অ্যাসাইনমেন্ট

৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

তোমরা যারা ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৩য় সপ্তাহ ২০২১ খুঁজছিলে তাদের জন্য নিয়ে এলাম সেই কাঙ্খিত এসাইনমেন্টটি। অর্থনীতি নবম শ্রেণির এসাইনমেন্টটি উত্তর তোমাদের খুবই উপকারে আসবে বলে আশা করছি। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ তোমাদের লিখতে একটু কষ্ট হতে পারে কারণ এটি একটু বড় হবে। তোমাদের ৩০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলেছে। কিন্তু এটা ৩০০ শব্দের মধ্যে লেখা আসলেই অসম্ভব একটা ব্যপার। ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্টটি ছোট করে লেখার চেষ্টা করা হলো। নবম শ্রেণির অর্থনীতে এসাইনমেন্টটি লেখার আগে তোমরা অবশ্যই অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ে নিবে। প্রশ্ন পড়া ছাড়া ভালো উত্তর করা যায় না। আর ভালো উত্তর করেতে না পরলে তোমরা মূল্যায়নে অতি উত্তম পাবেনা। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৩য় সপ্তাহ ২০২১ অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণি ৩য় সপ্তহ লেখার সময় তোমরা কিছুটা পরিবর্তন করে লিখতে পার। কারণ প্রত্যেকেই এই অ্যাসাইনমেন্টটি দেখছে ও লিখছে। তাই তোমাদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে ৯ম শ্রেণি অর্থনীতি এসাইনমেন্টটি লেখার সময় তোমার মনের মত করে লিখতে পারো। ৩য় সপ্তাহ ২০২১ এর ৯ম শ্রেণির আরো কয়টি অ্যাসাইনমেন্ট হচ্ছে ৯ম শ্রেণির গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১। কিন্তু তোমরা যারা মানবিক বিভাগে পড় এবং অর্থনীতি বিষয়টা বেছে নিয়েছো শুধুমাত্র তারাই এই ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ লিখবে। আরো পড়ুনঃ ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর ২০২১ সকল শ্রেণি সকল বিষয়।  ৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণীর গণিত অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১। Table Of Contents নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন নিচে অর্থনীতে অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ৩য় সপ্তাহের প্রশ্নগুলো দেখে নাও। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ অর্থনীতে অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ***আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতির কার্যকর ভূমিকা।*** সুচনাঃ অর্থনীতি একটি গতিশীল বিষয় । এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে । অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল এর ভাষায়-”অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলী আলোচনা করে।” অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয় মানুষের অর্থ উপার্জন এবং অভাব মোচনের জন্য সেই অর্থের ব্যয়। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন । মানুষ কিভাবে অর্থ উপার্জন করে এবং তা বিভিন্ন অভাব মোচনে ব্যয় করে তাই অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়। অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ম্যানকিউয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তকে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতির কথা বলা হয়েছে । এগুলো হলো- ১। মানুষকে পেতে হলে ছাড়তে হয়: পছন্দমতো কোনো কিছু পেতে হলে আরেকটি পছন্দের জিনিস ছেড়ে দিতে হয় । যেমন: আমি যদি অবসর সময়ে খেলাধূলা করি তাহলে বাড়িতে বসে টিভি দেখতে পারব না । ঠিক তেমনি কোনো রাষ্ট্র যদি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বেশি করে তাহলে এ দেশের জনগণের জীবিকা নির্বাহে ব্যয় কমাতে হবে । ২। সুযোগ ব্যয় : সম্পদের লীমাবদ্ধতার কারণে মানুষকে তার পছন্দের জিনিসের মধ্যে বাছাই করতে হয়। আমাদের দেশে অনেক পথ-শিশু আছে যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য ফেরি করে বেড়ায় । কিন্তু তাদেরও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তাদের স্কুল ত্যাগ করা হচ্ছে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ ব্যয়। ৩। যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক পর্যায় নিয়ে চিন্তা করে: মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে। ধরি, কেউ একটি বিষয়ে A পেল । তার মনে হবে আরেকটু পড়লেই A+ পাওয়া যেত। মানুষ প্রান্তিক সুবিধা-অসুবিধার কথাও ভাবে । কেউ যদি পর পর তিনটি কলা খায়, তিন নম্বর কলাটি হচ্ছে প্রান্তিক কলা । প্রান্তিক কলা খেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, তার নাম প্রান্তিক উপযোগ । প্রান্তিক বা তিন নম্বর কলাটি পেতে সে যত টাকা ব্যয় করবে, তার নাম প্রান্তিক ব্যয়। যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক কলাটি তখনই খাবে, যখন প্রান্তিক উপযোগ প্রান্তিক ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। ৪ । মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়ঃ প্রতিটি কাজের জন্য উৎসাহ বা প্রণোদনা গুরুতৃপূর্ণ ভূমিকা রাখে । রনির বাবা যদি রনিকে বলে পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫ পেলে রনিকে সাইকেল কিনে দেবেন । তাহলে তার ভেতরে পড়াশোনা করার উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে । তেমনি অর্থনীতিতে শ্রমিক প্রণোদনা পেলে বেশি উৎপাদন করে । ৫। বাণিজ্যে সবাই উপকৃত হয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র সস্তায় গাড়ি তৈরি করে, তবে আমাদের রয়েছে সস্তায় পোশাক তৈরির সামর্থ । এখন আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নঙ্গে সস্তা পোশাকের বিনিময়ে দস্তা গাড়ির বাণিজ্য করি তাহলে আমাদের উভয়েরই লাভ হবে। ৬। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য সচরাচর বাজার একটি উত্তম পন্থা: অর্থনৈতিক কাজকর্ম সচরাচর সংগঠিত হয়ে থাকে বাজারব্যবস্থার মাধ্যমে ৷ ফার্ম ও পরিবারসমূহের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলেই কোনো দ্রব্যের দাম নির্ধারিত হয়। ফার্মের মালিকরা বাজারের চাহিদা দেখে দ্রব্য সরবরাহ করে এবং ক্রেতা তাদের আয় ও প্রয়োজন অনুসারে সেই দ্রব্য ক্রয় করে। $ads={1} ৭। সরকার কখনও কখনও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে: বাজার ব্যবস্থা সাধারণত নানা ধরনের স্বতঃস্ফুর্ত চাহিদা ও সরবরাহের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে । বাজার ব্যবস্থা নির্দিষ্ট একজনের বদলে বহুজনের সম্মিলিত অদৃশ্য হাতের ইশারায় চলে । নানা কারণে অদৃশ্য হাত সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ে । বাজারের হাত অদৃশ্য হলেও সরকারের হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান থাকে। ৮। একটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে সে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষমতার উপর: যেসব দেশের মানুষের দ্রব্য ও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় । উন্নত দেশসমূহের মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি বলে তাদের মাথাপিছু আয় ‘অনেক বেশি । অন্যদিকে কম উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত । ৯। যখন সরকার অতি মাত্রায় মুদ্রা ছাপায়, তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়: অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বেশি হলে মূদ্রাস্ফীতি হয়ে থাকে । সরকার যখন  অধিকমাত্রায় মুদ্রা ছাপায় তখন এ দেশে মূদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । ফলে অর্থের মূল্য বা মান কমে যায়। ৫০০ টাকার সামগ্রী পেতে হয়তো ৬৫০ টাকা খরচ করতে হয়। $ads={2} ১০। সমাজে মূদ্রাস্ফীতি এবং বেকারতেের মধ্যে স্বল্পকালীন বিপরীত সম্পর্ক বিরাজ করে: দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ার অবস্থাকে মূদ্রাস্ফীতি বলে । আর কোনো শ্রমিক বাজার মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক কিন্তু কাজ পায় না-এরা হলো বেকার । সাধারণত অর্থনীতিতে মূদ্রাস্ফীতি কমলে বেকারত্ব বাড়ে । আবার মূদ্রাস্ফীতি বাড়লে বেকারত্ব কমে । আমাদের জীবনের নীতিগুলোর প্রভাব: উপরের নীতিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির মৌলিক নীতিলমূহ যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। যেমন আমাদের অসীম অভাব আর সীমিত সম্পদের কারণে একই সাথে একাধিক অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়না । একটি সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে অন্যটি বর্জন করতে হয়। চিনির মুল্য বেড়ে গেলে একই সাথে আমরা চা খাওয়া বন্ধ করে দিই অথবা বিকল্প কিছু খুজে নিই । আমরা ততক্ষণ পর্যশ্ত পরিশ্রম করি যতক্ষণ বিনিময়ে কিছু পেয়ে থাকি । যে দ্রব্যের উপযোগিতা কম, আমরা সেই দ্রব্যের প্রতি আগ্রহ কম বোধ করি । কেউ উৎসাহ প্রদান করলে সেই কাজ আমরা আগ্রহ সহকারে করি । কাউকে কিছু প্রদান করলে তার কাছ থেকেও কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করি ।

৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ Read More »

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান শিরোনামঃ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আরো পড়ুনঃ  ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১  সকল শ্রেণি সকল বিষয় আরো পড়ুনঃ ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ ২০২১ উত্তর। (৮ম) অষ্টম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান ১ম সপ্তাহের সকল গ্রিড ও এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান ২০২১ (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ (প্রশ্ন ও সমাধান) (সপ্তম) ৭ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ১ম সপ্তাহ ২০২১ class 7 bangla assingment (৬ষ্ঠ) ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম অ্যাসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান অষ্টম শ্রেণির ইসলাম এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহ ২০২১ সমাধান ৭ম শ্রেণির ইসলাম  এসাইনমেন্ট উত্তর ১ম সপ্তাহ ২০২১ ৮ম শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের প্রশ্ন দেখুন।   বাড়ির কাজ : (নমুনা প্রশ্ন) প্রশ্ন: ০১ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যে সব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলো সাজিয়ে লিখ। অ্যাসাইনমেন্ট শুরু উপস্থাপনা:স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের মানুষও তাদের কল্যানের জন্য ব্যয় করেছেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘবদ্ধ করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম ।প্রত্যেক বাংলাদেশীর জান্য জাতির পিতা জীবন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা অপরিহার্য। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়েছিলেন নানা রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তিনি তো থামেননি ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক মেশিনগানের হুমকির মুখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দিন ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো: সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা, নিজ ভুমিকা ও অবস্থান ব্যাখ্যা,  পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতির ভূমিকার উপর আলোকপাত, সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহ্বান, অত্যাচার ও সামরিক বাহিনীর হুমকি; দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব-পাকিস্তানের হরতাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা এবং নিগ্রহ আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান, মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। যথা:- ১. প্রথমে মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে। ২. সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে। ৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে।আর ৪. জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ভূমিকা ও নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা: স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনে তরুণ সমাজকে এঁক্যবদ্ধ করতে ১৯৪৮ সালে ৪ঠা জানুয়ারি শেখ মুজিব গঠন করলেন ছাত্রলীগ নামের এক অপরাজেয় ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন আওয়ামীলীগ কারাগারে বন্দি২৯ বছরের শেখ মুজিবকে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর যত সময় গিয়েছে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। প্রাণপুরুষ ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প বাণিজ্য দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাঙালি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৫৭ সালে মন্ত্রির দায়ীত্ব ছেড়ে দেন শেখ মুজিব। সামরিক আইন প্রত্যাহারের আহবান: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মার্চ অসহযোগ আন্দলোনের ডাক দেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণে জনগণকে মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। নির্বাচন বন্ধের হুমকি : বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এক ধরনের অন্যায়.আবিচারের বিরুদ্ধে বর্জ্র কণ্ঠে ঘোষণাপত্র। এই অন্যায় অবিচার বন্ধ করার জন্য যা কেবল একাত্তরেই নয় বর্তমান সময় ও আমাদের অনুপ্রাণিত উজ্জীবিত করেছেন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্বাচনী ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর আগমন আমাদের এদেশে এমন এক সময় হয়েছিল যখন আসলেই আমাদের একজন নেতার প্রয়োজন ছিলো। তার ঐ জ্বালাময়ি ভাষণটা ছিলো আমাদের মুক্তির পথের দিশারী। উপসংহারঃ আমৃত্যু বাঙালি তথা বাংলাদেশের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে যাওয়া মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ তার শাসনকালে আদৌ সোনার বাংলা হয়ে উঠতে পেরেছিল কিনা তা বিচার্য নয়। বিচার্য এই যে সারা জীবন তিনি রাজনৈতিকভাবে যা কাজ করেছেন তা তার দেশ তথা দেশবাসীর সামগ্রিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই। শাসনকালে গৃহীত নানা নীতির জন্য বিভিন্ন মহলে বঙ্গবন্ধু সমালোচিত হলেও আমাদের মনে রাখা দরকার সেই নীতিগুলি গৃহীত হয়েছিল বৃহত্তর জাতীয় সার্থেই। আরো দেখুন: সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ ৮ম শ্রেণি গণিত ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৮ম শ্রেণি কৃষি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৮ম শ্রেণি গার্হস্থ্য ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সকল অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নিচের ফেজবুক পেজটিতে লাইক দিয়ে রাখুন। অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান class 8 bangla 6th week assignment 2

অষ্টম (৮ম) শ্রেণি বাংলা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও সমাধান Read More »

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment 2

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment শিরোনামঃ ২নং রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট আরো পড়ুনঃ ৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১।  নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ নবম (৯ম) শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান নবম  শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট  ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি উওর ২য় সপ্তাহ ২০২১ ৯ম শ্রেণির ফিন্যন্স ও ব্যাংকিং অ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ ২০২১ টেকনিকাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নগুলো দেখুন রসায়ন শিক্ষক তোমাকে 200ml আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5M সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ তৈরি করতে বললেন। এ তথ্যের আলোকে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ১) মোল কাকে বলে? ২) দ্রবণটি তৈরি করতে কী কী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। ৩) প্রদত্ত যৌগটির শতকরা সংযুক্তি নির্ণয় কর। ৪) দ্রবণটি তুমি কিভাবে তৈরী করবে তার ধারাবাহিক পদ্ধতি বর্ণনা কর। অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ১নং প্রশ্নের উত্তর মোলঃ রাসায়নিক পদার্থের (পরমাণুর ক্ষেত্রে) পারমাণবিক ভর অথবা (অণুর ক্ষেত্রে) আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে এঁ পদার্থের এক মোল বলা হয়। ২নং প্রশ্নের উত্তর দ্রবণটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ ২০০মিলিলিটার আয়তনিক ফ্লাক্স, ফানেল, ওজন, বোতল, রাসায়নিক নিক্তি, ওয়াশ বোতল। ৩নং প্রশ্নের উত্তর প্রদত্ত যৌগটি হলো সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) নিচে সোডিয়াম কার্বনেটের শতকরা সংযুক্তি বের করে দেখানো হলো। সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) এর আনবিক ভর = 23×2+12×1+16×3         = 46+12+48         = 106 Na এর শতকরা সংযুক্তি = (23×2×100) ÷ 106         = 43.39% C এর শতকরা সংযুক্তি = (12×1×100) ÷ 106         = 11.32% O এর শতকরা সংযুক্তি = (16×3×100) ÷ 106         = 45.28% ৪ নং প্রশ্নের উত্তর 200 মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ প্রস্তুতি। মূলনীতি: সোডিয়াম কার্বনেট Na₂(CO₃) একটি প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ। কারণ সোডিয়াম কার্বনেটকে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়, শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায়, রাসায়নিক নিস্তিতে সরাসরি ওজন করা যায়, সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণের ঘনমাত্রা তৈরি করে থাকলে ঐ ঘনমাত্রা দীর্ঘদিন কোনো পরিবর্তন হয় না। একটি 200 মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ তৈরি করার জন্য নিচের হিসাৰ প্রয়োজন। এখানে, V = 200 মিলি , S= 0.5 মোলার, M=  23×2+12×1+16×3 =106 W =? আমরা  জানি, W = SVM/1000             = (0.5×200×106)/1000      ∴W = 10.6 গ্রাম একটি আয়তনিক ফ্লাক্সে  10.6 গ্রাম সোডিয়াম কার্বনেট মেপে নিয়ে তার মধ্যে পানি যোগ করে দ্রবণের আয়তন 200  মিলিলিটার করলে 0.5 মোলার সোডিয়াম কার্বনেট ভ্রবণ প্রস্তুত হয়ে হাবে। কিন্তু এই নির্দিষ্ট্য ঘনমাত্রার (মোলারিটির) দ্রবণ তৈরি করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কারণ সঠিকভাবে 10.6 গ্রাম সোডিয়াম কার্বনেট মেপে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন। অতএব, 0.5  মোলার ঘনমাত্রার কাছাকাছি কোনো ঘনমাত্রার দ্রবণ তৈরি করা হয়। দ্রবণটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ  ২০০মিলিলিটার আয়তনিক ফ্লাক্স, ফানেল, ওজন, বোতল, রাসায়নিক নিক্তি, ওয়াশ বোতল। কার্যপদ্ধতিঃ  ১) একটি পরিষ্কার ২০০ মিলি আয়তনিক ফ্লাক্সের মুখে একটি পরিষ্কার ফানেল রাখা হলো। ২) রাসায়নিক নিক্তির সাহায্যে ১টি শুষ্ক ওজন বোতলের ওজন নেওয়া হলো। ৩) এবার ওজন বোতলে সোডিয়াম কার্বনেট এমনভাবে দেওয়া হলো যেন সোডিয়াম কার্বনেটসহ ওজন বোতলের ওজন 10.6 গ্রাম বেশি হয়। ৪)  ওজন বোতলের সোডিয়াম কার্বনেট ফানেলের মধ্য দিয়ে আয়তনিক  ফ্লাক্সে ঢালা হলো । ৫) ওয়াশ বোতল থেকে পাতিত পানি ফানেলের মাধ্যমে আয়তনিক  ফ্লাক্সে আস্তে আন্তে যোগ করা হলো। অর্ধেক পানি ঢালার পর আয়তনিক ফ্লাক্ষের মুখের ছিপি আটকিন়ে আয়তনিক  ফ্লাক্স ঝাঁকিয়ে সোডিয়াম কার্বনেটকে সম্পূর্ণভাবে ভ্রবীভূত করা হলো। এরপর আরো পানি যোগ করে আয়তনিক ফ্লাস্কের 200. দাগ পর্যন্ত পানি দ্বারা পূর্ণ করা হলো। সতর্কতাঃ ১)  শুক্ষ ও বিশুদ্ধ সোডিয়াম কার্বনেট নেওয়া । ২) শুষ্ক ওজন বোতল নেওয়া । ৩) বিশুদ্ধ পানি অর্থাৎ পাতিত পানি আয়তনিক ফ্লাস্কে যোগ করা। যে কোনো অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নিচে কমেন্ট করুন।

টেকনিক্যাল নবম শ্রেণি রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট ২ technical class 9 chemistry assignment 2 Read More »

Scroll to Top