তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ আমাদের বাংলাদেশ পোস্টে এই অধ্যায়ের সকল পরিচ্ছেদের অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর দেওয়া হলো।
তৃতীয় শ্রেণির বা ও বি অধ্যায় ৯ আমাদের বাংলাদেশ
>> অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভ‚মি। আমাদের এদেশ এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। আমাদের দেশের আয়তন এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত সত্তর (১,৪৭,৫৭০) বর্গ কিলোমিটার। এদেশের অধিকাংশ স্থান সমতল। পরিচালনার সুবিধার্থে আমাদের এই দেশকে সাতটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী ও প্রধান বিভাগীয় শহর। আমাদের দেশে রয়েছে অসংখ্য নদী। প্রধান নদীগুলো হলো- পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও কর্ণফুলী। বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পদের মধ্যে কৃষিজ, বনজ, খনিজ ও পানি সম্পদ উল্লেখযোগ্য।
৩য় শ্রেণির বা ও বি অধ্যায় ৯ অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তর
অধ্যায় ৯ পরিচ্ছেদ ১ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র
> তুমি কোন বিভাগে থাক? শিক্ষকের সহায়তায় সবাই মিলে মানচিত্রে তোমাদের বিভাগের অবস্থান খুঁজে বের কর এবং চিিহ্নত কর।
উত্তর : আমি ঢাকা বিভাগে থাকি। শিক্ষকের সহায়তায় সবাই মিলে মানচিত্রে আমাদের বিভাগের অবস্থান খুঁজে বের করে চিিহ্নত করা হলো :
> তোমার বিভাগের সীমানার সাথে আর কোন কোন বিভাগ আছে?
উত্তর : আমার বিভাগের সীমানার সাথে আর যে যে বিভাগ আছে তা হলো-
রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট।
নিচের ছকে বাংলাদেশের আশেপাশের দেশের নাম ও সমুদ্রের নাম লেখ।
দিক দেশ/সমুদ্র
পূর্ব
পশ্চিম
উত্তর
দক্ষিণ
উত্তর : নিচের ছকে বাংলাদেশের আশেপাশের দেশের নাম ও সমুদ্রের নাম লেখা হলো-
দিক দেশ/সমুদ্র
পূর্ব ভারত ও মিয়ানমার
পশ্চিম ভারত
উত্তর ভারত
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর
ছাপ দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁক-
> একটি পাতলা কাগজ বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর রাখ। চারপাশ আলপিন বা ক্লিপ দিয়ে আটকে দাও।
> কাগজের নিচে মানচিত্রের রেখাগুলো লক্ষ কর। এবার পেনসিল দিয়ে মানচিত্রের চারদিকের রেখা আঁক।
> আলপিন/ক্লিপ খুলে কাগজটি তুলে ফেল এবং মানচিত্রে বিভাগগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তায় নিজেরা চেষ্টা কর।
অল্প কথায় উত্তর দাও।
বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরের সংখ্যা কয়টি ও কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরের সংখ্যা সাতটি। এগুলো হলো- ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর।
অধ্যায় ৯ পরিচ্ছেদ ২ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক মানচিত্র
পৃষ্ঠা নম্বর ৫০ ও ৫২-এ বাংলাদেশের দুটি মানচিত্র আছে। মানচিত্র দুটি তুলনা কর এবং শ্রেণিতে আলোচনা কর :
> পাশের মানচিত্রে কমলা রং দিয়ে পাহাড়ি অঞ্চল বোঝানো হয়েছে। কোন বিভাগে সবচেয়ে বেশি পাহাড় আছে?
> মানচিত্রে হালকা সবুজ রং দিয়ে নিচু পাহাড়ি এলাকা বোঝানো হয়েছে। কোন বিভাগে নিচু পাহাড় বেশি?
> মানচিত্রে গাঢ় সবুজ রং দিয়ে সমতল ভ‚মি বোঝানো হয়েছে। কোন বিভাগে কোনো পাহাড় বা নিচু পাহাড় নেই?
উত্তর : পৃষ্ঠা নম্বর ৫০ ও ৫২-এ বাংলাদেশের দুটি মানচিত্র আছে। মানচিত্র দুটি তুলনা করা হলো এবং শ্রেণিতে আলোচনা করে উত্তরগুলো দেওয়া হলো :
> চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি পাহাড় আছে।
> সিলেট বিভাগে নিচু পাহাড় বেশি।
> বরিশাল ও খুলনা বিভাগে কোনো পাহাড় নেই।
নিচের টেবিলে বাংলাদেশের নিচু পাহাড়ি এলাকাগুলো কোন কোন বিভাগে অবস্থিত লেখ।
নিচু পাহাড়ি এলাকা বিভাগ
বরেন্দ্রভ‚মি
মধুপুর গড়
লালমাই
উত্তর : নিচের টেবিলে বাংলাদেশের নিচু পাহাড়ি এলাকাগুলো যে যে বিভাগে অবস্থিত তা লেখা হলো-
নিচু পাহাড়ি এলাকা বিভাগ
বরেন্দ্রভ‚মি রাজশাহী
মধুপুর গড় ঢাকা
লালমাই চট্টগ্রাম
পাশের চিত্রটি দেখ। তোমরা কি রাস্তায় কখনো এ ধরনের যান দেখেছ? এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে চলে। পাশের ছবিটি দেখে খাতায় আঁক ও নাম লেখ।
উত্তর : পাশের চিত্রটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
[শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তায় তোমরা নিজে আঁকার চেষ্টা কর]
> অল্প কথায় উত্তর দাও।
আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ কোনটি?
উত্তর : আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
অধ্যায় ৯ পরিচ্ছেদ ৩ বাংলাদেশের নদী
৫০ নম্বর পৃষ্ঠার মানচিত্রটি আবার দেখ এবং উত্তর দাও।
১. মানচিত্রে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন রং দেওয়া আছে। এই শহরগুলোর নাম কী?
২. বাংলাদেশের কোন তিনটি বিভাগ সমুদ্র সীমানার পাশ দিয়ে আছে?
৩. কোন বিভাগের সমুদ্র উপক‚ল দীর্ঘতম?
উত্তর : ৫০ নম্বর পৃষ্ঠার মানচিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর নিচে দেওয়া হলো-
১. মানচিত্রে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন রং দেওয়া আছে। এই শহরগুলোর নাম হলো-
রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম।
২. বাংলাদেশের যে তিনটি বিভাগ সমুদ্র সীমানার পাশ দিয়ে আছে তা হলো- খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম।
৩. চট্টগ্রাম বিভাগের সমুদ্র উপক‚ল দীর্ঘতম।
অক্ষরের ক্রম অনুযায়ী প্রধান পাঁচটি নদীর নাম লেখ।
উত্তর : অক্ষরের ক্রম অনুযায়ী প্রধান পাঁচটি নদীর নাম নিচে লেখা হলো-
১. কর্ণফুলী ২. পদ্মা ৩. ব্রহ্মপুত্র ৪. মেঘনা ৫. যমুনা।
বাংলাদেশের পানি সম্পদের তিনটি ব্যবহার দেখিয়ে একটি পোস্টার তৈরি কর। ছবি এঁকে উদাহরণ দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের পানি সম্পদের তিনটি ব্যবহার নিচে একটি পোস্টারের মাধ্যমে দেখানো হলো-
> সঠিক উত্তরের পাশে টিকচিহ্ন (√) দাও।
নিচের কোনটি পানির উৎস নয়?
ক) জলাভ‚মি খ) পুকুর
√গ) জাল ঘ) নদী
অধ্যায় ৯ পরিচ্ছেদ ৪ বাংলাদেশের কৃষি ও বন
১. ধান কেন সব জায়গায় জন্মে?
উত্তর : বাংলাদেশের অধিকাংশ ভ‚মি সমতল ও উর্বর হওয়ার জন্য সব জায়গায় ধান জন্মে।
২. অর্থকরী ফসল বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : যেসব ফসল বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলা হয়।
৩. কয়েক ধরনের ডালের নাম বল।
উত্তর : কয়েক ধরনের ডালের নাম হলো- মসুর, খেসারি ও মুগ।
প্রথম সারিতে বনভ‚মিগুলোতে যে ধরনের গাছ পাওয়া যায় তার নাম ও দ্বিতীয় সারিতে যে ধরনের প্রাণী দেখা যায় তাদের নাম লেখ।
কাজটি জোড়ায় কর।
পাহাড়ি বনভ‚মি সুন্দরবন
উদ্ভিদ
প্রাণী
উত্তর : প্রথম সারিতে বনভ‚মিগুলোতে যে ধরনের গাছ পাওয়া যায় তার নাম ও দ্বিতীয় সারিতে যে ধরনের প্রাণী দেখা যায় তাদের নাম লেখা হলো-
পাহাড়ি বনভ‚মি সুন্দরবন
উদ্ভিদ কলা, রাবার, বাঁশ, বেত ইত্যাদি। সুন্দরী, গেওয়া, গোলপাতা, গরান ইত্যাদি।
প্রাণী হাতি, বানর, শুয়োর, সাপ ইত্যাদি। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, বানর, কাঁকড়া ইত্যাদি।
গাছের তিনটি ব্যবহার লিখে একটি পোস্টার তৈরি কর। ছবিও আঁকতে পার।
উত্তর : গাছের তিনটি ব্যবহার লিখে নিচে একটি পোস্টার তৈরি করা হলো-
>> উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর।
১. পাট —- কাজে ব্যবহৃত হয়।
২. মসলা —- কাজে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর : ১. দড়ি তৈরির ২. রান্না-বান্নার।
তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৯ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
>> বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ
ক) কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি
খ) বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে
গ) বাংলাদেশের নদীগুলো
ঘ) দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে
ঙ) পুরাতন শহর বাঁশ ও বেত জন্মে।
বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
সিলেট বিভাগ রয়েছে।
খনিজ সম্পদ।
ঢাকা।
চুনাপাথর।
উত্তর :
ক) কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি খনিজ সম্পদ।
খ) বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বাঁশ ও বেত জন্মে।
গ) বাংলাদেশের নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
ঘ) দেশের উত্তর পূর্ব দিকে সিলেট বিভাগ রয়েছে।
ঙ) পুরাতন শহর ঢাকা।
>> শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়
ক) বাংলাদেশের মাঝখানে রাজশাহী অবস্থিত।
খ) রংপুর বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের বিভাগ।
গ) পাট ও চা রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি।
ঘ) পলিমাটি এক ধরনের কাঁদা।
ঙ) এদেশের উত্তরে চিংড়ি চাষ হয়।
উত্তর : ক) ‘অশুদ্ধ’ খ) ‘শুদ্ধ’ গ) ‘শুদ্ধ’ ঘ) শুদ্ধ ঙ) অশুদ্ধ।
>> শূন্যস্থান পূরণ
ক) বাংলাদেশের — দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
খ) দেশে — বিভাগ আছে।
গ) দেশের — দিকে চট্টগ্রাম বিভাগ অবস্থিত।
ঘ) — ও চা অর্থকরী ফসল।
ঙ) — মাটির কারণে আমাদের দেশের ভ‚মি উর্বর।
উত্তর : ক) দক্ষিণ খ. সাতটি গ) দক্ষিণ-পূর্ব ঘ) পাট ঙ) পলি।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. বাংলাদেশে বিভাগীয় শহরের সংখ্যা কয়টি ও কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর সাতটি। যথা- ১) ঢাকা; ২) চট্টগ্রাম; ৩) খুলনা; ৪) রাজশাহী; ৫) বরিশাল; ৬) সিলেট ও ৭) রংপুর।
২. বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো কী? নদী আমাদের কী উপকার করে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো হলো- পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও কর্ণফুলী।
নদীর উপকারিতা : এদেশের নদীগুলো আমাদের নানা উপকারে আসে। যেমন-
> নদী থেকে আমরা প্রচুর মাছ পাই।
> নদীর মাধ্যমে যাতায়াত ও অল্প খরচে মালামাল আনা-নেওয়া করি।
> নদীর পানি দিয়ে কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করি।
> নদীবাহিত পলি এদেশের মাটিকে উর্বর করে।
৩. বাংলাদেশের পানি সম্পদের গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : পানি আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আমরা নদী, খাল, বিল, ঝিল, হাওর প্রভৃতি উৎস থেকে পানি পাই। কৃষি, যাতায়াত, মালামাল পরিবহন প্রভৃতি কাজে আমরা এসব পানি ব্যবহার করি। এ সকল জলাভ‚মি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে মাছ পাই। এসব মাছ আমাদের খাবারের চাহিদা পূরণ করে। দেশের দক্ষিণে সমুদ্র উপক‚লে চিংড়ি চাষ হয়। চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করি।
৪. বাংলাদেশকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কেন?
উত্তর : প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
৫. আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি?
উত্তর : আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ সিলেট।
৬. বিভাগীয় শহর কাকে বলে?
উত্তর : প্রতিটি বিভাগে একটি করে প্রধান শহর রয়েছে। এদেরকে বলে বিভাগীয় শহর।
৭. শালবন কোথায় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : শালবন দেশের মধুপুর, ভাওয়াল ও বরেন্দ্র অঞ্চলে অবস্থিত।
৮. আমাদের দেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় কেন?
উত্তর : আমাদের দেশে অসংখ্য ছোট-বড় নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে। এদেশের প্রধান নদীগুলো হলো- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও কর্ণফুলী। এই নদীগুলো মায়ের মতোই দেশকে, দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের দেশকে বলা হয় নদীমাতৃক দেশ।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
ন্ধ সাধারণ
১. বিভাগ কাকে বলে? বাংলাদেশের বিভাগগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : দেশ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে যে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, এদের প্রত্যেকটি ভাগকে বিভাগ বলে। বিভাগগুলো হলো- ১. ঢাকা; ২. চট্টগ্রাম; ৩. রাজশাহী; ৪. খুলনা; ৫. বরিশাল; ৬. রংপুর ও ৭. সিলেট বিভাগ।
২. ঢাকা বিভাগের সাথে কোন কোন বিভাগের সীমানা অবস্থিত? ঢাকা বিভাগ সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : ঢাকা বিভাগের সাথে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল অর্থাৎ অন্য ছয়টি বিভাগের প্রতিটির সীমানা অবস্থিত।
ঢাকা শহর সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে উল্লেখ করা হলো :
ক) ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী।
খ) ঢাকা বাংলাদেশের মাঝখানে অবস্থিত।
গ) ঢাকা শহর প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে গড়ে ওঠে।
ন্ধ যোগ্যতাভিত্তিক
৩. জেরিন বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব দিকের বিভাগটিতে বাস করে। তার বিভাগের নাম কী? তার বিভাগের সাথে সীমানা রয়েছে অন্য বিভাগের এমন ৪টি জেলার নাম লেখ।
উত্তর : জেরিন যে বিভাগে বাস করে তার নাম চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে সীমানা রয়েছে অন্য বিভাগের এমন ৪টি জেলার নাম হলো : হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ।
যাচাই করি (নমুনা প্রশ্ন) অধ্যায় ৯ : আমাদের বাংলাদেশ
অল্প কথায় উত্তর দাও :
১. বাংলাদেশের আয়তন কত?
উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭৯ বর্গকিলোমিটার।
২. ভারত ছাড়া আর কোন দেশ বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত?
উত্তর : ভারত ছাড়া বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমার অবস্থিত।
৩. বাংলাদেশের নদীগুলো কোন সমুদ্রে পড়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
৪. রয়েল বেঙ্গল টাইগার কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর : রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনে পাওয়া যায়।
৫. কোন কোন ফসল উৎপাদন করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করি?
উত্তর : পাট, চা প্রভৃতি ফসল উৎপাদন করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি।
>> প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. আমাদের প্রধান প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ কী?
উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, কয়লা প্রভৃতি আমাদের প্রধান প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ।
২. গাছ আমাদের প্রয়োজন কেন?
উত্তর : গাছ থেকে আমরা অ>িজেন, ফলমূল, কাঠ ইত্যাদি পাই। তাছাড়া গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তাই গাছ আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন।