নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বাঙলা শব্দ

বাঙলা শব্দ হুমায়ুন আজাদ লেখক পরিচিতি : নাম হুমায়ুন আজাদ। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৪৭ সালের ২৮শে এপ্রিল। জন্মস্থান : মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের অন্তর্গত রাড়িখাল গ্রাম। কর্মজীবন/ পেশা দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্যসাধনা একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, ভাষাবিজ্ঞানী ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কাব্য : অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, কাফনে মোড়া অশ্রæবিন্দু। উপন্যাস : ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, সব কিছু ভেঙে পড়ে। গল্পগ্রন্থ : যাদুকরের মৃত্যু। প্রবন্ধগ্রন্থ : নিবিড় নীলিমা, বাঙলা ভাষার শত্রæমিত্র, বাক্যতত্ত¡, লাল নীল দীপাবলি, কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী। পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঙলা ভাষার শতকরা কতটি শব্দ মৌলিক বা বাঙলা শব্দ? জ ক. ৫২টি খ. ৪৪টি গ. ৯৬টি ঘ. ৯৮টি ২. ‘কেষ্ট’ ও ‘রঙিন’ এ শব্দ দুটোকে বিকলাঙ্গ বলা হয় কেন? ক. এ দুটো সংস্কৃত শব্দ খ. এ দুটো প্রাকৃতের অবিকশিত রূপ গ. এ দুটো তদ্ভব শব্দ বলে ঘ. এ দুটোর উৎস অজ্ঞাত বলে [বিশেষ দ্রষ্টব্য – প্রশ্নটি ত্রæটিপূর্র্ণ। প্রাকৃতের অবিকশিত রূপ বলে লেখক কেষ্ট শব্দটিকে বিকলাঙ্গ বলেছেন। কিন্তু রঙিন শব্দটিকে বিকলাঙ্গ বলা যায় না। মূলত রঙিন শব্দটির পরিবর্তে রাত্তির হবে। সেক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হবে খ।] ৩. ‘চন্দ’ শব্দটির সাথে নিচের সাদৃশ্যপূর্ণ শব্দ হলো Ñ ক. খল্প খ. দুগ্ধ গ. দ্রম্য ঘ. ঘড়া [বিশেষ দ্রষ্টব্য – প্রশ্নটি ত্রæটিপূর্র্ণ। চন্দ শব্দের পরিবর্তে চাঁদ বসালে সঠিক উত্তর হবে হবে ঘ। কারণ চাঁদ ও ঘড়া উভয়ই তদ্ভব শব্দ।] ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ক. এটি বাংলা শব্দ খ. এটি তৎসম শব্দ গ. এটি তদ্ভব শব্দ ঘ. এটি অর্ধতৎসম শব্দ [বিশেষ দ্রষ্টব্য – ৩ প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে এ প্রশ্নটিও ভুল।]                         সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পণ্ডিত স্যার ক্লাসে প্রায়ই সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম। এ বিষয়ে কৌত‚হলী বেশ কিছু শিক্ষার্থী শেকড়ের সন্ধানে গিয়ে দেখে যে, শুধু সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত, আংশিক পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত রূপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার ভিত। তাই তারা মনে করে সংস্কৃতের সাথে বাংলা ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের মেয়ে বলা যায় না। ক. বাংলা ভাষার শতকরা কতটি তৎসম শব্দ? খ. ‘পরিবর্তনের স্রোতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা’ লেখকের এরূপ মন্তব্যের কারণ কী? গ. উদ্দীপকে শিক্ষার্থীর অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ঘ. বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে পণ্ডিত মশাইয়ের বক্তব্যের যৌক্তকতা ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বাংলা ভাষার শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ পরিবর্তিত হতে হতে বাংলা ভাষার শব্দ বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।  প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ নিয়মকানুন মেনে রূপ বদলিয়ে মধ্যভারতীয় আর্যভাষায় অর্থাৎ প্রাকৃত শব্দে পরিণত হয়। এই শব্দগুলো গা ভাসিয়ে দিয়েছিল পরিবর্তনের স্রোতে। প্রাকৃতে আসার পর আবার বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে তারা বদলে যায়। পরিণত হয় বাংলা শব্দে। এ পরিবর্তনের স্রেতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দের আলোচনার সাথে সংগতিপূর্ণ।  বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। দিন দিন মানুষ কঠিন শব্দ পরিহার করে সহজ শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় চন্দ্র শব্দটি (চন্দ্রচন্দচাঁদ) চাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত ভাষায় রূপ নেয়। প্রাকৃত থেকে আরো একটু পরিবর্তিত হয়ে তা বাংলা শব্দে পরিণত হয়। বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে।  উদ্দীপকে সংস্কৃত ভাষানুরাগী পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের সত্যতা অনুসন্ধান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যে বাংলা ভাষায় উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে সেই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। পণ্ডিত স্যার শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। তারা শেকড়ের সন্ধান করতে গিয়ে জেনেছে সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলার ভিত্তি গড়ে তুলেছে। একক কোনো ভাষার মাধ্যমে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়নি। তাই উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শব্দের উৎসমূল বিশ্লেষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর সেভাবেই তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের সমন্বয়ে বাংলা ভাষায় শব্দ ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা ভাষার সব শব্দ সংস্কৃত থেকে আসেনি। ফলে উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণিত হয়।  ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে আমরা পাই, বাংলা ভাষার শরীর গড়ে উঠেছে তিন রকম শব্দ মিলে। সেগুলো হলো তৎসম, অর্ধতৎসম ও তদ্ভব। এই তিন ধরনের শব্দের সাথে দেশি ও বিদেশি শব্দ মিলে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার। বাংলা ভাষার শব্দের শতকরা বায়ান্নটি শব্দ তদ্ভব ও অর্ধতৎসম। শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ।  উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যার মনে করেন বাংলা সংস্কৃতের মেয়ে। প্রকৃত প্রস্তাবে এ কথাটি আদৌ সত্য নয়। কারণ বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশে এককভাবে কোনো ভাষা অবদান রাখেনি। বরং নানা ভাষার বিভিন্ন শব্দ এসে এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে কোন ভাষার শব্দ কী হারে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে।  ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ তাঁর ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধি এবং প্রচলিত ভাষাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর উৎপত্তি, বিকাশ ও ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেছেন। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে রূপ বদল করে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে বহু শব্দ। আবার আদিবাসী ভাষা থেকে এসেছে দেশি শব্দ। অন্যদিকে বিদেশিদের আগমনের ফলে বেশ কিছু বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। এসব বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায়, পণ্ডিত স্যারের বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ বাংলা ভাষায় সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে আসেনি।       গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   গত কয়েকশত বছরে বিভিন্ন জাতি এই জনপদে এসেছে। তাদের মুখের ভাষা ছিল ভিন্ন ভিন্ন রকমের। ভিন্ন ভিন্ন এই ভাষাকে ধারণ করেছে আমাদের বাংলা ভাষা। কোল মুণ্ডা থেকে আর্য স¤প্রদায়, প্রাকৃতজনের ভাষার পথ ধরে আসা বিভিন্ন শব্দকে বাংলা ভাষা নিজের সন্তানের মতো কোলে তুলে নিয়েছে। এভাবেই পরিভ্রমণের পথ ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা। ক. হুমায়ুন আজাদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১ খ. ‘আমাদের সবচেয়ে প্রিয়রা’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘বিভিন্ন পথ পরিভ্রমণের জন্য ভাষা টিকে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বাঙলা শব্দ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের রূপ ও রীতি

সাহিত্যের রূপ ও রীতি হায়াৎ মামুদ লেখক পরিচিতি : নাম হায়াৎ মামুদ। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৩৯ সালের ২রা জুলাই। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মৌড়া গ্রাম। বর্তমানে ঢাকার গেণ্ডারিয়া অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা। শিক্ষা ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল, কায়েদে-আজম কলেজ (বর্তমানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশা কর্মজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসর গ্রহণ করেন। সাহিত্যসাধনা কবিতা ও গল্প লেখা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু। গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ স্বগত সংলাপ, প্রেম অপ্রেম নিয়ে বেঁচে আছি, রবীন্দ্রনাথ : কিশোর জীবনী, নজরুল ইসলাম : কিশোর জীবনী, প্রতিভার খেলা-নজরুল, বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই, বাংলা লেখার নিয়মকানুন, কিশোর বাংলা অভিধান। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’ Ñ মন্তব্যটি কোনটি সম্পর্কে? জ ক. গীতিকবিতা খ. ছোটগল্প গ. মহাকাব্য ঘ. কাহিনিকাব্য ২. ‘পাঠক সমাজে উপন্যাস সাহিত্য বহুল পঠিত ও জনপ্রিয়।’ কারণ উপন্যাস Ñ র. সহজ-সরল-প্রাঞ্জল রর. পাঠক নিজেকে খুঁজে পায় ররর. এখানে সমাজ-দেশ ও জাতির প্রতিফলন ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৩. ‘গল্পপাঠ শেষ করেও পাঠক কাহিনির সমাপ্তি খুঁজে’ বক্তব্যটি ধারণ করে যে পঙ্ক্তি Ñ র. ঘটনার ঘনঘটা রর. শেষ হয়ে হইল না শেষ ররর. অন্তরে অতৃপ্তি রবে নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. জীবনের পূর্ণাবয়ব নয়, খণ্ডাংশকে লেখক রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের কোনো একটি বিশেষ মুহূর্ত কোনো বিশেষ পরিবেশের মধ্যেÑস্বল্পসংখ্যক চরিত্রের মাধ্যমে এর পরিণতি ঘটে। উদ্দীপকে সাহিত্যের কোন শাখার পরিচয় ফুটে উঠেছে ? ছ ক. কবিতা খ. ছোটগল্প গ. উপন্যাস ঘ. নাটক             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কাহিনির উৎস পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা, আয়তনে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে, সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। এর নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী, আপসহীন দৃঢ়চেতা। কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। ক. সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কোনটি? ১ খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন ? ২ গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যে রূপ ও রীতি’ রচনার সাহিত্যের কোন শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান Ñ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।’ মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ সৌন্দর্য সৃষ্টির মাধ্যমে আনন্দ দান। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কারণ নাটক একই সাথে দেখা ও শোনা যায়।  বিশ্বসাহিত্যে নাটকই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এর দর্শক সমাজ। নাটক যদি দর্শকের সামনে উপস্থাপিত না হয় তবে এর উদ্দেশ্য সার্থকতা পায় না। সেকালে নাটক পঠিত হতো না, অভিনীত হতো। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাটককে তাই দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।  লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, কবিতার অন্যতম প্রধান রূপভেদ হচ্ছে মহাকাব্য। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। অর্থাৎ মহাকাব্য অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তা গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখিত হয়। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে।  আলোচ্য উদ্দীপকে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মহাকাব্যের কাহিনির উৎস হবে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা। এর আয়তন হবে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে। এটি সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। আপসহীন, দৃঢ়চেতা, প্রভাবশালী ও বীরচিত হবে নায়ক চরিত্র। এতে কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। উদ্দীপকে মহাকাব্যের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত’। কারণ উদ্দীপকে সাহিত্যের একটি মাত্র শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের রূপ বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমনÑ কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের এই শাখাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে তার বিশদ পর্যালোচনা করেছেন।  উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়েছে সাহিত্যের একটি বিশেষ দিক নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে মহাকাব্য; মহাকাব্যের কাহিনি হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। বিশাল আয়তন, সর্গে বা পর্বে বিভক্ত, পদ্যে রচিত, নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী ও দৃঢ়চেতা, কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে এগুলোই মূলত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকে সাহিত্যের মাত্র একটি শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন সাহিত্যের সকল শাখা যেমনÑ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে সাহিত্যের একটি শাখা মহাকাব্য (কবিতা) নিয়ে। মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই উদ্দীপকের আলোচনা সীমাবদ্ধ। তাই বলা হয়েছে, উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষায়, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলাই সাহিত্যের কাজ। ক. নাটকে সাধারণত কয়টি অঙ্ক থাকে? ১ খ. ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকেই তুলে ধরেছেÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. নাটকে সাধারণত পাঁচটি অঙ্ক থাকে। খ. শেষ হয়েও হইল না শেষ’ এই অতৃপ্তির মধ্য দিয়েই ছোটগল্পের সমাপ্তি হয় ।  ছোটগল্প জীবনের যে অংশ আমাদের দেখায় গল্পে তার আরম্ভ যেমন নেই, তেমনি শেষও হয় না। জীবন-কাহিনির মাঝখান থেকেই ছোটগল্পের সূচনা। ছোটগল্পের সূচনা কোনো জীবনের আরম্ভ নয়। আর মাঝখান থেকে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বলে একটা মধুর অতৃপ্তি মনে থেকে যায়। এ জন্যই বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ। গ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে প্রকাশিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার অনুভ‚তির সামগ্রিকভাবে ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের উক্তিটিতে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাহিত্যের রূপ এবং রীতি আসলে কী সে বিষয়টি লেখক বোঝাতে চেয়েছেন। সাহিত্যের রূপ বলতে বোঝায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ইত্যাদি। আর রীতি হলো ওই শাখাগুলো কীভাবে নির্মিত হয়েছে, তারই পর্যবেক্ষণ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের রূপ ও রীতি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা একাত্তরের দিনগুলি

একাত্তরের দিনগুলি জাহানারা ইমাম লেখক পরিচিতি : নাম জাহানারা ইমাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৩ সালের ৩রা মে। জন্মস্থান : মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রাম। শিক্ষা কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে বিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা করেন। উল্লেখযোগ্য সাহিত্য একাত্তরের দিনগুলি, গজকচ্ছপ, সাতটি তারার ঝিকিমিকি, ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস, প্রবাসের দিনগুলি ইত্যাদি। বিশেষ পরিচয় অবদান শহিদ মুক্তিযোদ্ধা রুমীর মা। ১৯৭১ সালে নিজেও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, রসদ জোগানো, অস্ত্র আনা-নেওয়া, খবর আদান-প্রদান ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। উপাধি শহিদ জননী। মৃত্যু ১৯৯৪ সালের ২৬শে জুন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মুক্তিযুদ্ধের সময় মে মাসের কোন তারিখে মাধ্যমিক স্কুল খোলার কথা বলা হয়েছিল? ছ ক. আট তারিখ খ. নয় তারিখ গ. দশ তারিখ ঘ. এগারো তারিখ ২. ‘নির্লজ্জ মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি’ বলতে কী বোঝ? ছ ক. বিবৃতি দেওয়ানোর ক‚টকৌশল খ. বেয়নটের মুখে দেওয়া বিবৃতি গ. গোয়েবলসের মতো বিবৃতি ঘ. বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর দেওয়া বিবৃতি উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাসে বদি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বদি ঢাকাকে মুক্ত করার জন্য গেরিলা বাহিনীকে সংগঠিত করে। দেশ বিপর্যস্ত বলে সাধারণ পরিবারের সদস্যরা পরিবারকে জানিয়ে কিংবা না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা এবং তাদের পরিবারের প্রত্যাশা ছিল দেশ যেন তাড়াতাড়ি শত্র“মুক্ত হয়। ৩. উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন দিকটিকে উন্মোচিত করেছে? ঝ র. রুমীর যুদ্ধে যাওয়া রর. রুমীর বাবার উৎকণ্ঠা ররর. রুমীর মায়ের উৎকণ্ঠা নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. ররর ৪. উদ্দীপকের অনুভবটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন উদ্ধৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? চ ক. রুমীকে অন্যভাবে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে; কিন্তু মার্সি পিটিশন করে নয় খ. যে কোনো প্রকারে রুমিকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে গ. খুনী সরকারের কাছে রুমীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে দয়া ভিক্ষা করা মানেই রুমীর আদর্শকে অপমান করা। ঘ. রুমীর মতো এমন অসাধারণ মেধাবী ছেলের প্রাণ বাঁচলে দেশেরও মঙ্গল।                 সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছিল। তারেক মাসুদ ‘মুক্তির গান’ প্রমাণ্যচিত্রে দেখিয়েছেন শিল্পীরা বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করছেন। যুদ্ধ কেবল মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। এ যুদ্ধে শিল্পী, কলাকুশলী ও শব্দ-সৈনিকের ভূমিকাও ছিল। ক. যুদ্ধের সময় জামী কোন শ্রেণির ছাত্র ছিল? ১ খ. ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কেন? বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন দিককে উন্মোচিত করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলি’র সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে কি? মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামী দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কারণ প্রিয়জন হারানোর কষ্ট সহজে ভোলা যায় না।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের একটি স্মৃতিচারণামূলক রচনা। লেখিকা মুক্তিযুদ্ধে তার সন্তান রুমীকে হারিয়েছেন। এই রচনায় প্রিয়জন হারানোর গভীর ক্ষত ও যন্ত্রণাই ব্যক্ত হয়েছে। প্রিয় সন্তান রুমীকে বাঁচানোর জন্য তিনি হানাদার বাহিনীর কাছে মার্সি পিটিশন না করে দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় দিয়েছেন। সন্তান ও স্বামী শরীফের মৃত্যুতে তার বেদনা আরো ঘনীভ‚ত হয়েছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-কলাকুশলী ও বুদ্ধিজীবীদের গৌরবময় ভ‚মিকার দিকটি উন্মোচিত করেছে।  শিল্প-সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই একটি দেশের জাতীয় চেতনার জন্ম হয়। আবার শিল্প-সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই কবি-লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীরা সেই চেতনাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। তারা মানুষের মাঝে ন্যায়-অন্যায় বোধ জাগ্রত করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ও প্রতিবাদী করে তোলেন। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় আমরা দেখি স্বাধীন বাংলা বেতারে বহু গুণী শিল্পী, সংবাদ পাঠক ও কলাকুশলী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।  আলোচ্য উদ্দীপকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের একটি বিশেষ দিক ফুটে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একটি নেপথ্য ও ঐতিহাসিক ভ‚মিকা ছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে শিল্পী ও কলাকুশলীরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেন তা প্রদর্শিত হয়। তাই মুক্তিযোদ্ধারাই কেবল দেশ স্বাধীন করেন, নি এই নেপথ্য সৈনিকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। উদ্দীপকের এই ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উল্লিখিত মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী ও কলাকুশলীদের গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকা পালনের বিশেষ দিকটি উন্মোচিত করেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাত্র একটি দিক শিল্পী কলাকুশলীদের ভ‚মিকা আলোচিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিচারণামূলক রচনা। এই রচনায় পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণ, গণহত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন ও বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রাম, জীবন দান, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বীরোচিত ভ‚মিকা, একজন পুত্রহারা জননীর গভীর মর্মবেদনা তথা দেশপ্রেমিকের গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচিত হয়েছে। শত্রæসেনাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনার দিক চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসে থাকেনি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, কলাকুশলীরা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছেন।  উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি নেপথ্য দিক। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার’ কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে কীভাবে ভ‚মিকা পালন করে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পীরা উদ্দীপনামূলক গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গণজাগরণ তৈরি করেন। এক্ষেত্রে শব্দ-সৈনিক ও কলম-সৈনিকদের ভ‚মিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। শিল্পী ও কলাকুশলীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের জন্য লড়াই করার প্রেরণা জোগায়।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মুক্তিযুদ্ধের নানাবিধ বিষয়ের অবতারণা করা হলেও উদ্দীপকে শুধু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলাকুশলীদের ভ‚মিকার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়াবহতার চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়নি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর শত্রæ বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।     গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সেবিকা অনন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রƒষা করেছিলেন। হৃদয়বিদারক সেই স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত করে। অবসর সময়ে তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথাগুলো স্মৃতিচারণ করেন। ক. ঢাকার কয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে? ১ খ. স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না কেন? ২ গ. উদ্দীপকের বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করবে তা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের অনন্যার কর্মকাণ্ড এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ঢাকায় ছয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে। খ. দেশে কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল না বলে স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না। ক্ষ ১৯৭১ সালে এ দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। ফলে দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় কোনো ছাত্রের পক্ষেই স্কুলে যাওয়া

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা একাত্তরের দিনগুলি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পয়লা বৈশাখ

পয়লা বৈশাখ কবীর চৌধুরী  লেখক পরিচিতি : নাম কবীর চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রæয়ারি। জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। পেশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্য তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। উল্লেখযোগ্য রচনা ছয় সঙ্গী, প্রাচীন ইংরেজি কাব্য সাহিত্য, আধুনিক মার্কিন সাহিত্য, সাহিত্য কোষ, স্তঁদাল থেকে প্রস্তু, পুশকিন ও অন্যান্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ছবি কথা সুর ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। উপাধি জাতীয় অধ্যাপক। মৃত্যু ২০১১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ঐতিহাসিক আবুল ফজল নববর্ষকে কী বলে উলে−খ করেছেন? চ ক. নওরোজ খ. জাতীয় উৎসব গ. অনন্য উৎসব ঘ. বর্ষবরণ উৎসব ২. নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে? ছ ক. উগ্র জাতীয়তা খ. ঐক্যবোধ গ. বহুমুখী ভাবনা ঘ. সাংস্কৃতিক ভিন্নতা ৩. বিশ শতকের প্রথমার্ধে নববর্ষ উদ্যাপন অবলম্বন করে জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে কোন্ চেতনা যুক্ত হয়েছিল? চ র. সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা রর. নয়া উপনিবেশবাদ চেতনা ররর. ধর্মবিরোধী চেতনা নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. র ও ররর উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিস্টান বাংলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি’ ৪. উদ্ধৃতাংশে ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে বিধৃত দিকটি হলো Ñ জ ক. বাংলাদেশি জাতীয়তা খ. বাঙালি জাতীয়তা গ. অসাম্প্রদায়িকতা ঘ. কল্যাণ ৫. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবের সাথে নিচের কোনটির সামঞ্জস্য রয়েছে? চ ক. সিরাজদ্দৌলা শেষবারের মতো লড়াই করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমান উভয়কে। খ. ঔপনিবেশিক রাজত্বের দিনগুলোতে নববর্ষ পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছিল। গ. নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য উৎসব, অন্যতম জাতীয় উৎসব। ঘ. সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।           সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ‘ছায়ানট’ নববর্ষের যে উৎসব শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের বাধাহীন পরিবেশে এখন তা জনগণের বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনাময় অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানের পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় মুখোশ, কার্টুনসহ যে-সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করা হয় তাতে আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় এবং সমকালীন সমাজ-রাজনীতির সমালোচনাও থাকে। ক. নববর্ষ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করায় কী প্রকাশ করে? ১ খ. ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বলতে কী বোঝ? ২ গ. ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে প্রকাশিত নববর্ষ উদ্যাপনের কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।’ লেখকের এই প্রত্যাশাই যেন উদ্দীপকটি ধারণ করছে’ Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ নববর্ষ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভ‚তি প্রকাশ করে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা হচ্ছে সেই ধর্মচেতনা যেখানে মানুষ ধর্মে ধর্মে পার্থক্য না করে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে।  বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সর্বজনীন উৎসব। এই আনন্দ উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করে। বিগত বছরের দুঃখ-জরা, কষ্ট-বেদনা ভুলে গিয়ে নতুন বছরে সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। নববর্ষকে সবাই একসাথে বরণ করে নেয়। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসাথে এই বর্ষবরণের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকার চেতনাই ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত নাগরিক বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন প্রদর্শন উদ্দীপকে অনুপস্থিত।  বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব ‘পয়লা বৈশাখ’ কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে ফসল কাটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচীনকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এটি বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে পয়লা বৈশাখ। ব্যবসায়ী মহলে পালিত হয় হালখাতা ও মিঠাই বিতরণ। অর্থনৈতিক কারণে বর্তমানে এটি শহরকেন্দ্রিক পালিত হলেও যথেষ্ট প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়। তবে নববর্ষ উদ্যাপনের ধরন দেখে লেখক এটিকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন।  উদ্দীপকে ১৯৬৭ সাল থেকে বাধাহীন পরিবেশে এদেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালনের কথা বলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য আয়োজনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এসব আয়োজনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র তুলে ধরা হয়। যা আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় ও সমকালীন সমাজ রাজনীতির সমালোচনা বহন করে। নববর্ষ উদ্যাপনের এই দিকটি পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে উল্লিখিত। কিন্তু আজকাল যে এই উৎসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনে রূপ নিচ্ছে তা উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়নি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বাঁচিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যাতে আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয়কে ধারণ করতে পারে সে কারণে এতে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।  পয়লা বৈশাখ নিঃসন্দেহে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এর উদ্যাপন রীতিতে নানা পালাবদল ও বিভিন্ন মাত্রিকতা যুক্ত হচ্ছে। পয়লা বৈশাখ পালনের সাথে কৃষি সমাজের যোগসূত্র ছিল। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। গ্রামীণ উপকরণ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। হালখাতা, মিঠাই বিতরণ, নানা রকম খেলাধুলা, সংগীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি, আলোচনা সভা ইত্যাদি পয়লা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে বর্তমান সময়ে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ করা হচ্ছে। লেখক একে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন। তাগিদ দিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার।  উদ্দীপকে নববর্ষ উৎসব আয়োজনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। ছায়ানটের গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকা, ঢাকার নববর্ষ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ছায়ানট বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেরও রয়েছে অসামান্য অবদান।  সামাজিক প্রকৌশলী বা সংস্কৃতি নির্মাণের কারিগরদের প্রতি লেখক আহŸান জানিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার। কারণ পয়লা বৈশাখকে তার নিজস্ব ভাবমূর্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে শ্রমজীবী মানুষের রাখিবন্ধনকে নতুন করে বাঁধতে হবে। পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ক্ষেত্রে এর ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর উদ্দীপকে এই দিকগুলোই লক্ষ করা যায়।   গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর চৈত্রের শেষে ব্যবসায়ী আতিক সাহেবের মন আনন্দে শিহরিত হয়ে ওঠে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তিনি উন্মুখ হয়ে থাকেন। যাতে পুরনো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে নব উদ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেন। তিনি মনে করেন, নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ক. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি? ১ খ. হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করা হয় কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার যে দিকের আভাস দেওয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘পয়লা বৈশাখ’ অবলম্বনে উদ্দীপকের সর্বশেষ লাইনটির সপক্ষে তোমার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পয়লা বৈশাখ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মমতাদি

মমতাদি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৯০৮। জন্মস্থান : বিহারের সাঁওতাল পরগনা। পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর অঞ্চলের মালবদিয়ায় এবং মায়ের বাড়ি একই অঞ্চলের গাঁওদিয়ায়। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : নীরদাসুন্দরী দেবী। শিক্ষা মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর গণিতে অনার্স নিয়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন। সাহিত্যিক পরিচয় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ গল্প রচনার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার সূচনা। মাত্র একুশ বছর বয়সে বিখ্যাত উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’ রচনা। তিনি পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা, জননী, চিহ্ন, শহরতলী, অহিংস, চতুষ্কোণ। গল্পগ্রন্থ : অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক, সরীসৃপ। মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর । বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল? জ ক. ১০ টাকা খ. ১২ টাকা গ. ১৫ টাকা ঘ. ১৮ টাকা ২. চড় খাওয়ার বিষয়টি দিদি কেন গোপন রেখেছিলেন? ছ ক. লজ্জা পেয়ে খ. আত্মসম্মানের জন্য গ. বিপদের আশঙ্কায় ঘ. চাকরি যাওয়ার ভয়ে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : মা মারা গেলে নিরাশ্রয় কেষ্টা বৈমাত্রেয় বোন কাদম্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার এই অনাকাক্সিক্ষত আগমন কাদম্বিনী ভালোভাবে নেয়নি বরং মনে মনে সে ভীষণ অখুশি। তাকে দিয়ে প্রতিনিয়ত সংসারের নানা কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কারণে অকারণে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করে। নিরুপায় কেষ্টা সবকিছু নীরবে সহ্য করে। ৩. যে বিচারে কেষ্টা ও মমতাদি একসূত্রে গাঁথা তা হলোÑ চ র. দারিদ্র্য রর. অসহায়ত্ব ররর. নিরাশ্রয় নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. একসূত্রে গাঁথা সত্তে¡ও মমতাদি ব্যতিμম হওয়ার কারণ। তিনিÑ ঝ ক. পরিশ্রমী খ. স্বল্পভাষী গ. সময়নিষ্ঠ ঘ. সাদরে গৃহীত                   সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রাসেল ড্রাইভার হিসেবে যেমন দক্ষ তেমনি সৎ। প্রকৌশলী এমারত সাহেব তাকে ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেন। ইফতি, সনাম ও শিলাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসাই তার প্রধান কাজ। ঘরের সবাই ওকে ভীষণ ভালোবাসে। ইফতিরা ওকে ভাইয়া বলে ডাকে, একসাথে খায়, গল্প করে, বেড়াতে যায়। রাসেলের প্রতি সন্তানদের এই আচরণে এমারত সাহেব ভীষণ খুশি। ক. মমতাদির বয়স কত ছিল? ১ খ. মমতাদির চোখ সজল হয়ে উঠেছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকে রাসেলের মাঝে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের আচরণের ফুটে ওঠা দিকটি সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে কতটুকু প্রভাব ফেলে? যুক্তিসহ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মমতাদির বয়স ছিল ২৩ বছর। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আশাতিরিক্ত মাইনে নির্ধারণ করায় মাইনের কথা জেনে মমতার দুচোখ কৃতজ্ঞতায় সজল হয়ে উঠল।  মমতা অভাবের তাড়নায় পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। তাই সে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। সে এই কাজ করতে গিয়ে সর্বোচ্চ বারো টাকার মতো বেতন আশা করেছিল। কিন্তু গৃহকর্ত্রী পনেরো টাকা বেতন নির্ধারণ করেন। এ কারণে কৃতজ্ঞাতায় মমতার দুচোখ সজল হয়ে উঠল। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীকের রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি হচ্ছে দক্ষতা ও সততা।  ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি দরিদ্র হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ। গৃহকর্ত্রীর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করে সুনিপুণভাবে সব কাজ সম্পন্ন করেছে। কখনও ফাঁকি দেওয়ার কথা ভাবেনি। সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং নিজ কাজে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। নিখুঁতভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করত সে।  উদ্দীপকের রাসেল একজন দরিদ্র ড্রাইভার হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং দক্ষ। সে তার কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা দিয়ে মালিক এমারত সাহেব ও তার পরিবারের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। এমারত সাহেবের সন্তানেরা তাকে পরিবারের একজন হিসেবে মনে করেছে। ফলে সকলের সাথে তার গড়ে উঠেছে গভীর সম্পর্ক। সুতরাং গল্পের মমতাদি চরিত্রের দক্ষতা এবং সততার গুণটিই উদ্দীপকে রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।  ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অসাধারণ সৃষ্টি। মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারীর হয়েও সে অভাবের তাড়নায় অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। তার সততা, চরিত্র মাধুর্য ও কর্মদক্ষতায় সে সহজেই গৃহকর্ত্রীসহ সকলের মন জয় করে নেয়। গৃহকর্ত্রীও ছিলেন অত্যন্ত উদার মনের মানুষ। মমতাদিকে কখনও গৃহকর্মী ভেবে তুচ্ছ জ্ঞান করেননি। বরং যথাযথ মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করেছেন।  উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেল যেমন সৎ তেমনি দক্ষ। এমরাত সাহেবের সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়াই তার কাজ। সে তার সব কাজ নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে করেছে। শিশুরা তাকে ভাইয়া বলে ডকে। একসাথে খেলে, ঘোরে, গল্প করে। সন্তানদের আচরণে এমারত সাহেবও খুশি। মোটকথা একজন ড্রাইভারের সাথে তার পরিবার অত্যন্ত মানবিক আচরণ করেছে। তার নিজের পরিবারের সদস্যের মতো ব্যবহার করেছে।  ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুল-পড়–য়া ছেলেটির পরিবার যেমন মমতাদির সাথে মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করেছে উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেলের সাথেও এমারত সাহেবের পরিবার ও সন্তানেরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছে। দুটি পরিবারের এই আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। উঁচু-নীচু প্রভেদ ভুলে প্রতিটি মানুষের সাথে এমনি করে মানবিক আচরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আভিজাত্য ও প্রতিপত্তির মিথ্যা অহংকারেই সমাজে সব অনাচার ও অশান্তি সৃষ্টি হয়। মমতাদি ও ড্রাইভার রাসেলের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে মনুষ্যত্বেরই জয় ঘোষিত হয়েছে। তাই সবাইকে এ ধরনের আচরণেই অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   দারিদ্র্যের কারণে নিলুফা বেশি পড়াশোনা করতে পারেনি। এসএসসি পাস করে সে একটি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। কাজের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা দেখে প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই তার প্রশংসা করে। তবে মাঝেমধ্যে কারও কটু কথা শুনলে তার মনে খুব দুঃখ লাগে। সে মর্মাহত হয়। ক. মমতাদির বয়স কত? ১ খ. মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিল কেন বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।”Ñ যুক্তিসহকারে উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মমতাদির বয়স তেইশ বছর। খ. সংসারে দারিদ্র্যের কারণে মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিলো। ক্ষ মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। কিন্তু সংসারে প্রচণ্ড অভাবের কারণে তাকে পর্দা ঠেলে বাইরে আসতে হয়েছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। ঘরে খাবার নেই। তীব্র অভাবে বাধ্য হয়ে মমতাদি বাইরে এসেছে এবং কাজ খুঁজতে বেরিয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই তিনি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছেন। গ. কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার দিক থেকে উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ। 

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মমতাদি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব

শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব মোতাহের হোসেন চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম মোতাহের হোসেন চৌধুরী। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম। শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ পাস করেন। পেশা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। সাহিত্যিক পরিচয় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘শিখা’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতি কথা (লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মননশীল প্রবন্ধ ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন)। অনুবাদগ্রন্থ : সভ্যতা (ক্লাইভ বেল-এর সিভিলাইজেশন-এর অনুবাদ), সুখ (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস-এর অনুবাদ)। মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কোন দিকে লক্ষ রেখে? ছ ক. অর্থনৈতিক মুক্তির খ. আত্মিক মুক্তির গ. চিন্তার স্বাধীনতা ঘ. বুদ্ধির স্বাধীনতা ২. আত্মিক মৃত্যু বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? র. স্বাভাবিক মৃত্যু রর. নৈতিক অধঃপতন ররর. মূল্যবোধের অবক্ষয় নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুকুর মিয়া তার স্কুল-পড়–য়া ছেলেকে ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি মনে করেন টাকাই জীবনের মূল। দুনিয়াতে যার যত টাকা সে তত বেশি সুখী। ৩. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিতে উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছেÑ র. ক্ষুৎপিপাসা রর. আত্মার অমৃত ররর. অর্থলিপ্সা নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. শুকুর মিয়ার মানসিকতা পরিবর্তন হতে পারে যদি তিনিÑ চ ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন খ. শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিককে গুরুত্ব দেন গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে সর্বদা বন্দি থাকেন ঘ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে বড় করে না দেখেন                   সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়। ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন? খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন? গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো। ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে দুইটি উপায়ের কথা বলেছেন। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।  লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত’¡ প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন। একটি জীবসত্তা আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তা অর্জনের দিকটি প্রতিফলিত।  শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধ অনুযায়ী জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় উত্তরণের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে শেখায় কী করে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। জীবনে অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এ কথা সত্য। কিন্তু অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়। জীবনের প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে না পারলে মানবজীবনে শিক্ষা কোনো বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করতে পারে না। জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জন। জীবনে মুক্তি অর্জনের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আরেকটি হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা।  উদ্দীপকের সুমন উচ্চ শিক্ষিত। সে পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক। কিন্তু সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত নিজ এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সুমন তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি ক্রয় করে। এখানে সুমনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই শিক্ষা তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারেনি। সে তার অর্থ সাধনাকেই জীবন সাধনা জ্ঞান করেছে। সে লোভী অর্থের মোহে অন্ধ। লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে। তার দ্বারা কোনো মানবিক কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট আর আহাজারিতেও তার হৃদয় বিগলিত হয়নি। তাই আমরা লক্ষ করি সুমন শিক্ষিত হলেও তার মাঝে শুধু জীবসত্তার বিকাশ ঘটেছে। মনুষ্যত্ব সে অর্জন করতে পারেনি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত। আর এই অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক।  ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থচিন্তার নিগড়ে মানুষ বন্দি। ধনী-দরিদ্র সকলের মাঝে কাজ করে তার অর্থলিপ্সা। শুধু চাই, আর চাই। মানুষের মধ্যে বিদ্যমান জীবসত্তা মানুষকে অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তার মধ্যেই ব্যাপৃত রাখে। যাকে লেখক শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিক বলে উল্লেখ করেছেন। আর শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকটিকে বলা হয়েছে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক। যাকে লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠ দিক বিবেচনা করেছেন। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি অর্জনই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য। কারণ অন্ন-বস্ত্রের সমস্যাকে বড় করে দেখলে সুফল পাওয়া যাবে না।  উদ্দীপকের শ্যামল উচ্চশিক্ষিত। শিক্ষাজীবন শেষে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিক্ষকতাকে। সিডরে তার গ্রামটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্গত ও অসহায় মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। শ্যামলের শিক্ষা-দীক্ষা তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করেছিল। ফলে শ্যামল এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে। কিন্তু একই গ্রামের শিক্ষিত ও বাল্যবন্ধু সুমন সহায়তার হাত না বাড়িয়ে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়।  ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি হচ্ছে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা। সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। আলোচ্য উদ্দীপকের শিক্ষক শ্যামল নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছে। সে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি গুরুত্বসহকারে নিজের মধ্যে চর্চা করেছে। তাই তার দ্বারা মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। পরের জন্য সে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মনোভাব পোষণ করে। তাই বলা হয়েছে, ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’।     গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মৃতপ্রায় দশ বছরের ফেলানীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে ফেলানীর কাছ থেকে জানা যায় সে গুলশানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমিনা বেগমের বাসায় কাজ করত। পান

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন কাজী নজরুল ইসলাম লেখক পরিচিতি : নাম কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মে, বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। শিক্ষা প্রথমে বর্ধমানে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। পেশা ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীল বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। সাহিত্যিক পরিচয় বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি ছিলেন। সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, পত্রসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী। পুরস্কার ও সম্মাননা স্বাধীনতার পর কবিকে ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। উপাধি বিদ্রোহী কবি। মৃত্যু মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ২৯শে আগস্ট, বাংলা ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ই ভাদ্র ঢাকার পি.জি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।                     বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আজ আমাদের মহাজাগরণের দিনে উপেক্ষিত ব্যক্তিদের উপর কত আনা শক্তি নির্ভর করছে? জ ক. ছয় আনা খ. আট আনা গ. দশ আনা ঘ. বারো আনা ২. আজ আমাদের এত অধঃপতনের কারণ কী? চ ক. মেহনতি মানুষদের প্রতি অবহেলা খ. গণজাগরণের অভাব গ. স্বপ্নরাজ্যে বিচরণ ঘ. ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘ভৃত্য চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি, মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।’ ৩. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের কোন মানসিকতার পরিচয় উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে? ঝ ক. অসাম্প্রদায়িকতার খ. সত্যবাদিতার গ. ভ্রাতৃত্ববোধের ঘ. সাম্যবাদিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ‘তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি, তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি; তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান, তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!’ ক. ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় কী বলা যায়? ১ খ. আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কেন? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্রÑ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় জাতি বলা হয়। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কারণ আমরা ‘দশ আনা’ জনশক্তিকে উপেক্ষা করে আসছি।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে তথাকথিত ছোটলোক স¤প্রদায়কে উপেক্ষিত স¤প্রদায় বলা হয়েছে। লেখকের মতে সাম্যবাদী ও গণতান্ত্রিক চেতনার আলোকে এই উপেক্ষিত শ্রেণিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে, তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অভিজাত শ্রেণি সমাজের অধঃপতিত, দুর্বল শ্রেণিকে যুগের পর যুগ অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছে। তাদের যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে জনশক্তি গঠিত হতে পারছে না। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত উপেক্ষিত শক্তির জয়গান করা হয়েছে।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমাজের একটি অসংগতির বিষয়ে আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আমাদের সমাজের আভিজাত্য গঠিত কথিত ‘বড়লোক’ স¤প্রদায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষকে ‘ছোটলোক’ আখ্যায়িত করে। তাদের অহেতুক হেয় প্রতিপন্ন করে থাকে। তাদের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। অথচ এরাই দেশের উন্নয়নের চাকা। নজরুল এই শ্রেণিকে উপেক্ষার আঘাতে জর্জরিত না করে তাদের বুকে টেনে নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন।  উদ্দীপকে মজুর, মুটে ও কুলিদের অবদানের কথা বলা হয়েছে। কারণ তাদের রক্তে ও ঘামে গড়ে ওঠে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। তারা যদি তাদের কাজ না করত তবে কথিত ‘ভদ্রলোক’ বা ‘বড়লোক’ স¤প্রদায়ের জীবন স্থবির হয়ে পড়ত। তাদের গায়ে ধূলি লাগে বলেই আমরা কেতাদুরস্ত হয়ে চলাফেরা করি। অথচ তাদের কাজের ফলাফল অত্যন্ত মহৎ ও কল্যাণকর। যে কারণে কবি তাদেরই সত্যিকারের মানুষ বলেছেন, তাদেরই দেবতা জ্ঞান করেছেন। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও একই অনুভ‚তি প্রকাশিত হয়েছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে মেহনতি মানুষদের মূল্যায়নের আহŸান জানানোর পাশপাশি বর্ণিত হয়েছে তা করার গুরুত্ব। উদ্দীপকে এসেছে কেবল মূল্যায়নের দিকটি।  কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহ ছিল অসাম্য ও অসংগতির বিরুদ্ধে। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও তাঁর সেই চেতনা আমরা লক্ষ করি। সমাজে একটি শ্রেণি অসহায় দরিদ্র মানুষকে ছোটলোক বলে গালি দেয়। তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা দিতে চায় না। নজরুল সমাজে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশে নজরুল তাদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে বলেছেন।  উদ্দীপকে অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় মুটে, মজুরদের কথা বলা হয়েছে। সমাজে উঁচুতলার মানুষগুলো এই শ্রমিক মেহনতি মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলেই সুখে অট্টালিকায় বাস করে। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোই সত্যিকার মানুষ। তাদের অবদানেই দেশে উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হয়। এই শ্রেণির মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করার বিষয়টি আলোচ্য প্রবন্ধে আরো বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাম্যবাদী চেতনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি ছোট-বড়, উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহŸান জানিয়েছেন। মর্যাদাবান জাতি ও রাষ্ট্রগঠনে বিভিন্ন দেশের মনীষীগণ কীভাবে আমরণ সংগ্রাম করেছেন তা বাস্তবভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল মুটে, মজুর, কুলি শ্রেণি কীভাবে উন্নয়নে ও মানবতার সেবায় অবদান রাখে তা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রবন্ধে কাজী নজরুল যেমন নানা যুক্তিতে উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তেমনটি নেই উদ্দীপক কবিতাংশে। তাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্র। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী তথা কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সে দেশের জনসংখ্যার অনুপাত কৃষ্ণাঙ্গ ৮৪%, শ্বেতাঙ্গ ১৬%। এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী শ্বেতাঙ্গরাই দেশটিকে তিন শতাধিক বছর শাসন করে। রাজশক্তির বিরুদ্ধে নেলসন ম্যান্ডেলা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে প্রায় ২৮ বছর জেল খাটতে হয়। দমে যাননি ম্যান্ডেলা, সার্থক তাঁর জীবন সংগ্রাম। ক. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’Ñএ প্রবন্ধকারের কোন মানসিকতা ফুটে উঠেছে? ১ খ. আমাদের এত অধঃপতনের কারণ ব্যাখ্যা করো। ২ গ. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের ভদ্র স¤প্রদায়ের সাথে উদ্দীপকের শ্বেতাঙ্গদের মানসিকতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. কৃষ্ণাঙ্গদের নেতা ম্যান্ডেলা এবং ছোটলোকদের নেতা মহাত্মা গান্ধী যেন এক ও অভিন্নÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘উপপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’- এ প্রবন্ধকারের সাম্যবাদী মানসিকতা ফুটে উঠেছে। খ. লেখকের মতে তথাকথিত ছোটলোক স¤প্রদায়ের লোকদের প্রতি অবহেলার কারণেই আজ আমাদের এত অধঃপতন। ক্ষ আমরা নিজেদের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন Read More »

Scroll to Top