বাংলা

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রাণ

প্রাণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি পরিচিতি : নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে, ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ। জন্মস্থান : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। পারিবারিক পরিচয় পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সাহিত্যিক পরিচয় রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, চিত্রকর, অভিনেতা, নাট্য প্রযোজক ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত।সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, পত্রসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখা এবং সংগীত, চিত্রকলা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যম তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রথম প্রকাশ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’। এ গ্রন্থটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্য : মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলি, বলাকা। ছোটগল্প : গল্পগুচ্ছ (চার খণ্ড)। উপন্যাস : চোখের বালি, গোরা, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, শেষের কবিতা। নাটক : বিসর্জন, ডাকঘর, রক্তকরবী। পুরস্কার ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ । মৃত্যু ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই আগস্ট, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ, কলকাতায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. কবি কোথায় অমর আলয় রচনা করতে চেয়েছেন? ঝ ক. স্বর্গে খ. পৃথিবীতে গ. পুষ্পিত কাননে ঘ. মানুষের মাঝে ২. কবি মানব হৃদয়ে কীভাবে ঠাঁই পেতে চেয়েছেন? ছ ক. ভালোবেসে খ. সৃষ্টির মাধ্যমে গ. ফুল ফুটিয়ে ঘ. সংগীতের সাহায্যে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে Ñ এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় Ñ হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়; ৩. উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে যে বাক্যে, তা হলো Ñ চ র. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই রর. মানবের সুখে-দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত যদি গো রচিতে পারি অমর আলয় ! ররর. হাসি মুখে নিয়ে ফুল, তার পরে হায় ফেলে দিয়ো ফুল, যদি সে ফুল শুকায় \ নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. ররর গ. রর ও ররর ঘ. র ও ররর ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ঝ ক. জীবনের প্রতি আসক্তি খ. অকৃত্রিম মানবপ্রেম গ. জাগতিক সুখ ভোগ ঘ. সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে ভোরের দোয়েল পাখিÑ চারদিকে চেয়ে দেখি পল−বের স্তূপ জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ। ক. কবি কাদের মাঝে বাঁচতে চান? ১ খ. এ পৃথিবীতে কবি অমর আলয় রচনা করতে চান কেন? ২ গ. উদ্দীপকে প্রত্যাশিত বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে মিশে আছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ কবি মানবের মাঝে বাঁচতে চান। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকার জন্য কবি অমর আলয় রচনা করতে চান।  নরনারীর সুখ-দুঃখ-বিরহ কবি তাঁর রচনায় সঠিকভাবে চিত্রিত করতে চান। আর এই রচনা যদি মানুষের মনজয়ী হয় তবে এই অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে কবি পৃথিবীর মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এভাবেই কবি তাঁর অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি গোটা পৃথিবীকে অমর আলয় হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ জগতের সৌন্দর্য বিমোহিত হওয়ার দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পাওয়ায় উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার সাথে সম্পর্কযুক্ত।  ‘প্রাণ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, মান-অভিমানে পূর্ণ। কবি এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান না। সৃষ্টিশীল কাজ করে তিনি পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেছেন।  উদ্দীপকের কবিতাংশে বর্ণিত হয়েছে গ্রামবাংলার এক অনুপম চিত্র। উদ্দীপকের কবি বাংলার রূপে মুগ্ধ। বাংলার রূপ দেখার পর তাঁর আর পৃথিবীর রূপ দেখার সাধ নেই। ভোরের দোয়েল পাখি কীভাবে ছাতার মতো ডুমুরের পাতার নিচে বসে আছে, কবি তা মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়েছেন। সেখানে জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের পত্র-পল্লবের স্তূপ যেন স্থির হয়ে আছে। প্রাণ কবিতায়ও অনুরূপভাবে রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘প্রাণ’ কবিতার মাত্র একটি দিক-পৃথিবীর রূপ-বৈচিত্র্যে মুগ্ধতার বিষয়টি উদ্দীপকে উল্লিখিত। তাই উদ্দীপকটিতে ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক ভাব প্রকাশিত হয়েছে।  কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য সৃষ্টি প্রাণ কবিতায় তিনি বলেছেন, পুষ্পিত কাননরূপী এই সুন্দর পৃথিবী তাঁকে মুগ্ধ, বিমোহিত করেছে। হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ-ভালোবাসায় পূর্ণ এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কবি যেতে চান না। তিনি মানুষের মনজয়ী রচনা সৃষ্টি করে স্মরণীয় ও বরণীয় হতে চান। তাঁর এই অমর সৃষ্টিতে নর-নারীর হৃদয় রহস্য- সুখ-দুঃখ-বিরহ যেন সঠিকভাবে স্থান পায়, সেই প্রত্যাশা করেছেন।  উদ্দীপকে প্রকৃতির এক অপরূপ চিত্রের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন কোনো কিছুই যেন কবির চোখ এড়ায়নি। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তিনি দেখেছেন ডুমুরের পাতার নিচে দোয়েলটিকে। দোয়েলের মতোই যেন চুপ করে আছে বিভিন্ন গাছের পত্রপল্লবের স্তূপ। বাংলার এমন সৌন্দর্য দেখে তিনি আর পৃথিবীর রূপ খুঁজতে চান না। কবি যেন পরিপূর্ণভাবে পরিতৃপ্ত।  আলোচ্য ‘প্রাণ’ কবিতা ও উদ্দীপক পর্যালোচনা করলে আমরা লক্ষ করি উদ্দীপকে পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার যে বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রাণ কবিতায় একটি খণ্ডিত ভাবমাত্র। কবিতায় এছাড়াও রয়েছে কবি মনের অমরত্ব লাভের বাসনার স্বরুপ। কবি অমর হতে চান মানুষের হাসি-কান্না, বিরহ বেদনা তাঁর রচনায় প্রকাশ করার মাধ্যমে। অমর আলয় সৃষ্টি করে তিনি বরণীয় হতে চেয়েছেন। কিন্তু উদ্দীপক কবিতাংশে তেমন কোনো চেতনার উল্লেখ নেই। সেদিক থেকে উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিকভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিখিলের এত শোভা, এত রূপ, এত হাসি-গান, ছাড়িয়া মরিতে মোর কভু নাহি চাহে মন-প্রাণ। এ বিশ্বের সবি আমি প্রাণ দিয়ে বাসিয়াছি ভাল- আকাশ বাতাস জল, রবি-শশী, তারকার আলো। ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিসের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান? ১ খ. ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকে বিষয়টি ‘প্রাণ’ কবিতার ভাবের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক প্রতিফলন মাত্র। যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান। খ. ‘প্রাণ’ কবিতায় আলোচ্য চরণটির মাধ্যমে কবি মনের অমরত্ব লাভের প্রত্যাশা প্রকাশিত হয়েছে।  এই পৃথিবী সুন্দর ও আকর্ষণীয়। মানুষের হাসি-কান্না, মান-অভিমান, আবেগ ভালোবাসায় এটি পরিপূর্ণ। এই সবকিছুর প্রতি কবি গভীর টান অনুভব করেন। তিনি জগতের মায়া ত্যাগ করে অন্য কিছুর আহŸানে সাড়া দিতে চান না। পৃথিবীর বুকে তিনি অমর হতে চান। চরণটির মাধ্যমে কবির মর্ত্যপ্রীতির বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। গ. উদ্দীপকে ‘প্রাণ’ কবিতায় বর্ণিত এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার গভীর আর্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেদিক দিয়ে ‘প্রাণ’ কবিতায় ভাবের সাথে উদ্দীপকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।  ‘প্রাণ’ কবিতায় বলা হয়েছে, এ জগৎ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রাণ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা জীবন-সঙ্গীত

জীবন-সঙ্গীত হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : নাম হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৩৮ সালের ১৭ই এপ্রিল। জন্মস্থান : হুগলি জেলার গুলিটা রাজবল্লভহাট গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : কৈলাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষাজীবন কলকাতার খিদিরপুর বাংলা স্কুলে পড়াশোনাকালে আর্থিক সংকটের কারণে তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়। এরপর কলকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারীর আশ্রয়ে ইংরেজি শেখেন। পরবর্তীকালে হিন্দু কলেজ থেকে সিনিয়র স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সরকারি চাকরি, শিক্ষকতা; পরে আইন ব্যবসায় নিয়োজিত হন। সাহিত্যিক পরিচয় কাব্য রচনায় মাইকেল মধুসূদনের পর ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান। স্বদেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় ‘বৃত্রসংহার’ নামক মহাকাব্য রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা মহাকাব্য : বৃত্রসংহার। কাব্য : চিন্তাতরঙ্গিনী, বীরবাহু, আশাকানন, ছায়াময়ী। মৃত্যু ১৯০৩ সালের ২৪শে মে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুকে কিসের সাথে তুলনা করেছেন? জ ক. নদীর জল খ. পুকুরের জল গ. শৈবালের নীর ঘ. ফটিক জল ২. কবি ‘সংসারে সমরাঙ্গনে’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? ছ ক. যুদ্ধক্ষেত্রকে খ. জীবনযুদ্ধকে গ. প্রতিরোধযুদ্ধকে ঘ. অস্তিত্বকে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : শুকুর মিয়া একজন ক্ষুদে ব্যবসায়ী। সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম প্রথম লাভ পান। এক সময় তাঁর ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়। এতে তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। তখন বন্ধু হাতেম তাঁকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। শুকুর মিয়া তাঁর পরামর্শকে সাদরে গ্রহণ করেন। ৩. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার লক্ষ্য কী? জ ক. যশোদ্ধার খ. অমরত্ব লাভ গ. সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা ঘ. বরণীয় হওয়া ৪. অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুকুরের যে গুণের আবশ্যক তা হলোÑ জ ক. সাহস খ. সংগ্রাম গ. আত্মবিশ্বাস ঘ. সংকল্প                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রবার্ট ব্র“স পর পর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক সময়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। সেখানে দেখেন একটা মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে সে সপ্তমবারে সফল হয়। এ ঘটনা রবার্ট ব্র“সের মনে উৎসাহ জাগায়। তিনি বুঝতে পারেন জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই তিনি আবার পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। ক. কবি কোন দৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন? ১ খ. কীভাবে ‘ভবের’ উন্নতি করা যায়? ২ গ. পরাজয়ের গ−ানি রবার্ট ব্র“সের মাঝে যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাথে যেভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে।’- উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  কবি বাহ্যদৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন। ১ এর খ নং প্র. উ.  সংসারে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই ভবের উন্নতি হবে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় জীবনের মর্ম উপলব্ধি করার আহŸান জানিয়েছেন কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসারজীবনকে তিনি গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তাঁর মতে, ভবের বা পৃথিবীর উন্নতির জন্য সংসারজীবনের কাজগুলো ভালোভাবে করতে হবে। সবাই যদি নিজের কাজ যথার্থভাবে করে তবেই জগতের উন্নতি হবে। ১ এর গ নং প্র. উ.  পরাজয়ের গøানি রবার্ট ব্রæসের মাঝে যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উল্লিখিত দুঃখবাদী চেতনার স্বরূপকেই তুলে ধরে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চেয়েছেন, এ জীবনের মূল্য অনেক। জীবনটা কেবল নিশার স্বপন নয়। তাই মিথ্যা সুখের কল্পনা করে দুঃখ বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। হতাশায় ভোগা মানুষদের বৈরাগ্য ভাব ত্যাগ করে প্রাণচঞ্চল হওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে কবিতায়।  উদ্দীপকে বর্ণিত রবার্ট ব্রæস ছয়বার যুদ্ধ করে প্রতিবারই পরাজিত হন। এক সময়ে হতাশা তাঁকে ঘিরে ধরে। মনের দুঃখে তিনি বনে চলে যান। পরাজিত হওয়ার গøানি থেকেই তিনি এ কাজটি করেন। কিন্তু নিরাশ না হয়ে সাফল্য লাভের জন্য বারবার চেষ্টা করাই মানবজীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সেই তাগিদই দেওয়া হয়েছে। পরাজিত রবার্ট ব্রæসের মতো যারা হতাশায় ভোগে তেমন মানুষদের প্রতিই আশার বাণী শুনিয়েছেন জীবন-সঙ্গীত কবিতার কবি। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  পরাজয়ে ভেঙে না পড়ে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেই সফল হওয়া যায়। উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় আমরা এ বিষয়েরই প্রমাণ পাই।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন, হতাশাগ্রস্ত মানুষ জন্মটাকে বৃথা ও জীবনকে রাতের স্বপ্ন মনে করে। অথচ মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান। নিজের ও জগতের উন্নতি করাই মানবজীবনের লক্ষ্য। তাই এই জীবনসংসারে মানুষকে সাহসী বীরের মতো এগিয়ে যেতে হয়। বৈরাগ্য নয় বরং সংসারজীবনের সকল দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জীবনকে অর্থবহ করতে হয়। মহামানবেরা যেমন জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জগতে বরণীয় হয়েছেন আমাদের সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হবে।  আলোচ্য উদ্দীপকে রবার্ট ব্রæস ছয়-ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে বনে চলে যান। তিনি সেখানে দেখতে পান একটি মাকড়সা তার বাসা তৈরি করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হয়ে সপ্তমবারে সফল হয়। তিনি এ ঘটনা থেকে উৎসাহ পেলেন। তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা পেলেন। পরবর্তী সময়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে তিনি যুদ্ধে জয়ী হলেন।  কাজেই আলোচ্য উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, জীবনে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ জয়-পরাজয়, সাফল্য-ব্যর্থতা খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। পরাজিত হলে হতাশ হয়ে বসে থাকলে কোনো লাভ নেই। বরং চেষ্টা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়েই সফলতাকে ছিনিয়ে আনতে হয়। পৃথিবীর সকল মানবের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। যুগে যুগে মহামানবেরা এ পথে চলেই মহিমন্বিত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানবজীবন নাতিদীর্ঘ। মানুষ স্বীয় কর্মের জন্য সাফল্য-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভোগ, লোভ-লালসার চিন্তায় মানুষ ব্যর্থতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে মানুষ সফলতা অর্জন করে। ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী? ১ খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ব্যর্থতার যে বর্ণনা দিয়েছেন উদ্দীপকেরে আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “সাফল্য অর্জনে চাই, ত্যাগ, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা”Ñ উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ পতাকা বা নিশান। খ. ‘আয়ু যেন শৈবালের নীর’ বলতে বোঝানো হয়েছে, আয়ু শৈবালের শিশিরের মতোই ক্ষণস্থায়ী।  সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এই সময়ের স্রোতে মানুষের আয়ুও দ্রæতই ফুরিয়ে যায়। শৈবালের ওপর জমে থাকা শিশিরের চিহ্নের স্থায়িত্ব খুবই সামান্য। মানুষের জীবনও তাই। মানুষের জীবনের এই ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতেই কবি আয়ুকে শৈবালের শিশিরের সাথে তুলনা করেছেন। গ. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় ব্যর্থতার জন্য জীবনের ও সময়ের মূল্য না বোঝাকে দায়ী করা হয়েছে, যা আলোচ্য উদ্দীপকেও প্রকাশিত হয়েছে।  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, আমাদের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। তাই জীবনে যতটুকু সময় আমরা পেয়ে থাকি তার সদ্ব্যবহার করতে হবে। তা না করে অকারণে বৈরাগ্যের কারণে দুঃখটা কেবল বাড়বে এবং জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।  উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা জীবন-সঙ্গীত Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কপোতাক্ষ নদ

কপোতাক্ষ নদ মাইকেল মধুসূদন দত্ত লেখক পরিচিতি : নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জানুয়ারি। জন্মস্থান : যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম। ব্যক্তিজীবন হিন্দু কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ সৃষ্টি হয়। ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তাঁর নামের প্রথমে ‘মাইকেল’ শব্দটি যোগ হয়। পাশ্চাত্য জীবনযাপনের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যসাধনার তীব্র আবেগ তাঁকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। উল্লেখযোগ্য রচনা মহাকাব্য : মেঘনাদবধ কাব্য। কাব্য : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলি। নাটক : শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী। প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা, বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ। বিশেষ অবদান বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও বাংলা সনেটের প্রবর্তক। বাংলা ভাষার একমাত্র সার্থক মহাকব্য ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচয়িতা। মৃত্যু ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জুন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন? চ ক. ফ্রান্সে খ. ইংল্যান্ডে গ. ইতালিতে ঘ. আমেরিকাতে ২. ‘কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে’ ? Ñ এ উক্তিতে কবির কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে? র. মমতা রর. অনুরাগ ররর. ভ্রান্তি নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. রর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর [সঠিক উত্তর ক ও খ] অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : প্রবাস জীবনে ফাস্টফুডের দোকানে কত খাবার খেয়েছি আমি জীবনে। মায়ের হাতের পিঠার কথা ভুলি আমি কেমনে? ৩. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন বিষয়টি অনুচ্ছেদটিতে প্রকাশ পেয়েছে? ঝ ক. সুখ স্মৃতির অনুপম চিত্রায়ন খ. রঙিন কল্পনার নিদর্শন গ. কষ্টকর স্মৃতির কাতরতা ঘ. স্নেহাদরের কাতরতা ৪. অনুচ্ছেদটির মূল বক্তব্য নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে? জ ক. সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে। খ. জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে। গ. এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? ঘ. আর কি হে হবে দেখা?             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ছোটকালে ছিলাম বাঙালিদের বালুচরে, সাঁতরায়ে নদী পাড়ি দিতাম বারবার এপার হতে ওপারে, ডিভি লটারি সুযোগ করে দিলে ছুটে চলে যাই আমেরিকায় কিন্তু আজ মন শুধু ছটফটায় আর শয়নে স্বপনে বাড়ি দিয়ে যায়, মধুময় স্মৃতিগুলো আমাকে কাঁদায়, তবু দেশে আর নাহি ফেরা হয়। ক. সনেটের ষষ্টকে কী থাকে? ১ খ. ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২ গ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার আলোকে তুলে ধরো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকে প্রতিফলিত অনুভূতির অন্তরালে যে ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তাই ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব’Ñ কথাটির সত্যতা বিচার করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ সনেটের ষষ্টকে থাকে ভাবের পরিণতি। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ জন্মভ‚মির প্রতি গভীর মমতায় মাতৃদুগ্ধরূপী কপোতাক্ষ নদের জলে তৃষ্ণা নিবারণের আকাক্সক্ষাকে স্নেহের তৃষ্ণা বলা হয়েছে।  প্রবাসে থাকাকালীন কবি জন্মভ‚মির প্রতি গভীর স্মৃতিকাতরতা অনুভব করেছেন। শৈশবের মধুর স্মৃতি কবিকে আচ্ছন্ন করেছিল। তাই প্রবাসে বসেও তিনি কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। কবি বহু দেশ ঘুরে বহু নদ-নদী দেখেছেন কিন্তু কারো জলেই যেন তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ হয় না। তিনি কপোতাক্ষের জলেই শুধু স্নেহের তৃষ্ণা মেটাতে চান। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির মতোই জন্মভ‚মির প্রতি মমত্ববোধ ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে।  প্রিয় কপোতাক্ষ নদের তীরে প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শৈশব কেটেছে। প্রবাসজীবনে শৈশবের সেসব স্মৃতি তাঁকে কাতর করে তুলেছে। তিনি দূর থেকেও যেন কপোতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কোনও নদ-নদীই যেন কপোতাক্ষের সাথে তুলনীয় নয়। এই নদের সাথে জীবনে কোনোদিন দেখা হবে কি না তা নিয়েও কবি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় সংশয় প্রকাশ করেছেন।  উদ্দীপকে এক আমেরিকাপ্রবাসী জন্মভ‚মির প্রতি গভীর মমতা ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ করেছেন। জন্মভ‚মির মধুময় স্মৃতিগুলো তাঁকে কাঁদায়। ডাঙায় তোলা জলের মাছের মতো তিনি ছটফট করেন। ছোটবেলায় সেই বালুচর অথবা সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার সেই আনন্দময় স্মৃতি তিনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা সত্তে¡ও তাঁর আর দেশে ফেরা হয় না। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায়ও প্রবাসী কবির মনে একই অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুভ‚তি দেশপ্রেম থেকে উৎসারিত। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে গভীর দেশপ্রেম, যা ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলকথা।  ‘কপোতাক্ষ নদ’ মাইকেল মধুসূদন দত্তের এক অসামান্য সৃষ্টি। তিনি জন্মভ‚মির প্রতি মানুষের চিরন্তন অনুভ‚তি ও হৃদয়ের টান চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন এই কবিতায়। প্রবাসজীবনে তার শুধু স্বদেশের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের কথা মনে হয়েছে। এই নদের দেখা তিনি আর পাবেন কি না তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির আত্মার সংযোগ এতটাই যে, তিনি এই নদের জলরাশিকে মাতৃদুগ্ধের সাথে তুলনা করেছেন।  উদ্দীপকে আমেরিকাপ্রবাসীও দেশের প্রতি স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ করেছেন। সারা দিনমান যেন শুধু জন্মভ‚মির কথাই তাঁর মনে পড়ে। সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার কথা, বালুচরে ঘুরে বেড়ানোসহ তাঁর কত কথাই মনে পড়ছে। জন্মভ‚মির জন্য তাঁর মন ছটফট করছে। ছুটে আসতে ইচ্ছে করে জন্মভ‚মির কাছে। মধুময় স্মৃতিগুলো তাঁকে কাঁদালেও তাঁর আর ফিরে আসা হয় না।  উদ্দীপকে প্রবাসীর জন্মভ‚মির প্রতি যে গভীর মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে তা ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবির গভীর ভাবাবেগকে ধারণ করে। কবি এবং উদ্দীপকের প্রবাসী উভয়ই বিদেশ বিভূঁইয়ে জন্মভ‚মির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। স্বদেশের প্রাকৃতিক অনুষঙ্গকে মনে করে দুজনেই হয়েছেন স্মৃতিকাতর। ফলে একই অনুভ‚তি ব্যক্ত হয়েছে উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায়। উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাব এবং ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাব তাই একই সূত্রে গাঁথা।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   বাংলার নদী কি শোভাশালিনী কি মধুর তার কুল কুল ধ্বনি দু’ধারে তাহার বিটপীর শ্রেণি হেরিলে জুড়ায় হিয়া। ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোন কাব্যটি? ১ খ. ‘দুগ্ধ স্রোতোরূপী তুমি জন্মভ‚মি-স্তনে’Ñ ব্যাখ্যা করো। ২ গ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মূলভাবের সাথে উদ্দীপকের মূলভাবের সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩ ঘ. ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার পরিণতির দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিতÑ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি। খ. স্বদেশ ও শৈশবÑকৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।  প্রবাসে বসবাস করলেও স্বদেশকে গভীরভাবে ভালোবাসেন ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বিশেষভাবে তাঁকে আলোড়িত করে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিঘেরা কপোতাক্ষ নদ। এই নদীর সাথে কবির যেন নাড়ির সম্পর্ক বিদ্যমান। কবিতায় জন্মভ‚মিকে তিনি মা হিসেবে কল্পনা করেছেন। আর কপোতাক্ষ নদকে কল্পনা করেছেন সেই মায়ের স্তনের অমূল্য দুগ্ধ হিসেবে। এর মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদের প্রতি কবির অত্যন্ত গভীর অনুরাগের প্রমাণ পাওয়া যায়। গ. স্বদেশের নদীর প্রতি মুগ্ধতার অনুভ‚তি প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপক ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার মাঝে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।  ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি মাইকেল মদুসূদন দত্ত স্বদেশের প্রতি তাঁর প্রাণের গভীর আবেগ প্রকাশ করেছেন কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে। এই নদীর তীরে তাঁর মধুময় শৈশব-কৈশোর কেটেছে। প্রবাসজীবনের একাকিত্বের মাঝে বারবার তাঁর মন সেই নদের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা কপোতাক্ষ নদ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বাঙলা শব্দ

বাঙলা শব্দ হুমায়ুন আজাদ লেখক পরিচিতি : নাম হুমায়ুন আজাদ। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৪৭ সালের ২৮শে এপ্রিল। জন্মস্থান : মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের অন্তর্গত রাড়িখাল গ্রাম। কর্মজীবন/ পেশা দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্যসাধনা একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, ভাষাবিজ্ঞানী ইত্যাদি নানা পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কাব্য : অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, কাফনে মোড়া অশ্রæবিন্দু। উপন্যাস : ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, সব কিছু ভেঙে পড়ে। গল্পগ্রন্থ : যাদুকরের মৃত্যু। প্রবন্ধগ্রন্থ : নিবিড় নীলিমা, বাঙলা ভাষার শত্রæমিত্র, বাক্যতত্ত¡, লাল নীল দীপাবলি, কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী। পুরস্কার ও সম্মাননা সাহিত্যক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। মৃত্যু ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগস্ট। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বাঙলা ভাষার শতকরা কতটি শব্দ মৌলিক বা বাঙলা শব্দ? জ ক. ৫২টি খ. ৪৪টি গ. ৯৬টি ঘ. ৯৮টি ২. ‘কেষ্ট’ ও ‘রঙিন’ এ শব্দ দুটোকে বিকলাঙ্গ বলা হয় কেন? ক. এ দুটো সংস্কৃত শব্দ খ. এ দুটো প্রাকৃতের অবিকশিত রূপ গ. এ দুটো তদ্ভব শব্দ বলে ঘ. এ দুটোর উৎস অজ্ঞাত বলে [বিশেষ দ্রষ্টব্য – প্রশ্নটি ত্রæটিপূর্র্ণ। প্রাকৃতের অবিকশিত রূপ বলে লেখক কেষ্ট শব্দটিকে বিকলাঙ্গ বলেছেন। কিন্তু রঙিন শব্দটিকে বিকলাঙ্গ বলা যায় না। মূলত রঙিন শব্দটির পরিবর্তে রাত্তির হবে। সেক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হবে খ।] ৩. ‘চন্দ’ শব্দটির সাথে নিচের সাদৃশ্যপূর্ণ শব্দ হলো Ñ ক. খল্প খ. দুগ্ধ গ. দ্রম্য ঘ. ঘড়া [বিশেষ দ্রষ্টব্য – প্রশ্নটি ত্রæটিপূর্র্ণ। চন্দ শব্দের পরিবর্তে চাঁদ বসালে সঠিক উত্তর হবে হবে ঘ। কারণ চাঁদ ও ঘড়া উভয়ই তদ্ভব শব্দ।] ৪. এরূপ সাদৃশ্যের কারণ কী? ক. এটি বাংলা শব্দ খ. এটি তৎসম শব্দ গ. এটি তদ্ভব শব্দ ঘ. এটি অর্ধতৎসম শব্দ [বিশেষ দ্রষ্টব্য – ৩ প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে এ প্রশ্নটিও ভুল।]                         সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পণ্ডিত স্যার ক্লাসে প্রায়ই সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম। এ বিষয়ে কৌত‚হলী বেশ কিছু শিক্ষার্থী শেকড়ের সন্ধানে গিয়ে দেখে যে, শুধু সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত, আংশিক পরিবর্তিত বা অপরিবর্তিত রূপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার ভিত। তাই তারা মনে করে সংস্কৃতের সাথে বাংলা ভাষার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের মেয়ে বলা যায় না। ক. বাংলা ভাষার শতকরা কতটি তৎসম শব্দ? খ. ‘পরিবর্তনের স্রোতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা’ লেখকের এরূপ মন্তব্যের কারণ কী? গ. উদ্দীপকে শিক্ষার্থীর অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ঘ. বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে পণ্ডিত মশাইয়ের বক্তব্যের যৌক্তকতা ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ বাংলা ভাষার শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ পরিবর্তিত হতে হতে বাংলা ভাষার শব্দ বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।  প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ নিয়মকানুন মেনে রূপ বদলিয়ে মধ্যভারতীয় আর্যভাষায় অর্থাৎ প্রাকৃত শব্দে পরিণত হয়। এই শব্দগুলো গা ভাসিয়ে দিয়েছিল পরিবর্তনের স্রোতে। প্রাকৃতে আসার পর আবার বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে তারা বদলে যায়। পরিণত হয় বাংলা শব্দে। এ পরিবর্তনের স্রেতে ভাসা শব্দেই উজ্জ্বল বাংলা ভাষা। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে ফুটে ওঠা বাংলা ভাষার শব্দের গতিপথের উন্মোচিত দিকটি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দের আলোচনার সাথে সংগতিপূর্ণ।  বিভিন্ন ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। দিন দিন মানুষ কঠিন শব্দ পরিহার করে সহজ শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় চন্দ্র শব্দটি (চন্দ্রচন্দচাঁদ) চাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার বিপুল পরিমাণ শব্দ পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত ভাষায় রূপ নেয়। প্রাকৃত থেকে আরো একটু পরিবর্তিত হয়ে তা বাংলা শব্দে পরিণত হয়। বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধিতে বিভিন্ন ভাষা থেকে আসা শব্দ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে।  উদ্দীপকে সংস্কৃত ভাষানুরাগী পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের সত্যতা অনুসন্ধান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যে বাংলা ভাষায় উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে সেই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। পণ্ডিত স্যার শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন বাংলা হলো সংস্কৃতের মেয়ে। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। তারা শেকড়ের সন্ধান করতে গিয়ে জেনেছে সংস্কৃত নয় বরং বিভিন্ন ভাষার শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলার ভিত্তি গড়ে তুলেছে। একক কোনো ভাষার মাধ্যমে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়নি। তাই উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার বিভিন্ন শব্দের উৎসমূল বিশ্লেষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর সেভাবেই তৎসম, অর্ধতৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের সমন্বয়ে বাংলা ভাষায় শব্দ ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা ভাষার সব শব্দ সংস্কৃত থেকে আসেনি। ফলে উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যারের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণিত হয়।  ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে আমরা পাই, বাংলা ভাষার শরীর গড়ে উঠেছে তিন রকম শব্দ মিলে। সেগুলো হলো তৎসম, অর্ধতৎসম ও তদ্ভব। এই তিন ধরনের শব্দের সাথে দেশি ও বিদেশি শব্দ মিলে গড়ে উঠেছে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার। বাংলা ভাষার শব্দের শতকরা বায়ান্নটি শব্দ তদ্ভব ও অর্ধতৎসম। শতকরা চুয়াল্লিশটি তৎসম শব্দ।  উদ্দীপকের পণ্ডিত স্যার মনে করেন বাংলা সংস্কৃতের মেয়ে। প্রকৃত প্রস্তাবে এ কথাটি আদৌ সত্য নয়। কারণ বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশে এককভাবে কোনো ভাষা অবদান রাখেনি। বরং নানা ভাষার বিভিন্ন শব্দ এসে এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে কোন ভাষার শব্দ কী হারে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে।  ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদ তাঁর ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারের সমৃদ্ধি এবং প্রচলিত ভাষাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। লেখক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর উৎপত্তি, বিকাশ ও ব্যবহার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেছেন। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে রূপ বদল করে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে বহু শব্দ। আবার আদিবাসী ভাষা থেকে এসেছে দেশি শব্দ। অন্যদিকে বিদেশিদের আগমনের ফলে বেশ কিছু বিদেশি শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। এসব বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায়, পণ্ডিত স্যারের বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ বাংলা ভাষায় সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে আসেনি।       গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   গত কয়েকশত বছরে বিভিন্ন জাতি এই জনপদে এসেছে। তাদের মুখের ভাষা ছিল ভিন্ন ভিন্ন রকমের। ভিন্ন ভিন্ন এই ভাষাকে ধারণ করেছে আমাদের বাংলা ভাষা। কোল মুণ্ডা থেকে আর্য স¤প্রদায়, প্রাকৃতজনের ভাষার পথ ধরে আসা বিভিন্ন শব্দকে বাংলা ভাষা নিজের সন্তানের মতো কোলে তুলে নিয়েছে। এভাবেই পরিভ্রমণের পথ ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা। ক. হুমায়ুন আজাদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১ খ. ‘আমাদের সবচেয়ে প্রিয়রা’Ñ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বাঙলা শব্দ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘বিভিন্ন পথ পরিভ্রমণের জন্য ভাষা টিকে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বাঙলা শব্দ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের রূপ ও রীতি

সাহিত্যের রূপ ও রীতি হায়াৎ মামুদ লেখক পরিচিতি : নাম হায়াৎ মামুদ। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯৩৯ সালের ২রা জুলাই। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মৌড়া গ্রাম। বর্তমানে ঢাকার গেণ্ডারিয়া অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা। শিক্ষা ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল, কায়েদে-আজম কলেজ (বর্তমানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশা কর্মজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসর গ্রহণ করেন। সাহিত্যসাধনা কবিতা ও গল্প লেখা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু। গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ স্বগত সংলাপ, প্রেম অপ্রেম নিয়ে বেঁচে আছি, রবীন্দ্রনাথ : কিশোর জীবনী, নজরুল ইসলাম : কিশোর জীবনী, প্রতিভার খেলা-নজরুল, বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই, বাংলা লেখার নিয়মকানুন, কিশোর বাংলা অভিধান। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভ‚ষিত হন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’ Ñ মন্তব্যটি কোনটি সম্পর্কে? জ ক. গীতিকবিতা খ. ছোটগল্প গ. মহাকাব্য ঘ. কাহিনিকাব্য ২. ‘পাঠক সমাজে উপন্যাস সাহিত্য বহুল পঠিত ও জনপ্রিয়।’ কারণ উপন্যাস Ñ র. সহজ-সরল-প্রাঞ্জল রর. পাঠক নিজেকে খুঁজে পায় ররর. এখানে সমাজ-দেশ ও জাতির প্রতিফলন ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ঝ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৩. ‘গল্পপাঠ শেষ করেও পাঠক কাহিনির সমাপ্তি খুঁজে’ বক্তব্যটি ধারণ করে যে পঙ্ক্তি Ñ র. ঘটনার ঘনঘটা রর. শেষ হয়ে হইল না শেষ ররর. অন্তরে অতৃপ্তি রবে নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. জীবনের পূর্ণাবয়ব নয়, খণ্ডাংশকে লেখক রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের কোনো একটি বিশেষ মুহূর্ত কোনো বিশেষ পরিবেশের মধ্যেÑস্বল্পসংখ্যক চরিত্রের মাধ্যমে এর পরিণতি ঘটে। উদ্দীপকে সাহিত্যের কোন শাখার পরিচয় ফুটে উঠেছে ? ছ ক. কবিতা খ. ছোটগল্প গ. উপন্যাস ঘ. নাটক             সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর কাহিনির উৎস পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা, আয়তনে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে, সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। এর নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী, আপসহীন দৃঢ়চেতা। কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। ক. সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কোনটি? ১ খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন ? ২ গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যে রূপ ও রীতি’ রচনার সাহিত্যের কোন শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান Ñ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।’ মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ সৌন্দর্য সৃষ্টির মাধ্যমে আনন্দ দান। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কারণ নাটক একই সাথে দেখা ও শোনা যায়।  বিশ্বসাহিত্যে নাটকই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এর দর্শক সমাজ। নাটক যদি দর্শকের সামনে উপস্থাপিত না হয় তবে এর উদ্দেশ্য সার্থকতা পায় না। সেকালে নাটক পঠিত হতো না, অভিনীত হতো। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাটককে তাই দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।  লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, কবিতার অন্যতম প্রধান রূপভেদ হচ্ছে মহাকাব্য। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। অর্থাৎ মহাকাব্য অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তা গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখিত হয়। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে।  আলোচ্য উদ্দীপকে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মহাকাব্যের কাহিনির উৎস হবে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা। এর আয়তন হবে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে। এটি সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। আপসহীন, দৃঢ়চেতা, প্রভাবশালী ও বীরচিত হবে নায়ক চরিত্র। এতে কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। উদ্দীপকে মহাকাব্যের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত’। কারণ উদ্দীপকে সাহিত্যের একটি মাত্র শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের রূপ বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমনÑ কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের এই শাখাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে তার বিশদ পর্যালোচনা করেছেন।  উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়েছে সাহিত্যের একটি বিশেষ দিক নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে মহাকাব্য; মহাকাব্যের কাহিনি হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। বিশাল আয়তন, সর্গে বা পর্বে বিভক্ত, পদ্যে রচিত, নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী ও দৃঢ়চেতা, কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে এগুলোই মূলত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকে সাহিত্যের মাত্র একটি শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন সাহিত্যের সকল শাখা যেমনÑ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে সাহিত্যের একটি শাখা মহাকাব্য (কবিতা) নিয়ে। মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই উদ্দীপকের আলোচনা সীমাবদ্ধ। তাই বলা হয়েছে, উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষায়, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলাই সাহিত্যের কাজ। ক. নাটকে সাধারণত কয়টি অঙ্ক থাকে? ১ খ. ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকেই তুলে ধরেছেÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. নাটকে সাধারণত পাঁচটি অঙ্ক থাকে। খ. শেষ হয়েও হইল না শেষ’ এই অতৃপ্তির মধ্য দিয়েই ছোটগল্পের সমাপ্তি হয় ।  ছোটগল্প জীবনের যে অংশ আমাদের দেখায় গল্পে তার আরম্ভ যেমন নেই, তেমনি শেষও হয় না। জীবন-কাহিনির মাঝখান থেকেই ছোটগল্পের সূচনা। ছোটগল্পের সূচনা কোনো জীবনের আরম্ভ নয়। আর মাঝখান থেকে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বলে একটা মধুর অতৃপ্তি মনে থেকে যায়। এ জন্যই বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ। গ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে প্রকাশিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার অনুভ‚তির সামগ্রিকভাবে ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের উক্তিটিতে।  ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাহিত্যের রূপ এবং রীতি আসলে কী সে বিষয়টি লেখক বোঝাতে চেয়েছেন। সাহিত্যের রূপ বলতে বোঝায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ইত্যাদি। আর রীতি হলো ওই শাখাগুলো কীভাবে নির্মিত হয়েছে, তারই পর্যবেক্ষণ

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের রূপ ও রীতি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা একাত্তরের দিনগুলি

একাত্তরের দিনগুলি জাহানারা ইমাম লেখক পরিচিতি : নাম জাহানারা ইমাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৩ সালের ৩রা মে। জন্মস্থান : মুর্শিদাবাদের সুন্দরপুর গ্রাম। শিক্ষা কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ থেকে বিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও বাংলায় এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপনা করেন। উল্লেখযোগ্য সাহিত্য একাত্তরের দিনগুলি, গজকচ্ছপ, সাতটি তারার ঝিকিমিকি, ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস, প্রবাসের দিনগুলি ইত্যাদি। বিশেষ পরিচয় অবদান শহিদ মুক্তিযোদ্ধা রুমীর মা। ১৯৭১ সালে নিজেও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, রসদ জোগানো, অস্ত্র আনা-নেওয়া, খবর আদান-প্রদান ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। উপাধি শহিদ জননী। মৃত্যু ১৯৯৪ সালের ২৬শে জুন। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মুক্তিযুদ্ধের সময় মে মাসের কোন তারিখে মাধ্যমিক স্কুল খোলার কথা বলা হয়েছিল? ছ ক. আট তারিখ খ. নয় তারিখ গ. দশ তারিখ ঘ. এগারো তারিখ ২. ‘নির্লজ্জ মিথ্যাভাষণে ভরা বিবৃতি’ বলতে কী বোঝ? ছ ক. বিবৃতি দেওয়ানোর ক‚টকৌশল খ. বেয়নটের মুখে দেওয়া বিবৃতি গ. গোয়েবলসের মতো বিবৃতি ঘ. বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর দেওয়া বিবৃতি উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ উপন্যাসে বদি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বদি ঢাকাকে মুক্ত করার জন্য গেরিলা বাহিনীকে সংগঠিত করে। দেশ বিপর্যস্ত বলে সাধারণ পরিবারের সদস্যরা পরিবারকে জানিয়ে কিংবা না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা এবং তাদের পরিবারের প্রত্যাশা ছিল দেশ যেন তাড়াতাড়ি শত্র“মুক্ত হয়। ৩. উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন দিকটিকে উন্মোচিত করেছে? ঝ র. রুমীর যুদ্ধে যাওয়া রর. রুমীর বাবার উৎকণ্ঠা ররর. রুমীর মায়ের উৎকণ্ঠা নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. ররর ৪. উদ্দীপকের অনুভবটি ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন উদ্ধৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? চ ক. রুমীকে অন্যভাবে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে; কিন্তু মার্সি পিটিশন করে নয় খ. যে কোনো প্রকারে রুমিকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে গ. খুনী সরকারের কাছে রুমীর প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে দয়া ভিক্ষা করা মানেই রুমীর আদর্শকে অপমান করা। ঘ. রুমীর মতো এমন অসাধারণ মেধাবী ছেলের প্রাণ বাঁচলে দেশেরও মঙ্গল।                 সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে নেপথ্য ভূমিকা রেখেছিল। তারেক মাসুদ ‘মুক্তির গান’ প্রমাণ্যচিত্রে দেখিয়েছেন শিল্পীরা বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করছেন। যুদ্ধ কেবল মুক্তিযোদ্ধারা করেনি। এ যুদ্ধে শিল্পী, কলাকুশলী ও শব্দ-সৈনিকের ভূমিকাও ছিল। ক. যুদ্ধের সময় জামী কোন শ্রেণির ছাত্র ছিল? ১ খ. ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কেন? বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’র কোন দিককে উন্মোচিত করেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলি’র সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে কি? মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামী দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ‘নিয়াজীর আত্মসমর্পণ আনন্দের কিন্তু শরীফের কুলখানি বেদনার’ কারণ প্রিয়জন হারানোর কষ্ট সহজে ভোলা যায় না।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের একটি স্মৃতিচারণামূলক রচনা। লেখিকা মুক্তিযুদ্ধে তার সন্তান রুমীকে হারিয়েছেন। এই রচনায় প্রিয়জন হারানোর গভীর ক্ষত ও যন্ত্রণাই ব্যক্ত হয়েছে। প্রিয় সন্তান রুমীকে বাঁচানোর জন্য তিনি হানাদার বাহিনীর কাছে মার্সি পিটিশন না করে দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় দিয়েছেন। সন্তান ও স্বামী শরীফের মৃত্যুতে তার বেদনা আরো ঘনীভ‚ত হয়েছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী-কলাকুশলী ও বুদ্ধিজীবীদের গৌরবময় ভ‚মিকার দিকটি উন্মোচিত করেছে।  শিল্প-সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই একটি দেশের জাতীয় চেতনার জন্ম হয়। আবার শিল্প-সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই কবি-লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীরা সেই চেতনাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। তারা মানুষের মাঝে ন্যায়-অন্যায় বোধ জাগ্রত করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী ও প্রতিবাদী করে তোলেন। ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় আমরা দেখি স্বাধীন বাংলা বেতারে বহু গুণী শিল্পী, সংবাদ পাঠক ও কলাকুশলী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।  আলোচ্য উদ্দীপকে আমাদের মুক্তিসংগ্রামের একটি বিশেষ দিক ফুটে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একটি নেপথ্য ও ঐতিহাসিক ভ‚মিকা ছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে শিল্পী ও কলাকুশলীরা কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেন তা প্রদর্শিত হয়। তাই মুক্তিযোদ্ধারাই কেবল দেশ স্বাধীন করেন, নি এই নেপথ্য সৈনিকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। উদ্দীপকের এই ভাবনা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় উল্লিখিত মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী ও কলাকুশলীদের গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকা পালনের বিশেষ দিকটি উন্মোচিত করেছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাত্র একটি দিক শিল্পী কলাকুশলীদের ভ‚মিকা আলোচিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ শহিদ জননী জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিচারণামূলক রচনা। এই রচনায় পাকহানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণ, গণহত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন ও বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রাম, জীবন দান, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বীরোচিত ভ‚মিকা, একজন পুত্রহারা জননীর গভীর মর্মবেদনা তথা দেশপ্রেমিকের গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচিত হয়েছে। শত্রæসেনাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনার দিক চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসে থাকেনি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, কলাকুশলীরা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছেন।  উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি নেপথ্য দিক। ‘স্বাধীন বাংলা বেতার’ কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করতে কীভাবে ভ‚মিকা পালন করে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। শিল্পীরা উদ্দীপনামূলক গান গেয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গণজাগরণ তৈরি করেন। এক্ষেত্রে শব্দ-সৈনিক ও কলম-সৈনিকদের ভ‚মিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। শিল্পী ও কলাকুশলীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের জন্য লড়াই করার প্রেরণা জোগায়।  ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনায় মুক্তিযুদ্ধের নানাবিধ বিষয়ের অবতারণা করা হলেও উদ্দীপকে শুধু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কলাকুশলীদের ভ‚মিকার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও বাঙালির ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মত্যাগ, মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়াবহতার চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়নি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর শত্রæ বাহিনীর আত্মসমর্পণের কথা। তাই উদ্দীপকের অনুভব ‘একাত্তরের দিনগুলির’ সমগ্র অনুভবকে ধারণ করে না।     গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সেবিকা অনন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রƒষা করেছিলেন। হৃদয়বিদারক সেই স্মৃতি আজও তাকে তাড়িত করে। অবসর সময়ে তিনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের কথাগুলো স্মৃতিচারণ করেন। ক. ঢাকার কয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে? ১ খ. স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না কেন? ২ গ. উদ্দীপকের বিষয়টি নবীন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করবে তা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের অনন্যার কর্মকাণ্ড এবং ‘একাত্তরের দিনগুলি’ রচনার লেখিকার প্রয়াস এক ও অভিন্ন”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ঢাকায় ছয় জায়গায় গ্রেনেড ফেটেছে। খ. দেশে কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল না বলে স্কুল খুললেও জামী স্কুলে যাবে না। ক্ষ ১৯৭১ সালে এ দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। ফলে দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। এ অবস্থায় কোনো ছাত্রের পক্ষেই স্কুলে যাওয়া

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা একাত্তরের দিনগুলি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পয়লা বৈশাখ

পয়লা বৈশাখ কবীর চৌধুরী  লেখক পরিচিতি : নাম কবীর চৌধুরী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রæয়ারি। জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। পেশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। সাহিত্য তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। উল্লেখযোগ্য রচনা ছয় সঙ্গী, প্রাচীন ইংরেজি কাব্য সাহিত্য, আধুনিক মার্কিন সাহিত্য, সাহিত্য কোষ, স্তঁদাল থেকে প্রস্তু, পুশকিন ও অন্যান্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ছবি কথা সুর ইত্যাদি। পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। উপাধি জাতীয় অধ্যাপক। মৃত্যু ২০১১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. ঐতিহাসিক আবুল ফজল নববর্ষকে কী বলে উলে−খ করেছেন? চ ক. নওরোজ খ. জাতীয় উৎসব গ. অনন্য উৎসব ঘ. বর্ষবরণ উৎসব ২. নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে? ছ ক. উগ্র জাতীয়তা খ. ঐক্যবোধ গ. বহুমুখী ভাবনা ঘ. সাংস্কৃতিক ভিন্নতা ৩. বিশ শতকের প্রথমার্ধে নববর্ষ উদ্যাপন অবলম্বন করে জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে কোন্ চেতনা যুক্ত হয়েছিল? চ র. সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা রর. নয়া উপনিবেশবাদ চেতনা ররর. ধর্মবিরোধী চেতনা নিচের কোনটি সঠিক? ক. র খ. রর গ. ররর ঘ. র ও ররর উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিস্টান বাংলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি’ ৪. উদ্ধৃতাংশে ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে বিধৃত দিকটি হলো Ñ জ ক. বাংলাদেশি জাতীয়তা খ. বাঙালি জাতীয়তা গ. অসাম্প্রদায়িকতা ঘ. কল্যাণ ৫. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবের সাথে নিচের কোনটির সামঞ্জস্য রয়েছে? চ ক. সিরাজদ্দৌলা শেষবারের মতো লড়াই করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমান উভয়কে। খ. ঔপনিবেশিক রাজত্বের দিনগুলোতে নববর্ষ পালনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছিল। গ. নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য উৎসব, অন্যতম জাতীয় উৎসব। ঘ. সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।           সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ‘ছায়ানট’ নববর্ষের যে উৎসব শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের বাধাহীন পরিবেশে এখন তা জনগণের বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনাময় অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানের পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় মুখোশ, কার্টুনসহ যে-সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করা হয় তাতে আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় এবং সমকালীন সমাজ-রাজনীতির সমালোচনাও থাকে। ক. নববর্ষ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করায় কী প্রকাশ করে? ১ খ. ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বলতে কী বোঝ? ২ গ. ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে প্রকাশিত নববর্ষ উদ্যাপনের কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।’ লেখকের এই প্রত্যাশাই যেন উদ্দীপকটি ধারণ করছে’ Ñ মূল্যায়ন করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ নববর্ষ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভ‚তি প্রকাশ করে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা হচ্ছে সেই ধর্মচেতনা যেখানে মানুষ ধর্মে ধর্মে পার্থক্য না করে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে।  বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সর্বজনীন উৎসব। এই আনন্দ উৎসবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই অংশগ্রহণ করে। বিগত বছরের দুঃখ-জরা, কষ্ট-বেদনা ভুলে গিয়ে নতুন বছরে সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। নববর্ষকে সবাই একসাথে বরণ করে নেয়। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসাথে এই বর্ষবরণের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকার চেতনাই ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ ‘পয়লা বৈশাখ’ প্রবন্ধে উল্লিখিত নাগরিক বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশন প্রদর্শন উদ্দীপকে অনুপস্থিত।  বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব ‘পয়লা বৈশাখ’ কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে ফসল কাটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাচীনকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এটি বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা বিনিময়, খাওয়া-দাওয়া, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে পয়লা বৈশাখ। ব্যবসায়ী মহলে পালিত হয় হালখাতা ও মিঠাই বিতরণ। অর্থনৈতিক কারণে বর্তমানে এটি শহরকেন্দ্রিক পালিত হলেও যথেষ্ট প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়। তবে নববর্ষ উদ্যাপনের ধরন দেখে লেখক এটিকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন।  উদ্দীপকে ১৯৬৭ সাল থেকে বাধাহীন পরিবেশে এদেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালনের কথা বলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য আয়োজনের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এসব আয়োজনে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র তুলে ধরা হয়। যা আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় ও সমকালীন সমাজ রাজনীতির সমালোচনা বহন করে। নববর্ষ উদ্যাপনের এই দিকটি পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে উল্লিখিত। কিন্তু আজকাল যে এই উৎসব মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনে রূপ নিচ্ছে তা উদ্দীপকে উল্লেখ করা হয়নি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বাঁচিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যাতে আমাদের বাঙালিত্বের পরিচয়কে ধারণ করতে পারে সে কারণে এতে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।  পয়লা বৈশাখ নিঃসন্দেহে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এর উদ্যাপন রীতিতে নানা পালাবদল ও বিভিন্ন মাত্রিকতা যুক্ত হচ্ছে। পয়লা বৈশাখ পালনের সাথে কৃষি সমাজের যোগসূত্র ছিল। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। গ্রামীণ উপকরণ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। হালখাতা, মিঠাই বিতরণ, নানা রকম খেলাধুলা, সংগীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি, আলোচনা সভা ইত্যাদি পয়লা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে বর্তমান সময়ে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দেশীয় সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ করা হচ্ছে। লেখক একে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের সাথে তুলনা করেছেন। তাগিদ দিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার।  উদ্দীপকে নববর্ষ উৎসব আয়োজনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। ছায়ানটের গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকা, ঢাকার নববর্ষ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ছায়ানট বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদেরও রয়েছে অসামান্য অবদান।  সামাজিক প্রকৌশলী বা সংস্কৃতি নির্মাণের কারিগরদের প্রতি লেখক আহŸান জানিয়েছেন বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার। কারণ পয়লা বৈশাখকে তার নিজস্ব ভাবমূর্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে শ্রমজীবী মানুষের রাখিবন্ধনকে নতুন করে বাঁধতে হবে। পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ক্ষেত্রে এর ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর উদ্দীপকে এই দিকগুলোই লক্ষ করা যায়।   গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর চৈত্রের শেষে ব্যবসায়ী আতিক সাহেবের মন আনন্দে শিহরিত হয়ে ওঠে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তিনি উন্মুখ হয়ে থাকেন। যাতে পুরনো হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে নব উদ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে পারেন। তিনি মনে করেন, নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ক. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি? ১ খ. হালখাতা অনুষ্ঠানটি পালন করা হয় কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘পয়লা বৈশাখ’ রচনার যে দিকের আভাস দেওয়া হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. ‘পয়লা বৈশাখ’ অবলম্বনে উদ্দীপকের সর্বশেষ লাইনটির সপক্ষে তোমার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পয়লা বৈশাখ Read More »

Scroll to Top