১৪ সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আজকের পোস্টে স্বাগতম। তোমাদের জন্য আজ নিয়ে এলাম ১৪ সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১। এখানে তোমরা নির্ভূল ও মানসম্মত কৃষি শিক্ষা চতুর্দশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে। করোনাকালীন সময়ে তোমাদের যে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে সেই কার্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে ১৪ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই চতুর্দশ সপ্তাহের এসাইনমেন্টের মধ্যে তোমাদের কয়েকটি  অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে। তবে তোমাদের সবাইকে সব এসাইনমেন্ট লিখতে হবেনা। ১৪ সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ তোমাদের যারা বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়ন কর তারা জীববিজ্ঞান ও সাথে একটি ফোর সাবজেক্ট লিখবে কারো হয়তো কৃষি শিক্ষা, অথবা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, অথবা উচ্চতর গণিত অথবা চারু ও কারুকরা থাকতে পারে। আর যারা মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী তাদের জন্য মূল বিষয় বাদে ফোর সাবজেক্ট হিসেবে কৃষি শিক্ষা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, চারু ও কারুকরা লিখতে হবে। তবে সবাইকে তাদের মূল বিষয় যেমন, জীব বিজ্ঞান, ফিন্যন্স ও ব্যাংকিং, পৌরনীতি ও নাগরিকতা লিখতেই হবে। আচ্ছা আমরা বিষয় ‍নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। এখন চলো আমরা কৃষি শিক্ষা ১৪ সপ্তাহের প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি। ১৪ সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১ বিষয়ঃ কৃষি শিক্ষা অধ্যায়ঃ ২য় অধ্যায় কৃষি উপকরণ। বিষয়বস্তুঃ  প্রথম পরিচ্ছেদ: ক্লাশ-১, ফসল বীজ ও বংশ বিস্তারক উপকরণ, ফসল বীজ উৎপাদনের ধাপসমূহ,ক্লাশ-২: বংশ বিস্তারক উপকরণ উৎপাদনের ধাপসমূহ, ফসল বীজের গুরুতৃ, বংশ বিস্তাব্রক উপকরণের গুরুত্বদ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: ক্লাশ-৩। আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য, মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ।ক্লাশ-৪: পুকুরের প্রকারভেদ ও এর বিভিন্ন স্তর, পুকুরের বিডির স্তর ও পুকুরে বসবাস কারী জীব সম্প্রদায় স্ৃতীয় পরিচ্ছেদ: ক্লাশ-৫ নতুন পুকুর খনন, পুকুর প্রস্ততকরণ বা মাছ চাষের উপযোগীকরণক্লাশ-৬: পুকুরে পোনা ছাড়ার পদ্ধতি৪র্থ পরিচ্ছেদ: ক্লাশ-৭: মাছের অভয়শেম ও মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপনের গুরুতুপঞ্চম পরিচ্ছেদ: ক্লাশ-৮২ মৎস্য সংরক্ষণ জাইন নির্ধারিত কাজঃ একটি পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর পর্যবেক্ষণ করলে এদের মধ্যে বসবাসকারী জীব সম্প্রদায় ও পরিবেশের মধ্যে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তার উপর চিত্রসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর। নির্দেশনাঃ ১.শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরিচ্ছেদের ধারণা নিবে ২. সম্ভব হলে জলাশয় ও মাছ চাষের পুকুর পরিদর্শন করবে ৩. মাছ চাষীর সাথে মতবিনিময় করবে ৪. বিষয় শিক্ষকের সাথে আলোচনা করবে ৫. নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখবে মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ  অতি উত্তম ১. পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের মধ্যে বসবাসকারী জীবগুলোর নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করলে ২, পতিত জলাশয় ও পুকুরের জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পেরে সঠিক চিত্র ব্যবহার করে উপস্থাপন করলে ৩. লেখায় লক্ষণীয়মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা উত্তম: ১. পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের মধ্যে বসবাসকারী অধিকাংশ জীবগুলোর নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করলে ২. অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক চিত্র ব্যবহার করে পতিত জলাশয় ও পুকুরের জীব সম্প্রদায়ের পার্থক্য উল্লেখ করলে ৩. লেখায় আংশিক নিজন্বতা ও সৃজনশীলতা ভালো: ১. পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের মধ্যে বসবাসকারী কিছু জীবের নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করলে ২. আংশিক ক্ষেত্রে সঠিক চিত্র ব্যবহার ও আংশিক পার্থক্য উপস্থাপন করলে ৩. লেখায় সামান্য নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা অগ্রগতি প্রয়োজন: ১. সঠিকভাবে পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের আদর্শ পুকুরের জীব সম্প্রদায় উল্লেখ না করলে ২. সঠিক চিত্র ব্যবহার ও পার্থক্য উপস্থাপনে অসঙ্গতি ৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা অনুপস্থিত তোমরা কি উপরের প্রশ্নগুলো পড়েছো? যদি না পড়ে থাকো তাহরে আগে প্রশ্নগুলো পড়ে আসো। তোমাদের অনেকেই প্রশ্নগুলো না পড়ে উত্তরটি হুবুহু তলতে থাকে। তোমরা এমনটি করবেনা। এটিকে একটি নমুনা উত্তর হিসেবে গ্রহন করে তোমরা নিজের মত করে লিখবে। চলো তাহলে আমরা উত্তরটি দেখে নিই। ৯ম শ্রেণির ১৪ সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ এসাইনমেন্ট শুরু একটি পতিত জলাশয় ও মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর পর্যবেক্ষণ করলে এদের মধ্যে বসবাসকারী জীব সম্প্রদায় ও পরিবেশের মধ্যে যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তার উপর চিত্রসহ একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হল। মাছ চাষের জন্য একটি আদর্শ পুকুর তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একটি আদর্শ পুকুর তৈরি করতে আমাদের আগে আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো। ১। পুকুরটি শুকিয়ে নতুন করে পানি দেওয়া হবে।২। পুকুরের পাড় উচু হতে হবে।৩। পুকুরটি উচু স্থানে অবস্থিত হতে হবে যেন বন্যার পানিতে ভেসে না যায়।৪। পুকুরটির মাটি দোআঁশ ও পলি দোআঁশ হলে ভালো হয়।৫। পুকুরটিতে সারা বছর পানি থাকলে ভালো হয়।৫। পুকুরের পানির গভীরতা ০.৭৫-২ মিটার সুবিধাজনক।৬। পুকুরের পাণির   Pᵸ এর মান ৭ এর কাছাকাছি হতে হবে।৭। একটি আদর্শ পুকুরের কাদার পুরুত্ব ২০-২৫ সেমি এর বেশি হবেনা।৮। পুকুরটিতে যতেষ্ট রোদের ব্যবস্থা থাকতে হবে।৯। মাছ চাষের জন্য আদর্শ পুকুর ২০-২৫ শতকের আয়তনের হলে ভালো হয়। মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণঃ আদর্শ পুকুরের জন্য পানির ২ ধরনের গুণাগুণ থাকে। যথা: ভৌত গুণাগুণ রাসায়নিক গুণাগুণ ১। ভৌত গুণাগুণঃ  ক) গভীরতাঃ পুকুরের গভীরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পুকুর বেশি গভীর হলেও সমস্যা আবার কম গভীর হলেও সমস্যা। বেশি গভীর হলে পুকুরের তলদেশে সুর্যের আলো পৌছাতে পারবেনা। আবার কম গভীর হলে পুকুর সূর্যের তাপে বেশি গরম হয়ে ‍যাবে ফলে মাছের উৎপাদন ব্যহত হবে। খ) তাপমাত্রাঃ মাছের উৎপাদান বেশির জন্য পুকুরের তাপমাত্র ঠিক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম তাপমাত্রায় মাছ কম বাড়ে আবার বেশি তাপমাত্রায় মাছের রোগবলায় বেশি হয়। আদর্শ তাপমাত্র হল ২৫-৩০ ডিগ্রি। ঘ) ঘনত্বঃ পাণির ঘনত্ব মাছ  চাষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত পানিতে কাদার পরিমান বেশি হলে পাণি ঘোলা হয়ে যায় এবং পাণির ঘোলাত্ব বেশি হয়ে যায় ফলে পুকুরে অক্সিজেনের পরিমান কমে যায়। আবার খাবারের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে পাণির ঘনত্ব বেশি হয়ে ‍যায়। ২। রাসায়নিক গুণাগুণঃ ক) দ্রবীভূত অক্সিজেনঃ পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পাণিতে ফাইটোপ্লাংটন বেশি থাকলে অক্সিজেন সঠিক থাকে কারণ এটি পাণিতে অক্সিজেন সংশ্লেষণ করে। পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে কৃত্তিম উপায়ে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পানিতে মাছ চাষের জন্য আদর্শ অক্সিজেন পরিমাণ হলো ৫মিলিগ্রাম/লিটার। খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই অক্সাইডঃ পুকুরের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ থাকতে হবে ১২মিলিগ্রাম/লিটার। এর সামান্য বেশি কম থাকলে সমস্যা নাই। কিন্তু অতিরিক্ত কম বেশি হয়ে গেলে তার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গ) Pᵸ (পিএইচ) এর মানঃ পুকুরের আদর্শ  Pᵸ এর মান হলো ৬.৫ থোক ৮.৫। এর বেশি হলে পানি ক্ষারিয় হয়ে যাবে। আর কম হয়ে গেলে পানি অম্লিয় হয়ে যাবে। পুকুরে  Pᵸ এর মান বাড়ানোর জন্য চুন ব্যবহার করা যেতে পারে। আর   Pᵸ এর কমানো জন্য এমোনিয়াম সালফেট যোগ করতে হবে। পুকুরের প্রকারভেদঃ ১। পানির স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে পুকুরকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। স্থায়ী বা বার্ষিক পুকুর অস্থায়ী বা মৌসুমি পুকুর ২। চাষকৃত মাছের বয়সের উপর ভিত্তি করে পুকুরকে ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়। আঁতুড় বা নার্সারি পুকুর লালন পুকুর মজুদ পুকুর পুকুরের স্তরঃ সাধারণত পুকুরের স্তর থাকে ৩টি যথা: উপরের স্তর  মধ্যস্তর নিচের স্তর পুকুরকে

১৪ সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ Read More »