বাংলা

(ত্রয়োদশ) ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান

প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের জানায় স্বাগতম। তোমরা নিশ্চয় তোমাদের ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান নিয়ে চিন্তিত আছো। তোমাদের সেই চিন্তার অবসান করতে আমাদের প্রচেষ্টা। সেজন্য তোমাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম ত্রয়োদশ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা উত্তর নিয়ে। Table Of Contents সকল সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর একসাথে দেখুন তোমাদের ১৩ সপ্তাহের জন্য দুটি এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। একট হলো বাংলা ও অন্যটি গণিত।েএই দুটি বিষয় তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের যে স্যারেরা তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট খাতা মূল্যায়ন করবে তাদের এই বিষয় দুটির উপর আলাদা নগর থাকবে। তোমরা কে কেমন ভালো করছো তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তি শ্রেণির রোল নির্ধারণ করা হতে পারো। তাই তোমাদের কাছে সাজেশন থাকবে এই বিষয় দুটি ভালো করে লিখা। ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান কেরোনাকালীন সময়ে তোমাদের পড়ালেখা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই তোমাদের সেই ঘাটতি পড়ালেখা পুশিয়ে নিতে এই এসাইনমেন্টের ব্যবস্থা। আর তোমাদের হয়তো জানার কথা তেমাদের এসাইনমেন্ট খাতা মুল্যায়নের জন্য তোমাদের বিদ্যালয়ের স্যারদের ভালো করে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এবং বলে দেওয়া হয়েছে যে তোমরা যেন কোনো  রকম কপি করে না লেখ। লিখতে খাতা বাতিল করার কথাও বলা হয়েছে। তাই তোমাদের কাছে বলা হচ্ছে এই ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা উওর তোমরা কেবল একটি নমুনা উত্তর হিসেবে গ্রহণ করবে। এবং কিছুটা তোমরা নিজের মত করে লিখবে। তাহলে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলা ২০২১ সঠিক বলে গণ্য হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ১৩তম সপ্তাহের বাংলা উত্তর লেখার আগে অবশ্যই প্রশ্নগুলো পড়ে দেখবা। তাহলে তোমাদের উত্তর সম্পর্কে একটি ধারণা জন্মাবে এবং এই নমুনা উত্তর ফলো করলে তোমরা নিজেরাই সঠিকভাবে উত্তর লিখতে পারবে।  চলো তাহলে শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের ত্রয়োদশ সপ্তাহের ৬ ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা ২০২১ প্রশ্নগুলো দেখে নেওয়া যাক। ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১৩ সপ্তাহ প্রশ্ন শ্রেণিঃ ষষ্ঠ বিষয়ঃ বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ক্রমঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণি বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ৪ নির্ধরিত কাজঃ মানুষের জন্য কল্যানকর এমন দশটি কাজের তালিকা লিপিবদ্ধ কর। নির্দেশনাঃ তোমার পাঠ্যবইয়ের সুখ কবিতা ও তার মূলভাব, বিষয়বস্তু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১৩ সপ্তাহ প্রশ্ন উপরের প্রশ্নগুলো পড়ে তোমাদের কি মনে হচ্ছে, প্রশ্ন খুব সহজ? হ্যা, প্রশ্ন আসলেই খুব সহজ। তোমরা নিচের নমুনা উত্তরটি একবার দেখলে নিজেই উত্তর লিখতে পারবে। তাহলে আর কপি কেন। নিজেই উত্তর লেখার চেষ্টা কর। ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা উওর এসাইনমেন্ট শুরু মানুষ মানুষের জন্য। আমরা একটি কথা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি যে ”পুষ্প আপনার জন্য ফোটেনা, পরের জন্য নিজের জীবনকে প্রস্ফুটিত কর”। আসলে জগতে আমরা একে অন্যের জন্য। পরের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ। তাই আমাদের সকলের উচিত অন্যের কল্যানে কাজ করা অর্থাৎ মানুষের উপকার হবে এমন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। আমরা অনেক ভাবে মানুষের কল্যান করতে পারি। নিচে মানুষের জন্য কল্যানকর এরকম দশটি কাজের একটি তালিকা দেওয়া হলো। ১। কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাকে সেবা করা এবং তাকে চিকিৎসের কাছে তথা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। অথবা রাস্তা ঘাটে কেউ হঠাৎ করে অসুস্থ হলে অথবা দুর্ঘটনায় পতিত হলে তৎক্ষনাৎ সাহায্য করা।  ২। আশেপাশে কোনো অসহায় ব্যক্তি বা পরিবার থাকলে তাদের সাহায্য করা। নিজে সাহায্য করতে না পারলে কয়েকজন মিলে তার জন্য সাহায্য চাওয়া। ৩। কোনো দরিদ্র পরিবারের শিশু পড়ালেখা করার জন্য বই খাতা না পেলে তার জন্য বই খাতা জোগাড় করে দেওয়া। এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করা। ৩। রাস্তা নষ্ট হয়ে গেলে সেই রাস্তা সকলে মিলে মেরামত করা। সম্ভব না হলে গ্রাম প্রধানকে জানানো এবং ব্যবস্থা করা। ৪। সকলকে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ছোটদের প্রতি স্নেহশীল হওয়ার শিক্ষা প্রদান করা। সেই সাথে নিজেও এমনটি করা। ৫। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ও মহামারিতে সরকারকে সাহায্য করা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করা। ৬। বিভিন্ন সেবামূলক কাজে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করা। অর্থাৎ বিনা পারিশ্রমিকে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া।  ৭। বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, পুকুর, খালবিল, নদীর পরিষ্কার পরিচ্ছতায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করা।  ৮। কোথাও কোনো কিছু পড়ে পেলে সেই অর্থ বা জিনিস তার কাছে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।  ৯। বৃদ্ধদের হাটতে সমস্যা হলে তার হাত ঘরে তাকে রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া অথবা পার করে দেওয়া। ১০। মানুষের উপকারের জন্য রাস্তার ধারে গাছ লাগানো। যেন মানুষ ছায়া পায় এবং তার ক্লান্তি দুর করতে পারে। সেই সাথে গাছের ফল খেয়ে পাখি তার ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। এসাইনমেন্ট শেষ সকল সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর একসাথে দেখুন আরো পড়ুনঃ ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত এসাইনমেন্ট উত্তর উপরের ষষ্ঠ ত্রয়োদশ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান কি তোমাদের ভালে লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তোমরা নিচে কমেন্ট করে জানাবে। আর যদি কোনো ভূল ত্রটি দেখতে পাও তাও তোমরা সেটা কমেন্ট বক্সে জানাবে। আমরা তোমাদের ১৪ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ধর্ম শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য শিক্ষা এসাইনমেন্ট নমুনা উত্তর লিখে দিবো।  আমাদের সাথে থাকতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখো। অথবা আমাদের এসাইনমেন্ট ফেজবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারো। এসাইনমেন্টগুলো ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেলটি সাবসক্রাইব কর। আমাদের ইউটিউব লিংকhttps://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIagফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)https://web.facebook.com/shomadhan.netassignment all class (6-9)📝📝https://web.facebook.com/groups/287269229272391 সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই আজকের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান কেবল মাত্র একটি নমুনা উত্তর। তাই তোমরা হুবুহু কপি না করে এটা থেকে ধারণা নিয়ে নিজে লেখার চেষ্টা কর।

(ত্রয়োদশ) ১৩ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান Read More »

২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর

তোমরা যারা ২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর খুজছিলে তাদের জন্য এটার উত্তর নিয়ে হাজির হলাম। তোমরা একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা ১ম পত্র ২০২১ এর উত্তর পেতে ও সুন্দর করে লিখতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে নিও। একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর ২০২১ এখানে তোমরা পেয়ে যাবে। তবে তোমরা লেখার আগে নিচের নির্দেশনা অনুসরণ কর। আরো পড়ুনঃ  ২০২২ সালের (এইচএসসি) একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট ইংরেজি ১ম পত্র প্রশ্ন উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ ২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রথমে ২০২২ সালের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বলবো তোমরা বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ এর প্রশ্নগুলো পড়ে নাও। তোমাদের সুবিধার্তে ২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রশ্ন নিচে দেওয়া হলো। উপরের প্রশ্নগুলো পড়ে তোমরা যা বুঝেছো সেই অনুযায়ী উত্তর লিখতে হবে। নিচে তোমাদের উত্তরের  নমুনা দেওয়া হলো। ২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর এসাইনমেন্ট শুরু ১)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণীর সংকট হলো সঠিক সময়ে বিবাহ না হওয়া। মেয়ের বয়স পনেরো শুনে লেখকের মামার মন ভার হলো। কারণ তিনি মনে করলেন যে, এঁ মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে।তখন আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। এ সময়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে না হলে মনে করা হতো মেয়ের বংশে কোন দোষ আছে।যে কারণে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না।যে মেয়ের সাথে অনুপমের বিয়ের কথা চলছিল তার বয়স পনেরো। পনোরো বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে হয়নি,এমনটি ভেবে অনুপমের মামার মন ভার হলো। কল্যাণী উচ্চশিক্ষিতা,রুটচিশীল মেয়ে ।শিক্ষকতাকে তিনি জীবনের ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তার শিক্ষাদীক্ষার কারণে বিবাহের সংকট দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছেন। ২)অপরিচিতা গল্পে কল্যাণী ছিল বেশ সুন্দরী ও প্রাণচঞ্জল। আর পিতা শস্তুনাথ বাবু ছিলেন স্পষ্টভাষী ও একজন সুপুরুষ ব্যাক্তি অন্যদিকে কিন্তু অনুপমের মামা বিয়ের পণ, যৌতুক সম্পর্কে কোন প্রকার ছাড় বা আপস করতে রাজি নন।এখানেই গল্পের কাহিনী জটিলতায় রূপ নেয়।রীতিমতো বেশ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে যদিও বিয়ের কাজ শুরু হয়েছিল,কিন্তু এক পর্যায়ে দেনা পাওনা কারণে সব আনন্দ আয়োজন এক মুহুর্তেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অথ্যাৎ যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে যায়।এই গল্পে অনুপমের চরিত্রের সীমাহীন দুর্বলতা ও নিবুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়।অনুপম ও তার মামা ভূমিকা যদি ইতিবাচক হতো তাহলে কল্যাণীর সংসার সুখময় হতো বলে আমি মনে করি।কারণ বিবাহ ভেঙে যাওয়ায় প্রধান কারণ হলো অনুপমের দুর্বলতা ও তার মামা যৌতুক প্রবনতা। ৩)পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো হলোঃ ক)অশিক্ষা খ) কুসংস্কার গ)ধর্মীয় গৌঁড়ামি ঘ) পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় নিন্নে ব্যাখা করা হলোঃ বিশ্বে যা কিছু মহান চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সত্য উচ্চারণ করলেও আজও আমাদের সমাজে তার যথাযথ স্বীকারোক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আজও মানুষের ধ্যান-ধারণার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে নারীদের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর কুসংস্কারে ডুবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর প্রথম বাধাটা আসে পরিবার থেকে। অভিধানে উন্নয়নে নারী বা নারী উন্নয়ন একটি অতি আধুনিক সংযোজন। এই ধারণা বৈশ্থিক ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের গুরত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকার করে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দুটি বিষয়ই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন বিষয়টি বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তেই যেখানে নারীদের পদযাত্রায় বারবার হোচট খেতে হয়, সেখানে তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশের নারী হিসেবে বাঙালি নারীদের প্রতিটি পদক্ষেপে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গৌঁড়ামি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। অথচ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা আজ শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই, নারীরা পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। দশভুজা নারী ঘরে-বাইরে নিজেকে আলোকিত করছেন নিজ প্রজ্ঞা আর মেধা দিয়ে। বর্তমানে এমন কোনো পেশা নেই যেখানে নারীর মর্যাদাপূর্ণ উপস্থিতি নেই। দেশে এখন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দু’জন নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী। বর্তমানে সবক্ষেত্রেই রয়েছে নারীর পদচারণা। নারীর সমাধিকার ও নারীমুক্তির কথা যতই বলা হোক না কেন- উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশেই নারীরা কম-বেশি সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র সবক্ষেত্রে প্রায় একই। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই নারী, কিন্তু নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে খুব অল্প সংখ্যক নারীর মধ্যেই। তাদের অনেকেই নিজের সিদ্ধান্তে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না এবং নিজের বস্তুগত ক্ষমতার পরিসরও স্বাধীনভাবে ব্যবহার করতে বাধাগ্রস্ত হন। নারীশিক্ষার বিষয়টি আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িত। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দেব।’ এ বিষয়ে আরবিতেও একটি প্রবাদ আছে, ‘একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষা দেওয়া। আর একজন নারীকে শিক্ষা দেওয়া মানে একটি গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা।’ তাই নারীশিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। তথাপি শিক্ষা ক্ষেত্রেও এ বৈষম্যের কোনো শেষ নেই। যদিও শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে এখন নারীদের অংশগ্রহণ শতভাগ। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারাও তা স্বীকৃত। কিন্ত্ত প্রায় ৫০ বছরেও তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব ও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিছিয়ে দিচ্ছে নারীর উন্নয়ন যাত্রাকে। প্রচার মাধ্যমগুলোতে নারীর নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ হতে হবে। নারী কোনো পণ্য নয়। নারীদের নিজেদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষের সমান স্বার্থ রক্ষাকারী আইন প্রবর্তন ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নারীশিক্ষা ও নারীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। নারীকে তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। নারীর কাজকে ছোট করে দেখা চলবে না। নারীর কাজের মূল্যায়ন হতে হবে। সর্বোপরি, নারীর প্রতি ইতিবাচক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে। আ্যাঙ্গেলস তার ‘অরিজিন অব দ্য ফ্যামিলি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘নারীমুক্তি তখনই সম্ভব যখন নারীরা সমাজের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সমগুরুত্ব নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।’ তাই নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা, নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারী-পুরুষ উভয়ের অন্ত্ভুক্তিতেই উন্নয়নের দেখা পাওয়া সম্ভব। এভাবেই নারীরা এগিয়ে যাবেন, তাদের ভবিষ্যৎ হবে কণ্টকমুক্ত। ৪) পঠিত গল্প অনুসারে নারীকে এগিয়ে চলার পথে সহায়ক ভুমিকা হলোঃ ১)সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালে চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে ২) নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার ৩) কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ৪) মেয়ে ও ছেলেশিশুর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে ৫) নারীবান্ধব আইনগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি ৬) কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে ৭) নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন আলোচনা এসাইনমেন্ট শেষ আরো পড়ুনঃ  ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ১ম সপ্তাহের সকল এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সালের (এইচএসসি) একাদশ শ্রেণির এসাইনমেন্ট ইংরেজি ১ম পত্র প্রশ্ন উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১ এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ তোমরা যারা ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী  তাদের ২০২১ সালের

২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ১ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর Read More »

Scroll to Top