পঞ্চম শ্রেণি

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ মানবাধিকার

অধ্যায় ৭ মানবাধিকার  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ। উত্তর : অটিজম একটি বিকাশমান সমস্যা। নিচে অটিস্টিক শিশুর তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো : ১. কোনো একটি বিশেষ খেলনা বা জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সবসময় সাথে রাখে। ২. তারা কোনো খেলনা নিয়ে না খেলে বরং ওগুলো শক্ত করে ধরে বসে থাকবে, গন্ধ নেবে বা ঘন্টার পর ঘন্টা তার দিকে তাকিয়ে থাকবে। ৩. শিশুটি আলো, শব্দ, গতি, স্পর্শ, ঘ্রাণ বা স্বাদের ক্ষেত্রে অতি সংবেদনশীল হবে। প্রশ্ন \ ২ \ শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও। উত্তর : শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরা বিভিন্ন বিষয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো : ১. অনেক শিশু তাদের পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। ২. অনেক শিশু খেত-খামারে, ইটের ভাটায়, দোকানে, কলকারখানায় কাজ করে। যদিও বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে শিশুশ্রম বেআইনি। ৩. শিশুদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়, এটি মানবাধিকারবিরোধী কাজ। প্রশ্ন \ ৩ \ নারী অধিকার লঙ্ঘনের তিনটি উদাহরণ দাও। উত্তর : নারী হচ্ছে সমাজের অর্ধাংশ। আমাদের সমাজে নারীরা বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিচে তিনটি উদাহরণ দেওয়া হলো : ১. শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায় না। ২. কাজের ক্ষেত্রে যথাযথ পারিশ্রমিক, খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা পায় না। ৩. নারীদের অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ কোন প্রতিষ্ঠান মানবাধিকারকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে? কখন? উত্তর : জাতিসংঘ সর্বপ্রথম মানবাধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের “সার্বজনীন ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করে। ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ সকলের সমান অধিকার। বিশ্বের সকল দেশের সকল মানুষের এই অধিকারগুলো আছে। এই অধিকারগুলোই মানবাধিকারের অন্তভর্‚ক্ত। প্রশ্ন \ ২ \ শিশুশ্রমের কারণে শিশুরা কোন অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হয়? উত্তর : শিশুরা যে যে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তা হলো- ১. শিশু শ্রমিকরা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। ২. অনেক ক্ষেত্রে সঠিক মজুরি পায় না। ৩. খাওয়া-দাওয়া, থাকার জায়গা, সুচিকিৎসা, পোশাক থেকে বঞ্চিত হয়। ৪. শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। ৫. শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে না। প্রশ্ন \ ৩ \ মানব পাচার বলতে কী বোঝায়? উত্তর : যদি কোনো ব্যক্তি প্রলোভনের মাধ্যমে কোন শিশু ও নারীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধচক্রের নিকট বিক্রি করে দেয় তখন তাকে মানব পাচার বলে। একটি সংঘবদ্ধচক্র আর্থিক মুনাফার লোভে এ হীন কাজ করে থাকে। পাচারকৃত নারীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। আর শিশুদের উটের জকি অথবা হত্যা করে কিডনি বিক্রয় করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচারের যে অবস্থা লক্ষ করা যায়, সেখানে মানব পাচারের অন্যতম প্রধান দেশ বাংলাদেশ।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. অনেক শিশু বিভিন্ন ধরনের কষ্টকর কাজ করতে বাধ্য হয়। এতে তাদের কোন ধরনের অধিকার ক্ষুণœ হয়? ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. অর্থনৈতিক অধিকার গ. সাংস্কৃতিক অধিকার ঘ. মানবাধিকার চ ২. তোমার পরিচিত সীমা একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। সে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. প্রতিবেশীকে জানাব খ. পুলিশকে জানাব চ গ. বন্ধু-বান্ধবকে জানাব ঘ. শিক্ষককে জানাব ৩. মানবাধিকার বাস্তবায়ন প্রয়োজন কেন? ক. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন খ. নারী পুরুষের সমতা আনয়ন গ. সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা চ ঘ. সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা ৪. করিমের বয়স দশ বছর। সে বিদ্যালয়ে না গিয়ে একটি খামারে কাজ করছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. কিছুই করব না খ. বিদ্যালয়কে জানাব চ গ. আমার বাবা-মাকে জানাব ঘ. তার পরিবারকে কিছু টাকা দিব ৫. জাতিসংঘ “মানবাধিকার ঘোষণাপত্র” অনুমোদন করেছে কেন? ক. শিশু অধিকার রক্ষা করার জন্য খ. সবার চিকিৎসার অধিকার রক্ষা করার জন্য গ. সবার বাসস্থানের অধিকার রক্ষার জন্য ঘ. সবার মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য চ ৬. তোমার প্রতিবেশী স্বল্প শিক্ষিতা রহিমা তার পারিবারিক প্রয়োজনে কোনো পেশা বেছে নিতে চায়। এক্ষেত্রে তুমি তাকে কী পরামর্শ দিবে? ক. ইটের ভাটায় কাজ করতে খ. পাথর ভাঙ্গার কাজ করতে গ. বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে ঘ. গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতে চ ৭. তুমি দেখতে পেলে একটি শিশুকে নির্জন স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. বিষয়টি এড়িয়ে যাব খ. বন্ধুদের জানাব গ. পালাতে সাহায্য করব ঘ. বড়দেরকে জানাব চ ৮. মনে কর তোমার বাড়িতে একটি কাজের মেয়ে আছে। তুমি তার সাথে কিরূপ আচরণ করবে? ক. তার প্রতি সদয় থাকব চ খ. তাকে কাজে ব্যস্ত রাখব গ. আদেশের সুরে কথা বলব ঘ. পরিশ্রমের কাজ তাকে দিয়ে করাব ৯. তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তার ছেলেরা নির্যাতন করছে। তুমি কী করবে? ক. সরাসরি প্রতিবাদ করব চ খ. বিষয়টি থানায় জানাব গ. অন্য রাস্তায় দিয়ে চলে যাব ঘ. নির্যাতন বন্ধের জন্য বয়স্ক মানুষের সহায়তা নেব ১০. মিসেস নাজনীন তার বাসার কাজের মেয়েকে প্রায়ই মারধর করেন। এর দ্বারা কী ক্ষুণœ হয়? ক. ক্ষমতা খ. যোগ্যতা গ. মানবাধিকারচ ঘ. নিরাপত্তা ১১. গাফফার একজন পাচারকারী, সে রিয়াদকে বিদেশে পাচার করে দিল। এখানে কী লঙ্ঘিত হয়েছে? ক. মানবাধিকার চ খ. শিক্ষার অধিকার গ. বাসস্থানের অধিকার ঘ. সামাজিক অধিকার ১২. জয়নব তার বাসার কাজের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন এবং বাসার সকলেই কাজের মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। জয়নব তার বাসায় কীসের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন? ক. নারী অধিকার চর্চার খ. শিক্ষা অধিকার চর্চার গ. মানবাধিকার চর্চার চ ঘ. সামাজিকতা রক্ষার চর্চা ১৩. চাকরির পরীক্ষায় রিনি প্রথম হলেও নারী বলে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এতে সে কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? ক. রাজনৈতিক অধিকার খ. মৌলিক অধিকার গ. মানবাধিকার চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার ১৪. রিপনের বয়স এগারো বছর সে হোটেলে কাজ করে। রিপনের ক্ষেত্রে কোনটি ঘটছে? ক. মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন খ. সাংস্কৃতিক অধিকার লঙ্ঘন গ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ঘ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন ১৫. বাড়ির কাজে সাহায্যকারী মেয়েকে নির্যাতন-এতে কোন অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে? ক. মানবাধিকার চ খ. ধর্মীয় গ. রাষ্ট্রীয় ঘ. সামাজিক ১৬. রহিমা একটি বাড়িতে কাজ করে। সে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। রহিমার ক্ষেত্রে কোনটি ঘটেছে? ক. সামাজিক অধিকার লঙ্ঘন খ. আইনের অপব্যবহার গ. অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন ঘ. মানবাধিকার লঙ্ঘন চ ১৭. আমাদের দেশের অনেক শিশু বিভিন্ন কারণে লেখাপড়া করতে পারে না। লেখাপড়া না করার জন্য তুমি কোন কারণটি প্রধান বলে মনে কর? ক. দারিদ্র্যের কারণে চ খ. লেখাপড়ার অনীহার কারণে গ. খেলাধুলার কারণে ঘ. বাবা-মার কারণে ১৮. নারী ও শিশু ও পাচার মানবাধিকার বিরোধী। তুমি কোথাও শিশু পাচার করা দেখলে কী করবে? ক. নিজেকে লুকিয়ে রাখব খ. অন্যদের জানাব চ গ.

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৭ মানবাধিকার Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ

অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ দুর্যোগের দুটি প্রাকৃতিক কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : দুর্যোগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক কারণ হলো : ১. প্রাকৃতিক অবস্থান এবং ২. জলবায়ুর পরিবর্তন। প্রশ্ন \ ২ \ দুর্যোগের দুটি মানবসৃষ্ট কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : মানবসৃষ্ট দুর্যোগের দুটি কারণ হলো : ১. নদী তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেললে নদীভাঙন দেখা দেয়। ২. কলকারখানার মাধ্যমে বায়ু দূষণের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়। প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ উল্লেখ কর। উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ হলো : ক. গাছপালা কাটার কারণে বন-জঙ্গলের পরিমাণ কমে যাওয়া। খ. কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া। গ. নদী ধ্বংস হওয়া।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে নদী ভাঙনের প্রবণতা রয়েছে? কেন? উত্তর : বাংলাদেশ নদ-নদীর দেশ হওয়ায় এদেশের অনেক জায়গাতেই নদীভাঙনের প্রবণতা দেখা যায়। এদেশের প্রধান নদী পদ্মা, যমুনা ও মেঘনাসহ ৭৫টি নদীতে নিয়মিত নদীভাঙন ঘটে থাকে। যমুনা, মেঘনা ও পদ্মা নদী তীরের ভাঙন সর্বাধিক এবং এ নদীগুলোর ক্রমাগত ভাঙনে সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলা শহর দুটি বিপদাপন্ন। এ অঞ্চলগুলোতে বন্যার ফলে নদী তীরবর্তী এলাকা ভাঙনের শিকার হয়। নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে নদী দ্রæতবেগে ছুটে চলে এবং প্রশস্ত আঁকাবাঁকা নদীতে বেশি ভাঙন ঘটে। প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে খরা বেশি হয়? উত্তর : দীর্ঘসময় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে অবস্থা তাকে খরা বলে। আমাদের দেশের কোনো কোনো অঞ্চল খরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। তাছাড়া এসব অঞ্চলে অল্পসংখ্যক নদী থাকার কারণে খরার প্রবণতা বেশি। দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে খরা হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলো ভ‚মিকম্পপ্রবণ? উত্তর : ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্পের নিশ্চিত ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল অধিক ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল তুলনামূলক কম ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। বাংলাদেশের পূর্বাংশে রয়েছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় এবং এ পাহাড়গুলো বেলেপাথর, সেলপাথর এবং কর্দম দ্বারা গঠিত। গঠনগত কারণে এ অঞ্চলে ভ‚মিকম্পের প্রবণতা বেশি।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. তুমি এবং তোমার ছোট বোন ঘরের মধ্যে অবস্থান করছ। সে সময় হঠাৎ গৃহে আগুন লেগে গেল। তোমরা সর্বপ্রথম কোন কাজটি করবে? ক. ঘর থেকে বের হয়ে যাব  খ. আগুন নেভানোর চেষ্টা করব গ. অগ্নি নির্বাপক বাহিনীকে খবর দেব ঘ. সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদেরকে ডাকব ২. তুমি বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় বসে আছ। হঠাৎ ভ‚মিকম্প শুরু হলো। তুমি তখন কী করবে? ক. নিজ আসনে বসে থাকব খ. বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নেব  গ. শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাব ঘ. নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা শুরু করব ৩. কীসের অভাবে খরা হয়? ক. বাতাস খ. পানি  গ. গবাদি পশু ঘ. ফসল ৪. আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে জানা গেল তোমার এলাকায় একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তুমি কী করবে? ক. নিজ ঘরে থাকব খ. আশ্রয়কেন্দ্রে যাব  গ. প্রতিবেশীদের বাড়িতে যাব ঘ. আত্মীয়ের বাড়িতে যাব ৫. বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে গেলে নিচের কোনটির ওপর প্রভাব পড়বে? ক. নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি খ. বহু মানুষ গৃহহীন হবে  গ. লবণ উৎপাদন বাড়বে ঘ. মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে ৬. গত বর্ষায় রিনাদের গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই দুর্যোগের প্রধান কারণ কী ছিল? ক. টর্নেডো খ. গাছ কাটা গ. সাইক্লোন ঘ. তীব্র বন্যা  ৭. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কত শতাংশ এলাকা সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে? ক. ১৮ খ. ২০  গ. ২৫ ঘ. ৩০ ৮. ভ‚মিকম্পের সময় ঘরের কোথায় অবস্থান করা আমাদের জন্য নিরাপদ? ক. ব্রিজের নিচে খ. গাছের নিচে গ. ঘরের কোণে ঘ. গাড়ির ভিতর ৯. সিলেট বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল অঞ্চল। এর কারণ হলো- ক. প্রচুর গাছপালা  খ. অনেক পাহাড় গ. অসংখ্য হাওর ঘ. অজস্র প্রতিত জমি ১০. ইমন জলবায়ু সম্পর্কিত প্রতিবেদন তৈরি করতে চাইলে কত বছরের বেশি সময়ের গড় আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে হবে? ক. ২০-৩০ বছরের খ. ৩০-৪০ বছরের  গ. ৫০-৬০ বছরের ঘ. ৪০-৬০ বছরের ১১. গত ১২ই ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রামে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এক কম্পনে হাজারবাগে একটি দোতলা দালানে ফাটল ধরে। এ কম্পনকে কী বলে? ক. অগ্ন্যুৎপাত খ. ভ‚মিকম্প  গ. আকস্মিক পরিবর্তন ঘ. ধীর পরিবর্তন ১২. বর্তমান হারে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এর কী প্রভাব পড়বে? ক. গাছপালা ও প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে খ. ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে গ. পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাবে ঘ. নিম্নাঞ্চল সমুদ্রে তলিয়ে যাবে  ১৩. বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন যে প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর যথার্থ কারণ হিসেবে নিচের কোনটি সঠিক? ক. বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে খ. জলধারগুলো ভরাট করা গ. তাপমাত্রা বেড়ে বরফ গলে যাচ্ছে  ঘ. নদী ভাঙন হওয়া ১৪. তুমি যদি গাছ না লাগিয়ে শুধু গাছ কেটে ফেল, তাহলে কেনটি ঘটবে বলে তুমি মনে কর? ক. বন্যা খ. অতিবৃষ্টি গ. খরা  ঘ. ঘূর্ণিঝড় ১৫. পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ানের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। বছরের কোনো এক সময় দেখা গেল চাপকল দিয়ে পানি ওঠানো যাচ্ছে না। কী কারণে পানি ওঠানো যাচ্ছে না? ক. মাটির আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় খ. ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায়  গ. জলাবদ্ধতা ঘ. ভ‚গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূূষণ ১৬. রতনদের বাড়ি দিনাজপুর। তাদের এলাকায় মারাত্মক দুর্যোগ কোনটি? ক. খরা  খ. নদীভাঙন গ. জলোচ্ছ¡াস ঘ. ঘূর্ণিঝড় ১৭. অনেক সময় উঁচু রাস্তা বা বাঁধের উপর মাচা বানিয়ে অনেক পরিবার বাস করে কেন? ক. বন্যার কারণে  খ. খরার কারণে গ. দুর্ভিক্ষের কারণে ঘ. মহামারীর কারণে ১৮. ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হলে তুমি কী করবে? ক. ঘরে বসে থাকব খ. গাছের নিচে আশ্রয় নেব গ. পুরোপুরি শান্ত থাকব  ঘ. ছোটাছুটি করব ১৯. গত বর্ষায় রেহানাদের পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এটির কারণ কী? ক. ঘূর্ণিঝড় খ. মারাত্মক বন্যা  গ. জলোচ্ছ¡াস ঘ. গাছপালা কাটা ২০. বিপুল উত্তরাঞ্চলে বাস করে। উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি মারাত্মক দুর্যোগ হলোÑ ক. ভ‚মিকম্প খ. খরা  গ. বন্যা ঘ. নদীভাঙন ২১. তুমি হঠাৎ করে অনুভব করলে ভ‚মিকম্প হচ্ছে। এক্ষেত্রে তোমার করণীয় কী? ক. শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিব  খ. ছুটোছুটি করে বাইরে বের হব গ. আলমারি বা জানালার কাছে দাঁড়াব ঘ. দালানের নিচে গিয়ে আশ্রয় নিব ২২. ভ‚মিকম্পের সময় তুমি বিছানায় থাকলে কী করবে? ক. ওঠে দৌড় দিবে খ. আলমারির কাছে যেতে হবে গ. টেবিলের উপরে বসতে হবে ঘ. বালিশের নিচে মাথা দেবে  ২৩. বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। নিচে কোনটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বলে তুমি মনে কর? ক. বন-জঙ্গল ধ্বংস করা

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা

অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ পরিবারের উপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ কর। উত্তর : পরিবারের উপর অধিক জনসংখ্যার প্রধান তিনটি প্রভাব উল্লেখ করা হলো : ১. খাদ্য : পরিবারে অধিক জনসংখ্যা হলে সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ২. বস্ত্র : পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হলে বাবা-মা অনেক সময় সব সন্তানদের প্রয়োজনীয় কাপড় কিনে দিতে পারেন না। ৩. বাসস্থান : পরিবারে অধিক জনসংখ্যা হলে সবার জন্য পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং গাদাগাদি করে থাকতে হয়। প্রশ্ন \ ২ \ সমাজের উপর অধিক জনসংখ্যার তিনটি প্রভাব উল্লেখ কর। উত্তর : সমাজে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাব পড়ে। যেমন : শিক্ষা : অধিক জনসংখ্যার কারণে সমাজে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে সমাজের মানুষ হয় অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন। স্বাস্থ্য : অধিক জনসংখ্যার ফলে সমাজে স্বাস্থ্যসেবা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। উপরন্তু চিকিৎসক সংখ্যা লোকের তুলনায় কম থাকে। পরিবেশ : কোনো সমাজে অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মানুষ গাছপালা কেটে বাড়িঘর তৈরি করে, অধিক ফসল ফলাতে গিয়ে জমিতে প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে। এতে পুকুর ও নদীর পানি দূষিত হয়। প্রশ্ন \ ৩ \ জনসংখ্যা সমস্যার তিনটি সমাধান লেখ। উত্তর : জনসংখ্যা সমস্যার তিনটি সমাধান : ১. শিক্ষার প্রসার : শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জীবনযাত্রার মান উঁচু রাখার জন্য পরিবারের জনসংখ্যা সীমিত রাখে। এভাবে শিক্ষা জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে। ২. বহুমুখী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুটির শিল্প স্থাপন, পশুপালন ও মৎস্য চাষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করে জনসংখ্যার চাপ লাঘব করা যায়। ৩. পরিকল্পিত পরিবার কর্মসূচি বাস্তবায়ন : শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে, সচেতনতা সৃষ্টি করে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি জনপ্রিয় করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা যায়।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন \ ১ \ অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ কীভাবে উপকৃত হতে পারে? উত্তর : অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। যথা- ক. উপযুক্ত খাদ্য পাবে এবং কাউকে না খেয়ে জীবনযাপন করতে হবে না। খ. অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টিকর খাবার পাবে। গ. বেকারত্ব দূর হবে। ঘ. অধিক খাদ্য উৎপাদন হলে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ঙ. সর্বোপরি মানসম্মত জীবনযাপন করবে। প্রশ্ন \ ২ \ শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? উত্তর : শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারি। যথা : ক. দক্ষ জনসম্পদ রপ্তানি করতে পারলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। খ. প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। গ. বেকারত্ব হ্রাস পাবে। ঘ. শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে, দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ঙ. দেশের সুনাম ছড়াবে। প্রশ্ন \ ৩ \ কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? উত্তর : কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারি। যথা : ক. কৃষিকাজে কারিগরি প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারি। খ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প কারখানার ব্যাপক উন্নতি সাধন করে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে উপকৃত হতে পারি। গ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন যন্ত্র ও কৌশল আবিষ্কার করে উৎপাদন বাড়ানো যায়। ঘ. কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবনযাপন সহজ ও আরামদায়ক হয়।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যাকে জনসস্পদে রূপান্তরের জন্য তুমি কী পরামর্শ দিবে? ক. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের খ. খাদ্য সমস্যা সমাধানের গ. বাসস্থান নিশ্চিতকরণের ঘ. স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ২. জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার প্রয়োজন কেন? ক. ভৌগোলিক উন্নয়নের জন্য খ. অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ. প্রাকৃতিক উন্নয়নের জন্য ঘ. জাতিগত উন্নয়নের জন্য ৩. বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তুমি কোনটি রপ্তানির পরামর্শ দিবে? ক. জনসম্পদ খ. মৎস্যসম্পদ গ. বনজসম্পদ ঘ. খনিজসম্পদ ৪. কোনো একটি দেশ দিন দিন উন্নত হচ্ছে জনসংখ্যার কল্যাণে। কখন জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হয়? ক. যখন জীবনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে খ. যখন দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গ. যখন শিক্ষাগ্রহণ করা হয় ঘ. যখন মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে ৫. পরিবেশের উপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব নিচের কোনটিতে প্রকাশ পায় না? ক. বনের গাছপালা কেটে বাড়িঘর নির্মাণ খ. কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার গ. মৌলিক চাহিদার ওপর জীবনযাত্রার মান নির্ভরশীল ঘ. ভ‚গর্ভের পানি সেচ কাজে ব্যবহার ৬. জাকারিয়া একজন কৃষিবিদ, তিনি তার জমিতে অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন এর ফলে কী ক্ষতি হবে? ক. পানি দূষিত হবে খ. মাটির উর্বরতা কমে যাবে গ. ফসল উৎপাদন কমবে ঘ. বায়ু দূষিত হবে ৭. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান অত্যাবশ্যক। নিচের কোনটি বৃদ্ধিতে এগুলোর অভাব পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে? ক. জনসংখ্যা খ. রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ. প্রাকৃতিক সম্পদ ঘ. সামাজিক সম্পদ ৮. মিম পরিবারের আয়মূলক কাজ করায় বিদ্যালয়ে যায় না। এ কারণে সে কোনটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? ক. বস্ত্র খ. শিক্ষা গ. চিকিৎসা ঘ. বাসস্থান ৯. আব্দুস সাত্তার তার সাত সন্তানের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। এর মূল কারণ হলো ক. চাহিদা বেশি খ. শিক্ষার অভাব গ. বুদ্ধির অভাব ঘ. সদস্যসংখ্যা বেশি ১০. দেশে সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনটি অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত? ক. শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়া খ. জনসংখ্যার হার বেড়ে যাওয়া গ. সম্পদের সীমাবদ্ধতা ঘ. অপর্যাপ্ত জনসংখ্যা ১১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ গাছপালা কেটে বাড়িঘর তৈরি এবং জীবিকা নির্বাহ করছে। এর ফলাফল হিসেবে কী ঘটছে? ক. কৃষি জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে খ. জীবনমান উন্নত হচ্ছে গ. ঘূর্ণিঝড় কমে যাচ্ছে ঘ. পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে ১২. শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা কম। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কম হওয়ার জন্য তুমি কোনটিকে বেশি দায়ী করবে? [উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাক] ক. শিক্ষার প্রতি অনাগহ খ. মানুষের জীবনযাত্রার মান কম গ. অতিরিক্ত জনসংখ্যা ঘ. অশিক্ষিত বাবা-মা ১৩. আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। এর ফলে আমাদের দেশের জন্য কী হবে? [উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা] ক. মানুষের লেখাপড়ায় আগ্রহ কমবে খ. বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে গ. মানুষের জীবনযাত্রার মান কমবে ঘ. বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে ১৪. রতনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় সে ঠিকমতো খেতে পায় না। এ কারণে সে প্রায় অসুস্থ থাকে। তার অসুস্থতার কারণ কী? ক. পুষ্টির অভাব খ. স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাব গ. বাসস্থানের অভাব ঘ. চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ১৫. তোমার মতে, গ্রামের লোকদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে কী দরকার? ক. সুষ্ঠু পরিকল্পনা খ. ইচ্ছামতো কাজ করা গ. চাকরিতে নিয়োগ বৃদ্ধি ঘ. অধিক পরিবার গঠন ১৬. তোমার মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপাদান কোনটি? ক. জনসম্পদ

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা Read More »

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প

অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প  অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান  অল্পকথায় উত্তর দাও : প্রশ্ন-১ : আমাদের দেশের পাঁচটি শস্যের নাম লেখ। উত্তর : আমাদের প্রধান পাঁচটি শস্যের নাম হলো : ১. ধান, ২. গম, ৩. সরিষা, ৪. ডাল ও ৫. আলু। প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্পের নাম লেখ। উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্প হলো : ১. পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প ও কাগজ শিল্প। প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্পের নাম লেখ। উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্প হলো : ১. তাঁত শিল্প, ২. রেশম শিল্প ও ৩. মৃৎ শিল্প।  প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : প্রশ্ন-১ : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে? উত্তর : কৃষিখাত জনবহুল বাংলাদেশের খাদ্য সরবরাহের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। তদুপরি এদেশের রপ্তানি আয়ের একটি প্রধান অংশ আসে কৃষিপণ্য থেকে। বর্তমানে অর্থাৎ ২০১১-২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২০% হচ্ছে কৃষির অবদান। বাংলাদেশে দু’ধরনের কৃষিজাত পণ্য রয়েছে। যথা: খাদ্য জাতীয় কৃষিদ্রব্য এবং অর্থকরী কৃষিদ্রব্য। অর্থকরী কৃষিদ্রব্যের মধ্যে হিমায়িত খাদ্য, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, চা ইত্যাদি অর্থকরী কৃষিদ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। অর্থাৎ বলা যায় যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশ্ন-২ : আমাদের পোশাক শিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা কর। উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। নিচে পোশাক শিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা করা হলো : ক. এসব কারখানায় পোশাক তৈরি করে দেশের ষোলো কোটি মানুষের বস্ত্র চাহিদা মেটায়। খ. বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে। গ. দেশের বেকারত্ব দূর করে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। ঘ. পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুর্দ্রা অর্জন করে। প্রশ্ন-৩ : বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর : বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য : বৃহৎ শিল্প ক্ষুদ্র শিল্প বিপুল পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয় অল্প পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন অল্প শ্রমিকের প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যাহত হয়। উৎপাদিত পণ্য দেশে বিদেশে বাজারজাত করা হয়। উৎপাদিত পণ্য বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হয়। পুঁজি ও বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি। পুঁজি ও বিনিয়োগের পরিমাণ অল্প।  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর  যোগ্যতাভিত্তিক ১. বর্তমানে বাংলাদেশে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কেন? ক. তামাক চাষ ব্যয়বহুল খ. তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর গ. বিদেশে তামাকের চাহিদা কমেছে ঘ. তামাক চাষের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয় ২. বাংলাদেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সর্বোত্তম উপায় কোনটি? ক. শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ করে খ. দরিদ্র জনগণকে বিলিয়ে দিয়ে গ. সমগ্র জনগণকে বিলিয়ে দিয়ে ঘ. পরিশ্রমী পরিবারকে বিলিয়ে দিয়ে ৩. তোমাদের এলাকার কৃষিজমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তুমি কার পরামর্শ নেবে? ক. মৎস্য কর্মকর্তার খ. শিক্ষা কর্মকর্তার গ. কৃষি কর্মকর্তার ঘ. বন কর্মকর্তার ৪. বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে নিচের কোনটি প্রয়োজন? ক. রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো খ. আমদানির পরিমাণ বাড়ানো গ. রপ্তানির পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখা ঘ. আমদানির পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখা ৫. বাংলাদেশকে ‘কৃষিপ্রধান দেশ’ বলার কারণ কী? ক. এদেশের অধিকাংশ লোকের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল খ. বাংলাদেশ কেবল কৃষিজাত দ্রব্যই উৎপাদন করে গ. এদেশের অর্থনাীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে ঘ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস হলো কৃষি সামগ্রী ৬. মনে কর তুমি একজন কৃষক এবং তোমার জমি দিন দিন উর্বরতা হারাচ্ছে। এখন তুমি কী করবে? ক. আখ ফলানো খ. ফসল ফলাবো না গ. সার ব্যবহার করবো ঘ. জমি বিক্রি করে দেব ৭. ধর তুমি পাহাড়ি এলাকায় বসবাস কর। তুমি নিচের কোন ফসলটি ফলাবে? ক. চা খ. গম গ. ধান ঘ. পাট ৮. বাংলাদেশের জন্য কৃষি খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের কী করা উচিত? ক. অধিক জমি চাষ খ. অধিক সারের ব্যবহার গ. উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ঘ. বিভিন্ন প্রকার শস্যের চাষ ৯. শিল্পকারখানা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটাÑ ক. কৃষির চেয়ে ভালো খ. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে গ. কৃষির চেয়ে নোংরা ঘ. কৃষির চেয়ে লাভজনক ১০. বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্ন আমরা তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে পারিÑ ক. বেতন বাড়িয়ে খ. ভালো খাবার দিয়ে গ. উপদেশ দিয়ে ঘ. ভালো কাপড় দিয়ে ১১. লাকী বেগম মাটি ও পোড়ামাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করে অনেক টাকা উপার্জন করেন, তার এই কাজটি কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত? ক. বৃহৎ শিল্প খ. মাঝারি শিল্প গ. তাঁত শিল্প ঘ. কুটির শিল্প ১২. রানা গাজীপুরে চটের তৈরি বস্তা ও নানারকম ব্যাগের ব্যবসা করে। রানার ব্যবসায় উৎপাদিত পণ্যগুলো কোন শিল্পের? ক. পাট শিল্পের খ. বস্ত্র শিল্পের গ. কুটির শিল্পের ঘ. তাঁত শিল্পের ১৩. দেশের চন্দ্রঘোনা, খুলনা ও পাকশীর কলে উৎপাদিত শিল্পপণ্য দেশের চাহিদা অনেকখানি পূর্ণ করে। এখানে কোন শিল্পের কথা বলা হয়েছে? ক. পাট শিল্প খ. সিমেন্ট শিল্প গ. কাগজ শিল্প ঘ. চিনি শিল্প ১৪. দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোতে গম চাষ ছাড়া আর কোনটির চাষ ভালো হয়? ক. ডাল খ. ধান গ. আলু ঘ. পাট ১৫. বাংলাদেশের কোন শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী শ্রমিকের কাজের সংস্থান হয়েছে? ক. কুটির শিল্পে খ. ক্ষুদ্র শিল্পে গ. ওষুধ শিল্পে ঘ. পোশাক শিল্পে ১৬. বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ধান উৎপাদন হয়। এর কারণ হিসেবে নিচের কোন তথ্যটি তুমি সমর্থন কর? ক. বাংলাদেশের জলবায়ু খ. উন্নত কৃষি প্রযুক্তি গ. কৃষকদের প্রশিক্ষণ ঘ. কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা ১৭. নিচের কোন শিল্পটি জনপ্রিয় সিল্ক শাড়ির চাহিদা মেটায়? ক. তাঁত শিল্প খ. রেশম শিল্প গ. সাবান শিল্প ঘ. চামড়া শিল্প ১৮. এদেশের মাটিতে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য কৃষিদ্রব্যÑ ক. গম খ. আলু গ. তেলবীজ ঘ. মসলা ১৯. শিল্পায়নের ফলে বাংলাদেশ যে সুবিধাটি পাচ্ছে তা হলোÑ ক. বেকারত্ব কমেছে খ. শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ছে গ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে ঘ. জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে ২০. কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত একটি স্থানে তুমি বেড়াতে গেলে। স্থানটি কোথায়? ক. রাজশাহী জেলার চারঘাট খ. কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর গ. রংপুর জেলার কাউনিয়া ঘ. জামালপুর জেলার ইসলামপুর ২১. বাংলাদেশকেÑ নির্ভর দেশ বলা হয়। ক. শিল্প খ. কৃষি গ. বৈদেশিক ঘ. সবগুলো ২২. জমির শেখ অর্থকরী কৃষিদ্রব্য উৎপাদন করেন। তিনি কোন ফসলটি চাষ করবেন? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা] ক. তৈলবীজ খ. ডাল গ. পাট ঘ. গম ২৩. চন্দ্রঘোনা, পাকশি ও খুলনায় একটি অভিন্ন শিল্প রয়েছে। সেটি কী? ক. চিনি খ. সার গ. কাগজ ঘ. সিমেন্ট ২৪. আসলাম পাট শিল্পের সাথে জড়িত। সে বাংলাদেশের কোন জেলার বাসিন্দা? ক. চাঁদপুর খ. কুমিল্লা গ. দিনাজপুর ঘ. চট্টগ্রাম ২৫. জামি প্রায়ই ভাতের সাথে মরিচ খায়। মরিচ কী হিসেবে উৎপাদন করা হয়? ক. খাদ্যশস্য

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প Read More »

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয়

৫ম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয় ⇒ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর : সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দাও : ১. মহানবি (স) কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? ক. ৫২২ খ্রি. খ. ৫৭০ খ্রি. গ. ৬১০ খ্রি. ঘ. ৬২২ খ্রি. ২. হযরত মুহাম্মদ (স)-এর প্রথম দুধমাতা কে ছিলেন? ক. সোয়েবা খ. হালিমা গ. আম্বিয়া ঘ. সালেহা ৩. কত বছর বয়সে মুহাম্মদ (স)-এর দাদা মারা যান? ক. ৩ বছর খ. ৫ বছর গ. ৭ বছর ঘ. ৮ বছর ৪. নবুয়তের কত সনে মহানবি (স)-এর মিরাজ হয়েছিল? ক. দশম খ. একাদশ গ. দ্বাদশ ঘ. চতুর্দশ ৫. মহানবি (স) কত খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন? ক. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে খ. ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে গ. ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ৬. হযরত আদম (আ) কিসের তৈরি? ক. আগুন খ. পাথর গ. মাটি ঘ. পানি ৭. হযরত নূহ (আ) কত বছর আল্লাহর দীনের দাওয়াত দিয়েছিলেন? ক. সাড়ে ছয় শ বছর খ. সাড়ে নয় শ বছর গ. সাড়ে আট শ বছর ঘ. সাড়ে সাত শ বছর ৮. হযরত ইবরাহীম (আ)-এর পিতার নাম কী? ক. আযম খ. হাতেম গ. আজর ঘ. আমর ৯. হযরত দাউদ (আ) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ক. বানু ইসরাইল খ. বানু তামীম গ. বানু পায়েস ঘ. বানু গালিব ১০. আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজেল করেন? ক. কুরআন খ. তাওরাত গ. ইনজিল ঘ. যাবুর ১১. হযরত সুলায়মান (আ)-এর পিতার নাম কী? ক. হযরত ঈসা (আ) খ. হযরত দাউদ (আ) গ. হযরত মূসা (আ) ঘ. হযরত ইবরাহীম (আ) ==== উত্তরমালা ==== ১. খ ২. ক ৩. ঘ ৪. খ ৫. গ ৬. গ ৭. খ ৮. গ ৯. ক ১০. গ ১১. খ খ শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. হযরত মুহাম্মদ (স) —- বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ২. ফিজার যুদ্ধ —- গোত্র কুরাইশদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। ৩. —- পর্বতের গুহায় হযরত মুহাম্মদ (স) ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ৪. হিজরতের সময় মহানবি (স) —- পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেন। ৫. মদিনা সনদে —- টি ধারা ছিল। ৬. আল্লাহর কোনো —- নেই। ৭. হযরত নূহ (আ) আল্লাহর নির্দেশে এক বিরাট —- তৈরি করলেন। ৮. হযরত ইবরাহীম (আ)-এর আমলে সেখানকার বাদশাহ ছিলেন —- । ৯. হযরত দাউদ (আ) শৈশবে —- চরাতেন। ১০. হযরত ঈসা (আ) আল্লাহর হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে —- করতেন। উত্তর : ১. কুরাইশ; ২. কায়াস; ৩. হেরা; ৪. মক্কার সাওর; ৫. ৪৭; ৬. শরিক; ৭. নৌকা; ৮. নমরূদ; ৯. মেষ; ১০. জীবিত। গ বাম পাশের শব্দগুলোর সাথে ডান পাশের শব্দগুলো মিলাও বাম পাশ ডান পাশ মহানবি (স)-এর পিতা মহানবি (স)-এর মাতা মহানবি (স)-এর দাদা মহানবি (স)-এর চাচা মহানবি (স)-এর দুধমা হযরত আদম (আ)-এর সঙ্গির নাম নৌকা জুদি পাহাড়ে এসে হযরত দাউদ (আ) বাদশাহ তালুতের হযরত ঈসা (আ)-এর আম্মার নাম আব্দুল মুত্তালিব হালিমা আবু তালিব আব্দুল্লাহ আমিনা থামল হযরত মরিয়ম (আ) হযরত হাওয়া (আ) সেনাপতি ছিলেন উত্তর : মহানবি (স)-এর পিতা আব্দুল্লাহ। মহানবি (স)-এর মাতা আমিনা। মহানবি (স)-এর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। মহানবি (স)-এর চাচা আবু তালিব। মহানবি (স)-এর দুধমা হালিমা। হযরত আদম (আ)-এর সঙ্গির নাম হযরত হাওয়া (আ)। নৌকা জুদি পাহাড়ে এসে থামল। হযরত দাউদ (আ) বাদশাহ তালুতের সেনাপতি ছিলেন। হযরত ঈসা (আ)-এর আম্মার নাম হযরত মরিয়ম (আ)। = সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : প্রশ্ন- ১ \ পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (স) সম্বন্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন? উত্তর : পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (স) কে অসাধারণ বালক বলে মন্তব্য করেন এবং শেষ নবি বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। প্রশ্ন- ২ \ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর গঠিত সংঘের নাম কী? উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স)-এর গঠিত সংঘের নাম হিলফুল ফুযূল বা শান্তিসংঘ। প্রশ্ন- ৩ \ হাজরে আসওয়াদ কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল? উত্তর : মহানবি (স) নিজের হাতে হাজরে আসওয়াদ বা পাথরখানা কাবার দেয়ালে স্থাপন করেছিলেন। প্রশ্ন- ৪ \ মহানবি (স) প্রথমে কাদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেন? উত্তর : নবুয়ত লাভের পর হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহর নির্দেশে প্রথমে নিকট আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেন। প্রশ্ন- ৫ \ আনসার কারা? উত্তর : মুহাজিরদের মদিনায় যাঁরা আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন আনসার। প্রশ্ন- ৬ \ মুহাজির কাদের বলে? উত্তর : মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান তাঁদেরকে বলা হয় মুহাজির। প্রশ্ন- ৭ \ বদর যুদ্ধের কারণ কী? উত্তর : মদিনায় ইসলামের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে মক্কার কাফির মুশরিকরা হিংসায় জ্বলে ওঠে। মদিনার ইহুদিরা তাদের প্ররোচিত করেছিল। এ সময় আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার গুজবও উঠেছিল। এসবই বদর যুদ্ধের কারণ। প্রশ্ন- ৮ \ মদিনার সনদ কী? উত্তর : মদিনায় শান্তি, স¤প্রীতি বজায় রেখে স্বাধীনভাবে নিজ ধর্মকর্ম পালন এবং মদিনার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে মহানবি (স) সকল স¤প্রদায়কে নিয়ে একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন করেন, এটিই ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত। প্রশ্ন- ৯ \ হুদাইবিয়ার সন্ধি কী? উত্তর : হুদাইবিয়া নামক স্থানে মক্কার কুরাইশরা মুসলমানদের সাথে একটি সন্ধি করে, যা হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত। প্রশ্ন- ১০ \ বিদায় হজ কাকে বলে? উত্তর : মহানবি (স)-এর জীবনের সর্বশেষ হজকেই বিদায় হজ বলা হয়। প্রশ্ন- ১১ \ পৃথিবীর আদি মানব কে ছিলেন? উত্তর : পৃথিবীর আদিমানব ছিলেন হযরত আদম (আ)। প্রশ্ন- ১২ \ হযরত নূহ (আ)-এর সময় কী আজাব এসেছিল? উত্তর : হযরত নূহ (আ)- এর সময়ে মানুষের অবাধ্যতার ফলস্বরূপ তুফানের আজাব এসেছিল। প্রশ্ন- ১৩ \ হযরত ঈসা (আ) বর্তমানে কোথায় জীবিত আছেন? উত্তর : হযরত ঈসা (আ) বর্তমানে দ্বিতীয় বা চতুর্থ আসমানে জীবিত অবস্থায় আছেন। প্রশ্ন- ১৪ \ ইবরাহীম (আ) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? উত্তর : হযরত ইবরাহীম (আ) ইরাক দেশের বাবেল শহরে এক পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রশ্ন- ১৬ \ হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর কোন কিতাব নাজেল হয়? উত্তর : হযরত দাউদ (আ)-এর ওপর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘যাবুর’ নাজেল হয়। প্রশ্ন- ১৭ \ হযরত দাউদ (আ)-এর বীরত্বের উদাহরণ দাও। উত্তর : হযরত দাউদ (আ) আল্লাহদ্রোহী ও অত্যাচারী শাসক জালুতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। প্রশ্ন- ১৮ \ হযরত ঈসা (আ)-এর মোজেযা উল্লেখ কর। উত্তর : ১. আল্লাহর হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা; ২. শিশু বয়সে দোলনায় থাকা অবস্থায় কথাবার্তা বলা; ৩. জন্মান্ধকে চোখের দৃষ্টিশক্তি দান; ৪. ধবল-শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগীদের আল্লাহর রহমতে রোগমুক্ত করা। প্রশ্ন- ১৯ \ আল্লাহর হুকুমে হযরত সুলায়মান (আ)-এর অধীনে কী কী ছিল? উত্তর : হযরত সুলায়মান (আ) জিন-পরী, পশুপাখি, গাছপালার ভাষা বুঝতে পারতেন। আল্লাহর আদেশে এসব তাঁর অধীনে ছিল। এমনকি বাতাসও তাঁর অধীনে ছিল। = বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্ন- ১ \ হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জন্ম ও বংশ পরিচয় দাও। উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল এবং

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় মহানবি (স)-এর জীবনাদর্শ ও অন্যান্য নবিগণের পরিচয় Read More »

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা

৫ম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা ⇒অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর : সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (√) দাও : ১. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয়- ক. ﮦ – ﺀ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﺡ – ﻉ ঘ. ﻒ ২. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয়- ক. ﺡ – ﻉ খ. ﺥ – ﻍ গ. ﻱ – ﺶ – ﺝ ঘ. ﮦ – ﺀ ৩. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﻝ খ. ﻚ গ. ﻦ ঘ. ﺾ ৪. জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের নিচের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﺖ ﺪ ﻃ খ. ﺯ ﺲ ﺺ গ. ﮦ – ﺀ ঘ. ﻒ ৫. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﮦ – ﺀ খ. ﻖ গ. ﺥ – ﻍ ঘ. ﻚ ৬. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﻱ – ﺶ – ﺝ খ. ﺮ গ. ﺖ ﺪ ﻃ ঘ. ﺯ ﺲ ﺺ ৭. জিহ্বার অগ্রভাগ ওপরের দুই দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ক. ﺙ ﺫ ﻇ খ. ﻦ গ. ﺯ ﺲ ﺺ ঘ. ﺖ ﺪ ﻃ ==== উত্তরমালা ==== ১. গ ২. খ ৩. গ ৪. খ ৫. খ ৬. ক ৭. ঘ খ শূন্যস্থান পূরণ কর : ১. কুরআন মজিদ আল্লাহর —- । ২. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় —-। ৩. ح—- ع কণ্ঠনালির —- থেকে উচ্চারিত হয়। ৪. বিরাম চিহ্নকে —- বলে। ৫. কুরআন মজিদের ভাষা —- । উত্তর : ১. কালাম; ২. ﻖ ; ৩. মাঝখান; ৪. ওয়াক্ফ; ৫. আরবি। গ বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের কথাগুলো মিল কর : বাম পাশ ডান পাশ কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয় জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় আসমানি কিতাব ৪টি ﻖ   ﻩ – ﺀ ﻡ ﺐ ﻭ উত্তর : কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য ৪টি। কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব। দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয় ﻡ ﺐ ﻭ জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻖ কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﻩ – ﺀ ⇒ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য কয়টি? উত্তর : কুরআন মজিদ পাঠের উদ্দেশ্য হলো চারটি। প্রশ্ন- ২ \ মাখরাজ কয়টি? উত্তর : মাখরাজ ১৭টি। প্রশ্ন- ৩ \ কণ্ঠনালির হরফ কয়টি? উত্তর : কণ্ঠনালির হরফ ছয়টি। প্রশ্ন- ৪ \ ﻈ ﺬ ﺚ কোথা থেকে উচ্চারিত হয়? উত্তর : জিহ্বার অগ্রভাগ সামনের ওপরের দুই দাঁতের অগ্রভাগে লাগিয়ে ﻈ ﺬ ﺚ এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হয়। প্রশ্ন- ৫ \ দুই ঠোঁট থেকে কোন কোন হরফ উচ্চারিত হয়? উত্তর : দুই ঠোঁট থেকে উচ্চারিত হয়। ﻮ (ওয়াও); ﺐ (বা) এবং ﻢ (মিম)। ⇒ বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্ন- ১ \ কুরআন মজিদ কার বাণী? কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কয়টি ও কী কী? উত্তর : কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো চারটি। যথা : ১. সহিহ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা ২. এর অর্থ বুঝা। ৩. আল্লাহপাক যা আদেশ করেছেন তা পালন করা। ৪. আল্লাহপাক যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। প্রশ্ন- ২ \ কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে কী কী বিষয়ে জানতে পারবে তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে যেসব বিষয় আমরা জানতে পারব তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো : ক. আল্লাহপাকের বিধি-বিধান ১. আল্লাহপাকের পরিচয় ও নবি-রাসুলগণের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব। ২. ফেরেশতাগণের পরিচয় ও পরকালের পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারব। ৩. কে আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা ও পালনকর্তা তা জানতে পারব। ৪. কে একমাত্র সর্বশক্তিমান, সবকিছুর মালিক, পরম দয়ালু ও একমাত্র শান্তিদাতা তা জানতে পারব। খ. মানবজীবনের পদ্ধতি ১. আমাদের কাজকর্ম ও চরিত্র কীরূপ হওয়া উচিত তা জানতে পারব। ২. দুনিয়ায় আমাদের কীরূপে জীবনযাপন ও লেনদেন করতে হবে তা জানতে পারব। ৩. দুনিয়ায় আমরা কার হুকুম মানব, আর কার হুকুম মানব না সে সম্পর্কে জানতে পারব। ৪. কীসে আমাদের সম্মান, সফলতা, ব্যর্থতা এবং লাঞ্ছনা তা জানতে পারব। প্রশ্ন- ৩ \ তাজবিদ কাকে বলে? সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করার কী কী লাভ আছে উল্লেখ কর। উত্তর : শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের লাভ : সঠিক উচ্চারণে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে আল্লাহপাকের কালামের অর্থ ঠিক থাকে। সালাত সহিহশুদ্ধ হয়। সঠিক ও শুদ্ধভাবে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করতে না পারলে আল্লাহর কালামের অর্থ ঠিক থাকে না। সালাত শুদ্ধ হয় না, পাপ হয়। সুতরাং সঠিক উচ্চারণে আমাদের কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা শিখতে হবে। প্রশ্ন- ৪ \ মাখরাজ কাকে বলে? উদাহরণসহ লিখ। উত্তর : আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। কোনো একটি হরফকে সাকিন করে ডানে একটি হরকতবিশিষ্ট আলিফ বসিয়ে উচ্চারণ করলে সাকিন হরফটির আওয়াজ যে স্থানে গিয়ে থেমে যায় তাহলো ঐ হরফের মাখরাজ বা উচ্চারণের স্থান। যেমন : আলিফ বা যবর ‘আব’। এখানে ‘ب’ বর্ণের উচ্চারণের সময় আওয়াজ দুই ঠোঁটে এসে থেমে গেছে। কাজেই ‘ب’ বর্ণের মাখরাজ দুই ঠোঁট। প্রশ্ন- ৫ \ কোন কোন স্থান থেকে আরবি বর্ণগুলো উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : উচ্চারণস্থান মোট ১৭টি। আরবি বর্ণগুলো যেসব স্থান থেকে উচ্চারিত হয়, তার একটি তালিকা উপস্থাপন করা হলো : ক. নাসাগহŸর, মুখগহŸর, জিহ্বার, তালু, আলাজিহ্বার, কণ্ঠনালির শুরু, মধ্যভাগ ও শেষ অংশ। খ. ডান দিকের উপরের মাড়ির দাঁত, বাম দিকের উপরের মাড়ির দাঁত। গ. উপরের ঠোঁট, সামনে উপরের দুটি দাঁত, সামনের নিচের দুটি দাঁত। প্রশ্ন- ৬ \ কণ্ঠনালি থেকে কোন কোন বর্ণ উচ্চারিত হয় তা লিখ। উত্তর : কণ্ঠনালি থেকে নিম্নোক্ত বর্ণগুলো উচ্চারিত হয়। যেমন : ১. কণ্ঠনালির শুরু থেকে উচ্চারিত হয় ﺀ ,ﻩ (হা, হামযাহ) ২. কণ্ঠনালির মাঝখান থেকে উচ্চারিত হয় ﻉ ,ﺡ (হা, আইন) ৩. কণ্ঠনালির শেষ অংশ থেকে উচ্চারিত হয় ﻍ ,ﺥ (খা, গাইন) প্রশ্ন- ৭ \ জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তার একটি তালিকা তৈরি কর। উত্তর : জিহ্বার থেকে যেসব বর্ণ উচ্চারিত হয় তা হলো : ১. জিহ্বার গোড়া তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয়- ‘ﻖ’ (ক্বাফ) ২. জিহ্বার গোড়ার কিছুটা সামনের অংশ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻚ’ (কাফ) ৩. জিহ্বার মধ্যভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺝ’ (জিম), ‘ﺲ’ (শিন), ‘ﻯ’ (ইয়া), ৪. জিহ্বার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﺾ’ (দোয়াদ) ৫. জিহ্বার অগ্রভাগের কিনারা, সামনের ওপরের দাঁতের সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ‘ﻞ’ (লাম) ৬. জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর সাথে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ﻦ (নুন) ৭.

পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় কুরআন মজিদ শিক্ষা Read More »

Scroll to Top