চতুর্থ শ্রেণি

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আবোল-তাবোল অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আবোল-তাবোল অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

আবোল-তাবোল সুকুমার রায় অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. জেনে নিই। আবোল-তাবোল কথা বলার মানে, মনের খেয়ালে কথা বলতে থাকা। আমরা কথা বলি যাতে অন্যে সে-কথা শোনে এবং শুনে কিছু একটা করে। যেমন, যদি বলি- মা, ভাত খাব। মা তখন আমায় ভাত দিতে ছুটবেন! কিন্তু যদি ভ‚তের মতো নাকি সুরে বলি ‘আঁউ মাঁউ খাঁউ ভাঁতের গন্ধ পাউ’ তখন মা ভাববেন, আমি খেলা করছি। সেটা তখন আবোল-তাবোল কথা হয়ে গেল, যে কথার অর্থ নেই, যে কথা দিয়ে কিছু বোঝাতে চাইছি না। এটি সে-রকমই একটি ছড়া যা জোরে জোরে পড়লেই শুনতে মজা লাগে। একটা লোক মনের আনন্দে কেবলই বকবক করে কথা বলে চলেছে, ইচ্ছে হলে গানও গাইছে। যতক্ষণ না দুচোখে ঘুম নামল ততক্ষণ সে এমনটাই করে গেল। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। ঠেকায় তবলা ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ প্যাঁচ ঘুম ঘনিয়ে এলো মনের মাঝে সাঙ্গ রাম-খটাখট উত্তর : শব্দ অর্থ ঠেকায় – বাধা দেয়, মানা করে। তবলা – একপ্রকার বাদ্যযন্ত্র। ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ – এক কোপে কিছু কেটে ফেলার আওয়াজ। প্যাঁচ – মোচড়, মোড়ানো। ঘুম – তন্দ্রা, নিদ্রা। ঘনিয়ে এলো – ঘন হয়ে এলো, জড়ো হলো। মনের মাঝে – মনের ভিতরে। সাঙ্গ – শেষ, সমাপ্ত। রাম-খটাখট – খুব জোরেশোরে খটাখট শব্দ। (এই শব্দে আমরা বড় আকারের কিছু বোঝাই। যেমন- রামছাগল, রামবোকা, হাঁদারাম)। ৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। ঘনিয়ে এলো সাঙ্গ ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ ঠেকায় মনের মাঝে প্যাঁচ ক. তুহিন লেখাপড়ায় এতো ভালো যে ওকে …….. কে? খ. লোকটি ………. করে গাছের ডালটি কেটে ফেলল। গ. বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম …………..। ঘ. ……….. দেওয়া কথা বোঝা যায় না। ঙ. তাড়াতাড়ি খেলাধুলা ……… কর, পড়তে বসতে হবে। চ. পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় তার …………. আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। উত্তর : ক. তুহিন লেখাপড়ায় এতো ভালো যে ওকে ঠেকায় কে? খ. লোকটি ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ করে গাছের ডালটি কেটে ফেলল। গ. বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম ঘনিয়ে এলো। ঘ. প্যাঁচ দেওয়া কথা বোঝা যায় না। ঙ. তাড়াতাড়ি খেলাধুলা সাঙ্গ কর, পড়তে বসতে হবে। চ. পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করায় তার মনের মাঝে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। ৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি। ক) কী ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না? উত্তর : আবোল-তাবোল কথার তুবড়ি ছুটছে যাকে থামানো যাচ্ছে না। খ) ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে কোথায় তবলা বাজছে? উত্তর : মনের মাঝে ধাঁই ধপাধপ আওয়াজে তবলা বাজছে। গ) কখন গানের পালা সাঙ্গ হলো? উত্তর : ঘুম ঘনিয়ে এলে গানের পালা সাঙ্গ হলো। ৫. ছড়াটিতে যা বলা হয়েছে তা বর্ণনা করি। উত্তর : একজন লোক মনের আনন্দে নানা অর্থহীন কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছে। তাকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। ঘুম আসার আগ পর্যন্ত সে এমন আবোল-তাবোল কথা বলেই গেল। ৬. ছড়াটি মুখস্থ করি ও বলি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ ছড়াটি মুখস্থ কর এবং খাতায় লেখ। ৭. বই না দেখে ছড়াটি ঠিকমতো লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে ছড়াটি মুখস্থ করে বই বন্ধ করে খাতায় লেখ। ৮. কর্ম-অনুশীলন। ছড়ার মতো করে দুইটি লাইন লিখি। উত্তর : লঙ্কা খেয়ে পাখির ছানা, ঝালের চোটে মেলল ডানা। আবোল-তাবোল অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। মন, প্যাঁচ, সাঙ্গ, গান। উত্তর : শব্দ বাক্য মন – বাবলু মন খারাপ করেছে। প্যাঁচ – দড়িটার প্যাঁচ খোলা যাচ্ছে না। সাঙ্গ – স্যার এসে পড়ায় দুষ্টুমির পালা সাঙ্গ হলো। গান – কোকিল মিষ্টি সুরে গান করে। 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। রাম-খটাখট কথার প্যাঁচ ঘনিয়ে এল মনের মাঝে আজকে আমায় ঘুমের ঘোর, কথায় কাটে ঠেকায় কে? ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ উত্তর : রাম-খটাখট – ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ ঘনিয়ে এল – ঘুমের ঘোর, আজকে আমায় – ঠেকায় কে? কথায় কাটে – কথার প্যাঁচ 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ঘ্যঁচাং, সাঙ্ঘ, ঢেকায়, ততক্ষন, তবোলা। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান ঘ্যঁচাং – ঘ্যাঁচাং সাঙ্ঘ – সাঙ্গ ঢেকায় – ঠেকায় ততক্ষন – ততক্ষণ তবোলা – তবলা 🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। কথা, ঘুম, সাঙ্গ, মন। উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ কথা – বচন, উক্তি। ঘুম – তন্দ্রা, নিদ্রা। সাঙ্গ – শেষ, সমাপ্ত। মন – হৃদয়, অন্তর। আবোল-তাবোল মডেল টেস্ট নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। আজকে আমার মনের মাঝে ধাঁই ধপাধপ তবলা বাজে- রাম-খটাখট ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ কথায় কাটে কথার প্যাঁচ। ঘনিয়ে এলো ঘুমের ঘোর, গানের পালা সাঙ্গ মোর। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) মনের মধ্যে কী বাজছে? (ক) সেতার (খ) তবলা (গ) হারমোনিয়াম (ঘ) বাঁশি ২) ‘সাঙ্গ’ শব্দের যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত? (ক) ঞ + ঘ (খ) ঙ + ঘ (গ) ঞ + গ (ঘ) ঙ + গ ৩) এক কোপে কিছু কেটে ফেললে কেমন আওয়াজ হবে? (ক) রাম খটাখট (খ) ধাঁই ধপাধপ (গ) ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ (ঘ) প্যাঁচ প্যাঁচ ৪) ঘুম এলে কী হলো? (ক) বকবক বন্ধ হলো (খ) তবলা বাজানো শুরু হলো (গ) বক বক শুরু হলো (ঘ) চুপটি মেরে থাকা বন্ধ হলো ৫) কবিতাংশে উল্লিখিত লোকটি বলছে- (ক) গুরুত্বপূর্ণ কথা (খ) আবোল-তাবোল কথা (গ) ঘুমের ঘোরে কথা (ঘ) দুঃখের কথা উত্তর : ১) (খ) তবলা; ২) (ঘ) ঙ + গ; ৩) (গ) ঘ্যাঁচাং ঘ্যাঁচ; ৪) (ক) বকবক বন্ধ হলো; ৫) (খ) আবোল-তাবোল কথা। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। প্যাঁচ, ঘুম, সাঙ্গ, ঘনিয়ে এলো, তবলা। উত্তর : শব্দ অর্থ প্যাঁচ – যা সোজা-সরল নয়। ঘুম – নিদ্রা। সাঙ্গ – শেষ। ঘনিয়ে এলো – ঘন হয়ে এলো। তবলা – এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) কথায় কী কাটে? উত্তর : কথায় কথার প্যাঁচ কাটে। খ) লোকটি কতক্ষণ পর্যন্ত আবোল-তাবোল বকে গেল? উত্তর : যতক্ষণ পর্যন্ত না লোকটির দুচোখে ঘুম নেমে এলো ততক্ষণ সে আবোল-তাবোল বকে গেল। গ) প্যাঁচানো কথা দিয়ে কী বোঝানো হচ্ছে। উত্তর : প্যাঁচানো কথা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে এমন কথাকে যা সহজে বোঝা সম্ভব নয়। অর্থাৎ যে কথা সহজ সরল নয়। ৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ। উত্তর : একটি লোক মনের খেয়ালে আবোল-তাবোল বকে চলেছে। ইচ্ছে হলে গানও গাইছে। দুচোখে ঘুম নেমে আসার আগ পর্যন্ত সে এমনটাই করে গেল। এ অংশে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ দেওয়া থাকবে। প্রদত্ত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশটি পড়ে ৩ ধরনের প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এখানে থাকবে- (৫) বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (৬) শূন্যস্থান পূরণ (৭) প্রশ্নের উত্তর লিখন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ পরীক্ষায় কমন পড়বে না। তাই এটি এখানে দেওয়া হলো না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ নমুনা (ঋড়ৎসধঃ) বোঝার সুবিধার্থে বইয়ের প্রথম দুটি অধ্যায়ে পাঠ্য বই বহির্ভূত অংশটি সংযোজন করা হয়েছে। …………………………………………………………….. ৮. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আবোল-তাবোল অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোবাইল ফোন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোবাইল ফোন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

মোবাইল ফোন অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। তরঙ্গ উদ্ভাবন গবেষক অদৃশ্য অ্যান্টেনা রূপান্তরিত এসএমএস সমন্বয় উত্তর : শব্দ অর্থ তরঙ্গ – কোনো কিছুর ঢেউ। উদ্ভাবন – আবিষ্কার করা, আগে ছিল না এমন কিছু তৈরি করা। গবেষক – যিনি গবেষণা করেন। অদৃশ্য – যা চোখে দেখা যায় না, আগোচর। অ্যান্টেনা – কোনো বেতার যন্ত্রের সাথে লাগানো তার বা অংশ, যা দিয়ে যন্ত্রটি তরঙ্গ ধরতে পারে। রূপান্তরিত – একরকম থেকে আর-একরকম করে ফেলা। এসএমএস – (ংযড়ৎঃ সবংংধমব ংবৎারপব) খুদেবার্তা। সমন্বয় – সামঞ্জস্য, মিলন। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। গবেষক অ্যান্টেনা উদ্ভাবন তরঙ্গ সমন্বয় এসএমএস রূপান্তরিত। ক. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু ………. করেছে। খ. নদীর ………. চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না। গ. ………… সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। ঘ. রেডিও এবং মোবাইল ফোনের ………. থাকে। ঙ. পানি ফুটলে বাষ্পে ………… হয়। চ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে ………… পাঠাতে ভুলবেন না যেন। ছ. তোমাদের সবাইকে মোবাইল ফোনে কাজের ……….. করতে হবে। উত্তর : ক. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে। খ. নদীর তরঙ্গ চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না। গ. গবেষক সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। ঘ. রেডিও এবং মোবাইল ফোনের অ্যান্টেনা থাকে। ঙ. পানি ফুটলে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। চ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে এসএমএস পাঠাতে ভুলবেন না যেন। ছ. তোমাদের সবাইকে মোবাইল ফোনে কাজের সমন্বয় করতে হবে। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) মোবাইল ফোন আজকের দিনে কী কী কাজে লাগে? উত্তর : মোবাইল ফোন আজকের দিনে নানা কাজে লাগে। যেমন- (১) কথা বলতে; (২) এসএমএস পাঠাতে; (৩) ছবি তুলতে; (৪) ভিডিওচিত্র ধারণ করতে; (৫) গান শুনতে; (৬) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে; (৭) বই পড়তে; (৮) সিনেমা দেখতে ইত্যাদি। খ) মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের জন্য কারা কারা কাজ করেছেন? উত্তর : মোবাইল ফোন উদ্ভাবনে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল, জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল এবং মার্টিন কুপার। গ) মোবাইল সেট থেকে কীভাবে অন্য জনের সাথে কথা হয়? উত্তর : মোবাইল সেট থেকে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে অন্যজনের সাথে কথা হয়। একটি মোবাইল সেট থেকে কোনো নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে খবর টাওয়ারের মাধ্যমে আরেক প্রান্তের কাক্সিক্ষত নম্বরটিতে পৌঁছে যায়। আমরা কিছু বলার সাথে সাথে তা বিদ্যুতের গতিতে তরঙ্গে পরিণত হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে পৌঁছে। এভাবেই মোবাইল ফোনে আমরা পরস্পরের সাথে কথা বলতে পারি। ঘ) মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় কী বসাতে হয়? উত্তর : মোবাইলে কথা বলার জন্য সব জায়গায় শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসাতে হয়। এ টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সাথে যোগাযোগের অদৃশ্য জাল বা নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ঙ) এসএমএস কী এবং কখন কাজে লাগে? উত্তর : খুব কম শব্দে লিখে পাঠানো খবরকে বলা হয় এসএমএস। নেটওয়ার্কের জন্য কথা ভালো শোনা না গেলে বা কথা বলতে না চাইলে এসএমএস পাঠানো যায়। ৪. মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে লিখি। উত্তর : মোবাইল ফোন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেক দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে যেকোনো সময় যোগাযোগ ও কথা বলার কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ছবি তোলা, বই পড়া প্রভৃতি কাজেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এসব কাজ করার পাশাপাশি দূর-দূরান্তে টাকাও পাঠাতে পারি। ৫. ডান দিকের সঙ্গে বাম দিকের শব্দ সাজাই। পরিবর্তন সংযোগ বিচিত্র পর্যায় গ্রাহাম টাওয়ার ইন্টারনেট মধ্যে সীমিত ধরনের বেতার বেল শক্তিশালী তরঙ্গ মুহূর্তের উন্নয়ন উত্তর : পরিবর্তন – উন্নয়ন বিচিত্র – ধরনের গ্রাহাম – বেল ইন্টারনেট – সংযোগ সীমিত – পর্যায় বেতার – তরঙ্গ শক্তিশালী – টাওয়ার মুহূর্তের – মধ্যে ৬. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। ক. সময় অল্প তাই বেশি ……… যাওয়া উচিত নয়। খ. মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো খুব ………। গ. যত ………. লেখাপড়া করবে জীবনে তত ভালো ফল করবে। ঘ. সবাই তোমার প্রশংসা করবে যদি তুমি ……… কাজ কর। ঙ. কাজ ……… করে তারপর খেলতে যাব। উত্তর : ক. সময় অল্প তাই বেশি দূরে যাওয়া উচিত নয়। খ. মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো খুব শক্তিশালী। গ. যত বেশি লেখাপড়া করবে জীবনে তত ভালো ফল করবে। ঘ. সবাই তোমার প্রশংসা করবে যদি তুমি ভালো কাজ কর। ঙ. কাজ শেষ করে তারপর খেলতে যাব। ৭. সংখ্যাবাচক শব্দ লিখি। এই লেখায় ‘প্রথম’, ‘দ্বিতীয়’ এরকম শব্দ রয়েছে। এগুলো হলো সংখ্যাবাচক বা ক্রমবাচক বিশেষণ। এভাবে আরও কয়েকটি শব্দ শিখি। সংখ্যাবাচক বিশেষ্য ক্রমবাচক বিশেষণ এক – প্রথম দুই – দ্বিতীয় তিন – তৃতীয় চার – চতুর্থ পাঁচ – পঞ্চম ছয় – ষষ্ঠ সাত – সপ্তম আট – অষ্টম নয় – নবম দশ – দশম ৮. আমার পরিবার মোবাইল ফোনের সাহায্যে কী কী সুবিধা পেয়েছে তা লিখি। উত্তর : আমার পরিবার মোবাইল ফোনের সাহায্যে বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছে। সেগুলো হলো- ১. দূরের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা। ২. ছবি তোলা। ৩. গান শোনা। ৪. সহজে টাকা পাঠানো। ৫. বই পড়া। ৯. কর্ম-অনুশীলন। ক. শ্রেণিকক্ষে দলীয়ভাবে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিনয় করি। উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সহপাঠীরা সবাই মিলে চেষ্টা কর। খ. দশটি ক্রমবাচক শব্দ ব্যবহার করে দশটি বাক্য লিখি। উত্তর: প্রথম – শিমুল মোরগ লড়াই খেলাতে প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় – বাদল দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করল। তৃতীয় – তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বনভোজনে যাবে। চতুর্থ – রুম্পা দৌড়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। পঞ্চম – আমি ক্লাসে পঞ্চম সারিতে বসি। ষষ্ঠ – সুমন ভাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। সপ্তম – শরীফ পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। অষ্টম – আবেদ অষ্টম তলায় অবস্থান করছে। নবম – আমরা নবম বাসটিতে উঠলাম। দশম – লালন দশম সারিতে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোন অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) কখন থেকে মোবাইল ফোনের উদ্ভাবন কাজ শুরু হয়? ছ ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে খ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে গ ১৯৬৪ সালের দিকে ঘ ১৯৭১ সালের দিকে ২) ১৯৭১ সালে ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারত- ঝ ক যারা অনেক ধনী ছিল খ যাদের গাড়ি ছিল গ অল্প কিছু মানুষ ঘ সকল মানুষ ৩) প্রথম হাতে ধরার মতো ছোট মোবাইল সেট তৈরি করেন কে? চ ক মার্টিন কুপার খ গ্রাহাম বেল গ রিচার্ড এইচ. ফ্রাংকিয়েল ঘ জোয়েল এস. অ্যাঞ্জেল ৪) মোবাইলে মুখের কথা তরঙ্গে পরিণত হয়- ছ ক বলার আগেই খ সাথে সাথেই গ কিছুক্ষণ পর ঘ অনেকক্ষণ পর ৫) টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল সেটে কী থাকে? ছ ক সেল খ অ্যানটেনা গ ক্যামেরা ঘ অপারেটর 🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। আবিষ্কার, পরিবর্তন, অদৃশ্য। উত্তর : শব্দ অর্থ

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মোবাইল ফোন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা নেমন্তন্ন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা নেমন্তন্ন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

নেমন্তন্ন অন্নদাশঙ্কর রায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। এই ছড়াটিতে আসলে একটা হাসির গল্প বলা হয়েছে। একজন লোক ভজন গান শুনতে চাংড়িপোতা নামে একটা জায়গায় যাচ্ছে। পথে এক বন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধু একটার পর একটা প্রশ্ন করছে, আর সে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বোঝা গেল- ভজন গান শোনার চেয়ে তার অনেক বেশি লোভ ভোজনে, অর্থাৎ ভালো ভালো খাবার খাওয়ায়। তার বন্ধু সঙ্গে যেতে চাইলেও সে তাকে নেয় না। কারণ, বন্ধু সঙ্গে গেলে তার খাওয়া যদি কম হয়- এই ভয়। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে বলি ও লিখি। ভজন প্রসাদ ভোজন সাধ সরপুরিয়া আয়েস রাবড়ি ক্ষীর কদলী ফলার ফজলি আম সবরি কলা উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য ভজন – দেব-দেবীর আরাধনা। – মামার সাথে ভজন শুনতে গিয়েছিলাম। প্রসাদ – আশীর্বাদ বা দোয়া হিসেবে দেয়া খাবার। – প্রসাদ ভোজনে খুব তৃপ্তি পেলাম। ভোজন – আহার, খাওয়া। – রফিক ভোজন করতে বসেছে। সাধ – ইচ্ছা। – আমার খেলোয়াড় হওয়ার সাধ। সরপুরিয়া – দুধের সর দিয়ে তৈরি একরকম মিষ্টি। – ঐশীর সরপুরিয়া খুবই প্রিয়। আয়েস – আরাম, তৃপ্তি। – লোকটি আয়েস করে খাবার খেয়েছে। রাবড়ি – খুবই মিষ্টি এক ধরনের খাবার। – রাবড়ি খেতে ভারি মজা। ক্ষীর – দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন। – ক্ষীর আমার পছন্দের খাবার। কদলী – কলা। – কদলী পুষ্টিকর ফল। ফলার – কলা ও অন্যান্য ফলমূল দিয়ে তৈরি করা খাবার। – ফলার খেলে শক্তি বাড়ে। ফজলি আম – খুবই সুগন্ধ ও মিষ্টি স্বাদের আম। – রাজশাহীতে ভালো ফজলি আম হয়। সবরি কলা – একরকম কলার নাম। – সবরি কলা খেতে মজা। ৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি। ক) লোকটি কোথায় যাচ্ছে? কেন যাচ্ছে? উত্তর : লোকটি নেমন্তন্ন খেতে চাংড়িপোতা যাচ্ছে। খ) এ কবিতায় কী কী খাবারের নাম উল্লেখ আছে? উত্তর : এ কবিতায় যেসব খাবারের নাম উল্লেখ আছে তা হলো- ছানার পোলাও, সরপুরিয়া, রাবড়ি, পায়েস, ক্ষীর, সবরি কলা, ফজলি আম ইত্যাদি। গ) কোন খাবার সে আয়েস করে খেতে চায়? উত্তর : রাবড়ি পায়েস সে আয়েস করে খেতে চায়। ঘ) লোকটি কোন কোন ফল খেতে চায়? উত্তর : লোকটি সবরি কলা ও ফজলি আম খেতে চায়। ঙ) সে কোন আম খেতে চাইছে? উত্তর : সে ফজলি আম খেতে চাইছে। চ) ভজন আর ভোজনের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর : ভজন হলো দেব-দেবীর আরাধনা করে গাওয়া গান। আর ভোজন হলো খাওয়া-দাওয়া করা। ৪. লোকটি কী কী খাবার খেতে চাইছে তার তালিকা বানাই। উত্তর : লোকটি খেতে চাইছে- ছানার পোলাও, সরপুরিয়া, রাবড়ি পায়েস, ক্ষীর কদলী, সবরি কলা, ফজলি আম। ৫. নেমন্তন্ন সম্পর্কে নিজের কোনো মজার ঘটনা বলি। উত্তর : আমি একদিন বাবা-মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে সবার সাথে খাওয়া দাওয়ার সময় তাদের বাড়ির কুকুরটা হঠাৎ বিকটভাবে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। ছোটবেলায় কুকুর দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেতাম। অত জোরে কুকুরে চিৎকার শুনে আমি ভীষণভাবে চমকে উঠি। এতে আমার হাতে ধরা খাবারের প্লেটটা উল্টে বাবার কোলের উপর পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখে সবাই হেসে ওঠে। ৬. আমার প্রিয় খাবারের নাম লিখি এবং কেন প্রিয় তা লিখি। উত্তর : আমার প্রিয় খাবার হলো পায়েস। কারণ আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার ভালোবাসি। তাছাড়া পায়েস দুধ, চিনি ও আতপ চাল দিয়ে রান্না করা হয় বলে এর স্বাদ আমার কাছে ভালো লাগে। ৭. একই অর্থ হয় এমন শব্দগুলো জেনে নিই। নেমন্তন্ন – নিমন্ত্রণ, দাওয়াত। সাধ – ইচ্ছা, আকাক্সক্ষা, বাসনা, কামনা। বিয়ে – বিবাহ, পরিণয়, সাদি। ৮. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) লোকটি আয়েশ করে খেতে চায় ………..। প্রসাদ ভোজন খ) লোকটি চাংড়িপোতা যাচ্ছে ………। সবরি কলার গ) শুধু ভজন নয়, সাথে আছে ………..। রাবড়ি পায়েস ঘ) লোকটি খেতে চায় ………..। ভজন শুনতে ঙ) বাঃ কী ফলার …….। ছানার পোলাও উত্তর : ক) রাবড়ি পায়েস; খ) ভজন শুনতে; গ) প্রসাদ ভোজন; ঘ) ছানার পোলাও; ঙ) সবরি কলার। ৯. ছড়াটি আবৃত্তি করি। উত্তর : কবির নামসহ কবিতাটি ভালোভাবে মুখস্থ করে শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর। ১০. ছড়াটি পড়ি ও ঠিকমতো বিরামচিহ্ন বসিয়ে লিখি। উত্তর : নিজে নিজে চেষ্টা কর। নেমন্তন্ন অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। নেমন্তন্ন, ভোজন, সাধ, আয়েশ। উত্তর : শব্দ বাক্য নেমন্তন্ন – শুক্রবার আমাদের বিয়ের নেমন্তন্ন আছে। ভোজন – খোকার ভোজনে বেশি আগ্রহ নেই। সাধ – সালমার চমচম খাওয়ার সাধ হয়েছে। আয়েশ – দাদু আয়েশ করে পিঠা খাচ্ছেন। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ক্ষ, ন্ত, চ্ছ, ন্ন, ঙ্গ। উত্তর : ক্ষ = ক + ষ – অপেক্ষা – আমরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। ন্ত = ন + ত – প্রান্ত – নদীর প্রান্তে ঘন বন। চ্ছ = চ + ছ – স্বচ্ছ – দিঘিটির পানি কাচের মতো স্বচ্ছ। ন্ন = ন + ন – রান্না – রান্না হলেই খেতে বসব। ঙ্গ = ঙ + গ – মঙ্গল। – বাবা-মা সর্বদা সন্তানের মঙ্গল চান। 🟥 নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ। প্রশাদ, নেমোন্তন্ন, রাবরি, ফায়েস, সরপুড়িয়া। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান প্রশাদ – প্রসাদ নেমোন্তন্ন – নেমন্তন্ন রাবরি – রাবড়ি ফায়েস – পায়েস সরপুড়িয়া – সরপুরিয়া 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) লোকটি কোন কলা দিয়ে তৈরি ফলার খেতে চায়? উত্তর : লোকটি সবরি কলা দিয়ে তৈরি ফলার খেতে চায়। খ) লোকটি তার বন্ধুকে সাথে নিতে চায় না কেন? উত্তর : বন্ধু সাথে গেলে যদি তার খাওয়ায় টান পড়ে- এই ভেবে লোকটি তার বন্ধুকে সাথে নিতে চায় না। নেমন্তন্ন মডেল টেস্ট প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। যাচ্ছ কোথা? চাংড়িপোতা। কিসের জন্য? নেমন্তন্ন। বিয়ের বুঝি? না, বাবুজি। কিসের তবে? ভজন হবে। শুধুই ভজন? প্রসাদ ভোজন। কেমন প্রসাদ? যা খেতে সাধ। কী খেতে চাও? ছানার পোলাও। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) চাংড়িপোতা কিসের নাম? (ক) খাবারের (খ) জায়গার (গ) মানুষের (ঘ) ভজনের ২) লোকটি কিসের নেমন্তন্নে যাচ্ছে? (ক) ভজন শোনার (খ) বিয়ের (গ) জন্মদিনের (ঘ) হাতেখড়ির ৩) চাংড়িপোতায় কী কী হবে? (ক) ভজন ও ভোজন (খ) ভজন ও নৃত্য (গ) শুধুই ভজন (ঘ) শুধুই ভোজন ৪) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে- (ক) দুজন লোকের কথোপকথন (খ) দুজন লোকের প্রসাদ ভোজন (গ) দুজন লোকের মজার কাণ্ড (ঘ) দুজন লোকের দুঃখের কথা ৫) ‘ন্ত’- যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত? (ক) ন ও ড (খ) ন ও ত (গ) ণ ও ত (ঘ) ন ও হ

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা নেমন্তন্ন অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মহীয়সী রোকেয়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মহীয়সী রোকেয়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

মহীয়সী রোকেয়া অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে লিখি। জমিদার বন্দি চিলেকোঠা স্নেহ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা লেখালেখি উন্নতি সমাজ অধিকার লড়াই নারী জাগরণ অগ্রদূত মহীয়সী চিরস্মরণীয় উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য জমিদার – ধনী ব্যক্তি, যিনি বহু জমি ও বিষয় সম্পত্তির মালিক। – রাকীবার দাদা জমিদার ছিলেন। বন্দি – আটক – বন্দি পাখি মুক্তি চায়। চিলেকোঠা – বাড়ির ছাদের লাগোয়া ঘর। সিঁড়িঘর। – জিনিসগুলো চিলেকোঠায় রেখে দাও। স্নেহ – ভালোবাসা, প্রেম। – মায়ের স্নেহের তুলনা হয় না। স্বাধীনতা – মুক্ত, নিজের ইচ্ছেমতো কিছু করতে পারা। – ২৬এ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিষ্ঠা – তৈরি। – করিম সাহেব বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। লেখালেখি – লেখা, রচনা। – সুমাইয়া ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি করে। উন্নতি – কিছুটা খারাপ অবস্থা থেকে ভালো অবস্থায় যাওয়া। – আমরা দেশের উন্নতি চাই। সমাজ – আমাদের চারপাশের পরিবেশ, মানুষ। – আমরা সবাই সমাজে বাস করি। অধিকার – দাবি, পাওনা জিনিসের ওপর দখল নেওয়া। – শিক্ষা শিশুর অধিকার। লড়াই – যুদ্ধ, সংগ্রাম। – বাঙালি লড়াই করে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করেছে। নারী জাগরণ – অধিকার সম্পর্কে মেয়েদের সচেতন করে তোলা। – বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত। অগ্রদূত – যিনি পথ দেখান, সবার আগে আগে চলেন। – কোকিলকে বসন্তের অগ্রদূত বলা হয়। মহীয়সী – মহান যে নারী। – সুফিয়া কামাল ছিলেন এক মহীয়সী নারী। চিরস্মরণীয় – সব সময় যাকে মানুষ স্মরণ করে, মনে রাখে। – বীরশ্রেষ্ঠরা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : বেগম রোকেয়া রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খ) বাড়িতে লোক এলে রোকেয়া কোথায় কোথায় লুকিয়ে থাকতেন? উত্তর : বাড়িতে লোক এলে রোকেয়া কখনো চিলেকোঠায়, কখনো সিঁড়ির নিচে, কখনো বা দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকতেন। গ) লেখাপড়ার বিষয়ে রোকেয়াকে কে কে সাহায্য করতেন? উত্তর : লেখাপড়ার বিষয়ে রোকেয়াকে সাহায্য করতেন তাঁর বড় বোন করিমুন্নেসা এবং বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের। ঘ) রোকেয়া কখন পড়াশুনা করতেন? কীভাবে করতেন? উত্তর : রোকেয়া পড়াশুনা করতেন গোপনে, গভীর রাতে। তিনি মোমবাতি জ্বালিয়ে বড় ভাই ইব্রাহিম সাবেরের কাছ থেকে পাঠ নিতেন। পড়তে পড়তে কখনো কখনো ভোর হয়ে যেত। এভাবেই লুকিয়ে লুকিয়ে রাত জেগে পড়াশুনা করতেন রোকেয়া। ঙ) সেকালে মেয়েদের অবস্থা কেমন ছিল? উত্তর : সেকালে মেয়েদের অবস্থা ছিল খুব করুণ। তাদের কোনো রকম স্বাধীনতা ছিল না। বাড়ির ভেতরে বন্দি জীবন যাপন করতে হতো। পড়াশুনা করারও কোনো সুযোগ ছিল না। খুব অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে স্বামীর ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। চ) রোকেয়াকে কেন নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়? উত্তর : রোকেয়াই প্রথম নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ে নেমেছিলেন। নারীরা যাতে পুরুষের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে সে জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা, লেখালেখি করা ইত্যাদি কাজে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। এসব কারণে রোকেয়াকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলা হয়। ৩. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য লিখি। অগ্রদূত, অধিকার, প্রতিষ্ঠা, অদম্য, অবরোধ। উত্তর : অগ্রদূত – বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত। অধিকার – শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। প্রতিষ্ঠা – দাদু একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। অদম্য – খেলাধুলায় আমার অদম্য আগ্রহ। অবরোধ – শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেছে। ৪. এককথায় প্রকাশ করি। এই লেখায় “রোকেয়ার লেখাপড়া করার কী অদম্য আগ্রহ!”- এরকম একটা বাক্য রয়েছে। এই বাক্যে ব্যবহৃত ‘অদম্য’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘যে কোনো কিছুতে দমে না’ শব্দটি অনেকগুলো শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এরকম আরও কিছু শব্দ শিখি। অনেকের মধ্যে – অন্যতম। জানার ইচ্ছা – জিজ্ঞাসা। আকাশে যে চরে – খেচর। বিদ্যা আছে যার – বিদ্বান। ভাতের অভাব যার – হাভাতে। মহান যে নারী – মহীয়সী। ৫. যুক্তবর্ণগুলো দেখি ও যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি। জ্ঞান – জ্ঞ জ্ ঞ জ্ঞান, বিজ্ঞান, অজ্ঞান। উন্নতি – ন্ন ন্ ন অন্ন, ভিন্ন, নবান্ন। + ৬. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে পড়ি। রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে – ষোলো বছর বয়সে। অবরোধ মানে বাড়ির নির্দিষ্ট – মতিচুর, অবরোধবাসিনী ও পদ্মরাগ। রাত গভীর হলে ভাইয়ের কাছে – রোকেয়ার জন্ম। রোকেয়ার বিয়ে হলো – নারী জাগরণের অগ্রদূত। তাঁর লেখা বইগুলো হলো- – শুরু হতো তার জ্ঞানার্জন। মহীয়সী রোকেয়া – গণ্ডির মধ্যে আটকা থাকা। উত্তর : রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে – রোকেয়ার জন্ম। অবরোধ মানে বাড়ির নির্দিষ্ট – গণ্ডির মধ্যে আটকা থাকা। রাত গভীর হলে ভাইয়ের – শুরু হতো তার জ্ঞানার্জন। রোকেয়ার বিয়ে হলো – ষোলো বছর বয়সে। তাঁর লেখা বইগুলো হলো- – মতিচুর, অবরোধবাসিনী ও পদ্মরাগ। মহীয়সী রোকেয়া – নারী জাগরণের অগ্রদূত। ৭. স্বামীর মৃত্যুর পর রোকেয়া কী কী কাজ করতে শুরু করলেন তা সংক্ষেপে লিখি। উত্তর : স্বামীর মৃত্যুর পর রোকেয়া নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করলেন। স্বামীর নামে কলকাতায় মেয়েদের জন্য একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন। নারীর অধিকার সম্পর্কে বাংলা ভাষায় লেখালেখি শুরু করলেন। ৮. রোকেয়ার জীবনী থেকে আমি কী শিখলাম তা সংক্ষেপে লিখি। উত্তর : রোকেয়ার জীবনী থেকে আমি যা যা শিখলাম- ⇒ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা থাকলে অনেক কঠিন কাজেও সফল হওয়া যায়। ⇒ নারী পুরুষ সবার জন্যই লেখাপড়া শেখা অত্যন্ত জরুরি। ⇒ সমাজে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। ⇒ সমাজের উন্নতির জন্য নারীর ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহীয়সী রোকেয়া  অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) রোকেয়ার কয় ভাই ছিল? ছ ক এক ভাই খ দুই ভাই গ তিন ভাই ঘ চার ভাই ২) রোকেয়ার বাবার সন্তান ছিল- ঝ ক দুইটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি ৩) স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা দিয়ে রোকেয়া- চ ক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন খ স্কুলে ভর্তি হন গ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ঘ কলেজে ভর্তি হন ৪) ইব্রাহিম সাবের কে ছিলেন? ঝ ক রোকেয়ার স্বামী খ রোকেয়ার ছোট ভাই গ রোকেয়ার বাবা ঘ রোকেয়ার বড় ভাই ৫) রোকেয়া তাঁর বড় বোনের কাছ থেকে কী শিখলেন? চ ক বাংলা খ উর্দু গ কুরআন ঘ বাইবেল ৬) রোকেয়ার সময়ে মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল- ছ ক দারিদ্র্য খ পুরুষদের মনোভাব গ বিদ্যালয়ের অভাব ঘ নারীদের মনোভাব ৭) কত বছর বয়সে রোকেয়ার বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়? ছ ক বারো খ চৌদ্দ গ ষোলো ঘ আঠারো ৮) রোকেয়ার শ্বশুরবাড়ি কোথায় ছিল? জ ক রংপুর খ পায়রাবন্দ গ ভাগলপুর ঘ এলাহাবাদ ৯) রোকেয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোন ভাষায় কথা বলতেন? জ ক বাংলা খ হিন্দি গ উর্দু ঘ আরবি ১০) রোকেয়া কার নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? ঝ ক নিজের নামে খ বাবার নামে গ মায়ের নামে ঘ স্বামীর নামে ১১) রোকেয়ার জন্মসাল কোনটি? ঝ ক ১৭৭০ খ ১৭৮০ গ ১৮৭০ ঘ ১৮৮০ 🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। পড়তি, নিষিদ্ধ, তৃষ্ণার্ত, নিঝ্ঝুম, প্রথা, গণ্ডি। উত্তর : শব্দ অর্থ পড়তি – অবনতি।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মহীয়সী রোকেয়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং বাক্য তৈরি করে লিখি। বীরশ্রেষ্ঠ, বাঙ্কার, ক্রলিং, ধূলিসাৎ, রণক্ষেত্র, মুক্তিবাহিনী, নিয়ন্ত্রণ, অতিক্রম, বিধ্বস্ত হওয়া, দুঃসাহসিক, বিস্ফোরণ, মেশিনগান, অকুতোভয়, বীরগাথা। উত্তর : শব্দ অর্থ বাক্য বীরশ্রেষ্ঠ – মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য যারা সর্বশ্রেষ্ঠ। – বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। বাঙ্কার – যুদ্ধের জন্য তৈরি করা মাটির গর্ত। যুদ্ধের সময় সৈনিকেরা এখানে আশ্রয় নিয়ে তাদের এলাকা পাহারা দেন ও যুদ্ধ করেন। – শত্রæরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিল। ক্রলিং – যুদ্ধকালে চার হাত-পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। – হামিদুর রহমান তখন ক্রলিং করছিলেন। ধূলিসাৎ – চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া। – পাক সেনাদের বাঙ্কার ধূলিসাৎ হয়ে গেল। রণক্ষেত্র – যুদ্ধের স্থান। – রণক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হয়। মুক্তিবাহিনী – বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য যাঁরা যুদ্ধ করেছেন তাঁদের বাহিনী। – মুক্তিবাহিনী পাক সেনাদের হটিয়ে দিল। নিয়ন্ত্রণ – নিজের আয়ত্তে আনা। – মতিউর বিমানটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলেন। অতিক্রম – কোনো কিছু পার হওয়া বা ছাড়িয়ে যাওয়া। – মিঠু দৌড়ে ১০০ মিটার অতিক্রম করল। বিধ্বস্ত হওয়া – ভেঙেচুরে যাওয়া। ধ্বংস হওয়া। – মতিউরের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। দুঃসাহসিক – অত্যন্ত সাহসের কাজ। – হামিদুরের দুঃসাহসিক ভ‚মিকা চিরস্মরণীয়। বিস্ফোরণ – চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ফেটে পড়া। – হঠাৎ বোমার বিস্ফোরণ ঘটল। মেশিনগান – যুদ্ধে ব্যবহৃত বন্দুকের মতো অস্ত্র। – যোদ্ধারা মেশিনগান ব্যবহার করেন। অকুতোভয় – ভয় নেই যার। – মহিউদ্দিন ছিলেন অকুতোভয় এক যোদ্ধা। বীরগাথা – বীরের গল্প। – মুক্তিযোদ্ধাদের বীরগাথা চিরস্মরণীয়। ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) বীরশ্রেষ্ঠরা কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন? উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠরা দেশকে ভালোবাসতেন। দেশকে যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যই বীরশ্রেষ্ঠরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। খ) ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন- বর্ণনা করি। উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চারজন ৩রা জুলাই তারিখে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ৭ নম্বর সেক্টরে। অবশেষে ভারতের মালদহ জেলার মেহেদিপুরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীর সাথে যুক্ত হলেন। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গ) যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে মতিউরের কী ঘটেছিল? উত্তর : যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে মতিউরকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল। মতিউর যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তাঁকে বাধা দেন পাকিস্তানি সহবৈমানিক রশিদ মিনহাজ। নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে শূন্যে থাকা অবস্থাতেই তার সাথে মতিউরের ধস্তাধস্তি হয় এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাণ হারান মতিউর রহমান। ঘ) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান যে অসীম সাহসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন তার বর্ণনা দিই। উত্তর : বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছিলেন এক অকুতোভয় বীর। তাঁর নেতৃত্বে তিন প্লাটুন সৈন্য যায় ধলই সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করতে। তারা রাতের আঁধারে অত্যন্ত সাবধানে শত্রæদের বাঙ্কার নিশ্চিহ্ন করার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সে সময় মাইন বিস্ফোরণের ফলে তুমুল যুদ্ধ বেধে যায়। হামিদুরের কাছে ছিল একটা রাইফেল আর দুটি গ্রেনেড। নির্ভুল নিশানায় গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রæর আক্রমণকে স্তব্ধ করে দিলেন তিনি। ঙ) এক মহান বীরগাথার রচয়িতা তাঁরা – ব্যাখা করি। উত্তর : দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সিপাহি হামিদুর রহমান, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং মতিউর রহমান অসাধারণ বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের বীরত্বের কারণেই শত্রæরা পর্যুদস্ত হয়েছে। আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে তারা আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে গেছেন। তাই তাদের বলা যায় মহান বীরগাথার রচয়িতা। ৩. তারিখবাচক শব্দ শিখি। লেখাটিতে আছে ‘১৯৫২ সালের ২রা ফেব্রæয়ারি’- এখানে ব্যবহৃত ‘২রা’ শব্দটি হলো তারিখবাচক শব্দ। এরকম ১০ পর্যন্ত বলতে ও লিখতে হয় এইভাবে : ১লা (পহেলা) ৬ই (ছয়ই) ২রা (দোসরা) ৭ই (সাতই) ৩রা (তেসরা) ৮ই (আটই) ৪ঠা (চৌঠা) ৯ই (নয়ই) ৫ই (পাঁচই) ১০ই (দশই) ৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই। ক) বাংলাদেশের কোন নেতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ডাক দিয়েছিলেন? (১) মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান √ (৩) হোসেন শহীিদ সোহরাওয়ার্দী (৪) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক খ) বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে যুদ্ধ করেছিলেন? (১) মেশিনগান থেকে গুলি ছুঁড়েছিলেন (২) ট্যাংক নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন (৩) গ্রেনেড ছুঁড়েছিলেন √ (৪) বিমান থেকে আক্রমণ করছিলেন গ) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ কত জন? ১. ৩ জন ২. ৫ জন ৩. ৭ জন √ ৪. ৯ জন ঘ) মতিউর রহমানের বিমানটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছিল? (১) ভারতের শ্রীনগরে (২) পাকিস্তানের থাট্টায় √ (৩) বাংলাদেশের মেহেরপুরে (৪) ভারতের ত্রিপুরায় ঙ) শ্রীমঙ্গল থানার ধলই সীমান্ত ফাঁড়িটি দখলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কে? (১) হামিদুর রহমান √ (২) মতিউর রহমান (৩) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (৪) মোস্তফা কামাল ৫. বড়দের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা জানার চেষ্টা করি ও তা শুনে এসে বন্ধুদের কাছে বলি। উত্তর : বড়দের কাছে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জান এবং সে বিষয়ে বন্ধুদের সাথে নিজেরা বল। ৬. নিচের ছবিটি অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার ভাবনা লিখে জানাই। উত্তর : ছবিটি মুক্তিযুদ্ধে শত্রæকে পরাজিত করে ঘরে ফেরার কথা মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল তা ছবিটি দেখে বোঝা যায়। সকলের একসাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সহজ করেছিল। বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তার 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সাথে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের মিল কোথায়? জ ক জন্ম একই জেলায় খ দুজনেই পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসেন গ যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ হওয়ায় ঘ দুজনেই বৈমানিক ছিলেন ২) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে শহিদ হন? চ ক গুলির আঘাতে খ গ্রেনেড হামলায় গ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘ রাজাকারদের নির্যাতনে ৩) ১৯৭১ সালের ২৬-এ মার্চ থেকে কী শুরু হয়? ছ ক ভাষা আন্দোলন খ স্বাধীনতার সংগ্রাম গ বিমান হামলা ঘ গ্রেনেড হামলা ৪) ১৯৭১ সালে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল- চ ক গোটা বাংলাদেশ খ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা গ পশ্চিম পাকিস্তান ঘ গোটা ভারত ৫) মতিউর রহমানকে বলা যায়- ঝ ক মুক্তিযোদ্ধা খ বীরশ্রেষ্ঠ গ দেশপ্রেমিক ঘ সবগুলোই ৬) মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে কী নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চেয়েছিলেন? ঝ ক গোলাবারুদ খ ট্যাঙ্ক গ যুদ্ধজাহাজ ঘ যুদ্ধবিমান ৭) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান কোন তারিখে শহিদ হন? ছ ক ১৯৭১ সালে ২৬-এ মার্চ খ ১৯৭১ সালের ২০-এ আগস্ট গ ১৯৭১ সালের ২৮-এ অক্টোবর ঘ ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর ৮) টি-৩৩ কেন বিধ্বস্ত হয়েছিল? ঝ ক যান্ত্রিক ত্রæটি থাকায় খ আবহাওয়া খারাপ থাকায় গ শত্রæর বোমায় আক্রান্ত হওয়ায় ঘ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে ধস্তাধস্তি হওয়ায় ৯) থাট্টা কোথায় অবস্থিত? জ ক ভারতে খ বাংলাদেশে গ পাকিস্তানে ঘ নেপালে ১০) কত সালে মতিউর রহমানের দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়? ঝ ক ১৯৭১ সালে খ ১৯৭৬

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বীরশ্রেষ্ঠর বীরগাথা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আজকে আমার ছুটি চাই অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আজকে আমার ছুটি চাই অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

আজকে আমার ছুটি চাই অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। ক. চিঠি কয়েক রকম হতে পারে। যেমন-ব্যক্তিগত চিঠি, পারিবারিক চিঠি, নিমন্ত্রণ পত্র, ব্যবসায়িক চিঠি, দাপ্তরিক চিঠি, অনুরোধ পত্র বা আবেদন পত্র ইত্যাদি। খ. চিঠির মধ্যে সাধারণত কয়েকটি অংশ থাকে। যেমন- ১. যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সে জায়গার নাম, ঠিকানা ও তারিখ ২. সম্বোধন বা সম্ভাষণ ৩. মূল বক্তব্য (ভেতরে যে কথাগুলো থাকে) ৪. বিদায় সম্ভাষণ (পত্রের ইতি টানা) ৫. প্রেরকের (যে চিঠি পাঠাচ্ছে তার) নাম ও ঠিকানা ৬. প্রাপকের (যে চিঠি পাবে তার) নাম ও ঠিকানা গ. চিঠি চলিত ভাষাতেই লেখা উচিত। ২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) শাহীন কেন চিঠি লিখেছিল? উত্তর : শাহীনের ছোট বোনটির অসুখ করেছিল। তার বাবাও বাড়িতে ছিলেন না। এ কারণে শাহীনের পক্ষে স্কুলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই স্কুল থেকে এক দিনের ছুটির জন্য আবেদন জানিয়ে সে চিঠি লিখেছিল। খ) শাহীন কাকে কাকে চিঠি লিখেছিল? উত্তর : শাহীন দুইজনের কাছে চিঠি লিখেছিল। একজন হলেন শাহীনের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব লতিফ আহমদ খন্দকার, আরেকজন হলো শাহীনের ক্লাসের বন্ধু শেখরচন্দ্র সরকার। গ) বন্ধু শেখরকে কেন শাহীন চিঠি লিখেছিল? উত্তর : প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটি চেয়ে লেখা চিঠিটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বন্ধুকে চিঠি লিখেছিল শাহীন। তার সাথে সাথে ঐ দিনের ক্লাসের পড়া বুঝে ও লিখে রাখা এবং স্কুলের লাইব্রেরি থেকে খেলার বইটা মনে করে আনার কথাও চিঠিটির মাধ্যমে বন্ধুকে বলেছিল শাহীন। ঘ) চিঠি লেখার ফলে শাহীনের কী লাভ হয়েছিল? উত্তর : চিঠি লেখার ফলে শাহীনকে স্কুল থেকে এক দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তা ছাড়া স্কুলে যেতে না পারলেও ক্লাসের পড়া বুঝে নেওয়া, লাইব্রেরি থেকে বই আনা ইত্যাদি জরুরি কাজগুলো শাহীন চিঠি লেখার মাধ্যমে করতে পেরেছিল। ঙ) চিঠিতে সাধারণত কয়টি অংশ থাকে? উত্তর : চিঠিতে সাধারণত ৬টি অংশ থাকে। এগুলো হচ্ছে- (১) যেখান থেকে চিঠিটি লেখা হচ্ছে সে-জায়গার নাম, ঠিকানা ও তারিখ। (২) সম্বোধন বা সম্ভাষণ। (৩) মূল বক্তব্য। (৪) বিদায় সম্ভাষণ। (৫) প্রেরকের নাম ও ঠিকানা। (৬) প্রাপকের নাম ও ঠিকানা। ৩. শূন্যস্থান পূরণ করি। চিঠির প্রথম অংশ —-। দ্বিতীয় অংশ —-। তৃতীয় অংশ —-। চতুর্থ অংশ —-। পঞ্চম অংশ —-। ষষ্ঠ অংশ —-। উত্তর : চিঠির প্রথম অংশ : যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সে জায়গার নাম, ঠিকানা ও তারিখ। দ্বিতীয় অংশ : সম্বোধন বা সম্ভাষণ। তৃতীয় অংশ : মূল বক্তব্য। চতুর্থ অংশ : বিদায় সম্ভাষণ। পঞ্চম অংশ : প্রেরকের নাম ও ঠিকানা। ষষ্ঠ অংশ : প্রাপকের নাম ও ঠিকানা। ৪. পত্র লিখি। ক) দাদুর কাছে একটা ব্যক্তিগত পত্র লিখি। খ) পাশের স্কুলের সাথে অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলা দেখার জন্য চতুর্থ শ্রেণির পক্ষ থেকে ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটা আবেদন পত্র লিখি। উত্তর : ক) শান্তিনগর, ঢাকা ০৭/০৫/২০১৬ প্রিয় দাদু, কেমন আছ? আমি ভালো আছি। কিন্তু মনটা খুব খারাপ। আমাদের কালো বিড়ালটাকে দুদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছি না। তুমি কবে আসবে দাদু? কাল থেকে গরমের ছুটি শুরু। তুমি কিন্তু বলেছো এবারের ছুটিতে আমাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি চলে এসো। আমার জন্য অবশ্যই পিঠা আর রং পেনসিল আনবে। ইতি তোমার আদরের সুমি খ) বরাবর প্রধান শিক্ষক আদর্শ বিদ্যানিকেতন। শ্রদ্ধেয় স্যার, সালাম নেবেন। আগামীকাল আমাদের পাশের স্কুল রূপসা মডেল একাডেমির সাথে আমাদের স্কুলের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সবাই খেলাটি দেখতে চাই। এ কারণে আমাদের প্রথম ক্লাসের পর থেকে ছুটি প্রয়োজন। দয়া করে আগামীকাল প্রথম ক্লাসের পর ছুটি ঘোষণা করে খেলাটি দেখার সুযোগ দিলে আমরা আনন্দিত হব। ইতি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে শ্যামনগর কবির হাসান ০৯-০২-২০১৬ রোল নং-০১ ৫. লিখল, দেবে, করছে, দেখবে, আসব, পারছি, লিখব, করলেন, জানতে- এগুলো সবই চলিত ভাষার ক্রিয়াপদ, যার দ্বারা কোনো কাজ করা বোঝায়। আজকে আমার ছুটি চাই অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। ছুটি, লাইব্রেরি, অসুখ, সমস্যা, জরুরি। উত্তর : শব্দ বাক্য ছুটি – গ্রীষ্মের ছুটিতে দাদুবাড়ি যাব। লাইব্রেরি – সাব্বির লাইব্রেরিতে বসে পড়ছে। অসুখ – অসুখ হলে অবহেলা করতে নেই। সমস্যা – সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। জরুরি – আমার একটি পেনসিল কেনা জরুরি। 🟥 ডান পাশ থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) শাহীন — স্কুলে যায়। ছুটি খ) শাহীনের — স্যারকে পৌঁছে দেবে শেখর। অভ্যাস গ) দয়া করে আজকে আমাকে — দেবেন। নিয়মিত ঘ) চিঠি লেখার — করতে হয়। চিঠিটা বইটা উত্তর : ক) নিয়মিত; খ) চিঠিটা; গ) ছুটি; ঘ) অভ্যাস। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। স্থ, ক্ল, ব্র, ক্র, ষ্ঠ। উত্তর : স্থ = স + থ – অস্থির – গরমে খুব অস্থির লাগছে। ক্ল = ক + ল – ক্লান্ত – কাজটি করে ক্লান্ত লাগছে। ব্র = ব + র-ফলা ( ্র ) – ব্রিজ – গাড়ি ব্রিজের উপর উঠেছে। ক্র = ক + র-ফলা ( ্র ) – আক্রমণ – ডাকাতরা বাড়িতে আক্রমণ করল। ষ্ঠ = ষ + ঠ – ষষ্ঠ – ভাইয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। নীয়মিত, লাইব্রেরী, সন্দ্যা, সমশ্যা, অব্যাস। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান নীয়মিত – নিয়মিত লাইব্রেরী – লাইব্রেরি সন্দ্যা – সন্ধ্যা সমশ্যা – সমস্যা অব্যাস – অভ্যাস 🟥 নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। বোন, স্কুল, সন্ধ্যা, বন্ধু, অসুখ, বাবা। উত্তর : মূল শব্দ সমার্থক শব্দ মূল শব্দ সমার্থক শব্দ বোন – আপা, ভগ্নি। বন্ধু – মিত্র, বান্ধব। স্কুল – বিদ্যালয়, পাঠশালা। অসুখ – ব্যাধি, রোগ। সন্ধ্যা – সাঁঝ, সায়াহ্ন। বাবা – পিতা, জনক। 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) শাহীন কেমন ছেলে? উত্তর : শাহীন খুব ভালো ছেলে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সে বাবা-মাকে কাজে সাহায্য করে। ছোট বোনটাকেও স্নেহ করে। শাহীন নিয়মিত স্কুলে যায়। খ) শাহীন তার বন্ধুকে লাইব্রেরি থেকে কী নিতে বলল? উত্তর : শাহীন তার বন্ধুকে লাইব্রেরি থেকে খেলার বইটা নিতে বলল। গ) শাহীন খামের বাম পাশে কী লিখল? উত্তর : শাহীন খামের বাম পাশে প্রেরকের অর্থাৎ নিজের নাম-ঠিকানা লিখল। ঘ) চিঠি লেখার সময় কী কী জানতে হয়? উত্তর : চিঠি লেখার সময় কোন চিঠি কখন, কাকে ও কীভাবে লিখতে হয় ইত্যাদি বিষয় জানতে হয়।   চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আজকে আমার ছুটি চাই মডেল টেস্ট   নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। শাহীন নিয়মিত স্কুলে যায়। সেদিন স্কুলে যাওয়ায় সমস্যা হয়ে গেল। বাবা দূরে গেছেন কাজে। পরের দিন সন্ধ্যার আগে ফিরতে পারবেন না। এদিকে বোনটার অসুখ করল। এমন অবস্থায় শাহীন স্কুলে যায় কী করে? শাহীন দুটি চিঠি লিখল। একটা চিঠি তার ক্লাসের বন্ধু শেখরকে, অন্যটা তার ক্লাসের স্যারকে। শাহীনের

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা আজকে আমার ছুটি চাই অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া সানাউল হক অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. কথাগুলো জেনে নিই এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি। সোনার বাংলাদেশ, সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি, যতবার যায় মরা, নবীন যাত্রী, সবিশেষ মুজিবের, মুক্তিপাগল, সহস্র শহিদের। উত্তর: শব্দ অর্থ বাক্য সোনার বাংলাদেশ – প্রিয় মাতৃভ‚মি। বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। এ দেশকে নিয়ে আমরা গৌরব করি। এ দেশ প্রচুর সম্পদে ভরা। তাই এই বাংলাকে বলে সোনার বাংলা। – আমরা সোনার বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করব। সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি – বাংলার প্রকৃতি বিচিত্র ও সুন্দর। প্রকৃতির নানা রঙে যেন সাজানো এ দেশ। সবুজ শস্যে ভরা আমাদের এ মাঠ। পাটের সোনালি আঁশ আমাদের সম্পদ। – কখনও আমাদের প্রকৃতি ধারণ করে ফিরোজা রঙের আভা। আমাদের নদীতে আছে রুপালি ইলিশ। যতবার যায় মরা – বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে এ দেশের মানুষকে মরণ-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। বারবার সহ্য করতে হয়েছে দুঃখ, কষ্ট, অত্যাচার আর নিপীড়ন। তাই মৃত্যু যেন বারবার এসেছে। – স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষ যতবার যায় মরা ততবার মরতে পারে। নবীন যাত্রী – যারা নতুন যুগের শিশু। – আমরা নবীন যাত্রী, আমাদের সামনে অনেক স্বপ্ন। সবিশেষ মুজিবের – এ দেশ আমাদের সকলের। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। – এ দেশ সবিশেষ অর্থাৎ বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধু মুজিবের। মুক্তিপাগল – এ দেশের মুক্তির জন্য যাঁরা সংগ্রাম করেছেন। – স্বাধীনতার জন্য তাঁরা অধীর ছিলেন, তাই তাঁরা ছিলেন মুক্তিপাগল। সহস্র শহিদের – মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, সেইসব হাজার শহিদ। – শত-সহস্র শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ২. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি। ক) আমাদের দেশকে সোনার বাংলাদেশ বলি কেন? উত্তর : বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এদেশে জন্ম নিয়ে আমরা গর্বিত। একসময় এই দেশটি শস্যভরা মাঠ, মাছভরা নদী ইত্যাদি সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। তাই এই দেশকে সোনার বাংলাদেশ বলা হয়। খ) এ দেশের নানা রূপ কীভাবে দেখতে পাই? উত্তর : এই দেশের প্রকৃতির মধ্য দিয়ে আমরা এর নানা রূপ দেখতে পাই। প্রকৃতির নানা রঙে সাজানো বাংলাদেশ। সবুজ শস্যে আর গাছ-গাছালিতে এই দেশের মাঠ-প্রান্তর ভরা। পাটের সোনালি আঁশ আমাদের মূল্যবান সম্পদ। প্রকৃতিতে কখনো দেখা যায় ফিরোজা রঙের আভা। নদীতে আছে রুপালি বর্ণের ইলিশ। বছরের নানা ঋতুতে বাংলাদেশ পরে বিচিত্র রঙের সাজপোশাক। এভাবেই এই দেশকে আমরা নানা রঙে-রূপে সেজে উঠতে দেখি। গ) ‘আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা।’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই দেশের মানুষ মরণ-যন্ত্রণা সহ্য করেছে। বারবার তারা শোষণ, অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের আগে এই দেশের মানুষকে যে পরিমাণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তা দেখেই কবির মনে হয়েছে যে এই দেশের মানুষ বারবার মৃত্যুকে বরণ করেছে। ঘ) নবীন যাত্রী কারা? উত্তর : যারা এই নতুন যুগে জন্মগ্রহণ করেছে তাদের, অর্থাৎ নতুন দিনের শিশুদের কবি নবীন যাত্রী বলেছেন। ঙ) এ দেশ মুক্তিপাগলদের- সেই মুক্তিপাগল কারা? উত্তর : এ দেশের সাহসী সন্তানেরা দেশের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা অধীর ছিলেন। কবি তাঁদেরকেই মুক্তিপাগল বলেছেন। ৩. বিপরীত শব্দগুলো জেনে নিই ও লিখি। শেষ – শুরু মরা – বাঁচা নবীন – প্রবীণ মুক্তি – বন্দি ৪. শূন্যস্থানে সঠিক শব্দটি লিখি। ক) —- —- ফিরোজা রুপালি রূপের নেই তো —-। খ) — — তোমাকে শোনাই ছড়া। গ) এ দেশ —- এ দেশ —- সবিশেষ ——। উত্তর : ক) সবুজ, সোনালি, শেষ; খ) নবীন, যাত্রী; গ) আমার, তোমার, মুজিবের। ৫. কবিতাটি মুখস্থ বলি ও লিখি। উত্তর : কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে বল ও লেখ। ৬. আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখি। উত্তর : আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো – ক. বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভ‚মি। খ. বাংলাদেশের প্রকৃতি খুব সুন্দর। গ. বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। ঘ. বাংলাদেশ সম্পদে ভরপুর। ঙ. বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে আমরা গর্বিত। ৭. মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার এলাকায় যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের নাম সংগ্রহ করে একটি তালিকা তৈরি করি। উত্তর : প্রথমে তোমার এলাকার কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তির সাথে কথা বল এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ঠিকানা জান। এরপর তাঁদের সাথে দেখা করে এলাকার অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় জেনে নাও। এবার কাগজে তাঁদের নাম, ঠিকানা, যুদ্ধের স্থান ইত্যাদি লিখে একটি তালিকা তৈরি কর। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে শিক্ষক বা বড়দের সহায়তা নাও। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বলা হয়- ছ ক এই দেশে স্বর্ণের খনি আছে বলে খ এই দেশে অনেক সম্পদ ছিল বলে গ এই দেশের প্রকৃতিতে নানা রং দেখা যায় বলে ঘ এই দেশ স্বাধীন দেশ বলে ২। সোনালি রঙের আঁশ কী থেকে পাওয়া যায়? চ ক পাট খ ধান গ গম ঘ আখ ৩। এই দেশের মানুষ স্বাধীনতার আগে- জ ক আনন্দে দিন কাটাত খ সুখে ছিল গ অনেক দুঃখ, কষ্ট সহ্য করেছে ঘ অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হয়নি ৪। নবীন যাত্রী কারা? চ ক নতুন যুগের শিশু খ নতুন যুগের মানুষ গ নতুন ভাবনার মানুষ ঘ সাহসী যাত্রী যারা 🟥 নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। সবিশেষ, নবীন, সহস্র, মাতৃভ‚মি। উত্তর : শব্দ বাক্য সবিশেষ – সবাই প্রধান শিক্ষককে সবিশেষ ধন্যবাদ জানাল। নবীন – আমরা চতুর্থ শ্রেণির নবীন ছাত্র। সহস্র – বাবা পাঁচ সহস্র টাকা পকেটে রাখলেন। মাতৃভ‚মি – বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভ‚মি। 🟥 ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। নবীন যাত্রী ফিরোজা রুপালি রূপের নেই তো এদেশ তোমার এদেশ আমার তোমাকে শোনাই ছড়া সবুজ সোনালি শেষ উত্তর : নবীন যাত্রী – তোমাকে শোনাই ছড়া রূপের নেই তো – শেষ এদেশ আমার – এদেশ তোমার সবুজ সোনালি – ফিরোজা রুপালি 🟥 নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। রূপ, ফিরোজা, শোনাই, তোমার, ছড়া, সোনালি। উত্তর : মূল শব্দ পদ মূল শব্দ পদ রূপ – বিশেষ্য তোমার – সর্বনাম ফিরোজা – বিশেষণ ছড়া – বিশেষ্য শোনাই – ক্রিয়া সোনালি – বিশেষণ 🟥 নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) আমাদের নদীতে কী আছে? উত্তর : আমাদের নদীতে রুপালি রঙের ইলিশ মাছ আছে। খ) বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম লেখ। উত্তর : বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 🟥 নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। রূপালি, ফিরোযা, নবিন, মুক্তী, শবিশেষ। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান রূপালি – রুপালি ফিরোযা – ফিরোজা নবিন – নবীন মুক্তী – মুক্তি শবিশেষ – সবিশেষ 🟥 বুঝিয়ে লেখ এদেশ আমার এদেশ তোমার সবিশেষ মুজিবের উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি সানাউল হক রচিত ‘মুক্তির ছড়া’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে এদেশটা আমাদের সকলের হলেও বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এদিকটিই বোঝানো হয়েছে।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা মুক্তির ছড়া অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

Scroll to Top