নবম-দশম

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিমগাছ

নিমগাছ বনফুল লেখক পরিচিতি : প্রকৃত নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ সালের ১৯শে জুলাই। জন্মস্থান : বিহারের পূর্ণিয়ার অন্তর্গত মণিহার গ্রাম। পিতৃপরিচয় ডা. সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। শিক্ষা পূর্ণিয়ার সাহেবগঞ্জ ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, হাজারীবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে আইএসসি এবং পাটনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি. পাস করেন। পেশা কর্মজীবন শুরু হয় মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে। সাহিত্যিক পরিচয় ১৯১৮ সালে ‘শনিবারের চিঠি’তে ব্যঙ্গ-কবিতা ও প্যারডি লিখে সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ ঘটে তাঁর। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় অভিনব এক-আধপাতার গল্প লেখেন, যেগুলো আঙ্গিকে ক্ষুদ্র অথচ বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখযোগ্য রচনা গল্পগ্রন্থ : বনফুলের গল্প, বনফুলের আরো গল্প, বাহুল্য, বিন্দুবিসর্গ, অনুগামিনী, তন্বী, ঊর্মিমালা, দূরবীন। উপন্যাস : তৃণখণ্ড, কিছুক্ষণ, দ্বৈরথ, নির্মোক, সে ও আমি, জঙ্গম, অগ্নি। কাব্যগ্রন্থ : বনফুলের কবিতা, ব্যঙ্গ কবিতা, চতুর্দশপদী। জীবনী নাটক : শ্রীমধুসূদন, বিদ্যাসাগর। পুরস্কার ও সম্মাননা বিভিন্ন পুরস্কারসহ ‘পদ্মভ‚ষণ’ উপাধি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭৯ সালের ৯ই ফেব্রæয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।                 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. নিমগাছের ছাল নিয়ে লোকজন কী কাজে লাগায়? চ ক. সিদ্ধ করে খায় খ. ভিজিয়ে খায় গ. শুকিয়ে খায় ঘ. রান্না করে খায় ২. বাড়ির পাশে গজালে বিজ্ঞরা খুশি হয় কেন? জ ক. এটা দেখতে সুন্দর খ. এটা উপকারী গ. এটা পরিবেশবান্ধব ঘ. এটা আকারে ছোট নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : গফুরের প্রিয় ষাঁড় মহেশ। প্রায় আট বছর প্রতিপালন করে সে এখন বুড়ো হয়েছে। গফুর সাধ্যমত তার যতœ নেয়। পরিবারের কেউ তাকে চায় না। কিন্তু গফুর সন্তানস্নেহে তাকে লালন করে। নিজের খাবার না খেয়ে ঘরের চাল পেড়ে মহেশকে খেতে দেয়। ৩. উদ্দীপকের মহেশ-এর সাথে যে দিক দিয়ে ‘নিমগাছ’ গল্পটি সাদৃশ্যপূর্ণ তা হলোÑ ছ র. অবদান রর. প্রয়োজনীয়তা ররর. পরোপকার নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. সাদৃশ্য থাকলেও নিমগাছটা কোন বিচারে ব্যতিμম? চ ক. উপেক্ষিত খ. উপকারী গ. আত্মত্যাগী ঘ. নিরহংকারী সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রহিমদের বাড়িতে দীর্ঘ চলি−শ বছর যাবৎ কাজ করছেন আকলিমা খাতুন। এক কথায় তাদের সংসারটা শুধু বাঁচিয়ে রেখেছেন তা নয় বরং তাদের সমৃদ্ধির মূলে তার অবদান সীমাহীন। বয়সের ভারে আজ সে অক্ষম হয়ে বিদায় নিতে চায়। কেননা তার পক্ষে এখন আর গতর খাটানো অসম্ভব। তার এ প্রস্তাবে রহিম বলে, ‘আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। জীবনের বাকি সময়টুকু আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে কাটাবেন।’ ক. চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ কোনটি? ১ খ. নিমগাছটি না কাটলেও কেউ তার যতœ করে না কেন? ২ গ. উদ্দীপকের আকলিমার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্রভাবকে নয় বরং বিশেষ একটা দিককে তুলে ধরেÑ যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ নিমগাছের পাতা। ১ এর খ নং প্র. উ.  ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে নিমগাছ যতœ না করলেও বেড়ে ওঠে। আর ঔষধি গুণ আছে বলেই বাড়ির আশপাশে জন্মালে কেউ কাটে না।  বনফুলের প্রতীকী ও তাৎপর্যপূর্ণ গল্প ‘নিমগাছ’। লেখক এখানে নিমগাছ ও নিমপাতার গুণাগুণ বর্ণনা করেছেন। নিমগাছ চর্মরোগ, কৃমিনাশক, পেটের পীড়া প্রভৃতি নিরাময়ে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিমগাছের ছাল পাতা এবং নিমফল থেকে উৎপন্ন নিমতেল ওষুধ প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানাবিধ উপকারিতার জন্য এ গাছ কেউ সহজে কাটে না। ১ এর গ নং প্র. উ.  স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে নিমগাছ যেমন উপকারী, আকলিমাও রহিমদের পরিবারে তেমনি উপকারী ও প্রয়োজনীয়।  ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের উপকারিতা তুলে ধরেছেন। নিম গাছের ছাল, পাতা, ফল খুবই উপকারী। গাছটি পরিবেশবান্ধব। এর ছাল, পাতা, ফল, চর্মরোগ, পেটের পীড়া, বমি প্রভৃতি নিরাময়ে খুব ভালো কাজ করে। কচি ডাল ভেঙে চিবালে দাঁত ভালো থাকে। কচি পাতা ভেজে বেগুনসহকারে খেলে যকৃতের খুব উপকার হয়। নিমের হাওয়া ভালো বলে এটিকে কেউ কাটতে দেয় না।  উদ্দীপকের আকলিমা রহিমদের বাসায় কাজ করেন চল্লিশ বছর ধরে। ওই সংসারে তার অবদান অসামান্য ও সীমাহীন। বয়সের ভারে অক্ষম হয়ে পড়ায় তিনি বিদায় নিতে চান। তিনি মনে করেন তার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। কিন্তু রহিম তাকে কোথাও যেতে দেয়নি। বরং পরিবারের সদস্য হয়ে বাকি জীবন কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে। আকলিমার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছের সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ আকলিমা নিমগাছের মতো একই স্থানে থেকে পরের উপকার করেছেন। ওই পরিবারে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। উভয়ের কাজ পরের কল্যাণ। কিন্তু কেউ নিজের অবস্থান ছেড়ে যেতে পারেনি। আকলিমা শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও তিনি একটা মায়ার জালে আটকা পড়েছেন। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে আকলিমা খাতুনের শুধু পরার্থে বিশেষ অবদানের কথা বলা হয়েছে, ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্রভাবকে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরেনি।  ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের গুণাগুণের পাশাপাশি একটি গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন। নিমগাছের পাতা, বাকল, ফল প্রভৃতি ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিমগাছের ছায়া ও বাতাস বিশেষ উপকারী। নিমগাছের নানা উপকারিতা আছে বলে মুরব্বিরা এই গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু এটি খুব অনাদরে অবহেলায় বিনা পরিচর্চায় বড় হয়ে থাকে। লেখকের শুধু নিমগাছের গুণাগুণ বর্ণনাই উদ্দেশ্য নয়। তিনি মানবজীবনের গভীর তাৎপর্যের দিকটিও তুলে ধরেছেন। এত গুণাগুণ সত্তে¡ও নিমগাছটি যেমন ময়লা-আবর্জনায় মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে তেমনি বাড়ির গৃহকর্ম নিপুণা লক্ষ­ী বউটা শুধু কাজ করে যায়, কোথাও যেতে পারে না। মনের কোনো ইচ্ছা আকাক্সক্ষা পূরণের সাধ্য তার নেই।  উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে গৃহকর্মী আকলিমা খাতুনের কথা। তিনি রহিমদের সংসারে চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তিনি ভাবছেন তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। তিনি এই সংসার ছেড়ে চলে যেতে চান যদিও সংসারে তার ছিল অসামান্য অবদান। কিন্তু রহিম তাকে চলে যেতে নিষেধ করে তাকে বলেছে পরিবারের সদস্য হয়ে থাকতে।  রহিমদের পরিবারে উদ্দীপকের আকলিমা খাতুনের অবদান অপরিসীম। তার অবদানে ওই পরিবার সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে ‘নিমগাছ’ গল্পে নিমগাছের উপকারিতার শেষ নেই। কিন্তু এটির কোনো চলৎশক্তি নেই, কোথাও যেতে পারে না। উদ্দীপকের আকলিমা হয়তো যেতে পারতেন তিনি কিন্তু এই বয়সে কোথায় যাবেন তাই রয়ে গেছেন। এছাড়া গল্পে একজন গৃহকর্মে নিপুণা ল²ী বউয়ের কথা চমৎকারভাবে শেষ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। একটি লাইনে এই গৃহবধূর অব্যক্ত সব কথাই যেন প্রকাশিত হয়েছে।   ষাট বছরের বৃদ্ধ মকবুলের সাথে বিয়ে হয় তেরো বছরের টুনির। ধানভানা থেকে শুরু করে জমির কাজ সবই মকবুল টুনির দ্বারা করায়। টুনির কর্মদক্ষতার জন্য মকবুলের চাচাতো ভাই মন্তু টুনির রূপে ও গুণে মুগ্ধ। টুনি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে মন্তুর সাথে চলে যাওয়ার। কিন্তু সে যেতে পারে না। ক. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হয়? ১ খ. নিমগাছটার লোকটার সাথে চলে যেতে ইচ্ছে করে কেন? ২ গ. উদ্দীপকের মকবুল ‘নিমগাছ’ গল্পের কার প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “টুনি যেন ‘নিমগাছ’ গল্পের ল²ীবউ”Ñ তুমি কি একমত?

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিমগাছ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ মুহম্মদ (স.)

মানুষ মুহম্মদ (স.) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী লেখক পরিচিতি : নাম মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ২৮শে ভাদ্র। জন্মস্থান : সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রাম। শিক্ষাজীবন কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে। কর্মজীবন পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ‘দৈনিক মোহাম্মদী, ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘দি মুসলমান’ প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করেন। সাহিত্যিক পরিচয় রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সহজ, সরল প্রকাশভঙ্গি। গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। প্রবন্ধগ্রন্থ প্রবন্ধগ্রন্থ : মরুভাস্কর। জীবনীগ্রন্থ : সৈয়দ আহমদ, মহামানুষ মুহসীন, ছোটদের হযরত মুহম্মদ। অনুবাদকর্ম : স্মার্ণানন্দিনী। মৃত্যু ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.) কাদের কাছে উপহাসিত হয়েছিলেন? জ ক. ইহুদিদের খ. খয়বরবাসীদের গ. পৌত্তলিকদের ঘ. হুদায়বিয়াবাসীদের ২. ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর’ এ উক্তিতে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? জ ক. সহনশীলতা খ. উদারতা গ. মহানুভবতা ঘ. বিচক্ষণতা ৩. ‘আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই। আমি এমনই এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাহার নিত্যকার আহার্য। এ বক্তব্যে হযরত মুহম্মদ (স.)- এর চরিত্রের ফুটে ওঠা দিকটি হলোÑ র. নিরহংকার রর. বিচক্ষণতা ররর. সত্যনিষ্ঠা নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোনটির? চ ক. একটিমাত্র পিরান কাচিয়া শুকায় নি তাহা বলে রৌদ্রে ধরিয়া বসিয়া আছে গো খলিফা আঙিনা তলে। খ. তুমি নির্ভীক এক খোদা ছাড়া করোনিকো কারে ভয় সত্যব্রত তোমায় ভাইতে সবে উদ্ধত কয়। গ. উষ্ট্রের রশি ধরিয়া অগ্রে, তুমি উঠে বস উটে তপ্ত বালুতে চলি যে চরণে রক্ত উঠেছে ফুটে। ঘ. বায়তুল মাল হইতে লইয়া ঘৃত-আটা নিজ হাতে বলিলে, এসব চাপাইয়া দাও আমার পিঠের ’পরে।               সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানান। এতে মাত্র চলি−শ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি এক পর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল−াহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল−াহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চলি−শ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায়। ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ১ খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে কী বোঝায়? ২ গ. হযরত নূহু (আ.) যে দিক দিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. হযরত নূহু (আ.)-এর চরিত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে তাঁর মাঝেও হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একটি বিশেষ গুণ ফুটে উঠত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ হযরত মুহম্মদ (স.) কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ সুমহান প্রতিশোধ বলতে লেখক অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নিপীড়নের জবাবে ভালো ব্যবহার ও মনুষ্যত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়েছেন।  মুহম্মদ (স.) মানবতার জন্য কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করলেও বারবার তিনি বৈরীতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পৌত্তলিকের প্রস্তরাঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। সত্য প্রচারের জন্য তায়েফে গমন করলে শত্রæর নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কারো প্রতি তাঁর ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা কোনোটিই ছিল না। জয়ীর আসনে বসার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তাঁর ভেতরকার বিরাট মনুষ্যত্ববোধের কারণেই এই সুমহান প্রতিশোধ নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ হযরত নূহু (আ.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেও মুহম্মদ (স.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।  ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে লেখক মুহম্মদ (স.)-এর অসাধারণ গুণাবলির উল্লেখ করেছেন আদর্শ মহামানব হযরত মুহম্মদ (স.) বিশ্বকে জয় করেছিলেন তাঁর মানবিক গুণাবলি দ্বারা। মানুষের জন্য তিনি দিওয়ানা ও কল্যাণকামী হলেও তাঁর চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তাঁকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিক-মানসিক সব ধরনের নির্যাতনে তাঁকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। এত কিছুর পরও তিনি প্রাণের শত্রæদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কারো বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করেননি।  উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে সবাইকে আহŸান জানালেও মাত্র ৪০ জন মানুষ তার আহŸানে সাড়া দেয়। অন্যরা তাঁর বিরোধিতা এবং অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেলে নূহু (আ.) তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। ওই ৪০ জন বাদে বাকিদের আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। তাই এক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর থেকে হযরত নূহু (আ.)-এর ভিন্নতা আমরা লক্ষ করি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ হযরত নূহু (আ.) যদি আরো ধৈর্য ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করতেন তাহলে মহানবি মুহম্মদ (স.)-এর বিশেষ গুণটি তাঁর মধ্যে ফুটে উঠত।  মানুষ মুহম্মদ (স.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। মানবীয় সকল শ্রেষ্ঠ গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। ভালোবাসা, কল্যাণকামিতা, ধৈর্য ও ক্ষমার মহৎ গুণ আজও পৃথিবীতে উদাহরণ হয়ে আছে। অথচ তাঁর জীবনের মহৎ আদর্শকে গ্রহণ না করে কুরাইশরা তাঁর বিরোধিতা করে নির্যাতন-নিপীড়নের পথ বেছে নেয়। পাথরের আঘাতে তাঁকে বারবার রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তিনি কখনোই শত্রæদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাননি। বরং তিনি ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও করেননি। বরং বলেছেন, “এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো।”  উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) তাঁর স¤প্রদায়কে ধর্ম ও ন্যায়ের পথে আহŸান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চল্লিশজন মানুষ তাঁর আহŸানে সাড়া দেয়। বাকিরা তাঁর বিরুদ্ধাচারণে লিপ্ত হয়। নুহু (আ.) ও তাঁর অনুসারীদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। তাদের অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেলে তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আল্লাহ তখন মহাপ্লাবন দিয়ে অত্যাচারীদের ডুবিয়ে মারেন।  ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবি (স.) সীমাহীন নির্যাতন ও কষ্ট ভোগ করার পরও তিনি কাফেরদের মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো ফরিয়াদ বা প্রার্থনা করেননি। তিনি সবসময় মনে করতেন যারা তাঁর ওপর অন্যায় করেছে তারা না বুঝে করেছে। তিনি তাদের ওপর কোনোরূপ প্রতিশোধের চিন্তা কখনোই করেননি। তিনি মনে করতেন অবাধ্যদের সৎপথে আনার চূড়ান্ত চেষ্টা চালানোই তাঁর কাজ। তিনি সবকিছু বিচার করতেন মানবিক বিবেচনায়। প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা তার ভেতর কখনোই কাজ করেনি। মনুষ্যত্বের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। তাই উদ্দীপকে বর্ণিত নূহু (আ.)-এর মধ্যে যদি ক্ষমা ও ধৈর্যের গুণটি আরো বেশি প্রকাশ পেত তবে মহানবি মুহম্মদ (স.) এর চরিত্রের মতো তা তাঁর মধ্যেও ফুটে উঠত।   স্ত্রীর দেওয়া বিষপানে মৃত্যুকালে ইমাম হাসান তাঁর বিষদাতার পরিচয় জানতে পেরেও তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “তোমাকে বড়ই ভালোবাসিতাম, বড়ই স্নেহ করিতাম, তাহার উপযুক্ত কার্যই তুমি করিয়াছ। তোমার চক্ষু হইতে হাসান চিরতরে বিদায় হইতেছে। সুখে থাক, তোমাকে আমি ক্ষমা করিলাম।” ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে কাকে? ১ খ. ‘তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা’। কেন? বুঝিয়ে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ মুহম্মদ (স.) Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আম-আঁটির ভেঁপু

আম-আঁটির ভেঁপু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখক পরিচিতি : নাম বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৮৯৪। জন্মস্থান : চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : মৃণালিনী দেবী। শিক্ষা স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা রিপন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন এবং ডিস্টিংশনে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা হুগলি, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সাহিত্যিক পরিচয় শরৎচন্দ্রের পরে বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করে অমর হয়ে আছেন। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগ্রন্থ : মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। পুরস্কার ‘ইছামতি’ উপন্যাসের জন্য ১৯৫১ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঘাটশীলায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. উঠানের কোন জায়গা থেকে দুর্গা অপুকে ডাকছিল? জ ক. আমতলা খ. বটতলা গ. কাঁঠালতলা ঘ. জামতলা ২. তেলের ভাঁড় ছুঁলে দুর্গাকে মারবে কেন? র. কুসংস্কারের কারণে রর. অপচয়ের কারণে ররর. না জানানোর কারণে নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. i খ. ii গ. iii ঘ. ii ও iii নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নের উত্তর দাও : রিপন ও রুমা দুই ভাই-বোন। তাদের বয়সের পার্থক্য চার বছর। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হলেও বিভিন্ন জিনিস একে অন্যকে তারা দেখাতে চায় না। রুমার খেলার সামগ্রী রিপন লুকিয়ে রাখে। রুমার বিভিন্ন আদেশ, আবদার রিপন জানতে চায় না। এই নিয়ে ওদের মাকে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। ৩. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে? ঝ ক. ভাই-বোনের সম্পর্ক খ. ভাই-বোনের বিরোধ গ. ভাই-বোনের আবদার ঘ. মায়ের চিন্তা ৪. উদ্দীপকের ভাবনা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন উদ্ধৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? চ ক. তাহার স্বর একটু সতর্কতা মিশ্রিত খ. একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারিস? আমের কুসি জারাবো গ. দুর্গার হাতে একটি নারিকেলের মালা ঘ. নারকেলের মালাটা আমায় দে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনোরকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের। ক. দুর্গার বয়স কত? ১ খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলোনা কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হতে পারল না আত্মসম্মানবোধ ও পাওনাদারদের ভয়ে এসে বলত টাকা দাও, নৈলে যেতে দেব না।  মাসিক ৮ টাকা মাইনের গোমস্তার কাজ করে হরিহর। সামান্য ভিটে বাড়িটি ছাড়া আর কিছুই নেই হরিহরের। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে। ধার শোধ দিতে পারছে না। তাই বামুন হয়ে বসবাসের প্রস্তাবটি তার জন্য সোনায় সোহাগা হলেও সে তা তখনই গ্রহণ করতে পারেনি পাওনাদারদের ভয়ে। তার ভয় পাওনাদাররা খবর পেলে হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। তাছাড়া সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলে তার মর্যাদারও হানি ঘটত বলে সে মনে করেছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার চিত্রটি ফুটে উঠেছে।  বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে মূলত গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের ঘটনাবলি বর্ণিত হয়েছে। অপু ও দুর্গা দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও গল্পে দারিদ্র্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি। গ্রামের ফলমূল আহারের আনন্দ, শিশুর দুরন্তপনা, বিস্ময় ও কৌত‚হল আমাদের চিরায়ত গ্রামীণ শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। দরিদ্র গৃহিণী সর্বজয়ার সংসার নিয়ে ব্যতিব্যস্ততা, হাড়ভাঙা খাটুনি, দুগ্ধ দোহন, সন্তানদের সাথে চেঁচামেচি ইত্যাদি একেবারেই গ্রামীণজীবনের প্রতিচ্ছবি।  উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে গ্রামের নিম্নবিত্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি। মকবুল, আবুল, সুরত আলী পরিশ্রমী মানুষ। সবাই জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত। তাদের নিজের জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা চাষ করে। লাকড়ি কেটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কামলা খেটে তারা অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। বসে নেই তাদের স্ত্রীরাও। পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে কোনোমতে দিন পার করে। উদ্দীপকে তাই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে উল্লিখিত হরিহর ও সর্বজয়ার জীবনযাপনের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। উভয় স্থানেই নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রাম আমরা লক্ষ করি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে আংশিকভাবে ধারণ করে।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অপরাপর সাহিত্যকর্মের মতোই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করেছেন। গল্পের অধিকাংশ জুড়ে আছে ছোট দুটি ভাই-বোনের দুরন্তপনা আর তাদের মধ্যকার খুনসুঁটি। আমের কুসি খাওয়াসহ নানা প্রকার দুষ্টুমি করে মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়েই। অন্যদিকে গৃহিণী সর্বজয়া সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে হরিহর।  উদ্দীপকে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কর্মব্যস্ত নর-নারীর জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। মকবুল, আবুল, সুরত সকলেই পরিশ্রমী। নানা কাজ করে জীবন ধারণ করে। তাদের স্ত্রীরাও একটু উন্নতির আশায় পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় সবজি ফলায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। উদ্দীপকে তাই বর্ণিত হয়েছে এদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম, যা ‘আমা-আঁটির ভেঁপু’ গল্পেও লক্ষণীয়।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল বিষয়ই হলো প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের কাহিনি। তাদের দুরন্তপনার বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে গ্রামীনজীবনের চিত্রও উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনচিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে, যা কেবল ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিককে ধারণ করে। শৈশবের উদ্দামতার বিষয়টি উদ্দীপকে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। তাই উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সম্পূর্ণ মূলভাবকে ধারণ করতে পারে নি।   প্রকাণ্ড একটা ঢাউস ঘুড়ি লইয়া বোঁ বোঁ শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ করিয়া উচ্চঃস্বরে স্বরচিত রাগিনী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদী তীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বীনী চিত্তকে চঞ্চল করিত। ক. হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল? ১ খ. দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে অপু দ্বিধা করছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকের ইঙ্গিত লক্ষণীয়? ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রতা স্পর্শ করেছে কি? তোমার মতামত যাচাই করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. হরিহর কাজ সেরে দুপুরের কিছু পরে বাড়ি ফিরল। খ. মায়ের ভয়ে অপু দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে দ্বিধা করছিল।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে অপু ও দুর্গা পল্লির প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের এক অপরূপ দৃষ্টান্ত। তারা মাকে ভয় করে। কোনো দোষ-ত্রæটি করলে মা শাসন করবে- এই ভয় দুর্গার পাশাপাশি অপুর মনেও ছিল। তাছাড়া গোসল না করে নুন, তেলের ভাঁড় ছুলে অমঙ্গল

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আম-আঁটির ভেঁপু Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিরীহ বাঙালি

নিরীহ বাঙালি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন লেখক পরিচিতি : নাম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই ডিসেম্বর । জন্মস্থান : রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রাম । পিতৃপরিচয় বাবা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের একজন সম্ভ্রান্ত ভ‚স্বামী ছিলেন। শিক্ষা ছোটবেলায় বড় বোন করিমুন্নেসা বাংলা শিক্ষায় সাহায্য করেন। পরে বড় ভাই ইব্রাহিম সাবেরের তত্ত¡াবধানে ইংরেজি শেখেন। ব্যক্তিজীবন বিহারের ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহের পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে পরিচিত হন। স্বামীর প্রেরণায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। অবদান সমকালীন মুসলমান সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেন। মুসলিম নারী জাগরণে তিনি অগ্রণী ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হন।সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ও আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে মুসলমান নারীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন। মৃত্যু ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কাকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন? জ ক. নারীকে খ. পুরুষকে গ. বাঙালিকে ঘ. ইংরেজদেরকে ২. ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে লেখিকা ‘পাস বিμয়’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? চ ক. শিক্ষাকে খ. ব্যক্তিকে গ. ব্যক্তিত্বকে ঘ. মূল্যবোধকে উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : কর্মস্পৃহার অভাবে আজ আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন। যে বাঙালি সারা পৃথিবীর লোককে দিনের পর দিন নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে পারে তারাই আজ হচ্ছে সকলের দ্বারে ভিখারি। ৩. উদ্দীপকে নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধে বাঙালি চরিত্রের প্রতিফলিত দিকটি হলোÑ র. ভোজনপ্রিয়তা রর. অলসতা ররর. কর্মবিমুখতা নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাঙালি আজ কোন পরিচয়ে পরিচিত? চ ক. মূর্তিমান খ. পদ্মিনী গ. পুরুষিকা ঘ. নায়িকা                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নন্দ বাড়ির হত না বাহির, কোথা কী ঘটে কি জানি, চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি। নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে কলিশন হয়, হাঁটিলে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়। তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল। সকলে বলিল, ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।’ ক. কোন জাতীয় পোশাককে ইংরেজ ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছদ বলা হয়েছে? ১ খ. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন কেন? ২ গ. নন্দলালের বৈশিষ্ট্য ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে যাদের কার্যμমকে ইঙ্গিত করে তাদের স্বরূপ তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের উপেক্ষিত দিকটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ শেমিজ জ্যাকেটকে ইংরেজি ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছদ বলা হয়েছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আলস্যের কারণে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন।  সমাজ সচেতন লেখিকা বেগম রোকেয়া তার ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বাঙালির জীবনাচরণের নানা অসংগতিকে কটাক্ষ করেছেন। কর্মের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জনের চেয়ে বাঙালি অন্যের করুণায় পাওয়া খ্যাতিতেই বেশি খুশি হয়। পরিশ্রমে তাদের অনীহা আর সহজ কাজে তাদের আগ্রহ বেশি। পুরুষরা আলস্যপ্রিয় আর নারীরা অহেতুক রূপচর্চা, পরনিন্দা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। ঘরের কোণে থাকতেই যেন তারা বেশি পছন্দ করে। বাঙালির এসব কর্মকাণ্ডের কারণে লেখিকা তাদের মূর্তিমান কাব্য বলেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ নন্দলালের বৈশিষ্ট্য ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বর্ণিত নিরীহ ও দুর্বল বাঙালির কার্যক্রমকে ইঙ্গিত করে।  বেগম রোকেয়া এক অসাধারণ প্রতিভায় নারী জাতি তথা বাঙালি সমাজকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ‘নিরীহ বাঙালি’ তার প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর। তিনি উদাসীনতা ও আলস্যে ভরা বাঙালিকে ঘা মেরেছেন। তিনি বলেছেন, বাঙালি স্বল্প পরিশ্রমে সবকিছু অর্জন করতে চায়। পরিশ্রম করে টাকা উপার্জনের চেয়ে শ্বশুরের সম্পদ অনায়াসে লাভের প্রতিই তারা বেশি মনোযোগী। কৃষি বিষয়ে জ্ঞান লাভের চেয়ে তারা আরাম কেদারায় বসে দুর্ভিক্ষ সমাচার পড়তেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দুর্ভিক্ষ নিবারণের চেষ্টা করার পরিবর্তে আমেরিকার কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণকেই শ্রেয় মনে করে।  উদ্দীপকের নন্দলাল ভীরু কাপুরুষ প্রকৃতির। দুর্ঘটনার ভয়ে সে গাড়ি চড়ত না। একই ভাবে নৌকা, রেল কিংবা হেঁটে চলতেও ছিল তার আপত্তি। কারণ প্রতিবছর নৌকা ডুবে, রেলে কলিশন হয়। আবার রাস্তায় হেঁটে চললেও কুকুর বা গাড়ি-চাপা পড়ার ভয়। ফলে নন্দলাল ঘরের ভেতর শুয়ে বসে দিন কাটায়। আশপাশে সকলেই তাই কৌতুক করে বলে, ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।’ ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আলস্যপ্রিয় বাঙালির কার্যক্রম উদ্দীপকের নন্দলালের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের উপেক্ষিত দিকটি হচ্ছে নারীর অহেতুক রূপচর্চা, পরচর্চা এবং নিজেদের অবলা প্রমাণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।  নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধে বাঙালি নারী-পুরুষের প্রাত্যহিক জীবনাচরণের বিভিন্ন দিক হাস্য-রসাত্মকভাবে বর্ণনা করেছেন। প্রবন্ধে পুরুষ সমাজের অলসপ্রিয়তা, শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, বাগাড়ম্বর আচরণ সম্পর্কে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে নারীদের অপ্রয়োজনীয় ও অহেতুক রূপচর্চা, পরচর্চার প্রতিও কটাক্ষ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নারীরা যেভাবে গৃহকোণে থাকার মনোবৃত্তি প্রদর্শন করে তাতে তারা নিজেদের নিজেরাই অবলা প্রমাণ করছে বলে লেখক মন্তব্য করেছেন।  উদ্দীপকে বাইরের সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে ব্যর্থ ভীরু নন্দলালের সমস্যাগুলো বর্ণিত হয়েছে। নন্দলালের ভয় হয় কখন কী ঘটে। তাই বাড়ির বাইরে বের হতো না। গাড়ি উল্টিয়ে যাওয়ার ভয়ে গাড়িতে চড়ত না, নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয়ে নৌকায়, রেলে কলিশন হওয়ার ভয়ে রেলে উঠত না। হেঁটে চললেও রয়েছে সাপ, কুকুর ও গাড়ি-চাপা পড়ার ভয়। তাই শুয়ে শুয়ে দিন কাটায় নন্দলাল। তবে উদ্দীপকে পুরুষের আলস্যের দিকটি নন্দলালের মাধ্যমে বর্ণিত হলেও প্রবন্ধে বর্ণিত নারীদের কথা বলা হয়নি।  ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বাঙালি নারী পুরুষের মধ্যকার অসংগতির কথা বলা হয়েছে। উভয়ে আলস্যপ্রিয়। পুরুষের মাঝে অল্প পরিশ্রমে বেশি উপার্জনের চিন্তা। অন্যদিকে নারীরা অহেতুক রূপচর্চা ও আলস্যপ্রিয়তায় আক্রান্ত। উদ্দীপকে নারীদের এমন আচরণের কোনো ইঙ্গিত নেই। এ বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে। তবে সেখানে কর্মবিমুখতা, ভীরুতা ও আলস্যপ্রিয়তার কথা যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যা মূলত ‘নিরীহ বাঙালি’ রচনায় বর্ণিত পুরুষদের অসঙ্গতিকেই ইঙ্গিত করে।                       গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর স্তবকÑ১ : পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ডোরে বেঁধে বেঁধে রাখিওনা ভালো ছেলে করে। স্তবকÑ২ : শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। ক. ধনবৃদ্ধির কয়টি উপায়? ১ খ. ‘পাস বিক্রয়’ বলতে কী বোঝ? ২ গ. উদ্দীপকের স্তবকÑ১ ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. বেগম রোকেয়ার প্রত্যাশাই স্তবক-২-এ প্রতিফলিত হয়েছেÑ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ধনবৃদ্ধির দুইটি উপায়। খ. ‘পাস বিক্রয়’ বলতে বাঙালি পুরুষদের মাঝে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়ে যৌতুক গ্রহণের মানসিকতাকে বোঝানো হয়েছে।  ‘নিরীহ বাঙালি’, প্রবন্ধে লেখিকা বাঙালির পরিশ্রমহীনতার দিকটি তুলে ধরেছেন। বাঙালি আলস্যপ্রিয়তার কারণে সহজে সম্পদ লাভ করতে চায়। এজন্য পুরুষরা একটু শিক্ষিত হলে সেই শিক্ষাগত যোগ্যতার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিরীহ বাঙালি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অভাগীর স্বর্গ

অভাগীর স্বর্গ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম। শিক্ষা আর্থিক সংকটের কারণে এফ.এ শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রজীবনের অবসান ঘটে। ব্যক্তিজীবন কৈশোরে অস্থির স্বভাবের কারণে তিনি কিছুদিন ভবঘুরে জীবনযাপন করেন। ১৯০৩ সালে ভাগ্যের অন্বেষণে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) যান এবং রেঙ্গুনে (বর্তমান ইয়াংগুন) অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিসে কেরানি পদে চাকরি করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্যসাধনার শুরু হয়। সাহিত্যিক পরিচয় মূল পরিচয় কথাসাহিত্যিক হিসেবে। উপন্যাস ও গল্প রচনার পাশাপাশি তিনি কিছু প্রবন্ধ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : বিরাজ বৌ, দেবদাস, পরিণীতা, পল্লিসমাজ, বৈকুণ্ঠের উইল, শ্রীকান্ত, চরিত্রহীন, দত্তা, গৃহদাহ, দেনা পাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন। গল্পগ্রন্থ : বড়দিদি, রামের সুমতি, বিন্দুর ছেলে, মেজদিদি, পণ্ডিতমশাই, ছবি। পুরস্কার ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই জানুয়ারি কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কোন নদীর তীরে শ্মশান ঘাট অবস্থিত? ছ ক. শঙ্খ খ. গরুড় গ. গড়াই ঘ. পদ্মা ২. রসিক বেল গাছটি কী কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল? চ ক. অভাগীর শবদাহ খ. ঘরবাড়ি তৈরি গ. রান্নার কাঠ সংগ্রহ ঘ. কাঙালীর জন্য উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : তর্করতœ কহিলেন ধার নিবি শুধবি কীভাবে? গফুর বলিল, যেমন করে পারি শুধব বাবা ঠাকুর, তোমাকে ফাঁকি দেব না। ৩. তর্করতœ অভাগীর স্বর্গ গল্পের কোন্ চরিত্রের প্রতিনিধি? ঝ ক. ঠাকুর দাস মুখুয্যে খ. রসিক দুলে গ. দারোয়ানজী ঘ. অধর ৪. এই প্রতিনিধিত্বের কারণ হলো Ñ র. উভয়েই জমিদারের প্রতিনিধি রর. জমিদারের গোমস্তা ররর. জমিদার ও ব্রাহ্মণ নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. রর ও ররর               সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বাক্রোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশায় সব ধরে রাখলেন? কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পণদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গোঁজাগাঁজা দিয়ে এ বর্ষাটা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে। ক. কাঙালীর বাবার নাম কী? ১ খ. ‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ২ গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না Ñ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ কাঙালীর বাবার নাম রসিক বাঘ। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব’Ñ মা গভীর ধর্মবিশ্বাস থেকে কাঙালীকে এ উক্তিটি করেছিল।  মুখুয্যে বাড়ির গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগীর ভেতরে এক ধরনের ভাবানুভ‚তির সৃষ্টি হয়। মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সৎকারের ব্যাপকতা দেখে অভাগী বিস্মিত হয়। ভাবে, তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যুর পর পুত্র কাঙালী মুখাগ্নি করলে সেও স্বর্গে যাবে। তাই অভাগী তার সেই শেষ ইচ্ছার কথাই সন্তানের কাছে বলে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বর্ণিত সামন্তবাদী সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসামান্য সৃষ্টি। এখানে অভাগী ও কাঙালীর জবানিতে বর্ণভেদ প্রথা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের গভীর আর্তনাদ ও সমাজপতিদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে। নীচু জাতের দরিদ্র অভাগীর মৃত্যুর পর তার সৎকারের জন্য সামান্য একটু কাঠ তারা পায়নি। কাঙালী জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের কাছে গেলে তাকে সেখান থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। অন্য সমাজপতিররাও করে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য। এভাবে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে বারবার সমান্তবাদী সমাজের নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে।  উদ্দীপকের গফুর দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত। যেখানে বাপ-বেটির অন্ন জোটে না সেখানে অবলা প্রাণী মহেশকে খাওয়াবে কী? মহেশকে বাঁচানোর জন্য পণদশেক বিচুলির জন্য গফুর কর্তামশাইয়ের পায়ে পড়ে কাকুতি মিনতি করেছে। এই কর্তাবাবুদের প্রবল প্রতিপত্তি থাকা সত্তে¡ও গফুরদের কষ্টে ও বুকফাটা আহাজারিতে তাদের প্রাণ কাঁদেনি। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য সে সমাজে সুস্পষ্ট দেয়াল তুলে দিয়েছিল। এই বৈষম্যপূর্ণ সমাজের চিত্র ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে আরো বিস্তৃতভাবে আলোচিত হয়েছে। তাই বলা যায়, সামন্তবাদের নির্মম রূপ উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজব্যবস্থাকে সাদৃশ্যময় করে তুলেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ কাঙালী ও গফুর উভয়েই শোষিত শ্রেণির প্রতিনিধি হলেও উভয়ের হৃদয়-বেদনার মাঝে গুণগত পার্থক্য রয়েছে।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে সমাজপতিরা তার মৃত মায়ের সৎকারে কাঠ ব্যবহার করতে দেয়নি। অভাগী ছেলের হাতের আগুন পেয়ে স্বর্গে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা নিম্নবর্ণের হওয়ার কারণে কাঙালী বারবার ধরনা দিয়েও একটু কাঠ জোগাড় করতে পারেনি। শেষমেশ নদীর চরে অভাগীকে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে কাঙালীর কিশোর হৃদয়ে কঠিন আঘাত লেগেছে।  উদ্দীপকে দরিদ্র গফুর ভাগে যেটুকু খড় পেয়েছিল কর্তামশাই গতবারের পাওনার অজুহাতে তা কেড়ে নিয়েছে। বাপ-বেটি না হয় তালপাখার গোঁজাগাজাঁ দিয়ে বর্ষাটা কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু মহেশের কী হবে? মহেশ যে না খেয়ে মরে যাবে। এই মানসিক দুর্ভাবনায় আচ্ছন্ন গফুর। দরিদ্র ও মুসলমান হওয়ার কারণেই তার প্রতি জমিদারদের এমন ব্যবহার। সে সমাজে যেন তার মতো গরিবের বাঁচবার অধিকারই নেই।  ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালীকে মৃত মায়ের সৎকারের জন্য কাঠ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে গলাধাক্কা । এমন অত্যাচার করা হয়েছে শুধু নীচু জাতের মানুষ হওয়ার অজুহাতে। মাতৃহারা আশ্রয়হীন একটি শিশুর কাকুতি মিনতি সমাজপতিদের মনে কোনো আবেদন সৃষ্টি করেনি। অন্যদিকে গরিব মুসলমান হওয়ার কারণে কর্তাবাবুরা নানা ছুতানাতায় গফুরকে বঞ্চিত করেছে। তবে এখানে গফুর ও কাঙালীর মধ্যে মানসিক যন্ত্রণা ও বেদনার গুণগত পার্থক্য বিদ্যমান। একজন মায়ের সৎকারে কাঠ জোগাড় করতে পারেনি অন্যজন একটি অবোধ প্রাণীর জন্য খড় সংগ্রহ করতে পারেনি। একজনের মাঝে লক্ষ করা যায় মাতৃভক্তি, অন্যজনের মাঝে প্রাণীপ্রীতি। দশ বছরের মা-মরা মেয়ে রাবেয়া গৃহকর্মীর কাজ করে নিজের এবং অসুস্থ বাবার অন্ন সংস্থান করে। চিকিৎসার অভাবে রাবেয়াকে ছেড়ে একদিন বাবা ইহধাম ত্যাগ করেন। দাফন কাফনের খরচ এবং কবরের জায়গা না থাকায় রাবেয়া গাঁয়ের মোড়লের সহযোগিতা চেয়ে খালি হাতে ফিরে আসে। অনন্যোপায় হয়ে বাবার মৃতদেহের পাশে বসে কাঁদতে থাকে। প্রতিবেশী মনসুর এ খবর পেয়ে রাবেয়ার পাশে দাঁড়ায় এবং যাবতীয় ব্যবস্থা করে। ক. গ্রামের শ্মশানটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত? ১ খ. “তোর হাতের আগুন যদি পাই বাবা, বামুন মার মত আমিও সগ্যে যেতে পাবো।”Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে মনসুর এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের গোমস্তা অধর রায় একে অন্যের বিপরীতÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা বিষয়টি ছাড়াও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা রয়েছেÑ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অভাগীর স্বর্গ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইপড়া

বইপড়া প্রমথ চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম প্রমথ চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট। জন্মস্থান : যশোর। পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রাম। শিক্ষা ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বিলেত (ইংল্যান্ড) থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। কর্মজীবন ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্যিক পরিচয় মূলত প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর বিচরণ ছিল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়। বাংলা সাহিত্যে প্রথম স্যাটায়ারিস্ট বা বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচয়িতা। ‘সবুজপত্র’ নামক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষারীতি প্রবর্তনে এ পত্রিকাটি অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। সাহিত্যিক ছদ্মনাম ঊীরবল উল্লেখযোগ্য রচনা বীরবলের হালখাতা, রায়তের কথা, প্রবন্ধ সংগ্রহ, সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ, চার-ইয়ারি কথা, আহুতি, নীললোহিত। মৃত্যু ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা সেপ্টেম্বর কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে কিসের ওপর স্থান দিয়েছেন? ছ ক. হাসপাতালের খ. স্কুল-কলেজের গ. অর্থ-বিত্তের ঘ. জ্ঞানী মানুষের ২. স্বশিক্ষিত বলতে বোঝায় Ñ চ ক. সৃজনশীলতা অর্জন খ. বুদ্ধির জাগরণ গ. সার্টিফিকেট অর্জন ঘ. উচ্চ শিক্ষা অর্জন উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘পড়িলে বই আলোকিত হয় না পড়িলে বই অন্ধকারে রয়।’ ৩. উদ্দীপকটির ভাবার্থ নিচের কোন চরণে বিদ্যমান? জ ক. জ্ঞানের ভাণ্ডার যে ধনের ভাণ্ডার নয় খ. শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না গ. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত ঘ. আমাদের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই ৪. উদ্দীপকটির ভাবার্থ ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে ভাবকে নির্দেশ করে Ñ চ ক. জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মৌলিকত্ব অর্জন খ. শিক্ষাযন্ত্রের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া গ. শিক্ষকের মাধ্যমে বিকশিত হওয়া ঘ. শিক্ষিত হয়ে চাকরি অর্জন                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না। ক. ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ কী? ১ খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে Ñ মন্তব্যটির বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  ‘ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ রিক্ত বা শূন্য। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘অন্তনির্হিত শক্তি’ বলতে ভেতরের বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বোঝায়। এটি হচ্ছে নিজের মনকে গড়ে তোলার শক্তি।  প্রতিটি মানুষের মাঝেই নিহিত রয়েছে সুপ্ত শক্তি। প্রকৃত শিক্ষার ছোঁয়ায় তা জাগ্রত হয়। স্বশিক্ষিত ব্যক্তিরা নিজের ভেতরের এই শক্তিকে আবিষ্কার করতে পারেন। এই শক্তিই অন্তর্নিহিত শক্তি, যা মানুষের মানসিক শক্তির পরিচায়ক। ১ এর গ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে বিদ্যাচর্চার দিকটিকে ইঙ্গিত করে।  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী স্বেচ্ছায় বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদের সেই সুযোগটি দেয় না। অর্থ উপার্জনের চিন্তায় আমরা সবাই মশগুল। তাই যে বই পড়লে পেশাগত উপকার হবে বলে আমরা ভাবি, শুধু সেই বই-ই পড়ি। এভাবে বই পড়াতে নেই কোনো আনন্দ। আর এই চর্চার ফলে জাতি হিসেবে আমরা হয়ে উঠছি অন্তঃসারশূন্য।  উদ্দীপকে বলা হয়েছে, জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থ প্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একটি কদর্য আর আরেকটি কল্যাণের দিক। একদিকে কাজের জন্য কাজ, অন্যদিকে আনন্দের জন্য কাজ। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বর্ণিত অর্থ উপার্জনের জন্য বই পড়ার প্রবণতার মিল রয়েছে উদ্দীপকের বক্তব্যের সঙ্গে। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা উদ্দীপকে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনের নামান্তর।  ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর প্রবন্ধে আমাদের পাঠচর্চার প্রতি অমনোযোগের সমালোচনা করেছেন। উদর পূর্তির জন্য কেবল গৎবাঁধা বই পড়ি আমরা। এ কারণেই জাতি হিসেবে আমরা নিরানন্দ ও নির্জীব হয়ে পড়েছি। মনের শক্তিকে আবিষ্কারের জন্য আমাদের প্রয়োজন স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চা করা। নিয়মিত লাইব্রেরিতে গমনের মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব।  উদ্দীপকে জাতীয় জীবনধারার দুটি দিকের কথা বলা হয়েছে। একটি আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার অন্যটি আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। এখানে উল্লিখিত পরমার্থ অর্জনই জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা। অর্থলাভের মধ্য দিয়ে শুধু আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না। জীবনের কদর্য দিকের পরিবর্তে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণকর দিক অর্জন করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই উঁচু জীবনের অধিকারী হওয়া যায়।  জীবনে পরমার্থ অর্জনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বই। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে সে কথাই বলা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত শ্রেণি নিতান্ত বাধ্য না হলে বই পড়ে না। পড়ে না এতে উদরপূর্তি হয় না বলে। পরীক্ষা পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়। প্রকৃত শিক্ষিত হতে হলে জীবনের পরম সত্য বা পরমার্থকে উপলব্ধি করতে হবে এবং তা অর্জন করতে হবে। শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। এই প্রসারতার জন্যই বই পড়া আবশ্যক। এ কারণেই প্রমথ চৌধুরী স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৌমিকের পত্রিকার সাহিত্যের পাতাগুলোর প্রতি আগ্রহ বেশি। মামার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য সে কয়েকটি বই কিনে নেয়। মামা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সৌমিকের বই পড়ার আগ্রহ দেখে মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে ভর্তি করে দেন। ক. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই কী? ১ খ. মনের হাসপাতাল বলতে কী বোঝায়? ২ গ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকটির মূলভাব মূলত ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূলভাবের অংশবিশেষকে প্রস্ফুটিত করে।”Ñ বক্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। খ. লাইব্রেরিতে স্বচ্ছন্দচিত্তে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে আমাদের মানসিক শক্তি গড়ে ওঠে বলে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন।  প্রমথ চৌধুরীর মতে, কেবল উদরপূর্তি হলেই আমাদের মন ভরে না। আর মনের দাবি মেটাতে না পারলে আমাদের আত্মা বাঁচে না। মনকে সতেজ ও সরাগ রাখতে না পারলে আমাদের প্রাণ নির্জীব হয়ে পড়ে। এ জন্যই প্রয়োজন লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে আমরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে সাহিত্যচর্চা করতে পারি। এতে আমাদের মন সুস্থ ও সতেজ থাকে। এ কারণেই লেখক লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন। গ. উদ্দীপকের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইপড়া Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দেনাপাওনা

দেনাপাওনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখক পরিচিতি : নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে, ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ। জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে। পিতা, পিতামহ পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। বিবিধ পরিচয় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, চিত্রকর, অভিনেতা, নাট্য প্রযোজক ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত। সাহিত্যিক পরিচয় সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, পত্রসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখা এবং সংগীত, চিত্রকলা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যম তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রথম প্রকাশ প্রথম কাব্য ‘বনফুল’। এ গ্রন্থটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা। ছোটগল্প : গল্পগুচ্ছ (চার খণ্ড)। উপন্যাস : চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা। নাটক : বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী। পুরস্কার ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ । মৃত্যু ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, কলকাতায়। অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. রামসুন্দর কোন মাসে মেয়েকে ঘরে আনার প্রতিজ্ঞা করেন ? ছ ক. ভাদ্র খ. আশ্বিন গ. কার্তিক ঘ. অগ্রহায়ণ ২. ‘শাস্ত্রশিক্ষা, নীতিশিক্ষা একেবারে নাই’ একথা বলার কারণ কী ? জ ক. মুখে মুখে কথা বলায় খ. ধর্মীয় বিধিনিষেধ না মানায় গ. পণের টাকা উপেক্ষা করায় ঘ. বাবার অমতে বিয়ে করায় উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : গনি মিয়া একজন কৃষক। ইতোমধ্যে চাষাবাদ করে আর্থিক অবস্থার অনেক উন্নতি করেছে। একমাত্র ছেলের বিয়ে দেয়ার চিন্তা করার সাথে সাথে চারদিক থেকে অনেক প্রস্তাব আসতে শুরু করল। গ্রামের লোকজন ধরল ধুমধামের সাথে বিয়ের উৎসব পালনের জন্য। আর এতে গনি মিয়াকে চড়া সুদে ধার করতে হলো মোটা অঙ্কের টাকা। একসময় সবকিছু হারিয়ে আবার সে নিঃস্ব হয়ে যায়। ৩. উদ্দীপকের গনি মিয়ার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলো Ñ র. অদূরদর্শী পরিকল্পনা রর. ঋণগ্রস্ত অবস্থা ররর. সন্তানবাৎসল্য নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. রামসুন্দর কোন দিক দিয়ে গনি মিয়া থেকে স্বতন্ত্র? চ ক. ভূসম্পত্তি খ. আধিপত্য গ. লোভ ঘ. আপ্যায়ন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হৈমুর বাবা পেশায় অধ্যাপক। তাঁর একমাত্র মেয়েকে বৌ করে ঘরে তুলতে অনেকের আগ্রহ। তাদের বিশ্বাস হৈমুর বাবার সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে হবু বর। এ লড়াইয়ে বিজয়ী হলো অপূর্বদের পরিবার। শ্বশুরবাড়িতে বউয়ের মর্যাদা অশেষ। একসময় তারা জানতে পেল, অগাধ ধনসম্পত্তি দূরে থাক, মেয়ের বিয়েতে বাবা মোটা অঙ্কের ঋণ করেছেন। এতে শ্বশুরবাড়িতে হৈমুর প্রতি ভালোবাসা এবং তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তির এতটুকু ঘাটতি কখনোই দেখা দেয় নি। বরং তাঁকে ঋণ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য এগিয়ে যায় হৈমুর শ্বশুর। ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়েছিল? ১ খ. ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? ২ গ. উদ্দীপকের হৈমুর বাবার সাথে দেনাপাওনা গল্পের নিরুপমার বাবার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ ১০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’ বলতে লেখক রায়বাহাদুরের পুত্রের যৌতুকের টাকার প্রতি ভ্রæক্ষেপ না করে বিয়ে করতে চাওয়াকে বুঝিয়েছেন।  পণের টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বর সভাস্থ না করার সিদ্ধান্ত নেয় বরের পিতা রায়বাহাদুর। কিন্তু তার পুত্র আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ায় কেনাবেচা বা দরদামের কথা শুনতে চায়নি। সে পিতার মতের বিরুদ্ধেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। রায়বাহাদুরের পুত্রের এরূপ আচরণকেই লেখক ব্যাঙ্গার্থে বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের হৈমুর বাবার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে ঋণগ্রস্ততা।  ‘দেনাপাওনা’ গল্পে নিরুপমার বাবা তাঁর একমাত্র কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রায়বাহাদুরের পুত্রকে পছন্দ করেন। বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ এবং বহু দানসামগ্রী দাবি করে। তবুও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি রাজি হয়ে যান। সম্পত্তি বন্ধক ও বিক্রি করে এবং অতিরিক্ত সুদে টাকা ধার করে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেন।  উদ্দীপকের হৈমুর বাবা মেয়ের কল্যাণচিন্তায় তার সাধ্যের বাইরে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ করেছেন। তার কাছে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের সুখ পাওয়াটাই আসল। তাই একমাত্র মেয়ের বিয়েটা ধুমধাম করেই দিতে চেয়েছেন। এজন্য তাকে ঋণ করতে হয়েছে। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা একই চিন্তা থেকে ঋণ করেছেন। বাবা হিসেবে মেয়ের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্যই হৈমুর বাবা ও নিরুপমার বাবার এ কাজটি করেন। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় না। কারণ শ্বশুরবাড়ির অনাদর অবহেলায় নিরুপমার জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও হৈমু পেয়েছে সম্মান ও মর্যাদা।  ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির সবাই ছিল অর্থলোভী হীন মানসিকতার মানুষ। নিরুপমার বাবা পণের ধার্যকৃত সম্পূর্ণ টাকা বিয়ের সময় পরিশোধ করতে পারেননি বলে তারা বিয়েটাই ভেঙে দিতে চেয়েছিল। বিয়ের পরও যৌতুক না পাওয়ায় নিরুপমাকে তারা বৌয়ের মর্যাদা দেয়নি। তাকে কথায় কথায় অপমান-অবহেলা করেছে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে নিরুপমার করুণ মৃত্যু হয়েছে।  অন্যদিকে উদ্দীপকে হৈমুর শ্বশুরবাড়িতে সকলে তাকে মর্যাদা ও ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করেছে। হৈমুর বাবা ধনী নন এবং তাঁর মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ আছে জেনেও হৈমুর প্রতি তাদের ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। বরং বিষয়টি তারা অত্যন্ত মানবিকভাবে দেখেছেন। হৈমুর বাবার ঋণ পরিশোধে এগিয়ে এসেছেন হৈমুর শ্বশুর।  ‘দেনাপাওনা’ গল্পে নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অর্থলোভী মানসিকতা ও নিষ্ঠুরতার কারণে তার জীবনটা তিলে তিলে নিঃশেষিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের হৈমুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিল তার প্রতি সহানুভ‚তিশীল। সে সেখানে পুরোপুরি মর্যাদা লাভ করেছে। গল্পের নিরুপমা যৌতুকের বলি হলেও উদ্দীপকের হৈমু পেয়েছে মমতা ও মানবিক আচরণ। তাই উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় না। পরিণতি বিবেচনায় দুজনের মাঝে বৈপরিত্য বিদ্যমান।         গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ঘটনাটি সা¤প্রতিক সময়ের, গ্রামের নয়Ñ আলো ঝলমলে শহরের। বিয়ের তিন মাসের মাথায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তৃষা এখন হাসপাতালে আর তার স্বামী বিপ্লব নারী নির্যাতনের মামলায় কারাগারে। বিপ্লব উচ্চশিক্ষিত ও সম্পদশালীÑ তৃষাও। শ্বশুরের কাছে বিয়ের পর থেকেই বিপ্লব একটি নতুন গাড়িপ্রাপ্তির জন্যে স্ত্রীর উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। তৃষার ইঙ্গিতে তার বাবা এ হীন চাপকে উপেক্ষা করে আসছিলেন। [ঢা.বো. ১৫] ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত? ১ খ. ‘নিরু বাপের মুখ দেখিয়া সব বুঝিতে পারিল’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ গ. সময়ের পরিবর্তন হলেও গ্রাম কিংবা শহরে সমস্যা আজও একইÑ উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের আলোকে সমস্যাটি চিহ্নিত করো। ৩ ঘ. “বিপ্লবের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলোই পারে নিরু বা তৃষাদের করুণ পরিণতি থেকে মুক্তি দিতে।”Ñ আলোচনা

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দেনাপাওনা Read More »

Scroll to Top