চতুর্থ শ্রেণি

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর সহকারে নিচে দেওয়া হলো। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা মমতাজউদদীন আহমদ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। পথ-প্রান্তর, আবদার, উদারতা, মুগ্ধ, দরদ, করুণ, হতাশ, জেলা, চৌকাঠ। উত্তর : শব্দ অর্থ পথ-প্রান্তর – পথের পাশ, রাস্তার শেষ সীমা। আবদার – বায়না, অন্যায় দাবি। উদারতা – সরলতা। মুগ্ধ – আত্মহারা, বিভোর। দরদ – মমতা, টান। করুণ – কাতর, বেদনাপূর্ণ। হতাশ – আশাহীন, নিরাশ। জেলা – প্রশাসনিক এলাকা। চৌকাঠ – দরজার চারিদিকের কাঠের চারকোনা কাঠামো বা ফ্রেম। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। আবদার নিবিড় করুণ উদারতা হতাশ জেলা মুগ্ধ দরদ ক. বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ……. হওয়াই ভালো। খ. ছেলের …….. শুনে মা হতবাক হয়ে গেলেন। গ. ………. মানুষকে মহান করে। ঘ. নাটকটি দেখে আমি ……… হয়েছি। ঙ. ছোট বোনটির জন্য ভাইয়ের অনেক …….। চ. বাস দুর্ঘটনার …….. দৃশ্য দেখে চোখে জল এসেছে। ছ. সামান্য কারণেই ……… হওয়া ঠিক নয়। জ. আমাদের ………. সব দিক থেকে সমৃদ্ধ। উত্তর : ক. বন্ধুর সাথে সম্পর্ক নিবিড় হওয়াই ভালো। খ. ছেলের আবদার শুনে মা হতবাক হয়ে গেলেন। গ. উদারতা মানুষকে মহান করে। ঘ. নাটকটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ঙ. ছোট বোনটির জন্য ভাইয়ের অনেক দরদ। চ. বাস দুর্ঘটনার করুণ দৃশ্য দেখে চোখে জল এসেছে। ছ. সামান্য কারণেই হতাশ হওয়া ঠিক নয়। জ. আমাদের জেলা সব দিক থেকে সমৃদ্ধ। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) কোথায় এবং কত সালে খোকার জন্ম হয়? উত্তর : গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালে খোকার জন্ম হয়। খ) বন্ধুদের বাসায় এনে খোকা মায়ের কাছে কী আবদার করত? উত্তর : বন্ধুদের বাসায় এনে তাদেরকে খেতে দেওয়ার জন্য খোকা মায়ের কাছে আবদার করত। গ) বৃদ্ধ মহিলা কোথায় শীতে কাঁপছিল? খোকা তাকে কীভাবে সাহায্য করে? উত্তর : বৃদ্ধ মহিলা পথের ধারে এক গাছের নিচে বসে শীতে কাঁপছিল। খোকা নিজের গায়ের চাদরটি তাকে দিয়ে দেয়। ঘ) খোকা ভিজে ভিজে বাড়ি ফেরে কেন? উত্তর : খোকার এক গরিব বন্ধুর ছাতা ছিল না। খোকা বন্ধুকে নিজের ছাতাটি দিয়ে দেয়। যে কারণে সে নিজে ভিজে ভিজে বাড়ি ফেরে। ঙ) কে স্বাধীনতার ডাক দেন? উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। ৪. বাক্য গঠন করি। আদর, সোনালি, কপাল, চাদর, গরিব, আনন্দ, রাজনীতি, জনক। উত্তর : শব্দ বাক্য আদর – মা আমাকে অনেক আদর করেন। সোনালি – পাটকে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ বলা হয়। কপাল – শাকিল কপালে আঘাত পেয়েছে। চাদর – চাদরটি গায়ে দিয়ে বেশ আরাম পাচ্ছি। গরিব – গরিব ছেলেটি ঠিকমতো খেতে পায় না। আনন্দ – বনভোজনে গিয়ে খুব আনন্দ হলো। রাজনীতি – বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। জনক – আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই মানুষকে ভালোবাসতেন- এমন দুটি ঘটনার কথা খাতায় লিখি। উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই মানুষকে ভালোবাসতেন- এমন দুটি ঘটনার কথা নিচে উল্লেখ করা হলো : ক) গরিব এক বন্ধুকে তিনি নিজের ছাতাটি দিয়ে দেন এবং নিজে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরেন। খ) এক বৃদ্ধাকে শীতে কষ্ট পেতে দেখে বঙ্গবন্ধু নিজের গায়ের চাদরটি তাঁর গায়ে জড়িয়ে দেন। ৬. বিপরীত শব্দ বলি ও খাতায় লিখি। শব্দ বিপরীত শব্দ বন্ধু – আনন্দ – ভেজা – গরিব – নিচে – দুঃখ – স্বাধীনতা – উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ বন্ধু – শত্রæ আনন্দ – বেদনা ভেজা – শুকনো গরিব – ধনী নিচে – উপরে দুঃখ – সুখ স্বাধীনতা – পরাধীনতা ৭. আগের পাঠে আমরা বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ শিখেছি। এবার নিচের শব্দগুলো থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ চিহ্নিত করি এবং খাতায় লিখি। ঘর, সোনালি, স্কুল, ছাতা, বড়, চাদর, বাঁশি, গাছ, হতাশ, উদার, মুগ্ধ, চৌকাঠ, করুণ। উত্তর : বিশেষ্য ঘর, স্কুল, ছাতা, চাদর, বাঁশি, গাছ, চৌকাঠ। বিশেষণ সোনালি, বড়, হতাশ, উদার, মুগ্ধ, করুণ। ৮. কর্ম-অনুশীলন। খোকা গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, আমরা নিজেরা গরিব মানুষের জন্য কে কী করতে পারি তা লিখি। উত্তর : খোকার মতো আমরা- ক) ক্ষুধার্ত মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি। খ) শীতার্ত ও বন্যার্ত গরিব মানুষদের ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করতে পারি। গ) গরিব মানুষের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারি। ঘ) গরিব মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারি। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর 🟥 সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) বঙ্গবন্ধু কী বারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন? ছ ক মঙ্গলবারে খ বুধবারে গ বৃহস্পতিবারে ঘ শুক্রবারে ২) শেখ লুৎফর রহমান বঙ্গবন্ধুর কে ছিলেন? জ ক চাচা খ মামা গ বাবা ঘ দাদা ৩) খোকা বড় হয়ে কীভাবে স্কুলে যায়? চ ক পায়ে হেঁটে খ সাইকেলে চড়ে গ বাসে করে ঘ নৌকায় চড়ে ৪) খোকা দু চোখ মেলে দেখে- ছ ক গরিব মানুষের দুঃখ দুর্দশা খ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গ বর্ষার অঝোর বৃষ্টি ঘ মানুষের হাসিমাখা মুখ ৫) খোকা ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরল কেন? ঝ ক বাবা ছাতা কিনে না দেওয়ায় খ ছাতা চুরি হয়ে গিয়েছিল বলে গ বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগত বলে ঘ গরিব বন্ধুকে ছাতা দিয়ে দেওয়ায় ৬) অসহায় বৃদ্ধ মহিলাকে খোকা কীভাবে সাহায্য করেছিল? জ ক ছাতা দিয়ে খ খাবার দিয়ে গ চাদর দিয়ে ঘ জামা দিয়ে ৭) গোপালের বাঁশির সুর কিসে ভরা ছিল? চ ক বেদনায় খ আনন্দে গ হিংসায় ঘ সম্ভাবনায় ৮) ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কিসের ডাক দিয়েছিলেন? জ ক ভাষা আন্দোলনের খ অসহযোগ আন্দোলনের গ স্বাধীনতার ঘ হরতালের ৯) বর্ষাকালে স্কুলে যেতে বাব খোকাকে কী কিনে দেন? ছ ক জুতা খ ছাতা গ রেইন কোট ঘ সাইকেল ১০) শীতের সময় বাবা খোকাকে কী কিনে দেন? চ ক চাদর খ জ্যাকেট গ নতুন জামা ঘ কম্বল 🟥 নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। প্রান্তর, নিয়ত, নিশ্চুপ। উত্তর : শব্দ অর্থ প্রান্তর – জনবসতি নেই এমন বিস্তীর্ণ স্থান। নিয়ত – নিয়মিত। নিশ্চুপ – একেবারে চুপ। 🟥 ডান দিক থেকে সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় লিখি। ক) আদর করে  নাম রাখলেন খোকা। গরিব খ) মা হাসিমুখে ছেলের  পূরণ করেন। ছেলেটির গ) ভাবেন,  মানুষের জন্য  এত দরদ। দেশের কথা ঘ) বাংলার মানুষের কথা,  তাঁকে নিয়ত ভাবায়। আবদার ঙ) এই খোকা আমাদের । বঙ্গবন্ধু শিশুর উত্তর : ক) শিশুর; খ) আবদার; গ) গরিব, ছেলেটির; ঘ) দেশের কথা; ঙ) বঙ্গবন্ধু। 🟥 নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। ন্দ, গ্ধ, ত্র, বৃ। উত্তর : ন্দ = ন + দ – সন্দেহ – অযথা কাউকে সন্দেহ করব

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলার খোকা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। দিগ্বিজয়, সেনাপতি, রাজত্ব, জয়ঢাক, চর, দূত, অগোচর, খাপ্পা, মন্ত্রণা, অণুবীক্ষণ, ফৌজ, অস্ত্র, সন্ধি, রথ-রথী, ঝুপঝাপ, রাজ্য, মুঠো। উত্তর : শব্দ অর্থ দিগ্বিজয় – চারদিকের নানান জায়গা জয় করা। সেনাপতি – সেনাদলের প্রধান, প্রধান সৈনিক। রাজত্ব – রাজার শাসন যেখানে চালু আছে। জয়ঢাক – জয়ী হওয়ার পর যে ঢাক (একধরনের বাদ্য) বাজানো হয়। চর – গোপন খবর সংগ্রহ করে দেন যিনি। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে এই চর নিয়োগ করা হয়। দূত – বার্তাবাহক। অগোচর – চোখের আড়ালে থাকা। খাপ্পা – রাগান্বিত হওয়া। মন্ত্রণা – পরামর্শ। অণুবীক্ষণ – চোখে দেখা যায় না এরকম জিনিস দেখার যন্ত্র। ফৌজ – সৈনিক। অস্ত্র – হাতিয়ার। সন্ধি – চুক্তি হওয়া, বন্ধুত্ব। রথ-রথী – রথে চড়ে যুদ্ধ করেন যিনি। ঝুপঝাপ – পতনের শব্দ। রাজ্য – রাষ্ট্র, যে দেশে পৃথক শাসন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে। মুঠো – মুষ্ঠি। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। ফাঁপরে অন্যত্র আন্দাজ দিগ্বিজয় রাজসিংহাসনে ক. সমস্ত ছোট রাজ্য জয় করে রাজা …… বসলেন। খ. রাজার খামখেয়ালিতে মন্ত্রী মহা …….. পড়লেন। গ. রাজা ……… করে এসেছেন। ঘ. শিকারের খোঁজে রাজা ………. যাচ্ছেন। ঙ. রাজ্য জয়ের আনন্দে চারিদিকে …….. বাজছে। চ. রাজা ……… করলেন ছোট রাজা পালিয়ে যেতে পারেন। উত্তর : ক. সমস্ত ছোট রাজ্য জয় করে রাজা রাজসিংহাসনে বসলেন। খ. রাজার খামখেয়ালিতে মন্ত্র মহা ফাঁপরে পড়লেন। গ. রাজা দিগ্বিজয় করে এসেছেন। ঘ. শিকারের খোঁজে রাজা অন্যত্র যাচ্ছেন। ঙ. রাজ্য জয়ের আনন্দে চারিদিকে জয়ঢাক বাজছে। চ. রাজা আন্দাজ করলেন ছোট রাজা পালিয়ে যেতে পারেন। ৩. যুক্তবর্ণগুলো দেখি ও যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি। মস্ত স্ত স ত আস্ত, গোস্ত বন্দুক ন্দ ন দ নিন্দুক, বিন্দু রাজ্য জ্য জ ্য (য-ফলা) জ্যাকেট, জ্যামিতি ক্রমে ক্র ক ্র (র-ফলা) চক্র, বক্র খাপ্পা প্প প প ধাপ্পা, বেখাপ্পা ৪. বাক্য রচনা করি। রাজ্য চর রথ মুঠো রাজসিংহাসন উত্তর : রাজ্য – রাজা পাশের রাজ্যে গিয়েছেন। চর – চরের কাছে গোপন খবর থাকে। রথ – সেনাপতি রথে চড়লেন। মুঠো – বাবু চকলেটটি মুঠোতে রেখেছে। রাজসিংহাসন – রাজা রাজসিংহাসনে বসলেন। ৫. বাম পাশের শব্দাংশের সাথে ডান পাশের ঠিক শব্দাংশ মিলিয়ে বাক্য পড়ি ও লিখি। বড় রাজা আর ছোট রাজা – সেখানে হাতি চলে না, ঘোড়া চলে না। ক্রমে ক্রমে মস্ত বড় এই পৃথিবী – ঢোল হয়ে উঠল। ছোট শহর এতটাই ছোট যে – বড় জিনিসকেই লক্ষ করে। বড় রাজার আঙুল ফুলে – বড় রাজা জয় করে ফেললেন। বড় বড় অস্ত্র – দিগ্বিজয় করতে চললেন। উত্তর : বড় রাজা আর ছোট রাজা দিগ্বিজয় করতে চললেন। ক্রমে ক্রমে মস্ত বড় এই পৃথিবী বড় রাজা জয় করে ফেললেন। ছোট শহর এতটাই ছোট যে সেখানে হাতি চলে না, ঘোড়া চলে না। বড় রাজার আঙুল ফুলে ঢোল হয়ে উঠল। বড় বড় অস্ত্র বড় জিনিসকেই লক্ষ করে। ৬. একই শব্দের ভিন্ন অর্থ শিখি ও বাক্য তৈরি করি। চর – দূত চর – নদীর চর চলা – পায়ে হাঁটা চলা – চালিত হওয়া উত্তর : চর – দূত – চর খবর নিয়ে এসেছে। চর – নদীর চর – চরে কাশফুল ফুটেছে। চলা – পায়ে হাঁটা – চলার সময় পায়ে ব্যথা পেলাম। চলা – চালিত হওয়া – শিক্ষকের কথা মেনে চলা উচিত। ৭. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) বড় রাজা কীভাবে রাজ্য জয় করতে বের হলেন? উত্তর : বড় রাজা মহাসমারোহে রাজ্য জয় করতে বের হলেন। সাথে নিলেন বড় বড় হাতি, ঘোড়া, কামান, বন্দুক। মস্ত জয়ঢাক পিটিয়ে, বড় বড় সেনাপতির সঙ্গে বড় বড় রাজ্য জয় করতে গেলেন তিনি। খ) বড় রাজা ছোট রাজার উপর রেগে গেলেন কেন? উত্তর : বড় রাজা যুদ্ধ করতে এসে ছোট রাজার কৌশলের কাছে ধরাশায়ী হলেন। তাই তিনি সন্ধির প্রস্তাব করলেন। বুদ্ধিমান ছোট রাজা কথার মাধ্যমেও বড় রাজাকে কুপোকাৎ করলেন। এ কারণে বড় রাজা ছোট রাজার উপর রেগে গেলেন। গ) বড় রাজা কেন ছোট রাজ্যকে জয় করতে পারলেন না? উত্তর : ছোট রাজার রাজ্য এতই ছোট যে তা খালি চোখে দেখা যায় না। ছোট রাজার ফৌজের কৌশলের সাথে বড় রাজার সৈন্যরা পেরে উঠল না। নিজেদের ছোড়া অস্ত্রে নিজেরাই আক্রান্ত হতে লাগল। এজন্য বড় রাজা ছোট রাজ্যটিকে জয় করতে পারলেন না। ঘ) বড় রাজা কেন সন্ধি করতে চাইলেন? উত্তর : বড় রাজা যুদ্ধ করতে গিয়ে ছোট রাজার বুদ্ধির কাছে নাস্তানাবুদ হলেন। রাজার বড় বড় মন্ত্রী, সেনাপতি সবাই ফাঁপরে পড়ে গেল। শেষমেশ উপায় খুঁজে না পেয়ে বড় রাজা সন্ধি করতে চাইলেন। ঙ) বড় রাজা আর ছোট রাজার মধ্যে তোমার কাকে বেশি পছন্দ? কেন? উত্তর : বড় রাজা আর ছোট রাজার মধ্যে আমার ছোট রাজাকেই বেশি পছন্দ। ছোট রাজা তাঁর ছোট রাজ্য নিয়েই সন্তুষ্ট। বড় রাজার মতো তিনি বিনা কারণে যুদ্ধ করতে চান না। তাঁর কথায় ও কাজে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। এসব কারণেই ছোট রাজাকে আমার বেশি ভালো লাগে। ৮. অল্প কথায় গল্পটা বলি। উত্তর : বড় রাজা আর ছোট রাজা। দুজনে বের হলেন দিগ্বিজয় করতে। বড় রাজা বড় বড় হাতি-ঘোড়া, কামান-বন্দুক আর সেনাপতিকে সাথে নিয়ে বড় বড় রাজ্য জয় করতে চললেন। অন্যদিকে ছোট রাজা চললেন সাধারণ মানুষের সাজে। ছোট ছোট খেলবার কামান-বন্দুক, হাতি-ঘোড়া তাঁর সম্বল। তিনি চললেন ছোট রাজ্য জয় করতে। বড় রাজা পৃথিবীর সব রাজ্য জয় করে ফেলেছেন। এমন সময় তার চোখ পড়ল ছোট রাজার জয় করা ছোট রাজ্যের উপর। সে রাজ্য এতই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। বড় রাজা আবার মস্ত সব হাতি-ঘোড়া, সৈন্য-সামন্ত নিয়ে ছুটলেন রাজ্যটি জয় করতে। কিন্তু ছোট রাজার ফৌজ এতই ক্ষুদ্র যে সেনাপতির পায়ের তলা দিয়ে তারা গলে পালায়। বড় রাজার তীর কামান কোনো কাজেই এলো না বরং সেগুলো তাদের উপরই ঝুপঝাপ এসে পড়তে লাগল। অবস্থা বেগতিক দেখে বড় রাজা সন্ধি করতে চাইলেন। কিন্তু ছোট রাজার কৌশলী কথায় বড় রাজা গেলেন রেগে। সন্ধির কথা ভুলে গিয়ে তিনি ছোট রাজা আর-তাঁর সমস্ত রাজ্যটাকে তুলে নিলেন হাতের মুঠোয়। কিন্তু ছোট রাজা, রাজপুরী, সমস্তই তাঁর হাত গলে বেরিয়ে গেল। আর মৌমাছির হুলের মতো কী যেন একটা বিঁধে বড় রাজার বুড়ো আঙুলটা ফুলে ঢোল হয়ে উঠল। ৯. কর্ম-অনুশীলন। ক. শক্তির চেয়ে বুদ্ধির জোর বেশি-বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকের সহায়তায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। উত্তর : প্রথমে শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে দুটি দলে ভাগ হয়ে নাও। এক পক্ষ ‘শক্তির চেয়ে বুদ্ধির জোর বেশি’ এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরবে। আরেক পক্ষ তাদের যুক্তি ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। শিক্ষক পুরো বিষয়টি পরিচালনা ও

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বড় রাজা ছোট রাজা অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. জেনে নিই। পালকির বেহারারা পালকি কাঁধে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান। চলার পথে পা মেলাতে তারা তালে তালে গান গাইছেন। এই গানের কথায় গ্রামবাংলার চলমান জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে। ২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। গগন, আদুল, পাটা, ভনভনিয়ে, কষে, হাটুরে, ধুঁকছে, অঙ্গ, স্তব্ধ, ধায়, শুষছে। উত্তর: শব্দ অর্থ গগন – আকাশ। আদুল – খালি গায়ে বা জামাকাপড় ছাড়া। পাটা – তক্তা। ভনভনিয়ে – ভনভন শব্দ করে। কষে – জোরে। হাটুরে – জিনিসপত্র বেচাকেনার জন্যে যে হাটে যায়। ধুঁকছে – হাঁপাচ্ছে। অঙ্গ – দেহ, শরীরের অংশ। স্তব্ধ – নীরব। ধায় – ছোটে। শুষছে – তরল পদার্থ টেনে নেওয়া। ৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। পাটার ময়রা আদুল হাটুরেরা গগনে দুধের চাঁছি পালকি ক. সকালে পূর্ব ………… সূর্য ওঠে। খ. শিশুরা বাড়ির উঠানে ………. গায়ে খেলা করছে। গ. …………. উপর বসে দোকানদার জিনিস বিক্রি করছেন। ঘ. …………. মনের আনন্দে মিষ্টি বানাচ্ছেন। ঙ. হাটের শেষে ………… বাড়ি ফিরছেন। চ. খোকা ………… খেতে ভালোবাসে। ছ. ………….. চড়ে বউ নাইওরে যান। উত্তর : ক. সকালে পূর্ব গগনে সূর্য ওঠে। খ. শিশুরা বাড়ির উঠানে আদুল গায়ে খেলা করছে। গ. পাটার উপর বসে দোকানদার জিনিস বিক্রি করছেন। ঘ. ময়রা মনের আনন্দে মিষ্টি বানাচ্ছেন। ঙ. হাটের শেষে হাটুরেরা বাড়ি ফিরছেন। চ. খোকা দুধের চাঁছি খেতে ভালোবাসে। ছ. পালকি চড়ে বউ নাইওরে যান। ৪. যুক্তবর্ণগুলো দেখি। যুক্তবর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো পড়ি ও লিখি। স্তব্ধ – স্ত স + ত ব্যস্ত, সস্তা ব্ধ ব + ধ লব্ধ, ক্ষুব্ধ + রৌদ্র – দ্র দ + ্র (র-ফলা) নিদ্রা, ভদ্র ক্লান্ত – ক্ল ক + ল ক্লাস, ক্লেশ ন্ত ন + ত শান্ত, পান্তা ৫. নিচের শব্দগুলো দেখি। এ ধরনের আরও কয়েকটি শব্দ লিখি। ক. শনশন খ. হনহন গ. পিলপিল ঘ. ……. ঙ. ……. চ. ……. উত্তর : ক. শনশন খ. হনহন গ. পিলপিল ঘ. ভনভন ঙ. ঝমঝম চ. খকখক ৬. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) দুপুরের রোদে পালকির বেহারাদের কী অবস্থা হয়েছে? উত্তর : দুপুরের তপ্ত রোদের মধ্য দিয়ে পালকির বেহারারা খালি গায়ে যাচ্ছে। তীব্র রোদ আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে তাদের অবস্থা বেশ খারাপ। মনে হচ্ছে তারা যেন ঢলে পড়ে যাবে। আরও যে কত দূর যেতে হবে! মনে মনে সে কথাই ভাবছে বেহারারা। খ) পাটায় বসে ময়রা কী করছেন? উত্তর : পাটায় বসে ময়রা চোখ বুঁজে ঝিমুচ্ছেন। গ) হাটুরে কোথায় যাচ্ছেন? উত্তর : হাটুরে হাট শেষে বাড়ি যাচ্ছেন। ঘ) কুকুরগুলো ধুঁকছে কেন? উত্তর : দুপুরের প্রচণ্ড রৌদ্রতাপে কুকুরগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা ধুঁকছে। ঙ) বেহারারা পালকিতে কী নিয়ে যাচ্ছেন? উত্তর : বেহারারা পালকিতে করে নতুন বউ নিয়ে যাচ্ছেন। ৭. বই দেখে ছন্দের তালে তালে কবিতাটি বারবার পড়ি। উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর। ৮. কবিতাটি না দেখে আবৃত্তি করি। উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজেরা চেষ্টা কর। ৯. কর্ম-অনুশীলন। “পালকির গান” কবিতার অনুকরণে আমি একটি ছড়া বা কবিতা লেখার চেষ্টা করি। উত্তর : শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে নিজে চেষ্টা কর। পালকির গান অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ সঠিক উত্তরটি লেখ। ১) কোথায় আগুন জ্বলে? জ ক আদুল গায়ে খ বাঁধের দিকে গ গগন তলে ঘ ভ‚মির পরে ২) বেহারাদের গায়ে- চ ক বেশ নেই খ রুক্ষ বেশ গ নতুন বেশ ঘ পরিষ্কার বেশ ৩) হাটুরে কখন বাড়ি ফেরে? জ ক সন্ধ্যায় খ সকালে গ দুপুরে ঘ রাতে ৪) কে লাফিয়ে চলে? জ ক পালকির বেহারা খ কুকুগুলো গ গঙ্গাফড়িং ঘ হাটুরে ⇒ নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। আগুন, বেহারা, পালকি, শুঁকছে, ক্লান্ত। উত্তর : শব্দ বাক্য আগুন – চুলায় আগুন জ্বলছে। বেহারা – বেহারারা হনহন করে হাঁটছে। পালকি – নতুন বউ পালকি চড়ে যায়। শুঁকছে – কুকুরটি মাটিতে কী যেন শুঁকছে। ক্লান্ত – বাবা ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরলেন। ⇒ ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে। স্তব্ধ গায়ে সূর্য ঢলে। আর দেরি কত শুঁকছে ধুলো। কুকুরগুলো আদুল গায়ে। বাঁধের দিকে আরও কত দূর। উত্তর : যাচ্ছে কারা – হনহনিয়ে। স্তব্ধ গায়ে – আদুল গায়ে। আর দেরি কত – আরও কত দূর। কুকুরগুলো – শুঁকছে ধুলো। বাঁধের দিকে – সূর্য ঢলে। ⇒ নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। শুশছে, শুকছে, সুর্য, গগণ, স্তদ্ধ। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান শুশছে – শুষছে শুকছে – শুঁকছে সুর্য – সূর্য গগণ – গগন স্তদ্ধ – স্তব্ধ ⇒ নিচের শব্দগুলোর কোনটি কোন পদ লেখ। চক্ষু, রুক্ষ, শুষছে, টলে, স্তব্ধ, ময়রা। উত্তর : মূল শব্দ পদ চক্ষু – বিশেষ্য রুক্ষ – বিশেষণ শুষছে – ক্রিয়া টলে – ক্রিয়া স্তব্ধ – বিশেষণ ময়রা – বিশেষ্য ⇒ বুঝিয়ে লেখ আর দেরি কত? আরও কত দূর? উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি ‘পালকির গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। পালকি কাঁধে নিয়ে বেহারা চলতে চলতে ক্লান্ত-এ দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে এখানে। বেহারারা পালকি কাঁধে মাইলের পর মাইল হেঁটে যায়। সারাদিন পালকি বহন করে তারা ক্লান্ত হয়ে যায়। তারা মনে মনে ভাবে, কখন গন্তব্যে পৌঁছবে। পালকির গান মডেল টেস্ট নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। ময়রা মুদি চক্ষু মুদি, পাটায় বসে ঢুলছে কষে। দুধের চাঁছি শুষছে মাছি, – উড়ছে কতক ভনভনিয়ে। আসছে কারা হনহনিয়ে? হাটের শেষে রুক্ষ বেশে ঠিক দুপুরে ধায় হাটুরে! ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) মাছি কী শুষছে? (ক) ছানার চাঁছি (খ) দুধের চাঁছি (গ) গুড়ের চাঁছি (ঘ) দইয়ের চাঁছি ২) ময়রা মুদির কী হয়েছে? (ক) বেজায় ঘুম পেয়েছে (খ) জামা নোংরা হয়ে গেছে (গ) শরীর ঘামে ভিজে গেছে (ঘ) অঙ্গ টলছে ৩) হাটুরে হাটে গিয়েছিল কেন? (ক) পালকি বহন করতে (খ) পাটায় বসে ঢুলতে (গ) জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে (ঘ) নতুন জামা কিনতে ৪) হাটুরে কখন বাড়ি ফিরে যায়? (ক) হাট শুরু হওয়ার সাথে সাথে (খ) হাট শেষ হওয়ার পর (গ) হাট চলার মাঝেই (ঘ) হাট শেষ হওয়ার আগেই ৫) কবিতাংশে প্রকাশিত হয়েছে  (ক) পালকির বেহারাদের জীবনযাত্রা (খ) গ্রামের হাটের বর্ণনা (গ) গ্রামের প্রকৃতির পরিচয় (ঘ) গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা উত্তর : ১) (খ) দুধের চাঁছি; ২) (ক) বেজায় ঘুম পেয়েছে; ৩) (গ) জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে; ৪) (খ) হাট শেষ হওয়ার পর; ৫) (ঘ) গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। ঢুলছে, চক্ষু মুদি, রুক্ষ, হনহনিয়ে, ময়রা। উত্তর : ঢুলছে – ঝিমুচ্ছে। চক্ষু মুদি – চোখ বন্ধ করে। রুক্ষ – অপরিচ্ছন্ন। হনহনিয়ে – দ্রæত বেগে। ময়রা –

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা পালকির গান অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের প্রকৃতি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের প্রকৃতি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের প্রকৃতি বাংলাদেশের প্রকৃতি ⇒ রচনাটির মূলভাব জেনে নিই ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুন নতুন রঙে আর রূপে। কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, কখনো বা কনকনে শীত। কখনো মন মাতে নীল আকাশের সৌন্দর্যে, কখনো আবার দখিনা বাতাসের মিষ্টি পরশে। সব মিলিয়ে সারা বছরই মোহনীয় আমাদের দেশের প্রকৃতি। ষড়ঋতুর কারণেই আমাদের দেশ এত সুন্দর ও বৈচিত্র্যময়। ⇒ বানানগুলো লক্ষ করি ইলশেগুঁড়ি, অগ্রহায়ণ, গ্রীষ্মকাল, জ্যৈষ্ঠ, শরৎকাল, রৌদ্র, অসহ্য, পৃথিবী, ঋতু, দখিন, উত্তুরে, মুষলধারে, আষাঢ়, শ্রাবণ। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি, অর্থ বলি এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করি। ইলশেগুঁড়ি, মুষলধারে, পেঁজাতুলো, ষড়ঋতু, বর্ষাকাল, অসহ্য, গ্রীষ্ম, তাপ, পাড়, বিচিত্র। উত্তর : শব্দ        অর্থ         বাক্য ইলশেগুঁড়ি — হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এ-ধরনের বৃষ্টিতে নদীতে জাল ফেলে জেলেরা ইলিশ মাছ অনেক বেশি পায়। এ কারণেই এমন বৃষ্টির নাম ইলশেগুঁড়ি। — সকাল থেকে ইলশেগুঁড়ি পড়ছে। মুষলধারে — খুব বড় বড় ফোঁটায় যখন বৃষ্টি পড়ে। এত বড় ফোঁটা যেন মুগুর পড়ছে মনে হয়। — মুষলধারে বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেলে। পেঁজাতুলো — ধুনে আঁশ বের করা তুলো। — পেঁজাতুলো দিয়ে বালিশ বানানো হয়। ষড়ঋতু — ছয়টি ঋতু : গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। — বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। বর্ষাকাল — বৃষ্টির কাল বা বৃষ্টির সময়। — বর্ষাকালে খুব বৃষ্টি হয়। অসহ্য — যা সহ্য করা বা সওয়া যায় না। — অসহ্য গরমে সবাই অস্থির। গ্রীষ্ম — গ্রীষ্মকাল, গরমের সময়। রোদ। সূর্যের ঝকঝকে আলো ও তাপ। — গ্রীষ্ম ঋতুতে আম পাকে। তাপ — উত্তাপ, গরম। — আর রোদের তাপ খুব বেশি। পাড় — কিনারা। — মাঝি নদীর পাড়ে বসে আছে। বিচিত্র — নানা বর্ণবিশিষ্ট, বিস্ময়কর। — বাংলাদেশে রয়েছে বিচিত্র ধরনের পাখি। ২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) বাংলাদেশে বৎসরে কয়টি ঋতু আসে-যায়? উত্তর : বাংলাদেশে বৎসরে ছয়টি ঋতু আসে-যায়। খ) বছরের বারো মাসের নাম বলি ও লিখি। উত্তর : বছরের বারো মাসের নামগুলো হলো : ১) বৈশাখ ২) জ্যৈষ্ঠ ৩) আষাঢ় ৪) শ্রাবণ ৫) ভাদ্র ৬) আশ্বিন ৭) কার্তিক ৮) অগ্রহায়ণ ৯) পৌষ ১০) মাঘ ১১) ফাল্গুন ১২) চৈত্র গ) কোন কোন মাস নিয়ে কোন কোন ঋতু হয়? বলি এবং লিখি। উত্তর : বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। প্রতি দুই মাসে এক একটি ঋতু। নিচে একটি তালিকায় মাসের নাম ও ঋতু উল্লেখ করা হলো- মাসের নাম ঋতু বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল আষাঢ় ও শ্রাবণ বর্ষাকাল ভাদ্র ও আশ্বিন শরৎকাল কার্তিক ও অগ্রহায়ণ হেমন্তকাল পৌষ ও মাঘ শীতকাল ফাল্গুন ও চৈত্র বসন্তকাল ঘ) আমার দেখা বর্ষা ও শীত ঋতুর তুলনা করি। উত্তর : বর্ষা ও শীত ঋতুর মধ্যে আমি যে মিল ও অমিলগুলো খুঁজে পাই, তা নিচের ছকে দেওয়া হলো- মিল : বর্ষা ঋতু        শীত ঋতু (১) এ সময় মাঝে মাঝে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায় না। (১) ঘন কুয়াশার কারণে এ ঋতুতে অনেক বেলা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায় না। অমিল : বর্ষা ঋতু             শীত ঋতু (১) আকাশে নানা রঙের মেঘেরা ছোটাছুটি করে। (১) আকাশে মেঘেরা শান্ত অবস্থায় থাকে। (২) প্রচুর ঝড়-বৃষ্টি হয়। (২) বৃষ্টি প্রায় হয় না বললেই চলে। (৩) নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে থই থই করে। (৩) নদী-নালা, খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যায়। (৪) এ সময় মাঝে মাঝে খুব গরম আবার মাঝে মাঝে হালকা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। (৪) উত্তুরে হাওয়ার কারণে এ সময়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। ঙ) কোন ঋতু আমার বেশি পছন্দ? পছন্দের কারণ কী? লিখে জানাই। উত্তর : ছয়টি ঋতুর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় বসন্ত। পছন্দের কারণ : বসন্তকালে খুব সুন্দর ফুরফুরে দখিনা বাতাস বয়। এ বাতাসে শরীর আরাম পায়। মন-প্রাণ খুশিতে নেচে ওঠে। এ কারণেই এ ঋতুটি আমার খুব পছন্দের। ৩. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে খালি জায়গায় লিখি। ক) আমাদের দেশ………… দেশ। সোনালি ধানের খ) গ্রীষ্মকে বলা হয় …………..। উত্তুরে গ) বর্ষার ফোটে …….. নানা ফুল। ষড়ঋতুর ঘ) হেমন্ত ……………… ঋতু। কদম, কেয়া ও আরো ঙ) শীতকালে ………. হাওয়া বয়। মধুমাস উত্তর : ক) ষড়ঋতুর খ) মধুমাস গ) কদম, কেয়া ও আরো ঘ) সোনালি ধানের ঙ) উত্তুরে। ৪. ডান দিক থেকে শব্দ বেছে নিয়ে বাঁ দিকের শব্দের সঙ্গে মেলাই। যাওয়া- ফুরফুরে বাতাস খেজুরের- আসা বসন্তকাল -প্রচণ্ড গরম পিঠা -রস গ্রীষ্ম -পুলি উত্তর : যাওয়া আসা খেজুরের রস বসন্তকাল ফুরফুরে বাতাস পিঠা পুলি গ্রীষ্ম প্রচণ্ড গরম ৫. নিচের ছকের খালি ঘরে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঋতুর নাম লিখি। বৈশিষ্ট্য ঋতুর নাম আকাশ তখন কালো ঘন মেঘে ছেয়ে যায়। নদীর পাড় সাদা কাশফুলে ভরে যায়। রৌদ্রের অসহ্য তাপ এই ঋতুতে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় নানা পিঠাপুলি। এ সময়ে কৃষকের ঘর সোনালি ফসলে ভরে ওঠে। গাছে গাছে জেগে ওঠে নতুন সবুজ পাতা। উত্তর : বৈশিষ্ট্য ঋতুর           নাম আকাশ তখন কালো ঘন মেঘে ছেয়ে যায়। বর্ষাকাল নদীর পাড় সাদা কাশফুলে ভরে যায়। শরৎকাল রৌদ্রের অসহ্য তাপ গ্রীষ্মকাল এই ঋতুতে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় নানা পিঠাপুলি। শীতকাল এ সময়ে কৃষকের ঘর সোনালি ফসলে ভরে ওঠে। হেমন্তকাল গাছে গাছে জেগে ওঠে নতুন সবুজ পাতা। বসন্তকাল ৬. নিচের বাক্যটি পড়ি এবং বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ সম্পর্কে জেনে নিই। কোকিলের ডাক মিষ্টি। ব্যক্তি, বস্তু, সময় বা স্থানের নাম হলেই তা বিশেষ্য। উপরের বাক্যটিতে কোকিল হলো বিষেশ্য পদ। কিন্তু কোকিলের ডাক কেমন? মিষ্টি। এটি বিশেষণ পদ। যে শব্দ বিশেষ্য পদের কোনো গুণ বা চরিত্র প্রকাশ করে, সেটিই বিশেষণ। এখানে বিশেষণ পদ হচ্ছে মিষ্টি। এবার নিচের বাক্যগুলো পড়ি। বিশেষ্য পদগুলোকে গোল () চিহ্ন দিয়ে ও বিশেষণ পদগুলোর নিচে দাগ চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করি। ক. তখন হাড় কাঁপানো শীত। খ. আকাশ হয়ে ওঠে ঘন নীল। গ. ফুরফুরে সুন্দর বাতাস বয়। ঘ. কোকিলের ডাক বড়ই মিষ্টি। উত্তর : ক. তখন হাড় কাঁপানো শীত। খ. আকাশ হয়ে ওঠে ঘন নীল। গ. ফুরফুরে সুন্দর বাতাস বয়। ঘ. কোকিলের ডাক বড়ই মিষ্টি। ৭. কর্ম-অনুশীলন। আমার দেখা চারপাশের প্রকৃতি সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখি। উত্তর : আমার চারপাশের প্রকৃতি আমি যে গ্রামে থাকি সেখানকার প্রকৃতি অত্যন্ত। গ্রামটি সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি নদী। নানা ঋতুতে আমার চারপাশের প্রকৃতি নানা রকম রূপ ধারণ করে। গ্রীষ্মকালে আমের মুকুলের সুবাসে চারদিক মৌ-মৌ করে। বর্ষাকালে গ্রামের নদীটি ভরে ওঠে। শরৎকালে নদীতীরের কাশবনে বসে নীল আকাশের সাদা মেঘের খেলা দেখতে বড় ভালো লাগে। হেমন্তে পাকা ধানের মাঠগুলো দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। শীতকালে ফোটে গাঁদা আর শিউলি ফুল। বসন্তে সারা গ্রামে যেন নানা রঙের ছড়াছড়ি পড়ে যায়। দখিনা বাতাসে মন আনন্দে নেচে ওঠে। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর ⇒ সঠিক উত্তরটি লেখ।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বাংলাদেশের প্রকৃতি অনুশীলনী, অতিরিক্ত ও মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর Read More »

Scroll to Top