তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম দ্বিতীয় অধ্যায় ইবাদত এর অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তরের সাথে সাথে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর দেখতে নিচে চোখ রাখুন।
৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় ইবাদত
⇒ অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
ইবাদত অর্থ গোলামি করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স)-এর কথামতো কাজ করলে সব কিছুই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে। ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সালাত হলো সর্বপ্রধান ইবাদত।
৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১। সঠিক উত্তরে টিক (√) চিহ্ন দাও।
ক) সময়মতো সালাত আদায় করা কার হুকুম?
১. আব্বার ২. আম্মার
√ ৩. আল্লাহর ৪. শিক্ষকের
খ) ওযুতে কনুই পর্যন্ত হাত ধোয়া কী?
১. সুন্নত √ ২. ফরজ
৩. নফল ৪. ওয়াজিব
গ) সালাতে মেয়েরা কোথায় তাহরিমা বাঁধবে?
১. বুকের নিচে ২. নাভি বরাবর
৩. নাভির ওপরে √ ৪. বুকের ওপরে
ঘ) সানা কখন পড়তে হয়?
১. সালাতের শেষে ২. সালাতের মাঝে
৩. সালাতের শুরুতে √ ৪. তাহরিমা বাঁধার পর
ঙ) ভালো কাজ আরম্ভ করার সময় কী বলতে হয়?
√ ১. বিসমিল্লাহ ২. সুবহানাল্লাহ
৩. মাশাআল্লাহ ৪. ইন্না লিল্লাহ
চ) সিজদাহর তাসবিহ কোনটি?
১. আল্লাহু আকবর ২. সুবহানাল্লাহ
√ ৩. সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা ৪. রাব্বানা লাকাল হামদ
২। শূন্যস্থান পূরণ কর :
ক. আল্লাহ তায়ালা ___ কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
খ. পাকসাফ থাকা ইমানের ___ অংশ।
গ. ওযুর ___ চারটি।
ঘ. সালাতে প্রথমে ___ করতে হয়।
ঙ. ___ দ্বারা সালাত শেষ হয়ে যায়।
উত্তর : ক. মিথ্যা খ. অর্ধেক গ. ফরজ ঘ. ওযু ঙ. সালাম।
৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর-প্রশ্ন :
ক. রূকুর তাসবিহ কী?
উত্তর : রূকুর তাসবিহ হলো- সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম। অর্থ : আমার সুমহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
খ. সিজদাহর তাসবিহ কী?
উত্তর : সিজদাহর তাসবিহ হলোÑ সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থ : আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
গ. সালাত কয় ওয়াক্ত?
উত্তর : সালাত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত।
ঘ. ওযুর ফরজ কয়টি?
উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি।
ঙ. ইসলামের ভিত্তি কয়টি?
উত্তর : ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।
৪। বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
ক. ইবাদত কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখ।
উত্তর : ইবাদত অর্থ গোলামি করা, আমল করা, কাজ করা। আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স)-এর কথামতো কাজ করাকে ইবাদত বলে। আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শুধু তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। প্রধান ইবাদতসমূহ হচ্ছে- সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ। তবে লেখাপড়া, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, ঘুমানো সব কিছুই ইবাদত হবে যদি আমরা এগুলো আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ও রাসুলের শেখানো পথে করি। সালাম দেওয়া, আব্বা-আম্মার কথামতো চলা, জীবে দয়া করা, রোগীর সেবা করা, ইয়াতিম-মিসকিনকে সাহায্য করা, সত্য কথা বলা, সালাত আদায় করা ইত্যাদি সবই ইবাদত।
খ. ইসলামের ভিত্তি কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। যথা : (১) ইমান (২) সালাত (৩) যাকাত (৪) সাওম (৫) হজ।
গ. পাকসাফ থাকলে কী উপকার হয়?
উত্তর : পাকসাফ থাকলে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীর ও মন সুস্থ থাকে। যারা পাকসাফ থাকে সবাই তাদের ভালোবাসে; আল্লাহ তায়ালাও তাদের ভালোবাসেন।
ঘ. হাত-পা পরিষ্কার রাখার উপকারিতা কী?
উত্তর : হাত-পা পরিষ্কার রাখার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মাধ্যমে রোগ-জীবাণুর আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা যায়। শরীর সুস্থ থাকে ও মন ভালো থাকে। মহানবি (স) সব সময় পাকসাফ থাকতেন। হাত-পা পরিষ্কার রাখতেন। সপ্তাহে অন্তত একবার নখ কাটতেন। যারা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন তাঁদের আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন।
ঙ. চোখ পরিষ্কার রাখার উপায় কী?
উত্তর : চোখ পরিষ্কার রাখার জন্য ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। অপরিষ্কার হাত চোখে লাগানো যাবে না। চোখের পিঁচুটি ভালোভাবে সাফ করতে হবে। সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া নিয়মিত ওযু করে সালাত আদায় করলে চোখ পরিষ্কার থাকে। চোখের অসুখ হয় না।
চ. ওযুর নিয়ম লেখ।
উত্তর : ওযুর নিয়ম হলো-
১. নিয়ত করা।
২. বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা।
৩. কবজি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ধোয়া।
৪. তিনবার কুলি করা।
৫. মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজা অথবা না থাকলে আঙুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।
৬. পানি দিয়ে তিনবার নাক সাফ করা।
৭. সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া।
৮. কনুইসহ প্রথমে ডান, পরে বাম হাত তিনবার ধোয়া।
৯. মাথা, কান ও ঘাড় একবার মাসহ করা।
১০. টাখনু গিরাসহ প্রথমে ডান ও পরে বাম পা তিনবার ধোয়া।
১১. ওযু শেষ করার পর কালেমা শাহাদত পড়া।
ছ. ওযুর ফরজ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। যথা-
১. সমস্ত মুখমÐল একবার ধোয়া।
২. কনুইসহ দুই হাত একবার ধোয়া।
৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ একবার মাসহ করা।
৪. গিরাসহ দুই পা একবার ধোয়া।
জ. দিনে-রাতে কয়বার সালাত আদায় করতে হয়? ওয়াক্তগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : দিনে-রাতে পাঁচবার সালাত আদায় করতে হয়। সালাতের ওয়াক্তগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-
১. ফজর, ২. যোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব, ৫. ইশা।
ঝ. কীভাবে তাহরিমা বাঁধতে হয়?
উত্তর : আল্লাহু আকবার বলে তাকবিরে তাহরিমা বাঁধতে হয়। তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার সময় ছেলেরা তাদের উভয় হাত কান বরাবর উঠাবে আর মেয়েরা তাদের হাত বুক বরাবর উঠাবে। হাত বাঁধার নিয়ম হলো, ছেলেরা বাম হাতের তালু নাভি বরাবর রাখবে। ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের ওপর রেখে বাঁধবে। মেয়েরা বাঁধবে বুকের ওপর।
ঞ. রূকু কীভাবে করতে হয়?
উত্তর : সালাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ব। এরপর রূকুতে চলে যাব। রূকু করার জন্য দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখব। মাথা, পিঠ ও কোমর এক বরাবর রাখব। কনুই পাঁজর থেকে ফাঁক করে রাখব।
এরপর রূকুর তসবিহ পাঠ করব। রূকুর তসবিহ হলো-
“সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম”
ট. সিজদাহ করার নিয়ম বল।
উত্তর : আল্লাহু আকবার বলতে বলতে সিজদায় যাব। সিজদায় প্রথমে দুই হাঁটু তারপর দুই হাত জায়নামাজে রাখব। এরপর দুই হাতের মাঝখানে প্রথমে নাক এরপর কপাল রাখব। সিজদায় গিয়ে সিজদাহর তসবিহ পাঠ করব। সিজদাহর তসবিহ হলো-
“সুবহানা রাব্বিআল আ’লা”
ঠ. সালাতের নৈতিক উপকার কী?
উত্তর : সালাত আদায়ের মাধ্যমে আমাদের মনে আল্লাহর প্রতি ভয় তৈরি হয়। আর এই ভয় আমাদেরকে সকল অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। এর ফলে আমরা চরিত্রবান হয়ে উঠি। জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে ব্যবধান দূর হয়। সমাজে স¤প্রীতি সৃষ্টি হয়। এভাবে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে ওঠে।
৩য় শ্রেণির ইসলাম ২য় অধ্যায় অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর
⇒ শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয়
১) আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
২) ফরজ অর্থ অবশ্য পালনীয়।
৩) পাক পবিত্র হওয়ার প্রধান উপায় হলো ওযু।
৪) ওযু না হলে সালাত আদায় হবে।
৫) তাকবিরে তাহরিমা বলা ওয়াজিব।
৬) সালাতে রুকু সিজদা করা ফরজ।
৭) সালাত সঠিক হলে জীবন সুন্দর হয়।
উত্তর : ১) ‘শু’ ২) ‘শু’ ৩) ‘শু’ ৪) ‘অ’ ৫) ‘অ’ ৬) ‘শু’ ৭) ‘শু’।
⇒ বাম অংশের সাথে ডান অংশ মিলকরণ
বাম ডান
১) যাকাত ও হজ কেবল ইমানের অর্ধেক অংশ।
২) পাক পবিত্র থাকা ধনীদের জন্য ফরজ।
৩) আমাদেরকে নিয়ম মেনে দিয়ে চোখ ধুতে হবে।
৪) ঘুম থেকে উঠে পানি ওযু করতে হবে।
৫) সালাতে শেষ রাকআতের সিজদার পর বসা ফরজ।
উত্তর :
১) যাকাত ও হজ কেবল ধনীদের জন্য ফরজ।
২) পাক পবিত্র থাকা ইমানের অর্ধেক অংশ।
৩) আমাদেরকে নিয়ম মেনে ওযু করতে হবে।
৪) ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে।
৫) সালাতে শেষ রাকআতের সিজদার পর বসা ফরজ।
⇒ শূন্যস্থান পূরণ
ক) সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা ___ জন্য ফরজ।
খ) নিয়ত অর্থ ___ ইচ্ছা।
গ) তাকবিরে তাহরিমা বলা ___।
ঘ) ফরজ অর্থ ___ পালনীয়।
ঙ) যাকাত ও হজ কেবলমাত্র ___ জন্য ফরজ।
চ) কোনো অবস্থাতেই ___ ছাড়া যাবে না।
ছ) ___ বলে কাজ শুরু করলে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন।
জ) তাকবিরে তাহরিমা বাঁধার পর ___ পড়তে হয়।
উত্তর : ক) মুমিনের খ) মনের গ) ফরজ ঘ) অবশ্য ঙ) ধনীদের চ) সালাত ছ) বিসমিল্লাহ জ) সানা।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ইবাদত অর্থ কী?
উত্তর : ইবাদত অর্থ গোলামি করা, আমল করা, কাজ করা।
২. আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
৩. আল্লাহর হুকুম মানলে ও তাঁর রাসুলের পথে চললে কে খুশি হবেন?
উত্তর : আল্লাহর হুকুম মানলে ও তাঁর রাসুলের পথে চললে আল্লাহ খুশি হবেন।
৪. আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদত কী?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে সর্বপ্রধান ইবাদত হলো সালাত।
৫. মহানবি (স) পাক-পবিত্র থাকাকে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) পাক-পবিত্র থাকাকে ইমানের অর্ধেক অংশ বলেছেন।
৬. ওযুর ফরজ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ওযুর ফরজ চারটি। যথা- ১। সমস্ত মুখমÐল একবার ধোয়া ২। দুই হাতের কনুইসহ একবার ধোয়া ৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ একবার মাসহ করা ৪। গিরাসহ দুই পা একবার ধোয়া।
৭. ফজর সালাতের সময় শেষ হয় কখন?
উত্তর : সূর্য ওঠার পূর্ব মুহূর্তে ফজর সালাতের সময় শেষ হয়।
৮. মাগরিব সালাতের শুরু হয় কখন?
উত্তর : সূর্য ডোবার পর মাগরিব সালাতের শুরু হয়।
৯. আল্লাহু আকবার অর্থ কী?
উত্তর : ‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
১০. আমরা কী বলে সালাত শুরু করি?
উত্তর : আমরা আল্লাহু আকবার বলে সালাত শুরু করি।
১১. ধনী-গরিব সকলের উপর ফরজ এমন দুইটি ইবাদতের নাম লেখ।
উত্তর : ইসলামে ধনী-গরিব সকলের উপর যে দুইটি ইবাদত ফরজ তা হলো- সালাত ও সাওম।
১২. সালাতে সানা কখন পড়তে হয়?
উত্তর : তাকবিরে তাহরিমার পর সালাতে সানা পড়তে হয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ
১. ওযুতে পর পর যে কাজগুলো করতে হয় সেই কাজগুলো ধারাবাহিকতাসহ লেখ।
উত্তর : ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো Ñ
১. প্রথমে নিয়ত করতে হয়, অর্থাৎ মনে মনে বলা ‘আমি আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য ওযু করছি।’
২. বিসমিল্লাহ বলা।
৩. কবজি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ধোয়া।
৪. তিনবার কুলি করা।
৫. দাঁত মাজা অথবা আঙুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।
৬. পানি দিয়ে তিনবার নাক সাফ করা।
৭. সমস্ত মুখ তিনবার ধোয়া।
৮. কনুইসহ প্রথমে ডান পরে বাম হাত তিনবার ধোয়া।
৯. মাথা, কান ও ঘাড় একবার মাসহ করা।
১০. গিরাসহ প্রথমে ডান ও পরে বাম পা তিনবার ধোয়া।
১১. ওযু শেষে কালেমা শাহাদত পড়া।
২. সময়মতো সালাত আদায় করা কার হুকুম? সময়মতো সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য কী?
উত্তর : সময়মতো সালাত আদায় করা মহান আল্লাহপাকের হুকুম। সময়মতো সালাত আদায় না করলে সালাত আদায় হয় না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য ফরজ’।
৩. সালাতে রূকু ও সিজদা করার প্রয়োজনীয়তা কী? রূকু ও সিজদার তাসবিহসমূহ কী কী?
উত্তর : সালাতে রূকু ও সিজদা করা ফরজ। রূকু ও সিজদা সঠিকভাবে না করলে সালাত আদায় হয় না। রূকুর তাসবিহ হচ্ছে- ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম’। এর অর্থ হচ্ছে- আমার সুমহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। সিজদার তাসবিহ হচ্ছে- ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’। অর্থ- আমার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
৪. কীভাবে সালাত আদায় শেষ করতে হয়?
উত্তর : শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরিফ ও দোয়া মাছুরা যথারীতি পাঠ করার পর ডানে-বামে মুখ ফিরিয়ে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাত শেষ করতে হয়। অর্থাৎ সালামের মাধ্যমে সালাত আদায় শেষ করতে হয়।
৫. বিসমিল্লাহ পড়ার উপকারিতা কী? কোন কোন কাজের আগে বিসমিল্লাহ বলতে হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তর : ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পড়ার উপকারিতা অনেক। বিসমিল্লাহ বলে যে কাজ শুরু করা হয়, ঐ কাজে আল্লাহ বরকত দান করেন। কাজে ভালো ফল পাওয়া যায়। আল্লাহ সাহায্য করেন।
সব ভালো কাজের আগে বিসমিল্লাহ বলতে হয়। যেমন-
* লেখাপড়ার শুরুতে।
* খাওয়ার আগে।
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ইত্যাদি।
যোগ্যতাভিত্তিক
৬. ওমর খুব অপরিষ্কার থাকে। ঠিকমতো হাতমুখ ধোয় না। নখ কাটে না। এতে তার যেসকল ক্ষতি হতে পারে তার মধ্যে ৫টি উল্লেখ কর।
উত্তর : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অত্যাধিক। ওমর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে না বলে তার নানা রকম ক্ষতি হতে পারে। যেমন :
১. বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হতে পারে।
২. পাক-পবিত্র না থাকলে মন ভালো থাকে না।
৩. মন ভালো না থাকলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
৪. অপরিষ্কার ব্যক্তিদের কেউ ভালোবাসে না।
৫. আল্লাহ তায়ালা পাক-পবিত্রতা পছন্দ করেন। তাই অপরিষ্কার চলাফেরার জন্য ওমর আল্লাহ পাকের কাছে অপ্রিয় হবে।
৭. সব ভালো কাজের আগে বিসমিল্লাহ বলতে হয় কেন? বিসমিল্লাহ বলার ৫টি উপকারিতা লিখ।
উত্তর : সব ভালো কাজের আগে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন।
বিসমিল্লাহ বলার ৫টি উপকারীতা হলো:
১. ভালো ফল পাওয়া যায়।
২. আল্লাহ তায়ালা কাজে বরকত দান করেন।
৩. আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
৪. কাজটি সহজে সমাধান হয়।
৫. আল্লাহ তায়ালা রহম করেন।