তৃতীয় শ্রেণি

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টটি শুধুমাত্র তৃতীয় শ্রেণীর জন্য। এই পোস্টের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তরের সাথে সাথে তৃতীয় শ্রেণীর অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং সেইসাথে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। ৩য় শ্রেণির বাংলা আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই কবিতাটিতে ভালো হয়ে চলার ইচ্ছা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা গুরুজনদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলব। সবার সাথে মিলেমিশে থাকব। পড়াশোনায় অবহেলা করব না। মিথ্যা বলা, লোভ করা, দায়িত্বে অবহেলা, ঝগড়া করা ইত্যাদি মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকব। তাহলেই আমরা ভালো মানুষ হয়ে উঠব।  বানানগুলো লক্ষ করি গুরুজন, সুখি, ফাঁকি, ঝগড়া, সাবধান, সৎ। আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। গুরুজন পাঠ হেলা আদেশ ফাঁকি কভু সামলিয়ে উত্তর : গুরুজন – সম্মানীয় ব্যক্তি। পাঠ – পড়া। হেলা – অবহেলা। আদেশ – হুকুম। ফাঁকি – কাজে অবহেলা। কভু – কখনো। সামলিয়ে – এড়িয়ে। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। কভু পাঠ হেলা আদেশ সামলিয়ে গুরুজন ফাঁকি উত্তর : ক) বড়দের আদেশ মেনে চলা উচিত। খ) আমরা পাঠ শেষ করে খেলতে যাই। গ) কাজে ফাঁকি দেওয়া উচিত নয়। ঘ) কভু মিথ্যা বলব না। ঙ) মা বাবা শিক্ষক আমাদের গুরুজন । চ) কাউকে হেলা করব না। ছ) লোভ সামলিয়ে যেন চলতে পারি। ৩. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) কবিতাটি থেকে আমরা কী শিখলাম? ১. সবাই যেন একসঙ্গে সুখে বাস করতে পারি। ২. সবাই মিলেমিশে সৎ জীবন কাটাতে পারি। ৩. সবাই যেন সবাইকে ভালোবাসতে পারি। ৪. সবাই সাবধানে সুখে জীবন কাটাতে পারি। উত্তর : ক) ২. সবাই মিলেমিশে সৎ জীবন কাটাতে পারি। ৪. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) সারাদিন আমি কীভাবে চলব? উত্তর : সারাদিন আমি ভালো হয়ে চলব। খ) কারা গুরুজন? উত্তর : বয়সে যাঁরা বড় ও সম্মানের যোগ্য তাঁরাই আমাদের গুরুজন। যেমন : মা-বাবা, বড় ভাই-বোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা। গ) পড়ার সময় আমি কী করব? উত্তর : পড়ার সময় আমি মন দিয়ে পড়ব। পড়ায় কোনো অবহেলা করব না। ঘ) কোন ধরনের কথা আমি বলব না? উত্তর : আমি কখনও মিথ্যা কথা বলব না। ঙ) কাদের আমরা ভালোবাসব? উত্তর : ভাই-বোনসহ সকলকে আমরা ভালোবাসব। চ) অন্যের দুঃখে আমরা কী করব? উত্তর : অন্যের দুঃখে আমরা সুখি হব না। অন্যের দুঃখে দুঃখী হয়ে তার দুঃখ দূর করতে চেষ্টা করব। ৫. ডান দিকের যে কথাটি বাম দিকের কথার সাথে মেলে তা পড়ি ও লিখি। আদেশ মেনে চলি গুরুজনদের/ভালো ছেলেদের ভালোবাসি ভালো ছেলেদের/সবাইকে কাজ করি মনে মনে/ভালো মনে পাঠের সময় করি খেলা/নাহি হেলা সামলে রাখি দুঃখ/লোভ উত্তর : আদেশ মেনে চলি  গুরুজনদের। ভালোবাসি  সবাইকে। কাজ করি  ভালো মনে। পাঠের সময়  নাহি হেলা। সামলে রাখি  লোভ। ৬. গুরুজন সম্পর্কে জানি এবং তাঁদের সম্পর্কে একটি করে বাক্য লিখি। উত্তর : বাবা মা বাবা-মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। দাদা দাদি দাদা-দাদির জন্য আমরা দোয়া করব। নানা নানি নানা-নানির অনেক বয়স হয়েছে। চাচা চাচি চাচা-চাচি আমাদের সাথেই থাকেন। মামা মামি মামা-মামি ঈদে আমাদের বাড়ি আসবেন। শিক্ষক শিক্ষক আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। ৭. নিচের বাক্যগুলোর কাজ বোঝানো শব্দগুলো লিখি এবং তা দিয়ে বাক্য তৈরি করি। উত্তর : আমি সকালে ঘুম থেকে উঠি। ওঠা সকালে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কথাটা মনে মনে বললাম। বলা সবার সত্য কথা বলা উচিত। ভালো হয়ে চলি চলা সাবধানে পথ চলা উচিত। ভালো মনে কাজ করি করা পাঠে হেলা করা উচিত নয়। সকলেরে যেন ভালোবাসি ভালোবাসা ভাই-বোনদের ভালোবাসা দিতে হবে। একসাথে থাকি থাকা সময়মতো ক্লাসে হাজির থাকা চাই। কারো দুঃখে সুখি যেন না হই হওয়া বড় মানুষ হওয়া কঠিন কাজ। ৮. কবিতাটি মুখস্থ বলি ও লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ কর। এবার না দেখে কবিতাটি বল এবং লেখ। ৯. আমার ইচ্ছে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখি। উত্তর : আমার ইচ্ছে সম্পর্কে তিনটি বাক্য ১) আমার ইচ্ছে করে পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে। ২) আমি চাই সব শিশু যেন স্কুলে যেতে পারে । ৩) আমি বড় হয়ে ভালো মানুষ হব। আমার পণ অনুশীলনীর অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. সকালে উঠে খোকা মনে মনে কী ভাবে? ছ ক সারাদিন খেলাধুলা করবে খ সারাদিন ভালো হয়ে চলবে গ সারাদিন পড়াশোনা করবে ঘ সারাদিন ঘুমাবে ২. অন্যের কী দেখে সুখি হওয়া ঠিক নয়? জ ক আনন্দ খ সুখ গ দুঃখ ঘ সাফল্য ৩. কাদের আদেশ ভালো মনে পালন করতে হবে? চ ক গুরুজনদের খ আত্মীয়দের গ ভাই-বোনদের ঘ বন্ধুদের  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। গুরুজন, ফাঁকি, হেলা, সাবধান। উত্তর : শব্দ বাক্য গুরুজন  সবসময় গুরুজনের আদেশ মেনে চলব। ফাঁকি  পড়াশোনায় ফাঁকি দিলে উন্নতি হবে না। হেলা  কোনো কাজে হেলা করব না। সাবধান  রাস্তা পারাপারে সাবধান থাকতে হয়।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। খেলা করি মিছে কথা কভু না বলি মিলেমিশে একসাথে থাকি ভালো ছেলেদের সাথে পাঠের সময় উত্তর : খেলা করি  ভালো ছেলেদের সাথে। কভু না বলি  মিছে কথা। একসাথে থাকি  মিলেমিশে।  নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। গুরূজন, শাবধান, ফাকি, জগড়া। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান গুরূজন  গুরুজন শাবধান  সাবধান ফাকি  ফাঁকি জগড়া  ঝগড়া  নিচের কোনটি কোন পদ লেখ। সকাল, সুখী, ভালো, মুখ, খেলি। উত্তর : শব্দ পদ সকাল  বিশেষ্য সুখী  বিশেষণ ভালো  বিশেষণ মুখ  বিশেষ্য খেলি  ক্রিয়া  নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) গুরুজনরা কোনো আদেশ করলে আমরা কী করব? উত্তর : গুরুজনরা আমাদের কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁরা কোনো আদেশ করলে আমরা ভালো মনে তা পালন করব। খ) আমরা কাদের সাথে খেলা করব? উত্তর : আমরা ভালো ছেলেদের সাথে মিলেমিশে খেলা করব। গ) মন্দ কাজ কোনগুলো? উত্তর : পাঠে অবহেলা করা, অন্যের দুঃখে সুখি হওয়া, মিথ্যা কথা বলা, লোভ করা, কাউকে কোনো কিছুতে ফাঁকি দেওয়া, ঝগড়া করা ইত্যাদি হলো মন্দ কাজ। আমরা এ কাজগুলো কখনও করব না।  বুঝিয়ে লেখ। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। উত্তর : আলোচ্য চরণ দুটি মদনমোহন তর্কালঙ্কার রচিত ‘আমার পণ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ভালো পথে চলার ইচ্ছা প্রকাশিত হয়েছে। ভালো পথে চললে, ভালো কাজ করলে সকলে ভালোবাসে। আর ভালো পথে চলার জন্য সকলকেই মনে মনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। কবি সেই পণই করেছেন। আমার পণ অনুশীলনীর আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। সকালে উঠিয়া আমি মনে

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা আমার পণ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এই পোষ্টের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর এর সাথে সাথে কিছু অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর দেয়া হলো সেই সাথে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলো। ৩য় শ্রেণির বাংলা একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর রচনাটির মূলভাব জেনে নিই বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মহান আত্মত্যাগের কথা বর্ণিত হয়েছে রচনাটিতে। পাকিস্তানি সেনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দখলে বাধা দিতে প্রস্তুত হন মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু হানাদার বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের অস্ত্রশস্ত্রও ছিল অনেক বেশি উন্নত। ফলে শত্রæদের আক্রমণের মুখে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক সিপাহি মোস্তফা কামাল সবাইকে পিছু হটে আত্মরক্ষার নির্দেশ দেন। আর নিজে অনবরত গুলি চালিয়ে শত্রæবাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন। শত্রæর গোলার আঘাতে শেষ পর্যন্ত তিনি শহিদ হন। নিজের জীবনের বিনিময়ে এভাবে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রক্ষা করেন তিনি। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আমাদের গর্ব।  বানানগুলো লক্ষ করি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাহিনী, সিপাহি, মুক্তিযোদ্ধা, ভাষণ, বঙ্গবন্ধু, জরুরি, সরবরাহ, আত্মরক্ষা, গোলাবর্ষণ, নির্বিঘেœ, আক্রমণ, তীব্র, মুহূর্ত, অস্ত্রশস্ত্র, আশ্রয়, সাথি, ঝাঁঝরা, ক্ষতবিক্ষত, গৌরব, বীরশ্রেষ্ঠ, ভ‚ষিত। একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলোর পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। অধিনায়ক পরিখা নির্বিঘেœ অকুতোভয় বীরশ্রেষ্ঠ সমাহিত উত্তর : অধিনায়ক – দলপতি, দলনেতা। পরিখা – শত্রæর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে মাটির মধ্যে তৈরি গর্ত। নির্বিঘেœ – নিরাপদে, বাধাহীনভাবে। অকুতোভয় – ভয় নেই এমন। বীরশ্রেষ্ঠ – মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের জন্যে দেওয়া বিশেষ উপাধি। সমাহিত – কবরে শায়িত। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। পরিখার বীরশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক অকুতোভয় সমাহিত নির্বিঘেœ উত্তর : ক) যাত্রীরা নির্বিঘেœ নদী পার হলো। খ) অধিনায়ক লড়াই চালিয়ে যেতে বললেন। গ) মোস্তফা কামাল একজন বীরশ্রেষ্ঠ । ঘ) সৈন্যরা পরিখার ভেতর থেকে গুলি ছুঁড়ছে। ঙ) মোস্তফা কামালকে দরুইনে সমাহিত করা হয়। চ) তিনি একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা। ৩. পাঠ অনুসরণ করে নিচের ঘটনার পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি। উত্তর : ক) পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া রেললাইন ধরে এগোয় Ñ ১৬ই এপ্রিল । খ) দরুইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর গোলাবর্ষণ হয় Ñ ১৭ই এপ্রিল। গ) মোস্তফা কামাল শহিদ হলেনÑ ১৮ই এপ্রিল। ৪. আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশে তারিখবাচক শব্দ লিখি। উত্তর : ক) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রæয়ারি। খ) স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ। গ) বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর। ৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) মোস্তফা কামাল সমাহিত আছেনÑ ১. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২. দরুইন ৩. আখাউড়া ৪. কুমিল্লা খ) এই যুদ্ধে কত জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন? ১. আট জন ২. নয় জন ৩. দশ জন ৪. এগারো জন গ) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এগিয়ে আসছিলÑ ১. ঢাকার দিকে ২. দরুইনের দিকে ৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে ৪. কুমিল্লার দিকে ঘ) ১৮ই এপ্রিল কয়টার সময়ে প্রচÐ বৃষ্টি হলো? ১. সকাল ৯টায় ২. সকাল ১১টায় ৩. দুপুর ১টায় ৪. দুপুর ২টায় উত্তর : ক) ২. দরুইন; খ) ৩. দশ জন; গ) ৩. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে; ঘ) ২. সকাল ১১টায়। ৬. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি। ক) কারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল? উত্তর : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল। খ) মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় অবস্থান নিয়েছিল? উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা দরুইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিল। গ) মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কোন দুটি পথ খোলা ছিল? উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে মাত্র দুটি পথই খোলা ছিল। হয় সামনাসামনি যুদ্ধ। না হয় পিছু হটে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া। ঘ) সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল কী সিদ্ধান্ত নিলেন? উত্তর : সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিলেন। একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে দুশমনদের ঠেকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ঙ) একাই একটি দুর্গ কাকে বোঝানো হয়েছে? কেন? উত্তর : ‘একাই একটি দুর্গ’ বলতে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে বোঝানো হয়েছে। সঙ্গীদের জীবন রক্ষা করতে একাই অবিরাম গুলি চালিয়ে পাক বাহিনীকে ঠেকিয়ে রাখেন তিনি। তাঁর গুলির তোড়ে শত্রæরা এগোতে পারল না। তিনি যেন একাই মুক্তিবাহিনীর একটি দুর্গ হয়ে উঠেছিলেন। ৭. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। জীবন মৃত্যু শত্রæ মিত্র কম অনেক হালকা ভারি বন্ধ খোলা উত্তর : ক) আমাদের দেশে অনেক নদী আছে। খ) মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই জীবন দিয়েছিলেন। গ) পাকিস্তানি সেনাদের সাথে ছিল ভারি অস্ত্রশস্ত্র। ঘ) শত্রæ বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করল। ঙ) শুক্রবারে আমাদের স্কুল বন্ধ থাকে। ৮. বাক্যগুলো পড়ি। হাঁ বোঝানো এবং না বোঝানো বাক্য সম্পর্কে জেনে নিই। ওদের মোকাবেলা করা যাবে। ওদের মোকাবেলা করা যাবে না। হাঁ বোঝানো না বোঝানো এবার নিচের বাক্যগুলোকে হাঁ বোঝানো/না বোঝানো বাক্যে পরিবর্তন করি। সকালে গোলাবর্ষণ শুরু হলো। উত্তর : সকালে গোলাবর্ষণ শুরু হলো না। [না বোঝানো] শত্রæরা এগুতে পারল না। উত্তর : শত্রæরা এগুতে পারল। [হাঁ বোঝানো] মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে। উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটবে না। [না বোঝানো] একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. সিপাহি মোস্তফা কামাল কোন মাসে শহিদ হন? ঝ ক জানুয়ারি খ ফেব্রæয়ারি গ মার্চ ঘ এপ্রিল ২. দরুইন গ্রামটি কোন জেলায় অবস্থিত? ছ ক ঢাকা খ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ নোয়াখালী ঘ ময়মনসিংহ ৩. ১৯৭১ সালে মোস্তফা কামালের বয়স কত ছিল? জ ক ২২ বছর খ ২৩ বছর গ ২৪ বছর ঘ ২৫ বছর ৪. ১৬ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল কোন খবর পেলেন? ছ ক বঙ্গবন্ধুর ভাষণের খ পাকিস্তানি বাহিনী আসার গ তুমুল গোলাবর্ষণের ঘ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর ৫. কত তারিখ থেকে পাকিস্তানিরা গোলাবর্ষণ করা শুরু করল? ছ ক ১৬ই এপ্রিল খ ১৭ই এপ্রিল গ ১৮ই এপ্রিল ঘ ১৯শে এপ্রিল ৬. মোস্তফা কামাল কিসের জন্য খবর পাঠালেন? ঝ ক খাবার সরবরাহের জন্য খ গোলা বারুদের জন্য গ হেলিকপ্টারের জন্য ঘ সেনা সহায়তার জন্য ৭. মুক্তিযোদ্ধারা গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে কী করলেন? জ ক পিছু হটলেন খ পাল্টা গোলাবর্ষণ করলেন গ পরিখার ভেতর থাকলেন ঘ পানিতে ডুব দিলেন ৮. মোস্তফা কামাল সেনাবাহিনীর কোন পদে ছিলেন? জ ক হাবিলদার খ সুবেদার গ সিপাহি ঘ মেজর ৯. মোস্তফা কামাল কোন তারিখে শহিদ হন? ঝ ক ১৫ই এপ্রিল খ ১৬ই এপ্রিল গ ১৭ই এপ্রিল ঘ ১৮ই এপ্রিল  নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। সংগ্রাম, জরুরি, দুশমন, অবধারিত, অনবরত, ভ‚ষিত, সর্বোচ্চ। উত্তর : শব্দ অর্থ সংগ্রাম  যুদ্ধ। জরুরি  অত্যন্ত দরকারি। দুশমন  শত্রæ। অবধারিত  নিশ্চিত। অনবরত  কোনো রকম বিরতি ছাড়াই। ভ‚ষিত  সম্মানিত। সর্বোচ্চ  সবচেয়ে উঁচু।  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। লড়াই, সাহসী, আহত, গৌরব। উত্তর : শব্দ বাক্য লড়াই  মুক্তিযোদ্ধারা লড়াই করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। সাহসী  সাহসী মানুষেরাই উন্নতি করে। আহত  আহতদের সেবা করা উচিত। গৌরব  ভাষাশহিদেরা আমাদের গৌরব।  নিচের শব্দগুলোর যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন কর। মুক্তিযোদ্ধা, ধ্বংস, বন্ধ,

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা একাই একটি দুর্গ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সকলকে স্বাগতম আজকের পোষ্টে তৃতীয় শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় তালগাছ এর অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং সেইসাথে আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল। ৩য় শ্রেণির বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই তালগাছের মনের ইচ্ছা নিয়ে কবিমনের কল্পনার কথা বলা হয়েছে ‘তালগাছ’ কবিতায়। তালগাছকে দেখলে মনে হয় সে যেন এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। কবি ভাবেন তালগাছ বুঝি আকাশে উড়াল দিতে চায়। কিন্তু তার তো আর পাখির মতো ডানা নেই। তাই নিজের পাতাগুলোকেই ডানা হিসেবে ভেবে নেয় সে। বাতাস বইলে ডানাগুলো মেলে সে যেন আকাশে উড়ে বেড়ায়। বাতাস থেমে গেলে তালগাছের মনের ইচ্ছার পরিবর্তন হয়। তখন পৃথিবীর পরিচিত কোণটিকেই তার ভালো লাগে।  বানানগুলো লক্ষ করি উঁকি, ফুঁড়ে, ইচ্ছা, কাঁপা, ঝরঝর, পৃথিবী, কোণ। তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। সাধ থত্থর উত্তর : সাধ – ইচ্ছা। থত্থর – থর থর। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। থত্থর সাধ উত্তর : ক) দীপুর পাখির মতো ওড়ার সাধ হয়েছে। খ) শীলা শীতে থত্থর করে কাঁপছে। ৩. কথাগুলো বুঝে নিই। পত্তর – পাতা। ফেরে – ফিরে আসে। ফেরে তার মনটি – তার ইচ্ছে বদলে যায়। আরবার – আরেকবার। ৪. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ……….। খ) তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায় ………. ………. থেমে যায়। গ) যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার ভালো লাগে ………. ………. কোণটি। উত্তর : ক) তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে । খ) তারপরে হাওয়া যেই নেমে যায় পাতা কাঁপা থেমে যায়। গ) যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার ভালো লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি। ৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) তালগাছ মনে মনে কাকে মা বলে ভাবে? ১. মেঘকে ২. আকাশকে ৩. মাটিকে ৪. পৃথিবীকে খ) তালগাছের মনে কী ইচ্ছে জাগে? ১. সব গাছের চেয়ে উঁচু হবে ২. পাতায় ভর করে ভাসবে ৩. আকাশে উঁকি মেরে দেখবে ৪. কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যাবে গ) তালগাছের ইচ্ছে কখন বদলায়? ১. মায়ের কথা মনে হলে ২. দিন শেষ হলে ৩. বাতাস থেমে গেলে ৪. বেড়ানো শেষ হলে উত্তর : ক) ৩. মাটিকে; খ) ৪. কালো মেঘ ফুঁড়ে উড়ে যাবে; গ) ৩. বাতাস থেমে গেলে। ৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) তালগাছকে দেখে কী মনে হয়? উত্তর : তালগাছকে দেখে মনে হয় সে যেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেন অন্য সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি মারে সে। খ) ‘মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়’ কথাটির অর্থ কী? উত্তর : ‘মনে সাধ কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়’Ñ কথাটির অর্থ হলো আকাশের কালো মেঘ ভেদ করে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছা। তালগাছের মনে এই ইচ্ছাটি জাগে। গ) তালগাছ কীভাবে তার ইচ্ছেকে ছড়িয়ে দেয়? উত্তর : হাওয়া বইলে তালগাছের পাতা থরথর করে কাঁপে। তালগাছ মনে মনে ভাবে এই পাতাগুলোই বুঝি তার ডানা। সেই ডানায় ভর করেই আকাশে উড়ে বেড়াবার কথা ভাবে সে। এভাবেই তালগাছ তার গোল গোল পাতাতে নিজের ইচ্ছেকে ছড়িয়ে দেয়। ঘ) তালগাছ পাখা চায় কেন? উত্তর : তালগাছের মনে পাখির মতো পাখা মেলে আকাশের কালো মেঘ ফুঁড়ে একেবারে উড়ে যাওয়ার সাধ জাগে। এ জন্যই সে পাখা চায়। ৭. গাছের যতœ নেওয়া সম্পর্কে তিনটি বাক্য মুখে মুখে বলি ও লিখি। উত্তর : গাছের যতœ সম্পর্কে তিনটি বাক্য : ১) আমরা নিয়মিত গাছে পানি দেব। ২) গাছের চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করব। ৩) অকারণে গাছের পাতা, ফুল, ফল ছিঁড়ব না এবং ডাল ভাঙব না। ৮. নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য তৈরি করি। উত্তর : পৃথিবী পৃথিবী দেখতে কমলালেবুর মতো। সাধ খোকার পৃথিবীটা ঘুরে দেখার সাধ জাগে। মনে মনে আমি মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছি। ডানা পাখিরা ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। মাটি ভালো ফসলের জন্য দরকার উর্বর মাটি। ৯. ‘তালগাছ’ কবিতার প্রথম বারো লাইন মুখস্থ লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ ‘তালগাছ’ কবিতার প্রথম বারো লাইন মুখস্থ কর। এরপর খাতায় লেখ। ১০. কবিতাটি আবৃত্তি করি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে নাও। এরপর শিক্ষক বা সহপাঠীর সাহায্য নিয়ে আবৃত্তি কর। ১১. ছবি দেখি এবং ইচ্ছেমতো বাক্য লিখি। উত্তর : তালগাছ খোকার খুব প্রিয়। গাছগুলোকে দেখলেই মনে হয় ওরা যেন এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। আর থেকে থেকে আকাশে উঁকি মারছে। খোকার খুব ইচ্ছে হয় লম্বা তালগাছটার মাথায় চড়তে। ও ভাবে, ওর যদি পাখির মতো ডানা থাকত, তাহলে উড়ে গিয়ে বসত তালগাছের এক্কেবারে মগডালে। অত উঁচু থেকে নিচের সবকিছু দেখতে কেমন অন্য রকম লাগত, তা-ই কল্পনা করে খোকা। তালগাছ অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. তালগাছ কোথায় উঁকি মারে? ছ ক কালো মেঘে খ আকাশে গ গোল গোল পাতাতে ঘ বাতাসে ২. সারাদিন কী কাঁপে? ছ ক বাতাস খ পাতা গ মেঘ ঘ ডানা ৩. তালগাছ কিসে তার ইচ্ছা মেলে দেয়? ঝ ক মেঘে খ বাতাসে গ শিকড়ে ঘ পাতায়  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। পাখা, মন, হাওয়া, সারাদিন। উত্তর : শব্দ বাক্য পাখা  শালিকের পাখায় সাদা দাগ থাকে। মন  শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে। হাওয়া  ভোরের মিষ্টি হাওয়ায় মন জুড়িয়ে যায়। সারাদিন  আজ সারাদিন ঘরে থাকব।  উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর। কালো, আরবার, এক পায়ে, মাটি, মানা। ক) তালগাছ  দাঁড়িয়ে। খ)  মেঘ ফুঁড়ে যায়। গ) ভালো লাগে । ঘ) উড়ে যেতে  নেই। উত্তর : ক) এক পায়ে; খ) কালো; গ) আরবার; ঘ) মানা।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। যেন কোথা পৃথিবীর কোণটি কোথা পাবে উড়ে যায় ভালো লাগে আরবার যাবে ও উড়ে যেতে পাখা সে মানা নেই উত্তর : যেন কোথা  যাবে ও। কোথা পাবে  পাখা সে। ভালো লাগে আরবার  পৃথিবীর কোণটি। উড়ে যেতে  মানা নেই।  নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখ। হাওয়া, গাছ, পৃথিবী, মন, আকাশ, সাধ। উত্তর : শব্দ সমার্থক শব্দ হাওয়া  বাতাস, পবন। গাছ  বৃক্ষ, তরু। পৃথিবী  ধরণী, দুনিয়া। মন  অন্তর, হৃদয়। আকাশ  গগন, আসমান। সাধ  ইচ্ছা, আকাক্সক্ষা।  নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লেখ। ফুড়ে, পৃথিবি, ঝরজর, থত্থুর, ইছ্ছা। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান ফুড়ে  ফুঁড়ে পৃথিবি  পৃথিবী ঝরজর  ঝরঝর থত্থুর  থত্থর ইছ্ছা  ইচ্ছা  কোনটি কোন পদ লেখ। কাঁপে, পৃথিবী, ইচ্ছা, উড়ে যায়, সে। উত্তর : শব্দ পদ কাঁপে  ক্রিয়া পৃথিবী  বিশেষ্য ইচ্ছা  বিশেষ্য

তৃতীয় শ্রেণির বাংলা তালগাছ অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সবাইকে স্বাগতম আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কুঁজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। ৩য় শ্রেণি বাংলা কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর গল্পটির মূলভাব জেনে নিই আমাদের দেশে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত রয়েছে অনেক গল্প। কুঁজো বুড়ির গল্পটি তেমনই একটি। এ গল্পের কুঁজো বুড়ি নাতনির বাড়ি যাওয়ার সময় বাঘ আর শেয়ালের মুখোমুখি হয়। দুজনই বুড়িকে খেতে চাইলে বুড়ি কৌশলে নিজেকে রক্ষা করে। ফেরার পথে বুড়ির নাতনির বুদ্ধির কাছে হেরে যায় বাঘ। আর শেয়াল কুপোকাৎ হয় বুড়ির উপস্থিত বুদ্ধির জোরে। এভাবে বুদ্ধিমত্তার কারণে বুড়ির জীবন রক্ষা পেল।  বানানগুলো লক্ষ করি কুঁজো, মহাচিন্তা, ফাঁকি, চিৎকার, নিমেষে, নাস্তানাবুদ, মুশকিল, জোগাড়, দূর, এক্ষুনি, মহানন্দে। কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। কুঁজো খিদে মুশকিল এক্ষুনি তক্ষুনি নাস্তানাবুদ উত্তর : কুঁজো  যার পিঠ বাঁকা ও ফোলা। খিদে  ক্ষুধা। মুশকিল  অসুবিধা। এক্ষুনি  এখনি। একটুও দেরিতে নয়। তক্ষুনি  তখনই। নাস্তানাবুদ  নাজেহাল। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। নাস্তানাবুদ এক্ষুনি তক্ষুনি মুশকিল খিদে উত্তর : ক) ফুলির খুব খিদে পেয়েছে। খ) আমাকে এক্ষুনি যেতে হবে। গ) কাজটা করতে গেলে মুশকিল হবে। ঘ) তক্ষুনি কাজটা করে ফেললে ভালো হতো। ঙ) কুকুরগুলো শেয়ালটাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। আচ্ছা খাচ্ছে, ইচ্ছা ধাক্কা ছক্কা, এক্কা ৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) কুঁজো বুড়ি বাড়ি পাহারা দিতে কাদের বলল? ১. দারোয়ানদের ২. পাহারাদারদের ৩. কুকুর তিনটিকে ৪. নাতনিকে খ) বিপদ দেখে বুড়ি শেয়ালকে বলেছিলÑ “আগে নাতনির বাড়ি যাই। খেয়ে দেয়ে মোটা তাজা হয়ে আসি।” এ কথায় বুড়ির কিসের পরিচয় পাওয়া যায়? ১. বুদ্ধির ২. বোকামির ৩. রসিকতার ৪. রাগের গ) নিমেষেই ছুটে এলো বুড়ির কুকুর তিনটা। কেন? ১. শেয়ালের ডাক শুনে ২. গানের সুরে বুড়ির চিৎকার শুনে ৩. শেয়ালের গান শুনে ৪. মুরগির খোঁজ পেয়ে ঘ) নাতনি বুড়িকে লাউয়ের খোলে ঢুকিয়ে সঙ্গে কী কী খাবার দিল? ১. চিঁড়ে আর দই ২. চিঁড়ে আর গুড় ৩. গুড় আর মুড়ি ৪. গুড় আর খই উত্তর : ক) ৩. কুকুর তিনটিকে; খ) ১. বুদ্ধির; গ) ২. গানের সুরে বুড়ির চিৎকার শুনে; ঘ) ২. চিঁড়ে আর গুড়। ৫. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) বুড়ির কয়টি কুকুর ছিল? তাদের নাম কী কী? উত্তর : বুড়ির তিনটি কুকুর ছিল। তাদের নামÑ রঙ্গা, বঙ্গা ও ভুতো। খ) বুড়ি কোথায় যাচ্ছিল? উত্তর : বুড়ি তার নাতনির বাড়ি যাচ্ছিল। গ) কুকুর তিনটাকে সে কী বলে গেল? উত্তর : কুকুর তিনটাকে সে বলে গেল, ‘তোরা বাড়ি পাহারা দে। আমি নাতনিকে দেখে আসি।’ ঘ) বুড়ি শেয়ালকে কী বলল? উত্তর : বুড়ি শেয়ালকে বলল, ‘আমাকে এখন খেয়ো না। আমার গায়ে কি মাংস আছে? আগে নাতনির বাড়ি যাই, খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি। তখন বরং খেয়ো।’ ঙ) বুড়ি বাঘকে কী বলল? উত্তর : বুড়ি শেয়ালকে যে কথা বলেছিল বাঘকেও তা-ই বলল। সে বাঘকে বলল, ‘আমাকে এখন খেয়ো না। আমার গায়ে কি মাংস আছে? আগে নাতনির বাড়ি যাই। খেয়ে দেয়ে মোটাতাজা হয়ে আসি। তখন বরং খেয়ো।’ চ) নাতনির বাড়িতে গিয়ে বুড়ি মোটা হলো কীভাবে? উত্তর : নাতনির বাড়িতে কদিন মজার মজার খাবার খেয়ে বুড়ি মোটা হয়ে উঠল। ছ) নাতনি বুড়িকে কী রকম করে পাঠাল? উত্তর : নাতনি বুদ্ধি করে বুড়ির জন্য মস্ত এক লাউয়ের খোল জোগাড় করল। চিঁড়ে আর গুড় দিয়ে বুড়িকে তার ভিতরে ঢুকিয়ে দিল। তারপর খোলটিকে দিল জোরে এক ধাক্কা। খোল চলল গড়িয়ে গড়িয়ে। এভাবেই নাতনি বুড়িকে বাড়ি পাঠাল। জ) বাড়ি ফেরার পথে কার কার সঙ্গে বুড়ির দেখা হলো? উত্তর : বাড়ি ফেরার পথে বাঘ ও শেয়ালের সাথে বুড়ির দেখা হলো। ঝ) বুড়ি কীভাবে বাঁচল? উত্তর : বুড়ি বুদ্ধি করে গানের সুরে সুরে তার কুকুর তিনটাকে ডাকল। নিমেষেই কুকুর তিনটা ছুটে এসে শেয়ালকে ঘিরে ফেলল। কুকুরদের আক্রমণে শেয়াল কুপোকাৎ হলো। এভাবেই নিজের বুদ্ধির জোরে বুড়ি বেঁচে গেল। ৬. বাক্যগুলো পড়ি। বাক্যের শেষে দাড়ি এবং প্রশ্নচিহ্ন বসাই। উত্তর : ক) আমার গায়ে কি মাংস আছে খ) সে আজ বাড়ি যাবে গ) সে ফিরবে কীভাবে ঘ) ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী ঙ) ভেতরে কী আছে চ) আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি ছ) এবার যাবে কোথায় প্রশ্নচিহ্ন বাক্যে কিছু জানার ভাব বা জানার ইচ্ছে বোঝায়। এগুলোকে বলে প্রশ্নবাক্য। এ ধরনের বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন (?) বসে। ৭. কুঁজো বুড়ির গল্পটা মুখে মুখে বলি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে গল্পটা পড়ে নাও। এবার নিজে নিজে বলার চেষ্টা কর। ৮. গল্পটি দলে অভিনয় করি। [শিক্ষক সহায়তা করবেন] উত্তর : শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সহপাঠীরা মিলে অভিনয় করে দেখানোর চেষ্টা কর। ৯. পোষা প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য লিখি। উত্তর : পোষা প্রাণী সম্পর্কে তিনটি বাক্য : ১) আমরা বাড়িতে গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, কবুতর ইত্যাদি পশুপাখি পুষে থাকি। ২) পোষা প্রাণীদের সাথে মানুষের নিবিড় মমতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৩) পোষা প্রাণীরা নানাভাবে আমাদের উপকার করে। ১০. ছবি দেখে গল্প বলি ও লিখি। উত্তর : শুভ জীবজন্তুদের খুব ভালোবাসে। বাড়িতে সে দুটি খরগোশ পোষে। একটির নাম রেখেছে নিতু, আরেকটির মিতু। খরগোশ দুটিকে শুভ খুব আদর করে। ওদের ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি ইত্যাদি খেতে দেয়। খরগোশগুলোও তাকে খুব পছন্দ করে। নাম ধরে ডাকলেই সাড়া দেয়। ওরা সব সময় শুভর কাছে কাছে থাকে। কুজো বুড়ির গল্প অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. কুঁজো বুড়ির কয়টি কুকুর ছিল? ছ ক ২টি খ ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি ২. নাতনির বাড়ি যাওয়ার পথে কার সাথে বুড়ির প্রথম দেখা হলো? জ ক বাঘের সাথে খ নাতনির সাথে গ শেয়ালের সাথে ঘ ভুতোর সাথে ৩. বুড়ি নাতনির বাড়িতে গিয়েছিল কেন? চ ক নাতনিকে দেখে আসতে খ মজার খাবার খেতে গ নাতনিকে নিয়ে আসতে ঘ মনের সুখে গান গাইতে ৪. লাউয়ের খোলের ভিতর কে ছিল? চ ক কুঁজো বুড়ি খ বুড়ির নাতনি গ বাঘ ঘ শেয়াল ৫. লাউয়ের খোল দেখে বাঘ কী করল? জ ক গন্ধ শুঁকল খ ভেঙে ফেলল গ ধাক্কা দিল ঘ ভয়ে পালাল ৬. কোনটির মাধ্যমে বুড়ির বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়? ছ ক মোটাতাজা হওয়া খ গান করা গ ছড়া কাটা ঘ চিঁড়ে আর গুড় খাওয়া  নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। খানিক দূরে, ঢিবি, নিমেষে, মরমর, মহানন্দে। উত্তর : শব্দ অর্থ খানিক দূরে  সামান্য দূরে। ঢিবি  মাটির স্তূপ। নিমেষে  সাথে সাথে, মুহূর্তের মধ্যে। মরমর  মরে যাওয়ার মতো অবস্থা। মহানন্দে  অনেক আনন্দের সাথে।  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। পাহারা,

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা কুজো বুড়ির গল্প অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে এর অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আসার মত কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা দেখে নেবো। প্রিয় শিক্ষার্থীরা চলো তাহলে শুরু করা যাক। ৩য় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর রচনাটির মূলভাব জেনে নিই স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও কাজের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে রচনাটিতে। দিনটি উদ্যাপনের জন্য শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষটি সাজিয়ে তোলে। ছবি আঁকার শিক্ষক দুজন ছাত্রছাত্রীকে মূল দায়িত্বে রাখেন। তাদের নেতৃত্বে ছেলেমেয়েরা দুটি দলে ভাগ হয়ে যায়। কাগজের ফুল, পাতা, শিকল ইত্যাদির মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের চারপাশের দেয়াল সাজানো হয়। আর দেয়ালের মাঝখানে তৈরি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের একটি দৃশ্য। সবার প্রচেষ্টায় শ্রেণিকক্ষটি খুব সুন্দরভাবে সেজে ওঠে।  বানানগুলো লক্ষ করি বৃহস্পতিবার, শ্রেণিকক্ষ, পরামর্শ, আর্টবোর্ড, প্রতীক্ষা, যতœ, স্বাধীনতা, দৃশ্য, কারুকাজ, শিকল, পুরস্কার। স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। স্বাধীনতা পিরিয়ড অপেক্ষা আর্টবোর্ড রাংতা কারুকাজ সাঁটা রাইফেল যুদ্ধ মগডাল পুরস্কার উত্তর : স্বাধীনতা  বাধাহীনতা, মুক্তি। পিরিয়ড  বেঁধে দেওয়া সময়। অপেক্ষা  প্রতীক্ষা। সবুর। আর্টবোর্ড  ছবি আঁকার শক্ত কাগজ। রাংতা  ধাতুর খুব পাতলা পাত। কারুকাজ  সুন্দর কাজ। শিল্প। সাঁটা  লাগানো। যুক্ত করা। রাইফেল  বন্দুক। এক ধরনের হাতিয়ার। যুদ্ধ  লড়াই। মগডাল  গাছের সবচেয়ে উঁচু ডাল। পুরস্কার  বখশিশ। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। যুদ্ধ কারুকাজ স্বাধীনতা আর্টবোর্ডে অপেক্ষা পুরস্কার উত্তর : ক) গরমের ছুটির অপেক্ষা করছি। খ) ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। গ) ছবি এঁকে শাকিল পুরস্কার পেয়েছে। ঘ) আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছি। ঙ) শাড়িতে মা সুতার কারুকাজ করেছেন। চ) রাকিব আর্টবোর্ডে প্রজাপতি এঁকেছে। ৩. বাম পাশের দুটি শব্দ জোড়া দিয়ে একটি শব্দ তৈরি করি। উত্তর : ছাত্র ছাত্রী ছাত্রছাত্রী আপা মণি আপামণি দল নেতা দলনেতা আর্ট বোর্ড আর্টবোর্ড ফুল পাতা ফুলপাতা ৪. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট, স্পর্শ আর্টবোর্ড (ট-রেফ) শার্ট, চার্ট পুরস্কার তিরস্কার, ভাস্কর পরামর্শ (শ-রেফ) বর্শা, দর্শক ৫. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) সবাই বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় থাকে কেন? ১. কোনো ক্লাস থাকে না ২. তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায় ৩. শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয় ৪. বিদ্যালয় বন্ধ থাকে খ) আমাদের স্বাধীনতা দিবস কবে? ১. ২১শে ফেব্রæয়ারি ২. ২৫শে মার্চ ৩. ২৬শে মার্চ ৪. ১৬ই ডিসেম্বর গ) ছাত্রছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধের ছবিটি তৈরি করল কেন? ১. স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল ২. নিজেরা মুক্তিযোদ্ধা সাজতে চেয়েছিল ৩. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে ৪. সবাই মিলে আনন্দ করবে উত্তর : ক) ৩. শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয় বলে; খ) ৩. ২৬শে মার্চ; গ) ৩. মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বলে। ৬. বাম দিকের বাক্য খেয়াল করি। বাক্য দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে ডান দিকের শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝি ও বলি। উত্তর : ক) তোমাদের শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখা উচিত। আদেশ উপদেশ খ) রুনু ও আনিস, এদিকে এসো। আদেশ অনুরোধ গ) আমাকে একটু তুলে ধরো না ভাই। অনুরোধ আদেশ ঘ) কোথায় লাগাব পতাকাটা? প্রশ্ন অনুরোধ ঙ) খুব সুন্দর কাজ হয়েছে তোমাদের। উপদেশ প্রশংসা ৭. বাক্যগুলো পড়ি। বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ জেনে নিই। এটা কাগজ। এটা রঙিন কাগজ। ওটা শিকল। ওটা লম্বা শিকল। আর্টবোর্ড আনো। সাদা আর্টবোর্ড আনো। গাছের নিচে ঝোপ। গাছের নিচে সবুজ ঝোপ। এসব বাক্যে রঙিন, লম্বা, সাদা, সবুজ হচ্ছে বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ। এবার ঘরের ভিতরের বৈশিষ্ট্য বোঝানো শব্দ নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। সবুজ চমৎকার হলুদ নীল সাদা উত্তর : রুনু সাদা কাগজে একটা চমৎকার দৃশ্য আঁকল। সে তাতে সবুজ গাছ, হলুদ গাঁদা ফুল, নীল আকাশ আঁকল। ৮. শ্রেণিকক্ষ সাজানোর বিষয়টি নিজের ভাষায় বলি। উত্তর : বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রেণিকক্ষ সাজানোর জন্য শ্রেণিশিক্ষক আমাকে আর রানীকে দলনেতা নির্বাচন করলেন। আমরা দুটি দলে ভাগ হয়ে কে কী কাজ করব সে সম্পর্কে আলোচনা করে নিলাম। শিক্ষকের কাছ থেকে রঙিন কাগজ, আর্টবোর্ড, রাংতা, কাঁচি, আঠা, রং পেনসিলসহ সাজানোর নানা উপকরণ সংগ্রহ করলাম। রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল, পাখি, পাতা, জাতীয় পতাকা ইত্যাদি নানা রকম নকশা তৈরি করলাম আমরা। সেগুলোকে রং করলাম এরপর রাংতার ফিতে দিয়ে সেগুলোতে কারুকাজ করে আঠা দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে দিলাম। আর্টবোর্ড ও রঙিন কাগজ ব্যবহার করে দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের একটি চিত্র ফুটিয়ে তুললাম আমরা। এভাবে সবাই মিলে শ্রেণিকক্ষটিকে সুন্দর করে সাজালাম। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  সঠিক উত্তরটি লেখ। ১. কোন দিন শেষের দুই পিরিয়ডে অন্য রকমের কাজ হয়? ক সোমবার খ মঙ্গলবার গ বুধবার ঘ বৃহস্পতিবার ২. রূপা আপা পরামর্শের জন্য রুনু ও আনিসকে কতক্ষণ সময় দিলেন? ক দুই মিনিট খ পাঁচ মিনিট গ আট মিনিট ঘ দশ মিনিট ৩. রূপা আপা ছাত্রছাত্রীদের কী শেখান? ক নাচ খ আবৃত্তি গ ছবি আঁকা ঘ গান ৪. ছাত্রছাত্রীরা কিসের উপর মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যটি লাগাল? ক বø্যাকবোর্ডের উপর খ কাগজের উপর গ আর্টবোর্ডের উপর ঘ টেবিলের উপর ৫. ছাত্রছাত্রীদের কবে পুরস্কার দেওয়া হবে? ক বৃহস্পতিবার খ শুক্রবার গ শনিবার ঘ রবিবার  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। অপেক্ষা, পরামর্শ, দৃশ্য। উত্তর : শব্দ বাক্য অপেক্ষা  গরমকালে সবাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে। পরামর্শ  ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া অনুচিত। দৃশ্য  সিনেমাটির শেষ দৃশ্য চলছে।  নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত ভেঙে দেখাও এবং প্রতিটি যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে নতুন শব্দ গঠন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। দৃ, স্প, জ্ঞ, ন্য, স্ব। উত্তর : দৃ = দ + ঋ – কার ( ৃ )  দৃপ্ত  ছাত্ররা দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে গেল। স্প = স + প  পরস্পর  আমরা পরস্পরকে ভালোবাসব। জ্ঞ = জ + ঞ  অজ্ঞান  লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেল। ন্য = ন+য-ফলা ( ্য )  অন্য  বাবা ছাড়া ঘরে অন্য কেউ নেই। স্ব = স + ব – ফলা ( ^ )  স্বাদ  সামুদ্রিক মাছ নোনতা স্বাদের।  শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) হাসি আনন্দে ভরে থাকে পুরো । খ) সবাই আমরা বৃহস্পতিবারের  থাকি। গ) রূপা আপামণির হাতে একটি । ঘ)  ফিতা দিয়ে কারুকাজ করল। ঙ) প্রথমে সাদা আর্টবোর্ড  দিয়ে দেয়ালে লাগাল। চ) পুরো দৃশ্যটায় যেন  লেগে গেছে। ছ) চারদিকটা তখন  করে উঠল। উত্তর : ক) সময়টা; খ) অপেক্ষায়; গ) ডালা; ঘ) রাংতার; ঙ) আঠা; চ) যুদ্ধ; ছ) ঝলমল।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। অন্য রকম কাজ হয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে। শ্রেণিকক্ষ সাজাতে হবে রবিবার। কারুকাজ করতে লাগে হাততালি দিল।

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর পোস্টে সকলকে স্বাগতম । এখানে আপনারা অনুশীলনের প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথে অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর পেয়ে যাবেন। তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর কবিতাটির মূলভাব জেনে নিই তরুণদের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে। তারাই দেশের মূল প্রাণশক্তি। তারুণ্যের শক্তিতে তারা সব অন্ধকারের বাধা ডিঙিয়ে আলোকিত দিন আনবে। তাদের স্পর্শে সবকিছু সজীব হয়ে উঠবে। চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। ঊর্ধ্ব গগন মাদল নিম্নে উতলা ধরণী অরুণ প্রাতে উষা প্রভাত টুটাব তিমির বিন্ধ্যাচল নবীন সজীব শ্মশান উত্তর : ঊর্ধ্ব  উপরের দিক। গগন  আকাশ। মাদল  ঢোলের মতো বাদ্যযন্ত্র। নিম্নে  নিচে। উতলা  ব্যাকুল। অস্থির। ধরণী  পৃথিবী। অরুণ  সকালের সূর্য। প্রাতে  সকালে। উষা  ভোরবেলা। প্রভাত  সকাল। টুটাব  ভাঙব। দূর করব। তিমির  অন্ধকার। বিন্ধ্যাচল  বিন্ধ্যা পর্বত। নবীন  নতুন। সজীব  সতেজ। জীবন্ত। শ্মশান  মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। নবীনদের ধরণী প্রভাতে উতলা বিন্ধ্যাচল মাদল সজীব উত্তর : ক) তিনি প্রভাতে বই পড়েন। খ) সাঁওতালরা নাচের সময় মাদল বাজায়। গ) আমরা নবীনদের বরণ করি। ঘ) তরুণটি সব সময় সজীব । ঙ) ধরণী খুবই সুন্দর। চ) মা সন্তানের জন্য উতলা হয়েছেন। ছ) বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। ঊর্ধ্ব (ব-রেফ) নিম্নে বিন্ধ্যাচল (য-ফলা) অন্ধ, বন্ধ মহাশ্মশান ( ¥-ফলা) রশ্মি ৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) মাদল বাজে কোথায়? ১. ঊর্ধ্ব গগনে ২. ধরণীতলে ৩. উষার দুয়ারে ৪. মহাশ্মশানে খ) অরুণ প্রাতের দলে কারা আছে? ১. শিশুরা ২. কিশোরেরা ৩. তরুণেরা ৪. প্রবীণেরা উত্তর : ক) ১. ঊর্ধ্ব গগনে; খ) ৩. তরুণেরা। ৫. কথাগুলো বুঝে নিই এবং লিখি। ক) আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল। তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা সব সময় অন্ধকার দূর করতে চায়। তারা এজন্য সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে। খ) নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান মহাশ্মশানে প্রাণের আনন্দ নেই। কিন্তু তরুণেরা নতুনের গান গেয়ে মহাশ্মশানকেও সজীব করে তুলবে। ৬. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) সারি বেঁধে কারা চলেছে? উত্তর : তরুণেরা সারি বেঁধে চলেছে। খ) কারা তিমির দূর করবে? উত্তর : তরুণেরা তিমির দূর করবে। গ) বিন্ধ্যাচল কী? উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। ৭. আগের চরণটি বলি ও লিখি। ক)  নিম্নে উতলা ধরণীতল খ)  আমরা আনিব রাঙা প্রভাত গ)  সজীব করিব মহাশ্মশান উত্তর : ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণীতল খ) উষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত গ) নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান ৮. একই অর্থের শব্দ জেনে নিই। গগন – আকাশ, আসমান, নভ। ধরণী – পৃথিবী, অবনী, জগৎ। ৯. তালে তালে পা ফেলে আমরা কবিতাটি আবৃত্তি করি। উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর। ১০. কবিতাটি লিখি। উত্তর : পাঠ্য বই থেকে কবির নামসহ কবিতাটি মুখস্থ করে খাতায় লেখ। ১১. সবাই মিলে কবিতাটি সুর করে গাই। উত্তর : সহপাঠীরা একসঙ্গে মিলে চেষ্টা কর। অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। গগন, তরুণ, সজীব। উত্তর : শব্দ বাক্য গগন  রাতের বেলা গগনে চাঁদ দেখা যায়। তরুণ  তরুণেরা দেশের সম্পদ। সজীব  বর্ষাকালে গাছপালা সজীব হয়ে ওঠে।  শূন্যস্থান পূরণ কর। ক) ঊর্ধ্ব গগনে বাজে । খ) আমরা আনিব  প্রভাত। গ) আমরা টুটাব  রাত। ঘ)  করিব মহাশ্মশান। উত্তর : ক) মাদল; খ) রাঙা; গ) তিমির; ঘ) সজীব।  ডান পাশের বাক্যাংশের সাথে বাম পাশের বাক্যাংশের মিল কর। আমরা দানিব বাধার বিন্ধ্যাচল। অরুণ প্রাতের রাঙা প্রভাত। আমরা আনিব নতুন প্রাণ। তরুণ দল। উত্তর : আমরা দানিব  নতুন প্রাণ। অরুণ প্রাতের  তরুণ দল। আমরা আনিব  রাঙা প্রভাত।  নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখ। ঊর্ধ্ব, নবীন, সজীব, নতুন। উত্তর : শব্দ বিপরীত শব্দ ঊর্ধ্ব  নিম্ন নবীন  প্রবীণ সজীব  নির্জীব নতুন  পুরাতন  নিচের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ করে লেখ। ঊধ্ব, ধরনী, ঊশা, বিন্দ্যাচল, মহাশ্নশান। উত্তর : ভুল বানান শুদ্ধ বানান ঊধ্ব  ঊর্ধ্ব ধরনী  ধরণী ঊসা  উষা বিন্দ্যাচল  বিন্ধ্যাচল মহাশ্নশান  মহাশ্মশান  নিচের কোনটি কোন পদ লেখ। গগন, টুটাব, রাঙা, গান, সজীব। উত্তর : শব্দ পদ গগন  বিশেষ্য টুটাব  ক্রিয়া রাঙা  বিশেষণ গান  বিশেষ্য সজীব  বিশেষণ  নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) তরুণেরা কোথায় আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে? উত্তর : তরুণেরা উষার দুয়ারে আঘাত হেনে রাঙা প্রভাত আনবে। খ) কাদের বাহুতে নবীন বল? উত্তর : তরুণদের বাহুতে নবীন বল। প্রাথমিক সমাপনী নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর নিচের কবিতাংশটি পড়ে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ। উষার দুয়ারে হানি আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত আমরা টুটাব তিমির রাত, বাধার বিন্ধ্যাচল। নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মশান আমরা দানিব নতুন প্রাণ বাহুতে নবীন বল। ১. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ। ১) কবিতাংশে বলা হয়েছে  (ক) তারুণ্যের শক্তির কথা (খ) পাহাড় পেরিয়ে যাওয়ার কথা (গ) দিন ও রাতের সৌন্দর্যের কথা (ঘ) বসন্তের সজীবতার কথা ২) ‘মহাশ্মশান’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ নিয়ে গঠিত? (ক) ‘শ’ ও ‘ন’ (খ) ‘শ’ ও ‘ণ’ (গ) ‘শ’ ও ‘ম’ (ঘ) ‘শ’ ও ‘থ’ ৩) উষার দুয়ারে আঘাত হেনে তরুণেরা কী আনবে? (ক) নবীন বল (খ) রাঙা প্রভাত (গ) নতুন প্রাণ (ঘ) তিমির রাত ৪) কারা তিমির দূর করবে? (ক) তরুণেরা (খ) বৃদ্ধরা (গ) শিশুরা (ঘ) কিশোরেরা ৫) তরুণদের বাহুতে কী? (ক) উতলা ধরণী (খ) আঘাতের চিহ্ন (গ) নতুন প্রাণ (ঘ) নবীন বল উত্তর : ১) (ক) তারুণ্যের শক্তির কথা; ২) (গ) ‘শ’ ও ‘ম’; ৩) (খ) রাঙা প্রভাত; ৪) (ক) তরুণেরা; ৫) (ঘ) নবীন বল। ২. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। উষা, প্রভাত, নবীন, শ্মশান, তিমির। উত্তর : শব্দ অর্থ উষা  ভোরবেলা। প্রভাত  সকাল। নবীন  নতুন। শ্মশান  মৃতদেহ পোড়ানোর স্থান। তিমির  অন্ধকার। ৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ। ক) বিন্ধ্যাচল কী? উত্তর : বিন্ধ্যাচল একটি পর্বতের নাম। খ) তরুণরা কীভাবে মহাশ্মশান সজীব করবে? উত্তর : তরুণেরা নব নবীনের গান গেয়ে মহাশ্মশান সজীব করবে। গ) তরুণেরা কী কী টুটাবে? উত্তর : তরুণেরা তিমির রাত ও বাধার বিন্ধ্যাচল টুটাবে। ৪. কবিতাংশটির মূলভাব লেখ। উত্তর : তরুণেরা উষার দুয়ারে আঘাত করে নতুন দিন আনবে। সকল অন্ধকার ও বাধা দূর করে তারা সামনে এগিয়ে যাবে। তরুণেরা সজীব প্রাণের অধিকারী। তারা নতুনের গানে গানে মহাশ্মশানেও সজীবতা এনে দেবে। পাঠ্য বই

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা চল্ চল্ চল অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর। এখানে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর বাদেও অতিরিক্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সিলেবাস অনুযায়ী আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলো। ৩য় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর রচনাটির মূলভাব জেনে নিই রচনাটিতে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন এবং এ আন্দোলনে শহিদদের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতা তার প্রতিবাদ জানায়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি পুলিশ ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালায়। রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে শহিদ হন। ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলায় কথা বলার অধিকার। আমরা তাঁদের চিরকাল মনে রাখব। ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর ১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি। থমথমে মিছিল টগবগে বেপরোয়া হাসপাতাল ব্যবসায় অসুস্থ মাতৃভাষা আত্মত্যাগ অমর উত্তর : থমথমে  বিপদের ভয়ে নীরব অবস্থা। মিছিল  শোভাযাত্রা। টগবগে  গরম হয়ে ওঠা, রাগে উত্তেজিত হয়ে ওঠা। বেপরোয়া  ভয়হীন। কোনো বাধা-নিষেধ মানে না এমন। হাসপাতাল  চিকিৎসালয়। ব্যবসায়  কারবার। বাণিজ্য। অসুস্থ  সুস্থ নয়। রুগ্ণ। পীড়িত। মাতৃভাষা  মায়ের মুখ থেকে শিশু যে ভাষা শেখে। আত্মত্যাগ  নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা। অমর  যার মৃত্যু নেই। চিরদিনের জন্য স্মরণীয়। ২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। মিছিলে টগবগে হাসপাতালে মাতৃভাষা অমর বেপরোয়া উত্তর : ক) তরুণদের মধ্যে সব সময় টগবগে ভাব। খ) একুশে ফেব্রæয়ারির মিছিলে খালি পায়ে যেতে হয়। গ) অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঘ) বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । ঙ) সবকিছুতে তার বেপরোয়া ভাব। চ) দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দেন তাঁরা অমর । ৩. যুক্তবর্ণগুলো চিনে নিই। যুক্তবর্ণ দিয়ে তৈরি করা নতুন শব্দ পড়ি। ফাল্গুন -ল+গ- বল্গা অসুস্থ  -স+থ-মুখস্থ, দুস্থ সম্মান -ম+ম- আম্মা রাষ্ট্রভাষা -ষ+ট+(র-ফলা) উষ্ট্র, লোষ্ট্র ৪. ঠিক উত্তরটি বাছাই করে বলি ও লিখি। ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন Ñ ১. রফিক ২. সালাম ৩. বরকত ৪. জব্বার খ) রফিকের বাবা কী করতেন? ১. ব্যবসায় ২. কৃষিকাজ ৩. চাকরি ৪. শিক্ষকতা গ) আবদুস সালামের বাড়ি কোন জেলায়? ১. মানিকগঞ্জ ২. ঢাকা ৩. ময়মনসিংহ ৪. ফেনী উত্তর : ক) ৩. বরকত; খ) ১. ব্যবসায়; গ) ৪. ফেনী। ৫. ডান দিক থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে খালি জায়গায় বসাই। ক) কিছু কিছু গাছে নতুন  গজিয়েছে। মাতৃভাষাকে খ) পুলিশ  করতে নিষেধ করেছে। পাতা গ) টগবগে তরুণরা । বেপরোয়া ঘ) এই ভাষাশহিদেরা  ভালোবাসতেন। মিছিল উত্তর : ক) কিছু কিছু গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। খ) পুলিশ মিছিল করতে নিষেধ করেছে। গ) টগবগে তরুণরা বেপরোয়া। ঘ) এই ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে ভালোবাসতেন। ৬. নাম বোঝায় এমন শব্দ লিখি। উত্তর : মাসের নাম ফেব্রæয়ারি, ফাল্গুন ফুলের নাম পলাশ, গাঁদা জায়গার নাম ঢাকা, ফেনী ৭. বিপরীত শব্দ জেনে নিই। ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসিয়ে বাক্য তৈরি করি। গরিব ধনী সম্ভব অসম্ভব জীবন মরণ নতুন পুরনো উত্তর : ক) ধনী হলেও তিনি ভালো মানুষ। খ) ভাষার দাবিতে ছাত্ররা জীবন দিয়েছিলেন। গ) লেখাপড়া না করে ভালো ফলাফল করা অসম্ভব । ঘ) বসন্তকালে গাছে নতুন পাতা গজায়। ৮. মুখে মুখে উত্তর বলি ও লিখি। ক) ছাত্ররা কী দাবি জানিয়েছিল? উত্তর : ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিল। খ) পাকিস্তানিরা কী চেয়েছিল? উত্তর : পাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। তারা বাঙালির মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। গ) ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি কে কে শহিদ হয়েছিলেন? উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরও নাম না জানা অনেকে শহিদ হয়েছিলেন। ঘ) ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা কী নামে ডাকি? উত্তর : ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের আমরা ভাষাশহিদ নামে ডাকি। ঙ) রফিকউদ্দিন আহমদ কেন ঢাকায় এসেছিলেন? উত্তর : রফিকউদ্দিন আহমদ তাঁর বাবাকে ব্যবসায়ে সাহায্য করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। চ) আবদুল জব্বারের বাড়ি কোথায়? উত্তর : আবদুল জব্বারের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। ছ) ভাষাশহিদেরা কিসের জন্য জীবন দিয়েছিলেন? উত্তর : ভাষাশহিদেরা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে জীবন দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছি। জ) ফেব্রæয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুলের নাম কী কী? উত্তর : ফেব্রæয়ারি মাসে ফোটে এমন কয়েকটি ফুল হলোÑ পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, ডালিয়া, গাঁদা ইত্যাদি। ঝ) ভাষাশহিদেরা কেন অমর? উত্তর : ভাষাশহিদেরা মাতৃভাষাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য তাঁরা অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। এই মহান আত্মত্যাগের কারণেই ভাষাশহিদেরা অমর। ৯. নিচের শব্দগুলো দিয়ে মুখে মুখে বাক্য বলি ও লিখি। উত্তর : পাতা  বসন্তকালে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ভাষা  আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। ডাক্তার  খুকি ডাক্তার হতে চায়। গুলি  পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। ত্যাগ  শহিদদের ত্যাগের তুলনা হয় না। ১০. ছবি দেখি। ছবি নিয়ে ভাবি। বাক্য বলি ও লিখি। উত্তর : ছবিটি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাদের মুখের ভাষার অধিকার হারাতে চায়নি। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১শে ফেব্রæয়ারি মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলেরই একটি চিত্র প্রকাশিত হয়েছে উপরে। ভাষা শহিদদের কথা অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর সঠিক উত্তরটি লেখ । ১. ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারির দিন বাংলা কোন মাস ছিল? ক অগ্রহায়ণ খ ফাল্গুন গ পৌষ ঘ মাঘ ২. কারা মিছিল করতে নিষেধ করেছিল? ক মিলিটারি খপুলিশ গ ছাত্ররা ঘ ব্যবসায়ীরা ৩. পুলিশ গুলি চালিয়েছিল কোথায়? ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গ ধানমÐি এলাকায় ঘ গুলিস্তান এলাকায় ৪. আবুল বরকত কখন মারা যান? ক একুশে ফেব্রæয়ারি সকালে খ একুশে ফেব্রæয়ারি বিকালে গ একুশে ফেব্রæয়ারি দুপুরে ঘ একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে ৫. রফিকউদ্দিনের বাড়ি কোথায় ছিল? ক ময়মনসিংহে খ ঢাকায় গ নোয়াখালীতে ঘ মানিকগঞ্জে ৬. পুলিশের গুলি রফিকউদ্দিনের কোথায় লেগেছিল? ক বুকে খ পিঠে গ মাথায় ঘ কাঁধে ৭. পুলিশের গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান কে? ক আবুল বরকত খ রফিকউদ্দিন গ আবদুল জব্বার ঘ আবদুস সালাম ৮. আবদুস সালাম কোথায় চাকরি করতেন? ক ময়মনসিংহে খ নোয়াখালীতে গ ঢাকায় ঘ বিদেশে ৯. কাকে দেড় মাস চিকিৎসা করেও বাঁচানো গেল না? ক আবদুল জব্বারকে খ আবদুস সালামকে গ রফিকউদ্দিনকে ঘ আবুল বরকতকে ১০. ভাষা আন্দোলন কত সালে হয়েছিল? ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে গ ১৯৬৬ সালে ঘ ১৯৭১ সালে  নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখ। ভাষাশহিদ, ডাক্তার, শ্রদ্ধা। উত্তর: শব্দ অর্থ ভাষাশহিদ  ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন। ডাক্তার  যিনি চিকিৎসা করেন। শ্রদ্ধা  সম্মান।  নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা কর। তারিখ, এলাকা, দাবি, মিছিল, অমর। উত্তর : শব্দ বাক্য

তৃতীয় শ্রেণি বাংলা ভাষা শহিদদের কথা অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর Read More »

Scroll to Top