এইচএসসি

এইচএসসি বাংলা লোক-লোকান্তর সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

লোক-লোকান্তর আল-মাহমু গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। আমারও মন চৈত্রে পলাতক, পলাশে আর আমে ডালে ডালে সুবজ মাঠে মাঝবয়সী লালে দণ্ড দুই মুক্তি-সুখে জিরায়: মাটির কাছে সব মানুষ খাতক। … … … একটি গানে গহন স্বাক্ষরে জানো কি সেই গানের আমি চাতক? ক. “লোক-লোকান্তর” কোন জাতীয় কবিতা? খ. ‘আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকার পাখি’চরণটির মধ্য দিয়ে কী প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার সাদৃশ্য দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপক ও ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় পাখি-রূপকের মধ্য দিয়ে যে চেতনা ব্যক্ত হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  ‘লোক-লোকান্তর’ আত্মপরিচয়মূলক কবিতা ।  ‘আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকার পাখি’ কথাটির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে নিরুদ্বিগ্ন শান্তির আবহ, যা সৃষ্টির উন্মোচনে নিরন্তর সাধনার উৎস।  কবির কাব্যবোধ ও কাব্যেচেতনা শাদা এক সত্যিকার পাখির সাথে তুলনীয়। শাদা সমস্ত রঙের মিলিত রূপ, অনন্য অসাধারণ তার আকর্ষণ ও কর্মপ্রেরণা। সবুজ অরণ্যের প্রাণশক্তি আর চন্দনের সুগন্ধ তাঁর চিরদিনের অনুপ্রেরণা ও সৃজনশক্তির উৎস। কবি তাই তাঁর কাব্যচেতনায় ধারণ করেছেন শাদা এক পাখি আর অন্তরে লালন করেছেন তাঁর অনুপম কবিসত্তা, যা রূপ-সৌন্দর্য বর্ণবৈচিত্র্যের একক সত্তা। কবি তাঁর উৎসাহ ও প্রেরণা কাব্যসৃষ্টির মধ্যে আত্মমগ্ন হন, একই সাথে বিচ্ছিন্নতায় বেদনাপ্লুত হন।  উদ্দীপকে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার বৈচিত্র্যময় অপরূপ প্রকৃতির উচ্ছ¡াসের মধ্যে কবি নিজ কাব্যপ্রেরণার উচ্ছ¡াস ও উৎসের সন্ধান পেয়েছেন, এটাই ব্যক্ত হয়েছে। কবিসত্তা ও অনুপম কাব্যসৃষ্টির উৎস বর্ণ বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছে থেকেই কবি তাঁর কবিতার বিষয় ও উপাদান আহরণ করেন। প্রকৃতি তাঁর মন ও মননে কাব্যসত্তার উন্মেষ ঘটায়, অনুপ্রাণিত করে এবং কাব্য সৃষ্টির মধ্যে মগ্নতার আবহ তৈরি করে দেয়। কবি প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপাদান পর্যবেক্ষণ করেন, তার সৌন্দর্য উদ্ধার করেন, তার মাধুর্য ও সুর আত্মস্থ করেন এবং তারপর কবিসত্তার ভালো লাগাকে পুষ্ট ও সমৃদ্ধ করেন। তাঁর ভেতরে চেতনার বসবাস তখন প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে, সৃষ্টির মধ্যে নিশ্চিত হয়ে যায়।  উদ্দীপকেও প্রকৃতির বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্য-মাধুর্য প্রতিটি স্তরে প্রতিটি ক্ষেত্রে বহমান। সকাল-সন্ধ্যা-দুপুরে তার রূপের পরিবর্তন হয়, আসে বাধা-বন্ধনহারা ছন্দ-মাতন; শিউলি ফুলে আর দূর্বাঘাসে তার মাতন জাগে। কবিসত্তার অনুরণনে কবির মধ্যে জাগে ভাবোচ্ছ¡াস, কবি আনন্দ-উদ্বেল হয়ে তাঁর চারপাশের প্রকৃতির মধ্যে আনন্দ-রহস্য অনুভব করেন। সে রহস্য ও আনন্দ তাঁকে কাব্যসৃষ্টিতে প্রেরণা জোগায়।  সুতরাং উদ্দীপকে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কাব্য প্রেরণার উচ্ছ¡াসের দিকটিই ব্যক্ত হয়েছে।  উদ্দীপকে ব্যক্তি ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় পাখি-রূপকের মধ্যে একই চেতনা ব্যক্ত হয়েছে।  উদ্দীপকে পাখি প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপের অনুপম উচ্ছ¡াস প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে রয়েছে লোকালয়ের জীবনঘনিষ্ঠ নানা শিল্পিত উপাদান, যা কাব্য সৃষ্টির উৎস হয়ে এসেছে এতকাল। ঊষা-দুপুর-সন্ধ্যায় প্রকৃতির রূপ ও রং পরিবর্তন, পরিবেশের বৈচিত্র্য কবির ভাবুক মনেও প্রভাব ফেলে। জীবনের পথে চলতে আসে নানা সমস্যা-বাধা; তা গতি ছন্দে প্রভাব ফেলে অথবা ইতিবাচক মাতন জাগায়। পাগলার মেলা, গাজনের মেলা আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক, আশ্বিনের শিউলি ফোটার এবং ঝরে পড়ার মনোরম দৃশ্য এবং শিশিরভেজা দূর্বাঘাসের হাসি স্বাভাবিকভাবেই কবিচিত্তকে উজ্জীবিত করে। এভাবে প্রকৃতি-পরিবেশ- ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণায়ই কবি তাঁর সৃষ্টিতে আত্মমগ্ন হন।  ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায়ও আমরা কবির অস্তিত্বজুড়ে চিরায়ত বাংলার প্রকৃতি রূপ ও সৌন্দর্যের প্রভাব লক্ষ কবি। সবুজ অরণ্য, বনচারী বাতাসের খেলা, চন্দনের ডাল, কাটা সুপারির রং, লবঙ্গফুলের রূপ কবিকে মোহমুগ্ধ করে রাখে। বনঝোপের উপর রঙের বিচিত্র খেলা দেখে কবি চোখ ফেরাতে পারেন না, কাব্য সৃষ্টির আনন্দ তাঁকে উন্মনা করে তোলে। তিনি প্রকৃতির মধ্যেই খুঁজে পান সৃষ্টির রহস্য, তাকে নিয়েই চলে কবির কাব্যসৃষ্টির আত্মমগ্ন খেলা।  উদ্দীপকে প্রকৃতির যে বৈচিত্র্য উপস্থাপিত হয়েছে, তা রঙে-রূপে-বৈশিষ্ট্যে বিভিন্ন ও অনন্য। এতে আছে এদেশের ঐতিহ্যের প্রকাশ, যা ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কবিভাবনাকে সহজেই আরও পুষ্ট করেছে।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ‘তবু সেই সুনিশ্চিত বাণী অস্পষ্ট স্বপ্নের মতো অনুভূতি ঘিরে স্পর্শ তার রেখে যায়, প্রলোভন রেখে যায় আরও, আমি তাকে পাইনি আমার চেতনার সহজ সন্ধানে। ক. ‘আমার চেতনা’ কী? খ. ‘আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকার পাখি’বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? গ. উদ্দীপকের সাথে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কী বৈসাদৃশ্য আছে, তা তুলনামূলক আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও। ঘ. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির পাওয়ানা পাওয়ার কোনো দ্ব›দ্ব নেই।’ ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতা অনুসরণে এর সপক্ষে তোমার যুক্তি তুলে ধর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  ‘আমার চেতনা’ হলো কবির কবিসত্তা বা কাব্যচেতনা।  ‘আমার চেতনা যেন একটি শাদা সত্যিকার পাখি’Ñ বলতে কবি তাঁর কবিসত্তা বা কাব্য বোধকে এক সত্যিকার পাখির প্রতিমায় উপস্থাপন করেছেন।  পাখি প্রাণচাঞ্চল্য ও প্রাণস্ফ‚র্ততার প্রতীক। সে স্বাধীন ও স্বচ্ছন্দ, গতিশীল ও সাবলীল। নিজের পছন্দমতো নিজের প্রয়োজনে সে নীল আকাশে পাখা মেলে, চলে যায় বহু দূর আবার ফিরে আসে নীড়ে। শাদা রং সব রঙের মিশেল, সব রং নিয়ে শক্তিশালী এক শান্তির প্রতীক। শাদা সব কিছুর সাথে মিশে থাকে, আবার সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক হয়ে যায়। কবির কাব্যচেতনারূপ পাখি তখন হয়ে ওঠে প্রাণময় এক অস্তিত্ব আর কবিসত্তা সুন্দর ও রহস্যময়তার স্বপ্নজগতের প্রতীক। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। শাদা পাখি-রূপ কবি সৃষ্টির প্রেরণায় চিরকালই উদ্বুদ্ধ হন। পাখির মতো নতুন নতুন রূপময়তার রহস্যে মগ্ন হওয়ার মধ্যেই তাঁর আনন্দ ও তৃপ্তি।  উদ্দীপকের সাথে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার এক উজ্জ্বল ও চমৎকার বৈসাদৃশ্য আছে। কেননা উদ্দীপকের কবি প্রকৃতি-রহস্যের খুব সামান্যই তার সৃষ্টির মধ্যে ধরে রাখতে পেরেছেন আর অন্যদিকে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কবি প্রকৃতি রহস্যকে উন্মোচন করে তা সৃষ্টির মধ্যে ধারণ করে আনন্দে আত্মমগ্ন হন।  ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির কাব্যবোধ ও কাব্যচেতনা শাদা পাখির রূপে স্বাধীন ও স্বচ্ছন্দ। তাঁর অস্তিত্বজুড়ে কেবল চিরায়ত গ্রাম বাংলার অফুরন্ত রং ও রূপের উৎসারণ। মাটি আর আকাশে মেলে ধরা তাঁর নিসর্গ-উপলব্ধির অনিন্দ্যপ্রকাশ। এই অনিন্দ্যসুন্দর রূপ ও রংকে কবি ধারণ করে, তাঁর সৃষ্টিতে। এ সময় তাঁর কাছে একমাত্র সত্য তাঁর চেতনার জগৎ, আর সব মিথ্যা। সৃষ্টির মগ্নতার মধ্যেই তাঁর অপার তৃপ্তি আর আনন্দ।  অন্যদিকে উদ্দীপকের কবির কাছে প্রকৃতির বিপুল রহস্য আর পরিমেয় সৌন্দর্যের আস্বাদন পরম আকাক্সিক্ষত। তিনি সেই অপার রূপের, অপরিমেয় সৌন্দর্যের ও অশেষ রহস্যের কিছু দ্যুতি লাভ করেছেন। সেই রহস্যময় জগতের রং-রূপ-তাল-লয়-ছন্দ অনুভব করেছেন। কিন্তু তাঁর নিজ সৃষ্টির মধ্যে তা ধারণ করতে পেরেছেন সামান্যই। এজন্য তাঁর হৃদয়জুড়ে আনন্দ ও তৃপ্তি নেই আছে কেবল আক্ষেপ। তাই সংগত কারণেই আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকের সাথে ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার বৈসাদৃশ্য উজ্জ্বল ও স্পষ্ট।  সৃষ্টির মধ্যেই কবির আনন্দ। সৃষ্টির প্রকাশ পরিপূর্ণ হলে কবি আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। তখন কবির অন্তরে পাওয়া না পাওয়ার কোনো দ্ব›দ্ব থাকে না, কোনো অতৃপ্তি বা আক্ষেপ থাকে না। তা ছাড়া সৃষ্টির আনন্দেই কবি নতুন সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত হন। প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য ও রহস্য উন্মোচনে মুগ্ধ ও কৌত‚হলী কবি অপার আনন্দ অনুভব করেন। এই আনন্দই তাঁর পরম পাওয়া। এ সময় কবির মধ্যে পাওয়ানা পাওয়ার কোনো দ্ব›দ্ব থাকে না, বরং থাকে অপার তৃপ্তি।  ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কবি

এইচএসসি বাংলা লোক-লোকান্তর সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় সৈয়দ শামসুল হক গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে : ‘কখন আসবে কবি?’ শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন। তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল, হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা। ক. নূরলদীনের বাড়ি কোথায় ছিল? খ. ‘যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. কবিতাংশের কবির চেতনার সঙ্গে নূরলদীনের চেতনাগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ঘ. প্রেক্ষাপটগত সাদৃশ্য থাকলেও কবিতাংশটিতে “নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়” কবিতায় কবির অভিব্যক্তির সার্থক রূপায়ণ ঘটেনি মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  নূরলদীনের বাড়ি রংপুরে।  উক্ত চরণে কবি সোনার বাংলায় পাকিস্তানিদের আক্রমণের বিষয়টিকে বুঝাতে চেয়েছেন।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। গোটা দেশটাই যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। লক্ষ লক্ষ মৃতদেহকে ভক্ষণ করতে নেমে আসে শকুনেরা। এটিই আলোচ্য অংশে প্রকাশিত হয়েছে।  অন্যায় অবিচারের হাত থেকে দেশকে ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রতিবাদী চেতনায় উদ্দীপকের কবির সাথে নূরলদীনের সাদৃশ্য রয়েছে।  এমন অনেক মানুষ আছে যারা সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গল চান। তারা দেশের মানুষকে সকল অন্যায় অবিচারের কালো থাবা থেকে মুক্ত করতে চান। এ আকাক্সক্ষা থেকেই তারা গোটা জাতিকে সচেতন করে তোলেন। একটি স্বাধীন দেশ রচনার জন্য তারা জাতিকে নেতৃত্ব দেন।  আলোচ্য কবিতায় নূরলদীনকে কবি চিরায়ত প্রতিবাদের প্রতীকরূপে উপস্থাপন করেছেন। নূরলদীন এক ঐতিহাসিক চরিত্র। ১৭৮৩ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলে সামন্তবাদ-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নেতৃত্ব দেন নূরলদীন। তাঁর সাহস, ক্ষোভ প্রতিবাদকেই এ কবিতায় কবি রূপায়িত করেছেন। উদ্দীপকের কবিও এ প্রতিবাদী চেতনার প্রতীক। তিনিই জনগণকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন।  প্রেক্ষাপটগত সাদৃশ্য থাকলেও কবিতাংশটিতে ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার কবির অভিব্যক্তির সার্থক রূপায়ণ ঘটেনি’Ñমন্তব্যটি যথার্থ।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে অগণিত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই বাঙালি প্রতিবাদী হয়ে ওঠে, ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিসংগ্রামে।  আলোচ্য কবিতায় কবি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রূপদান করেছেন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস এ বাংলা মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয়। বাঙালি তার স্বপ্নকে রূপ দিতে, বাক্-স্বাধীনতাকে ফিরে পেতে স্মরণ করে ইতিহাসের প্রতিবাদী নায়ক নূরলদীনকে, তাঁর প্রতিবাদী সত্তাকে। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি বলতে দেশ রচনার কবিকে বোঝানো হয়েছে, যা আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে জোয়ার জাগল। মানুষ যেন প্রাণ ফিরে পেল।  সুতরাং, বলা যায়, ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় এবং উদ্দীপক উভয়ের প্রেক্ষাপট হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তবে যে প্রতিবাদী অভিব্যক্তি আলোচ্য কবিতায় রূপায়িত হয়েছে উদ্দীপকে তা ততটা স্পষ্ট নয়। আর এ কারণেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায়।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের পথ সুগম করেছেন নূর হোসেন। তারপর থেকে যে কোনো আন্দোলনে সংগ্রামে নূর হোসেনের কথা মনে পড়ে যায় অবলীলায়। ক. ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় জ্যোৎস্নার সাথে কী ঝরে পড়ে? খ. “অতীত হঠাৎ হানা দেয় মানুষের বন্ধ দরজায়”- কেন? গ. উদ্দীপকটি ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “ক্রান্তিকালে বাঙালি জাতি অতীত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে”- উদ্দীপক ও ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  জ্যোৎস্নার সাথে স্মৃতির দুধ ঝরে পড়ে।  “অতীত হঠাৎ হানা দেয় বন্ধ দরজায়” -কারণ দরজায় বিপদ এসে কড়া নাড়ছে, যার সাথে অতীতের ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।  একই রকম কোনো ঘটনা যদি দুই বা ততোধিকবার মানুষের জীবনে ঘটে, তখন অতীতের একই ঘটনা স্মৃতি হিসেবে হাজির হয়। এ স্মৃতিতে মিল থাকে শিক্ষা, যার আলোকে মানুষ বর্তমানের মোকাবিলা করে। আলোচ্য লাইন দ্বারা অতীতের নূরলদীনের কথা স্মৃতি হিসেবে মনের বন্ধ দরজায় হানা দেয়াকে বোঝানো হয়েছে। কারণ, সে সময়ের মতো আজও দুঃসময় এসে হাজির হয়েছে।  উদ্দীপকটি ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার নূরলদীনের ডাক দেয়ার দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে।  নেতা হলো সে, যার ডাক দেয়ার ক্ষমতা আছে, যে ডাক দিলে মানুষ সাড়া দেয় এবং সোচ্চার হয়। পৃথিবীর সব বিপ্লবই কোনো না কোনো নেতার ডাক দেয়ার ফসল।  উদ্দীপকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা পাওয়া যায়। নূর হোসেন এ আন্দোলনে শহিদ হন এবং এ মৃত্যুর অনুপ্রেরণায় সব জনতা জেগে ওঠে। শহিদ নূর হোসেনের রক্ত সাধারণ বাংলার মানুষের ধমনিতে চেতনার ডাক পৌঁছে দেয়। ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায়ও দেখা যায়, নূরলদীনও এক চাঁদনী রাতে মানুষকে ডাক দিয়েছিল। যে ডাকে মানুষ সচেতন হয়েছিল, শত্র“র বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। উদ্দীপকটি আলোচ্য কবিতার এ দিকটারই প্রতিনিধিত্ব করে।  “ক্রান্তিকালে বাঙালি জাতি অতীত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে”- এ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার আলোকে গুরুত্ব বহন করে।  মানুষ যখন কোনো বিপদে পড়ে, তখন সিদ্ধান্ত নেয় অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। কারণ, অভিজ্ঞতা হলো সবচেয়ে কার্যকরী জ্ঞান, যে জ্ঞানের ফলাফল নির্ভুলভাবে প্রয়োগ করা যায়।  উদ্দীপকে ’৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। এ আন্দোলনে শহিদ নূর হোসেন বাংলার গণ-মানুষের প্রেরণায় পরিণত হয়। মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস খুঁজে পায়। ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় নূরলদীনকেও একই রকম অনুপ্রেরণাকারী হিসেবে পাওয়া যায়।  মানুষের চরিত্র কিংবা আদর্শ কখনো কখনো ইতিহাসে রূপান্তরিত হয় এবং এ আদর্শ পরবর্তীতে মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। মানুষ সাহস পায় সংগ্রামে শত্র“র মুখোমুখি হওয়ার। উদ্দীপকের নূর হোসেন এবং কবিতার নূরলদীন দুজনেই এখন আমাদের ইতিহাসের সন্তান। তাঁরা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় বিপদের সময়। বাঙালি জাতি এ অনুপ্রেরণা পেয়ে শত্র“র সাথে যুদ্ধ করতে পিছপা হয় না। আর মানসিক শক্তির কারণে শত্র“কে পরাস্ত করে। এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয় যে, “ক্রান্তিকালে বাঙালি জাতি অতীত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে।” তাই বলা যায় উক্তিটি যথার্থ। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বাঙালি জাতির রয়েছে সংগ্রামের এক দীর্ঘ ইতিহাস। যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে বাঙালি তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে। নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু, তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক অবিসংবাদিত নেতা বাঙালির প্রাণে অমর হয়ে আছেন। তাঁরা বাঙালির প্রতিবাদী চেতনার মহান আদর্শ। ক. দীর্ঘ দেহ নিয়ে নূরলদীন দেখা দেয় কোন আঙিনায়? খ. “অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার।”- কেন? গ. উদ্দীপকটি নূরলদীনের কীভাবে প্রতিনিধিত্ব করে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “তাঁরা বাঙালি প্রতিবাদী চেতনার মহান আদর্শ”- ‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে

এইচএসসি বাংলা নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি ক. প্রবহমান নদী কাকে ভাসিয়ে রাখে? খ. ‘ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. ‘উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথার’ সাথে উদ্দীপকের চেতনার ঐক্য নির্দেশ কর। ঘ. উক্ত ঐক্যের প্রেক্ষাপট উপস্থাপনে কবি আবু জাফর ওবায়দুল­াহ “আমি কিংবদন্তির কথা বলছি” কবিতায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  প্রবহমান নদী যে সাঁতার জানে না তাকেও ভাসিয়ে রাখে।  “ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়” বলতে বোঝানো হয়েছে পরিবারকে ভালোবেসে পরিবারের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে মাতৃভূমির ওপর নেমে আসে নির্মমতা।  মা ও মাতৃভূমি একইসূত্রে গ্রথিত। মাকে ভালোবেসে পরিবারের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে দেশরক্ষা হয় না। দেশকে শত্র“র আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হলে মায়া, ভালোবাসার বন্ধনকে ছিন্ন করে শত্র“র বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। আর তা হলে দেশমাতার ভাগ্যে নির্ধারিত হয় মৃত্যু।  ‘উনোনের আগুনে আলোকিত একটি উজ্জ্বল জানালার কথার’ সাথে উদ্দীপকের ঐক্য হলো মুক্ত জীবনের প্রত্যাশার চেতনা।  প্রতিটি মানুষই মুক্ত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াসী। পরাধীনতা কারোরই কাম্য নয়। স্বাধীনতা, মুক্ত জীবনের প্রত্যাশায় মানুষ সকল ভুল-ভ্রান্তি, দুঃখ-বেদনাকে মুছে ফেলতে চায়, ভেঙে-গুঁড়িয়ে দিতে চায় সকল অপশক্তিকে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এবং উদ্দীপকে এ বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে।  ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ‘উনোনের আগুনে আলোকিত ‘একটি উজ্জ্বল জানালার কথা’ এ চরণের মধ্য দিয়ে মুক্ত জীবনের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত হয়েছে। আগুন সবকিছুকে শুচি-শুদ্ধ করে তোলে। আগুনের উত্তাপেই মুছে যাবে মানুষের জীবনের সকল গ্লানি। মানুষ দেখা পাবে এক মুক্ত জীবনের। উদ্দীপকেও একটি নতুন দিনের সূচনা, মুক্ত জীবনের কথা বলা হয়েছে। আর এ কারণেই মানুষ অস্ত্র ধারণ করে যুদ্ধ করে।  উক্ত ঐক্যের প্রেক্ষাপটে কবি আবু জাফর ওবায়দুল­াহ ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন-মন্তব্যটি সত্য।  পরাধীন সে মানুষই হোক আর জাতিই হোক সে নির্জীব। এ ভাবে বেঁচে থাকা মৃত্যুরই নামান্তর। যেখানে স্বাধীনতা নেই সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দও নেই। তাই প্রত্যেকে মুক্ত ও স্বাধীন জীবনের প্রত্যাশী। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতা এবং উদ্দীপকে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।  ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি মানবমুক্তির আকাক্সক্ষা করছেন। এ আকক্সক্ষা থেকেই এ কবিতায় তিনি মুক্তির প্রতীকরূপে ‘কবিতা’ শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন। কবি বার বার ‘কবিতা’ শব্দটিকে ব্যবহার করে মুক্তির আবেগকে শিল্পরূপ দিয়েছেন। এ মুক্তির পূর্বশর্ত হলো সংগ্রাম, যুদ্ধ বা বাঙালির রক্তের মধ্যেই আছে। উদ্দীপকেও আমরা এই মুক্ত জীবনচেতনারই প্রতিফলন লক্ষ করি। এ মুক্ত জীবনকে পেতে হলে যুদ্ধ করতে হয়।  ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় মুক্ত জীবন প্রত্যাশার প্রেক্ষাপট হলো বাঙালি পুর্বপুরুষদের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। আর এটি এ কবিতায় উপস্থাপন করে কবি অসাধারণ শিল্প-সফলতা দেখিয়েছেন।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বিদেশের অপরিচিত পরিবেশে একাকি মিজান সাহেব তার মাকে খুব অনুভব করেন। বিশেষ করে ছোটবেলায় মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে। ক. যে কবিতা শুনতে জানে না সে কোথায় ভাসতে পারে না? খ. কে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না? কেন? গ. উদ্দীপকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?-আলোচনা কর। ঘ. মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  যে কবিতা শুনতে জানে না, সে নদীতে ভাসতে পারে না।  যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না-কারণ কবিতা শোনার ক্ষমতা না থাকলে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনার মানসিকতাও থাকে না।  মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শোনা যেকোনো মানুষের জীবনের অন্যতম আনন্দের দিক। মূলত মাতৃ-হৃদয়ের আবেগ যাকে টানে না, সে মায়ের গল্পকে ভালোবাসে না, মায়ের কোলের আকর্ষণ অনুভব করে না। যে কবিতা শুনতে জানে না, তার হৃদয় আবেগহীন জড় পদার্থের মতো, এ কারণেই কবিতাহীন মানসিকতার মানুষ মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না।  ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কবি তাঁর মায়ের মুখে গল্প শোনার যে কথা বলেছেন, তার সাথে উদ্দীপকের মিজানের স্মৃতিকাতরতার সাদৃশ্য রয়েছে।  মা সকলের জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। মানুষের শৈশব ও কৈশোর মায়ের সাথে জড়িয়ে থাকে এবং এ স্মৃতি মানুষ কখনোই ভুলতে পারে না। মায়ের মমতামাখা স্মৃতি মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।  উদ্দীপকের মিজান সাহেব বিদেশে থাকেন। সেখানে তাঁর মনে পড়ে মায়ের কথা। ছোটবেলায় কোলে শুয়ে শুয়ে তিনি গল্প, কবিতা শুনতেন। সেসব আজ তাঁর স্মৃতিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ স্মৃতির কথা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাতেও পাওয়া যায়। কবি তাঁর মায়ের মুখে অনেক শুনতেন প্রবহমান নদীর কথা এবং অন্যান্য অনেক গল্প, অর্থাৎ আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় এ দিকটিই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।  “মায়ের কোলে শুয়ে গল্প, কবিতা ও ছড়া শোনার স্মৃতি তাকে খুব আলোড়িত করে”-উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে তাৎপর্য বহন করে।  শৈশব ও কৈশোরে মানুষ মায়ের আদরে বড় হয়। জীবনের প্রাথমিক শিক্ষাও মানুষ মায়ের কাছে পায়। মা বিভিন্ন কবিতা, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি দিয়ে সন্তানের মনে মানবতাকে জাগিয়ে তোলেন।  উদ্দীপকে প্রবাসী মিজান সাহেবের কথা বিধৃত হয়েছে। মিজান সাহেব তাঁর শৈশব ও কৈশোরের কথা ভাবেন। তাঁর মায়ের কাছে শোনা গল্প, কবিতা, ছড়া- এসব তাঁর কানে বেজে ওঠে, মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মধ্যেও কবি এরূপ স্মৃতিচারণ করেছেন। মায়ের গল্প শোনাকে কবিতাপ্রেমী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায়। কবির মতে, যে কবিতা শুনতে জানে না, সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে জানে না। যেহেতু কবি এবং উদ্দীপকের মিজান সাহেব দুজনেই মায়ের কাছে গল্প শোনার স্মৃতিকে তুলে ধরেছেন, সেহেতু বলা যায় হাসান সাহেবও কবিতা শোনার মানসিকতা রাখেন।  মিজান সাহেবের মনে কবিতার প্রতি ভালোবাসা আছে। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি সময়ের কাছে শোনা গল্পের স্মৃতিতে আলোড়িত হন। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার আলোকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ছোট ভাইটিকে আমি আর কোথাও দেখি না নোলক-পরা বোনটিকে কোথাও দেখি না কেবল উৎসব দেখি, পতাকা দেখি।\ ক. কবি কার মৃত্যুর কথা বলেছেন? খ. ‘আমি বিচলিত স্নেহের কথা বলছি’-এখানে ‘বিচলিত স্নেহ’ বলতে কী বোঝায়? গ. উদ্দীপকে ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন অনুষঙ্গটি প্রতিফলিত হয়েছে ব্যাখ্যা দাও। ঘ. ‘যুদ্ধ মানে স্বজন হারানোর কান্না’-উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির

এইচএসসি বাংলা আমি কিংবদন্তির কথা বলছি সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ শামসুর রহমান  গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। কপালে কব্জিতে লাল সালু বেঁধে এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক, লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক হাতের মুঠোয় মৃত্যু চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, করুণ কেরানি, নারী, বৃদ্ধ, ভবঘুরে আর তোমাদের মত শিশু পাতা কুড়ানিরা দল বেঁধে। ক. শহরের পথে থরে থরে কী ফুটেছে? খ. ‘এ-রঙের বিপরীত আছে অন্য রং’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকটি ‘ফেব্র“য়ারি ১৯৬৯’ কবিতার যে দিকটিকে তুলে ধরে তার পরিচয় দাও। ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘ফেব্র“য়ারি ১৯৬৯’ কবিতার খণ্ডাংশযৌক্তিকতা দেখাও। ১ ২ ৩ ৪ ১নং প্রশ্নের উত্তর  শহরের পথে থরে থরে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে।  “এ রঙের বিপরীত আছে অন্য রং” বলতে প্রতিবাদ বা গণজাগরণের কথা বলা হয়েছে।  পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন ও অত্যাচার চালায়। তারা সে সময়ের পূর্ববঙ্গের মানুষকে পুতুলের মতো ব্যবহার করতে থাকে। চারদিকে হত্যা, সন্ত্রাস ও লুণ্ঠন জনজীবনে আতঙ্ক তৈরি করে। এর প্রতিবাদে এদেশের সাধারন মানুষ ক্ষুদ্ব হয়ে ওঠে। এ কথা বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।  উদ্দীপকটি ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করার দিকটি তুলে ধরেছে।  বাঙালি জাতি বীরের জাতি। এই জাতি যুগে যুগে শাসক শ্রেণির বিভিন্ন অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে সংগ্রাম করেছে, ছিনিয়ে এনেছে মুক্তির আস্বাদ। বাঙালি কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র তথা সকল শ্রেণিপেশার মানুষ একত্রিত হয়ে অন্যায়কে পদদলিত করে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে।  উদ্দীপকে এমনই এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বাঙালি জনতা। কপালে ও কব্জিতে লাল সালু বেঁধে এসেছে কারখানার শ্রমিক, লাঙল কাঁধে এসেছে কৃষক। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, করুণ কেরানি, নারী-বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর এমনকি ভবঘুরেরাও এসেছে আন্দোলন করার জন্য। তীব্র সংগ্রামে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতাতেও এই বিষয়টি লক্ষ করা যায়। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে জাতিগত শোষণ আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে জেগে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি, প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জ, হাটবাজার, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসংখ্য মানুষ ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করে। সুতরাং বলা যায় যে, ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার গণমানুষের এই আন্দোলন করার দিকটিই উদ্দীপকটিতে তুলে ধরা হয়েছে।  উদ্দীপকে যে বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার খন্ডাংশÑ মন্তব্যটি যথাযথ।  দেশ ভাগের পরই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের ভাষার ওপর বিভিন্নভাবে আঘাত হানে। কিন্তু বীর বাঙালি রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত শোষণের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে আমরা ঘাতক পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে অনেক সংগ্রাম আর আন্দোলন করি। আর এই মহান সংগ্রামগুলোতে শহিদ হয়েছেন বীরের জাতি বাঙালির অনেক তরুণ-যুবা।  উদ্দীপকটিতে একটি আন্দোলন-সংগ্রামরত সকল শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। কারখানার লোহার শ্রমিক, লাঙল কাঁধে কৃষক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, কেরানি, নারী, বৃদ্ধ সবাই এসেছে আন্দোলন করার জন্য। ভবঘুরে বা পথশিশুরাও এই আন্দোলন থেকে বাদ পড়ে নি। এই আন্দোলনটি মূলত ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার গণআন্দোলনেরই নামান্তর। কেননা সেই আন্দোলনেও কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সকলে দল বেঁধে অংশগ্রহণ করে। তবে ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতায় একমাত্র আলোচিত দিক এটিই নয়, আরও দিক রয়েছে।  ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতায় একুশের চেতনার দিকটি তথা একুশের স্মৃতিচারণার বিষয়টি এসেছে। এছাড়াও পথ-ঘাট সারাদেশে ঘাতকদের আস্তানা ছেড়ে যাওয়া, মানবিক বাগান, কমলবন তছনছ হওয়ার দিকগুলোও আলোচিত হয়েছে। কিন্তু এসব বিষয় উদ্দীপকের কবিতায় মোটেও আলোচিত হয় নি। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। রাশেদের গ্রামের বাড়ি সিলেট। পেশায় সে কেরানি ছিল। সে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্র“য়ারিতে ভাষা আন্দোলনে শহিদ হয়। তার ছোট্ট মেয়ে শেফা কাল বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছে। আজ হাতে মেহেদি পরেছে। সকালে রাঙাহাত দেখে মায়ের চোখ ছলছল করে। লাল রং-এর এমন দাগ রাশেদের শরীরে সেদিন দেখেছিলেন তিনি। আজও রক্তবর্ণ তার চোখে চেতনার রং হয়ে ভাসল। ক. ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতায় কৃষ্ণচূড়ার লাল রং কিসের প্রতীক? খ. ‘ফুল নয়, ওরা শহিদদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? গ. উদ্দীপকে রাশেদের মায়ের অশ্র“ ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার কোন আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “আজো রক্তবর্ণ তার চোখে চেতনার রং হয়ে ভাসল”-উক্তিটি ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার নিরিখে পর্যালোচনা কর। ১ ২ ৩ ৪ ২নং প্রশ্নের উত্তর  কৃষ্ণচূড়ার লাল রং চেতনার প্রতীক।  ফাগুন মাস বসন্তের মাস।  ফাগুন মাসের ৮ই ফাগ্লুন সংগঠিত হয়েছিল ভাষা আন্দোলন। রক্তের ছোপ ছোপ দাগ শরীরে জামায় এঁকে দেয় মৃত্যুর আলপনা। তাই কৃষ্ণচূড়া ফুল আর ফুল নয়, তা শহিদের রক্তের বুদ্বুদ ফেনায় ওঠা ফুল।  উদ্দীপকের রাশেদের মায়ের অশ্র“ ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার ঊনসত্তরের আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়।  বাঙালির প্রতিবাদী চেতনার অনন্য প্রকাশ ভাষা আন্দোলন। এ আন্দোলনের শহিদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা পায় মর্যাদার আসনে। উদ্দীপক এবং ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতা উভয় ক্ষেত্রেই এ আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে।  উদ্দীপকে ভাষা শহিদ রাশেদের মতো শত শত মানুষ সেদিন ভাষার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল। এদের কেউ কেউ শহিদ হয়েছে। শহিদ রাশেদের জননীর মতো অন্যান্য শহিদদের জননীরাও তাদের সন্তানের জন্য চোখের জল ফেলে, হারানো ছেলে মেয়ের পুত্র-কন্যার স্মৃতি রোমন্থন করে। তেমনি রাশেদের মা তার নাতনির হাতে মেহেদি রং দেখে ফিরে গেছেন ছেলের রক্তে ভেজা জামা দেখার স্মৃতিতে। ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতায়ও একইভাবে কবি ফাগুনে কৃষ্ণচূড়ার লাল রংকে চেতনার রং হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।  “আজও রক্তবর্ণ তার চোখে চেতনার রং হয়ে ভাসল”- উক্তিটি ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতার আলোকে যথার্থ।  ফেব্র“য়ারি শুধু ভাষার মাস নয়, একই সাথে আবেগের এবং ক্ষোভের। রক্তের বদলে যদি ভাষা হয় তবে চেতনার বদলে বাঙালি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। আলোচ্য কবিতায় যেমন একুশের কথা বারবার এসেছে, তেমনি উদ্দীপকে একুশকে প্রকাশ করা হয়েছে প্রতীকের মাধ্যমে।  উদ্দীপকে কেরানি রাশেদ ভাষা আন্দোলনে গিয়ে শহিদ হয়। এ ঘটনার বহুদিন পর তার মেয়ে শেফা মেহেদি হাতে বিয়ের সাজে সেজেছে। নাতনির হাতের মেহেদির লাল রং দেখে তার দুঃখিনী মায়ের শহিদ ছেলের কথা মনে পড়ে যায়। লাল রং তার চোখে চেতনার রং হয়ে দেখা দেয়। ‘ফেব্র“য়ারি-১৯৬৯’ কবিতায়ও একুশের চেতনার কথা বলা হয়েছে। বাঙালির প্রথম প্রেরণার সিঁড়ি ফাগুন বারবার এসে কৃষ্ণচূড়া প্রতীকের মাধ্যমে তার লেগে থাকা স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। একুশের চেতনা ভোলার নয়। শোকে ও সংগ্রামে এ চেতনাই জাতিকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে স্বাধীনতা। শহিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বলেই একুশের রং লাল।  উদ্দীপকে লাল রং দেখেই রাশেদের মায়ের চোখ জলে ভরে ওঠে, ভাষা হারিয়ে যায়। বুকে বেদনার আবহ সৃষ্টি হয়। তবুও এই বলে শান্তি পায় একুশ নিয়েছে প্রাণ দিয়েছে সম্মান, অহংকার, বীরত্ব আর মুখের ভাষা। আর তাই কৃষ্ণচূড়ার রক্তবর্ণ চেতনার রং, একুশের রং। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বেলালের বাড়ি সরুদিয়া গ্রামে। ছোট্টবেলায় সে বাবার সাথে ঢাকার রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করত। একদিন বাবা তাকে সঙ্গে না নিয়েই বেরিয়ে যায়। দুদিন বাবা বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার গুলিবিদ্ধ লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেল। বুকের বাম পাশে গুলি

এইচএসসি বাংলা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা আঠারো বছর বয়স সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

আঠারো বছর বয়স সুকান্ত ভট্টাচার্য গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সুজন ও সাধন সহপাঠী। দুজনেই লেখাপড়ায় বেশ ভালো। স্কুল জীবন পার হতে না হতেই সুজন মিশে যায় কিছু অসৎ বন্ধুর সাথে। লেখাপড়ার পাঠ চুকে যায় ওখানেই। তার নাম শুনলে মানুষ আঁতকে উঠে। অপর দিকে সাধন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। ভাষা আন্দোলন শুরু হলে সে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মিছিলে সে নেতৃত্ব দেয়। সংগঠিত করে সহপাঠীদের, আর প্রতিজ্ঞা করে  জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষার মান রক্ষা করবেই। ক. কোন বয়সে দুঃসাহসেরা উঁকি দেয়? খ. ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলো’ একথা দিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্য কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকের সুজনের মাঝে “আঠারো বছর বয়স” কবিতার ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. ‘নানা সমস্যাপীড়িত আমাদের দেশে তারুণ্য ‘যৌবনশক্তি’ যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়’ এ বক্তব্য উদ্দীপক ও “আঠারো বছর বয়স” কবিতায় যেভাবে ফুটে উঠেছে তা বিশ্লেষণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  আঠারো বছর বয়সে দুঃসাহসেরা উঁকি দেয়।  ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে’ এ কথা দিয়ে আঠারো বছর বয়সের দুর্বার গতিশীলতাকেই কবি বোঝাতে চেয়েছেন।  দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে আঠার বছর বয়সের যৌবনপ্রাপ্ত তরুণরাই এগিয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি। কেননা, তাদের গতি দুর্বার, তারা লক্ষ্যে অবিচল, প্রতিজ্ঞায় অটল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটুও দ্বিধা করে না বিপদ মোকাবেলায়। দেশ ও জনগণের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য বাষ্পের গতি নিয়ে স্টিমারের মতো এ বয়সীরা এগিয়ে যায়। জীবন উৎসর্গ করে হলেও তারা লক্ষে পৌঁছাতে সচেষ্ট হয়। দেহ ও মনের স্থবিরতা, নিশ্চলতা, জরাজীর্ণতাকে অতিক্রম করে প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই এ বয়সেই বৈশিষ্ট্য।  উদ্দীপকের সুজনের মাঝে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার ‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে/ এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো’র দিকটি ফুটে উঠেছে।  বয়ঃসন্ধিকাল মানুষের জীবনের এক চরম পরীক্ষার অধ্যায়। এ শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মনোজগতেও তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এ প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুটোই হতে পারে। ভালো-মন্দ নানা ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে নানা তত্ত¡, নানা মতবাদ, নানা পরামর্শে এ সময় বিভ্রান্তি ঘটতে পারে যার ফল ভয়াবহ।  ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় যৌবনে পদার্পণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন কবি। সমাজ জীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা জটিলতায় এ সময় সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে পদস্খলন হতে পারে। জীবনে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। উদ্দীপকেও আমরা যৌবনে পদার্পণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সুফল ও কুফল দেখতে পাই। সুজন ও সাধন দুজনেই লেখাপড়ায় বেশ ভালো। কিন্তু স্কুলজীবন পার না হতেই সুজন মিশে যায় কিছু অসৎ বন্ধুর সাথে। লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে সে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে। তার নাম শুনলে মানুষ আঁতকে ওঠে। অন্যদিকে সাধন হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর মেধাবী ছাত্র। এভাবে আমরা দেখি, ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার নেতিবাচক অর্থাৎ ক্ষতিকর দিকটি উদ্দীপকের সুজনের মাঝে ফুটে উঠেছে।  ‘নানা সমস্যাপীড়িত আমাদের দেশে তারুণ্য ‘যৌবনশক্তি’ যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়’ এ ইতিবাচক আশাবাদ দেশ ও জাতির জন্য অবশ্যই কল্যাণকর।  দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য যুগে যুগে তারুণ্যদীপ্ত মানুষই এগিয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়েছে সমস্ত বিপদ মোকাবেলায়। পরনির্ভরতা পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নেয়। নতুন জীবনের, নিত্য নতুন করণীয় সম্পাদনের, নব নব অগ্রগতি সাধনের জন্য দৃপ্ত শপথে বলীয়ান হয়ে সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের স্বপ্ন সফল করার দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যায়।  ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় দেশ ও জাতির প্রগতি ও অগ্রগতিকে নিশ্চিত করার জন্য তারুণ্যশক্তির প্রত্যাশা করা হয়েছে। আমাদের দেশ নানা সমস্যাপীড়িত। মৌলিক সমস্যাগুলো এখনও প্রবলভাবে রয়ে গেছে। এছাড়া বন্যা, নদীভাঙন, ঝড়, জলোচ্ছ¡াসের কাছে এ দেশের মানুষ এখনও বিপন্ন। অথচ, আমাদের রয়েছে বিপুল তারুণ্যশক্তি। দুর্যোগ ও দুর্বিপাক মোকাবেলার জন্য তাদের রয়েছে অদম্য প্রাণশক্তি। তারা তাদের শক্তি, উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি ও কল্যাণব্রত দিয়ে নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। আমাদের সমস্যাপীড়িত দেশে তারা হয়ে উঠতে পারে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি।  উদ্দীপকের সাধনও ইতিবাচক তারুণ্যশক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ভাষা আন্দোলন শুরু হলে সে তাতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সহপাঠীদের সংগঠিত করে, নেতৃত্ব দেয় এবং প্রতিজ্ঞা করে  জীবন দিয়ে হলেও মাতৃভাষার মান রক্ষা করবে। সাধন নিজের দেশ ও মানুষের সমস্যার গুরুত্ব দিয়ে এবং মিছিলের নেতৃত্ব গ্রহণ করে জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হওয়ার আকাক্সক্ষা প্রমাণ করেছে। সুতরাং উদ্বৃতিতে যে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে, আঠারো বছর বয়সী তরুণেরা তা সফল করবে।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। তমালের বয়স আঠারো। নিজেকে আজকাল একটু তার বড় বড় মনে হচ্ছে। আগে কেউ কিছু বললে চুপ করে শুনত; আজকাল যেন কথা বলতে শিখেছে, আত্মসম্মানবোধ জেগেছে। এই তো সেদিন ছোট চাচার সামনে যা করল, রীতিমতো সারা বাড়ি তোলপাড় হয়ে গেছে। তমাল একান্নবর্তী পরিবারের ছেলে। ছোটচাচা প্রতিদিন সকালের নাস্তা সেরে খবরের কাগজ নিয়ে বসেন আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তমাল চাচার কাছে আন্তর্জাতিক পাতাটি চাইতে গেলে চাচা জোরে এক ধমক বসালেন, “আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর নিতে চায়, ভাগ এখান থেকে” বলে ছোটচাচা সিগারেটে আগুন ধরালেন। তমাল আর থাকতে পারল না, ‘‘চাচা, আপনিতো প্রথম পাতা পড়ছেন, তা হলে ভিতরের একটি পাতা দিতে আপত্তি করছেন কেন? আর এখানে ছোট বাচ্চারা খেলছে, আপনি সবার সামনে সিগারেট টানছেন কেন? জানেন, আপনার চেয়ে এতে ওদের ক্ষতি বেশি হবে?” চাচা তো রেগে আগুন। যাচ্ছেতাই বলে ভর্ৎসনা করল তমালকে। কিন্তু আশ্চর্য! তমালের চোখ দিয়ে এক ফোটা জলও বের হলো না, বরং মনে হলো প্রতিবাদটাই শ্রেয়। ক. কোন সময় বা বয়স বিপদের মুখে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে? খ. “আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ” -কেন? গ. এত ভর্ৎসনার পরও তমাল কাঁদলো না কেন? ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আলোকে আলোচনা কর। ঘ. “আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা”- উক্তিটির মধ্যে আঠারো বছর বয়সের অশ্র“হীন প্রতিবাদশক্তির প্রকাশ ঘটেছে। – সত্যতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  ‘আঠারো বছর বয়স’ বিপদের মুখে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।  আঠারো বছর বয়স জীবনের জন্য এক যুগসন্ধিক্ষণ। এ সময় আসে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও নানা ধরনের ঝুঁকি। তাই কবি এ বয়সকে দুঃসহ বলেছেন।  কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় মানবজীবনের আঠারো বছর বয়সটিকে দুঃসহ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এই বয়সে মানুষ কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে এই বয়সেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হয় তরুণকে। আত্মনির্ভরশীলতার তাড়না তাকে এ সময় অস্থির করে তোলে। স্পর্ধিত সাহসে এই বয়সেই স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঝুঁকি নেয় সে । এদিক থেকে তাকে এক কঠিন সময়ের দুঃসহ অবস্থায় পড়তে হয়। জীবনকে আর আগের মতো ধরাবাধা ছকে বেঁধে রাখা যায়

এইচএসসি বাংলা আঠারো বছর বয়স সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা সেই অস্ত্র সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

সেই অস্ত্র আহসান হাবীব গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ মানুষের মাঝে কভু রবে না বিচ্ছেদÑ সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ। …………………………. হিংসা দ্বেষ রহিবে না কেহ কারে করিবে না ঘৃণা পরস্পরে বাঁধি দিব প্রীতির বন্ধনে বিশ্বজুড়ে এক সুরে বাজিবে গো মিলনের বীণা মানব জাগিবে নব জীবন স্পন্দনে। ক. “সেই অস্ত্র” কবিতায় বর্ণিত নগরটির নাম কী? খ. “লক্ষ লক্ষ মানুষকে করবে না পঙ্গুÑবিকৃত।”Ñ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. কবিতাংশের প্রথম স্তবকে “সেই অস্ত্র” কবিতার কোন ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “কবিতাংশের দ্বিতীয় স্তবক যেন কবি-ভাবনার চূড়ান্ত প্রতিফলন”Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  কবিতায় বর্ণিত নগরীর নাম ট্রয় নগরী।  প্রশ্নোক্ত চরণে ভালোবাসাহীন বিদ্বেষপূর্ণ পৃথিবীতে যুদ্ধের অনিবার্য ক্ষতি সম্পর্কে কবির উৎকণ্ঠার প্রকাশ ঘটেছে।  মানুষ যদি অপর মানুষের প্রতি হিংসা, লোভ, ঈর্ষা থেকে মুক্ত না থাকে তবে পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে আসবে। কবি এই বিপর্যয় আশঙ্কায় ভীত। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার স্মৃতি দ্বারা তাড়িত হয়েছেন। তাই তিনি আণবিক বোমার আঘাতে মৃত কিংবা প্রজন্ম-পরম্পরায় পঙ্গুত্ববরণকারী মানুষদের প্রতি সমবেদনার চেতনার ভাবটি প্রকাশ করেছেন চরণটিতে।  কবিতাংশের প্রথম স্তবকে ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় মানবসমাজের সকলের প্রতি ভালোবাসার ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।  ভালোবাসা দ্বারা পৃথিবীর সকল অজেয় ক্ষেত্রকে জয় করা সম্ভব। ভালোবাসার শক্তি অসীম। মানুষের মাঝে এই ভালোবাসার মিলন মেলা বসাতে পারলে পৃথিবীর অর্ধেক সমস্যার সমাধান হতো। অথচ মানুষ এই সহজ সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে না বা করে না। এজন্য সারা পৃথিবীতে এত অশান্তি, যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই আছে।  উদ্দীপকে কবি সবাইকে ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। নিজের আত্মপ্রসাদে বিভোর হয়ে আপনপর ভেদাভেদ না করে এক নতুন সমাজ গঠন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মানুষের মাঝে কোনো বিচ্ছেদ ভাব কবি কামনা করেন নি। সর্বত্র একটা মৈত্রীর ভাব বিরাজ করবে এটাই কবি প্রত্যাশা করেন। এই ভাবটি ‘সেই অস্ত্র’ কবিতাতেও পরিলক্ষিত হয়। কবিতায় কবি এমন অস্ত্র ফিরিয়ে দিতে বলেছেন, যে অস্ত্রের আঘাতে মাঠে আগুন জ্বলবে না। খাঁ খাঁ করবে না গৃহস্থালি, নক্ষত্র খচিত আকাশ থেকে আগুন ঝরবে না। সে অস্ত্র ভালোবাসার। কবি ভালোবাসা দিয়েই এই বিশ্বের সমস্ত হিংসা হানাহানি বন্ধ করতে চান। মানুষের মাঝের জাত্যভিমানের দেয়াল ভেঙে ফেলতে চান। ঘৃণা বিদ্বেষ দূর করে সবাইকে ভালোবাসার মাধ্যমে এক সুখী ও সমৃদ্ধশালী পৃথিবী গঠন করতে চান। কবিতার এই ভাবটিই উদ্দীপকের প্রথম স্তবকে প্রতিফলিত হয়েছে।  কবিতাংশের দ্বিতীয় স্তবক যেন কবির ভাবনার চূড়ান্ত প্রতিফলনÑ মন্তব্যটি যথার্থ।  মানুষের প্রতি যখন ভালোবাস-বোধের সৃষ্টি হয় তখন চিত্তজগৎ মহৎ হয়। সেই মহৎ চেতনা মানবসমাজের কল্যাণ বয়ে আনে। এটি মানুষকে সব ধরনের অমঙ্গল থেকে পরিত্রাণের পথ বাতলে দেয়। কিন্তু আমাদের এই মানবসমাজে হিংসা আর স্বার্থপরতার করাল গ্রাসে অনেকেই মানবিকতাশূন্য হয়ে পড়েছে। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসাই পারে একটি বৈষম্যহীন অহিংস মানবসমাজ গড়তে।  উদ্দীপকের কবি এমন সমাজেরই প্রত্যাশা করেন যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। কেউ কাউকে ঘৃণা করবে না। পরস্পরকে প্রীতির বন্ধনে বেঁধে এখানেই স্বর্গ রচনা করবে। সেই জগৎ সংসারে জাগবে নব জীবনের স্পন্দন। উদ্দীপকের এই শেষোক্তভাবে যেন ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কবির ভাবনার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটেছে।  ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কবি ভালোবাসা নামের অস্ত্রকে আবারও এই মানবসমাজে ফিরে পেতে চেয়েছেন। কবির কাছে ভালোবাসা কেবল আবেগ কিংবা অনুভূতির দ্যোতনা জাগায় না। এটি মানুষকে অশান্তি, অমঙ্গল থেকে পরিত্রাণের পথ দেখায়। তাই বলা যায়, প্রশ্নোলি­খিত মন্তব্যটি যথার্থ।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে হলে প্রকৃতির সাবলীল গতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা, তার অন্যতম কারণ হলো প্রকৃতির বুকে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক নির্যাতন। যেমনÑ রাসায়নিক অস্ত্র কারখানা, চুলি­ ও অস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা। ক. ভালোবাসার অস্ত্র উত্তোলিত হলে অরণ্য কী হবে? খ. অরণ্য আরো সবুজ হওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতির সাবলীলতার কথার সাথে ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কবির আকাক্সক্ষার সাদৃশ্য তুলে ধর। ঘ. “বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক কর্মযজ্ঞের কারণেই বর্তমান প্রকৃতি এত বেশি বিপর্যস্ত”Ñ ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  ভালোবাসার অস্ত্র উত্তোলিত হলে অরণ্য আরো সবুজ হবে।  অরণ্য আরো সবুজ হওয়ার আবশ্যকতা অনুভব করার কারণ হলো পৃথিবীর পরিবেশকে আরো সুন্দর, সতেজ ও বসবাস উপযোগী করা।  প্রাণিকুলের জীবন নির্ভর করে উদ্ভিদের ওপর। সবুজ উদ্ভিদ না থাকলে পৃথিবীতে কোনো প্রাণীই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না। কিন্তু বর্বর মানসিকতার মানুষ গাছপালা কেটে পৃথিবীকে ক্রমশ মরুভূমি বানিয়ে ফেলছে। কবি এ মরুকরণের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে চান। এজন্যই কবি অরণ্য আরো সবুজ হওয়া, অর্থাৎ আরো উদ্ভিদের উৎপাদন আবশ্যক বলে মনে করেন।  ‘সেই অস্ত্র’ কবিতা ও উদ্দীপকে অরণ্যের বৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে, যা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।  পৃথিবীর ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ উদ্ভিদ রাখা প্রয়োজন। উদ্ভিদের নিয়ত নিধন মানব সভ্যতাকে দিনে দিনে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রমশ বেড়ে চলছে।  উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে উদ্ভিদের হার কমে যাওয়ায় পৃথিবীতে প্রাকৃতিক জটিলতা দিনদিন বেড়েই চলছে। মানুষ বিভিন্নভাবে বৃক্ষ নিধন করছে। রাসায়নিক কর্মকাণ্ডে উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কিন্তু এ কাজ কেউ বন্ধ করছে না। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি এ জন্য হাহাকার করেছেন। সবুজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় তিনি অরণ্যকে আরো সবুজ করে তোলাার দাবি জানিয়েছেন। কারণ অরণ্য যত ধূসর হবে, যত নি®প্রভ হবে, পৃথিবী ও প্রাণিকুল ততই বিপন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে। এদিক বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার মাঝে আকাক্সক্ষাগত সাদৃশ্য রয়েছে।  ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে প্রশ্নোলি­খিত উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার করা যুক্তিযুক্ত।  মানুষ নতুন নতুন আবিষ্কার করছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষে নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। সেই সাথে ধ্বংসযজ্ঞও থেমে নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণেই মানুষ তৈরি করছে নতুন নতুন মৃত্যুবাণ, যা শুধু মানুষকে নয়, পরিবেশ প্রকৃতিকেও ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।  রাসায়নিক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা উদ্দীপকের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে অস্ত্র-কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে রাসায়নিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির প্রভাব পরিবেশে ব্যাপক হারে পড়ছে। দিনদিন নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, ফলে সবুজ অরণ্য আরো নি®প্রভ হয়ে যাচ্ছে। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি এ দিকটি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন, তিনি আরো সবুজ অরণ্য দাবি করেন। যা মানব অস্তিত্বের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি বর্তমান পৃথিবীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঘৃণ্য অস্ত্রের কথা বলেছেন। এগুলো হলো মানুষের মনের পঙ্কিলতা থেকে সৃষ্ট অস্ত্র, মানবতাবোধ না থাকায় প্রকাশিত হচ্ছে পাশবিকতা; এই পাশবিকতার চূড়ান্ত রূপ বাস্তবায়ন করতেই মানুষ বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক অস্ত্র।  হাইড্রোজেন বোমা, নিউক্লিয়ার বোমা বা এ জাতীয় অস্ত্র তৈরির জন্য সৃষ্ট রাসায়নিক চুলি­ পরিবেশের জন্য খুব বেশি হুমকিস্বরূপ। বস্তুত, বর্তমান পৃথিবীর হিংস্র মানুষগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে, যা প্রশ্নোক্ত উক্তির সত্যতা

এইচএসসি বাংলা সেই অস্ত্র সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

এইচএসসি বাংলা এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে জীবনানন্দ দাশ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ১. এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার কোথায় এমন ধূম্র পাহাড় কোথায় এমন হরিৎক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে এমন ধানের ওপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে। ২. আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে। ক. জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিষ্ট্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী বলে আখ্যায়িত করেছেন? খ. “জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল”Ñকথাটির দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকের উভয় অংশে কোন বিশেষ দিকটি “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে” কবিতায় অনুপস্থিত তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. “স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণে এখানকার প্রতিটি জিনিস কবির চোখে অপরূপ সৌন্দর্য জাগানিয়া।” উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা দেখাও। ১ ২ ৩ ৪ ১ নং প্রশ্নের উত্তর  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চিত্ররূপময়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।  প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা কবি নদীমাতৃক বাংলার নদী-নালার স্রোতধারার প্রাণৈশ্বর্যকে বোঝাতে চেয়েছেন।  বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় ১৩০টি নদ-নদী। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলোÑ পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী প্রভৃতি। এসব নদী ছাড়াও জলে পরিপূর্ণ হয় এদেশের অসংখ্য খাল-বিল, ডোবা নালা। তারা ফিরে পায় তাদের স্রোতধারার প্রাণৈশ্বর্য ও রূপ-সৌন্দর্য। প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা কবি মূলত এদেশের নদ-নদীর স্রোতধারার ঐশ্বর্যকে বোঝাতে চেয়েছেন।  উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের বুকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার বিশেষ দিকটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় অনুপস্থিত।  দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আত্মার সম্পর্ক। তাই মানুষ তার স্বদেশকে ভালোবাসে অন্তরের অন্তস্থল থেকে। স্বদেশের প্রতিটি জিনিসই তার কাছে পায় অসীম মর্যাদা।  উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে। কেননা, এখানে স্বদেশের প্রতিটি জিনিসই পেয়েছে অনন্য মর্যাদা। স্বদেশের পাহাড়-প্রকৃতি, নদ-নদী সবকিছুই কবির কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে। স্বদেশের প্রতি এমন মমত্ববোধের কারণে কবি তাঁর জন্মভূমির বুকেই শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চেয়েছেন। অন্যদিকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবি গভীরভাবে তাঁর মাতৃভূমিকে ভালোবেসেছেন। তাইতো স্বদেশের সবকিছুই তাঁর কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে। স্বদেশের রূপ-সৌন্দর্যের মাঝে তিনি খুঁজে পেয়েছেন প্রাণৈশ্বর্য। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের উভয় অংশে স্বদেশের বুকে শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাওয়ার বিশেষ দিকটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় অনুপস্থিত।  “স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণে এখানকার প্রতিটি জিনিস কবির চোখে অপরূপ সৌন্দর্য জাগানিয়া।”Ñ উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে মন্তব্যটি যৌক্তিক।  প্রতিটি মানুষের মধ্যে তাঁর স্বদেশের প্রতি রয়েছে গভীর ভালোবাসা, যা মানুষের মনে আনে প্রশান্তির জোয়ার। স্বদেশের প্রতি এমন গভীর মমত্ববোধের কারণে স্বদেশের প্রতিটি বস্তু মানুষের কাছে পায় বিশেষ মর্যাদা।  উদ্দীপকে জন্মভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। কবির চোখে তাঁর দেশের নদী, পাহাড়, প্রকৃতি, আকাশ সবকিছুই যেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ। ধান খেতে বাতাসের এমন খেলা পৃথিবীর আর কোথাও যেন খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই কবি এমন ঐশ্বর্যমণ্ডিত দেশে জন্মে গর্বিত। তাঁর চোখে অসাধারণ সুন্দর এই দেশ যা সারা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের এমন লীলাক্ষেত্র পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদেশের চিরসবুজ প্রকৃতি, নদ-নদী পাহাড় যেন সৌন্দর্যের প্রতীক। প্রকৃতি ও প্রাণির মধ্যে রয়েছে অসীম সংহতি।  স্বদেশের প্রতি প্রতিটি মানুষের থাকে গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ। এ ভালোবাসা ও মমত্ববোধের কারণেই স্বদেশের সবকিছু মানুষের চোখে হয়ে ওঠে পৃথিবী-শ্রেষ্ঠ- যা উদ্দীপক ও কবিতায় ফুটে উঠেছে। এজন্যই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।  অতিরিক্ত অনুশীলন (সৃজনশীল) অংশ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা; তাহার মাঝে আছে দেশ একÑ সকল দেশের সেরা; ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা; এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড়; কোথায় এমন হরিৎক্ষেত্র আকাশ তলে মেশে। এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে। পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখী; কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি, গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়েÑ তারা ফুলের উপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রাণী সে যেÑ আমার জন্মভূমি। ক. পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল কী? খ. “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছেÑ সবচেয়ে সুন্দর করুণ”Ñএখানে কোন স্থানের কথা বলা হয়েছে? গ. উদ্দীপকের কবির জন্মভূমি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কিসের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “প্রকৃতিপ্রেম থেকে উৎসারিত স্বদেশপ্রেমই উদ্দীপকের কবিতাংশ ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার মূল ভাবনা।”Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ১ ২ ৩ ৪ ২ নং প্রশ্নের উত্তর  শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।  “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছেÑ সবচেয়ে সুন্দর করুণ”Ñ এখানে বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।  আমাদের এই বাংলার মানুষ অভাবগ্রস্ত হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ আর প্রকৃতির রূপে বাংলা ঐশ্বর্যশালী। বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতোটাই মনোরম যে, পৃথিবীর কোথাও এমন স্থান খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলার প্রতিটি তুচ্ছ উপাদানে কবি অপরূপ সৌন্দর্যের আভা দেখতে পান। তাই বলা যায়, এই পৃথিবীতে “এক স্থান আছেÑ সবচেয়ে সুন্দর করুণ”Ñ তাহলো আমাদের রূপসী বাংলা।  উদ্দীপকের কবির জন্মভূমি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।  আমাদের এই বাংলাদেশ প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সাগর, নদী, পাহাড়, পশু-পাখি, ফুলে-ফসলে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রকৃতির ভুবনমোহিনী সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত ও মুগ্ধ করে।  উদ্দীপকে বর্ণিত দেশটি পৃথিবীর সকল দেশের চেয়ে সেরা: এমন স্নিগ্ধ নদী আর ধূম্র পাহাড় আর কোথাও নেই। এখানকার বাতাস ধানের খেতের ওপর যেভাবে ঢেউয়ের খেলার সৃষ্টি করে তা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। পাখির কলরবে এখানকার প্রকৃতি সদা কলে­ালিত; ফুলের ওপর ভ্রমর আর মৌমাছির গুঞ্জন আমাদের চিত্তকে আন্দোলিত করে। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় যে স্থানের কথা বলা হয়েছে তার সবুজ ডাঙা মধুক‚পী ঘাসে অবিরল। কর্ণফুলী, পদ্মার অবিরল জলের ধারা আর শঙ্খচিল, ল²ীপেঁচার অস্ফুট তরুণ চঞ্চলতা প্রকৃতিতে এক মোহনীয় আবেশ সৃষ্টি করে। এখানে সন্ধ্যার অন্ধকার বাতাসে সুদর্শন উড়ে যায় আর বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ধানের খেত যেন হলুদ শাড়ির মতো রূপসীর গায়ে লেগে থাকে। নীল বাংলার ঘাসে আর ধানের ভেতরে যে অপার সৌন্দর্য তা সত্যিই অপরূপ রূপের প্রতীক। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, সকল দেশের রানি হলো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। তাই বলা যায়, এই ভাবটি ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কবির প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।  প্রশ্নোলি­খিত মন্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ।  জন্মভূমির অবারিত সৌন্দর্যই একজন মানুষের মনের গহিনে স্বদেশের প্রতিমূর্তি গড়ে দেয়। প্রকৃতির অপার রূপমুগ্ধতাই দেশবাসীর মনের ভেতরে সৃষ্টি করে দেশপ্রেম।  উদ্দীপকের কবি তাঁর প্রিয় জন্মভূমির রূপবৈচিত্র্যে পুরোপুরি মুগ্ধ। কবি এই বসুন্ধরাকে ধনধান্য পুষ্পভরা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর এই বসুধার মাঝে একটি দেশ আছে যেটি অন্যান্য দেশের তুলনায় সেরা। কেননা, সেই দেশটি স্বপ্ন দিয়ে তৈরি হয়েছে এবং স্মৃতি দিয়ে ঘেরা রয়েছে। দেশটি কবির মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বাংলার স্নিগ্ধ নদী, ধূম্র পাহাড়, ধানের খেত, পাখির কলকাকলি কবির মনে দোলা দিয়ে

এইচএসসি বাংলা এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে সৃজনশীল ও জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top