নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সেইদিন এই মাঠ

সেইদিন এই মাঠ জীবনানন্দ দাশ  লেখক পরিচিতি : নাম জীবনানন্দ দাশ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রæয়ারি। জন্মস্থান : বরিশাল। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সত্যানন্দ দাশ। মাতার নাম : কুসুমকুমারী দাশ। শিক্ষাজীবন ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক, ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ, ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ. অনার্স এবং ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ পাস করেন। কর্মজীবন অধ্যাপনা । সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য প্রধানত আধুনিক জীবনচেতনার কবি হিসেবে পরিচিত। বাংলার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে ছিলেন নিমগ্নচিত্ত। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা, কালবেলা। উপন্যাস : মাল্যবান, সতীর্থ। মৃত্যু ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম কী? জ ক. গোলাপ খ. শিউলী গ. চালতা ঘ. কদম ২. ‘আমি চলে যাব’ কবি কোথায় চলে যাওয়ার কথা বলেছেন? জ ক. গ্রামে খ. শহরে গ. পরপারে ঘ. বিদেশে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে তখন আমায় নাই বা তুমি ডাকলে তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা মনে রাখলে। ৩. উদ্দীপকের ভাবের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন বাক্যের? ঝ ক. সোনার স্বপের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে খ. খেয়ানৌকোগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে; গ. এশিরিয়া ধুলো আজÑ বেবিলন ছাই হয়ে আছে। ঘ. সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানিÑ ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণÑ জ ক. সৃষ্টির জন্য খ. ঐতিহ্যের জন্য গ. নিত্যতার জন্য ঘ. ভালোলাগার জন্য                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরকালের প্রকৃতির সন্তান। এরা যায় আসেÑথাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে-বিরাজমান থাকে। ক. কী ছাই হয়ে গেছে? ১ খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২ গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. কবিতায় উলি−খিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  এশিরীয় ও বেবিলনীয় সভ্যতা ছাই হয়ে গেছে। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে থাকবে চিরকাল’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন প্রকৃতির বহমানতা চিরকাল বেঁচে থাকবে ।  পৃথিবীর প্রবহমানতা চিরন্তন। ব্যক্তিমানুষ একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু চালতাফুল আগের মতোই ভিজে শিশিরের জলে, ল²ীপেঁচা গান গায়। খেয়া নৌকার যাতায়াত, পৃথিবীর কলরব সবই চলতে থাকে প্রকৃতির নিয়মে। তাই কবি বলেছেন, ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’। অর্থাৎ পৃথিবীর এই বহমানতা কালক্রমে চলতেই থাকে। ১ এর গ নং প্র. উ.  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রকৃতির প্রবহমানতার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বলা হয়েছে, প্রকৃতির চলমানতা অবিনশ্বর। মানুষ এক সময় পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। মাঠে ঘাটে চঞ্চলতা, চালতা ফুলে পড়ে শীতের শিশির, ল²ীপেঁচার ডাক, খেয়া নৌকার ছুটে চলা থেমে যায় না। কোথাও থাকে না ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর রেশ। সত্য হয়ে ওঠে কেবল পৃথিবীর বহমানতা।  উদ্দীপকের অপু, দুর্গাসহ আরো অনেকে প্রকৃতির লালিত সন্তান। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এরা প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে বিরাজমান থাকে। সুন্দর নির্মল প্রকৃতি প্রাণবন্ত থাকে। তাই উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা প্রকৃতির বহমানতার সাদৃশ্য খুঁজে পাই। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্থায়ী সম্পর্কের মাধ্যমে সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে। এই ধারণা ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উদ্দীপকে।  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ তুলে ধরেছেন প্রকৃতির অবিনশ্বরতার কথা। মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে সে গড়ে তোলে নতুন সভ্যতা। মানুষ একসময় মারা যায়। তাদের নির্মিত সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি থাকে অটল, অবিচল।  আলোচ্য উদ্দীপকে প্রকৃতিকে জীবন্ত চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ প্রকৃতির মাঝে একটা গতিময়তা বিদ্যমান। ফুল ফোটে ঝরে আবার ফোটে। অপু, দুর্গাসহ অনেকেই প্রকৃতির সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়। আবার তারা চলেও যায়। আরেক প্রজন্ম এসে তাদের স্থান দখল করে। প্রকৃতিতে যেন ভাঙা-গড়ার খেলা চলতে থাকে। মানুষ মরে যায় কিন্তু প্রকৃতি তার স্বরূপে বিরাজমান থাকে। সকল ভাঙা-গড়া, জন্ম-মৃত্যু সবকিছুকেই প্রকৃতি ধারণ করে।  সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাই প্রকৃতির সম্পর্ক বিদ্যমান। সকল পরিবর্তন বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে ধরে রাখে। মানুষের গড়া বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শনও যেন প্রকৃতির উপাদান হয়ে ওঠে। মানুষের জীবন নতুন নতুন সভ্যতার উন্মেষ ঘটায়। সেগুলোও এ সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তবু প্রকৃতি থাকে নির্বিকার। আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপক আমাদের সে ইঙ্গিতই দেয়।               গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘রাজপথের কথা’ গল্পে বলেছেন, কী প্রখর রৌদ্র। উহু-হু-হু। এক-একবার নিশ্বাস ফেলিতেছি, আর তপ্ত ধুলা সুনীল আকাশ ধূসর করিয়া উড়িয়া যাইতেছে। ধনী দরিদ্র, সুখী দুঃখী, জরা যৌবন, হাসি কান্না, জন্ম মৃত্যু, সমস্তই আমার উপর দিয়া একই নিশ্বাসে ধূলির স্রোতের মতো উড়িয়া চলিয়াছে। আমি কিছুই পড়িয়া থাকিতে দেই না-হাসিও না কান্নাও না। আমিই কেবল পড়িয়া আছি। ক. চালতাফুল কিসের জলে ভিজবে? ১ খ. এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্নÑ কেন? ২ গ. উদ্দীপকটিতে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণরূপ-বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজবে। খ. প্রকৃতির রূপ-ঐশ্বর্য চির বহমান বলে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি উপরিউক্ত কথাটি বলেছেন।  প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য জীবনানন্দ দাশের কবিতার প্রাণ। কবির চোখে নদী যেন নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে বসে বসে স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই। কেননা প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময় হয়ে থাকবে। গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির বহমানতার দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।  কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় জীবনের এক চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরেছেন। আবহমানকাল ধরে প্রকৃতিতে চলছে ব্যস্ততা। মাঠে থাকে চঞ্চলতা, নদী-নালাতে চলে নৌকা, শীতের শিশির পড়ে চালতা ফুলেÑ এভাবে প্রকৃতির সবকিছুই রয়েছে চলমান। পৃথিবীতে মানুষ মরে যায়, নতুন মানুষের আগমন ঘটে। কিন্তু প্রকৃতি থেমে থাকে না। মানুষের মৃত্যুতে প্রকৃতির বহমানতা কখনও থমকে যায় না।  আলোচ্য উদ্দীপকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজপথের জবানিতে পৃথিবীর চলমানতা বা বহমানতাই তুলে ধরেছেন। রাজপথের ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনা বহমান মানবজীবনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তার ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া সব কিছুই অবলোকন করে। সকল ঘটনার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সেইদিন এই মাঠ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ

মানুষ কাজী নজরুল ইসলাম লেখক পরিচিতি : নাম কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মে, বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। শিক্ষা প্রথমে বর্ধমানে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। পেশা ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীল বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। সাহিত্যিক পরিচয় কাজী নজরুল ইসলাম বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি ছিলেন। সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, পত্রসাহিত্য ইত্যাদি সাহিতের সকল শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী। পুরস্কার ও সম্মাননা স্বাধীনতার পর কবিকে ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। উপাধি বিদ্রোহী কবি। মৃত্যু মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ২৯শে আগস্ট, বাংলা ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ই ভাদ্র ঢাকার পি.জি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসংলগ্ন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি কার জয়গান গান গেয়েছেন? ছ ক. মানুষের খ. সাম্যের গ. শ্রমিকের ঘ. তারুণ্যের ২. ‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়।’ এ বক্তব্যে ভুখারির কোন মনোভাব প্রকাশ পায়? জ ক. প্রতিবাদী খ. অসহায়ত্ব গ. ফরিয়াদ ঘ. ক্ষোভ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : সামাদ মিয়া একজন আদমবেপারি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে নামমাত্র অর্থে বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে লোক পাঠানোর কথা বলেন। আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য অনেকেই ভিটেমাটি হাল-গরু বিμি করে তার হাতে টাকা দেয়। একদিন শোনা যায় সামাদ মিয়া গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। ৩. উদ্দীপকের সামাদ মিয়ার সাথে ‘মানুষ’ কবিতার যে বা যেসব চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে তা হলোÑ র. পূজারীর রর. মোল−া সাহেবের ররর. ভুখারির নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলো Ñ ছ ক. অসহায়ত্ব খ. লোভ গ. অবজ্ঞা ঘ. ঈর্ষা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আজম সাহেব কুসুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হলে জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নানাবিধ ত্রাণসামগ্রী আসে। ত্রাণ সাহায্য নিতে আসা প্রত্যেককে আজম সাহেব নিজ হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। সবাই তাঁর প্রশংসা করতে করতে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন। ক. মুসাফির কতদিন ভুখা ছিল? খ. ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ Ñ কেন? গ. আজম সাহেব ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত যে চরিত্রের বিপরীত সত্তা তা ব্যাখ্যা করো। ঘ. ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত ভণ্ডদের মানসিকতা পরিবর্তনে আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীমÑ মতামতটি বিশে−ষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মুসাফির সাত দিন ভুখা ছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ মানবতার কল্যাণ করাই হচ্ছে মনুষ্যত্বের ধর্ম। এ কারণেই কথাটি বলা হয়েছে।  মানুষকে অবহেলা, অবজ্ঞা করে কোনো সামাজিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কেননা মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষকে ভালোবাসলে সমাজে শান্তি-স¤প্রীতি বিরাজ করে। পৃথিবীর অধিবাসীদের প্রতি সদয় হলেই ঊর্ধ্বলোকের প্রভু সদয় হবেন। তাই বলা হয়েছে ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের পরোপকারী আজম সাহেব। অন্যদিকে ‘মানুষ’ কবিতার স্বার্থপর মোল্লা সাহেব চরিত্রের বিপরীত।  ‘মানুষ’ কবিতায় মোল্লা সাহেব মসজিদের অঢেল গোশত-রুটি বেঁচে যাওয়ায় প্রচণ্ড খুশি হন। তখন এক রুগ্ণ ভুখারি খাবার চাইলে মোল্লা নামাজ না পড়ার দোহাই দিয়ে নিষ্ঠুরতার সাথে গালমন্দ করে তাকে তাড়িয়ে দেন। একজন ভুখারি যখন ক্ষুধার জ্বালায় জর্জরিত তখন মোল্লা সাহেব গোশত-রুটি নিয়ে মসজিদে তালা দিয়ে দিয়েছে। এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে কবি নজরুল সোচ্চার প্রতিবাদ করেছেন ‘মানুষ’ কবিতায়। মোল্লা সাহেব চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি স্বার্থমগ্ন ভণ্ড মানুষদের মুখোশ উম্মোচন করেছেন।  উদ্দীপকের আজম সাহেব একজন ইউপি চেয়ারম্যান, যিনি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। অসহায় মানুষের কাছে নিজ হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন। তাঁর এই মহানুভবতায় সকলেই খুশি হন এবং তাঁর প্রশংসা করতে থাকেন। কাজেই উদ্দীপকের আজম সাহেব ‘মানুষ’ কবিতায় মোল্লা সাহেব চরিত্রের বিপরীত। একজন পরোপকারী মহৎ হৃদয়ের, অন্যজন স্বার্থপর পাষণ্ড হৃদয়ের। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত ভণ্ডদের মানসিকতা পরিবর্তনে আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিদের ভ‚মিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। কারণ তাঁরাই সমাজে মনুষ্যত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।  ‘মানুষ’ কবিতায় ধর্মের আড়ালে কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে। পূজারী তার ধর্মের লেবাস ধরে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের কথা ভাবার সময় তার নেই। সে ভুখারির সামনে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার মসজিদের মোল্লা সাহেবও স্বার্থপরতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অনাহারক্লিষ্ট একজন মানুষকে এক টুকরো রুটি না দিয়ে সে গোশত-রুটি নিয়ে মসজিদে তালা দিয়ে দিয়েছে। যেখানে ধর্মের চর্চা হয়, মানবিকতার চর্চা হয় সেখানে বসে তারা ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেছে।  আজম সাহেব ঘূর্ণিদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভেবেছেন স্বার্থপরের মতো নিজ সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত থাকা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। তাই তিনি ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে দ্রæত পৌঁছে গেছেন অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে। এভাবে মানুষ যদি মানুষের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ায় তবে পৃথিবীটা একদিন শান্তিতে ভরে উঠবে।  স্বার্থপরতাই পৃথিবীর সকল অশান্তির মূল। পৃথিবীতে যত ভাঙন, বিপর্যয়, যুদ্ধবিগ্রহ সবই স্বার্থপরতার জন্য। উদ্দীপকের আজম সাহেবদের ভ‚মিকা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। আজম সাহেব তাঁর কাজের মাধ্যমে সমাজে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত মোল্লা-পুরুত মানুষের ঘৃণা ছাড়া অন্য কিছু পাবে না। তারা যদি উদ্দীপকের আজম সাহেবের কর্মকাণ্ড দেখে তাহলে নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লজ্জিত হবে। আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিরা মানুষের জন্য কাজ করলে কবিতায় বর্ণিত মোল্লা-পুরুতের মতো সমাজের ভণ্ড প্রতারকরা একসময় কোণঠাসা ও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।   মতিন সাহেবের স্ত্রীর মৃত্যু উপলক্ষে কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছেন। কাঙালিদের লাইন করে বসিয়ে প্যাকেট খাবার দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। বাড়ির ভেতরে চলছে আত্মীয়-স্বজনের ভ‚রিভোজ। কয়েকজন কাঙালি খাবার না পেয়ে বাড়ির দরজায় খাবার চাইলে বাড়ির কেয়ারটেকার ধমক দিয়ে বের করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে মতিন সাহেব বলেন, ওরাই আমার আসল অতিথি, ওদের তৃপ্ত করে খাইয়ে দাও। ক. ‘মানুষ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? ১ খ. ‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়।’Ñ ভিখারি কেন এ কথা বলে? ২ গ. উদ্দীপকের কেয়ারটেকারের আচরণে ‘মানুষ’ কবিতার কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “মতিন সাহেবই ‘মানুষ’ কবিতার কাক্সিক্ষত মানুষ।”Ñ উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। [য.বো. ১৫] ৪ ২ নং প্র. উ. ক. কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘মানুষ’

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ঝর্ণার গান

ঝর্ণার গান সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লেখক পরিচিতি : নাম সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কলকাতার কাছাকাছি নিমতা গ্রাম । শিক্ষা জীবন বি.এ. শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সাহিত্য সাধনা ছাত্রজীবন থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি বিচিত্র বিষয়ের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য রচনা মৌলিক কাব্য : সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, হোমশিখা, কুহু ও কেকা, অভ্র-আবীর, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতী ইত্যাদি। অনুবাদ কাব্য : তীর্থরেণু, তীর্থ-সলিল ও ফুলের ফসল। বিবিধ উপনিষদ, কবির, নানক প্রমুখের রচনা এবং আরবি, ফার্সি, চীনা, জাপানি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা ও গদ্য রচনা তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। বিশেষ পরিচিত ‘তত্ত¡বোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ও উনিশ শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ছিলেন তাঁর পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্ত । বিশেষত্ব বাংলা ভাষায় ছন্দ নির্মাণে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।‘ছন্দের রাম’ তাঁর উপাধি। মৃত্যু ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. দুপুর-ভোর ঝর্ণা কার গান শুনতে পায়? চ ক. ঝিঁঝিঁর খ. পরীর গ. বুলবুলির ঘ. শালিকের ২. ‘একলা গাই একলা ধাই দিবস রাত, সাঁঝ সকাল।’ এ- বক্তব্যে ঝর্ণার কোন রূপটি ফুটে ওঠে? জ ক. প্রকৃতি চেতনা খ. সৌন্দর্যপ্রীতি গ. ছুটে চলা ঘ. শঙ্কাহীন চিত্ত নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : নারিন্দার বৃক্ষপ্রেমী বলরাম দা গড়ে তোলেন হাজার রকমের বৃক্ষের সমারোহে একটা উদ্যান, যা বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত। নিছক আনন্দ উপভোগের জন্যই তাঁর এ উদ্যোগ। অনেকেই সেখানে ভেষজ ঔষধের উপকরণ খুঁজেছেন। ৩. উদ্দীপকের বলরাম দার সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. চাতকের রর. ঝর্ণার ররর. বন-ঝাউয়ের নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ঝ ক. পরোপকার খ. পরিবেশ সংরক্ষণ গ. ছুটে চলা ঘ. সৌন্দর্য সৃষ্টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে শিল্পী গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি সম্মুখে ছুটে চলেছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ। ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে? খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে ঝর্ণার আনন্দমুখর ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন।  কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার গতিময়তা গভীর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির নীরবতা ভেঙে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন ছন্দে। ভয়ংকর পাহাড়, পাখির ডাকহীন নির্জন দুপুর-সবকিছু উপেক্ষা করে ঝর্ণা শিথিল শিলা বেয়ে নিচে নেমে আসে। চলার পথে স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত রূপ-সৌন্দর্যের দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।  ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তুলে ঝর্ণার সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরেছেন । চপল পায়ে আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি ছুটে চলে। পতিত এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য চিত্তকে আকর্ষণ করে। নির্জন দুপুরে ধাবমান ঝর্ণা প্রকৃতিতে যে অনিন্দ্যসুন্দর রূপ সৃষ্টি করে তা বর্ণনাতীত।  উদ্দীপকে শিল্পীর হাতে গড়া এক উদ্যানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শিল্পী উদ্যানটিকে তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। এ সৌন্দর্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অবারিত। উদ্যানের এ সৌন্দর্য ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঝর্ণার মতোই উদ্দীপকের উদ্যানের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা ও সৌন্দর্য ভাবনা তুলে ধরার দিক দিয়ে উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে শতভাগ ধারণ করে।  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণার রূপ বর্ণনার পাশাপাশি কবি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্য চেতনার স্বরূপ অঙ্কন করেছেন। নিস্তব্ধ প্রকৃতি যেখানে পাখির কূজন নেই, নির্জন পাহাড় যেন ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়, বনবনানি ঘুমায়, পথ ঝিমায়। এমনই স্নিগ্ধ পরিবেশে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন গতিতে। নিচে ধাবমান স্বচ্ছ জলরাশি পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। সৌন্দর্যপিপাসুদের হৃদয়ে ঝর্ণার এই সৌন্দর্য বিশেষ আলোড়ন তোলে।  উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতিপ্রেমী শিল্পী তার উদ্যানকে সাজিয়েছেন তিলোত্তমা করে। যার পুকুর, দিঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে। শিল্পী সকল বৈরিতা উপেক্ষা করে কেবল সৌন্দর্যকে তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। যে কারণে একটি বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তার পক্ষে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।  উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লেখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনেকখানি ধারণ করেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর সৃজনশীলতা বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে দান করেছে অনুপম সৌন্দর্য। ঝর্ণাও তার ছুটে চলার পথটিকে সাজিয়ে যায় আপন খেয়ালে। উদ্দীপকের শিল্পীর উদ্দেশ্য কেবলই নিছক সৌন্দর্য সৃষ্টি। ঝর্ণাও তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছে। ঝর্ণার বিরামহীন ছুটে চলা তাদের খোঁজেই, যারা তার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্য ধারণে সম্পূর্ণরূপে সফল। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সমুদ্র বরাবরই খুব টানে দিহানকে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোতগুলো তার মনে বিস্ময় জাগায়। সমুদ্রকে ভালোবেসেই বেছে নিয়েছে নাবিক জীবন। জাহাজে চড়ে সমুদ্রের বুকে ভেসেছে বহুদিন। দেখেছে সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া পাথুরে পাহাড়ের সাথে স্রোতের সংঘর্ষের সৌন্দর্য। অবসর সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে চেয়ে থেকে কাটিয়ে দেয় দিহান। ক. ঝর্ণা কেবল কার গান গায়? ১ খ. ‘চপল পায় কেবল ধাই।’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. ‘ঝর্ণা’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমুদ্রের সাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাক্সিক্ষত’Ñ ঝর্ণা কবিতার আলোকে কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ঝর্ণা কেবল পরীর গান গায়। খ. চরণটির মাধ্যমে ঝর্ণার উচ্ছল ও বিরামহীন ছুটে চলাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।  পাহাড় থেকে সৃষ্ট ঝর্ণা পাহাড়ের গা বেয়ে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলে। তার চঞ্চল, আনন্দমুখর চলার মাঝে বাধা হতে পারে না কিছুই। দিনরাত সে নৃত্যরত রমণীর মতো কেবলই ছুটে চলে। গ. উদ্দীপকে বিরামহীন ছুটে আসা সমুদ্রের স্রোত আর সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ায় সাথে ঝর্ণার গান কবিতার ঝর্ণার সাদৃশ্য রয়েছে। ক্ষ ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। ঝর্ণা যখন পাহাড়ের গা ঘেঁষে নিচে পতিত হয় তখন দ্রæত ধাবমান জলরাশি দেখতে খুবই

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ঝর্ণার গান Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অন্ধবধূ

অন্ধবধূ যতীন্দ্রমোহন বাগচী  লেখক পরিচিতি : নাম যতীন্দ্রমোহন বাগচী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ২৭শে নভেম্বর। জন্মস্থান : নদীয়া জেলার জামশেরপুর গ্রাম। রচনার বৈশিষ্ট্য পল্লিপ্রীতি তাঁর কবি-মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কবি জীবনানন্দ দাশের মতো তাঁর কাব্যবস্তুও নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। তাঁর ভাষা সহজ, সরল। উল্লেখযোগ্য কাব্য লেখা, রেখা, অপরাজিতা, নাগকেশর, বন্ধুর দান, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতী। মৃত্যু ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রæয়ারি । বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোন পাখির চেঁচিয়ে সারা হওয়ার কথা উলে−খ আছে? ছ ক. কাক খ. চোখ গেল গ. কোকিল ঘ. শালিক ২. মন্দ নেহাত হয় না কিন্তু তায় Ñ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ছ ক. মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া খ. অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি গ. সকলের কষ্ট দূর করা ঘ. স্বামীকে দায়মুক্ত করা নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : নাসরীনের স্বামী চাকরির সুবাদে প্রবাসজীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে স্বামীর খোঁজ-খবর নেই, তাঁর সঙ্গের যারা বিদেশে থাকেন তাঁরা মাঝে মাঝে আসেন-যান। কেবল তার স্বামীই যেন সবার থেকে আলাদা। নাসরীন স্বামীর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষার দিন গোনে। ৩. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার বধূর কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? র. বিরহকাতরতা রর. ব্যাকুলতা ররর. অভিমান নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. নাসরীনের স্বামীর সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে চরিত্রের পরিচয় আছে সেটি হলো Ñ জ ক. ঠাকুর ঝি খ. অন্ধবধূ গ. ঠাকুর ঝি’র ভাই ঘ. পাড়ার মানুষ                                 সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। জীবনের এই স্বল্প সময়ের সমগ্র হিসাব চুকিয়ে, সব সম্পর্ক ছিন্ন করে পরপারে চলে যেতে হয়। গৃহবধূ সুদীপা মাঝে মাঝে দুঃখ করে বলেন, ‘সুন্দর এই পৃথিবী, ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎ¯œা ভরা রাত সব ছেড়ে আমাদেরকে বিদায় নিতে হবে’। ক. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি কেমন? ১ খ. ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতির কোন রূপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ২ গ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে বিশেষ দিকটিকে আলোকপাত করেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনিÑ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ অন্ধবধূ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি শ্যাওলা-পিছল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতিতে বসন্ত ঋতুর বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।  দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের অসাধারণ জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে অন্ধবধূ কবিতায়। অন্ধবধূ তার অনুভ‚তিশক্তি দিয়েই প্রকৃতির বিচিত্র রং-রূপের বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কোকিলের ডাকে ঋতু পরিবর্তনের বিষয়টি অনুভব করতে পারে। কোকিল বসন্তকালে ডাকে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে অন্ধবধূ বোঝাতে চেয়েছে বসন্তকাল অনেক আগেই গত হয়েছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি আলোকপাত করা হয়েছে।  অন্ধবধূ তার অন্ধত্বের জন্য গভীর মর্মবেদনা অনুভব করে। দুঃখ-কষ্ট-অভিমানে সে অনেক কথাই মনে মনে ভাবে। দিঘির ঘাটে শ্যাওলা-পিছল সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে মরে যাওয়ার কথাও সে ভেবেছে। সে বলেছে, এতে তার অন্ধ চোখের দ্ব›দ্ব চুকে যাবে। প্রকৃতপক্ষে অন্ধবধূ আর দশটি মানুষের মতো করেই বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু তার প্রতি মানুষের অবহেলা সে সহ্য করতে পারেনি। তাই সে ভেবেছে দিঘির জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হলে ভালোই হতো।  পৃথিবী নশ্বর ও জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা মানুষের চিরন্তন। উদ্দীপকের গৃহবধূ সুদীপার মাঝে এমন অভিব্যক্তি আমরা লক্ষ করি। ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎস্না ভরা রাত কার না ভালো লাগে। গৃহবধূ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথায় বেদনা অনুভব করে। তাই অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার সাথে উদ্দীপকের গৃহবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি একই সূত্রে গাঁথা। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন মানুষের মনোজাগতিক নানা বিষয় উঠে এলেও উদ্দীপকে তেমনটা হয় নি। উদ্দীপকটি তাই কবিতার সমগ্র ভাবের ধারক নয়।  কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাঁর ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় একজন অন্ধবধূর গভীর মর্ম যাতনার দিকটি উল্লেখ করেছেন। অন্ধ হওয়ার কারণে সে প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে প্রবাসী স্বামীর অবহেলায় তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। তারপরও সে তার অনুভ‚তি দিয়ে ঋতুর পরিবর্তন, ফুলের গন্ধ, পাখির ডাকসহ প্রকৃতির সবকিছুই সে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছে। তার প্রতি অবহেলা সে যেন সহ্য করতে পারছিল না। ক্ষোভে দুঃখে সে দিঘির জলে ডুবে মরতে চেয়েছে। দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলে সে তার মনের ব্যথা খানিকটা উপশম করতে চেষ্টা করেছে।  উদ্দীপকে ব্যক্ত হয়েছে মানুষের জীবনের চিরন্তন সত্য মৃত্যুরচিন্তা। এই পৃথিবীর সৌন্দর্য অসীম। এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে কারো মন চায় না পরপারে চলে যেতে। গৃহবধূ সুদীপার মধ্যেই সেই অনুভ‚তি কাজ করেছে। সে শান্ত স্নিগ্ধ ঝিঁ ঝিঁ ঢাকা সন্ধ্যা, জোৎস্না ভরা রাত এসব ছেড়ে চলে যেতে চায় না। গৃহবধূ সুদীপার মাঝে মায়া-মমতায় ভরা পৃথিবীর মাঝে বেঁচে থাকার চিরন্তন আবেগ কাজ করেছে।  আলোচ্য কবিতা ‘অন্ধবধূ’ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কবিতায় অন্ধবধূর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মৃত্যুচিন্তা ও পৃথিবী ছেড়ে না যাওয়ার আকুতি ব্যক্ত হয়েছে। কবিতার মতো প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের মর্মবেদনার স্বরূপ প্রকাশিত হয় নি উদ্দীপকে। সেদিক থেকে উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি বরং আংশিক ভাব প্রতিফলিত হয়েছে মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুলবানুর ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শিখে স্বনির্ভর হওয়ার। বাবার সহযোগিতায় সে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া শেখে পরবর্তীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে অন্ধত্বের অভিশাপ। ক. সমাজ কাদের অবজ্ঞা করে? ১ খ. ‘দিঘীর ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কোন অংশটি সাদৃশ্যপূর্ণÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের ফুলবানু এবং অন্ধবধূ চরিত্রের ভাব সম্পূর্ণ আলাদা”Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। খ. অন্ধবধূ তার প্রখর অনুভ‚তিশক্তি দ্বারা দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে।  অন্ধবধূ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও সে একজন ইন্দ্রিয়সচেতন মানুষ। এই ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে সে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে। দিঘির ঘাটের শ্যাওলা পড়া সিঁড়ির অস্তিত্ব টের পেয়েছে। দিঘির পানি কমে গেছে। অনুভবে সে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে। গ. অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা দূর করে জীবনকে উপভোগ করার আকাক্সক্ষার দিকটি উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সাদৃশ্য রচনা করেছে।  সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। ফলে দৃষ্টিহীনেরা নিজেদের অসহায় ভাবে। কিন্তু ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে অন্ধদের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী অন্ধবধূর জীবনকে উপভোগের এই আকাক্সক্ষার স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। অন্ধবধূ নিজের ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করে। পায়ের তলায় নরম শিউলি ফুলের অস্তিত্ব, পাখির ডাকে ঋতু পরিবর্তনের অনুভ‚তি সবই সে নিজের চেষ্টায় বুঝতে পারে।  উদ্দীপকের ফুলবানুরও নিজের অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির আকাক্সক্ষা প্রবল। সে দৃষ্টিহীন হলেও আর দশটা স্বাভাবিক

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অন্ধবধূ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রাণ

প্রাণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি পরিচিতি : নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে, ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ। জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। পারিবারিক পরিচয় পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সাহিত্যিক পরিচয় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, চিত্রকর, অভিনেতা, নাট্য প্রযোজক ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত।সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, পত্রসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখা এবং সংগীত, চিত্রকলা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যম তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রথম প্রকাশ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’। এ গ্রন্থটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা। ছোটগল্প : গল্পগুচ্ছ (চার খণ্ড)। উপন্যাস : চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা। নাটক : বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী। পুরস্কার ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ । মৃত্যু ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি কোথায় অমর আলয় রচনা করতে চেয়েছেন? ঝ ক. স্বর্গে খ. পৃথিবীতে গ. পুষ্পিত কাননে ঘ. মানুষের মাঝে ২. কবি মানব হৃদয়ে কীভাবে ঠাঁই পেতে চেয়েছেন? ছ ক. ভালোবেসে খ. সৃষ্টির মাধ্যমে গ. ফুল ফুটিয়ে ঘ. সংগীতের সাহায্যে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে Ñ এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় Ñ হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়; ৩. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে যে বাক্যে, তা হলো Ñ চ র. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই রর. মানবের সুখে-দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত যদি গো রচিতে পারি অমর আলয় ! ররর. হাসি মুখে নিয়ে ফুল, তার পরে হায় ফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায় \ নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. ররর গ. রর ও ররর ঘ. র ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ঝ ক. জীবনের প্রতি আসক্তি খ. অকৃত্রিম মানবপ্রেম গ. জাগতিক সুখ ভোগ ঘ. সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে ভোরের দোয়েল পাখিÑ চারদিকে চেয়ে দেখি পল−বের স্তূপ জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ। ক. কবি কাদের মাঝে বাঁচতে চান? ১ খ. এ পৃথিবীতে কবি অমর আলয় রচনা করতে চান কেন? ২ গ. উদ্দীপকে প্রত্যাশিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে মিশে আছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ কবি মানবের মাঝে বাঁচতে চান। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য কবি অমর আলয় রচনা করতে চান।  নরনারীর সুখ-দুঃখ-বিরহ কবি তাঁর রচনায় সঠিকভাবে চিত্রিত করতে চান। আর এই রচনা যদি মানুষের মনজয়ী হয় তবে এই অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কবি পৃথিবীর মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এভাবেই কবি তাঁর অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি গোটা পৃথিবীকে অমর আলয় হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ জগতের সৌন্দর্য বিমোহিত হওয়ার দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পাওয়ায় উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।  ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, মান-অভিমানে পূর্ণ। কবি এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান না। সৃষ্টিশীল কাজ করে তিনি পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন।  উদ্দীপকের কবিতাংশে বর্ণিত হয়েছে গ্রামবাংলার এক অনুপম চিত্র। উদ্দীপকের কবি বাংলার রূপে মুগ্ধ। বাংলার রূপ দেখার পর তাঁর আর পৃথিবীর রূপ দেখার সাধ নেই। ভোরের দোয়েল পাখি কীভাবে ছাতার মতো ডুমুরের পাতার নিচে বসে আছে, কবি তা মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়েছেন। সেখানে জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের পত্র-পল্লবের স্তূপ যেন স্থির হয়ে আছে। প্রাণ কবিতায়ও অনুরূপভাবে রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতার মাত্র একটি দিক-পৃথিবীর রূপ-বৈচিত্র্যে মুগ্ধতার বিষয়টি উদ্দীপকে উল্লিখিত। তাই উদ্দীপকটিতে ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক ভাব প্রকাশিত হয়েছে।  কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টি প্রাণ কবিতায় তিনি বলেছেন, পুষ্পিত কাননরূপী এই সুন্দর পৃথিবী তাঁকে মুগ্ধ, বিমোহিত করেছে। হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় পূর্ণ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কবি যেতে চান না। তিনি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃষ্টি করে স্মরণীয় ও বরণীয় হতে চান। তাঁর এই অমর সৃষ্টিতে নর-নারীর হৃদয় রহস্য- সুখ-দুঃখ-বিরহ যেন সঠিকভাবে স্থান পায়, সেই প্রত্যাশা করেছেন।  উদ্দীপকে প্রকৃতির এক অপরূপ চিত্রের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন কোনো কিছুই যেন কবির চোখ এড়ায়নি। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তিনি দেখেছেন ডুমুরের পাতার নিচে দোয়েলটিকে। দোয়েলের মতোই যেন চুপ করে আছে বিভিন্ন গাছের পত্রপল্লবের স্তূপ। বাংলার এমন সৌন্দর্য দেখে তিনি আর পৃথিবীর রূপ খুঁজতে চান না। কবি যেন পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত।  আলোচ্য ‘প্রাণ’ কবিতা ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে আমরা লক্ষ করি উদ্দীপকে পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার যে বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রাণ কবিতায় একটি খণ্ডিত ভাবমাত্র। কবিতায় এছাড়াও রয়েছে কবি মনের অমরত্ব লাভের বাসনার স্বরুপ। কবি অমর হতে চান মানুষের হাসি-কান্না, বিরহ বেদনা তাঁর রচনায় প্রকাশ করার মাধ্যমে। অমর আলয় সৃষ্টি করে তিনি বরণীয় হতে চেয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপক কবিতাংশে তেমন কোনো চেতনার উল্লেখ নেই। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিখিলের এত শোভা, এত রূপ, এত হাসি-গান, ছাড়িয়া মরিতে মোর কভু নাহি চাহে মন-প্রাণ। এ বিশ্বের সবি আমি প্রাণ দিয়ে বাসিয়াছি ভাল- আকাশ বাতাস জল, রবি-শশী, তারকার আলো। ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিসের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান? ১ খ. ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। খ. ‘প্রাণ’ কবিতায় আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে কবি মনের অমরত্ব লাভের প্রত্যাশা প্রকাশিত হয়েছে।  এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ ভালোবাসায় এটি পরিপূর্ণ। এই সবকিছুর প্রতি কবি গভীর টান অনুভব করেন। তিনি জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্য কিছুর আহŸানে সাড়া দিতে চান না। পৃথিবীর বুকে তিনি অমর হতে চান। চরণটির মাধ্যমে কবির মর্ত্যপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার গভীর আর্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেদিক দিয়ে ‘প্রাণ’ কবিতায় ভাবের সাথে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘প্রাণ’ কবিতায় বলা হয়েছে, এ জগৎ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রাণ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা জীবন-সঙ্গীত

জীবন-সঙ্গীত হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : নাম হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৩৮ সালের ১৭ই এপ্রিল। জন্মস্থান : হুগলি জেলার গুলিটা রাজবল্লভহাট গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষাজীবন কলকাতার খিদিরপুর বাংলা স্কুলে পড়াশোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়। এরপর কলকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর আশ্রয়ে ইংরেজি শেখেন। পরবর্তীকালে হিন্দু কলেজ থেকে সিনিয়র স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সরকারি চাকরি, শিক্ষকতা; পরে আইন ব্যবসায় নিয়োজিত হন। সাহিত্যিক পরিচয় কাব্য রচনায় মাইকেল মধুসূদনের পর ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান। স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় ‘বৃত্রসংহার’ নামক মহাকাব্য রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা মহাকাব্য : বৃত্রসংহার। কাব্য : চিন্তাতরঙ্গিনী, বীরবাহু, আশাকানন, ছায়াময়ী। মৃত্যু ১৯০৩ সালের ২৪শে মে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুকে কিসের সাথে তুলনা করেছেন? জ ক. নদীর জল খ. পুকুরের জল গ. শৈবালের নীর ঘ. ফটিক জল ২. কবি ‘সংসারে সমরাঙ্গনে’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? ছ ক. যুদ্ধক্ষেত্রকে খ. জীবনযুদ্ধকে গ. প্রতিরোধযুদ্ধকে ঘ. অস্তিত্বকে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : শুকুর মিয়া একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী। সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম প্রথম লাভ পান। এক সময় তাঁর ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়। এতে তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। তখন বন্ধু হাতেম তাঁকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। শুকুর মিয়া তাঁর পরামর্শকে সাদরে গ্রহণ করেন। ৩. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার লক্ষ্য কী? জ ক. যশোদ্ধার খ. অমরত্ব লাভ গ. সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা ঘ. বরণীয় হওয়া ৪. অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুকুরের যে গুণের আবশ্যক তা হলোÑ জ ক. সাহস খ. সংগ্রাম গ. আত্মবিশ্বাস ঘ. সংকল্প                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রবার্ট ব্র“স পর পর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক সময়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। সেখানে দেখেন একটা মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে সে সপ্তমবারে সফল হয়। এ ঘটনা রবার্ট ব্র“সের মনে উৎসাহ জাগায়। তিনি বুঝতে পারেন জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই তিনি আবার পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। ক. কবি কোন দৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন? ১ খ. কীভাবে ‘ভবের’ উন্নতি করা যায়? ২ গ. পরাজয়ের গ−ানি রবার্ট ব্র“সের মাঝে যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে যেভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে।’- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  কবি বাহ্যদৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন। ১ এর খ নং প্র. উ.  সংসারে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই ভবের উন্নতি হবে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় জীবনের মর্ম উপলব্ধি করার আহŸান জানিয়েছেন কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসারজীবনকে তিনি গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তাঁর মতে, ভবের বা পৃথিবীর উন্নতির জন্য সংসারজীবনের কাজগুলো ভালোভাবে করতে হবে। সবাই যদি নিজের কাজ যথার্থভাবে করে তবেই জগতের উন্নতি হবে। ১ এর গ নং প্র. উ.  পরাজয়ের গøানি রবার্ট ব্রæসের মাঝে যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উল্লিখিত দুঃখবাদী চেতনার স্বরূপকেই তুলে ধরে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চেয়েছেন, এ জীবনের মূল্য অনেক। জীবনটা কেবল নিশার স্বপন নয়। তাই মিথ্যা সুখের কল্পনা করে দুঃখ বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। হতাশায় ভোগা মানুষদের বৈরাগ্য ভাব ত্যাগ করে প্রাণচঞ্চল হওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে কবিতায়।  উদ্দীপকে বর্ণিত রবার্ট ব্রæস ছয়বার যুদ্ধ করে প্রতিবারই পরাজিত হন। এক সময়ে হতাশা তাঁকে ঘিরে ধরে। মনের দুঃখে তিনি বনে চলে যান। পরাজিত হওয়ার গøানি থেকেই তিনি এ কাজটি করেন। কিন্তু নিরাশ না হয়ে সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করাই মানবজীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সেই তাগিদই দেওয়া হয়েছে। পরাজিত রবার্ট ব্রæসের মতো যারা হতাশায় ভোগে তেমন মানুষদের প্রতিই আশার বাণী শুনিয়েছেন জীবন-সঙ্গীত কবিতার কবি। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  পরাজয়ে ভেঙে না পড়ে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেই সফল হওয়া যায়। উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় আমরা এ বিষয়েরই প্রমাণ পাই।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন, হতাশাগ্রস্ত মানুষ জন্মটাকে বৃথা ও জীবনকে রাতের স্বপ্ন মনে করে। অথচ মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান। নিজের ও জগতের উন্নতি করাই মানবজীবনের লক্ষ্য। তাই এই জীবনসংসারে মানুষকে সাহসী বীরের মতো এগিয়ে যেতে হয়। বৈরাগ্য নয় বরং সংসারজীবনের সকল দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জীবনকে অর্থবহ করতে হয়। মহামানবেরা যেমন জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জগতে বরণীয় হয়েছেন আমাদের সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে।  আলোচ্য উদ্দীপকে রবার্ট ব্রæস ছয়-ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। তিনি সেখানে দেখতে পান একটি মাকড়সা তার বাসা তৈরি করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়ে সপ্তমবারে সফল হয়। তিনি এ ঘটনা থেকে উৎসাহ পেলেন। তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা পেলেন। পরবর্তী সময়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে তিনি যুদ্ধে জয়ী হলেন।  কাজেই আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, জীবনে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ জয়-পরাজয়, সাফল্য-ব্যর্থতা খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। পরাজিত হলে হতাশ হয়ে বসে থাকলে কোনো লাভ নেই। বরং চেষ্টা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়েই সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হয়। পৃথিবীর সকল মানবের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। যুগে যুগে মহামানবেরা এ পথে চলেই মহিমন্বিত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানবজীবন নাতিদীর্ঘ। মানুষ স্বীয় কর্মের জন্য সাফল্য-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভোগ, লোভ-লালসার চিন্তায় মানুষ ব্যর্থতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে মানুষ সফলতা অর্জন করে। ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ব্যর্থতার যে বর্ণনা দিয়েছেন উদ্দীপকেরে আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “সাফল্য অর্জনে চাই, ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা”Ñ উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ পতাকা বা নিশান। খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে বোঝানো হয়েছে, আয়ু শৈবালের শিশিরের মতোই ক্ষণস্থায়ী।  সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এই সময়ের স্রোতে মানুষের আয়ুও দ্রæতই ফুরিয়ে যায়। শৈবালের ওপর জমে থাকা শিশিরের চিহ্নের স্থায়িত্ব খুবই সামান্য। মানুষের জীবনও তাই। মানুষের জীবনের এই ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতেই কবি আয়ুকে শৈবালের শিশিরের সাথে তুলনা করেছেন। গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ব্যর্থতার জন্য জীবনের ও সময়ের মূল্য না বোঝাকে দায়ী করা হয়েছে, যা আলোচ্য উদ্দীপকেও প্রকাশিত হয়েছে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, আমাদের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। তাই জীবনে যতটুকু সময় আমরা পেয়ে থাকি তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। তা না করে অকারণে বৈরাগ্যের কারণে দুঃখটা কেবল বাড়বে এবং জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।  উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা জীবন-সঙ্গীত Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কপোতাক্ষ নদ

কপোতাক্ষ নদ মাইকেল মধুসূদন দত্ত লেখক পরিচিতি : নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি। জন্মস্থান : যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম। ব্যক্তিজীবন হিন্দু কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ সৃষ্টি হয়। ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তাঁর নামের প্রথমে ‘মাইকেল’ শব্দটি যোগ হয়। পাশ্চাত্য জীবনযাপনের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যসাধনার তীব্র আবেগ তাঁকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। উল্লেখযোগ্য রচনা মহাকাব্য : মেঘনাদবধ কাব্য। কাব্য : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলি। নাটক : শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী। প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ। বিশেষ অবদান বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও বাংলা সনেটের প্রবর্তক। বাংলা ভাষার একমাত্র সার্থক মহাকব্য ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচয়িতা। মৃত্যু ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জুন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন? চ ক. ফ্রান্সে খ. ইংল্যান্ডে গ. ইতালিতে ঘ. আমেরিকাতে ২. ‘কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে’ ? Ñ এ উক্তিতে কবির কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে? র. মমতা রর. অনুরাগ ররর. ভ্রান্তি নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. রর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর [সঠিক উত্তর ক ও খ] অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : প্রবাস জীবনে ফাস্টফুডের দোকানে কত খাবার খেয়েছি আমি জীবনে। মায়ের হাতের পিঠার কথা ভুলি আমি কেমনে? ৩. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন বিষয়টি অনুচ্ছেদটিতে প্রকাশ পেয়েছে? ঝ ক. সুখ স্মৃতির অনুপম চিত্রায়ন খ. রঙিন কল্পনার নিদর্শন গ. কষ্টকর স্মৃতির কাতরতা ঘ. স্নেহাদরের কাতরতা ৪. অনুচ্ছেদটির মূল বক্তব্য নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে? জ ক. সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে। খ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে। গ. এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? ঘ. আর কি হে হবে দেখা?             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ছোটকালে ছিলাম বাঙালিদের বালুচরে, সাঁতরায়ে নদী পাড়ি দিতাম বারবার এপার হতে ওপারে, ডিভি লটারি সুযোগ করে দিলে ছুটে চলে যাই আমেরিকায় কিন্তু আজ মন শুধু ছটফটায় আর শয়নে স্বপনে বাড়ি দিয়ে যায়, মধুময় স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়, তবু দেশে আর নাহি ফেরা হয়। ক. সনেটের ষষ্টকে কী থাকে? ১ খ. ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তাই ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব’Ñ কথাটির সত্যতা বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ সনেটের ষষ্টকে থাকে ভাবের পরিণতি। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ জন্মভ‚মির প্রতি গভীর মমতায় মাতৃদুগ্ধরূপী কপোতাক্ষ নদের জলে তৃষ্ণা নিবারণের আকাক্সক্ষাকে স্নেহের তৃষ্ণা বলা হয়েছে।  প্রবাসে থাকাকালীন কবি জন্মভ‚মির প্রতি গভীর স্মৃতিকাতরতা অনুভব করেছেন। শৈশবের মধুর স্মৃতি কবিকে আচ্ছন্ন করেছিল। তাই প্রবাসে বসেও তিনি কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। কবি বহু দেশ ঘুরে বহু নদ-নদী দেখেছেন কিন্তু কারো জলেই যেন তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ হয় না। তিনি কপোতাক্ষের জলেই শুধু স্নেহের তৃষ্ণা মেটাতে চান। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির মতোই জন্মভ‚মির প্রতি মমত্ববোধ ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে।  প্রিয় কপোতাক্ষ নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শৈশব কেটেছে। প্রবাসজীবনে শৈশবের সেসব স্মৃতি তাঁকে কাতর করে তুলেছে। তিনি দূর থেকেও যেন কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কোনও নদ-নদীই যেন কপোতাক্ষের সাথে তুলনীয় নয়। এই নদের সাথে জীবনে কোনোদিন দেখা হবে কি না তা নিয়েও কবি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় সংশয় প্রকাশ করেছেন।  উদ্দীপকে এক আমেরিকাপ্রবাসী জন্মভ‚মির প্রতি গভীর মমতা ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ করেছেন। জন্মভ‚মির মধুময় স্মৃতিগুলো তাঁকে কাঁদায়। ডাঙায় তোলা জলের মাছের মতো তিনি ছটফট করেন। ছোটবেলায় সেই বালুচর অথবা সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার সেই আনন্দময় স্মৃতি তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা সত্তে¡ও তাঁর আর দেশে ফেরা হয় না। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায়ও প্রবাসী কবির মনে একই অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুভ‚তি দেশপ্রেম থেকে উৎসারিত। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে গভীর দেশপ্রেম, যা ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলকথা।  ‘কপোতাক্ষ নদ’ মাইকেল মধুসূদন দত্তের এক অসামান্য সৃষ্টি। তিনি জন্মভ‚মির প্রতি মানুষের চিরন্তন অনুভ‚তি ও হৃদয়ের টান চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন এই কবিতায়। প্রবাসজীবনে তার শুধু স্বদেশের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের কথা মনে হয়েছে। এই নদের দেখা তিনি আর পাবেন কি না তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির আত্মার সংযোগ এতটাই যে, তিনি এই নদের জলরাশিকে মাতৃদুগ্ধের সাথে তুলনা করেছেন।  উদ্দীপকে আমেরিকাপ্রবাসীও দেশের প্রতি স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ করেছেন। সারা দিনমান যেন শুধু জন্মভ‚মির কথাই তাঁর মনে পড়ে। সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার কথা, বালুচরে ঘুরে বেড়ানোসহ তাঁর কত কথাই মনে পড়ছে। জন্মভ‚মির জন্য তাঁর মন ছটফট করছে। ছুটে আসতে ইচ্ছে করে জন্মভ‚মির কাছে। মধুময় স্মৃতিগুলো তাঁকে কাঁদালেও তাঁর আর ফিরে আসা হয় না।  উদ্দীপকে প্রবাসীর জন্মভ‚মির প্রতি যে গভীর মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে তা ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির গভীর ভাবাবেগকে ধারণ করে। কবি এবং উদ্দীপকের প্রবাসী উভয়ই বিদেশ বিভূঁইয়ে জন্মভ‚মির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। স্বদেশের প্রাকৃতিক অনুষঙ্গকে মনে করে দুজনেই হয়েছেন স্মৃতিকাতর। ফলে একই অনুভ‚তি ব্যক্ত হয়েছে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায়। উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাব এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব তাই একই সূত্রে গাঁথা।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   বাংলার নদী কি শোভাশালিনী কি মধুর তার কুল কুল ধ্বনি দু’ধারে তাহার বিটপীর শ্রেণি হেরিলে জুড়ায় হিয়া। ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোন কাব্যটি? ১ খ. ‘দুগ্ধ স্রোতোরূপী তুমি জন্মভ‚মি-স্তনে’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ গ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাবের সাথে উদ্দীপকের মূলভাবের সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩ ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার পরিণতির দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিতÑ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি। খ. স্বদেশ ও শৈশবÑকৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।  প্রবাসে বসবাস করলেও স্বদেশকে গভীরভাবে ভালোবাসেন ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বিশেষভাবে তাঁকে আলোড়িত করে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিঘেরা কপোতাক্ষ নদ। এই নদীর সাথে কবির যেন নাড়ির সম্পর্ক বিদ্যমান। কবিতায় জন্মভ‚মিকে তিনি মা হিসেবে কল্পনা করেছেন। আর কপোতাক্ষ নদকে কল্পনা করেছেন সেই মায়ের স্তনের অমূল্য দুগ্ধ হিসেবে। এর মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির অত্যন্ত গভীর অনুরাগের প্রমাণ পাওয়া যায়। গ. স্বদেশের নদীর প্রতি মুগ্ধতার অনুভ‚তি প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মাঝে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।  ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি মাইকেল মদুসূদন দত্ত স্বদেশের প্রতি তাঁর প্রাণের গভীর আবেগ প্রকাশ করেছেন কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে। এই নদীর তীরে তাঁর মধুময় শৈশব-কৈশোর কেটেছে। প্রবাসজীবনের একাকিত্বের মাঝে বারবার তাঁর মন সেই নদের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কপোতাক্ষ নদ Read More »

Scroll to Top