সপ্তম শ্রেণির বাংলা ছবির রং
ছবির রং হাশেম খান লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য লেখক পরিচিতি নাম হাশেম খান। জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার শেকদি গ্রাম। পিতৃ-মাতৃপরিচয় পিতার নাম : মো. ইউসুফ খান। মাতার নাম : নুরেননেছা বেগম। শিক্ষাজীবন চাঁদপুর হাসান আলী হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন করেন এবং ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশা/কর্মজীবন ১৯৬২ থেকে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চারুকলা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিশু-কিশোর আন্দোলন ‘কচিকাঁচার মেলা’র অন্যতম সংগঠক তিনি। সাহিত্য সাধনা ছবি আঁকা ছবি লেখা, জয়নুল গল্প, চারুকলা পাঠ, গুলিবিদ্ধ ৭১ ইত্যাদি তাঁর প্রকাশিত বই। পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক (১৯৯২), স্বাধীনতা পদক (২০১১) লাভসহ অনেক পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন। সৃজনশীলপ্রশ্নওউত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ গত ডিসেম্বর রিংকু তার মামার বাড়ি আলোকদিয়ায় বেড়াতে যায়। তার মা তাকে সেখানকার স্কুলে নিয়ে যান। স্কুল প্রাঙ্গণে নানা রঙের অনেক ফুল আর প্রজাপতি দেখে সে মুগ্ধ হয়। সেখানে সে শিক্ষার্থীদের তৈরি উজ্জ্বল রঙের নানা ধরনের পুতুল, বিভিন্ন রং দিয়ে আঁকা ছবি দেখে অভিভ‚ত হয়ে পড়ে। ক. চাষিরা কোন মাসে দল বেঁধে ফসল কাটে? খ. ‘এ দেশের প্রকৃতি নানারূপে প্রতিফলন ঘটেছে।’- বুঝিয়ে লেখ। গ. স্কুলের দৃশ্যে কোন ঋতুর পরিচয় পাওয়া যায়? ঘ.‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি পুতুল ও আঁকা ছবিগুলো যেন আমাদেরই প্রকৃতি।’- ‘ছবির রং’ প্রবন্ধের আলোকে এ উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ক অগ্রহায়ণ মাসে চাষিরা দল বেঁধে ফসল কাটে। খ আমাদের দেশের চিত্রশিল্পীরা বাংলাদেশের প্রকৃতিকে তাদের ছবিতে রঙে ও রেখায় ফুটিয়ে তোলেন। আমাদের চারপাশে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ ছড়িয়ে রয়েছে। গাছপালা, লতাপাতা, ফুল, মাঠ, পাহাড় প্রভৃতি নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হয়ে আছে। এছাড়া ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতিটি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রঙের আবির্ভাব ঘটে। চিত্রশিল্পীরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রকৃতির এসব রূপের প্রতিফলন ঘটান তাদের রং ও তুলির আঁচড়ে। তাই বাংলার প্রকৃতির নানারূপ ছবিতে পাওয়া যায়। গ স্কুলের দৃশ্যে ফুটে ওঠা রঙের বাহারে অগ্রহায়ণ ও পৌষ ঋতুর পরিচয় পাওয়া যায়। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে আমরা দেখি ঋতুর বদল হওয়াতে প্রকৃতিতে নিরন্তর রং-বদলের খেলা চলতে থাকে। যে রঙের খেলা আমাদের চোখে আনন্দের মায়া কাজল পরিয়ে দেয়। এখন অগ্রহায়ণ মাসে সবুজ ধানখেতে সোনা বরণ হলুদ রং ধারণ করে তখন সে দৃশ্য দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। উদ্দীপকের রিংকু যখন ডিসেম্বর মাসে মামার বাড়ি যায় তখন অগ্রহায়ণ আর পৌষ মাস। এ সময় ধান হলুদ বর্ণ ধারণ করে। প্রকৃতি তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানা রঙের ফুল ফোটানোর কাজে। রিংকু তাই মামার বাড়ি স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে নানা রঙের রঙিন ফুল ও বর্ণিল প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ হয়। এছাড়া স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তৈরি নানা রঙের পুতুল ও বিভিন্ন রং দিয়ে আঁকা ছবি দেখে অভিভ‚ত হয়ে পড়ে। কারণ শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির উজ্জ্বল রঙের সাথে পরিচিত হওয়ার সুবাদে ছবিতেও উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে। ঘ ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিগুলো যেন আমাদেরই প্রকৃতি’- ছবির রং প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ। বাংলাদেশের শিশুরা জন্মগতভাবেই সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠে। তাই তাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই মৌলিক রঙের বোধ তৈরি হয় এবং তাদের সৃষ্টিশীলতায় মূলত প্রকৃতিই কথা বলে। প্রবন্ধে উল্লিখিত শিশুদের যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে, তা উদ্দীপকের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাদের আঁকা চিত্রকর্মেও প্রকৃতিকে উপস্থাপন করবে। শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির মধ্যে ফুটে উঠেছে প্রকৃতির সহজাত সৌন্দর্যবোধ। এর ফলে তাদের আঁকা ছবিতে গ্রামবাংলার প্রকৃতিই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবে। ‘ছবির রং’ প্রবন্ধে বাংলার শিশুদের চিত্র অঙ্কনের প্রসঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচিত হয়েছে, তার অনুসরণ করলে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিগুলোও বাংলার তথা আমাদের প্রকৃতিকেই উপস্থাপন করবে। আলোচনা শেষে বলা যায়, বাংলাদেশের প্রতি ঋতুতে নানা রঙের সমাবেশ দেখে বাঙালিরা অভিত‚ত হয়। তাই আমাদের নবীন শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিতেও সেই রঙের সমাবেশ বিশেষভাবে ফুটে ওঠে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নির্ঝর ও নিলয় কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছে। উদ্দেশ্য এ দেশের বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি আঁকায় অংশ নেওয়া। চারুকলার বকুলতলায় ছবির মেলার আয়োজন। দেশি-বিদেশি ছেলেমেয়েরা এর অংশগ্রহণকারী। নির্ঝরের চোখ একটি ছবির কাছে এসে থমকে যায়। ছবিটি যশোর থেকে আসা ঐতিহ্যের আঁকা। এটি যেন একটি ভিন্ন প্রকৃতির ছবি। ক. বাংলাদেশের ঋতু কয়টি? ১ খ. বাংলাদেশের শিশুদের আঁকা ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। ২ গ. নির্ঝর ঐতিহ্যের ছবিতে কী বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়- ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্দীপকে উলিখিত ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ৪ ক বাংলাদেশে ছয়টি ঋতু। খ বাংলাদেশের শিশুদের আঁকা ছবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো মৌলিক রং ঘেঁষা। জন্মের পর থেকেই আমাদের দেশের শিশুরা তাদের চারপাশে গাছ, লাতাপাতা, ফুল, মাঠ, নদী, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি দেখে বড় হয়। এসব জিনিসের রয়েছে নিজস্ব রূপ, রং। রঙের এমন সমারোহ অন্যান্য দেশে তেমন নেই। অন্যান্য দেশের শিশুদের ছবির রঙের তুলনায় বাংলাদেশের শিশুদের ছবির রং অনেক উজ্জ্বল এবং মৌলিক রং ঘেঁষা। এই রং বাংলাদেশের শিশুদের ছবি আঁকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গ নির্ঝর ঐতিহ্যের ছবিতে মৌলিক রং দিয়ে আঁকা বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়। ছবির অনেক রং রয়েছে। তবে তিনটি রং মৌলিক। বাংলার শিল্পীরা এই মৌলিক রং দিয়ে প্রকৃতির চিত্র ফুটিয়ে তোলেন যা পৃথিবীর সকলের মন কাড়ে। বাংলার চিত্রশিল্পীরা সহজাতভাবেই মৌলিক রঙের ব্যবহার করে প্রকৃতিকেই তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত করে তোলেন। প্রকৃতির মেলায় বেড়ে ওঠা এ শিল্পীরা নিজের সৃজনশীলতা ও প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই চিত্রকর্মের রূপায়ণ করে। এ কারণে নির্ঝরের দেখা ছবিটিতেও এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্ঝর কলকাতা থেকে ঢাকা এসেছে। তার উদ্দেশ হলো বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি আঁকায় অংশ নেওয়া। নির্ঝর হঠাৎ একটি ছবি দেখে থমকে যায়। কারণ ছবিটি ছিল অনেক উজ্জ্বল, সাহসী ও মৌলিক রং ঘেঁষা এবং বাংলার প্রকৃতির একটি সুন্দর দৃশ্য আঁকা ঐতিহ্যবাহী ছবি যা প্রকারান্তরে বাংলার প্রকৃতিকেই উপস্থাপন করবে। ঘ চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্দীপকে উল্লিখিত ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। চিত্রশিল্প বাংলাদেশের একটি বিশেষ দিক। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের শিশুরাও এখন ছবি আঁকছে। এ শিল্পীরা মৌলিক রং ঘেষা প্রকৃতির ছবি এঁকে পৃথিবীর সকলের মন কাড়ে। উদ্দীপকে দেখি চারুকলা ইনস্টিটিউট কর্তৃক ছবির মেলার আয়োজন করা হয় চারুকলার বকুলতলায়। উক্ত আয়োজনের আমন্ত্রণে নির্ঝর ও নিলয় ঢাকায় আসে। দেশ-বিদেশের ছেলেমেয়েরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। আমাদের দেশের চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ছবি আঁকার আয়োজন একটি ইতিবাচক দিক। ছবি আঁকার আয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে চিত্রশিল্পীরা অংশ নিলে আমাদের চিত্রশিল্প বিশ্বের দরবারে স্থান পাবে। চিত্রশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আয়োজন করতে হবে এরকম অনেক ছবি আঁকা-প্রতিযোগিতার। সুতরাং, একথা বলা যায়, চিত্রশিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ছবি আঁকার আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য যার উৎকর্ষতা দেখিয়ে আমরা বিশ্বদরবারে পরিচিত হতে পারব। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ রুমকি ঢাকা শহর থেকে গ্রামে দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন ছিল শীতকাল। দাদার সঙ্গে রোদেলা সকালে রুমকি গ্রামে ঘুরতে বের হয়। রুমকি দেখতে পেল গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় ফুটে আছে নানা প্রজাতির ফুল। গ্রামের
সপ্তম শ্রেণির বাংলা ছবির রং Read More »