চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা
চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে আরবি হরফ বা অক্ষর সম্বন্ধে হরকত, তানবীন, জযম, তাশদীদ ও মাদ্দের হরফগুলো সম্পর্কে তাজবীদ, মাখরাজ, উদগাম ও ইযহার সম্পর্কে অর্থসহ সূরা আন নাসর, সূরা আল লাহাব ও সূরা ইখলাস অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম। এটি সর্বশেষ আসমানি কিতাব। মহানবি (স.)-এর ওপর নাজিল হয় এ কিতাব। আমরা দুনিয়াতে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করব, কী কাজ করলে আখিরাতে শান্তি পাব, কীভাবে মহান আল্লাহর ইবাদত করব, কোন কাজ অন্যায়, কোন কাজে শাস্তি হবে- এসব কিছু কুরআন মজিদে আছে। আমরা কুরআন মজিদ শুদ্ধ করে শিখব এবং তা অপরকে শেখাব। কুরআন মজিদের নির্দেশমতো চলব। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দাও। ১. কুরআন মজিদ কার কালাম? ক. মহানবি (স.)-এর কালাম খ. আল্লাহ তায়ালার কালাম গ. ফেরেশতার কালাম ঘ. মানুষের কালাম ২. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল? ক. ইনজিল খ. তাওরাত গ. যাবূর ঘ. কুরআন মজিদ ৩. মাদ্দ-এর হরফ কয়টি? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি ঘ. ছয়টি ৪. হরফে হালকি কয়টি? ক. পাঁচটি খ. ছয়টি গ. সাতটি ঘ. আটটি ৫. ইদগাম-এর হরফ কয়টি? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি ঘ. ছয়টি ৬. আরবি হরফের মাখরাজ কয়টি? ক. ১১টি খ. ১৩টি গ. ১৭টি ঘ. ১৯টি শূন্যস্থান পূরণ কর। ১. কুরআন মজিদ কালাম। ২. হরফ উচ্চারণের স্থানকে বলে। ৩. কুরআন মজিদের আরবি। উত্তর : ১. আল্লাহর ২. মাখরাজ ৩. ভাষা। বাম দিকের শব্দের সাথে ডান দিকের চিহ্নের মিল কর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন উত্তর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আরবি হরফ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ বা অক্ষর মোট ২৯টি। ২. হরকত কয়টি? উত্তর : হরকত তিনটি। ৩. মাদ্দের হরফ কয়টি? উত্তর : মাদ্দের হরফ তিনটি। ৪. হরফে হালকি কয়টি? উত্তর : হরফে হালকি ৬টি। ৫. সাকিন কাকে বলে? উত্তর : জযম ( ) যুক্ত হরফকে সাকিন বলে। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.)-এর বাণীটি লেখ। উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়।” ২. হরকত কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : যবর ( ), যের, ( ), পেশ ( ) কে হরকত বলে। যেমন- ১) হরফের ওপর যবর থাকলে উচ্চারণে ‘া-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যবর তা ২) হরফের নিচে যের থাকলে উচ্চারণে ‘-িকার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যের তি ৩) হরফের নিচে পেশ থাকলে উচ্চারণে ‘ ু-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা পেশ তু ৩. তানবীন কাকে বলে? একটি করে উদাহরণ দাও। উত্তর : দুই যবর ( ), দুই যের ( ) , দুই পেশ ( ) কে তানবীন বলে। তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়। নিচে একটি করে উদাহরণ দেওয়া হলো- ( ) = আলিফ দুই যবর আন ( ) = আলিফ দুই যের ইন ( ) = আলিফ দুই পেশ উন ৪. জযম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : আরবিতে এমন অনেক হরফ আছে যাতে যবর, যের, পেশ নেই। এ যবর, যের, পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন ( ) ব্যবহার করা হয়। এ চিহ্নকে জযম বলা হয়। জযমের আরেক নাম সাকিন। সাকিনযুক্ত হরফটি তার আগের হরফের সাথে মিলিতভাবে উচ্চারিত হয়। উদাহরণ : ( ) = আলিফ লাম যবর আল। ( ) = ফা ইয়া যের ফি। ( ) = ক্বাফ লাম পেশ ক‚ল। ৫. মাদ্দ কাকে বলে? মাদ্দ-এর হরফ কয়টি? উদাহরণ দাও। উত্তর : কুরআন মজিদের কোনো কোনো হরফ টেনে পড়তে হয়। এই টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে। মাদ্দের হরফ তিনটি। যথা : – – ১) যবর-এর পরে আলিফ থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা-( ) মা-যা, ( ) কা-লা, ২) যের-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ইয়া থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা- ( ) = কি-লা ( ) = ফী-হা ৩) পেশ-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ওয়াও থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা : ( ) = কু-লু ( ) = সু-মু ৬. তাজবীদ কাকে বলে? উত্তর : কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭. মাখরাজ কাকে বলে? মাখরাজ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন, কণ্ঠনালি, জিহŸা, তালু, দাঁত ও ঠোঁট। হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলা হয়। আরবি হরফের মাখরাজ ১৭টি। ৮. ইদগাম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে। যথা- ( ) = ফাহুম মুসলিমুন। এখানে মীম ( ) হরফের পরবর্তী মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মির রাব্বি, এখানে নূন ( ) হরফটি পরবর্তী ( ) ‘রা’ এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মিন মিসলিহী। এখানে ( ) নূন হরফটি পরবর্তী ( ) মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ৯. তিন, চার, পাঁচ ও ছয় বর্ণের একটি করে শব্দ লেখ। উত্তর : তিন বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামদুন) চার বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামিদুন) পাঁচ বর্ণের শব্দÑ ( ) (তাকরিরুন) ছয় বর্ণের শব্দÑ ( ) (ইয়াকুলুনা) ১০. সূরা আন নাসর মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা আন নাসর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়ালফাতহু। ওয়ারাআইতান নাসা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহু কানা তাওওয়াবা। ১১. সূরা ইখলাস মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা ইখলাস বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ; ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ : ১) সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ। ২) আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে। ৩) জযম-এর আকৃতি সাধারণত ( ) হয়। ৪) তাশদীদের চিহ্ন ( ) এরূপ। ৫) মাদ্দ-এর হরফ তিনটি। ৬) শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭) ইযহার শব্দের অর্থ গোপন করা। উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘শু’ ৫) ‘শু’ ৬) ‘শু’ ৭) ‘অ’। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর: ১. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা । ২. যের যবর পেশকে বলে। ৩. জযম-এর আকৃতি সাধারণত হয়। ৪. একই হরফ পাশাপাশি উচ্চারণ করাকে বলে।
চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »