বাংলা

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মমতাদি

মমতাদি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়  লেখক পরিচিতি : প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৯০৮। জন্মস্থান : বিহারের সাঁওতাল পরগনা। পৈতৃক নিবাস মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর অঞ্চলের মালবদিয়ায় এবং মায়ের বাড়ি একই অঞ্চলের গাঁওদিয়ায়। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : নীরদাসুন্দরী দেবী। শিক্ষা মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও বাঁকুড়া ওয়েসলিয় মিশন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর গণিতে অনার্স নিয়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন। সাহিত্যিক পরিচয় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ গল্প রচনার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার সূচনা। মাত্র একুশ বছর বয়সে বিখ্যাত উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’ রচনা। তিনি পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুল নাচের ইতিকথা, জননী, চিহ্ন, শহরতলী, অহিংস, চতুষ্কোণ। গল্পগ্রন্থ : অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক, সরীসৃপ। মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর । বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল? জ ক. ১০ টাকা খ. ১২ টাকা গ. ১৫ টাকা ঘ. ১৮ টাকা ২. চড় খাওয়ার বিষয়টি দিদি কেন গোপন রেখেছিলেন? ছ ক. লজ্জা পেয়ে খ. আত্মসম্মানের জন্য গ. বিপদের আশঙ্কায় ঘ. চাকরি যাওয়ার ভয়ে নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : মা মারা গেলে নিরাশ্রয় কেষ্টা বৈমাত্রেয় বোন কাদম্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার এই অনাকাক্সিক্ষত আগমন কাদম্বিনী ভালোভাবে নেয়নি বরং মনে মনে সে ভীষণ অখুশি। তাকে দিয়ে প্রতিনিয়ত সংসারের নানা কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কারণে অকারণে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করে। নিরুপায় কেষ্টা সবকিছু নীরবে সহ্য করে। ৩. যে বিচারে কেষ্টা ও মমতাদি একসূত্রে গাঁথা তা হলোÑ চ র. দারিদ্র্য রর. অসহায়ত্ব ররর. নিরাশ্রয় নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. একসূত্রে গাঁথা সত্তে¡ও মমতাদি ব্যতিμম হওয়ার কারণ। তিনিÑ ঝ ক. পরিশ্রমী খ. স্বল্পভাষী গ. সময়নিষ্ঠ ঘ. সাদরে গৃহীত                   সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রাসেল ড্রাইভার হিসেবে যেমন দক্ষ তেমনি সৎ। প্রকৌশলী এমারত সাহেব তাকে ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেন। ইফতি, সনাম ও শিলাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসাই তার প্রধান কাজ। ঘরের সবাই ওকে ভীষণ ভালোবাসে। ইফতিরা ওকে ভাইয়া বলে ডাকে, একসাথে খায়, গল্প করে, বেড়াতে যায়। রাসেলের প্রতি সন্তানদের এই আচরণে এমারত সাহেব ভীষণ খুশি। ক. মমতাদির বয়স কত ছিল? ১ খ. মমতাদির চোখ সজল হয়ে উঠেছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকে রাসেলের মাঝে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের আচরণের ফুটে ওঠা দিকটি সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে কতটুকু প্রভাব ফেলে? যুক্তিসহ বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মমতাদির বয়স ছিল ২৩ বছর। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আশাতিরিক্ত মাইনে নির্ধারণ করায় মাইনের কথা জেনে মমতার দুচোখ কৃতজ্ঞতায় সজল হয়ে উঠল।  মমতা অভাবের তাড়নায় পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। তাই সে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। সে এই কাজ করতে গিয়ে সর্বোচ্চ বারো টাকার মতো বেতন আশা করেছিল। কিন্তু গৃহকর্ত্রী পনেরো টাকা বেতন নির্ধারণ করেন। এ কারণে কৃতজ্ঞাতায় মমতার দুচোখ সজল হয়ে উঠল। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীকের রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি হচ্ছে দক্ষতা ও সততা।  ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি দরিদ্র হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ। গৃহকর্ত্রীর বাড়িকে নিজের বাড়ি মনে করে সুনিপুণভাবে সব কাজ সম্পন্ন করেছে। কখনও ফাঁকি দেওয়ার কথা ভাবেনি। সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং নিজ কাজে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। নিখুঁতভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করত সে।  উদ্দীপকের রাসেল একজন দরিদ্র ড্রাইভার হলেও সে ছিল অত্যন্ত সৎ এবং দক্ষ। সে তার কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা দিয়ে মালিক এমারত সাহেব ও তার পরিবারের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। এমারত সাহেবের সন্তানেরা তাকে পরিবারের একজন হিসেবে মনে করেছে। ফলে সকলের সাথে তার গড়ে উঠেছে গভীর সম্পর্ক। সুতরাং গল্পের মমতাদি চরিত্রের দক্ষতা এবং সততার গুণটিই উদ্দীপকে রাসেলের মধ্যে বিদ্যমান। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।  ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অসাধারণ সৃষ্টি। মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারীর হয়েও সে অভাবের তাড়নায় অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। তার সততা, চরিত্র মাধুর্য ও কর্মদক্ষতায় সে সহজেই গৃহকর্ত্রীসহ সকলের মন জয় করে নেয়। গৃহকর্ত্রীও ছিলেন অত্যন্ত উদার মনের মানুষ। মমতাদিকে কখনও গৃহকর্মী ভেবে তুচ্ছ জ্ঞান করেননি। বরং যথাযথ মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করেছেন।  উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেল যেমন সৎ তেমনি দক্ষ। এমরাত সাহেবের সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়াই তার কাজ। সে তার সব কাজ নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে করেছে। শিশুরা তাকে ভাইয়া বলে ডকে। একসাথে খেলে, ঘোরে, গল্প করে। সন্তানদের আচরণে এমারত সাহেবও খুশি। মোটকথা একজন ড্রাইভারের সাথে তার পরিবার অত্যন্ত মানবিক আচরণ করেছে। তার নিজের পরিবারের সদস্যের মতো ব্যবহার করেছে।  ‘মমতাদি’ গল্পে স্কুল-পড়–য়া ছেলেটির পরিবার যেমন মমতাদির সাথে মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করেছে উদ্দীপকের ড্রাইভার রাসেলের সাথেও এমারত সাহেবের পরিবার ও সন্তানেরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেছে। দুটি পরিবারের এই আচরণ সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। উঁচু-নীচু প্রভেদ ভুলে প্রতিটি মানুষের সাথে এমনি করে মানবিক আচরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আভিজাত্য ও প্রতিপত্তির মিথ্যা অহংকারেই সমাজে সব অনাচার ও অশান্তি সৃষ্টি হয়। মমতাদি ও ড্রাইভার রাসেলের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে মনুষ্যত্বেরই জয় ঘোষিত হয়েছে। তাই সবাইকে এ ধরনের আচরণেই অভ্যস্ত হওয়া প্রয়োজন।           গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর   দারিদ্র্যের কারণে নিলুফা বেশি পড়াশোনা করতে পারেনি। এসএসসি পাস করে সে একটি হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। কাজের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা দেখে প্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই তার প্রশংসা করে। তবে মাঝেমধ্যে কারও কটু কথা শুনলে তার মনে খুব দুঃখ লাগে। সে মর্মাহত হয়। ক. মমতাদির বয়স কত? ১ খ. মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিল কেন বুঝিয়ে লেখো। ২ গ. উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘মমতাদি’ গল্পের সামগ্রিক ভাব ধারণ করে না।”Ñ যুক্তিসহকারে উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. মমতাদির বয়স তেইশ বছর। খ. সংসারে দারিদ্র্যের কারণে মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছিলো। ক্ষ মমতাদি একজন মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী। কিন্তু সংসারে প্রচণ্ড অভাবের কারণে তাকে পর্দা ঠেলে বাইরে আসতে হয়েছে। তার স্বামীর চার মাস ধরে চাকরি নেই। ঘরে খাবার নেই। তীব্র অভাবে বাধ্য হয়ে মমতাদি বাইরে এসেছে এবং কাজ খুঁজতে বেরিয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই তিনি লেখকের বাড়িতে কাজ নিয়েছেন। গ. কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার দিক থেকে উদ্দীপকের নিলুফা ও ‘মমতাদি’ গল্পের মমতাদি চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ। 

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মমতাদি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব

শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব মোতাহের হোসেন চৌধুরী লেখক পরিচিতি : নাম মোতাহের হোসেন চৌধুরী। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম। শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ পাস করেন। পেশা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। সাহিত্যিক পরিচয় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘শিখা’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতি কথা (লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মননশীল প্রবন্ধ ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন)। অনুবাদগ্রন্থ : সভ্যতা (ক্লাইভ বেল-এর সিভিলাইজেশন-এর অনুবাদ), সুখ (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস-এর অনুবাদ)। মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কোন দিকে লক্ষ রেখে? ছ ক. অর্থনৈতিক মুক্তির খ. আত্মিক মুক্তির গ. চিন্তার স্বাধীনতা ঘ. বুদ্ধির স্বাধীনতা ২. আত্মিক মৃত্যু বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? র. স্বাভাবিক মৃত্যু রর. নৈতিক অধঃপতন ররর. মূল্যবোধের অবক্ষয় নিচের কোনটি সঠিক? ছ ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুকুর মিয়া তার স্কুল-পড়–য়া ছেলেকে ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি মনে করেন টাকাই জীবনের মূল। দুনিয়াতে যার যত টাকা সে তত বেশি সুখী। ৩. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিতে উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছেÑ র. ক্ষুৎপিপাসা রর. আত্মার অমৃত ররর. অর্থলিপ্সা নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. রর ও ররর গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. শুকুর মিয়ার মানসিকতা পরিবর্তন হতে পারে যদি তিনিÑ চ ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন খ. শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিককে গুরুত্ব দেন গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে সর্বদা বন্দি থাকেন ঘ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে বড় করে না দেখেন                   সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়। ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন? খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন? গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো। ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো। ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে দুইটি উপায়ের কথা বলেছেন। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।  লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত’¡ প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন। একটি জীবসত্তা আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তা অর্জনের দিকটি প্রতিফলিত।  শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধ অনুযায়ী জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় উত্তরণের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে শেখায় কী করে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। জীবনে অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এ কথা সত্য। কিন্তু অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়। জীবনের প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে না পারলে মানবজীবনে শিক্ষা কোনো বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করতে পারে না। জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জন। জীবনে মুক্তি অর্জনের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আরেকটি হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা।  উদ্দীপকের সুমন উচ্চ শিক্ষিত। সে পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক। কিন্তু সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত নিজ এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সুমন তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি ক্রয় করে। এখানে সুমনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই শিক্ষা তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারেনি। সে তার অর্থ সাধনাকেই জীবন সাধনা জ্ঞান করেছে। সে লোভী অর্থের মোহে অন্ধ। লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে। তার দ্বারা কোনো মানবিক কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট আর আহাজারিতেও তার হৃদয় বিগলিত হয়নি। তাই আমরা লক্ষ করি সুমন শিক্ষিত হলেও তার মাঝে শুধু জীবসত্তার বিকাশ ঘটেছে। মনুষ্যত্ব সে অর্জন করতে পারেনি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত। আর এই অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক।  ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থচিন্তার নিগড়ে মানুষ বন্দি। ধনী-দরিদ্র সকলের মাঝে কাজ করে তার অর্থলিপ্সা। শুধু চাই, আর চাই। মানুষের মধ্যে বিদ্যমান জীবসত্তা মানুষকে অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তার মধ্যেই ব্যাপৃত রাখে। যাকে লেখক শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিক বলে উল্লেখ করেছেন। আর শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকটিকে বলা হয়েছে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক। যাকে লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠ দিক বিবেচনা করেছেন। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি অর্জনই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য। কারণ অন্ন-বস্ত্রের সমস্যাকে বড় করে দেখলে সুফল পাওয়া যাবে না।  উদ্দীপকের শ্যামল উচ্চশিক্ষিত। শিক্ষাজীবন শেষে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিক্ষকতাকে। সিডরে তার গ্রামটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্গত ও অসহায় মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। শ্যামলের শিক্ষা-দীক্ষা তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করেছিল। ফলে শ্যামল এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে। কিন্তু একই গ্রামের শিক্ষিত ও বাল্যবন্ধু সুমন সহায়তার হাত না বাড়িয়ে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়।  ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে শিক্ষার প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি হচ্ছে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা। সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। আলোচ্য উদ্দীপকের শিক্ষক শ্যামল নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছে। সে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি গুরুত্বসহকারে নিজের মধ্যে চর্চা করেছে। তাই তার দ্বারা মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। পরের জন্য সে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মনোভাব পোষণ করে। তাই বলা হয়েছে, ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’।     গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর মৃতপ্রায় দশ বছরের ফেলানীকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে ফেলানীর কাছ থেকে জানা যায় সে গুলশানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আমিনা বেগমের বাসায় কাজ করত। পান

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন কাজী নজরুল ইসলাম লেখক পরিচিতি : নাম কাজী নজরুল ইসলাম। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মে, বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম। শিক্ষা প্রথমে বর্ধমানে ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন। পেশা ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীল বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচি যান। সেখানেই তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। সাহিত্যিক পরিচয় বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তি ছিলেন। সাহিত্যের বিচিত্র ক্ষেত্রে তাঁর ছিল বিস্ময়কর পদচারণ। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, পত্রসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যের সকল শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। গজল, খেয়াল ও রাগপ্রধান গান রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নি-বীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়শিখা, চক্রবাক, সিন্ধুহিন্দোল। উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা। গল্পগ্রন্থ : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলিমালা। প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী। পুরস্কার ও সম্মাননা স্বাধীনতার পর কবিকে ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়। উপাধি বিদ্রোহী কবি। মৃত্যু মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্শক্তি হারান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানো হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ২৯শে আগস্ট, বাংলা ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ই ভাদ্র ঢাকার পি.জি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।                     বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. আজ আমাদের মহাজাগরণের দিনে উপেক্ষিত ব্যক্তিদের উপর কত আনা শক্তি নির্ভর করছে? জ ক. ছয় আনা খ. আট আনা গ. দশ আনা ঘ. বারো আনা ২. আজ আমাদের এত অধঃপতনের কারণ কী? চ ক. মেহনতি মানুষদের প্রতি অবহেলা খ. গণজাগরণের অভাব গ. স্বপ্নরাজ্যে বিচরণ ঘ. ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : ‘ভৃত্য চড়িল উটের পৃষ্ঠে উমর ধরিল রশি, মানুষে স্বর্গে তুলিয়া ধরিয়া ধুলায় নামিল শশী।’ ৩. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের কোন মানসিকতার পরিচয় উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে? ঝ ক. অসাম্প্রদায়িকতার খ. সত্যবাদিতার গ. ভ্রাতৃত্ববোধের ঘ. সাম্যবাদিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ‘তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি, তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি; তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান, তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!’ ক. ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় কী বলা যায়? ১ খ. আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কেন? ২ গ. উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্রÑ মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ ব্যক্তির সমষ্টিকে এক কথায় জাতি বলা হয়। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আমাদের দেশে জনশক্তি গঠন হতে পারছে না কারণ আমরা ‘দশ আনা’ জনশক্তিকে উপেক্ষা করে আসছি।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে তথাকথিত ছোটলোক স¤প্রদায়কে উপেক্ষিত স¤প্রদায় বলা হয়েছে। লেখকের মতে সাম্যবাদী ও গণতান্ত্রিক চেতনার আলোকে এই উপেক্ষিত শ্রেণিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হবে। তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে, তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। অভিজাত শ্রেণি সমাজের অধঃপতিত, দুর্বল শ্রেণিকে যুগের পর যুগ অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছে। তাদের যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে জনশক্তি গঠিত হতে পারছে না। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপক কবিতাংশে ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত উপেক্ষিত শক্তির জয়গান করা হয়েছে।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমাজের একটি অসংগতির বিষয়ে আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আমাদের সমাজের আভিজাত্য গঠিত কথিত ‘বড়লোক’ স¤প্রদায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষকে ‘ছোটলোক’ আখ্যায়িত করে। তাদের অহেতুক হেয় প্রতিপন্ন করে থাকে। তাদের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। অথচ এরাই দেশের উন্নয়নের চাকা। নজরুল এই শ্রেণিকে উপেক্ষার আঘাতে জর্জরিত না করে তাদের বুকে টেনে নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন।  উদ্দীপকে মজুর, মুটে ও কুলিদের অবদানের কথা বলা হয়েছে। কারণ তাদের রক্তে ও ঘামে গড়ে ওঠে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। তারা যদি তাদের কাজ না করত তবে কথিত ‘ভদ্রলোক’ বা ‘বড়লোক’ স¤প্রদায়ের জীবন স্থবির হয়ে পড়ত। তাদের গায়ে ধূলি লাগে বলেই আমরা কেতাদুরস্ত হয়ে চলাফেরা করি। অথচ তাদের কাজের ফলাফল অত্যন্ত মহৎ ও কল্যাণকর। যে কারণে কবি তাদেরই সত্যিকারের মানুষ বলেছেন, তাদেরই দেবতা জ্ঞান করেছেন। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও একই অনুভ‚তি প্রকাশিত হয়েছে। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে মেহনতি মানুষদের মূল্যায়নের আহŸান জানানোর পাশপাশি বর্ণিত হয়েছে তা করার গুরুত্ব। উদ্দীপকে এসেছে কেবল মূল্যায়নের দিকটি।  কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহ ছিল অসাম্য ও অসংগতির বিরুদ্ধে। ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধেও তাঁর সেই চেতনা আমরা লক্ষ করি। সমাজে একটি শ্রেণি অসহায় দরিদ্র মানুষকে ছোটলোক বলে গালি দেয়। তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা দিতে চায় না। নজরুল সমাজে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশে নজরুল তাদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে বলেছেন।  উদ্দীপকে অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় মুটে, মজুরদের কথা বলা হয়েছে। সমাজে উঁচুতলার মানুষগুলো এই শ্রমিক মেহনতি মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলেই সুখে অট্টালিকায় বাস করে। এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোই সত্যিকার মানুষ। তাদের অবদানেই দেশে উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হয়। এই শ্রেণির মানুষদের যথাযথ মূল্যায়ন করার বিষয়টি আলোচ্য প্রবন্ধে আরো বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।  ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর সাম্যবাদী চেতনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি ছোট-বড়, উঁচু-নিচু, ধর্মীয় ও জাতিগত বিভেদ দূর করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহŸান জানিয়েছেন। মর্যাদাবান জাতি ও রাষ্ট্রগঠনে বিভিন্ন দেশের মনীষীগণ কীভাবে আমরণ সংগ্রাম করেছেন তা বাস্তবভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল মুটে, মজুর, কুলি শ্রেণি কীভাবে উন্নয়নে ও মানবতার সেবায় অবদান রাখে তা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রবন্ধে কাজী নজরুল যেমন নানা যুক্তিতে উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তেমনটি নেই উদ্দীপক কবিতাংশে। তাই উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের খণ্ডাংশ মাত্র। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী তথা কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সে দেশের জনসংখ্যার অনুপাত কৃষ্ণাঙ্গ ৮৪%, শ্বেতাঙ্গ ১৬%। এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী শ্বেতাঙ্গরাই দেশটিকে তিন শতাধিক বছর শাসন করে। রাজশক্তির বিরুদ্ধে নেলসন ম্যান্ডেলা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে প্রায় ২৮ বছর জেল খাটতে হয়। দমে যাননি ম্যান্ডেলা, সার্থক তাঁর জীবন সংগ্রাম। ক. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’Ñএ প্রবন্ধকারের কোন মানসিকতা ফুটে উঠেছে? ১ খ. আমাদের এত অধঃপতনের কারণ ব্যাখ্যা করো। ২ গ. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের ভদ্র স¤প্রদায়ের সাথে উদ্দীপকের শ্বেতাঙ্গদের মানসিকতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩ ঘ. কৃষ্ণাঙ্গদের নেতা ম্যান্ডেলা এবং ছোটলোকদের নেতা মহাত্মা গান্ধী যেন এক ও অভিন্নÑ মূল্যায়ন করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ‘উপপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’- এ প্রবন্ধকারের সাম্যবাদী মানসিকতা ফুটে উঠেছে। খ. লেখকের মতে তথাকথিত ছোটলোক স¤প্রদায়ের লোকদের প্রতি অবহেলার কারণেই আজ আমাদের এত অধঃপতন। ক্ষ আমরা নিজেদের

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিমগাছ

নিমগাছ বনফুল লেখক পরিচিতি : প্রকৃত নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৯ সালের ১৯শে জুলাই। জন্মস্থান : বিহারের পূর্ণিয়ার অন্তর্গত মণিহার গ্রাম। পিতৃপরিচয় ডা. সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। শিক্ষা পূর্ণিয়ার সাহেবগঞ্জ ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, হাজারীবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে আইএসসি এবং পাটনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি. পাস করেন। পেশা কর্মজীবন শুরু হয় মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে। সাহিত্যিক পরিচয় ১৯১৮ সালে ‘শনিবারের চিঠি’তে ব্যঙ্গ-কবিতা ও প্যারডি লিখে সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ ঘটে তাঁর। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় অভিনব এক-আধপাতার গল্প লেখেন, যেগুলো আঙ্গিকে ক্ষুদ্র অথচ বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখযোগ্য রচনা গল্পগ্রন্থ : বনফুলের গল্প, বনফুলের আরো গল্প, বাহুল্য, বিন্দুবিসর্গ, অনুগামিনী, তন্বী, ঊর্মিমালা, দূরবীন। উপন্যাস : তৃণখণ্ড, কিছুক্ষণ, দ্বৈরথ, নির্মোক, সে ও আমি, জঙ্গম, অগ্নি। কাব্যগ্রন্থ : বনফুলের কবিতা, ব্যঙ্গ কবিতা, চতুর্দশপদী। জীবনী নাটক : শ্রীমধুসূদন, বিদ্যাসাগর। পুরস্কার ও সম্মাননা বিভিন্ন পুরস্কারসহ ‘পদ্মভ‚ষণ’ উপাধি লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭৯ সালের ৯ই ফেব্রæয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।                 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. নিমগাছের ছাল নিয়ে লোকজন কী কাজে লাগায়? চ ক. সিদ্ধ করে খায় খ. ভিজিয়ে খায় গ. শুকিয়ে খায় ঘ. রান্না করে খায় ২. বাড়ির পাশে গজালে বিজ্ঞরা খুশি হয় কেন? জ ক. এটা দেখতে সুন্দর খ. এটা উপকারী গ. এটা পরিবেশবান্ধব ঘ. এটা আকারে ছোট নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : গফুরের প্রিয় ষাঁড় মহেশ। প্রায় আট বছর প্রতিপালন করে সে এখন বুড়ো হয়েছে। গফুর সাধ্যমত তার যতœ নেয়। পরিবারের কেউ তাকে চায় না। কিন্তু গফুর সন্তানস্নেহে তাকে লালন করে। নিজের খাবার না খেয়ে ঘরের চাল পেড়ে মহেশকে খেতে দেয়। ৩. উদ্দীপকের মহেশ-এর সাথে যে দিক দিয়ে ‘নিমগাছ’ গল্পটি সাদৃশ্যপূর্ণ তা হলোÑ ছ র. অবদান রর. প্রয়োজনীয়তা ররর. পরোপকার নিচের কোনটি সঠিক? ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. সাদৃশ্য থাকলেও নিমগাছটা কোন বিচারে ব্যতিμম? চ ক. উপেক্ষিত খ. উপকারী গ. আত্মত্যাগী ঘ. নিরহংকারী সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর রহিমদের বাড়িতে দীর্ঘ চলি−শ বছর যাবৎ কাজ করছেন আকলিমা খাতুন। এক কথায় তাদের সংসারটা শুধু বাঁচিয়ে রেখেছেন তা নয় বরং তাদের সমৃদ্ধির মূলে তার অবদান সীমাহীন। বয়সের ভারে আজ সে অক্ষম হয়ে বিদায় নিতে চায়। কেননা তার পক্ষে এখন আর গতর খাটানো অসম্ভব। তার এ প্রস্তাবে রহিম বলে, ‘আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। জীবনের বাকি সময়টুকু আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে কাটাবেন।’ ক. চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ কোনটি? ১ খ. নিমগাছটি না কাটলেও কেউ তার যতœ করে না কেন? ২ গ. উদ্দীপকের আকলিমার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্রভাবকে নয় বরং বিশেষ একটা দিককে তুলে ধরেÑ যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ.  চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ নিমগাছের পাতা। ১ এর খ নং প্র. উ.  ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে নিমগাছ যতœ না করলেও বেড়ে ওঠে। আর ঔষধি গুণ আছে বলেই বাড়ির আশপাশে জন্মালে কেউ কাটে না।  বনফুলের প্রতীকী ও তাৎপর্যপূর্ণ গল্প ‘নিমগাছ’। লেখক এখানে নিমগাছ ও নিমপাতার গুণাগুণ বর্ণনা করেছেন। নিমগাছ চর্মরোগ, কৃমিনাশক, পেটের পীড়া প্রভৃতি নিরাময়ে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিমগাছের ছাল পাতা এবং নিমফল থেকে উৎপন্ন নিমতেল ওষুধ প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানাবিধ উপকারিতার জন্য এ গাছ কেউ সহজে কাটে না। ১ এর গ নং প্র. উ.  স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে নিমগাছ যেমন উপকারী, আকলিমাও রহিমদের পরিবারে তেমনি উপকারী ও প্রয়োজনীয়।  ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের উপকারিতা তুলে ধরেছেন। নিম গাছের ছাল, পাতা, ফল খুবই উপকারী। গাছটি পরিবেশবান্ধব। এর ছাল, পাতা, ফল, চর্মরোগ, পেটের পীড়া, বমি প্রভৃতি নিরাময়ে খুব ভালো কাজ করে। কচি ডাল ভেঙে চিবালে দাঁত ভালো থাকে। কচি পাতা ভেজে বেগুনসহকারে খেলে যকৃতের খুব উপকার হয়। নিমের হাওয়া ভালো বলে এটিকে কেউ কাটতে দেয় না।  উদ্দীপকের আকলিমা রহিমদের বাসায় কাজ করেন চল্লিশ বছর ধরে। ওই সংসারে তার অবদান অসামান্য ও সীমাহীন। বয়সের ভারে অক্ষম হয়ে পড়ায় তিনি বিদায় নিতে চান। তিনি মনে করেন তার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। কিন্তু রহিম তাকে কোথাও যেতে দেয়নি। বরং পরিবারের সদস্য হয়ে বাকি জীবন কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে। আকলিমার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছের সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ আকলিমা নিমগাছের মতো একই স্থানে থেকে পরের উপকার করেছেন। ওই পরিবারে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। উভয়ের কাজ পরের কল্যাণ। কিন্তু কেউ নিজের অবস্থান ছেড়ে যেতে পারেনি। আকলিমা শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও তিনি একটা মায়ার জালে আটকা পড়েছেন। ১ এর ঘ নং প্র. উ.  উদ্দীপকে আকলিমা খাতুনের শুধু পরার্থে বিশেষ অবদানের কথা বলা হয়েছে, ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্রভাবকে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরেনি।  ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের গুণাগুণের পাশাপাশি একটি গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন। নিমগাছের পাতা, বাকল, ফল প্রভৃতি ঔষধি গুণসম্পন্ন। নিমগাছের ছায়া ও বাতাস বিশেষ উপকারী। নিমগাছের নানা উপকারিতা আছে বলে মুরব্বিরা এই গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু এটি খুব অনাদরে অবহেলায় বিনা পরিচর্চায় বড় হয়ে থাকে। লেখকের শুধু নিমগাছের গুণাগুণ বর্ণনাই উদ্দেশ্য নয়। তিনি মানবজীবনের গভীর তাৎপর্যের দিকটিও তুলে ধরেছেন। এত গুণাগুণ সত্তে¡ও নিমগাছটি যেমন ময়লা-আবর্জনায় মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে তেমনি বাড়ির গৃহকর্ম নিপুণা লক্ষ­ী বউটা শুধু কাজ করে যায়, কোথাও যেতে পারে না। মনের কোনো ইচ্ছা আকাক্সক্ষা পূরণের সাধ্য তার নেই।  উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে গৃহকর্মী আকলিমা খাতুনের কথা। তিনি রহিমদের সংসারে চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তিনি ভাবছেন তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। তিনি এই সংসার ছেড়ে চলে যেতে চান যদিও সংসারে তার ছিল অসামান্য অবদান। কিন্তু রহিম তাকে চলে যেতে নিষেধ করে তাকে বলেছে পরিবারের সদস্য হয়ে থাকতে।  রহিমদের পরিবারে উদ্দীপকের আকলিমা খাতুনের অবদান অপরিসীম। তার অবদানে ওই পরিবার সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে। অন্যদিকে ‘নিমগাছ’ গল্পে নিমগাছের উপকারিতার শেষ নেই। কিন্তু এটির কোনো চলৎশক্তি নেই, কোথাও যেতে পারে না। উদ্দীপকের আকলিমা হয়তো যেতে পারতেন তিনি কিন্তু এই বয়সে কোথায় যাবেন তাই রয়ে গেছেন। এছাড়া গল্পে একজন গৃহকর্মে নিপুণা ল²ী বউয়ের কথা চমৎকারভাবে শেষ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। একটি লাইনে এই গৃহবধূর অব্যক্ত সব কথাই যেন প্রকাশিত হয়েছে।   ষাট বছরের বৃদ্ধ মকবুলের সাথে বিয়ে হয় তেরো বছরের টুনির। ধানভানা থেকে শুরু করে জমির কাজ সবই মকবুল টুনির দ্বারা করায়। টুনির কর্মদক্ষতার জন্য মকবুলের চাচাতো ভাই মন্তু টুনির রূপে ও গুণে মুগ্ধ। টুনি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে মন্তুর সাথে চলে যাওয়ার। কিন্তু সে যেতে পারে না। ক. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হয়? ১ খ. নিমগাছটার লোকটার সাথে চলে যেতে ইচ্ছে করে কেন? ২ গ. উদ্দীপকের মকবুল ‘নিমগাছ’ গল্পের কার প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. “টুনি যেন ‘নিমগাছ’ গল্পের ল²ীবউ”Ñ তুমি কি একমত?

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিমগাছ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ মুহম্মদ (স.)

মানুষ মুহম্মদ (স.) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী লেখক পরিচিতি : নাম মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ২৮শে ভাদ্র। জন্মস্থান : সাতক্ষীরা জেলার বাঁশদহ গ্রাম। শিক্ষাজীবন কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং এখানেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে। কর্মজীবন পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ‘দৈনিক মোহাম্মদী, ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘দৈনিক সেবক’, ‘সাপ্তাহিক খাদেম’, ‘সাপ্তাহিক সওগাত’, ‘দি মুসলমান’ প্রভৃতি পত্রিকায় কাজ করেন। সাহিত্যিক পরিচয় রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সহজ, সরল প্রকাশভঙ্গি। গদ্যশৈলী ঋজু, রচনা সাবলীল। প্রবন্ধগ্রন্থ প্রবন্ধগ্রন্থ : মরুভাস্কর। জীবনীগ্রন্থ : সৈয়দ আহমদ, মহামানুষ মুহসীন, ছোটদের হযরত মুহম্মদ। অনুবাদকর্ম : স্মার্ণানন্দিনী। মৃত্যু ১৯৫৪ সালের ৮ই নভেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.) কাদের কাছে উপহাসিত হয়েছিলেন? জ ক. ইহুদিদের খ. খয়বরবাসীদের গ. পৌত্তলিকদের ঘ. হুদায়বিয়াবাসীদের ২. ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর’ এ উক্তিতে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? জ ক. সহনশীলতা খ. উদারতা গ. মহানুভবতা ঘ. বিচক্ষণতা ৩. ‘আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই। আমি এমনই এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাহার নিত্যকার আহার্য। এ বক্তব্যে হযরত মুহম্মদ (স.)- এর চরিত্রের ফুটে ওঠা দিকটি হলোÑ র. নিরহংকার রর. বিচক্ষণতা ররর. সত্যনিষ্ঠা নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. র খ. রর গ. র ও রর ঘ. রর ও ররর ৪. উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোনটির? চ ক. একটিমাত্র পিরান কাচিয়া শুকায় নি তাহা বলে রৌদ্রে ধরিয়া বসিয়া আছে গো খলিফা আঙিনা তলে। খ. তুমি নির্ভীক এক খোদা ছাড়া করোনিকো কারে ভয় সত্যব্রত তোমায় ভাইতে সবে উদ্ধত কয়। গ. উষ্ট্রের রশি ধরিয়া অগ্রে, তুমি উঠে বস উটে তপ্ত বালুতে চলি যে চরণে রক্ত উঠেছে ফুটে। ঘ. বায়তুল মাল হইতে লইয়া ঘৃত-আটা নিজ হাতে বলিলে, এসব চাপাইয়া দাও আমার পিঠের ’পরে।               সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহŸান জানান। এতে মাত্র চলি−শ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি এক পর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল−াহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল−াহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চলি−শ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায়। ক. হযরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন? ১ খ. সুমহান প্রতিশোধ বলতে কী বোঝায়? ২ গ. হযরত নূহু (আ.) যে দিক দিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. হযরত নূহু (আ.)-এর চরিত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে তাঁর মাঝেও হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একটি বিশেষ গুণ ফুটে উঠত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ হযরত মুহম্মদ (স.) কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ সুমহান প্রতিশোধ বলতে লেখক অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নিপীড়নের জবাবে ভালো ব্যবহার ও মনুষ্যত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা বুঝিয়েছেন।  মুহম্মদ (স.) মানবতার জন্য কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করলেও বারবার তিনি বৈরীতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পৌত্তলিকের প্রস্তরাঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। সত্য প্রচারের জন্য তায়েফে গমন করলে শত্রæর নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কারো প্রতি তাঁর ক্ষোভ, ক্রোধ, ঘৃণা কোনোটিই ছিল না। জয়ীর আসনে বসার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তাঁর ভেতরকার বিরাট মনুষ্যত্ববোধের কারণেই এই সুমহান প্রতিশোধ নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ হযরত নূহু (আ.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেও মুহম্মদ (স.) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বরং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।  ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে লেখক মুহম্মদ (স.)-এর অসাধারণ গুণাবলির উল্লেখ করেছেন আদর্শ মহামানব হযরত মুহম্মদ (স.) বিশ্বকে জয় করেছিলেন তাঁর মানবিক গুণাবলি দ্বারা। মানুষের জন্য তিনি দিওয়ানা ও কল্যাণকামী হলেও তাঁর চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তাঁকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। শারীরিক-মানসিক সব ধরনের নির্যাতনে তাঁকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। এত কিছুর পরও তিনি প্রাণের শত্রæদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কারো বিরুদ্ধে কোনো নালিশ করেননি।  উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে সবাইকে আহŸান জানালেও মাত্র ৪০ জন মানুষ তার আহŸানে সাড়া দেয়। অন্যরা তাঁর বিরোধিতা এবং অত্যাচার ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়। তাদের অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে গেলে নূহু (আ.) তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। ওই ৪০ জন বাদে বাকিদের আল্লাহ ধ্বংস করে দেন। তাই এক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর থেকে হযরত নূহু (আ.)-এর ভিন্নতা আমরা লক্ষ করি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ হযরত নূহু (আ.) যদি আরো ধৈর্য ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করতেন তাহলে মহানবি মুহম্মদ (স.)-এর বিশেষ গুণটি তাঁর মধ্যে ফুটে উঠত।  মানুষ মুহম্মদ (স.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। মানবীয় সকল শ্রেষ্ঠ গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। ভালোবাসা, কল্যাণকামিতা, ধৈর্য ও ক্ষমার মহৎ গুণ আজও পৃথিবীতে উদাহরণ হয়ে আছে। অথচ তাঁর জীবনের মহৎ আদর্শকে গ্রহণ না করে কুরাইশরা তাঁর বিরোধিতা করে নির্যাতন-নিপীড়নের পথ বেছে নেয়। পাথরের আঘাতে তাঁকে বারবার রক্তাক্ত করা হয়। তারপরও তিনি কখনোই শত্রæদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চাননি। বরং তিনি ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনাও করেননি। বরং বলেছেন, “এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো।”  উদ্দীপকে হযরত নূহু (আ.) তাঁর স¤প্রদায়কে ধর্ম ও ন্যায়ের পথে আহŸান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চল্লিশজন মানুষ তাঁর আহŸানে সাড়া দেয়। বাকিরা তাঁর বিরুদ্ধাচারণে লিপ্ত হয়। নুহু (আ.) ও তাঁর অনুসারীদেরকে অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তোলে। তাদের অত্যাচারের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেলে তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আল্লাহ তখন মহাপ্লাবন দিয়ে অত্যাচারীদের ডুবিয়ে মারেন।  ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবি (স.) সীমাহীন নির্যাতন ও কষ্ট ভোগ করার পরও তিনি কাফেরদের মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো ফরিয়াদ বা প্রার্থনা করেননি। তিনি সবসময় মনে করতেন যারা তাঁর ওপর অন্যায় করেছে তারা না বুঝে করেছে। তিনি তাদের ওপর কোনোরূপ প্রতিশোধের চিন্তা কখনোই করেননি। তিনি মনে করতেন অবাধ্যদের সৎপথে আনার চূড়ান্ত চেষ্টা চালানোই তাঁর কাজ। তিনি সবকিছু বিচার করতেন মানবিক বিবেচনায়। প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা তার ভেতর কখনোই কাজ করেনি। মনুষ্যত্বের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর চরিত্রে। তাই উদ্দীপকে বর্ণিত নূহু (আ.)-এর মধ্যে যদি ক্ষমা ও ধৈর্যের গুণটি আরো বেশি প্রকাশ পেত তবে মহানবি মুহম্মদ (স.) এর চরিত্রের মতো তা তাঁর মধ্যেও ফুটে উঠত।   স্ত্রীর দেওয়া বিষপানে মৃত্যুকালে ইমাম হাসান তাঁর বিষদাতার পরিচয় জানতে পেরেও তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “তোমাকে বড়ই ভালোবাসিতাম, বড়ই স্নেহ করিতাম, তাহার উপযুক্ত কার্যই তুমি করিয়াছ। তোমার চক্ষু হইতে হাসান চিরতরে বিদায় হইতেছে। সুখে থাক, তোমাকে আমি ক্ষমা করিলাম।” ক. ‘মানুষ মুহম্মদ (স.)’ প্রবন্ধে ‘স্থিতধী’ বলা হয়েছে কাকে? ১ খ. ‘তাঁহারই দিকে সকলের মহাযাত্রা’। কেন? বুঝিয়ে

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা মানুষ মুহম্মদ (স.) Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আম-আঁটির ভেঁপু

আম-আঁটির ভেঁপু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখক পরিচিতি : নাম বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম পরিচয় জন্ম সাল : ১৮৯৪। জন্মস্থান : চব্বিশ পরগনার মুরারিপুর গ্রাম। পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : মহানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম : মৃণালিনী দেবী। শিক্ষা স্থানীয় বনগ্রাম স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতা রিপন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন এবং ডিস্টিংশনে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা হুগলি, কলকাতা ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সাহিত্যিক পরিচয় শরৎচন্দ্রের পরে বাংলা কথাসাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করে অমর হয়ে আছেন। উল্লেখযোগ্য রচনা উপন্যাস : পথের পাঁচালী, অপরাজিত, আরণ্যক, ইছামতি, দৃষ্টিপ্রদীপ। গল্পগ্রন্থ : মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। পুরস্কার ‘ইছামতি’ উপন্যাসের জন্য ১৯৫১ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঘাটশীলায়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. উঠানের কোন জায়গা থেকে দুর্গা অপুকে ডাকছিল? জ ক. আমতলা খ. বটতলা গ. কাঁঠালতলা ঘ. জামতলা ২. তেলের ভাঁড় ছুঁলে দুর্গাকে মারবে কেন? র. কুসংস্কারের কারণে রর. অপচয়ের কারণে ররর. না জানানোর কারণে নিচের কোনটি সঠিক? চ ক. i খ. ii গ. iii ঘ. ii ও iii নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নের উত্তর দাও : রিপন ও রুমা দুই ভাই-বোন। তাদের বয়সের পার্থক্য চার বছর। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হলেও বিভিন্ন জিনিস একে অন্যকে তারা দেখাতে চায় না। রুমার খেলার সামগ্রী রিপন লুকিয়ে রাখে। রুমার বিভিন্ন আদেশ, আবদার রিপন জানতে চায় না। এই নিয়ে ওদের মাকে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। ৩. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে? ঝ ক. ভাই-বোনের সম্পর্ক খ. ভাই-বোনের বিরোধ গ. ভাই-বোনের আবদার ঘ. মায়ের চিন্তা ৪. উদ্দীপকের ভাবনা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন উদ্ধৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? চ ক. তাহার স্বর একটু সতর্কতা মিশ্রিত খ. একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারিস? আমের কুসি জারাবো গ. দুর্গার হাতে একটি নারিকেলের মালা ঘ. নারকেলের মালাটা আমায় দে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনোরকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের। ক. দুর্গার বয়স কত? ১ খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলোনা কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হতে পারল না আত্মসম্মানবোধ ও পাওনাদারদের ভয়ে এসে বলত টাকা দাও, নৈলে যেতে দেব না।  মাসিক ৮ টাকা মাইনের গোমস্তার কাজ করে হরিহর। সামান্য ভিটে বাড়িটি ছাড়া আর কিছুই নেই হরিহরের। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে। ধার শোধ দিতে পারছে না। তাই বামুন হয়ে বসবাসের প্রস্তাবটি তার জন্য সোনায় সোহাগা হলেও সে তা তখনই গ্রহণ করতে পারেনি পাওনাদারদের ভয়ে। তার ভয় পাওনাদাররা খবর পেলে হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। তাছাড়া সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলে তার মর্যাদারও হানি ঘটত বলে সে মনে করেছে। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার চিত্রটি ফুটে উঠেছে।  বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে মূলত গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের ঘটনাবলি বর্ণিত হয়েছে। অপু ও দুর্গা দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও গল্পে দারিদ্র্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি। গ্রামের ফলমূল আহারের আনন্দ, শিশুর দুরন্তপনা, বিস্ময় ও কৌত‚হল আমাদের চিরায়ত গ্রামীণ শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। দরিদ্র গৃহিণী সর্বজয়ার সংসার নিয়ে ব্যতিব্যস্ততা, হাড়ভাঙা খাটুনি, দুগ্ধ দোহন, সন্তানদের সাথে চেঁচামেচি ইত্যাদি একেবারেই গ্রামীণজীবনের প্রতিচ্ছবি।  উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে গ্রামের নিম্নবিত্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি। মকবুল, আবুল, সুরত আলী পরিশ্রমী মানুষ। সবাই জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত। তাদের নিজের জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা চাষ করে। লাকড়ি কেটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কামলা খেটে তারা অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। বসে নেই তাদের স্ত্রীরাও। পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে কোনোমতে দিন পার করে। উদ্দীপকে তাই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে উল্লিখিত হরিহর ও সর্বজয়ার জীবনযাপনের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। উভয় স্থানেই নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রাম আমরা লক্ষ করি। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে আংশিকভাবে ধারণ করে।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে বিভ‚তিভ‚ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অপরাপর সাহিত্যকর্মের মতোই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবন-যাপনের অসাধারণ আলেখ্য নির্মাণ করেছেন। গল্পের অধিকাংশ জুড়ে আছে ছোট দুটি ভাই-বোনের দুরন্তপনা আর তাদের মধ্যকার খুনসুঁটি। আমের কুসি খাওয়াসহ নানা প্রকার দুষ্টুমি করে মা-বাবার চোখ ফাঁকি দিয়েই। অন্যদিকে গৃহিণী সর্বজয়া সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে হরিহর।  উদ্দীপকে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কর্মব্যস্ত নর-নারীর জীবনচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। মকবুল, আবুল, সুরত সকলেই পরিশ্রমী। নানা কাজ করে জীবন ধারণ করে। তাদের স্ত্রীরাও একটু উন্নতির আশায় পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় সবজি ফলায়, শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। উদ্দীপকে তাই বর্ণিত হয়েছে এদের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম, যা ‘আমা-আঁটির ভেঁপু’ গল্পেও লক্ষণীয়।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূল বিষয়ই হলো প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইবোনের কাহিনি। তাদের দুরন্তপনার বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে গ্রামীনজীবনের চিত্রও উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে মূলত গ্রামীণ সমাজের জীবনচিত্রটিই তুলে ধরা হয়েছে, যা কেবল ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিককে ধারণ করে। শৈশবের উদ্দামতার বিষয়টি উদ্দীপকে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। তাই উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সম্পূর্ণ মূলভাবকে ধারণ করতে পারে নি।   প্রকাণ্ড একটা ঢাউস ঘুড়ি লইয়া বোঁ বোঁ শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ করিয়া উচ্চঃস্বরে স্বরচিত রাগিনী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদী তীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বীনী চিত্তকে চঞ্চল করিত। ক. হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল? ১ খ. দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে অপু দ্বিধা করছিল কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকের ইঙ্গিত লক্ষণীয়? ৩ ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রতা স্পর্শ করেছে কি? তোমার মতামত যাচাই করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. হরিহর কাজ সেরে দুপুরের কিছু পরে বাড়ি ফিরল। খ. মায়ের ভয়ে অপু দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে দ্বিধা করছিল।  ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে অপু ও দুর্গা পল্লির প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের এক অপরূপ দৃষ্টান্ত। তারা মাকে ভয় করে। কোনো দোষ-ত্রæটি করলে মা শাসন করবে- এই ভয় দুর্গার পাশাপাশি অপুর মনেও ছিল। তাছাড়া গোসল না করে নুন, তেলের ভাঁড় ছুলে অমঙ্গল

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা আম-আঁটির ভেঁপু Read More »

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিরীহ বাঙালি

নিরীহ বাঙালি রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন লেখক পরিচিতি : নাম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই ডিসেম্বর । জন্মস্থান : রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রাম । পিতৃপরিচয় বাবা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের একজন সম্ভ্রান্ত ভ‚স্বামী ছিলেন। শিক্ষা ছোটবেলায় বড় বোন করিমুন্নেসা বাংলা শিক্ষায় সাহায্য করেন। পরে বড় ভাই ইব্রাহিম সাবেরের তত্ত¡াবধানে ইংরেজি শেখেন। ব্যক্তিজীবন বিহারের ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহের পর বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে পরিচিত হন। স্বামীর প্রেরণায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। অবদান সমকালীন মুসলমান সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেন। মুসলিম নারী জাগরণে তিনি অগ্রণী ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হন।সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ও আঞ্জুমান খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে মুসলমান নারীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করেন। উল্লেখযোগ্য রচনা পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন। মৃত্যু ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর ১. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কাকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন? জ ক. নারীকে খ. পুরুষকে গ. বাঙালিকে ঘ. ইংরেজদেরকে ২. ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে লেখিকা ‘পাস বিμয়’ বলতে কী বুঝিয়েছেন? চ ক. শিক্ষাকে খ. ব্যক্তিকে গ. ব্যক্তিত্বকে ঘ. মূল্যবোধকে উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও : কর্মস্পৃহার অভাবে আজ আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন। যে বাঙালি সারা পৃথিবীর লোককে দিনের পর দিন নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে পারে তারাই আজ হচ্ছে সকলের দ্বারে ভিখারি। ৩. উদ্দীপকে নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধে বাঙালি চরিত্রের প্রতিফলিত দিকটি হলোÑ র. ভোজনপ্রিয়তা রর. অলসতা ররর. কর্মবিমুখতা নিচের কোনটি সঠিক? জ ক. র ও রর খ. র ও ররর গ. রর ও ররর ঘ. র, রর ও ররর ৪. এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাঙালি আজ কোন পরিচয়ে পরিচিত? চ ক. মূর্তিমান খ. পদ্মিনী গ. পুরুষিকা ঘ. নায়িকা                                       সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর নন্দ বাড়ির হত না বাহির, কোথা কী ঘটে কি জানি, চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি। নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে কলিশন হয়, হাঁটিলে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়। তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল। সকলে বলিল, ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।’ ক. কোন জাতীয় পোশাককে ইংরেজ ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছদ বলা হয়েছে? ১ খ. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন কেন? ২ গ. নন্দলালের বৈশিষ্ট্য ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে যাদের কার্যμমকে ইঙ্গিত করে তাদের স্বরূপ তুলে ধরো। ৩ ঘ. উদ্দীপকে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের উপেক্ষিত দিকটি বিশে−ষণ করো। ৪ ১ এর ক নং প্র. উ. ক্ষ শেমিজ জ্যাকেটকে ইংরেজি ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছদ বলা হয়েছে। ১ এর খ নং প্র. উ. ক্ষ আলস্যের কারণে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন।  সমাজ সচেতন লেখিকা বেগম রোকেয়া তার ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বাঙালির জীবনাচরণের নানা অসংগতিকে কটাক্ষ করেছেন। কর্মের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জনের চেয়ে বাঙালি অন্যের করুণায় পাওয়া খ্যাতিতেই বেশি খুশি হয়। পরিশ্রমে তাদের অনীহা আর সহজ কাজে তাদের আগ্রহ বেশি। পুরুষরা আলস্যপ্রিয় আর নারীরা অহেতুক রূপচর্চা, পরনিন্দা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। ঘরের কোণে থাকতেই যেন তারা বেশি পছন্দ করে। বাঙালির এসব কর্মকাণ্ডের কারণে লেখিকা তাদের মূর্তিমান কাব্য বলেছেন। ১ এর গ নং প্র. উ. ক্ষ নন্দলালের বৈশিষ্ট্য ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বর্ণিত নিরীহ ও দুর্বল বাঙালির কার্যক্রমকে ইঙ্গিত করে।  বেগম রোকেয়া এক অসাধারণ প্রতিভায় নারী জাতি তথা বাঙালি সমাজকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ‘নিরীহ বাঙালি’ তার প্রতিভার অনন্য স্বাক্ষর। তিনি উদাসীনতা ও আলস্যে ভরা বাঙালিকে ঘা মেরেছেন। তিনি বলেছেন, বাঙালি স্বল্প পরিশ্রমে সবকিছু অর্জন করতে চায়। পরিশ্রম করে টাকা উপার্জনের চেয়ে শ্বশুরের সম্পদ অনায়াসে লাভের প্রতিই তারা বেশি মনোযোগী। কৃষি বিষয়ে জ্ঞান লাভের চেয়ে তারা আরাম কেদারায় বসে দুর্ভিক্ষ সমাচার পড়তেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দুর্ভিক্ষ নিবারণের চেষ্টা করার পরিবর্তে আমেরিকার কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণকেই শ্রেয় মনে করে।  উদ্দীপকের নন্দলাল ভীরু কাপুরুষ প্রকৃতির। দুর্ঘটনার ভয়ে সে গাড়ি চড়ত না। একই ভাবে নৌকা, রেল কিংবা হেঁটে চলতেও ছিল তার আপত্তি। কারণ প্রতিবছর নৌকা ডুবে, রেলে কলিশন হয়। আবার রাস্তায় হেঁটে চললেও কুকুর বা গাড়ি-চাপা পড়ার ভয়। ফলে নন্দলাল ঘরের ভেতর শুয়ে বসে দিন কাটায়। আশপাশে সকলেই তাই কৌতুক করে বলে, ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।’ ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আলস্যপ্রিয় বাঙালির কার্যক্রম উদ্দীপকের নন্দলালের কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১ এর ঘ নং প্র. উ. ক্ষ উদ্দীপকে ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের উপেক্ষিত দিকটি হচ্ছে নারীর অহেতুক রূপচর্চা, পরচর্চা এবং নিজেদের অবলা প্রমাণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।  নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধে বাঙালি নারী-পুরুষের প্রাত্যহিক জীবনাচরণের বিভিন্ন দিক হাস্য-রসাত্মকভাবে বর্ণনা করেছেন। প্রবন্ধে পুরুষ সমাজের অলসপ্রিয়তা, শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, বাগাড়ম্বর আচরণ সম্পর্কে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে নারীদের অপ্রয়োজনীয় ও অহেতুক রূপচর্চা, পরচর্চার প্রতিও কটাক্ষ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নারীরা যেভাবে গৃহকোণে থাকার মনোবৃত্তি প্রদর্শন করে তাতে তারা নিজেদের নিজেরাই অবলা প্রমাণ করছে বলে লেখক মন্তব্য করেছেন।  উদ্দীপকে বাইরের সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে ব্যর্থ ভীরু নন্দলালের সমস্যাগুলো বর্ণিত হয়েছে। নন্দলালের ভয় হয় কখন কী ঘটে। তাই বাড়ির বাইরে বের হতো না। গাড়ি উল্টিয়ে যাওয়ার ভয়ে গাড়িতে চড়ত না, নৌকা ডুবে যাওয়ার ভয়ে নৌকায়, রেলে কলিশন হওয়ার ভয়ে রেলে উঠত না। হেঁটে চললেও রয়েছে সাপ, কুকুর ও গাড়ি-চাপা পড়ার ভয়। তাই শুয়ে শুয়ে দিন কাটায় নন্দলাল। তবে উদ্দীপকে পুরুষের আলস্যের দিকটি নন্দলালের মাধ্যমে বর্ণিত হলেও প্রবন্ধে বর্ণিত নারীদের কথা বলা হয়নি।  ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধে বাঙালি নারী পুরুষের মধ্যকার অসংগতির কথা বলা হয়েছে। উভয়ে আলস্যপ্রিয়। পুরুষের মাঝে অল্প পরিশ্রমে বেশি উপার্জনের চিন্তা। অন্যদিকে নারীরা অহেতুক রূপচর্চা ও আলস্যপ্রিয়তায় আক্রান্ত। উদ্দীপকে নারীদের এমন আচরণের কোনো ইঙ্গিত নেই। এ বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে। তবে সেখানে কর্মবিমুখতা, ভীরুতা ও আলস্যপ্রিয়তার কথা যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যা মূলত ‘নিরীহ বাঙালি’ রচনায় বর্ণিত পুরুষদের অসঙ্গতিকেই ইঙ্গিত করে।                       গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর স্তবকÑ১ : পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ডোরে বেঁধে বেঁধে রাখিওনা ভালো ছেলে করে। স্তবকÑ২ : শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। ক. ধনবৃদ্ধির কয়টি উপায়? ১ খ. ‘পাস বিক্রয়’ বলতে কী বোঝ? ২ গ. উদ্দীপকের স্তবকÑ১ ‘নিরীহ বাঙালি’ প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণÑ ব্যাখ্যা করো। ৩ ঘ. বেগম রোকেয়ার প্রত্যাশাই স্তবক-২-এ প্রতিফলিত হয়েছেÑ বিশ্লেষণ করো। ৪ ২ নং প্র. উ. ক. ধনবৃদ্ধির দুইটি উপায়। খ. ‘পাস বিক্রয়’ বলতে বাঙালি পুরুষদের মাঝে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়ে যৌতুক গ্রহণের মানসিকতাকে বোঝানো হয়েছে।  ‘নিরীহ বাঙালি’, প্রবন্ধে লেখিকা বাঙালির পরিশ্রমহীনতার দিকটি তুলে ধরেছেন। বাঙালি আলস্যপ্রিয়তার কারণে সহজে সম্পদ লাভ করতে চায়। এজন্য পুরুষরা একটু শিক্ষিত হলে সেই শিক্ষাগত যোগ্যতার

নবম-দশম শ্রেণির বাংলা নিরীহ বাঙালি Read More »

Scroll to Top