বাংলা

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমি কোনো আগন্তুক নই

আমি কোনো আগন্তুক নই আহসান হাবীব কবি পরিচিতি : নাম আহসান হাবীব জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯১৭ সালে ২রা জানুয়ারি। জন্মস্থান : পিরোজপুর জেলার শঙ্করপাশা গ্রাম। শিক্ষাজীবন ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে আইএ পাস করেন। কর্মজীবন কর্মজীবনে ছিলেন সাংবাদিক । উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : ছায়াহরিণ, সারাদুপুর, আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাবো; প্রথম কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ। শিশুতোষ গ্রন্থ : ছুটির দিন দুপুরে। কিশোর পাঠ্য উপন্যাস : রানী খালের সাঁকো। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক। মৃত্যু ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালে ১৯৮৫ সালের ১০ই জুলাই। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আহসান হাবীব কার চিরচেনা স্বজন? ছ ক. পাখির খ. কদম আলীর গ. জোনাকির ঘ. জমিলার মা’র ২. কবি বৈঠায় লাঙলে হাত রাখতে বলেছেন কেন? ছ ক. শপথ নেয়ার জন্য খ. পরশ অনুভব করার জন্য গ. কবিকে খুঁজে পাবার জন্য ঘ. অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : রিপভ্যান উইংকল দীর্ঘ বিশ বছর পর তার গাঁয়ে ফিরে এলে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। সবাই তার দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অবশেষে তার স্বজন টম এলে সব শঙ্কার অবসান ঘটে। ৩. উদ্দীপকের টমের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. জমিলার মা’র রর. কদম আলীর ররর. অবোধ বালকের নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ছ ক. বার্ধক্য খ. চিরচেনা গ. পরিচিত ঘ. স্বাজাত্যবোধ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়; হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে; হয়তো শুনিবে এক ল²ীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে; হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে; রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে। ক. বিস্তর জোনাকি কোথায় দেখা যায়? ১ খ. ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ Ñ কবি একথা বলেছেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার চেতনাগত বৈসাদৃশ্যই বেশি Ñ যুক্তিসহ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বিস্তর জোনাকি বাঁশবাগানে দেখা যায়। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’-কবি এ কথা বলেছেন এটি বোঝাতে যে, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন।  কবি এ মাটির সন্তান। এ জনপদের মানুষ তাঁর চিরচেনা। জন্মভ‚মির সাথে তিনি গভীরভাবে সম্পর্কিত। তাই তিনি কবিতায় বারবার উচ্চারণ করেছেন এদেশে তিনি কোনো আগুন্তক নন। কবির এই বক্তব্য গভীর দেশপ্রেমের পরিচায়ক। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ফুটে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  কবি আহসান হাবীব তাঁর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনবদ্য বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে নীল আসমান, জমিনের ফুল, জোনাকি, পুকুর, মাছরাঙার কথা বলেছেন। পাখি, কার্তিকের ধান কিংবা শিশিরের সাথে কবির ব্যাপক জানাশোনা। যে লাঙল জমিতে ফসল ফলায় সেই লাঙল আর মাটির গন্ধ লেগে আছে তার হাতে-শরীরে। ধূ-ধূ নদীর কিনার, ধানখেত আর গ্রামীণ জনপদের সাথে তার জীবন বাঁধা। জারুল, জামরুল, ঝাঁকড়া ডুমুরের ডাল, জল, বাতাস সবই সাক্ষ্য দেয় কবি এ মাটির সন্তান।  উদ্দীপকেও রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মনোরম দৃশ্যকল্প। উদ্দীপকের কবি এক নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন। কবি মৃত্যুর পর যেন আবার ফিরে আসতে চান এই সৌন্দর্যের লীলাভ‚মিতে। বাংলার নদী, মাঠ, খেত, উড়ন্ত সুদর্শন, ল²ীপেঁচার ডাক, কবিকে মুগ্ধ করে। উঠানের ঘাসে শিশুর ধান ছড়ানো, রূপসার ঘোলা জলে ছেঁড়া পালে কিশোরের ডিঙা বাওয়া, ধবল বকের নীড়ে ছুটে যাওয়া বর্ণনা আমাদের বিমোহিত করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায়ও লক্ষণীয়। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি নিজের মাটিতে অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পরে এই বাংলায় আবার ফিরে আসার কামনা ব্যক্ত করেছেন। তাই উভয়ের মাঝে চেতনাগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।  মাতৃস্নেহে লালিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি সকলের কাছে তাঁর অস্তিত্বের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি বাইরে থেকে আসা কোনো মানুষ নন। তিনি এ মাটিরই সন্তান। নদী, গাছপালা, বাতাস, মাটি সবকিছুই তার সাক্ষী। এদেশের মাছরাঙা, জোনাকি, ধানের মঞ্জরী মানুষ সবকিছু কবিকে যেমন চেনে, কবিও তেমনি সবকিছুকে চেনেন। জন্মভ‚মির সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি কবিতায় তাঁর শেকড়ের সন্ধান করেছেন।  উদ্দীপকের কবি মৃত্যুর পর আবার এই বাংলায় ফিরে আসতে চান। কারণ তিনি বাংলার রূপে মুগ্ধ। এ দেশের নদী, মাঠ, ফসলের খেত, পাল তোলা নৌকাসহ দৃষ্টিনন্দন সব কিছুই কবির মনে গভীর অনভ‚তি জাগিয়ে তোলে। কবি তাই মরণের পর এই প্রকৃতির বুকে মিশে থাকতে চান। আবার তিনি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অবগাহন করতে চান। কবির এই মনোভাব দেশপ্রেম থেকে জাত।  ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির জন্মভ‚মিতে কবির অস্তিত্ব বিদ্যমান। তিনি প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গের মতোই মিলেমিশে আছেন। তিনি নিজ পরিবেশে থেকে দেশকে ভালোবেসে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবি মরণের পর আবার এই প্রিয় বাংলায় ফিরে আসতে চান। তিনি কল্পনার জগতে ভালোবাসার জাল বিস্তার করেছেন। তাই চেতনাগত দিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতায় বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই। আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুরÑ আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর। ক. মাছরাঙা কাকে চেনে? ১ খ. কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত কেন? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোন চেতনাকে ধারণ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ প্রকাশক কি? তোমার মতামত দাও। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মাছরাঙা কবিকে চেনে। খ. অভাব ও পুষ্টিহীনতায় কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।  ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কদম আলী গ্রামীণ সমাজের অভাবী মানুষের প্রতিনিধি। সংসারের অভাবের কারণে তাঁর মতো মানুষদের ঠিকমতো আহার জোটে না। ফলে শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয় না। আর এ কারণেই কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত। গ. উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত জন্মভ‚মির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের চেতনাকে ধারণ করে।  জন্মভ‚মির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। এটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি গভীরভাবে ব্যক্ত করেছেন। কবি এদেশে বাস করে আপন সত্তায় সমগ্র দেশকে ধারণ করেছেন। এদেশের মাঠ-ঘাট, ফুল-ফল, মানুষ, পাখি, গাছপালা, মানুষ জন সবকিছুকেই কবি একান্ত আপনার করে নিয়েছেন। সকলের সাথে তিনি গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জন্মভ‚মির সাথে গভীর সম্পর্কের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আমি কোনো আগন্তুক নই Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বৃষ্টি

বৃষ্টি র্ফরুখ আহমদ  কবি পরিচিতি : নাম র্ফরুখ আহমদ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯১৮ সালের ১০ই জুন। জন্মস্থান : মাগুরা জেলার মাঝআই গ্রামে। শিক্ষাজীবন উচ্চমাধ্যমিক-কলকাতা রিপন কলেজ, উচ্চতর শিক্ষা- দর্শনে অনার্স, স্কটিশ চার্চ কলেজ। কর্মজীবন ঢাকা বেতারের স্টাফ রাইটার পদে নিয়োজিত ছিলেন (১৯৪৭-১৯৭২)। মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেছেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম্-মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, হাতেমতায়ী। শিশুতোষ গ্রন্থ : পাখির বাসা, নতুন লেখা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর। বিশেষ অবদান ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করলেও পরবর্তীকালে ধর্মীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য রচনায় ব্রতী হন। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ১৯৭৪ সালে ১৯শে অক্টোবর।   বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি বিদ্যুৎকে কার সঙ্গে তুলনা করেছেন? ছ ক. কন্যার খ. পরি গ. আলোর ঘ. বৃষ্টির ২. রুগ্ণ বৃদ্ধ ভিখারির রগ-ওঠা হাতের মতন রুক্ষ মাঠ আসমান’ Ñ এ চিত্রকল্পে কী ফুটে উঠেছে? ঝ ক. বুভুক্ষ মাঠের চিত্র খ. বর্ষায় বাংলার প্রকৃতি গ. বৃষ্টিহীন মাঠের রূপ ঘ. প্রকৃতির বৈরিতা ৩. ‘আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িছে ঘোলাটে মেঘের আড়ে’ Ñ এ বক্তব্যের বিপরীত ভাব রয়েছে যে বাক্যেÑ র. বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায় রর. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ তার স্পর্শ পেতে চায় ররর. দু-পাশে আবাদি গ্রামে, বৃষ্টি এলো পুবের হাওয়ায়। নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ বৈপরীত্যের কারণ কী? ছ ক. বর্ষণহীনতা খ. বর্ষণের আকাক্সক্ষা গ. মেঘের তীব্রতা ঘ. জলের প্রত্যাশা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি, তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি। আজিকে বাহিরে শুধু μন্দন ছলছল জলধারে বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে। ক. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন কোন নদীর কথা উলে−খ রয়েছে? ১ খ. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায় কেন ? ২ গ. ‘বেণু-বনে বায়ু নীড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।’ Ñ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার একটা বিশেষ ভাব প্রকাশ করে মাত্র, সমগ্র ভাব নয় Ñ তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ‘বৃষ্টি’ কবিতায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ প্রচণ্ড খরা থেকে বাঁচতে আর ফসলের সম্ভারে ভরিয়ে দিতে রৌদ্রদ্বগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।  ভীষণ রোদে মাঠ, ঘাট, ধানখেত যখন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় তখন বৃষ্টি আসে আশীর্বাদ হয়ে। মাঠ-ঘাট-ধানখেত শুধু নয়, বৃষ্টির পরশে মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। রুক্ষ প্রকৃতিতে বৃষ্টি আসে প্রাণের শিহরণ নিয়ে। তীব্র রোদে ধানখেত হয়ে ওঠে রুক্ষ ও কঠিন। বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে এই র্ক্ষু প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হবে তাই রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষার প্রবল বৃষ্টি প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তোলে। বৃষ্টির হিমেল পরশে বন-বনানীর মতো মানুষের মনও সংবেদনশীল ও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মনে জেগে ওঠে সুখময় অতীতের নানা স্মৃতি। ভালো লাগা ভালোবাসার আলপনা মনে মনে আঁকতে থাকে। আবার নিঃসঙ্গ নির্জন মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে বিরহের সুর।  উদ্দীপকে বর্ষার দিনের একটি রূপচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। বর্ষার দিনে পল্লিবধূরা নিবিষ্ট মনে নকশিকাঁথায় ফুল তোলে। বাইরে অঝোর ধারায় চলে বর্ষণ। গৃহবধূরা যেন সুতার টানে টানে মনের স্বপ্ন বুনতে থাকে। এমন দিনে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যায়। প্রিয়জনের অনুপস্থিতি তখন মনকে বিষণœ করে। বিরহ বেদনা আরো বাড়িয়ে দেয়। কাজেই বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের সময় মানুষের মনে কল্পনার ডানা মেলে। মনে এক অনির্বচনীয় অনুভ‚তি জাগে। উদ্দীপকে যেভাবে বলা হয়েছে ‘মন যেন চায় কারে’। অর্থাৎ প্রিয়জনের বিরহ মনকে আবিষ্ট করে। তাই ‘বেনু-বনে বায়ু নাড়ে, এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত পুরনো দিনের স্মৃতি ও বিরহী হৃদয়ের ভাবটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার সমগ্র ভাবটি প্রকাশিত হয়নি।  গ্রীষ্মের কঠিন দাবদাহে প্রকৃতি অনেকটা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বর্ষার বৃষ্টিধারা বিবর্ণ পল্লি প্রকৃতিকে সজীব করে তোলে। টানা বর্ষণে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা ভরে যায়। তৃষ্ণাকাতর মাঠ-ঘাট ও বনে দেখা দেয় প্রাণের জোয়ার। বৃষ্টি কবিতায় অঙ্কিত হয়েছে বাংলার সামগ্রিক জীবন ও প্রকৃতি। বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি আবাদি জমিতে আনে গৌরবের ফসল। এ সময় মেঘ ও বিদ্যুতের চমক যেন আকাশে খেলা করে। মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে পুরনো স্মৃতি। মনকে কখনও করে বিষণœ। একাকী জীবনে বাড়ায় বিরহ।  উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি বর্ষণমুখর দিনে গৃহবধূরা তাদের অবসর কাটাতে নকশীকাঁথা সেলাই করে। এই সেলাইয়ের মধ্য দিয়ে যেন তারা স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ে। আশপাশের সবকিছু মিলে যেন জলাধারে পরিণত হয়। এমনি দিনে মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা। মন যেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভে ব্যাকুল হয়ে উঠে।  আলোচ্য ‘বৃষ্টি’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, কবিতায় বর্ষণের সৌন্দর্য, এর ব্যাপকতা, বর্ষার কল্যাণকামিতা, মানবমনে বর্ষার প্রভাবসহ যাবতীয় বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল বর্ষণসিক্ত দিনে মানবমনের অনুভ‚তির দিকটি আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশিত হয়নি বরং বিশেষভাব প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   ‘গুরু গুরু ডাকে মেঘ ঘনঘটা চারিদিকে আজ টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে অঝোর ধারায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজি কিছু নাহি পাই খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ। [য.বো. ১৫] ক. বর্ষার প্রাণ কী? ১ খ. বৃষ্টির দিন একাকী জীবনে বিরহ বাড়ায় কেন? ২ গ. “খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ’Ñ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার মিল কিসে? ব্যাখ্যা দাও। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছেÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. বর্ষার প্রাণ হলো বৃষ্টি। খ. বৃষ্টির দিন মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে বলে একাকী জীবনে বিরহ বাড়ে।  বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে পড়ে। অতীতের নানা সুখময় স্মৃতি মনের কোণে উঁকি দেয়। একাকী মানুষ তার আনন্দ বা কষ্টের অনুভ‚তিগুলো সম্পর্কে কথা বলার জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই বৃষ্টির দিনে সঙ্গীহীন মানুষের মনে সঙ্গীর জন্য ব্যাকুলতা তৈরি হয়। মন বিরহী হয়ে ওঠে। গ. বৃষ্টিমুখর দিনে প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে- ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এ দিকটির সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।  প্রকৃতিতে বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। বর্ষায় বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে প্রকৃতি যেমন রসসিক্ত হয়ে ওঠে, মানুষের মনও তাই। মানুষ এমন দিনে উদাসী হয়ে পড়ে। মানুষের মনকে পুরনো স্মৃতিতে আসক্ত করে ফেলে। এই বৃষ্টি মানুষের মনকে সাময়িক মোহাবিষ্ট করে ফেলে।

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বৃষ্টি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পল্লিজননী

পল্লিজননী জসীমউদ্দীন লেখক পরিচিতি : নাম জসীমউদ্দীন জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯০৩ সালের ৩০শে অক্টোবর। জন্মস্থান : মাতুলালয়, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রাম । কর্মজীবন শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি তথ্য ও প্রচার বিভাগ উচ্চপদে যোগ দেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থÑ নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, বালুচর, মাটির কান্না, এক পয়সার বাঁশি। সাহিত্য বৈশিষ্ট্য পল্লির মানুষের আশা-স্বপ্ন-আনন্দ বেদনার আবেগঘন চিত্র ফুটিয়ে তোলা। পল্লিকবি নামে খ্যাত। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১৪ই মার্চ ঢাকায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঁশবনে বসে কোন পাখি ডাকে? ছ ক. কোকিল খ. কানাকুয়ো গ. হুতুম ঘ. দোয়েল ২. নিচের কোন চিত্রটি সন্তানের অমঙ্গলের প্রতীক? জ ক. নিবু নিবু দীপ খ. ঘোর-আন্ধার গ. হুতুমের ডাক ঘ. ঝড়ের কাঁপন নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : যতদিন যায়, দুর্ভোগ তার ততই বাড়িয়া যায় জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্ত রবির প্রায়। ৩. উপরের চিত্রকল্পে প্রকাশ পেয়েছে ‘পলি−জননী’ কবিতারÑ চ ক. সন্তানের মুমূর্ষু অবস্থা খ. অকৃত্রিম মাতৃস্নেহ গ. আরোগ্য লাভের আকুতি ঘ. রোগমুক্তির লক্ষণ ৪. উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি নিচের যে চরণে বিদ্যমান তা হলোÑ র. ঘরের চালেতে হুতুম ডাকিছে অকল্যাণ এ সুর মরণের দূত এলো বুঝি হায়, হাঁকে মায়, দূরÑদূর। রর. নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান, ছেলেরে তাহার ভালো করে দাও কাঁদে জননীর প্রাণ। ররর. পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল; আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল। নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর পুত্র তাঁহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর। চারিধারে তাঁর ঘনায়ে আসিছে মরণ অন্ধকার। ক. ‘পলি−জননী’ কবিতায় ছেলে মাকে কী যতœ করে রাখার কথা বলেছে? ১ খ. ‘আজও রোগে তার পথ্য জোটেনি’ Ñ পথ্য না জোটার কারণ কী? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘পলি−জননী’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. প্রতিফলিত দিকটিই ‘পলি−জননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে কি ? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ‘পল্লিজননী’ কবিতায় ছেলে মাকে তার লাটাই যতœ করে রাখার কথা বলেছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ দারিদ্র্যের কারণে মা তার রুগ্ণ ছেলের পথ্য জোটাতে পারেনি।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় গ্রামের দুরন্ত ছেলেটি অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছটফট করছে। তার মা দারিদ্র্যপীড়িত এক গ্রামীণ নারী। সামর্থ্য না থাকায় অসহায় মা আনন্দ আয়োজন দূরে থাক ওষুধ-পথ্য পর্যন্ত জোটাতে পারেনি। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘পল্লিজননী’ কবিতায় বর্ণিত মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের জন্য করুণ অভিব্যক্তির দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।  কবি জসীমউদ্দীনের ‘পল্লিজননী’ কবিতায় এক রুগ্ণ সন্তানের শিয়রে বসা মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ ও পথ্য জোগাড় করতে না পারার গভীর মনঃকষ্ট কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে। মা পুত্রকে আদর করে আর সান্ত্বনা দিতে থাকে। রোগমুক্তির জন্য মানত করে। মায়ের মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে।  উদ্দীপকে উল্লিখিত বাদশা বাবর তাঁর অসুস্থ পুত্রের জন্য ব্যগ্র ব্যাকুল। সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তায় তাঁর চোখে ঘুম নেই। পুত্র হুমায়ুন বুঝি আর বাঁচবে না। মরণ অন্ধকার তাকে ঘিরে ধরেছে। বাদশা বাবর কেঁদে ফিরছেন কীভাবে পুত্রকে ভালো করা যায়। সন্তানের কষ্টে কোনো পিতা-মাতাই স্থির থাকতে পারে না। উদ্দীপকের কবিতাংশে সেই মনঃকষ্টই ব্যক্ত হয়েছে ‘পল্লিজননী’ কবিতায়। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য বিবেচনায় উদ্দীপকটি ‘পল্লিজননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রুগ্ণ শিশুর শিয়রে বসে থাকা এক মায়ের মনঃকষ্ট ও গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে মমতাময়ী মা তার সন্তানের জন্য ওষুধ-পথ্য জোগাড় করতে পারেনি। সারা রাত জেগে বুকের মানিককে আদর আর প্রবোধ দেন। পুত্র হারানোর শঙ্কায় আতঙ্কিত মা দরগায় মানত করে। আল্লাহ রসুল ও পীরের কাছে সন্তানকে ভালো করে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করে। মাটির প্রদীপের মতো তার জীবন প্রদীপও যেন নিভে যাচ্ছে। অসহায় মায়ের হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে রুগ্ণ ছেলের জন্য।  উদ্দীপকে একজন পরাক্রমশালী বাদশাহ বাবর তাঁর ভীষণ অসুস্থ সন্তান হুমায়ুনের জন্য কাতর হয়ে পড়েছেন। মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের করুণ অবস্থা দেখে পিতার অন্তর গুমরে কেঁদে উঠেছে। সন্তানের জীবনে যেন মরণ অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। পুত্র হুমায়ুনকে বুঝি আর বাঁচানো যাচ্ছে না। সন্তানের জীবন বাঁচাতে বাদশা বাবরের মনঃকষ্ট ও তীব্র ব্যাকুলতাই প্রকাশ পেয়েছে। ‘পল্লিজননী’ কবিতায়ও এ বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু উদ্দীপক ও কবিতার মাঝে পারিপার্শ্বিতার ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রুগ্ণ শিশুর জীবন বাঁচতে দরিদ্র অসহায় দুঃখিনী মায়ের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকেও মৃত্যুপথযাত্রী পুত্রের জীবন বাঁচাতে এক পিতা ব্যগ্র ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কবিতার পল্লিজননী আর উদ্দীপকের বাদশাহ বাবরের আর্থিক অবস্থার চিত্র সম্পূর্ণই বিপরীত। পল্লিজননীর পুত্র সুচিকিৎসা পায়নি হতদরিদ্র হওয়ায়। কিন্তু উদ্দীপকের বাদশাহপুত্র হুমায়ুনের ক্ষেত্রে এটি ঘটার সুযোগ নেই। আবার ‘পল্লিজননী’ কবিতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে গ্রামীণ পরিবেশে। প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গের বর্ণনায় কবিতাটি নিবিড়তা লাভ করেছে। উদ্দীপক কবিতাংশটিতে এ বিষয়গুলো পাওয়া যায় না। তাই উদ্দীপকটি কবিতার মূলভাব ধারণে সক্ষম হলেও সমগ্র অংশের ধারক নয়।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   শহরের এক উন্নতমানের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রকিবের। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ডাক্তার, নার্সের নিশ্চিত উপস্থিতি, পর্যাপ্ত ওষুধ-পথ্য কোনো কিছুই মায়ের মনকে শান্ত করতে পারছে না। রকিবের মাথার পাশে এক মনে তসবি জপছেন মা। তাঁর মনে হাজারো আশা ও আশঙ্কা উঁকি মারছে। ক. ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. মা নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান মানেন কেন? ২ গ. উদ্দীপকের রকিবের সাথে ‘পল্লিজননী’ কবিতার অসুস্থ শিশুটির অবস্থার বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. গ্রামীণ ও শহুরে দুই মায়ের আশা ও আশঙ্কা একই অনুভ‚তিতে গাঁথাÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ মেলা। খ. সন্তানের আরোগ্য কামনায় মা নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান মানেন।  ‘পল্লিজননী’ কবিতায় বর্ণিত জননীর সন্তান অত্যন্ত অসুস্থ। পল্লিজননীর সার্মথ্য নেই ছেলের জন্য ওষুধ-পথ্য জোগাড় করার। অলৌকিকভাবে তার সন্তান রোগমুক্ত হবে এই ভরসায় থাকেন দরিদ্র মাতা। তাই তিনি নামাজের ঘরে মোমবাতি আর দরগায় দান দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। গ. উদ্দীপকের রাকিব অসুস্থাবস্থায় উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেলেও ‘পল্লিজননী’ কবিতার অসুস্থ শিশুটির ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি।  কবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘পল্লিজননী’ কবিতায় এক দুঃখিনী পল্লিজননী ও তাঁর অসুস্থ সন্তানের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। ছেলেটি অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তার মা তার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পথ্যের ব্যবস্থা করতে পারেনি।  উদ্দীপকে দেখা যায়, অসুস্থ রাকিব চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তার জন্য

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পল্লিজননী Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সেইদিন এই মাঠ

সেইদিন এই মাঠ জীবনানন্দ দাশ  লেখক পরিচিতি : নাম জীবনানন্দ দাশ জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রæয়ারি। জন্মস্থান : বরিশাল। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : সত্যানন্দ দাশ। মাতার নাম : কুসুমকুমারী দাশ। শিক্ষাজীবন ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক, ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ, ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ. অনার্স এবং ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ পাস করেন। কর্মজীবন অধ্যাপনা । সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য প্রধানত আধুনিক জীবনচেতনার কবি হিসেবে পরিচিত। বাংলার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যে ছিলেন নিমগ্নচিত্ত। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা, কালবেলা। উপন্যাস : মাল্যবান, সতীর্থ। মৃত্যু ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম কী? জ ক. গোলাপ খ. শিউলী গ. চালতা ঘ. কদম ২. ‘আমি চলে যাব’ কবি কোথায় চলে যাওয়ার কথা বলেছেন? জ ক. গ্রামে খ. শহরে গ. পরপারে ঘ. বিদেশে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে তখন আমায় নাই বা তুমি ডাকলে তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা মনে রাখলে। ৩. উদ্দীপকের ভাবের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে কোন বাক্যের? ঝ ক. সোনার স্বপের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে খ. খেয়ানৌকোগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে; গ. এশিরিয়া ধুলো আজÑ বেবিলন ছাই হয়ে আছে। ঘ. সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানিÑ ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণÑ জ ক. সৃষ্টির জন্য খ. ঐতিহ্যের জন্য গ. নিত্যতার জন্য ঘ. ভালোলাগার জন্য                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘আরণ্যক’ উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরকালের প্রকৃতির সন্তান। এরা যায় আসেÑথাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে-বিরাজমান থাকে। ক. কী ছাই হয়ে গেছে? ১ খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ২ গ. উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. কবিতায় উলি−খিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  এশিরীয় ও বেবিলনীয় সভ্যতা ছাই হয়ে গেছে। ১ এর খ নং প্র. উ.  ‘পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে থাকবে চিরকাল’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন প্রকৃতির বহমানতা চিরকাল বেঁচে থাকবে ।  পৃথিবীর প্রবহমানতা চিরন্তন। ব্যক্তিমানুষ একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু চালতাফুল আগের মতোই ভিজে শিশিরের জলে, ল²ীপেঁচা গান গায়। খেয়া নৌকার যাতায়াত, পৃথিবীর কলরব সবই চলতে থাকে প্রকৃতির নিয়মে। তাই কবি বলেছেন, ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’। অর্থাৎ পৃথিবীর এই বহমানতা কালক্রমে চলতেই থাকে। ১ এর গ নং প্র. উ.  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রকৃতির প্রবহমানতার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বলা হয়েছে, প্রকৃতির চলমানতা অবিনশ্বর। মানুষ এক সময় পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। মাঠে ঘাটে চঞ্চলতা, চালতা ফুলে পড়ে শীতের শিশির, ল²ীপেঁচার ডাক, খেয়া নৌকার ছুটে চলা থেমে যায় না। কোথাও থাকে না ব্যক্তিমানুষের মৃত্যুর রেশ। সত্য হয়ে ওঠে কেবল পৃথিবীর বহমানতা।  উদ্দীপকের অপু, দুর্গাসহ আরো অনেকে প্রকৃতির লালিত সন্তান। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এরা প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপে-রসে-গন্ধে-বর্ণে বিরাজমান থাকে। সুন্দর নির্মল প্রকৃতি প্রাণবন্ত থাকে। তাই উদ্দীপক ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা প্রকৃতির বহমানতার সাদৃশ্য খুঁজে পাই। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্থায়ী সম্পর্কের মাধ্যমে সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে। এই ধারণা ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উদ্দীপকে।  ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ তুলে ধরেছেন প্রকৃতির অবিনশ্বরতার কথা। মানুষ প্রকৃতিরই সন্তান। প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে সে গড়ে তোলে নতুন সভ্যতা। মানুষ একসময় মারা যায়। তাদের নির্মিত সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃতি থাকে অটল, অবিচল।  আলোচ্য উদ্দীপকে প্রকৃতিকে জীবন্ত চরিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ প্রকৃতির মাঝে একটা গতিময়তা বিদ্যমান। ফুল ফোটে ঝরে আবার ফোটে। অপু, দুর্গাসহ অনেকেই প্রকৃতির সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়। আবার তারা চলেও যায়। আরেক প্রজন্ম এসে তাদের স্থান দখল করে। প্রকৃতিতে যেন ভাঙা-গড়ার খেলা চলতে থাকে। মানুষ মরে যায় কিন্তু প্রকৃতি তার স্বরূপে বিরাজমান থাকে। সকল ভাঙা-গড়া, জন্ম-মৃত্যু সবকিছুকেই প্রকৃতি ধারণ করে।  সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাই প্রকৃতির সম্পর্ক বিদ্যমান। সকল পরিবর্তন বিবর্তনের মধ্যেও প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে ধরে রাখে। মানুষের গড়া বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শনও যেন প্রকৃতির উপাদান হয়ে ওঠে। মানুষের জীবন নতুন নতুন সভ্যতার উন্মেষ ঘটায়। সেগুলোও এ সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তবু প্রকৃতি থাকে নির্বিকার। আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপক আমাদের সে ইঙ্গিতই দেয়।               গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘রাজপথের কথা’ গল্পে বলেছেন, কী প্রখর রৌদ্র। উহু-হু-হু। এক-একবার নিশ্বাস ফেলিতেছি, আর তপ্ত ধুলা সুনীল আকাশ ধূসর করিয়া উড়িয়া যাইতেছে। ধনী দরিদ্র, সুখী দুঃখী, জরা যৌবন, হাসি কান্না, জন্ম মৃত্যু, সমস্তই আমার উপর দিয়া একই নিশ্বাসে ধূলির স্রোতের মতো উড়িয়া চলিয়াছে। আমি কিছুই পড়িয়া থাকিতে দেই না-হাসিও না কান্নাও না। আমিই কেবল পড়িয়া আছি। ক. চালতাফুল কিসের জলে ভিজবে? ১ খ. এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্নÑ কেন? ২ গ. উদ্দীপকটিতে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কোন বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণরূপ-বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজবে। খ. প্রকৃতির রূপ-ঐশ্বর্য চির বহমান বলে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি উপরিউক্ত কথাটি বলেছেন।  প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য জীবনানন্দ দাশের কবিতার প্রাণ। কবির চোখে নদী যেন নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে বসে বসে স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই। কেননা প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময় হয়ে থাকবে। গ. ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির বহমানতার দিকটি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।  কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় জীবনের এক চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরেছেন। আবহমানকাল ধরে প্রকৃতিতে চলছে ব্যস্ততা। মাঠে থাকে চঞ্চলতা, নদী-নালাতে চলে নৌকা, শীতের শিশির পড়ে চালতা ফুলেÑ এভাবে প্রকৃতির সবকিছুই রয়েছে চলমান। পৃথিবীতে মানুষ মরে যায়, নতুন মানুষের আগমন ঘটে। কিন্তু প্রকৃতি থেমে থাকে না। মানুষের মৃত্যুতে প্রকৃতির বহমানতা কখনও থমকে যায় না।  আলোচ্য উদ্দীপকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজপথের জবানিতে পৃথিবীর চলমানতা বা বহমানতাই তুলে ধরেছেন। রাজপথের ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনা বহমান মানবজীবনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তার ওপর দিয়ে ঘটে যাওয়া সব কিছুই অবলোকন করে। সকল ঘটনার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সেইদিন এই মাঠ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ

মানুষ কাজী নজরুল ইসলাম লেখক পরিচিতি : নাম কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মে, বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। শিক্ষা প্রথমে বর্ধমানে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। পেশা ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীল বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। সাহিত্যিক পরিচয় কাজী নজরুল ইসলাম বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি ছিলেন। সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, পত্রসাহিত্য ইত্যাদি সাহিতের সকল শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী। পুরস্কার ও সম্মাননা স্বাধীনতার পর কবিকে ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। উপাধি বিদ্রোহী কবি। মৃত্যু মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ২৯শে আগস্ট, বাংলা ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ই ভাদ্র ঢাকার পি.জি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসংলগ্ন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি কার জয়গান গান গেয়েছেন? ছ ক. মানুষের খ. সাম্যের গ. শ্রমিকের ঘ. তারুণ্যের ২. ‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়।’ এ বক্তব্যে ভুখারির কোন মনোভাব প্রকাশ পায়? জ ক. প্রতিবাদী খ. অসহায়ত্ব গ. ফরিয়াদ ঘ. ক্ষোভ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : সামাদ মিয়া একজন আদমবেপারি। সম্প্রতি তিনি গ্রামে নামমাত্র অর্থে বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে লোক পাঠানোর কথা বলেন। আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য অনেকেই ভিটেমাটি হাল-গরু বিμি করে তার হাতে টাকা দেয়। একদিন শোনা যায় সামাদ মিয়া গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। ৩. উদ্দীপকের সামাদ মিয়ার সাথে ‘মানুষ’ কবিতার যে বা যেসব চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে তা হলোÑ র. পূজারীর রর. মোল−া সাহেবের ররর. ভুখারির নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলো Ñ ছ ক. অসহায়ত্ব খ. লোভ গ. অবজ্ঞা ঘ. ঈর্ষা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর আজম সাহেব কুসুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হলে জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নানাবিধ ত্রাণসামগ্রী আসে। ত্রাণ সাহায্য নিতে আসা প্রত্যেককে আজম সাহেব নিজ হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। সবাই তাঁর প্রশংসা করতে করতে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন। ক. মুসাফির কতদিন ভুখা ছিল? খ. ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ Ñ কেন? গ. আজম সাহেব ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত যে চরিত্রের বিপরীত সত্তা তা ব্যাখ্যা করো। ঘ. ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত ভণ্ডদের মানসিকতা পরিবর্তনে আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীমÑ মতামতটি বিশে−ষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মুসাফির সাত দিন ভুখা ছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ মানবতার কল্যাণ করাই হচ্ছে মনুষ্যত্বের ধর্ম। এ কারণেই কথাটি বলা হয়েছে।  মানুষকে অবহেলা, অবজ্ঞা করে কোনো সামাজিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। কেননা মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষকে ভালোবাসলে সমাজে শান্তি-স¤প্রীতি বিরাজ করে। পৃথিবীর অধিবাসীদের প্রতি সদয় হলেই ঊর্ধ্বলোকের প্রভু সদয় হবেন। তাই বলা হয়েছে ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের পরোপকারী আজম সাহেব। অন্যদিকে ‘মানুষ’ কবিতার স্বার্থপর মোল্লা সাহেব চরিত্রের বিপরীত।  ‘মানুষ’ কবিতায় মোল্লা সাহেব মসজিদের অঢেল গোশত-রুটি বেঁচে যাওয়ায় প্রচণ্ড খুশি হন। তখন এক রুগ্ণ ভুখারি খাবার চাইলে মোল্লা নামাজ না পড়ার দোহাই দিয়ে নিষ্ঠুরতার সাথে গালমন্দ করে তাকে তাড়িয়ে দেন। একজন ভুখারি যখন ক্ষুধার জ্বালায় জর্জরিত তখন মোল্লা সাহেব গোশত-রুটি নিয়ে মসজিদে তালা দিয়ে দিয়েছে। এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে কবি নজরুল সোচ্চার প্রতিবাদ করেছেন ‘মানুষ’ কবিতায়। মোল্লা সাহেব চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি স্বার্থমগ্ন ভণ্ড মানুষদের মুখোশ উম্মোচন করেছেন।  উদ্দীপকের আজম সাহেব একজন ইউপি চেয়ারম্যান, যিনি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। অসহায় মানুষের কাছে নিজ হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন। তাঁর এই মহানুভবতায় সকলেই খুশি হন এবং তাঁর প্রশংসা করতে থাকেন। কাজেই উদ্দীপকের আজম সাহেব ‘মানুষ’ কবিতায় মোল্লা সাহেব চরিত্রের বিপরীত। একজন পরোপকারী মহৎ হৃদয়ের, অন্যজন স্বার্থপর পাষণ্ড হৃদয়ের। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত ভণ্ডদের মানসিকতা পরিবর্তনে আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিদের ভ‚মিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। কারণ তাঁরাই সমাজে মনুষ্যত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।  ‘মানুষ’ কবিতায় ধর্মের আড়ালে কিছু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে। পূজারী তার ধর্মের লেবাস ধরে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের কথা ভাবার সময় তার নেই। সে ভুখারির সামনে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আবার মসজিদের মোল্লা সাহেবও স্বার্থপরতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অনাহারক্লিষ্ট একজন মানুষকে এক টুকরো রুটি না দিয়ে সে গোশত-রুটি নিয়ে মসজিদে তালা দিয়ে দিয়েছে। যেখানে ধর্মের চর্চা হয়, মানবিকতার চর্চা হয় সেখানে বসে তারা ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেছে।  আজম সাহেব ঘূর্ণিদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ভেবেছেন স্বার্থপরের মতো নিজ সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত থাকা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। তাই তিনি ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে দ্রæত পৌঁছে গেছেন অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে। এভাবে মানুষ যদি মানুষের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ায় তবে পৃথিবীটা একদিন শান্তিতে ভরে উঠবে।  স্বার্থপরতাই পৃথিবীর সকল অশান্তির মূল। পৃথিবীতে যত ভাঙন, বিপর্যয়, যুদ্ধবিগ্রহ সবই স্বার্থপরতার জন্য। উদ্দীপকের আজম সাহেবদের ভ‚মিকা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। আজম সাহেব তাঁর কাজের মাধ্যমে সমাজে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত মোল্লা-পুরুত মানুষের ঘৃণা ছাড়া অন্য কিছু পাবে না। তারা যদি উদ্দীপকের আজম সাহেবের কর্মকাণ্ড দেখে তাহলে নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লজ্জিত হবে। আজম সাহেবের মতো ব্যক্তিরা মানুষের জন্য কাজ করলে কবিতায় বর্ণিত মোল্লা-পুরুতের মতো সমাজের ভণ্ড প্রতারকরা একসময় কোণঠাসা ও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।   মতিন সাহেবের স্ত্রীর মৃত্যু উপলক্ষে কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছেন। কাঙালিদের লাইন করে বসিয়ে প্যাকেট খাবার দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। বাড়ির ভেতরে চলছে আত্মীয়-স্বজনের ভ‚রিভোজ। কয়েকজন কাঙালি খাবার না পেয়ে বাড়ির দরজায় খাবার চাইলে বাড়ির কেয়ারটেকার ধমক দিয়ে বের করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে মতিন সাহেব বলেন, ওরাই আমার আসল অতিথি, ওদের তৃপ্ত করে খাইয়ে দাও। ক. ‘মানুষ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? ১ খ. ‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়।’Ñ ভিখারি কেন এ কথা বলে? ২ গ. উদ্দীপকের কেয়ারটেকারের আচরণে ‘মানুষ’ কবিতার কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “মতিন সাহেবই ‘মানুষ’ কবিতার কাক্সিক্ষত মানুষ।”Ñ উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। [য.বো. ১৫] ৪ ২ নং প্র. উ. ক. কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘মানুষ’

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ঝর্ণার গান

ঝর্ণার গান সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লেখক পরিচিতি : নাম সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কলকাতার কাছাকাছি নিমতা গ্রাম । শিক্ষা জীবন বি.এ. শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সাহিত্য সাধনা ছাত্রজীবন থেকেই কাব্য চর্চা করতেন। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি বিচিত্র বিষয়ের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। উল্লেখযোগ্য রচনা মৌলিক কাব্য : সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, হোমশিখা, কুহু ও কেকা, অভ্র-আবীর, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতী ইত্যাদি। অনুবাদ কাব্য : তীর্থরেণু, তীর্থ-সলিল ও ফুলের ফসল। বিবিধ উপনিষদ, কবির, নানক প্রমুখের রচনা এবং আরবি, ফার্সি, চীনা, জাপানি, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা ও গদ্য রচনা তিনি বাংলায় অনুবাদ করেন। বিশেষ পরিচিত ‘তত্ত¡বোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ও উনিশ শতকের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ছিলেন তাঁর পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্ত । বিশেষত্ব বাংলা ভাষায় ছন্দ নির্মাণে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।‘ছন্দের রাম’ তাঁর উপাধি। মৃত্যু ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. দুপুর-ভোর ঝর্ণা কার গান শুনতে পায়? চ ক. ঝিঁঝিঁর খ. পরীর গ. বুলবুলির ঘ. শালিকের ২. ‘একলা গাই একলা ধাই দিবস রাত, সাঁঝ সকাল।’ এ- বক্তব্যে ঝর্ণার কোন রূপটি ফুটে ওঠে? জ ক. প্রকৃতি চেতনা খ. সৌন্দর্যপ্রীতি গ. ছুটে চলা ঘ. শঙ্কাহীন চিত্ত নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : নারিন্দার বৃক্ষপ্রেমী বলরাম দা গড়ে তোলেন হাজার রকমের বৃক্ষের সমারোহে একটা উদ্যান, যা বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত। নিছক আনন্দ উপভোগের জন্যই তাঁর এ উদ্যোগ। অনেকেই সেখানে ভেষজ ঔষধের উপকরণ খুঁজেছেন। ৩. উদ্দীপকের বলরাম দার সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে Ñ র. চাতকের রর. ঝর্ণার ররর. বন-ঝাউয়ের নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ঝ ক. পরোপকার খ. পরিবেশ সংরক্ষণ গ. ছুটে চলা ঘ. সৌন্দর্য সৃষ্টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে শিল্পী গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি সম্মুখে ছুটে চলেছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ। ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে? খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে ঝর্ণার আনন্দমুখর ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন।  কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার গতিময়তা গভীর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির নীরবতা ভেঙে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন ছন্দে। ভয়ংকর পাহাড়, পাখির ডাকহীন নির্জন দুপুর-সবকিছু উপেক্ষা করে ঝর্ণা শিথিল শিলা বেয়ে নিচে নেমে আসে। চলার পথে স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত রূপ-সৌন্দর্যের দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।  ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তুলে ঝর্ণার সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরেছেন । চপল পায়ে আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি ছুটে চলে। পতিত এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য চিত্তকে আকর্ষণ করে। নির্জন দুপুরে ধাবমান ঝর্ণা প্রকৃতিতে যে অনিন্দ্যসুন্দর রূপ সৃষ্টি করে তা বর্ণনাতীত।  উদ্দীপকে শিল্পীর হাতে গড়া এক উদ্যানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শিল্পী উদ্যানটিকে তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। এ সৌন্দর্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অবারিত। উদ্যানের এ সৌন্দর্য ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঝর্ণার মতোই উদ্দীপকের উদ্যানের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা ও সৌন্দর্য ভাবনা তুলে ধরার দিক দিয়ে উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে শতভাগ ধারণ করে।  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণার রূপ বর্ণনার পাশাপাশি কবি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্য চেতনার স্বরূপ অঙ্কন করেছেন। নিস্তব্ধ প্রকৃতি যেখানে পাখির কূজন নেই, নির্জন পাহাড় যেন ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়, বনবনানি ঘুমায়, পথ ঝিমায়। এমনই স্নিগ্ধ পরিবেশে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন গতিতে। নিচে ধাবমান স্বচ্ছ জলরাশি পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। সৌন্দর্যপিপাসুদের হৃদয়ে ঝর্ণার এই সৌন্দর্য বিশেষ আলোড়ন তোলে।  উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতিপ্রেমী শিল্পী তার উদ্যানকে সাজিয়েছেন তিলোত্তমা করে। যার পুকুর, দিঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে। শিল্পী সকল বৈরিতা উপেক্ষা করে কেবল সৌন্দর্যকে তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। যে কারণে একটি বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তার পক্ষে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।  উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লেখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনেকখানি ধারণ করেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর সৃজনশীলতা বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে দান করেছে অনুপম সৌন্দর্য। ঝর্ণাও তার ছুটে চলার পথটিকে সাজিয়ে যায় আপন খেয়ালে। উদ্দীপকের শিল্পীর উদ্দেশ্য কেবলই নিছক সৌন্দর্য সৃষ্টি। ঝর্ণাও তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছে। ঝর্ণার বিরামহীন ছুটে চলা তাদের খোঁজেই, যারা তার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্য ধারণে সম্পূর্ণরূপে সফল। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সমুদ্র বরাবরই খুব টানে দিহানকে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোতগুলো তার মনে বিস্ময় জাগায়। সমুদ্রকে ভালোবেসেই বেছে নিয়েছে নাবিক জীবন। জাহাজে চড়ে সমুদ্রের বুকে ভেসেছে বহুদিন। দেখেছে সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া পাথুরে পাহাড়ের সাথে স্রোতের সংঘর্ষের সৌন্দর্য। অবসর সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে চেয়ে থেকে কাটিয়ে দেয় দিহান। ক. ঝর্ণা কেবল কার গান গায়? ১ খ. ‘চপল পায় কেবল ধাই।’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. ‘ঝর্ণা’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমুদ্রের সাদৃশ্য তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাক্সিক্ষত’Ñ ঝর্ণা কবিতার আলোকে কথাটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ঝর্ণা কেবল পরীর গান গায়। খ. চরণটির মাধ্যমে ঝর্ণার উচ্ছল ও বিরামহীন ছুটে চলাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।  পাহাড় থেকে সৃষ্ট ঝর্ণা পাহাড়ের গা বেয়ে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলে। তার চঞ্চল, আনন্দমুখর চলার মাঝে বাধা হতে পারে না কিছুই। দিনরাত সে নৃত্যরত রমণীর মতো কেবলই ছুটে চলে। গ. উদ্দীপকে বিরামহীন ছুটে আসা সমুদ্রের স্রোত আর সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ায় সাথে ঝর্ণার গান কবিতার ঝর্ণার সাদৃশ্য রয়েছে। ক্ষ ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। ঝর্ণা যখন পাহাড়ের গা ঘেঁষে নিচে পতিত হয় তখন দ্রæত ধাবমান জলরাশি দেখতে খুবই

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ঝর্ণার গান Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অন্ধবধূ

অন্ধবধূ যতীন্দ্রমোহন বাগচী  লেখক পরিচিতি : নাম যতীন্দ্রমোহন বাগচী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ২৭শে নভেম্বর। জন্মস্থান : নদীয়া জেলার জামশেরপুর গ্রাম। রচনার বৈশিষ্ট্য পল্লিপ্রীতি তাঁর কবি-মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কবি জীবনানন্দ দাশের মতো তাঁর কাব্যবস্তুও নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। তাঁর ভাষা সহজ, সরল। উল্লেখযোগ্য কাব্য লেখা, রেখা, অপরাজিতা, নাগকেশর, বন্ধুর দান, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতী। মৃত্যু ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রæয়ারি । বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোন পাখির চেঁচিয়ে সারা হওয়ার কথা উলে−খ আছে? ছ ক. কাক খ. চোখ গেল গ. কোকিল ঘ. শালিক ২. মন্দ নেহাত হয় না কিন্তু তায় Ñ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ছ ক. মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া খ. অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি গ. সকলের কষ্ট দূর করা ঘ. স্বামীকে দায়মুক্ত করা নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : নাসরীনের স্বামী চাকরির সুবাদে প্রবাসজীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে স্বামীর খোঁজ-খবর নেই, তাঁর সঙ্গের যারা বিদেশে থাকেন তাঁরা মাঝে মাঝে আসেন-যান। কেবল তার স্বামীই যেন সবার থেকে আলাদা। নাসরীন স্বামীর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষার দিন গোনে। ৩. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার বধূর কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? র. বিরহকাতরতা রর. ব্যাকুলতা ররর. অভিমান নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. নাসরীনের স্বামীর সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে চরিত্রের পরিচয় আছে সেটি হলো Ñ জ ক. ঠাকুর ঝি খ. অন্ধবধূ গ. ঠাকুর ঝি’র ভাই ঘ. পাড়ার মানুষ                                 সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। জীবনের এই স্বল্প সময়ের সমগ্র হিসাব চুকিয়ে, সব সম্পর্ক ছিন্ন করে পরপারে চলে যেতে হয়। গৃহবধূ সুদীপা মাঝে মাঝে দুঃখ করে বলেন, ‘সুন্দর এই পৃথিবী, ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎ¯œা ভরা রাত সব ছেড়ে আমাদেরকে বিদায় নিতে হবে’। ক. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি কেমন? ১ খ. ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতির কোন রূপের ইঙ্গিত পাওয়া যায়? ২ গ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে বিশেষ দিকটিকে আলোকপাত করেছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনিÑ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ অন্ধবধূ কবিতায় দীঘির ঘাটের সিঁড়িটি শ্যাওলা-পিছল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘কোকিল ডাকা শুনেছি সেই কবে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা প্রকৃতিতে বসন্ত ঋতুর বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।  দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের অসাধারণ জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে অন্ধবধূ কবিতায়। অন্ধবধূ তার অনুভ‚তিশক্তি দিয়েই প্রকৃতির বিচিত্র রং-রূপের বিষয়গুলো বুঝতে পারে। কোকিলের ডাকে ঋতু পরিবর্তনের বিষয়টি অনুভব করতে পারে। কোকিল বসন্তকালে ডাকে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে অন্ধবধূ বোঝাতে চেয়েছে বসন্তকাল অনেক আগেই গত হয়েছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি আলোকপাত করা হয়েছে।  অন্ধবধূ তার অন্ধত্বের জন্য গভীর মর্মবেদনা অনুভব করে। দুঃখ-কষ্ট-অভিমানে সে অনেক কথাই মনে মনে ভাবে। দিঘির ঘাটে শ্যাওলা-পিছল সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে মরে যাওয়ার কথাও সে ভেবেছে। সে বলেছে, এতে তার অন্ধ চোখের দ্ব›দ্ব চুকে যাবে। প্রকৃতপক্ষে অন্ধবধূ আর দশটি মানুষের মতো করেই বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু তার প্রতি মানুষের অবহেলা সে সহ্য করতে পারেনি। তাই সে ভেবেছে দিঘির জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হলে ভালোই হতো।  পৃথিবী নশ্বর ও জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা মানুষের চিরন্তন। উদ্দীপকের গৃহবধূ সুদীপার মাঝে এমন অভিব্যক্তি আমরা লক্ষ করি। ঝিঁ ঝিঁ ডাকা সন্ধ্যা, জ্যোৎস্না ভরা রাত কার না ভালো লাগে। গৃহবধূ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথায় বেদনা অনুভব করে। তাই অন্ধবধূর মৃত্যুচিন্তার সাথে উদ্দীপকের গৃহবধূর মৃত্যুচিন্তার দিকটি একই সূত্রে গাঁথা। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন মানুষের মনোজাগতিক নানা বিষয় উঠে এলেও উদ্দীপকে তেমনটা হয় নি। উদ্দীপকটি তাই কবিতার সমগ্র ভাবের ধারক নয়।  কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাঁর ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় একজন অন্ধবধূর গভীর মর্ম যাতনার দিকটি উল্লেখ করেছেন। অন্ধ হওয়ার কারণে সে প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে প্রবাসী স্বামীর অবহেলায় তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। তারপরও সে তার অনুভ‚তি দিয়ে ঋতুর পরিবর্তন, ফুলের গন্ধ, পাখির ডাকসহ প্রকৃতির সবকিছুই সে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করেছে। তার প্রতি অবহেলা সে যেন সহ্য করতে পারছিল না। ক্ষোভে দুঃখে সে দিঘির জলে ডুবে মরতে চেয়েছে। দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলে সে তার মনের ব্যথা খানিকটা উপশম করতে চেষ্টা করেছে।  উদ্দীপকে ব্যক্ত হয়েছে মানুষের জীবনের চিরন্তন সত্য মৃত্যুরচিন্তা। এই পৃথিবীর সৌন্দর্য অসীম। এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে কারো মন চায় না পরপারে চলে যেতে। গৃহবধূ সুদীপার মধ্যেই সেই অনুভ‚তি কাজ করেছে। সে শান্ত স্নিগ্ধ ঝিঁ ঝিঁ ঢাকা সন্ধ্যা, জোৎস্না ভরা রাত এসব ছেড়ে চলে যেতে চায় না। গৃহবধূ সুদীপার মাঝে মায়া-মমতায় ভরা পৃথিবীর মাঝে বেঁচে থাকার চিরন্তন আবেগ কাজ করেছে।  আলোচ্য কবিতা ‘অন্ধবধূ’ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কবিতায় অন্ধবধূর জীবনের বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু মৃত্যুচিন্তা ও পৃথিবী ছেড়ে না যাওয়ার আকুতি ব্যক্ত হয়েছে। কবিতার মতো প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের মর্মবেদনার স্বরূপ প্রকাশিত হয় নি উদ্দীপকে। সেদিক থেকে উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সমগ্র ভাবের প্রতিফলন ঘটেনি বরং আংশিক ভাব প্রতিফলিত হয়েছে মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফুলবানুর ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া শিখে স্বনির্ভর হওয়ার। বাবার সহযোগিতায় সে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া শেখে পরবর্তীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছে অন্ধত্বের অভিশাপ। ক. সমাজ কাদের অবজ্ঞা করে? ১ খ. ‘দিঘীর ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগে’Ñ কথাটি বুঝিয়ে বলো। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার কোন অংশটি সাদৃশ্যপূর্ণÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের ফুলবানু এবং অন্ধবধূ চরিত্রের ভাব সম্পূর্ণ আলাদা”Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। খ. অন্ধবধূ তার প্রখর অনুভ‚তিশক্তি দ্বারা দিঘির ঘাটে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে।  অন্ধবধূ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও সে একজন ইন্দ্রিয়সচেতন মানুষ। এই ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে সে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছে। দিঘির ঘাটের শ্যাওলা পড়া সিঁড়ির অস্তিত্ব টের পেয়েছে। দিঘির পানি কমে গেছে। অনুভবে সে নতুন সিঁড়ি জাগার কথা বুঝেছে। গ. অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা দূর করে জীবনকে উপভোগ করার আকাক্সক্ষার দিকটি উদ্দীপকের সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার সাদৃশ্য রচনা করেছে।  সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। ফলে দৃষ্টিহীনেরা নিজেদের অসহায় ভাবে। কিন্তু ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে অন্ধদের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী অন্ধবধূর জীবনকে উপভোগের এই আকাক্সক্ষার স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। অন্ধবধূ নিজের ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে প্রকৃতিকে উপভোগ করে। পায়ের তলায় নরম শিউলি ফুলের অস্তিত্ব, পাখির ডাকে ঋতু পরিবর্তনের অনুভ‚তি সবই সে নিজের চেষ্টায় বুঝতে পারে।  উদ্দীপকের ফুলবানুরও নিজের অন্ধত্বের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির আকাক্সক্ষা প্রবল। সে দৃষ্টিহীন হলেও আর দশটা স্বাভাবিক

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা অন্ধবধূ Read More »

Scroll to Top