চতুর্থ শ্রেণি

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

মা কাজী নজরুল ইসলাম অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। আমাদের সবার জীবনে ‘মা’ কথাটি একটি মধুমাখা নাম। মায়ের মমতা আমাদের চলার পথের পাথেয়। শৈশবে মা আমাদের গভীর মমতায় লালন করেন। ভালোভাবে লেখাপড়া করলে, জীবনে সফল হলে মা খুশি হন। অন্যদিকে মায়ের আশিস পেলে সন্তানের দুঃখ ঘুচে যায়। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি। মতন সুধা হেরিলে পরান যাতনা নিনু ছিনু বাক শুধাবেন সোহাগ উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য মতন – মতো, অনুরূপ। – মায়ের মতন আপন কেউ নেই। সুধা – অমৃত, মধু। – সুধা আমার প্রিয় খাবার। হেরিলে – দেখিলে। – মায়ের মুখ হেরিলে দুঃখ দূর হয়। পরান – প্রাণ। – মায়ের মুখের হাসি পরান জুড়িয়ে দেয়। যাতনা – কষ্ট। – মা আমাদের জন্য অনেক যাতনা সহ্য করেন। নিনু – নিলাম। – বইটি হাতে নিনু। ছিনু – ছিলাম। – আমি তখন ঘরে ছিনু। বাক – কথা, শব্দ। – জন্মের সময় মুখে বাক ছিল না। শুধাবেন – জিজ্ঞাসা করবেন, জানতে চাইবেন। – দেরিতে ফিরলে মা কারণ শুধাবেন। সোহাগ – আদর। – মায়ের সোহাগ অতুলনীয়। ৩. কবিতার একটি চরণ দেওয়া আছে, পরবর্তী চরণ লিখি। হেরিলে মায়ের মুখ, ………………………………….. মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান, ……………………………… সকল যাতনা ভোলে ……………………………… উত্তর : হেরিলে মায়ের মুখ, দূরে যায় সব দুখ, মায়ের কোলেতে শুয়ে জুড়ায় পরান, মায়ের শীতল কোলে সকল যাতনা ভোলে কত না সোহাগে মাতা বুকটি ভরান। ৪. কবিতাটি আবৃত্তি করি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে আবৃত্তি কর। ৫. কবিতার প্রথম আটটি চরণ মুখস্থ বলি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটি মুখস্থ করে প্রথম আট চরণ বল। ৬. কবিতাটিতে কবি কী বলেছেন তা সংক্ষেপে বলি ও লিখি। উত্তর : কবিতাটিতে কবি মায়ের ভালোবাসার কথা বলেছেন। পৃথিবীতে ‘মা’-র মতো মধুর আর কোনো শব্দ নেই। মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। তাঁর মতো আদর স্নেহ আমাদের আর কেউ করে না। মায়ের মুখ দেখলে আমাদের দুঃখ দূর হয়ে যায়। তাঁর কোলে শুয়ে আমরা সব কষ্ট ভুলে যাই। শিশুকালে আমরা অনেক অসহায় থাকি। তখন মা ছাড়া আমরা কিছু বুঝি না। মা আমাদের গভীর মমতায় লালন-পালন করেন। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে মা অনেক চিন্তা করেন। আমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করলে মা খুশি হন। আমাদের সাফল্যে তাঁর অনেক গর্ব হয়। মায়ের আশীর্বাদ পেলে সন্তানের কোনো দুঃখ থাকে না। ৭. আমার ‘মা’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখি। উত্তর : আমার মা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমার অনেক যতœ নেন। আমাকে পড়াশোনায় সাহায্য করেন। আমাকে ভালো মানুষ হওয়ার কথা বলেন। মায়ের কাছেই আমি আমার সব আবদার করি। আমার মায়ের মুখের হাসি বড় মধুর। মায়ের কোলে শুয়ে আমি সব কষ্ট ভুলে যাই। আমার সফলতায় মা অনেক খুশি হন। আমি আমার মাকে অনেক ভালোবাসি। মা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) কার মুখ দেখলে আমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যায়? ছ ক ভাইয়ের খ মায়ের গ শিক্ষকের ঘ গুরুজনের ২) মায়ের কোলে শুয়ে আমাদের জ্জ চ ক প্রাণ জুড়ায় খ কষ্ট বাড়ে গ সাফল্য আসে ঘ কান্না পায় ৩) পড়ালেখায় ভালো হলে মা কী করেন? ছ ক আমাদের বদনাম করেন খ আমাদের সুনাম করেন গ খাবার খেতে দেন ঘ আমাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। যখন জনম নিনু মুখে নাহি ছিল বাক। বুক ভরে ওঠে মা-র সকল যাতনা ভোলে। মায়ের শীতল কোলে দেখেছ সে কত ছলে। ওঠা বসা দূরে থাক কিসে ক্লেশ পাব না। দিবানিশি ভাবনা ছেলেরি গরবে তার। কত অসহায় ছিনু। উত্তর : যখন জনম নিনু – কত অসহায় ছিনু। বুক ভরে ওঠে মা-র – ছেলেরি গরবে তার। মায়ের শীতল কোলে – সকল যাতনা ভোলে। ওঠা বসা দূরে থাক – মুখে নাহি ছিল বাক। দিবানিশি ভাবনা – কিসে ক্লেশ পাব না। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। শোহাগ, শিতল, শৈসব, জাতনা, মাণিক। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান শোহাগ – সোহাগ শিতল – শীতল শৈসব – শৈশব জাতনা – যাতনা মাণিক – মানিক 🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। শীতল, ফিরিত, শুধাবেন, ভাবনা, জুড়ায়। উত্তর : শব্দ পদ শীতল – বিশেষণ ফিরিত – ক্রিয়া শুধাবেন – ক্রিয়া ভাবনা – বিশেষ্য জুড়ায় – ক্রিয়া 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) কোন শব্দটি আমাদের কাছে সবচেয়ে সুধা ভরা? উত্তর : ‘মা’ শব্দটি আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি সুধা ভরা। খ) পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন কে? উত্তর : পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন মা। গ) পাঠশালা থেকে ফিরলে মা কী কী করেন? উত্তর : পাঠশালা থেকে ফেরামাত্র মা আমাদের আদর করে কোলে নিয়ে খাবার খাওয়ান। আমাদের পড়াশোনার খোঁজ নেন। ঘ) সন্তান কী করলে মা খুশি হন? উত্তর : সন্তান ভালোভাবে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হলে মা খুশি হন। সন্তানের সাফল্যে মায়ের গর্ব হয়। মা মডেল টেস্ট নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। যখন জনম নিনু কত অসহায় ছিনু, কাঁদা ছাড়া নাহি জানিতাম কোনো কিছু, ওঠা বসা দূরে থাক – মুখে নাহি ছিল বাক, চাহনি ফিরিত শুধু মা-র পিছু পিছু! দিবানিশি ভাবনা কিসে ক্লেশ পাব না, কিসে সে মানুষ হব, বড় হব কিসে; বুক ভরে ওঠে মা-র ছেলেরি গরবে তার সব দুখ সুখ হয় মায়ের আশিসে। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) জন্মের ঠিক পরে আমরা কাকে ছাড়া থাকতে পারি না? (ক) মাকে (খ) বাবাকে (গ) ভাইকে (ঘ বোনকে ২) জন্মের ঠিক পরেই আমরা থাকি জ্জ (ক) দুরন্ত (খ) ডানপিটে (গ) কর্মব্যস্ত (ঘ) সহায়হীন ৩) মা দিবানিশি কিসের ভাবনা ভাবেন? (ক) আমরা যেন কষ্ট পাই (খ) আমরা যেন কষ্ট না পাই (গ) আমরা যেন অসহায় থাকি (ঘ) আমরা যেন ক্ষুধার্ত না থাকি ৪) ‘নিশি’ হলো ‘দিবা’ শব্দটির জ্জ (ক) সমার্থক শব্দ (খ) বিপরীত শব্দ (গ) সাধু রূপ (ঘ) চলিত রূপ ৫) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে জ্জ (ক) মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার কথা (খ) সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কথা (গ) শৈশবের আনন্দময় দিনের কথা (ঘ) মানুষের মতো মানুষ হওয়ার উপায়ের কথা উত্তর : ১) (ক) মাকে; ২) (ঘ) সহায়হীন; ৩) (খ) আমরা যেন কষ্ট না পাই; ৪) (খ) বিপরীত শব্দ; ৫) (খ) সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কথা। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। জনম, বাক, ক্লেশ, আশিস, ছিনু। উত্তর : শব্দ অর্থ জনম – জন্ম বাক – কথা ক্লেশ – দুঃখ আশিস – আশীর্বাদ ছিনু – ছিলাম ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) কিসে মায়ের বুক ভরে ওঠে? উত্তর : সন্তানের সাফল্যে মায়ের বুক ভরে ওঠে। খ) মায়ের আশিস পেলে সন্তানের কী হয়? উত্তর :

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাঠান মুলুকে অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাঠান মুলুকে অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

পাঠান মুলুকে সৈয়দ মুজতবা আলী অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। স্নানাভাবে একরত্তি হোল্ডল ঠা-ঠা আলো আলিঙ্গন করা পশ্তু অভ্যার্থনা নির্জলা বৃথা খাস ঘোড়ার নালের চাট অবজ্ঞা অফুরন্তটাঙ্গা কসুর প্ল্যাটফরম উত্তর : শব্দ অর্থ স্নানাভাবে – স্নানের অভাবে, গোসল না করতে পারায়। একরত্তি – একটুকুও। হোল্ডল – যে বোঁচকার ভিতরে বালিশ বিছানা ভরে বেঁধে রাখা হয়। ঠা-ঠা আলো – এত তেজি আলো যে চোখ মেলে তাকানো যায় না। আলিঙ্গন করা – কোলাকুলি করা। পশ্তু – বাংলা হিন্দি উর্দুর মতো পাঠান এলাকার একটি ভাষার নাম। অভ্যর্থনা – আদর করে ডেকে আনা। নির্জলা – নির্ভেজাল, খাঁটি। বৃথা – যাতে কাজ দেয় না, কাজ হয় না। খাস – আসল, প্রকৃত। ঘোড়ার নালের চাট – ঘোড়ার পায়ের লাথি। অবজ্ঞা – তাচ্ছিল্য, তুচ্ছতা। অফুরন্ত – যা ফুরিয়ে যায় না, যা শেষ হয়ে যায় না। টাঙ্গা – এক ধরনের গাড়ি। কসুর – দোষ। প্ল্যাটফরম – রেলগাড়ি থামার স্থান। উন্নত সমতলভ‚মি। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। বৃথা আলিঙ্গন অভ্যর্থনা একরত্তি ঠা-ঠা আলো। ক. আমার চোখে …………. ঘুম নেই। খ. এত …………. চোখ মেলে তাকানো যায় না। গ. ঈদের সময় আমরা সবাই …………. করে থাকি। ঘ. তাদের …………. অনেক ভালো ছিল। ঙ. …………. সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। উত্তর : ক. আমার চোখে একরত্তি ঘুম নেই। খ. এত ঠা-ঠা আলো চোখ মেলে তাকানো যায় না। গ. ঈদের সময় আমরা সবাই আলিঙ্গন করে থাকি। ঘ. তাদের অভ্যর্থনা অনেক ভালো ছিল। ঙ. বৃথা সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। ৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) সর্দারজি চেনা যায় কী দেখে? উত্তর : মাথায় চুল বাঁধা, পাকানো পাগড়ি, সাজানো দাড়ি ইত্যাদি দেখে সর্দারজি চেনা যায়। খ) দিনের বেলায় ও রাত্রে পেশাওয়ার শহরে কী হয়? উত্তর : দিনের বেলায় পেশাওয়ার শহর থাকে ইংরেজদের আর রাতে তা থাকে পাঠানদের দখলে। গ) পাঠানদের অভ্যর্থনা কেমন হয়ে থাকে এবং কেন? উত্তর : পাঠানদের অভ্যর্থনা সম্পূর্ণ নির্জলা আন্তরিক হয়ে থাকে। কারণ অতিথিকে বাড়িতে ডেকে নেওয়ার মতো আনন্দ পাঠানরা অন্য কোনো জিনিসে পায় না। ঘ) পাঠানেরা কীভাবে টাঙ্গা চালায়? উত্তর : পাঠানেরা রাস্তায় যে যার মতো চলে। টাঙ্গা চালানোর সময় এঁকে বেঁকে রাস্তা করে নিতে হয়। ৪. ক্রিয়াপদের বিভিন্ন রূপ রয়েছে। যেমন- মূল ক্রিয়াপদ- যাওয়া। এই ক্রিয়াপদটি থেকে অনেকগুলো শব্দ হতে পারে। যেমন- যাই – আমি বাড়ি যাই। যাব – আমি বিকেলে খেলা দেখতে যাব। গিয়েছি – আমি ওখানে গতকালও গিয়েছি। যেতাম – ছোটবেলায় আমি প্রায়ই মামাবাড়ি যেতাম। এখন নিচের ক্রিয়াপদগুলো দিয়ে একইরকম ভাবে শব্দ ও বাক্য লিখি। আসা, খাওয়া, করা উত্তর : আসা – তার এখানে আসা হবে না। খাওয়া – তোমার খাওয়া হয়েছে কি? করা – কাজটি আমার করা দরকার। ৫. বাক্য রচনা করি। ভ্রমণ, পেশাওয়ার, ঠা-ঠা আলো, সংবর্ধনা, ডাকাডাকি, অবজ্ঞা। উত্তর : ভ্রমণ – মোস্তফা ভ্রমণ করতে ভালোবাসে। পেশাওয়ার – সে পেশাওয়ার বেড়াতে গিয়েছিল। ঠা-ঠা আলো – ঠা-ঠা আলোতে চোখ বুজে আসছে। সংবর্ধনা – স্কুল থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হলো। ডাকাডাকি – এত ডাকাডাকির পরেও সে এলো না। অবজ্ঞা – কাউকে অবজ্ঞা করো না। ৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি। আরম্ভ শেষ আজ আমার পরীক্ষা শেষ হলো। গরম ঠাণ্ডা শীতকালে প্রচুর ঠাণ্ডা লাগে। কঠিন ………. ………………………….। ভেতর ………. ………………………….। দিন ………. ………………………….। দাঁড়ানো ………. ………………………….। আলো ………. ………………………….। উঁচু ………. ………………………….। উত্তর : মূলশব্দ বিপরীত শব্দ বাক্য আরম্ভ শেষ আজ আমার পরীক্ষা শেষ হলো। গরম ঠাণ্ডা শীতকালে প্রচুর ঠাণ্ডা লাগে। কঠিন সহজ কাজটা তোমার জন্য সহজ হবে। ভেতর বাহির লোকটি আমাকে স্টেশনের বাহিরে এনে বসালেন। দিন রাত এখন অনেক রাত। দাঁড়ানো বসা এত লোকের মাঝে বসার জায়গাও নেই। আলো অন্ধকার বাতি নিভে যাওয়ায় সব অন্ধকার হয়ে গেল। উঁচু নিচু জায়গাটা খুব নিচু। ৭. কর্ম-অনুশীলন। নিজে বেড়িয়ে এসেছি এরকম একটা জায়গা সম্পর্কে বলি। উত্তর : এবারের শীতে বাব-মায়ের সাথে ঘুরে এলাম সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে। দ্বীপের চারপাশে ঘন নীল সমুদ্র। সৈকতজুড়ে ছড়ানো-ছিটানো প্রবাল প্রাচীর। সেন্টমার্টিনের অদূরেই ছেঁড়া দ্বীপ। ট্রলারে চড়ে সেখানে গেলাম আমরা। এখানকার সৈকতটি ছোট হলেও সুন্দর। প্রবালের মাঝে মাঝে শামুক আর বর্ণিল কাঁকড়া দেখা যায়। রাতের বেলা সেন্টমার্টিনের আকাশজুড়ে দেখা যায় অসংখ্য তারা। সব মিলিয়ে দ্বীপটি সত্যিই অসাধারণ। পাঠান মুলুকে অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) সর্দারজি কোনটি পাকাচ্ছিলেন? জ ক চোখ খ দড়ি গ পাগড়ি ঘ ফল ২) লেখক পেশাওয়ার যাওয়ার পথে খেয়েছিলেন- ঝ ক ডাল-ভাত খ ভাত-মাছ গ কাবাব-লুচি ঘ কাবাব-রুটি ৩) রাতের বেলা পাঠান মুলুক কাদের হয়? চ ক পাঠানদের খ ইংরেজদের গ বাঙালিদের ঘ সকলের ৪) লেখক পেশাওয়ার পৌঁছে দেখেন- জ ক গাঢ় অন্ধকার খ প্রচণ্ড ভিড় গ ঠা-ঠা আলো ঘ খা-খা প্ল্যাটফরম ৫) শেখ আহমদ আলী নিজের পরিচয় দিলেন- ছ ক ভাঙা ভাঙা উর্দুতে খ উত্তম উর্দুতে গ উর্দু ও পশ্তু মিলিয়ে ঘ উর্দু ও বাংলা মিলিয়ে ৬) শেখ আহমদ আলী লেখককে নিয়ে কোথায় বসলেন? ছ ক ট্রেনে খ টাঙ্গায় গ ঘরে ঘ হোটেলে ৭) টাঙ্গা চালানোর সময় ঘণ্টা বাজালে বা চিৎকার করলে কী হয়? চ ক কোনো লাভ হয় না খ লোকজন রাস্তা ছেড়ে দেয় গ লোকজন টাঙ্গা আটকে রাখে ঘ দুর্ঘটনা ঘটে ৮) খাস পাঠান কখনো কারও জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয় না কেন? ছ ক স্বার্থপর বলে খ স্বাধীনতা ক্ষুণœ হয় বলে গ আর্থিক ক্ষতি হয় বলে ঘ দুর্ঘটনার ভয় আছে বলে 🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। প্রবাদ, উত্তম, উৎসাহ, সাফ, খাবলা, কসুর। উত্তর : শব্দ অর্থ প্রবাদ – জনশ্রুতি। উত্তম – খুব ভালো। উৎসাহ – আগ্রহের সাথে। সাফ – পরিষ্কার। খাবলা – এক মুষ্ঠি পরিমাণ। কসুর – ত্রæটি, অপরাধ। 🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) দিনের বেলা পেশাওয়ার জ্জজ্জ। খ) পাঠানদের অভ্যর্থনা সম্পূর্ণ জ্জজ্জ আন্তরিক। গ) টাঙ্গা তো চলছে জ্জজ্জ কায়দায়। ঘ) জ্জজ্জ পাঠান কখনো কারো জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয় না। ঙ) রাস্তা ছেড়ে দিতে হলে তার জ্জজ্জ রইল কোথায়? উত্তর : ক) ইংরেজদের; খ) নির্জলা; গ) পাঠানি; ঘ) খাস; ঙ) স্বাধীনতা। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। স্ন, ত্ত, ভ্র, প্ল, ম্প। উত্তর : স্ন = স + ন – স্নেহ – মায়ের স্নেহের তুলনা নেই। ত্ত = ত + ত – সত্তা – নিজের সত্তা কেউ অস্বীকার করে না। ভ্র = ভ + র-ফলা ( ্র ) – ভ্রমণ – আগামী মাসে আমরা ভ্রমণে যাব। প্ল = প + ল – প্লাবন – প্লাবনে সব ভেসে গেছে। ম্প = ম + প – সম্পদ – লোকটি অনেক সম্পদের

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাঠান মুলুকে অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা কাজলা দিদি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা কাজলা দিদি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

কাজলা দিদি যতীন্দ্রমোহন বাগচী অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি ছিল কাজলা দিদি। দিদি চিরদিনের জন্য তাদের ছেড়ে চলে গেছে, তা সে জানে না। প্রতি মুহূর্তেই সে তার প্রিয় কাজলা দিদির জন্য অপেক্ষায় থাকে। সে কোথায় গেছে, কেন আসে না, তা জানতে চায় মায়ের কাছে। মা উত্তর দিতে পারেন না। মুখ লুকিয়ে কাঁদেন। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি। শোলক জোনাই দিদি নেবু ভুঁইচাঁপা মাড়াসনে উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য শোলক – শ্লোক, ছোট পদ, ছড়া। – চাঁদনি রাতে উঠানে বসে মা শোলক বলতেন। জোনাই – জোনাকি পোকা। – আঁধার রাতে ঝোপে-ঝাড়ে জোনাই জ্বলে। দিদি – বড় বোন, আপা। – দিদি আমাকে খুব স্নেহ করেন। নেবু – লেবু। – মা নেবু দিয়ে আচার তৈরি করছেন। ভুঁইচাঁপা – মাটির উপর জন্মানো ছোট চাঁপা ফুল। – ভুঁইচাঁপা গাছে মাঠ ছেয়ে গেছে। মাড়াসনে – পা দিয়ে পিষে না যাওয়ার নির্দেশ। – নিপা, ফুল গাছগুলো মাড়াসনে। ৩. বিপরীত শব্দগুলো জেনে নিই। দিন – রাত ঘুম – জাগরণ ঢাকা – খোলা নতুন – পুরনো জ্বলা – নেভা ৪. ডান দিক থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিই ও খাতায় লিখি। ক) কোথায় জোনাকি জ্বলে? নেবুর তলে/বাঁশবাগানে/ শিউলিতলে/তালতলায় খ) বুলবুলি কোথায় লুকিয়ে থাকে? শিউলির ডালে/ ভুঁইচাঁপার ডালে/আমের ডালে/ডালিমের ডালে। গ) কে শোলক বলতেন? মা/দিদি/দাদু/বাবা ঘ) ঝিঁঝি কোথায় ডাকে? ঝোঁপে-ঝাড়ে/গাছের ডালে/আঁধার রাতে/ঘরের মাঝে ঙ) ঘুম আসে না কেন? নেবুর গন্ধে/ঝিঁঝির ডাকে /চাঁদের আলোতে/ফুলের গন্ধে উত্তর : ক) নেবুর তলে; খ) ডালিমের ডালে; গ) দিদি; ঘ) ঝোপেঝাড়ে; ঙ) নেবুর গন্ধে/ফুলের গন্ধে। [বি.দ্র. (ঙ) নং -এর দুটি উত্তরই সঠিক] ৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) কাজলা দিদি কোথায় গেছে? উত্তর : কাজলা দিদি চিরদিনের জন্য সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে। অর্থাৎ দিদি মারা গেছে। খ) কখন কাজলা দিদির কথা বেশি মনে পড়ে? উত্তর : যখন বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ ওঠে, পুকুর ধারে ও নেবুর তলে থোকা থোকা জোনাকির আলো জ্বলে, নেবু আর ফুলের গন্ধে যখন ঘুম আসে না তখন ছোট্ট বোনটির কাজলা দিদির কথা বেশি মনে পড়ে। গ) কাজলা দিদির কথা উঠলে মা আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকেন কেন? উত্তর : কাজলা দিদি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। কিন্তু ছোট্ট বোনটি সেটি বুঝতে পারে না। তাই মায়ের কাছে সে বারবার জানতে চায় তার কাজলা দিদি কোথায় গেছে, কবে ফিরবে। মা তার কথার উত্তর দিতে পারেন না। দিদির কথা তুললে তাঁর চোখে পানি আসে। কান্না লুকোতে মা আঁচল দিয়ে মুখ ঢাকেন। ঘ) পুতুলের বিয়ের সময় দিদির কথা মনে পড়ে কেন? উত্তর : কাজলা দিদি ছিল ছোট্ট বোনটির সারাক্ষণের সাথি। আগামীকাল তার নতুন ঘরে পুতুলের বিয়ে। এ সময় তার কাজলা দিদি তার পাশে নেই, এটি ভেবে সে কষ্ট পাচ্ছে। দিদিকে ছাড়া পুতুলের বিয়ে হতে পারে, এ কথা বোনটি ভাবতেই পারে না। তাই পুতুলের বিয়ের সময় তার কাজলা দিদির কথা মনে পড়ে। ঙ) আমিও নাই, দিদিও নাই, কেমন মজা হবে- এ কথা বলে কী বোঝানো হয়েছে? উত্তর : ছোট্ট বোনটির ধারণা কাজলা দিদি বুঝি তাকে ফাঁকি দিয়ে কোথাও গিয়ে লুকিয়ে আছে। দিদি কোথায় আছে মা তা জেনেও তাকে বলছে না। মায়ের উপর তাই তার খুব অভিমান হয়েছে। যে কারণে দিদির মতো সেও ফাঁকি দিয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকার ভয় দেখায় মাকে। চ) খুকি মাকে কেন শিউলি ফুলের গাছের নিচে সাবধানে যেতে এবং ডালিম গাছের ফল ছিঁড়তে বারণ করেছে? উত্তর : খুকির কাজলা দিদি ফুল, পাখি ইত্যাদি ভালোবাসত। শিউলি গাছের তল ভুঁইচাঁপায় ভরে গেছে। মা যেন পুকুর থেকে জল আনতে গিয়ে ভুলে তা না মাড়ান-খুকি তাঁকে সে ব্যাপারে সাবধান থাকতে বলেছে। ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে একটি বুলবুলি পাখি লুকিয়ে থাকে। মা ফল ছিঁড়তে গেলে পাখিটি ভয় পেয়ে উড়ে যেতে পারে। তাই খুকি মাকে ডালিম গাছের ফল ছিঁড়তে বারণ করেছে। ৬. নিচের শব্দগুলো ঠিকভাবে সাজাই (যেমন- বাঁশবাগান)। পুতুল তলে থোকায় ধারে পুকুর বিয়ে নেবুর ঘরে শোলক থোকায় কাজলা বাগান বাঁশ বলা নতুন দিদি উত্তর : পুতুলবিয়ে থোকায় থোকায় পুকুর ধারে নেবুর তলে শোলক-বলা কাজলা দিদি বাঁশবাগান নতুন ঘরে ৭. কবিতাটি বিরামচিহ্ন দেখে ও ভাব বজায় রেখে পড়ি। উত্তর : নিজে নিজে চেষ্টা কর। কাজলা দিদি অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) দিদির কথা উঠলে মা- জ ক খুশি হন খ বিরক্ত হন গ কষ্ট পান ঘ লুকিয়ে থাকেন ২) শিউলি গাছের তল কিসে ভরে গিয়েছে? জ ক নেবুতে খ জোনাকি পোকায় গ ভুঁইচাঁপাতে ঘ শিউলি ফুলে ৩) ছোট্ট বোনটি সবসময় অপেক্ষায় থাকে- চ ক দিদির জন্য খ জোনাই জ্বলার জন্য গ বুলবুলির জন্য ঘ ভুঁইচাঁপা ফোটার জন্য 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। চাঁদ, আঁচল, চুপটি, একলা। উত্তর : শব্দ বাক্য চাঁদ – আকাশে কী সুন্দর চাঁদ উঠেছে! আঁচল – মা আঁচল দিয়ে মুখ মুছলেন। চুপটি – বিড়ালটি চুপটি করে বসে আছে। একলা – একলা ঘরে ভালো লাগে না। 🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে —- গাছের তল। খ) ফুলের গন্ধে —- আসে না। গ) —- মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই। ঘ) —- কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো? ঙ) দিস না তারে —- মা গো, ছিঁড়তে গিয়ে ফল। উত্তর : ক) শিউলি; খ) ঘুম; গ) বাঁশবাগানের; ঘ) দিদির; ঙ) উড়িয়ে। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ভুঁইচাপা, ঝিঁঝিঁ, সারাক্ষন, মুহুর্ত, জোনাঈ। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান ভুঁইচাপা – ভুঁইচাঁপা ঝিঁঝিঁ – ঝিঁঝি সারাক্ষন – সারাক্ষণ মুহুর্ত – মুহূর্ত জোনাঈ – জোনাই 🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। ঢাকো, ভুঁইচাঁপা, উঠেছে, জ্বলে, ঘুম। উত্তর : মূল শব্দ পদ ঢাকো – ক্রিয়া ভুঁইচাঁপা – বিশেষ্য উঠেছে – ক্রিয়া জ্বলে – ক্রিয়া ঘুম – বিশেষ্য 🟥 বুঝিয়ে লেখ বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই? উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত ‘কাজলা দিদি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কাজলা দিদির প্রতি ছোট্ট শিশুমনের গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। ছোট্ট শিশুটি মৃত্যুর মানে বোঝে না। তাই সে হারিয়ে যাওয়া কাজলা দিদিকে সারাদিন খুঁজে ফেরে। মায়ের কাছে কাজলা দিদি কোথায় আছে তা জানতে চায়। সহোদর বোনের প্রতি ছোট্ট শিশুটির হৃদয়ের টানের দিকটি ফুটে উঠেছে লাইন দুটিতে। কাজলা দিদি মডেল টেস্ট নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই? পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে, ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই; মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই? খাবার খেতে আসি যখন দিদি বলে ডাকি, তখন ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো,

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা কাজলা দিদি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাখির জগৎ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাখির জগৎ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

পাখির জগৎ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। বিচরণ চমৎকার পরিবেশ ঝুঁটি নাশ জগৎ উত্তর : শব্দ অর্থ বিচরণ – বেড়ানো বা ঘোরাফেরা করা। চমৎকার – সুন্দর, মনোহর। পরিবেশ – চারপাশের অবস্থা। ঝুঁটি – শীর্ষস্থান, খোপা। নাশ – ধ্বংস, নষ্ট, ক্ষয়। জগৎ – বিশ্ব, ভুবন। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। উপকারী লোকালয় পরিবেশ কীটপতঙ্গ ক. নানা ফুলের মধু ও ………… পাখিদের প্রিয় খাবার। খ. চড়–ই পাখি ………… থাকতেই বেশি পছন্দ করে। গ. আমাদের ………… রক্ষার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। ঘ. পাখিরা মানুষের বন্ধু, এরা অনেক …………। উত্তর : ক. নানা ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ পাখিদের প্রিয় খাবার। খ. চড়–ই পাখি লোকালয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। গ. আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। ঘ. পাখিরা মানুষের বন্ধু, এরা অনেক উপকারী। ৩. যুক্তবর্ণগুলো দেখি ও যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি। আনন্দ ন্দ ন দ মন্দ, ছন্দ জিজ্ঞেস জ্ঞ জ ঞ আজ্ঞা, বিজ্ঞ জঙ্গল ঙ্গ ঙ গ মঙ্গল, রঙ্গ লম্বা ম্ব ম ব সম্বল, কম্বল ৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই। ক. চড়–ই পাখির প্রিয় জায়গা- ১. বন ২. লোকালয় √ ৩. স্কুলঘর ৪. আস্তাবল খ. পানকৌড়ি খেতে ভালোবাসে- ১. মাছ √ ২. মাংস ৩. কীটপতঙ্গ ৪. গাছের পাতা গ. পাখিরা পরিবেশকে- ১. নষ্ট করে ২. দূষণ করে ৩. সবুজ রাখে ৪. সুন্দর রাখে √ ৫. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে কেন? উত্তর : পাখিরা ভোর হলেই ডাকাডাকি করতে থাকে। পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙে। তাই পাখিদের ভোরের দূত বলা হয়েছে। খ) জাতীয় পাখি দোয়েলের বৈশিষ্ট্য কেমন? উত্তর : জাতীয় পাখি দোয়েলের পালকগুলো সাদা আর কালোয় মেশানো। এরা লোকালয় আর গভীর জঙ্গলে থাকে। গাছের উঁচু ডালে বসে মাঝে মাঝে মধুর সুরে গান গায়। দোয়েল ছোট ডাল, খড়কুটো ও গাছের শিকড়-বাকড় দিয়ে বাসা বানায়। এদের প্রিয় খাবার হলো বিভিন্ন ফুলের মধু ও কীটপতঙ্গ। গ) কোন পাখি আমাদের ঘরেরই কেউ? কেন? উত্তর : চড়ুই পাখিকে আমাদের ঘরেরই কেউ বলা যায়। বসবাসের জন্য লোকালয়ই পছন্দ চড়ুই পাখির। মানুষের বাসাবাড়ির ঘুলঘুলিতে খড়, টুকরো কাপড়, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে বাসা তৈরি করে। আমাদের খুব কাছাকাছি থাকায় মনে হয় চড়ুই পাখি যেন আমাদের ঘরেরই একজন। ঘ) কোন পাখি পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে? কীভাবে? উত্তর : টুনটুনি, বুলবুলি, চড়ুই ইত্যাদি পাখি ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলের শত্রæ নাশ করে পরিবেশ সুন্দর রাখে। ঙ) বুলবুলি পাখি দেখতে কেমন? উত্তর : বুলবুলি পাখির মাথা আর গলা কালো রঙের। মাথার উপর থাকে রাজকীয় কালো ঝুঁটি। এর তলপেট সাদা। তলপেটের শেষে লাল ছোপ আছে। ৬. বাক্য রচনা করি। জগৎ, আটকে গেল, ক্লাস, শস্যদানা, স্বভাব। উত্তর : জগৎ – এই জগৎ বড়ই সুন্দর। আটকে গেল – ঘুড়িটি গাছের ডালে আটকে গেল। ক্লাস – সকাল আটটায় ক্লাস শুরু হলো। শস্যদানা – কবুতরটি শস্যদানা খাচ্ছে। স্বভাব – বাঘের স্বভাব খুবই হিংস্র। ৭. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক ছবিটি মিলাই। উত্তর : ৮.ব্যবহার শিখি। টি, টা, খানা, খানি, এটি, ওটি, এগুলো, ওগুলো টি – পাখিটি দেখতে কী সুন্দর! টা – শেলফের বইটা কার? খানা – বইখানা দাও। খানি – মুখখানি তার ভারি মিষ্টি। এটি – এটি আমার বই। ওটি – ওটি কার বই? এগুলো – এগুলো পাখির ছবি। ওগুলো – ওগুলো ধরো না। ৯. কর্ম-অনুশীলন। আমার দেখা যেকোনো একটি পাখির কথা বর্ণনা করি। উত্তর : আমার দেখা খুব সুন্দর একটি পাখি হলো মাছরাঙা। এদের মাথা, ঘাড়, পেট ও পিঠের রং গাঢ় বাদামি অথবা খয়েরি। চিবুক, গলা আর বুকে থাকে নানা রঙের ছড়াছড়ি। ডানার পালক উজ্জ্বল নীল। তার উপরে চওড়া কালো দাগ। মাছরাঙার ঠোঁট বেশ লম্বা, ডগার দিকটা সুঁচালো ও শক্ত। এরা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে দুই ঠোঁটে মাছ তুলে আনে। পাখির জগৎ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) ভোরবেলা কী শুনে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়? ছ ক মায়ের ডাক খ পাখির ডাক গ বাবার ডাক ঘ কুকুরের ডাক ২) পাখিদের সম্পর্কে কোন কথাটি সঠিক? ঝ ক বাংলাদেশে বেশি পাখি নেই খ সব পাখিই উড়তে পারে গ পাখিরা নিশাচর প্রাণী ঘ পাখিরা উপকারী প্রাণী ৩) কোনটি আমাদের জাতীয় পাখি? ছ ক কোয়েল খ দোয়েল গ চড়ুই ঘ টুনটুনি ৪) টুনটুনির পালকের রং কেমন? ঝ ক কুচকুচে কালো খ ঈষৎ হলুদাভ গ গাঢ় বাদামি ঘ জলপাই সবুজ 🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। কুসুম, কানন, দূত। উত্তর : শব্দ অর্থ কুসুম – ফুল। কানন – বাগান। দূত – সংবাদ বাহক। 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। পালক, তীক্ষè। উত্তর : শব্দ বাক্য পালক – ময়ূরের পালকে অনেক রং থাকে। তীক্ষè – ঈগলের দৃষ্টিশক্তি খুব তীক্ষè। 🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) পাখিরা —- শোভা। খ) —- আমাদের ঘরের কেউ। গ) ফুলের মধুই —- সবচেয়ে প্রিয়। ঘ) পানির সঙ্গে যার —-, সেই পাখির নাম পানকৌড়ি। ঙ) পাখিরা দারুণ —- প্রাণী। উত্তর : ক) প্রকৃতির; খ) চড়–ই; গ) টুনটুনির; ঘ) সখ্য; ঙ) উপকারী। 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। দোয়েলের পালকের রং সাদা ও কালো টুনটুনির মাথায় টুনটুনি পাখির ফুলের মধু প্রিয় লালচে ছোপ বুলবুলির আছে রাজকীয় ঝুঁটি পানি ভালোবাসে বাঁশপাতি পাখি পানকৌড়ি উত্তর : দোয়েলের পালকের রং – সাদা ও কালো টুনটুনির মাথায় – লালচে ছোপ ফুলের মধু প্রিয় – টুনটুনি পাখির বুলবুলির আছে – রাজকীয় ঝুঁটি পানি ভালোবাসে – পানকৌড়ি 🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। উপকারী, ঘুরে, দাগ, পরিবেশ, ঘুমায়। উত্তর : মূল শব্দ পদ মূল শব্দ পদ উপকারী – বিশেষণ পরিবেশ – বিশেষ্য ঘুরে – ক্রিয়া ঘুমায় – ক্রিয়া দাগ – বিশেষ্য 🟥 নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। বন্ধু, উপকারী, চঞ্চল, দ্রæত, তীক্ষè। উত্তর : মূল শব্দ বিপরীত শব্দ মূল শব্দ বিপরীত শব্দ বন্ধু – শত্রæ দ্রæত – ধীর উপকারী – অপকারী তীক্ষè – ভোঁতা চঞ্চল – শান্ত 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) দোয়েলের প্রধান খাদ্য কী? উত্তর : দোয়েলের প্রধান খাদ্য হলো বিভিন্ন ফুলের মধু আর কীটপতঙ্গ। খ) চড়ুই পাখির শরীরে কী কী রং দেখা যায়? উত্তর : চড়ুই পাখির মাথা ছাই রঙের। পিঠের বাদামি পালকের উপর থাকে কালো ছোট দাগ। এর ডানার উপরে সাদা অথবা লালচে রেখা থাকে। গ) টুনটুনি পাখি দেখতে কেমন? উত্তর : টুনটুনির পালকের রং জলপাই সবুজ। মাথায় থাকে লাল রঙের ছোপ। লম্বা ঠোঁটখানা কালচে খয়েরি। আর পায়ের রং হলুদাভ। ঘ) আবাবিল পাখি দেখতে কেমন? উত্তর : আবাবিল পাখির পিঠের দিকটা নীলাভ কালো। নিচের দিকে থাকে সাদা-হলুদের মিশ্রণ। আর কপালে থাকে বাদামি রং। ঙ) টুনটুনির উপকারিতার কথা লেখ। উত্তর : টুনটুনি ক্ষতিকর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পাখির জগৎ অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে লিখি। জন্মভ‚মি সমতলভ‚মি কৃষিকাজ চাষাবাদ সংগ্রহ করা পরিশ্রম হিংস্র মাংসাশী সতর্ক লবণাক্ত উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য জন্মভূমি – যে-ভূমি বা দেশে কেউ জন্মায় সে দেশ তার জন্মভূমি। – বাংলাদেশ আমার জন্মভ‚মি। সমতলভূমি – মাটি যেখানে এবড়োথেবড়ো নয়, সমান। – সমতলভ‚মিতে চলাফেরা করা সহজ। কৃষিকাজ – চাষাবাদ। – গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে। সংগ্রহ করা – জোগাড় করা, সঞ্চয় করা। – মধু সংগ্রহ করা কঠিন কাজ। পরিশ্রম – খাটাখাটুনির কাজ, কষ্ট। – পরিশ্রম করলে বিশ্রাম নিতে হয়। হিংস্র – কারো ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো রাগ যার রয়েছে। – সিংহ হিংস্র প্রাণী। মাংসাশী – মাংস যে আহার করে, মাংসই যার প্রধান খাদ্য। – বাঘ মাংসাশী প্রাণী। সতর্ক – সাবধান। – রাস্তা পারাপারে সতর্ক থাকতে হয়। লবণাক্ত – লবণ মেশানো। নোনতা স্বাদের। – লবণাক্ত পানি পান করা যায় না। ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রথমে বলি ও পরে লিখি। ক) সুন্দরবন বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত? উত্তর : সুন্দরবনের অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে। খ) সুন্দরবনের গাছপালা কোথা থেকে পানি পায়? উত্তর : সুন্দরবনের কোল ঘেঁষেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সুন্দরবনের গাছপালা তা থেকেই পানি পায়। গ) ‘বাওয়ালি’ কারা? উত্তর : সুন্দরবনে যারা কাঠ কাটে এবং সেই কাঠ জোগাড় করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে তাদেরকে বাওয়ালি বলা হয়। ঘ) বাওয়ালিদের কাজ এত বিপজ্জনক কেন? উত্তর : বাওয়ালিরা সুন্দরবনের ভেতরে গিয়ে কাঠ কাটে। এই বনে রয়েছে বাঘ, ভালুক, সাপ, কুমিরসহ নানা রকম ভয়ংকর প্রাণী। তাই বাওয়ালিদের কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক। ঙ) কিভাবে মানুষ এই বন থেকে অর্থ আয় করে, দুটো উপায় বলি। উত্তর : মানুষ সুন্দরবন থেকে নানাভাবে অর্থ আয় করে। এর মধ্যে দুটি উপায় হলো- ১. কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রির মাধ্যমে। ২. মাছ ধরে তা বিক্রির মাধ্যমে। চ) সুন্দরবনে কাজ করার সময় কোনটি বাওয়ালিদের কাছে বেশি মূল্যবান, খাবার না খাবার পানি? কেন? উত্তর : সুন্দরবনে কাজ করার সময় বাওয়ালিদের কাছে বেশি মূল্যবান খাবার পানি। কারণ সুন্দরবনের নদী ও খালের পানি লবণাক্ত বলে সে পানি খাওয়া যায় না। খাবার ছাড়া মানুষ বেশ কিছুদিন বাঁচতে পারে। তাছাড়া জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ অনেক কিছুকেই খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু পানি ছাড়া মানুষ বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তাছাড়া পানির বিকল্পও নেই। তাই বাওয়ালিদের সাথে খাবার পানি থাকা অত্যন্ত জরুরি। ছ) টোঙ কী? বাওয়ালিরা কেন গাছের উপর টোঙ তৈরি করে? উত্তর : টোঙ হচ্ছে বনে থাকার জন্য ছোট আকারের ঘর। সুন্দরবনে হিংস্র পশুপাখির আক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে বাওয়ালিরা এ ধরনের ঘর তৈরি করে। জ) বাওয়ালিরা কেন কাঠ কাটে? উত্তর : কাঠ সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রির মাধ্যমে বাওয়ালিরা জীবিকা নির্বাহ করে। এ কারণেই তারা কাঠ কাটে। ঝ) মৌয়াল ও বাওয়ালিদের কাজ বর্ণনা করি। উত্তর : মৌয়ালরা সুন্দরবনে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে। আর বাওয়ালিরা সুন্দরবনে কাঠ কাটে। সংগ্রহ করা মধু ও কাঠ বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। ৩. খাতায় লিখে ছকটি পূরণ করি। (একটি ছক বা টেবিল তৈরি করে শিক্ষার্থীরা পূরণ করবে।) পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে বাওয়ালি মৌয়াল উত্তর : পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে বাওয়ালি কাঠ কাটা সুন্দরবন হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণের ভয়, খাবার পানির অভাব জঙ্গলে অবস্থানকালে টোঙ তৈরি, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানি সাথে রাখা। মৌয়াল মধু সংগ্রহ সুন্দরবন হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণের ভয়, খাবার পানির অভাব জঙ্গল অবস্থানকালে টোঙ তৈরি, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পানি সাথে রাখা। ৪. নিজের জানা যে কোনো কাজ নিয়ে ছকটি পূরণ করি। (একটি ছক বা টেবিল তৈরি করে শিক্ষার্থীরা পূরণ করবে।) পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে উত্তর : পেশার নাম কাজ কাজের স্থান এই কাজের কতটা বিপদ এই বিপদে চলার জন্য কী কী সমাধান আছে মাঝি নৌকা বাওয়া নদী, খাল, সমুদ্র নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী না তোলা, আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখা, সাঁতার জানা। ৫. উপরের ছকের তথ্য ব্যবহার করে কাজটি সম্বন্ধে একটি অনুচ্ছেদ লিখি। নদী, খাল-বিল বা সমুদ্রে যারা নৌকা বায় তাদেরকে মাঝি বলা হয়। মাঝিরা নৌকা বেয়ে মানুষ বা পণ্য পরিবহন করে। কখনো কখনো মাছ ধরার নৌকাও বায়। মাঝিদের জীবন খুব কষ্টের। তাছাড়া তাদের কাজটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই নৌকা ডুবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের বিপদ এড়াতে মাঝিদের নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বা পণ্য তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিয়মিত আবহাওয়ার খোঁজখবর রাখতে হবে। ৬. ছবির নিচে পেশার নাম লিখি এবং পেশাটি সম্পর্কে একটি করে বাক্য তৈরি করি। ড্রাইভার ড্রাইভার গাড়ি চালান। …………… ………………………….. ডাক্তার ডাক্তার আমাদের চিকিৎসা করেন। …………… ………………………….. দোকানদার দোকানদার নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন …………… ………………………….. কামার কামার লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন …………… ………………………….. শিক্ষক শিক্ষক আমাদের লেখাপড়া শেখান …………… ………………………….. বাওয়ালিদের গল্প অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) সুন্দরবনের অবস্থান কোথায়? চ ক বঙ্গোপসাগরের ওপরে খ বঙ্গোপসাগরের নিচে গ বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে ঘ বঙ্গোপসাগরের শেষ সীমানায় ২) সুন্দরবনের ভেতরে মাটিতে কুঁড়েঘর বানিয়ে থাকা যায় না কেন? জ ক ঝড়ে ঘর উড়িয়ে নেবে বলে খ মাটি খুবই নরম বলে গ হিংস্র প্রাণীর ভয় আছে বলে ঘ মাটিতে ঘর বানাতে অনেক টাকা লাগে বলে ৩) বাওয়ালিরা খুব হিসেব করে পানি খায়, কেননা- ছ ক বাওয়ালিরা খুব কৃপণ খ বনের ভেতরে সুপেয় পানি পাওয়া যায় না গ গোসলের জন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয় ঘ বেশি পানি খাওয়া ভালো নয় ৪) আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ ভ‚মি কেমন? চ ক সমতলভ‚মি খ উঁচু-নিচু গ পাহাড়ি ঘ ঢালু ৫) সুন্দরবনের সব গাছ কিসের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে? ছ ক নদীর পানির খ বঙ্গোপসাগরের নোনা পানির গ বৃষ্টির পানির ঘ ভূগর্ভস্থ পানির ৬) যারা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের কী বলে? ছ ক বাওয়ালি খ মৌয়াল গ কৃষক ঘ মাঝি ৭) সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষগুলো পেশা কী? জ ক চাকরি খ ব্যবসায় গ কৃষিকাজ ঘ নৌকাচালনা ৮) কোনটি মাংসাশী প্রাণী? ঝ ক গরু খ ছাগল গ ভেড়া ঘ বাঘ 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। জন্মভূমি, মধু, হিংস্র। উত্তর : শব্দ বাক্য জন্মভূমি – বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। মধু – মধু খুবই উপকারী খাবার। হিংস্র – হায়েনা একটি হিংস্র প্রাণী। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন কর। দ্ভ, ণ্য, কৃ, স্র, ম্ভ। উত্তর : দ্ভ = দ + ভ – উদ্ভাবন। ণ্য = ণ + য-ফলা ( ্য )

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাওয়ালিদের গল্প অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোদের বাংলা ভাষা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোদের বাংলা ভাষা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

মোদের বাংলা ভাষা সুফিয়া কামাল অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা সম্বন্ধে এই কবিতাটি লেখা হয়েছে। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি। আমাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, ঠাকুরদা-ঠাকুমা সকলেই বাংলায় কথা বলেন। দেশের সব মানুষই বাংলায় কথা বলেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করেছিল, হরতাল করেছিল। তখন তাঁদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ছাত্রসহ অনেকেই মারা যায়। মাতৃভাষার চেয়ে প্রিয় আর কোনো ভাষা হতে পারে না। বাংলাদেশের সব মানুষের ইচ্ছা, আশা, আকাক্সক্ষা মাতৃভাষাতেই ভালোভাবে প্রকাশ করা যায়। বাংলায় কথা বলার সময় বিদেশি ভাষা ব্যবহার না করা ভালো। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং নতুন বাক্য লিখি। কামার কুমার সহ্য করা জ্ঞানী মনীষী রক্ত-পিছল মুক্তি বিজাতীয় বেদন মিটাক উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য কামার – যারা লোহা পিতল ইত্যাদি দিয়ে জিনিসপত্র (যেমন হাঁড়ি-পাতিল, বাসন, খুন্তি, চাটু বা তাওয়া) তৈরি করেন। – কামার সুন্দর করে খুন্তি বানাতে পারেন। কুমার – কুমার। যারা মাটি দিয়ে হাঁড়ি, সরা ইত্যাদি তৈরি করেন। – কুমার মাটি দিয়ে সানকি তৈরি করেন। সহ্য করা – সওয়া, মেনে নেওয়া। – অন্যায় সহ্য করা উচিত নয়। জ্ঞানী – জ্ঞানবান লোক, যাঁর অনেক জ্ঞান। – আমাদের প্রধান শিক্ষক অনেক জ্ঞানী। মনীষী – শিক্ষিত জ্ঞানীগুণী বিখ্যাত মানুষ। – মনীষীগণ চিরস্মরণীয়। রক্ত-পিছল – রক্তে যা পিছল হয়েছে। (রক্ত যদিও পানির মতো তরল পদার্থ তবু পানির মতো নয়। রক্তের গন্ধ আছে, পরিষ্কার ভালো পানির কোনো গন্ধ নেই। রক্ত চটচটে আঠার মতো, কিন্তু পানি তেমন নয়। রক্ত আঠার মতো বলেই তা পিছল।) – রক্ত-পিছল রাজপথে ছেলেটির নিথর দেহ পড়ে ছিল। মুক্তি – স্বাধীনতা, খোলামেলা অবস্থা। – অবশেষে তিনি মুক্তি লাভ করলেন। বিজাতীয় – অন্য জাতির, ভিন্ন জাতির বা দেশের। – বিজাতীয় ভাষায় মনের পিপাসা মেটে না। বেদন – বেদনা, দুঃখ, কষ্ট। – গরিবের বেদন সবাই বোঝে না। মিটাক – মিটিয়ে দিক, পূর্ণ করুক। – আল্লাহ তোমার বাসনা মিটাক। ৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি। ক) বাংলাদেশে ‘কামার কুমার জেলে চাষা’ কোন ভাষাতে কথা বলেন? উত্তর : বাংলাদেশে ‘কামার কুমার জেলে চাষা’ বাংলা ভাষায় কথা বলে। খ) এ দেশের মানুষের ‘বেদন’ কী? উত্তর : বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় ভাষা বাংলা। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার রক্ষা করতে এ দেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছে। অথচ সেই ভাষাতে কথা বলার সময় আমরা অনেকেই নানা রকম বিজাতীয় শব্দ ব্যবহার করি। এটিই হচ্ছে এ দেশের মানুষের বেদন। গ) কিসের ছড়াছড়ি সহ্য করতে মানা করা হচ্ছে? উত্তর : বাংলা ভাষায় বিজাতীয় ভাষার শব্দের ছড়াছড়ি সহ্য করতে মানা করা হচ্ছে। ঘ) তাদের রক্ত-পিছল পথে কিসের মুক্তির কথা বলা হয়েছে? উত্তর : তাদের রক্ত-পিছল পথে বিজাতীয় ভাষার হাত থেকে মাতৃভাষার মুক্তির কথা বলা হয়েছে। ঙ) বাংলা ভাষাকে কেন সহজ সরল ভাষা বলা হয়েছে? উত্তর : বাংলাদেশের মানুষজন সহজ সরল। তাঁরা সকলেই বাংলা ভাষাতে তাঁদের ইচ্ছা, আশা, আকাক্সক্ষা ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন। তাই বাংলা ভাষাকে সহজ সরল ভাষা বলা হয়েছে। ৪. কবিতাটি পড়ে কী বুঝলাম তা সংক্ষেপে লিখি। উত্তর : আমাদের দেশের কামার, কুমার, জেলে, চাষাসহ সকল মানুষ বাংলায় কথা বলে। বাংলা ভাষায় অনেক রকম বিজাতীয় ভাষার শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কেননা এই ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছিল। তাদের সেই আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে আমাদের উচিত বিজাতীয় শব্দ ত্যাগ করে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা। ৫. কবিতার প্রথম আট লাইন মুখস্থ বলি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটি পড়ে নিয়ে প্রথম আট লাইন মুখস্থ করে বল। ৬. কবিতার প্রথম আট লাইন বই না দেখে ঠিকভাবে লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবিতাটির প্রথম আট লাইন মুখস্থ করে নাও। এবার বই বন্ধ করে খাতায় লেখ। ৭. আমার প্রিয় মাতৃভাষা নিয়ে পাঁচটি বাক্য লিখি। উত্তর : আমার প্রিয় মাতৃভাষা নিয়ে পাঁচটি বাক্য হলো- ক. বাংলা আমার মাতৃভাষা। খ. আমাদের মাতৃভাষা অত্যন্ত মধুর। গ. আমাদের মাতৃভাষা সহজ সরল। ঘ. রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালে আন্দোলন হয়েছিল। ঙ. আমাদের মাতৃভাষার জন্য অনেকে শহিদ হয়েছে। ৮. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) লোহা পিতল দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করেন ………..। জ্ঞানী খ) মাটি দিয়ে জিনিসপত্র তৈরি করেন ………..। কামার গ) যাঁর অনেক জ্ঞান আছে তিনি হলেন ………..। রক্ত-পিছল পথ ঘ) রক্ত দিয়ে পিছল হয়েছে যে পথ তা হলো ………। কুমার উত্তর : ক) কামার; খ) কুমার; গ) জ্ঞানী; ঘ) রক্ত-পিছল পথ। ৯. কর্ম-অনুশীলন। ক) বাংলা ভাষার ওপর লিখিত অন্য কোনো কবিতা বা ছড়া শিখি ও আবৃত্তি করি। উত্তর : বাংলা ভাষার ওপর লিখিত একটি ছড়া বা কবিতা সংগ্রহ করে মুখস্থ করে নাও এবং শিক্ষকের সহায়তায় আবৃত্তি কর। উদাহরণ হিসেবে এখানে একটি কবিতা দেওয়া হলো : একুশ মানে গিয়াস উদ্দিন রূপম একুশ মানে মায়ের মুখের গর্ব ভরা হাসি হৃদয় জুড়ে শান্তি এবং হর্ষ রাশি রাশি। একুশ মানে ভাইয়ের বুকের রক্তমাখা জামা ‘মাতৃভাষা বাংলা আমার’ দৃপ্ত শপথনামা। একুশ মানে বর্ণমালার অ আ ক খ পড়া স্বপ্নমাখা জীবনটাকে মনের মতো গড়া। একুশ মানে মুক্ত কথন স্বাধীন ভাষার স্মৃতি সকল ভাষার ঊর্ধ্বে আমার মাতৃভাষা প্রীতি। খ) শিক্ষকের সাহায্যে বাংলা ভাষা-বিষয়ক স্মরণীয় বাণী পোস্টার পেপারে লিখে শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে প্রদর্শন করি। উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে বাংলা ভাষা-বিষয়ক স্মরণীয় বাণী সংগ্রহ কর। পোস্টার পেপারে রঙিন মার্কার পেন দিয়ে কথাগুলো লিখে পোস্টার তৈরি কর। পোস্টারগুলো এরপর আঠা বা স্কচটেপ দিয়ে শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে লাগিয়ে সবাইকে দেখাও। মোদের বাংলা ভাষা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কোনটি প্রয়োজন? চ ক সহজ-সরল বাংলা ভাষা খ কঠিন বাংলা ভাষা গ অন্য ভাষা মেশানো বাংলা ভাষা ঘ বিজাতীয় ভাষা ২) ভাষা আন্দোলনের পথটি ছিল- ঝ ক পানিতে পিছল খ তেলে পিছল গ ঘামে পিছল ঘ রক্তে পিছল 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। ছড়াছড়ি, সরল, আশা, মনীষী। উত্তর : শব্দ বাক্য ছড়াছড়ি – বাংলাদেশের সবখানেই সবুজের ছড়াছড়ি। সরল – রফিকের দাদু সরল মানুষ। আশা – আশা নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি। মনীষী – মনীষীদের জীবনী পড়ে অনেক কিছু শেখা যায়। 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। বিদেশ হতে বিজাতীয় থাকবে বল সহ্য করি। তাদের রক্ত-পিছল পথে মোদের দেশের সরল মানুষ। আর কতকাল দেশের মানুষ এবার যেন মুক্তি মেলে। ভাষার তরে প্রাণ দিল যে সব মানুষের মিটাক আশা। সহজ সরল বাংলা ভাষা কত মায়ের কোলের ছেলে। নানান ভাষায় ছড়াছড়ি। উত্তর : বিদেশ হতে বিজাতীয় – নানান ভাষায় ছড়াছড়ি। তাদের রক্ত-পিছল পথে – এবার যেন মুক্তি মেলে। আর কতকাল দেশের মানুষ – থাকবে বল সহ্য করি। ভাষার তরে প্রাণ দিল যে – কত মায়ের কোলের ছেলে। সহজ সরল বাংলা ভাষা –

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোদের বাংলা ভাষা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা হাত ধুয়ে নাও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা হাত ধুয়ে নাও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

হাত ধুয়ে নাও অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। চঞ্চল খাবলে খাওয়া চেটেপুটে অসুখ-বিসুখ টয়লেট জীবাণু উত্তর : শব্দ অর্থ চঞ্চল – অস্থির, অশান্ত, ছটফটে। খাবলে খাওয়া – খাবলা মানে হাতের থাবা পরিমাণ। খাবলে খাওয়া বললে এক থাবায় যতটুকু তুলে খাওয়া যায় তা-ই বোঝায়। চেটেপুটে – চাটা মানে জিহŸা দিয়ে লেহন করা। জিহŸা আর ঠোঁট দিয়ে একসাথে চেটে-চুষে খেলে হয় চেটেপুটে খাওয়া। অসুখ-বিসুখ – রোগব্যাধি। টয়লেট – ইংরেজি ঞড়রষবঃ–এর সাধারণ অর্থ পায়খানা। জীবাণু – খালি চোখে দেখা যায় না এমন অত্যন্ত ক্ষুদ্র প্রাণী যেগুলো মানুষের ক্ষতি করে। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। অসুখ-বিসুখ চঞ্চল খাবলে খেতে চেটেপুটে রোগ বালাই ক. চড়–ই পাখি অনেক ……….. হয়। খ. ক্ষুধার্ত লোকটি খাবার পেয়ে ………. থাকল। গ. মজার আচার পেয়ে সবাই ……….. খাচ্ছে। ঘ. শরীরের যতœ না নিলে ……….. লেগেই থাকবে। ঙ. ………. থেকে বাঁচার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা চাই। উত্তর : ক. চড়–ই পাখি অনেক চঞ্চল হয়। খ. ক্ষুধার্ত লোকটি খাবার পেয়ে খাবলে খেতে থাকল। গ. মজার আচার পেয়ে সবাই চেটেপুটে খাচ্ছে। ঘ. শরীরের যতœ না নিলে অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকবে। ঙ. রোগ বালাই থেকে বাঁচার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা চাই। ৩. বাংলা ভাষায় অনেক রকমের শব্দ রয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কিছু বিদেশি। এই লেখাটিতে টয়লেট, বিরিয়ানি, জরুরি-এগুলো বিদেশি শব্দ। এরকম আরও শব্দ জেনে নিই এবং তা দিয়ে বাক্য রচনা করি। রিক্সা, সরকারি, আদালত, বেঞ্চ, স্টেডিয়াম, স্টেশন, বাস। উত্তর : রিক্সা – রিক্সায় চড়ে ঘুরতে খুব মজা। সরকারি – বাবা সরকারি চাকরি করেন। আদালত – আদালতে বিচার করা হয়। বেঞ্চ – পিনন বেঞ্চে বসল। স্টেডিয়াম – স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা হচ্ছে। স্টেশনে – আমরা স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠলাম। বাস – বাস দ্রæতগতিতে চলে। ৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি। ক) অন্তু মামার কাছ থেকে কিসের সম্পর্কে জেনেছিল? উত্তর : অন্তু মামার কাছ থেকে ‘হাত ধোয়ার’ প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনেছিল। খ) কেন অন্তুর এটা-সেটা অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকত? উত্তর : অন্তুর ঠিকমতো হাত ধোয়ার অভ্যাস ছিল না। এ কারণে ওর এটা-সেটা অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকত। গ) সবসময় হাত পরিষ্কার না রাখলে কী হয়? উত্তর : সবসময় হাত পরিষ্কার না রাখলে হাতে থাকা জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এতে আমরা পেটের রোগ, সর্দি-জ্বর ইত্যাদিতে আক্রান্ত হই। ঘ) হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখার সঙ্গে আর কী করতে হয়? উত্তর : হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখার সাথে সাথে হাতের নখগুলোও পরিষ্কার রাখতে হয়। ঙ) হাত পরিষ্কার দেখালেও হাতের মধ্যে জীবাণু কেমন করে থাকে? উত্তর : হাতে থাকা জীবাণু খালি চোখে দেখা যায় না। তাই হাত পরিষ্কার দেখালেও হাতের মধ্যে জীবাণু থেকেই যায়। চ) কিসের অভ্যাস করলে অসুখ-বিসুখ অনেক কমে যায়? উত্তর : পরিষ্কার করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করলে অসুখ-বিসুখ অনেক কমে যায়। ছ) অন্তু মামাকে কী কথা দিয়েছিল? উত্তর : অন্তু মামাকে কথা দিয়েছিল যে, সে ঠিকমতো হাত ধুবে। আর সবাইকে বলবে, ‘সুস্থ থাকতে চাও তো হাত ধুয়ে নাও।’ ৫. গোসল করা কেন দরকার- পাঁচটি বাক্যে বলি ও লিখি। উত্তর : গোসল করা কেন দরকার তা নিচে পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো- ক) শরীরের সব অঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে। খ) শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে। গ) শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ঘ) রোগ জীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে। ঙ) মনকে সতেজ ও সুন্দর রাখতে। ৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি। সুগন্ধ দুর্গন্ধ আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হয়। হাত পা বাইরে থেকে এসে হাত-পা ধুতে হয়। প্রিয় ……. ………………………….। বকা ……. ………………………….। ধোয়া ……. ………………………….। হিসাব ……. ………………………….। সোজা ……. ………………………….। উত্তর : সুগন্ধ দুর্গন্ধ আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হয়। হাত পা বাইরে থেকে এসে হাত-পা ধুতে হয়। প্রিয় অপ্রিয় শীতকাল খুকুর অপ্রিয় ঋতু। বকা আদর করা বাবা ছেলেকে আদর করলেন। ধোয়া নোংরা করা বাবু কাদা লাগিয়ে জামা নোংরা করেছে। হিসাব বেহিসাব বেহিসাবি মানুষেরা উন্নতি করতে পারে না। সোজা বাঁকা লাঠিটি কিছুটা বাঁকা। ৭. কর্ম-অনুশীলন। ক) কেন আমরা হাত ধুয়ে থাকি তা বলি। খ) শ্রেণিকক্ষে হাত ধোয়ার অভিনয় করে দেখাই। উত্তর : ক) আমাদের হাতে নানাভাবে অনেক ধরনের রোগ জীবাণু লেগে যায়। হাত পরিষ্কার না করলে এগুলো খাবারের সঙ্গে আমাদের শরীরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এর ফলে আমরা নানা রকম রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত। এসব রোগ-ব্যাধি থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে আমরা হাত ধুয়ে থাকি। খ) শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর। হাত ধুয়ে নাও অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) অন্তুর তর সইতে না পারার কারণ- জ ক খেলতে যাওয়ার লোভ খ মামার কোলে ওঠার লোভ গ বিরিয়ানি খাওয়ার লোভ ঘ ঘুরতে যাওয়ার লোভ ২) মামা বিরিয়ানি থেকে অন্তুর হাত সরিয়ে দিলে সে- ছ ক কেঁদে দিল খ অভিমান করল গ খুশি হলো ঘ বিরক্ত হলো ৩) অন্তুকে বিরিয়ানি খেতে দেওয়ার আগে মামা কী করলেন? চ ক সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে দিলেন খ চামচ আনতে বললেন গ প্লেট নিয়ে আসতে বললেন ঘ নিজের হাত ধুয়ে এলেন ৪) টয়লেট থেকে বের হয়ে অন্তু কী করল? জ ক বিরিয়ানি খেতে বসল খ হাত ধুয়ে নিল গ খেলতে চলে গেল ঘ মামার কোলে চড়ে বসল ৫) অন্তুর মধ্যে কোন বদ অভ্যাসটি আছে? ছ ক পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার খ ঠিকমতো হাত না ধোয়ার গ সময়মতো না খাওয়ার ঘ নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ার 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। হাসিখুশি, সুগন্ধ, সতর্ক, পরিচ্ছন্ন। উত্তর : শব্দ বাক্য হাসিখুশি – খুকুমনি সারাদিন হাসিখুশি থাকে। সুগন্ধ – বাতাসে হাসনাহেনার সুগন্ধ ভেসে আসছে। সতর্ক – রাস্তা পারাপারে সতর্ক থাকা উচিত। পরিচ্ছন্ন – সফিকের পরিচ্ছন্ন বাগান দেখে ভালো লাগল। 🟥 শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) অন্তু খুব  ছেলে। খ) মামার হাতে ওর প্রিয় খাবার । গ) মামা দেখে আবার  পাকান। ঘ) হাত পরিষ্কার দেখলেই হাত আসলে  হয় না। ঙ) এই রকম  খালি চোখে দেখা যায় না। উত্তর : ক) হাসিখুশি; খ) বিরিয়ানি; গ) চোখ; ঘ) পরিষ্কার; ঙ) জীবাণু। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। চঞ্জল, জীবানু, পরিস্কার, পরিচ্চন্ন, সুগন্দ। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান চঞ্জল – চঞ্চল জীবানু – জীবাণু পরিস্কার – পরিষ্কার পরিচ্চন্ন – পরিচ্ছন্ন সুগন্দ – সুগন্ধ 🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। শরীর, ছুটি, তর, হাত। উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ শরীর – দেহ, তনু। ছুটি – ফুরসত, অবকাশ। তর – বিলম্ব, দেরি। হাত – কর, হস্ত। 🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। চঞ্চল, খাওয়া, সাবান, হাত ধোয়া, পরিষ্কার। উত্তর : মূল শব্দ পদ মূল শব্দ পদ চঞ্চল – বিশেষণ হাত ধোয়া – ক্রিয়া খাওয়া – ক্রিয়া পরিষ্কার – বিশেষণ সাবান – বিশেষ্য 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা হাত ধুয়ে নাও অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

Scroll to Top