ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে  আরবি হরফ বা অক্ষর সম্বন্ধে  হরকত, তানবীন, জযম, তাশদীদ ও মাদ্দের হরফগুলো সম্পর্কে  তাজবীদ, মাখরাজ, উদগাম ও ইযহার সম্পর্কে  অর্থসহ সূরা আন নাসর, সূরা আল লাহাব ও সূরা ইখলাস  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম। এটি সর্বশেষ আসমানি কিতাব। মহানবি (স.)-এর ওপর নাজিল হয় এ কিতাব। আমরা দুনিয়াতে কীভাবে শান্তিতে বসবাস করব, কী কাজ করলে আখিরাতে শান্তি পাব, কীভাবে মহান আল্লাহর ইবাদত করব, কোন কাজ অন্যায়, কোন কাজে শাস্তি হবে- এসব কিছু কুরআন মজিদে আছে। আমরা কুরআন মজিদ শুদ্ধ করে শিখব এবং তা অপরকে শেখাব। কুরআন মজিদের নির্দেশমতো চলব। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. কুরআন মজিদ কার কালাম? ক. মহানবি (স.)-এর কালাম  খ. আল্লাহ তায়ালার কালাম গ. ফেরেশতার কালাম ঘ. মানুষের কালাম ২. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর উপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল? ক. ইনজিল খ. তাওরাত গ. যাবূর  ঘ. কুরআন মজিদ ৩. মাদ্দ-এর হরফ কয়টি?  ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি ঘ. ছয়টি ৪. হরফে হালকি কয়টি? ক. পাঁচটি  খ. ছয়টি গ. সাতটি ঘ. আটটি ৫. ইদগাম-এর হরফ কয়টি? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি  ঘ. ছয়টি ৬. আরবি হরফের মাখরাজ কয়টি? ক. ১১টি খ. ১৩টি  গ. ১৭টি ঘ. ১৯টি  শূন্যস্থান পূরণ কর। ১. কুরআন মজিদ  কালাম। ২. হরফ উচ্চারণের স্থানকে  বলে। ৩. কুরআন মজিদের  আরবি। উত্তর : ১. আল্লাহর ২. মাখরাজ ৩. ভাষা।  বাম দিকের শব্দের সাথে ডান দিকের চিহ্নের মিল কর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম  ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন উত্তর : ১. যবর ২. যের ৩. পেশ ৪. জযম  ৫. তাশদীদ ৬. তানবীন  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আরবি হরফ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ বা অক্ষর মোট ২৯টি। ২. হরকত কয়টি? উত্তর : হরকত তিনটি। ৩. মাদ্দের হরফ কয়টি? উত্তর : মাদ্দের হরফ তিনটি। ৪. হরফে হালকি কয়টি? উত্তর : হরফে হালকি ৬টি। ৫. সাকিন কাকে বলে? উত্তর : জযম (  ) যুক্ত হরফকে সাকিন বলে।  বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.)-এর বাণীটি লেখ। উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়।” ২. হরকত কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : যবর ( ), যের, ( ), পেশ ( ) কে হরকত বলে। যেমন- ১) হরফের ওপর যবর থাকলে উচ্চারণে ‘া-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যবর তা ২) হরফের নিচে যের থাকলে উচ্চারণে ‘-িকার’ হবে। যেমন- ( ) = তা যের তি ৩) হরফের নিচে পেশ থাকলে উচ্চারণে ‘ ু-কার’ হবে। যেমন- ( ) = তা পেশ তু ৩. তানবীন কাকে বলে? একটি করে উদাহরণ দাও। উত্তর : দুই যবর ( ), দুই যের ( ) , দুই পেশ ( ) কে তানবীন বলে। তানবীনের উচ্চারণ নূনযুক্ত হয়। নিচে একটি করে উদাহরণ দেওয়া হলো- ( ) = আলিফ দুই যবর আন ( ) = আলিফ দুই যের ইন ( ) = আলিফ দুই পেশ উন ৪. জযম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : আরবিতে এমন অনেক হরফ আছে যাতে যবর, যের, পেশ নেই। এ যবর, যের, পেশবিহীন হরফটি উচ্চারণের জন্য একটি চিহ্ন (  ) ব্যবহার করা হয়। এ চিহ্নকে জযম বলা হয়। জযমের আরেক নাম সাকিন। সাকিনযুক্ত হরফটি তার আগের হরফের সাথে মিলিতভাবে উচ্চারিত হয়। উদাহরণ : ( ) = আলিফ লাম যবর আল। ( ) = ফা ইয়া যের ফি। ( ) = ক্বাফ লাম পেশ ক‚ল। ৫. মাদ্দ কাকে বলে? মাদ্দ-এর হরফ কয়টি? উদাহরণ দাও। উত্তর : কুরআন মজিদের কোনো কোনো হরফ টেনে পড়তে হয়। এই টেনে পড়াকে মাদ্দ বলে। মাদ্দের হরফ তিনটি। যথা : – – ১) যবর-এর পরে আলিফ থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা-( ) মা-যা, ( ) কা-লা, ২) যের-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ইয়া থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা- ( ) = কি-লা ( ) = ফী-হা ৩) পেশ-এর পরে জযমযুক্ত ( ) ওয়াও থাকলে একটু টেনে পড়তে হয়। যথা : ( ) = কু-লু ( ) = সু-মু ৬. তাজবীদ কাকে বলে? উত্তর : কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭. মাখরাজ কাকে বলে? মাখরাজ কয়টি? উত্তর : আরবি হরফ মুখের বিভিন্ন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়। যেমন, কণ্ঠনালি, জিহŸা, তালু, দাঁত ও ঠোঁট। হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলা হয়। আরবি হরফের মাখরাজ ১৭টি। ৮. ইদগাম কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : কাছাকাছি উচ্চারণের দুটি হরফকে যুক্ত করে পড়াকে ইদগাম বলে। যথা- ( ) = ফাহুম মুসলিমুন। এখানে মীম ( ) হরফের পরবর্তী মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মির রাব্বি, এখানে নূন ( ) হরফটি পরবর্তী ( ) ‘রা’ এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ( ) = মিন মিসলিহী। এখানে ( ) নূন হরফটি পরবর্তী ( ) মীম-এর সাথে ইদগাম হয়েছে। ৯. তিন, চার, পাঁচ ও ছয় বর্ণের একটি করে শব্দ লেখ। উত্তর : তিন বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামদুন) চার বর্ণের শব্দÑ ( ) (হামিদুন) পাঁচ বর্ণের শব্দÑ ( ) (তাকরিরুন) ছয় বর্ণের শব্দÑ ( ) (ইয়াকুলুনা) ১০. সূরা আন নাসর মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা আন নাসর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়ালফাতহু। ওয়ারাআইতান নাসা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহু কানা তাওওয়াবা। ১১. সূরা ইখলাস মুখস্থ বল। উত্তর : সূরা ইখলাস বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। বাংলা উচ্চারণ : ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ; ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  সঠিক উত্তরের ডান পাশে ‘শু’ এবং ভুল উত্তরের ডান পাশে ‘অ’ লেখ : ১) সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা ফরজ। ২) আরবি পড়তে হয় ডান দিক থেকে। ৩) জযম-এর আকৃতি সাধারণত (  ) হয়। ৪) তাশদীদের চিহ্ন ( ) এরূপ। ৫) মাদ্দ-এর হরফ তিনটি। ৬) শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য যে নিয়ম রয়েছে তাকে তাজবীদ বলে। ৭) ইযহার শব্দের অর্থ গোপন করা। উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘শু’ ৫) ‘শু’ ৬) ‘শু’ ৭) ‘অ’।  উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর: ১. সালাতে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা । ২. যের যবর পেশকে  বলে। ৩. জযম-এর আকৃতি সাধারণত  হয়। ৪. একই হরফ পাশাপাশি  উচ্চারণ করাকে  বলে।

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক

তৃতীয় অধ্যায় আখলাক  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  আখলাক সম্পর্কে  আব্বা-আম্মার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে  শিক্ষকের মর্যাদা ও তার সাথে করণীয় সম্পর্কে  বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করার কথা  প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে  রোগীর সেবা করা সম্পর্কে  সত্য বলার উপকারিতা ও মিথ্যা বলার ক্ষতি সম্পর্কে  ওয়াদা পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে  লোভের ক্ষতি সম্পর্কে  অপচয়ের ক্ষতি সম্পর্কে  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে বলে আখলাক। এর ফলে জীবন সুন্দর ও সুখের হয়। মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রের অধিকারীদের কেউ ভালোবাসে না। আমরা ছোট-বড় সবার সাথে উত্তম আচরণ করব। বয়স্কদের সাথে দেখা হলে সালাম দেব, আদবের সাথে কথা বলব। তাঁদের আদেশ-উপদেশ মেনে চলব। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখব। রোগীর সেবা-যতœ করব। সবসময় সত্য কথা বলব। সত্য কথা বলা একটি মহৎগুণ। কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করব। আর এসকল কাজের মাধ্যমেই উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া যায়। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আরবিতে কী বলে? ক. মুনাজাত  খ. আখলাক গ. ইবাদত ঘ. সালাত ২. সচ্চরিত্র কোনটি? ক. পরনিন্দা করা খ. লোভ করা গ. মিথ্যা বলা  ঘ. সত্য কথা বলা ৩. সত্যিকার মুমিনের চরিত্র কেমন?  ক. সুন্দর খ. অসুন্দর গ. মিথ্যুক ঘ. অসৎ ৪. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমরা কী করব? ক. শরীর ভালো রাখব খ. ভালো জামাকাপড় পরব  গ. আব্বা-আম্মাকে সালাম দেব ঘ. চিন্তা করব ৫. অসৎ চরিত্র কোনটি? ক. রোগীর সেবা করা  খ. শিক্ষককে সম্মান না করা গ. ইবাদত করা ঘ. শিক্ষককে সম্মান করা ৬. শিক্ষক আমাদের কোন পথে চলতে নিষেধ করেন? ক. ন্যায় পথে খ. সৎ পথে গ. আল্লাহর পথে  ঘ. অসৎ পথে ৭. আমরা বড়দের কী করব?  ক. সম্মান খ. আদর গ. স্নেহ ঘ. উপকার ৮. মহানবি (স.) সকলের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন? ক. মন্দ ব্যবহার খ. খারাপ ব্যবহার  গ. ভালো ব্যবহার ঘ. অসৎ ব্যবহার ৯. আমাদের আশপাশে যারা বসবাস করে তারা আমাদের কে? ক. আত্মীয়  খ. প্রতিবেশী গ. সহপাঠী ঘ. বন্ধুবান্ধব ১০. প্রতিবেশী অসুস্থ হলে আমরা কী করব? ক. খাদ্য দেব খ. সাহায্য করব গ. কথা বলব  ঘ. সেবা করব ১১. ফুয়াদ তার আম্মার চিকিৎসার জন্য কাকে ডেকে আনল?  ক. ডাক্তারকে খ. নানা ভাইকে গ. শিক্ষককে ঘ. নানুকে ১২. যে সত্য কথা বলে তাকে কী বলা হয়? ক. সততা খ. সৎ  গ. সত্যবাদী ঘ. সত্যবাদিত ১৩. মিথ্যা মানুষকে কী করে? ক. উপকার করে  খ. ধ্বংস করে গ. খাবার দেয় ঘ. সাহায্য করে ১৪. যে ওয়াদা পালন করে, সকলে তাকে কী করে? ক. অসম্মান করে খ. ঘৃণা করে গ. অবিশ্বাস করে  ঘ. বিশ্বাস করে ১৫. “যত পায় আরও চায়”- এর নাম কী?  ক. লোভ খ. অপচয় গ. শান্তি ঘ. ভালোবাসা ১৬. পরনিন্দা করা অর্থ কী? ক. পরোপকার খ. সাহায্য করা  গ. পরচর্চা করা ঘ. সহযোগিতা করা খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. মন্দ স্বভাব ও খারাপ চরিত্রকে  চরিত্র বলা বলা হয়। ২. মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের । ৩. যারা বয়সে  আমরা তাদের সালাম দেব। ৪. লোভ আমাদের অনেক  করে। ৫. আমরা কোনো কিছু  করব না। উত্তর : ১. অসৎ ২. জান্নাত ৩. বড় ৪. ক্ষতি ৫. অপচয়। গ. বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : ক. চরিত্র ভালো হলে চলতে শেখান খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ফেলব না গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে জীবন সুন্দর হয় ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা তার ধর্ম নেই ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না ব্যবহার কর উত্তর : ক. চরিত্র ভালো হলে জীবন সুন্দর হয়। খ. আব্বা-আম্মার সাথে সুন্দর ব্যবহার কর। গ. শিক্ষক সৎ ও ন্যায়ের পথে চলতে শেখান। ঘ. যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলব না। ঙ. যে ওয়াদা পালন করে না তার ধর্ম নেই। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আমাদের মহানবি (স.)-এর চরিত্র কেমন ছিল? উত্তর : আমাদের মহানবি (স.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহ রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।” ২. আব্বা-আম্মার সাথে কিরূপ ব্যবহার করব? উত্তর : আব্বা-আম্মার সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করব। আমরা তাঁদের সম্মান করব। তাঁদের সাথে রাগারাগি করব না। কর্কশ ভাষায় কথা বলব না। তাঁদের মনে কষ্ট দেব না। সব সময় হাসিমুখে কথা বলব। ৩. শিক্ষকের সাথে দেখা হলে কী করব? উত্তর : শিক্ষকের সাথে দেখা হলে প্রথমে তাঁকে সালাম দেব এবং তাঁর কুশল জিজ্ঞাসা করব। ৪. দাদা-দাদি, নানা-নানি আমাদের কী করেন? উত্তর : দাদা-দাদি ও নানা-নানি আমাদের অনেক আদর-যতœ করেন। খোঁজ-খবর নেন। আমাদেরকে গল্প শোনান। আমাদের জন্য দোয়া করেন। ৫. মহানবি (স.) বড়দের সাথে কেমন ব্যবহার করতেন? উত্তর : মহানবি (স.) বড়দের সম্মান করতেন। তাঁদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন। তাঁদের কথা শুনতেন ও মানতেন। ৬. মহানবি (স.) ছোটদের কী করতেন? উত্তর : মহানবি (স.) ছোটদের স্নেহ করতেন। কাছে ডাকতেন, আদর করতেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। হাসিমুখে কথা বলতেন। ৭. আমরা কাজের লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করব? উত্তর : আমরা কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। তাদের কাজে সহযোগিতা করব। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলব না। তাদের সাথে কখনো খারাপ আচরণ করব না। ৮. প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে আমরা কী করব? উত্তর : প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাবার দেব। মহানবি (স.) বলেছেন, “যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে সে মুমিন নয়।” ৯. আমরা রোগীর কী করব? উত্তর : আমরা রোগীর সেবা করব। চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর রোগের সুস্থতার জন্য দোয়া করব। মহানবি (স.) বলেন, “তোমরা রোগীর সেবা কর।” ১০. সত্যবাদী কাকে বলে? উত্তর : যে সত্য কথা বলে তাকে সত্যবাদী বলে। ১১. সব পাপের মূল কোনটি? উত্তর : মিথ্যা সকল পাপের মূল। ১২. ওয়াদা পালন করার অর্থ কী? উত্তর : ওয়াদা পালন করা অর্থ কথা দিয়ে কথা রাখা। কথামতো কাজ করা। চুক্তিরক্ষা করা। কারো সাথে কোনো কথা দিলে তা রক্ষা করার নাম ওয়াদা পালন করা। ১৩. যে লোভ করে তাকে কী বলে? উত্তর : যে লোভ করে তাকে লোভী বলে। ১৪. অপচয় অর্থ কী? উত্তর : অপচয় অর্থ ক্ষতি, অপব্যয়, নষ্ট। বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু নষ্ট করাকে অপচয় বলে। ১৫. কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম কী? উত্তর : কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষের কথা বলার নাম গিবত বা পরনিন্দা। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. সচ্চরিত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও। উত্তর : সুন্দর ও ভালো চরিত্রই হলো সচ্চরিত্র। সত্য কথা বলা,

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  ইবাদত ও তাহারাত সম্পর্কে  ওযু, ওযুর ফরজ, সুন্নত ও ওযু নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে  গোসল, গোসলের নিয়ম ও গোসলের ফরজ সম্পর্কে  আযান, ইকামতের শব্দ সম্পর্কে  তাশাহুদ দরুদ, দোয়া মাসুরা, সালাম ও মুনাজাত সম্পর্কে  সালাত, সালাতের আহকাম, আরকান, সালাতের ওয়াক্ত ও সালাত আদায়ের নিয়ম  বিভিন্ন ধরনের সালাত আদায়ের নিয়ম  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স.)-এর কথামতো কাজ করাকে ইবাদত বলে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর বিভিন্ন ইবাদত ফরজ করেছেন। যেমন : সালাত, সাওম, যাকাত, হজ ইত্যাদি। ইবাদতের পূর্বশর্ত হলো তাহারাত, অর্থাৎ পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা অর্জন করতে হয় ওযু, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে। মহান আল্লাহ ইবাদতের মধ্যে সালাতকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছেন। দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছাড়াও সপ্তাহে জুমুআর সালাত, ঈদুল ফিতরের এবং ঈদুল আযহার সালাত আদায় করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১. ওযুর ফরজ কয়টি? ক. ৩টি  খ. ৪টি গ. ৫টি ঘ. ৬টি ২. সালাতের আরকান কয়টি?  ক. ৭টি খ. ৬টি গ. ৫টি ঘ. ৪টি ৩. সালাতের আহকাম কয়টি? ক. ৪টি খ. ৫টি গ. ৬টি  ঘ. ৭টি ৪. সালাত কয় ওয়াক্ত? ক. ৬ ওয়াক্ত খ. ৭ ওয়াক্ত  গ. ৫ ওয়াক্ত ঘ. ৩ ওয়াক্ত ৫. সালাতে দরুদ কখন পড়তে হয়? ক. দাঁড়ানো অবস্থায় খ. সিজদাহ্ অবস্থায় গ. রুকুতে  ঘ. শেষ বৈঠকে খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. পবিত্রতা  অঙ্গ। ২. তাহারাত অর্থ । ৩. সালাতের আগে  করতে হয়। ৪. ওযু ছাড়া  হয় না। ৫. জুমুআর  রাকআত সালাত ফরজ। উত্তর: ১. ইমানের ২. পবিত্রতা ৩. ওযু ৪. সালাত ৫. দুই গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও : ১) আল্লাহ ছাড়া কারো চারটি ২) পবিত্রতা ইমানের সালাত ৩) ওযুর ফরজ আনন্দ ৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো অঙ্গ ৫) ঈদ অর্থ ইবাদত কর না উত্তর : ১) আল্লাহ ছাড়া কারো চারটি ২) পবিত্রতা ইমানের সালাত ৩) ওযুর ফরজ আনন্দ ৪) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ইবাদত হলো ৫) ঈদ অর্থ ইবাদত কর না সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখ। উত্তর : পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হলো- ১. ফজর, ২. যোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব, ৫. এশা। ২. তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) কী বলেন? উত্তর : তাহারাত অর্থ পবিত্রতা। তাহারাত সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন, “পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।” ৩. আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাউম অর্থ কী? উত্তর : আস্সালাতু খাইরুম মিনান নাউম অর্থ হলো- ঘুম থেকে সালাত উত্তম। ৪. মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু ও শেষ হয়? উত্তর : সূর্য ডোবার পর মাগরিব নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। পশ্চিম আকাশে আলোর লাল আভা মুছে যাওয়ার সাথে সাথে তা শেষ হয়। ৫. ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলো কী কী? উত্তর : ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলো হলোÑ (১) সকালে গোসল করা, (২) খুশবু মাখা, (৩) পরিষ্কার কাপড় পরা, (৪) মিষ্টিজাতীয় কিছু খাওয়া, (৫) ঈদের সালাত মাঠে আদায় করা। বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. ইবাদত শব্দের অর্থ কী? ইবাদত কাকে বলে? উত্তর : ইবাদত-এর শাব্দিক অর্থ গোলামি করা, মালিকের কথামতো চলা। ব্যাপক অর্থে সালাত আদায় করা, কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা, রোগীর সেবা করা, কথা বলার সময় সত্য কথা বলা সব কিছুই ইবাদত। এছাড়া আরো অনেক ধরনের ইবাদত রয়েছে। যেমন- দান-খয়রাত করা, মা-বাবার সেবা করা, হজ করা, যাকাত দেওয়া ইত্যাদি। মহান আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স.)-এর কথামতো কাজ করাকেই ইবাদত বলে। ২. ওযুর ফরজ কয়টি ও কী কী? উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। যথাÑ ১) মুখমণ্ডল ধোয়া, ২) কনুইসহ উভয় হাত ধোয়া, ৩) চার ভাগের এক ভাগ মাথা মাসাহ করা, ৪) গিরাসহ উভয় পা ধোয়া। ৩. গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী? উত্তর : গোসলের ফরজ তিনটি। যথাÑ ১) গড়গড়াসহ কুলি করা, ২) পানি দিয়ে ভালোভাবে নাক সাফ করা, ৩) পানি দিয়ে সারা শরীর ধোয়া। খেয়াল রাখতে হবে সারা শরীরের কোনো অংশ যেন শুকনা না থাকে। নিয়মিত গোসল করলে শরীর ভালো থাকে। গোসল করা আল্লাহর হুকুম। এটাও একটা ইবাদত। ৪. আযানের গুরুত্ব বর্ণনা কর। উত্তর : ইসলামে আযানের গুরুত্ব অপরিসীম। আযানের মাধ্যমে মুসলমানকে সালাতের জন্য ডাকা হয়। ইসলাম সময়মতো সালাত আদায় করা ও জামাআতের সাথে আদায় করার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। আর আযানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে জামাআতে সালাত আদায় করার জন্য আহŸান করা হয়। ৫. সালাতের আহকাম কয়টি ও কী কী লেখ। উত্তর : সালাত শুরুর আগে সাতটি ফরজ কাজ করতে হয়। এগুলোকে সালাতের আহকাম বলে। সালাতের আহকাম সাতটি। যথাÑ ১) শরীর পাক হওয়া, ২) কাপড় পাক হওয়া, ৩) সালাতের জায়গা পাক হওয়া, ৪) সতর ঢাকা, ৫) কিবলামুখী হওয়া, ৬) নিয়ত করা, ৭) সময়মতো সালাত আদায় করা। আহকাম ঠিকমতো পালন না করলে সালাত আদায় হয় না। ৬. সালাতের আরকান কয়টি ও কী কী? উত্তর : সালাতের ভেতরে সাতটি ফরজ কাজ আছে। এগুলোকে সালাতের আরকান বলে। সালাতের ৭টি আরকান হলোÑ ১) তাকবির-ই-তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করা। ২) কিয়াম অর্থাৎ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। তবে কোনো কারণে দাঁড়াতে অক্ষম হলে বসে, এমনকি শুয়েও সালাত আদায় করা যায়। ৩) কিরাত অর্থাৎ কুরআন মজিদের কিছু অংশ তিলাওয়াত করা। ৪) রুকু করা। ৫) সিজদাহ করা। ৬) শেষ বৈঠকে বসা। ৭) সালাম এর মাধ্যমে সালাত শেষ করা। ৭. সালাতের সামাজিক গুণাবলি বর্ণনা কর। উত্তর : সালাতের মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গুণাবলি অর্জন করা যায়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের জন্য আমাদেরকে মহল্লার, পাড়ার মসজিদে যেতে হয়। এতে একে অপরের সাথে দেখা হয়। কুশলাদি জানা যায়। কেউ অসুস্থ হলে তাঁর খোঁজ-খবর নেওয়া যায়। তাঁর সেবাযতœ এবং সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া যায়। সুখে-দুঃখে একে অন্যের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ হয়। এছাড়াও ধনী-দরিদ্রের মাঝে একটা সুন্দর সাম্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ধনি-দরিদ্রের মাঝে দূরত্ব কমে যায়। এক সাথে সালাত আদায় করার দ্বারা সমাজে বসবাসের আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একে অন্যের থেকে ভালো বিষয় জানতে বুঝতে পারে। খারাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে সমাজে শান্তি বিরাজ করে। ৮. ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম লেখ। উত্তর : ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম নিচে লেখা হলোÑ প্রথমে কাতার করে ইমামের পেছনে দাঁড়াব। নিয়ত করব। আল্লাহু আকবার বলে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাহরিমা বাঁধব। সানা পাঠ করব। এরপর কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ইমামের সাথে তিন তাকবির দেব। প্রথম দুইবার হাত না বেঁধে ছেড়ে রাখব। তৃতীয় তাকবির দিয়ে সালাতে হাত বাঁধার মতো দুই হাত বাঁধব। এরপর ইমাম সাহেব অন্যান্য সালাতের মতো সূরা ফাতিহা ও যেকোনো সূরা পাঠ করবেন এবং যথারীতি রুকু সিজদাহ করে প্রথম রাকাআত শেষ করবেন। অতপর দ্বিতীয় রাকআত ইমাম

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত Read More »

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ

প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ  অধ্যায়টি পড়ে জানতে পারব  মহান আল্লাহর পরিচয়  মহান আল্লাহর বিভিন্ন গুণবাচক নামের অর্থ ও তাৎপর্য  সালাম বিনিময়ের সুন্দর নিয়ম  কালিমা শাহাদাতের অর্থ ও তাৎপর্য  ইমান মুজমালের অর্থ ও গুরুত্ব  ইমান মুফাস্সালের সাতটি বিষয়  অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু জেনে নিই আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্মের নাম ইসলাম। ইসলামের মূল বিষয়গুলোকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করাকেই ইমান বলে। আর আকাইদ হলো আকিদা শব্দের বহুবচন, যার অর্থ বিশ্বাস। একজন মুসলিমের ইমান ও আকাইদ বিশুদ্ধ হওয়া খুবই জরুরি। ইমান ও আকাইদের প্রথম কথাই হচ্ছে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস। তিনি এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নন। মানবজাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। নবি-রাসুলগণ মানুষকে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ ও মুক্তির দিকে ডেকেছেন। নবি-রাসুলগণের কথা যাঁরা শুনেছেন ও মেনেছেন তাঁরাই পরকালে সফলকাম হবেন। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ক. বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চি‎‎হ্ন দাও। ১। ইমান অর্থ কী? ক. সত্য কথা বলা  খ. বিশ্বাস গ. গচ্ছিত রাখা ঘ. শৃঙ্খলা ২। আমাদের স্রষ্টা কে? ক. মাতা খ. পিতা  গ. আল্লাহ ঘ. পিতামাতা উভয়ই ৩। আমাদের জীবন-মৃত্যুর মালিক কে?  ক. আল্লাহ খ. আযরাইল (আ.) গ. রাষ্ট্রপ্রধান ঘ. প্রধান বিচারপতি ৪। কাদীর অর্থ কী? ক. অধিপতি খ. শান্তিদাতা  গ. সর্বশক্তিমান ঘ. সর্বত্র বিরাজমান ৫। সালাম শব্দের অর্থ কী? ক. দয়া  খ. শান্তি গ. সৃষ্টি ঘ. ক্ষমা ৬। শাহাদত অর্থ কী? ক. দীক্ষা দেওয়া  খ. সাক্ষ্য দেওয়া গ. পরীক্ষা দেওয়া ঘ. দান করা ৭। ইমান মুজমাল অর্থ কী?  ক. সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস খ. আন্তরিক বিশ্বাস গ. বিস্তারিত বিশ্বাস ঘ. মৌখিক বিশ্বাস ৮। ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ আছে? ক. তিনটি খ. চারটি গ. পাঁচটি  ঘ. সাতটি ৯। ওহি নিয়ে আসতেন কোন ফেরেশতা? ক. আযরাইল (আ.) খ. মিকাইল (আ.) গ. ইসরাফিল (আ.)  ঘ. জিবরাইল (আ.) ১০। আসমানি কিতাব কয়খানা? ক. ৪ খানা খ. ১০০ খানা  গ. ১০৪ খানা ঘ. ১১০ খানা খ. শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. যার ইমান আছে তাকে বলে  । ২. দিন শেষে পশ্চিম আকাশে  অস্ত যায়। ৩. পরস্পরে দেখা হলে আমরা  দেই। ৪. মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর  ও রাসুল। ৫. তকদির মানে  । উত্তর : ১. মুমিন বা মুসলিম ২. সূর্য ৩. সালাম ৪. বান্দা ৫. ভাগ্য। গ. রেখা টেনে অর্থ মেলাও : ১) মালিক বাক্য ২) কাদীর শান্তিদাতা ৩) সালাম অধিপতি ৪) কালিমা সর্বশক্তিমান উত্তর : ১) মালিক বাক্য ২) কাদীর শান্তিদাতা ৩) সালাম অধিপতি ৪) কালিমা সর্বশক্তিমান ঘ. রেখা টেনে অর্থ সঠিক উত্তর মেলাও : ১) আযরাইল (আ.) ওহি আনতেন ২) জিবরাইল (আ.) মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে ৩) ইসরাফিল (আ.) জীবের জান কবজ করেন ৪) মিকাইল (আ.) শিঙ্গা ফুঁ দেবেন উত্তর : ১) আযরাইল (আ.) ওহি আনতেন ২) জিবরাইল (আ.) মেঘবৃষ্টি ও রিজিকের দায়িত্বে ৩) ইসরাফিল (আ.) জীবের জান কবজ করেন ৪) মিকাইল (আ.) শিঙ্গা ফুঁ দেবেন  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর : ১. আল্লাহ তায়ালার পাঁচটি গুণের নাম লেখ। উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালার গুণ অশেষ। নিচে তাঁর পাঁচটি গুণের নাম দেওয়া হলোÑ ক) আল্লাহু মালিকুন; অর্থ আল্লাহ মালিক। খ) আল্লাহু কাদীরুন; অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। গ) আল্লাহু সালামুন; অর্থ আল্লাহ শান্তিদাতা। ঘ) আল্লাহু খালিকুন; অর্থ আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা। ঙ) আল্লাহু গাফুরুন; অর্থ আল্লাহ ক্ষমাকারী। ২. ইমান মুফাসসালে কয়টি বিষয়ের উল্লেখ আছে? উত্তর : ইমান মুফাসসালে সাতটি বিষয়ের উল্লেখ আছে। বিষয়গুলো হলো- (১) আল্লাহ, (২) ফেরেশতা, (৩) কিতাব, (৪) রাসুলগণ, (৫) শেষ দিবস, (৬) তকদির, (৭) মৃত্যুর পর পুনরুত্থান। ৩. চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতার নাম লেখ। উত্তর : চারজন প্রসিদ্ধ ফেরেশতা হলেন- (১) হযরত জিবরাইল (আ.), (২) হযরত মিকাইল (আ.), (৩) হযরত ইসরাফিল (আ.), (৪) হযরত আযরাইল (আ.)। ৪. চারখানা বড় কিতাবের নাম লেখ। উত্তর : চারখানা বড় কিতাব হলো- (ক) তাওরাত, (খ) ইঞ্জিল, (গ) যাবুর, (ঘ) কুরআন মজিদ। ৫. দশ জন নবি-রাসুলের নাম লেখ। উত্তর : দশজন নবি-রাসুল হলেন- (১) হযরত আদম (আ.), (২) হযরত নূহ (আ.), (৩) হযরত ইবরাহীম (আ.), (৪) হযরত ইসমাঈল (আ.), (৫) হযরত ইয়াকুব (আ.), (৬) হযরত ইউনুছ (আ.), (৭) হযরত যাকারিয়া (আ.), (৮) হযরত দাউদ (আ.), (৯) হযরত মুসা (আ.), (১০) হযরত মুহাম্মদ (স.)। ৬. আসমানি কিতাব কতোখানা? উত্তর : আসমানি কিতাব ১০৪ খানা। ৭. ছোট কিতাবকে কী বলে? উত্তর : ছোট কিতাবকে সহীফা বলে। ৮. সর্বশেষ নবি কে? উত্তর : সর্বশেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (স.)। ৯. সর্বশেষ আসমানি কিতাব কী? উত্তর : সর্বশেষ আসমানি কিতাব হচ্ছে কুরআন মজিদ।  বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর : ১. সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয় দাও। উত্তর : মহান আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। তাঁর সত্তা ও গুণের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছুই নেই। তিনি অনাদি, অনন্ত। তিনি ইহকাল ও পরকালের মালিক। সমস্ত প্রাণীকুলের রিজিকদাতা। এই বিশাল পৃথিবীতে যত কিছু আছে, সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ। শুধু এসব সৃষ্টিই করেননি, অত্যন্ত সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করছেন আল্লাহ। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। তিনিই একমাত্র শান্তিদাতা। সবকিছুরই মালিক একমাত্র তিনি। তিনি সব কিছু জানেন, শোনেন, দেখেন। ২. আল্লাহ তায়ালার কয়েকটি গুণের নাম লেখ। উত্তর : মহান আল্লাহ অনেক গুণের অধিকারী। নিচে তাঁর কয়েকটি গুণের নাম উল্লেখ করা হলো- ১. আল্লাহু খালিকুন (আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা) : মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এ সুন্দর পৃথিবী এবং তার বাইরে যা কিছু আছে সবই তাঁর। ২. আল্লাহু মালিকুন (আল্লাহ মালিক) : পৃথিবী ও তার বাইরে যা কিছু আছে সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাঁর কোনো শরিক নেই। কুরআন মজিদে আছে, “আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক আল্লাহ।” ৩. আল্লাহু কাদিরুন (আল্লাহ সর্বশক্তিমান) : আল্লাহ অসীম শক্তির অধিকারী। পৃথিবীর সবকিছুই তাঁর। পৃথিবীর ও মহাকাশের সবকিছুই তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে। সমস্ত কিছুই তাঁর শক্তির অধীন। ৪. আল্লাহু সালামুন (আল্লাহ শান্তিদাতা) : আল্লাহ তায়ালা একমাত্র শান্তিদাতা। আল্লাহ যাকে শান্তি দেন সেই শান্তি পায়। তিনি শান্তি দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না। ৩. ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে লেখ। উত্তর : ‘আল্লাহু কাদীরুন’ অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এই বিশাল পৃথিবী ও এর বাইরে যা কিছু আছে সব কিছু মহান আল্লাহর সৃষ্টি। পৃথিবীর ভেতরে-বাইরে, ছোট-বড়, দৃশ্য-অদৃশ্য যা কিছু আছে এ সবই আল্লাহর হুকুমে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর হুকুমের বাইরে কেউ কোনো কিছু করতে পারে না। মহান আল্লাহ নিজেই তাঁর কুদরতের মাধ্যমে এসব কিছুর ধারক ও বাহক হিসেবে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছেন। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী। ৪. আল্লাহ ‘শান্তিদাতা’ বাক্যটি বুঝিয়ে লেখ। উত্তর : ‘আল্লাহু সালামুন’

চতুর্থ শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় ইমান ও আকাইদ Read More »

২০২২-সালের-এসএসসি-ইসলাম-শিক্ষা-অ্যাসাইনমেন্ট-১০ম-সপ্তাহ-সমাধান

২০২২ সালের এসএসসি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ সমাধান SSC 2022 Islam Assignment 10th week

তোমরা যারা ২০২২ সালের এসএসসি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ সমাধান SSC 2022 Islam Assignment 10th week খুজছিলে তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টি। এসএসসি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ প্রশ্ন এসএসসি ২০২২ ইসলাস শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২ ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায়: শরিয়তের উৎস অ্যাসাইনমেন্ট অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ঃ আল সূরা মাউনের বর্ণিত শিক্ষাগুলাের সাথে তােমার পরিবারের সামঞ্জস্য বিধান করে। গত ১ মাসের কার্যক্রমের ১টি ছক (পাের্টফলিও) তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ। পরিধি) ঃ সূরা আল- মাউনের অর্থ, সূরা আল-মাউনের ব্যাখ্যা, সূরা আল-মাউনের শিক্ষাগুলাের বাস্তব প্রয়ােগ ইসলাম শিক্ষা ১০ম সপ্তাহ ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু সূরা আল- মাউনের অর্থঃ আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয় এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না। অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না। সূরা আল-মাউনের ব্যাখ্যাঃ কুরআনের ১০৭ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭ টি। এ সূরায় কাফের ও মুনাফেকদের কতিপয় দুষ্কর্ম উল্লেখ করে তজ্জন্য জাহান্নামের শাস্তি বর্ণনা করা হয়েছে। এ সূরায় এমন সব নামাযীদেরকে ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে যারা নিজেদের নামাযে গাফলতি করে এবং লোক দেখানো নামায পড়ে। এটা ছিলো সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এবার আমরা সূরা আল-মাউন এর বিস্তারিত বর্ণনা জানবো।  সূরা আল-মাউন এর শিক্ষাগুলোর বাস্তব প্রয়োগঃ ১. ইয়াতীমকে বিপদে সাহায্য করা। ২. ইয়াতীমকে না তাড়িয়ে দেওয়া । ৩. দুঃস্থদের না তাড়িয়ে দেওয়া । ৪. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সালাত আদায় করা । ৫. দুঃস্থদের বিপদে সাহায্য করা । ৬. ইয়াতীমকে না তাড়াতে পরিবারের সদস্যদের বলা। ৭. দুঃস্থদের বিপদে সাহায্য করতে আত্মীয় স্বজনদের উৎসাহ দেওয়া । ৮. দুঃস্থদের না তাড়াতে বন্ধু-বান্ধবকে বলা। ৯. সালাতে উদাসীন না হওয়া । ১০. বিশুদ্ধভাবে সালাত আদায় করা। ১১. গরিব-দুঃখীদের ওপর অত্যাচার-নিযতিন দেখলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো । সুরা আল-মাউনের বর্ণিত শিক্ষাগুলোর সাথে আমার পরিবারের সামঞ্জস্য বিধান করে গত ১ মাসের কার্যক্রমের ১টি ছক (পোর্টফলিও) তৈরি করা হলোঃ তারিখ কাজ ১ থেকে ৪ তারিখ ১. ইয়াতীম ও মিসকীনদের খাদ্য খাওয়ানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। ৫ থেকে ৯ তারিখ ২. যারা সালাতের ব্যাপারে অমনোযোগী তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১৫ তারিখ ৩. লোক দেখানো আমল আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ১৬ থেকে ২০ তারিখ 8. সৎ কাজের প্রাতি ডৎসাহা হওয়া দরকার । ২১ থেকে ২৯ তারিখ ৫. সালাতের ব্যাপারে উদাসীন ব্যক্তিদের জন্য দুভোঁগ। ৩০ তারিখের কাজ ৬. বিচার দিবস কে অস্বীকার করা খুবই জঘন্য কাজ এটি কাফের মুনাফিকদের কাজ। অ্যাসাইনমেন্ট শেষ তোমাদের যদি ইসলাম শিক্ষা ১০ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাও।   নিচে আমাদের সকল সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক গুলো দেওয়া হল সেখান থেকে তোমরা আমাদের ফলো করতে পারো তাহলে খুব দ্রুত সবার আগে নির্ভুল উত্তরগুলো তোমরা পেয়ে যাবে। আমাদের ইউটিউব লিংক https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান) https://web.facebook.com/shomadhan.net assignment all class (6-9)📝📝 https://web.facebook.com/groups/287269229272391 আরো পড়ুনঃ ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ ইসলাম শিক্ষা ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ গণিত  ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ হিসাব বিজ্ঞান ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ রসায়ন

২০২২ সালের এসএসসি ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ সমাধান SSC 2022 Islam Assignment 10th week Read More »

Scroll to Top