৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

তোমরা যারা ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৩য় সপ্তাহ ২০২১ খুঁজছিলে তাদের জন্য নিয়ে এলাম সেই কাঙ্খিত এসাইনমেন্টটি। অর্থনীতি নবম শ্রেণির এসাইনমেন্টটি উত্তর তোমাদের খুবই উপকারে আসবে বলে আশা করছি। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি ২০২১ অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ তোমাদের লিখতে একটু কষ্ট হতে পারে কারণ এটি একটু বড় হবে। তোমাদের ৩০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলেছে। কিন্তু এটা ৩০০ শব্দের মধ্যে লেখা আসলেই অসম্ভব একটা ব্যপার। ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্টটি ছোট করে লেখার চেষ্টা করা হলো। নবম শ্রেণির অর্থনীতে এসাইনমেন্টটি লেখার আগে তোমরা অবশ্যই অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ে নিবে। প্রশ্ন পড়া ছাড়া ভালো উত্তর করা যায় না। আর ভালো উত্তর করেতে না পরলে তোমরা মূল্যায়নে অতি উত্তম পাবেনা। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৩য় সপ্তাহ ২০২১ অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম শ্রেণি ৩য় সপ্তহ লেখার সময় তোমরা কিছুটা পরিবর্তন করে লিখতে পার। কারণ প্রত্যেকেই এই অ্যাসাইনমেন্টটি দেখছে ও লিখছে। তাই তোমাদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে ৯ম শ্রেণি অর্থনীতি এসাইনমেন্টটি লেখার সময় তোমার মনের মত করে লিখতে পারো। ৩য় সপ্তাহ ২০২১ এর ৯ম শ্রেণির আরো কয়টি অ্যাসাইনমেন্ট হচ্ছে ৯ম শ্রেণির গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১, ৯ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১। কিন্তু তোমরা যারা মানবিক বিভাগে পড় এবং অর্থনীতি বিষয়টা বেছে নিয়েছো শুধুমাত্র তারাই এই ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ লিখবে। আরো পড়ুনঃ ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর ২০২১ সকল শ্রেণি সকল বিষয়।  ৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণীর গণিত অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১। Table Of Contents নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন নিচে অর্থনীতে অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ৩য় সপ্তাহের প্রশ্নগুলো দেখে নাও। ৯ম শ্রেণির অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট ৩য় সপ্তাহ ২০২১ অর্থনীতে অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট শুরু ***আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতির কার্যকর ভূমিকা।*** সুচনাঃ অর্থনীতি একটি গতিশীল বিষয় । এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে । অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল এর ভাষায়-”অর্থনীতি মানবজীবনের সাধারণ কার্যাবলী আলোচনা করে।” অর্থনীতির মূল আলোচ্য বিষয় মানুষের অর্থ উপার্জন এবং অভাব মোচনের জন্য সেই অর্থের ব্যয়। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কল্যাণ সাধন । মানুষ কিভাবে অর্থ উপার্জন করে এবং তা বিভিন্ন অভাব মোচনে ব্যয় করে তাই অর্থনীতির আলোচ্য বিষয়। অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতি অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ম্যানকিউয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তকে অর্থনীতির দশটি মৌলিক নীতির কথা বলা হয়েছে । এগুলো হলো- ১। মানুষকে পেতে হলে ছাড়তে হয়: পছন্দমতো কোনো কিছু পেতে হলে আরেকটি পছন্দের জিনিস ছেড়ে দিতে হয় । যেমন: আমি যদি অবসর সময়ে খেলাধূলা করি তাহলে বাড়িতে বসে টিভি দেখতে পারব না । ঠিক তেমনি কোনো রাষ্ট্র যদি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বেশি করে তাহলে এ দেশের জনগণের জীবিকা নির্বাহে ব্যয় কমাতে হবে । ২। সুযোগ ব্যয় : সম্পদের লীমাবদ্ধতার কারণে মানুষকে তার পছন্দের জিনিসের মধ্যে বাছাই করতে হয়। আমাদের দেশে অনেক পথ-শিশু আছে যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য ফেরি করে বেড়ায় । কিন্তু তাদেরও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তাদের স্কুল ত্যাগ করা হচ্ছে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ ব্যয়। ৩। যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক পর্যায় নিয়ে চিন্তা করে: মানুষ প্রান্তিক পর্যায়ে চিন্তা করে। ধরি, কেউ একটি বিষয়ে A পেল । তার মনে হবে আরেকটু পড়লেই A+ পাওয়া যেত। মানুষ প্রান্তিক সুবিধা-অসুবিধার কথাও ভাবে । কেউ যদি পর পর তিনটি কলা খায়, তিন নম্বর কলাটি হচ্ছে প্রান্তিক কলা । প্রান্তিক কলা খেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যায়, তার নাম প্রান্তিক উপযোগ । প্রান্তিক বা তিন নম্বর কলাটি পেতে সে যত টাকা ব্যয় করবে, তার নাম প্রান্তিক ব্যয়। যুক্তিবাদী মানুষ প্রান্তিক কলাটি তখনই খাবে, যখন প্রান্তিক উপযোগ প্রান্তিক ব্যয়ের চেয়ে বেশি হবে। ৪ । মানুষ প্রণোদনায় সাড়া দেয়ঃ প্রতিটি কাজের জন্য উৎসাহ বা প্রণোদনা গুরুতৃপূর্ণ ভূমিকা রাখে । রনির বাবা যদি রনিকে বলে পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫ পেলে রনিকে সাইকেল কিনে দেবেন । তাহলে তার ভেতরে পড়াশোনা করার উৎসাহ আরও বেড়ে যাবে । তেমনি অর্থনীতিতে শ্রমিক প্রণোদনা পেলে বেশি উৎপাদন করে । ৫। বাণিজ্যে সবাই উপকৃত হয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র সস্তায় গাড়ি তৈরি করে, তবে আমাদের রয়েছে সস্তায় পোশাক তৈরির সামর্থ । এখন আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নঙ্গে সস্তা পোশাকের বিনিময়ে দস্তা গাড়ির বাণিজ্য করি তাহলে আমাদের উভয়েরই লাভ হবে। ৬। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংগঠিত করার জন্য সচরাচর বাজার একটি উত্তম পন্থা: অর্থনৈতিক কাজকর্ম সচরাচর সংগঠিত হয়ে থাকে বাজারব্যবস্থার মাধ্যমে ৷ ফার্ম ও পরিবারসমূহের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলেই কোনো দ্রব্যের দাম নির্ধারিত হয়। ফার্মের মালিকরা বাজারের চাহিদা দেখে দ্রব্য সরবরাহ করে এবং ক্রেতা তাদের আয় ও প্রয়োজন অনুসারে সেই দ্রব্য ক্রয় করে। $ads={1} ৭। সরকার কখনও কখনও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে: বাজার ব্যবস্থা সাধারণত নানা ধরনের স্বতঃস্ফুর্ত চাহিদা ও সরবরাহের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে । বাজার ব্যবস্থা নির্দিষ্ট একজনের বদলে বহুজনের সম্মিলিত অদৃশ্য হাতের ইশারায় চলে । নানা কারণে অদৃশ্য হাত সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ে । বাজারের হাত অদৃশ্য হলেও সরকারের হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান থাকে। ৮। একটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে সে দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষমতার উপর: যেসব দেশের মানুষের দ্রব্য ও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় । উন্নত দেশসমূহের মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি বলে তাদের মাথাপিছু আয় ‘অনেক বেশি । অন্যদিকে কম উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত । ৯। যখন সরকার অতি মাত্রায় মুদ্রা ছাপায়, তখন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়: অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বেশি হলে মূদ্রাস্ফীতি হয়ে থাকে । সরকার যখন  অধিকমাত্রায় মুদ্রা ছাপায় তখন এ দেশে মূদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় । ফলে অর্থের মূল্য বা মান কমে যায়। ৫০০ টাকার সামগ্রী পেতে হয়তো ৬৫০ টাকা খরচ করতে হয়। $ads={2} ১০। সমাজে মূদ্রাস্ফীতি এবং বেকারতেের মধ্যে স্বল্পকালীন বিপরীত সম্পর্ক বিরাজ করে: দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বেড়ে যাওয়ার অবস্থাকে মূদ্রাস্ফীতি বলে । আর কোনো শ্রমিক বাজার মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক কিন্তু কাজ পায় না-এরা হলো বেকার । সাধারণত অর্থনীতিতে মূদ্রাস্ফীতি কমলে বেকারত্ব বাড়ে । আবার মূদ্রাস্ফীতি বাড়লে বেকারত্ব কমে । আমাদের জীবনের নীতিগুলোর প্রভাব: উপরের নীতিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির মৌলিক নীতিলমূহ যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। যেমন আমাদের অসীম অভাব আর সীমিত সম্পদের কারণে একই সাথে একাধিক অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়না । একটি সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে অন্যটি বর্জন করতে হয়। চিনির মুল্য বেড়ে গেলে একই সাথে আমরা চা খাওয়া বন্ধ করে দিই অথবা বিকল্প কিছু খুজে নিই । আমরা ততক্ষণ পর্যশ্ত পরিশ্রম করি যতক্ষণ বিনিময়ে কিছু পেয়ে থাকি । যে দ্রব্যের উপযোগিতা কম, আমরা সেই দ্রব্যের প্রতি আগ্রহ কম বোধ করি । কেউ উৎসাহ প্রদান করলে সেই কাজ আমরা আগ্রহ সহকারে করি । কাউকে কিছু প্রদান করলে তার কাছ থেকেও কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করি ।

৩য় সপ্তাহের (৯ম) নবম শ্রেণির অর্থনীতি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ Read More »