Uncategorized

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত

পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ প্রশ্ন- ১  পলাশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে পাশাপাশি অবস্থিত দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাদের সৃষ্টি হয়। বিবাদের চরম পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের সেলিম মিয়ার মধ্যস্থতায় উভয় গ্রামের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে একটি সমঝোতা চুক্তি করা হয়। এতে উভয় গ্রামের মানুষ নিশ্চিত সংঘর্ষ থেকে মুক্তি পায়। শেষে সেলিম মিয়া সবার উদ্দেশ্যে বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সবার মহানবি (স.) প্রবর্তিত সনদের অনুসরণ আবশ্যক। ক. হিজরত শব্দের অর্থ কী? খ. মহানবি (স.) মদিনায় হিজরত করলেন কেন? গ. উদ্দীপকে সমঝোতা চুক্তিটি মহানবি (স.)-এর কোন চুক্তির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ঘ.স্থানীয় সেলিম মিয়ার শেষ উক্তিটি দ্বারা রাসুল (স.) প্রবর্তিত যে সনদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তার বিশ্লেষণ কর। ক হিজরত শব্দের অর্থ ত্যাগ করা, ছিন্ন করা। খ মক্কার পরিবেশ দাওয়াতের অনুক‚ল না থাকায় মহানবি (স.) আল­াহর নির্দেশে মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন। তাঁর দাওয়াতে অনেক লোক ইসলাম গ্রহণ করেন এবং অনেকে তাঁর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। অনেকে তাঁর জীবননাশের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। শেষে তাঁর ঘর রাতে অবরোধ করলে তিনি রাতের আঁধারে মদিনায় হিজরত করেন। গ উদ্দীপকে সমঝোতা চুক্তিটি মহানবি (স.)-এর হুদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। জš§ভ‚মিকে দেখার তীব্র আকাঙ্খা ও আল্লাহর ঘর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ৬ষ্ঠ হিজরিতে মহানবি (স.) চৌদ্দশত সাহাবি নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওনা হন। হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর সাথীদের নিয়ে মক্কার ৯ মাইল দূরে হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছেন। কাফিররা মুসলমানদের প্রতিরোধ করার জন্য সদলবলে অস্ত্রসহ অগ্রসর হয়। অতঃপর অনেক বাগবিতণ্ডার পর মুসলমান ও কাফিরদের মাঝে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা ইতিহাসে ‘হুদায়বিয়ার সন্ধি’ নামে পরিচিত। উদ্দীপকে পলাশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের বিবাদের চরম পর্যায়ে সেলিম মিয়ার মধ্যস্থতায় যে সমঝোতা চুক্তিটি হয় তা মহানবি (স.)-এর হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ উদ্দীপকের স্থানীয় সেলিম মিয়ার শেষ উক্তিটি দ্বারা রাসুল (স.) প্রবর্তিত মদিনা সনদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। হিজরতের পর হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনায় সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতিপয় নীতিমালা তৈরি করেন, যা মদিনা সনদ নামে খ্যাত। সনদের ফলে মদিনায় লোকজনের মাঝে সকল হিংসা-বিদ্বেষ ও কলহের অবসান হয়। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়। ধর্ম-বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকলের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে এক উদার স¤প্রীতি স্থাপিত হয়। মদিনা সনদের এ গুরুত্ব উপলব্ধি করে। সেলিম মিয়া শেষোক্ত উক্তি দ্বারা মদিনা সনদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রশ্ন- ২  প্রাচুর্য আর ধন-সম্পদ ধনাঢ্য জাহিদ সাহেবকে অহংকারী করে নি, বরং তিনি খাঁটি মুমিন। মুমিন হওয়ার কারণে গ্রামের অন্যান্য লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দিত। তারপরও গ্রামে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি খাদ্য বিতরণ করে সবাইকে সাহায্য করেন। গ্রামে কুরআন তিলাওয়াতকে কেন্দ্র করে অনৈক্য দেখা দিলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়াস চালান। ক. ইসলামের তৃতীয় খলিফার নাম কী? খ. ইসলামের তৃতীয় খলিফাকে কেন গণি বলা হতো? গ. জাহিদ সাহেবের আচরণে তৃতীয় খলিফার যে চারিত্রিক গুণের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.গ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে জাহিদ সাহেবের প্রচেষ্টা তৃতীয় খলিফার কোন ঘটনার সাথে সম্পর্কিত বিশ্লেষণ কর। ক ইসলামের তৃতীয় খলিফার নাম হযরত উসমান (রা.)। খ অগাধ সম্পদের মালিক হওয়ার কারণে ইসলামের তৃতীয় খলিফাকে গণি বলা হতো। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রা.) ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তার অনেক সম্পদ ছিল। তিনি তার সম্পদ ইসলামের সেবায় উদার হস্তে দান করেছেন। ইসলাম স¤প্রসারণ কিংবা দুঃস্থদের সাহায্য-সহযোগিতা এ ধরনের কাজে তিনি তার সম্পদ ব্যয় করেছেন। গ জাহিদ সাহেবের আচরণে তৃতীয় খলিফার যে চারিত্রিক গুণের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা হলো উদারতা। হযরত উসমান (রা.) ইসলাম গ্রহণের পর সর্বদা ইসলাম প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ কাজে তিনি তাঁর সম্পদ উদার হস্তে ব্যয় করেন। তিনি নিজ খরচে মসজিদে নববি স¤প্রসারণ করেন। মদিনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। তাবুক যুদ্ধে তিনি দশ হাজার দিনার (মুদ্রা) ও এক হাজার উষ্ট্র মুসলিম সেনাবাহিনীকে দান করেন। উদ্দীপকের ধনাঢ্য জাহিদ সাহেবের আচরণে তৃতীয় খলিফার সেই উদারতাই প্রকাশ পেয়েছে। ঘ গ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে জাহিদ সাহেবের প্রচেষ্টা তৃতীয় খলিফার কুরআন সংকলনের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। হযরত উসমান (রা.)-এর সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআনের পাঠরীতি নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়। মুসলমানদের মধ্যে নানা অনৈক্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় হযরত উসমান (রা.) বিশিষ্ট সাহাবিগণের সাথে পরামর্শ করে আল-কুরআনের একক ও প্রামাণ্য পাঠরীতি প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। হযরত যায়দ (রা.)-এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। এ কমিটি হযরত হাফসা (রা.)-এর নিকট সংরক্ষিত মূল পাণ্ডুলিপি থেকে নকল করে আরও সাতটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করেন। তারপর প্রত্যেক প্রদেশে আল-কুরআনের এক এক কপি পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফলে পবিত্র কুরআনের পাঠরীতি নিয়ে মুসলমানদের অনৈক্য দূর হয়। উদ্দীপকে উল্লিখিত গ্রামে কুরআন তিলাওয়াতকে কেন্দ্র করে অনৈক্য দেখা দিলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা হযরত উসমান (রা.)-এর চেষ্টার প্রতিচ্ছবি। প্রশ্ন- ১  মানিকনগর গ্রামের হাতেম আলি অত্যন্ত ধৈর্যশীল ব্যক্তি। সমাজের উন্নয়নকল্পে তিনি অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এতে এলাকার কিছু লোক তার প্রতি হিংসাবশত অত্যাচার শুরু করে। এমনকি ভাইয়েরাও তার ওপর অনেক জুলুম করে। তা সত্তে¡ও স্বীয় প্রতিভা বলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ভাইদের ক্ষমা করে দিয়ে বলেন-‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু’। ক. আহসানুল কাসাস অর্থ কী? ১ খ. হযরত ইউসুফ (আ.) কেন মন্ত্রী পদে নিয়োগ পান? ২ গ. উদ্দীপকের হাতেম আলির জীবন কোন মনীষীর জীবনের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকের হাতেম আলির উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪ ক আহসানুল কাসাস অর্থ সর্বোত্তম কাহিণী। খ ইউসুফ (আ.) বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলায় মন্ত্রী পদে নিয়োগ পান। ইউসুফ (আ.)-এর ব্যাখ্যা শুনে বাদশাহ খুবই মুগ্ধ হলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাঁকে অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করেন। গ উদ্দীপকের হাতেম আলির জীবন হযরত ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের প্রতিচ্ছবি। হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অন্ধক‚পে ফেলে দেয়। একদল সওদাগর তাঁকে ক‚প থেকে তুলে মিসরের বাদশাহর কাছে বিক্রি করে দেয়। অতঃপর তিনি তাঁর প্রতিভাগুণে বাদশাহকে মুগ্ধ করে মিসরের অর্থমন্ত্রী হন। পরে বাদশাহী লাভ করেন। উদ্দীপকের হাতেম আলিও ঠিক তাই যে, তার জীবন হযরত ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের প্রতিচ্ছবি। ঘ উদ্দীপকের হাতেম আলির উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইউসুফ (আ.)- তাঁর ভাইদের একথাই বলেছিলেন যে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা তাঁকে ক‚পে ফেলে দেয়। একদল বণিক তাঁকে তুলে নিয়ে মিসরে বিক্রি করে। পরবর্তীতে তিনি মিসরের বাদশাহ হন। তখন তিনি ভাইদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ ও ক্ষমতা পাওয়া সত্তে¡ও ভাইদের তিনি ক্ষমা করে জগতে ক্ষমার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। উদ্দীপকের চেয়ারম্যান হাতেম আলি ভাইদের ক্ষমা করে দিয়ে ঠিক একথাই বলেছেন-‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু’। প্রশ্ন- ২  নিজাম ঘুমে অচেতন। হঠাৎ তিনি স্বপ্নে দেখেন মহান আল্লাহ তাকে ডেকে বলছেন- ‘নিজাম তোমার প্রিয় বস্তু আমার নামে উৎসর্গ

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবনচরিত Read More »

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় আখলাক

চতুর্থ অধ্যায় আখলাক  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১  শিল্পপতি জামিল সাহেব তাঁর গার্মেন্টসে কর্মচারীদের যথাসময়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পরিশোধ করেন। তিনি সততার সাথে কাজ করতে এই বলে সতর্ক করে দেন, যেন তার কারখানায় তৈরি পোশাকে কোনোরকম সমস্যা না থাকে। কাপড় কম দেওয়া বা সেলাইয়ে সুতা যেন খারাপ না হয়। তারপরেও এক কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় কম দিয়ে পোশাক তৈরি করে। ঐ কর্মচারী কাপড় কম দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখে। এতে জামিল সাহেবের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে জামিল সাহেব ঐ কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সামান্য বেতনের ঐ কর্মচারীর পরিবারের সমস্যার কথা বুঝালে জামিল সাহেব কর্মচারীকে আল­াহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। ক. ক্ষমা এর আরবি প্রতিশব্দ কী? খ. শ্রমের মর্যাদা বলতে কী বোঝায়? গ. জামিল সাহেবের সর্বশেষ আচরণে যে গুণটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কর্মকাণ্ড একটি সামাজিক অপরাধ’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ক ক্ষমা এর আরবি প্রতিশব্দ ‘আফউন’। খ মানুষ তার নিজের বেঁচে থাকার, অপরের কল্যাণের এবং সৃষ্টিজীবের উপকারের জন্য যে কাজ করে তা-ই শ্রম। আর এসব শ্রমকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন, সম্মান প্রদর্শন, শ্রমিককে উপযুক্ত পারিশ্রমিকসহ, সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাকে শ্রমের মর্যাদা বলে। গ জামিল সাহেবের সর্বশেষ আচরণে যে গুণটি ফুটে উঠেছে তা হলো ক্ষমা। প্রতিশোধ গ্রহণের পূর্ণ ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও প্রতিশোধ না নিয়ে মাফ করে দেওয়াই হলো ক্ষমা। আমরা প্রায়ই বিভিন্ন কাজের মধ্যে ভুল করে ফেলি, কথা বলার সময় অনেক সময় শিরক করে ফেলি। তারপরও যদি তাওবা করি, অনুতপ্ত হই, আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা সর্বশক্তিমান ও মহাপরাক্রমশালী হওয়া সত্তে¡ও ক্ষমা করে দেন। উদ্দীপকে জামিল সাহেব কর্মচারীর পরিবারের সমস্যার কথা চিন্তা করে কর্মচারীকে নিজে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। সুতরাং জামিল সাহেবের সর্বশেষ আচরণে ক্ষমা গুণটি ফুটে উঠেছে। ঘ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কর্মকাণ্ড তথা প্রতারণা একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে মানুষ দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত হয়। সমাজের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। উদ্দীপকে শিল্পপতি জামিল সাহেবের গার্মেন্টসের কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে কম কাপড়ে পোশাক তৈরি করে এবং বিষয়টি গোপন করে। তার এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের দ্বারা মালিক জামিল সাহেব ও সমস্ত ক্রেতা তথা সমাজের সব মানুষের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এর দ্বারা সমাজে অন্যায় বিস্তার লাভ করবে। সমাজ থেকে শান্তি চলে যাবে। মানুষ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে। তাছাড়া এ রকম ত্র“টিযুক্ত পোশাক যে ক্রয় করবে সেই প্রতারিত হবে। সুতরাং উপরিউক্ত পর্যালোচনার আলোকে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, জামিল সাহেবের কর্মচারীর কর্মকাণ্ড একটি সামাজিক অপরাধ। প্রশ্ন- ২  জহির সাহেব একজন চরিত্রবান লোক। রজব মিয়া তাঁর বাড়িতে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে কাজ করে টাকাগুলো জহির সাহেবের নিকটই জমা রাখেন। এভাবে দু’বছর কাজ করার পর ঢাকা শহরে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন। এ অবস্থায় জমানো টাকা দিয়ে জহির সাহেব তার এলাকায় এক বিঘা জমি ক্রয় করে রজব মিয়ার নামে কওলা করেন। দীর্ঘ দশ বছর পরে রজব মিয়া জহির সাহেবের বাড়িতে ফিরে আসলে, জহির সাহেব তাঁর জমির দলিল হাতে দিয়ে জমি বুঝিয়ে দেন। অপর দিকে আরমান সাহেবের ড্রাইভার রমিজ মিয়া বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি করে আরমান সাহেবের নিকট দুই লাখ টাকা দেন। আরমান সাহেব তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে একটি জাল ভিসা তৈরি করে দেন। রমিজ মিয়া এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে ব্যর্থ হয়ে টাকা ফেরত চাইলে আরমান সাহেব বলেন, তোমাকে ভিসা দেওয়া হয়েছে, কাজেই তুমি বিদেশে যেতে না পারার দায়ভার আমি বহন করব না। ক. কিসে মনের শান্তি নষ্ট হয়? খ. আখলাকে যামিমা বলতে কী বোঝায়? গ. জহির সাহেবের কাজটির মাধ্যমে কোন বিষয়টি রক্ষা পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.ড্রাইভার রমিজ মিয়ার সাথে আরমান সাহেবের আচরণ বিশ্লেষণ কর। ক হিংসায় মনের শান্তি নষ্ট হয়। খ এমন কিছু আচরণ বা কাজ যা মানুষকে হীন, নীচ ও নিন্দনীয় করে তোলে, সেগুলোকেই আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় আচরণ বলে। নিন্দনীয় আচরণগুলো হচ্ছে হিংসা, ক্রোধ, লোভ, প্রতারণা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, ইভটিজিং, ছিনতাই প্রভৃতি। গ জহির সাহেবের কাজটির মাধ্যমে আমানত রক্ষা পেয়েছে। গচ্ছিত বা দায়িত্বে রাখা বস্তু সযতেœ রেখে এর মালিকের কাছে যথাযথভাবে ফেরত দেয়াই আমানত। সমাজের প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব তার নিকট পবিত্র আমানত। যিনি আমানত রক্ষা করেন, তাকে সবাই বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। সমাজের সবাই তাকে সম্মান করে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের জহির সাহেব দশ বছর পর কর্মচারী রজব মিয়ার জমির দলিল হাতে বুঝিয়ে দিয়ে আমানত রক্ষা করেছেন। ঘ উদ্দীপকের ড্রাইভার রমিজ মিয়ার সাথে আরমান সাহেবের আচরণ প্রতারণার শামিল। আচার-আচরণ, লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে ধোঁকা দেয়াকে প্রতারণা বলে। প্রতারণা একটি সামাজিক অপরাধ। এর কারণে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। প্রতারণাকারী প্রকৃত ও খাঁটি মুসলমান হতে পারে না। প্রতারণা মুনাফিকের কাজ। এর শাস্তি বড় কঠিন। উদ্দীপকের আরমান সাহেব প্রতারণা করে দুই লাখ টাকা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য জাল ভিসা তৈরি করে দেন যা প্রকাশ্য প্রতারণা। এরূপ প্রতারণাকারী মুনাফিক হিসেবে বিবেচিত। এজন্য আরমান সাহেবের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। সে যদি ক্ষমা পেতে চায় তাহলে তাকে রমিজ মিয়ার সব টাকা ফেরত দিয়ে তার নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর নিকটও তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রশ্ন- ১  মান্নানের অভ্যাস মিথ্যা বলা, গালি দেয়া, অন্যের গচ্ছিত রাখা সম্পদ আত্মসাৎ করা। মান্নানের পিতা তার এ ধরনের আচরণে ব্যথিত। তার পিতা তাকে একদিন ডেকে বলল- তোমার এরূপ কর্মকাণ্ড ঠিক নয়। এরপর এ হাদিসটি শুনান, “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আমার নিকট অধিক প্রিয়, যার চরিত্র সর্বোত্তম”। ক. আমানত অর্থ কী? ১ খ. আখলাকে হামিদাহ কাকে বলে? ২ গ. মান্নানের আচরণ কীসের পরিপন্থী? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকের হাদিসের আলোকে আখলাকে হামিদাহর তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪ ক আমানত অর্থ গচ্ছিত রাখা বা দায়িত্বে রাখা। খ উত্তম চরিত্রকে আখলাকে হামিদাহ বা প্রশংসনীয় আচরণ বলা হয়। মানুষের স্বভাব যখন সামগ্রিকভাবে সুন্দর, নম্র ও মার্জিত হয় তখন তাকে আখলাকে হামিদাহ বলে। গ মান্নানের আচরণ আখলাকে হামিদাহর পরিপন্থী। মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিই আখলাকে হামিদাহ। পরোপকারিতা, শালীনতাবোধ, সৃষ্টির সেবা, আমানত রক্ষা, ক্ষমা ইত্যাদি আখলাকে হামিদাহর অন্তভর্‚ক্ত। উদ্দীপকের মান্নানের অভ্যাস মিথ্যা কথা বলা, অপরকে গালি দেয়া এবং অন্যের গচ্ছিত রাখা সম্পদ আত্মসাত করা। মান্নানের এসব আচরণ আখলাকে হামিদাহর পরিপন্থী যা আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। ঘ ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয়, যার চরিত্র সর্বোত্তম’উদ্দীপকে উল্লিখিত হাদিসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীতে মানুষের যাবতীয় সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ আখলাকে হামিদাহ তথা প্রশংসনীয় চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল। যে ব্যক্তি প্রশংসনীয় গুণাবলির অধিকারী সবাই তাকে ভালোবাসে, সম্মান করে এবং বিশ্বাস করে। হাদিসে আখলাকে হামিদাহ অর্জন করার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুল (স.) বলেছেন ‘মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে যার চরিত্র সুন্দর’। উদ্দীপকের মান্নানের মধ্যে তার পিতা মিথ্যা, আমানতের খিয়ানত, সম্পদ আত্মসাৎসহ আখলাকে যামিমার

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় আখলাক Read More »

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা

তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১  নাবিহা প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করে। মেয়ের তিলাওয়াত শোনার জন্য বাবা মাওলানা আহমাদ সাহেব নাবিহার কাছে বসলেন। নাবিহা তিলাওয়াত শুরু করল। এবার তিলাওয়াতের সময়ে م (মিম) চিহ্নে বিরতি দেয় নি, (ফিহা) তিলাওয়াতের সময়ে ف বর্ণ এবং ﮪ বর্ণ দীর্ঘ করে পড়েনি। মেয়েকে উদ্দেশ্য করে নাবিহার বাবা বললেন, কুরআন মজিদ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থ। এর সংরক্ষণ ও সংকলন নির্ভুল ও সন্দেহাতীত পন্থায় হয়েছে। তাই এর তিলাওয়াতও নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। ক. ‘মাখরাজ’ শব্দের অর্থ কী? খ. তাজবিদ বলতে কী বোঝায়? গ. নাবিহা দ্বিতীয় পর্যায়ে কোন বিষয়টি ত্যাগ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে যে বিষয়টির প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ক মাখরাজ শব্দের অর্থ বের হওয়ার স্থান। খ তাজবিদ আরবি শব্দ। এর অর্থ সুন্দর করা, বিন্যস্ত করা, সুন্দর করে সাজানো ইত্যাদি। আর ইসলামি পরিভাষায় আল-কুরআনকে শুব্ধভাবে, সুন্দর সুরে পাঠ করাকে তাজবিদ বলা হয়। গ উদ্দীপকের নাবিহা তার তিলাওয়াতের দ্বিতীয় পর্যায়ে মাদ্দকে ত্যাগ করেছে। মাদ্দের হরফের ডান দিকের হরকতযুক্ত হরফ লম্বা করে পড়াকে মাদ্দ বলা হয়। তিলাওয়াতের সময় মাদ্দÐএর হরফে দীর্ঘ করে না পড়লে অর্থের পরিবর্তন হয়ে যাবে। এতে গুনাহ হবে। উদ্দীপকের নাবিহা, (ফিহা) তিলাওয়াতের সময়ে ف বর্ণ এবং ﮪ বর্ণ দীর্ঘ করে পড়েনি। তাই তার তিলাওয়াতও শুদ্ধ হয়নি। শুদ্ধ হওয়ার জন্য এ দুটি বর্ণে যে মাদ্দÐএর হরফ ‘ﺍ’ (আলিফ) ও ‘ﻯ’ (ইয়া) ছিল তা দীর্ঘ করে পড়লে তিলাওয়াত শুদ্ধ হতো। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনায় নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, উদ্দীপকের নাবিহা তার তিলাওয়াতের দ্বিতীয় পর্যায়ে মাদ্দকে ত্যাগ করেছে। ঘ উদ্দীপকের মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। কুরআন শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনেক ফযিলত লাভ করা যায়। এজন্য তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যাবশ্যক। তাজবিদ সহকারে কুরআন পড়া আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন, ‘আপনি কুরআন আবৃত্তি করুন ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে।’ তাজবিদ না জেনে কুরআন পাঠ করলে তা শুদ্ধ হয় না। আর কুরআন পাঠ শুদ্ধ না হলে নামাযও সঠিকভাবে আদায় হয় না। তাছাড়া এরূপ তিলাওয়াতকারী কোনো সাওয়াব লাভ করবে না বরং গুনাহগার হবে। তাই উদ্দীপকের মাওলানা আহমাদ সাহেব মেয়ে নাবিহাকে তাজবিদ অনুযায়ী শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রশ্ন- ২  আকরাম সাহেব একজন বিশিষ্ট সমাজপতি। একদিন তাঁর অসুস্থ প্রতিবেশী মনির মিয়া চিকিৎসার জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। অপরদিকে আকরাম সাহেবের বন্ধু আফজাল সাহেব তার অসহায় ফুফার মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ বহন করেন। ক. বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ কয়টি? খ. ‘মানবপ্রেম একটি মহৎগুণ’ ব্যাখ্যা কর। গ. সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে কী লঙ্ঘিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘আফজাল সাহেব তাঁর কাজের জন্য জান্নাত লাভ করতে পারেন’ বিশ্লেষণ কর। ক বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ ছয়টি। খ ধনী, গরিব, সাদা, কালো, সুস্থ, অসুস্থ, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব রকমের লোকদের নিয়েই আমাদের সমাজ। সকলের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা না থাকলে কোনো সমাজ উন্নতি লাভ করতে পারে না। আর এজন্য প্রয়োজন মানুষের প্রতি প্রীতি, দয়ামায়া ও ভালোবাসা। মানুষের প্রতি এ প্রেম একটি মহৎ গুণ। গ সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে প্রতিবেশীর হক বা অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রতিবেশীর সাথে উত্তম ব্যবহার করা, অসুখেবিসুখে তাদের খোঁজখবর নেয়া, তাদের মঙ্গল কামনা করা, দোষত্র“টি খুঁজে না বেড়ানো একজন সৎ প্রতিবেশীর অবশ্য কর্তব্য। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, আকরাম সাহেব একজন বিশিষ্ট সমাজপতি। একদিন তাঁর অসুস্থ প্রতিবেশী মনির মিয়া চিকিৎসার জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। উপরোলি­খিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকের সাহায্যপ্রার্থী মনির মিয়ার প্রতি আকরাম সাহেবের আচরণে প্রতিবেশীর হক বা অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ঘ ‘আফজাল সাহেব তার কাজের জন্য জান্নাত লাভ করতে পারেন।’ আমরা জানি, পরোপকার আল­াহ তাআলার একটি বড় গুণ। যে ব্যক্তি পরোপকার করে আল­াহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন। পরোপকারী ব্যক্তি আল­াহর রহমত লাভ করেন। আল­াহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও পরোপকার কর। নিশ্চয়ই আল­াহ সৎকর্মশীল ও পরোপকারীদের ভালোবাসেন। মহানবি (স) বলেন, “যারা পৃথিবীতে আছে, তাদের প্রতি তোমরা দয়া কর। তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।” উদ্দীপকে দেখা যায়, আকরাম সাহেবের প্রকৃত বন্ধু আফজাল সাহেব তার অসহায় ফুফার মেয়ের বিবাহের যাবতীয় খরচ বহন করেছেন। অতএব একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, আফজাল সাহেব তার কাজের জন্য পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারেন। প্রশ্ন- ১  ওআইসি সম্মেলনে ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মানুষের হিদায়াতের মূল সনদ আল্লাহর পাঠানো একটি কিতাব। এটি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছে। কারণ এটির সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহই নিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। অতঃপর ডক্টর আলী জুমা তার বক্তব্য শেষ করেন। ক. কে পবিত্র কুরআনের সংরক্ষক? ১ খ. হযরত উসমান (রা.) কে ‘জামিউল কুরআন’ বলা হয় কেন? ২ গ. উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা কোন কিতাব সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত ডক্টর আলী জুমার বক্তব্যটিকে তুমি কি সমর্থন কর? মতামত দাও। ৪ ক আল্লাহ তাআলা স্বয়ং পবিত্র কুরআনের সংরক্ষক। খ হযরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতকালে ইসলামি সাম্রাজ্যের বিশাল বিস্তৃতির ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে কুরআনের পাঠরীতি নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়। এমতাবস্থায় হযরত উসমান (রা.) বিশিষ্ট সাহাবিগণের সাথে পরামর্শ করে আল-কুরআনের একক ও প্রামান্য পাঠরীতি প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ অসামান্য অবদানের জন্য হযরত উসমান (রা.)-কে ‘জামিউল কুরআন’ কুরআন একত্রকারী বলা হয়। গ উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন এটি দীর্ঘ তেইশ বছরে অল্প অল্প করে অবস্থার আলোকে প্রয়োজন ও ঘটনার প্রেক্ষিতে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর নাযিল হয়। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, ওআইসি সম্মেলনে ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মানুষের হিদায়াতের মূল সনদ আল্লাহর পাঠানো একটি কিতাব। এটি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় রয়েছে। কারণ এটির সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহই নিয়েছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। অতঃপর ডক্টর আলি জুমা তার বক্তব্য শেষ করেন। সুতরাং, একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, উদ্দীপকে ডক্টর আলি জুমা আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআন সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন। ঘ পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কিত ডক্টর আলি জুমার বক্তব্যটিকে আমি সমর্থন করি। কারণ আমার মতে আল-কুরআন নাযিল হয় সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর। তাই আল-কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থ। কারণ কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানব জাতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুর বর্ণনা কুরআনে রয়েছে। আর তাই কুরআন সর্বজনীন গ্রন্থ। অন্যদিকে কুরআন নাযিল হওয়ার পর থেকে এর একটি হরকত বা নুকতারও পরিবর্তন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবার সুযোগ নেই। উদ্দীপক পাঠেও ডক্টর আলি জুমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বর্ণনা এটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এজন্য এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। সুতরাং পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা Read More »

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত

দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত    সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১  সুলতান মিয়া একজন কৃষক। সারাদিন তিনি মাঠেই কাজ করেন। নামাযের সময় হলে ক্ষেতের পাশে কাপড় বিছিয়ে নামায আদায় করেন। জুমার দিনে মসজিদে না গিয়ে যুহরের সালাত আদায় করেন। তার প্রতিবেশী হারুন তাকে বলল, জুমার নামায জামাআত ব্যতীত আদায় হয় না। আমি মসজিদে যাচ্ছি। তুমিও আমার সাথে চলো। তখন সুলতান বলে, ‘মসজিদ অনেক দূরে। কাজের ক্ষতি হবে বলেই ক্ষেতের পাশে যুহর নামায আদায় করছি।’ ক. ‘জুমার সালাত’ কোনদিন আদায় করতে হয়? খ. মুসাফির বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। গ. জুমার নামাযের ব্যাপারে সুলতান মিয়ার মনোভাবে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.হারুন মিয়ার বক্তব্যের যৌক্তিকতা প্রমাণ কর ক জুমার সালাত শুক্রবারের দিন যুহরের সময়ে আদায় করতে হয়। খ ‘মুসাফির’ আরবি শব্দ। এর অর্থ ভ্রমণকারী। কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরবর্তী কোনো স্থানে যাওয়ার নিয়তে কোনো ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হলে শরিয়তের পরিভাষায় তাকে মুসাফির বলে। এমন ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে কমপক্ষে পনের দিন অবস্থানের নিয়ত না করা পর্যন্ত তার জন্য মুসাফিরের হুকুম প্রযোজ্য হবে। গ জুমার নামাযের ব্যাপারে সুলতান মিয়ার মনোভাবে অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে’ যা ফিসক-এর শামিল। কেননা জুমার সালাত একাকী আদায় হয় না। এ সালাত মসজিদে আদায় করতে হয়। এর অস্বীকারকারী কাফির। অবহেলা করে কেউ এ সালাত আদায় না করলে সে ফাসিক হয়ে যাবে। জুমার সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন সালাতের জন্য আহŸান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটি তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ উদ্দীপকের সুলতান মিয়া একজন কৃষক। সারাদিন তিনি মাঠেই কাজ করেন। নামাযের সময় হলে ক্ষেতের পাশে কাপড় বিছিয়ে নামায আদায় করেন। জুমার দিনে মসজিদে না গিয়ে যুহরের সালাত আদায় করেন। সুতরাং বলা যায়, জুমার সালাতের ব্যাপারে সুলতান মিয়ার অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে যা ফিসক এর শামিল। ঘ হারুন মিয়ার বক্তব্য সঠিক ও যথাযথ। শুক্রবার যুহরের সালাতের পরিবর্তে যে সালাত আদায় করা হয়, তাকে বলা হয় জুমার সালাত। জামে মসজিদে জুমার সালাত জামাআতে আদায় করা ফরয। আর এর অস্বীকারকারী কাফির। অবহেলা করে কেউ এ সালাত আদায় না করলে সে ফাসিক হয়ে যাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা জুমুআ’র ৯নং আয়াতে জুমার সালাতের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহানবি (স.) এর হাদিসেও জুমার সালাতের গুরুত্ব ও ফযিলত বর্ণিত হয়েছে। জুমার ফরযের জন্য জামাআত শর্ত রয়েছে। জামাআত ছাড়া জুমার সালাত হয় না। উদ্দীপকের হারুন মিয়া জুমার সালাতের প্রতি তার প্রতিবেশী সুলতান মিয়ার অবহেলা ও অনীহার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘জুমার নামায জামাআত ব্যতীত আদায় হয় না। আমি মসজিদে যাচ্ছি। তুমিও আমার সাথে চলো। সুতরাং হারুন মিয়ার বক্তব্য সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। প্রশ্ন- ২  আসলাম ও আসগর সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। ২য় সাময়িক পরীক্ষার সময় রমযান মাস থাকায় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কথা ভেবে আসলাম রোযা ছেড়ে দেয়। মাঝেমধ্যে সালাত আদায়েও সে গাফলতি করে। অন্যদিকে কষ্টকর হলেও আসগর নিয়মিত রোযা পালন করে। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ওয়াক্ত হলেই নামায আদায় করে নেয়। পিতার সাথে মাঝে মাঝে তাহাজ্জুদের নামাযও আদায় শেষে ভালো ফলাফলের জন্য আল­াহর সাহায্য কামনা করে। আসগর আসলামকে নিয়মিত সালাত ও সাওম পালনের ব্যাপারে বললে আসলাম বলে, এই মুহূর্তে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলই আমার নিকট মুখ্য। পরবর্তীতে আসগর তাদের ধর্মীয় শিক্ষককে আসলামের বক্তব্যটি জানালে তিনি বললেন, আসলাম, তোমার কথা দ্বারা ইবাদতের প্রতি অবজ্ঞা বুঝাচ্ছে, যা ইবাদতকে অস্বীকার করারই শামিল। ক. ধৈর্যের বিনিময় কী? খ. সাদাকাতুল ফিতর বলতে কী বুঝায়? গ. আসলামের মনোভাবে কী প্রকাশ পেয়েছে? শরিয়তের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ঘ.আসগরের কাজের পরকালীন পরিণতি কুরআন-হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ক ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। খ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের সালাতের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে গরিব-দুঃখীদের সহযোগিতায় রোযার ত্র“টি-বিচ্যুতি সংশোধনে ও আল­াহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ-সম্পদ দান করা হয় তাকে সাদাকাতুল ফিতর বলে। গ উদ্দীপকের আসলামের মনোভাবে ইবাদতের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে যা ইবাদতকে অস্বীকার করারই শামিল। রমযানের রোযা পালন করা মুসলমানের ওপর ফরয। যে তা অস্বীকার করবে সে কাফির হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হলো, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ সালাতও একটি ফরয ইবাদত। সালাত অস্বীকারকারী কাফির। মহানবি (স.) বলেছেন, ‘মুসলমান ও কাফিরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামায ত্যাগ করা।’ উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, ২য় সাময়িক পরীক্ষার সময় রমযান মাস থাকায় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কথা ভেবে আসলাম রোযা ছেড়ে দেয়। মাঝেমধ্যে সালাত আদায়েও সে গাফলতি করে। সুতরাং আসলামের মনোভাবে ইবাদতের অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। যা ইবাদতকে অস্বীকার করারই শামিল। ঘ উদ্দীপকের আসগরের কাজের পরকালীন পরিণতি হলো জান্নাত। কেননা রাসুল (স.) বলেন, ‘জান্নাতের রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। কিয়ামতের দিন সিয়াম পালনকারী ব্যতীত অন্য কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।’ অন্যদিকে আল্লাহ তাআলা নামায সম্পর্কে বলেছেন “নিশ্চয়ই সালাত মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।” উদ্দীপকে দেখা যায় যে, কষ্টকর হলেও আসগর নিয়মিত রোযা পালন করে। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ওয়াক্ত হলেই নামায আদায় করে নেয়। পিতার সাথে মাঝে মাঝে তাহাজ্জুদের নামাযও আদায় শেষে ভালো ফলাফলের জন্য আল­াহর সাহায্য কামনা করে। সুতরাং উপরিউক্ত পর্যালোচনার আলোকে বলা যায়, নিয়মিত নামায আদায় ও সাওম পালনের কারণে আসগর পরকালে জান্নাত লাভ করবে। প্রশ্ন- ১  আনোয়ার সাহেব একজন ধার্মিক ব্যক্তি। আযান হলে তিনি মসজিদে যান এবং আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ফরয আদায় করেন। তাছাড়া তিনি ফরযের পাশাপাশি নফল ইবাদত করেও সময় কাটান। তার বন্ধু নাঈম সাহেব তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জামাআতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সুদৃঢ় হয়। ক. ইবাদত শব্দের অর্থ কী? ১ খ. জামাআতের সাথে নিয়মিত সালাত আদায় করতে হয় কেন? ২ গ. আনোয়ার সাহেবের আদায়কৃত ইবাদত কোনটি? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.বন্ধু নাঈমের প্রশ্নে আনোয়ার সাহেবের উক্তিটির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তি দাও। ৪ ক ইবাদত শব্দের অর্থ দাসত্ব, আনুগত্য, বন্দেগি ইত্যাদি। খ একাকী আদায় করার চেয়ে জামাআতের সালাতে ২৭ গুণ বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়। নিয়মিত জামাআতে সালাত নেতার আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা শেখায়। নিয়মিত জামাআতে সালাত আদায় করলে পারস্পরিক সহানুভ‚তি, সমতাবোধ ও ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পায়। এজন্য জামাতের সাথে সালাত আদায় করতে হয়। গ আনোয়ার সাহেবের আদায়কৃত ইবাদত হলো সালাত। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সালাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর নিকট বান্দার আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হচ্ছে সালাত। সালাতের মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নৈকট্য লাভ করতে পারে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত ইমামের ইমামতিতে জামাআতে আদায় করতে হয়। এর বাইরে কতগুলো সালাত একাকী আদায় করতে হয়। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, ধার্মিক আনোয়ার সাহেব আযান হলে মসজিদে যান এবং আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ফরয তথা সালাত আদায় করেন। তাছাড়া তিনি নফল ইবাদত করেও সময় কাটান। সুতরাং আনোয়ার সাহেবের

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত Read More »

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় আকাইদ

প্রথম অধ্যায় আকাইদ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১  সমাজপতি রাজা মিয়ার ভয়ে মানুষ তটস্থ থাকে। তিনি মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তিনি যা বলেন তাই করতে বাধ্য করেন। তার প্রকল্পে কর্মরত জনাব ফরিদ উদ্দিনকে নামায পড়তে নিষেধ করে বলেন, নামায আবার কিসের জন্য, কাজ কর তাহলেই সুখ পাবে। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন নিয়মিত নামায আদায় করেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। অবশেষে কর্তৃপক্ষ ফরিদ উদ্দিনের দায়িত্বশীলতায় খুশি হয় এবং তাকে পদোন্নতি দেয়। ক. তাওহিদ শব্দের অর্থ কী? খ. আখিরাত বলতে কী বোঝায়? গ. নামাযের প্রতি রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কিসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ঘ.যে মূল বিশ্বাসের ফলে ফরিদ উদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল-তা বিশ্লেষণ কর। ক তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। খ আখিরাত অর্থ পরকাল। পরকাল হলো ইহকালের বা দুনিয়ার জীবনের পরের জীবন। দুনিয়ার জীবনই মানুষের শেষ জীবন নয়। বরং মানুষের জন্য আরও একটি জীবন রয়েছে। সে জীবনই পরকালীন জীবন বা আখিরাত। আখিরাতের জীবন অনন্ত। এ জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। গ নামাযের প্রতি উদ্দীপকের রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। ইসলামের মৌলিক ও ফরয ইবাদত অস্বীকার করা কুফর। উদ্দীপকে আমরা দেখি যে, রাজা মিয়া নিজে তো নামায আদায় করেই না বরং তার প্রকল্পে কর্মরত জনাব ফরিদ উদ্দিনকে নামায পড়তে নিষেধ করে বলেন, নামায আবার কিসের জন্য কাজ কর তাহলেই সুখ পাবে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, নামাযের প্রতি রাজা মিয়ার মনোভাব ইসলামের দৃষ্টিতে কুফরের শামিল। ঘ যে মূল বিশ্বাসের ফলে ফরিদ উদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল, তা হলো তাওহিদ বা একত্ববাদে বিশ্বাস। আল­াহ তাআলা এক। তার কোনো অংশীদার নেই। তিনিই আমাদের রক্ষক, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও রিযিকদাতা। তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে এবং একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করে। সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। তাওহিদে বিশ্বাসীগণ শুধু আল­াহ তাআলার সামনে মাথা নত করে। অন্য কারো সামনে মাথা নত করে না। উদ্দীপক পাঠেও আমরা তাই জানতে পারি যে, ফরিদ উদ্দিন নিয়মিত নামায আদায় করেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তাওহিদ বা একত্ববাদে বিশ্বাসের ফলে ফরিদউদ্দিন নামাযে দৃঢ় ও দায়িত্বশীল। প্রশ্ন- ২  বিজ্ঞ বিচারক জাকারিয়া সাহেব ন্যায়বিচার করেন। এতে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানার পরেও ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্যধারণ করেন। আসমাউল হুসনার বিষয়গুলো নিজের জীবনে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন এবং আল­াহর ভয়ে সবসময় ভীত থাকেন। বিচারকের এমন মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে অবশেষে দালাল গোষ্ঠী তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। ক. আসমাউল হুসনার অর্থ কী? খ. আসমাউল হুসনা সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান থাকা আবশ্যক কেন? বুঝিয়ে লিখ। গ. আল­াহর যে গুণের ভয়ে বিচারপতি ভীত থাকেন তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘আল­াহ সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের গুণের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর। ক আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দরতম নামসমূহ। খ মানবজীবনে আসমাউল হুসনা তথা আল­াহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের জ্ঞান থাকা অতি জরুরী। কেননা এসব গুণবাচক নামসমূহ মানবজীবনে প্রভাব বিস্তার করে। এসব নামের দ্বারা আমরা আল­াহ তাআলাকে চিনতে পারি। তাঁর ক্ষমতা ও গুণাবলির পরিচয় পাই। গ উদ্দীপকের বিচারক জাকারিয়া ‘আল্লাহু খাবিরুন’ এ গুণবাচক নামের ভয়ে ভীত থাকেন। ‘আল্লাহ খাবিরুন’ অর্থ আল্লাহ তাআলা সবকিছু সম্যক অবহিত, সবকিছু জানেন। পবিত্র কুরআনের সুরা আল-হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন, সকল খবর রাখেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, বিজ্ঞ বিচারক জাকারিয়া সাহেব ন্যায়বিচার করেন। এতে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানার পরেও ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্যধারণ করেন। আসমাউল হুসনার বিষয়গুলো নিজের জীবনে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন এবং আল­াহর ভয়ে সবসময় ভীত থাকেন। সুতরাং উপরিউক্ত গুণবাচক নামের প্রভাবেই আল্লাহর ভয়ে উদ্দীপকের বিচারপতি ভীত থাকেন। ঘ ‘আল্লাহু সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের সংশ্লিষ্ট গুণের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। আল­াহু সাবুরুন অর্থ আল­াহ মহাধৈর্যশীল। আল­াহ তাআলা সবচেয়ে বড় ধৈর্যশীল। আল­াহ তাআলা মানুষকে রিযিক দেন, লালনপালন করেন, ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় খাদ্য, পানীয় দেন, ভয়ভীতিতে নিরাপত্তা দেন। আলো, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য সবকিছু তাঁরই দান। এতকিছুর পরও মানুষ তাঁকে অস্বীকার করে। তাঁর ইবাদত করে না। আল­াহ তাআলা এসব ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করেন। নিয়ামত বন্ধ করে দেন না। বরং তিনি সুযোগ দেন। উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে জাকারিয়া সাহেব একজন বিজ্ঞ বিচারক। ন্যায়বিচার করার কারণে ঘুষ লেনদেনকারী দালাল গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এমনকি তাঁকে বদলি করানোর জন্য লেগে যায়। বিচারক সাহেব এটা জানা সত্তে¡ও ঠাণ্ডা মাথায় তার বিচারকার্য চালিয়ে যান এবং ধৈর্যধারণ করেন। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ‘আল­াহু সাবুরুন’ গুণের সাথে বিচারকের সংশ্লিষ্ট গুণের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। প্রশ্ন- ১  আকরাম সাহেব একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায় উন্নতির জন্য তিনি এক পীরের মাজারে দোয়া করতে গেলেন। একপর্যায়ে তিনি মাজারে সিজদা করেন। বিষয়টি একজন বিজ্ঞ আলেম দেখে আকরাম সাহেবকে ডেকে বললেন, মাজারে সিজদা করা জঘন্য অপরাধ। ক. তাওহিদের বিপরীত কী? ১ খ. শিরককে চরম যুলুম বলা হয় কেন? ২ গ. আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে কীসের শামিল? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪ ক তাওহিদের বিপরীত হলো শিরক। খ শিরক হলো চরম যুলুম। কেননা শিরকের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তাআলার সাথে অন্যায় আচরণ করে। আল্লাহ তাআলাই মানুষের একমাত্র স্রষ্টা। সকল ইবাদত ও প্রশংসা লাভের হকদারও তিনিই। শিরকের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর ইবাদত করে। ফলে আল্লাহর সাথে চরম অন্যায় করা হয়। আর এ কারণে শিরককে চরম যুলুম বলা হয়। গ উদ্দীপকের আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে শিরকের শামিল। কেননা আল্লাহ তাআলার সাথে কোনো কিছুকে অংশীদার করা কিংবা কাউকে আল্লাহর সমপর্যায়ের মনে করাই হলো শিরক। বিভিন্নভাবে শিরক হয়। এ হিসেবে মূর্তিপূজা করা, মাজারে সিজদা করা প্রকাশ্য শিরক। উদ্দীপকেও দেখা যায়, আকরাম সাহেব ব্যবসায় উন্নতির জন্য পীরের মাজারে সিজদাহ করেন। উপরিউক্ত আলোচনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ড ইসলামের দৃষ্টিতে শিরকের শামিল। ঘ আকরাম সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত না করে অন্য কারো ইবাদত করা যেমন অগ্নি ও মূর্তিপূজা করা, কারো মাজারে সিজদা করা ইত্যাদি শিরকের অন্তর্ভুক্ত। শিরক এর পরিণতি এতই ভয়াবহ যে, আল্লাহ তাআলা এ অপরাধ ক্ষমা করেন না। সূরা আন-নিসায় বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। তা ব্যতীত সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।’ আর আল্লাহ তাআলা ক্ষমা না করার অর্থই হলো জাহান্নামের কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। উদ্দীপকে আকরাম সাহেব ব্যবসায় উন্নতির জন্য পীরের মাজারকে সিজদাহ করেন। কাজেই বলা যায় যে, শিরক করার কারণে আকরাম সাহেবের ক্ষমা নেই। তার পরিণতি ভয়াবহ জাহান্নাম। প্রশ্ন- ২  সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রতন একদিন তার সহপাঠী মুরাদকে বলল, সৃষ্টিকর্তা

সপ্তম শ্রেণির ইসলাম প্রথম অধ্যায় আকাইদ Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-বার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

অধ্যায়-বার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১  ২০১২ সালে ‘ক’ উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একত্রে হয়ে উপজেলার চেয়ারম্যানকে পরিষদের সভাপতি করে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু নীতিমালা ঘোষণা করে তা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। প্রতিটি ইউনিয়নের বিরোধ মীমাংসা, উন্নয়ন এবং এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ শুরু করে। এতে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার মানুষ নিরাপদ জীবন-যাপন করতে সক্ষম হয়। দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ‘ক’ উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়। ‘ক’ উপজেলার সাফল্যে অন্যান্য উপজেলাও এ ধরনের নীতিমালা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ক. কত সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে? খ. ‘জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে’জাতিসংঘের এ মৌলিক নীতিটির ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের কোন নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অনুরূপ’মতামত দাও। ক ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। খ জাতিসংঘ কয়েকটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি মূলনীতি হলো ‘জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে’। বর্তমানে জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। এরা সকলেই জাতিসংঘের কাছ থেকে সমান সুযোগ লাভের অধিকারী। এটা জাতিসংঘের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত। গ উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ মিমাংসা নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের বিরোধ মিমাংসায় আন্তর্জাতিক আদালত ব্যাপকভাবে কাজ করে। জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য রাষ্ট্র যেকোনো আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালত সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সমস্ত বিরোধ মিমাংসা করে সঠিক সমাধান দেয়। এটি নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত। এর মূল সংস্থা জাতিসংঘ। এই সংস্থাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, ‘ক’ উপজেলার চেয়ারম্যান উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের শান্তি রক্ষার নীতিমালা ঘোষণার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের কাজ শুরু করেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়নের বিরোধ মিমাংসায় ভ‚মিকা পালন করে। অতএব, নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতের বিরোধ মিমাংসা নীতির সাথে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ। ঘ আমি মনে করি ‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার অনুরূপ। কারণ বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের বিকল্প নেই। ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো আন্তর্জাতিক শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের ‘ক’ উপজেলার শান্তি প্রতিষ্ঠার মতো জাতিসংঘও বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। প্রশ্ন- ২  সিয়েরালিয়ন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের একজন সৈনিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। ক. জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম কী? খ. ‘আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা-জাতিসংঘের একটি কাজ’ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের চিত্রে কর্মরত বাহিনী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় কী ভ‚মিকা পালন করছেব্যাখ্যা কর। ঘ.চিত্রে প্রদর্শিত বাহিনীর ভ‚মিকার কারণেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছেতুমি কী এ বক্তব্যের সাথে একমত? মতামত দাও। ক জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম বান কি মুন। খ জাতিসংঘ নানাভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করে থাকে। আবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেও জাতিসংঘ সাহায্য করে। মূলত নিজস্ব প্রচেষ্টার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘ বিশ্বের দিকগুলো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এজন্য বর্তমান বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব অনেক। তাই বলা যায় আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা জাতিসংঘের একটি অন্যতম কাজ। গ উদ্দীপকের চিত্রে প্রদর্শিত বাহিনী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার পর থেকেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আসছে। যেমন : সামাজিক, অর্থনৈতিক, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, বেকারত্ব, কৃষি, চিকিৎসা, পুনর্বাসন ইত্যাদি বাংলাদেশের সশস্রবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে তাদের এসব মিশন প্রেরণ করেছে। এ মিশনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের সদস্যরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। উদ্দীপকেও এই চিত্রটিই প্রদর্শিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সদস্যরা অবদান রাখছে। পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের সশ্রস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বশান্তি রক্ষায় যে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করছে। ঘ বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ভ‚মিকার কারণেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এ বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অবস্থান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কমান্ডার হিসেবে ও উর্দ্ধতন পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ভ‚মিকার আরো একটি স্বীকৃতি। যা বিশ্বে দেশের মানমর্যাদা অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি মহিলা সদস্যরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে বিদেশের মাটিতে যথেষ্ট সুনাম কুঁড়িয়েছে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী মিশণের হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সদস্যরা নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে চলেছে। সর্বোপরি বলা যায়, বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর দায়িত্বরোধ, অক্লান্ত পরিশ্রম ও আদর্শিক কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নতুনভাবে পরিচিত হয়েছে। প্রশ্ন- ১  তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ ‘ক’। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির সরকার দেশকে সুন্দর ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে। কিন্তু এমন অনেক বিষয় আছে যা দেশটির সরকারের পক্ষে এককভাবে করা সম্ভব হয় না। এজন্য দেশটির সরকারকে অন্য কোনো দেশ কিংবা সংস্থার সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হয়। এ প্রয়োজনীয়তা থেকেই বিশ্বজুড়ে একটি ধারণার উদ্ভব হয়েছে। ক. কখন থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়? ১ খ. অছি পরিষদ বলতে কী বোঝ? ২ গ. উদ্দীপকে কোন ধারণাটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উক্ত ধারণাটির গুরুত্ব মূল্যায়ন কর। ৪ ক ২০১৬ সাল থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যাত্রা শুরু হয়। খ জাতিসংঘের অন্যতম একটি শাখা হচ্ছে অছি পরিষদ। এ পরিষদের কাজ হচ্ছে অছিভুক্ত এলাকাসমূহের তত্ত¡াবধান করা। উপনিবেশিক আমলে এই পরিষদের কাজ ছিল বেশি। বর্তমানে এই পরিষদের কাজ নেই বললেই চলে। গ উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমান বিশ্বের দেশগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হলেও অনেক দেশই সম্পূর্ণ আত্মনির্ভরশীল নয়। দেশগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এগুলো দূর করতে অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় দেশও সংস্থার সহযোগিতা। যেমন : আমাদের বাংলাদেশে জ্বালানি, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের সরকারের পক্ষে এককভাবে এগুলো পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়। ফলে এগুলো দূরীকরণে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশ

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-বার বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-এগার এশিয়ার কয়েকটি দেশ

অধ্যায়-এগার এশিয়ার কয়েকটি দেশ  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ অনিন্দ্য গ্রীষ্মের ছুটিতে মা-বাবার সাথে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী একটি দেশে যায়। দেশটির উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা এবং পশ্চিমে হিন্দুকুশ ও সুলেমান পর্বতমালা। দেশটি প্রাচীন শিল্পকলা ও সভ্যতাসমৃদ্ধ। ক. মালয়েশিয়ার রাজধানীর নাম কী? ১ খ. বহুজাতি দেশ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশটির সাথে বাংলাদেশের জলবায়ুর সাদৃশ্য বর্ণনা কর। ৩ ঘ.অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৪ ক মালয়েশিয়ার রাজধানীর নাম কুয়ালালামপুর। খ যে দেশে নানাজাতির মানুষ বসবাস করে সে দেশকে বহুজাতির দেশ বলা হয়। যেমন : আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত একটি বহুজাতিক দেশ। কারণ এ দেশে নানা জাতির বসবাস। যেমন : নাগা, কুকি, তামিল, বাঙালি, অসমীয়া, ভোজপুরি, কাশ্মীরি, গুজরাটি, মালয়ালাম, পাঞ্জাবী ইত্যাদি। এসব জাতির নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এক একটি জাতির সংস্কৃতি অন্য জাতির সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন। গ অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশটি হলো ভারত। কেননা অনিন্দ্য বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী যে দেশটিতে বেড়াতে যায় সে দেশের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা এবং পশ্চিমে হিন্দুকুশ ও সুলেমান পর্বতমালা। এছাড়া দেশটি প্রাচীন শিল্পকলা ও সভ্যতা সমৃদ্ধ, যা ভারতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। বাংলাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে ভারতের জলবায়ুর বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। সমুদ্র সান্নিধ্য ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতে শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা খুব বেশি নয়। বাংলাদেশের মতো ভারতেও নভেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত শীতকাল। শীতকালে বাংলাদেশ ও ভারতে তেমন বৃষ্টিপাত ঘটে না। শীতের পরে উভয় দেশে আসে গরম বায়ুপ্রবাহ। এ সময় ঝড়ো হাওয়া, ঘূর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াস উভয় দেশে সংঘটিত হয়। উত্তরে বিশাল হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপস্থিতি উভয় দেশের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। ঘ অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশটি হচ্ছে ভারত। আর এ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র। নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ায় বাংলাদেশের যেকোনো সমস্যায় ভারতই প্রথমে এগিয়ে আসতে পারবে। যেমনটি আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেখতে পেয়েছি। সে সময় তারা অস্ত্র, অর্থ ও সৈন্য সরবরাহ করে আমাদের সাহায্য করেছিল। বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে ভারত আমাদের তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সুতরাং তাদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমরাও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারব। এছাড়া পাশাপাশি অবস্থান হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের বেশি সহযোগিতা করতে পারবে। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ঘটনা ১ : জনাব সফিউল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে বেড়াতে গিয়েছেন। সমুদ্রবেষ্টিত দেশটির প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। দেশটি দ্বীপ প্রধান হলেও চারটি দ্বীপই অর্থনীতির ক্ষেত্রে মূল ভ‚মিকা রাখছে। ঘটনা-২ : জনাব কবীর দীর্ঘদিন যাবৎ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে কর্মরত আছেন। দেশটি পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ। ক. পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালার নাম কি? ১ খ. ভারতকে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা সমৃদ্ধ দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. জনাব সফিউলের বেড়াতে যাওয়া দেশটির জলবায়ু কেমন? বর্ণনা কর। ৩ ঘ.ঘটনা-১ ও ঘটনা-২ এর দেশ দুইটির অর্থনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪ ক পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালার নাম হিমালয় পর্বতমালা। খ ভারত পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতাসমৃদ্ধ দেশ। পাঁচ হাজার বছর আগের সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে এ দেশটিতে। দক্ষিণ ভারতে অজন্তা পর্বতগুহার চিত্রকর্ম, সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অজস্র প্রাচীন মন্দির ও ভাস্কর্য, আগ্রার তাজমহল, দিল্লির কুতুব মিনার, লালকেল্লা প্রভৃতি ভারতের প্রাচীন সমৃদ্ধ সভ্যতার পরিচয় বহন করে। গ জাপানের জলবায়ু প্রধানত নাতিশীতষ্ণ প্রকৃতির। তবে উত্তর থেকে দক্ষিণে জলবায়ুর মধ্যে বিরাট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। জাপানের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলো ছয়টি প্রধান জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যে বিভাজিত হয়েছে। সর্ব উত্তরে অবস্থিত অহ্চলে আর্দ্র মহাদেশীয় জলবায়ু দেখা যায়। এখানে শীতকাল দীর্ঘ ও শীতল এবং গ্রীষ্মকাল খুব উষ্ণ থেকে শতিল। এখানে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায় না। তবে শীতকালে দ্বীপগুলো গভীর তুষারেরর চাদরে আচ্ছাদিত হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালের শেষ দিকে এবং শরৎকালের গোড়ার দিকে টাইফুন ঝড় ভারি বৃষ্টিপাত ঘটায়। জাপানি দ্বারা প্রধান পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অনেক মনোমুগ্ধকার। যা উদ্দীপকে জনাব সফিউল সাহেবের দৃষ্টিগোচর হয়। ঘ ঘটনা-১ এর দেশটি হলো জাপান আর ঘটনা-২ এ জনাব কবীর পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে কর্মরত যা পৃথিবীর সর্বাধিক জনবহুল দেশ। জাপান পৃথিবীর অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ। জাপানের কৃষিপণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধান, গম, বার্লি, সয়াবিন, মিষ্টি আলু, আখ, বিট, আপেল ও আঙুর। জাপানের প্রধান শিল্প হচ্ছে লোহা ও ইস্পাত, ইলেকট্রনিক্স, জাহাজ ও গাড়ি নির্মাণ, কলকব্জা, ওষুধ, বিদ্যুৎ সামগ্রী ও বিভিন্ন প্রকার ভারি যন্ত্রপাতি। শিল্পে জাপান পৃথিবীর শীর্ষস্থানে রয়েছে। দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিই হলো শিল্প। দেশটিতে প্রচুর খনিজ সম্পদও রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, লোহা, ম্যাংগানিজ, পেট্রোলিয়াম, সিসা, সোনা, রুপা প্রভৃতি। চীনও শিল্পোন্নত দেশ। তবে চীনের অর্থনীতি এখনও প্রধানত কৃষিনির্ভর। কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে ধানই প্রধান। অন্যান্য কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গম, আলু, বীট, তুলা, চা, তামাক পাতা, তেল বীজ, আখ, সয়াবিন, কোকো, পামতেল প্রভৃতি। চীনের প্রধান শিল্প হচ্ছে লৌহ, ইস্পাত, রেশম, সার, যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট, কাগজ, চিনি, ওষুধ প্রভৃতি। খনিজ সম্পদের দিক থেকেও চীন অত্যন্ত সম্পদশালী। দেশটির ভ‚গর্ভে রয়েছে মূূল্যবান খনিজ সম্পদ, যেমন পেট্রোলিয়াম, আকরিক লৌহ, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, স্বর্ণ, কয়লা প্রভৃতি। এছাড়াও চীন বনজ সম্পদে সমৃদ্ধ। এর বনভ‚মিতে রয়েছে ৩২ হাজারেরও বেশি উন্নত প্রজাতির উদ্ভিদ। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ক. জাপানের স্থানীয় নাম কী? ১ খ. জাপানকে ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ বলা হয় কেন? ২ গ. ‘ঢ’ দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্ণনা কর। ৩ ঘ.‘ঢ’ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সমৃদ্ধ বিশ্লেষণ কর। ৪ ক জাপানের স্থানীয় নাম নিহন বা নিপ্পন। খ এশিয়া মহাদেশের একেবারে পূর্ব প্রান্তে জাপান অবস্থিত। এখানে সব দেশের আগে সূর্য উদয় হয়। তাই জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয়। গ ‘ঢ’ দেশ হচ্ছে চীন। পূর্ব এশিয়ার চীন দেশটিকেই প্রশাসনিক দিক থেকে ২২টি প্রদেশ এবং ৫টি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। উদ্দীপকের ছকে এ তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীনের সাথে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্কও রয়েছে। এ দেশটি বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম সহযোগী। আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটি আমাদের অনেক আগ থেকেই সহযোগিতা করে আসছে। ঘ ‘ঢ’ দেশ তথা চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা সমৃদ্ধ। চীনের বিভিন্ন অর্থনৈতিক দ্রব্য ও সমৃদ্ধ তা প্রমাণ করে। চীনের অর্থনীতি এখনও প্রধানত কৃষিনির্ভর। কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে ধানই প্রধান। অন্যান্য কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গম, আলু, বীট, তুলা, চা, তামাক পাতা, তেলবীজ, আখ, সয়াব্নি, কোকো, পামতেল প্রভৃতি। দেশটির প্রধান শিল্প লৌহ, ইস্পাত, রেশম, সার যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট, কাগজ, চিনি, ঔষধ প্রভৃতি। খনিজ সম্পদের দিক থেকেও চীন অত্যন্ত সম্পদশালী। দেশটির ভ‚গর্ভে রয়েছে মূল্যবান খনিজ সম্পদ, যেমন : পেট্রোলিয়াম, আকরিক লৌহ, তামা, এ্যালুমিনিয়াম, স্বর্ণ, কয়লা প্রভৃতি। এর বনভ‚মিতে রয়েছে ৩২ হাজারেরও বেশি উন্নত প্রজাতির উদ্ভিদ ও সাড়ে ১১শ প্রজাতির পাখি। হোয়াংহো ও ইয়াংসি চীনের বৃহত্তম নদী। উপরি-উল্লিখিত চীনের সম্পদ এবং বর্তমান বিশ্বে চীনের অর্থনৈতিক দাপট প্রমাণ করে

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-এগার এশিয়ার কয়েকটি দেশ Read More »

Scroll to Top