানের অধিকার রক্ষার জন্য ঘ. সবার মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য চ ৬. তোমার প্রতিবেশী স্বল্প শিক্ষিতা রহিমা তার পারিবারিক প্রয়োজনে কোনো পেশা বেছে নিতে চায়। এক্ষেত্রে তুমি তাকে কী পরামর্শ দিবে? ক. ইটের ভাটায় কাজ করতে খ. পাথর ভাঙ্গার কাজ করতে গ. বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে ঘ. গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতে চ ৭. তুমি দেখতে পেলে একটি শিশুকে নির্জন স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. বন্ধুদের জানাব গ. পালাতে সাহায্য করব ঘ. বড়দেরকে জানাব চ ৮. মনে কর তোমার বাড়িতে একটি কাজের মেয়ে আছে। তুমি তার সাথে কিরূপ আচরণ করবে? ক. তার প্রতি সদয় থাকব চ খ. তাকে কাজে ব্যস্ত রাখব গ. আদেশের সুরে কথা বলব ঘ. পরিশ্রমের কাজ তাকে দিয়ে করাব ৯. তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তার ছেলেরা নির্যাতন করছে। তুমি কী করবে? ক. সরাসরি প্রতিবাদ করব চ খ. বিষয়টি থানায় জানাব গ. অন্য রাস্তায় দিয়ে চলে যাব ঘ. নির্যাতন বন্ধের জন্য বয়স্ক মানুষের সহায়তা নেব ১০. মিসেস নাজনীন তার বাসার কাজের মেয়েকে প্রায়ই মারধর করেন। এর দ্বারা কী ক্ষুণœ হয়? ক. ক্ষমতা খ. যোগ্যতা গ. মানবাধিকারচ ঘ. নিরাপত্তা ১১. গাফফার একজন পাচারকারী, সে রিয়াদকে বিদেশে পাচার করে দিল। এখানে কী লঙ্ঘিত হয়েছে? ক. মানবাধিকার চ খ. শিক্ষার অধিকার গ. বাসস্থানের অধিকার ঘ. সামাজিক অধিকার ১২. জয়নব তার বাসার কাজের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন এবং বাসার সকলেই কাজের মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। জয়নব তার বাসায় কীসের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন? ক. নারী অধিকার চর্চার খ. শিক্ষা অধিকার চর্চার গ. মানবাধিকার চর্চার চ ঘ. সামাজিকতা রক্ষার চর্চা ১৩. চাকরির পরীক্ষায় রিনি প্রথম হলেও নারী বলে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এতে সে কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. মৌলিক অধিকার গ. মানবাধিকার চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার ১৪. রিপনের বয়স এগারো বছর সে হোটেলে কাজ করে। রিপনের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটছে? ক. মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন খ. সাংস্কৃতিক অধিকার লঙ্ঘন গ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন ১৫. বাড়ির কাজে সাহায্যকারী মেয়েকে নির্যাতন-এতে কোন অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে? ক. মানবাধিকার চ খ. ধর্মীয় গ. রাষ্ট্রীয় ঘ. সামাজিক ১৬. রহিমা একটি বাড়িতে কাজ করে। সে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। রহিমার ক্ষেত্রে কোনটি ঘটেছে? ক. সামাজিক অধিকার লঙ্ঘন খ. আইনের অপব্যবহার গ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন ঘ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ১৭. আমাদের দেশের অনেক শিশু বিভিন্ন কারণে লেখাপড়া করতে পারে না। লেখাপড়া না করার জন্য তুমি কোন কারণটি প্রধান বলে মনে কর? ক. দারিদ্র্যের কারণে চ খ. লেখাপড়ার অনীহার কারণে গ. খেলাধুলার কারণে ঘ. বাবা-মার কারণে ১৮. নারী ও শিশু ও পাচার মানবাধিকার বিরোধী। তুমি কোথাও শিশু পাচার করা দেখলে কী করবে? ক. নিজেকে লুকিয়ে রাখব খ. অন্যদের জানাব চ গ.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ মানবাধিকার Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ

অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : দুর্যোগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক কারণ হলো : ১. প্রাকৃতিক অবস্থান এবং ২. জলবায়ুর পরিবর্তন। প্রশ্ন \ ২ \ দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : মানবসৃষ্ট দুর্যোগের দুটি কারণ হলো : ১. নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেললে নদীভাঙন দেখা দেয়। ২. কলকারখানার মাধ্যমে বায়ু দূষণের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়। প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ হলো : ক. গাছপালা কাটার কারণে বন-জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া। খ. কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া। গ. নদী ধ্বংস হওয়া।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে নদী ভাঙনের প্রবণতা রয়েছে? কেন? উত্তর : বাংলাদেশ নদ-নদীর দেশ হওয়ায় এদেশের অনেক জায়গাতেই নদীভাঙনের প্রবণতা দেখা যায়। এদেশের প্রধান নদী পদ্মা, যমুনা ও মেঘনাসহ ৭৫টি নদীতে নিয়মিত নদীভাঙন ঘটে থাকে। যমুনা, মেঘনা ও পদ্মা নদী তীরের ভাঙন সর্বাধিক এবং এ নদীগুলোর ক্রমাগত ভাঙনে সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা শহর দুটি বিপদাপন্ন। এ অঞ্চলগুলোতে বন্যার ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা ভাঙনের শিকার হয়। নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে নদী দ্রæতবেগে ছুটে চলে এবং প্রশস্ত আঁকাবাঁকা নদীতে বেশি ভাঙন ঘটে। প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে খরা বেশি হয়? উত্তর : দীর্ঘসময় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে অবস্থা তাকে খরা বলে। আমাদের দেশের কোনো কোনো অঞ্চল খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। তাছাড়া এসব অঞ্চলে অল্পসংখ্যক নদী থাকার কারণে খরার প্রবণতা বেশি। দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে খরা হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলো ভ‚মিকম্পপ্রবণ? উত্তর : ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্পের নিশ্চিত ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল অধিক ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল তুলনামূলক কম ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। বাংলাদেশের পূর্বাংশে রয়েছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং এ পাহাড়গুলো বেলেপাথর, সেলপাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত। গঠনগত কারণে এ অঞ্চলে ভ‚মিকম্পের প্রবণতা বেশি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. তুমি এবং তোমার ছোট বোন ঘরের মধ্যে অবস্থান করছ। সে সময় হঠাৎ গৃহে আগুন লেগে গেল। তোমরা সর্বপ্রথম কোন কাজটি করবে? ক. ঘর থেকে বের হয়ে যাব  খ. আগুন নেভানোর চেষ্টা করব গ. অগ্নি নির্বাপক বাহিনীকে খবর দেব ঘ. সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদেরকে ডাকব ২. তুমি বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বসে আছ। হঠাৎ ভ‚মিকম্প শুরু হলো। তুমি তখন কী করবে? ক. নিজ আসনে বসে থাকব খ. বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নেব  গ. শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাব ঘ. নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা শুরু করব ৩. কীসের অভাবে খরা হয়? ক. বাতাস খ. পানি  গ. গবাদি পশু ঘ. ফসল ৪. আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেল তোমার এলাকায় একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. নিজ ঘরে থাকব খ. আশ্রয়কেন্দ্রে যাব  গ. প্রতিবেশীদের বাড়িতে যাব ঘ. আত্মীয়ের বাড়িতে যাব ৫. বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে গেলে নিচের কোনটির ওপর প্রভাব পড়বে? ক. নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি খ. বহু মানুষ গৃহহীন হবে  গ. লবণ উৎপাদন বাড়বে ঘ. মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে ৬. গত বর্ষায় রিনাদের গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই দুর্যোগের প্রধান কারণ কী ছিল? ক. টর্নেডো খ. গাছ কাটা গ. সাইক্লোন ঘ. তীব্র বন্যা  ৭. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কত শতাংশ এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে? ক. ১৮ খ. ২০  গ. ২৫ ঘ. ৩০ ৮. ভ‚মিকম্পের সময় ঘরের কোথায় অবস্থান করা আমাদের জন্য নিরাপদ? ক. ব্রিজের নিচে খ. গাছের নিচে গ. ঘরের কোণে ঘ. গাড়ির ভিতর ৯. সিলেট বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল অঞ্চল। এর কারণ হলো- ক. প্রচুর গাছপালা  খ. অনেক পাহাড় গ. অসংখ্য হাওর ঘ. অজস্র প্রতিত জমি ১০. ইমন জলবায়ু সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরি করতে চাইলে কত বছরের বেশি সময়ের গড় আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে হবে? ক. ২০-৩০ বছরের খ. ৩০-৪০ বছরের  গ. ৫০-৬০ বছরের ঘ. ৪০-৬০ বছরের ১১. গত ১২ই ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রামে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এক কম্পনে হাজারবাগে একটি দোতলা দালানে ফাটল ধরে। এ কম্পনকে কী বলে? ক. অগ্ন্যুৎপাত খ. ভ‚মিকম্প  গ. আকস্মিক পরিবর্তন ঘ. ধীর পরিবর্তন ১২. বর্তমান হারে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এর কী প্রভাব পড়বে? ক. গাছপালা ও প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে খ. ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে গ. পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাবে ঘ. নিম্নাঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে যাবে  ১৩. বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর যথার্থ কারণ হিসেবে নিচের কোনটি সঠিক? ক. বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে খ. জলধারগুলো ভরাট করা গ. তাপমাত্রা বেড়ে বরফ গলে যাচ্ছে  ঘ. নদী ভাঙন হওয়া ১৪. তুমি যদি গাছ না লাগিয়ে শুধু গাছ কেটে ফেল, তাহলে কেনটি ঘটবে বলে তুমি মনে কর? ক. বন্যা খ. অতিবৃষ্টি গ. খরা  ঘ. ঘূর্ণিঝড় ১৫. পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ানের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। বছরের কোনো এক সময় দেখা গেল চাপকল দিয়ে পানি ওঠানো যাচ্ছে না। কী কারণে পানি ওঠানো যাচ্ছে না? ক. মাটির আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় খ. ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায়  গ. জলাবদ্ধতা ঘ. ভ‚গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূূষণ ১৬. রতনদের বাড়ি দিনাজপুর। তাদের এলাকায় মারাত্মক দুর্যোগ কোনটি? ক. খরা  খ. নদীভাঙন গ. জলোচ্ছ¡াস ঘ. ঘূর্ণিঝড় ১৭. অনেক সময় উঁচু রাস্তা বা বাঁধের উপর মাচা বানিয়ে অনেক পরিবার বাস করে কেন? ক. বন্যার কারণে  খ. খরার কারণে গ. দুর্ভিক্ষের কারণে ঘ. মহামারীর কারণে ১৮. ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হলে তুমি কী করবে? ক. ঘরে বসে থাকব খ. গাছের নিচে আশ্রয় নেব গ. পুরোপুরি শান্ত থাকব  ঘ. ছোটাছুটি করব ১৯. গত বর্ষায় রেহানাদের পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এটির কারণ কী? ক. ঘূর্ণিঝড় খ. মারাত্মক বন্যা  গ. জলোচ্ছ¡াস ঘ. গাছপালা কাটা ২০. বিপুল উত্তরাঞ্চলে বাস করে। উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি মারাত্মক দুর্যোগ হলোÑ ক. ভ‚মিকম্প খ. খরা  গ. বন্যা ঘ. নদীভাঙন ২১. তুমি হঠাৎ করে অনুভব করলে ভ‚মিকম্প হচ্ছে। এক্ষেত্রে তোমার করণীয় কী? ক. শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিব  খ. ছুটোছুটি করে বাইরে বের হব গ. আলমারি বা জানালার কাছে দাঁড়াব ঘ. দালানের নিচে গিয়ে আশ্রয় নিব ২২. ভ‚মিকম্পের সময় তুমি বিছানায় থাকলে কী করবে? ক. ওঠে দৌড় দিবে খ. আলমারির কাছে যেতে হবে গ. টেবিলের উপরে বসতে হবে ঘ. বালিশের নিচে মাথা দেবে  ২৩. বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। নিচে কোনটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলে তুমি মনে কর? ক. বন-জঙ্গল ধ্বংস করা

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা

অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ পরিবারের উপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ কর। উত্তর : পরিবারের উপর অধিক জনসংখ্যার প্রধান তিনটি প্রভাব উল্লেখ করা হলো : ১. খাদ্য : পরিবারে অধিক জনসংখ্যা হলে সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ২. বস্ত্র : পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হলে বাবা-মা অনেক সময় সব সন্তানদের প্রয়োজনীয় কাপড় কিনে দিতে পারেন না। ৩. বাসস্থান : পরিবারে অধিক জনসংখ্যা হলে সবার জন্য পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং গাদাগাদি করে থাকতে হয়। প্রশ্ন \ ২ \ সমাজের উপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ কর। উত্তর : সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব পড়ে। যেমন : শিক্ষা : অধিক জনসংখ্যার কারণে সমাজে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে সমাজের মানুষ হয় অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন। স্বাস্থ্য : অধিক জনসংখ্যার ফলে সমাজে স্বাস্থ্যসেবা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। উপরন্তু চিকিৎসক সংখ্যা লোকের তুলনায় কম থাকে। পরিবেশ : কোনো সমাজে অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মানুষ গাছপালা কেটে বাড়িঘর তৈরি করে, অধিক ফসল ফলাতে গিয়ে জমিতে প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে। এতে পুকুর ও নদীর পানি দূষিত হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ জনসংখ্যা সমস্যার তিনটি সমাধান লেখ। উত্তর : জনসংখ্যা সমস্যার তিনটি সমাধান : ১. শিক্ষার প্রসার : শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জীবনযাত্রার মান উঁচু রাখার জন্য পরিবারের জনসংখ্যা সীমিত রাখে। এভাবে শিক্ষা জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে। ২. বহুমুখী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুটির শিল্প স্থাপন, পশুপালন ও মৎস্য চাষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে জনসংখ্যার চাপ লাঘব করা যায়। ৩. পরিকল্পিত পরিবার কর্মসূচি বাস্তবায়ন : শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে, সচেতনতা সৃষ্টি করে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি জনপ্রিয় করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা যায়।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ কীভাবে উপকৃত হতে পারে? উত্তর : অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। যথা- ক. উপযুক্ত খাদ্য পাবে এবং কাউকে না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে না। খ. অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টিকর খাবার পাবে। গ. বেকারত্ব দূর হবে। ঘ. অধিক খাদ্য উৎপাদন হলে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ঙ. সর্বোপরি মানসম্মত জীবনযাপন করবে। প্রশ্ন \ ২ \ শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? উত্তর : শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারি। যথা : ক. দক্ষ জনসম্পদ রপ্তানি করতে পারলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। খ. প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। গ. বেকারত্ব হ্রাস পাবে। ঘ. শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে, দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ঙ. দেশের সুনাম ছড়াবে। প্রশ্ন \ ৩ \ কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? উত্তর : কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারি। যথা : ক. কৃষিকাজে কারিগরি প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারি। খ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প কারখানার ব্যাপক উন্নতি সাধন করে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে উপকৃত হতে পারি। গ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন যন্ত্র ও কৌশল আবিষ্কার করে উৎপাদন বাড়ানো যায়। ঘ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবনযাপন সহজ ও আরামদায়ক হয়।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যাকে জনসস্পদে রূপান্তরের জন্য তুমি কী পরামর্শ দিবে? ক. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের খ. খাদ্য সমস্যা সমাধানের গ. বাসস্থান নিশ্চিতকরণের ঘ. স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ২. জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার প্রয়োজন কেন? ক. ভৌগোলিক উন্নয়নের জন্য খ. অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ. প্রাকৃতিক উন্নয়নের জন্য ঘ. জাতিগত উন্নয়নের জন্য ৩. বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তুমি কোনটি রপ্তানির পরামর্শ দিবে? ক. জনসম্পদ খ. মৎস্যসম্পদ গ. বনজসম্পদ ঘ. খনিজসম্পদ ৪. কোনো একটি দেশ দিন দিন উন্নত হচ্ছে জনসংখ্যার কল্যাণে। কখন জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হয়? ক. যখন জীবনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে খ. যখন দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গ. যখন শিক্ষাগ্রহণ করা হয় ঘ. যখন মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে ৫. পরিবেশের উপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব নিচের কোনটিতে প্রকাশ পায় না? ক. বনের গাছপালা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ খ. কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার গ. মৌলিক চাহিদার ওপর জীবনযাত্রার মান নির্ভরশীল ঘ. ভ‚গর্ভের পানি সেচ কাজে ব্যবহার ৬. জাকারিয়া একজন কৃষিবিদ, তিনি তার জমিতে অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন এর ফলে কী ক্ষতি হবে? ক. পানি দূষিত হবে খ. মাটির উর্বরতা কমে যাবে গ. ফসল উৎপাদন কমবে ঘ. বায়ু দূষিত হবে ৭. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান অত্যাবশ্যক। নিচের কোনটি বৃদ্ধিতে এগুলোর অভাব পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে? ক. জনসংখ্যা খ. রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ. প্রাকৃতিক সম্পদ ঘ. সামাজিক সম্পদ ৮. মিম পরিবারের আয়মূলক কাজ করায় বিদ্যালয়ে যায় না। এ কারণে সে কোনটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? ক. বস্ত্র খ. শিক্ষা গ. চিকিৎসা ঘ. বাসস্থান ৯. আব্দুস সাত্তার তার সাত সন্তানের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। এর মূল কারণ হলো ক. চাহিদা বেশি খ. শিক্ষার অভাব গ. বুদ্ধির অভাব ঘ. সদস্যসংখ্যা বেশি ১০. দেশে সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনটি অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত? ক. শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়া খ. জনসংখ্যার হার বেড়ে যাওয়া গ. সম্পদের সীমাবদ্ধতা ঘ. অপর্যাপ্ত জনসংখ্যা ১১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ গাছপালা কেটে বাড়িঘর তৈরি এবং জীবিকা নির্বাহ করছে। এর ফলাফল হিসেবে কী ঘটছে? ক. কৃষি জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে খ. জীবনমান উন্নত হচ্ছে গ. ঘূর্ণিঝড় কমে যাচ্ছে ঘ. পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে ১২. শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা কম। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কম হওয়ার জন্য তুমি কোনটিকে বেশি দায়ী করবে? [উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাক] ক. শিক্ষার প্রতি অনাগহ খ. মানুষের জীবনযাত্রার মান কম গ. অতিরিক্ত জনসংখ্যা ঘ. অশিক্ষিত বাবা-মা ১৩. আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। এর ফলে আমাদের দেশের জন্য কী হবে? [উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা] ক. মানুষের লেখাপড়ায় আগ্রহ কমবে খ. বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে গ. মানুষের জীবনযাত্রার মান কমবে ঘ. বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে ১৪. রতনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় সে ঠিকমতো খেতে পায় না। এ কারণে সে প্রায় অসুস্থ থাকে। তার অসুস্থতার কারণ কী? ক. পুষ্টির অভাব খ. স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাব গ. বাসস্থানের অভাব ঘ. চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ১৫. তোমার মতে, গ্রামের লোকদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে কী দরকার? ক. সুষ্ঠু পরিকল্পনা খ. ইচ্ছামতো কাজ করা গ. চাকরিতে নিয়োগ বৃদ্ধি ঘ. অধিক পরিবার গঠন ১৬. তোমার মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপাদান কোনটি? ক. জনসম্পদ

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা Read More »

Scroll to Top